Author: Krishnendu Bakshi

  • VP Election: উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচনেও এনডিএ প্রার্থী জগদীপ ধনখড়কে সমর্থন মায়াবতীর  

    VP Election: উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচনেও এনডিএ প্রার্থী জগদীপ ধনখড়কে সমর্থন মায়াবতীর  

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাষ্ট্রপতি (President) নির্বাচনে তিনি সমর্থন করেছিলেন এনডিএ-র (NDA) প্রার্থী বিজেপির (BJP) দ্রৌপদী মুর্মুকে (Draupadi Murmu)। উপরাষ্ট্রপতি (Vice President) নির্বাচনেও বহুজন সমাজবাদী পার্টি (BSP) সুপ্রিমো মায়াবতী (Mayawati) জানিয়ে দিলেন, এবারও তাঁর দল এনডিএ প্রার্থী জগদীপ ধনখড়কেই (Jagdeep Dhankhar ) সমর্থন করবে। বৃহত্তর জনস্বার্থের কথা ভেবেই এই সিদ্ধান্ত বলেও জানান তিনি।

    রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে এনডিএ-র প্রার্থী ছিলেন দ্রৌপদী মুর্মু। ওই নির্বাচনে বিজেপি বিরোধী সতেরটি দলের সম্মিলিত প্রার্থী ছিলেন তৃণমূলের প্রাক্তন ভাইস প্রেসিডেন্ট যশবন্ত সিনহা। ওই নির্বাচনে যশবন্ত নন, মায়াবতীর দল সমর্থন করেছিলেন এনডিএ প্রার্থীকেই। এক ট্যুইট বার্তায় মায়াবতী বলেন, দেশের সর্বোচ্চ পদ রাষ্ট্রপতি পদের নির্বাচনে সরকার ও বিরোধী দলের মধ্যে ঐক্যমত্যের অভাবের কারণে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল বলে জানা গিয়েছে। এখন একই অবস্থার কারণে আগামী ৬ অগাস্ট উপরাষ্ট্রপতি পদের নির্বাচনও হতে চলেছে। তিনি বলেন, এই পরিস্থিতিতে বৃহত্তর জনস্বার্থ ও নিজস্ব আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে বিএসপি উপরাষ্ট্রপতি পদের নির্বাচনে শ্রী জগদীপ ধনখড়কে সমর্থন দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আমি আজ আনুষ্ঠানিকভাবে এই কথা ঘোষণা করছি।

    আরও পড়ুন : স্বাধীনতার ৭৫ বছরে তেরঙ্গা শাড়ি পরে রাষ্ট্রপতি পদে শপথ দ্রৌপদী মুর্মুর

    রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে দ্রৌপদীকে কেন তিনি সমর্থন করেছিলেন, তাও তখন জানিয়েছিলেন বিএসপি নেত্রী। তাঁর অভিযোগ, বিরোধীরা যশবন্ত সিনহাকে মনোনীত করার সময় তাঁর দলকে উপেক্ষা করেছিলেন। তাই তিনি দ্রৌপদীকে সমর্থন করেছেন। ধনখড়কে সমর্থন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে তেলেগু দেশম পার্টিও। টিডিপি সুপ্রিমো এন চন্দ্রবাবু নাইডু জানান, উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচনে তাঁর দল সমর্থন করবে ধনখড়কে। উপরাষ্ট্রপতি পদে এনডিএ-র প্রার্থী জগদীপ ধনখড়কে সমর্থন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিজু জনতা দলও। এদিকে, ভোটদানে বিরত থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তৃণমূল কংগ্রেস।

    আরও পড়ুন : রাষ্ট্রপতি পদে দ্রৌপদীর জয়ের আনন্দে মাতল বাংলাদেশও

    প্রসঙ্গত, উপরাষ্ট্রপতি পদে নির্বাচন হবে ৬ অগাস্ট। ওই পদে বেঙ্কাইয়া নাইডুর মেয়াদ শেষ হবে ১০ অগাস্ট। উপরাষ্ট্রপতি পদে বিরোধীদের প্রার্থী কংগ্রেসের মার্গারেট আলভা। তা সত্ত্বেও উপরাষ্ট্রপতি পদে পশ্চিমবঙ্গের প্রাক্তন রাজ্যপাল ধনখড়ের জয় স্রেফ সময়ের অপেক্ষা বলেই ধারণা রাজনৈতিক মহলের।

     

  • ED: ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলায় ইয়ং ইন্ডিয়ার অফিস সিল করল ইডি 

    ED: ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলায় ইয়ং ইন্ডিয়ার অফিস সিল করল ইডি 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলায় (National Herald Case) আরও সক্রিয় হল ইডি (ED)। সিল করে দেওয়া হল ইয়ং ইন্ডিয়ার (Young India) অফিস। বুধবার বিকেল থেকে কংগ্রেসের (Congress) সদর দফতর ২৪ আকবর রোড এবং ১০ নম্বর জনপথে সোনিয়া গান্ধীর (Sonia Gandhi) বাড়ির সামনেও মোতায়েন করা হয়েছে বিশাল বাহিনী।

