Author: Krishnendu Bakshi

  • Election Commission: গুজরাট, হিমাচল প্রদেশের সঙ্গেই নভেম্বরে ভোট হবে জম্মু-কাশ্মীরেও?

    Election Commission: গুজরাট, হিমাচল প্রদেশের সঙ্গেই নভেম্বরে ভোট হবে জম্মু-কাশ্মীরেও?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নভেম্বর মাসেই ভোট হতে চলেছে জম্মু-কাশ্মীরে (Jammu-Kashmir)? অন্তত নির্বাচন কমিশনের (Election Commission) জারি করা এক নির্দেশিকায়ই এমন ইঙ্গিত মিলেছে। কেবল জম্মু-কাশ্মীর নয়, একই সঙ্গে ভোট হবে গুজরাট (Gujrat) এবং হিমাচল প্রদেশেও (Himachal Pradesh)।

    জম্মু-কাশ্মীরে বিধানসভা নির্বাচন যে দোরগোড়ায় তার ইঙ্গিত মিলেছিল আগেই। মাসখানেক আগে রাজস্থানের জয়পুরে বিজেপির কর্মকর্তাদের বৈঠকে এমনই ইঙ্গিত দিয়েছিলেন বিজেপির জাতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা (JP Nadda)। উনিশের লোকসভা নির্বাচনে দ্বিতীয়বারের জন্য বিপুল জনাদেশ নিয়ে দিল্লির দরবারে ফেরে বিজেপি। এর পরেই জম্মু-কাশ্মীরে শান্তি ফেরানোর উদ্যোগ নেয় নরেন্দ্র মোদির সরকার। কাশ্মীর থেকে রদ করা হয় ৩৭০ ধারা। উপত্যকায় শান্তি ফেরাতে জম্মু-কাশ্মীর ও লাদাখকে পরিণত করা হয় কেন্দ্র শাসিত অঞ্চলে। শুরু হয় উন্নয়নযজ্ঞ। যার জেরে ক্রমেই শান্তি ফিরছে ভূস্বর্গে।

    আরও পড়ুন : বছর শেষেই ভোট ভূস্বর্গে? কাশ্মীরে নির্বাচন নিয়ে বড় মন্তব্য রাজনাথের

    জম্মু-কাশ্মীরে নরেন্দ্র মোদির সরকার যে বিধানসভা নির্বাচন করতে বদ্ধপরিকর, বিভিন্ন সময় তা জানিয়ে দিয়েছেন মোদি এবং অমিত শাহ। সেই মতো উপত্যকায় শান্তি ফিরতেই শুরু হয় ডিলিমিটেশনের কাজ। ডিলিমিটেশন কমিশন কাশ্মীরে ৪৭টি ও জম্মুতে ৪৩টি বিধানসভা কেন্দ্রের সুপারিশ করে। সুপারিশ করা হয় পাঁচটি লোকসভা কেন্দ্রেরও। পাকিস্তান অধিকৃত জম্মু-কাশ্মীরের উদ্বাস্তুদের প্রতিনিধিত্বের পাশাপাশি বিধানসভায় দুই কাশ্মীরি অভিবাসীকেও মনোনীত করার সুপারিশও করে ওই কমিশন।

    আরও পড়ুন : জম্মু-কাশ্মীর থেকে কাউকে বিতাড়িত হতে দেব না, আশ্বাস রাজনাথের

    সম্প্রতি নির্বাচন কমিশন আঠারো বছর বয়সী নয়া ভোটারদের নাম তোলার নির্দেশ দিয়েছে। পয়লা  জানুয়ারি থেকে পয়লা অক্টোবরের মধ্যে যাঁরা আঠারোয় পা দেবেন, দ্রুত তাঁদের নাম তোলার কাজ শেষ করতে হবে। ভোটার তালিকায় যাঁদের নাম নেই, তাঁদেরও নামও দ্রুত তুলতে হবে তালিকায়। নির্বাচন কমিশনের শিডিউল অনুযায়ী, ১২ অগস্টের মধ্যে গুজরাট এবং হিমাচল প্রদেশে ভোটার তালিকা সংশোধনের কাজ শেষ করতে হবে। আর জম্মু-কাশ্মীরের ক্ষেত্রে এই সময় সীমা ধার্য করা হয়েছে পয়লা সেপ্টেম্বর। সাধারণত ভোট এগিয়ে এলেই শুরু হয় ভোটার তালিকা সংশোধন সহ নানা কাজ। সক্রিয় হয়ে ওঠে নির্বাচন কমিশন। নির্বাচন কমিশনের এই ভোটার তালিকা প্রকাশের নির্দেশের পরেই এটা স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে গুজরাট এবং হিমাচল প্রদেশের সঙ্গে সঙ্গেই ভোট হতে চলেছে জম্মু-কাশ্মীরে। জানা গিয়েছে, গত তিন বছর ধরে জম্মু-কাশ্মীরে সংশোধন হয়নি ভোটারতালিকা। কমিশনের নির্দেশে  শুরু হয়ে গিয়েছে সেই কাজ। নির্দেশিকায় বলা হয়েছে নতুন ভোটারদের নাম দ্রুত নথিভুক্ত করতে হবে তালিকায়।

    ভূস্বর্গ তাহলে দ্রুত ফিরে পেতে চলেছে রাজ্যের মর্যাদা?

