Author: Krishnendu Bakshi

  • Maharashtra Crisis: “শিন্ডের তরফে প্রস্তাব এলে…”, মহারাষ্ট্রে সরকার গঠন নিয়ে কী বলল বিজেপি?

    Maharashtra Crisis: “শিন্ডের তরফে প্রস্তাব এলে…”, মহারাষ্ট্রে সরকার গঠন নিয়ে কী বলল বিজেপি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শিবসেনার (Shiv Sena) বিদ্রোহী বিধায়ক একনাথ শিন্ডের (Eknath Shinde) কাছ থেকে সরকার গড়ার বিষয়ে প্রস্তাব পেলে তা বিবেচনা করে দেখা হবে। অন্তত এমনই জানিয়ে দিলেন বিজেপি (BJP) নেতৃত্ব। শিন্ডেকে বিদ্রোহী বলতে রাজি নয় পদ্ম শিবির। বিজেপি নেতা সুধীর মুঙ্গাতিয়ার বলেন, আমরা কাউকে বিদ্রোহী বলে মনে করি না। তাঁর প্রশ্ন, শিন্ডের সঙ্গে যদি মোট বিধায়কের দুই তৃতীয়াংশের সমর্থন থাকে, তাঁকে বিদ্রোহী বলি কী করে?

    আরও পড়ুন : ‘যাঁরা যেতে চাইছেন যান, নতুন শিবসেনা গড়ব’, হুঁশিয়ারি উদ্ধবের

    মহারাষ্ট্রের রাজনৈতিক অস্থিরতা বর্তমানে পৌঁছেছে সুপ্রিম কোর্টে। বিতর্কের সূত্রপাত হয় যখন একনাথ শিন্ডের নেতৃত্বে শিবসেনা বিধায়কদের একটা বড় ঝাঁক শাসক জোট মহারাষ্ট্র বিকাশ আঘাড়ি (MVA) ছেড়ে বেরিয়ে যান। এনসিপি এবং কংগ্রেসের সঙ্গে নয়, বিজেপির সঙ্গে জোট গড়েই সরকার চালাতে হবে শিবসেনাকে। এই নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরের সঙ্গে শিন্ডের বিরোধ বাঁধে। এর পরেই জোট ছেড়ে অনুগামী বিধায়কদের নিয়ে বিজেপি শাসিত গুজরাটের সুরাটে চলে যান শিন্ডে। সেখান থেকে মধ্যরাতের বিমান ধরে ওই বিধায়কদের নিয়ে তিনি উড়ে যান বিজেপি শাসিত আর এক রাজ্য আসামে। সেখানকারই একটি বিলাসবহুল হোটেলে আশ্রয় নিয়েছেন তাঁরা।

    আরও পড়ুন : গুজরাট ছেড়ে একনাথ শিন্ডেরা রয়েছেন আসামে, কেন জানেন?

    দিন দুয়েক আগে ফের বিশেষ বিমানে গুজরাতের ভদোদরায় উড়ে আসেন শিন্ডে। সাক্ষাৎ করেন মহারাষ্ট্রেরই প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বিজেপির দেবেন্দ্র ফড়নবিশের সঙ্গে। সেখানেই দুই নেতার মধ্যে সরকার গঠন নিয়ে আলোচনা হয় বলে সূত্রের খবর। আসামের হোটেল থেকেই শিন্ডে জানিয়েছিলেন, তাদের পিছনে একটি জাতীয় দলের সমর্থন রয়েছে। যদিও, পরে একশো আশি ডিগ্রি ঘুরে গিয়ে শিন্ডে বলেন, আমাদের পিছনে বালাসাহেব ঠাকরের শক্তি রয়েছে।

    বিজেপি অবশ্য শিবসেনার এই সংকটকে প্রথম থেকেই তাদের অভ্যন্তরীণ সমস্যা বলে উল্লেখ করে এ ব্যাপারে কোনও মন্তব্য করতে অস্বীকার করেছিল। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের পরিপ্রেক্ষিতে সরকার গঠনের যে কোনও প্রস্তাব বিবেচনা করে দেখা হবে বলে ফড়নবিশের বাড়িতে বৈঠকের পরে জানান সুধীর। তিনি বলেন, প্রতিদিনের ঘটনার ওপর কড়া নজর রাখছে বিজেপি। 

    প্রসঙ্গত, সোমবারই একনাথ শিবিরকে স্বস্তি দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। দলবিরোধী আইনের আওতায় বিদ্রোহী ১৬ জন বিদ্রোহী বিধায়ককে ‘ডিসকোয়ালিফাই’ করতে উদ্যত হয়েছিলেন উদ্ধব ঠাকরে। মুখ্যমন্ত্রীর দাবি মতো, বিদ্রোহী শিবসেনা বিধায়ককে নোটিস পাঠিয়ে মঙ্গলবার বিকেলের মধ্যে দলবিরোধী কার্যকলাপের অভিযোগ সম্পর্কে আত্মপক্ষ সাফাইয়ের নির্দেশ দিয়েছিলেন মহারাষ্ট্র বিধানসভার ডেপুটি স্পিকার নরহরি সীতারাম জিরওয়াল। পাল্টা বিদ্রোহী পক্ষের তরফে ডেপুটি স্পিকারের বিরুদ্ধে একটি অনাস্থা প্রস্তাব বিধানসভাতেই পেশ করা হয়। ডেপুটি স্পিকার তা খারিজ করেন। 

