Author: Krishnendu Bakshi

  • Malda: “বাড়িতে ঢুকলে বিজেপি সাংসদ খগেন মুর্মুকে চেপে ধরবেন”, উস্কানি দিলেন তৃণমূল নেত্রী অর্পিতা

    Malda: “বাড়িতে ঢুকলে বিজেপি সাংসদ খগেন মুর্মুকে চেপে ধরবেন”, উস্কানি দিলেন তৃণমূল নেত্রী অর্পিতা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃণমূলের বালুরঘাটের প্রাক্তন সাংসদ অর্পিতা ঘোষের ফের বিজেপি সাংসদকে উস্কানি মূলক মন্তব্য করলেন। সোমবার মালদার (Malda) টাউনহলে এক প্রকাশ্য সভামঞ্চ থেকে তিনি বলেন, “বাড়িতে ঢুকলে বিজেপি সাংসদ খগেন মুর্মুকে চেপে ধরে রাখবেন।” পালটা মালদা উত্তরের বিজেপি সাংসদ খগেনবাবু বলেন, “তৃণমূল কেন বাংলায় এতো চুরি করেছে সেই কৈফিয়ৎ মানুষ চাইবে।” এই তৃণমূল নেত্রীর হুমকির বক্তব্যে ব্যাপক শোরগোল পড়েছে জেলায়।

    ঠিক কী বলেন তৃণমূল প্রাক্তন সংসদ (Malda)

    তৃণমূল প্রাক্তন সংসদ অর্পিতা ঘোষ মালদার (Malda) টাউন হলে এদিন বলেন, “একদম বিজেপি সাংসদদের চেপে ধরবেন। বাংলার প্রতিটি মেয়েদের কাছে মায়েদের কাছে এই বার্তা তুলে ধরবেন। ১৫ লক্ষ টাকা না দিলে, বাড়িতে ঢুকলে বেরোতে দেবেন না। অনেক হয়েছে, বড় বড় কথা বলেছেন। কোন সুবিধা মেয়েদের দিয়েছেন? মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতো আজ পর্যন্ত এই ভারতবর্ষে মেয়েদের এতখানি সম্মান কেউ দেননি। এই বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই। দেশের অর্থনীতি কোথায় গিয়ে পৌঁছেছে। আমরা যাতে বুঝতে না পাড়ি তাই ধর্মের সুড়সুড়ি দিয়ে যাচ্ছে। মানুষকে ধর্মের আফিম খাইয়ে গন্ডগোল লাগিয়ে কেবল সুবিধা নিতে চাইছে। বাংলার মেয়েরাই বিজেপিকে আটকাবে, বোঝাবে কত ধানে কত চাল।”

    আর কী বললেন?

    তৃণমূল নেত্রী অর্পিতা মেয়েদের অধিকার প্রসঙ্গে মালদায় (Malda) আরও বলেন, “সংসদের নতুন বাড়ি হল, সাধু-সন্তরা যজ্ঞ করলেন। অপর দিকে দলিত বলে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুকে ডাকা হল না। রাম মন্দিরের উদ্বোধন করলেন দেশের প্রধানমন্ত্রী। একটা গ্যাস দিয়ে ছিলেন ঢাক পিটিয়ে কিন্তু এখন এতো দাম যে কিনতেই পারছি না। গ্যাসের দাম এখন হাজার টাকা।”

    বিজপির বক্তব্য

    তৃণমূল নেত্রীর এই উস্কানি মূলক মন্তব্যের বিরুদ্ধে উত্তর মালদার (Malda) বিজেপি সাংসদ খগেন মুর্মু তৃণমূলের সমালোচনা করে বলেন, “বাংলায় তৃণমূল নেতারা এতো চুরি করেছে যে মানুষ এবার হিসাব চাইবে। কেন্দ্রের টাকা লুট করেছে তৃণমূলের নেতারা। মানুষ হিসেব চাইবে তাই আগে থেকে বুঝতে পেরে অন্যের উপর দায় চাপানো হয়েছে। আসলে তৃণমূলের নেতারাই তাঁদের উপর বিরক্ত হয়ে আছেন।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Ram Mandir: “দয়া করে পাকিস্তানে চলে যান”, বললেন ফতোয়া পাওয়া সেই ইমাম

    Ram Mandir: “দয়া করে পাকিস্তানে চলে যান”, বললেন ফতোয়া পাওয়া সেই ইমাম

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তাঁর অপরাধ মুসলমান হয়েও যোগ দিয়েছিলেন অযোধ্যায় রাম মন্দির (Ram Mandir) উদ্বোধনের অনুষ্ঠানে। তাই ফতোয়া জারি করা হল অল ইন্ডিয়া ইমাম অর্গানাইজেশনের প্রধান উমর আহমেদ ইলিয়াসির বিরুদ্ধে। ফতোয়ায় তাঁকে ‘কাফের’ বলে উল্লেখ করা হয়েছে। ফতোয়া জারি করেছে মুফতি সাবির হুসেইনির নেতৃত্বাধীন মুফতি ক্লাসেস নামে একটি দল।

