Author: Krishnendu Bakshi

  • By Elections: অশান্তির আঁচ উপনির্বাচনেও, মাথা ফাটল বিজেপি কর্মীর, কাঠগড়ায় তৃণমূল

    By Elections: অশান্তির আঁচ উপনির্বাচনেও, মাথা ফাটল বিজেপি কর্মীর, কাঠগড়ায় তৃণমূল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অশান্তির আঁচ উপনির্বাচনেও!  রবিবার উপনির্বাচন (By Elections) হয় আসানসোল পুরনিগম ও বনগাঁ (Bongaon) পুরসভার দুই ওয়ার্ডে। সকাল থেকে কিছুক্ষণের জন্য নির্বিঘ্নে ভোট হলেও, অশান্তি শুরু হয় তার পরেই। কোথাও বিজেপি (BJP) কর্মীদের মারধর, কোথাও আবার শাসক দলের বাধায় বুথেই বসতে পারলেন না বিজেপির এজেন্ট। আসানসোলে (Asansole) এক বিজেপি কর্মীর মাথা ফাটিয়ে দেওয়া হয় বলেও অভিযোগ।

    এদিন উপনির্বাচন হয় আসানসোল পুরনিগমের ছ নম্বর ওয়ার্ডে। এই কেন্দ্রে তৃণমূলের প্রার্থী পুর নিগমের মেয়র বিধান উপাধ্যায়। জানা গিয়েছে, কোনও কারণ ছাড়াই বিজেপি কর্মীদের মারধর ও কয়েকজন এজেন্টকে বুথে বসতে না দেওয়ার অভিযোগ তুলে জেকে নাগার মোড়ে বিক্ষোভ প্রদর্শন করে পদ্ম শিবির। উপস্থিত ছিলেন দুর্গাপুরের বিধায়ক বিজেপির লক্ষ্ণণ ঘোড়ই। বিজেপির অভিযোগ, বাবলু পাসওয়ান নামে তাদের এক কর্মীর মাথা ফাটিয়ে দিয়েছে তৃণমূল। লক্ষ্ণণের অভিযোগ, উপনির্বাচনেও শাসক দল সন্ত্রাস চালাচ্ছে, বুথ লুঠ করছে। কিছুক্ষণ বিক্ষোভ প্রদর্শনের পরে লাঠিচার্জ করে বিক্ষোভকারীদের হঠিয়ে দেয় পুলিশ। এদিকে, মণ্ডলপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৮২ নম্বর বুথে বিজেপির এজেন্টকে মারধর করে তাড়িয়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ।

    অশান্তি হয়েছে বনগাঁ পুরসভার উপনির্বাচনেও। এদিন ভোট হয় ১৪ নম্বর ওয়ার্ডে। এই ওয়ার্ডের একটি বুথের বাইরে বনগাঁ দক্ষিণের বিধায়ক বিজেপির স্বপন মজুমদারকে নিগ্রহের অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে। তাঁর নিরাপত্তারক্ষীকেও ধাক্কা দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। তৃণমূলের অভিযোগ, নিরাপত্তা রক্ষী নিয়ে বিধায়ক এলাকায় ভয়ের পরিবেশ সৃষ্টি করছেন। শনিবার বিভিন্ন বাড়িতে ফোন করে তিনি ভয় দেখিয়েছেন বলেও অভিযোগ। ঘটনার প্রতিবাদে এদিন বনগাঁ মহকুমা শাসকের কাছে স্মারকলিপি জমা দেয় তৃণমূল।

    আরও পড়ুন : ’২৪ সালে মানুষ নরেন্দ্র মোদির পক্ষেই ভোট দেবেন, দাবি সুশীল মোদির

    এদিকে, ওই ওয়ার্ডেরই কেশবলাল বিদ্যাপীঠে ভোট দেখতে যান বনগাঁ উত্তরের বিধায়ক বিজেপির অশোক কীর্তনীয়া। তাঁকে দেখা মাত্রই চিৎকার জুড়ে দেন তৃণমূল কর্মীরা। অশোকের দাবি, তিনি ওই বুথেরই ভোটার। উত্তেজনা চরমে পৌঁছলে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এদিকে শাসক দলের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসের অভিযোগে সোচ্চার হয়েছে কংগ্রেসও (Congress)। ঘটনার প্রতিবাদে কংগ্রেস প্রার্থী প্রভাস পালের নেতৃত্বে এদিন দুপুরে বাজার মোড় এলাকায় পথ অবরোধ করে সোনিয়া গান্ধির দল। সন্ত্রাসের অভিযোগে পাটার মোডে পথ অবরোধ করে বিজেপিও। ওই একই অভিযোগে রামনগর রোড সংলগ্ন এলাকায় যশোর রোড অবরোধ করে সিপিএম-ও (CPM)।

    আরও পড়ুন : গুজরাট, হিমাচল প্রদেশের সঙ্গেই নভেম্বরে ভোট হবে জম্মু-কাশ্মীরেও?

  • Bihar Politics: বিজেপি-সঙ্গ ত্যাগ নিছক উপলক্ষ, নীতীশের লক্ষ্য কি প্রধানমন্ত্রীর কুর্সি?

