Author: Krishnendu Bakshi

  • Bihar Politics: নীতীশ ‘পরজীবী’, তোপ বিহার বিজেপির

    Bihar Politics: নীতীশ ‘পরজীবী’, তোপ বিহার বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিহারের (Bihar) পট পরিবর্তনের ইঙ্গিত আগেই পেয়েছিল বিজেপি (BJP)। তার পরেও এনডিএর (NDA) মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারকে (Nitish Kumar) আটকানোর চেষ্টা করেননি পদ্ম নেতৃত্ব। তার জেরেই এনডিএ সরকার পড়ে যায় বিহারে।

    জানা গিয়েছে, বিহারের পালাবদল নিয়ে মাস দুয়েক ধরে আলোচনা চলছিল লালু প্রসাদ যাদব, নীতীশ কুমার এবং কংগ্রেসের (Congress) শীর্ষ নেতৃত্বের। কোন দল কোন দফতর পাবে, সে সব কিছু চূড়ান্ত হওয়ার পরেই মঙ্গলবার আচমকাই বিজেপির হাত ছেড়ে দেন নীতীশ।

    নীতীশের এই ‘ভোলবদল’কে প্রতারণা হিসেবেই দেখছেন পদ্ম নেতৃত্ব। বারবার শিবির বদলে তিনি বিশ্বাসযোগ্যতা হারিয়েছেন বলেও দাবি তাঁদের। নীতীশ যে শিবির বদলানোর সলতে পাকাচ্ছিলেন, তা আঁচ পেয়েছিলেন বিজেপি নেতৃত্ব। তবে তার পরেও তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করেননি বিজেপির কোনও নেতা। তাঁকে শিবির না বদলানোর কোনও অনুরোধও করা হয়নি গেরুয়া শিবিরের তরফে। সূত্রের খবর, নীতীশ কুমার কেন্দ্রে যাওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন। ২০২৪ লোকসভা নির্বাচন। বিজেপি বিরোধী পক্ষের নেতা হওয়ার সুযোগ তাঁর সামনে আসতে পারে।

    আরও পড়ুন : বিজেপি ছেড়ে আরজেডি! মুখ্যমন্ত্রী নীতীশই, জানুন কী বলছে বিহারের নয়া সমীকরণ

    অন্য একটি সূত্রের খবর, মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহ স্বয়ং ফোন করেছিলেন নীতীশকে। বিজেপির রাজ্য নেতারাও তাঁর বাড়িতে গিয়ে দেখা করেছিলেন, তবে তাঁর মন পরিবর্তনে ব্যর্থ হয়েছিলেন তাঁরা। মঙ্গলবারই এক সাক্ষাৎকারে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী গিরিরাজ সিং বলেন, বিজেপি জোট ধর্ম পালন করেছে। কিন্তু নীতীশ কুমার ‘শপিং’ করছিলেন। মাত্র ৩৬টি আসন পেয়েও মুখ্যমন্ত্রী হয়েছিলেন তিনি।অথচ বিজেপি পেয়েছিল ঢের বেশি আসন। বিজেপির একটি সূত্রের খবর, মহারাষ্ট্রে যেভাবে শিবসেনা শিবিরে ভাঙন ধরিয়ে মুখ্যমন্ত্রী হয়েছিলেন একনাথ শিন্ডে, তেমনই কোনও কিছুর আশঙ্কা করছিলেন নীতীশ। তাই তড়িঘড়ি মুখ্যমন্ত্রী পদে ইস্তফা দিয়ে হাত মিলিয়েছেন বিজেপি বিরোধীদের সঙ্গে।

    এদিকে, এই ভোলবদলের কারণে নীতীশকে পরজীবী বলে আক্রমণ শানিয়েছেন বিজেপি নেতৃত্ব। বিজেপির বিহার সভাপতি সঞ্জয় জয়সওয়াল নীতীশকে পিছন থেকে ছুরি মারতেই অভ্যস্ত বলে তোপ দাগেন। তিনি বলেন, বিহারের মানুষই তাঁকে যোগ্য জবাব দেবেন। সঞ্জয় বলেন, ২০২০ সালে বিহার বিধানসভা নির্বাচনে এনডিএ লড়েছিল। সব চেয়ে বেশি আসন পেয়েছিল বিজেপি এবং জনতা দল(ইউনাইটেড)। আমরা ৭৪টি আসন পেয়েছিলাম। তার পরেও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ প্রতিশ্রুতি রক্ষা করতে মুখ্যমন্ত্রী পদে বসান নীতীশকে। আজ জনতা দল ইউনাইটেড যা করল, তা বিহারবাসীকে পিছন থেকে ছুরি মারার শামিল।

     

  • India export: গম, আটার পর এবার ময়দা, সুজি রফতানিতেও জারি নিষেধাজ্ঞা  

    India export: গম, আটার পর এবার ময়দা, সুজি রফতানিতেও জারি নিষেধাজ্ঞা  

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গম (Wheat) ও আটা (atta) রফতানিতে নিষেধাজ্ঞা জারি হয়েছিল আগেই। এবার নিষেধাজ্ঞা জারি হল ময়দা, সুজি এবং ভূষিযুক্ত আটার রফতানিতেও। সোমবার এই মর্মে জারি হয়েছে নির্দেশিকা। আদেশ কার্যকর হবে ১৪ অগাস্ট থেকে। কেন্দ্র জানিয়েছে, বিজ্ঞপ্তি জারির আগে থেকে যদি কোনও জাহাজে পণ্য তোলা শুরু হয় কিংবা কোনও চালান শুল্কবিভাগের কাছে ইতিমধ্যেই জমা দেওয়া হয়ে গিয়ে থাকে, সেক্ষেত্রে অবশ্য নিষেধাজ্ঞার তালিকায় থাকা পণ্যগুলিকে রফতানি করতে দেওয়া হবে।

