Author: Krishnendu Bakshi

  • Howrah: মদের আসর থেকে মহিলাকে কটূক্তি সিভিক ভলান্টিয়ার-পুলিশের! প্রতিবাদে জুটল মার

    Howrah: মদের আসর থেকে মহিলাকে কটূক্তি সিভিক ভলান্টিয়ার-পুলিশের! প্রতিবাদে জুটল মার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যে যে কোনও উৎসবেই মদ বিক্রিতে চরম রমরমা। এই মদ পাওয়া যায় যত্রতত্র। বিহার, গুজরাটের মদ বন্ধ হলেও পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যে বন্ধ হয়নি মদ। উল্লেখ্য, জেলা আফগারি দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, রাজ্যের জেলাগুলির মধ্যে ঝাড়গ্রামে হয়েছে দুর্গাপুজোতে সবচেয়ে বেশি বিক্রির পরিমাণ। আর এই মদ্যপান করার পরই ঘটে থাকে যত অসামজিক কাজকর্ম। গতকাল সোমবার বড়দিনে হাওড়ায় (Howrah) এক সিভিক ভলান্টিয়ারের বাড়িতে বসেছিল মদের আসর। এরপর মদের আসর থেকেই চলল মহিলাকে কটূক্তি। প্রতিবাদ করতেই গ্রামবাসীদের জুটল উল্টে মার।

    ঘটনা হাওড়ার কোথায় ঘটেছে (Howrah)?

    স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, রাত বাড়লে রোজ বসে মদের আসর। সেই সঙ্গে চলে চিৎকার চেঁচামেঁচি, মদের বোতল ভাঙা এবং মহিলাদেরকে উদ্দেশ্যে করে চলে গালিগালাজ। আর এই ঘটনা সংগঠিত করে খোদ পুলিশের কর্মীরাই। পালটা প্রতিবেশীরা প্রতিবাদ করলে পুলিশেরাই আবার দৌরাত্ম্য চালায়। অভিযোগ আরও ওঠে  রীতিমতো লাঠি নিয়ে আক্রমণ চালিয়েছিল পুলিশ কর্মীরা। ঘটনায় তীব্র শোরগোল পড়েছে হাওড়ার উলুবেড়িয়ার (Howrah) রাজাপুর থানার মল্লিকপোল জগদীশপুর এলাকায়।

    স্থানীয়দের বক্তব্য

    স্থানীয়রা বলেন, রাজাপুর (Howrah) থানায় কনস্টেবল ধর্মা দাস এবং তাঁর সঙ্গে আরও কয়েকজন সিভিক ভলান্টিয়ার মিলে রোজ মদের আসর বসায় বাড়িতে। মদ খেতে খেতে নেশায় বুদ হয়ে শুরু করে উৎপাত। সেই সঙ্গে চলে তাণ্ডব। কাঁচের বোতল ভাঙা চলে। এমনকী এলাকার মহিলাদেরকে উদ্দেশ্যে করে চলে তুমুল গালিগালাজ।

    গতকাল বড়দিনের রাতে বসেছিল মদের আসর। এরপর মাতাল পুলিশদের উৎপাতের মাত্রা ছাড়ালে গ্রামবাসীরা প্রতিবাদ শুরু করে। কিন্তু পালটা পুলিশ প্রতিবাদীদের লাঠি দিয়ে ব্যাপক মারধর করে। ফলে পুলিশের বিরুদ্ধেই যেখানে অভিযোগ, সেখানে মানুষ নিজেদের কথা জানাবেন কোথায়? সরকার প্রশানের কাজ হল মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে মানুষের জীবনকে সুরক্ষিত করা। আর এখানে এই পুলিশই স্বয়ং কাঠগড়ায়। একই রকম ঘটনায় অভিযোগের আঙুল উঠেছে চাকদহ পুলিশের বিরুদ্ধেও।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Ram Mandir: আত্মনির্ভর রাম মন্দির, মিলবে সব রকমের নাগরিক পরিষেবা