     

  • Uddhav Thackeray: শিবসেনায় ভাঙন ঠেকাতেই দ্রৌপদীকে রাষ্ট্রপতি পদে সমর্থন উদ্ধব ঠাকরের, বলছে সমীক্ষা

    Uddhav Thackeray: শিবসেনায় ভাঙন ঠেকাতেই দ্রৌপদীকে রাষ্ট্রপতি পদে সমর্থন উদ্ধব ঠাকরের, বলছে সমীক্ষা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাষ্ট্রপতি (President) পদে এনডিএ (NDA) প্রার্থী বিজেপির দ্রৌপদী মুর্মুকে (Draupadi Murmu) সমর্থনের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন শিবসেনা (Shiv Sena) প্রধান উদ্ধব ঠাকরে (Uddhav Thackeray)। তাঁর এই সিদ্ধান্ত কী শিবসেনায় বিভাজন রুখতে, উঠছে প্রশ্ন। সাম্প্রতিক এক সমীক্ষায় জানা গিয়েছে, শিবসেনায় বিভাজন রুখতেই দ্রৌপদীকে সমর্থনের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন উদ্ধব।

    সোমবার রাষ্ট্রপতি নির্বাচন। এনডিএ-র তরফে রাষ্ট্রপতি পদে নাম ঘোষণা করা হয় বিজেপির দ্রৌপদীর। বিজেপি বিরোধীরা প্রার্থী করেন তৃণমূলের প্রাক্তন ভাইস প্রেসিডেন্ট যশবন্ত সিনহাকে। তার পরেই প্রচারে বের হন দ্রৌপদী ও যশবন্ত। সম্প্রতি শিবসেনা সাংসদের নিয়ে মাতোশ্রীতে বৈঠকে বসেছিলেন মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে। সূত্রের খবর, সেখানেই সাংসদদের সিংহভাগ রাষ্ট্রপতি পদে এনডিএ প্রার্থী বিজেপির দ্রৌপদীকে সমর্থনের বিষয়ে সওয়াল করেন। সাংসদদের চাপের মুখে পড়ে দ্রৌপদীকে সমর্থনের কথা জানান উদ্ধব। যদিও তাঁর দাবি, দ্রৌপদীকে সমর্থনের বিষয়ে কোনও চাপ ছিল না। সাম্প্রতিক এক সমীক্ষায় জানা গিয়েছে, রাষ্ট্রপতি নির্বাচনকে ঘিরে ফের যাতে শিবসেনায় বিভাজন সৃষ্টি না হয়, সেজন্যই উদ্ধবের এই সিদ্ধান্ত।

    আরও পড়ুন : দ্রৌপদী মুর্মুকে সমর্থন করতে বাধ্য হয়েছেন উদ্ধব, তোপ যশবন্তের

    ইতিমধ্যেই একবার বিভাজন ঘটেছে শিবসেনায়। ৫৬ জন বিধায়কের মধ্যে ৪০ জনকে পাশে পেয়েছেন শিবসেনার বিদ্রোহী বিধায়ক একনাথ শিন্ডে। বিজেপির সঙ্গে হাত মিলিয়ে গড়েছেন সরকার। হয়েছেন মুখ্যমন্ত্রীও। এমতাবস্থায় দ্রৌপদীকে সমর্থন না করলে শিবসেনার ঠাকরে শিবিরে ফের ভাঙন ধরত। যশবন্তকে বাদ দিয়ে উদ্ধব কেন দ্রৌপদীকে সমর্থনের সিদ্ধান্ত নিলেন, তা জানতে সম্প্রতি দেশজুড়ে সমীক্ষা করেছিল আইএএনএস সিভোটার-ইন্ডিয়া ট্র্যাকার। তাতেই জানা গিয়েছে, শিবসেনায় ভাঙন রুখতেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন উদ্ধব। যাঁদের ওপর সমীক্ষা করা হয়েছে, তাঁদের মধ্যে ৬৩ শতাংশ মানুষ মনে করেন উদ্ধব যশবন্তকে সমর্থনের সিদ্ধান্ত নিলে ফের একবার ভাঙন ধরত শিবসেনায়। ৩৭ শতাংশ মানুষ এটা মানেন না বলেই জানিয়েছেন। সমীক্ষা থেকে এও জানা গিয়েছে, এনডিএ সমর্থকদের মধ্যে ৭৭ শতাংশই বিশ্বাস করে দ্রৌপদীকে সমর্থন না করলে আরও একবার ভাঙনের মুখোমুখি হত শিবসেনা। বিরোধীদের ৫৪ শতাংশও জানান দলে আরও একবার বিদ্রোহ ঠেকাতে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ঠাকরে। যদিও ৪৬ শতাংশ মানুষ এর সঙ্গে সহমত নন।

    আরও পড়ুন : শিবসেনার সব পদ থেকে শিন্ডেকে সরালেন উদ্ধব, কেন জানেন?

    সমীক্ষায় উঠে এসেছে আরও একটি তথ্য। সেটি হল দলে ফের একবার বিভাজন রুখতেই যে ঠাকরে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, তা জানিয়েছেন সমীক্ষায় অংশ নেওয়া ৭৫ শতাংশ হিন্দু, ৬৩ শতাংশ পিছড়ে বর্গ শ্রেণির মানুষ, তফশিলি উপজাতির ৬৯ শতাংশ এবং তফশিলি জাতির ৬৬ শতাংশ মানুষ।মুসলিম সম্প্রদায়ের ৬৮ শতাংশই সহমত পোষণ করেন না এই যুক্তির সঙ্গে।

     

  • Yashwant Sinha: দ্রৌপদী মুর্মুকে সমর্থন করতে বাধ্য হয়েছেন উদ্ধব, তোপ যশবন্তের

    Yashwant Sinha: দ্রৌপদী মুর্মুকে সমর্থন করতে বাধ্য হয়েছেন উদ্ধব, তোপ যশবন্তের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এনডিএ (NDA) রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী দ্রৌপদী মুর্মুকে (Draupadi Murmu) সমর্থন করতে বাধ্য হয়েছেন উদ্ধব ঠাকরে (Uddhav Thackeray)। রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের (Presidential Polls) প্রাক্কালে এমনই দাবি করলেন বিজেপি (BJP) বিরোধী দলগুলির রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী যশবন্ত সিনহা। বিজেপি শাসিত আসামের গুয়াহাটিতে এদিন প্রচারে গিয়েছিলেন যশবন্ত। সেখানেই তিনি বলেন, আমি কোনও রাজনৈতিক দলের বিরুদ্ধে লড়ছি না, লড়ছি কেন্দ্রীয় সরকারের শক্তির বিরুদ্ধে।

    ১৮ জুলাই রাষ্ট্রপতি নির্বাচন। এনডিএ-র তরফে রাষ্ট্রপতি পদে নাম ঘোষণা করা হয় বিজেপির দ্রৌপদীর। তিনি যাতে সর্বসম্মতভাবে রাষ্ট্রপতি পদে নির্বাচিত হতে পারেন, সেজন্য বিজেপি বিরোধী বিভিন্ন দলের কাছে আবেদন করেছিলেন গেরুয়া শিবিরের ভোট ম্যানেজারেররা। তার পরেও তৃণমূলের প্রাক্তন ভাইস প্রেসিডেন্ট যশবন্ত সিনহাকে প্রার্থী ঘোষণা করেন বিরোধীরা। এর পরেই ভোট চাইতে বিভিন্ন রাজ্যে যান দ্রৌপদী এবং যশবন্ত। এদিন যশবন্ত ছিলেন গুয়াহাটিতে।

    আরও পড়ুন : দলীয় সাংসদদের চাপে বিজেপির দ্রৌপদী মুর্মুকেই সমর্থন করছে শিবসেনা?