    মূল্যবৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণে আন্তর্জাতিক বাজারে গম ও আটা রফতানিতে নিষেধাজ্ঞা জারি করে ভারত (India)। গম রফতানির ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য গঠন করা হয়েছে একটি আন্তঃমন্ত্রক কমিটি। এখন ভারত থেকে যে গম ও আটা রফতানি করা হয়, তা করা হয় এই কমিটির সুপারিশেই। ১৪ অগাস্ট থেকে দীর্ঘায়িত হবে এই তালিকায়ই। গম ও আটার পাশাপাশি এতে জুড়বে সুজি, ময়দা ও ভূষিযুক্ত আটাও। সরকারের তরফে জারি করা বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, শুধুমাত্র আন্তঃমন্ত্রক কমিটি অনুমোদন দিলেই হবে না, তাদের অনুমোদনের পর আবার দিল্লি, মুম্বই, চেন্নাই এবং কলকাতা থেকে রফতানি পরিদর্শন পরিষদের দেওয়া গুণমানের শংসাপত্রও লাগবে।

    আরও পড়ুন : এদেশ থেকে কেনা গম বেচতে পারবে না আমদানিকারী দেশ, শর্ত ভারতের

    তীব্র তাপপ্রবাহের জেরে এবার শস্যের উৎপাদন হয়েছে কম। তাই দেশের বাজারে গম ও আটার দাম পৌঁছেছিল রেকর্ড উচ্চতায়। তার জেরে চলতি বছরের মে মাসের মাঝামাঝি সময়ে গম রফতানিতে নিষেধাজ্ঞা জারি করে ভারত। মাস দুয়েক পরে ওই একই কারণে আটার রফতানিতেও পরানো হয় লাগাম। গম ও আটা এই দুই পণ্যই রফতানির আগে ব্যবসায়ীদের অনুমতি নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। বিদেশি রফতানি নীতির আওতায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। তখনই ব্যবসায়ীরা জানান, কেবল আটা নয়, গমজাত সব পণ্যের রফতানিই বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। কারণ নয়া নিয়ম কেবল আটা নাকি গমজাত সকল পণ্যের ওপরই প্রয়োজ্য, সে ব্যাপারে স্পষ্ট কোনও নির্দেশিকা ছিল না। নয়া নির্দেশিকায় সেটাই স্পষ্ট হয়ে গেল। প্রসঙ্গত, গম রফতানিতে নিষেধাজ্ঞা জারির জেরে ইউরোপের বিভিন্ন দেশ মুখর হয় ভারতের সমালোচনায়। সেই সময় অবশ্য ভারতের সিদ্ধান্তকে সমর্থন জানিয়েছিল চিন (China)।

    আরও পড়ুন : গম, চিনির পর এবার চাল রফতানিও নিয়ন্ত্রিত করবে কেন্দ্র?

     

  • RSS: আরএসএসের অনুষ্ঠানে সিপিএমের মেয়র! কী বললেন পার্টি নেতৃত্ব?  

    RSS: আরএসএসের অনুষ্ঠানে সিপিএমের মেয়র! কী বললেন পার্টি নেতৃত্ব?  

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরএসএসের (RSS) অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন সিপিএমের (CPM) মেয়র। যার জেরে খেপে লাল পার্টি নেতৃত্ব। এর পরেই কেরলের (kerala) বাম নেতৃত্বের সিদ্ধান্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে কোঝিকোড়ের (Kozhikode) মেয়র (Mayor) বীণা ফিলিপের (Beena Philip) বিরুদ্ধে। আরএ সএস অনুমোদিত বালগোকুলম (Balagokulam) আয়োজিত একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন বীণা। তার পরেই রাজ্য নেতৃত্ব বীণার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য নির্দেশ দিয়েছে জেলা নেতৃত্বকে। যদিও জেলা সম্পাদক মণ্ডলীর দাবি, ওই অনুষ্ঠানে মেয়র গিয়েছিলেন ভুল করে। তবে এটা পার্টি লাইনের বিরুদ্ধে।

    সম্প্রতি বালগোকুলমের একটি অনুষ্ঠানে যোগ দেন বীণা। দলকে না জানিয়েই ওই অনুষ্ঠানে গিয়েছিলেন তিনি। যদিও সিপিএম নেতৃত্বের কড়া নির্দেশ, আরএসএসের যে কোনও অনুষ্ঠান থেকে দূরে থাকতে হবে পার্টি কর্মীদের। বীণা ওই অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে রাজ্যের বিরোধী দল কংগ্রেসের হাতে অস্ত্র তুলে দিয়েছেন বলেও মনে করেন বাম নেতৃত্ব।

