Author: Krishnendu Bakshi

  • Lok Sabha Elections 2024: দোরগোড়ায় লোকসভা ভোট, ইলেকশন ইন-চার্জ ঘোষণা নাড্ডার, বাংলার দায়িত্বে কে?

    Lok Sabha Elections 2024: দোরগোড়ায় লোকসভা ভোট, ইলেকশন ইন-চার্জ ঘোষণা নাড্ডার, বাংলার দায়িত্বে কে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মাঝ-এপ্রিলে হওয়ার কথা লোকসভা নির্বাচন (Lok Sabha Elections 2024)। বিরোধী শিবিরে ছন্নছাড়া দশা। ঘেঁটে ঘ ‘ইন্ডি’ জোট। উল্টো দিকে আস্তিন গুটিয়ে নির্বাচনী ময়দানে নেমে পড়েছে কেন্দ্রের শাসক দল বিজেপি। সংগঠনকে শক্তিশালী করে আরও বেশি আসন নিয়ে তৃতীয়বারের জন্য কেন্দ্রে ফিরতে চাইছে নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন বিজেপি সরকার।

    ইলেকশন ইন-চার্জ

    এমতাবস্থায় দেশের বিভিন্ন রাজ্যে ইলেকশন ইন-চার্জদের নাম ঘোষণা করলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা। দলের ইলেকশন মেশিনারিকে সচল রাখতে এবং সমন্বিত পদ্ধতি নিশ্চিত করতেই দেশজুড়ে ইনচার্জদের নাম ঘোষণা করল পদ্মশিবির। বিভিন্ন রাজ্যে প্রচারের অভিমুখ ঠিক করবেন এই ইনচার্জরা। অভিজ্ঞতা, রাজ্যের সংগঠন সম্পর্কে সম্যক জ্ঞান এবং কৌশলগত ক্ষমতার নিরিখে বেছে নেওয়া হয়েছে ইনচার্জদের। বাংলার তিন ইনচার্জ হলেন বিজেপির আইটি সেলের প্রধান অমিত মালব্য, বিহার বিজেপির দক্ষ নেতা মঙ্গল পাণ্ডে এবং রাঁচির মেয়র আশা লাকড়া। গত লোকসভা নির্বাচনে বাংলার দায়িত্বে ছিলেন কৈলাশ বিজয়বর্গীয়। সেবার মোট ৪২টি আসনের মধ্যে ১৮টিতে পদ্ম ফোটান বিজয়বর্গীয়। এবার বাংলায় ৩৫টি আসনের লক্ষ্যমাত্রা বেঁধে দেওয়া হয়েছে। ২০১৩-২০১৭ সাল পর্যন্ত বিহার বিজেপির সভাপতি ছিলেন মঙ্গল পাণ্ডে। নীতীশের মন্ত্রিসভায় ছিলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী। ঝাড়খণ্ডে আদিবাসীদের পরিচিত মুখ আশা লাকড়া। রাজনৈতিক মহলের মতে, জঙ্গলমহলের মতো আদিবাসী অধ্যুষিত এলাকায় পদ্ম ফোটাতে আশাকে ইনচার্জ করা হয়েছে। প্রসঙ্গত, ২০২২ সালে বাংলায় বিজেপির পর্যবেক্ষক নিযুক্ত হয়েছিলেন এই তিনজন। 

    ভোটারদের সঙ্গে জনসংযোগ

    যাঁদের (Lok Sabha Elections 2024) ইনচার্জ হিসেবে বেছে নেওয়া হয়েছে, তাঁদের দক্ষতার ওপর ভরসা করেছেন নাড্ডা। তাঁদের সাংগঠনিক দক্ষতা এবং ইলেকশন ম্যানেজমেন্টও প্রমাণিত হয়েছে অতীতে বহুবার। আসন্ন নির্বাচনে জয়ের ক্ষেত্রে যে সমন্বয়ের প্রয়োজন, তার ওপর জোর দিয়েছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি। ইলেকশন ইনচার্জরা দক্ষ রাজনীতিক। তৃণমূল স্তর থেকে উঠে আসা নেতা। বিভিন্ন রাজ্যে তাঁরা দলীয় সংগঠন মজবুত করতে দক্ষ। তৃণমূল স্তরে ভোটারদের সঙ্গে জনসংযোগ বাড়াতেও এঁরা দক্ষ।

    আরও পড়ুুন: ভিড়ের নিরিখে ভ্যাটিকান সিটি এবং মক্কাকেও ছাপিয়ে যাবে অযোধ্যা!

    মাসখানেক আগেই দলের লক্ষ্যমাত্রা স্থির করে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। দিল্লির দলীয় দফতরে একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিতে গিয়ে তিনি জানিয়ে দিয়েছিলেন অন্তত ৪০০ আসনে জিতে ফিরতে হবে কেন্দ্রে। প্রধানমন্ত্রীর সেই স্বপ্ন পূরণ করতেই উঠেপড়ে লেগেছেন গেরুয়া পার্টির সেনানীরা। বিভিন্ন রাজ্যে বিরোধীদের মুখের (Lok Sabha Elections 2024) মতো জবাব দিতে যখন প্রস্তুত হচ্ছে দল, সেই সময়ই নাম ঘোষণা করে দেওয়া হল ইনচার্জদের। আরও বেশি সংখ্যক আসন নিয়ে ক্ষমতায় ফিরতে যা যা করা প্রয়োজন, তা-ই করে চলেছেন বিজেপির ভোট ম্যানেজাররা।

