Author: Krishnendu Bakshi

  • PM Modi: দোরগোড়ায় লোকসভা নির্বাচন, দলীয় বৈঠকে জয়ের মন্ত্রদীক্ষা দেবেন প্রধানমন্ত্রী

    PM Modi: দোরগোড়ায় লোকসভা নির্বাচন, দলীয় বৈঠকে জয়ের মন্ত্রদীক্ষা দেবেন প্রধানমন্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দোরগোড়ায় লোকসভা নির্বাচন। চারশোর বেশি আসন নিয়ে ক্ষমতায় ফিরতে চাইছে বিজেপি। এজন্য চাই নয়া মন্ত্র। ১৮ ফেব্রুয়ারি এই মন্ত্রদীক্ষাই দেবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। এদিন দিল্লিতে বিজেপির ন্যাশনাল এক্সিকিউটিভ ও ন্যাশনাল কাউন্সিলে ভাষণ দেবেন তিনি। সেখানেই দলীয় কর্মীদের নির্বাচনে জয়ের মন্ত্র দেবেন প্রধানমন্ত্রী।

    কারা থাকবেন বৈঠকে

    বিজেপির ন্যাশনাল এক্সিকিউটিভ ও ন্যাশনাল কাউন্সিলের বৈঠক হবে ফেব্রুয়ারির ১৭ ও ১৮ তারিখে। এই বৈঠকে দেশের কয়েক হাজার নেতা উপস্থিত থাকবেন। ন্যাশনাল এক্সিকিউটিভ কমিটি এবং ন্যাশনাল কাউন্সিলের সদস্যদের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। দু’ দিনের এই বৈঠকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে বিজেপির রাজ্য ও লোকসভার সদস্য, বিধায়ক, লেজিসলেটিভ কাউন্সিল মেম্বার এবং পূর্বতন সাংসদদেরও। বৈঠকে যোগ দেবেন বিভিন্ন ক্ষেত্রের জাতীয় আধিকারিকরাও। রাজ্য বিজেপির আধিকারিক, কোর কমিটির সদস্য, শৃঙ্খলা কমিটি, ফিনান্স কমিটি এবং (PM Modi) ইলেকশন কমিটির সদস্যদেরও আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে এই বৈঠকে।

    আরও পড়ুুন: ঘোড়া কেনাবেচার আশঙ্কা, তিন দিনের মধ্যেই শক্তি পরীক্ষা দেবে চম্পাই সরকার

    লোকসভা ক্লাস্টার ইন-চার্জ, লোকসভা কোঅর্ডিনেটর এবং লোকসভা আহ্বায়কদেরও আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে জাতীয় মুখপাত্র, স্টেট চিফ স্পোকপার্সন, স্টেট মিডিয়া কোঅর্ডিনেটর, সোশ্যাল মিডিয়া কোঅর্ডিনেটর এবং আইটি কো-অর্ডিনেটরদেরও। দু’ দিনের এই বৈঠকে উপস্থিত থাকবেন বিভিন্ন দফতরের আঞ্চলিক কো-অর্ডিনেটর, জেলা সভাপতি, মেয়র, মিউনিসিপ্যাল চেয়ারপার্সন, মিউনিসিপ্যাল কাউন্সিল এবং মিউনিসিপ্যাল পঞ্চায়েতের সদস্যরাও।

    জানা গিয়েছে, সব মিলিয়ে ১০ হাজার পদাধিকারী অংশ নেবেন দু’ দিনের এই বৈঠকে। এঁদের উপস্থিতিতেই সুর বেঁধে দেওয়া হবে লোকসভা নির্বাচনের প্রচারের। রাম মন্দির নির্মাণ, কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা লোপ, এসবই হবে বিজেপির তুরুপের তাস। তার পরেও কীভাবে প্রচার চালিয়ে চারশোর গণ্ডী পূর্ণ করা যাবে, সেই মন্ত্রও দেবেন প্রধানমন্ত্রী স্বয়ং। তবে মন্ত্রদীক্ষায় তিনি (PM Modi) ঠিক কী বলেন, সে দিকেই তাকিয়ে বিজেপির ভোট ম্যানেজাররা।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • Jharkhand: ঘোড়া কেনাবেচার আশঙ্কা, তিন দিনের মধ্যেই শক্তি পরীক্ষা দেবে চম্পাই সরকার

    Jharkhand: ঘোড়া কেনাবেচার আশঙ্কা, তিন দিনের মধ্যেই শক্তি পরীক্ষা দেবে চম্পাই সরকার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণের জন্য সময় দেওয়া হয়েছিল ১০ দিন। তবে তার আগেই আস্থাভোটের মাধ্যমে বিধানসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠতার প্রমাণ দিতে প্রস্তুত ঝাড়খণ্ডের (Jharkhand) মহাগটবন্ধনের সরকার। জেএমএম নেতৃত্বাধীন মহাগটবন্ধন সরকারের মন্ত্রিসভার প্রথম বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে, তিন দিনের মধ্যেই আস্থাভোটের মাধ্যমে বিধানসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠতার প্রমাণ দেওয়া হবে। প্রসঙ্গত, গত শুক্রবার ৪৩ জন বিধায়কের সমর্থন নিয়ে ঝাড়খণ্ডের নয়া মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন জেএমএম নেতা চম্পাই সোরেন।