    আরও পড়ুন : কৃষিকে পেশা হিসেবে নিক পরবর্তী প্রজন্ম, মত আরএসএস সরকার্যবাহের

    ওই অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে বীণা কেরলে কীভাবে শিশুরা বেড়ে উঠছে, তা নিয়ে সমালোচনায় মুখর হন। তিনি মায়েদের অনুরোধ করেন, তাঁরা যেন বালগোপালের ভক্ত হন। তাহলে তাঁরা আর শিশুদের তিরস্কার করতে পারবেন না। তিনি বলেন, আপনাদের উচিত সব শিশুকে ছোট্ট কৃষ্ণ হিসেবে দেখা। তাহলেই শিশুরা ভালবাসার পরিমণ্ডলে বেড়ে উঠবে। তিনি বলেন, উত্তর ভারতে শিশুদের যেভাবে যত্ন নেওয়া হয়, কেরলে তা নেওয়া হয় না। বীণা বলেন, শিশুমৃত্যুর হার এটা প্রমাণ করে না যে শিশুদের যত্নআত্তি ঠিকঠাক হচ্ছে। উত্তর ভারতের মায়েদের মতো শিশুদের ভালবাসতে শিখতে হবে আমাদের। তাঁর অনুযোগ, কেরলবাসী শিশুদের ক্ষেত্রে স্বার্থপরের মতো আচরণ করে। উত্তর ভারতের মায়েরা সব শিশুকেই সমান চোখে দেখেন।

    আরও পড়ুন : ভারতকে উন্নতির শিখরে নিয়ে গিয়েছেন মোদি, মত আরএসএস নেতার

    এর পরেই বীণার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে তৎপর হন কেরলের বাম নেতৃত্ব। যদিও বীণার সাফাই, একজন মা হিসেবেই ওই অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন তিনি। কোঝিকোড়ের জেলা সম্পাদক পি মোহনান বলেন, আরএসএসের অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার পরে মেয়র যে সাফাই গেয়েছেন, তা সিপিএমের পার্টি লাইনের বিরোধী। ঘটনার কড়া সমালোচনা করেছে কংগ্রেস। দলের নেতা ভিডি সাথীসন বলেন, কেরলের বাম সরকার বাম পরিচয় হারিয়েছে। তাই অখুশী সরকারের জোটসঙ্গীরাও।

     

  • Narendra Modi: মোদিকেই ফের প্রধানমন্ত্রী পদে দেখতে চাইছে তামাম ভারত!

    Narendra Modi: মোদিকেই ফের প্রধানমন্ত্রী পদে দেখতে চাইছে তামাম ভারত!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চব্বিশে মহারণ। লোকসভা নির্বাচন (Lok Sabha)। ওই ভোটে দেশবাসী প্রধানমন্ত্রী (PM) হিসেবে ফের চাইছেন বর্তমান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে (Narendra Modi)। সাম্প্রতিক এক সমীক্ষায়ই উঠে এসেছে এই তথ্য। সমীক্ষার নাম ছিল মুড অফ দ্য নেশন (Mood of the Nation)। দেশের সিংহভাগ ভোটারই ফের পাঁচ বছরের জন্য চান মোদি-রাজ।

    ইউপিএ (UPA) সরকারকে হারিয়ে ২০১৪ সালে দিল্লি দখল করে বিজেপি (BJP) নেতৃত্বাধীন এনডিএ (NDA)। প্রধানমন্ত্রীর কুর্সিতে বসেন নরেন্দ্র মোদি। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হন অমিত শাহ। তার পর থেকে দেশের অগ্রগতি যেন অশ্বমেধের ঘোড়া। ২০১৪ পর লোকসভা নির্বাচন হয় উনিশে। ফের একবার বিরোধীদের কুপোকাত করে দিল্লির সিংহাসনে আসীন হন নরেন্দ্র মোদি। তার পর দেশ জুড়ে দেখা গিয়েছে মুদ্রাস্ফীতি, কোভিড অতিমারি। দাম বেড়েছে জ্বালানির। তার পরেও মোদির জনপ্রিয়তায় ভাঁটা পড়েনি এতটুকুও। সি-ভোটারের সঙ্গে একটি সংবাদ সংস্থার যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত ওই সমীক্ষায়ই উঠে এসেছে এই তথ্য। ইতিমধ্যেই প্রধানমন্ত্রী পদে আট বছর অতিক্রান্ত হয়ে গিয়েছে মোদির। তার পরেও তাঁর জনপ্রিয়তার লেখচিত্র ঊর্ধ্বমুখী। তাঁর কাছাকাছি কেউই নেই।

    আরও পড়ুন : দিল্লি গিয়ে সেটিং কি হল, দিদিকে কী বললেন মোদি?

    ওই সমীক্ষায় যাঁরা অংশ নিয়েছেন, তাঁদের মধ্যে ৫৩ শতাংশ মানুষই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকেই ফের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দেখতে চান। ৯ শতাংশ মানুষ কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীকে ওই পদে দেখতে চান। আর রাহুলের পিছনে রয়েছেন আম আদমি পার্টি সুপ্রিমো অরবিন্দ কেজরিওয়াল। মাত্র ৭ শতাংশ মানুষ প্রধানমন্ত্রী পদে দেখতে চান তাঁকে।

    ওই সমীক্ষায়ই জানা গিয়েছে অংশগ্রহণকারীদের চল্লিশ শতাংশ কংগ্রেসকে ভাল বিরোধীদল হিসেবে উল্লেখ করেছে। দুর্বল তকমা দিয়েছে ৩৪ শতাংশ ভোটার। রাহুল গান্ধীর নেতৃত্বেই যে কংগ্রেস ঘুরে দাঁড়াবে তা বিশ্বাস করেন সমীক্ষায় অংশ নেওয়া ২৩ শতাংশ মানুষ। আর ১৬ শতাংশ মানুষ ওই ভূমিকায় দেখতে চান প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহকে। গান্ধী পরিবারেরই প্রিয়ঙ্কা গান্ধী বঢরার পক্ষে ভোট দিয়েছেন মাত্র ৯ শতাংশ মানুষ।

    আরও পড়ুন : ২০২৪-এ প্রধানমন্ত্রী মোদি-ই! জানুন কী বললেন অমিত শাহ

    বিজেপির গঠনতন্ত্র অনুযায়ী, কোনও একটি পদে সর্বাধিক পর পর দুটো টার্ম থাকতে পারেন কোনও একজন। প্রধানমন্ত্রী পদে মোদির দ্বিতীয় টার্ম চলছে। তবে তুঙ্গ জনপ্রিয়তার কারণে ফের তাঁকেই প্রধানমন্ত্রী মুখ করে চব্বিশের মহারণে লড়তে পারে বিজেপি। এই সমীক্ষার ফলও তো পড়ে ফেলেছে দেশবাসীর মন!