    দলবিরোধী নোটিশ প্রাপ্তি এবং অনাস্থা প্রস্তাব খারিজ— এই দুই বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয় একনাথ শিবির। গতকাল শুনানিতে ১৬ জন শিবসেনা বিধায়কের বিরুদ্ধে কেন দলবিরোধী কার্যকলাপের অভিযোগে নোটিস পাঠানো হয়েছিল, সে বিষয়ে ডেপুটি স্পিকার (ভারপ্রাপ্ত স্পিকার) জিরওয়ালের জবাবও চেয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। পাশাপাশি, শিন্ডে-সহ বিধায়কের বিরুদ্ধে ১১ জুলাই পর্যন্ত দলত্যাগ বিরোধী আইনে ব্যবস্থা নেওয়া যাবে না বলে জানিয়েছে শীর্ষ আদালত।

    এদিকে, মহারাষ্ট্রের মহাসংকটের মধ্যেই এবার শিন্ডে শিবিরের সঙ্গে যোগাযোগ করল রাজ ঠাকরে শিবির। সূত্রের খবর, মহারাষ্ট্র নবনির্মাণ সেনা সুপ্রিমো রাজ ঠাকরের সঙ্গে রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করেছেন শিন্ডে। গত দু দিনে অন্ততঃ দুবার দুই নেতার মধ্যে টেলিফোনে কথা হয়েছে বলেও সূত্রের খবর।

    অন্যদিকে, বালাসাহেব ঠাকরে ছবি দিয়ে তার সঙ্গে শিন্ডের কাজে প্রশংসা করে গুয়াহাটির একাধিক জায়গায় পোস্টার পড়েছে। পোস্টারে উল্লেখ করা হয়েছে, হিন্দুত্ব ফর এভার। গর্ব করেন বলুন, আপনি হিন্দু। আপনাকে আমরা সব ধরনের সমর্থন জানাব। পোস্টারটি কারা সাঁটিয়েছে, তা জানা যায়নি।

    মৃত্যুর এক দশক পর মহারাষ্ট্রের রাজনীতিতে ফের একবার প্রাসঙ্গিক হয়ে উঠছেন প্রয়াত বালাসাহেব!

     

  • Maharashtra political crisis: দল বিরোধী আইন এড়াতে প্রয়োজনীয় সংখ্যা জোগাড় করে ফেলেছেন শিন্ডে?

    Maharashtra political crisis: দল বিরোধী আইন এড়াতে প্রয়োজনীয় সংখ্যা জোগাড় করে ফেলেছেন শিন্ডে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরও কোণঠাসা মহারাষ্ট্রের (Maharashtra) মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে। দল চাইলে ইস্তফা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েও দলে ভাঙন ঠেকাতে পারছেন না মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী। সূত্রের খবর, বৃহস্পতিবার সকালে আরও তিন শিবসেনা (Shivsena) বিধায়ক উড়ে গিয়েছেন আসামের (Assam) গুয়াহাটিতে। ফলে অস্তিত্ব সঙ্কটে উদ্ধব ঠাকরের সরকার। এহেন পরিস্থিতিতে মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবন ছেড়ে পৈত্রিক ভিটে মাতশ্রীতে ফিরে গিয়েছেন উদ্ধব।

    আরও পড়ুন : উদ্ধব ঠাকরের বিরুদ্ধে একনাথ শিন্ডের ‘বিদ্রোহের’ নেপথ্য কারণ কী?

    নরম হিন্দুত্ব নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরের সঙ্গে সম্পর্কে চিড় ধরেছিল তাঁরই মন্ত্রিসভার সদস্য একনাথ শিন্ডের (Eknath Shinde)। শিন্ডের দাবি, কংগ্রেস, এনসিপি নয়, বিজেপির সঙ্গে জোট বেঁধে গড়া হোক সরকার। মুখ্যমন্ত্রী তাতে রাজি না হওয়ায় অনুগামী ৩৬জন বিধায়ককে নিয়ে বিজেপি শাসিত গুজরাটের সুরাটে চলে যান একনাথ। সেখান থেকে চলে যান আসামের গুয়াহাটিতে। তাঁর সঙ্গে দলীয় ৪০ জন বিধায়ক ও ৬ নির্দলের সমর্থন রয়েছে বলে দাবি শিন্ডের। এদিকে, বৃহস্পতিবার সকালে ফের ৩ বিধায়ক উড়ে যান গুয়াহাটিতে।

    শিবসেনা নেতা সঞ্জয় রাউত সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, উদ্ধব মুখ্যমন্ত্রী পদে ইস্তফা দেবেন না। তবে উদ্ধবের সঙ্গে প্রয়োজনীয় বিধায়ক নেই বলেই ধারণা রাজনৈতিক মহলের। কারণ যে ৩ বিধায়ক গুয়াহাটির হোটেলে গিয়ে উঠেছেন, তাঁরা যদি শিন্ডের শিবিরে নাম লেখান, তাহলে শিন্ডের নেতৃত্বাধীন দলীয় বিধায়কের সংখ্যা দাঁড়াবে ৩৯। আর একজন বিধায়ক শিন্ডের দলে নাম লেখালেই কেল্লাফতে। কারণ বিধানসভায় শিবসেনার সদস্য সংখ্যা ৫৫। তার পর তিনি যদি দাবি করেন, উদ্ধব নন, তিনিই শিবসেনার আসল নেতা, আইন অনুযায়ী সেটাই মেনে নিতে বাধ্য হবেন রাজ্যপাল।

    আরও পড়ুন : সঙ্কট আরও ঘনীভূত, বুধেই পদত্যাগ করছেন উদ্ধব ঠাকরে?