    লাগাতার হুমকি ফোন

    ইলয়াসির অভিযোগ, রবিবার থেকে তাঁর ওপর এই ফতোয়া জারি করা হয়েছে। রাম মন্দির উদ্বোধন অনু্ষ্ঠানে যোগ দেওয়ার পর থেকে লাগাতার হুমকি ফোনও তিনি পাচ্ছেন। দেওয়া হচ্ছে প্রাণনাশের হুমকি। বিষয়টি জানিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে চিঠি লিখেছেন ইমাম। দিল্লির পুলিশ কমিশনারকে বিষয়টি জানানোর পাশাপাশি দায়ের করেছেন এফআইআরও। ইমাম বলেন, “যাঁরা (Ram Mandir) আমায় ভালোবাসেন, দেশকে ভালোবাসেন, তাঁরা অবশ্যই আমায় সমর্থন করবেন। আর যাঁরা রাম মন্দিরের ইভেন্টে অংশ নেওয়ার জন্য আমায় ঘৃণা করছেন, তাঁরা দয়া করে পাকিস্তানে চলে যান।”

    ‘মনুষ্যত্বই আমাদের এক করে’

    ইমাম বলেন, “রাম মন্দির ট্রাস্টের পক্ষ থেকে আমন্ত্রণ পাওয়ার পর আমি দু’ দিন বিষয়টি নিয়ে ভাবনাচিন্তা করি। তারপর অযোধ্যা যাওয়ার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিই। এটা আমার জীবনের সব চেয়ে বড় সিদ্ধান্ত ছিল। দেশের সম্প্রীতি রক্ষার্থে আমি সেখানে গিয়েছিলাম। অল ইন্ডিয়া ইমাম অর্গানাইজেশনের প্রধান ইমাম হিসেবে আমাকে রাম মন্দিরের (Ram Mandir) প্রাণপ্রতিষ্ঠা অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। সেখানে উষ্ণ অভ্যর্থনায় স্বাগত জানানো হয় আমাকে। সেদিন অনুষ্ঠানে অংশ নেওয়ার পর আমার মনে হয়েছিল, দুটি ধর্মের বিশ্বাস আলাদা হতে পারে, কিন্তু মনুষ্যত্বই আমাদের এক করে।”

    আরও পড়ুুন: চিনপন্থী মুইজ্জুকে গদিচ্যুত করতে ইমপিচমেন্ট প্রক্রিয়া শুরু মলদ্বীপে!

    ইলিয়াসি বলেন, “আমায় এবং আমার পরিবারকে প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হচ্ছে। আমি স্পষ্টভাবে বলতে চাই, ভারত ইসলামিক দেশ নয়। ফলে এই সব ফতোয়া এখানে চলবে না। আমি যে ভালোবাসা ও সৌভ্রাতৃত্বের বার্তা দিচ্ছি, তা কারও পছন্দ না হলে সে পাকিস্তানে চলে যেতে পারে। আমি কোনও ভুল করিনি। প্রাণপ্রতিষ্ঠা উৎসবে অংশ নেওয়ার জন্য আমি ক্ষমা চাইব না। পদ থেকেও ইস্তফা দেব না।” প্রসঙ্গত, ২২ জানুয়ারি উদ্বোধন হয় রাম মন্দিরের। এদিনই প্রাণপ্রতিষ্ঠা হয় বালক রামের মূর্তির। উৎসবে (Ram Mandir) উপস্থিত ছিলেন দেশ-বিদেশের বহু মানুষ। ছিলেন এই ইমামও।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

      

  • Maldives: চিনপন্থী মুইজ্জুকে গদিচ্যুত করতে ইমপিচমেন্ট প্রক্রিয়া শুরু মলদ্বীপে!

    Maldives: চিনপন্থী মুইজ্জুকে গদিচ্যুত করতে ইমপিচমেন্ট প্রক্রিয়া শুরু মলদ্বীপে!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ক্রমেই ঘোরালো হচ্ছে মলদ্বীপের (Maldives) রাজনৈতিক পরিস্থিতি। চিনপন্থী প্রেসিডেন্ট মহম্মদ মুইজ্জুর বিরুদ্ধে ইমপিচমেন্ট প্রক্রিয়া শুরু করতে চলেছেন দ্বীপরাষ্ট্রের বিরোধীরা। মলদ্বীপের সংসদে সংখ্যাগরিষ্ঠ মলদ্বীভিয়ান ডেমোক্রেটিক পার্টি। ইমপিচমেন্ট আনতে প্রয়োজনীয় স্বাক্ষর সংগ্রহ করছেন এই দলের নেতারা।

    মুইজ্জুর চিন-প্রেম

    মুইজ্জুর চিন-প্রেমকে ভালো চোখে দেখেননি সে দেশের বিরোধীরা। ভারতের বিরুদ্ধে যে অবস্থান নিয়েছে মুইজ্জু প্রশাসন, তাকেও বিষনজরে দেখছেন তাঁরা। এহেন আবহে চিনা চর জাহাজকে রাজধানী মালের বন্দরে স্বাগত জানানোয় মুইজ্জুর ওপর বেজায় চটেছেন বিরোধীরা। তার পরেই শুরু হয়েছে মুইজ্জুকে ইমপিচমেন্ট করার প্রক্রিয়া। গত নির্বাচনে মলদ্বীপের (Maldives) ক্ষমতায় আসে চিনপন্থী নেতা মুইজ্জু। তার পর থেকে ভারত-মলদ্বীপের সম্পর্ক গিয়ে ঠেকেছে তলানিতে।

