Author: Krishnendu Bakshi

  • MHA on Rohingya Issue: রোহিঙ্গাদের পুনর্বাসন দিতে কোনও নির্দেশিকা জারি হয়নি, সাফ জানাল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক

    MHA on Rohingya Issue: রোহিঙ্গাদের পুনর্বাসন দিতে কোনও নির্দেশিকা জারি হয়নি, সাফ জানাল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দিল্লির (Delhi) উপকণ্ঠে রোহিঙ্গা (Rohingya) শরণার্থীদের ফ্ল্যাট দেওয়া হবে বলে সম্প্রতি জানিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় হাউজিং অ্যান্ড আরবান অ্যাফেয়ার্স মন্ত্রী হরদীপ সিংহ পুরী। সরকারের এই সিদ্ধান্তকে দুর্ভাগ্যজনক আখ্যা দিয়েছে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ (VHP)। তবে বুধবার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের (MHA) তরফে সাফ জানানো হয়েছে, দিল্লিতে রোহিঙ্গাদের পুনর্বাসন দিতে ফ্ল্যাট দেওয়ার কোনও নির্দেশিকা জারি হয়নি। শুধু তাই নয়, মন্ত্রকের তরফে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালকেও (Arvind Kejriwal) বলা হয়েছে রোহিঙ্গারা যেখানে ছিলেন, সেখানেই থাকুন। মন্ত্রকের জারি করা ওই নির্দেশিকায় এও বলা হয়েছে অনুপ্রবেশকারী রোহিঙ্গাদের শরণার্থী শিবিরেই আপাতত থাকতে হবে যতদিন না পর্যন্ত তাঁদের আইন মেনে দেশ থেকে বের করে দেওয়া হচ্ছে।

    ট্যুইটবার্তায় পুরী লিখেছিলেন, ভারত বরাবরই এ দেশে আশ্রয়প্রার্থীদের স্বাগত জানিয়েছে। একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। রোহিঙ্গা শরণার্থীদের দিল্লির বক্করওয়ালা এলাকার অর্থনৈতিকভাবে দুর্বল শ্রেণির জন্য তৈরি করা ফ্ল্যাটে পাঠিয়ে দেওয়া হবে। তাদের সাধারণ সুযোগ সুবিধা দেওয়া হবে এবং দিল্লি পুলিশ ২৪ ঘণ্টা নিরাপত্তার জন্য থাকবে। বিরোধীদের কটাক্ষ করে তিনি লিখেছিলেন, যাঁরা ভারতের শরণার্থী নীতিকে সিএএ-র সঙ্গে জুড়ে বিরোধিতা করে নিজেদের কেরিয়ার তৈরি করতে অভ্যস্ত, তাঁদের জন্য দুঃসংবাদ। কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর এহেন ঘোষণায় বিশ্ব হিন্দু পরিষদের তরফে সরকারকে সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার আর্জি জানানো হয়। বুধবার মন্ত্রকের এক মুখপাত্র জানান, মিডিয়ার একাংশ যেভাবে অনুপ্রবেশকারী রোহিঙ্গাদের কেন্দ্রের তরফে সুবিধা দেওয়ার কথা প্রচার করছে, তা ঠিক নয়। মন্ত্রকের তরফে এমন কোনও নির্দেশিকা জারি করা হয়নি। স্বরাষ্ট্র দফতরের হিসেব বলছে, দিল্লি সহ গোটা দেশে হাজার চল্লিশেক রোহিঙ্গা শরণার্থী রয়েছেন।

    আরও পড়ুন : রোহিঙ্গাদের ভারত থেকে বের করে দেওয়া উচিত, মত বিশ্ব হিন্দু পরিষদের

    মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, স্বরাষ্ট্র দফতর দিল্লি সরকারকে জানিয়ে দিয়েছে, রোহিঙ্গারা যেসব শরণার্থী শিবিরে ছিলেন, সেসব শিবিরেই থাকবেন। আইন মেনে তাদের দেশ থেকে বের করে না দেওয়া পর্যন্ত তাঁরা ওখানেই থাকবেন। মন্ত্রকের ওই মুখপাত্র বলেন, এখন রোহিঙ্গারা যেখানে আশ্রয় নিয়েছেন দিল্লি সরকার তাকে এখনও শরণার্থী শিবির ঘোষণা করেনি। তাদের এখনই তা ঘোষণা করার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে।

     

  • Goa BJP: গোয়া পঞ্চায়েতে বিপুল জয় বিজেপির, গেরুয়া শিবিরে খুশির হাওয়া

    Goa BJP: গোয়া পঞ্চায়েতে বিপুল জয় বিজেপির, গেরুয়া শিবিরে খুশির হাওয়া

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: স্বাধীনতা দিবসের (Independence Day) প্রাক্কালে ফের সুখবর গেরুয়া শিবিরে! গোয়া পঞ্চায়েত নির্বাচনে (Goa Panchayat Elections)  বিপুল জয় পেল বিজেপি (BJP)। লোকসভা, বিধানসভার পর জয়ের ধারা অব্যাহত পঞ্চায়েত নির্বাচনেও। রাজ্যের ১৮৬টি গ্রাম পঞ্চায়েতের (Gram Panchayat) মধ্যে ১৪০টির রশি গিয়েছে পদ্ম নেতৃত্বের হাতে।

