Author: Krishnendu Bakshi

  • CBI:  ১০০ কোটি টাকায় রাজ্যসভার আসন? চক্রের পর্দা ফাঁস সিবিআইয়ের 

    CBI:  ১০০ কোটি টাকায় রাজ্যসভার আসন? চক্রের পর্দা ফাঁস সিবিআইয়ের 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মোটা টাকায় বিকিয়েছে সর্বভারতীয় ডাক্তারি পরীক্ষা নীটে(NEET)-র আসন। অন্তত এমনই অভিযোগ উঠেছে। এবার একই অভিযোগ উঠল রাজ্যসভার (Rajya Sabha) আসন এবং রাজ্যপালের (Governorship) পদের ক্ষেত্রেও। ১০০ কোটি টাকার বিনিময়ে রাজ্যসভার টিকিট মিলবে। দীর্ঘদিন ধরেই এমন মিথ্যে আশ্বাস দিয়ে কারবার চালাচ্ছিল একটি চক্র। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই (CBI) সূত্রেই জানা গিয়েছে এমন তথ্য। চক্রের কয়েকজন পান্ডাকেও গ্রেফতার করেছে সিবিআই।

    কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে খবর, অভিযোগ পাওয়ার পর গত সপ্তাহে একটি ফোনে দুই ব্যক্তির কথোপকথনকে ঘিরে সন্দেহ হয় তদন্তকারীদের কয়েকজনের। সেই সময় অর্থের বিনিময়ে রাজ্যসভার আসন নিশ্চিত করার কথা বলতে শোনা যায় ফোনের দু প্রান্তে থাকা মানুষদের। ফাঁদ পাতে সিবিআই। ছদ্মবেশে চক্রের কয়েকজনের সঙ্গে দেখা করেন সিবিআইয়ের এক আধিকারিক। টাকা হাত বদলের সময় হাতেনাতে গ্রেফতার করা হয় অভিযুক্তদের।  ঘটনায় ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করা হয়েছে চারজনকে। সিবিআইয়ের তরফে এদের বিরুদ্ধে দায়ের হয়েছে এফআইআর-ও।

    আরও পড়ুন : পশ্চিমবঙ্গে ইডি-সিবিআই কী করছে, জানেন কি?

    ১০ জুন দেশের ১৫টি রাজ্যের ৫৭টি আসনে রাজ্যসভার নির্বাচন হয়। তার আগে থেকেই ওই চক্র সক্রিয় ছিল বলে সিবিআই সূত্রে খবর। অভিযোগের ভিত্তিতে ফোনে নজরদারি চালান গোয়েন্দারা। গ্রেফতার করা হয় চারজনকে। সিবিআই জানিয়েছে, এরা হল মহারাষ্ট্রের করমলকর প্রেমকুমার, কর্নাটকের রবীন্দ্র বিঠঠল নায়েক, দিল্লির মহেন্দ্র পাল অরোরা ও আসামের অভিষেক বরা। এফআইআরে নাম রয়েছে এই চক্রের সঙ্গে জড়িত মহম্মদ আজিজ খান নামে এক ব্যক্তিরও। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে খবর, অভিষেক ও প্রেমকুমারের কাজ ছিল পদস্থ সরকারি কর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করা। বাকিরা চাইত টাকা। এ ব্যাপারে যাতে কোনও রাজনৈতিক নেতা বা আমলার সঙ্গে যোগাযোগ না করা হয়, সে ব্যাপারেও হুঁশিয়ারি দিত অভিযুক্তরা।

    আরও পড়ুন : কোটি কোটি টাকার লেনদেন! ৫ দিনের সিবিআই হেফাজতে ৭ ইসিএল আধিকারিক

    প্রসঙ্গত, শিবসেনার বিদ্রোহী নেতা একনাথ শিন্ডের মন্ত্রিসভায় ঠাঁই দেওয়া আশ্বাস দিয়ে মহারাষ্ট্রের এক বিজেপি বিধায়কের কাছে চাওয়া হয়েছিল ১০০ কোটি টাকা। ওই ঘটনায় গ্রেফতার করা হয়েছে রিয়াজ শেখ নামে একজনকে। এবার মোটা টাকার বিনিময়ে রাজ্যসভার টিকিট পাইয়ে দেওয়ার আশ্বাস দিয়ে সিবিআইয়ের জালে চার। এই চক্রের জল কতদূর বিস্তৃত, তা জানতে শুরু হয়েছে তদন্ত।  

     

  • PM Modi:  দেশের চেয়ে বিরোধীরা রাজনৈতিক স্বার্থকেই বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে, অভিযোগ মোদির  

    PM Modi:  দেশের চেয়ে বিরোধীরা রাজনৈতিক স্বার্থকেই বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে, অভিযোগ মোদির  

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক:  দেশের তুলনায় বিরোধীরা রাজনৈতিক স্বার্থকেই (Political Interest) বেশি গুরুত্ব দিতে আগ্রহী। এদিন এই ভাষায়ই বিরোধীদের নিশানা করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। তাঁর অভিযোগ, বিরোধীরা (Opposition) সরকারি কাজে বাধা দিচ্ছে। গত সপ্তাহেই শুরু হয়েছে বাদল অধিবেশন। অধিবেশন শুরুর সময় শুরুর সময় থেকেই মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে বিরোধীদের হট্টগোলের জেরে সংসদের উভয় কক্ষে অধিবেশন মুলতুবি করা হয়েছে।