    দল যে নির্মল ও স্বচ্ছ নির্বাচন করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ, দলীয় কর্মীদের তা আরও একবার মনে করিয়ে দিয়েছেন নাড্ডা। জন-কল্যাণে নিরলসভাবে কাজ করে যাওয়ার নির্দেশও পদ্ম-কর্মীদের দিয়েছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি। জাতি গঠনেও দলীয় কর্মীদের কাজ করে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ইলেকশন ইনচার্জদের জনগণের সঙ্গে সংযোগ বাড়ানো, তাঁদের সমস্যার কথা শোনা এবং পার্টির দৃষ্টিভঙ্গী তাঁদের কাছে তুলে ধরার নিদানও দেওয়া হয়েছে ইলেকশন ইনচার্জদের (Lok Sabha Elections 2024)।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • PM Modi: জয়পুরে রোড শো মোদির, দোসর প্রজাতন্ত্র দিবসের অতিথি মাক্রঁ

    PM Modi: জয়পুরে রোড শো মোদির, দোসর প্রজাতন্ত্র দিবসের অতিথি মাক্রঁ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দোরগোড়ায় লোকসভা নির্বাচন। তার আগে রাজস্থানের জয়পুরে রোড-শো করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। তাঁর সঙ্গে ছিলেন ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাক্রঁ। দু’ দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে ভারতে এসেছেন ফরাসি প্রেসিডেন্ট। মোদি ও মাক্রঁর যুগলবন্দি দেখতে রাস্তার দু’পাশে তিল ধারণের জায়গা ছিল না। জনতার উদ্দেশে হাত নাড়েন ফরাসি প্রেসিডেন্ট। রোড-শোর পুরো রাস্তাটায় তাঁদের ওপর পুষ্পবৃষ্টি করে জনতা।

    যন্তর-মন্তরে মাক্রঁ

    রোড-শোর পরে দুই রাষ্ট্রপ্রধান চলে যান হওয়া মহল দর্শন করতে। ১৭৯৯ সালে তৈরি হয় এই মহল। জয়পুরের রয়্যাল সিটি প্যালেসেই রয়েছে এই মহল। এখানে বসেই বায়ুসেবন করতেন রাজ পরিবারের সদস্যরা। রোড শো শুরুর আগে ফরাসি প্রেসিডেন্ট চলে আসেন জয়পুরের যন্তর-মন্তরে। সেখানে তাঁকে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানান প্রধানমন্ত্রী (PM Modi)। দু’জনেই দু’জনকে শুভেচ্ছাও জানান। তার পরেই তাঁরা চলে যান যন্তর-মন্তর দর্শনে। ২০১০ সালের জুলাই মাসে যন্তর-মন্তরকে ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইট ঘোষণা করে ইউনেসকো। যন্তর-মন্তর প্রতিষ্ঠা করেছিলেন মহারাজ সাওয়াই জয় সিংহ। এটি একটি বিখ্যাত সোলার অবজার্ভেটরি।

    অম্বর দুর্গে মাক্রঁ

    জয়পুরের অম্বর দুর্গ আগেই দেখেছিলেন মাক্রঁ।  সেখানে উপস্থিত স্কুল পড়ুয়াদের সঙ্গেও আলাপ করেন তিনি। অম্বর দুর্গেই তিনি সাক্ষাৎ করেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের সঙ্গে। রাজস্থানের উপ মুখ্যমন্ত্রী দিয়া কুমারীও উপস্থিত ছিলেন সেখানে। ছবি তুলতে দিয়া কুমারী ও জয়শঙ্করের সঙ্গে পোজও দেন ফরাসি প্রেসিডেন্ট। পায়ে হেঁটে পুরো রাজপ্রাসাদটি ঘুরে দেখেন মাক্রঁ। জানেন দুর্গের ইতিহাস। রাজস্থানী পেন্টিং এবং শিল্পকীর্তিরও প্রশংসা করেন মাক্রঁ। অম্বর দুর্গ যাঁরা তৈরি করেছিলেন, সেই সব শিল্পীদেরও ভূয়সী প্রশংসা করেন তিনি।

    প্রসঙ্গত, ৭৫তম প্রজাতন্ত্র দিবসে প্রধান অতিথি এবার মাক্রঁ। শুক্রবার নয়াদিল্লির অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন তিনি। প্রসঙ্গত, ফ্রান্সই একমাত্র দেশ, যেখান থেকে প্রধান অতিথি হিসেবে এই অনুষ্ঠানে যোগ দিতে ভারতে এসেছেন সে দেশের ৫ জন রাষ্ট্রপ্রধান। যদিও এসেছেন ছ বার (একজন প্রেসিডেন্ট এসেছিলেন দু’ বার)। গত বছর ১৪ জুলাই বাস্তিল দিবসের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে ফ্রান্সে গিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। গত বছরই ঠিক হয়, প্রজাতন্ত্র দিবসেব অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে আমন্ত্রণ জানানো হবে ফরাসি প্রেসিডেন্টকে। সেই মতো জানানো হয় আমন্ত্রণ। এ বছর ভারত-ফ্রান্স কৌশলগত অংশীদারিত্বের ২৫ বছর পূর্তি (PM Modi)।

      

    আরও পড়ুুন: মেডিকেলে ভর্তি দুর্নীতির তদন্ত করবে সিবিআই, জানালেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • Justice Abhijit Gangopadhyay: মেডিকেলে ভর্তি দুর্নীতির তদন্ত করবে সিবিআই, জানালেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়

    Justice Abhijit Gangopadhyay: মেডিকেলে ভর্তি দুর্নীতির তদন্ত করবে সিবিআই, জানালেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মেডিকেলে ভর্তি দুর্নীতি মামলার তদন্ত করবে সিবিআই। দু’ মাসের মধ্যে তদন্ত শেষ করার নির্দেশও দিয়েছেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Justice Abhijit Gangopadhyay)। ডিভিশন বেঞ্চের স্থগিতাদেশ কেন মানা হবে না, বৃহস্পতিবার পর্যবেক্ষণে তাও জানিয়েছেন তিনি।