    ১০ অগাস্ট ভোট হয়েছিল রাজ্যের উত্তর গোয়া জেলার ৯৭টি ও দক্ষিণ গোয়া জেলার ৮৯টি গ্রাম পঞ্চায়েতের মোট ১ হাজার ৪৬৪টি আসনে। ভোট পড়েছিল ৭৯ শতাংশের কাছাকাছি। নির্বাচনের আগেই অবশ্য উত্তর গোয়ায় ৪১টি ও দক্ষিণ গোয়ায় ২৩টি আসনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হয়েছিলেন পদ্ম প্রার্থীরা। শুক্রবার শুরু হয়েছে গণনা। ফল প্রকাশিত হলে দেখা যাচ্ছে, হাজারখানেক আসনে জয়ী হয়েছেন বিজেপি প্রার্থীরা। বিপুল জয়ের জন্য গোয়ার বাসিন্দাদের ধন্যবাদ জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী প্রমোদ সাবন্ত (Pramod Sawant)। তিনি বলেন, ১০ তারিখে গোয়ার ১৮৬টি পঞ্চায়েতে ভোট হয়েছিল। ফল ঘোষণা হয়ে গিয়েছে। আমরা ১৪০টি আসনে জয়ী হয়েছি। বিধানসভা, লোকসভার পর পঞ্চায়েতেও জয় পেয়েছি আমরা। এতে প্রমাণ হয় আমরা জনগণের জন্য কাজ করছি। তিনি বলেন, আমি নিশ্চিত আমাদের এই ফলে খুশি হবেন কেন্দ্রীয় কমিটি। বিজেপির গোয়া রাজ্য সভাপতি সদানন্দ শেট তানাভাদে (Sadanand Shet Tanavade) বলেন, এই প্রথম গোয়া পঞ্চায়েত নির্বাচনে কোনও একটি রাজনৈতিক দল এত বেশি আসনে জয়ী হয়েছে। বিজেপির এই জয় ঐতিহাসিক। তিনি বলেন, নির্বাচনের এই ফলে এটা প্রমাণিত হয় যে বিধানসভা ভোটের তুলনায় আমাদের প্রতি মানুষের সমর্থন বেড়েছে।

    আরও পড়ুন :বিজেপি-সঙ্গ ত্যাগ নিছক উপলক্ষ, নীতীশের লক্ষ্য কি প্রধানমন্ত্রীর কুর্সি?

    চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসেই হয় গোয়া বিধানসভা নির্বাচন। গোয়া বিধানসভার ৪০টি আসনের মধ্যে ২০টিতে জয়ী হয়ে সরকার গড়ে পদ্ম-পার্টি। ওই নির্বাচনে গোয়া দখলে মাটি কামড়ে পড়েছিলেন তৃণমূলের হেভিওয়েট নেতানেত্রীরা। বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেওয়া বাবুল সুপ্রিয়কেও পদ্ম শিবিরের বাড়া ভাতে ছাই দিতে পাঠিয়েছিলেন তৃণমূল নেতৃত্ব। বার দুয়েক গোয়া উড়ে গিয়েছিলেন খোদ তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। কংগ্রেস ভাঙিয়ে তৃণমূল গড়ে বিজেপিকে মাত দিতে চেয়েছিলেন তৃণমূল নেত্রী। ভোটের ফল প্রকাশের পর দেখা যায় মুখ পুড়েছে জোড়াফুল শিবিরের। তবে বিধানসভা নির্বাচনে খালি হাতে ফিরতে হলেও, পঞ্চায়েতে একটি আসনে জয়ী হয়েছেন তৃণমূল নেত্রী রাখি নায়েক। দক্ষিণ গোয়া জেলার নেত্রাবলী থেকে জয়ী হয়েছেন রাখি।

    আরও পড়ুন : বিজেপি যুবনেতা খুনের ঘটনায় তদন্তে এনআইএ! জানুন কেন

  • Amit Malviya on Anubrata: অনুব্রতর মতো দুষ্কৃতীদের পৃষ্ঠপোষকতা করেন মমতা, তোপ অমিত মালব্যর

    Amit Malviya on Anubrata: অনুব্রতর মতো দুষ্কৃতীদের পৃষ্ঠপোষকতা করেন মমতা, তোপ অমিত মালব্যর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বৃহস্পতিবার সাত সকালে সিবিআই (CBI) জালে অনুব্রত মণ্ডল ( Anubrata Mondal)। এদিন সকালে সিবিআইয়ের একটি দল ঘিরে ফেলে তৃণমূলের (TMC) বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের বাড়ি। পরে গ্রেফতার করা হয় তাঁকে। তার পরেই অনুব্রত ও তাঁর দল তৃণমূলকে তোপ দেগেছেন বিজেপি (BJP) নেতৃত্ব। অনুব্রতকে প্রশ্রয় দেওয়ার জন্য তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Mamata Banerjee) কাঠগড়ায় তুলেছেন বিজেপির আইটি সেলের প্রধান অমিত মালব্য (Amit Malviya)।

    গরু পাচার মামলায় নাম জড়িয়েছে অনুব্রতর। তদন্তে নেমে বার দশেক তাঁকে তলব করে সিবিআই। এর মধ্যে মাত্র একবারই নিজাম প্যালেসে গিয়ে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার মুখোমুখি হন বীরভূমের এই দাপুটে নেতা। নানা অছিলায় বাকি সময় তিনি এড়িয়েছেন সিবিআইয়ের জেরা। যদিও গরু পাচার মামলায় তাঁকেই জেরা করে সত্য উদ্ঘাটন করতে মরিয়া সিবিআই। বারবার সিবিআই নাগাল এড়ানোয় এদিন তাঁকে গ্রেফতার করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।

