Author: Krishnendu Bakshi

  • RBI Hikes Repo Rate: ফের রেপোরেট বাড়াল রিজার্ভ ব্যাংক, কত হল জানেন?    

    RBI Hikes Repo Rate: ফের রেপোরেট বাড়াল রিজার্ভ ব্যাংক, কত হল জানেন?    

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের রেপোরেট (Repo Rate) বাড়াল দেশের শীর্ষ ব্যাংক (Reserve Bank)। রেপোরেট বেড়েছে ৫০ বেসিস পয়েন্ট। শুক্রবার এই ঘোষণা করেন রিজার্ভ ব্যাংকের গভর্নর শক্তিকান্ত দাস (Shaktikanta Das)। রেপোরেট বাড়ানোয় মুদ্রাস্ফীতি অনেকটাই বাড়ানো যাবে বলে দাবি তাঁর। রেপোরেট বাড়ানো হলেও দেশের জিডিপি গ্রোথ (GDP Growth) ৭.২ শতাংশই থাকছে।  

    গত জুন মাসে একবার রেপোরেট বাড়িয়েছিল রিজার্ভ ব্যাংক (RBI)। তারপর বাড়ল এবার। এদিন রিজার্ভ ব্যাংকের মানিটারি পলিসি বৈঠক বসেছিল। ছয় সদস্যের কমিটির প্রধান ছিলেন শক্তিকান্ত দাস। তার পরেই জানান, দেশের অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখতেই রেপোরেট বাড়ানো জরুরি। সেই কারণেই রেপোরেট ৫০ বেসিস পয়েন্ট বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে দেশের শীর্ষ ব্যাংক।

    এদিন গভর্নর বলেন, পরপর তিনবার রেপোরেট বাড়ানোর নেপথ্যে রয়েছে মূল্যবৃদ্ধি ও মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে আনা। চলতি বছরের মে মাসে প্রথম বাড়ানো হয় রেপোরেট। ফের বাড়ানো হয় জুনে। তখনই তিনি ইঙ্গিত দিয়েছিলেন অগাস্ট মাসে বাড়তে পারে রেপোরেট। সেই মতো শুক্রবার রেপোরেট বাড়ানো হল ৫০ বেসিস পয়েন্ট। রেপোরেট বাড়ানো হলেও, জিডিপি বৃদ্ধির হার ৭.৪ শতাংশই রেখেছে রিজার্ভ ব্যাংক। ২০২৩-’২৪ অর্থবর্ষে জিডিপি বৃদ্ধি ৬.৭ শতাংশ হতে পারে বলেও পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে এদিন।

    আরও পড়ুন : দুমাসে দুবার! ফের রেপো রেট বাড়াল রিজার্ভ ব্যাঙ্ক, কতটা সমস্যায় মধ্যবিত্ত?

    রেপোরেট বেড়ে যাওয়ার সুদের বোঝা বাড়বে। তবে দেশের শীর্ষ ব্যাংকের শীর্ষ কর্তার দাবি, রেপোরেট বাড়ানোয় অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে আনা যাবে মুদ্রাস্ফীতি। ২০২২-’২৩ অর্থবর্ষের জন্য মুদ্রাস্ফীতির হার ৬.৭ শতাংশ হবে বলেও দাবি রিজার্ভ ব্যাংকের গভর্নরের। তাঁর দাবি, ২০২৩-’২৪ অর্থবর্ষে সেটা আরও কমে ৫ শতাংশে চলে আসবে বলেও দাবি শক্তিকান্ত দাসের। রেপোরেট বাড়ায় সেনসেক্স ৮৯ পয়েন্ট বেড়ে হয়েছে ৫৮ হাজার ৩৮৭। নিফটি ছুঁল ১৭ হাজার ৩৯৭।  

    প্রসঙ্গত, রিজার্ভ ব্যাংক যে হারে অন্য ব্যাংককে ঋণ দেয়, তাই হল রেপো রেট। রেপোরেটের বেসিস পয়েন্ট বেড়ে যাওয়ায় স্বাভাবিকভাবেই বাড়বে ঋণ গ্রহীতাদের ওপর সুদের বোঝা।

    আরও পড়ুন : ৪০ বেসিস পয়েন্ট রেপো রেট বাড়ানোর ঘোষণা আরবিআই-এর, শেয়ার বাজারে ব্যাপক ধস

  • 5G Services: ভারতে ফাইভ জি পরিষেবা কবে চালু হবে জানেন? কী বললেন মন্ত্রী?

    5G Services: ভারতে ফাইভ জি পরিষেবা কবে চালু হবে জানেন? কী বললেন মন্ত্রী?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শেষ হয়ে গিয়েছে নিলাম প্রক্রিয়া। ভারতে ফাইভ জি পরিষেবা (5G Services) লঞ্চ হবে অক্টোবরের মধ্যেই। প্রথম ধাপে দেশের ১৩টি শহরে চালু হবে এই পরিষেবা। তবে কোন শহরে কতটা পরিষেবা মিলবে, তা ঠিক হয়ে যাবে চলতি মাসেই। কেন্দ্রীয় যোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব (Ashwani Vaishnaw) বলেন, নিলাম প্রক্রিয়া শেষ হয়ে গিয়েছে। ১০ অগাস্টের মধ্যে সমস্ত প্রক্রিয়াও শেষ হয়ে যাবে। স্পেকট্রাম বরাদ্দও হয়ে যাবে।