     

  • Fixed Deposit: ফিক্সড ডিপোজিটে সুদের হার বাড়াল শ্রীরাম ট্রান্সপোর্ট ফাইনান্স

    Fixed Deposit: ফিক্সড ডিপোজিটে সুদের হার বাড়াল শ্রীরাম ট্রান্সপোর্ট ফাইনান্স

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অল্প সময়ে সবাই চান সঞ্চয় বাড়ুক। তবে কীভাবে সঞ্চয় বাড়বে তা ভেবে পান না দেশের সিংহভাগ মানুষ। এজন্য কেউ করেন ফিক্সড ডিপোজিট (Fixed Deposit), কেউবা অন্য কোনও জায়গায় বিনিয়োগ করেন কষ্টার্জিত অর্থ। সে টাকা সুদে (Interst) আসলে মোটা অঙ্ক ধারণ করতে সময় লাগে ঢের বেশি। তবে জানা গিয়েছে, ফিক্সড ডিপোজিটেই লগ্নি করা ভাল।

    শ্রীরাম ট্রান্সপোর্ট ফাইনান্স কোম্পানি (Shriram Transport Finance Company) লিমিটেড শ্রীরাম গ্রুপেরই একটি অংশ। এদিন এরাই বাড়িয়েছে স্থায়ী আমানতে সুদের হার। কোম্পানির তরফে জানানো হয়েছে, ফিক্সড ডিপোজিট রেট .২৫ শতাংশ থেকে .৫০ শতাংশ হারে বাড়ানো হয়েছে বিভিন্ন স্থায়ী আমানতে। একটি বিবৃতি জারি করে কোম্পানির তরফে বলা হয়েছে, গ্রাহক ফিক্সড ডিপোজিটের ওপর সুদ পাবেন ৮.২৫ শতাংশ হারে। পাঁচ বছরের স্থায়ী আমানতেই মিলবে এই সুবিধা। ১০ অগাস্ট থেকে কার্যকর হয়েছে এই নির্দেশিকা।  

    আরও পড়ুন : অক্টোবর থেকে বড়সড় পরিবর্তন আসছে জিএসটি নিয়মে, জেনে নিন

    জানা গিয়েছে, ৩ থেকে ৪ বছরের ফিক্সড ডিপোজিটের ক্ষেত্রে কোম্পানি অফার করছে যথাক্রমে ৮ এবং ৮.১৫ শতাংশ হারে সুদ। এক বছরের স্থায়ী আমানতে মিলবে ৬.৭৫ শতাংশ হারে সুদ। আর স্থায়ী আমানত যদি দু বছরের হয়, তাহলে সুদ মিলবে ৭.২৫ শতাংশ হারে। সিনিয়র সিটিজেনদের ক্ষেত্রে অতিরিক্ত .৫ শতাংশ হারে সুদ মিলবে। মেয়াদ অন্তে ফের লগ্নি করলে ফি বছর অতিরিক্ত .২৫ শতাংশ সুদ দেওয়া হবে।

    আরও পড়ুন : স্টক মার্কেটে ঠিকঠাক জায়গায় বিনিয়োগ করলে ফলবে সোনা, জানুন কীভাবে

    মনে রাখতে হবে, শ্রীরাম ট্রান্সপোর্ট ফাইনান্স কোম্পানি কোনও রেগুলার ব্যাংক নয়। তাই রেগুলার ব্যাংকের মতো সমস্ত সুযোগ-সুবিধা এখানে মেলে না। ব্যাংকের ক্ষেত্রে ফিক্সড ডিপোজিটের ওপর পাঁচ লক্ষ টাকা পর্যন্ত বিমার সুবিধা মেলে। যার অর্থ, ব্যাংক ফেল করলে আমানতকারীরা পাঁচ লক্ষ টাকা পর্যন্ত ফেরত পাবেন।

    প্রসঙ্গত, শ্রীরাম ট্রান্সপোর্ট ফাইনান্স কোম্পানি যে হারে সুদ দিচ্ছে, তা পিপিএফ, সুকন্যা সমৃদ্ধি যোজনা, এনএসসি এবং সিনিয়র সেভিংস প্রকল্পের বর্তমান সুদের চেয়ে ঢের বেশি। তাই ভাবুন, কোথায় করবেন বিনিয়োগ।

     

  • Kerala MLA Controversy: ‘আজাদ কাশ্মীর’ মন্তব্যে বিতর্কে সিপিএম বিধায়ক, পদত্যাগের দাবি বিজেপির

    Kerala MLA Controversy: ‘আজাদ কাশ্মীর’ মন্তব্যে বিতর্কে সিপিএম বিধায়ক, পদত্যাগের দাবি বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাক অধিকৃত কাশ্মীরকে (POK) আজাদ কাশ্মীর (Azad Kashmir) বলে বিতর্কে জড়িয়েছেন কেরলের সিপিএম (Kerala CPM) নেতা কেটি জলিল (KT Jaleel)। এবার তাঁকে তীব্র আক্রমণ শানালেন বিদেশ প্রতিমন্ত্রী ভি মুরলিধরণ (V Muraleedharan)। জলিলের ওই মন্তব্য বিশ্বাসঘাতকতার চেয়ে কোনও অংশে কম নয় বলেও মন্তব্য করেন তিনি। মুরলিধরণ জলিলের পদত্যাগও দাবি করেন।