    সম্প্রতি সিবিআই এবং ইডি যৌথভাবে তল্লাশিতে নামে বীরভূমের বিভিন্ন জায়গায়। অনুব্রত মণ্ডল ঘনিষ্ঠ তৃণমূল নেতা কেরিম শেখ ও অনুব্রত ঘনিষ্ঠ পাথর ব্যবসায়ী টুলু মণ্ডলের বাড়িতেও হানা দেন তদন্তকারী আধিকারিকরা। বাজেয়াপ্ত করেন প্রচুর নথি। তা থেকেই সিবিআইয়ের ধারণা, অনুব্রতকে জেরা করলেই খুলে যাবে পাচার-রহস্যের দ্বার। এটাও অনুব্রতকে গ্রেফতার করার অন্যতম একটি কারণ।   

    আরও পড়ুন : অনুব্রত একজন মাফিয়া, মমতার প্রশ্রয়ে ওর বাড়বাড়ন্ত, বললেন শুভেন্দু

    অনুব্রতকে প্রশ্রয় দেওয়ায় তৃণমূলের সর্বময় কর্ত্রী তথা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেই সরাসরি দায়ী করেন বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতা অমিত মালব্য। ট্যুইট বার্তায় অনুব্রতকে সরাসরি দুষ্কৃতী বলেও তোপ দাগেন তিনি। তিনি লিখেছেন, অনুব্রত মণ্ডলের মতো দুষ্কৃতীদের পৃষ্ঠপোষকতা করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে তিনি তাঁদের নিরাপত্তা দেন, যাঁরা অপরাধ করে। পার্থ চট্টোপাধ্যায় হোন বা অনুব্রত মণ্ডল এর দায় বর্তায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ওপর। বিজেপির এই কেন্দ্রীয় নেতার প্রশ্ন, বীরভূমের স্থানীয় গুন্ডা অনুব্রত মণ্ডলকে তাঁর গাড়িতে বসিয়ে নিয়ে বাংলার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী কী বার্তা দেন? তিনি বলেন, এই অনুব্রত মণ্ডলের নির্দেশেই চলত আনারুল হোসেনরা, রামপুরহাট গণহত্যাকাণ্ডে যে ইতিমধ্যেই গ্রেফতার হয়েছে। অমিত বলেন, এই ছবিই প্রমাণ করে বাংলার রাজনীতির দুর্বৃত্তায়নের সূত্রপাত একেবারে মাথা থেকে।

     

  • VHP on Rohingya: রোহিঙ্গাদের ভারত থেকে বের করে দেওয়া উচিত, মত বিশ্ব হিন্দু পরিষদের

    VHP on Rohingya: রোহিঙ্গাদের ভারত থেকে বের করে দেওয়া উচিত, মত বিশ্ব হিন্দু পরিষদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক:  রোহিঙ্গাদের (Rohingya) ভারত (India) থেকে বের করে দেওয়া উচিত। অন্তত এমনই মন্তব্য করলেন বিশ্ব হিন্দু পরিষদের (VHP) কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সভাপতি অলোক কুমার (Alok Kumar)। রোহিঙ্গাদের দিল্লিতে পুনর্বাসন দেওয়ার সিদ্ধান্তের কথা ঘোষণা করেছে কেন্দ্র। তার প্রেক্ষিতেই একথা বলেছেন অলোক কুমার। সরকারি সিদ্ধান্তকে দুর্ভাগ্যজনক আখ্যা দিয়েছেন বিশ্ব হিন্দু পরিষদের আন্তর্জাতিক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সুরেন্দ্র জৈনও (Surendra Jain)।

    মায়ানমার ছেড়ে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে আশ্রয় নিয়েছেন রোহিঙ্গারা। দিল্লিতেও ঘাঁটি গেড়েছেন তাঁরা। এই রোহিঙ্গা শরণার্থীদের ফ্ল্যাট দিচ্ছে কেন্দ্র। তাঁদের প্রহরায় মোতায়েন থাকবে দিল্লি পুলিশও। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকের পর এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানান কেন্দ্রীয় হাউজিং অ্যান্ড আরবান অ্যাফেয়ার্স মন্ত্রী হরদীপ সিংহ পুরী।

    ট্যুইটবার্তায় তিনি লেখেন, ভারত বরাবরই এ দেশে আশ্রয়প্রার্থীদের স্বাগত জানিয়েছে। একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। রোহিঙ্গা শরণার্থীদের দিল্লির বক্করওয়ালা এলাকার অর্থনৈতিকভাবে দুর্বল শ্রেণির জন্য তৈরি করা ফ্ল্যাটে পাঠিয়ে দেওয়া হবে। তাদের সাধারণ সুযোগ সুবিধা দেওয়া হবে এবং দিল্লি পুলিশ ২৪ ঘণ্টা নিরাপত্তার জন্য থাকবে। বিরোধীদের কটাক্ষ করে তিনি লেখেন, যাঁরা ভারতের শরণার্থী নীতিকে সিএএ-র সঙ্গে জুড়ে বিরোধিতা করে নিজেদের কেরিয়ার তৈরি করতে অভ্যস্ত, তাঁদের জন্য দুঃসংবাদ।

