Author: Krishnendu Bakshi

  • I2U2: ছয় ক্ষেত্রে যৌথ লগ্নি আইটুইউটু-র, প্রথম প্রজেক্ট ভারতে

    I2U2: ছয় ক্ষেত্রে যৌথ লগ্নি আইটুইউটু-র, প্রথম প্রজেক্ট ভারতে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আইটুইউটু-র (I2U2) প্রথম প্রজেক্ট হতে চলেছে ভারতে (India)। কৃষি (Agriculture), খাদ্য (Food) এবং গ্রিন এনার্জি-র (Green Energy) ক্ষেত্রে হবে এই বিনিয়োগ। চার দেশের শীর্ষ নেতৃত্বের তরফে জারি করা এক যৌথ বিবৃতিতে জানানো হয়েছে একথা।

    আই টু ইউ টু-র অর্থ ইন্ডিয়া ও ইসরায়েল এবং আমেরিকা ও সংযুক্ত আরব আমিরশাহি। বৃহস্পতিবার হয় এই চার দেশের প্রথম ভার্চুয়াল সম্মেলন। এদিনের সম্মেলেন যোগ দিয়েছিলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন, ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী ইয়ার ল্যাপিড এবং সংযুক্ত আরব আমিরশাহির প্রেসিডেন্ট মহম্মদ বিন জায়েদ আল নাহিয়ান। উদ্বোধনী বৈঠকে খাদ্য নিরাপত্তা সংকট ও পরিচ্ছন্ন জ্বালানির বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। প্রথম বৈঠকেই ভারতে খাদ্য নিরাপত্তা ক্ষেত্রে ২০০ কোটি মার্কিন ডলার বিনিয়োগের প্রতিশ্রুতি দিল সংযুক্ত আরব আমিরশাহি।

    আরও পড়ুন : মালদ্বীপ ছেড়ে সিঙ্গাপুর পালালেন শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া, মেলেনি আশ্রয়, যাবেন কোথায়?

    ভার্চুয়াল ভাষণে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি আইটুইউটু গোষ্ঠীর ভূয়সী প্রশংসা করেন। তাঁর মতে, গোটা বিশ্বে যেভাবে অনিশ্চয়তা বাড়ছে, তার মধ্যে ব্যবহারিক সহযোগিতা গড়ে তোলার জন্য এটি অত্যন্ত ভাল একটি মডেল। মোদি বলেন, এই গোষ্ঠী বিশ্বব্যাপী শক্তি নিরাপত্তা, খাদ্য নিরাপত্তা ও অর্থনৈতিক উন্নতির ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে। প্রথম শীর্ষ সম্মেলন থেকেই আইটুইউটু একটি ইতিবাচক অ্যাজেন্ডা প্রতিষ্ঠা করেছে। আমরা বিভিন্ন ক্ষেত্রে যৌথ প্রকল্প চিহ্নিত করেছি এবং সেই প্রকল্পের কাজ এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য একটি রোডম্যাপও তৈরি করেছি।

    আরও পড়ুন : শ্রীলঙ্কার সঙ্কটের জন্যে রাশিয়াকেই দায়ী করল যুক্তরাষ্ট্র, কেন?

    মোদি জানান, আইটুইউটু গোষ্ঠীর কাঠামোর অধীনে জল, শক্তি, পরিবহণ, মহাকাশ, স্বাস্থ্য এবং খাদ্য- নিরাপত্তার এই ছটি গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রে যৌথ বিনিয়োগ বাড়ানোর বিষয়ে একমত হয়েছে এই গোষ্ঠীর অন্তর্ভুক্ত চার দেশ। মোদি বলেন, এই গোষ্ঠীর দৃষ্টিভঙ্গি ও অ্যাজেন্ডা প্রগতিশীল ও বাস্তবোচিত। তিনি বলেন, আমাদের সহযোগিতামূলক কাঠামো ক্রমবর্ধমান গ্লোবাল অনিশ্চয়তার মুখে ব্যবহারিক সহযোগিতার জন্য একটি ভালো মডেল।

    জানা গিয়েছে, সংযুক্ত আরব আমিরশাহি যে দুশো কোটি মার্কিন ডলার বিনিয়োগ করবে এ দেশে, তাতে তারা বেশ কয়েকটি খাদ্য নিরাপত্তা পার্ক গড়ে তুলবে। প্রকল্পের জন্য জমি দেবে ভারত সরকার। পার্কগুলির সঙ্গে কৃষকদের যুক্ত করার কাজও করবে সরকার। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেন, প্রথম যে দুটি প্রজেক্টের ওপর আমরা গুরুত্ব দিচ্ছি, সে দুটি হল খাদ্য নিরাপত্তা ও গ্রিন এনার্জি। এর মধ্যেও গুরুত্বপূর্ণ হল খাদ্য নিরাপত্তা। কারণ তামাম বিশ্ব আপাতত ভুগছে খাদ্য অনিশ্চয়তায়।

     

  • Parliament Monsoon Session: সংসদ প্রাঙ্গণে পালন করা যাবে না বিক্ষোভ, অবস্থান কর্মসূচি? 