    বুধবার বিকেলে ইডি আধিকারিকরা ন্যাশনাল হেরাল্ড অফিসে যান। তার পরেই খবর ছড়িয়ে পড়ে বেআইনি অর্থ তছরুপের অভিযোগে ন্যাশনাল হেরাল্ডের পুরো অফিসটাই সিল করে দিয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। পরে ইডির তরফে জানানো হয়, ন্যাশনাল হেরাল্ডের পুরো দফতর সিল করা হয়নি। ওই বিল্ডিংয়ে ইয়ং ইন্ডিয়ার যে দফতর ছিল সেটা সাময়িকভাবে সিল করা হয়েছে। গত দুদিন ধরে তল্লাশির সময় ইয়ং ইন্ডিয়ার দফতরে সংস্থার পদস্থ কর্তাদের কাউকে পাওয়া যায়নি। সেই কারণেই চালানো হয়নি তল্লাশিও। তাই সিল করা হয়েছে অফিস। ইডি সূত্রে খবর, ইয়ং ইন্ডিয়ার আধিকারিক মল্লিকার্জুন খাড়গেকে তলব করা হয়েছে। তিনি এসে গেলেই তল্লাশি চালানো হবে এবং খুলে দেওয়া হবে সিল। ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলায় অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ একটি পক্ষ হল ইয়ং ইন্ডিয়া। ইডির অভিযোগ, এই ইয়ং ইন্ডিয়ার মাধ্যমেই বেআইনিভাবে ন্যাশনাল হেরাল্ডের সম্পত্তি দখল করেছেন রাহুল গান্ধী, সোনিয়া গান্ধীরা। এই সংস্থার বেশিরভাগের অংশীদার রাহুল।

    আরও পড়ুন : ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলায় ১২ জায়গায় হানা ইডি-র

    এদিকে, অফিস সিল করে দেওয়ার পর ইয়ং ইন্ডিয়ার অফিসের বাইরে লটকে দেওয়া হয় একটি নোটিশ। তাতে লেখা ইডির আগাম অনুমতি ছাড়া এটা খোলা যাবে না। ইডির এক আধিকারিক বলেন, কেবলমাত্র ইয়ং ইন্ডিয়ার অফিস সিল করা হয়েছে। হেরাল্ড হাউসের বাকি অফিসগুলিতে কাজ হবে আগের মতোই। এদিন কেবল ইয়ং ইন্ডিয়ার অফিস সিল করা হয়নি, কংগ্রেসের সদর দফতর ও সোনিয়া গান্ধীর বাড়িতেও মোতায়েন করা হয়েছে বিশাল বাহিনী। ঘটনার প্রেক্ষিতে বৈঠকে বসেন কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্ব। পরে প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জয়রাম রমেশ এক ট্যুইটবার্তায় বলেন, দিল্লি পুলিশ এআইসিসির সদর দফতরের পথ রুদ্ধ করেছে। এটা একটা ব্যতিক্রমী ব্যাপার। তারা কেন এটা করেছে, তা রহস্যজনক।

    আরও পড়ুন : সোনিয়া, রাহুলকে সমন ইডি-র! ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলায় বিপাকে কংগ্রেস

  • Jammu Kashmir: জঙ্গিদের গ্রেনেড হামলায় কাশ্মীরে হত পরিযায়ী শ্রমিক, জখম ২  

    Jammu Kashmir: জঙ্গিদের গ্রেনেড হামলায় কাশ্মীরে হত পরিযায়ী শ্রমিক, জখম ২  

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের রক্তাক্ত ভূস্বর্গ। জঙ্গিদের ছোড়া গ্রেনেড বিস্ফোরণে (Grenade Attack) প্রাণ হারালেন এক পরিযায়ী শ্রমিক (Migrant Worker)। ওই হামলায় গুরুতর জখমও হয়েছেন দুজন। কাশ্মীরের (Kashmir) পুলওয়ামার ওই জঙ্গি হামলার ঘটনায় চাঞ্চল্য উপত্যকায়। জম্মু-কাশ্মীর (Jammu Kashmir) পুলিশ জানিয়েছে, পুলওয়ামার গদুরা এলাকায়, যেখানে ছিলেন ওই শ্রমিকরা, তার বাইরে গ্রেনেড ছোড়ে জঙ্গিরা। বিস্ফোরণের অভিঘাতে মৃত্যু হয়েছে মহম্মদ মুমতাজ নামে এক পরিযায়ী শ্রমিকের। জঙ্গিদের খোঁজে এলাকায় শুরু হয়েছে তল্লাশি অভিযান।

    জানা গিয়েছে, বিহারের শাকওয়া পারসা এলাকার এক দরিদ্র মুসলিম পরিবারের ছেলে মুমতাজ। রোজগারের আশায় এসেছিলেন কাশ্মীরে। জঙ্গিদের ছোড়া গ্রেনেড হামলায় মৃত্যু হয় তাঁর। ঘটনায় জখম হয়েছেন বিহারেরই দুজন। পুলিশ জানিয়েছে, এঁরা হলেন মহম্মদ আরিফ ও তাঁর ছেলে মহম্মদ মকবুল। বিহারের রামপুরের এই দুই বাসিন্দাকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে হাসপাতালে। ঘটনার নেপথ্যে লস্কর-ই-তৈইবার ছায়া সংগঠন দ্য রেসিসটেন্স ফ্রন্টের হাত দেখছে পুলিশ।

    আরও পড়ুন : জম্মু-কাশ্মীর থেকে কাউকে বিতাড়িত হতে দেব না, আশ্বাস রাজনাথের

    ঘটনায় শোক প্রকাশ করেছেন জম্মু-কাশ্মীরের লেফটেন্যান্ট গভর্নর মনোজ সিনহা। ট্যুইট বার্তায় তিনি লেখেন, পুলওয়ামায় কাপুরুষোচিত ঘটনার তীব্র নিন্দা করছি। এই দুঃখের সময় মহম্মদ মুমতাজের পরিবারকে সান্ত্বনা জানাই। আহতরা দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠুন। ঘটনার নেপথ্যে যারা, তারা শাস্তি পাবেই। আজ, ৫ অগাস্ট। তিন বছর আগে এই দিনেই জম্মু-কাশ্মীর থেকে রদ হয়েছিল ৩৭০ ধারা। তার ঠিক আগের দিন পরিকল্পিতভাবেই এই ঘটনা ঘটানো হয়েছে বলে অনুমান পুলিশের। উপত্যকা জুড়ে জারি হয়েছে সতর্কতা।