    সিঙ্গল বেঞ্চের নির্দেশে স্থগিতাদেশ

    মেডিকেলে ভর্তি দুর্নীতি মামলায় এদিন কলকাতা হাইকোর্টের দুই বিচারপতির নজিরবিহীন মন্তব্য-পাল্টা মন্তব্যের সাক্ষী থেকেছে কলকাতা হাইকোর্ট। ঘটনার সূত্রপাত এদিন সকালে। মেডিকেলে ভর্তি দুর্নীতি মামলায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। প্রথমে সিঙ্গল বেঞ্চের সেই নির্দেশে স্থগিতাদেশ দেয় ডিভিশন বেঞ্চ। পরে সিঙ্গল বেঞ্চের নির্দেশে করা সিবিআইয়ের এফআইআরও খারিজ করে দেয় ডিভিশন বেঞ্চ। এই প্রেক্ষিতে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় (Justice Abhijit Gangopadhyay) বলেন, “মেমোররেন্ডাম আপিল বা সিঙ্গল বেঞ্চের নির্দেশের কপি ছাড়া কীভাবে ডিভিশন বেঞ্চ স্থগিতাদেশের নির্দেশ দিল? এর আগে এমন কোনও উদাহরণ বা এই হাইকোর্টের নিয়মে কি তা রয়েছে এমন কিছু দেখাতে পারবেন?”

    বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশ

    তাঁর নিজের নির্দেশ বহাল রাখার পাশাপাশি আরও বলেন, “তাঁর এই নির্দেশের কপি কলকাতা হাইকোর্ট ও সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির কাছেও পাঠানো হবে।” বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় আরও জানান, বিচারপতি সৌমেন সেন একটি রাজনৈতিক দলের হয়ে কাজ করছেন। তাই দেশের শীর্ষ আদালতের উচিত তাঁর সমস্ত নির্দেশ খারিজ করা। তাঁর মন্তব্য, “এই মামলায় রাজনৈতিক স্বার্থ জড়িত থাকা ব্যক্তির মতো আচরণ করছেন বিচারপতি সেন। কয়েকজন রাজনৈতিক ব্যক্তিকে বাঁচানোর চেষ্টা করছেন।”

    আরও পড়ুুন: মমতার নির্দেশকে বুড়ো আঙুল! অনুব্রত-কাজল অনুগামীদের সংঘর্ষ

    বিচারপতি সেনের বিরুদ্ধে কেন ইমপিচমেন্ট প্রক্রিয়া শুরু হবে না, সেই প্রশ্নও তুলেছেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। তাঁর পর্যবেক্ষণ, “কেন সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ থাকা সত্ত্বেও দু’ বছর ধরে তাঁর বদলি হচ্ছে না? অন্য বিচারপতিদের তো বদলি হয়ে গিয়েছে। কে তাঁকে বাঁচাচ্ছে? আমি দেশের প্রধান বিচারপতিকে এটা দেখার জন্য অনুরোধ করব।” বিচারপতি (Justice Abhijit Gangopadhyay) গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, “এফআইআর খারিজের যে নির্দেশ বিচারপতি সেন দিয়েছেন, সেটা রাজনৈতিক উদ্দেশ্য নিয়ে দিয়েছেন। তাই সেটা বৈধ নয়। সিবিআইয়ের উচিত তদন্ত এগিয়ে নিয়ে যাওয়া।”

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • International Day Of Education: আজ আন্তর্জাতিক শিক্ষা দিবস, কেন পালন করা হয় দিনটি জানেন?

    International Day Of Education: আজ আন্তর্জাতিক শিক্ষা দিবস, কেন পালন করা হয় দিনটি জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আজ ২৪ জানুয়ারি, বুধবার। আন্তর্জাতিক শিক্ষা দিবস (International Day Of Education)। এ বছরের থিম, ‘শান্তি বজায় রাখার জন্য শিক্ষা’। গত ছ’ বছর ধরে যথাযোগ্য মর্যাদায় পালিত হয়ে আসছে আন্তর্জাতিক শিক্ষা দিবস। তামাম বিশ্বের ২০০ কোটি মানুষ বাস করেন দাঙ্গা দীর্ণ এলাকায়। বিশেষত তাঁদের জন্যই এবার বেছে নেওয়া হয়েছে এই থিম।

    ‘সেভ দ্য চিলড্রেন’

    দাঙ্গা কিংবা অন্য কোনও কারণে যেসব শিশু শিক্ষার পথ মাড়ায়নি কিংবা মাড়ানোর সুযোগ পায়নি, তাদের জন্য কাজ করে ‘সেভ দ্য চিলড্রেন’। কত শিশু তাদের নিজেদের পরিচয় জানে না। কত শিশুর নেই স্থায়ী ঠিকানা। এই সব শিশুরাও বঞ্চিত শিক্ষার অমৃতমধুর স্বাদ থেকে। সারা বিশ্বেই শিক্ষার অধিকার একটি মৌলিক অধিকার হিসেবে স্বীকৃত। শিক্ষাকে যাতে প্রত্যেকে কাছে পৌঁছে দেওয়া যায়, তার চেষ্টা করা উচিত আমাদের সবারই। বিশেষজ্ঞদের মতে, শিক্ষা (International Day Of Education) একটি টুল, যার সাহায্যে পৃথিবীর অনেক সমস্যারই সমাধান করা যায়। দূর করা যায় দারিদ্র, অসাম্যের মতো জ্বলন্ত সমস্যাও। শিক্ষার গুরুত্ব বোঝাতেই ফি বছর বিশ্বজুড়ে পালন করা হয় আন্তর্জাতিক শিক্ষা দিবস।