    চম্পাইয়ের শক্তি

    বুধবারই ইডির হাতে গ্রেফতার হন ঝাড়খণ্ডের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন। তার পরেই মুখ্যমন্ত্রীর কুর্সিতে বসেন চম্পাই। শাসক দলের বিধায়কদের সকলেই তাঁকে সমর্থন দেওয়ার কথা জানান। সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণের জন্য চম্পাই সরকারকে ১০ দিন সময় দেন রাজ্যপাল সিপি রাধাকৃষ্ণণ। ঝাড়খণ্ড বিধানসভার আসন সংখ্যা ৮১। ম্যাজিক ফিগার ৪১। শাসক জোটের পক্ষে রয়েছেন ৪৮ জন বিধায়ক। এর মধ্যে জেএমএমের বিধায়ক সংখ্যা ২৯, কংগ্রেসের ১৬, আরজেডির ১ এবং সিপিআই (লিবারেশন) ১। এই মুহূর্তে চম্পাইয়ের সঙ্গে রয়েছেন ৪৩ জন বিধায়ক। চারজনের খোঁজ মেলেনি।

    বিরোধী শিবিরে কারা

    আর বিরোধী শিবিরে রয়েছেন ৩২ জন। এঁদের মধ্যে বিজেপির ২৫ জন, আজসুর ৩ জন, এনসিপি (অজিত) ১ এবং নির্দল ৩ জন। যেহেতু আস্থাভোটের জন্য (Jharkhand) রাজ্যপাল ১০ দিন সময় দিয়েছেন, তাই ঘোড়া কেনাবেচার আশঙ্কা করছেন জেএমএম নেতৃত্ব। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, সেই কারণেই তিন দিনের মধ্যেই আস্থাভোটে অংশ নিতে চাইছে মহাগটবন্ধনের সরকার।

    আরও পড়ুুন: আড়াল থেকে কলকাঠি নাড়তেন! আদালতে পার্থর পর্দাফাঁস করল সিবিআই

    প্রসঙ্গত, বিধায়ক কেনাবেচার আশঙ্কা থেকেই শুক্রবার মহাগটবন্ধনের ৪০ জন বিধায়ককে কংগ্রেসশাসিত তেলঙ্গনায় উড়িয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। কড়া প্রহরায় হায়দরাবাদের একটি রিসর্টে রাখা হয়েছে তাঁদের। এদিকে, বিধানসভার আস্থাভোটে হেমন্ত অংশ নিতে পারবেন বলে জানিয়ে দিল রাঁচি আদালত। শনিবার ঝাড়খণ্ডের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীকে এই অনুমতি দিয়েছে আদালত।

    প্রসঙ্গত, জমি জালিয়াতি মামলায় হেমন্তকে গ্রেফতার করেছে ইডি। বুধবার দুপুর থেকে প্রায় সাত ঘণ্টা ধরে হেমন্তের রাঁচির বাড়িতে তল্লাশি চালানো হয়। রাতে গ্রেফতার করা হয় তাঁকে। গ্রেফতারি আশঙ্কা করেই রাজভবনে গিয়ে ইস্তফা দেন তিনি (Jharkhand)।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

     

  • Lal Krishna Advani: ভারতরত্ন পেয়ে কী প্রতিক্রিয়া জানালেন আডবাণী জানেন?

    Lal Krishna Advani: ভারতরত্ন পেয়ে কী প্রতিক্রিয়া জানালেন আডবাণী জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেক্স: ভারতরত্নে ভূষিত হয়েছেন প্রাক্তন উপপ্রধানমন্ত্রী লালকৃষ্ণ আডবাণী (Lal Krishna Advani)। শনিবারই এ খবর জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। দেশের সর্বোচ্চ নাগরিক সম্মানে ভূষিত হয়ে প্রতিক্রিয়া দিলেন প্রবীণ বিজেপি নেতা আডবাণী। নবতিপর এই নেতা প্রকাশ করলেন কৃতজ্ঞতা।

    কী বললেন আডবাণী?

    ভারতরত্ন পাচ্ছেন শুনে আদবানি বলেন, “রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু ও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে আন্তরিক ধন্যবাদ। যেদিন থেকে আরএসএসে যোগদান করেছি, আমি কেবলমাত্র দেশের প্রতি নিজের আত্মত্যাগের জন্যই পুরস্কার চেয়েছিলাম। প্রিয় দেশের জন্য যা যা প্রয়োজন, আমি করেছি। এটা কেবলমাত্র একটি পুরস্কার নয়, যে নীতি ও আদর্শকে আমি বহন করি, সেটির সম্মান।” এদিন হাতজোড় করে সকলকে ধন্যবাদ জানান আডবাণী। পাশে ছিলেন তাঁর পরিবারের সদস্যরা। আডবাণীর মেয়ে প্রতিভা বলেন, “আমাদের পরিবার খুব খুশি। আজ মাকে খুব মিস করছি। ওঁর জীবনে মায়ের ভূমিকা অনস্বীকার্য। খবরটা শুনে উনি খুব খুশি হয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও দেশের সকলকে উনি করজোড়ে ধন্যবাদ জানিয়েছেন। জীবন সায়াহ্নে এসে দেশের সর্বোচ্চ নাগরিক সম্মান পেয়ে অত্যন্ত কৃতজ্ঞ তিনি।”