    এই প্রথম নয়, এর আগেও জঙ্গিরা উপত্যকায় বিচ্ছিন্নভাবে অশান্তি পাকিয়ে গিয়েছে। এপ্রিলের প্রথম সপ্তাহে জঙ্গিদের গুলিতে জখম হয়েছিলেন চারজন পরিযায়ী শ্রমিক। এপ্রিলেরই চার তারিখে পুলওয়ামায়াতেই জঙ্গিরা তিনটি হামলার ঘটনা ঘটিয়েছিল। সেই হামলায় প্রাণ হারান একজন সিআরপিএফ জওয়ান। ওই ঘটনায় জখম হয়েছিলেন চারজন। যাঁদের মধ্যে বিহারের দুই পরিযায়ী শ্রমিক ও এক কাশ্মীর পণ্ডিতও ছিলেন। এপ্রিলেরই পাঁচ তারিখে জঙ্গিরা সিআরপিএফের দুই জওয়ানকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে শ্রীনগরের প্রাণকেন্দ্র মইসুমা চক এলাকায়। চলতি বছরেরই ১৯ মার্চ পুলওয়ামায় জঙ্গিদের গুলিতে জখম হন এক পরিযায়ী কাঠের মিস্ত্রি।

    আরও পড়ুন : গুজরাট, হিমাচল প্রদেশের সঙ্গেই নভেম্বরে ভোট হবে জম্মু-কাশ্মীরেও?

  • Partha Chaterjee: মাথায় লাগলে শান্তি পেতাম, পার্থকে জুতো ছুড়ে বললেন মহিলা

    Partha Chaterjee: মাথায় লাগলে শান্তি পেতাম, পার্থকে জুতো ছুড়ে বললেন মহিলা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে (Partha Chaterjee) লক্ষ্য করে জুতো ছুড়লেন এক মহিলা। জুতোর পাটিটা অবশ্য পার্থর গায়ে লাগেনি। মহিলার আফশোস, জুতোটা মাথায় লাগলে শান্তি পেতাম।

    এদিন জোকা ইএসআই (ESI) হাসপাতালে মেডিকেল পরীক্ষার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়েছিল পার্থকে। নিয়ে যাওয়া হয়েছিল পার্থ ঘনিষ্ঠ অর্পিতা মুখোপাধ্যায়কেও (Arpita Mukherjee)। ওই হাসপাতালেই স্বাস্থ্য পরীক্ষা করাতে এসেছিলেন এক মহিলাও। খুব কাছ থেকে পার্থকে দেখতে পেয়ে পা থেকে এক পাটি জুতো খুলে আচমকাই ছুড়ে মারেন পার্থকে লক্ষ্য করে। জুতোর পাটিটা অবশ্য পার্থর গায়ে লাগেনি। লাগে গাড়িতে। এর পরেই আফশোস করতে দেখা যায় ওই মহিলাকে। বলেন, জুতোটা মাথায় লাগলে শান্তি পেতাম।

    জানা গিয়েছে, ওই মহিলার বাড়ি আমতলা এলাকায়। তাঁর একমাত্র মেয়ে উচ্চমাধ্যমিক স্তরে পড়াশোনা করছে। কেন মারলেন জুতো? ওই মহিলা বলেন, রাগ ছিল। ওঁকে জুতো মেরে আমি শান্তি পেয়েছি। মালা দিয়ে বরণ করলে আপনাদের ভালো লাগত! এর পরেই গটগটিয়ে বাড়ির দিকে হাঁটতে শুরু করেন ওই মহিলা। পায়ের আর এক পাটি জুতো ফেলে খালি পায়েই হাঁটা দেন ওই মহিলা।

    আরও পড়ুন : পার্থ-অর্পিতার পর এবার কাকে জেরা করতে চলেছে ইডি, জানেন?

    হাসপাতাল সূত্রে খবর, পার্থ-অর্পিতাকে হাসপাতালে নিয়ে আসার সময় নিরাপত্তার বলয়ে মুড়ে ফেলা হয়েছিল হাসপাতাল চত্বর। রোগী, রোগীর আত্মীয়, সাংবাদ মাধ্যমের কর্মী সব মিলিয়ে ভিড়ে ভিড়াক্কার। সেই সময় ওই মহিলা তাঁর এক আত্মীয়কে নিয়ে এসেছিলেন হাসপাতালে। ভিড়ের চোটে অতিষ্ঠ হয়ে ওঠেন তিনি। তার পরেই উগরে দেন ক্ষোভ। বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্য বলেন, এই ধরনের ঘটনা অনভিপ্রেত। ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ এভাবে হলে তা সমর্থনযোগ্য নয়। তবে এটায় বোঝা যাচ্ছে, এই সরকারের প্রতি মানুষের ক্ষোভ কতটা!  

    প্রসঙ্গত, এসএসসি দুর্নীতিকাণ্ডে (SSC Scam) তদন্তে নেমে রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও তাঁর ঘনিষ্ঠ অর্পিতা মুখোপাধ্যায়কে গ্রেফতার করে ইডি। অর্পিতার ফ্ল্যাটে হানা দিয়ে বাজেয়াপ্ত করা হয় ৫০ কোটিরও বেশি নগদ টাকা এবং সোনা। তা নিয়ে ক্রমেই বাড়ছে সাধারণ মানুষের ক্ষোভ।

    এদিনের ঘটনা কি তারই বহিঃপ্রকাশ?

    আরও পড়ুন : তৃণমূলের হয়ে প্রচার অর্পিতার, প্রকাশ্যে ছবি, এর পরেও অস্বীকার করবে শাসক দল?

  • Amit Shah: কালো পোশাক পরে বিক্ষোভ কংগ্রেসের, কী বললেন অমিত শাহ?

