Author: Krishnendu Bakshi

  • Malda: ৮০০ কিমি সাইকেল চালিয়ে রামনগরীতে পৌঁছাবেন বঙ্গের দুই যুবক

    Malda: ৮০০ কিমি সাইকেল চালিয়ে রামনগরীতে পৌঁছাবেন বঙ্গের দুই যুবক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মনস্কামনা মন্দিরে পুজো দিয়ে উত্তরপ্রদেশের অযোধ্যায় ঐতিহাসিক রাম মন্দিরের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে সামিল হতে সাইকেল নিয়ে যাত্রা শুরু করে দিলেন মালদা (Malda) শহরের দুই যুবক। আগামী ২২ জানুয়ারিতে প্রভু রামলালার প্রাণ প্রতিষ্ঠা করা হবে। অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ইতি মধ্যে মন্দির উদ্বোধনের প্রস্তুতি চরম তুঙ্গে। সারা ভারতবর্ষ তথা পৃথিবীর সকল হিন্দুদের নজর এখন এই রাম মন্দিরের দিকেই।

    মালদা থেকে ৮০০ কিমি অযোধ্যা (Malda)

    মালদা থেকে অযোধ্যার দূরত্ব প্রায় ৮০০ কিমি। মালদার (Malda) দুই যুবক হলেন রবি বিশ্বকর্মা (৩০) এবং অভিজিৎ বাসফোর(২২)। তাঁরা আজ স্থানীয় মনস্কামনা কালীমন্দিরে পুজো দিয়ে রওনা হলেন অযোধ্যার উদ্দেশ্যে। দীর্ঘ এই পথ অতিক্রম করে আগামী ২০ জানুয়ারির মধ্যে অযোধ্যায় পৌঁছনোর লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছেন তাঁরা। প্রতিদিন গড়ে ৩০ থেকে ৫০ কিলোমিটার পর্যন্ত সাইকেল চালানোর কথা জানিয়েছেন তাঁরা। যাত্রা শুরুর সময় তাঁদের শুভেচ্ছা জানাতে হাজির হন প্রচুর রামভক্ত এবং সাধারণ মানুষ।

    কেমন হবে সাইকেলের রুট?

    জানা গিয়েছে মালাদা (Malda) থেকে অযোধ্যায় যাওয়ার পথের রুটটি হবে মালদহ থেকে প্রথমে ডালখোলা। এরপর বিহারের পূর্ণিয়া, দ্বারভাঙ্গা হয়ে উত্তরপ্রদেশের গোরখপুর দিয়ে তাঁরা দু’জনে পৌঁছবেন অযোধ্যায়। যাত্রায় তাঁদের সাইকেলের মধ্যে থাকবে প্রভু শ্রীরামের আঁকা ছবি। সনাতন ধর্মীয় পতাকার পাশাপাশি সাইকেল যাত্রায় সামিল করা হয়েছে ভারতের জাতীয় পতাকাও। এলাকায় রীতিমতো উচ্ছ্বাস নিয়ে তাঁরা যাত্রার শুভ সূচনা করলেন। 

    যুবকদের বক্তব্য

    মালদার (Malda) এই দুই যুবকের বক্তব্য, “আগে দেশ পরে ধর্ম”। এই প্রসঙ্গে রবি বিশ্বকর্মা বলেন, “হিন্দু সমাজের দীর্ঘদিনের স্বপ্ন ছিল অযোধ্যায় রামমন্দির প্রতিষ্ঠা হবে। এবার সেই স্বপ্ন প্রতিষ্ঠা পাবে।” আবার অভিজিৎ বাসফোর বলেন, “এই রাম মন্দিরের প্রতিষ্ঠা পর্বের ঐতিহাসিক সাক্ষী হতেই আমরা সাইকেলে যাত্রার পরিকল্পনা করেছি। শ্রীরাম আমাদের ধর্মীয় সংস্কৃতির পরিচয়। পাশপাশি সমাজে যাতে নেশা কম হয় সেই উদ্দেশ্যে আমরা এই যাত্রায় সচেতনতার বিষয়কেও রেখেছি।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: নেতাই গণহত্যার দিন সভা করতে চেয়ে হাইকোর্টে গেলেন শুভেন্দু

    Suvendu Adhikari: নেতাই গণহত্যার দিন সভা করতে চেয়ে হাইকোর্টে গেলেন শুভেন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আগামী ৭ জানুয়ারি নেতাই গণহত্যার দিন। তাই এই দিনে নিহতদের স্মরণে একটি অনুষ্ঠাসভায় যোগদিতে চেয়েছেন রাজ্যের বিধানসভার বিরোধীদল নেতা তথা নন্দীগ্রামের বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। কিন্তু পুলিশ এলাকায় অনুষ্ঠান করতে অনুমতি দিচ্ছে না বলে বিজেপির তরফ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে। এরপর শুভেন্দু হাইকোর্টে দ্বারস্থ হয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। মামলার শুনানি ৪ জানুয়ারি।

    আদালতে শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)