    ফাইভ জি স্পেকট্রামের (Spectrum) সব চেয়ে বেশি বরাত পেয়েছে মুকেশ আম্বানির সংস্থা রিলায়েন্স জিও। এ খবরও জানিয়েছিলেন বৈষ্ণব। জানা গিয়েছে, ফাইভ জি স্পেকট্রামের ৮৮ হাজার ৭৮ কোটি টাকার বরাত পেয়েছে মুকেশের সংস্থা। এদিন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জানান, অক্টোবরের মধ্যেই বোধহয় দেশে চালু হয়ে যাবে ফাইভ জি পরিষেবা। ফাইভ জি স্পেকট্রাম নিলাম দেশে টেলিকম শিল্পের ফাইভ জির দিকে অগ্রগতিরই ইঙ্গিত দেয়। ফাইভ জি লাগু হলে দেশে টেলিকম পরিষেবার ব্যাপক উন্নতি হবে বলেও জানান কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। জানা গিয়েছে, দেশের যে ১৩টি শহরে ফাইভ জি পরিষেবা প্রথম ধাপে চালু হবে সেগুলি হল আহমেদাবাদ, বেঙ্গালুরু, চণ্ডীগড়, চেন্নাই, দিল্লি, গান্ধীনগর, গুরগাঁও, হায়দরাবাদ, জামনগর, কলকাতা, লক্ষ্ণৌ, মুম্বই এবং পুণে।

    আরও পড়ুন : ৫-জি-এর অপেক্ষা শেষ, আজই শুরু স্পেকট্রাম নিলামের প্রক্রিয়া

    টেলিকম মন্ত্রক জানিয়েছে, নিলামের প্রথম দিনেই নিলামে দর ওঠে ১.৪৫ লক্ষ কোটি টাকা। সোমবার ৪০ রাউন্ড নিলামের পর স্পেকট্রাম বণ্টনের প্রক্রিয়া শেষ হয়। সরকার জানিয়েছে, দেড় লক্ষ কোটি টাকার স্পেকট্রাম বিক্রি হয়েছে। এর মধ্যে মুকেশের সংস্থা কিনেছে বিভিন্ন ব্যান্ডের ৭০০ মেগাহার্টজের স্পেকট্রাম। এই স্পেকট্রামের সাহায্যে ছয় থেকে দশ কিলোমিটার পর্যন্ত সিগন্যাল পাওয়া যাবে। গৌতম আদানির সংস্থা কিনেছে ২৬ গিগাহার্টজ ব্যান্ডের স্পেকট্রাম। প্রসঙ্গত, আগে থ্রি-জিতে কোনও কিছু ডাউনলোড করতে গেলে যেখানে দু ঘণ্টা সময় লাগত, ফোর জি-তে সেখানে সময় লাগে ৪০ মিনিট। ফাইভ জি চালু হয়ে গেলে এই সময়টাই কমে দাঁড়াবে মাত্র ৩৫ সেকেন্ড।

    আরও পড়ুন : স্পেকট্রাম নিলামের অনুমতি মন্ত্রিসভার, ভারতে আসছে ৫জি?

  • National Herald Case: ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলায় মতিলাল ভোরার যোগের স্বপক্ষে প্রমাণ পায়নি ইডি!

    National Herald Case: ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলায় মতিলাল ভোরার যোগের স্বপক্ষে প্রমাণ পায়নি ইডি!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কংগ্রেসের (Congress) অন্তর্বর্তীকালীন সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী (Sonia Gandhi) নাম নিয়েছিলেন প্রয়াত কংগ্রেস নেতা মতিলাল ভোরার (Motilal Vora)। ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলায় (National Herald Case ) ইডির (ED) জিজ্ঞাসাবাদের মুখে ভোরার নাম নিয়েছিলেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীও (Rahul Gandhi)। তবে ওই মামলায় যাঁদের জেরা করা হয়েছে, তাঁদের কেউই কংগ্রেসের প্রয়াত কোষাধ্যক্ষ ভোরার যুক্ত থাকার পক্ষে কোনও নথিই পেশ করতে পারেননি বলে ইডি সূত্রে খবর।

    ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলায় নাম জড়ায় কংগ্রেসের। ওই মামলায় জেরা করার জন্য সাংসদ কংগ্রেসের রাহুল গান্ধীকে তলব করে ইডি। রাহুল বিদেশে থাকায় নির্ধারিত সময়ে হাজিরা দিতে পারেননি। দেশে ফিরেই অবশ্য ইডি দফতরে হাজিরা দেন রাহুল। ছ দিন ধরে পঞ্চাশ ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় রাহুলকে। রেকর্ড করা হয় তাঁর বয়ান। ওই মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডেকে পাঠানো হয় সোনিয়াকেও। তবে করোনা সংক্রমিত হওয়ায় নির্দিষ্ট দিনে হাজিরা দিতে পারেননি কংগ্রেসের অন্তর্বর্তীকালীন প্রেসিডেন্টও। হাসপাতাল থেকে ছাড়া পাওয়ার পর কিছুটা সুস্থ হয়ে হাজিরা দেন ইডি দফতরে। মোট তিন দফায় ন ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে জেরা করা হয় সোনিয়াকে। ওই মামলায় দিন কয়েক আগে ন্যাশনাল হেরাল্ডের অফিস সহ দেশের ১২টি জায়গায় তল্লাশি চালায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। প্রিভেনশন অফ মানি লন্ডারিং অ্যাক্টে তল্লাশি চালানো হয় ওই দিন।