    এদিন সমাজবাদী পার্টির রাজ্যসভার প্রাক্তন সাংসদ হরমোহন সিংয়ের দশম মৃত্যু বার্ষিকীতে এক ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানে ভাষণ দেন প্রধানমন্ত্রী। সেখানেই নিশানা করেন বিরোধীদের। প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিভিন্ন সময় বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলির সরকারের কাজে বাধা সৃষ্টি করছে। কারণ তাঁরা যখন ক্ষমতায় ছিল, কাজগুলির বাস্তবায়ন করতে পারেনি। মোদি জানান, সরকার কোনও সিদ্ধান্ত নিলেই প্রশ্ন করে বিরোধীরা। মোদি বলেন, সরকারি সিদ্ধান্তগুলি যদি বাস্তবায়নের চেষ্টা করা হয় তবে বিরোধীরা তার বিরোধিতা করে। দেশবাসী বিরোধীদের এই আচরণ মোটেও পছন্দ করেন না বলেও জানান মোদি।

    আরও পড়ুন : ভারতকে উন্নতির শিখরে নিয়ে গিয়েছেন মোদি, মত আরএসএস নেতার

    প্রধানমন্ত্রী বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে মতাদর্শ বা রাজনৈতিক স্বার্থকে সমাজ ও দেশের স্বার্থের চেয়ে বেশি গুরুত্ব দেওয়ার প্রবণতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। এদিন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারি বাজপেয়ীর কথাও শোনা যায় মোদির মুখে। মোদি বলেন, রাজনৈতিক দলের অস্তিত্ব টিকে রয়েছে গণতন্ত্রের জন্য, গণতন্ত্র টিকে রয়েছে দেশের জন্য। দেশের সিংহভাগ রাজনৈতিক দল মূলত, অ-কংগ্রেসি রাজনৈতিক দলগুলি এই নীতি মেনে চলছে।

    আরও পড়ুন : দুর্নীতি মামলায় জড়িত বুলেট ট্রেন প্রকল্পের প্রধান! পদ থেকে বরখাস্ত করল মোদি সরকার

    এদিন জরুরি অবস্থার প্রসঙ্গও টানেন মোদি। প্রধানমন্ত্রী বলেন, জরুরি অবস্থার সময় যখন গণতন্ত্রকে ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছিল, তখন সব গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক দলগুলি একযোগে রক্ষা করেছিল সংবিধানকে। এদিন অধিবেশনের শুরুতেই কংগ্রেসের চার সাংসদকে গোটা বাদল অধিবেশনের জন্য সাসপেন্ড করে দেওয়া হয়। সংসদের ভিতরে প্ল্যাকার্ড হাতে নিয়ে মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে সরব হয়েছিলেন তাঁরা। স্পিকার ওম বিড়লা প্রথমে তাঁদের সতর্ক করলেও, প্রতিবাদ চালিয়ে যান তাঁরা। কংগ্রেসের ওই চার সাসপেন্ডেড সাংসদ পরে গান্ধীমূর্তির পাদদেশে বিভোক্ষ দেখান।

     

  • SC on Freebies: খয়রাতি ও জনকল্যাণমূলক প্রকল্পের মধ্যে বিভাজন রেখা প্রয়োজন, মত সুপ্রিম কোর্টের

    SC on Freebies: খয়রাতি ও জনকল্যাণমূলক প্রকল্পের মধ্যে বিভাজন রেখা প্রয়োজন, মত সুপ্রিম কোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: খয়রাতি (Freebies) ইস্যুটি জটিল। তাই খয়রাতি ও জনকল্যাণমূলক (Welfare Schemes) প্রকল্প এবং অন্য নির্বাচনী প্রতিশ্রুতির মধ্যে স্পষ্ট বিভাজন রেখা টানা প্রয়োজন। মঙ্গলবার এমনই জানাল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। প্রধান বিচারপতি এনভি রামানার নেতৃত্বে গঠিত বেঞ্চ জানান, খয়রাতির বিষয়টি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এবং এজন্য বিতর্কের প্রয়োজন।

    ক্ষমতায় আসতে প্রতিটি নির্বাচনের আগে প্রতিশ্রুতির (Election Freebies) বন্যা বইয়ে দেয় বিভিন্ন রাজনৈতিক দল। এর মধ্যে থাকে নিখরচায় নানা পরিষেবা পাইয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতিও। এ নিয়ে কটাক্ষ করেছেন খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও (PM Modi)। বিষয়টিকে ‘গুরুতর’ হিসেবে চিহ্নিত করেছে দেশের শীর্ষ আদালতও। সুপ্রিম কোর্টে দায়ের হওয়া একটি জনস্বার্থ মামলার প্রেক্ষিতে প্রধান বিচারপতি এনভি রমানার (NV Ramana) নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ সম্প্রতি তাদের পর্যবেক্ষণে বলেছে, জনকল্যাণ কর্মসূচি আর বিনামূল্যে দেওয়া এক বিষয় নয়। বিজেপি ঘনিষ্ঠ জনৈক অশ্বিনী উপাধ্যায়ের দায়ের করা জনস্বার্থ মামলার শুনানিতে প্রধান বিচারপতি বলেছিলেন, যাঁরা বিনামূল্যে পাচ্ছেন, তাঁরা তা পেতে চান। আবার অনেকে বলেন, তাঁদের করের টাকা প্রকৃত উন্নয়নমূলক কর্মসূচিতে ব্যবহার করতে হবে।

    আরও পড়ুন :খয়রাতি নয়, মর্যাদার সঙ্গে রোজগার করাই বেশি পছন্দ ভোটারদের, মত সুপ্রিম কোর্টের