    ৭ জানুয়ারি নেতাইগ্রামে তৎকালীন বাম আমলে সিপিএমের দুষ্কৃতীরা গুলি করে হত্যাকাণ্ড চালিয়ে বলে অভিযোগ উঠেছে। এই হত্যাকাণ্ডের বিরুদ্ধে গতবছরও সভা করার জন্য পুলিশি বাঁধার সম্মুখীন হয়েছিলেন শুভেন্দু। এমনকী আদলাতের অনুমতি নিয়ে সভা করতে গেলেও পুলিশ তাঁকে (Suvendu Adhikari) শারীরিক হেনস্থা করে বলে অভিযোগ উঠেছিল। তাই এবছরে যেন ফের এইরকম সমস্যার মধ্যে না পড়তে হয়, তাই আগে থেকেই হাইকোর্টে আবেদন করে রেখেছেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক। বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত বেঞ্চে এই সভার জন্য অনুমোদন আবেদন করেছেন। অবশ্য বিচারপতি আবেদনের প্রেক্ষিতে মামলা দায়ের করার অনুমতি দিয়েছেন ।

    গণহত্যা হয়েছিল নেতাই গ্রামে

    সময় টা তখন বামআমলের শেষের দিকে সময়। ২০১১ সালে ৭ জানুয়ারি লালগড় ব্লকের নেতাইগ্রামের সিপিআইএমের নেতা রথীন দন্ডপাটের একেবারে বাড়ি থেকে সাধারণ গ্রামবাসীদের উপর গুলি চালানোর ঘটনা ঘটেছিল বলে অভিযোগ উঠেছিল। ঘটনায় আহত হয়েছিলেন মোট ২৮ জন। তাঁদের মধ্যে ৯ জনের মৃত্যু হয়েছিল বলে জানা গিয়েছিল। ঘটনায় প্রধান অভিযুক্ত সিপিএম নেতাদের নাম হল- অনুজ পাণ্ডে, ডালিম পাণ্ডে, ফুল্লরা মণ্ডল, চণ্ডী করণ প্রমুখ। ঘটনায় রাজ্যজুড়ে ব্যাপক শোরগোল পড়ে গিয়েছিল। তবে ২০২২ সালে অভিযুক্ত সিপিএম নেতা ফুল্লরা মণ্ডল মেদিনীপুর কেন্দ্রীয় সংশোধনাগার থেকে মুক্তি পান। এই অভিযুক্ত ফুল্লরা ঘটনায় জখমদের হাসপাতালে নিয়ে যেতে বাঁধা দিয়েছিল। প্রথমে মামলা সিআইডি শুরু করলেও পরে ২০১৩ সালে হাইকোর্টের নির্দেশে সিবিআই তদন্ত শুরু করে। ২০১৪ সালে মোট ২০ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট আদলাতে জমা করে সিবিআই। এবার তাই নেতাইগ্রামে সভা করবেন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Goldy Brar: গোল্ডি ব্রারকে ‘জঙ্গি’ তকমা কেন্দ্রের, শুনবেন গ্যাংস্টারের কীর্তি?

    Goldy Brar: গোল্ডি ব্রারকে ‘জঙ্গি’ তকমা কেন্দ্রের, শুনবেন গ্যাংস্টারের কীর্তি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লরেন্স বিষ্ণোই গ্যাংয়ের সদস্য গ্যাংস্টার গোল্ডি ব্রারকে (Goldy Brar) জঙ্গি তকমা দিল কেন্দ্র। পাঞ্জাবের জনপ্রিয় গায়ক সিধু মুসাওয়ালা খুনের অন্যতম অভিযুক্ত গোল্ডি। বলিউড তারকা সলমন খানকেও প্রাণনাশের হুমকি দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।

    কে এই গোল্ডি? 

    ২০২২ সালে খুন হন পাঞ্জাবি গায়ক সিধু। ওই ঘটনায়ও জড়িয়ে যায় গোল্ডির নাম। কানাডার বাসিন্দা এক গ্যাংস্টারের মদতেই সিধুকে খুন করা হয়। পরে খুনের দায় কবুল করে গোল্ডি। খালিস্তানপন্থী এই নেতার বিরুদ্ধে জারি হয়েছে ইন্টারপোলের নোটিশ। জামিন অযোগ্য ধারায় জারি হয়েছে ওয়ারেন্টও। তার পরেও ছোঁয়া যায়নি বছর সাতাশের এই জঙ্গির টিকি। ১৯৯৪ সালে পাঞ্জাবের ফরিদকোটে জন্ম হয় গোল্ডির। চণ্ডীগড় বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক। পড়াশোনা করার সময় জড়িয়ে পড়ে ছাত্র রাজনীতিতে। সেই সময়ই রাজস্থানের জয়পুরের গ্যাংস্টার লরেন্স বিষ্ণোইয়ের সঙ্গে পরিচয় হয় গোল্ডির। ২০১৭ সালে স্টুডেন্ট ভিসা নিয়ে চলে যায় কানাডায়। তারপর আর ভারতে ফেরেনি। কানাডায় গিয়ে ট্র্যাকার হিসেবে কিছুদিন কাজ করে সে। বর্তমানে এ প্লাস ক্যাটেগরির গ্যাংস্টার গোল্ডি। অপরাধ জগতে তার পরিচয় লরেন্সের ‘ডান হাত’ হিসেবে। অন্তরালে থেকেই দিব্যি চালিয়ে যাচ্ছে সন্ত্রাসী কার্যকলাপ। পুলিশের চোখে ধুলো দিতে বারবার করছে রংবদল।  