    Amit Shah: কালো পোশাক পরে বিক্ষোভ কংগ্রেসের, কী বললেন অমিত শাহ?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কালো পোশাক (Black Clothes) পরে কংগ্রেস (Congress) কর্মীদের প্রতিবাদ কর্মসূচি আসলে রামমন্দিরের (Ram Temple) বিরুদ্ধে। এদিন এমনই অভিযোগ করলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Saha)। শুক্রবার ৫ অগাস্ট ছিল রাম মন্দিরের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠানের বর্ষপূর্তি। এদিনই কালো পোশাক পরে প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করে কংগ্রেস। তাকেই কটাক্ষ করেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।

    শুক্রবার মূল্যবৃদ্ধি, বেকারত্ব এবং প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের ওপর জিএসটি বৃদ্ধির প্রতিবাদে দেশব্যাপী আন্দোলনে নামে কংগ্রেস। রাহুল গান্ধীর (Rahul Gandhi) নেতৃত্বে কালো পোশাক পরে বিক্ষোভ দেখান কংগ্রেস কর্মীরা। দিল্লি থেকে আসাম, মধ্যপ্রদেশ থেকে তেলঙ্গানা সর্বত্রই কংগ্রেস কর্মী-সমর্থকরা কালো পোশাক পরে শামিল হন বিক্ষোভ কর্মসূচিতে। খোদ দিল্লিতে কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি রাহুল গান্ধী সহ বেশ কয়েকজন কংগ্রেস সাংসদ সংসদ ভবনের সামনে প্রতিবাদ করেন। কংগ্রেসের অন্তর্বর্তীকালীন সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী (Sonia Gandhi) সংসদের গেটের বাইরে একটি ব্যানার নিয়ে দলের মহিলা সাংসদের সঙ্গে প্রতিবাদে শামিল হন।

    আরও পড়ুন : দ্বিতীয়বার ইডির সামনে সোনিয়া! রাহুল-সহ ১৭ জন কংগ্রেস সাংসদ আটক

    এদিন সেদিকেই ইঙ্গিত করে অমিত শাহ বলেন, কংগ্রেস কালো পোশাক পরে একটা সূক্ষ্ম বার্তা দিতে চাইছে যে তারা রাম জন্মভূমির ভিত্তিপ্রস্তর অনুষ্ঠানের প্রতিবাদ করছে। পাল্টা ট্যুইট করে কংগ্রেসও। দলের নেতা জয়রাম রমেশ ট্যুইট বার্তায় লেখেন, মূল্যবৃদ্ধি, জিএসটি, বেকারত্বের বিরুদ্ধে গণতান্ত্রিক প্রতিবাদকে ঘুরিয়ে দেওয়া, বিকৃত করা এবং মেরুকরণের মরিয়া চেষ্টা করছেন অমিত শাহ। প্রতিবাদ মোক্ষম জায়গায় লেগেছে, তা নিশ্চিত।  

    কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এই দিনেই (৫ অগাস্ট)রাম জন্মভূমির শিলান্যাস করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। এই রামজন্মভূমি কোটি কোটি লোকের বিশ্বাসের জায়গা। সাড়ে পাঁচশো বছরেরও বেশি সময় ধরে চলা বিতর্কের মীমাংসা হয়েছে। স্বাধীনতার পর থেকে কংগ্রেস দীর্ঘদিন ক্ষমতায় ছিল। তার পরেও সমস্যার সমাধান করতে পারেনি তারা। মোদি শান্তিপূর্ণ পথে সমস্যার সমাধান করেছেন। এবং মন্দিরের শিলান্যাস করেছেন। এই দিনটি সেই পবিত্র দিন।

    আরও পড়ুন : সিএএ কবে থেকে লাগু হবে জানেন? কী বললেন অমিত শাহ?

  • New GST Rule: অক্টোবর থেকে বড়সড় পরিবর্তন আসছে জিএসটি নিয়মে, জেনে নিন

    New GST Rule: অক্টোবর থেকে বড়সড় পরিবর্তন আসছে জিএসটি নিয়মে, জেনে নিন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অক্টোবর মাস থেকে বড়সড় পরিবর্তন আসছে জিএসটি (GST) নিয়মে। এই পরিবর্তন অনুযায়ী, যেসব ব্যবসায় টার্নওভার বছরে ১০ কোটি টাকারও বেশি, তাদের বি-টু-বি (B to B) লেনদেনের জন্যে ১ অক্টোবর থেকে ইলেকট্রনিক ইনভয়েসস সংক্ষেপে ই-ইনভয়েস (e-Invoice) তৈরি করতে হবে। বিজ্ঞপ্তি জারি করে একথা জানিয়েছে সেন্ট্রাল বোর্ড অফ ইনডায়রেক্ট ট্যাক্সেস, সংক্ষেপে সিবিডিটি (CBDT) এবং কাস্টমস (Customs)। চলতি বছরের ১ অক্টোবর থেকে সেই সব কোম্পানির জন্য ই-ইনভয়েস বাধ্যতামূলক, যাদের বছরে টার্নওভার ১০ কোটি টাকারও বেশি।

    মার্চের আগে পর্যন্ত যাঁদের বছরে টার্নওভার ২০ থেকে ৫০ কোটি টাকা—সেই সকল করদাতা রেজিস্ট্রেশনের এই সুবিধা পেতেন এবং লগ-ইন করতে পারতেন। ১ এপ্রিল থেকে কেন্দ্রীয় বোর্ড জিএসটি ই-ইনভয়েসিংয়ের সীমা ৫০ কোটি টাকা থেকে কমিয়ে ২০ কোটিতে নিয়ে এসেছে। উল্লেখ্য যে, গত বছরের ১ এপ্রিল থেকে যেসব কোম্পানির বছরে টার্নওভার ৫০ কোটি টাকার বেশি ছিল, তাদের বি-টু-বি ইনভয়েস তৈরি করতে হত। সেটাই এখন ১০ কোটি টাকার বেশি টার্নওভারের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে।