    মঙ্গলবার দেশের শীর্ষ আদালতের পর্যবেক্ষণ, সব রাজনৈতিক দলই ভোটের সময় খয়রাতির প্রতিশ্রুতি দিতে চায়। তারা এ ধরনের প্রতিশ্রুতি দেয়ও। প্রধান বিচারপতি রামানা বলেন, কিছু জিনিস যেমন মেয়েদের সাইকেল কিংবা কৃষকদের গবাদি পশু দেওয়ার প্রতিশ্রুতি এগুলিকে জনকল্যাণ মূলক কাজকর্মের সংজ্ঞায় সংজ্ঞায়িত করা যায়। তিনি বলেন, এই ইস্যুতে বিতর্ক হওয়া প্রয়োজন। এবং বিষয়টি বিবেচনার জন্য সংসদে উত্থাপনের প্রয়োজন। রামানা বলেন, গ্রামাঞ্চলে গরু-ছাগল পালন মানুষের জীবিকা। তাই এগুলিকে খয়রাতি হিসেবে দেখলে চলবে না। কেউ কেউ মেয়েদের সাইকেল দেয় শিক্ষা কিংবা ব্যবসা করার উদ্দেশ্যে। প্রশ্ন হল এখানেই, কোনটা খয়রাতি, কোনওটাই বা জনকল্যাণ?  সুপ্রিম কোর্টের আরও পর্যবেক্ষণ, গ্রামের একজন গরিব মানুষের কাছে এ জাতীয় জিনিসপত্রের প্রয়োজন খুবই। এবং সেটা নিয়ে আদালতের এই ঘরের মধ্যে বিতর্ক হতে পারে না। প্রসঙ্গত, এর আগে শুনানির সময় প্রধান বিচারপতি বলেছিলেন, আমি মনে করি না ভোটাররা নিখরচায় নানা পরিষেবা পেতে চান। সুযোগ পেলে তাঁরা সম্মানজনকভাবেই রোজগার করতে চাইবেন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Sco Summit: এসসিও-র সম্মেলনে মুখোমুখি হবেন মোদি-শি জিনপিং, আলোচনা হবে সীমান্ত নিয়ে?

    Sco Summit: এসসিও-র সম্মেলনে মুখোমুখি হবেন মোদি-শি জিনপিং, আলোচনা হবে সীমান্ত নিয়ে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আগামী সেপ্টেম্বর মাসে উজবেকিস্তানের সমরখন্দে অনুষ্ঠিত হবে সাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজেশনের, সংক্ষেপে এসসিও-র (SCO) বার্ষিক সম্মেলন। এই সম্মেলনে মুখোমুখি হবেন ভারতের (India) প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi) ও চিনের (China) প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং (Xi Jinping)। সম্মেলনের ফাঁকে দুই দেশের রাষ্ট্রনেতা আলাদা করে কোনও বৈঠক করেন কি না, সেদিকেই তাকিয়ে গোটা বিশ্ব।

    চিন, পাকিস্তান, রাশিয়া, ভারত, তাজিকিস্তান, উজবেকিস্তান, কিরগিজস্তান এবং কাজাখস্তান এই আটটি দেশ সাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজেশনের পূর্ণ সদস্য। চলতি বছরের প্রথম দিনে তিন বছরের মেয়াদে এই আন্তর্জাতিক গোষ্ঠীর নয়া সেক্রেটারি নির্বাচিত হয়েছেন ঝাং মিং। তিনি জানান, সংগঠনের সম্ভাবনা ও কর্তৃত্ব বৃদ্ধির পাশাপাশি আঞ্চলিক শান্তি  স্থিতিশীলতা সুনিশ্চিত করা, দারিদ্র হ্রাস এবং খাদ্য নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করা।

    আরও পড়ুন : তাসখন্দে মুখোমুখি জয়শঙ্কর-ওয়াং ই! চলতি মাসের শেষে ফের বৈঠক চিন ও ভারতের

    এদিকে, শুক্রবারই তিন দিনের পাকিস্তান সফরে আসছেন সাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজেশনের সেক্রেটারি জেনারেল ঝাং মিং। সমরখন্দে এসসিও-র বার্ষিক সম্মেলনে পাক প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফকে আমন্ত্রণ জানাবেন তিনি। চলত বছরের ১৫ ও ১৬ সেপ্টম্বর বার্ষিক এই সম্মেলন হওয়ার কথা। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও এই সম্মেলনে যোগ দেবেন। সেখানেই মুখোমুখি হবেন মোদি এবং জিনপিং। ২০১৯ সালের ১৩ নভেম্বর ব্রাসিলিয়ায় হয় একাদশতম ব্রিকস সম্মেলন। সেখানেই মুখোমুখি হয়েছিলেন এই দুই রাষ্ট্রপ্রধান।

    চলতি মাসের ১৭ জুলাই ভারত ও চিন এই দুই দেশের সেনার কমান্ডারস্তরের দ্বিপাক্ষিক বৈঠক হয়। সেনা পর্যায়ের ওই বৈঠকগুলির পরেও পূর্ব লাদাখ সীমান্তে দুই দেশের বিবাদ সম্পূর্ণ মেটেনি। স্থায়ী সমাধান খোঁজার লক্ষ্যেই দীর্ঘ বিরতির পর ফের মুখোমুখি হয়েছিল প্রতিবেশী এই দুই দেশ। ২০২০ সালের মে মাসে দুই দেশের বিবাদ শুরু হওয়ার পর থেকে শান্তি বজায় রাখার উদ্দেশ্যে নয়াদিল্লি-বেজিং বৈঠক হয়েছে একাধিকবার। তার পরেও সমস্যা মেটেনি। তাই হয় ১৬তম বৈঠকটি। 

    আরও পড়ুন : শিলিগুড়ি করিডরের কাছে চিন! ডোকলাম সীমান্তে গ্রাম বানাচ্ছে বেজিং

    প্রসঙ্গত, ২০২০ সালে গলওয়ানে ভারত এবং চিন সেনার সংঘর্ষের পর থেকেই দুই দেশের সম্পর্ক গিয়ে ঠেকেছে তলানিতে। তার পর থেকে উত্তেজনা কমাতে চলছে দুই দেশের সেনা পর্যায়ের বৈঠক। তবে এসসিওতে দুই রাষ্ট্রপ্রধানের দেখা হওয়ার কথা। এদিকে, ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর আগামী সপ্তাহে যাচ্ছেন সমরখন্দে। ২৯ তারিখ সেখানে রয়েছে বিদেশ মন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠক।