    গোল্ডির বিরুদ্ধে অভিযোগ

    সীমান্তে চোরাচালান, গ্রেনেড-সহ বিভিন্ন আগ্নেয়াস্ত্র এবং বিস্ফোরক পাচারেও সে যুক্ত বলে অভিযোগ। খুনের সুপারিও দেয় সে। পাঞ্জাবে অশান্তি ছড়ানো, নাশকতা-সহ দেশবিরোধী কার্যকলাপেও সে যুক্ত। এহেন গ্যাংস্টারকে সোমবার জঙ্গি দাগিয়ে দিল কেন্দ্র। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, ইউএপিএ আইনের আওতায় গোল্ডিকে সন্ত্রাসবাদী ঘোষণা করা হয়েছে। জানা গিয়েছে, নিষিদ্ধ খালিস্তানপন্থী সংগঠন বাব্বর খালসা ইন্টারন্যাশনালের সঙ্গে যোগ রয়েছে গোল্ডির (Goldy Brar)।

    ভারতে গোল্ডির বিরুদ্ধে অন্তত ১৩টি মামলা রয়েছে। কানাডা সরকারও তাকে দেশের ২৫ জন ‘মোস্ট ওয়ান্টেড’ অপরাধীর একজন বলে চিহ্নিত করেছে। সলমন খানকে হুমকি-মেইল পাঠানোর অভিযোগে বিষ্ণোই ও গোল্ডির বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে মুম্বই পুলিশ। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, গোল্ডি ব্রারের সঙ্গে আন্তঃসীমান্ত সন্ত্রাসবাদী সংগঠনগুলির যোগাযোগ রয়েছে। একাধিক খুনের মাস্টারমাইন্ডও সে। ভারতের একাধিক নেতাকে হুমকি দেওয়ার অভিযোগও রয়েছে গোল্ডির (Goldy Brar) বিরুদ্ধে।

    আরও পড়ুুন: এবার বম্বে স্টক এক্সচেঞ্জ ওড়ানোর হুমকি খালিস্তানি জঙ্গি পান্নুনের মুখে

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

     

  • Masood Azhar: কনভয়ে বিস্ফোরণ, নিহত জইশ-ই-মহম্মদ প্রধান মাসুদ আজহার!

    Masood Azhar: কনভয়ে বিস্ফোরণ, নিহত জইশ-ই-মহম্মদ প্রধান মাসুদ আজহার!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিস্ফোরণে নিহত পাক জঙ্গিগোষ্ঠী জইশ-ই-মহম্মদ প্রধান মৌলানা মাসুদ আজহার (Masood Azhar)। সোমবার ভোরে পাক পাঞ্জাবের ভাওয়ালপুরের অদূরে পর পর কয়েকটি বিস্ফোরণ হয় তার কনভয়ে। তাতেই তার মৃত্যু হয়েছে বলে খবর ছড়িয়েছে সমাজমাধ্যমে। ভাইরাল হয়েছে ভিডিও-ও। যদিও ভিডিওর সত্যতা যাচাই করেনি মাধ্যম। মাসুদের মৃত্যু নিয়ে পাক সরকার কিংবা সেনার তরফে কিছু বলা হয়নি।

    মাসুদ কাহিনি

    নয়ের দশকে কাশ্মীরে অনুপ্রবেশ করে ভারতীয় সেনার হাতে ধরা পড়েছিল মাসুদ। অটল বিহারী বাজপেয়ীর জমানায় কন্দহর বিমান ছিনতাইকাণ্ডে জঙ্গিদের শর্ত মেনে মুক্তি দেওয়া হয়েছিল তাকে। ২০০১ এর সংসদ হামলা এবং ২০১৬-য় পাঞ্জাবের পাঠানকোটে ভারতীয় বায়ুসেনার ঘাঁটিতে ফিদায়েঁ হানা এবং ২০১৯ সালে পুলওয়ামা হামলার ঘটনায়ও অন্যতম অভিযুক্ত মাসুদ ও তার ভাই রউফ।

    জইশ-ই-মহম্মদ

    উনিশ সালে মাসুদের (Masood Azhar) গায়ে সেঁটে দেওয়া হয় জঙ্গির তকমা। রাষ্ট্রপুঞ্জের নিরাপত্তা পরিষদের নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠনের তালিকায় রয়েছে তার সংগঠন জইশ-ই-মহম্মদ। এহেন জইশই পাক সরকারের মদতে দিব্যি কারবার চালিয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ। মাদক ব্যবসা, হাওয়ালার কারবার রয়েছে তার। জেহাদের খরচ তুলতে স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা ও স্থানীয় ট্রাস্টের নামে টাকা তোলে মাসুদের সংস্থা। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানও চালায় তারা। জইশের এই স্কুলগুলিতে জেহাদি হাওয়ার প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। শিক্ষা শেষে জেহাদের কাজে লাগানো হয় পাশ-আউটদের।

    আরও পড়ুুন: ‘বয়ঃ-বিধি’ দ্বন্দ্বে বেসামাল তৃণমূল, নেত্রীর রোষেই কি ‘অন্তরালে’ অভিষেক?