    আন্তর্জাতিক শিক্ষা দিবস

    শিক্ষার গুরুত্ব উপলব্ধি করে ২০১৮ সালে ২৪ জানুয়ারি দিনটিকে আন্তর্জাতিক শিক্ষা দিবস হিসেবে ঘোষণা করে রাষ্ট্রসংঘ। শিক্ষার গুরুত্ব অনুধাবন করেছিল যে ৫৯টি দেশ, তাদের সিদ্ধান্ত মেনে নিয়ে কেবল শিক্ষার জন্য আস্ত একটা দিন বেছে নেয় রাষ্ট্রসংঘ। তার পরেই ২৪ জানুয়ারিকে আন্তর্জাতিক শিক্ষা দিবস হিসেবে পালনের কথা ঘোষণা করে রাষ্ট্রসংঘ। তার পর থেকে গোটা বিশ্বেই পালিত হচ্ছে দিনটি। এদিন বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে আন্তর্জাতিক শিক্ষা দিবসের চলতি বছরের থিমের ওপর হচ্ছে আলোচনা। নিউইয়র্কে রাষ্ট্রসংঘের সদর দফতরেও বসেছে আলোচনা সভা। আলোচনার বিষয়বস্তু, ‘নিজের, অন্যের এবং এই গ্রহের ওপর খেয়াল রাখার জন্যই শিক্ষা’।

    আরও পড়ুুন: ২৫ জানুয়ারি উত্তরপ্রদেশ থেকে লোকসভা ভোটের প্রচার শুরু করছেন মোদি

    কেন বেছে নেওয়া হল ‘শান্তি বজায় রাখার জন্য শিক্ষা’র মতো থিম? জানা গিয়েছে, বর্তমান বিশ্ব জর্জরিত নানা দ্বন্দ্বে, বৈষম্য-ঘৃণা ভাষণে। এই দ্বন্দ্ব-বৈষম্য-ঘৃণা ভাষণ দূর করতে প্রয়োজন শিক্ষার। একমাত্র শিক্ষাই দেখাতে পারে স্থায়ী শান্তির পথ। সেই কারণেই বেছে নেওয়া হয়েছে এমন একটি থিম (International Day Of Education)।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
     

     

  • Donald Trump: প্রেসিডেন্ট পদের দৌড়ে ফের জয়, আরও একধাপ এগোলেন ট্রাম্প

    Donald Trump: প্রেসিডেন্ট পদের দৌড়ে ফের জয়, আরও একধাপ এগোলেন ট্রাম্প

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তিনি নেমে পড়েছেন প্রেসিডেন্ট পদের দৌড়ে। এগিয়েও গেলেন এক ধাপ। মঙ্গলবার নিউ হ্যাম্পশায়ারের রিপাবলিকান প্রেসিডেন্টের প্রাথমিক নির্বাচনে জয়ী হলেন প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প (Donald Trump)। এই একই আসনে ডেমোক্র্যাটদের তরফে জয়ী হয়েছেন আমেরিকার বর্তমান জো বাইডেন।

    জয়ী ট্রাম্প

    নিউ হ্যাম্পশায়ার আসনটি গুরুত্বপূর্ণ। ট্রাম্প যেহেতু এই আসনে জয়ী হয়েছেন, তাই প্রেসিডেন্ট পদে মনোনয়ন পেতে বাইডেনের প্রতিদ্বন্দ্বী হওয়ার দৌড়ে তিনি এগিয়ে গেলেন বলে অভিমত মার্কিন মুলুকের রাজনীতির কারবারিদের। ট্রাম্পকে লড়তে হচ্ছে আরও একজনের সঙ্গে। তিনি তাঁরই অধস্তন নিকি হ্যালি। তবে সংবাদ সংস্থা সূত্রে খবর, ১৪ শতাংশ ভোট গণনা করার পর জানা গিয়েছে, হ্যালির চেয়ে অনেকটাই এগিয়ে রয়েছেন প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প (Donald Trump)।

    ট্রাম্প জিতেছেন আইওয়া প্রদেশেও

    নিউ হ্যাম্পশায়ার কেন্দ্রটির আগে ট্রাম্প জিতেছেন আইওয়া প্রদেশেও। এখানেও রিপাবলিকান পার্টির প্রাথমিক নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বীদের পরাস্ত করেছেন প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। নিউ হ্যাম্পশায়ারের গণনার সর্ব শেষ খবর, ট্রাম্প পেয়েছেন ৫২.৩ শতাংশ ভোট। আর হ্যালির ঝুলিতে পড়েছে ৪৬.৩ শতাংশ ভোট। ট্রাম্পের কাছে হার স্বীকার করে নিয়ে হ্যালি বলেন, “আমি ডোনাল্ড ট্রাম্পকে অভিনন্দন জানাচ্ছি। তবে আমার লড়াই জারি থাকবে। এই দৌড় এখনও শেষ হয়নি। গন্তব্যের এখনও অনেক পথ বাকি রয়েছে।”

    আরও পড়ুুন: ১১ ফেব্রুয়ারি অযোধ্যা যাচ্ছেন শুভেন্দু, রাম দর্শনে বাংলার বিজেপি বিধায়করাও