    Bihar Politics: বিজেপি-সঙ্গ ত্যাগ নিছক উপলক্ষ, নীতীশের লক্ষ্য কি প্রধানমন্ত্রীর কুর্সি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিজেপির (BJP) সঙ্গ ত্যাগ নিছক উপলক্ষ। জনতা দল ইউনাইটেড সুপ্রিমো নীতীশ কুমারের (Nitish Kumar)  লক্ষ্য কী প্রধানমন্ত্রীর (Prime Minister) কুর্সি? আপাতত এই প্রশ্নটাই ঘুরপাক খাচ্ছে বিহার (Bihar) রাজনীতির অলিন্দে। রাজনৈতিক মহলের মতে, নীতীশের বারবার ভোলবদলের জেরে এই ইঙ্গিতই মিলেছে। তাঁর দল জনতা দল ইউনাইটেডের (JDU) তরফেও দাবি করা হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী হওয়ার সমস্ত গুণ রয়েছে নীতীশের।

    বছর পনের আগে বিহারে যাদবরাজের অবসান ঘটিয়ে প্রথমবার মুখ্যমন্ত্রী হন নীতীশ। নীতীশকে খুব কাছ থেকে দেখেছেন আরজেডি নেতা শিবানন্দ তিওয়ারি। তিনি বলেন, মুখ্যমন্ত্রী হলেও, প্রথম থেকেই নীতীশের পাখির চোখ প্রধানমন্ত্রিত্ব। তাই বিজেপির সঙ্গে হাত মেলালেও, বিরোধী শিবিরে নিজের ধর্মনিরপেক্ষ ভাবমূর্তি বজায় রাখতে সদা সচেষ্ট ছিলেন নীতীশ। যে কারণে বিজেপির সঙ্গে মনোমালিন্য হলেও, সংখ্যালঘুদের পাশ থেকে কখনওই সরে যাননি তিনি।

    আরও পড়ুন : নীতীশ ‘পরজীবী’, তোপ বিহার বিজেপির

    রাজনীতিক মহলের একাংশের মতে, নীতীশ যখন প্রথমবার এনডিএ সঙ্গ ছাড়েন, তখনও তাঁর শ্যেনদৃষ্টি ছিল প্রধানমন্ত্রীর কুর্সি। ২০১৪ সালে বিজেপি মোদিকে প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী করায় এনডিএ ছাড়েন নীতীশ। তিনি ভেবেছিলেন, অ-কংগ্রেসি দলগুলি ভাল ফল করলে, সেই জোটের নেতা হিসেবে কংগ্রেসের সমর্থন নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর তখতে বসবেন নীতীশ। ২০১৪ সালে বিপুল ভোটে মোদির জয় ভেঙে খান খান করে দেয় নীতীশের স্বপ্ন। অগত্যা ফের এনডিএতে ভিড়ে যান এই বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ।

    আবারও একটি লোকসভা নির্বাচনের পদধ্বনি শোনা যাচ্ছে। তাই বিজেপির সঙ্গে থাকলে ২০২৫ সাল পর্যন্ত তাঁকেই সন্তুষ্ট থাকতে হত মুখ্যমন্ত্রী পদ নিয়ে। তাই বিরোধী শিবিরে গ্রহণযোগ্য মুখ হিসেবে নিজেকে তুলে ধরতে আগেভাগেই মুখ্যমন্ত্রিত্ব ছেড়ে দিয়েছেন প্রবীণ এই রাজনীতিবিদ। জনতা দল ইউনাইটেড নেতৃত্বের মতে, নীতিশের লক্ষ্যই হল ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি বিরোধী শিবিরের প্রধান মুখ হিসেবে নিজেকে তুলে ধরা। তাই এনডিএ ছেড়ে ইউপিএ-সঙ্গ ধরেছেন তিনি। জনতা দল ইউনাইটেডের এক শীর্ষ নেতৃত্ব বলেন, প্রধানমন্ত্রী হওয়ার ব্যক্তিত্ব রয়েছে নীতীশ কুমারের। তিনিই যোগ্য প্রধানমন্ত্রী হবেন। প্রধানমন্ত্রী হওয়ার সব গুণই রয়েছে তাঁর।

    আরও পড়ুন : বিজেপি ছেড়ে আরজেডি! মুখ্যমন্ত্রী নীতীশই, জানুন কী বলছে বিহারের নয়া সমীকরণ

  • Supreme Court on Freebies: খয়রাতির রাজনীতি বন্ধ হওয়া প্রয়োজন, মত সুপ্রিম কোর্টের

    Supreme Court on Freebies: খয়রাতির রাজনীতি বন্ধ হওয়া প্রয়োজন, মত সুপ্রিম কোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ক্ষমতায় আসতে ফি নির্বাচনের আগে প্রতিশ্রুতির বন্যা বইয়ে দেয় বিভিন্ন রাজনৈতিক দল। এর মধ্যে থাকে নিখরচায় নানা পরিষেবা পাইয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি। এ নিয়ে কটাক্ষ করেছেন খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও (PM Modi)। এবার বিষয়টিকে ‘গুরুতর’ হিসেবে চিহ্নিত করল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। দেশের শীর্ষ আদালতে দায়ের হওয়া একটি জনস্বার্থ মামলার প্রেক্ষিতে প্রধান বিচারপতি এনভি রমানার (NV Ramana ) নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ বৃহস্পতিবার তাদের পর্যবেক্ষণে বলেছে, জনকল্যাণ কর্মসূচি আর বিনামূল্যে দেওয়া (Freebies) এক বিষয় নয়।

    বিজেপি ঘনিষ্ঠ জনৈক অশ্বিনী উপাধ্যায়ের দায়ের করা জনস্বার্থ মামলার শুনানিতে প্রধান বিচারপতি বলেন, যাঁরা বিনামূল্যে পাচ্ছেন, তাঁরা তা পেতে চান। আবার অনেকে বলেন, তাঁদের করের টাকা প্রকৃত উন্নয়নমূলক কর্মসূচিতে ব্যবহার করতে হবে। তাই দু পক্ষের বক্তব্যই শোনা প্রয়োজন। এদিকে, পলিটিক্যাল ফ্রিবিজ নিয়ে নিয়ম নির্ধারণ করতে আদালতকে অনুরোধ করল কেন্দ্র। তার প্রেক্ষিতে সরকারি কোষাগারের খয়রাতি বন্ধের বিষয়ে একটি কমিটি গঠন করার কথা বলেছে ওই বেঞ্চ।

    আরও পড়ুন : মোদিকেই ফের প্রধানমন্ত্রী পদে দেখতে চাইছে তামাম ভারত!