    জানা গিয়েছে, এদিন ভোরে ভওয়ালপুরের মসজিদ থেকে ফেরার পথে অজ্ঞাতপরিচয় কয়েকজন আততায়ী মাসুদের কনভয় লক্ষ্য করে বিস্ফোরণ ঘটায়। তাতেই মৃত্যু হয় এই জঙ্গির। ভারতীয় গোয়েন্দা সূত্রে খবর, ভাওয়ালপুরের ডেরায় পাক সেনার প্রহরায় থাকে মাসুদ। সেখান থেকেই ভারত-পাক সীমান্তে থাকা জঙ্গি শিবিরগুলি তদারকি করে। ভারতে অশান্তি জিইয়ে রাখতে এখনও সক্রিয় সে। অর্থ-সহ অন্যান্য সাহায্য দিয়ে তাকে (Masood Azhar) সাহায্য করে চলেছে আইএসআই।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Murshidabad:  “তৃণমূলের নেতারা নাকি দলের মধ্যেই আলাদা দোকান খুলেছে” গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে বিস্ফোরক হুমায়ুন

    Murshidabad: “তৃণমূলের নেতারা নাকি দলের মধ্যেই আলাদা দোকান খুলেছে” গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে বিস্ফোরক হুমায়ুন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মুর্শিদাবাদ (Murshidabad) জেলায় শাসক দল তৃণমূলের মধ্যে রাজনৈতিক গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের কলহের কথা বার বার শিরোনামে এসেছে। ভরতপুরের বিধায়ক হুমায়ুন কবীর বরাবরই স্পষ্টবাদী নেতা হিসেবে নিজেকে বারবার সংবাদ মাধ্যমে বক্তব্য প্রকাশ করে থাকেন। দলের জেলা প্রেসিডেন্ট সাওনি সিংহরায়ের বিরুদ্ধে বারবার বিস্ফোরক হয়েছেন তিনি। এবার সেই স্পষ্টবাদী তৃণমূল বিধায়ক খোদ দলের প্রতিষ্ঠা দিবসের দিনেই মঞ্চে বক্তব্য রাখতে গিয়ে দলের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক মন্তব্য করে বলেন, “তৃণমূলের নেতারা নাকি দলের মধ্যেই আলাদা দোকান খুলেছে।” ফলে দলে গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের কথা আরও একবার স্পষ্ট হল।

    কী বললেন হুমায়ন কবীর (Murshidabad)?

    মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) ভরতপুরের তৃণমূলের বিধায়ক হুমায়ুন কবীর বলেন, “তৃণমূলের নেতারা নাকি দোকান খুলে বসে আছে, আমরা যদি সিপিএম-বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াই করতে পারি, তাহলে নিজেদের ঘরে যে সমস্ত গাদ্দাররা বসে আছেন তাঁদের দোকানের ঝাঁপ বন্ধ করতে আমার বেশি সময় লাগবে না।” একদিকে নতুন বছরের শুরু আরেক দিকে দলের প্রতিষ্ঠা দিবস আর সেদিনই এই ধরনের মন্তব্য। কার্যত বিধায়ক আবারও লোকসভার আগে তৃণমূলের অন্তরকলহ কথা প্রকাশ্যে আনলেন।

    বললেন ডান্ডা ধরব!

    ভরতপুরের (Murshidabad) তৃণমূলের বিধায়ক হুমায়ুন, তৃণমূল কংগ্রেসের প্রতিষ্ঠা দিবসে বলেন, “বিনয়ের সঙ্গে জানাচ্ছি আপনারা সাবধান হন, যাঁরা দলকে আলাদা আলাদা ভাবে ভাগ করার চেষ্টা করছেন। আমরা স্পষ্ট করে বলছি দলের স্বার্থে সকলে এক থাকুন। যদি গোষ্ঠীগুলি দলের স্বার্থে কাজ না করে তা হলে ডান্ডা ধরব। সালারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করলে বিশেষ ব্যবস্থা নেবো। দলের মধ্যে আলাদা দোকান খুলে ডান্ডা দিয়ে ঠান্ডা করব। এরপর দোকান পুড়িয়ে ঘরে বন্দি করে দেবো। বিরোধীদের সঙ্গে যেমন তৃণমূল লড়াই করছে তেমনি দলের মধ্যে নতুন দল করলে তাঁদের বিরুদ্ধেও তৃণমূল লড়াই করবে। তাই শুধু ভরতপুর নয়, সালার নয় গোটা মুর্শিদাবাদ জুড়ে লড়াই করার ক্ষমতা রাখি আমি। জেলার শেষ কথা আমিই বলব এখানে। দলের নির্দেশ সকলকে মানতে হবে। তৃণমূল কংগ্রেস আজকের দিনে এই শপথ নেবে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Bankura: পাঁচ মাসেই মুখ্যমন্ত্রীর সাধের ‘মডেল গ্রাম’ এখন জনশূন্য! উন্নয়ন কোথায় গেল?