    Ram Mandir: আত্মনির্ভর রাম মন্দির, মিলবে সব রকমের নাগরিক পরিষেবা

    শুভ্র চট্টোপাধ্যায়, অযোধ্যা

    সকাল ১১টা থেকে ‘রামজন্মভূমি তীর্থক্ষেত্র ট্রাস্ট’-এর সাংবাদিক বৈঠক। সারা দেশ থেকে হাজির সংবাদ মাধ্যমের প্রতিনিধি। আমরা পৌঁছাতেই দেখলাম বিরাট জেড ক্যাটাগরির কনভয় নিয়ে ঢুকছেন উপমুখ্যমন্ত্রী কেশব প্রসাদ মৌর্য। তাঁর সঙ্গেই এলেন তীর্থ ক্ষেত্র ট্রাস্টের সাধারণ সম্পাদক চম্পক রাই। আধঘণ্টার সাংবাদিক সম্মেলনের পরেই আমাদের নিয়ে যাওয়া হল রাম মন্দির প্রাঙ্গণে। সেখানেও ঢোকার মুখে বোঝা গেল কেন রাম মন্দির (Ram Mandir) এত বিশেষ! ভারতের আর কোনও মন্দিরে বোধহয় এত নিরাপত্তার বলয় থাকে না। মন্দির চত্বরে দেখা গেল কয়েক হাজার নির্মাণ কর্মী এক নাগাড়ে কাজ করে চলেছেন। সময় যে বড় কম! প্রভু রামচন্দ্র ঘরে ফিরবেন তাও আবার ৫০০ বছর পরে। একি কম আনন্দের! জানা গেল সেখানে অনেক আইআইটি পাশ ইঞ্জিনিয়ারও কাজ করছেন। সম্পূর্ণ স্বেচ্ছাশ্রম।

    ট্রাস্টের সাংবাদিক বৈঠকে কোন কোন দিক উঠে এল?

    ট্রাস্টের সাধারণ সম্পাদক চম্পক রাই জানিয়েছেন, সব দিক থেকেই আত্মনির্ভর হতে চলেছে এই মন্দির (Ram Mandir)। নিকাশী থেকে জল, বিদ্যুৎ থেকে চিকিৎসাকেন্দ্র সবই থাকছে ভিতরে। অর্থাৎ রাম মন্দির যেন আলাদা একটা ব্যবস্থা। সরকারের কোনও সাহায্যই লাগবে না। উত্তর ও দক্ষিণ ভারতীয় রীতির মেলবন্ধনে তৈরি হচ্ছে মন্দির। প্রসঙ্গত, দক্ষিণ ভারতীয় মন্দির রীতি ‘গোপুরম’ নামে পরিচিত এবং উত্তর ভারতীয় মন্দির রীতিকে নাগারা বলে। এই দুই রীতির ছোঁয়া দেখা যাবে রাম মন্দিরে। অন্যদিকে ভগবান শঙ্করাচার্যের ভাবনা অনুযায়ী ‘পঞ্চায়তন’ ধারণার ছোঁয়াও দেখা যাবে মন্দির চত্বরে। ‘পঞ্চায়তন’ হল পাঁচ দেবদেবীর মন্দির। সূর্য, শঙ্কর, ভগবতী, গণপতি এবং বিষ্ণু। মূল রাম মন্দিরের চার দিকে এই মন্দিরগুলি থাকবে। ভগবান রামকেই বিষ্ণুর অবতার মানা হয় তাই আলাদাভাবে কোনও বিষ্ণু মন্দির থাকছে না।

    আত্মনির্ভর রামমন্দির

    অযোধ্যার সাংবাদিক সম্মেলনে চম্পক রাই জানান, মন্দির (Ram Mandir) চত্বরেই থাকবে পাওয়ার স্টেশন। যেখান থেকে বিদ্যুৎ বন্টন করা মন্দিরের বিভিন্ন বিভাগে। আবার জল সরবরাহের জন্য তৈরি হচ্ছে মন্দিরের নিজস্ব ওয়াটার প্ল্যান্টও। রামমন্দিরের ঠিক পিছনে থাকবে দিব্যাঙ্গদের জন্য লিফটও। রামমন্দির ট্রাস্টের মতে, ‘‘লাখ লাখ দর্শনার্থী আসবেন মন্দির দর্শনে। তাঁরা পরিক্রমা করবেন মন্দির। তাই তাঁদের জন্য সমস্ত রকমের পরিষেবার ব্যবস্থা করা হবে।’’ মন্দির চত্বরেই মিলবে চিকিৎসা ব্যবস্থাও। গড়ে উঠছে স্বাস্থ্য কেন্দ্র। আবার ভক্তরা যাতে বিশ্রাম নিতে পারেন সেজন্য তৈরি হচ্ছে বিশ্রামাগারও। জানা গিয়েছে রেলের মতোই হবে এই বিশ্রামাগার। যেখানে ভক্তরা নিজেদের মোবাইল, জুতো, ব্যাগ ইত্যাদি সামগ্রী রাখতে পারবেন। এরজন্য আলাদা কোনও চার্জও দিতে হবে না।