    আরও পড়ুন : পরপর জেহাদি হামলার জের! হিন্দুদের জন্য হেল্পলাইন নম্বর চালু ভিএইচপির

    সরকারের এই সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার আবেদন জানিয়েছে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ। অলোক কুমার বলেন, রোহিঙ্গাদের থাকার ব্যবস্থা করার চেয়ে তাদের ভারতের বাইরে পাঠিয়ে দেওয়ার ব্যবস্থাই করা উচিত। তিনি বলেন, পাকিস্তান থেকে এদেশে আসা হিন্দু শরণার্থীরা মঞ্জু কা তিলা এলাকায় অতিকষ্টে দিন গুজরান করছেন। তাঁদের টপকে যেভাবে রোহিঙ্গাদের সুযোগ সুবিধা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, তা অত্যন্ত নিন্দনীয়। রোহিঙ্গাদের ফ্ল্যাট এবং পুলিশ প্রহরা সহ অন্যান্য সুযোগ সুবিধা দেওয়ার বিষয়টিকে দুর্ভাগ্যজনক আখ্যা দিয়েছেন বিশ্ব হিন্দু পরিষদের আন্তর্জাতিক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সুরেন্দ্র জৈনও।

    আরও পড়ুন : ম্যাঙ্গালুরুর মসজিদের অন্দরে হিন্দু মন্দিরের ধ্বংসাবশেষ! পুজোর উদ্যোগ ভিএইচপি-র

  • Sukanta on Anubrata: বন্যেরা বনে সুন্দর, চোরেরা জেলে, অনুব্রতর গ্রেফতারিতে প্রতিক্রিয়া সুকান্তর 

    Sukanta on Anubrata: বন্যেরা বনে সুন্দর, চোরেরা জেলে, অনুব্রতর গ্রেফতারিতে প্রতিক্রিয়া সুকান্তর 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বন্যেরা বনে সুন্দর, চোরেরা জেলে। খাঁচা তৈরি হয়েছে। অনেকদিন লুকোচুরি খেললেন। এখন উপযুক্ত জায়গায় পৌঁছে গিয়েছেন। তৃণমূলের (TMC) বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mondal) গ্রেফতারির খবর পেয়ে এমনই প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করলেন বিজেপির (BJP) রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)।

    গরু পাচারকাণ্ডে (Cattle Smuggling Case ) নাম জড়ানোয় বুধবার সাত সকালে সিবিআই গ্রেফতার করে অনুব্রতকে। তৃণমূল সুপ্রিমোর আশীর্বাদপুষ্ট অনুব্রত গ্রেফতার হওয়ায় হতাশ জেলা নেতৃত্ব। তবে শাসক শিবির যতটা মুষড়ে পড়েছে, ততটাই উৎফুল্ল পদ্ম শিবির। সুকান্ত বলেন, বিজেপি কর্মীরা গুড়, বাতাসা বিলি করবেন। প্রসঙ্গত, গত পঞ্চায়েত ভোটের আগে ঠিক এই কথাটাই বলেছিলেন অনুব্রত। ২০২৩ সালে ফের পঞ্চায়েত নির্বাচন। তার আগে অনুব্রতর গ্রেফতারি বিজেপিকে কতটা মাইলেজ দেবে, তা বলবে সময়। এদিন সে প্রসঙ্গ টেনে সুকান্ত বলেন, পঞ্চায়েত নির্বাচনে অক্সিজেন কতটা দেবে, তা সময়ই বলবে। তিনি বলেন, বিজেপি কটা আসন পাবে, সেটা বড় কথা নয়। চোরেদের ধরাটাই বড় কথা।

    আরও পড়ুন : অনুব্রত একজন মাফিয়া, মমতার প্রশ্রয়ে ওর বাড়বাড়ন্ত, বললেন শুভেন্দু

    পাচারকাণ্ডে যে কেবল অনুব্রত একাই নন, তাও জানান বিজেপির রাজ্য সভাপতি। তিনি বলেন, এর সঙ্গে যারা জড়িত, তাদের নাম ক্রমেই প্রকাশ্যে আসবে। ট্যুইটবার্তায় সুকান্ত বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার গরু পাচারকাণ্ডে চোখ বন্ধ করে রেখেছিলেন। ধীরে ধীরে অপরাধীরা সবাই গ্রেফতার হবে। গ্রিন করিডরের মাধ্যমে দলের শীর্ষ নেতৃত্বের কাছে পাচারের টাকা পৌঁছাত বলেও অভিযোগ সুকান্তর। অনুব্রতর এই গ্রেফতারি তাঁর স্বাস্থ্যোন্নতির কারক হবে বলেও মনে করেন সুকান্ত। বলেন, এতদিন অনুব্রত টেনশনে ছিলেন। এখন তিনি বিশ্রামের সময় পাবেন। ওঁর শারীরিক অবস্থার উন্নতি হবে।

    তৃণমূল জমানায় রাজনীতির অপরাধীকরণ হয়েছে বলেও মনে করেন বিজেপি নেতৃত্ব। সুকান্ত বলেন, রাজনীতির অপরাধীকরণ হলে এবং অপরাধীরা দাপাদাপি করলে এই ধরনের ঘটনাই ঘটে। অনুব্রতর মতো লোকজন রাজনীতি থাকলে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের স্বপ্ন সব চুরি হয়ে যাবে বলেও মনে করেন তিনি। এদিন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও নিশানা করেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি। বলেন, মমতার প্রিয় তত্ত্ব হল ইউজ অ্যান্ড থ্রো। কিষেনজি থেকে শুরু করে সবাই জানে একথা। ব্যবহার করে ছুড়ে ফেলে দাও। তৃণমূল রণে বনে জলে জঙ্গলে এবং অন্তরীক্ষেও সুযোগ পেলে চুরি করবে বলেও মনে করেন সুকান্ত।

     