    সম্প্রতি শিবসেনা সাংসদের নিয়ে মাতোশ্রীতে বৈঠকে বসেন মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে। সূত্রের খবর, সেখানেই সাংসদদের সিংহভাগ রাষ্ট্রপতি পদে এনডিএ প্রার্থী বিজেপির দ্রৌপদীকে সমর্থনের ব্যাপারে সওয়াল করেন। সাংসদদের চাপের মুখে পড়ে দ্রৌপদীকে সমর্থনে কথা জানান উদ্ধব। যদিও তাঁর দাবি, দ্রৌপদীকে সমর্থনের বিষয়ে কোনও চাপ ছিল না। সংবাদ মাধ্যমকে উদ্ধব বলেন, বর্তমান রাজনৈতিক পরিবেশে আমার তাঁকে সমর্থন করা উচিত ছিল না, তবে আমরা সংকীর্ণ মনের নই। রাজনৈতিক মহলের মতে, রাষ্ট্রপতি নির্বাচনকে ঘিরে ফের যাতে শিবসেনায় বিভাজন সৃষ্টি না হয়, সেজন্যই উদ্ধবের এই কৌশলী চাল!

    আরও পড়ুন : শিবসেনার তির-ধনুক প্রতীক কেউ কেড়ে নিতে পারবেন না, সাফ জানালেন উদ্ধব

    এদিন কেন্দ্রীয় সরকারকে একহাত নিয়েছেন রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী যশবন্ত। বলেন, রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের আগে কেন্দ্র বিরোধীদের দুর্বল করতে চাইছে। একাজে অপব্যবহার করা হচ্ছে ইডিকে। কেন্দ্রীয় এজেন্সিগুলিকে কাজে লাগিয়ে একের পর এক নির্বাচিত সরকারকে ফেলে দিচ্ছে। তিনি বলেন, রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের আগে  কেন্দ্র বিরোধীদের মধ্যে ভাঙন ধরানোর চেষ্ট করছে। যশবন্ত বলেন, তৃণমূল কংগ্রেস এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আমাকে সমর্থন করছেন। আম আদমি পার্টির সমর্থনও পাব। তেলঙ্গানা রাষ্ট্রীয় সমিতিও আমাকে সমর্থন করবে। বিরোধী শিবিরের মধ্যে কেবল শিবসেনাই সমর্থন করছে দ্রৌপদীকে।

     

  • Draupadi Murmu: দার্জিলিংয়ে হঠাৎ বৈঠকে মমতা-হিমন্ত! বিষয় কি রাষ্ট্রপতি নির্বাচন?

    Draupadi Murmu: দার্জিলিংয়ে হঠাৎ বৈঠকে মমতা-হিমন্ত! বিষয় কি রাষ্ট্রপতি নির্বাচন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্কঃ এক দিনের ঝটিকা সফরে দার্জিলিংয়ে আসছেন আসামের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা (Himanta Biswa Sarma)। দার্জিলিংয়ে আগেই পৌঁছেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। বুধবার সাড়ে ১২টা নাগাদ রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ও (Jagdeep Dhankhar) পৌঁছেছেন দার্জিলিং রাজভবনে। জল্পনা তুঙ্গে, তা হলে দার্জিলিংয়ে এত কাণ্ড কেন?

    সূত্রের খবর, আজ কিছুক্ষণের মধ্যেই মমতা-হিমন্ত বৈঠক হতে পারে। তারপরেই রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে এনডিএ প্রার্থী দ্রৌপদী মুর্মুকে তৃণমূল কংগ্রেস ভোট দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিতে পারে বলে রাজনৈতিক মহলে চলছে জোর চর্চা। জনজাতি মহিলা প্রার্থী দ্রৌপদীদেবী কলকাতায় এসে প্রচারে রাজ্যের ২৯৪ বিধায়ক এবং ৪২ লোকসভা এবং ১৬ রাজ্যসভা সাংসদের ভোট পাওয়ার আশা করেছিলেন। পরের দিনই হিমন্তের মমতা দর্শন রাজনৈতিক কৌতূহল বাড়িয়ে দিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী চান সর্বোচ্চ ভোট পেয়ে জিতুন সমাজের পিছিয়ে পড়া অংশের এই মহিলা মুখ। এনডিএ নেতারা সেই কারণেই সব দলকেই ভোট দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। মহারাষ্ট্রের সদ্য প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরেও ঘোষণা করেছেন, শিবসেনা দ্রৌপদীদেবীকেই ভোট দেবে। প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংহ সমর্থন চেয়ে উদ্ধবকে ফোনও করেছিলেন।

    আরও পড়ুন : দলীয় সাংসদদের চাপে বিজেপির দ্রৌপদী মুর্মুকেই সমর্থন করছে শিবসেনা?