    Parliament Monsoon Session: সংসদ প্রাঙ্গণে পালন করা যাবে না বিক্ষোভ, অবস্থান কর্মসূচি? 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সংসদে (Parliament) অসংসদীয় শব্দে (Unparliamentary Words) নিষেধাজ্ঞা জারি বিতর্কের রেশ এখনও মেলায়নি। তার মধ্যেই শুরু ফের এক দফা বিতর্ক। শুক্রবার এক নির্দেশিকায় জানানো হয়েছে, এবার সংসদ প্রাঙ্গণে বিক্ষোভ, অবস্থান কর্মসূচি পালন করা যাবে না। এদিন সংসদের দুই কক্ষের সচিবালয় থেকে চলতি বাদল অধিবেশনে এই নয়া নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। বিরোধীদের অভিযোগ, এভাবে কার্যত গণতন্ত্রের কণ্ঠরোধ করা হচ্ছে।

    ১৮ জুলাই সংসদে শুরু হচ্ছে বাদল অধিবেশন (Monsoon Session)। শেষ হবে ১৩ আগস্ট। তার আগেই সংসদের তরফে একটি পুস্তিকা প্রকাশ করা হয়েছে। তাতে হিন্দি, ইংরেজি মিলিয়ে প্রায় ৫০টি শব্দকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। এই শব্দগুলিকে অংসসদীয় বলে উল্লেখ করা হয়েছে পুস্তিকায়। তা নিয়ে কম হইচই হয়নি। যদিও লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লা সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, কোনও শব্দেই নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়নি। সংসদীয় রীতি মেনে সদস্যরা নিজস্ব বক্তব্য পেশ করতে পারেন।

    আরও পড়ুন :কোনও শব্দেই নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়নি, সাফ জানালেন লোকসভার স্পিকার

    শুক্রবার সচিবালয়ের তরফে জারি করা নয়া নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, সাংসদরা সংসদ প্রাঙ্গণে কোনও বিক্ষোভ, ধরনা বা অনশন কর্মসূচিতে অংশ নিতে পারবেন না। এই নির্দেশিকায় আরও বলা হয়েছে, স্পিকারের আগাম অনুমতি ছাড়া সংসদ চত্বরে কোনও পামফ্লেট, লিফলেট বা প্ল্যাকার্ড প্রকাশ করা যাবে না। পার্লামেন্টের ভিতরে প্ল্যাকার্ড কঠোরভাবে নিষিদ্ধও করা হয়েছে বলে জানানো হয়েছে নির্দেশিকায়।

    আরও পড়ুন : গুজরাট, হিমাচল প্রদেশের সঙ্গেই নভেম্বরে ভোট হবে জম্মু-কাশ্মীরেও?

    ঘটনার কড়া সমালোচনা করেছেন বিরোধীরা। কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক জয়রাম রমেশ বলেন, বিশ্বগুরুর সর্বশেষ আক্রমণ…ধরনা নিষিদ্ধ। সিপিআইএম নেতা সীতারাম ইয়েচুরির মতে, এটি গণতন্ত্রের কণ্ঠ রোধ করার চেষ্টা। ট্যুইট বার্তায় তিনি লেখেন, এই ধরনের স্বৈরাচারী নির্দেশ জারি করে গণতন্ত্রকে উপহাস করা হচ্ছে। সংসদ ভবন কমপ্লেক্সে সাংসদের ধর্নার রাজনৈতিক অধিকার লঙ্ঘন করা হচ্ছে। প্রসঙ্গত, লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লা আগেই রাজনৈতিক দলগুলিকে কোনও তথ্য ছাড়াই গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলি সম্পর্কে অভিযোগ এবং পাল্টা অভিযোগ করা থেকে বিরত থাকার আবেদন জানিয়েছিলেন।

     

  • Rajya Sabha Protest: ৫০ ঘণ্টার ধর্নায় সাসপেন্ডেড সাংসদরা, বিরোধী বৈঠকে গরহাজির আপ, তৃণমূল  

    Rajya Sabha Protest: ৫০ ঘণ্টার ধর্নায় সাসপেন্ডেড সাংসদরা, বিরোধী বৈঠকে গরহাজির আপ, তৃণমূল  

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অসংসদীয় আচরণের জন্য সাসপেন্ড করা হয়েছিল সাংসদদের। তার পরেই টানা পঞ্চাশ ঘণ্টার ধর্নায় বসলেন বিজেপি (BJP) বিরোধী দলের সাংসদরা। অধিবেশনে বাধা দেওয়ার অভিযোগে রাজ্যসভা (Rajya Sabha) থেকে সাসপেন্ড হওয়া ২০ জন বিরোধী দলের সাংসদও ছিলেন ধর্নায়। যাঁদের সাসপেন্ড করা হয়েছে, তাঁদের মধ্যে তৃণমূলের (TMC) সাত জন, ডিএমকের ৬ জন, টিআরএসের তিন জন, সিপিএমের দুজন এবং সিপিআই ও আপের একজন করে সাংসদ রয়েছেন। রাজ্যসভার পাশাপাশি লোকসভা থেকেও সাসপেন্ড করা হয়েছে কংগ্রেসের চার সাংসদকে। এই ঘটনার প্রতিবাদেই ধর্নায় বসেছেন বিরোধীরা। আপ সাংসদ সঞ্জয় সিং বলেন, শুক্রবার বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত ধর্নায় বসবেন সাংসদরা। মহিলা এবং প্রবীণ সাংসদরা শিফট ওয়াইজ যোগ দেবেন ধর্নায়।

    আরও পড়ুন : রাজ্যসভা নির্বাচনে ১৬-র মধ্যে ৮ আসনে জয়ী বিজেপি

    সংসদীয় বিষয়ক মন্ত্রী প্রহ্লাদ জোশী বলেন, আচরণ সংশোধন করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে ক্ষমা চাইলে তবেই সাপসেনশন তুলে নেওয়া হবে। এদিকে, সাসপেন্ড হওয়া বিরোধী দলের সাংসদদের সাসপেনশন তুলে নেওয়ার দাবিতে এদিন রাজ্যসভার চেয়ারম্যানকে চিঠি লিখেছিলেন রাজ্যসভার বিরোধী দলনেতা কংগ্রেসের মল্লিকার্জুন খাড়্গে।সাংসদদের সাসপেনশনের প্রতিবাদে রণকৌশল স্থির করতে এদিন বৈঠকেও বসেন বিজেপি বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলির প্রতিনিধিরা। তৃণমূল এবং আম আদমি পার্টির কেউ অবশ্য যোগ দেননি ওই বৈঠকে।