  • Tax Devolution: বঞ্চনার অভিযোগ মিথ্যা, ফের রাজ্যকে টাকা দিল কেন্দ্র    

    Tax Devolution: বঞ্চনার অভিযোগ মিথ্যা, ফের রাজ্যকে টাকা দিল কেন্দ্র    

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পশ্চিমবঙ্গকে (West Bengal) কর বাবদ প্রাপ্য দুই কিস্তির মোট অর্থ বাবদ ৮,৭৭৬ কোটি ৭৬ লক্ষ টাকা দিল কেন্দ্র (Centre)। কেন্দ্রের বিরুদ্ধে বঞ্চনার অভিযোগে বারবার সরব হয়েছে রাজ্যগুলি। এ ব্যাপারে সব চেয়ে বেশি সরব হয়েছে তৃণমূল (TMC) শাসিত পশ্চিমবঙ্গ। তবে সেই অভিযোগ যে নিছকই অভিযোগ, কোনও সারবত্তা নেই, তা প্রমাণ হল ফের। ১০ অগাস্ট রাজ্যগুলিকে কেন্দ্র দিয়েছে ১.১৬ লক্ষ কোটি টাকা। দুটি কিস্তিতে ওই টাকা দেওয়া হয়েছে। উন্নয়ন খাতে খরচ করতেই ওই টাকা দেওয়া হয়েছে বলে জানানো হয়েছে অর্থমন্ত্রকের তরফে।

    অর্থমন্ত্রকের তরফে জারি করা এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, কেন্দ্রীয় সরকার দু কিস্তিতে রাজ্যগুলিকে মোট ১,১৬,৬৬৫ কোটি ৭৫ লক্ষ টাকা হস্তান্তরিত করা হয়েছে। ১০ অগাস্ট ওই টাকা দেওয়া হয়েছে। প্রতি মাসে করের যে লভ্যাংশ রাজ্যগুলিকে দেওয়া হয়, তার এই খাতে তার পরিমাণ ছিল প্রতি মাসে ৫৮,৩৩২ কোটি ৮৬ লক্ষ টাকা। সম্প্রতি কেন্দ্র কর বাবদ আদায় করেছে ৪১ শতাংশ। একটি অর্থবর্ষে ১৪টি কিস্তিতে রাজ্যগুলি থেকে ওই ট্যাক্স আদায় করা হয়েছে। সেই টাকারই লভ্যাংশের একটি ভাগ দেওয়া হল রাজ্যগুলিকে।

    আরও পড়ুন : ঘুরে দাঁড়াচ্ছে ভারতীয় অর্থনীতি

    জানা গিয়েছে, কেন্দ্র পশ্চিমবঙ্গকে কর বাবদ প্রাপ্য দুই কিস্তির মোট অর্থ ৮,৭৭৬ কোটি ৭৬ লক্ষ টাকা হস্তান্তরিত করেছে এদিন। এই খাতে বিজেপি শাসিত ত্রিপুরাকে দেওয়া হয়েছে ৮২৬ কোটি টাকা। আর এক বিজেপি শাসিত রাজ্য আসাম এই খাতে পেয়েছে ৩৬৪৯ কোটি ৩০ লক্ষ টাকা। তৃণমূল শাসিত বাংলা পেয়েছে তার চেয়েও ঢের বেশি। রাজ্যগুলির মূলধনের জোগান ও উন্নয়ন খাতে ব্যয়ের জন্য যাতে কোনও সমস্যা না হয়, তা নিশ্চিত করতেই কেন্দ্র অঙ্গীকারবদ্ধ। কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রক সূত্রেই এই খবর জানানো হয়েছে।

     

  • Chinese Spy Ship: ভারত আমেরিকার উদ্বেগ সত্ত্বেও শ্রীলঙ্কার বন্দরে চিনা ‘গুপ্তচর জাহাজ’

    Chinese Spy Ship: ভারত আমেরিকার উদ্বেগ সত্ত্বেও শ্রীলঙ্কার বন্দরে চিনা ‘গুপ্তচর জাহাজ’

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারত (India) ও আমেরিকার (America) উদ্বেগ সত্ত্বেও শেষমেশ মঙ্গলবার শ্রীলঙ্কার (Sri Lanka) হামবানটোটা (Hambantota) বন্দরে এসে ভিড়ল চিনা গুপ্তচর জাহাজ (Chinese Spy Ship)। ইয়ান ওয়াং-৫ নামের ওই জাহাজ না পাঠাতে চিনকে (China) অনুরোধ করেছিল কলম্বোও। সেসব আপত্তি-উদ্বেগ অগ্রাহ্য করেই হামবানটোটা বন্দরে নোঙর করেছে ওই চিনা গুপ্তচর জাহাজ।

    দিন কয়েক আগে চিনের ওই জাহাজটি যাত্রা করে শ্রীলঙ্কা অভিমুখে। তখনই আপত্তি জানিয়েছিল ভারত। জাহাজটি যাতে হামবানটোটা বন্দরে না নোঙর করে, সেজন্য ড্রাগনের দেশকে আবেদন করেছিল শ্রীলঙ্কাও। সেসব কান না তুলেই শ্রীলঙ্কা অভিমুখে যাত্রা করতে শুরু করে ইউয়ান ওয়াং-৫ নামের ওই জাহাজটি। ১৪ নটিক্যাল গতিতে সেটি ধেয়ে আসতে থাকে হাম্বানটোটা বন্দর অভিমুখে।  জানা গিয়েছে, এই গুপ্তচর জাহাজটি চিনের মহাকাশ ও উপগ্রহ গবেষণার কাজে ব্যবহৃত হয়। যেহেতু জাহাজটি শি জিন পিংয়ের দেশের মহাকাশ ও উপগ্রহ গবেষণার কাজে ব্যবহৃত হয়, তাই আপত্তি জানিয়েছিল ভারত। নয়াদিল্লির আশঙ্কা, অত্যাধুনিক এই জাহাজের মাধ্যমে ভারতের ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থার ওপর নজরদারি চালাতে পারে বেজিং। ভারতের এই আপত্তির পরে পরেই শ্রীলঙ্কার তরফেও চিনকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল তাদের বন্দরে ওই জাহাজ যেন নোঙর না করে। তার পরেও জাহাজ আসে হামবানটোটায়। করে নোঙরও।