    আরও পড়ুন : দ্বিতীয়বার ইডির সামনে সোনিয়া! রাহুল-সহ ১৭ জন কংগ্রেস সাংসদ আটক

    ইডি সূত্রে খবর, সোনিয়া, রাহুল সহ কংগ্রেসের যাঁদের ওই মামলায় জেরা করা হয়েছে, তাঁরা জানিয়েছেন কোষাধ্যক্ষ থাকায় অর্থনীতি সংক্রান্ত যা কিছু সিদ্ধান্ত তা নিতেন ভোরা। প্রসঙ্গত, সোনিয়া এবং রাহুল ছাড়াও কংগ্রেস নেতা মল্লিকার্জুন খাড়গে, পবন বনশল এবং সুমন দুবেকে এখনও পর্যন্ত জেরা করেছে ইডি। এঁরাও প্রত্যেকেই ভোরার নাম নিয়েছেন। তবে ভোরা ছেলের দাবি, ওই ঘটনায় ভোরা কোনওভাবেই জড়িত ছিলেন না। খাড়গেকে ফের জেরা করা হবে। কারণ তিনিই একমাত্র ইয়ং ইন্ডিয়ার কর্মী। তাই তাঁকে জেরা করে সত্য উদ্ঘাটন করতে চাইছেন তদন্তকারীরা।

    ইডি সূত্রে খবর, ন্যাশনাল হেরাল্ডের সঙ্গে যুক্ত ইয়ং ইন্ডিয়া লিমিটেডের সঙ্গে কলকাতা ও মুম্বইয়ের একাধিক হাওয়ালার লেনদেন হত বলে অনুমান তদন্তকারীদের। ইয়ং ইন্ডিয়ার অফিসে তল্লাশি চালানোর পর আরও তথ্য মিলবে বলে অনুমান ইডির। তবে ওই সংস্থার কোনও আধিকারিক উপস্থিত না থাকায় সংস্থার দফতরে এখনও তল্লাশি চালানো হয়নি। তাই আপাতত সিল করে দেওয়া হয়েছে অফিস।

    আরও পড়ুন :ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলায় ইয়ং ইন্ডিয়ার অফিস সিল করল ইডি

  • SSC Scam: পার্থ-অর্পিতার পর এবার কাকে জেরা করতে চলেছে ইডি, জানেন?

    SSC Scam: পার্থ-অর্পিতার পর এবার কাকে জেরা করতে চলেছে ইডি, জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পার্থ-অর্পিতার পর এবার অর্পিতার গাড়ি চালক প্রণব ভট্টাচার্যকে (Pranab Bhattacharya) জেরা করতে চলেছে ইডি (ED)। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সূত্রেই এ খবর মিলেছে। রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের (Partha Chatterjee) সঙ্গে সঙ্গে ইডির হাতে গ্রেফতার হওয়া অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের (Arpita Mukherjees) গাড়ি চালাতেন এই প্রণব। ইডির দাবি, প্রণবকে জেরা করলেই মিলতে পারে বিস্ফোরক তথ্য।

    এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে (SSC Recruitment Scam) তদন্ত করতে গিয়ে ইডি গ্রেফতার করেছে রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও তাঁর ঘনিষ্ঠ অর্পিতা মুখোপাধ্যায়কে। অর্পিতার ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হয়েছে ৫০ কোটিরও বেশি টাকা এবং সোনা। ঘটনাটিকে ষড়যন্ত্র বলে দাবি করেছেন পার্থ। টাকা এবং সোনা উদ্ধারের ঘটনার প্রেক্ষিতে মন্ত্রিত্ব খোয়াতে হয়েছে পার্থকে। তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত তৃণমূল থেকে সাসপেন্ড করা হয়েছে তাঁকে। অর্পিতার ফ্ল্যাটে পাওয়া টাকা কার, তা জানেন না বলেই দাবি করেছেন পার্থ। অর্পিতারও দাবি, টাকা তাঁর নয়। ইডি সূত্রে খবর, সমস্ত সম্ভাব্য সূত্র থেকে তথ্য জোগাড় করতে চাইছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। সেই মতো প্রণবকেও জিজ্ঞাসাবাদ করতে চাইছে তারা। কারণ ২২ জুলাই অর্পিতার ডায়মন্ড সিটির ফ্ল্যাটে তল্লাশি চালানোর সময় সেখানে হাজির ছিলেন তাঁর গাড়ি চালক প্রণবও।

    আরও পড়ুন : তৃণমূলের হয়ে প্রচার অর্পিতার, প্রকাশ্যে ছবি, এর পরেও অস্বীকার করবে শাসক দল?