    আরও পড়ুন : মমতা আদিবাসী বিরোধী? পোস্টার সাঁটিয়ে প্রমাণ বঙ্গ বিজেপি-র

    খাড়্গের অভিযোগ, সরকার মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে কোনও আলোচনা করতে রাজি নয়। বিরোধীদের তোলা অভিযোগ অস্বীকার করে জোশী বলেন, মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে আলোচনা করতে সরকার রাজি। অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামণ করোনা সংক্রমিত হয়েছিলেন। ফের অফিস আসা শুরু করেছেন। বিরোধীরা চাইলেই আমরা আলোচনা শুরু করতে রাজি। প্রসঙ্গত, সংসদের বাদল অধিবেশন শুরু হয়েছে ১৮ জুলাই। চলবে ১২ আগস্ট পর্যন্ত। এর আগে রাজ্যসভায় এক সঙ্গে এতজন সাংসদকে সাসেপন্ড করা হয়নি। সাসপেন্ড হওয়া সাংসদরা ধর্নায় বসেছেন গান্ধী মূর্তির পাদদেশে।

     

  • Shivsena on Droupadi Murmu: দলীয় সাংসদদের চাপে বিজেপির দ্রৌপদী মুর্মুকেই সমর্থন করছে শিবসেনা?

    Shivsena on Droupadi Murmu: দলীয় সাংসদদের চাপে বিজেপির দ্রৌপদী মুর্মুকেই সমর্থন করছে শিবসেনা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী বিজেপির দ্রৌপদী মুর্মুকেই সমর্থন করতে চলেছে শিবসেনা। অন্তত শিবসেনা সূত্রেই এ খবর মিলেছে। এনডিএ (NDA) রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী বিজেপির (BJP) দ্রৌপদী মুর্মুকে (Droupadi Murmu) সমর্থনের জন্য শিবসেনা (Shiv Sena) প্রধান উদ্ধব ঠাকরের (Uddhav Thackeray) ওপর চাপ বাড়িয়েছিলেন শিবসেনা সাংসদরা। সোমবার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবনে উদ্ধবের সঙ্গে বৈঠকেও বসেছিলেন শিবসেনার সাংসদরা। সূত্রের খবর, সেখানেই দ্রৌপদীকে সমর্থন করতে উদ্ধবের ওপর চাপ সৃষ্টি করেন তাঁরা। শেষমেশ শিবসেনার তরফে দ্রৌপদীকেই সমর্থন করা হতে পারে বলে সূত্রের খবর।  

    ১৮ জুলাই রাষ্ট্রপতি নির্বাচন। সূত্রের খবর, তার আগে দ্রৌপদীকে সমর্থনের বিষয়ে সমর্থনের ইঙ্গিত দিতে পারেন উদ্ধব। মতোশ্রীতে শিবসেনার বৈঠকে ১৮ জন লোকসভা সাংসদের মধ্যে ১৩ জন এবং রাজ্যসভার ২ জন সাংসদ বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।এঁদের মধ্যে অন্তত আটজন দ্রৌপদীকে সমর্থনের বিষয়ে অনড় বলে সূত্রের খবর। শিবসেনার এক শীর্ষ নেতা বলেন, আমাদের মধ্যে অনেকেই চান বিজেপি এবং শিন্ডে শিবিরের সঙ্গে সম্পর্ক জোড়া লাগুক। কারণ বিজেপি আমাদের পুরানো শরিক। আদর্শগতভাবে বিজেপি আমাদের প্রকৃত সঙ্গী। উদ্ধব ঠাকরে এই বিষয়ে কিছু বলেননি, কিন্তু ভেবে দেখবেন বলেছেন। তিনি বলেন, বিদ্রোহের কারণে বিজেপি ও শিবসেনার মধ্যে তিক্ততা বেড়েছে। কিন্তু দল যদি দ্রৌপদীকে সমর্থন করে, তাহলে ভাঙা সম্পর্ক জোড়া লাগার সুযোগ থাকবে। ফের সম্পর্ক গড়ে তোলার সম্ভাবনাও থাকবে। মঙ্গলবার শিবসেনা মুখপাত্র সঞ্জয় রাউত বলেন, শিবসেনা যেটা ঠিক ভাবে সেটা করে। অতীতেও আমরা কংগ্রেসের প্রার্থী টিএন শেষনকে সমর্থন করেছিলাম। ইউপিএ প্রার্থী প্রতিভা পাটিল এবং প্রণব মুখোপাধ্যায়কেও সমর্থন করেছিলাম। পিছড়েবর্গরা জাতির স্বার্থে এগিয়ে আসুক আমরা চাই।  

    আরও পড়ুন : ‘যাঁরা যেতে চাইছেন যান, নতুন শিবসেনা গড়ব’, হুঁশিয়ারি উদ্ধবের

    এদিনের বৈঠকে লোকসভার ১৮ জন সাংসদের মধ্যে পাঁচজন অনুপস্থিত ছিলেন। এঁরা হলেন, মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডের ছেলে শ্রীকান্ত শিন্ডে, ভাবনা গাওয়ালি, সঞ্জয় যাদব, সঞ্জয় মাণ্ডলিক এবং হেমন্ত পাটিল। দাদরা ও নগর হাভেলির একমাত্র সাংসদ কলাবেন দেলকরও ওই বৈঠকে ছিলেন না বলেই শিবসেনা সূত্রের খবর। শিবসেনা সূত্রে খবর, সঞ্জয় যাদব, সঞ্চয় মাণ্ডলিক ও হেমন্ত আগেই শিবসেনা প্রধানকে জানিয়েছিলেন ব্যক্তিগত কারণে সোমবারের বৈঠকে থাকতে পারবেন না তাঁরা।