    এসসিও সম্মেলনে ভারত ও চিন দুই দেশের রাষ্ট্রপ্রধান মুখোমুখি হবেন বলেই সূত্রের খবর। কারণ জিনপিং অল পাওয়ারফুল সেন্ট্রাল মিলিটারি কমিশনের চেয়ারম্যান। সেখানে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর সমস্যা নিয়ে তাঁদের মধ্যে কী আলোচনা হয়, সেটাই দেখার।

     

  • Sonia Gandhi: সোনিয়াকে টানা ছ’ ঘন্টা জেরা ইডির, ফের তলব বুধে   

    Sonia Gandhi: সোনিয়াকে টানা ছ’ ঘন্টা জেরা ইডির, ফের তলব বুধে   

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলায় (National Herald Case) আজ, বুধবার ফের ইডি (ED) দফতরে তলব  করা হয়েছে কংগ্রেসের (Congress) অন্তর্বর্তীকালীন সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধিকে (Sonia Gandhi)। এনিয়ে মোট তিনবার তলব করা হল কংগ্রেসের প্রবীণ নেত্রীকে। এর আগে মঙ্গলবারও ইডি দফতরে হাজিরা দিয়েছিলেন সোনিয়া। এদিন ঘণ্টা ছয়েক ধরে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় বর্ষীয়ান নেত্রীকে। সূত্রের খবর, সোনিয়ার জবাবে সন্তুষ্ট নন ইডি কর্তারা। সেই কারণেই ফের মঙ্গলবার তলব করা হয় তাঁকে।

    এদিন সকাল ১১টা নাগাদ মেয়ে প্রিয়ঙ্কা ও ছেলে রাহুলকে নিয়ে ইডি দফতরে হাজির হন সোনিয়া। মায়ের স্বাস্থ্যের কথা ভেবে জিজ্ঞাসাবাদের পুরো সময়টাই ইডির দফতরে বসেছিলেন প্রিয়ঙ্কা গান্ধী বঢরা। আর ইডির দফতরে তলবের প্রতিবাদে কংগ্রেসের তরফে আয়োজিত বিক্ষোভ মিছিলে যোগ দেন রাহুল। সেখানে তাঁকে আটক করে দিল্লি পুলিশ। জানা গিয়েছে, এদিন ন্যাশনাল হেরাল্ড সংবাদপত্র ও ইয়ং ইন্ডিয়ান প্রাইভেট লিমিটেডের সঙ্গে কংগ্রেস নেত্রী কতটা জড়িত, তা নিয়ে নানা প্রশ্ন করা হয়। ইডি সূত্রে খবর, এর মধ্যে তিনি প্রায় ৩০টি প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন। এদিন প্রথমে টানা আড়াই ঘণ্টা জেরা করা হয় কংগ্রেস নেত্রীকে। মাঝে মধ্যাহ্নভোজের জন্য ৯০ মিনিটের বিরতি দেওয়া হয়। দুপুর থেকে ফের শুরু হয় জেরা। চলে সন্ধে সাতটা পর্যন্ত।

    আরও পড়ুন : ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলায় ম্যারাথন জেরা রাহুলকে, আজ ফের তলব

    ইডির অ্যাডিশনাল ডিরেক্টর মণিকা শর্মার নেতৃত্বেই এদিন জেরা করা হয় সোনিয়াকে। কীভাবে ন্যাশনাল হেরাল্ড সংবাদপত্র চালানো হত, কোথা থেকে সংবাদপত্র চালানোর টাকা আসত, কারা কারা এই কাজের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন, সোনিয়া এবং রাহুল ন্যাশনাল হেরাল্ডের সঙ্গে কতটা যুক্ত ছিলেন এসব বিষয়ে কংগ্রেস নেত্রীকে একাধিক প্রশ্ন করা হয়। সূত্রের খবর, এদিন সোনিয়া প্রয়াত কংগ্রেস নেতা মতিলাল ভোরার নাম নেন। তাঁর দাবি, কেবল দলের পূর্বতন কোষাধ্যক্ষ মতিলাল ভোরা এই লেনদেনের বিষয়টি জানতেন। জানা গিয়েছে, ইয়ং ইন্ডিয়া কংগ্রেসকে মাত্র ৫০ লক্ষ টাকা দিয়েছে। যদিও ডোটেক্স মার্চেন্ডাইজ প্রাইভেট লিমিটেডের কাছে এক কোটি টাকা নেওয়া হয়েছিল। এই ডোটেক্স মার্চেন্ডাইজ কলকাতার কোনও একটি কোম্পানি বলে ইডি সূত্রে খবর।  এদিকে, ইডি সূত্রে খবর, সোনিয়ার বয়ানের সঙ্গে রাহুলের বয়ানের ফারাক কতটা, মিল-ই বা কোথায় তা যাচাই করবেন ইডি কর্তারা। প্রসঙ্গত, এই মামলায় সোনিয়ার আগে রাহুলকে বার ছয়েক তলব করেছিল ইডি। তাঁকে পঞ্চাশ ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে জেরা করেন ইডির আধিকারিকরা।  

    আরও পড়ুন : আজ মানিক ভট্টাচার্যকে তলব ইডি-র, পার্থ-অর্পিতার মুখোমুখি বসিয়ে জেরা?