    ট্রাম্প যে রিপাবলিকানদের মধ্যে জনপ্রিয়তম প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী হিসেবে উঠে আসবেন, তার ইঙ্গিত মিলেছিল একাধিক সমীক্ষায়। সেই সমীক্ষার ইঙ্গিতগুলি যে নিছক ইঙ্গিত নয়, তার প্রমাণ মিলল এই দুই প্রদেশে ট্রাম্পের জয়ে। তবে শেষতক ট্রাম্পের হোয়াইট হাউসে ঢোকা হবে কিনা, তা বলবে সময়। কারণ, প্রাক্তন এই মার্কিন প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে রয়েছে একাধিক মামলা। অভিযোগও রয়েছে বিস্তর।

    চলতি বছরের শেষের দিকে হওয়ার কথা মার্কিন সেনেট নির্বাচন। গত নির্বাচনে রিপাবলিকান ট্রাম্পকে হারিয়ে জয়ী হন ডেমোক্র্যাট প্রার্থী বাইডেন। তবে হেরে গিয়েও বেশ কিছুদিন হোয়াইট হাউসের ক্ষমতা বাইডেনের হাতে তুলে দেননি ট্রাম্প। তাঁর সমর্থকরাও ভাঙচুর চালিয়েছিল। সব মিলিয়ে বেশ খানিকটা বেকায়দায় ট্রাম্প (Donald Trump)। তবে সাদা বাড়ির অন্দরে ঠাঁই হবে কার, সে বিষয়ে শেষ কথা বলবে মার্কিন জনতা।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Budget 2024: বাজেটে আয়করে ছাড়ের কথা ঘোষণা করতে পারে কেন্দ্র, কত ছাড় জানেন?

    Budget 2024: বাজেটে আয়করে ছাড়ের কথা ঘোষণা করতে পারে কেন্দ্র, কত ছাড় জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দোরগোড়ায় বাজেট (Budget 2024) অধিবেশন। ১ ফেব্রুয়ারি বাজেট পেশ করবেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামণ। বাজেটে আয়করে ছাড়ের কথা ঘোষণা করতে পারে কেন্দ্রীয় সরকার। বর্তমান কর কাঠামোয় ২.৫ লক্ষ টাকা আয়ের ওপর থেকে সর্বনিম্ন হারে আয়কর প্রযোজ্য হয়। সূত্রের খবর, সেটা বাড়িয়ে তিন লক্ষ টাকা করা হতে পারে। ৫.৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত আয়ে কর দিতে হবে না। নতুন কিংবা পুরানো দুই কর কাঠামোয়ই স্ট্যান্ডার্ড ডিডাকশনের পরিমাণ ৫০ হাজার থেকে বাড়িয়ে ৬০ হাজার টাকা করা হতে পারে।

    ভোট অন অ্যাকাউন্ট

    চলতি বছর রয়েছে লোকসভা নির্বাচন। তাই পূর্ণাঙ্গ বাজেট নয়, পেশ হবে ভোট অন অ্যাকাউন্ট। কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী জানিয়ে দিয়েছেন, অন্তর্বর্তী বাজেটে বড় কোনও ঘোষণা হবে না। তবে গত লোকসভা নির্বাচনের আগে অন্তর্বর্তী বাজেটে ঘোষণা করা হয়েছিল ৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত আয়ে কাউকেই কর দিতে হবে না। আসন্ন বাজেটে (Budget 2024) আগামী অর্থবর্ষের জন্য কৃষি ঋণের লক্ষ্যমাত্রা ২ থেকে ৫ লক্ষ কোটি টাকা বাড়িয়ে ২২-২৫ লক্ষ কোটি টাকা ঘোষণা করা হতে পারে। চলতি অর্থবর্ষে কৃষি ঋণের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ২০ লক্ষ কোটি টাকা। সময়ে যাঁরা ঋণ শোধ করে দেবেন, সেই সব কৃষকদের সুদের ওপর তিন শতাংশ অতিরিক্ত ছাড় দেওয়া হতে পারে। কৃষকরা দীর্ঘমেয়াদি ঋণ নিলে, সেক্ষেত্রে সুদের হার হবে বাজারের হারের মতো।

    মোদি সরকারের কর্মসূচি

    প্রসঙ্গত, কৃষক সহ সমাজের প্রান্তিক মানুষের জন্য নানা কর্মসূচি হাতে নিয়েছে নরেন্দ্র মোদির সরকার। যোগ্য কৃষকরা যাতে সহজে ঋণ পেতে পারে, সেজন্যও উদ্যোগী হয়েছে তাঁর সরকার। কৃষকদের ঋণ দিতে কৃষি মন্ত্রণালয় একটি আলাদা বিভাগও তৈরি করেছে। সরকারি পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২০২২-২৩ অর্থবর্ষে মোট কৃষি ঋণ দেওয়া হয়েছিল ২১.৫৫ লক্ষ কোটি টাকা। কিষান ক্রেডিট কার্ড নেটওয়ার্কের মাধ্যমে ঋণ পেয়েছে ৭.৩৪ কোটি টাকা (Budget 2024)।

    আরও পড়ুুন: ১১ ফেব্রুয়ারি অযোধ্যা যাচ্ছেন শুভেন্দু, রাম দর্শনে বাংলার বিজেপি বিধায়করাও

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Maldives: চিনা চর জাহাজকে স্বাগত জানাল মলদ্বীপ, ভারতকে চাপে রাখার কৌশল বেজিংয়ের!