    আরও পড়ুন : উদয়পুরের মতো নৃশংস ঘটনার প্রতিবাদ করা উচিত মুসলিমদেরও, জানাল আরএসএস

    প্রসঙ্গত, গত সপ্তাহেই শিবসেনার সংসদীয় দলের মুখ্য সচেতক পদ থেকে ভাবনা গাওয়ালিকে সরিয়ে দেন উদ্ধব। তার আগেই উদ্ধবকে ভাবনা চিঠি লিখে বিজেপির সঙ্গে জোটে যাওয়ার কথা বলেছিলেন। এদিনের বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন শিবসেনার রাজ্যসভার সাংসদ সঞ্জয় রাউত এবং প্রিয়াঙ্কা চতুর্বেদী। যদিও রাজ্যসভার সাংসদ অনিল দেশাই দিল্লিতে থাকার কারণে গরহাজির ছিলেন এদিনের বৈঠকে। এদিকে, শিন্ডে শিবিরের দাবি, অন্তত ১২ জন সাংসদ নিয়মিত মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলেছেন।

     

  • Sri Lanka: দেনার দায়ে জর্জরিত শ্রীলঙ্কার পাশে দাঁড়াল ভারত, স্বাগত জানালেন সনৎ জয়সূর্য

    Sri Lanka: দেনার দায়ে জর্জরিত শ্রীলঙ্কার পাশে দাঁড়াল ভারত, স্বাগত জানালেন সনৎ জয়সূর্য

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেনার দায়ে জর্জরিত দ্বীপরাষ্ট্র শ্রীলঙ্কা (Sri Lanka)। বিপদ আঁচ করে গা ঢাকা দিয়েছেন দেশের প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপক্ষে (Gotabaya Rajapaksa)। পদত্যাগ করার ইচ্ছে প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী রনিল বিক্রমসিংহে (Ranil Wickramasinghe)। দেশের অর্থনীতির হাঁড়ির হাল হওয়ার জন্য প্রসিডেন্টকেই দুষছেন শ্রীলঙ্কাবাসী। ঘটনার জেরে ফুঁসছে গোটা দ্বীররাষ্ট্র। প্রতিবেশী এই দেশটির সংকটে পাশে থাকার অঙ্গীকার করেছে ভারত। ঋণের দায়ে জর্জরিত দ্বীপরাষ্ট্রের বাসিন্দাদের দিকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন ভারত

    আরও পড়ুন : কলম্বোর রাস্তা কার্যত গাড়ি শূন্য! জ্বালানি সংকটে শ্রীলঙ্কা

    সম্প্রতি বিদেশ মন্ত্রকের তরফে জারি করা এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, দ্বীপরাষ্ট্র শ্রীলঙ্কার অর্থনৈতিক অবস্থা মারাত্মক আকার ধারণ করেছে। এই দুর্দশা থেকে ত্রাণ পাওয়ার জন্য বিক্ষোভের আগুনে ফুঁসছে গোটা দেশ। সেই কারণেই এই সপ্তাহ থেকে শুরু হয়েছে প্রতিবাদ। সংকট প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচি বলেন, শ্রীলঙ্কার দিকে নজিরবিহীন সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে ভারত। শ্রীলঙ্কা যাতে এই সংকট থেকে ঘুরে দাঁড়াতে পারে, সেজন্য তিনশো আশি কোটি মার্কিন ডলার সাহায্য দেওয়ার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। গত মে মাসে সরকার বদলে জনরোষ সামাল দেওয়ার চেষ্টা হয়েছে শ্রীলঙ্কায়। তারপর পরিস্থিতি কিছুটা থিতিয়ে গেলেও ফের অগ্নিগর্ভ হয়ে উঠেছে দ্বীপরাষ্ট্র। কারণ সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী রনিল বিক্রমসিংহে দেশটিকে ফের দেউলিয়া বলে ঘোষণা করেছেন। তার পরেই পথে নেমেছে জনতা। পরিস্থিতি বেগতিক দেখে গা ঢাকা দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট। তাঁর বাসভবন দখল করেছেন আম শ্রীলঙ্কাবাসী। ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর বলেন, শ্রীলঙ্কাকে নানাভাবে সাহায্য করার চেষ্টা চলছে। সূত্রের খবর, শক্তি, পরিকাঠামোগত উন্নয়ন এবং কমিউনিকেশনের ক্ষেত্রে ভারত শ্রীলঙ্কাকে সাহায্য করবে। 

    আরও পড়ুন : অশান্তির আগুনে পুড়ল শ্রীলঙ্কা প্রেসিডেন্টের পৈতৃক বাড়ি, বিক্ষোভ হঠাতে গুলি

    এই সংকটকালেই সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে ভারত। ইতিমধ্যেই কয়েক লক্ষ ডলার মূল্যের চাল, গুঁড়ো দুধ সহ প্রয়োজনীয় নানা খাদ্যসামগ্রী পাঠানো হয়েছে। ওষুধ সহ অন্যান্য মানবিক সাহায্যও পাঠানো হয়েছে। ডিজেল, জ্বালানি এবং গ্যাসোলিনও পাঠিয়েছে নয়াদিল্লি। সাহায্য করা হয়েছে চারশো কোটি ডলারও। ভারতের প্রাক্তন বিদেশ সচিব এবং কৌলশগত বিষয়ে বিশেষজ্ঞ কেসি সিং বলেন, শ্রীলঙ্কায় কৌশলগত পদক্ষেপ বজায় রাখার চেষ্টা করে চলেছে ভারত। বর্তমানে ভারতের মূল লক্ষ্য হল, শ্রীলঙ্কার ওপর থেকে চিনা প্রভাব খর্ব করা। 