    বশিষ্ট থেকে অহল্যা, বিশ্বামিত্র থেকে নিষাদ রাজের মন্দিরও তৈরি হচ্ছে

    রামজন্মভূমি প্রাঙ্গণে মন্দির (Ram Mandir) তৈরি হবে আরও বেশ কতগুলি। ভগবান রাম চন্দ্রের জীবনে বিশেষ অবদান রয়েছে যাঁদের তাঁদেরও মন্দির তৈরি হবে। বাল্মিকী, বশিষ্ঠ, বিশ্বামিত্র, অগস্ত্য, মাতা শবরী, নিষাদরাজ গোহু, অহল্যা এই সাত মন্দির থাকবে রামন্দিরের প্রাঙ্গণে। অর্থাৎ ভক্তরা মন্দির চত্বরে এলেই আরেকবার রামায়ণ মহাকাব্যকেই চাক্ষুষ করতে পারবেন। রামের জীবনে অবদান ছিল জটায়ুরও। তাঁর মূর্তি ইতিমধ্য়ে কুবের টিলাতে স্থাপন করা হয়েছে। 

    ৭০ একর জায়গার মধ্যে ২০ একরে তৈরি হচ্ছে রাম মন্দির

    এদিনের সাংবাদিক বৈঠকে ট্রাস্টের সাধারণ সম্পাদক চম্পক রাই জানিয়েছেন, সুপ্রিম কোর্টের রায়ে ৭০ একর জমি পেয়েছি আমরা। কিন্তু এর মধ্যে ২০ একর জায়গা জুড়ে অবস্থান করবে মন্দির প্রাঙ্গণ। বাকি জায়গায় ১০০-এরও বেশি বৃক্ষরোপণ করা হবে বলে জানিয়েছে তীর্থক্ষেত্র ট্রাস্ট। এদিন চম্পত রাই আরও বলেন, ‘‘৭০ একর জায়গার একেবারে উত্তর দিকেই তৈরি হচ্ছে রাম মন্দির। সমগ্র ভূমির যে প্লট নিয়ে বিবাদ এবং বিতর্ক ছিল সেই স্থানেই তৈরি হচ্ছে মন্দির।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Cooch Behar: বিজেপির মণ্ডল সভাপতির উপর তৃণমূল মন্ত্রীপুত্রের হামলা, শোরগোল

    Cooch Behar: বিজেপির মণ্ডল সভাপতির উপর তৃণমূল মন্ত্রীপুত্রের হামলা, শোরগোল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শাসক দলের মন্ত্রী, নেতা-নেত্রী এবং কর্মীরা বিরোধী দলের সমর্থকদের উপর আক্রমণ হামলার ঘটনার কথা বার বার সংবাদ শিরোনামে উঠে এসেছে। রাজ্যে যে বিরোধীদের মত প্রকাশ এবং গণতন্ত্রর অধিকার নেই এই বিষয়ে বারবার অভিযোগ তুলে সরব হয়েছে বিজেপি। উত্তরবঙ্গের উন্নয়নমন্ত্রী উদয়ন গুহের ছেলে সায়ন্তন এলাকার বিজেপির মণ্ডল সভাপতির উপর হামলার ঘটনায় তীব্র উত্তেজনা ছড়িয়েছে। বিজেপির পক্ষ থেকে কোচবিহার (Cooch Behar) পুলিশের কাছে মন্ত্রীপুত্রের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। তৃণমূলের অবশ্য দাবি ঘটনার সঙ্গে কোনও ভাবেই যুক্তনন মন্ত্রীপুত্র।

    ঘটনা কীভাবে ঘিটেছে (Cooch Behar)?