    এদিকে, অর্পিতা ইডির হাতে গ্রেফতার হওয়ায় বিপাকে পড়েছেন প্রণব। তাঁর জুলাই মাসের বেতন এখনও বকেয়া। কবে পাবেন, তা জানেন না। এমতাবস্থায় সংসার চালাতে যেন-তেন প্রকারে তিনি চাইছেন নতুন একটা কাজ জোটাতে। প্রণব স্বীকার করেছেন, পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের রেফারেন্সেরই অর্পিতার গাড়ি চালানোর কাজ পেয়েছিলেন তিনি। অর্পিতার গাড়ি চালক এও জানিয়েছেন, স্থানীয় এক নেতাকে ধরে তিনি পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের কাছে গিয়েছিলেন। তার পরেই মেলে অর্পিতার গাড়ির ড্রাইভারির চাকরি। চলতি বছরের জানুয়ারিতেই ওই চাকরি পান তিনি। প্রণব জানান, অর্পিতার আরও অনেক গাড়িচালক ছিলেন। তবে তিনি যখন পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করতে যেতেন, তখন চালক হিসেবে তাঁকেই সঙ্গে নিতেন। অর্পিতার গাড়ি চালকদের মধ্যে ছিলেন তাঁর বোনের স্বামী কল্যাণ ধরও। তবে বেরনোর সময় তাঁকে সঙ্গে নিতেন না অর্পিতা।

    আরও পড়ুন : মালিক-মালকিন ইডি জালে, সারমেয় বন্দি ‘চিলতে’ ফ্ল্যাটে!

  • Taiwan China Threat: চিনা হুমকি, তাইওয়ানে মহড়া শুরু যুদ্ধের 

    Taiwan China Threat: চিনা হুমকি, তাইওয়ানে মহড়া শুরু যুদ্ধের 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ঘন ঘন বাজছে সাইরেন। পথঘাট ফাঁকা। তার মধ্যেই নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে ছুটছেন কেউ কেউ। এ ছবি দ্বীপরাষ্ট্র তাইওয়ানের (Taiwan)। চিন (China) হামলা চালাতে পারে। এই আশঙ্কা থেকেই যুদ্ধের মহড়া (Military Drills) শুরু হয়ে গিয়েছে এই দ্বীপরাষ্ট্রে। সেনাকর্মীদের ছুটি বাতিল করা হয়েছে। সাধারণ নাগরিকদের দেওয়া হচ্ছে সামরিক প্রশিক্ষণ।

    তাইওয়ানকে নিজেদের অংশ হিসেবেই দাবি করে এসেছে চিন। দেশের রশি শি জিনপিংয়ের হাতে আসার পর থেকে তাইওয়ানের দখল পেতে মরিয়া ড্রাগনের দেশ। এমতাবস্থায় নতুন করে উত্তেজনা ছড়িয়েছে মার্কিন স্পিকার ন্যান্সি পোলেসির (Nancy Pelosi)তাইওয়ান সফর ঘিরে। সোমবার থেকে মার্কিন কংগ্রেসের একটি দল মালয়েশিয়া, দক্ষিণ কোরিয়া, জাপান সহ ভারত ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল সফর করবে। পেলোসির দফতরের জারি করা বিবৃতিতে তাইওয়ানের নাম নেই। তবে সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, মঙ্গলবারই তাইপেই পৌঁছবেন পেলোসি। তিনি তাইওয়ান পৌঁছলে চিন হাত গুটিয়ে বসে থাকবে না বলে হুমকি দিয়েছিল বেজিং। এদিকে, এদিনই পেলোসি মালয়েশিয়া পৌঁছেছেন বলে খবর।

    আরও পড়ুন : চিন-পাকিস্তান অর্থনৈতিক করিডোরে তৃতীয় দেশের অন্তর্ভুক্তি! কড়া সমালোচনা ভারতের

    এহেন উত্তেজনার আবহেই মার্কিন সংবাদ মাধ্যমের দাবি, চিন সাগরে ইতিমধ্যেই যুদ্ধের মহড়া শুরু করেছে তাইওয়ান নৌবাহিনী। সম্ভাব্য চিনা আগ্রাসন রুখতে উপকূল বরাবর অবস্থান নিচ্ছে তাইওয়ানের সেনা। চিনা ফৌজকে আকাশপথে ঠেকানোর প্রস্তুতিও শুরু হয়েছে জোরকদমে। তাইওয়ানের সক্ষম নাগরিকদের একাংশকে সামরিক প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে বলেও খবর। তাইওয়ানের সঙ্গে কূটনৈতিক কোনও সম্পর্ক নেই আমেরিকার। তবে দুই দেশই বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রাখে। আত্মরক্ষার জন্য তাইপেইকে অস্ত্রও সরবরাহ করে থাকে আমেরিকা।

    জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবারই মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে ফোনে কথা বলেছেন চিনা প্রেসিডেন্ট। তখনই জিন পিং তাঁকে এই বলে সতর্ক করে দেন যে, যাঁরা আগুন নিয়ে খেলবেন, তাঁরা ধ্বংস হয়ে যাবেন। চুপ করে থাকেননি বাইডেনও। তিনিও জানিয়ে দিয়েছেন, তাইওয়ান নিয়ে আমেরিকার নীতিতে কোনও পরিবর্তন হয়নি। তাইওয়ান প্রণালীতে শান্তি বা স্থিতাবস্থা বিঘ্নিত করে এমন কোনও প্রচেষ্টা মেনে নেবে না আমেরিকা।

    আরও পড়ুন : শিলিগুড়ি করিডরের কাছে চিন! ডোকলাম সীমান্তে গ্রাম বানাচ্ছে বেজিং

     