    এদিকে, ভারতের সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন শ্রীলঙ্কার প্রাক্তন ক্রিকেটার সনৎ জয়সূর্য। তিনি বলেন, স্থায়ী সরকার হওয়ার পরে আইএমএফ, ভারত এবং আমাদের সমস্ত বন্ধুদেশ শ্রীলঙ্কাকে সাহায্য করবে। সংকটের শুরু থেকেই ভারত শ্রলঙ্কার পাশে রয়েছে, সাহায্যে করে চলেছে। তাদের ধন্যবাদ জানাই। শ্রীলঙ্কায় ভারতের অবদান অপরিসীম।

     

  • Chess Olympiad: চেজ ওলিম্পিয়াডের পোস্টারে প্রধামমন্ত্রী, রাষ্ট্রপতির ছবি,  কী বলল মাদ্রাজ হাইকোর্ট?

    Chess Olympiad: চেজ ওলিম্পিয়াডের পোস্টারে প্রধামমন্ত্রী, রাষ্ট্রপতির ছবি, কী বলল মাদ্রাজ হাইকোর্ট?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চেন্নাইতে হতে চলেছে ৪৪তম চেজ ওলিম্পিয়াড(Chess Olympiad)। সেই উপলক্ষে টাঙানো হয়েছে বিলবোর্ড (Bill Board)। তাতে ছবি নেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (PM Modi)। এর পরেই কয়েকজন বিজেপি (BJP) কর্মী গিয়ে বিলবোর্ডে সাঁটিয়ে দেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির। এর ঠিক পরের দিনই মাদ্রাজ হাইকোর্ট (Madras High Court) তামিলনাড়ু সরকারকে সাফ জানিয়ে দেয়, ওলিম্পিয়াডের বিলবোর্ড, পোস্টারে রাখতে হবে রাষ্ট্রপতি (President) এবং প্রধানমন্ত্রীর ছবি।
    কিছুদিন পরেই তামিলনাড়ুতে হতে চলেছে ৪৪তম চেজ ওলিম্পিয়াড। আন্তর্জাতিক এই দাবা প্রতিযোগিতা উপলক্ষে শহর ছয়লাপ মুখ্যমন্ত্রী এমকে স্ট্যালিনের ছবি সম্বলিত পোস্টারে। আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতা হওয়া সত্ত্বেও তাতে রাষ্ট্রপতি কিংবা প্রধানমন্ত্রী ছবি ছিল না। আদালতে রাজ্য সরকার জানিয়েছিল, রাষ্ট্রপতি নির্বাচন নিয়ে যখন দেশ ব্যস্ত তখন রাষ্ট্রপতির ছবি মেলেনি। তাই পোস্টারে ছবি দেওয়া হয়নি রাষ্ট্রপতির। আর পোস্টারে প্রধানমন্ত্রীর ছবি দেওয়া হয়নি কারণ, প্রধানমন্ত্রীর দফতর থেকে তাঁর ছবি ছাপার অনুমতি এসেছিল দেরিতে।

    আরও পড়ুন : শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগ নবম-দশমেও, হাইকোর্টে দায়ের মামলা

    রাজ্য সরকারের এই দাবি খারিজ করে দিয়েছে প্রধান বিচারপতি মুনিশ্বর নাথ ভাণ্ডারি ও বিচারপতি এ আনন্থির ডিভিশন বেঞ্চ। তাঁরা জানান, দেশের প্রতিটি নাগরিকের কাছে জাতির গুরুত্বটাই সবার ওপরে হওয়া উচিত। যে কোনও আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় সেই দেশের রাষ্ট্রপ্রধানদের ছবি থাকে। কারণ তাঁরাই দেশের প্রতিনিধি। এটা শুধুই দেশের উন্নতির চিত্র প্রদর্শন নয়, এটা অল্প সময়ে ওই দেশের আয়োজনের ক্ষমতাও প্রমাণ করে। রাজ্য সরকার সহ প্রত্যেক সরকারের এ ব্যাপারে কাজ করা উচিত। যখন দেশ এমন এক আন্তর্জাতিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতার আয়োজন করছে, তখন সেটা যাতে নিখুঁতভাবে অনুষ্ঠিত হয়, সেটা যাতে আন্তর্জাতিক মহলে দেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করে, তার ব্যবস্থা করতে হবে। জেলা প্রশাসনকে আদালত এও জানিয়ে দিয়েছে, যেসব বিজ্ঞাপনে মুখ্যমন্ত্রী ছাড়াও মাননীয় রাষ্ট্রপতি এবং প্রধামন্ত্রীর ছবি রয়েছে, তা যেন বিকৃত করা না হয়। যদি  এমন খবর আসে, তাহলে অন্যায়কারীদের বিরুদ্ধে দ্রুত কঠোর পদক্ষেপ করতে হবে। 

    আরও পড়ুন : রনিল বিক্রমাসিংহেকে ‘চিঠি’ দিয়ে শুভেচ্ছা জানালেন নরেন্দ্র মোদি

     

     

  • Russia Ukraine War: ভারত সহ ৫ দেশে নিযুক্ত রাষ্ট্রদূতকে বরখাস্ত করল ইউক্রেন, কেন জানেন?