    মমতাকে ফোন করে সমর্থন চান দ্রৌপদীদেবী স্বয়ং। রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার এবং বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী যুগ্মভাবে চিঠি দিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে ভোট প্রার্থনা করেছেন। তারপরেই মমতা জানান, আগে এনডিএ প্রার্থীর কথা জানলে তিনি বিরোধী প্রার্থীকে সমর্থন দিতেন না। ঘটনাচক্রে যশবন্ত সিংহ তৃণমূলেরই সহ-সভাপতি ছিলেন। অনেকের মতে, দ্রৌপদী মুর্মুর প্রার্থী হওয়ায়  সারা দেশে জনজাতি সমাজে বিজেপির পক্ষে হাওয়া উঠেছে। মমতা তা বিলক্ষণ বোঝেন। তাই দ্রৌপদীদেবীর প্রতি প্রচ্ছন্ন সমর্থনের কথা বলে আসলে সেই আদিবাসী সমাজকেই বার্তা দিতে চেয়েছেন তিনি।

    আরও পড়ুন : খ্যাতির বিড়ম্বনা! দ্রৌপদী মুর্মুর নামে ভুয়ো অ্যাকাউন্টে ছেয়ে গেছে ট্যুইটার

    এর মধ্যেই হিমন্ত বিশ্বশর্মাকে দূত হিসাবে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে এনডিএ। তাঁর একটাই অনুরোধ, দেশের রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের এমন ঐতিহাসিক সময়ে একজন আদিবাসী প্রার্থীকে ভোট না দেওয়ার ভুল যেন তৃণমূল না করে। দেশের বাকি বিরোধী দলগুলির কাছে শেষ দুদিন দূত পাঠিয়ে একই অনুরোধ জানাবে বিজেপি। অনুরোধ মেনে দ্রৌপদীদেবীকে ভোট দিলে উনি রেকর্ড ভোটে জিতে রাষ্ট্রপতি পদে বসবেন। তৃণমূল ভোট না দিলে বিজেপি প্রচার করবে আদিবাসী মহিলাকে রাষ্ট্রপতি পদে চায়নি তৃণমূল।এমন আবহে আর কিছুক্ষণের মধ্যেই হতে চলেছে মমতা-হিমন্তের নজরকাড়া বৈঠক।

    রাজ্যের বিধায়কদের আবেদন জানিয়ে চিঠি দিয়েছিলেন সুকান্ত-শুভেন্দু জুটি। মমতার কাছে নম্বর বাড়াতে ফিরহাদ হাকিম এবং নয়না বন্দ্যোপাধ্যায় তা গ্রহণ করেই প্রত্যাখ্যান করেছিলেন। মমতা রাষ্ট্রপতি নির্বাচন নিয়ে নতুন কি অবস্থান নেবেন, তাতে ফিরহাদ- নয়নাকে আফশোস করতে হবে কি না, তা সময়ই বলবে।

     

  • Rajya Sabha Protest: ধর্নায় বসে সাসপেন্ডেড সাংসদরা খাচ্ছেন ইডলি-সাম্বার, চিকেন-তন্দুরি!

    Rajya Sabha Protest: ধর্নায় বসে সাসপেন্ডেড সাংসদরা খাচ্ছেন ইডলি-সাম্বার, চিকেন-তন্দুরি!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বসেছেন অবস্থান বিক্ষোভে। অথচ খাওয়া হচ্ছে দই-ভাত (Curd rice), ইডলি (Idli)-সাম্বার (Sambhar), চিকেন-তন্দুরি  (Chicken Tandoori), গাজরের হালুয়া এবং ফল। এই হচ্ছে গান্ধী মূর্তির পাদদেশে ধর্নায় বসা সাসপেন্ডেড সাংসদদের খাবার। বুধবার থেকে শুক্রবার বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত ধর্না চলবে বলে জানিয়েছেন সাসপেন্ডেড সাংসদরা। সেখানেই চলছে ভূরিভোজের ব্যবস্থা।  

    অসংসদীয় আচরণের জন্য সাসপেন্ড করা হয়েছিল সাংসদদের। তার পরেই টানা পঞ্চাশ ঘণ্টার ধর্নায় বসেছেন বিজেপি (BJP) বিরোধী বিভিন্ন দলের সাংসদরা। রাজ্যসভা (Rajya Sabha) থেকে সাসপেন্ড হওয়া ২০ জন বিরোধী দলের সাংসদও রয়েছেন ধর্নায়। যাঁদের সাসপেন্ড করা হয়েছে, তাঁদের মধ্যে রয়েছেন তৃণমূলের (TMC) সাত জন, ডিএমকের ৬ জন, টিআরএসের তিন জন, সিপিএমের দুজন এবং সিপিআই ও আপের একজন করে সাংসদ। রাজ্যসভার পাশাপাশি লোকসভা থেকেও সাসপেন্ড করা হয়েছে কংগ্রেসের চার সাংসদকে। এই ঘটনার প্রতিবাদেই ধর্নায় বসেছেন বিরোধীরা।

    আরও পড়ুন : ৫০ ঘণ্টার ধর্নায় সাসপেন্ডেড সাংসদরা, বিরোধী বৈঠকে গরহাজির আপ, তৃণমূল

    রাজ্যসভা থেকে সাসপেন্ড হয়েছেন তৃণমূলের কংগ্রেসের দোলা সেন। তিনি বলেন, গান্ধী মূর্তির পাদদেশে প্রতিবাদে বসেছেন সাসপেন্ডেড সাংসদরা। রাতেও তাঁরা চালিয়ে যাবেন অবস্থান বিক্ষোভ। টানা পঞ্চাশ ঘণ্টার অবস্থান বিক্ষোভ চালিয়ে যেতে প্রয়োজন খাবারের। তাই তৈরি করা হয়েছে ডিউটি রোস্টারও। সেখানেই তৈরি হচ্ছে হরেক কিসিমের খাবারও। রোস্টার যাতে ঠিকঠাকভাবে পালিত হয়, সেজন্য তৈরি হয়েছে হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ। এদিকে, সংসদে অসংসদীয় আচরণের জন্য দুঃখ প্রকাশ করলেই সাসপেনশান তুলে নেওয়া হবে বলে জানায় সরকার পক্ষ। যদিও তা করতে রাজি নন ধর্নায় বসা সাংসদরা। বিজেপি বিরোধী যে দলগুলি অবস্থান বিক্ষোভে যোগ দিয়েছে, তারা হল তৃণমূল, ডিএমকে, আপ, টিআরএস, সমাজবাদী পার্টি, শিবসেনা, সিপিএম, সিপিআই, জেএমএম এবং কেরালা কংগ্রেস। সংবাদ সংস্থা সূত্রে খবর, প্রতিবাদী রাজনৈতিক দলগুলি ঠিক করেছে অবস্থান বিক্ষোভে বসা সাংসদদের দেওয়া হবে প্রাদেশিক খাবার।