    সম্প্রতি নিজের ফেসবুক প্রোফাইলে কেরলের প্রাক্তন মন্ত্রী তথা সিপিএম নেতা জলিল লেখেন, কাশ্মীর মোটেই উজ্জ্বল নয়। উপত্যকার সর্বত্রই ভারতীয় সেনা। পুলিশ কর্মীরাও কাঁধে বন্দুক নিয়ে ঘোরেন। সেনাবাহিনীর পোশাকের রং-ই এখন কাশ্মীরের রং হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রত্যেক একশো মিটারে তাদের দেখতে পাওয়া যায়। কাশ্মীরিদের দেখলে মনে হয় তাঁরা হাসতে ভুলে গিয়েছেন। এর পরেই সংবিধানের ৩৭০ ধারার উল্লেখ করে জলিল বলেন, মোদির এই সিদ্ধান্তে উপত্যকাবাসী মোটেই খুশি নন। তিনি লিখেছেন, পাকিস্তান সংলগ্ন কাশ্মীরের অংশটি আজাদ কাশ্মীর হিসেবেই পরিচিত।

    আরও পড়ুন :ফের রক্তাক্ত কাশ্মীর! জঙ্গিদের গুলিতে খুন বিহারের পরিযায়ী শ্রমিক

    জলিলের এই সোশ্যাল মিডিয়া-মন্তব্যে হইচই শুরু হতেই নড়েচড়ে বসেন বিধায়ক। রাতারাতি ফেসবুক পোস্টটি এডিট করে নেন তিনি। আজাদ কাশ্মীর শব্দটি বদলে লেখেন পাক অধিকৃত কাশ্মীর শব্দটি। ঘটনায় কড়া প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে বিজেপি। পদ্ম শিবিরের অভিযোগ, প্রথমে মুসলিম লিগ ও পরে দলবদলে সিপিএমে যোগ দিয়েছেন জলিল। তাই তিনি যে পাকিস্তানের পক্ষেই কথা বলবেন, সেটাই স্বাভাবিক।

    এদিন জলিলকে নিশানা করেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী মুরলিধরণ। তাঁর মতে, জলিলের ওই মন্তব্য বিশ্বাসঘাতকতার চেয়ে কোনও অংশে কম নয়। জলিলের পদত্যাগও দাবি করেন মুরলিধরণ। তিনি বলেন, কেরলের একজন বিধায়ক কাশ্মীর, যেটা ভারতের অবিচ্ছেদ্য অংশ তার একাংশ যেটা পাকিস্তান দখল করে রেখেছে, তাকে আজাদ কাশ্মীর বলছেন। এটা বিশ্বাসঘাতকতার শামিল। এটা জাতীয়তাবিরোধী মন্তব্য। বিজেপির কেরল রাজ্য সভাপতি কে সুরেনদ্রন বলেন, কেরলের এই সিপিএম নেতা আমাদের সশস্ত্র বাহিনীকে অপমান করেছেন। কাশ্মীর যে ভারতের অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ, উপেক্ষা করেছেন তাও। তিনি বিশ্বাসঘাতক।

    সম্প্রতি আরএসএসের অনুষ্ঠানে গিয়ে বিতর্কে জড়িয়েছিলেন সিপিএম নেত্রী বীণা ফিলিপ। এবার ফের একবার দলের মুখ পোড়ালেন বিধায়ক জলিল। ঘটনার জেরে বেজায় অস্বস্তিতে কেরল সিপিএম।

    আরও পড়ুন : পাক অধিকৃত কাশ্মীর ভারতেরই! জানুন কী বললেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী

  • Job Vacancies In Canada: কানাডায় ১০ লক্ষ শূন্যপদ, যাবেন নাকি?  

    Job Vacancies In Canada: কানাডায় ১০ লক্ষ শূন্যপদ, যাবেন নাকি?  

     মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চাকরি খুঁজছেন? যোগ্যতা যাই হোক না কেন, কোনও না কোনও একটা চাকরি (Job) মিলবেই। তবে হ্যাঁ, দেশের কোনও প্রান্ত নয়, এজন্য আপনাকে যেতে  হবে কানাডায় (Canada)। আপাতত ১০ লক্ষ শূন্য পদে হবে ওই নিয়োগ। ২০২১ সালের মে মাসে এই সংখ্যাটা ছিল তিন লক্ষের কিছু বেশি। শুধু চাকরি নয়, পাকাপাকিভাবে সে দেশে থিতু হতে চাইলেও মিলবে নাগরিকত্ব (Citizenship)।

    কানাডার জনসংখ্যা এমনিতেই কম। অথচ শিল্পোন্নত দেশ। স্বাভাবিকভাবেই শিল্পক্ষেত্রে লোকজন প্রয়োজন। জনসংখ্যা কম হওয়ায় কর্মপ্রার্থীর সংখ্যা প্রয়োজনের তুলনায় নিতান্তই কম। সেই কারণেই কানাডা সরকার অভিবাসীদের ঠাঁই দেওয়ার সিদ্ধান্তও নিয়েছে। ২০২২ সালে তাদের এ ক্ষেত্রে তাদের টার্গেট ছিল ৪.৩ লক্ষ। ২০২৪ এর মধ্যে তারা এটাকেই নিয়ে যেতে চাইছে ৪.৫ লক্ষে। তাই যাঁরা দেশ ছেড়ে বাড়তি রোজগারের আশায় বিদেশ যেতে চান, তাঁদের জন্য সুবর্ণ সুযোগ এটাই।

    আরও পড়ুন : শুরু হয়েছে আইবিপিএস পিও- র রেজিস্ট্রেশন, শূন্যপদ কত জানেন?