    আরও পড়ুন : জুলাই মাসে দেশের জিএসটি থেকে আয় ১.৪৯ লক্ষ কোটি টাকা, আগের বছরের তুলনায় ২৮% বেশি

    প্রশ্ন হল, কেন সরকার এই সিদ্ধান্ত নিল?  করদাতারা যাতে ট্যাক্স এড়িয়ে যেতে না পারেন, সেই জন্যই সরকার জিএসটিতে নানা পরিবর্তন এনেছে। সেই প্রেক্ষিতেই ২০২০ সালের অক্টোবর মাসে সরকার সিদ্ধান্ত নেয়, সেসব কোম্পানির বছরে টার্নওভার ৫০০ কোটি টাকার বেশি, তাদের বি-টু-বি ট্রানজাকশনের ক্ষেত্রে ই-ইনভয়েসের প্রয়োজন।

    এখন এই সীমাই হয়েছে ২০ কোটি টাকা যেটা ১ অক্টোবর থেকে সেন্ট্রাল বোর্ড অফ ইনডায়রেক্ট ট্যাক্সেস কমিয়ে করেছে ১০ কোটি টাকা। যাঁদের জিএসটি দিতে হবে, তাঁরা অনলাইনে ই-ইনভয়েস রেজিস্ট্রেশন পোর্টালের মাধ্যমে এটা পাঠাতে পারেন। মনে রাখতে হবে, এক্ষেত্রে করদাতাদের তাঁদের ইন্টারনাল সিস্টেমের মাধ্যমে বিল তৈরি করতে হবে। তার পরেই ইনভয়েস রেজিস্ট্রেশন পোর্টালের মাধ্যমে অনলাইনে রিপোর্ট করতে হবে।

    আরও পড়ুন : চাল, ডাল, আটা, গম খোলা কিনলে বাড়তি জিএসটি লাগু হবে না! ট্যুইট করে ব্যাখ্যা অর্থমন্ত্রীর

  • Income Tax e-Verification: সময়সীমা ৩১ অগাস্ট, জেনে নিন কীভাবে করবেন আয়কর রিটার্নের ই-ভেরিফিকেশন

    Income Tax e-Verification: সময়সীমা ৩১ অগাস্ট, জেনে নিন কীভাবে করবেন আয়কর রিটার্নের ই-ভেরিফিকেশন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আয়কর রিটার্ন (Income Tax Return) দাখিলের সময়সীমা শেষ হয়ে গিয়েছে ৩১ জুলাই। সময়সীমা বাড়ায়নি কেন্দ্র। এবার ই-ভেরিফিকেশনের (e-Verification) সময়সীমাতেও পড়ল কোপ। ১২০ দিন থেকে কমিয়ে করা হল ৩০ দিন। অর্থাৎ, ৩১ অগাস্টের (August) মধ্যে শেষ করতে ই-ভেরিফিকেশনের কাজ। অর্থাৎ, এই সময়সীমার মধ্যে ই-ভেরিফিকেশন সম্পন্ন না করলে, আপনার আয়কর রিটার্ন খাতায় কলমে অবৈধ হিসেবে গণ্য হবে এবং তা খারিজ হবে। 

    এই ই-ভেরিফিকেশনের কাজ বিভিন্ন উপায়ে করতে পারেন। জেনে নিন কীভাবে করবেন ই-ভেরিফিকেশনের কাজ—

    আধার নির্ভর ওটিপি: আধার নির্ভর ওটিপি ব্যবহার করে ই-ভেরিফিকেশন করার আগে আপনার মোবাইল নম্বরটি আপনার আধারের সঙ্গে সংযুক্ত রয়েছে কিনা, তা যাচাই করে নিন। প্যানের সঙ্গেও থাকতে হবে আধার সংযুক্তিকরণ। এবার ই-ভেরিফাই পেজে গিয়ে ‘I would like to verify using OTP on mobile number registered with Aadhaar’ সিলেক্ট করুন। এবার ‘Continue’ ক্লিক করুন। স্ক্রিনে পপ-আপ আসবে। ‘I agree to validate my Aadhaar details’ লেখা টিক বক্স ক্লিক করুন। এরপর ‘Generate Aadhaar OTP’ লেখার ওপর ক্লিক করুন। ছয় সংখ্যার একটি ওটিপি এসএমএস আসবে মোবাইলে। মনে রাখবেন, এই ওটিপি কেবলমাত্র ১৫ মিনিটের জন্য বৈধ থাকবে। যে ওটিপি পেলেন, তা নির্দিষ্ট বক্সে টাইপ করুন। এরপর ‘Submit’ বটনে ক্লিক করুন। সব পদ্ধতি ঠিকঠাক হলে জানবেন আপনার আয়কর রিটার্ন ভেরিফায়েড হয়ে যাবে। 

    আরও পড়ুন : আয়কর রিটার্ন জমা দেওয়ার আগে এই ভুলগুলো ভুলেও করবেন না

    নেট ব্যাংকিং: দ্বিতীয় পদ্ধতি হল নেট ব্যাংকিং। ই-ভেরিফাই পেজে গিয়ে ‘Through Net Banking’ সিলেক্ট করুন। ক্লিক ‘Continue’। সেই ব্যাংকটি তালিকা থেকে সিলেক্ট করুন যার মাধ্যমে আপনি আয়কর রিটার্ন দাখিল করতে চান। আবার ক্লিক করুন ‘Continue’। স্ক্রিনে পপ-আপ ভেসে উঠবে। তাতে একটি ডিসক্লেমার থাকবে। পড়ে ‘Continue’-তে গিয়ে ক্লিক করুন। 

    ব্যাংক অ্যাকাউন্ট: তৃতীয় পদ্ধতি হল ব্যাংক অ্যাকাউন্ট। কোনও একটি ব্যাংক অ্যাকাউন্টে গিয়ে একটি ইলেকট্রনিক ভেরিফিকেশন কোড (EVC) জেনারেট করুন। এই নম্বরটি মনে রাখুন। এর জন্য একটি বৈধ ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থাকতে হবে। আয়কর রিফান্ডের জন্য এই বৈধ ব্যাংক অ্যাকাউন্ট অবশ্য প্রয়োজন। 