    দেশের শীর্ষ আদালতের প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ তার পর্যবেক্ষণে বলেছে, ভারতের মতো দেশে এখনও দারিদ্র রয়েছে। তাই ক্ষুধার্তদের খাদ্য দেওয়ার মতো কর্মসূচি প্রয়োজন। কিন্তু বিনামূল্যে পাইয়ে দেওয়ার প্রবণতা যাতে দেশের অর্থনীতির ক্ষতি করতে না পারে, সেদিকেও নজর দেওয়া প্রয়োজন। দরকার খয়রাতির রাজনীতি বন্ধ করা। আদালতের তরফে এও বলা হয়, সুবিধাবঞ্চিতদের আর্থ-সামজিক কল্যাণমূলক পরিকল্পনাগুলিকে বিনামূল্যের পরিষেবা বলা যায় না। সমাজের কিছু মানুষকে নিখরচায় বিদ্যুৎ, জল এবং পরিবহণের সুবিধা দেওয়া প্রয়োজন। এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে ১৭ অগাস্ট।

    আরও পড়ুন : ভোটারদের নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি দেওয়ায় ক্ষতিগ্রস্ত হয় অর্থনীতি, জানাল সুপ্রিম কোর্ট

    দোরগোড়ায় গুজরাট বিধানসভা নির্বাচন। গত মাসেই আম আদমি পার্টি সুপ্রিমো তথা দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল গুজরাতে গিয়ে প্রতিশ্রুতি দিয়েছে, আপ ক্ষমতায় এলে তাঁরা বিনামূল্যে ৩০০ ইউনিট বিদ্যুৎ দেবেন। বকেয়া বিলে ছাড় দেওয়ার পাশাপাশি গোটা রাজ্যে দেওয়া হবে ২৪ ঘণ্টা বিদ্যুৎ পরিষেবা। একই প্রতিশ্রুতি দিয়ে পাঞ্জাবের ক্ষমতা দখল করেছে অরবিন্দের পার্টি।

     

  • Madhya Pradesh Stoneman: গ্রেফতার মধ্যপ্রদেশের তরুণ স্টোনম্যান, গ্যাংস্টার হতে চাওয়ায় বিপত্তি?  

    Madhya Pradesh Stoneman: গ্রেফতার মধ্যপ্রদেশের তরুণ স্টোনম্যান, গ্যাংস্টার হতে চাওয়ায় বিপত্তি?  

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নয়ের দশকে কলকাতায় ধারাবাহিক খুন করে চলেছিল স্টোনম্যান (Stone Man)। তাকে অবশ্য ধরা যায়নি। একই কায়দায় মধ্যপ্রদেশের (Madhya Pradesh) বিভিন্ন জায়গায় ‘অপারেশন’ শুরু করেছিল একজন। শেষমেশ অবশ্য শনাক্ত করা গিয়েছে খুনিকে। করা হয়েছে গ্রেফতারও। বছর আঠারোর ওই সদ্য তরুণের নাম শিবপ্রসাদ ধুরভে (Shivprasad Dhurve)। এদিন স্কুলছুট ওই তরুণকে তোলা হয় স্থানীয় আদালতে। তাকে একদিনের পুলিশি রিমান্ড পাঠিয়েছে আদালত।

    জানা গিয়েছে, এই তরুণই পরপর চারটি খুন করেছে। এর মধ্যে তিনটি খুনই করেছে সাগর (Sagar) জেলায়, একটি ভোপালে (Bhopal)। যে চারজন খুন হয়েছেন, তাঁরা প্রত্যেকেই নিরাপত্তা রক্ষী, ঘুমন্ত অবস্থায় হত্যা করা হয়েছে তাঁদের। এও জানা গিয়েছে, এদিন যখন শিবপ্রসাদকে কোর্টে তোলা হয়, তখন তাকে বিষণ্ন দেখায়নি। উল্টে পুলিশ রিমান্ডে পাঠানোর সময় সে ভিকট্রি চিহ্ন দেখিয়েছে। সাগরের এসপি তরুণ নায়েক সংবাদ মাধ্যমকে জানান, শিবপ্রসাদ যে চারজনকে খুন করেছে, তা স্বীকার করেছে। সোশ্যাল মিডিয়ার দ্বারা প্রভাবিত হয়েই সে একাজ করেছে। বিখ্যাত হওয়ার জন্য সে মরিয়া হয়ে উঠেছিল। তাই সে একাজ করেছে বলে জানিয়েছে।

    সাগর রেঞ্জের আইজি অনুরাগ বলেন, শিবপ্রসাদ প্রেরণা পাওয়ার জন্য সোশ্যাল মিডিয়ায় নানা রকম হিংসাত্মক ভিডিও দেখত। তাকে দেখে মানসিক রোগগ্রস্ত বলে মনে হয়নি। পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্ত তরুণ এও স্বীকার করেছে যে সে যখন পুণেতে থাকত, তখন সেখানেও সে একজনকে খুনের চেষ্টা করেছিল। তার বিরুদ্ধে খুনের চেষ্টার অভিযোগ দায়ের হয়েছিল। জামিনে ছাড়া পেয়েছে বলেও পুলিশকে জানিয়েছে এই সদ্য তরুণ। শিকারকে খুন করে সে মোবাইল, টাকাপয়সা নিয়ে পালাত বলে জানিয়েছে পুলিশ। পুলিশের দাবি, শিবপ্রসাদ ধনী হতে চেয়েছিল, চেয়েছিল নাম করা গ্যাংস্টার হতেও।