    গোটা দেশের বিভিন্ন ক্ষেত্রেই এই মুহূর্তে চলছে লোকাভাব। তবে অ্যালবার্টো এবং ওন্টারিও প্রদেশের ছবিটা খুবই করুণ। ওই দুই প্রদেশে, প্রতি দশ জনের জন্য শূন্য পদ ১১টি। অর্থাৎ যাঁরাই যাবেন, তাঁরাই চাকরি পাবেন। তা বাদেও থেকে যাবে শূন্যপদ। এপ্রিলে এই হার ছিল প্রতি দশজনে ১২ জন। আর চলতি বছরের গোড়ায় এটাই ছিল প্রতি ২০ জনে ২৪ জন। নিউফাউন্ডল্যান্ড ও ল্যাব্রাডর এই দুই প্রদেশে সাকুল্যে বেকার রয়েছেন চারজন। তাঁরা অবশ্য চাকরি নিতে চাননি বলেই বেকার। তাই এই দুই প্রদেশেও প্রচুর চাকরির সুযোগ।

    করোনা অতিমারির আগেও ছবিটা এত করুণ ছিল না কানাডায়। করোনা অতিমারির পর লোকজন তাড়াতাড়ি চাকরি ক্ষেত্র থেকে অবসর নিয়ে নিচ্ছেন। জন্মহারও ক্রমেই কমছে। চাকরি করতেও চাইছেন না সে দেশের বহু মানুষ। সব মিলিয়ে তৈরি হয়েছে বিপুল সংখ্যক শূন্যপদ। বিজ্ঞানী, প্রযুক্তিবিদ, প্রোফেশনাল, ট্রান্সপোর্টেশন, ওয়্যারহাউসিং, ফিনান্স, ইন্স্যুরেন্স, অবসর ও বিনোদন এবং রিয়েল এস্টেস কর্মীর অভাব সর্বত্র। দেশের নির্মাণ সংস্থাগুলোতেও প্রচুর লোকের প্রয়োজন।

    এবার ভেবে দেখুন, তল্পিতল্পা গুটিয়ে কানাডা পাড়ি দেবেন কিনা!

    আরও পড়ুন : কর্মী নিয়োগ করবে ইন্ডিয়ান অয়েল, শূন্যপদ ১৮, সর্বাধিক বেতন ১,৮০,০০০ টাকা

  • Chief Justice of India: উত্তরসূরির নাম সুপারিশ করলেন এনভি রমানা, কে হবেন প্রধান বিচারপতি?   

    Chief Justice of India: উত্তরসূরির নাম সুপারিশ করলেন এনভি রমানা, কে হবেন প্রধান বিচারপতি?   

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তাঁর উত্তরসূরি হিসেবে সরকারের কাছে বিচারপতি উদয় উমেশ ললিতের (UU Lalit) নাম সুপারিশ করলেন সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) প্রধান বিচারপতি এনভি রমানা (NV Ramana)। রমানা অবসর নেবেন চলতি মাসের ২৬ তারিখে। তাই তাঁর উত্তরসূরির নামের সুপারিশ চেয়ে চিঠি পাঠানো হয় ভারতের প্রধান বিচারপতিকে (CJI)। সেই চিঠির জবাবেই বিচারপতি ললিতের নাম সুপারিশ করেন রমানা।

    প্রথা অনুযায়ী, সুপ্রিম কোর্টের সব চেয়ে প্রবীণ বিচারপতিই বসেন প্রধান বিচারপতির চেয়ারে। সেই মতো ললিতই হলেন রমানার পরে সব চেয়ে প্রবীণ বিচারপতি। রমানার প্রস্তাব  আইনমন্ত্রী অনুমোদন করলে দেশের ৫৯তম প্রধান বিচারপতি হিসেবে শপথ নেবেন ললিত। তবে এই পদে তিনি থাকবেন মাত্র ৭৪ দিন। ওই পদে তাঁকে বসানো হলে অবসর গ্রহণের দিন হবে ৮ নভেম্বর। তাঁর পরে প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের ওই পদে বসার কথা।

    আরও পড়ুন : ভোটারদের নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি দেওয়ায় ক্ষতিগ্রস্ত হয় অর্থনীতি, জানাল সুপ্রিম কোর্ট

    প্রসঙ্গত, বিচারপতি হিসেবে ললিতই হবেন দেশের দ্বিতীয় প্রধান বিচারপতি যিনি বার কাউন্সিল থেকে সরাসরি সুপ্রিম কোর্টের বেঞ্চে যাবেন। তাঁর আগে এভাবে প্রধান বিচারপতির পদ অলঙ্কৃত করেছিলেন বিচারপতি এসএম সিক্রি। ১৯৭১ সালের জানুয়ারি মাসে দেশের ১৩তম প্রধান বিচারপতি পদে বসেছিলেন।