  • Maharastra Crisis: শিবসেনা কার? উদ্ধব, শিন্ডেকে তথ্যপ্রমাণ জমা দেওয়ার নির্দেশ নির্বাচন কমিশনের

    Maharastra Crisis: শিবসেনা কার? উদ্ধব, শিন্ডেকে তথ্যপ্রমাণ জমা দেওয়ার নির্দেশ নির্বাচন কমিশনের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মহারাষ্ট্রে (Maharastra) পতন হয়েছে উদ্ধব ঠাকরে (Uddhav Thackeray) সরকারের। ক্ষমতায় এসেছে একনাথ শিন্ডে (Eknath Shinde) সরকার। দু পক্ষই আসল শিবসেনা বলে দাবি করেছে। শিবসেনার রাশ কার হাতে থাকবে তা প্রমাণ করতে উদ্ধব ঠাকরে ও একনাথ শিন্ডেকে উপযুক্ত তথ্যপ্রমাণ জমা দেওয়ার নির্দেশ দিল নির্বাচন কমিশন। ৮ আগস্টের মধ্যে এই তথ্যপ্রমাণ জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তার পরেই শুরু হবে শুনানি।

    শিবসেনা, কংগ্রেস এবং এনসিপিকে নিয়ে গড়া মহা বিকাশ আগাড়ি জোট থেকে বেরিয়ে বিজেপির সঙ্গে গাঁটছড়া বেঁধে সরকার চালানোর ইচ্ছে প্রকাশ করেন শিবসেনা নেতা একনাথ শিন্ডে। তা নিয়েই তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরের সঙ্গে বিরোধ বাঁধে একনাথ শিন্ডের। বিরোধের জল এতদূর গড়ায় যে পরে অনুগামী বিধায়কদের নিয়ে প্রথমে গুজরাটের সুরাট ও পরে আসামের গুয়াহাটিতে পৌঁছে যান শিন্ডে। পরে বিজেপির সঙ্গে হাত মিলিয়ে সরকার গড়েন শিন্ডে। পতন হয় ঠাকরে মন্ত্রিসভার।

    আরও পড়ুন : বিজেপির সঙ্গে জোট গড়তে মোদির সঙ্গে কথা বলেছিলেন উদ্ধব ঠাকরে নিজে!

    এর পরেই শিন্ডে শিবির দাবি করে তারাই আসল শিবসেনা। এদিকে, মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরেও জানান, তাঁর বাবার তৈরি দলের নাম বা প্রতীক ব্যবহারের অধিকার অন্য কারও নেই। শিবসেনার রাশ নিজের হাতে রাখতে নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হন ঠাকরে। পাল্টা চিঠি লিখে শিন্ডেও জানান, বিধানসভায় শিবসেনার ৫৬ জন বিধায়কের মধ্যে ৪০ জনেরই সমর্থন রয়েছে তাঁর দিকে। লোকসভার ১৮ জন সাংসদের ১২ জনও তাঁর সঙ্গেই রয়েছেন বলেও দাবি করেন শিন্ডে।

    আরও পড়ুন : মহারাষ্ট্র মামলা বৃহত্তর বেঞ্চে পাঠাল সুপ্রিম কোর্ট, পরবর্তী শুনানি ১ অগাস্ট

    দু পক্ষের এই দাবি ও পাল্টা দাবির প্রেক্ষিতে নির্বাচন কমিশনের তরফে জানানো হয়, দুই শিবিরকেই ৮ আগস্টের মধ্যে তথ্যপ্রমাণ জমা দিতে হবে। একই সঙ্গে লিখিত বিবৃতি দিয়ে বিস্তারিত জানাতে হবে দলের অন্দরে এই যে বিবাদ, যার জেরে ৪০ বিধায়ককে নিয়ে শিন্ডের আলাদা হয়ে যাওয়া এবং বিজেপির সঙ্গে হাত মিলিয়ে সরকার গঠন করা নিয়ে তাঁদের কী মতামত রয়েছে।

    নির্বাচন কমিশনের তরফে পাঠানো নোটিশে বলা হয়েছে, এটা প্রমাণিত যে শিবসেনার অন্দরে বিভেদ তৈরি হয়েছে। একটি অংশের নেতৃত্ব দিচ্ছেন একনাথ শিন্ডে, অন্য অংশের নেতৃত্বে রয়েছেন উদ্ধব ঠাকরে। দুই অংশেরই দাবি, তারাই আসল শিবসেনা এবং তাদের নেতা দলের সভাপতি। দুই বিরোধী গোষ্ঠীর দাবিকে সমান গুরুত্ব দিয়ে বিচার বিশ্লেষণ করতে দু পক্ষকেই লিখিত বিবরণ দিতে বলা হয়েছে।

     

  • Sri Lanka crisis: : আমি রাজাপক্ষের বন্ধু নই, জনগণের বন্ধু, শপথ নিয়েই বললেন শ্রীলঙ্কার নয়া রাষ্ট্রপতি

    Sri Lanka crisis: : আমি রাজাপক্ষের বন্ধু নই, জনগণের বন্ধু, শপথ নিয়েই বললেন শ্রীলঙ্কার নয়া রাষ্ট্রপতি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আমি রাজাপক্ষের (Rajapaksas) বন্ধু নই, জনগণের বন্ধু। শ্রীলঙ্কার (Sri Lanka) রাষ্ট্রপতি (President) পদে শপথ নিয়েই একথা বললেন রনিল বিক্রমসিংহে (Ranil Wickremesinghe)। দেশে যাঁরা সমস্যার সৃষ্টি করবেন, তাঁদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাসও দিলেন দ্বীপরাষ্ট্রের নয়া প্রেসিডেন্ট।

    চিনা ঋণের ফাঁদে পড়ে দেউলিয়া হয়ে গিয়েছে শ্রীলঙ্কা। বিদেশি মুদ্রার ভাঁড়ার তলানিতে। যার জেরে বন্ধ আমদানি। জ্বালানির অভাবে প্রতিদিন প্রায় ১৩ ঘণ্টা করে করতে হচ্ছে লোডশেডিং। দ্রব্যমূল্যও আকাশ ছোঁয়া। পাহাড় প্রমাণ সমস্যার সামনে দাঁড়িয়ে প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপক্ষের পদত্যাগের দাবিতে বিক্ষোভ দেখায় ক্ষুব্ধ জনতা। এক সময় জনগণ গিয়ে দখল নিয়ে নেয় প্রেসিডেন্ট ভবন সহ নানা সরকারি অফিসের। জনরোষ আছড়ে পড়তে পারে ভেবে তার আগেই রাতের অন্ধকারে স্ত্রীকে নিয়ে শ্রীলঙ্কা ছেড়ে পালান প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি। মালদ্বীপ হয়ে আপাতত তিনি সিঙ্গাপুরে রয়েছেন বলে সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর।