    Bankura: পাঁচ মাসেই মুখ্যমন্ত্রীর সাধের ‘মডেল গ্রাম’ এখন জনশূন্য! উন্নয়ন কোথায় গেল?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মাত্র পাঁচমাস আগে ঘটা করে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় উদ্বোধন করে গিয়েছিলেন ‘মডেল গ্রামে’র। কিন্তু এই পাঁচ মাসের মধ্যে সাধের ‘মডেল গ্রাম’ পরিণত হয়েছে ভূতুরে গ্রামে। পরিত্যক্ত জনপদ, নেই লোকজন সবটাই কি তাহলে বৃথা! উপভোক্তাদের অবশ্য দাবি, “গ্রাম তৈরির ভাবনার মধ্যে গোলমাল রয়েছে, কাটমানি খেয়ে খারাপ জিনিস ব্যবহার করা হয়েছে।” তাহলে কি রাজ্য সরকার যে উন্নয়নের ঢাক পেটায় কার্যত সবটাই ফাঁকা! আসলে মানুষের চোখে ধুলো দেওয়ার কাজ চলছে-ঠিক এমন ভাবেই প্রকল্পে কাটমানির অভিযোগে ক্ষোভ প্রকাশ করেন এলাকার মানুষ। এই নিয়ে বাঁকুড়ায় (Bankura) তীব্র চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে।

    বাঁকুড়ার কোথায় মডেল গ্রাম (Bankura)?

    এই ‘মডেল গ্রাম হল বাঁকুড়ার (Bankura) শুশুনিয়া পাহাড়ের পাশে একটি ছোট্ট গ্রাম ভরতপুর। মোট ১৮ টি পরিবার কয়েকশো বছর ধরে বহন করে চলেছেন প্রাচীন পটচিত্রের ঐতিহ্যকে। গ্রামের মানুষের তেমন আর্থিক নির্ভরতা নেই। অন্যের জমিতে সামান্য চাষাবাদের মাধ্যমে জীবিকা অর্জন করে থাকেন। এই পরিবারের জীবনযাত্রাকে উন্নয়নের আলো দিতে ২০২৩ সালে জেলা প্রশাসন এই গ্রামকে ‘মডেল গ্রাম’ তৈরির উদ্যোগ নিয়ে ছিলেন। কিন্তু তা বাস্তবে ব্যর্থ হয়ে যায়।

    কেমন মডেল গ্রাম?

    ‘মডেল গ্রামে’র (Bankura) বাড়িগুলি ছিল অত্যন্ত সুন্দর পাকা বাড়ি, পাকা রাস্তা, সৌরবাতি দিয়ে ‘মডেল গ্রাম’ তৈরি করা হয়েছিল। গত ৯ অগাস্ট মুখ্যমন্ত্রী উদ্বোধন করেছিলেন এই মডেল গ্রামের। কিন্তু মাত্র ৫ মাসের মধ্যেই অত্যন্ত হতশ্রী হয়ে গিয়েছে এই ‘মডেল গ্রাম’। বাড়ির দেওয়ালে এখন ফাটল, টালির ছাদ ভেঙে গিয়েছে। পচে গিয়েছে ছাদে ব্যবহারের কাঠ, টয়লেট, বাথরুমগুলির ব্যবহারের অত্যন্ত অনুপযুক্ত। গ্রামে নেই বিদ্যুৎ পরিষেবা। মানুষের বসবাসের অযোগ্য হয়ে পড়েছে এই গ্রাম।

    উপভক্তাদের বক্তব্য

    উপভক্তা চিত্রকররা বলেন, “বাড়ি (Bankura) নির্মাণের জন্য নির্মাণ সামগ্রীর মান ভালো ব্যবহার করা হয়নি। আর তাই সময়ের আগেই সব নষ্ট হয়ে গিয়েছে। পাকা ছাদের কথা জেলা শাসকদের বলা হলেও তা বাস্তবে করা হয়নি।”

    বিজেপির বক্তব্য

    স্থানীয় (Bankura) বিজপির বক্তব্য হল, “আর পাঁচটা প্রকল্পের মতো এক্ষেত্রেও শাসক দলের নেতারা লাখ লাখ টাকা কাটমানি খেয়েছে। গোটা প্রকল্প এবং মডেল গ্রামের ভাবনাটাই ফেল করেছে।” আবার পালটা স্থানীয় ছাতনা (Bankura) তৃণমূল পঞ্চায়েত সমিতির পক্ষ থেকে বলা হয়, “উপভোক্তারা এই এলাকায় বসবাস করতে আগ্রহী নয়। উপভোক্তারা বসবাস করলেই ধীরে ধীরে বসবাসের যোগ্য হয়ে যাবে। ভূতুরে ভাব কেটে যাবে।”   

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Dibyendu Adhikari: শান্তিকুঞ্জে ফুটবে আরও পদ্ম? শুভেন্দুর ভাই দিব্যেন্দু শুনলেন মোদির ‘মন কি বাত’

    Dibyendu Adhikari: শান্তিকুঞ্জে ফুটবে আরও পদ্ম? শুভেন্দুর ভাই দিব্যেন্দু শুনলেন মোদির ‘মন কি বাত’

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: খাতায় কলমে এখনও তিনি তৃণমূলের সাংসদ। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ‘মন কি বাত’ শুনলেন শুভেন্দু অধিকারীর ভাই দিব্যেন্দু অধিকারী (Dibyendu Adhikari)। রবিবার ছিল মোদির এই বছরের শেষতম পর্বের ‘মন কি বাত’ অনুষ্ঠান। রাজ্যজুড়ে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার, বিরোধী দলনেতা-সহ প্রত্যেক বিজেপি নেতা শুনেছেন মোদির বক্তব্য। তাহলে কি শুভেন্দুর ভাই তথা তৃণমূলের সাংসদ এবার বিজেপিতে যোগ দেবেন? এটা নিয়েই চলছে তীব্র জল্পনা। শান্তিকুঞ্জে কি তাহলে আরও পদ্ম ফুটবে?