    গত শুক্রবার দিনহাটার (Cooch Behar) ঝুড়িপাড়ায় তৃণমূল দুষ্কৃতীদের একটি দল বিজেপির নেতা-কর্মী-সমর্থকদের ব্যাপক মারধর করে। জানা গিয়েছে, বিজেপি মণ্ডল সভাপতি ঈশ্বর দেবনাথের বাড়িতে বৈঠক চলাকালীন সেখানে আচমকা হামলা করে তৃণমূলের গুন্ডারা। এরপর মণ্ডল সভাপতিকে ছুরি দিয়ে আঘাত করা হয়। এই হামলার পিছনে প্রত্যক্ষ নেতৃত্ব দেন মন্ত্রীপুত্র। অবশ্য জেলা কোচবিহারের পুলিশ সুপার দ্যুতিমান ভট্টাচার্য বলেন, “অভিযোগ খতিয়ে দেখা হচ্ছে।”

    বিজেপির বক্তব্য

    বিজেপির তরফ থেকে জেলা (Cooch Behar) বিজেপির সাধারণ সম্পাদক অজয় রায় বলেন, “মন্ত্রীপুত্র সায়ন্তন এই ঘটনার সঙ্গে প্রত্যক্ষ ভাবে জড়িত। একই ভাবে আমাকেও মারধর করা হয়। ঈশ্বর দেবনাথের স্ত্রী তৃণমূলের মন্ত্রী পুত্র সহ ৩৪ জনের বিরুদ্ধে পুলিশের কাছে লিখিত ভাবে অভিযোগ জানান।”

    তৃণমূলের বক্তব্য

    ঘটনার কথা অস্বীকার করে মন্ত্রী উদয়ন গুহ (Cooch Behar) বলেন, “আমাকে হেনস্থা করতেই এই অভিযোগ। ছেলেকে এলাকার প্রত্যেকেই চেনে। পুলিশ ঘটনার নিরপেক্ষ তদন্ত করুক।” আবার ঘটনায় বিজেপির সমালোচনা করে তৃণমূল মন্ত্রী উদয়ন গুহের ছেলে সায়ন্তন গুহ বলেন, “আমার বাবাকে নানা ভাবে বিব্রত করা হচ্ছে। বিজেপির অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা। তবে এইভাবে তৃণমূল কর্মীদের আটকে রাখা যাবনা। বিজেপি তৃণমূলকে বদনাম করার চেষ্টা করছে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • South 24 Parganas: এলাকাবাসীর চোখের সামনে দিয়ে খাল টপকে গেল বাঘ! এলাকায় তীব্র আতঙ্ক

    South 24 Parganas: এলাকাবাসীর চোখের সামনে দিয়ে খাল টপকে গেল বাঘ! এলাকায় তীব্র আতঙ্ক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এলাকাবাসীর চোখের সামনে দিয়ে খাল টপকে গেল বাঘ! জঙ্গলে গর্জন করে জানিয়ে দিল দক্ষিণরায় এখন উপেন্দ্রনগর জঙ্গলে রয়েছে। আর এই বাঘের গর্জন শুনেই দক্ষিণ ২৪ পরগনার (South 24 Parganas) লোকালয়ে তীব্র উত্তেজনা ছড়িয়েছে বলে জানা গিয়েছে।এডিএফও অনুরাগ চৌধুরির নেতৃত্বে বনদফতরের একটি বিশেষ দল পৌঁছে গিয়েছে বলে জানা গিয়েছে। তিনি জানান, “নাইলনের জাল দিয়ে ঘিরে ফেলা হয়েছে গ্রাম লাগোয়া জঙ্গল।” রামগঙ্গা, ধনচি ও রায়দিঘি রেঞ্জের অফিসারেরা উপস্থিত হয়েছেন ঘটনাস্থলে।

    লোকালয়ে সংলগ্ন জঙ্গলে বাঘ (South 24 Parganas)

    লোকালয় সংলগ্ন জঙ্গলে বাঘের পায়ের ছাপ দেখে যেন বিশ্বাসই হচ্ছিল না প্রকৃত বাঘ আসতে পারে এই এলাকায়। কিন্তু এবার এলাকাবাসীর চোখের সামনে দিয়ে খাল টপকে গেল বাঘ এবং বনদফতরের কর্মীদের কানে পৌঁছালো বাঘের গর্জন। ঠিক তারপরেই বাঘ তাড়ানোর তোড়জোড় শুরু করল সুন্দরবন বনদফতর। এই প্রচন্ড ঠান্ডার মধ্যে সারা রাত্রি বনদফতর কর্মীদের সঙ্গে এলাকার মানুষেরা নদী বাঁধে পাহারা দেন। আজ সকাল থেকে শুরু হল নদীর জঙ্গলে জাল ঘেরার কাজ। এলাকায় বাঘকে ঘিরে তীব্র শোরগোল পড়েছে।