    আইনজীবী হিসেবে বম্বে হাইকোর্টে প্র্যাকটিস শুরু করেন ললিত। পরে চলে আসেন দেশের শীর্ষ আদালতে। এখানেই একের পর এক সাড়া জাগানো মামলায় অংশ নেন তিনি। সিবিআইয়ের হয়ে টু-জি স্পকট্রাম মামলায় স্পেশাল পাবলিক প্রসিকিউটর হয়েছিলেন ললিত। ২০১৪ সালের ১৩ অগাস্ট সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ করা হয় ললিতকে। তাঁর বাবা বিচারপতি ইউআর ললিত ছিলেন প্রবীণ অ্যাডভোকেট এবং দিল্লি হাইকোর্টের বিচারপতি। তাঁর উল্লেখযোগ্য রায়গুলি মধ্যে রয়েছে তিন তালাককে অসাংবিধানিক ঘোষণা। অযোধ্যার বাবরি মসজিদ মামলা থেকেও নিজেকে সরিয়ে নিয়েছিলেন তিনি। বম্বে হাইকোর্টের বিতর্কিত স্কিন টু স্কিন রায় খারিজ করে দেন ললিতের বেঞ্চ।

    আরও পড়ুন : উপাসনাস্থল আইনের বিরোধিতায় নতুন কোনও আবেদন নয়, জানাল সুপ্রিম কোর্ট

  • Vice President Poll: উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচনে জয়ের পথে এগিয়ে ধনখড়, কেন জানেন?   

    Vice President Poll: উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচনে জয়ের পথে এগিয়ে ধনখড়, কেন জানেন?   

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শনিবার সকাল ১০টায় শুরু হয়েছে উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচন (Vice President Poll)। গত মাসেই হয়েছে রাষ্ট্রপতি নির্বাচন (President Poll)। দেশের বিজেপি বিরোধী সতেরটি দলের সম্মিলিত প্রার্থী তৃণমূলের (TMC) প্রাক্তন ভাইস প্রেসিডেন্ট যশবন্ত সিনহাকে হারিয়ে রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হয়েছেন এনডিএ প্রার্থী বিজেপির দ্রৌপদী মুর্মু (Draupadi Murmu)। উপরাষ্ট্রপতি পদে বিরোধীদের বাজি কংগ্রেসের (Congress) মার্গারেট আলভা (Margaret Alva)। আর বিজেপির (BJP) প্রার্থী হয়েছেন বাংলার প্রাক্তন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড় (Jagdeep Dhankhar)। মার্গারেটের চেয়ে জয়ের পথে ধনখড় অনেকটাই এগিয়ে। রাজনৈতিক মহলের মতে, বস্তুত ধনখড়ই হতে চলেছেন দেশের পরবর্তী উপরাষ্ট্রপতি। নির্বাচনের আগের দিন আলভা ভোটারদের কাছে বিবেক ভোট দেওয়ার আবেদন জানান। তিনি বলেন, উপরাষ্ট্রপতি পদে ভোট হবে গোপন ব্যালটে। বিবেকের ডাকে সাড়া দিয়ে ভোট দেওয়ার আর্জি জানান আলভা।

    রাষ্ট্রপতি পদে যেমন সাংসদদের পাশাপাশি ভোট দেন বিধায়করাও, উপরাষ্ট্রপতি পদে তা হয় না। এখানে ভোট দেন কেবল সাংসদরা। সংসদের দুই কক্ষের ৭৭৮ জন সদস্য ভোট দিয়ে নির্বাচিত করবেন দেশের পরবর্তী উপরাষ্ট্রপতি। ভোটগ্রহণ পর্ব শুরু হয়েছে সকাল ১০টায়। শেষ হবে বিকেল ৫টায়। যিনি জয়ী হবেন, তিনি শপথ নেবেন ১১ অগাস্ট।

    আরও পড়ুন : উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচনেও এনডিএ প্রার্থী জগদীপ ধনখড়কে সমর্থন মায়াবতীর

    রাজনৈতিক মহলের মতে, উপরাষ্ট্রপতি পদে ধনখড়ের জয় স্রেফ সময়ের অপেক্ষা। সংবিধান বিশেষজ্ঞ হিসেবে তাঁর নাম ডাক রয়েছে দেশে। এক সময় সুপ্রিম কোর্টেও প্র্যাকটিস করতেন নিয়মিত। সামলেছেন বাংলার রাজ্যপালের দায়িত্বও। এহেন ধনখড়কে প্রার্থী করে চমক দিয়েছিল বিজেপি। গেরুয়া শিবিরের এমন ‘ওজনদার’ প্রার্থীকে সমর্থন করেছিন এনডিএর বাকি সব দলও। এছাড়াও জনতা দল (ইউনাইটেড), ওয়াইএসআরসিপি, এআইএডিএমকে, অকালি দল এবং শিবসেনার শিন্ডে শিবিরের সমর্থন রয়েছে ধনখড়ের সঙ্গে। মায়াবতীর বহুজন সমাজবাদী পার্টি এবং চন্দ্রবাবু নাইডুর টিডিপিও ধনখড়কে সমর্থন করছেন। এঁদের সম্মিলিত সাংসদ ৮১ জন। যার জেরে ধনখড় পেতে পারেন ৫২৭টি ভোট। যদিও ভোটে জেতার জন্য প্রয়োজন ৩৭২টি ভোট। মোট ভোটের ৭০ শতাংশ পেতে পারেন তিনি। প্রসঙ্গত, লোকসভার সদস্য সংখ্যা ৫৪৩। রাজ্যসভার সংসদ রয়েছেন ২৪৫ জন। রাজ্যসভায় ৮টি আসন শূন্য রয়েছে। এর মধ্যে এনডিএর সদস্য সংখ্যা ৪৪১। তার মধ্যে বিজেপিরই রয়েছেন ৩৯৪ জন।  

    আরও পড়ুন :স্বাধীনতার ৭৫ বছরে তেরঙ্গা শাড়ি পরে রাষ্ট্রপতি পদে শপথ দ্রৌপদী মুর্মুর