    পরিস্থিতির মোকাবিলায় কংগ্রেস ও এনসিপির তরফে শিন্ডেকেই মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। তবে শিন্ডে তাতে রাজি হবেন না বলেই ধারণা রাজনৈতিক মহলের।

    কংগ্রেস-শিবসেনার চালকে সমর্থন করে বুধবার রাতেই সপরিবারে মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবন বর্ষা ছেড়ে পৈত্রিক ভিটে মাতশ্রীতে ফিরে গিয়েছেন উদ্ধব। শিবসেনারা যে তাঁর সঙ্গেই রয়েছেন, তা প্রমাণ করতে মুম্বইয়ের রাস্তায় হাজার হাজার শিব সৈনিককে নামিয়ে ক্ষমতাও প্রদর্শন করেছেন উদ্ধব। করোনা সংক্রমিত মুখ্যমন্ত্রী এটা করতে পারেন কিনা, তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। তিনি কোভিড বিধি ভঙ্গ করেছেন বলেও অভিযোগ উঠেছে। মুখ্যমন্ত্রী সরকারি বাংলো ছেড়ে দেওয়ায় প্রত্যাশিতভাবেই জোরালো হয়েছে পালাবদলের জল্পনা। তবে শিবসেনা মুখপাত্র সঞ্জয় রাউত বলেন, উদ্ধবই মুখ্যমন্ত্রী পদে বহাল থাকবেন। প্রয়োজনে বিধানসভায় শক্তি পরীক্ষার মুখোমুখি হবেন তিনি।

     

  • Pakistan: রাজনীতি থেকে দূরে থাকুন, সেনা আধিকারিকদের নির্দেশ পাক সেনা প্রধানের

    Pakistan: রাজনীতি থেকে দূরে থাকুন, সেনা আধিকারিকদের নির্দেশ পাক সেনা প্রধানের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাকিস্তানের (Pakistan) সামরিক বাহিনীর কর্মকর্তাদের রাজনীতি (Politics) থেকে দূরে থাকার নির্দেশ দিলেন চিফ অফ স্টাফ জেনারেল কামার জাভেদ বাজওয়া (Qamar Javed Bajwa)। সেনাবাহিনীর কমান্ডার, শীর্ষ কর্মকর্তা ও গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআইয়ের (ISI) সঙ্গে যুক্ত কর্তাদের উদ্দেশে এনিয়ে আলাদা একটি নির্দেশিকাও জারি করেছেন পাক সেনা প্রধান। সেনা কর্মকর্তাদেরও রাজনীতিবিদদের সঙ্গে আলাপ আলোচনাও বন্ধ রাখার আহ্বান জানান পাকিস্তানের সেনা কর্তা।  

    পাঞ্জাবে আসন্ন উপনির্বাচনে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের দল তেহেরিক-ই ইনসাফ, সংক্ষেপে পিটিআইকে বেকায়দায় ফেলতে সামরিক বাহিনীর কর্মকর্তারা জড়িত বলে অভিযোগ। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রেও আইএসআই এবং সামরিক বাহিনীর কর্মকর্তারা জড়িত বলে লাগাতার অভিযোগ করে আসছেন পিটিআই নেতারা। তাঁদের সন্দেহের তির আইএসআই লাহোর সেক্টরের কমান্ডারের দিকে। সূত্রের খবর, গত দু সপ্তাহ ধরে পাঞ্জাব প্রদেশের রাজধানী লাহোরে নিজ কর্মস্থলে তিনি নেই। এই মুহূর্তে তিনি রয়েছেন রাজধানী ইসলামাবাদে।

    আরও পড়ুন : করাচিতে জরুরি অবতরণ, কী হল দুবাইগামী স্পাইসজেটের বিমানে?

    পাকিস্তানের প্রাক্তন স্বাস্থ্যমন্ত্রী ও পিটিআই নেতা ইয়াসমিন রাশিদ সম্প্রতি এই আইএসআই কর্মকর্তার নাম উল্লেখ করেছেন। রাশিদের আগে প্রাক্তন বিদেশমন্ত্রী ও পিটিআইয়ের ডেপুটি চেয়ারম্যান শাহ মেহমুদ কুরেশিও বলেন, পাঞ্জাব প্রদেশের উপনির্বাচনে পিটিআইয়ের বিরুদ্ধে অদৃশ্য শক্তি কাজ করছে। সম্প্রতি পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ও পিটিআই চেয়ারম্যান ইমরান খানও প্রায় একই অভিযোগ করেন। তিনি বলেন, তাঁর কিছু কিছু প্রার্থীও অচেনা নম্বর থেকে ফোন পাচ্ছেন।

    আরও পড়ুন : ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধের হুঁশিয়ারি! বিদ্যুৎ সংকট পাকিস্তানে

    রাজনৈতিক মহলের একাংশের মতে, পাকিস্তানের রাজনীতির মূল চাবিকাঠি থাকে সেনাবাহিনীর হাতে। পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর কুর্সিতে যিনি বসেন, তাঁর সঙ্গে বরাবর সেনাবাহিনীর সুসম্পর্ক থাকে। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সেনা প্রধানের দূরত্ব তৈরি হলেই সমূহ বিপদ। ক্ষমতা চ্যুত হতে হয়। যেমনটা সম্প্রতি হতে হয়েছে ইমরান খানকে। তার পরেই পাক প্রধানমন্ত্রী পদে বসেছেন শেহবাজ শরিফ। এর ঠিক পরে পরেই সেনা প্রধানের এই নির্দেশ তাৎপর্যপূর্ণ বলেই ধারণা রাজনৈতিক মহলের।

     

  • GST: প্যাকেট-বন্দি চাল, আটাতেও জিএসটি, দাম বাড়ছে কোন কোন পণ্যের?