    আরও পড়ুন : শ্রীলঙ্কায় বিপুল ভোটে রাষ্ট্রপতি পদে জয়ী রনিল বিক্রমসিংহে

    এদিকে, বুধবার শ্রীলঙ্কায় নয়া রাষ্ট্রপতি নির্বাচন হয়। বিপুল ভোটে জয়ী হন দেশের ছ বারের প্রধানমন্ত্রী রনিল বিক্রমসিংহে। রাষ্ট্রপতি পদে শপথও নেন তিনি। তার পরেই রাষ্ট্রপতি ভবনের বাইরে গিয়ে বিক্ষোভ দেখাতে থাকে উত্তেজিত জনতা। তারা গো ব্যাক রনিল স্লোগানও দিতে থাকে। বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ, রনিল প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি গোতাবায়া রাজাপক্ষের ঘনিষ্ঠ। প্রতিবাদীদের এহেন অভিযোগের ভিত্তিতে বিক্রমসিংহে বলেন, আমি রাজাপক্ষের বন্ধু নই, আমি জনগণের বন্ধু।

    আরও পড়ুন : শ্রীলঙ্কা ছেড়ে মালদ্বীপ পালালেন রাষ্ট্রপতি, দায়িত্বে রনিল বিক্রমসিংহে, জরুরি অবস্থা জারি

    এদিন শপথ নেওয়ার পরেই নয়া রাষ্ট্রপতি চলে যান কলম্বোর একটি বৌদ্ধ মন্দিরে। সেখানেই তিনি জানান, যাঁরা সমস্যার সৃষ্টি করবেন, তাঁদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বিক্রমসিংহে বলেন, যদি আপনারা সরকার ফেলে দেওয়ার চেষ্টা করেন, রাষ্ট্রপতি ভবন, প্রধানমন্ত্রীর অফিস দখল করার চেষ্টা করেন, সেটা গণতন্ত্র নয়। এটা আইন বিরুদ্ধ। তিনি বলেন, এসবের বিরুদ্ধে আমরা আইনানুগ ব্যবস্থা নেব। অল্প কিছু লোক দেশের সিংহভাগ মানুষের স্বপ্ন ভেঙে চুরমার করে দেবে, সেটা আমরা মেনে নেব না।

    রাষ্ট্রপতি পদে শপথ নেওয়ার পর পুলিশ ও সেনাবাহিনীর কর্তাদের সঙ্গেও সাক্ষাৎ করেন নয়া রাষ্ট্রপতি। এদিকে, এদিনও ফের একবার শ্রীলঙ্কাবাসীর পাশে থাকার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে ভারতের তরফে। ইতিমধ্যেই শ্রীলঙ্কার সমস্যা কাটিয়ে উঠতে সে দেশের পাশে দাঁড়িয়েছে মোদির ভারত।

     

  • Nitish Kumar: বদলাল পোস্টারের ভাষা, প্রকট নীতীশের কোন সুপ্ত বাসনা?  

    Nitish Kumar: বদলাল পোস্টারের ভাষা, প্রকট নীতীশের কোন সুপ্ত বাসনা?  

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২০২৪ সালে লোকসভা নির্বাচন (Lok Sabha Poll 2024)। সলতে পাকানোর কাজ শুরু করে দিয়েছেন বিরোধীরা। ওই নির্বাচনেও বিজেপির (BJP) তুরুপের তাস হতে চলেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। তাঁকে মাত দিতে উঠে পড়ে লেগেছেন বিরোধীরা। সম্প্রতি সামনে এসেছে বেশ কিছু পোস্টার। যে পোস্টারগুলিতে প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী হিসেবে তুলে ধরা হচ্ছে বিহারের (Bihar) মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারকে (Nitish Kumar)।

    সম্প্রতি বিজেপি সঙ্গ ছেড়ে কংগ্রেস এবং আরজেডির সঙ্গে জোট গড়ে সরকার গড়েছেন নীতীশ কুমার। উপমুখ্যমন্ত্রী হয়েছেন আরজেডি নেতা লালু প্রসাদ যাদবের ছেলে তেজস্বী। তার পরেই জল্পনা ছড়ায়, ২০২৪ সালে বিজেপি বিরোধী শিবিরের প্রধানমন্ত্রী হবেন বলেই বিজেপি সঙ্গ ছেড়েছেন নীতীশ। এতদিন এসব জল্পনার স্তরেই ছিল। তবে সম্প্রতি কিছু পোস্টার প্রকাশ্যে এসেছে। ২০২০ সালে পোস্টারে লেখা ছিল নীতীশই সব। বিচার এবং বিকাশ, আইন এবং শৃঙ্খলা। দিন কয়েক আগে প্রকাশ্যে এসেছে রাজ্যে যা দেখা গিয়েছে, সেই দৃশ্য দেখা যাবে গোটা দেশে। নীতীশের দল জনতা দল ইউনাইটেডের এই পোস্টারের পরেই জল্পনা ছড়িয়েছে, তাহলে কি নীতীশই হচ্ছেন বিরোধী শিবিরের প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী?