  • China US Conflict: ন্যান্সির তাইওয়ান সফরের জের, আমেরিকার সঙ্গে কথা বন্ধ চিনের

    China US Conflict: ন্যান্সির তাইওয়ান সফরের জের, আমেরিকার সঙ্গে কথা বন্ধ চিনের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তাইওয়ান (Taiwan) সফর করেছেন মার্কিন কংগ্রেসের স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি (Nancy Pelosi)। তার পরেই চিনের (China) সঙ্গে আমেরিকার (America) সম্পর্ক দাঁড়িয়েছে আক্ষরিক অর্থেই তলানিতে। ঘটনার জেরে তাইওয়ানের গা ঘেঁষে সামরিক মহড়া (Military Drill ) চালায় চিন। এবার আমেরিকার সঙ্গে জলবায়ু পরিবর্তন, মাদক বিরোধী প্রচেষ্টা, সামরিক আলোচনা সহ একাধিক বিষয়ে আলোচনা স্থগিত করার কথা ঘোষণা করল চিন। পেলোসির তাইওয়ান সফর আমেরিকা ও চিন দু দেশের বাণিজ্যিক সম্পর্কের ওপরও প্রভাব ফেলবে বলে ধারণা আন্তর্জাতিক মহলের।   

    মঙ্গলবার রাতে মার্কিন কংগ্রেসের নিম্নকক্ষ হাউস অফ রিপ্রেজেনটেটিভসের স্পিকার ন্যান্সি পেলোসির নেতৃত্বে এক প্রতিনিধি দলের সদস্যরা আসেন এশিয়া সফরে। সেই সূত্রেই তাঁরা আসেন তাইওয়ানে। ন্যান্সির সফরসূচিতে তাইওয়ানের নাম ছিল না। তবে তিনি যে তাইওয়ান যেতে পারেন, তা একপ্রকার ঠিকই ছিল। তা নিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে ফোনে কথা হয় চিনা প্রেসিডেন্টের। তখনই জিন পিং তাঁকে এই বলে সতর্ক করে দেন যে, যাঁরা আগুন নিয়ে খেলবেন, তাঁরা ধ্বংস হয়ে যাবেন। চুপ করে থাকেননি বাইডেনও। তিনিও জানিয়ে দেন, তাইওয়ান নিয়ে আমেরিকার নীতিতে কোনও পরিবর্তন হয়নি।

    তাইওয়ান সফর সেরে ন্যান্সি যান জাপানে। তার আগেই সামরিক মহড়া শুরু করে দেয় চিন। তাইওয়ান প্রণালী বন্ধ করে সামরির মহড়া চালাতে শুরু করেছে শি জিন পিংয়ের সরকার। চিনের সাবমেরিন তাইওয়ানের জলসীমায় প্রবেশ করেছে বলে জানানো হয়েছে তাইওয়ানের তরফে। চিনের শতাধিক যুদ্ধ বিমান তাইওয়ানের আকাশসীমায় সামরিক মহড়া চালায়। জাপানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, সামরিক মহড়ায় চিন মোট নটি ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ করেছে। এর মধ্যে চারটি গিয়েছে তাইওয়ানের ওপর দিয়ে। চিন চারদিনের সামরিক মহড়ার কথা ঘোষণা করেছে। এই মহড়াগুলি চলবে তাইওয়ানের নির্দিষ্ট ছটি জোনে। পেলোসির তাইপেই সফরের প্রতিক্রিয়ায় এই মহড়া বলেই জানিয়ে শি জিন পিংয়ের দেশ। চিনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, রবিবার দুপুর পর্যন্ত এই সামরিক মহড়া চলবে। প্রসঙ্গত, চিনের দাবি, তাইওয়ান তাদের। যদিও তাইপেই মনে করে তাইওয়ান স্বাধীন রাষ্ট্র। তাইওয়ানকে স্বীকৃতি দিয়েছে বিশ্বের মাত্র ১৩টি দেশ।

    আরও পড়ুন : তাইওয়ানে পা রাখলেন ন্যান্সি, সমরসজ্জা শুরু চিন আমেরিকার?

     

  • Nirmala Sitharamam: ট্যুইটে ডেরেকের জবাব দিলেন অর্থমন্ত্রী, কী বললেন তৃণমূল সংসদকে?

    Nirmala Sitharamam: ট্যুইটে ডেরেকের জবাব দিলেন অর্থমন্ত্রী, কী বললেন তৃণমূল সংসদকে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃণমূল কংগ্রেসের (TMC) রাজ্যসভার সাংসদ ডেরেক ও ব্রায়েনের (Derek O’ Brien) দাবি রাজ্যসভায় তৃণমূলের তোলা সব প্রশ্নের উত্তর এড়িয়ে গিয়েছেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামণ (Nirmala Sitharamam)। সরাসরি কিছু না বলে ট্যুইটারে তার জবাব দিলেন অর্থমন্ত্রী।  ট্যুইটবার্তায় তিনি জানিয়ে দেন, জিএসটি (GST) এবং মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে তিনি যখন কথা বলতে গিয়েছিলেন, তখন ওয়াক আউট করেছিলেন তৃণমূল সাংসদরা। ট্যুইট বার্তায় সীতারামণ লেখেন, এমনকী আপনাদের অনুপস্থিতিতে আমি সমস্ত প্রশ্নের উত্তর দিয়েছি। সেস, এলপিজি, জিএসটি এবং বিশেষত ভারতীয় মুদ্রার বিষয়ে। সংসদ টিভির একটি লিংক এমবেড করে অর্থমন্ত্রী লেখেন, দয়া করে এটা দেখে নিন।