    মলদ্বীপের রাজনৈতিক হাওয়া

    মলদ্বীপের রাজনৈতিক মহলও ভাগ হয়ে গিয়েছে দু’ ভাগে। একদল মুইজ্জুপন্থী। আর অন্য দল ভারতপন্থী। মলদ্বীপের ভারতপন্থী নেতারা মুইজ্জু সরকারের চিন-প্রেমে যারপরনাই ক্ষুব্ধ। ‘পরম মিত্র’ দেশ ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক নষ্টের জন্য তাঁরা দুষছেন মুইজ্জু প্রশাসনকে। সম্প্রতি ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সম্পর্কে অবমাননাকর মন্তব্য করেন মুইজ্জু সরকারের তিন মন্ত্রী। চাপে পড়ে তাঁদের সাসপেন্ড করা হলেও, উন্নতি ঘটেনি ভারত-মলদ্বীপ সম্পর্কের। এহেন আবহে রবিবার দ্বীপরাষ্ট্রের (অ)সংসদীয়কাণ্ডের ছবি ভাইরাল। এদিন সংসদের ভেতরে সাংসদদের মধ্যেই চলল লাথি, ঘুষি, চড়-থাপ্পড়, চুল ধরে টানা, বাঁশি বাজিয়ে অধ্যক্ষের কণ্ঠ স্তব্ধ করে দেওয়া সবই। হাতাহাতির জেরে জখম হন বেশ কয়েকজন সাংসদ।

    আরও পড়ুুন: ক্ষমতায় ফিরছে এনডিএ, ভবিষ্যদ্বাণী প্রশান্ত কিশোরের

    রবিবারের এই ঘটনার পর মুইজ্জু সরকারকে হঠাতে কোমর বেঁধে নেমে পড়ছেন বিরোধীরা। চিন নয়, ভারতের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রেখে চলার পক্ষপাতী মলদ্বীপের প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি ইব্রাহিম মহম্মদ সোলিহের দল এমডিপি। তাঁর সঙ্গে রয়েছেন দ্বীপরাষ্ট্রের আরও কয়েকটি দল। তারা চাইছে, ফের চাঙা হোক ভারত-মলদ্বীপ সম্পর্ক।

    মলদ্বীপে শিক্ষা সহ নানা ক্ষেত্রে ভারতের অবদান প্রচুর। তাই সে দেশে ভারতপন্থী মানুষের অভাব নেই। গত বছরের শেষের দিকে মলদ্বীপের রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হওয়ার পর ভারতকে দূরে ঠেলে চিনের সঙ্গে বন্ধুত্ব পাতাতে উদ্যোগী হন মুইজ্জু। নির্বাচিত হওয়ার পর মলদ্বীপের রাষ্ট্রপতিরা প্রথমে আসেন ভারত সফরে। দীর্ঘদিনের এই প্রথা ভেঙে মুইজ্জু গিয়েছিলেন চিনে। ভারতের বদলে চিনকে তিনি মিত্র দেশ বলে ঘোষণা করেন। তার পর থেকে দ্বীপরাষ্ট্রের জনমত ঘুরে গিয়েছিল মুইজ্জুর (Maldives) দিক থেকে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • Lalu Prasad Yadav: জমির বিনিময়ে চাকরি মামলায় টানা ১০ ঘণ্টা ইডির প্রশ্নবাণের মুখে লালু

    Lalu Prasad Yadav: জমির বিনিময়ে চাকরি মামলায় টানা ১০ ঘণ্টা ইডির প্রশ্নবাণের মুখে লালু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: টানা প্রায় ১০ ঘণ্টা ধরে ইডির প্রশ্নবাণের মুখে বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা আরজেডি সুপ্রিমো লালু প্রসাদ যাদব (Lalu Prasad Yadav)। সোমবার পাটনায় ইডির দফতরে হাজিরা দেন লালু। তার পরেই শুরু হয় জিজ্ঞাসাবাদ-পর্ব। প্রাক্তন রেলমন্ত্রী ইডি অফিস থেকে বেরিয়ে আসেন রাতে। বাইরে তখন কেন্দ্রীয় বাহিনীর বাপান্ত করছেন আরজেডির নেতা-কর্মী-সমর্থকরা।

    জমির বিনিময়ে চাকরি

    প্রথম ইউপিএ সরকারে রেলমন্ত্রী ছিলেন লালু। সেই সময় বিহারের বহু যুবককে নিয়োগ করা হয়েছিল রেলের গ্রুপ ডি পদে। অভিযোগ, টাকা কিংবা জমির বিনিময়ে এঁদের নিয়োগ করা হয়েছিল। ঘটনায় নাম জড়ায় লালুর স্ত্রী তথা বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী রাবড়ি দেবী ও তাঁর দুই মেয়ে মিসা ও হেমার বিরুদ্ধে। পরে (Lalu Prasad Yadav) নাম জড়ায় বিহারের সদ্য প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রী তেজস্বীরও। ইডির অভিযোগ, চাকরি দেওয়ার সময় যে জমি দিয়েছিলেন চাকরিপ্রার্থীরা, তা দেওয়া হয়েছিল লালুর পরিবারের সদস্য ও একে ইনফোসিস্টেমস নামে এক সংস্থার নামে।

    কেলেঙ্কারিতে লালুর পরিবার

    এই সংস্থার সঙ্গে যোগ রয়েছে লালুর পরিবারের সদস্যদের। কেলেঙ্কারির মূলে পৌঁছতে তদন্ত শুরু করেছিল সিবিআই। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা তল্লাশি চালায় দিল্লি, পাটনা সহ দেশের বিভিন্ন জায়গায়। আরজেডির একাধিক নেতার বাড়িতেও অভিযান চালানো হয়। এই মামলায় লালু ও তাঁর পরিবারের কয়েকজনের নামে সিবিআইয়ের পাশাপাশি চার্জশিট দিয়েছে ইডিও।

    আরও পড়ুুন: হেমন্ত সোরেনের বিলাসবহুল বিদেশি গাড়ি বাজেয়াপ্ত করল ইডি! ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রীর দায়িত্বে কে?