    আরও পড়ুন :ভোপালে সিরিয়াল কিলার আতঙ্ক, নেহাতই ‘বিখ্যাত’ হতে খুন, জানাল অভিযুক্ত

    কী বলছেন অভিযুক্ত তরুণের পরিবার? শিবপ্রসাদের ভাই বলছেন, দাদার মধ্যে কিছু বদল দেখে গত চার বছর ওর সঙ্গে কথা বলা বন্ধ করে দিয়েছিলাম। অভিযুক্ত তরুণের বাবা জানান, পড়াশোনা ছেড়ে শিবপ্রসাদ ছোট থেকেই বিভিন্ন রাজ্যে কাজ করত। তবে যখনই বাড়ি আসত মায়ের কাছে টাকা চাইত। দিতে অস্বীকার করলে মাকে আত্মহত্যা করে মরতে বলত।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Bihar Politics: অষ্টমবারের জন্য মুখ্যমন্ত্রীর কুর্সিতে বসলেন নীতীশ

    Bihar Politics: অষ্টমবারের জন্য মুখ্যমন্ত্রীর কুর্সিতে বসলেন নীতীশ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মুখ্যমন্ত্রী পদে ইস্তফা দিয়েছিলেন মঙ্গলবার। বুধবার ফের অষ্টমবারের জন্য মুখ্যমন্ত্রীর কুর্সিতে বসলেন জনতা দল ইউনাইটেড (JDU) সুপ্রিমো নীতীশ কুমার (Nitish Kumar)। অটল বিহারী বাজপেয়ীর জমানায় সামলেছেন কৃষি, রেল সহ একাধিক মন্ত্রক। বিজেপির সমর্থনে পরে বসেন বিহারের (Bihar) তখতে। এবার ফের বসলেন। তবে এবার পাশে পেয়েছেন আরজেডি (RJD) এবং বাম-কংগ্রেসকে। মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ বসলেও, উপমুখ্যমন্ত্রী হয়েছেন আরজেডির তেজস্বী যাদব (Tejashwi Yadav)। এদিন দুপুর দুটোয় রাজভবনে শপথ নেন তাঁরা।  

    এদিন একটি গাড়িতে করে নীতীশ এবং তেজস্বী যান রাজভবনে। বিহার বিধানসভায় বৃহত্তম দল আরজেডির ৭৯ বিধায়কের সঙ্গে যোগ হল নীতীশ কুমারের দলের ৪৫ জন। এর সঙ্গে যুক্ত হল কংগ্রেসের (Congress) ১৯ জন এবং বামেদের ১৬ জনও। প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী জিতন রাম মাজির দলের চারজন এবং একজন নির্দলও সমর্থন করেন নীতীশকে। সব মিলিয়ে এদিন ১৬৪ জন বিধায়কের সমর্থনের চিঠি রাজ্যপালের হাতে তুলে দেন নীতীশ।

    আরও পড়ুন :পাটনায় পালাবদল! নীতীশ মুখ্যমন্ত্রী হলেও বেশি ক্ষমতা থাকবে লালু-পুত্রর হাতে?

    বিহার বিধানসভার মোট আসন সংখ্যা ২৪৩। ম্যাজিক ফিগার ১২২। নীতীশের সঙ্গে রয়েছে তার চেয়েও ঢের বেশি বিধায়কের সমর্থন। আরজেডি সাংসদ মনোজ ঝা বলেন, বিহারের রাজনীতি আজ থেকে নতুন পথে যাত্রা শুরু করল। একে শুধু দুজনের শপথ ভাবলে ভুল হবে। এদিকে, এদিন নীতীশকে তীব্র আক্রমণ শানিয়েছেন বিজেপি নেতৃত্ব। দলের নেতা সুশীল মোদি বলেন, নীতীশ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও বিহারের জনগণকে অপমান করেছেন, যাঁরা এনডিএর দিকে তাকিয়ে তাঁকে ভোট দিয়েছিলেন। নীতীশের শপথের দিনটিকে বিশ্বাসঘাতকতা দিবস হিসেবে পালন করছে বিজেপি।

    এদিন শপথ নেওয়ার আগে আরজেডি প্রধান লালুপ্রসাদ যাদবকে ফোন করেছিলেন নীতীশ। জেল থেকেই তাঁকে শুভেচ্ছা জানান লালু। এদিন শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী রাবড়ি দেবী, উপমুখ্যমন্ত্রী তজস্বীর স্ত্রী রাজশ্রী এবং আরজেডি নেতা তেজপ্রতাপরা। উপমুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নিয়েই এদিন নীতীশকে প্রণাম করতে এগিয়ে যান তেজস্বী। শপথ গ্রহণের পর নীতীশ বলেন, দলের সবাই মিলে বিজেপির সঙ্গে সম্পর্ক ছেদের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। তিনি যে প্রধানমন্ত্রী পদের দাবিদার নন, এদিন তাও জানান বিহারের মুখ্যমন্ত্রী। নীতিশ বলেন, কে বলেছে ২০১৪ সালে যারা জিতেছে, ২০১৪ সালেও তারা ভোটে জিতবে? আমি চাই বিরোধীরা একজোট হোক। তিনি বলেন, তবে আমি প্রধানমন্ত্রিত্বের দাবিদার নই।  