    GST: প্যাকেট-বন্দি চাল, আটাতেও জিএসটি, দাম বাড়ছে কোন কোন পণ্যের?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দই, পনির, মাছ, মাংস, চাল, ডাল, আটা, গুড়, মধু, মুড়ি মতো গোড়া থেকেই প্যাকেটবন্দি এবং লেবেল সাঁটা পণ্যে বসানো হল ৫ শতাংশ জিএসটি (GST)। চেকবই ইস্যু করতে ব্যাংকগুলি যে ফি নেয়, তাতেও দিতে হবে ১৮ শতাংশ জিএসটি। জিএসটি পর্যালোচনা করতে অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামনের (Nirmala Sitharaman) নেতৃত্ব মঙ্গলবার থেকে চণ্ডীগড়ে চলছে দুদিন ব্যাপী বৈঠক। সেখানে এদিন ১২ শতাংশ করের আওতায় আনা হয়েছে হোটেলে দৈনিক ১০০০ টাকার কমের ঘরভাড়া, মানচিত্র ও চার্টকেও। এতদিন এগুলিতে কর দিতে হত না। তবে মোড়ক, লেবেল এবং ব্যান্ড নাম ছাড়া যে সব পণ্য বিক্রি হয়, সেগুলিতে অবশ্য এখনও বহাল রয়েছে ছাড়। এছাড়াও কর ফাঁকি রোধেও একাধিক ভাবনা রয়েছে জিএসটি পরিষদের। 

    আরও পড়ুন : শীঘ্রই ২৮% জিএসটি ধার্য হবে অনলাইন গেমেও? ভাবনা কেন্দ্রের

    পরিষদ এদিন কর কাঠামো সংশোধনের সুপারিশ করেছে এলইডি লাইট, ভোজ্য তেল, আঁকার এবং ছাপার কালি, পণ্য তৈরির চামড়া, সোলার হিটারের মতো পণ্যের ক্ষেত্রে। সোলার ওয়াটার হিটার এবং ফিনিশড লেদারে ৫ শতাংশ থেকে বেড়ে ১২ শতাংশ পর্যন্ত জিএসটি প্রযোজ্য হবে। ই-ওয়েস্টের ক্ষেত্রে জিএসটি ৫ শতাংশ থেকে বেড়ে হবে ১৮ শতাংশ।

    জিএসটি চালুর সময় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সরকার রাজ্যগুলিকে কথা দিয়েছিল, তা আদায়ের ক্ষেত্রে ঘাটতি মেটাতে তাদের পাঁচ বছর ক্ষতিপূরণ দেবে তারা। এ মাসেই ফুরোচ্ছে সেই মেয়াদ। রাজ্যগুলির দাবি, জিএসটি আদায়ে এখনও ঘাটতি হচ্ছে তাদের। তাই বাড়ানো হোক ক্ষতিপূরণের মেয়াদ। যদিও কেন্দ্রের যুক্তি, এর মেয়াদ বাড়ানোর মতো আর্থিক ক্ষমতা তাদের নেই।

    আরও পড়ুন : জিএসটি বাবদ রাজ্যগুলির প্রাপ্য মেটাল কেন্দ্র, বাংলা কত পেল জানেন?

    প্রসঙ্গত, বিভিন্ন রাজ্যের অর্থমন্ত্রীদের একটি গোষ্ঠীকে কর কাঠামো সংশোধনের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী বাসবরাজ বোম্মাইয়ের নেতৃত্বে সেই মন্ত্রিগোষ্ঠীই মঙ্গলবার জিএসটি পরিষদের বৈঠকে একাধিক সুপারিশ করে। জানা গিয়েছে, আজ, বুধবার আলোচনা হবে ঘোড়দৌড়, জুয়া খেলা এবং অনলাইন গেমের ওপর ২৮ শতাংশ কর বসানোর প্রস্তাব নিয়েও।

    প্রসঙ্গত, বর্তমানে রাজ্যগুলির ক্ষেত্রে জিএসটির ভাগ রয়েছে ৫০ শতাংশ। ছত্তীশগড়ের মতো বিজেপি বিরোধী রাজ্যের দাবি, এটা বাড়িয়ে কেন্দ্র তাদের দিক ৭০ থেকে ৮০ শতাংশ।

     

  • Droupadi Murmu: দ্রৌপদী মুর্মুকে কেন রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী করল এনডিএ, জানেন কি?

    Droupadi Murmu: দ্রৌপদী মুর্মুকে কেন রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী করল এনডিএ, জানেন কি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাইসিনা হিলসের দৌড়ে এনডিএ (NDA) প্রার্থী দ্রৌপদী মুর্মু (Droupadi Murmu)। বিজেপির (BJP) সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা (Nadda) নিজেই স্বীকার করেছেন ২০ জনের মধ্যে থেকে সর্বসম্মতভাবে বেছে নেওয়া হয়েছে দ্রৌপদীকে। প্রশ্ন হল, কেন দ্রৌপদী নামেই শিলমোহর দিল বিজেপি?

    ওয়াকিবহাল মহলের মতে, দ্রৌপদী আদিবাসী সম্প্রদায়ের। তবে শুধু এই কারণেই তাঁকে বেছে নেয়নি পদ্ম শিবির। নেপথ্যে রয়েছে মোদি সরকারের নির্দিষ্ট পরিকল্পনা। ২০২৩ সালে মধ্যপ্রদেশ, ছত্তিশগড় ও তার পরের বছর হবে ওড়িশা, মহারাষ্ট্র ও ঝাড়খণ্ডে বিধানসভা নির্বাচন। এই পাঁচ রাজ্যের একটা বিরাট সংখ্যক ভোটার আদিবাসী। ২০২৪ সালে লোকসভা নির্বাচন। ৫৪৩ আসনের লোকসভায় তফশিলি উপজাতির জন্য সংরক্ষিত ৪৭টি। আরও অন্তত ৬২টি আসনের ফল নির্ভর করে আদিবাসী ভোটের ওপর। সেই আদিবাসী ভোটের সিংহভাগ যাতে গেরুয়া ঝুলিতে পড়ে, তাই বেছে নেওয়া হল দ্রৌপদীকে।

    আরও পড়ুন : কাউন্সিলর থেকে রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী, কে এই দ্রৌপদী মুর্মু?