    অনেক দিন ধরেই তৃণমূলের সঙ্গে দূরত্ব (Dibyendu Adhikari)

    যদিও দিব্যেন্দু (Dibyendu Adhikari) এখনও তৃণমূলের সাংসদ। দলের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক অত্যন্ত তালানিতে ঠেকেছে। রাজ্য বা জেলার মধ্যে শাসক দলের কোনও অনুষ্ঠানে তাঁকে দেখা যায় না। বিরোধী দলের নেতা হিসেবে দাদা শুভেন্দু দায়িত্ব গ্রহণ করার পর থেকেই সরকারের বিরুদ্ধে নানান অভিযোগের কথা নিয়ে সরব হলেও এই তৃণমূল সাংসদ কোনও সময়েই প্রতিক্রিয়া দেননি। শাসক দলের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের যথার্থতা রয়েছে, আর তাই হয়তো তৃণমূলের সাংসদ বুঝতে পেরেছেন। এই জন্যই তৃণমূলের হয়ে তিনি কোনও ব্যাটিং করেন না। ঠিক এমনটাই মনে করছেন জেলার বিজেপি নেতৃত্বরা। কিন্তু মোদির ‘মন কি বাত’ শোনার মধ্যে দিয়ে কি জল্পনা তৈরি করে দিলেন না দিব্যেন্দু?

    কী বললেন সাংসদ?

    দিব্যন্দু (Dibyendu Adhikari) বিজেপিতে যোগ দেবেন কি না সেই বিষয়ে কোনও মন্তব্য না করে বলেন, “প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে অনেক তৃণমূল নেতা লুকিয়ে লুকিয়ে দেখা করেন। আমি তেমন সাংসদ নই। যা করার আমি সামনা সামনি করি। তবে মোদিজির সঙ্গে আমার দেখা করার ইচ্ছে আছে। আমার অনেক কথা রয়েছে সুযোগ পেলে বলবো।”

    ১০৮ তম মোদির ‘মন কি বাত’

    গত রবিবারের মোদির ‘মন কি বাত’ ছিল ১০৮ তম পর্ব। এই অনুষ্ঠান নিজের অফিসে বসে শোনেন দিব্যন্দু। শুভেন্দু অধিকারী এবং আরেক ভাই সৌমেন্দু অধিকারীর চেষ্টায় ২০১৯ সালের লোকসভার পর বিধানসভা নির্বাচনে শান্তিকুঞ্জে পদ্মফুল ফুটিয়ে ছিলেন। তবে এই শান্তিকুঞ্জের দুই তৃণমূল সাংসদ শুভেন্দুর বাবা শিশির অধিকারী এবং দিব্যন্দু অধিকারী (Dibyendu Adhikari) কেউ বিজেপিতে যোগদান করেননি। তবে মোদি-অমিত শাহের সভায় শিশির অধিকারীকে দেখা গেলেও দিব্যেন্দুকে কোনও প্রকার বিজেপির সভা-সমিতিতে দেখা যায়নি। আর তাই সামনেই লোকসভা নির্বাচন, ফলে শান্তিকুঞ্জে আরও পদ্মফোটে কিনা তাই এখন দেখার।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Ram Mandir: রাম মন্দিরে দানের নামে অর্থ সংগ্রহ করছে লুটেরারা, সতর্ক করল ভিএইচপি

    Ram Mandir: রাম মন্দিরে দানের নামে অর্থ সংগ্রহ করছে লুটেরারা, সতর্ক করল ভিএইচপি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আর ঠিক একুশ দিন পরে উদ্বোধন হবে অযোধ্যার রাম মন্দিরের (Ram Mandir)। তার সপ্তাহখানেক আগেই শুরু হয়ে যাবে অক্ষত সংগ্রহ অনুষ্ঠান। এমতাবস্থায় রাম মন্দির ট্রাস্টের নামে ভক্তদের কাছ থেকে টাকা-পয়সা লুট করছে লুটেরারা। সম্প্রতি বিষয়টি প্রকাশ্যে এসেছে। তার পরেই বিশ্বহিন্দু পরিষদের পক্ষ থেকে সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে পুণ্যার্থীদের। সোশ্যাল মিডিয়ায় এ ব্যাপারে সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে।