    Maldives: চিনা চর জাহাজকে স্বাগত জানাল মলদ্বীপ, ভারতকে চাপে রাখার কৌশল বেজিংয়ের!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের ভারতকে চাপে রাখার কৌশল চিনের! এবার অবশ্য শ্রীলঙ্কা নয়, চিনা গুপ্তচর জাহাজ ঘাঁটি গাড়তে চলছে নয়া বন্ধু মলদ্বীপের (Maldives) রাজধানী মালেতে। ‘শিয়াং ইয়াং হং ৩’ নামের ওই গুপ্তচর জাহাজটি ইতিমধ্যেই দক্ষিণ চিন সাগর থেকে মলাক্কা প্রণালী পেরিয়ে ইন্দোনেশিয়ার জাভা ও সুমাত্রা দ্বীপপুঞ্জের মধ্যবর্তী সুন্দা প্রণালীতে পৌঁছে গিয়েছে।

    ভারত মহাসাগরে আসছে চিনা চর জাহাজ

    ৮ ফেব্রুয়ারি সেটি মলদ্বীপের রাজধানী মালেতে পৌঁছবে বলে সংবাদ মাধ্যম সূত্রে খবর। তবে চিনা চর জাহাজটি যে সামরিক উদ্দেশ্যে ভারত মহাসাগরে নোঙর করতে চলেছে, তা নিশ্চিত করা হয়েছে মলদ্বীপের চিনপন্থী মহম্মদ মুইজ্জু সরকারের তরফে। দ্বীপরাষ্ট্রের তরফে জানানো হয়েছে, চিনা গুপ্তচর জাহাজটি মলদ্বীপের জলভাগে কোনও গবেষণা করবে না। এর আগে শ্রীলঙ্কার হাম্বানটোটা বন্দরে ঘাঁটি গেড়েছিল চিনা চর জাহাজ ‘ইউয়ান ওয়াং ৫’। এ নিয়ে ভারত-শ্রীলঙ্কা মন কষাকষি হয়। তার পরেই চিনা গুপ্তচর জাহাজটিকে বন্দর ছেড়ে চলে যেতে বলা হয়। ‘শিয়াং ইয়াং হং ৩’-ও হাম্বানটোটায় নোঙর করতে চেয়েছিল।

    শ্রীলঙ্কায়ও নোঙর করেছিল চিনা গুপ্তচর

    শ্রীলঙ্কার আপত্তিতে (Maldives) জাহাজটি ভিড়তে পারেনি হাম্বানটোটা বন্দরে। তবে ‘হাই ইয়াং ২৪ হাও’ এবং ‘শি ইয়ান ৬’ চিনের এই দুটি গুপ্তচর জাহাজ নোঙর করেছিল হাম্বানটোটায়। পরবর্তীকালে ভারতের পাশে দাঁড়িয়ে চিনা গুপ্তচর জাহাজকে সে দেশের বন্দরে পা রাখতে দেয়নি শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট রনিল বিক্রমসিংহের সরকার। মলদ্বীপের প্রশাসনের তরফে জারি করা বিবৃতিতে বলা হয়েছে, এই জাহাজটি এলে মলদ্বীপের সঙ্গে তার সঙ্গী দেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক মজবুত হবে। বন্ধু দেশ থেকে আসা জাহাজকে স্বাগত জানানোটা এ দেশের শতাব্দী-প্রাচীন একটি ঐতিহ্য।

    আরও পড়ুুন: সন্দেশখালির সেই তৃণমূল নেতার বাড়িতে ইডির হানা, শাহজাহান কোথায়?

    দীর্ঘদিন ধরে ভারত ছিল মলদ্বীপের পরম মিত্র দেশ। গত নির্বাচনে দেশের রশি যায় চিনপন্থী মুইজ্জুর হাতে। তার পর থেকে তিনি একের পর এক ভারত-বিরোধী পদক্ষেপ করছেন বলে অভিযোগ। সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির প্রতি অবমাননাকর মন্তব্য করেন মুইজ্জু সরকারের তিন মন্ত্রী। এ নিয়ে সমালোচনার মুখে পড়ে সরকার। ঘরে-বাইরে চাপের মুখে পড়ে শেষমেশ সাসপেন্ড করা হয় ওই তিনজনকে। তাতে অবশ্য উন্নতি হয়নি নয়াদিল্লি-মালে (Maldives) সম্পর্কের। কারণ সেই চিনপন্থী মুইজ্জু। তাঁর এই চিন-প্রেমে যারপরনাই ক্ষুব্ধ ভারত। এহেন আবহে চিনা চর জাহাজকে স্বাগত জানাল মুইজ্জু সরকার (Maldives)। আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞদের মতে, ভারতকে চাপে রাখতে মলদ্বীপকে দিয়ে চর জাহাজকে স্বাগত জানানোর কৌশল আসলে বেজিংয়েরই ব্রেন চাইল্ড।   

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

     

  • Mohan Bhagwat: “নেতাজির চিন্তার সঙ্গে আমাদের ভাবনার কোনও পার্থক্য নেই”, সাফ জানালেন ভাগবত

    Mohan Bhagwat: “নেতাজির চিন্তার সঙ্গে আমাদের ভাবনার কোনও পার্থক্য নেই”, সাফ জানালেন ভাগবত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “আকণ্ঠ দেশপ্রেম ছিল ওঁর জীবনের মূল মন্ত্র”। মঙ্গলবার নেতাজির ১২৭তম জন্মবার্ষিকীর একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে কথাগুলি বললেন সরসংঘ চালক মোহন ভাগবত (Mohan Bhagwat)। বারাসতের একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন তিনি। বলেন, “অনেক জাতি-উপজাতি-ভাষা-ধর্ম রয়েছে। তবে দেশ এই সব কিছুর ওপরে, এমনই মনে করতেন। নেতাজি জাতি, ধর্ম, বর্ণের ওপরে এগিয়ে রাখতেন দেশকে।”