    রাজনাথ সিংহের প্রতিক্রিয়া

    আডবাণীকে (Lal Krishna Advani) ভারতরত্ন দেওয়ায় খুশি প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংহও। এক্স হ্যান্ডেলে তিনি লেখেন, “সম্মানীয় লালকৃষ্ণ আডবাণীজি, যিনি আমাদের সকলের অনুপ্রেরণা, তাঁকে ভারতরত্ন দেওয়ার সিদ্ধান্তে আমি অত্যন্ত খুশি। তিনি পবিত্রতার প্রতীক। রাজনীতিতে তাঁর একাগ্রতা শিক্ষনীয়। তাঁর সুদীর্ঘ জীবনে তিনি ভারতের রাজনীতিতে এবং দেশের উন্নতিতে অসাধারণ ভূমিকা পালন করেছেন।”

    আরও পড়ুুন: আড়াল থেকে কলকাঠি নাড়তেন! আদালতে পার্থর পর্দাফাঁস করল সিবিআই

    উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ বলেন, “ভারতীয় জনতা পার্টির বর্ষীয়ান নেতা লালকৃষ্ণ আডবাণীকে ভারতরত্ন দেওয়ার সিদ্ধান্তে আমি উচ্ছ্বসিত। তিনি লাখ লাখ পার্টি কর্মীর অনুপ্রেরণা। প্রাক্তন ডেপুটি প্রধানমন্ত্রী তাঁর রাজনৈতিক জীবনে সকলকে অনুপ্রাণিত করেছেন। তাঁর প্রতিশ্রুতি, কাজের প্রতি দায়বদ্ধতা, দেশকে একসূত্রে বেঁধে রাখার প্রচেষ্টা অতুলনীয়। স্বচ্ছতা ও নৈতিকতার দিক থেকে তিনি বিরাট একটি স্ট্যান্ডার্ড তৈরি করে দিয়েছেন। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ও সাংস্কৃতিক উন্নতির ক্ষেত্রে তাঁর মতো রাজনীতিবিদ আজকে দিনে বিরল (Lal Krishna Advani)।”

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Hooghly: মাধ্যমিক পরীক্ষায় জাল অ্যাডমিট কার্ড! পরীক্ষা হলেই ধরা পড়ল পড়ুয়া, চাঞ্চল্য স্কুলে

    Hooghly: মাধ্যমিক পরীক্ষায় জাল অ্যাডমিট কার্ড! পরীক্ষা হলেই ধরা পড়ল পড়ুয়া, চাঞ্চল্য স্কুলে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: টেস্টে ফেল করে অন্যের অ্যাডমিট কার্ড জাল করে মাধ্যমিক পরীক্ষা হলে বসতেই ধরা পড়ল পরীক্ষার্থী। এরপর ওই পড়ুয়ার পরীক্ষা বাতিল করা হয়েছে। ঘটনা ঘটেছে হুগলি (Hooghly) জেলার উত্তরপাড়া ভদ্রকালী হাইস্কুলে। ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে। উপস্থিত হয়েছে স্থানীয় পুলিশ। কিন্তু পুলিশের কাছে এখনও কোনও অভিযোগ জানানো হয়নি বলে জানা গিয়েছে। 

    কীভাবে ঘটল ঘটনা (Hooghly)?

    স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, উত্তরপাড়া (Hooghly) অমরেন্দ্রনাথ বিদ্যাপীঠে পড়ে ওই অভিযুক্ত পড়ুয়া। স্কুলের দশম শ্রেণির স্কুলের টেস্ট পরীক্ষায় পাশ করতে পারেনি সে। ফলে তার স্কুল থেকে তাই মাধ্যমিক পরীক্ষায় কোনও অ্যাডমিট কার্ড দেওয়া হয়নি। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে, নিয়মিত স্কুলে যেতো না পড়ুয়া। কিন্তু আজ সোজা ভদ্রকালী হাই স্কুলে পরীক্ষা দিতে চলে আসে পড়ুয়া। তার কাছে যে অ্যাডমিট কার্ড পাওয়া গিয়েছে সেখানে রোল নম্বরের জায়গায় কালো কালি লাগানো ছিল। পরীক্ষা নিতে গিয়ে বিষয়টি নজরে আসে শিক্ষকদের। এরপর এই স্কুল থেকে অমরেন্দ্র বিদ্যাপীঠ স্কুলে খবর দেওয়া হয়। এরপর স্কুলের পরীক্ষা সঞ্চালনার সঙ্গে যুক্ত পর্ষদের আধিকারিকদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়।