    Russia Ukraine War: ভারত সহ ৫ দেশে নিযুক্ত রাষ্ট্রদূতকে বরখাস্ত করল ইউক্রেন, কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ (Russia Ukraine War) থামেনি। চার মাসেরও বেশি সময় ধরে চলছে পড়শি ওই দুই দেশের লড়াই। যুদ্ধ থামার আশু কোনও লক্ষণও দেখা যাচ্ছে না। এহেন পরিস্থিতিতে বড়সড় পদক্ষেপ করলেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি (Volodymyr Zelenskyy)। ভারত (India) সহ পাঁচ দেশে নিযুক্ত রাষ্ট্রদূতদের (Ambassador) বরখাস্ত করলেন তিনি। কী কারণে তাঁদের হঠাৎ করে বরখাস্ত করা হল, তা জানা যায়নি। তবে কূটনৈতিক মহলের ধারণা, কূটনৈতিক ব্যর্থতার জেরেই ‘চাকরি’ গিয়েছে তাঁদের।

    ন্যাটোর (NATO) সদস্য হওয়ার ইচ্ছে প্রকাশ করেছিল ইউক্রেন। তা নিয়েই রাশিয়া ইউক্রেন বিবাদের সূত্রপাত। যার জেরে ২৪ ফেব্রুয়ারি শুরু হয় যুদ্ধ। সেই যুদ্ধ এখনও চলছে। যুদ্ধ থামাতে দুই দেশকেই আবেদন নিবেদন করেছে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ। তার পরেও চলছে লড়াই। রাশিয়ার বিরুদ্ধে ইউক্রেনে আগ্রাসন চালানোর অভিযোগে মস্কোর ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে আমেরিকা। তা সত্ত্বেও নিরস্ত করা যায়নি রাশিয়া কিংবা ইউক্রেনকে।

    আরও পড়ুন : রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে ভারতের ভারসাম্যের নীতির প্রশংসায় মোহন ভাগবত

    এহেন পরিস্থিতিতেই পাঁচ দেশের রাষ্ট্রদূতকে বরখাস্তের সিদ্ধান্ত নিলেন ইউক্রেনে প্রেসিডেন্ট। ভারত ছাড়াও বরখাস্ত করা হয়েছে জার্মানি, চেক রিপাবলিক, নরওয়ে এবং হাঙ্গেরির রাষ্ট্রদূতকে। বরখাস্ত হওয়া রাষ্ট্রদূতদের অন্য কোনও পদে বহাল করা হবে কিনা, তা নিয়েও কোনও বার্তা নেই ভলোদিমির জেলেনস্কির জারি করা নির্দেশিকায়। রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধের বিরুদ্ধে সরব হয়েছে ভারত। নয়াদিল্লির তরফে যুদ্ধ বন্ধের আবেদন জানানো হয়েছে দুই দেশকেই। তার পরেও যুদ্ধ থামেনি। তবে যুদ্ধের বিরুদ্ধে সুর চড়ালেও, রাশিয়ার সঙ্গে এখনও অর্থনৈতিক সম্পর্ক জারি রেখে চলেছে রাশিয়া।

    আরও পড়ুন : ডিজিটাল বিপ্লবে বিশ্বকে নেতৃত্ব দিচ্ছে ভারত, গান্ধীনগরে জানালেন মোদি

    মস্কোর সঙ্গে সম্পর্ক রেখে চলেছে জার্মানিও। জ্বালানির জন্য এই দেশটি বরাবর রাশিয়ার ওপর নির্ভরশীল। ভারতের মতো যুদ্ধের আবহে তারাও সম্পর্ক রেখে চলেছে পুতিনের দেশের সঙ্গে। এ সবকেই কূটনৈতিক ব্যর্থতা বলেই মনে করছে কিয়েভ। সেই কারণেই ভারত সহ পাঁচ দেশের রাষ্ট্রদূতকে বরখাস্ত করা হল বলে মনে করছে কূটনৈতিক মহল।

     

  • Rashtrapatni Remark Row: ‘রাষ্ট্রপত্নী’ মন্তব্যের জের, অধীরকে তলব জাতীয় মহিলা কমিশনের  

    Rashtrapatni Remark Row: ‘রাষ্ট্রপত্নী’ মন্তব্যের জের, অধীরকে তলব জাতীয় মহিলা কমিশনের  

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কংগ্রেস (Congress) নেতা অধীররঞ্জন চৌধুরীকে (Adhir Chowdhury) নোটিশ পাঠাল জাতীয় মহিলা কমিশন (National Commission for Women)। সংসদে ভাষণ দিতে গিয়ে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুকে তিনি রাষ্ট্রপত্নী (Rashtrapatni) বলে উল্লেখ করেছিলেন। সেই কারণেই নোটিশ পাঠানো হয়েছে তাঁকে।

    ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলায় কংগ্রেসের অন্তর্বর্তীকালীন সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধীকে জেরা করছে ইডি। এনিয়ে সংসদে সরব হয়েছিলেন বহরমপুরের সাংসদ কংগ্রেসের অধীররঞ্জন চৌধুরী। এই সময়ই অধীর দ্রৌপদী সম্পর্কে ‘রাষ্ট্রপত্নী’ শব্দটি প্রয়োগ করেন বলে অভিযোগ। তিনি বলেছিলেন, আমরা রাষ্ট্রপতির কাছে যাব। ভারতের রাষ্ট্রপতি না, না, রাষ্ট্রপত্নীর কাছে যাব। 

    অধীরের এই মন্তব্য নিয়ে লোকসভার পাশাপাশি হইচই শুরু হয় রাজ্যসভায়ও। পাল্টা চিৎকার চেঁচামেচি করতে থাকে কংগ্রেসও। দুপক্ষের চিৎকার-চেঁচামেচির জেরে উত্তাল হয়ে ওঠে সংসদের উভয় কক্ষ। ঘটনার জেরে দফায় দফায় মুলতুবি হয়ে যায় দুই কক্ষের অধিবেশন।

    আরও পড়ুন : ঐতিহাসিক মুহূর্তের সাক্ষী দেশ! দ্রৌপদী মুর্মুর শপথগ্রহণ নিয়ে প্রতিক্রিয়া মোদির