    দুমাস ধরে বাঘ ধরার প্রচেষ্টা

    উল্লেখ্য, দুমাস ধরে বাঘের আতঙ্ক চলছে পাথরপ্রতিমা এলাকায়। কখনও শ্রীধরনগর, কখনও সীতারামপুর ইন্দ্রপুর, রাখালপুর আবার উপেন্দ্রনগর এলাকায় বাঘের পায়ের ছাপ দেখা যাচ্ছে। বনদফতরের কর্মীরা গত দুমাস ধরে ঘর ছেড়ে জঙ্গলে নৌকায় বসবাস শুরু করেছে, বাঘের খোঁজে চলছে প্রতিদিন তল্লাশি। শেষ পর্যন্ত আজ উপেন্দ্রনগর ঠাকুরান নদীর চরে বাঘের গর্জন শুনে দক্ষিণ রায় সেইখানেই আছে বলে অনুমান করা হচ্ছে। এরপর শুরু হয়েছে বাঘ ধরার প্রস্তুতি। এখন দেখার দুমাস ধরে যে বাঘ খাঁচায় ঢোকেনি, শ্রীধরনগর (South 24 Parganas) জঙ্গলে খাঁচায় ঢোকে কিনা! এবার যদি খাঁচায় ঢুকে বনদফতর যেমন খুশি হবে তেমনি এলাকাবাসীরও আতঙ্ক কাটবে।

    স্থানীয় মানুষের বক্তব্য

    স্থানীয় (South 24 Parganas) চিত্তরঞ্জন মাইতি বলেন, “গতকাল থেকে আমরা বন দফতরের কর্মীর সঙ্গে রাতভর মশাল জ্বালিয়ে অভিযান করে তাল্লাশি চালিয়েছি। বাঘের গর্জনের শব্দ শুনতে পেয়েছি আমরা। আজ সকাল ৯ টা থেকে অভিযান চলছে। নদীর ধারে বনদফতরের সহযোগিতায় এলাকায় জাল দিয়ে ঘেরার কাজ চলছে। সাধারণ মানুষকে অনুরোধ করবো অযথা আতঙ্কিত হবেন না বনদফতরের কর্মীরা সুরক্ষার বিষয়ে কাজ করছেন।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Indian Passengers: মুম্বইয়ে অবতরণ ফ্রান্সে আটক সেই বিমানের, ফিরলেন ২৭৬ জন ভারতীয়

    Indian Passengers: মুম্বইয়ে অবতরণ ফ্রান্সে আটক সেই বিমানের, ফিরলেন ২৭৬ জন ভারতীয়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মানব পাচারের অভিযোগে যাত্রিবাহী একটি বিমানকে ফ্রান্সের বিমানবন্দরে আটকে রেখেছিল সে দেশের প্রশাসন। বিমানটি যাচ্ছিল নিকারাগুয়ার উদ্দেশে। যাত্রীদের মধ্যে ভারতীয় (Indian Passengers) ছিলেন ৩০৩ জন। রবিবার ফ্রান্সের আদালত জানিয়ে দেয়, ফান্স ছাড়তে পারবেন ভারতীয় যাত্রীরা। ফ্রান্স ছাড়ার অনুমতি দেওয়া হয় আটক করা চাটার্ড বিমানটিকেও। প্রশাসনিক অনুমতি মেলায় সোমবার দুপুরে ফ্রান্সের শালোন-ভ্যাত্রি বিমানবন্দর থেকে ভারতের উদ্দেশে রওনা দেয় বিমানটি। মঙ্গলবার ভোর চারটে নাগাদ সেটি ছোঁয় মুম্বই বিমানবন্দরের মাটি। যদিও ফ্রান্সে রয়ে গিয়েছেন দুই শিশু সহ মোট ২৭ জন যাত্রী।