    আরও পড়ুন : রাজ্যসভা নির্বাচনে ১৬-র মধ্যে ৮ আসনে জয়ী বিজেপি

    বুধবার প্রাতরাশে ছিল ইডলি-সাম্বার। লাঞ্চে ছিল দই-ভাত। আয়োজন করেছিল ডিএমকে। আর রাতে খাবার হিসেবে ছিল রুটি, ডাল, পনির এবং চিকেন তন্দুরি। আয়োজন করেছে তৃণমূল। ডিএমকে নেত্রী কানিমোঝি গাজরের হালুয়া নিয়ে এসেছিলেন। তৃণমূলের তরফে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল ফল এবং স্যান্ডউইচ। রোস্টার অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার প্রাতরাশের দায়িত্বে ছিল ডিএমকে। লাঞ্চের দায়িত্বে টিআরএস। আর রাতের খাবারের ব্যবস্থা করার দায়িত্ব বর্তেছে আম আদমি পার্টির ওপর। সাসপেন্ডেড সাংসদদের সমর্থনে বিভিন্ন দলের নেতারাও কিছুক্ষণের জন্য অবস্থান বিক্ষোভ মঞ্চে আসছেন। সংসদ চত্বরের ওই এলাকায় কাঠামো তৈরিতে নিষেধাজ্ঞা থাকায় খোলা আকাশের নীচেই রাত কাটাতে হয়েছে তাঁদের। তবে দেওয়া হয়েছে পার্লামেন্ট লাইব্রেরির টয়লেট ব্যবহারের অনুমতি।

     

  • Pakistan Crisis: এবার ঋণ খেলাপির তালিকায় পাকিস্তানও?   

    Pakistan Crisis: এবার ঋণ খেলাপির তালিকায় পাকিস্তানও?   

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেনায় জর্জরিত দ্বীপরাষ্ট্র শ্রীলঙ্কা (Sri Lanka)। একই অবস্থা জাম্বিয়ারও। বিদেশি মুদ্রার ভাণ্ডারের হাঁড়ির হাল আরও কয়েকটি দেশের। এই তালিকায় যোগ হতে চলেছে পাকিস্তানের নামও। অন্ততঃ ইন্টারন্যাশনাল রেটিং এজেন্সির বক্তব্য এমনই।

    চিনা (China) ঋণের ফাঁদে পা দিয়ে সর্বস্বান্ত হয়ে গিয়েছে ভারতের (India) প্রতিবেশী দেশ শ্রীলঙ্কা। দেশের জিনিসপত্রের দাম অগ্নিমূল্য। বিদেশি মুদ্রার অভাবে ব্যাহত হচ্ছে বিদ্যুৎ উৎপাদন। ঘণ্টার পর ঘণ্টা হচ্ছে লোডশেডিং। একই কারণে বিদেশ থেকে আনানো যাচ্ছে না সংবাদপত্র ছাপার কাগজ। যার জেরে দীর্ঘ দিন এদেশে বন্ধ হয়ে গিয়েছে সংবাদপত্র ছাপার কাজ। জ্বালানির দাম অগ্নিমূল্য হওয়ায় রাস্তায় গাড়িঘোড়াও চলছে কম। জনরোষের হাত থেকে বাঁচতে গা ঢাকা দিয়েছেন দেশের প্রেসিডেন্ট। প্রেসিডেন্ট হাউসের দখল নিয়েছেন দ্বীপরাষ্ট্রের আমজনতা।

    আরও পড়ুন : রাজনৈতিক পটবদল, আগামী সপ্তাহেই নতুন রাষ্ট্রপতি পাবে শ্রীলঙ্কা

    কেবল শ্রীলঙ্কা নয়, অর্থনীতির করুণ দশা পৃথিবীর আরও কয়কটি দেশেরও। টার্কি, ইজিপ্ট, টিউনিশিয়া, ইথিওপিয়া, পাকিস্তান (Pakistan), ঘানা এবং এল সালভাডর রয়েছে এই তালিকায়। এই দেশগুলিও বৈদেশিক ঋণ শোধ করতে পারছে না। এই দেশগুলিতেও জ্বালানি, খাদ্যদ্রব্যে মূল্য আকাশ ছোঁওয়া। সেই সঙ্গে বাড়ছে গ্লোবাল ইন্টারেস্ট রেটও। 

    ফিচ রেটিংসের বিচারে কেবল এই দেশগুলোই নয়, তারা চিহ্নিত করেছে ১৭টি দেশকে। যারা এখনই বৈদেশিক ঋণ শোধে অপারগ। এদের মধ্যে রয়েছে শেহবাজ শরিফের দেশ পাকিস্তানও। এই ১৭টি দেশের তালিকায় রয়েছে বৃহৎ শক্তিধর দেশ রাশিয়াও। আমেরিকা নিষেধাজ্ঞা জারি করায় অর্থনৈতিক লেনদেন করতে পারছে না পুতিনের দেশ। প্রত্যাশিতভাবেই তারাও পারছে না বৈদেশিক ঋণ শোধ করতে।

    আরও পড়ুন : অর্থসংকট কাটাতে আইএমএফের শর্ত মেনেই বাজেট পেশে রাজি পাকিস্তান?