    গত রাষ্ট্রপতি নির্বাচনেও এই পরীক্ষা করে দেখেছে পদ্ম শিবির। ২০১৭ সালে বেছে নেওয়া হয় দলিত নেতা রামনাথ কোবিন্দকে। কে আর নারায়ণণের পর ভারতের দ্বিতীয় দলিত রাষ্ট্রপতি হয়েছিলেন কোবিন্দ। যার সুফল ঘরে তুলেছিল বিজেপি, ২০১৯ এর লোকসভা নির্বাচনে। সেবার বিপুল ভোটে জয়ী হয়েছিল বিজেপি।

    আরও পড়ুন : রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে বিরোধী জোটের প্রার্থী যশবন্ত সিনহা

    নাড্ডা ২০টি নামের কথা বললেও, গেরুয়া শিবির সূত্রে খবর, রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী হওয়ার দৌড়ে ছিল মূলত তিনটি নাম। এই তিনজনই আদিবাসী সম্প্রদায়ের। এঁরা হলেন, উপজাতি বিষয়ক কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অর্জুন মুন্ডা, ছত্তিশগড়ের রাজ্যপাল অনসূয়া উইকে এবং ঝাড়খণ্ডের প্রাক্তন রাজ্যপাল দ্রৌপদী মুর্মু। এই চারজনের মধ্যে আবার এগিয়েছিলেন অনসূয়া এবং দ্রৌপদী। এঁরা দুজনেই আদিবাসী সম্প্রদায়ের। আবার দুজনেই মহিলা। অনসূয়া বর্তমানে ছত্তিশগড়ের রাজ্যপাল পদে আসীন। সম্ভবত সেই কারণেই বেছে নেওয়া হয়েছে দ্রৌপদীকে। তিনি জিতলে আরও একবার তৈরি হবে ইতিহাস। দেশের প্রথম নাগরিকের মর্যাদা পাবেন আদিবাসী সম্প্রদায়ের কোনও মহিলা।

     

  • Rahul Gandhi: ফের ১২ ঘণ্টা জেরা, মধ্যরাতে ইডি দফতর ছাড়লেন রাহুল

    Rahul Gandhi: ফের ১২ ঘণ্টা জেরা, মধ্যরাতে ইডি দফতর ছাড়লেন রাহুল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মঙ্গলবারও দু দফায় প্রায় ১২ ঘণ্টা জেরা করা হল কংগ্রেস (Congress) সাংসদ রাহুল গান্ধীকে (Rahul Gandhi)। ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলায় (National Herald Case) আর্থিক তছরুপের অভিযোগে গত চার দিন ধরে জেরা করা হচ্ছে তাঁকে। মঙ্গলবার ছিল পঞ্চম দিন। এদিন প্রথম দফায় প্রায় সাড়ে ন ঘণ্টা জেরা করা হয় রাহুলকে। পরে চলে যান বাড়ি। তারপর ফের তলব করার হয় ইডি দফতরে। সব মিলিয়ে এদিন প্রায় ১২ ঘণ্টা জেরা করা হয়েছে ওয়েনাডের সাংসদকে। চলতি সপ্তাহে ফের একপ্রস্ত জেরা করা হতে পারে রাহুলকে। বৃহস্পতিবার সোনিয়াকে জেরা করার কথা ইডির। 

    আরও পড়ুন : ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলায় ম্যারাথন জেরা রাহুলকে, আজ ফের তলব

    ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলায় চলতি মাসের শুরুর দিকে ইডি তলব করেছিল রাহুলকে। তখন তিনি বিদেশে থাকায় হাজিরা দিতে পারেননি। বিদেশ থেকে ফিরে গত সপ্তাহের সোমবার থেকে ইডি দফতরে হাজিরা দেন এই কংগ্রেস নেতা। সোম থেকে বুধবার পর্যন্ত টানা তিন দিনে রাহুলকে ইডি জেরা করেছে ৩০ ঘণ্টা। ‘ক্লান্ত’ রাহুল একদিনের বিরতি চান। তাঁর আবেদন মঞ্জুর করেন ইডির আধিকারিকরা। শুক্রবার ফের হাজিরা দেওয়ার কথা ছিল তাঁর। মা সোনিয়ার অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে শুক্রবার ইডি দফতরে যাননি রাহুল। সোমবার যথারীতি ইডি দফতরে হাজির হন তিনি। শুরু হয় জিজ্ঞাসাবাদ। মঙ্গলবারও তলব করা হয় রাহুলকে। এদিন টানা ন ঘণ্টা জেরার পর ছেড়ে দেওয়া হয় তাঁকে। রাত সাড়ে আটটা নাগাদ বাড়ি ফেরেন বোন প্রিয়ঙ্কা গান্ধী বঢরার সঙ্গে। এর পরে পরেই ফের ইডি দফতরে হাজির হতে বলা হয় রাহুলকে। আবারও চলে একপ্রস্ত জেরা। সব মিলিয়ে এদিন প্রায় ১২ ঘণ্টা জেরা করা হয় রাহুলকে।

    আরও পড়ুন : সোনিয়া, রাহুলকে সমন ইডি-র! ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলায় বিপাকে কংগ্রেস

    ইডি সূত্রে খবর, জেরা নয়, রাহুলের বয়ান সংশোধনেই নষ্ট হচ্ছে সময়। ইডির একটি সূত্রের খবর, ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলায় আর্থিক তছরুপের বিষয়ে রাহুল আগে যে বয়ান দিয়েছিলেন, তার সঙ্গে বর্তমান বয়ান মিলছে না। তাই দীর্ঘায়িত হচ্ছে জিজ্ঞাসাবাদ প্রক্রিয়া।