    এর আগে মাইক্রোব্লগ সাইটে তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ ডেরেক প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে ট্যাগ করে তাঁর দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। সেখানে দেখান কীভাবে অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামণ উচ্চ কক্ষে মূল্যবৃদ্ধি ও জিএসটি বিতর্কে উত্তর দিয়েছেন। একটি ভিডিও শেয়ার করে তিনি লেখেন, আমরা নির্দিষ্ট ছটি প্রশ্ন তুলেছিলাম। তিনি সব প্রশ্ন এড়িয়ে গিয়েছেন। সংসদে তাঁর কোনও দায়িত্ব নেই। হতে পারে ট্যুইটারে আমার ভাগ্য সহায় হয়েছে।

    আরও পড়ুন : তৃণমূল সরকারের দুর্নীতির প্রতিবাদে রাস্তায় নামল বিজেপি

    সংসদে বাদল অধিবেশন শুরু হয়েছে ১৮ জুলাই। তার পর থেকেই মূল্যবৃদ্ধি, জিএসটি সহ নানা ইস্যুতে বিরোধীদের বিক্ষোভের জেরে বারবার ব্যাহত হয়েছে সংসদের কাজ। সংসদে অসংসদীয় আচরণের কারণে রাজ্যসভার ২০ জন ও লোকসভার চারজন সদস্যকে সাসপেন্ডও করা হয়েছে। যাঁদের সাসপেন্ড করা হয়েছে, তাঁদের মধ্যে তৃণমূলেরও কয়েকজন ছিলেন। ঘটনার প্রতিবাদে বিরোধীরা সংসদ চত্বরে গান্ধী মূর্তির পাদদেশে ৫০ ঘণ্টার জন্য ধর্নায়ও বসেছিলেন।

    আরও পড়ুন : ৫০ ঘণ্টার ধর্নায় সাসপেন্ডেড সাংসদরা, বিরোধী বৈঠকে গরহাজির আপ, তৃণমূল

     

  • Supreme Court on Freebies: ভোটারদের নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি দেওয়ায় ক্ষতিগ্রস্ত হয় অর্থনীতি, জানাল সুপ্রিম কোর্ট 

    Supreme Court on Freebies: ভোটারদের নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি দেওয়ায় ক্ষতিগ্রস্ত হয় অর্থনীতি, জানাল সুপ্রিম কোর্ট 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফি বার নির্বাচনের আগে ভোটারদের নিখরচায় নানা সুবিধা (Freebies) দেওয়ার কথা ঘোষণা করে রাজনৈতিক দলগুলি (Political Parties)। তাদের এহেন ঘোষণায় আদতে ক্ষতিগ্রস্ত হয় দেশের অর্থনীতি, বুধবার এমনটাই জানিয়ে দিল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। দেশের শীর্ষ আদালতের পর্যবেক্ষণ, এই বিষয়টি বিশদে বিবেচনা করার জন্য প্রয়োজন কমিটি গঠন করার। রিজার্ভ ব্যাংক (Reserve Bank), নীতি আয়োগ, অর্থ কমিশন ছাড়াও সরকার এবং বিরোধী দলগুলিকে নিয়ে গঠন করতে হবে ওই কমিটি। তারাই খতিয়ে দেখবে বিষয়টি। এদিন আদালতে উপস্থিত ছিলেন প্রবীণ আইনজীবী কপিল সিবাল। তাঁকেও পরামর্শ দেওয়ার অনুরোধ জানান প্রধান বিচারপতি এনভি রামানা। দেশের প্রধান বিচারপতি বলেন, বিনামূল্যে সুবিধা প্রদানের কথা বলে আদতে লাভবান হয় প্রতিটি রাজনৈতিক দলই।

    কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে দায়ের করা একটি মামলায় বলা হয়েছিল, নির্বাচনের আগে ভোটারদের সমর্থন পেতে বিনামূল্যে পরিষেবা দেওয়ার কথা ঘোষণা করে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল। তাদের দেওয়া সেই নির্বাচনী প্রতিশ্রুতির জেরে প্রভাবিত হন ভোটাররা। ক্ষমতার আসার পর প্রতিশ্রুতি পূরণ করতে গিয়ে নেমে আসে আর্থিক বিপর্যয়। এ ব্যাপারে সরকার কিছু করতে পারে না। এ ব্যাপারে পদক্ষেপ করতে হবে নির্বাচন কমিশনকেই।

    আরও পড়ুন : ‘অযৌক্তিক’ নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি দেওয়া বন্ধে উদ্যোগী হল সুপ্রিম কোর্ট

    এই মামলায় সরকারের প্রতিনিধিত্ব করছেন সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা। তিনি বলেন, এভাবে (বিনামূল্যে সামগ্রী বিতরণ) আমরা অর্থনৈতিক বিপর্যয়ের দিকে যাচ্ছি। তিনি বলেন, এসব জনপ্রিয় প্রতিশ্রুতি ভোটারদের ওপর বিরূপ প্রভাব ফেলে।