    নেতাজির স্বপ্ন অধরা

    সংঘ প্রধান বলেন, “আমরা জানি, নেতাজির স্বপ্ন অধরা রয়ে গিয়েছে। কিন্তু সেই স্বপ্ন কে পূরণ করবে? উনি জানতেন এই স্বপ্ন একার পক্ষে করা সম্ভব নয়। আমরা সেই স্বপ্ন পূরণের লক্ষ্যে এগোচ্ছি।” তিনি বলেন, “নেতাজির চিন্তার সঙ্গে আমাদের ভাবনার কোনও পার্থক্য নেই।” সংঘচালক বলেন, “এটা দেখলে সমাধান আসবে। নেতাজি যে স্বপ্ন দেখেছিলেন, সেটা অসম্পূর্ণ রাখতে দেননি। উনি জানতেন, এটা একটা প্রজন্মের কাজ নয়। অবিরত করে যেতে হবে। এই কাজের জন্য আমার জীবনও হয়তো যথেষ্ট নয়। কিন্ত কোনও সমস্যা নেই। আমি এমনই প্রেরণা দিয়ে যাব যে প্রজন্মের পর প্রজন্ম অনুপ্রাণিত হয়ে এই কাজ করে যাবে। আত্মদর্শন সম্পন্ন, চারিত্রিক গুণে ভরা প্রজন্ম দেশের জন্য জীবন-মৃত্যুতে উঠে দাঁড়াবে।”

    আরএসএসের নেতাজি-স্মরণ

    আরএসএসের নেতাজি-স্মরণের কারণও (Mohan Bhagwat) ব্যাখ্যা করেছেন ভাগবত। বলেন, “ওঁর জীবন থেকে উঠে আসা প্রেরণা, আমাদের জীবনে পরিবর্তন এনে চলেছে। এই জন্য ওঁকে স্মরণ করা হয়। ওই কার্যক্রমগুলিকে উৎকৃষ্ট করা হবে। কোনও ভুল না করেই এগিয়ে নিয়ে যাওয়া হবে।” এর পরেই তিনি বলেন, “নেতাজির চিন্তার সঙ্গে আমাদের ভাবনার কোনও পার্থক্য নেই।”

    আরও পড়ুুন: পৃথিবীর অর্ধেক বয়সের ইতিহাসের সাক্ষী রামলালার শরীরের পাথর!

    ২০১৪ সালে কেন্দ্রে ক্ষমতায় আসার পর নেতাজিকে যথাযথ মর্যাদা দিতে চেষ্টার কসুর করেনি নরেন্দ্র মোদির সরকার। ২০১৮ সালে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি রস আইল্যান্ডের নামকরণ করেন নেতাজির নামে। ২০২১ সালে নেতাজির জন্মদিবসকে পরাক্রম দিবস হিসেবে পালন করার সিদ্ধান্ত নেন। ২০২২ সালে নেতাজির ১২৫তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি ভবন থেকে ইন্ডিয়া গেট পর্যন্ত প্রসারিত কর্তব্য পথে নেতাজির বিশাল মূর্তির আবরণ উন্মোচন করেন (Mohan Bhagwat) প্রধানমন্ত্রী।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • Ration Distribution Case: রেশন বিলি মামলায় শঙ্করের ভাই মলয়কে ফের তলব ইডির

    Ration Distribution Case: রেশন বিলি মামলায় শঙ্করের ভাই মলয়কে ফের তলব ইডির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রেশন বণ্টন কেলেঙ্কারি (Ration Distribution Cas) মামলায় এবার তলব তৃণমূল নেতা শঙ্কর আঢ্যের ভাই মলয়কে। মঙ্গলবার সল্টলেকে সিজিও কমপ্লেক্সে ডেকে পাঠানো হয় তাঁকে। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে খবর, বনগাঁ পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান শঙ্করের যে সংস্থার হাতফের হয়ে রেশন কেলেঙ্কারির কালো টাকা সাদা করা হত, তার অন্যতম ডিরেক্টর ছিলেন মলয়। শুধু তাই নয়, মলয়ের স্ত্রী তানিয়া বনগাঁর মিল মালিক কালিদাস সাহার ভাগ্নি।

    আঢ্য ফোরেক্স

    রেশন বণ্টন কেলেঙ্কারিতে ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করা হয়েছে রাজ্যের প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী তথা বর্তমান বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিককে। গ্রেফতার করা হয়েছে শঙ্করকেও। এবার তলব করা হয়েছে তাঁর ভাইকেও। জ্যোতিপ্রিয় ছাড়া রেশন কেলেঙ্কারির যে ২০ হাজার কোটি টাকা শঙ্কর মারফত বাংলাদেশ ও দুবাইয়ে পাচার হয়েছে, তার মধ্যে কালিদাসের টাকাও রয়েছে বলে অনুমান ইডির। তৃণমূল নেতা শঙ্করের বিদেশি মুদ্রা বিনিময় সংস্থার নাম ‘আঢ্য ফোরেক্স’। এই (Ration Distribution Cas) সংস্থার ডিরেক্টর মলয়। ‘ত্রিনয়নী ফোরেক্স প্রাইভেট লিমিটেড’ নামে শঙ্করের আরও একটি বিদেশি মুদ্রা বিনিময় সংস্থা রয়েছে। মলয়ের স্ত্রী তানিয়ার নাম রয়েছে এই সংস্থায়। শঙ্করের একটি ভুয়ো সংস্থাও ছিল। ‘অঞ্জলি আইসক্রিম প্রাইভেট লিমিটেড’ নামের ওই জাল সংস্থায় নাম ছিল সস্ত্রীক মলয়ের।