    আরজেডি সাংসদ মনোজ ঝা বলেন, “এটা ইডির তলব নয়, বিজেপির তলব। এটা ২০২৪ সাল পর্যন্ত চলবে। ততদিন পর্যন্ত একে ইডির তলব বলবেন না।” লালুর মেয়ে মিশা ভারতী বলেন, “তিনি (লালু) নিজে খেতে পারেন না। তাঁকে কাউকে খাইয়ে দিতে হয়। আমরা জানি না তিনি খেয়েছেন কিনা। সরকার আমার বাবাকে গ্রেফতার করতে পারে। কিন্তু একজন অসুস্থ মানুষকে গ্রেফতার করে তারা কী পাবে?”

    রবিবারই রাজনৈতিক পট পরিবর্তন হয়েছে বিহারে। মহাগটবন্ধনের সরকার ছেড়ে নীতীশ কুমার ফের ফিরেছেন বিজেপিতে। তার পরেই লালুকে ইডির তলবে সিঁদুরে মেঘ দেখছেন বিরোধীরা। তাঁদের বক্তব্য, লোকসভা নির্বাচনের আগে এই ধরনের ঘটনা বাড়বে বই কমবে না (Lalu Prasad Yadav)।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • PM Modi: পরীক্ষার্থীদের টেনশন কমাতে গুচ্ছ টিপস, ‘পরীক্ষা পে চর্চা’য় কী বললেন মোদি?

    PM Modi: পরীক্ষার্থীদের টেনশন কমাতে গুচ্ছ টিপস, ‘পরীক্ষা পে চর্চা’য় কী বললেন মোদি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দরজায় কড়া নাড়ছে বিভিন্ন বোর্ডের পরীক্ষা। স্বাভাবিকভাবেই টেনশনে কিশোর পরীক্ষার্থীরা। পরীক্ষার চাপ কমাতে পরীক্ষার্থীদের সঙ্গে পরীক্ষা পে চর্চায় মাতলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। চাপ কমাতে পরীক্ষার্থীদের দিলেন বেশ কিছু টিপসও। তাদের সফল কেরিয়ার গড়া নিয়ে শিক্ষক-শিক্ষিকা ও অভিভাবকদেরও এক গুচ্ছ পরামর্শ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।

    পরীক্ষার আগে দুই চাপ

    তিনি বলেন, “পরীক্ষার সময় একটা চাপ তো পড়ুয়াদের মনে নিজের থেকেই তৈরি হয়ে যায়। কতটা পড়া হল, নম্বর ঠিক মতো আসবে কিনা, এসব নিয়ে চিন্তা হয়। আর দ্বিতীয়টি হল পারিপার্শ্বিক চাপ। যেখানে মা-বাবারা সব সময় ভালো ফল করতে আরও বেশি করে পড়াশোনা করতে বলেন।” নিজে কীভাবে চাপ মুক্ত হন, এদিন সে প্রসঙ্গও তোলেন প্রধানমন্ত্রী। বলেন, “যদি কোনও ঠান্ডার জায়গায় যাই, তাহলে তার আগে মনে মনে নিজেকে প্রস্তুত করে নিই। ফলে সেখানে গিয়ে আর অসুবিধা হয় না। পড়াশোনার চাপ কমাতে এটা তোমরা অনুসরণ করতে পারো। এজন্য নিজেকে আগে থেকে প্রস্তুত করো তোমরা।”

    চাপ কমানোর দাওয়াই

    পরীক্ষার চাপ যাতে মনের ওপর গভীর ছাপ ফেলে, সে পথও বাতলেছেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি (PM Modi) বলেন, “পরীক্ষার আগে একটু আধটু রসিকতা করা ভালো। এতে মনের ওপর চাপ কমবে। হলে ঢোকার পর গভীর শ্বাস নিয়ে পরীক্ষা শুরু করতে পারো তোমরা। কোথায় সিসিটিভি আছে, পরিদর্শক কী করছেন, সেদিকে নজর দেওয়ার কোনও প্রয়োজন নেই। এগুলি চিন্তা শক্তিতে বাধা সৃষ্টি করতে পারে।” প্রধানমন্ত্রী বলেন, “তোমাদের অনেকেই হয়ত শুধু ল্যাপটপ বা মোবাইল ফোনে লিখে অভ্যস্ত। তাই লেখার অভ্যাস করা ভালো। যে কোনও বিষয়ের ওপর প্রবন্ধ লেখা অনুশীলন কর তোমরা। একবার লিখে সেটা কতটা ঠিক হল, তা খতিয়ে দেখতে হবে। বারংবার অনুশীলনে বাড়বে লেখার দক্ষতা।”

    আরও পড়ুুন: সরকারি অতিথি নিবাসে রাহুলের মধ্যাহ্নভোজে মমতার পুলিশের না

    পরীক্ষার্থীদের প্রশ্নপত্র খুঁটিয়ে দেখার পরামর্শও দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। অভিভাবকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, “বন্ধু ও ভাইবোনেদের মধ্যে হিংসা কমাতে পিতামাতাদের অন্যদের সঙ্গে তাঁদের সন্তানদের তুলনা করা বন্ধ করুন।” প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) বলেন, “আমাদের ছাত্রছাত্রীরাই ভবিষ্যতের রূপরেখা তৈরি করে দেবে।”

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • SIMI Banned: আরও ৫ বছরের জন্য জঙ্গি সংগঠন সিমিকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করলেন অমিত শাহ

    SIMI Banned: আরও ৫ বছরের জন্য জঙ্গি সংগঠন সিমিকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করলেন অমিত শাহ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জঙ্গী সংগঠন সিমিকে (SIMI Banned) আরও ৫ বছরের জন্য নিষিদ্ধ ঘোষণা করলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। তিনি বলেন, “দেশের অখণ্ডতা, নিরাপত্তার জন্য এই সংগঠন অত্যন্ত বিপদজনক হয়ে দাঁড়িয়েছে। দেশের অভ্যন্তরীণ শান্তি-শৃঙ্খলা এবং সম্প্রীতিকে বিঘ্নিত করার কাজে জড়িত ছিল এই সংগঠন।” দেশের নিরাপত্তা এবং সুরক্ষার কথাকে মাথায় রেখে প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞরা এই সিদ্ধান্তকে অত্যন্ত সাধুবাদ জানিয়েছেন বলে জানা গিয়েছে।

    কী বলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী(SIMI Banned)?