    সরকারের এই বক্তব্যের পরে দেশের শীর্ষ আদালতের প্রধান বিচারপতি রামানা বলেন, ভারতের সব করদাতা মনে করেন উন্নয়নূলক কাজে ব্যয় করার জন্য তাঁরা সরকারকে কর দেন। কিন্তু তাঁদের মতামত প্রকাশ করা এবং আলোচনা করার জন্য একটি ফোরাম তৈরি করা প্রয়োজন। এর পরেই তিনি বলেন, মানুষকে বিনামূল্যে সুবিধা দেওয়ার কথা বলে আসলে লাভবান হয় রাজনৈতিক দলগুলি।

    আরও পড়ুন : পাইয়ে দেওয়ার রাজনীতি থেকে দূরে থাকুন, সতর্ক করলেন প্রধানমন্ত্রী

    প্রসঙ্গত, কিছুদিন আগেই উত্তর প্রদেশে গিয়ে বিনামূল্যে সুবিধা দেওয়ার বিষয়টির তীব্র সমালোচনা করেছিলেন খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এদিন দেশের শীর্ষ আদালতের রায় প্রধানমন্ত্রীর সেই বক্তব্যকেই সমর্থন করছে বলে মত ওয়াকিবহাল মহলের।

     

  • Maharashtra Political Crisis: নির্বাচিত হওয়ার জন্য আমার প্রতীকের প্রয়োজন নেই, সাফ জানালেন শিন্ডে 

    Maharashtra Political Crisis: নির্বাচিত হওয়ার জন্য আমার প্রতীকের প্রয়োজন নেই, সাফ জানালেন শিন্ডে 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নির্বাচিত হওয়ার জন্য প্রতীকের (Symbol) প্রয়োজন নেই। সাফ জানিয়ে দিলেন মহারাষ্ট্রের (Maharashtra) মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডে (Eknath Shinde)। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, আমি আমার বিধানসভা ক্ষেত্রের উন্নয়নে প্রচুর কাজ করেছি। তাই নির্বাচিত হওয়ার জন্য আমার প্রতীকের প্রয়োজন নেই। এদিন পুণের (Pune) একটি জন সমাবেশে একথা বলেন মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী (CM)।  

    শিবসেনা, কংগ্রেস এবং এনসিপিকে নিয়ে গড়া মহা বিকাশ আগাড়ি জোট থেকে বেরিয়ে বিজেপির সঙ্গে গাঁটছড়া বেঁধে সরকার চালানোর ইচ্ছে প্রকাশ করেন শিবসেনা নেতা একনাথ শিন্ডে। তা নিয়েই তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরের সঙ্গে বিরোধ বাঁধে শিন্ডের। বিরোধের জল এতদূর গড়ায় যে পরে অনুগামী বিধায়কদের নিয়ে প্রথমে গুজরাটের সুরাট ও পরে আসামের গুয়াহাটিতে পৌঁছে যান শিন্ডে। পরে বিজেপির সঙ্গে হাত মিলিয়ে সরকার গড়েন তিনি। এর পরেই শিন্ডে শিবির দাবি করে তারাই আসল শিবসেনা। এদিকে, মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরেও জানান, তাঁর বাবার তৈরি দলের নাম বা প্রতীক ব্যবহারের অধিকার অন্য কারও নেই। শিবসেনার রাশ নিজের হাতে রাখতে নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হন ঠাকরে। দু পক্ষের এই দাবি ও পাল্টা দাবির প্রেক্ষিতে নির্বাচন কমিশনের তরফে জানানো হয়, দুই শিবিরকেই ৮ আগস্টের মধ্যে তথ্যপ্রমাণ জমা দিতে হবে। 

    আরও পড়ুন : মহারাষ্ট্র বিধানসভা নির্বাচনে লড়া উচিত মহা বিকাশ আঘাড়ি জোটের, মত পাওয়ারের

    শিবসেনার প্রতীক তির ধনুক।এই প্রতীক কারা পাবে, তা নিয়েই চলছে বিবাদ। সেই প্রেক্ষিতেই এদিনের সমাবেশে শিন্ডে জানিয়ে দিলেন, ভোটে জিততে তাঁর প্রতীকের প্রয়োজন নেই। তিনি তাঁর বিধানসভা ক্ষেত্রের উন্নয়নের জন্য প্রচুর কাজ করেছেন। তাই প্রতীকে প্রয়োজন নেই। প্রসঙ্গত, গত মাসেই শিবসেনা প্রধান তথা মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে জানান, শিবসেনার প্রতীক তির ধনুক কেউ কেড়ে নিতে পারবে না। শিন্ডে শিবিবকে আসল শিবসেনা মানতে রাজি নন উদ্ধব। তাদের ‘গদ্দার’ তকমা দিয়েছেন তিনি।