    ডিম্যাট অ্যাকাউন্ট: আয়কর ই-ভেরিফিকেশনের আর একটি পদ্ধতি হল ডিম্যাট অ্যাকাউন্ট। ই-ভেরিফাই পেজে গিয়ে  ‘Through Demat Account’ সিলেক্ট করুন এবং ‘Continue’-তে ক্লিক করুন। ইলেকট্রনিক ভেরিফিকেশন কোড জেনারেট হবে। 

    আরও পড়ুন : তৃণমূলের ‘হিসাব’ রাখা আইনজীবীর বাড়িতে আয়কর হানা কেন? কী পাওয়া গেল জানেন?
    আপনার নথিভুক্ত মোবাইল নম্বর ও ইমেল আইডিতে চলে যাবে ইভিসি কোড। এবার ডিম্যাট অ্যাকাউন্টের সঙ্গে মোবাইল ও ই-মেলে পাওয়া ইভিসি সংযুক্ত করুন এবং ক্লিক করুন e-Verify। 

    ব্যাংক এটিএম: ব্যাংকের এটিএম কার্ড দিয়েও ইভিসি জেনারেট করা যাবে। এই সুবিধা মিলবে অ্যাক্সিস ব্যাংক, কানাড়া ব্যাংক, সেন্ট্রাল ব্যাংক অফ ইন্ডিয়া, আইসিআইসিআই ব্যাংক, আইডিবিআই ব্যাংক, কোটাক মাহিন্দ্রা ব্যাংক এবং স্টেট ব্যাংক অফ ইন্ডিয়ায়। ব্যাংক এটিএমে গিয়ে কার্ড সোয়াইপ করুন। এটিএম পিন নম্বর দিন। ‘Generate EVC for Income tax filing’ সিলেক্ট করুন। ই-ফাইলিং পোর্টালের সঙ্গে নথিভুক্ত মোবাইলে এবং ইমেল আইডিতে ইভিসি নম্বর আসবে। 

    সেন্ডিং সাইন্ড আইটিআর-ভি: ওপরের কোনও একটি বৈদ্যুতিন পদ্ধতিতে যদি আপনার ই-ভেরিফিকেশন না হয়, তাহলে একটা স্বাক্ষরিত কপি আইটিআর-ভি আয়কর বিভাগে ডাকের মাধ্যমে পাঠান।

  • Article 370:  ৩৭০ ধারা রদের তিন বছর পূর্তি, ভূস্বর্গ জুড়ে উন্নয়নের জোয়ার   

    Article 370:  ৩৭০ ধারা রদের তিন বছর পূর্তি, ভূস্বর্গ জুড়ে উন্নয়নের জোয়ার   

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ৫ অগাস্ট জম্মু-কাশ্মীরে (Jammu Kashmir) রদ হয়েছিল ৩৭০ ধারা (Article 370)। হল তারই তিন বছর পূর্তি।  তার পর থেকে ক্রমেই উন্নতি হচ্ছে ভূস্বর্গের। একদিকে উপত্যকায় যেমন কমেছে পাথর ছোড়া, জঙ্গিপনা (Terrorist Act) সহ নানা অশান্তিমূলক কাজকর্ম, তেমনি হচ্ছে উন্নয়ন (Development)। রাজনৈতিক মহলের একাংশের দাবি, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi) এবং উপত্যকার লেফটেনেন্ট গভর্নর মনোজ সিনহার (Monaj Sinha) নিরন্তর প্রচেষ্টায় নয়া রূপে সাজছে ভূস্বর্গ।

    ২০১৯ সালের ৫ তারিখে জম্মু-কাশ্মীর থেকে রদ হয় ৩৭০ ধারা। তার পরেই গেল গেল রব ওঠে বিরোধী শিবিরে। তাঁদের আশঙ্কা, ফের রক্তস্নাত হবে উপত্যকা। বাড়বে জঙ্গি হানার ঘটনাও। যদিও গত তিন বছরে জম্মু-কাশ্মীরে এমন কিছুই ঘটেনি, যা নিয়ে হইচই করতে পারেন বিরোধীরা। তবে বিচ্ছিন্ন কিছু ঘটনা ইদানিং ঘটছে কাশ্মীরের কিছু জায়গায়। এখনও একেবারে বন্ধ হয়নি পাক মদতপুষ্ট জঙ্গিদের কার্যকলাপ। সেই কারণেই ঘটছে এসব ঘটনা। গত কয়েক মাসে টার্গেট কিলিংয়ের ঘটনাও ঘটেছে। তার পরেও পুলিশ প্রশাসনের তৎপরতায় শান্তি নেমে এসেছে ভূস্বর্গে। সংখ্যাতত্ত্বের হিসেবেই দেখা যাচ্ছে, জম্মু-কাশ্মীরে ২০১৯এর আগের তুলনায় ঢের কমেছে অনুপ্রবেশের ঘটনা। বিধানসভার মর্যাদা ফেরাতে হবে নির্বাচন। শেষ হয়েছে ডিলিমিটেশনের কাজও। সেই কাজ শেষের পরে শুরু হয়েছে ভোটার লিস্টে নাম তোলার কাজও। শুরু হয়েছে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডও। এককথায়, ভূস্বর্গের সর্বত্র স্পষ্ট সুশাসনের ছাপ।

    আরও পড়ুন : ৩৭০ ধারা বাতিলের পর উপত্যকা ছাড়েননি কোনও কাশ্মীরি পণ্ডিত, জানাল সরকার