    শ্রীলঙ্কা, জাম্বিয়ার পর এবার ঋণ খেলাপির তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হতে চলেছে পাকিস্তান, লেবানন, টিউনিশিয়া, ঘানা, ইথিওপিয়া, ইউক্রেন, তাজিকিস্তান, এল সালভাদর, সুরিনাম, ইকুয়েডর, বেলিজ, আর্জেন্টিনা, রাশিয়া, বেলারুশ এবং ভেনেজুয়েলা। এই দেশগুলির বৈদেশিক মুদ্রার হাঁড়ির হাল। তাই যে কোনও সময় এদের গায়েও সেঁটে যেতে পারে ঋণখেলাপির তকমা।

     

  • Sukanta Majumdar: লোকসভায় সবচেয়ে বেশি প্রশ্ন করে রেকর্ড সুকান্ত মজুমদারের 

    Sukanta Majumdar: লোকসভায় সবচেয়ে বেশি প্রশ্ন করে রেকর্ড সুকান্ত মজুমদারের 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লোকসভায় (Lok Sabha) সব চেয়ে বেশি প্রশ্ন করে রেকর্ড গড়ে ফেললেন সাংসদ বিজেপির (BJP) সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। বঙ্গ বিজেপির রাজ্য সভাপতিও তিনি। দিলীপ ঘোষকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়ার পর রাজ্যের ব্যাটন তুলে দেওয়া হয় বালুরঘাটের সাংসদ সুকান্তের হাতে। তার পর থেকে দলকে নয়া উচ্চতায় তুলে নিয়ে যাওয়ার নিরন্তর চেষ্টা করে চলেছেন তিনি। কেবল দল নয়, তাঁর সংসদ ক্ষেত্রের প্রতিও যে তিনি সমান মনোযোগী, তার প্রমাণ মিলল লোকসভার রেকর্ডেই।

    লোকসভার অধিবেশন চলাকালীন আলোচনা হয় বিভিন্ন বিষয় নিয়ে। প্রতিটি অধিবেশেনর দিনগুলির একটি নির্দিষ্ট সময় বরাদ্দ থাকে প্রশ্নোত্তর পর্বের জন্য। এই সময় কোনও সাংসদ তাঁর কোনও প্রশ্ন থাকলে, তা করতে পারেন। সচরাচর লোকসভায় অধিবেশন হয় তিনটি। এগুলি হল বাজেট অধিবেশন, শীতকালীন অধিবেশন এবং বাদল অধিবেশন। এছাড়াও জরুরি প্রয়োজনে অধিবেশন ডাকা হতে পারে। এই অধিবেশনগুলিতেই প্রশ্ন করতে পারেন সাংসদরা। এ রাজ্যে লোকসভার আসন সংখ্যা ৪২। তার মধ্যে বিজেপির সাংসদ রয়েছেন ১৭ জন। আর তৃণমূলের হাতে রয়েছে ২৩ জন। কংগ্রেসের সদস্য সংখ্যা ২।

    আরও পড়ুন : অরুণাচল প্রদেশে ১০২ আসনে জয়ী বিজেপি, কী বললেন আইনমন্ত্রী?

    সংসদের রেকর্ড অনুযায়ী, জাতীয়স্তরে সাংসদরা গড়ে প্রশ্ন করেছেন ১৩০টি করে। রাজ্যের ক্ষেত্রে প্রশ্নের হারের করুণ দশা স্পষ্ট। সংসদের তথ্য অনুযায়ী, বাংলার সাংসদরা গড়ে প্রশ্ন করেছেন ৮৫টি করে। তবে চমকে দিয়েছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দথা বালুরঘাটের সাংসদ বিজেপির সুকান্ত। তিনি প্রশ্ন করেছেন ৪৪৪টি। সুকান্তের পরেই যে নামটি রয়েছে, তিনিও বিজেপির। তিনি বিদ্যুৎ মাহাতো। ঝাড়খণ্ডের সাংসদ। তিনি প্রশ্ন করেছেন ৪৩৭টি। চারশোর বেশি প্রশ্ন করেছেন আরও একজন, শ্রীরঙ্গ বার্নে। তিনি শিবসেনার বিধায়ক। তিনি প্রশ্ন করেছেন ৪৩৫টি। এনসিপির সুপ্রিয়া সুলে প্রশ্ন করেছেন ৪৩০টি।   

    জানা গিয়েছে, লোকসভায় মহারাষ্ট্রের সদস্য সংখ্যা ৪৯। সব মিলিয়ে তাঁরা প্রশ্ন করেছেন ১০ হাজার ৯৩২টি। উত্তর প্রদেশের সদস্য সংখ্যা ৮০। তাঁরা প্রশ্ন করেছেন ৬ হাজার ১৬৩টি। উনিশের লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূলের অর্পিতা ঘোষকে বিপুল ভোটে হারিয়ে লোকসভায় যান সুকান্ত। প্রথমবারের জন্য লোকসভায় পা রেখেই সভা মাতিয়ে দিয়েছেন বিজেপির এই সাংসদ। সব মিলিয়ে তাঁর প্রশ্নের সংখ্যা ৪৪৪টি। চাকরি, মহিলাদের ক্ষমতায়ন সহ বিভিন্ন বিষয়ে ওই প্রশ্নগুলি করেছেন বিজেপির অধ্যাপক সাংসদ।

    আরও পড়ুন : আইনশৃঙ্খলা নিয়ে অমিত শাহকে চিঠি শুভেন্দুর, দাবি এনআইএ তদন্তেরও

     

  • Sharad pawar: মহারাষ্ট্র বিধানসভা নির্বাচনে লড়া উচিত মহা বিকাশ আঘাড়ি জোটের, মত পাওয়ারের

    Sharad pawar: মহারাষ্ট্র বিধানসভা নির্বাচনে লড়া উচিত মহা বিকাশ আঘাড়ি জোটের, মত পাওয়ারের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২০২৪ সালে লোকসভা নির্বাচন (Lok Sabha Election)। ওই বছরই হবে মহারাষ্ট্র (Maharasthra) বিধানসভার নির্বাচনও। এই বিধানসভা নির্বাচনে মহাবিকাশ অঘাড়ি (Maha Vikas Aghadi) জোটের তিন দলের একসঙ্গে লড়া উচিত। অন্তত এমনই মনে করেন এনসিপি (NCP) প্রধান শরদ পাওয়ার (Sharad Pawar)।

    গত বিধানসভা নির্বাচনে মহারাষ্ট্রের ক্ষমতায় আসে মহাবিকাশ আঘাড়ি জোট। জোটে শামিল তিন দল-শিবসেনা, এনসিপি এবং কংগ্রেস। বছর আড়াই মসৃণভাবে সরকার চলার পর সম্প্রতি দলে বিদ্রোহ ঘোষণা করেন শিবসেনার বিধায়ক একনাথ শিন্ডে। কংগ্রেস এবং এনসিপি নয়, বিজেপির সঙ্গে জোট গড়ার পক্ষে সওয়াল করেন শিন্ডে। পরে অনুগত বিধায়কদের নিয়ে প্রথমে বিজেপি শাসিত গুজরাটের সুরাটে চলে যান শিন্ডে। পরে মধ্যরাতের বিমান ধরে চলে যান বিজেপি শাসিত আরও এক রাজ্য আসামে। পরে বিজেপির সঙ্গে জোট গড়ে সরকার গড়েন শিন্ডে। তাঁর সঙ্গেই চলে যান সিংহভাগ বিধায়ক। হাতে গোণা কয়েকজন বিধায়ক রয়ে গিয়েছেন শিবসেনা প্রধান উদ্ধব ঠাকরের সঙ্গে।