    ২০১৪ সালে ক্ষমতায় আসার পর থেকেই সন্ত্রাসবাদ, জঙ্গি কার্যকলাপ এবং বিচ্ছিন্নতাবাদীদের গতিপ্রকৃতির সঙ্গে কেন্দ্রের বিজেপি সরকার জিরো টলারেন্স নীতি অবলম্বন করে চলেছে। আজ সোমবার দেশের কেন্দ্রী স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বললেন, “স্টুডেন্ট ইসলামিক মুভমেন্ট অফ ইন্ডিয়া অর্থাৎ সিমি (SIMI Banned) হল একটি বেআইনি, অবৈধ সংগঠন। কঠোর সন্ত্রাসবাদ বিরোধী আইনের আওতায় নিষেধাজ্ঞার সময় সীমা আরও ৫ বছরের জন্য বৃদ্ধি করা হল। এই সংগঠন দেশের মধ্যে নাশকতা মূলক কাজকে উৎসাহ দিয়ে থাকে। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতিকে আঘাত করার কাজ করে সিমি। এই সংগঠনের বিরুদ্ধে ভারতের সার্বভৌম এবং অখণ্ডতাকে হুমকি দেওয়া সংক্রান্ত নানান অভিযোগও রয়েছে।”

    এক্স হ্যান্ডেলে একটি পোস্ট

    নিজের এক্স হ্যান্ডেলে একটি পোস্ট করে অমিত শাহ বলেন, “দেশে মোদিজির শাসনে সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে কঠোর মনভাব নিয়ে দমনের কাজ করা হচ্ছে। ইউপিএ আইনের ধারায় সিমিকে (SIMI Banned) নিষিদ্ধ সংগঠন হিসাবে নির্বাচিত করে আগামী আরও ৫ বছরের জন্য বেআইনি ঘোষণা করা হয়েছে।”

    নাশকতা মূলক কাজের সঙ্গে যুক্ত সিমি

    জঙ্গি সংগঠন সিমির (SIMI Banned) সদস্যদের বিরুদ্ধে নানান নাশকতা মূলক কাজের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে। ২০১৭ সালে গয়া বিস্ফোরণ, ২০১৪ সালে বেঙ্গালুরুতে চিন্নাস্বামী স্টেডিয়াম বিস্ফোরণ এবং ২০১৪ সালে ভোপালে জেল ভাঙার মতো সন্ত্রাবাদী কর্মকাণ্ডের মধ্যে প্রত্যক্ষ ভূমিকা পালন করতে দেখা গিয়েছে সিমি সদস্যদের। ২৫ এপ্রিল, ১৯৭৭ সালে উত্তরপ্রদেশের আলিগড়ে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল সিমি এবং সংগঠনটি একটি ধর্মরাষ্ট্র হিসাবে ইসলামিক রাষ্ট্রে পরিণত করার লক্ষ্যে উগ্রপন্থী কার্যকলাপের কাজ করে থাকে। তাদের মূল উদ্দেশ্যে হল, ভারতকে কীভাবে ইসলাম ধর্মপ্রধান রাষ্ট্র এবং শরিয়াবিধি শাসনের অধীনে নেওয়া যায় সেই কাজ করা। আর এই কাজকে জাহাদি কার্যকলাপের দ্বারাই সম্পাদন করে থাকে তারা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • BJP: লোকসভা নির্বাচনের আগে রামধাক্কা! কাশ্মীরে ফারুকের দল ছেড়ে বিজেপিতে ‘মাথা’

    BJP: লোকসভা নির্বাচনের আগে রামধাক্কা! কাশ্মীরে ফারুকের দল ছেড়ে বিজেপিতে ‘মাথা’

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লোকসভা নির্বাচনের আগে রামধাক্কা খেল জম্মু-কাশ্মীরের ফারুক আবদুল্লার দল ন্যাশনাল কনফারেন্স। দলের একঝাঁক তাজা নেতা দল ভেঙে বেরিয়ে যোগ দিলেন বিজেপিতে (BJP)। এঁদের মধ্যে রয়েছেন ন্যাশনাল কনফারেন্সের কাঠুয়া জেলার সভাপতিও। রবিবার গেরুয়া খাতায় নাম লেখান তাঁরা। তাঁদের সঙ্গে তাঁদের অনুগামীরাও যোগ দিয়েছেন পদ্ম শিবিরে।

    বিজেপিতে যোগ

    এদিন জম্মুতে গিয়ে তাঁরা যোগ দেন বিজেপিতে। পদ্মশিবিরে তাঁদের স্বাগত জানান বিজেপির জম্মু-কাশ্মীর ইউনিটের প্রধান রবীন্দর রায়না। দল বদলের এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিজেপির (BJP) অন্য নেতারাও। অনুষ্ঠানে বিজেপি যে জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সমাজের সর্বস্তরের মানুষের কল্যাণে কাজ করে চলেছে, তা মনে করিয়ে দেন রায়না। তিনি বলেন, “স্বাস্থ্য, শিক্ষা, পরিকাঠামো উন্নয়ন এবং আর্থ-সামাজিক বিকাশের ক্ষেত্রে বিজেপি সরকারের অবদান ঐতিহাসিক।”