    কীভাবে চলছে লুটের কারবার

    বিশ্বহিন্দু পরিষদের মুখপাত্র বিনোদ বনশল এক্স হ্যান্ডেলে লিখেছেন, ‘শ্রী রাম জন্মভূমি তীর্থ ছেত্র অযোধ্যা, উত্তরপ্রদেশ নামের একটি জাল সোশ্যাল মিডিয়া পেজ তৈরি করা হয়েছে। পেজটিতে কিউআর কোড রয়েছে। রাম মন্দির নির্মাণের নামে সেখানে ইউজারদের ডোনেশন দিতে বলা হয়েছে। বিষয়টি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের পাশাপাশি দিল্লি ও উত্তরপ্রদেশ পুলিশকেও জানানো হয়েছে।’ বিশ্বহিন্দু পরিষদের অযোধ্যার এক (Ram Mandir) সদস্য বলেন, “লুটেরারা বলছে, যত পারেন দান করুন। ডায়েরিতে আপনার নাম এবং নম্বর লিখে রাখা হবে। যখন মন্দির নির্মাণের কাজ শেষ হবে, আপানাদের সকলকে অযোধ্যায় আমন্ত্রণ জানানো হবে। আমি অযোধ্যা থেকেই বলছি। লুটেরারা বলছে, আপনারা জানেন হিন্দু ও মুসলমান সম্প্রদায়ের মধ্যে লড়াই চলছে। মুসলমান সম্প্রদায় তাদের মন্দির তৈরি করার অনুমতি দিচ্ছে না। তাই তারা তাদের মন্দির নির্মাণে অর্থ সংগ্রহ করছে।”

    কী বললেন ভিএইচপি মুখপাত্র

    বনশল বলেন, “শ্রী রাম জন্মভূমি তীর্থক্ষেত্র ন্যায় কাউকে অর্থ সংগ্রহের অধিকার দেয়নি। আমি এ ব্যাপারে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকে চিঠি লিখেছি। উত্তরপ্রদেশের ডিজিপি ও দিল্লির পুলিশ কমিশনারকেও চিঠি পাঠিয়েছি। মানুষ যেন এই সব প্রতারকদের খপ্পরে না পড়েন সেজন্য কড়া ব্যবস্থা নিতে অনুরোধ করা হয়েছে। মানুষকেও এ ব্যাপারে সচেতন হবে হবে। এটা আনন্দের উৎসব। আমরা আমন্ত্রণপত্র পাঠাচ্ছি। আমরা কোনও ডোনেশন নিই না (Ram Mandir)।

    আরও পড়ুুন: ভারত-বিরোধী প্রচার, নিষিদ্ধ করা হল ভূস্বর্গে সক্রিয় তেহরিক-ই-হুরিয়তকে

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • JP Nadda: “অবিচার দূর করার চেষ্টা না করে ন্যায়যাত্রা করছে”, কংগ্রেসকে কটাক্ষ নাড্ডার

    JP Nadda: “অবিচার দূর করার চেষ্টা না করে ন্যায়যাত্রা করছে”, কংগ্রেসকে কটাক্ষ নাড্ডার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘ভারত জোড় যাত্রা’র পর এবার ‘ন্যায়যাত্রা’য় বেরিয়েছেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। তাকে নিশানা করলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা (JP Nadda)। রবিবার তিনি বলেন, “সমাজের অবিচার দূর করতে কোনও চেষ্টা যারা করে না, তারা এখন ন্যায়যাত্রার আয়োজন করছেন।” উত্তরপ্রদেশের লখনউয়ে আয়োজিত এক কর্মসূচিতে নাড্ডা ইন্ডি জোটকেও একহাত নিয়েছেন।

    ইন্ডি জোটকে নিশানা 

    তিনি বলেন, “প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি যখন দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছেন, তখন এই জোট দেশকে পিছন দিকে টেনে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছে।” নাড্ডা এদিন যোগ দিয়েছিলেন বিজেপির ‘ভিকসিট ভারত সংকল্প যাত্রা’ কর্মসূচিতে। লোকসভা নির্বাচনের আগে দেশবাসীকে কেন্দ্রীয় সরকারের বিভিন্ন প্রকল্পগুলি সম্পর্কে অবহিত করতেই পদ্ম-শিবিরের তরফে আয়োজন করা হয়েছে এই যাত্রার। মহিলাদের জন্য হাফ-ম্যারাথন দৌড়ের সূচনাও করেন নাড্ডা।

    আক্রমণ কংগ্রেসকে 

    বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি বলেন, “যেসব লোক ভারত ভাগ রুখতে কোনও চেষ্টা করেনি এত বছর দেশ শাসন করেও, তারাই পথে নেমেছিল ভারত জোড় যাত্রা করতে। সমাজে ঘটে যাওয়া নানা অবিচারের প্রতিকার করার চেষ্টা যারা করেনি, তারাই এখন ন্যায় যাত্রায় বেরিয়েছে। সেই সব মানুষ যারা পরিবারের বাইরে কিছু ভাবতেই পারেনি, তারাই আজ দেশের কথা বলছে।”

    প্রসঙ্গত, গত সপ্তাহেই কংগ্রেসের তরফে ঘোষণা করা হয়েছিল দলের প্রাক্তন সভাপতি রাহুল গান্ধীর নেতৃত্বে ভারত ন্যায় যাত্রা হবে। মণিপুর থেকে মুম্বই পর্যন্ত যাত্রা করবেন কংগ্রেস নেতা-কর্মীরা। এই যাত্রায় ১৪টি রাজ্য কভার করা হবে। পূর্ব থেকে পশ্চিমের ৮৫টি জেলা কভার করা হবে ৬৭ দিনে। ১৪ জানুয়ারি থেকে শুরু হবে যাত্রা। আগামী বছর মাঝ-এপ্রিলে হওয়ার কথা লোকসভা নির্বাচন। তার (JP Nadda) আগেই ভারত ন্যায় যাত্রা শেষ করে ফেলতে চাইছে কংগ্রেস। জানা গিয়েছে, ভারত ন্যায় যাত্রায় কভার করা হবে ৬ হাজার ২০০ কিমি রাস্তা। দেশবাসীর সামাজিক, অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক বিচারের দাবিতে ওই যাত্রা হবে।