    উদ্ধবের বিশ্বাসঘাতকতা অভিযোগের জবাবও এদিন দিয়েছেন শিন্ডে। তাঁর প্রশ্ন, কে, কার সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছে? আমরা না অন্য কেউ? আমরা স্বাভাবিক জোট সরকার গড়েছি। এবং এটাই জনগণের সরকার। এদিন উদ্ধবকেও নিশানা করেছেন শিন্ডে। বলেন, সরকার ক্ষমতায় এল। মুখ্যমন্ত্রী হলেন আমাদের পার্টির প্রধান। আমরা কাজে নেমে পড়লাম। লোকজন এবং পার্টির নেতারা আমাদের সঙ্গে দেখা করতে এলেন। কিন্তু কিছু লোকের (উদ্ধব ঠাকরে) তাঁদের সঙ্গে দেখা করার সময়ই হল না। আমাদের লোকজন সাফার করতে লাগল। তখন সরকারে যা ঘটছিল, তা কখনওই মেনে নেওয়া যায় না। নয়া জোট প্রসঙ্গে শিন্ডে বলেন, আমরা এই সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম কারণ আসন্ন নির্বাচনে শিবসেনার হাতে গোণা কয়েকজন বিধায়ক জয়ী হতেন। লোকেদের জেলে যেতে হত। নিজেদের বাঁচাতে তখন তাঁরা দল ছেড়ে অন্য দলে গিয়ে ভিড়তেন।

    আরও পড়ুন : বিজেপি কেন একনাথ শিন্ডের হাতে মহারাষ্ট্রের রাশ ছাড়ল?

     

  • Arpita Mukherjee: তৃণমূলের হয়ে প্রচার অর্পিতার, প্রকাশ্যে ছবি, এর পরেও অস্বীকার করবে শাসক দল?

    Arpita Mukherjee: তৃণমূলের হয়ে প্রচার অর্পিতার, প্রকাশ্যে ছবি, এর পরেও অস্বীকার করবে শাসক দল?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিপদে পড়েছেন পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chatterjee)। সংকটে তাঁর ঘনিষ্ঠ অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ও (Arpita Mukherjee)। পার্থের পাশাপাশি এবার অর্পিতার সঙ্গেও দূরত্ব তৈরি করতে শুরু করল তৃণমূল (TMC)। রাজ্যের শাসক দলের দাবি, অর্পিতার সঙ্গে তাদের কোনও সম্পর্কই নেই। 

    এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে (SSC Recruitment Scam) কেঁচো খুঁড়তে গিয়ে কেউটের সন্ধান পেয়েছেন ইডি আধিকারিকরা। রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হয়েছে ৫০ কোটিরও বেশি টাকা। ঘটনাটিকে ষড়যন্ত্র বলে উল্লেখ করেছিলেন পার্থ। টাকা উদ্ধারের ঘটনার প্রেক্ষিতে মন্ত্রিত্ব খোয়াতে হয়েছে পার্থকে। তদন্ত শেষ না হওয়া ইস্তক তাঁকে সাসপেন্ড করা হয়েছে তৃণমূল থেকে। যা আদতে বহিষ্কারেরই শামিল। কারণ তদন্ত করে শেষ হবে তা কেউ জানে না। অর্পিতার ফ্ল্যাটে পাওয়া টাকা কার, তা জানেন না বলেই দাবি করেছেন পার্থ। স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য জোকা ইএসআই হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে তাঁর দাবি, আমার কোনও টাকা নেই। ইডির বাজেয়াপ্ত করা টাকা যে তাঁর নয়, তাও জানিয়ে দিয়েছেন রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী। অর্পিতার জন্য যে জোড়াফুল শিবিরের ভাবমূর্তি কলঙ্কিত হয়েছে, তা বেশ ভালোই বুঝতে পারছেন তৃণমূল নেতারা। রাজনৈতিক মহলের মতে, সেই কারণেই শুরু হয়েছে অর্পিতার সঙ্গে দূরত্ব রচনার প্রয়াস।

    আরও পড়ুন : এবার ইডি-র নজরে বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন নামে থাকা পার্থ-অর্পিতার একাধিক জমি?

    সম্প্রতি তৃণমূলের একটি কর্মসূচির ছবি প্রকাশ্যে এসেছে। তাতে দেখা যাচ্ছে, ইডির হাতে গ্রেফতার হওয়া পার্থের সঙ্গে মঞ্চ শেয়ার করেছেন অর্পিতা। একুশের বিধানসভা নির্বাচনের আগে পার্থ-অর্পিতার সঙ্গে ওই সমাবেশে ভাষণ দিয়েছিলেন তৃণমূলের অন্য নেতানেত্রীরাও। সংবাদ মাধ্যমে এই ছবি প্রকাশ্যে এলেও, অর্পিতার সঙ্গে কোনও সম্পর্ক নেই বলেই দাবি করেছে তৃণমূল। ২২ জুলাই তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ দাবি করেছিলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায় ষড়যন্ত্রের শিকার। অর্পিতার সঙ্গে দলের কোনও সম্পর্কও অস্বীকার করেন তিনি। ইডি সূত্রের খবর, তাঁর ফ্ল্যাট থেকে টাকা এবং সোনা উদ্ধারের পর অর্পিতা তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকদের জানিয়েছিলেন ওই টাকা এবং সোনা পার্থের। তবে দল তাঁকে সাসপেন্ড করায় তিনি যে যারপরনাই অখুশি, তা গোপন করেননি তৃণমূলের সাসপেন্ডেড মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়।

    আরও পড়ুন : ঘরে টাকা থাকলেও তা ছোঁয়ার অধিকার ছিল না! জানুন ইডির জেরায় কী বললেন অর্পিতা

LinkedIn
Share