    গত ৭০ বছর ধরে কার্যত বঞ্চনার শিকার হয়েছিল উপত্যকা। এখন অবশ্য সে ছবি বদলে গিয়েছে বেবাক। কেন্দ্রীয় সরকারের সমস্ত সরকারি প্রকল্পের সুবিধা পাচ্ছেন উপত্যকার বাসিন্দারা। আয়ুষ্মান ভারত প্রধানমন্ত্রী জন আরোগ্য যোজনা এসইএইচএটি স্কিমের সুযোগও পাচ্ছেন তাঁরা। কেন্দ্রীয় সরকারের এই প্রকল্পে ফি বছর ৫ লক্ষ টাকার স্বাস্থ্যবিমার সুবিধা পাচ্ছেন কাশ্মীরবাসী।

    কেবল সরকারি সুযোগ সুবিধার ক্ষেত্রেই নয়, উন্নয়নের ছবি নজরে পড়ছে অন্যত্রও। ইতিমধ্যেই ১২০০ স্টার্টআপ রেজিস্টার্ড করে ফেলেছে। এর মধ্যে ফান্ডিং করে ফেলেছে ২০০। উপত্যকায় পরিকাঠামোগত উন্নয়নও হয়েছে। এক লক্ষ কোটি টাকার নয়া প্রোজেক্টও অনুমোদিত হয়েছে। ২০১৯ সালের আগে ফি বছর আট থেকে ন হাজার প্রজেক্ট কমপ্লিট হত। এখন এই সংখ্যাটা বেড়ে হয়েছে ৫১ হাজারের ওপর। যা প্রমাণ করে সরকারি কাজে গতি এসেছে, এসেছে স্বচ্ছতাও। উন্নয়নের গতি নজরে পড়ে অন্যত্রও। আগে যেখানে প্রতিদিন ছ কিলোমিটার করে রাস্তা তৈরি হত, এখন সেখানে তৈরি হয় ২০ কিলোমিটার। ব্যবসা করার জন্য দুশোরও বেশি প্রশাসনিক সংস্কার করা হয়েছে।

    আরও পড়ুন : গুজরাট, হিমাচল প্রদেশের সঙ্গেই নভেম্বরে ভোট হবে জম্মু-কাশ্মীরেও?

    প্রধানমন্ত্রী মোদি ও লেফটেন্যান্ট গভর্নরের নিরন্তর চেষ্টায় উপত্যকায় যে আক্ষরিক অর্থেই সোনা ফলেছে, তার উদাহরণ রয়েছে আরও। ইতিমধ্যেই ৫৬ হাজার কোটি লগ্নি প্রস্তাব পেয়েছে শিল্প দফতর। শিলান্যাস হয়েছে ৩৮ হাজার ৮০ কোটি টাকার প্রকল্পের। চলতি বছরের এপ্রিল মাসের মধ্যেই হয়েছে এই শিলান্যাস। ভূস্বর্গের বাস্তুতন্ত্রের কথাও মাথায় রেখেছে প্রশাসন। সেই কারণে উপত্যকায় ব্যাপক দূষণ ছড়ায় এমন শিল্পে উৎসাহ দিচ্ছে না সরকার। এর মধ্যে রয়েছে সিমেন্ট কারখানা, ইটভাটা, স্টোন ক্র্যাশার এবং আয়রণ ও স্টিল প্ল্যান্ট।

    ৩৭০ ধারা রদের পরে এভাবেই ছন্দে ফিরছে ভূস্বর্গ!

     

  • National Herald Scam: ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলায় ১২ জায়গায় হানা ইডি-র

    National Herald Scam: ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলায় ১২ জায়গায় হানা ইডি-র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার ন্যাশনাল হেরাল্ড (National Herald) সংবাদপত্রের অফিসে হানা ইডির (ED)। এদিন দিল্লির (Delhi) আরও ১১টি জায়গায় হানা দিয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী এই সংস্থা। ন্যাশনাল হেরাল্ড দুর্নীতি (National Herald Scam) মামলায় ইতিমধ্যেই ইডি জিজ্ঞাসাবাদ করেছে কংগ্রেসের (Congress) অন্তর্বর্তীকালীন সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী (Sonia Gandhi)  ও কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীকে (Rahul Gandhi)। এবার ওই মামলায় ইডি হানা দিল দিল্লিরই ১২টা জায়গায়।

    ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলায় নাম জড়ায় কংগ্রেসের। ওই মামলায় জেরা করার জন্য সাংসদ কংগ্রেসের রাহুল গান্ধীকে তলব করে ইডি। রাহুল বিদেশে থাকায় নির্ধারিত সময়ে হাজিরা দিতে পারেননি। দেশে ফিরেই অবশ্য ইডি দফতরে হাজিরা দেন রাহুল। ছ দিন ধরে পঞ্চাশ ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় রাহুলকে। রেকর্ড করা হয় তাঁর বয়ান। ওই মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডেকে পাঠানো হয় সোনিয়াকেও। তবে করোনা সংক্রমিত হওয়ায় নির্দিষ্ট দিনে হাজিরা দিতে পারেননি কংগ্রেসের অন্তর্বর্তীকালীন প্রেসিডেন্টও। হাসপাতাল থেকে ছাড়া পাওয়ার পর কিছুটা সুস্থ হয়ে হাজিরা দেন ইডি দফতরে। মোট তিন দফায় ন ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে জেরা করা হয় সোনিয়াকে। সূত্রের খবর, জিজ্ঞাসাবাদের সময় সোনিয়ার কাছে মূলত তিনটি বিষয় জানতে চাওয়া হয়। প্রথমত, ইয়ং ইন্ডিয়া লিমিটেডের মাধ্যমে ন্যাশনাল হেরাল্ড অধিগ্রহণের সময় সোনিয়া ও কংগ্রেস নেতারা কাদের সঙ্গে পরামর্শ করেছিলেন? দ্বিতীয়ত, ইয়ং ইন্ডিয়া লিমিটেডের শেয়ারহোল্ডার ছিলেন সোনিয়া। ন্যাশনাল হেরাল্ডের পাওনাদারদের বকেয়া মেটাতে হবে, এটা কী তিনি জানতেন না? তৃতীয়ত, অধিগ্রহণের পর কীভাবে ন্যাশনাল হেরাল্ডের বিপুল পরিমাণ সম্পত্তি বিলি করা হয়েছিল?