    আরও পড়ুন : নীতীশ ‘পরজীবী’, তোপ বিহার বিজেপির

  • ED: জবাব সন্তোষজনক নয়, সোনিয়া-রাহুলকে ফের জেরা করতে পারে ইডি

    ED: জবাব সন্তোষজনক নয়, সোনিয়া-রাহুলকে ফের জেরা করতে পারে ইডি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তাঁদের দেওয়া জবাবে সন্তুষ্ট নন ইডির (ED) আধিকারিকরা। তাই ফের ইডির জেরার মুখে পড়তে পারেন কংগ্রেসের (Congress) অন্তর্বর্তীকালীন সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী (Sonia Gandhi) এবং কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi)। ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলায় (National Herald Case) তাঁদের ফের জেরা করা হতে পারে বলে ইডি সূত্রে খবর। তবে ঠিক কবে গান্ধী পরিবারের এই দুই সদস্যকে ফের ইডির মুখোমুখি হতে হবে, তা এখনও ঠিক হয়নি।

    ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলায় নাম জড়িয়েছে কংগ্রেসের। ওই মামলায় জেরা করার জন্য রাহুলকে তলব করেছিল ইডি। রাহুল বিদেশে থাকায় নির্ধারিত সময়ে হাজিরা দিতে পারেননি। দেশে ফিরেই অবশ্য ইডি দফতরে হাজিরা দেন রাহুল। ছ দিন ধরে পঞ্চাশ ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় রাহুলকে। রেকর্ড করা হয় তাঁর বয়ান। ওই মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডেকে পাঠানো হয় সোনিয়াকেও। তবে করোনা সংক্রমিত হওয়ায় নির্দিষ্ট দিনে হাজিরা দিতে পারেননি কংগ্রেসের অন্তর্বর্তীকালীন প্রেসিডেন্টও। হাসপাতাল থেকে ছাড়া পাওয়ার পর কিছুটা সুস্থ হয়ে হাজিরা দেন ইডি দফতরে। মোট তিন দফায় ন ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে জেরা করা হয় সোনিয়াকে। ওই মামলায় দিন কয়েক আগে ন্যাশনাল হেরাল্ডের অফিস সহ দেশের ১২টি জায়গায় তল্লাশি চালায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। প্রিভেনশন অফ মানি লন্ডারিং অ্যাক্টে চালানো হয় তল্লাশিও।

    আরও পড়ুন :ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলায় ইয়ং ইন্ডিয়ার অফিস সিল করল ইডি

    ইডি সূত্রে খবর, সোনিয়া, রাহুল সহ কংগ্রেসের যাঁদের ওই মামলায় জেরা করা হয়েছে, তাঁরা জানিয়েছেন কোষাধ্যক্ষ থাকায় অর্থনীতি সংক্রান্ত যা কিছু সিদ্ধান্ত তা নিতেন দলের কোষাধ্যক্ষ প্রয়াত মতিলাল ভোরা। প্রসঙ্গত, সোনিয়া এবং রাহুল ছাড়াও কংগ্রেস নেতা মল্লিকার্জুন খাড়গে, পবন বনশল এবং সুমন দুবেকে এখনও পর্যন্ত জেরা করেছে ইডি। এঁরাও প্রত্যেকেই ভোরার নাম নিয়েছেন। তবে এখনও অব্দি তার স্বপক্ষে কোনও প্রমাণ পায়নি ইডি। সোনিয়া এবং রাহুলের জবাবেও সন্তুষ্ট নন ইডির আধিকারিকরা। সেই কারণেই ফের করা হতে পারে জেরা। ইডি সূত্রে খবর, ইয়ং ইন্ডিয়া ও অ্যাসোসিয়েটেড জার্নালস লিমিটেড যে বিভিন্ন কোম্পানির কাছ থেকে টাকা নিয়েছিল, তার যথেষ্ট প্রমাণ রয়েছে। সেটাও গান্ধীদের ফের জেরা করার একটা কারণ।

    আরও পড়ুন :ইডির দফতরে হাজির সোনিয়া, কংগ্রেস কর্মীদের বিক্ষোভে উত্তাল সংসদ থেকে রাস্তা

  • Mumbai Drug Bust: মুম্বইয়ে উদ্ধার ৭০০ কেজি নিষিদ্ধ মাদক, গ্রেফতার স্নাতকোত্তর উত্তীর্ণ যুবক সহ ৫

    Mumbai Drug Bust: মুম্বইয়ে উদ্ধার ৭০০ কেজি নিষিদ্ধ মাদক, গ্রেফতার স্নাতকোত্তর উত্তীর্ণ যুবক সহ ৫

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উচ্চশিক্ষাকে বিপথে চালিত করে গ্রেফতার অর্গানিক কেমেস্ট্রির এমএসসি পাশ যুবক। অভিযোগ, অর্গানিক কেমেস্ট্রির জ্ঞানকে কাজে লাগিয়ে সে তৈরি করছিল নিষিদ্ধ মাদক, মেফেড্রন (Mephedrone)। সূত্র মারফত খবর পেয়ে গ্রেফতার করা হয় উচ্চ শিক্ষিত ওই যুবককে। উদ্ধার হল বিপুল অঙ্কের টাকার মাদক। বৃহস্পতিবার মহারাষ্ট্রের (Maharasthra) পালাঘরের নালাসোপারা এলাকার ঘটনা। বিপথগামী ওই যুবক ছাড়াও আরও চারজনকে গ্রেফতার করেছে মুম্বই পুলিশের (Mumbai police) অ্যান্টি নারকোটিক্স সেল (Anti- Narcotics Cell)।