    আরও পড়ুন : ‘যাঁরা যেতে চাইছেন যান, নতুন শিবসেনা গড়ব’, হুঁশিয়ারি উদ্ধবের

    সম্প্রতি ঔরঙ্গাবাদ এবং ওসমানাবাদের নাম বদল হয়েছে। ঔরঙ্গাবাদের নাম হয়েছে শম্ভনজিনগর, আর ওসমানাবাদের নাম হয়েছে ধারাশিব। উদ্ধব ঠাকরের সরকারের আমলেই হয়েছে এই সিদ্ধান্ত। সেই প্রসঙ্গে পাওয়ার বলেন, এটা মহাবিকাশ আঘাড়ির কমন মিনিমাম প্রোগ্রামের অন্তর্ভুক্ত ছিল না। দু দিনের সফরে ঔরঙ্গাবাদে এসেছেন পাওয়ার। সেখানেই সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি এই নাম পরিবর্তনের ব্যাপারে তাঁর মতামত দেন। বলেন, নাম বদলের সিদ্ধান্ত হয়ে যাওয়ার পরে আমি এটি জানতে পেরেছি।

    আরও পড়ুন : ডামাডোলের বাজারেও ঢালাও অর্থ-প্রস্তাব মঞ্জুর, মহারাষ্ট্রে হচ্ছেটা কী?

    ২০২৪ সালে মহারাষ্ট্র বিধানসভার নির্বাচন প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তের তিনি বলেন, বিধানসভা নির্বাচনে তিন দলের জোট মহাবিকাশ আঘাড়ির লড়াই করা উচিত। তবে এটা যে নিতান্তই তাঁর ব্যক্তিগত মত, তাও জানান পাওয়ার। পাওয়ার বলেন, এনিয়ে আমি প্রথমে আমার দলের নেতাদের সঙ্গে কথা বলব। তার পরে কথা বলব বাকি জোট শরিকদের সঙ্গে। শিবসেনার বিদ্রোহ প্রসঙ্গে এনসিপি সুপ্রিমো বলেন, হিন্দুত্ব, এনসিপি এবং ফান্ডের অভাবের কথা বলে বিদ্রোহ ঘোষণা হয়েছে। তবে ঠিক কী কারণে অশান্তি, তা জানা যায়নি।

     

  • Ramnath Kovind: পাঁচ বছরের মেয়াদে রাষ্ট্রপতি কোবিন্দ আটকে দিয়েছেন রাজ্যের ৩ বিল, স্বাক্ষর করেছেন ১৫৯টিতে

    Ramnath Kovind: পাঁচ বছরের মেয়াদে রাষ্ট্রপতি কোবিন্দ আটকে দিয়েছেন রাজ্যের ৩ বিল, স্বাক্ষর করেছেন ১৫৯টিতে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মাত্র পাঁচ বছরের কার্যকাল। সেই মেয়াদ শেষ হতে বাকি হাতে গোণা কয়েকটা দিন। এই পাঁচ বছরে রাষ্ট্রপতি (President) হিসেবে কী করলেন রামনাথ কোবিন্দ (Ramnath Kovind)? নয়া রাষ্ট্রপতি শপথ নিলেই অবসরে চলে যাবেন কোবিন্দ। শুরু অখণ্ড অবসর। এবার নিজের মতো করে সময় কাটাবেন তিনি। আসুন জেনে নেওয়া যাক, গত পাঁচ বছরে কী কাজ করলেন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ।  

    ভারতের রাষ্ট্রপতি পদটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মতো নয়। মার্কিন মুলুকে প্রেসিডেন্টই সব। আর ভারতে (India) রাষ্ট্রপতি পদটি আলঙ্কারিক। ব্রিটেনের মতো এখানেও প্রধানমন্ত্রীই সব। তবে আলঙ্কারিক হলেও ভারতে রাষ্ট্রপতির হাতে বেশ কিছু ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে। সে যাই হোক, গত পাঁচ বছর ধরে এই পদে ছিলেন রামনাথ কোবিন্দ। এই পাঁচ বছরে তিনি স্বাক্ষর করেছেন ১৫৯টি বিলে। নিয়ম অনুযায়ী, কোনও একটি বিল সংসদের উভয় কক্ষে পাশ হওয়ার পর সম্মতির জন্য যায় রাষ্ট্রপতির কাছে। রাষ্ট্রপতি স্বাক্ষর করলেই বিলটি আর বিল থাকে না, পরিণত হয় আইনে। তাঁর কার্যকালে রামনাথ কোবিন্দ স্বাক্ষর করেছেন ১৫৯টি বিলে। এগুলির মধ্যে রয়েছে গুজরাট কন্ট্রোল অফ টেটরিজম অ্যান্ড অর্গানাইজড ক্রাইম বিল ২০১৫।  

    আরও পড়ুন : রাষ্ট্রপতি পদে দ্রৌপদীকে সমর্থন করে বিজেপিকে বার্তা উদ্ধব ঠাকরের?

    এই পাঁচ বছরের মেয়াদের কোবিন্দ আটকে দিয়েছেন তিনটি স্টেট বিলও। এর মধ্যে দুটি বাংলার। এদের একটি হল, জেসপ অ্যান্ড কোম্পানি লিমিটেড (অ্যাকুইজিশন অ্যান্ড ট্রান্সফার অফ আন্ডারটেকিং বিল ২০১৬) এবং ডানলপ ইন্ডিয়া লিমিটেড(অ্যাকুইজিশন অ্যান্ড ট্রান্সফার অফ আন্ডারটেকিং বিল ২০১৬)। বিল দুটিতে স্বাক্ষর করেননি রাষ্ট্রপতি। রাষ্ট্রপতির সম্মতি মেলেনি তামিলনাড়ুর এমবিবিএস এবং বিডিএস কোর্স বিল ২০১৭-ও।

    আরও পড়ুন : দার্জিলিংয়ে হঠাৎ বৈঠকে মমতা-হিমন্ত! বিষয় কি রাষ্ট্রপতি নির্বাচন?