    আরও পড়ুন : বন্দরে ভেড়েনি চিনা ‘গুপ্তচর’ জাহাজ, দাবি শ্রীলঙ্কা বন্দর কর্তৃপক্ষের

    জানা গিয়েছে, চিনা এই গুপ্তচর জাহাজ যে কোনও উপগ্রহের ওপরও নজরদারি চালাতে পারে। আন্তঃমহাদেশীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের হদিশও দিতে পারে এই জাহাজ। ওড়িশা উপকূলের কাছে ভারতের ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার যাবতীয় তথ্য এই জাহাজ হস্তগত করে চিনে নিয়ে যেতে পারে বলেও আশঙ্কা ভারতের। যদিও চিনের দাবি, গবেষণা ও সমীক্ষার কাজেই ব্যবহার করা হয় জাহাজটি। তবে পেন্টাগন জানিয়েছে, চিনের ওই জাহাজটি নিয়ন্ত্রিত হয় চিনা পিপলস আর্মির স্ট্র্যাটেজিক সাপোর্ট ফোর্সের দ্বারা।

    এদিকে, এই গুপ্তচর জাহাজ শ্রীলঙ্কা এসে পৌঁছানোর আগেই মঙ্গলবার ভারতের তরফে কলম্বোকে উপহার হিসেবে পাঠানো হয় একটি ডর্নিয়ার বিমান। মূলত মাদক পাচার ও জলসীমান্তে নজরদারি চালাতেই কলম্বোকে এই উপহার দিয়েছে নয়াদিল্লি। শ্রীলঙ্কার বিমান বাহিনীর ঘাঁটিতে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে হস্তান্তরিত করা হয় বিমান। দ্বীপরাষ্ট্রের নয়া প্রেসিডেন্ট রনিল বিক্রমসিংহে ভারতের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বলেন, সামুদ্রিক নজরদারিতে আমাদের বিমানবাহিনী, নৌবাহিনীর সঙ্গে ভারতীয় নৌবাহিনীর পারস্পরিক সহযোগিতার যাত্রা শুরু হল। প্রসঙ্গত, শ্রীলঙ্কা বায়ুসেনার মাত্র ১৫ জন এই বিশেষ নজরদারি বিমানটি চালাতে পারবেন। মাস চারেক ধরে তাঁদের প্রশিক্ষণও দেওয়া হয়েছে ভারতে।

    আরও পড়ুন : চিনা ঋণের ফাঁদ থেকে সাবধান! সতর্কবার্তা বাংলাদেশি মন্ত্রীর

  • NATO: আগ্রহী খোদ আমেরিকা, ন্যাটোর অন্তর্ভুক্ত হচ্ছে মোদির দেশ?

    NATO: আগ্রহী খোদ আমেরিকা, ন্যাটোর অন্তর্ভুক্ত হচ্ছে মোদির দেশ?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ন্যাটোর (NATO) সঙ্গে রুদ্ধদ্বার বৈঠক হয়ে গিয়েছে ভারতের (India)। এটাই ছিল প্রথমবার। তবে ন্যাটোর সঙ্গে ভারতের কথাবার্তা চলবে বলেও জানা গিয়েছে। ২০১৯ সালের ১২ ডিসেম্বর ওই বৈঠক হয়েছিল। শীঘ্রই আবার এ নিয়ে ন্যাটোর সঙ্গে বৈঠকে বসতে চলেছে নয়াদিল্লি।

    ১৯৪৯ সালের ৪ এপ্রিল গড়ে ওঠে নর্থ আটলান্টিক ট্রিটি অর্গানাইজেশন, সংক্ষেপে ন্যাটো। এই ন্যাটোর সদস্যভুক্ত দেশগুলি পারস্পরিক সহযোগিতা দিতে অঙ্গীকারবদ্ধ। জানা গিয়েছে, ন্যাটোর সঙ্গে ভারতের প্রথম বৈঠকে নয়াদিল্লির (New Delhi) তরফে উপস্থিত ছিলেন বিদেশমন্ত্রক ও প্রতিরক্ষামন্ত্রকের শীর্ষ আধিকারিকরা। ওই বৈঠকই হতে চলেছে খুব শীঘ্রই। ন্যাটোয় ভারতকে যুক্ত করতে আগ্রহী খোদ আমেরিকা (America)। কিছুদিনের মধ্যেই নতুন কয়েকটি দেশের কাছে ন্যাটোর সঙ্গে প্রতিরক্ষামূলক অংশীদারিতে কাজ করার প্রস্তাব দিতে চলেছে সামরিক এই জোট। তার মধ্যে অন্যতম একটি দেশ হল ভারতও।

    আরও পড়ুন : তাইওয়ানে পা রাখলেন ন্যান্সি, সমরসজ্জা শুরু চিন আমেরিকার?