    অমরেন্দ্র বিদ্যাপীঠের প্রধান শিক্ষকের বক্তব্য

    মাধ্যমিক পরীক্ষা চলছিল ভদ্রকালী (Hooghly) স্কুলে। সেখানে অমরেন্দ্র বিদ্যাপীঠের প্রধান শিক্ষক সুশান্ত রায় এসে ওই ধৃত ছাত্রের সঙ্গে দেখা করেন। তিনি এরপর বলেন, “স্কুলে এই ছাত্রের উপস্থিতি অনিয়মিত। সবসময় স্কুলে আসে না। তার অ্যাডমিট কার্ডটি নকল। ফলে পরীক্ষার জন্য সে যোগ্য নয়। আর তাই তাকে পরীক্ষায় বসতে দেওয়া হয়নি।”

    জেলা পরিদর্শকের বক্তব্য

    হুগলি (Hooghly) জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক মৃন্ময় ঘোষ বলেন, “অভিযুক্ত ছাত্র টেস্ট পরীক্ষায় পাশ করেনি। তা পরীক্ষা কেন্দ্রে বসতে দেওয়া হয়নি।” অবশ্য ঘটনায় চন্দননগর পুলিশ জানিয়েছেন এখনও পর্যন্ত কোনও অভিযোগ জানানো হয়নি। তবে অভিযোগ করলে পুলিশ তদন্ত শুরু করবে। পরীক্ষার প্রথম দিনেই এমন ঘটনায় স্কুলে একেবারে শোরগোল পড়ে গিয়েছিল।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Midnapore Medical College: ভুয়ো জাতিগত শংসাপত্র! ছাত্রীর ভর্তি বাতিল করল মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ

    Midnapore Medical College: ভুয়ো জাতিগত শংসাপত্র! ছাত্রীর ভর্তি বাতিল করল মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভুয়ো শংসাপত্র দিয়ে ভর্তি হয়েছিলেন এক ছাত্রী। মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ (Midnapore Medical College) থেকে বহিষ্কারের ঘটনা ঘটেছে। জাতিগত ভুয়ো শংসাপত্র দিয়ে কলেজে ভর্তি হয়েছিলেন বলে অভিযোগ ছিল ওই ছাত্রীর বিরুদ্ধে। উল্লেখ্য মেডিক্যালে ভর্তির দুর্নীতির অভিযোগে আগেই মামলা হয়েছে কলকাতা হাইকোর্টে। ইতিমধ্যে দুই বিচারপতির রায়ের সংঘাতে বর্তমানে এই মামলা সুপ্রিমকোর্টে বিচারাধীন রয়েছে। এর মধ্যেই এই বহিস্কারের ঘটনায় ব্যাপক শোরগোল পড়েছে জেলায়।

    মেডিক্যাল কলেজের বক্তব্য (Midnapore Medical College)

    মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজের (Midnapore Medical College) অধ্যক্ষা মৌসুমি নন্দী জানিয়েছেন, “প্রথম বর্ষের এক ছাত্রীকে বহিস্কার করা হয়েছে। তাঁর ভর্তি বাতিল করা হয়েছে। ভর্তির সময় ছাত্রী নিজের জাতিগত শংসাপত্র ভুয়ো দিয়েছিল। ইতিমধ্যে আইন মেনে কাজ শুরু হয়েছে।” আবার এই কলেজের মেডিক্যালের ছাত্রী সায়নী টুডু বলেছেন, “যে বা যারা জাল জাতিগত শংসাপত্র দেখিয়ে কলেজে ভর্তি হিয়েছে তাদের সবার ভর্তি বাতিল হওয়া উচিত।”

    ছাত্রীর পরিবারে বক্তব্য

    কলেজ (Midnapore Medical College) সূত্রে জানা গিয়েছে প্রথমবর্ষের ওই ছাত্রীর বাড়ি পূর্ব মেদিনীপুরের তমলুকের একটি এলাকায়। ২০২৩-২৪ সালের শিক্ষাবর্ষে কলেজে ভর্তি হয়েছিল। এখন তাকে ১ লক্ষ টাকা জমা করতে বলেছে কলজে। এই নির্দেশ পেতেই কলেজে আসা বন্ধ করে দিয়েছে ছাত্রী। ছাত্রী কিছু বলতে না চাইলেও তার বাবা জানায়, “মেয়ে কলেজের নির্দেশিকা পেয়েছে। বিষয়টি বিচারাধীন। তাই এখন কিছু বলা সম্ভব নয়।”

    আদিবাসী কল্যাণ সমিতির বক্তব্য

    এই জাতিগত ভুয়ো শংসাপত্রের বিষয়ে তীব্র খব প্রকাশ করে আদিবাসী কল্যাণ সমিতি এবং ভারত জাকাত মাঝি পারগানার পক্ষ থেকে জানানো হয় আইনানুগ্য ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। আবার পারগানার নেতা শিবুলাল মুর্মু বলেন, “অবিলম্বে ওই ছাত্রীকে (Midnapore Medical College) গ্রেফতার করতে হবে। একই ভাবে যে প্রশাসনিক আধিকারিক এই শংসাপত্র দিয়েছেন তাঁদের বিরুদ্ধেও আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।”