    নিয়ম অনুযায়ী, কোনও একটি বিল রাজ্য বিধানসভায় পাশ হয়ে যাওয়ার পর রাজ্যপালের সম্মতির জন্য সেটি পাঠানো হয় রাজভবনে। রাজ্যপাল বিলটি আটকে রাখতে পারেন অথবা রাষ্ট্রপতির সম্মতির জন্য বিলটি তিনি পাঠাতে পারেন রাষ্ট্রপতি ভবনে। বাংলার দুটি এবং তামিলনাড়ুর একটি বিলের ক্ষেত্রেও এমনটাই হয়েছিল। তিনটি বিলেই রাষ্ট্রপতির সম্মতি মেলেনি। কোবিন্দের হাতে শেষ যে বিলটি পাশ হয়েছে, সেটি হল ক্রিমিনাল ল’(মধ্যপ্রদেশ অ্যামেন্ডমেন্ট বিল) ২০১৯। তাঁর আমলে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিলও আইনে পরিণত হয়েছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল, ইউপি’জ মিনিমাম ওয়েজেস(অ্যামেন্ডমেন্ট) বিল ২০১৭। এই আইনের মাধ্যমে ব্যাংকের মাধ্যমে মজুরি পাবেন উত্তর প্রদেশের শ্রমিকরা।

     

  • Gyanvapi Row: শৃঙ্গার গৌরীর স্থলে পুজোর অধিকার চেয়ে আবেদন ৫ হিন্দু মহিলার, চলবে শুনানি

    Gyanvapi Row: শৃঙ্গার গৌরীর স্থলে পুজোর অধিকার চেয়ে আবেদন ৫ হিন্দু মহিলার, চলবে শুনানি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বারাণসী জেলা আদালতে শুরু হয়েছে জ্ঞানবাপী মসজিদ মামলার (Gyanvapi Mosque Case)  শুনানি। এদিন দুপুর দুটোয় জেলার মুখ্য বিচারবিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেট এ কে বিশ্বাসের এজলাসে শোনা হয় আবেদনকারী পাঁচ হিন্দু (Hindu) মহিলা ভক্তের তরফে জ্ঞানবাপী চত্বরের মা শৃঙ্গার গৌরীস্থলে (Shringar Gauri)  পুজোআচ্চার জন্য আবেদনের পক্ষে যুক্তি।

    জুলাই মাসের চার তারিখে মুসলিম পক্ষের তরফে ৫১ দফা যুক্তি শুনেছিল আদালত। অঞ্জুমান ইন্তেজামিয়া মসজিদ কমিটিই দেখাশোনা করে জ্ঞানবাপী মসজিদ। ওই কমিটির আইনজীবী আদালতকে জানিয়েছিলেন, ব্রিটিশ আমলেও জ্ঞানবাপী মসজিদের জমিতে মন্দির গড়ার দাবি উঠেছিল। ১৯৩৬ সালে বারাণসী আদালতে সেই আবেদন জানানো হলেও, ওই মসজিদে নমাজ আদায়ের অধিকার বজায় থাকে ১৯৩৭ সালের রায়ে। তার পর থেকে মসজিদে নিত্য নমাজ পড়েন নমাজিরা।

    ২০২১ সালের অগস্টে পাঁচজন হিন্দু মহিলা জ্ঞানবাপীর মা শৃঙ্গার গৌরী এবং মসজিদের ভিতরের পশ্চিমের দেওয়ালে হিন্দু দেবদেবীর মূর্তির অস্তিত্ব রয়েছে দাবি করে তা পুজোর অনুমতি চেয়ে দ্বারস্থ হয়েছিলেন বারাণসী দায়রা আদালতে। এর পর দায়রা আদালতের বিচারক রবিকুমার দিবাকর নিযুক্ত কমিটি মসজিদের ভিতরে সমীক্ষা ও ভিডিওগ্রাফির নির্দেশ দেয়। সেই ভিডিওগ্রাফির একটি ফুটেজ প্রকাশ্যে আসে। হিন্দুত্ববাদীদের দাবি, তাতে দেখা গিয়েছে মসজিদের ওজুখানার জলাধারে শিবলিঙ্গ রয়েছে। যদিও মসজিদ কর্তৃপক্ষের দাবি, শিবলিঙ্গ নয়, ওজুখানার জলাধারে রয়েছে পুরানো ফোয়ারা।  

    ভিডিওগ্রাফির কাজ শেষ হওয়ার পরেই সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে মামলার শুনানির দায়িত্ব পায় বারাণসী জেলা আদালত। ১৯৯১ সালে সোমনাথ ব্যাস এবং রামরঙ্গ শর্মা নামে দুই আবেদনকারী জ্ঞানবাপী মসজিদে হিন্দুত্বের অধিকারের দাবিতেও একটি মামলা করেছিলেন। তার প্রেক্ষিতে ওই নির্দেশে বলা হয়েছিল, ১৯৯১ এর ধর্মীয় উপাসনাস্থল আইন অনুযায়ী জ্ঞানবাপী মসজিদ আবেদনকারী পক্ষকে দেওয়া সম্ভব নয়। সেখানে বর্তমান বন্দোবস্তই বহাল থাকবে। ওই আইনের ৪ নম্বর ধারায় বলা হয়েছে, ১৯৪৭ সালের ১৫ অগস্টের আগে থেকে দেশে যেসব ধর্মীয় কাঠামো রয়েছে, তার চরিত্র কোনওভাবেই পালটানো যাবে না। যদিও হিন্দু পক্ষের আইনজীবী বিষ্ণু জৈন এবং হরিশঙ্কর জৈনের দাবি, ১৯৯১ সালের ওই আইন জ্ঞানবাপীর ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়।

     

LinkedIn
Share