    অধীরের এহেন মন্তব্যে ভারতের মহিলা ও আদিবাসীদের অবজ্ঞা করা হয়েছে বলে দাবি কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানির। তাঁর অভিযোগ, দ্রৌপদীকে রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী করার পর থেকেই কংগ্রেস বিদ্বেষমূলক মন্তব্য করছে। ঘটনাটিকে বিজেপি নেতৃত্ব নারী বিদ্বেষী আখ্যা দিয়েছেন। যদিও সঙ্গে সঙ্গেই অধীর বিষয়টিকে স্লিপ অফ টাং বলে স্বীকার করেছেন। তিনি এও জানিয়েছিলেন, রাষ্ট্রপতির সঙ্গে ব্যক্তিগতভাবে দেখা করে তিনি ক্ষমা চেয়ে নেবেন।

    অধীরের এই মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতেই জাতীয় মহিলা কমিশন অধীরকে নোটিশ পাঠিয়েছে। এবং তাঁকে ৩ আগস্ট কমিশনের সামনে হাজির হওয়ার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে। দিতে বলা হয়েছে লিখিত ব্যাখ্যাও। কমিশনের তরফে জারি করা এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, তাঁর(অধীর চৌধুরীর) মন্তব্য অপমানজনক, নারীবিদ্বেষী, মাননীয় রাষ্ট্রপতির সম্মানহানিকর। অধীরের বিরুদ্ধে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য কমিশন চিঠি লিখেছে কংগ্রেস নেত্রী সোনিয়া গান্ধিকেও।

    এদিকে, অধীরের এই মন্তব্যের জেরে মধ্যপ্রদেশের দিনদরি জেলায় তাঁর বিরুদ্ধে দায়ের হয়েছে এফআইআর। জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জগন্নাথ মার্কম বলেন, অধীরের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেছেন কয়েকজন বিজেপি কর্মী।

    আরও পড়ুন : ইতিহাস রচনা করল ভারত! দ্রৌপদী হবেন ‘মহান রাষ্ট্রপতি’, শুভেচ্ছা প্রধানমন্ত্রীর

  • Rajya Sabha: অসংসদীয় আচরণ, সাসপেন্ড করা হল রাজ্যসভার আরও ৩ সাংসদকে

    Rajya Sabha: অসংসদীয় আচরণ, সাসপেন্ড করা হল রাজ্যসভার আরও ৩ সাংসদকে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বৃহস্পতিবার সাসপেন্ড (Suspend) করা হল রাজ্যসভার (Rajya Sabha) আরও তিন সাংসদকে (MPs)। এঁদের মধ্যে দুজন আম আদমি পার্টির (AAP), অন্যজন নির্দল। এই সপ্তাহের বাকি দিনগুলির জন্য সাসপেন্ড করা হয়েছে তাঁদের। অসংসদীয় আচরণের অভিযোগে সাসপেন্ড করা হয়েছে রাজ্যসভার ওই তিন সাংসদকে।

    অসংসদীয় আচরণের জন্য আগেই সাসপেন্ড করা হয়েছে রাজ্যসভার কুড়িজন সাংসদকে। ওই একই কারণে সাসপেন্ড করা হয়েছে লোকসভার চারজনকেও। সাসপেনশনের প্রতিবাদে গান্ধী মূর্তির পাদদেশে টানা পঞ্চাশ ঘণ্টার জন্য অবস্থান বিক্ষোভে বসেছেন সাসপেন্ডেড সাংসদরা। তাঁদের পাশে দাঁড়িয়েছে বিজেপি বিরোধী বিভিন্ন দল। অবস্থান চলাকালীন সময়ে চলছে ভূরিভোজও।

    বৃহস্পতিবার যে তিনজনকে সাসপেন্ড করা হয়েছে, তাঁরা হলেন আম আদমি পার্টির সাংসদ সুশীল কুমার গুপ্ত এবং সন্দীপ কুমার পাঠক। নির্দল সাংসদ অজিত কুমার ভুঁইয়াকেও সাসপেন্ড করা হয়েছে এদিন। সব মিলিয়ে এ পর্যন্ত রাজ্যসভার মোট ২৩ জন সাংসদকে সাসপেন্ড করা হল। একসঙ্গে এতজন সাংসদকে সাসপেন্ড করা হয়নি আগের কোনও অধিবেশনে।

    আরও পড়ুন : ৫০ ঘণ্টার ধর্নায় সাসপেন্ডেড সাংসদরা, বিরোধী বৈঠকে গরহাজির আপ, তৃণমূল

    এদিন যাঁদের সাসপেন্ড করা হয়েছে, তাঁদের সাসপেনশনের কথা ঘোষণা করেন রাজ্যসভার ডেপুটি চেয়ারম্যান হরিবংশ নারায়ণ সিং। তিনি বলেন, সাসপেন্ডেড এই তিন সাংসদ অধিবেশন চলাকালীন হাউসের ওয়েলে নেমে আসেন। চিৎকার করে স্লোগানও দিতে থাকেন। প্ল্যাকার্ড নিয়ে বিক্ষোভও দেখাচ্ছিলেন। সতর্ক করা সত্ত্বেও তা বন্ধ না করায় তাঁদের সাসপেন্ড করা হয়েছে বলে সূত্রের খবর।

    আম আদমি পার্টির সাংসদ সঞ্জয় সিংকে রাজ্যসভা থেকে সাসপেন্ড করা হয়েছিল বুধবার। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল, মঙ্গলবার সভা চলাকালীন চেয়ারম্যানের চেয়ার লক্ষ্য করে কাগজ ছুড়েছিলেন তিনি। বৃহস্পতিবার সাসপেন্ড করা হল ওই দলেরই দুই সাংসদকে।  প্রসঙ্গত, গত বছর বিরোধীদের ১২ জন সাংসদকে পুরো শীতকালীন অধিবেশনের জন্য সাসপেন্ড করা হয়েছিল। চলতি বাদল অধিবেশনে যে কয়েকজনকে সাসপেন্ড করা  হয়েছে, তাঁদের মধ্যে রয়েছেন তৃণমূলের সুস্মিতা দেব, মৌসম বেনজির নুর, শান্তা ছেত্রী, দোলা সেন, সান্ত্বনু সেন, আবিররঞ্জন বিশ্বাস এবং মহম্মদ নাদিমূল হক।   

    আরও পড়ুন : ধর্নায় বসে সাসপেন্ডেড সাংসদরা খাচ্ছেন ইডলি-সাম্বার, চিকেন-তন্দুরি!