    এদিকে, রাহুলকে বারংবার ইডি দফতরে তলব করে জেরা করাকে রাজনৈতিক চক্রান্ত বলেই দেখছে কংগ্রেস। গ্র্যান্ড ওল্ড পার্টির অভিযোগ, কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতিকে হেনস্থা করতেই এসব করছে কেন্দ্র।

     

  • Uniform Civil Code: সব রাজ্যেরই উচিত অভিন্ন দেওয়ানি বিধি লাগু করা, জানালেন ধামি

    Uniform Civil Code: সব রাজ্যেরই উচিত অভিন্ন দেওয়ানি বিধি লাগু করা, জানালেন ধামি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশের সব রাজ্যেরই উচিত অভিন্ন দেওয়ানি বিধি (Uniform Civil Code) চালু করা। যেমনটা করতে চলেছে উত্তরাখণ্ড (Uttarakhand)। উধম সিং নগর জেলার একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিতে গিয়ে একথা বলেন উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিং ধামি (Pushkar Singh Dhami)। ওই অনুষ্ঠানেই তিনি জানান, উত্তরাখণ্ডে অভিন্ন দেওয়ানি বিধি লাগু করতে অবসর প্রাপ্ত বিচারপতি রঞ্জন প্রকাশ দেশাইয়ের নেতৃত্বে একটি কমিটি গড়া হয়েছে। এই কমিটিই সাধারণ মানুষের পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট সব মহলের সঙ্গে কথা বলবে।

    বস্তুত, অভিন্ন দেওয়ানি বিধি চালুর প্রতিশ্রুতি দিয়েই দ্বিতীয়বারের জন্য উত্তরাখণ্ডের তখতে ফিরেছেন পুষ্কর সিং ধামি। তার পরেই নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি কার্যকর করতে কোমর বেঁধে নামেন তিনি। কুর্সিতে বসেই ঘোষণা করেন, উত্তরাখণ্ডে কার্যকর করা হবে অভিন্ন দেওয়ানি বিধি। তখনই ধামি জানিয়েছিলেন, রাজ্য মন্ত্রিসভা সর্বসম্মতিক্রমে অনুমোদন করেছে যে বিশেষজ্ঞদের নিয়ে শীঘ্রই একটি কমিটি গঠন করা হবে। এবং এই আইন রাজ্যে কার্যকর করা হবে। এটিই প্রথম রাজ্য যেখানে এই আইন কার্যকর করা হবে। উধম সিং নগর জেলার এদিনের অনুষ্ঠানেও মুখ্যমন্ত্রী জানান, এ রাজ্যে খুব শীঘ্রই অভিন্ন দেওয়ানি বিধি চালু হবে। তিনি বলেন, দেশের প্রত্যেকটি রাজ্যেই এই আইন কার্যকর করা উচিত। অভিন্ন দেওয়ানি বিধি লাগুর ব্যাপারে উত্তরাখণ্ডবাসীর সমর্থন পেয়েছেন বলেও জানান ধামি। 

    আরও পড়ুন : অভিন্ন দেওয়ানি বিধি কার্যকরে বদ্ধপরিকর ধামি! রূপরেখা তৈরিতে গঠিত বিশেষ কমিটি

    গত কয়েক দশক ধরে অভিন্ন দেওয়ানি বিধি-ই বিজেপির নির্বাচনী প্রচারের অন্যতম প্রধান হাতিয়ার। প্রশ্ন হল, কী এই অভিন্ন দেওয়ানি বিধি? ভারতীয় সংবিধানের ৪৪ নম্বর অনুচ্ছেদে এ ব্যাপারে উল্লেখ রয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, অভিন্ন দেওয়ানি বিধি হল দেশের সকল নাগরিকের জন্য এক আইন। দেশের সব ধর্মীয় সম্প্রদায়ের ব্যক্তিগত ক্ষেত্রেও একই আইন কার্যকর হবে। অর্থাৎ, উত্তরাধিকার, বিবাহ, বিবাহ বিচ্ছেদ এবং দত্তকের ক্ষেত্রে দেশের সকল নাগরিককে একই আইন মেনে চলতে হবে।

    আরও পড়ুন : ‘সংবিধান-বিরোধী!’ অভিন্ন দেওয়ানি বিধির বিরুদ্ধে প্রস্তাব পাশ জমিয়ত উলেমা-এ-হিন্দের

    অভিন্ন দেওয়ানি বিধি লাগু নিয়ে উত্তরাখণ্ডের পথে যে উত্তরপ্রদেশ সরকারও হাঁটতে চলেছে, কিছুদিন আগে তার ইঙ্গিত দিয়েছিলেন যোগী রাজ্যের উপমুখ্যমন্ত্রী কেশবপ্রসাদ মৌর্যও। তিনি বলেছিলেন, প্রত্যেকের উচিত অভিন্ন দেওয়ানি বিধি চাওয়া ও অভিন্ন দেওয়ানি বিধির উদ্যোগ সমর্থন করা। উত্তরপ্রদেশ সরকারও সেই লক্ষ্যেই এগোচ্ছে।

     

  • Malda Bus accident: মালদায় রাস্তার পাশে বাস উল্টে জখম অন্তত ২০ পড়ুয়া, ঠিক কী ঘটেছে?