    মামলা হয়েছে হাইকোর্টে

    জাল জাতিগত শংসাপত্রের ব্যবহারে মেডিক্যাল কলেজে (Midnapore Medical College) ভর্তির অভিযোগে হাইকোর্টে মামলা করেছেন ইশিতা সরেন। বেশ কিছু নামও হাইকোর্টে জমা করেছেন এই মামলাকারী। এই নামের মধ্যে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজের ভর্তি বাতিল হওয়া ছাত্রীর নামও রয়েছে। প্রত্যকের শংসাপত্রকে খতিয়ে দেখার কথা বলেছেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। এই মামলায় বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় তদন্তের জন্য সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিলেন। এরপর তাঁর সিঙ্গেল বেঞ্চ থেকে মামলা ডিভিশন বেঞ্চে গেলে, বিচারপতি সৌমেন সেনের রায়ে সঙ্গে সংঘাত দেখা দেয়। এরপর মামলা যায় সুপ্রিমকোর্টে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Jalpaiguri: হাতে দা উঁচিয়ে চিতাবাঘের সঙ্গে দুর্ধর্ষ লড়াই বৃদ্ধার! প্রাণরক্ষা অল্পের জন্য

    Jalpaiguri: হাতে দা উঁচিয়ে চিতাবাঘের সঙ্গে দুর্ধর্ষ লড়াই বৃদ্ধার! প্রাণরক্ষা অল্পের জন্য

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কার্যত হাতে দা উঁচু করে দক্ষিণরায়ের সঙ্গে দুর্ধর্ষ লড়াই চলল এক বৃদ্ধার। সেই সঙ্গে অবশেষে বৃদ্ধার কঠিন আক্রমণাত্মক চোখরাঙানিতে ভয়ে পালাল চিতাবাঘ। এভাবেই মৃত্যর মুখ থেকে রক্ষা পেলেন এই মহিলা। আহত অবস্থায় তাঁকে ভর্তি করা হয়েছে হাসপাতলে। ঘটনা ঘটেছে জলপাইগুড়ির (Jalpaiguri) সোনাখালি জঙ্গলে। এলাকায় এই নিয়ে তীব্র চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে।

    ঘটনা কিভাবে ঘটল (Jalpaiguri)?

    চিতাবাঘের মুখ থেকে প্রাণ হাতে নিয়ে ফিরলেন ৬৫ বছরের ফতেমা বিবি। ঘটনা ঘটেছে ধূপগুড়ি সাকোয়াঝোড়া ২ নম্বর পঞ্চায়েতের সোনাখালির কাছেই আদরপাড়া এলাকায়। বৃহস্পতিবার বিকেলে সোনাখালি জঙ্গলে মাঠ থেকে গরু নিয়ে ফিরছিলেন তিনি। আচমকা তাঁর ওপর হামলা করে একটি চিতাবাঘ। পাল্টা প্রতিরোধ করেন ওই বৃদ্ধা। তাঁর হাতে ছিল একটি দা। তা দিয়েই চিতাবাঘের ঘাড়ে আঘাত করেন তিনি। এরপর ভয় পেয়ে পিছিয়ে যায় চিতাবাঘটি। কিন্তু পিছোলেও ফের একবার আক্রমণের চেষ্টা করে চিতাবাঘটি। কিন্তু আক্রমণাত্মক হয়ে বৃদ্ধা তাঁর হাতের দা উঁচু করলে তৎক্ষণাৎ পালিয়ে যায় দক্ষিণরায়।

    বৃদ্ধার বক্তব্য

    ঘটনার কথা জানিয়ে বৃদ্ধা বলেন, “গরু নিয়ে ফেরার সময় জঙ্গল (Jalpaiguri) থেকে একটি চিতাবাঘ আচমকা আক্রমণ করে আমাকে আহত করে দিয়েছিল। আমি অসহ্য যন্ত্রণার মধ্যে আমার হাতে থাকা দা দিয়ে পাল্টা আক্রমণ করি। কিন্তু কিছুক্ষণ পর নিজের দাঁত, নখ বের করে ক্রোধ দেখিয়ে জঙ্গলের দিকে পালিয়ে যায় দক্ষিণরায়। এরপর প্রচণ্ড যন্ত্রণা নিয়ে রাস্তায় এসে লোকের কাছে সাহায্য চাই। সেই সময় এক ব্যক্তি আমাকে দেখে হাসপাতালে নিয়ে যান। এরপর ধুপগুড়ি হাসপাতালে চিকিৎসা শুরু হয়।” অপরদিকে এই আহত বৃদ্ধার নাতনি আনজিনা বেগম বলেন, “মাঠে গরু নিয়ে আসার সময় চিতাবাঘ আক্রমণ করে। কোনও রকমে লড়াই করে প্রাণ হাতে নিয়ে ফিরে এসেছেন আমার দিদা। তিনি খুবই অসুস্থ। ঘটনায় আমাদের এলাকায় তীব্র আতঙ্কিত ছড়িয়ে পড়েছে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Sukanta Majumdar: ২ লক্ষ কোটি টাকার হিসেব কোথায়? ক্যাগের রিপোর্ট দেখিয়ে প্রশ্ন সুকান্তর