    বৃহস্পতিবার নালাসোপারা এলাকায় তল্লাশি চালায় মুম্বই পুলিশের অ্যান্টি নারকোটিক্স সেল। সেখান থেকে পুলিশ ৭০০ কিলোগ্রাম নিষিদ্ধ মাদক উদ্ধার করে। এই পরিমাণ মাদকের আনুমানিক বাজার মূল্য ১৪০০ কোটি টাকা। মুম্বই পুলিশ সূত্রে খবর, রীতিমতো আটঘাট বেঁধে মাদকের কারবারে নেমেছিল ওই পাঁচজন। নালাসোপারা এলাকায় নিষিদ্ধ মাদক উৎপাদন করতে তৈরি করা হয়েছিল কারখানাও। সূত্র মারফত খবর পেয়ে এদিন আচমকাই কারখানাটিতে হানা দেয় মুম্বই পুলিশের অ্যান্টি নারকোটিক্স সেল।

    আরও পড়ুন : এখন থেকে মাদক উদ্ধারের ভিডিওগ্রাফি বাধ্যতামূলক, পুলিশকে নির্দেশ হাইকোর্টের

    পুলিশ জানিয়েছে, এদিন যে নিষিদ্ধ মাদক বাজেয়াপ্ত হয়েছে সেটি আসলে মেফেড্রন। যারা এই মাদক নেয়, তাদের কাছে এটি ম্যাও ম্যাও নামে পরিচিত। খুবই দামি মাদক হওয়ায় মূলত আর্থিকভাবে সম্পন্নরাই এই ধরনের মাদক ব্যবহার করে। পুলিশ জেনেছে, এই মাদক কারবারের মূল চক্রী অর্গানিক কেমেস্ট্রিতে এমএসসি পাশ ওই যুবক। এদিন পুলিশ যখন নালাসোপারা এলাকায় হানা দেয়, তখন সেখানেই ছিল ওই যুবকও। সঙ্গে সঙ্গে গ্রেফতার করা হয় তাকে। পুলিশ জানিয়েছে, নিজের বিদ্যা কাজে লাগিয়ে মোটা মুনাফার লোভে নিষিদ্ধ মাদক তৈরি করছিল ওই যুবক। গ্রেফতার করা হয়েছে তার চার সাগরেদকেও।

    এই প্রথম নয়, চলতি বছরেরই জুলাই মাসেও অ্যান্টি নারকোটিক সেল মাদক চক্রের চারজনকে গ্রেফতার করেছিল। জুন মাসের ৩০ তারিখে প্রায় ৮৪ লক্ষ টাকা মূল্যের ৫৪ কেজি কেনাবিস বাজেয়াপ্ত করেছিল পুলিশ। ১৪ জুলাই নভি মুম্বই পুলিশ বাজেয়াপ্ত করেছিল ৭২.৫১ কেজি হেরোইন। যার আনুমানিক বাজারদর ৩৬২.৫০ কোটি টাকা।  

     

  • RSS: “রাজনীতিকরণ অনভিপ্রেত”, সোশ্যাল হ্যান্ডলে তিরঙ্গা ডিপি ইস্যুতে কটাক্ষের জবাব আরএসএস-এর

    RSS: “রাজনীতিকরণ অনভিপ্রেত”, সোশ্যাল হ্যান্ডলে তিরঙ্গা ডিপি ইস্যুতে কটাক্ষের জবাব আরএসএস-এর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরএসএস (RSS) কেন সোশ্যাল মিডিয়ার প্রোফাইল পিকচারে তিরঙ্গা (Tricolor) ব্যবহার করছে না? এদিন এ প্রশ্নের জবাব দিলেন আরএসএসের অখিল ভারতীয় প্রচার প্রমুখ সুনীল আম্বেকর (Sunil Ambekar)। তিনি বলেছেন, এই ধরনের ঘটনার রাজনীতিকরণ করা ঠিক নয়। তিনি জানান, আরএসএস ইতিমধ্যেই ‘হর ঘর তিরঙ্গা’ (Har Ghar Tiranga) ও ‘আজাদি কা অমৃত মহোৎসব’ (Azadi ka Amrit Mahotsav) কর্মসূচিকে সমর্থন করেছে। তিনি জানান, সরকারের এই কর্মসূচি সমর্থন করতে জুলাই মাসেই দেশবাসী এবং স্বয়ংসেবকদের বলেছিল সংঘ।

    রবিবার ‘মন কি বাত’ অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Modi) দেশবাসীকে ‘হর ঘর তিরঙ্গা’ আন্দোলনে অংশ নেওয়ার অনুরোধ জানান। ৭৫ বছরের স্বাধীনতা দিবসকে ঐতিহাসিকও আখ্যা দেন তিনি। ওই অনুষ্ঠানের প্রথম দিকে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আজাদি কা অমৃত মহোৎসব’-এর অধীনে আগামী ১৩ থেকে ১৫ অগাস্ট পর্যন্ত আমরা ‘হর ঘর তিরঙ্গা’ কর্মসূচি পালন করব। আপনারাও সকলে এই কর্মসূচির অংশ হোন। এবং নিজের বাড়িতে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করুন। ২ থেকে ১৫ অগাস্ট পর্যন্ত সোশ্যাল মিডিয়ার প্রোফাইল পিকচারে তিরঙ্গা (Tricolor) ব্যবহারের অনুরোধও জানান তিনি।