    ভারতীয় বংশোদ্ভূত মার্কিন সাংসদ রো খান্না বলেন, আরও বেশ কয়েকটি দেশের সঙ্গে প্রতিরক্ষা মূলক চুক্তি করতে চান ন্যাটো নেতৃত্ব। ইতিমধ্যেই অস্ট্রেলিয়া, জাপান, নিউজিল্যান্ড, ইজরায়েল এবং দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে চুক্তি করার কথা ভাবা হচ্ছে। আমি চাই সেই তালিকায় যোগ হোক ভারতের নামও। সেটা হলে এই প্রতিরক্ষা চুক্তি বাস্তবায়িত করতে সুবিধা হবে। তিনি জানান, ভারতের সঙ্গে শক্তিশালী বন্ধন গড়ে তুলতে চায় আমেরিকা। খান্না বলেন, দুই গণতান্ত্রিক দেশের মধ্যে স্ট্র্যাটেজিক পার্টনারশিপ গড়ে তোলা খুবই প্রয়োজন। বিশেষত, চিন ও রাশিয়া খুবই আগ্রাসী নীতি অবলম্বন করে চলেছে। এহেন পরিস্থিতিতে ভারত ও আমেরিকার মধ্যে প্রতিরক্ষামূলক সমঝোতা গড়ে তোলা খুবই প্রয়োজন। তিনি বলেন, চিনা আগ্রাসনের মোকাবিলায় ভারতের পাশে দাঁড়ানো উচিত আমেরিকার। ভারতের সঙ্গে আমেরিকার সম্পর্ক আরও মজবুত করার লক্ষ্যে কাজ করছি আমি। চিনের সঙ্গে সীমান্ত সংঘাতে ভারত যেন নিজেদের রক্ষা করতে পারে, সে কথা মাথায় রাখা উচিত আমাদের।

    আরও পড়ুন : চিনা হুমকি, তাইওয়ানে মহড়া শুরু যুদ্ধের

    রাজনৈতিক মহলের মতে, আন্তর্জাতিক নিরাপত্তার ক্ষেত্রে ভারত প্রাসঙ্গিক। কারণ এর ভূরাজনৈতিক অবস্থান। সেই কারণেই ভারতকে ন্যাটোর অন্তর্ভুক্ত করতে চাইছে জো বাইডেনের দেশ।

     

  • Bihar Politics: দলকে কলঙ্ক মুক্ত রাখতে নয়া ফরমান তেজস্বী যাদবের, জানেন কী কী?    

    Bihar Politics: দলকে কলঙ্ক মুক্ত রাখতে নয়া ফরমান তেজস্বী যাদবের, জানেন কী কী?    

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিহারে (Bihar) আরজেডির (RJD) বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে বারংবার। তাই দুর্নীতির কালি যাতে গায়ে না লাগে, সেজন্য প্রথম থেকেই দলের মন্ত্রীদের সতর্ক করে দিলেন আরজেডি নেতা তথা বিহারের উপমুখ্যমন্ত্রী তেজস্বী যাদব (Tejashwi Yadav)। বেঁধে দিলেন নির্দিষ্ট আচরণ বিধি। কী করবেন আর কী করবেন না সম্বলিত ছ দফা নির্দেশিকাও ধরিয়ে দিলেন মন্ত্রীদের হাতে।

    শপথ নেওয়ার এক সপ্তাহের মধ্যেই অপরাধমূলক কার্যকলাপের অভিযোগ উঠেছে নীতীশ কুমারের (Nitish Kumar) মহাজোট সরকারের দুই মন্ত্রীর বিরুদ্ধে। এঁরা দুজনেই আরজেডির। এহেন আবহে তেজস্বীর এই নির্দেশিকা জারি দলকে কলঙ্কের হাত থেকে রক্ষা করতেই বলে ধারণা রাজনৈতিক মহলের। তেজস্বীর নয়া নির্দেশ অনুযায়ী, আরজেডির কোনও মন্ত্রী নিজ নিজ দায়িত্বপ্রাপ্ত বিভাগের জন্য নতুন করে গাড়ি কিনতে পারবেন না। সমর্থক, সমাজকর্মী, শুভাকাঙ্খী বয়স যাই হোক না কেন, কাউকে পা ছুঁয়ে প্রণাম করতে দেওয়া যাবে না। তার বদলে শুভেচ্ছা বিনিময়ের ক্ষেত্রে হাতজোড় করেন নমস্কার কিংবা সেলাম করতে হবে। সকলের সঙ্গে ভদ্র ব্যবহার করার নির্দেশও দিয়েছেন তেজস্বী। জনসংযোগ বাড়াতে জাত-ধর্ম নির্বিশেষে দরিদ্র ও দুঃস্থ মানুষদের সাহায্যে এগিয়ে যেতে হবে। উপহার দেওয়া নেওয়ার প্রথায়ও বদল আনার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তেজস্বীর নির্দেশ, উপহার বা ফুলের তোড়ার বদলে বই দেওয়া নেওয়ায় জোর দিতে হবে। সকলকে তাতে উৎসাহিতও করতে হবে। দলের কোনও মন্ত্রী যাতে কলঙ্কের ভাগীদার না হন, সেজন্য তেজস্বীর ফরমান, কাজের ক্ষেত্রে সততা ও স্বচ্ছতা বজায় রাখতে হবে।

    আরও পড়ুন : নতুন সঙ্গী আরজেডি! বিজেপির সঙ্গ ত্যাগ নীতীশের, ফের ‘মহাজোট’-এর পথে বিহার?

    মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারের নেতৃত্বে সকলকে দ্রুত নীতি রূয়াপণ ও কাজ শেষ করতে হবে। সব মন্ত্রী, মুখ্যমন্ত্রী ও বিহার সরকার ও তাদের সব দফতর কী কী উন্নয়নমূলক কাজ করছে, সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে তা সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে হবে। প্রসঙ্গত, নীতীশের নয়া মন্ত্রিসভার সদস্য সংখ্যা ৩৩। এর মধ্যে তেজস্বী ছাড়া আরজেডির মন্ত্রী রয়েছেন ১৬ জন। তেজস্বী উপমুখ্যমন্ত্রী। স্বদলের এই ১৬ মন্ত্রীর জন্যই নয়া ফরমান ঘোষণা করেছেন তেজস্বী।

    আরও পড়ুন : নীতীশ ‘পরজীবী’, তোপ বিহার বিজেপির

     

  • Vikram Sarabhai: ১০৩ তম জন্মবার্ষিকী, চিনে নিন ‘ভারতীয় বিজ্ঞানের মহাত্মা গান্ধী’কে  

    Vikram Sarabhai: ১০৩ তম জন্মবার্ষিকী, চিনে নিন ‘ভারতীয় বিজ্ঞানের মহাত্মা গান্ধী’কে  

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রথিতযশা বিজ্ঞানী (Scientist) তথা ভারতের প্রয়াত রাষ্ট্রপতি এপিজে আবদুল কালাম (APJ Abdul Kalam) বলেছিলেন, তিনি ভারতীয় বিজ্ঞানের মহাত্মা গান্ধী (Mahatma Gandhi of Indian Science)। যাঁর সম্পর্কে তিনি একথা বলেছিলেন, তিনি আর কেউ নন, ডাঃ বিক্রম সারাভাই (Vikaram Sarabhai)। ভারতীয় বিজ্ঞানের পথিকৃত। ১২ অগাস্ট হয়ে গেল তাঁর ১০৩ জন্মবার্ষিকী।

    ১৯১৯ সালের ১২ অগাস্ট গুজরাটের (Gujrat) আহমেদাবাদে এক শিল্পপতির বাড়িতে জন্মগ্রহণ করেছিলেন বিক্রম সারাভাই। গুজরাটের কলেজে স্নাতকস্তরের পড়াশোনা করেন তিনি। পরে চলে যান কেমব্রিজে। ১৯৪০ সালে ওই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পদার্থবিদ্যায় স্নাতক হন তিনি। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় সারাভাই ভারতে ফিরে আসেন। ভারতীয় পদার্থবিদ স্যার চন্দ্রশেখর ভেঙ্কটেশ রমণের অধীনে আইআইএসসিতে মহাজাগতিক রশ্মি নিয়ে শুরু করেন গবেষণা। ১৯৪৫ সালে ফের চলে যান কেমব্রিজে। সেখানে কসমিক রে ইনভেস্টিগেশন ইন ট্রপিক্যাল শীর্ষক গবেষণাপত্র জমা দেন সারাভাই। এরপর ফের দেশে ফেরেন এই প্রবাদপ্রতীম বিজ্ঞানী। ১৯৪৭ সালে প্রতিষ্ঠা করেন টেক্সটাইল ইন্ডাস্ট্রি রিসার্চ অ্যাসোসিয়েশন। তাঁর যখন ২৮ বছর বয়স, তখনই গুজরাটে তিনি গড়ে তোলেন উন্নতমানের ফিজিক্স-ল্যাব। ১৯৬২ সালে আহমেদাবাদে ইন্ডিয়ান ইন্সটিটিউট অফ ম্যানেজমেন্ট প্রতিষ্ঠায় গুরুত্ব ভূমিকা নেন সারাভাই।

    আরও পড়ুন : ভাল আছেন রুশদি, এবার হুমকি দেওয়া হল হ্যারি পটারের স্রষ্টাকে

    ছয়ের দশকের গোড়ায় ভারতে শুরু হয় মহাকাশ গবেষণা। ওই সময়ই আমেরিকার স্যাটেলাইট সিনকম-৩ এর সাহায্যে টোকিও অলিম্পিকের লাইভ ট্রান্সমিশন হয়। ইসরোর ওয়েবসাইট অনুযায়ী, এটি দেখেই সারাভাই ভারতে মহাকাশ গবেষণার প্রয়োজনীয়তা উপলব্ধি করেন। রাশিয়া প্রথম কৃত্রিম আর্থ স্যাটেলাইট স্পুটনিক-১ উৎক্ষেপণের পরেই সারাভাই ভারতে মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্র ইসরো স্থাপনে সক্রিয় ভূমিকা নেন। বস্তুত তিনিই ইসরোর প্রতিষ্ঠাতা। মহাকাশ গবেষণা সম্পর্কে তিনি বলেন, মহাকাশ গবেষণার মাধ্যমে উন্নত দেশগুলোর সঙ্গে প্রতিযোগিতায় নামার কোনও আগ্রহ নেই। দেশের নানা সামাজিক সমস্যার সমাধান করার জন্যই এই গবেষণা কেন্দ্র স্থাপন করা প্রয়োজন। দেশের প্রযুক্তি ব্যবস্থা উন্নত করার জন্যও প্রয়োজন গবেষণা কেন্দ্র স্থাপন। ১৯৭১ সালের ৩০ ডিসেম্বর মাত্র ৫২ বছর বয়সে প্রয়াত হন এই বিশ্বশ্রুত বিজ্ঞানী।

    আরও পড়ুন :গ্রহাণু, উল্কা এবং ধূমকেতুর মধ্যে পার্থক্য সম্পর্কে জানেন কী?

     

LinkedIn
Share