    দিন দুয়েক আগেই নীতীশের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে এসেছিলেন তেলঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী কেসিআর। দুই মুখ্যমন্ত্রীর এই বৈঠকের ভিডিও ভাইরালও হয়েছে। ওই ভিডিওর কথোপকথন থেকেও এটা স্পষ্ট হয়েছে, যে নীতিশই হতে চলেছেন বিজেপি বিরোধী শিবিরের প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী। সম্প্রতি জনতা দল ইউনাইটেডের তরফে যে নয়া স্লোগান পোস্টারে লেখা হয়েছে, সেগুলি হল, ইয়ার্কি (Jokes) নয়, বাস্তব, মনের নয়, কিন্তু কাজের, কেবল আশ্বাস নয়, কিন্তু সুশাসন। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, ক্ষমতায় আসার আগে বিজেপি ১৫ লক্ষ করে টাকা দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছিল। পোস্টারে ‘জুমলা’ শব্দ ব্যবহার করে নীতীশের দল তাকেই কটাক্ষ করছে। 

    আরও পড়ুন : বিহারে নীতীশ মন্ত্রিসভার ৭২ শতাংশ মন্ত্রীই দুর্নীতিগ্রস্ত!

    দিন কয়েক আগেও যখন বিজেপির সঙ্গে সখ্যতা ছিল নীতীশের, তখনও পোস্টারে প্রকাশ পেত রাজ্যকে নিয়ে তাঁর ভাবনাচিন্তার কথা। একটি পোস্টারে লেখা ছিল, প্রকৃতি তোমার প্রয়োজন পূরণ করবে, তোমার লোভ নয়। অন্য একটি পোস্টারে লেখা ছিল, সেবাই ধর্ম। সেই নীতীশেরই এহেন ভোল বদলে বিহারের মুখ্যমন্ত্রী দিল্লি যাওয়ার প্রস্তুতি শুরু করেছেন বলেই ধারণা রাজনৈতিক মহলের।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Maharashtra: আসল শিবসেনা প্রমাণ করতে নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হচ্ছেন শিন্ডে?

    Maharashtra: আসল শিবসেনা প্রমাণ করতে নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হচ্ছেন শিন্ডে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিজেদের আসল শিবসেনা (Shiv Sena) প্রমাণ করতে নির্বাচন কমিশনের (Election Commission) দ্বারস্থ হতে চলেছেন মহারাষ্ট্রের (Maharasthra) মুখ্যমন্ত্রী শিবসেনার একনাথ শিন্ডে (Eknath Shinde)। এদিনই নিজেদের প্রকৃত শিবসেনার তকমা আদায় করতে কমিশনের দ্বারস্থ হতে চলেছেন তিনি।

    বিজেপির সঙ্গে জোট বেঁধে সরকার গঠন নিয়ে বিরোধের জেরে অনুগত বিধায়কদের নিয়ে আসাম উড়ে যান শিবসেনার বিদ্রোহী নেতা একনাথ শিন্ডে। পরে বিজেপির সঙ্গে জোট গড়ে সরকার গড়েন শিন্ডে। মুখ্যমন্ত্রী হন শিন্ডে স্বয়ং। উপমুখ্যমন্ত্রী হন বিজেপির দেবেন্দ্র ফড়নবিশ। শিন্ডের দাবি, তাঁর সঙ্গেই রয়েছেন প্রায় ৪০ জন বিধায়ক। মহারাষ্ট্র বিধানসভায় শিবসেনার সদস্য সংখ্যা ৫৬। তার সিংহভাগই রয়েছেন শিন্ডে শিবিরে। বাকিরা এখনও রয়েছেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরের দলে।    

    আরও পড়ুন : বালাসাহেবের হিন্দুত্বের পথেই চলবে শিবসেনা, জানিয়ে দিলেন শিন্ডে

    সম্প্রতি উদ্ধবের গড়া এক্সিকিউটিভ কমিটি ভেঙে দিয়েছেন শিন্ডে। তিনি নিজে ন্যাশনেল এক্সিকিউটিভ কমিটির গঠন করেছেন। কমিটির মাথায় উদ্ধবকে রাখা হলেও, কমিটির প্রধান মুখপাত্র করা হয়েছে শিবসেনা বিধায়ক দীপক কেশরকরকে। নয়া গঠিত এই কমিটি সংক্রান্ত রেজলিউশন নির্বাচন কমিশনের দফতরে পেশ করতে চলেছে শিন্ডে শিবির। কেবল তাই নয়, শিন্ডে স্বয়ং দ্বিতীয় বারের জন্য বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে চলেছেন। এদিকে, মহারাষ্ট্রের সাম্প্রতিক রাজনৈতিক সমস্যা এবং শিবসেনা, কংগ্রেস এবং এনসিপির মহাবিকাশ আগাড়ি জোট সরকারের পতন সংক্রান্ত মামলার শুনানি হবে সুপ্রিম কোর্টে। বুধবার দেশের শীর্ষ আদালতের তিন বিচারপতির বেঞ্চে হবে ওই মামলার শুনানি। এই তিন বিচারপতির বেঞ্চের নেতৃত্বে রয়েছেন সিজেআই এনভি রামানা। তাঁর সঙ্গে থাকছেন বিচারপতি কৃষ্ণ মুরারি এবং হিমা কোহলি।

    আরও পড়ুন : ‘যাঁরা যেতে চাইছেন যান, নতুন শিবসেনা গড়ব’, হুঁশিয়ারি উদ্ধবের

    উদ্ধব সরকারের পতনের পরে পরেই শিন্ডে শিবির  নিজেদের দাবি করেছে তারাই আসল শিবসেনা। যদিও শিন্ডের দাবি, শিবসেনার বর্ষীয়ান নেতারাও রয়েছেন মুখ্যমন্ত্রীর শিবিরে। শিন্ডে বলেন, সিংহভাগ মানুষ, আমি বলছি না হাজার হাজার, এঁদের মধ্যে অফিস বেয়ারার, ওয়ার্কার্স, এবং জনপ্রতিনিধি আমাদের সঙ্গে নিয়মিত সম্পর্ক রেখে চলেছেন। নয়া রাজ্য সরকারের ওপর তাঁদের বিশ্বাসও রয়েছে। কারণ আমরা বালাসাহেবের আদর্শ মেনেই চলছি। শিবসেনা বিজেপি মেলবন্ধনও ঘটিয়েছি আমরাই।