    এই যদি হয় এনডিএ শিবিরের ছবি, তবে বিরোধী প্রার্থী আলভার অবস্থা তুলনায় ম্লান। তাঁর পাশে রয়েছে কেবল কংগ্রেস, আপ, মিম, টিআরএস এবং জেএমকে। শিবসেনার উদ্ধব ঠাকরে শিবিরের ভোটও পাবেন তিনি। আলভা কমবেশি ২০০ আসন পেতে পারেন। শতাংশের হিসেবে যা দাঁড়ায় ২৬। উপরাষ্ট্রপতি পদে ভোট দানে বিরত থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে তৃণমূল। রাজনৈতিক মহলের একাংশের মতে, রাষ্ট্রপতি পদে মুখ পোড়ার পর উপরাষ্ট্রপতি পদে ফের একবার কলঙ্ক গায়ে মাখতে চায়নি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল। লোকসভায় তৃণমূলের সদস্য সংখ্যা ২৩, রাজ্যসভায় ১৬। তৃণমূলের দুই সাংসদ শিশির অধিকারী ও তাঁর ছেলে দিব্যেন্দুকেও চিঠি দিয়ে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে দলীয় সিদ্ধান্ত।

     

  • RBI Hikes Repo Rate: ফের রেপোরেট বাড়াল রিজার্ভ ব্যাংক, কত হল জানেন?    

    RBI Hikes Repo Rate: ফের রেপোরেট বাড়াল রিজার্ভ ব্যাংক, কত হল জানেন?    

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের রেপোরেট (Repo Rate) বাড়াল দেশের শীর্ষ ব্যাংক (Reserve Bank)। রেপোরেট বেড়েছে ৫০ বেসিস পয়েন্ট। শুক্রবার এই ঘোষণা করেন রিজার্ভ ব্যাংকের গভর্নর শক্তিকান্ত দাস (Shaktikanta Das)। রেপোরেট বাড়ানোয় মুদ্রাস্ফীতি অনেকটাই বাড়ানো যাবে বলে দাবি তাঁর। রেপোরেট বাড়ানো হলেও দেশের জিডিপি গ্রোথ (GDP Growth) ৭.২ শতাংশই থাকছে।  

    গত জুন মাসে একবার রেপোরেট বাড়িয়েছিল রিজার্ভ ব্যাংক (RBI)। তারপর বাড়ল এবার। এদিন রিজার্ভ ব্যাংকের মানিটারি পলিসি বৈঠক বসেছিল। ছয় সদস্যের কমিটির প্রধান ছিলেন শক্তিকান্ত দাস। তার পরেই জানান, দেশের অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখতেই রেপোরেট বাড়ানো জরুরি। সেই কারণেই রেপোরেট ৫০ বেসিস পয়েন্ট বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে দেশের শীর্ষ ব্যাংক।

    এদিন গভর্নর বলেন, পরপর তিনবার রেপোরেট বাড়ানোর নেপথ্যে রয়েছে মূল্যবৃদ্ধি ও মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে আনা। চলতি বছরের মে মাসে প্রথম বাড়ানো হয় রেপোরেট। ফের বাড়ানো হয় জুনে। তখনই তিনি ইঙ্গিত দিয়েছিলেন অগাস্ট মাসে বাড়তে পারে রেপোরেট। সেই মতো শুক্রবার রেপোরেট বাড়ানো হল ৫০ বেসিস পয়েন্ট। রেপোরেট বাড়ানো হলেও, জিডিপি বৃদ্ধির হার ৭.৪ শতাংশই রেখেছে রিজার্ভ ব্যাংক। ২০২৩-’২৪ অর্থবর্ষে জিডিপি বৃদ্ধি ৬.৭ শতাংশ হতে পারে বলেও পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে এদিন।

    আরও পড়ুন : দুমাসে দুবার! ফের রেপো রেট বাড়াল রিজার্ভ ব্যাঙ্ক, কতটা সমস্যায় মধ্যবিত্ত?

    রেপোরেট বেড়ে যাওয়ার সুদের বোঝা বাড়বে। তবে দেশের শীর্ষ ব্যাংকের শীর্ষ কর্তার দাবি, রেপোরেট বাড়ানোয় অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে আনা যাবে মুদ্রাস্ফীতি। ২০২২-’২৩ অর্থবর্ষের জন্য মুদ্রাস্ফীতির হার ৬.৭ শতাংশ হবে বলেও দাবি রিজার্ভ ব্যাংকের গভর্নরের। তাঁর দাবি, ২০২৩-’২৪ অর্থবর্ষে সেটা আরও কমে ৫ শতাংশে চলে আসবে বলেও দাবি শক্তিকান্ত দাসের। রেপোরেট বাড়ায় সেনসেক্স ৮৯ পয়েন্ট বেড়ে হয়েছে ৫৮ হাজার ৩৮৭। নিফটি ছুঁল ১৭ হাজার ৩৯৭।  

    প্রসঙ্গত, রিজার্ভ ব্যাংক যে হারে অন্য ব্যাংককে ঋণ দেয়, তাই হল রেপো রেট। রেপোরেটের বেসিস পয়েন্ট বেড়ে যাওয়ায় স্বাভাবিকভাবেই বাড়বে ঋণ গ্রহীতাদের ওপর সুদের বোঝা।

    আরও পড়ুন : ৪০ বেসিস পয়েন্ট রেপো রেট বাড়ানোর ঘোষণা আরবিআই-এর, শেয়ার বাজারে ব্যাপক ধস

LinkedIn
Share