    আরও পড়ুন : হর ঘর তিরঙ্গা আন্দোলনে অংশ নিন, মন কি বাতে অনুরোধ মোদির

    তবে আরএসএসের সোশ্যাল মিডিয়ার ডিপিতে কেন তিরঙ্গা ব্যবহার হয়নি, তা নিয়ে শুরু হয় সমালোচনা। এদিন তারই জবাব দেন আম্বেকর। তিনি বলেন, এসব বিষয়ে রাজনীতিকরণ করা ঠিক নয়। তিনি বলেন, এটা একটা পদ্ধতি। আমরাও ভাবছি কীভাবে এটা উদযাপন করব। অমৃত মহোৎসব নিয়ে কেন্দ্রের প্রতিটি কর্মসূচিকে আমরা সমর্থন করেছি। দেশবাসী এবং স্বয়ংসেবকদের কাছেও ‘আজাদি কা অমৃত মহোৎসব’ মর্যাদার সঙ্গে পালনের আবেদন জানানো হয়েছে আরএসএসের তরফে। এজন্য চলছে প্রস্তুতিও। আম্বেকর বলেন, এই হল সংঘের অবস্থান। এটাকে রাজনৈতিক ইস্যু করা ঠিক নয়। তিনি বলেন, এরকম কোনও কঠিন প্রশ্ন করাই উচিত নয়। যেসব রাজনৈতিক দল এজাতীয় প্রশ্ন তুলছে, তারাই দেশভাগের জন্য দায়ী।

    আরও পড়ুন : কৃষিকে পেশা হিসেবে নিক পরবর্তী প্রজন্ম, মত আরএসএস সরকার্যবাহের

  • Taiwan China Conflict:  এবার আস্তিন গুটিয়ে চিনের পাল্টা মহড়ায় নামল তাইওয়ানও

    Taiwan China Conflict:  এবার আস্তিন গুটিয়ে চিনের পাল্টা মহড়ায় নামল তাইওয়ানও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চিন (China) ও তাইওয়ানকে (Taiwan) নিয়ে ক্রমেই বাড়ছে উত্তেজনার পারদ! এতদিন তাইওয়ানকে ছ দিক থেকে ঘিরে সেনা মহড়া চালিয়েছে চিন। সোমবার ফের একপ্রস্ত মহড়া শুরু করেছে শি জিন পিংয়ের দেশ। এবার আস্তিন গুটিয়ে পাল্টা পথে নামল তাইওয়ানও। সম্ভাব্য চিনা আক্রমণ রুখতে সেনা মহড়া শুরু করে দিল এই দ্বীপরাষ্ট্র। পিংটুঙে মঙ্গলবার থেকেই শুরু হয়েছে তাইওয়ান সেনার মহড়া (Military Drill )। মহড়া যে শুরু হয়েছে তা নিশ্চিত করেছেন তাইওয়ান সেনার অষ্টম কোরের মুখপাত্র লাউ ওয়েই জিয়ে।

    গত মঙ্গলবার রাতে মার্কিন কংগ্রেসের নিম্নকক্ষ হাউস অফ রিপ্রেজেনটেটিভসের স্পিকার ন্যান্সি পেলোসির নেতৃত্বে এক প্রতিনিধি দল আসে এশিয়া সফরে। সেই সূত্রেই তাঁরা আসেন তাইওয়ানেও। যদিও ন্যান্সির সফরসূচিতে তাইওয়ানের নাম ছিল না। শেষমেশ তিনি পা রাখেন দ্বীপরাষ্ট্রে। তা নিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে ফোনে কথা হয় চিনা প্রেসিডেন্টের। তখনই শি জিন পিং তাঁকে এই বলে সতর্ক করে দেন যে, যাঁরা আগুন নিয়ে খেলবেন, তাঁরা ধ্বংস হয়ে যাবেন। চুপ করে থাকেননি বাইডেনও। তিনিও জানিয়ে দেন, তাইওয়ান নিয়ে আমেরিকার নীতিতে কোনও বদল হয়নি। এর পরেই তাইওয়ানের গা ঘেঁষে সামরিক মহড়া চালায় চিন।

    আরও পড়ুন : তাইওয়ানের চারপাশে ১১টি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ল চিন, কেন জানেন?

    এদিকে, রবিবার চিনা মহড়া শেষ হয়ে যাওয়ার কথা থাকলেও, চিনের ইস্টার্ন থিয়েটার কমান্ড ঘোষণা করেছে, রণতরী ও ডুবোজাহাজ নিয়ে তাদের মহড়া চলবে আরও কয়েকদিন। তাদের দাবি, সাবমেরিন হানা প্রতিরোধ করতে এবং সমুদ্র সীমান্ত বরাবর নিরাপত্তা ব্যবস্থা খতিয়ে দেখতেই চলছে মহড়া। প্রসঙ্গত, স্বশাসিত তাইওয়ানকে নিজেদের অবিচ্ছেদ্য অংশ বলেই মনে করে চিন। বিশ্বের মাত্র ১৩টি দেশ তাইওয়ানকে পৃথক রাষ্ট্রের মর্যাদা দেয়। আমেরিকা তাইওয়ানকে স্বীকৃতি না দিলেও, এই অঞ্চলের স্বাতন্ত্র্য ও সার্বভৌমত্বকে স্বীকার করে থাকে। তার জেরেই চিনের সঙ্গে আমেরিকার বিবাদ। জানা গিয়েছে, সামরিক অভিযানে তাইওয়ানের ওপর দিয়ে পরীক্ষামূলক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করছে চিনা ফৌজ। তাইওয়ান প্রণালীর ওপর দিয়ে চক্কর কাটছে চিনের বোমারু বিমান। সমুদ্রে চলছে চিনের সাবমেরিন মহড়া। দেশের নিরাপত্তার স্বার্থে চিন যে কোনও কঠোর ভূমিকা নিতে প্রস্তুত বলে জানিয়ে দিয়েছে চিন সরকারের মুখপাত্র।