     

  • Maharashtra: শিবসেনার তির-ধনুক প্রতীক কেউ কেড়ে নিতে পারবেন না, সাফ জানালেন উদ্ধব 

    Maharashtra: শিবসেনার তির-ধনুক প্রতীক কেউ কেড়ে নিতে পারবেন না, সাফ জানালেন উদ্ধব 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শিবসেনার (Shiv Sena) তির-ধনুক (Bow and Arrow) প্রতীক কেউ কেড়ে নিতে পারবেন না। এই ভাষায়ই শিন্ডে শিবিরকে হুঁশিয়ারি দিলেন মহারাষ্ট্রের শিবসেনা প্রধান তথা প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে (Uddhav Thackeray)। বিজেপির সঙ্গে জোট গড়ে সরকার গড়েছেন শিবসেনার বিদ্রোহী বিধায়ক একনাথ শিন্ডে (Eknath Shinde)। মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথও নিয়েছেন শিন্ডে। তার পর থেকে এই প্রথম মুখ খুললেন উদ্ধব। সাফ জানালেন, শিবসেনার প্রতীক কেউ ছিনিয়ে নিতে পারবেন না। সেই সঙ্গে দাবি করলেন বিধানসভা ভোটেরও।

    কংগ্রেস, এনসিপি নয়, বিজেপির সঙ্গে জোট গড়া নিয়ে বিবাদের জেরে দলেই বিদ্রোহ ঘোষণা করেন শিন্ডে। পরে অনুগামী বিধায়কদের নিয়ে প্রথমে গুজরাট ও পরে চলে যান আসামে। পরে বিজেপির সঙ্গে জোট বেঁধে গড়েন সরকার। মুখ্যমন্ত্রী হন শিন্ডে। উপমুখ্যমন্ত্রী পদে বসানো হয় বিজেপির দেবেন্দ্র ফড়নবিশকে। তার পর থেকে এই প্রথম মুখ খুললেন রাজ্যের সদ্য প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব। শিন্ডে শিবিরের দিকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়ে বালাসাহেবের পুত্র বলেন, আমি ওঁদের আজই বিধানসভা নির্বাচন করার জন্য চ্যালেঞ্জ করছি। আমরা যদি অন্যায় করে থাকি, তাহলে মানুষ আমাদের ফিরিয়ে দেবে। আপনাদের যদি এমনভাবে সরকার গঠনের উদ্দেশ্য ছিল, তাহলে তা করা উচিত ছিল আড়াই বছর আগেই। এই ধরনের তামাশার কোনও প্রয়োজন হত না। এই পরেই উদ্ধব জানিয়ে দেন শিবসেনার প্রতীক ছিনিয়ে নিতে পারবেন না কেউই। বলেন, শিবসেনার প্রতীক তির এবং ধনুক কেউ কেড়ে নিতে পারবেন না।

    আরও পড়ুন : ‘যাঁরা যেতে চাইছেন যান, নতুন শিবসেনা গড়ব’, হুঁশিয়ারি উদ্ধবের

    শিবসেনায় ভাঙন ধরিয়ে বিজেপির সঙ্গে জোট করে সরকার গঠন করেছেন শিন্ডে। হয়েছেন মুখ্যমন্ত্রীও। এর পর তাঁর লক্ষ্য যে শিবসেনার কর্তৃত্ব, তার ইঙ্গিত দিয়েছিলেন আগেই। যেভাবে একের পর এক বিধায়ক এবং সাংসদ শিন্ডে শিবিরে নাম লেখাচ্ছেন ফি দিন, তার পর শিবসেনার রশি কতদিন উদ্ধবের হাতে থাকবে, তা নিয়েই উঠেছে প্রশ্ন। রাজনৈতিক মহলের মতে, সেই কারণেই মুখ খুললেন ঠাকরে। সাফ জানিয়ে দিলেন, শিবসেনার রাশ থাকবে তাঁরই হাতে। শিন্ডেকে নিশানা করে উদ্ধব বলেন, কেউ কেউ বলেন মাতোশ্রীতে ডাকলে তাঁরা আসবেন। কেউ কেউ বলেন, আমার প্রতি নাকি তাঁদের শ্রদ্ধাও রয়েছে। এজন্য আমি কৃতজ্ঞ। হুমকি অগ্রাহ্য করে যে কয়েকজন বিধায়ক তাঁর সঙ্গে এখনেও রয়েছেন, তাতে তিনি গর্বিত বলেও জানান উদ্ধব। ১১ জুলাই মহারাষ্ট্র মামলার শুনানি। ওই দিনই ভাগ্য নির্ধারণ হবে শিন্ডে সহ ১৬ জন বিদ্রোহী বিধায়কের। সেই রায় শুধু শিবসেনার নয়, ভারতীয় গণতন্ত্রের ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করতে চলেছে বলেও মনে করেন বালাসাহেব পুত্র।

    আরও পড়ুন : নিজের লোকই বিশ্বাসঘতক! লড়াই চালিয়ে যাবেন জানালেন উদ্ধব

LinkedIn
Share