    মোদি-প্রশস্তি

    প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ভূয়সী প্রশংসাও করেন রায়না। প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্ব, জাতিকে ঐক্যবদ্ধ রাখতে তাঁর অবদান এবং উন্নয়নের ক্ষেত্রে তাঁর যে আপ্রাণ চেষ্টা, তাও তুলে ধরেন রায়না। বিজেপির প্রবীণ নেতা দেবীন্দর সিং রানা বলেন, “যাঁরা বিজেপিতে যোগ দিলেন, তাঁদের প্রত্যেককে স্বাগত জানাই।” কাঠুয়া জেলায় ফারুকের দলকে নেতৃত্ব দিতেন সঞ্জীব খাজুরিয়া। বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন তিনিও। বলেন, “তৃণমূলস্তরে মোদি সরকারের কল্যাণমূলক কাজের সুফল ফলেছে। বিশ্বমঞ্চে ভারতের অবস্থানকে সামনের সারিতে নিয়ে যাওয়ায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির অবদান অনস্বীকার্য।”

    আরও পড়ুুন: ড্রোন হামলায় তিন সেনানীর মৃত্যু, ইরানকে হুঁশিয়ারি বাইডেনের

    অন্য একটি অনুষ্ঠানের মাধ্যমে এদিনই বিজেপিতে যোগ দেন উপত্যকার অনেক মহিলা। সেই অনু্ষ্ঠানে ভাষণ দিচ্ছিলেন জম্মু-কাশ্মীরের প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রী তথা বর্ষীয়ান বিজেপি নেতা কাভিন্দর গুপ্তা। বিজেপি কর্মীরা যে আমজনতার সেবায় সর্বদা নিয়োজিত, দলীয় কর্মীদের তা আরও একবার মনে করিয়ে দেন কাভিন্দর। জম্মু-কাশ্মীরে বিজেপি যে চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হয়েছে, তার মোকাবিলা করতে হবে বলেও নবাগতদের জানিয়ে দেন তিনি। দলীয় কর্মীদের ভোটারদের বাড়ি বাড়ি যাওয়ার নির্দেশও দেন কাভিন্দর। বিরোধী দলকে রুখতে বিশেষ করে মহিলা ও তরুণদের কাছে পৌঁছতে দলীয় কর্মীদের নির্দেশ দেন প্রবীণ এই বিজেপি নেতা। বিজেপি-বিরোধী ইন্ডি জোটে রয়েছে ফারুকের দলও। নির্বাচনের মুখে সেই দলেরই মাথা ভেঙে যাওয়ায় প্রমাদ গুণছেন (BJP) ন্যাশনাল কনফারেন্সের নেতারা।

    ভূস্বর্গেও কি ক্রমেই মাটি হারাচ্ছে ফারুকের দল?

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

     

      

  • Joe Biden: ড্রোন হামলায় তিন সেনানীর মৃত্যু, ইরানকে হুঁশিয়ারি বাইডেনের

    Joe Biden: ড্রোন হামলায় তিন সেনানীর মৃত্যু, ইরানকে হুঁশিয়ারি বাইডেনের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তিন মার্কিন সৈনিক হত্যার দায়ে ইরানকে কড়া হুঁশিয়ারি মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের (Joe Biden)। তাঁর হুঁশিয়ারি, চুপ করে বসে থাকবে না আমেরিকা। যারা দোষী, তাদের শীঘ্রই শাস্তি দেওয়া হবে। শনিবার রাতে সিরিয়া সীমান্তের কাছে উত্তর-পূর্ব জর্ডনে ড্রোন হামলা হয়। যেহেতু মার্কিন সামরিক ঘাঁটি লক্ষ্য করে হামলা চালানো হয়, তাই মৃত্যু হয় আমেরিকার তিন সেনার। বেশ কয়েকজন জখম হয়েছেন বলেও খবর।

    ইজরায়েল-হামাস যুদ্ধ

    প্রসঙ্গত, ইজরায়েল-হামাস যুদ্ধ শুরুর পর আমেরিকার ওপর এটাই সব চেয়ে বড় হামলা। কয়েক দিন আগেই পাকিস্তানের ভেতরে ঢুকে কয়েকটি জঙ্গি গোষ্ঠী দুরমুশ করে দিয়েছিল ইরান। এবার তারা মার্কিন সেনাঘাঁটি লক্ষ্য করে হামলা চালাল বলে অভিযোগ। জর্ডনে এই হামলার নেপথ্যে ইরান সমর্থিত গোষ্ঠীর হাত রয়েছে বলে বিবৃতি জারি করে জানিয়েছে বাইডেন প্রশাসন (Joe Biden)। রবিবার নির্বাচনী প্রচারে দক্ষিণ ক্যারোলিনা প্রদেশে গিয়েছিলেন প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী বাইডেন।

    কী বললেন বাইডেন?