    তাইওয়ান সেনা সূত্রে খবর, তাইপেই মহড়া শুরু করেছে। চলবে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত। এজন্য মোতায়েন করা হয়েছে কয়েকশো জওয়ান ও ৪০টি হাউইৎজার কামান। তাইওয়ানের বিদেশ মন্ত্রী জোসেফ উ বলেন, তাইওয়ান আক্রমণ করতেই মহড়া শুরু করেছে চিন। তিনি বলেন, তাইওয়ান প্রণালী সহ গোটা দ্বীপরাষ্ট্রে স্থিতবস্থা বদলে দেওয়াই চিনের প্রকৃত উদ্দেশ্য।

    আরও পড়ুন :ন্যান্সির তাইওয়ান সফরের জের, আমেরিকার সঙ্গে কথা বন্ধ চিনের

     

  • Cattle Smuggling Case: অনুব্রত, তাঁর ঘনিষ্ঠদের নথিভুক্ত সম্পত্তি ঠিক কত? জানলে চোখ কপালে উঠবে

    Cattle Smuggling Case: অনুব্রত, তাঁর ঘনিষ্ঠদের নথিভুক্ত সম্পত্তি ঠিক কত? জানলে চোখ কপালে উঠবে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গরু পাচার মামলায় (Cattle smuggling Case) সিবিআইয়ের (CBI) হাতে গ্রেফতার হয়েছেন তৃণমূলের (TMC) বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mandol)। তাঁর নামে বেনামে থাকা প্রচুর সম্পত্তির হদিশও পেয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী এই সংস্থা। এবার পেল রেজিস্টার্ড সম্পত্তির হদিশ। অনুব্রত তো বটেই, তাঁর কন্যা এবং প্রয়াত স্ত্রী ছাড়াও অনুব্রত ঘনিষ্ঠদের সম্পত্তির পরিমাণ দেখলেও চোখ কপালে উঠতে বাধ্য।

    গরু পাচারকাণ্ডে গ্রেফতার হয়েছেন অনুব্রত। গ্রেফতার করা হয়েছে অনুব্রত ঘনিষ্ঠ সায়গল হোসেনকেও। এঁদের নামেই মিলেছে বিপুল পরিমাণ নথিভুক্ত সম্পত্তির হদিশ। অনুব্রতের পরিবার ও তাঁর ঘনিষ্ঠ সব মিলিয়ে ওই সম্পত্তির পরিমাণ ১৬২টি। সিবিআই সূত্রে খবর, অনুব্রতর একার নামেই রয়েছে ২৪টি সম্পত্তি। তাঁর মেয়ের সম্পত্তির পরিমাণ তাঁর চেয়েও বেশি, ২৬টি। অনুব্রতর প্রয়াত স্ত্রী ছবির নামে রয়েছে ১২টি সম্পত্তি। সব মিলিয়ে মণ্ডল পরিবারের নথিভুক্ত সম্পত্তির পরিমাণ ৬২টি।

    অনুব্রতর দেহরক্ষী ছিলেন সায়গল হোসেন (Saigal Hossain)। তাঁর সম্পত্তির পরিমাণ দেখলেও চক্ষু চড়কগাছ হওয়ার জোগাড়। সায়গলের নথিভুক্ত সম্পত্তির পরিমাণ ৪৭টি। নথিভুক্ত সম্পত্তির বিচারে কম যান না বোলপুর পুরসভার কর্মী অনুব্রত ঘনিষ্ঠ বিদ্যুৎবরণ গায়েনও (Bidyut Baran Gayen)। তাঁর নামে রয়েছে ৩২টি সম্পত্তি। তাঁর স্ত্রী মহুয়ার নামেও রয়েছে ২টি। অর্থাৎ এ পর্যন্ত পাওয়া তথ্য অনুযায়ী গায়েন পরিবারের নথিভুক্ত সম্পত্তির পরিমাণ ৩৪টি। অনুব্রত ঘনিষ্ঠ কমলকান্তি ঘোষের সম্পত্তির পরিমাণও নেহাত কম নয়। কমল এবং তাঁর পরিবারের সদস্যদের নামেও রয়েছে ১৮টি নথিভুক্ত সম্পত্তি।

    আরও পড়ুন : বীরভূমে ১৭টি চালকলে ঢুকেছে গরু পাচারের টাকা? কেষ্টর যোগসূত্রে তদন্তে ইডি-সিবিআই

    বুধবারই রাজ্যের চার জায়গায় হানা দিয়েছে সিবিআই। গরু পাচার মামলায় এদিনও গ্রেফতার করা হয়েছে অনুব্রতর এক ঘনিষ্ঠকে। তিনি বোলপুর পুরসভার কাউন্সিলর তৃণমূলের বিশ্বজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায় ওরফে মনু। জেলায় তিনি অনুব্রতর ছায়াসঙ্গী হিসেবেই পরিচিত। আয়-ব্যয় সংক্রান্ত নথি যাচাই করে প্রথমে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় তাঁকে। অসঙ্গতি মেলায় প্রথমে আটক ও পরে গ্রেফতার করা হয় অনুব্রত ঘনিষ্ঠ বিশ্বজ্যোতিকে। এদিন অনুব্রতর হিসাব রক্ষক মণীশ কোঠারির বাড়িতেও তল্লাশি চালায় সিবিআই। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।  

LinkedIn
Share