    Sukanta Majumdar: ২ লক্ষ কোটি টাকার হিসেব কোথায়? ক্যাগের রিপোর্ট দেখিয়ে প্রশ্ন সুকান্তর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দু’ লক্ষ কোটি টাকার হিসেব দেয়নি রাজ্য। সেই টাকা কোথায় গেল? ক্যাগের রিপোর্ট তুলে ধরে মোক্ষম প্রশ্নটি করলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি তথা বালুরঘাটের সাংসদ সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। রাজ্যের বকেয়া টাকার দাবিতে বুধবার থেকে রেড রোডে ধর্নায় বসছেন মুখমন্ত্রী তথা তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই সময়ই কার্যত বোমা ফাটালেন সুকান্ত।

    দুর্নীতির নয়া পন্থা

    বিজেপির রাজ্য সভাপতির অভিযোগ, বিভিন্ন প্রকল্পের টাকা নেওয়া হয়েছে ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্টে। তিনি বলেন, “দুর্নীতির এটি একটি নয়া পন্থা। সাধারণ মানুষের টাকা কোথায় গিয়েছে, তা কেউ জানে না।” বালুরঘাটের সাংসদ বলেন, “কোনও প্রকল্পের কাজ শেষ হলে ইউটিলাইজেশন সার্টিফিকেট দিতে হয় রাজ্য সরকারকে। তা থেকেই বোঝা যায়, প্রকল্পের জন্য যে টাকা বরাদ্দ হয়েছে, তা খরচ হয়েছে কোন খাতে, খরচই বা হয়েছে কত। কিন্তু ক্যাগের রিপোর্টে দেখা যাচ্ছে, ১.৯৫ লক্ষ কোটি টাকার কোনও ইউটিলাইজেশন সার্টিফিকেট জমা করা হয়নি। সুকান্তর (Sukanta Majumdar) দাবি, কন্টিজেন্সি ফান্ড থেকেও প্রায় তিন হাজার চারশো কোটি টাকা তোলা হয়েছে। তার মধ্যে এক হাজার ১৬৯ কোটি টাকা খরচ করা হয়েছে স্বরাষ্ট্র দফতর থেকে। তবে কোনও খরচেরই বিল জমা দেওয়া হয়নি।

    সব চেয়ে বেশি দুর্নীতি

    সুকান্তর অভিযোগ, শিক্ষা থেকে গ্রামোন্নয়ন সব দফতরে দুর্নীতি হয়েছে। গ্রামীণ বিকাশ, নগর উন্নয়ন ও শিক্ষা দফতরে সব চেয়ে বেশি দুর্নীতি হয়েছে বলেও দাবি তাঁর। সুকান্তর (Sukanta Majumdar) পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিশানা করেছেন বিজেপি নেতা গৌরব ভাটিয়া। তিনি বলেন, “বাংলায় যা হয়েছে, তা মাদার অব অল স্ক্যাম।” কংগ্রেসের মনমোহন সিং সরকারের আমলে যে টু জি স্ক্যামের অভিযোগ উঠেছিল, তার সঙ্গেও বাংলার তুলনা করেছেন গৌরব।

    আরও পড়ুুন: বিচার বিভাগীয় হেফাজতে পাঠানো হল জেএমএম সুপ্রিমো হেমন্তকে

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
     
  • Purba Medinipur: তৃণমূলের সভায় বিরিয়ানির প্যাকেট পেতে হুড়োহুড়ি, ক্ষুব্ধ হয়ে সভা ছাড়লেন মন্ত্রী

    Purba Medinipur: তৃণমূলের সভায় বিরিয়ানির প্যাকেট পেতে হুড়োহুড়ি, ক্ষুব্ধ হয়ে সভা ছাড়লেন মন্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃণমূলের ‘সঙ্ঘবদ্ধ শপথ গ্রহণ’ কর্মসূচিতে ব্যাপক বিশৃঙ্খলা দেখা গেল। অনুষ্ঠানে বিরিয়ানি বিলিকে ঘিরে ব্যাপক গোলমালের চিত্র দেখ লক্ষ্য করা গেল আজ বৃহস্পতিবার। এই সভায় রাজ্যের মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যের ভাষণের সময় টিফিন বিলিকে ঘিরে উপস্থিত তৃণমূল কর্মীরা সভা খালি করে খাবারের দিকে হুড়মুড়িয়ে পড়লেন। এরপর সৃষ্টি হয় ব্যাপক হট্টগোল। আর এরপর এই ঘটনায় অত্যন্ত ক্ষুব্ধ হয়ে বেরিয়ে যান মন্ত্রী। ঘটনা ঘটেছে পূর্ব মেদিনীপুরের (Purba Medinipur) কাঁথির বীরেন্দ্র স্মৃতি সৌধে। ঘটনায় দল অত্যন্ত অস্বস্তির মধ্যে পড়েছে তৃণমূল।

    সভায় ব্যাপক চিৎকার চেঁচামেচি (Purba Medinipur)