    ড্রোন হামলা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “এই দিনটি আমাদের জন্য কঠিন ছিল। গত রাতে আমরা আমাদের তিন সাহসী সৈনিককে হারিয়েছি। আমাদের সামরিক ঘাঁটিতে হামলা চালানো হয়েছে। আমরা চুপ করে থাকব না। এর জবাব দেবই।” মার্কিন সেন্ট্রাল কমান্ড জানিয়েছে, টাওয়ার ২২ নামের একটি বেসে হামলা চালানো হয়েছে। জর্ডন প্রশাসনের তরফে মহম্মদ আল মুবাইদিন বলেন, “সিরিয়ায় মার্কিন আল তানফ বেস লক্ষ্য করে হামলা চালানো হয়েছে।” বাইডেন জানান, সিরিয়া এবং ইরাকে ইরানের মদতপুষ্ট যে জঙ্গিরা রয়েছে, তারাই চালিয়েছে হামলা। তিনি বলেন, “সময় এবং সুযোগ বুঝে আমরা যে এর প্রতিশোধ নেব, এ ব্যাপারে কোনও সন্দেহ নেই।”

    আরও পড়ুুন: মলদ্বীপে মৌষল-পর্ব, সংসদের অন্দরে ‘মল্লযুদ্ধ’, ভাইরাল ভিডিও

    আমেরিকা এবং তাদের সহযোগী ইরাক এবং সিরিয়ার যৌথ বাহিনীর ওপর গত অক্টোবর থেকে এনিয়ে ১৫৮টিরও বেশি বার হামলা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে ড্রোন-রকেট হামলা, ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ার মতো ঘটনাও। তবে এর কোনওটিতেই মার্কিন শিবিরে উল্লেখযোগ্য কোনও ক্ষয়ক্ষতি হয়নি।

    ড্রোন হামলায় তিন মার্কিন সেনার মৃত্যুর ঘটনায় ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়ছে বাইডেন প্রশাসন। বাইডেনের নীতির কড়া সমালোচনা করেছেন সে দেশের বিরোধীরা। চলতি বছরই রয়েছে মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। লড়াইয়ের ময়দানে রয়েছেন বাইডেনও। বিরোধীরা যে তাঁর বিরুদ্ধে এই ড্রোন হামলাকে প্রচারের (Joe Biden) হাতিয়ার করবেন, তা বলাই বাহুল্য।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Maldives: মলদ্বীপে মৌষল-পর্ব, সংসদের অন্দরে ‘মল্লযুদ্ধ’, ভাইরাল ভিডিও

    Maldives: মলদ্বীপে মৌষল-পর্ব, সংসদের অন্দরে ‘মল্লযুদ্ধ’, ভাইরাল ভিডিও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মৌষল-পর্ব শুরু হয়ে গেল মলদ্বীপে (Maldives)। রবিবারের দুপুরে তামাম বিশ্ব সাক্ষী রইল বেনজির এক সংসদীয়কাণ্ডের। সংসদের ভেতরেই চলল লাথি, ঘুষি, চড়-থাপ্পড়, চুল ধরে টানা, বাঁশি বাজিয়ে অধ্যক্ষের কণ্ঠ স্তব্ধ করে দেওয়া সবই। হাতাহাতির জেরে জখম হয়েছেন বেশ কয়েকজন সাংসদ। অ্যাম্বুলেন্সে করে তাঁদের নিয়ে যাওয়া হয়েছে হাসপাতালে। মুইজ্জু সরকার ভারত-বিরোধী অবস্থান নেওয়ায় কার্যত দু’ ভাগে ভাগ হয়ে গিয়েছে সে দেশের রাজনৈতিক মহল। তার জেরেই এদিন সংসদ পরিণত হল মল্লযুদ্ধের আখড়ায়।

    মহম্মদ মুইজ্জু

    গত নির্বাচনে দ্বীপরাষ্ট্রের (Maldives) ক্ষমতায় আসে চিনপন্থী নেতা মহম্মদ মুইজ্জু। তার পর থেকে ভারত-মলদ্বীপের সম্পর্ক গিয়ে ঠেকেছে তলানিতে। মলদ্বীপের রাজনৈতিক মহলও ভাগ হয়ে গিয়েছে দু’ ভাগে। একদল মুইজ্জুপন্থী। আর অন্য দল ভারতপন্থী। মলদ্বীপের ভারতপন্থী নেতারা মুইজ্জু সরকারের চিন-প্রেমে যারপরনাই ক্ষুব্ধ। ‘পরম মিত্র’ দেশ ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক নষ্টের জন্য তাঁরা দুষছেন মুইজ্জু প্রশাসনকে। সম্প্রতি ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সম্পর্কে অবমাননাকর মন্তব্য করেন মুইজ্জু সরকারের তিন মন্ত্রী। চাপে পড়ে তাঁদের সাসপেন্ড করা হলেও, উন্নতি ঘটেনি ভারত-মলদ্বীপ সম্পর্কের। এহেন আবহে ঘটল রবিবার (অ)সংসদীয়কাণ্ড।

    বিশেষ অধিবেশন

    মুইজ্জু সরকারের মন্ত্রিসভায় ঠাঁই হয়েছে ২২ জন মন্ত্রীর। তাঁদের সংসদীয় (Maldives) অনুমোদনের জন্যই ডাকা হয়েছিল বিশেষ অধিবেশন। প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে মুইজ্জুর নেতৃত্বাধীন জোট জয়ী হলেও, সংসদে তাঁদের সংখ্যাগরিষ্ঠতা নেই। সেখানে দাপট রয়েছে প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি ইব্রাহিম মহম্মদ সোলিহের দল এমডিপির। এদিন মুইজ্জুর মন্ত্রিসভার ২২ জন মন্ত্রীর নামের মধ্যে ১৮ জনকে অনুমোদন দেয় সংসদ। এমডিপি আপত্তি জানায় চারজনের নামে। তার পরেই দু’ পক্ষে শুরু হয় হাতাহাতি। জখম হন বেশ কয়েকজন সাংসদ।