    Malda Bus accident: মালদায় রাস্তার পাশে বাস উল্টে জখম অন্তত ২০ পড়ুয়া, ঠিক কী ঘটেছে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মর্মান্তিক স্কুলবাস দুর্ঘটনায় (School Bus Accident ) জখম অন্তত ২০। শনিবার দুপুরে ঘটনাটি ঘটে মালদহের (Malda) ইংরেজবাজার থানার (English Bazar PS) লক্ষ্মীপুর এলাকায়। বাসটির যাত্রীরা সবাই স্থানীয় একটি কেন্দ্রীয় বিদ্যালয়ের পড়ুয়া (Students)। আহত (Injured) পড়ুয়াদের উদ্ধার করে ভর্তি করা হয়েছে মালদহ জেলা হাসপাতালে। দুর্ঘটনার কারণ জানতে শুরু হয়েছে তদন্ত।  

    স্থানীয় সূত্রে খবর, এদিন স্কুল ছুটির পরে ৭১ জন পড়ুয়াকে নিয়ে ফিরছিল বাসটি। মালদহ মানিকচক রাজ্য সড়কের লক্ষ্মীপুর এলাকায় আচমকাই কেন্দ্রীয় বিদ্যালয়ের ওই বাসটিকে পিছলাতে দেখেন স্থানীয় বাসিন্দাদের কয়েকজন। এর পরেই রাস্তার পাশে উল্টে যায় বাসটি। ভয়ে চিৎকার করতে থাকে পড়ুয়ারা। তাদের আর্ত চিৎকারে ছুটে আসেন স্থানীয়রা। শুরু হয় উদ্ধার কার্য। খবর পেয়ে দ্রুত চলে আসে পুলিশও। দুর্ঘটনাগ্রস্ত বাসটি থেকে একে একে বের করা হয় সব পড়ুয়াকেই। এদের মধ্যে অন্তত ২০ জন জখম হয়েছে। মাথায় আঘাত লেগেছে কয়েকজনের। কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনকও। আহত পড়ুয়াদের উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয়েছে মালদহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। অ্যাম্বুলেন্সের পাশাপাশি টোটো করেও পড়ুয়াদের নিয়ে যাওয়া হয়েছে হাসপাতালে। বর্ষার নরম মাটি নাকি চালকের ভুলে এই ঘটনা তা জানতে শুরু হয়েছে তদন্ত।

    আরও পড়ুন : শুভেন্দুর কনভয়ে লরির ধাক্কা, কী হল জানেন?

    এদিকে, দুর্ঘটনার খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে চলে আসেন ডিএসপি সহ প্রশাসনের শীর্ষ কর্তারা। রাজু মোহন্ত নামে স্থানীয় এক বাসিন্দার কথায়, বাড়ি থেকে বেরিয়ে দেখতে পেলাম বাসটি আস্তে আস্তে উল্টে যাচ্ছে। বাসটি সেই সময় আস্তেই যাচ্ছিল। কী করে যে হল, তা বুঝতে পারছি না। জানা গিয়েছে, এই এলাকায় রয়েছে একটি পেট্রোল পাম্প। স্বাভাবিকভাবেই জ্বালানি নিতে রাস্তা দিয়েই চলাচল করে ভারী যানবাহনও। বর্ষার ভিজে মাটিতে রাস্তাটির ক্ষতি হওয়ার কারণেই দুর্ঘটনা, নাকি চালকের ভুলে এই ঘটনা, তা জানার চেষ্টা করছে পুলিশ।

    আরও পড়ুন : শুভেন্দুকে নেতাই যেতে বাধা কেন? ডিজি, এসপির বিরুদ্ধে রুল জারি হাইকোর্টের

     

  • Maharashtra Crisis: মহারাষ্ট্রে ফড়নবিশের নেতৃত্বে সরকার গড়ছে বিজেপি? মন্ত্রিসভায় কারা?  

    Maharashtra Crisis: মহারাষ্ট্রে ফড়নবিশের নেতৃত্বে সরকার গড়ছে বিজেপি? মন্ত্রিসভায় কারা?  

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মহারাষ্ট্রে মুখ্যমন্ত্রী পদে ইস্তফা দিয়েছেন উদ্ধব ঠাকরে (Uddhav Thackeray)। আর প্রয়োজন নেই আস্থা ভোটের। তাই এবার সরকার গড়তে কোমর কষে নেমে পড়েছে বিজেপি (BJP)। সূত্রের খবর, সব কিছু ঠিকঠাক থাকলে তৃতীয়বারের জন্য মুখ্যমন্ত্রীর কুর্সিতে বসতে চলেছেন বিজেপির দেবেন্দ্র ফড়নবিশ (Devendra Fadnavis)। এদিকে আজ, বৃহস্পতিবার মুম্বইয়ের পাঁচতারা হোটেলে জরুরি বৈঠকে বসেছেন বিজেপি নেতৃত্ব।

    বিজেপির সঙ্গে জোট গড়ে সরকার গঠন নিয়ে বিতর্কের কারণে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরের সঙ্গে দূরত্ব তৈরি হয় শিবসেনার বিদ্রোহী বিধায়ক একনাথ শিন্ডের।তার পরেই অনুগামী বিধায়কদের নিয়ে বিজেপি শাসিত গুজরাটে উড়ে যান শিন্ডে। সেখান থেকে মধ্যরাতের বিমান ধরে তাঁরা চলে যান আসামের গুয়াহাটির হোটেলে। বুধবার মুখ্যমন্ত্রী পদে ইস্তফা দেন উদ্ধব। সরকার ধরে রাখা যে যাবে না, তা আগেভাগেই আঁচ করতে পেরেই সরকারি বাংলো বর্ষা ছেলে পৈত্রিক ভিটে মাতোশ্রীতে গিয়ে আশ্রয় নেন উদ্ধব। পরে রাজ্যপালের কাছে পাঠিয়ে দেন ইস্তফাপত্র। তার পরেই সরকার গড়তে জোর কদমে উদ্যোগী হন বিজেপি নেতৃত্ব।

    আরও পড়ুন : আস্থাভোটের আগেই মুখ্যমন্ত্রিত্ব ছাড়লেন উদ্ধব, গোয়ায় পৌঁছল একনাথ শিবির