    আরও পড়ুন : ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলায় ম্যারাথন জেরা রাহুলকে, আজ ফের তলব

    ইডির এক আধিকারিক জানান, প্রিভেনশন অফ মানি লন্ডারিং অ্যাক্টে এদিন তল্লাশি চালানো হয়। অতিরিক্ত তথ্য জোগাড় করতেই এই অভিযান চালানো হয়েছে। ইডি সূত্রে খবর, এদিন তল্লাশির সময় নিরাপত্তারক্ষী ছাড়া ন্যাশনাল হেরাল্ড অফিসে কেউই উপস্থিত ছিলেন না। ঘটনায় কড়া প্রতিক্রিয়া দিয়েছে কংগ্রেস। কংগ্রেস সাংসদ উত্তর রেড্ডি বলেন, এটি রাজনৈতিক প্রতিহিংসা ছাড়া আর কিছুই নয়।

    আরও পড়ুন : পার্থ-অর্পিতার পর এবার কাকে জেরা করতে চলেছে ইডি, জানেন?

  • China Taiwan Conflict: তাইওয়ানের চারপাশে ১১টি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ল চিন, কেন জানেন?    

    China Taiwan Conflict: তাইওয়ানের চারপাশে ১১টি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ল চিন, কেন জানেন?    

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তাইওয়ানে (Taiwan) মার্কিন কংগ্রেসের স্পিকার ন্যান্সি পেলোসির (Naccy Pelosi) সফর ঘিরে ক্রমেই অগ্নিগর্ভ হয়ে উঠছে পরিস্থিতি। বৃহস্পতিবার তাইওয়ানের চারপাশে অন্ততঃপক্ষে ১১টি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে চিন (China)। চিনা ফৌজ পিপলস অফ লিবারেশন আর্মির (PLA) তরফে জানানো হয়েছে, সবকটি তাদের লক্ষ্যে আঘাত হেনেছে। জাপানও জানিয়েছে, পাঁচটি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র আছড়ে পড়েছে তাদের এক্সক্লুসিভ ইকোনমিক জোনে (EEZ)। ২০০ নটিক্যাল মাইল পর্যন্ত বিস্তৃত জাপান উপকূলীয় অঞ্চলের অন্তর্গত এক্সক্লুসিভ ইকোনমিক জোনের মধ্যে ক্ষেপণাস্ত্রগুলি আছড়ে পড়েছে বলে জানিয়েছে জাপানের প্রতিরক্ষামন্ত্রক।

    আরও পড়ুন : তাইওয়ানে পা রাখলেন ন্যান্সি, সমরসজ্জা শুরু চিন আমেরিকার?

    মঙ্গলবার রাতে মার্কিন কংগ্রেসের নিম্নকক্ষ হাউস অফ রিপ্রেজেনটেটিভসের স্পিকার ন্যান্সি পেলোসির (Nancy Pelosi) নেতৃত্বে এক প্রতিনিধি দলের সদস্যরা পা রাখেন তাইওয়ানে। ন্যান্সির সফরসূচিতে তাইওয়ানের নাম ছিল না। তবে তিনি যে তাইওয়ান যেতে পারেন, তা একপ্রকার নিশ্চিতই ছিল। তা নিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে ফোনে কথা হয় চিনা প্রেসিডেন্টের। তখনই জিন পিং তাঁকে এই বলে সতর্ক করে দেন যে, যাঁরা আগুন নিয়ে খেলবেন, তাঁরা ধ্বংস হয়ে যাবেন। চুপ করে থাকেননি বাইডেনও। তিনিও জানিয়ে দেন, তাইওয়ান নিয়ে আমেরিকার নীতিতে কোনও পরিবর্তন হয়নি। তাইওয়ান সফর সেরে ন্যান্সি গিয়েছেন জাপানে। তার পরে পরেই তাইওয়ানের আকাশসীমায় ২৭টি যুদ্ধ বিমান পাঠিয়েছে চিন। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে তাইওয়ানের উত্তর, পূর্ব এবং দক্ষিণে সব মিলিয়ে তারা ১১টি ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে বলে জানিয়েছে চিনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রক। 

    আরও পড়ুন : চিনা হুমকি, তাইওয়ানে মহড়া শুরু যুদ্ধের

    স্বায়ত্তশাসিত তাইওয়ানের ওপর বেশ কয়েক দশক ধরেই নজর চিনের। তাইওয়ানকে নিজেদের অংশ বলেই মনে করে তারা। প্রয়োজনে জোরপূর্বক তাইওয়ানের দখল নিতেও তারা প্রস্তুত বলে আগে একাধিকবার জানিয়েছে চিন। এরই পাল্টা হিসেবে তাইওয়ানের পাশে দাঁড়িয়েছে আমেরিকা। পঁচিশ বছর পরে মঙ্গলবার তাইওয়ান সফরে আসেন কোনও পদস্থ মার্কিন কর্তা। তার পর থেকেই তাইওয়ানের বিরুদ্ধে সামরিক সক্রিয়তা বাড়িয়েছে চিন।

    এদিকে, জাপানের এক্সক্লুসিভ ইকোনমিক জোনে ক্ষেপণাস্ত্র হানার প্রভাব পড়েছে জাপান এবং চিনের কূটনৈতিক সম্পর্কে। বাতিল করে দেওয়া হয়েছে আগে থেকে স্থির করা দু দেশের বিদেশ মন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠক।

     

LinkedIn
Share