    এদিন কাঁথি (Purba Medinipur) সভাগৃহ ছিল কানায় কানায় ভর্তি। ঠিক ১ টায় চন্দ্রিমা ওঠেন মঞ্চে। তাঁকে মঞ্চে বরণ করা নিয়েও একপ্রকার বিশৃঙ্খলা হয়। এরপর হলে  চিৎকার চেঁচামেচি শুরু হয়। অপর দিকে তৃণমূলের কাঁথি সাংগঠনিক জেলার সভাপতি পীয়ূষকান্তি পন্ডা সকলকে শান্ত হওয়ার পরামর্শ দেন। এরপর চন্দ্রিমা ভাষণ দিতে শুরু করেন। তিনি বলেন, “কেন্দ্রের আয়ুষ্মান ভারত হল রাজ্যের স্বাস্থ্য সাথীর নকল। আয়ুষ্মান ভারত কার্যকর হলে মাত্র ৭০ হাজার মানুষ উপকৃত হবেন। আর স্বাস্থ্য সাথী প্রকল্পে আড়াই কোটি মানুষ সুবিধা পাচ্ছেন।” এরপরই টিফিনের জন্য হুড়োহুড়ি পড়ে যায় সভাস্থলে। যদিও মাইকে বলা হয় সকলের জন্য খাবারের ব্যবস্থা রয়েছে। কিন্তু বিশৃঙ্খা আরও চরমে উঠে যায়। এরপর ভাষণের মাঝ পথেই রেগেমেগে আসন ছেড়ে বেরিয়ে যান রাজ্যের প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা।

    বিজেপির বক্তব্য

    এই ঘটনায় বিজেপি কাঁথি (Purba Medinipur) সাংগঠনিক জেলার সাধারণ সম্পাদক চন্দ্রশেখর মণ্ডল বলেন, “তৃণমূলের সভায় ভাষণ শোনায় মন নেই। টাকা দিয়ে টিফিনের লোভ দেখিয়ে তৃণমূল নিজেদের মহিলা সভায় লোক ভরার কাজ করছে।” পালটা তৃণমূলের জেলা সভাপতি রাজিয়া বিবি বলেন, “আশাতীত ভিড় হয়েছিল সভায়। তবে অনেকে বসার আসন দেওয়া সম্ভব হয়নি। অনেকে বেরিয়ে গিয়েছেন। আমরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রেখেছি।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Budget 2024: “ভবিষ্যৎ ভারতের বাজেট”, প্রতিক্রিয়া প্রধানমন্ত্রীর

    Budget 2024: “ভবিষ্যৎ ভারতের বাজেট”, প্রতিক্রিয়া প্রধানমন্ত্রীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ঐতিহাসিক বাজেট (Budget 2024) পেশ করায় কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন ও তাঁর টিমকে শুভেচ্ছা জানালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এই বাজেটকে “ভবিষ্যৎ ভারতের বাজেট” বলেও উল্লেখ করেছেন তিনি। প্রাক-নির্বাচন পর্বের এই বাজেটকে অভিনবও আখ্যা দিয়েছেন তিনি।

    উদ্ভাবনের বাজেট

    প্রধানমন্ত্রী বলেন, “এই বাজেটে দুটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে গবেষণা ও উদ্ভাবনের জন্য। এক লক্ষ কোটি টাকার তহবিল ঘোষণা করা হয়েছে। স্টার্ট-আপগুলির জন্য কর ছাড়ের ঘোষণাও করা হয়েছে।” এই বাজেট আত্মনির্ভর ভারতের লক্ষ্যে আরও এক কদম বলেও জানান প্রধানমন্ত্রী। নির্মলার বাজেটের (Budget 2024) ভূয়সী প্রশংসা করেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহও। এক্স হ্যান্ডেলে বাজেট সম্পর্কে তিনি লিখেছেন, “প্রধানমন্ত্রী মোদির ২০৪৭ সালের মধ্যে উন্নত ভারতের স্বপ্ন অর্জনের একটি রোডম্যাপ।”

    বিকশিত ভারত

    প্রধানমন্ত্রী বলেন, “২০৪৭ সালের মধ্যে বিকশিত ভারতের ভিত্তি পোক্ত করার গ্যারেন্টি দিচ্ছে এই বাজেট। আমি নির্মলাজি ও তাঁর টিমকে শুভেচ্ছা জানাই। তরুণ ভারতের আকাঙ্খার প্রতিফলন এই বাজেট। দরিদ্র ও মধ্যবিত্ত শ্রেণির ক্ষমতায়ন এবং নয়া আয়ের দিশার ওপর জোর দেওয়া হয়েছে এই বাজেটে। এক কোটি পরিবারকে নিখরচায় বিদ্যুৎ পেতে সাহায্য করবে রুফটপ সোলার স্কিম।” প্রধানমন্ত্রী বলেন, “এই বাজেট তরুণদের জন্য অসংখ্য নতুন কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করবে। একবিংশ শতাব্দীর ভারতের উপযোগী আধুনিক পরিকাঠামোও তৈরি করবে এই বাজেট। ২০ মিলিয়ন মহিলাকে লাখপতি দিদি করার লক্ষ্যমাত্রা ধার্য করেছি আমরা। এটা এখন বাড়িয়ে ৩০ মিলিয়ন করা হয়েছে। গ্রাম ও শহরের গরিব মানুষকে আমরা ৪০ মিলিয়ন বাড়ি তৈরি করে দিয়েছি। আরও ২০ মিলিয়ন বাড়ি তৈরির লক্ষ্যমাত্রাও ধার্য করেছি।”

    আরও পড়ুুন: ‘লাখপতি দিদি’ যোজনা চালু করছে মোদি সরকার, কারা পাবেন সুযোগ?