    বিদেশে পাচার হাজার হাজার কোটি টাকা 

    ইডি জেনেছে, রেশন বণ্টন কেলেঙ্কারি মামলায় জ্যোতিপ্রিয়র হাজার হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার হয়েছে শঙ্করের মুদ্রা বিনিময় সংস্থার মাধ্যমে। এই টাকার পরিমাণ ৯ থেকে ১০ হাজার কোটি টাকা। এর মধ্যে দু’ হাজার কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে ‘আঢ্য ফোরেক্স’ মারফত। এর আগে তিনবার ইডি তলব করেছে মলয়কে। প্রতিবারই হাজিরা এড়িয়ে গিয়েছেন তিনি। এদিন ফের একবার তাঁকে ডেকে পাঠিয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। ইডি সূত্রে খবর, মলয় এদিন ইডির সমন উপেক্ষা করলে অন্য ব্যবস্থা নিতে পারে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।

    আরও পড়ুুন: দুয়ারে লোকসভা ভোট, মোদিকে দিয়ে শতাধিক সভা করাতে চাইছে বিজেপি

    শঙ্কর গ্রেফতার হওয়ার পরে পরেও তাঁর মেয়ে ঋতুপর্ণাকে তলব করেছিল ইডি। প্রায় ছ’ ঘণ্টা ধরে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় তাঁকে। তবে ইডির জেরা-পর্বে তাঁকে কী কী প্রশ্ন করা হয়েছে, তা বলেননি ঋতুপর্ণা। ঋতুপর্ণার পর এবার সমন গেল তাঁর কাকু মলয়ের কাছে (Ration Distribution Cas)।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • PM Modi: দুয়ারে লোকসভা ভোট, মোদিকে দিয়ে শতাধিক সভা করাতে চাইছে বিজেপি

    PM Modi: দুয়ারে লোকসভা ভোট, মোদিকে দিয়ে শতাধিক সভা করাতে চাইছে বিজেপি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দোরগোড়ায় লোকসভা নির্বাচন। ইতিমধ্যেই মাঠে নেমে পড়েছে বিজেপি। বিরোধীদের অবশ্য ছন্নছাড়া দশা। এমতাবস্থায় আরও বেশি করে আসন নিয়ে এবারও কেন্দ্রের রশি হাতে নিতে চাইছে বিজেপির নেতৃত্বাধীন এনডিএ। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে (PM Modi) দিয়ে ১৪০টিরও বেশি জনসভা করাতে চাইছে পদ্মশিবির।

    ‘গাঁও চলো অভিযান’

    জনগণের দোরে পৌঁছতে বিজেপি হাতে নিয়েছে ‘গাঁও চলো অভিযান’। ফেব্রুয়ারির ৪ থেকে ১১ তারিখের মধ্যে বিজেপির অন্তত একজন কর্মী দেশের সাত লাখ গ্রাম এবং শহরের বুথগুলিতে উপস্থিত থাকবেন। নরেন্দ্র মোদি সরকারের আমলে কী কী উন্নয়নমূলক এবং জনকল্যাণমূলক কাজ হাতে নেওয়া হয়েছে, ভোটারদের কাছে তা তুলে ধরতেই ‘গাঁও চলো অভিযান’ পালন করবেন বিজেপি নেতৃত্ব। বিজেপি সূত্রে খবর, জনসংযোগ করতে প্রধানমন্ত্রী যোগ দিতে পারেন ১৪০টিরও বেশি কর্মসূচিতে। এর মধ্যে যেমন জনসভা রয়েছে, তেমনি রয়েছে মিছিল, রোড-শোও।

    ক্লাস্টার নেতাদের সঙ্গে কথা মোদির

    বিজেপির (PM Modi) একটি সূত্রের খবর, সাত থেকে আটটি লোকসভা নিয়ে একটি ক্লাস্টার গঠন করা হয়েছে। এই ক্লাস্টারগুলির দায়িত্বে রয়েছেন বিজেপির স্থানীয় নেতারা। এই নেতারা নির্বাচনে লড়বেন না। ক্লাস্টারগুলির অন্তত একটি লোকসভা কেন্দ্রে যাবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। যোগ দেবেন জনসভা কিংবা রোড-শোয়ে। কথা বলবেন ক্লাস্টার ইনচার্জের সঙ্গে। স্থানীয় নেতৃত্বের সঙ্গেও কথা বলবেন। ক্লাস্টারের যে কেন্দ্রটিতে তিনি যাবেন, সেটি বাদে ওই ক্লাস্টারের বাকি আসনগুলির নেতাদের সঙ্গেও কথা বলবেন প্রধানমন্ত্রী।

    আরও পড়ুুন: পরাক্রম দিবসে সন্ধ্যায় লালকেল্লার অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন প্রধানমন্ত্রী

    পদ্মশিবির সূত্রে খবর, বিভিন্ন কেন্দ্রের বর্তমান সাংসদ এবং যাঁরা প্রার্থী হতে চাইছেন একটি কমিটির মাধ্যমে তাঁদের ওপর নজর রাখছেন ক্লাস্টার ইনচার্জ। এই কমিটিতে রয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা, প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংহ এবং জাতীয় সম্পাদক (সাংগঠনিক) বিএল সন্তোষ। গেরুয়া শিবিরের এক প্রবীণ নেতা জানান, দিল্লি নিজেই একটি ক্লাস্টার। আবার উত্তরপ্রদেশ, মধ্যপ্রদেশ এবং রাজস্থানের বিভিন্ন লোকসভা কেন্দ্রে দলের তরফে আয়োজন করা হয়েছে ‘খেল স্পর্ধা’র (ক্রীড়া প্রতিযোগিতা)। এই ‘খেল স্পর্ধা’ হবে দেশের বাছাই করা কিছু লোকসভা কেন্দ্রে। এভাবেই ভোটারদের কাছে পৌঁছতে চাইছে পদ্ম শিবির (PM Modi)।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
LinkedIn
Share