     

    সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া ভিডিওয় দেখা যাচ্ছে, এমডিপি সাংসদ ঈশা এবং পিএনসি সাংসদ আবদুল্লা শাহীম আবদুল হাকিমের মধ্যে মারামারি হচ্ছে। ঈশার পা ধরে টেনে ফেলে দিচ্ছেন শাহীম। ঈশা পড়ে যান। শাহীমের ঘাড়ে লাথি মেরে তাঁর চুল টেনে ধরেন। জখম হন শাহীম। অন্য একটি ভিডিওয় দেখা যাচ্ছে, অধ্যক্ষের কাজে বাধা দেওয়ার জন্য মুইজ্জুর দলের সাংসদরা, তাঁর আসনের পাশে দাঁড়িয়ে ভেঁপু বাজাচ্ছেন। সংসদে কথা বলার জন্য যে মাইক রাখা থাকে, সেই মাইক তুলে হাতাহাতির উপক্রম হয়। এর পরেই মলদ্বীপের (Maldives) সংসদ ভবন থেকে সব মাইক সরিয়ে নেওয়া হয়।

    আরও পড়ুুন: নীতীশকে শুভেচ্ছা মোদির, কী বললেন প্রধানমন্ত্রী?

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • PM Modi: নীতীশকে শুভেচ্ছা মোদির, কী বললেন প্রধানমন্ত্রী?

    PM Modi: নীতীশকে শুভেচ্ছা মোদির, কী বললেন প্রধানমন্ত্রী?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মহাগটবন্ধন ছেড়ে বিজেপিতে ভিড়েছেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী। রবিবার নবমবারের জন্য মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথও নিয়েছেন। এদিন বিকেলেই তাঁকে শুভেচ্ছা জানান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। এক্স হ্যান্ডেলে দেওয়া বার্তায় তিনি শুভেচ্ছা জানিয়েছেন নয়া মুখ্যমন্ত্রী এবং দুই উপমুখ্যমন্ত্রীকে।

    প্রধানমন্ত্রীর শুভেচ্ছা নীতীশকে

    প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন, তিনি আত্মবিশ্বাসী, বিহারে নবগঠিত এনডিএ সরকার রাজ্যের উন্নয়ন ঘটাবে এবং মানুষের আশা-আকাঙ্খা পূরণে সব রকম চেষ্টা করবে। প্রসঙ্গত, এদিনই নীতীশের সঙ্গে সঙ্গে শপথ নিয়েছেন উপমুখ্যমন্ত্রী সম্রাট চৌধুরী ও বিজয় কুমার সিংহ। প্রধানমন্ত্রী বলেন, “বিহারে আমাদের পরিবারের সদস্যদের সেবা করবে এই টিম। এ বিষয়ে আমি আত্মবিশ্বাসী।” গত এক দশকে এ নিয়ে পঞ্চমবারের জন্য দল বদল করলেন নীতীশ। মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিলেন নবম বার। তাঁর এই ভোল বদলের জেরে নয়া উপাধিও পেয়ে গিয়েছেন নীতীশ – পল্টু কুমার বা পল্টুমার।

    কী বললেন প্রশান্ত কুমার?

    ইলেকশন স্পেশালিস্ট প্রশান্ত কুমার বলেন, “আমি প্রথম থেকেই বলে (PM Modi) আসছি নীতীশ কুমার যে কোনও সময় ভোল বদল করতে পারেন। এটা তাঁর রাজনীতিরই অঙ্গ হয়ে গিয়েছে। কিন্তু আজকের ঘটনা দেখিয়ে দিল, বিহারের সব দল এবং নেতা পল্টুমার।” তিনি বলেন, “বিজেপি-সঙ্গ ছাড়ায় পদ্ম নেতারা বলেছিলেন নীতীশের জন্য বিজেপির দরজা বন্ধ হয়ে গেল। শনিবারও তাঁকে (নীতীশকে) গালমন্দ করেছিলেন বিজেপি নেতারা। তাঁরাই তাঁকে এখন সুশাসনের প্রতীক বলে দলে স্বাগত জানাচ্ছেন। আরজেডি, যারা তাঁকে ভবিষ্যতের নেতা আখ্যা দিয়েছিলেন, তাঁরা এবার বিহারে দুর্নীতি খুঁজে পাবেন।”

    প্রসঙ্গত, ২০১৩ সাল থেকে এ নিয়ে পাঁচ বার শিবির বদলালেন ৭২ বছরের নীতীশ (Nitish Kumar)। শেষ বার, ২০২২ সালে এনডিএ ছেড়ে মহাজোটে যোগ দেন তিনি। লালুর দল আরজেডির সঙ্গে সরকার গড়েন। তার দু’বছর আগেই মহাজোট ছেড়ে এনডিএ-তে যোগ দিয়েছিলেন তিনি। এ বার ফের মহাজোট ছেড়ে এনডিএ-তে। মহাগটবন্ধনের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে এদিন পদত্যাগ করেই ফের এনডিএর মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন নীতীশ। অথচ বিজেপি-বিরোধী ইন্ডি জোট গঠনের অন্যতম উদ্যোক্তা তিনিই। সেই তিনিই বিজেপি জোটে ফেরায়, বিহারে কার্যত চোখে অন্ধকার দেখছেন (PM Modi) ইন্ডির নেতারা।

    আরও পড়ুুন: “শক্তিশালী বিচারব্যবস্থা বিকশিত ভারতের অংশ”, সুপ্রিম কোর্টের জন্মদিনে বললেন মোদি

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

     

LinkedIn
Share