    প্রধানমন্ত্রী বলেন, “এছাড়াও আজকের বাজেট কৃষক কল্যাণেও গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এই বাজেট বিকশিত ভারতের চারটে গুরুত্বপূর্ণ স্তম্ভ তরুণ, দরিদ্র, মহিলা এবং কৃষককে শক্তিশালী করবে। ২০৪৭ সালের মধ্যে যে উন্নত ভারত হবে, তার ভিত্তি শক্তিশালীর করার গ্যারেন্টিও দিচ্ছে এই বাজেট (Budget 2024)।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • Lakhpati Didi: ‘লাখপতি দিদি’ যোজনা চালু করছে মোদি সরকার, কারা পাবেন সুযোগ?

    Lakhpati Didi: ‘লাখপতি দিদি’ যোজনা চালু করছে মোদি সরকার, কারা পাবেন সুযোগ?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মহিলাদের ক্ষমতায়ন হয়েছে। এবার তাঁদের আর্থিকভাবে স্বনির্ভর করতে চাইছে নরেন্দ্র মোদির সরকার। এই লক্ষ্যে ‘লাখপতি দিদি’ (Lakhpati Didi) যোজনা শুরু করতে চাইছে কেন্দ্র। প্রধানমন্ত্রী জানান, তাঁদের লক্ষ্য দেশের মহিলাদের আর্থিক উন্নতি করে লাখপতি দিদি তৈরি করা।

    লাখপতি দিদি

    প্রাথমিকভাবে দেশের দু’ কোটি মহিলাকে লাখপতি দিদি করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। স্কিল ডেভেলপমেন্ট ট্রেনিং দিয়ে দু’ কোটি মহিলার ক্ষমতায়নের লক্ষ্যে এই প্রকল্প শুরু করা হয়েছে। স্বনির্ভর গোষ্ঠীর সঙ্গে যুক্ত মহিলারা এই প্রকল্পের দ্বারা সব চেয়ে বেশি উপকৃত হবেন। অনলাইন ফর্ম পূরণ করে এই স্কিমের সুবিধা পেতে পারেন মহিলারা। এই প্রকল্পের অধীনে স্বনির্ভর (Lakhpati Didi) গোষ্ঠীগুলির সঙ্গে যুক্ত মহিলাদের এলইডি বাল্ব, প্লাম্বিং, ড্রোন মেরামতের মতো প্রযুক্তিগত কাজ শিখিয়ে স্বনির্ভর করা হবে।

    আরও পড়ুুন: জ্ঞানবাপী মসজিদের ‘ব্যাস কা তেহখানা’য় মধ্যরাতে পুজো হিন্দু পক্ষের

    স্বনির্ভর গোষ্ঠীর সাফল্য

    বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির ক্ষেত্রে মহিলাদের স্বাবলম্বী করতে চাওয়ার কথাও জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। ওই মহিলাদের দক্ষতা উন্নয়ন ও বৃত্তিমূলক প্রশিক্ষণ, ক্ষমতায়ন ও আত্মবিশ্বাস তৈরি করা হবে। বীমা ও ঋণের সুবিধাও দেওয়া হবে। বৃহস্পতিবার বাজেট বক্তৃতায় কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন বলেন, “মহিলাদের ক্ষমতায়নের মধ্যে দিয়ে গ্রামীণ আর্থ-সামজিক প্রেক্ষাপট বদলাচ্ছে। গ্রামীণ মহিলাদের জীবনযাত্রায় বদল এসেছে। এই স্বনির্ভর গোষ্ঠীর সাফল্যে ১ কোটি মহিলা লাখপতি দিদি হয়েছেন। মহিলাদের এই সাফল্যকে স্বীকৃতি দিতেই এবার লাখপতি দিদির সংখ্যা ২ কোটি থেকে ৩ কোটিতে নিয়ে যাওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে।”

    সীতারামন বলেন, “আগামী পাঁচ বছরেও উন্নয়নের ধারা অব্যাহত থাকবে। ২০৪৭ এর মধ্যে বিকশিত ভারত গঠনই লক্ষ্য কেন্দ্রীয় সরকারের। আর সেই লক্ষ্যপূরণেই মোদি সরকারের ফোকাস থাকবে গরিব, মহিলা, যুব ও কৃষকদের ওপর।” লাখপতি দিদি প্রকল্পের সুবিধা পেতে হলে আবেদনকারীদের অবশ্যই হতে হবে সংশ্লিষ্ট রাজ্যের স্থায়ী বাসিন্দা। মহিলাদের স্বনির্ভর গোষ্ঠীর সঙ্গে যুক্ত হওয়াও বাধ্যতামূলক। আবেদন করার সময় দিতে (Lakhpati Didi) হবে আধারকার্ড, আয় ও বসবাসের শংসাপত্র, ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট, মোবাইল নম্বর এবং পাসপোর্ট সাইজ ছবি।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share