    আরও পড়ুুন: “আত্মবিশ্বাসে ভরপুর ভারত, নতুন বছরেও যেন থাকে”, ‘মন কি বাতে’ বললেন মোদি

    বিজেপি-বিরোধী ২৬টি রাজনৈতিক দল গঠন করেছে ইন্ডি জোট। এই জোটে রয়েছে কংগ্রেসও। এদিন তাকেও একহাত নিয়েছেন নাড্ডা। নাড্ডা (JP Nadda) বলেন, “এক দিকে, আমাদের রয়েছেন মোদিজি। যিনি দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। আর অন্যদিকে, আমাদের আছে ইন্ডি জোট। যারা দেশকে উন্নয়ন থেকে পিছিয়ে দিতে চাইছে। তারা দেশকে টেনে নীচে নামাতে চাইছে। আর আমরা মোদিজির নেতৃত্বে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছি।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

     

     

  • Purba Medinipur: আয়কর দফতরের নজরে এবার পটাশপুরের তৃণমূল বিধায়ক

    Purba Medinipur: আয়কর দফতরের নজরে এবার পটাশপুরের তৃণমূল বিধায়ক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হিসাব বহির্ভূত সম্পত্তির হদিশ মেলায় আয়কর দফতরের নজরে এবার পটাশপুর (Purba Medinipur) তৃণমূল বিধায়ক। সূত্রে জানা গিয়েছে, গত দুই বছরের আয়ব্যয়ের হিসেব চাওয়া হয়েছে তাঁর কাছ থেকে। উল্লেখ্য, রাজ্যের শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি, রেশন দুর্নীতি, পুরসভা নিয়োগ দুর্নীতি ইত্যাদি নিয়ে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা শাসক দল তৃণমূলের একাধিক মন্ত্রী, বিধায়ক, নেতাকে গ্রেফতার করেছে। আবার কয়লা, গরু পাচারকাণ্ডে ইতিমধ্যে তৃণমূলের যুব নেতৃত্বের মধ্যে বিনয় মিশ্র দেশ ছেড়ে পালিয়াছেন। তৃণমূলের সর্ব ভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে ইডি তলব করেছে বেশ কয়েকবার। সম্প্রতি ইডি, হাইকোর্টে মুখবন্ধ খামে জমা দিয়েছে তাঁর সম্পত্তির হিসাব। ফলে ফের একবার পূর্ব মেদিনীপুরের (Purba Medinipur) তৃণমূল বিধায়ককে আয়কর দফতরে হিসাব চাইলে রাজ্য রাজনীতিতে উত্তেজনা ছড়ায়।

    আয়করের রিটার্ন জমা দেননি (Purba Medinipur)

    সূত্রে জানা গিয়েছে, পূর্ব মেদিনীপুরের (Purba Medinipur) পটাশপুরের তৃণমূল বিধায়ক উত্তম বারিকের আয়ব্যয় সংক্রান্ত বিষয়ে গোলমাল পাওয়া গিয়েছে। তিনি গত তিন বছর ধরে রিটার্ন জমা দেননি বলে জানা গিয়েছে। আর এই জন্যই আয়কর দফতর তাঁকে নোটিশ দিয়েছে। আগামী জানুয়ারির ৮ তারিখ তাঁকে আয়ব্যয় সংক্রান্ত নথি পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছে আয়কর দফতর। উল্লেখ্য, স্বশরীরে হাজিরার কথা বলা হয়নি তাঁকে। তবে নোটিশ যে তিনি পেয়েছেন সেই বিষয়ে তিনি নিজেই স্বীকার করেছেন। বিধায়ক অবশ্য জানিয়েছেন যে গত দুই বছরে আয়ব্যয় সংক্রান্ত রিপোর্ট বিষয়ে আইনজীবীদের সঙ্গে কথা বলে দফতরে পাঠাবেন।

    সাগর দিঘিরবিধায়কেও তাল্লাশি চালায় আয়কর

    কংগ্রেসের হয়ে সাগরদিঘিতে জয়লাভ করেছিলেন বায়রন বিশ্বাস। এরপর তিনি নবজোয়ার যাত্রায় অভিষেকের হাত ধরে তৃণমূলের যোগদান করে ছিলেন। কয়েকদিন আগেই বাড়িতে তল্লাশি চালায় আয়কর দফতর। তৃণমূল অবশ্য এই তাল্লশিকে রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কথা বলে ছিল। একই ভাবে পটাশপুরের (Purba Medinipur) বিধায়কে তলবের বিষয়কেও পালটা রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কথাই বলা হয়। প্রতিক্রিয়া দিয়ে বিজেপি জানিয়েছে, একদিন তৃণমূলের গোটা দলটাই জেলের ভিতরে ঢুকে যাবে।   

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share