  • Draupadi Murmu: রাইসিনা হিলসের দৌড়ে এগিয়ে দ্রৌপদী, যোজন পিছিয়ে যশবন্ত

    Draupadi Murmu: রাইসিনা হিলসের দৌড়ে এগিয়ে দ্রৌপদী, যোজন পিছিয়ে যশবন্ত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাষ্ট্রপতি ভবনের দৌড়ে এগিয়ে এনডিএ (NDA) প্রার্থী বিজেপির (BJP) দ্রৌপদী(Draupadi Murmu)। সোমবার হয়েছে ভোট। মূল লড়াই হয়েছে এনডিএ প্রার্থী দ্রৌপদীর সঙ্গে বিজেপি বিরোধী প্রার্থী যশবন্ত সিনহার (Yashwant Sinha)। ভোটের পরেই স্পষ্ট রাইসিনা হিলসের দৌড়ে এগিয়ে দ্রৌপদীই, যশবন্ত নয়।

    ইতিমধ্যেই ব্যালট বাক্স চলে গিয়েছে দিল্লিতে। ভোট গণনা হবে ২১ জুলাই। যিনি জয়ী হবেন, তিনি শপথ নেবেন ২৫ তারিখে। বর্তমান রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ অবসর নেবেন ২৪ তারিখে। এদিকে, নির্বাচন কমিশনের তরফে জানানো হয়েছে, সংসদের ৭৭১ জন সদস্য ভোট দিতে পারেন। আর বিধানসভার ৪০২৫ জন ভোট দিতে পারেন। এঁদের মধ্যে ইতিমধ্যেই ভোট দিয়েছেন ৯৯ শতাংশ ভোটার।

    আরও পড়ুন : দ্রৌপদী মুর্মুকে সমর্থন করতে বাধ্য হয়েছেন উদ্ধব, তোপ যশবন্তের

    রাষ্ট্রপতি পদে কাকে সমর্থন করা হবে, তা নিয়ে বিরোধী শিবিরে ফাটল ধরেছিল আগেই। সেই ফাটল চওড়া হল নির্বাচনের দিন। ক্রশ ভোটিং ঠেকাতে পারলেন না বিরোধী শিবির। এনসিপি ও কংগ্রেসের দুজন করে বিধায়ক বিজেপি বিরোধী প্রার্থী যশবন্ত সিনহাকে ভোট না দিয়ে দিয়েছেন দ্রৌপদীকে। জানা গিয়েছে, ঝাড়খণ্ড ও গুজরাটের দুই এনসিপি বিধায়ক ও হরিয়ানা এবং ওড়িশার দুই কংগ্রেস বিধায়ক ভোট দিয়েছেন দ্রৌপদীকে। গুজরাটের একমাত্র এনসিপি বিধায়ক কান্ধাল জাদেজাও ভোট দিয়েছেন দ্রৌপদীকে। বিধানসভা থেকে বেরিয়ে সেকথা ঘোষণাও করলেন তিনি। যদিও তাঁর এই স্বীকারোক্তির পরে পরেই দলের তরফে শোকজ করা হয় জাদেজাকে। দ্রৌপদীকে ভোট দেওয়ার বিষয়ে সাফাই দিতে গিয়ে জাজেদা বলেন, আমাকে গুজরাটে থাকতে হয়। আমার নির্বাচনী এলাকার উন্নয়নের কথা মাথায় রাখতে হয়। তাই ভোটিংয়ের সময় স্বার্থপর হতে পারিনি।

    আরও পড়ুন : পাঁচ বছরের মেয়াদে রাষ্ট্রপতি কোবিন্দ আটকে দিয়েছেন রাজ্যের ৩ বিল, স্বাক্ষর করেছেন ১৫৯টিতে

    রাঁচিতে ঝাড়খণ্ডের একমাত্র এনসিপি বিধায়ক কমলেশ সিং বিধানসভা থেকে বেরিয়ে তিনিও ঘোষণা করেন যশবন্ত নন, তিনি ভোট দিয়েছেন দ্রৌপদীকে। বলেন, দ্রৌপদী মুর্মু ঝাড়খণ্ডের মানুষের জন্য কাজ করেছেন। আমার সঙ্গে ব্যক্তিগত সম্পর্কও ভাল। তাছাড়া আমার নির্বাচনী এলাকায় ন’ হাজারের মতো আদিবাসী ভোটার রয়েছেন। ওড়িশার কংগ্রেস বিধায়ক মহম্মদ মোকিমও ভোট দিয়েছেন দ্রৌপদীকে। তাঁর দাবি, দ্রৌপদী ওড়িশার ভূমিপুত্র। আমি একজন ওড়িয়া। তাই বিবেকের কথা শুনে দ্রৌপদীকে ভোট দিয়েছি। অন্তরাত্মার কথা শুনতে বিধায়কদের বাধা দেওয়া যাবে না। বিবেকের কথা শুনে ক্রশ ভোটিং করেছেন হরিয়ানার কংগ্রেস বিধায়ক কুলদীপ বিষ্ণোই। বিরোধী প্রার্থী যশোবন্তকে ভোট না দিয়ে, তিনি ভোট দিয়েছেন এনডিএর দ্রৌপদীকে। তিনি বলেন, অন্তরাত্মার কথা শুনে ভোট দিয়েছি আমিও।

    একাধিক বিধায়কের এই ‘অন্তরাত্মা’র ডাকেই রাইসিনা হিলসের দৌড়ে এগিয়ে গিয়েছেন দ্রৌপদী।

     

     

LinkedIn
Share