    সূত্রের খবর, বিজেপি নেতৃত্ব এবার দেবেন্দ্র ফড়নবিশের নেতৃত্বে মহারাষ্ট্রে নতুন সরকার গঠনের দাবি করতে চলেছেন। শিবসেনার একনাথ শিন্ডের গোষ্ঠীর ৩৯ জন বিধায়কই দেবেন্দ্র ফড়নবিশের নেতৃত্বে সরকার তৈরি হলে তাঁকে সমর্থন করবে। জানা গিয়েছে, মহারাষ্ট্রে  ফড়নবিশের নেতৃত্বে নয়া সরকার গঠিত হলে উপ মুখ্যমন্ত্রীর পদ পেতে পারেন শিন্ডে।

    আরও পড়ুন : দু’বার মুখ্যমন্ত্রিত্ব ছাড়তে চেয়েছিলেন উদ্ধব! আটকান এই প্রবীণ নেতা

    মহারাষ্ট্র বিধানসভায় বিধায়ক সংখ্যা ২৮৮। এর মধ্যে বিজেপির বিধায়ক সংখ্যা ১০৬। শিবসেনার বিধায়ক সংখ্যা ৫৫ জন। এর মধ্যে শিন্ডের সঙ্গে রয়েছেন ৩৯ জন। স্বাভাবিকভাবেই সরকার হবে বিজেপির নেতৃত্বে। আনুপাতিক হারে মন্ত্রিত্ব পাবেন শিবসেনার বিদ্রোহী বিধায়করা। সূত্রের খবর, ঠাকরে মন্ত্রিসভায় যাঁরা মন্ত্রী ছিলেন, তাঁরা ফের মন্ত্রী হতে পারেন। বিজেপি সূত্রের খবর, তাঁদের সঙ্গে ১৭০ জন বিধায়কের সমর্থন রয়েছে। আগামী তিন দিনের মধ্যেই সরকার গঠনের দাবি জানাবেন তাঁরা।

     

  • BJP Letter to Mamata: “দ্রৌপদীদেবীর জয় নিশ্চিত, তা সত্ত্বেও…”, মমতাকে চিঠি বঙ্গ বিজেপির 

    BJP Letter to Mamata: “দ্রৌপদীদেবীর জয় নিশ্চিত, তা সত্ত্বেও…”, মমতাকে চিঠি বঙ্গ বিজেপির 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক:  রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে এনডিএ-র (NDA) বাজি বিজেপির (BJP) দ্রৌপদী মুর্মু (Droupadi murmu)। জোটবদ্ধ হয়ে প্রার্থী দিয়েছে বিজেপি বিরোধী দলগুলিও। তা সত্ত্বেও রাজ্য বিজেপি  ভোট চাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিরোধীদের কাছেও। সেই মতো দ্রৌপদীকে ভোট দেওয়ার আবেদন জানিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি লিখল বঙ্গ বিজেপি। চিঠির নীচে সই করেছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার এবং বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।মঙ্গলবার সাংবাদিক বৈঠক করে একথা জানিয়েছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি।

    আরও পড়ুন : এখনও অন্ধকারে! অবশেষে বিদ্যুৎ এল রাষ্ট্রপতি প্রার্থী দ্রৌপদী মুর্মুর গ্রামে

    জুলাই মাসের ১৮ তারিখে রাষ্ট্রপতি নির্বাচন। ওই নির্বাচনে এনডিএ-র প্রার্থী বিজেপির দ্রৌপদী। নির্বাচন নয়, রাষ্ট্রপতি যাতে সর্বসম্মতভাবে মনোনীত হন সেজন্য বিরোধীদের কাছে আবেদন করেছিলেন রাজনাথ। তার পরেও বিজেপিকে মাত দিতে সম্মিলিতভাবে প্রার্থী দিয়েছে ১৮টি বিরোধী দল। প্রার্থী হয়েছেন বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেওয়া যশবন্ত সিনহা। তার পরেও মুখ্যমন্ত্রী তথা  তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি দিয়েছে বঙ্গ বিজেপি।

    এর কারণও ব্যাখ্যা করেছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত। বলেন, দ্রৌপদী মুর্মু প্রথম কোনও জনজাতি সম্প্রদায়ের রাষ্ট্রপতি হতে চলেছেন। আমরা চাই বাংলার মুখ্যমন্ত্রীও তাঁকেই নির্বাচিত করুন।

    আরও পড়ুন : রাষ্ট্রপতি পদে এগিয়ে দ্রৌপদী মুর্মু! ‘ঘরের মেয়ে’ কে সমর্থন নবীনের

    রাজনৈতিক মহলের হিসেব বলছে, সংখ্যাতত্ত্বের হিসেবে দ্রৌপদী অনেক এগিয়ে।এডিএর শরিক নয়, এমন কয়েকটি দলও দ্রৌপদীকেই সমর্থনের আশ্বাস দিয়েছে। তাই দ্রৌপদীর জয় একপ্রকার নিশ্চিত। তা সত্ত্বেও মমতা সহ রাজ্যের সব বিধায়ক ও তৃণমূল (TMC) এবং কংগ্রেসের (Congress) সাংসদদের চিঠি পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিজেপি। মমতাকে পাঠানো চিঠিতে বিজেপির তরফে লেখা হয়েছে, দ্রৌপদীদেবীর বিজয় নিশ্চিত। তা সত্ত্বেও ভারতীয় জনতা পার্টির পক্ষ থেকে আপনার কাছে তাঁর হয়ে ভোট প্রার্থনা করছি। কারণ, বর্তমান সময়ের কষ্ঠিপাথরে শ্রীমতি দ্রৌপদী মুর্মুর দেশের সর্বোচ্চ সাংবিধানিক পদে আসীন হওয়া সর্বোত্তম পদক্ষেপ বলে আমরা মনে করি।

     

LinkedIn
Share