    ফ্রান্সে অবতরণ বিমানটির

    ঘটনার সূত্রপাত গত শুক্রবার। জ্বালানি ভরতে ফ্রান্সের শালোন-ভ্যাত্রি বিমানবন্দরে নামে ওই চাটার্ড বিমানটি। যাত্রীদের মধ্যে ছিল ১১টি শিশু, যাদের অভিভাবক বিমানটিতে ছিলেন না। ফরাসি প্রশাসনের সন্দেহ হয়, শিশুগুলিকে পাচারের উদ্দেশ্যেই নিকারাগুয়া নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। এর পরেই আটক করা হয় বিমানটিকে (Indian Passengers)। থাকা-খাওয়ার যাবতীয় ব্যবস্থা করা হয় সে দেশের প্রশাসনের তরফে। বিষয়টি ততক্ষণাৎ জানানো হয় ভারতীয় দূতাবাসে। ঘটনাস্থলে যান দূতাবাসের আধিকারিকরা। প্রথমে জেরা করা হয় বিমান ক্রু-দের। বিমানটির যাত্রীদেরও জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। প্রসঙ্গত, ফ্রান্সে মানব পাচারে কেউ দোষী সাব্যস্ত হলে সর্বোচ্চ ২০ বছরের জেল হয়।

    বিমানটি রোমানিয়ার

    জানা গিয়েছে, বিমানটিতে থাকা ভারতীয় যাত্রীরা সংযুক্ত আরব আমিরশাহিতে কাজ করতেন। নিকারাগুয়া হয়ে আমেরিকা বা কানাডায় যাওয়ার কথা ছিল তাঁদের। যে বিমানটিকে নিয়ে এত কাণ্ড, সেটি রোমানিয়ার একটি সংস্থার। বিমানকাণ্ডের মামলা গড়ায় ফরাসি আদালতে। রবিবার আদালত নির্দেশ দেয়, বিমানটির ভারতীয় যাত্রীরা ফ্রান্স ছাড়তে পারবেন। বিমানটিও যেতে পারে ফ্রান্স ছেড়ে। আদালতের রায় মেলার পর দুই নাবালক সহ ২৫ জন যাত্রী ফ্রান্সে থেকে যাওয়ার জন্য আবেদন করেছিলেন। তাঁদের বাদ দিয়েই ২৭৬ জন যাত্রী নিয়ে ভারতের মাটি ছোঁয় রোমানিয়ার ওই বিমানটি (Indian Passengers)।

    আরও পড়ুুন: কোন আইনে সমাবর্তন যাদবপুরে? আদালতে যাচ্ছেন রাজ্যপাল!

    উল্লেখ্য, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে আশ্রয়প্রার্থীদের জন্য নিকারাগুয়া ক্রমেই একটি জনপ্রিয় গন্তব্য হয়ে উঠছে। ইউএস কাস্টমস অ্যান্ড বর্ডার পেট্রোল সূত্রে খবর, চলতি আর্থিক বর্ষে এ পর্যন্ত অবৈধভাবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের চেষ্টা করেছে ৯৬ হাজার ৯১৭ জন ভারতীয়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • CV Ananda Bose: কোন আইনে সমাবর্তন যাদবপুরে? আদালতে যাচ্ছেন রাজ্যপাল!  

    CV Ananda Bose: কোন আইনে সমাবর্তন যাদবপুরে? আদালতে যাচ্ছেন রাজ্যপাল!  

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আচার্যের অনুমতি ছাড়াই হয়েছে সমাবর্তন। সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল অন্তর্বর্তী উপাচার্যকেও। এই উপাচার্যকেই বিশেষ ক্ষমতা দিয়ে রবিবার সমাবর্তন উৎসব করিয়েছেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। অনুষ্ঠান মঞ্চে ঠায় বসেছিলেন সদ্য পদ খোয়ানো অন্তর্বর্তী উপাচার্য। তবে সমাবর্তনে তাঁর স্বাক্ষরিত শংসাপত্রই বিলি করা হয়েছে ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে। অনুমতি ছাড়াই সমাবর্তন করায় এবার আদালতের দ্বারস্থ হতে চলেছেন রাজ্যপাল তথা বিশ্ববিদ্যালয়গুলির আচার্য সিভি আনন্দ বোস (CV Ananda Bose)। রাজভবন সূত্রেই এ খবর মিলেছে।

    পড়ুয়াদের উদ্বেগ

    জানা গিয়েছে, সমাবর্তনের শংসাপত্রে উপাচার্য হিসেবে বুদ্ধদেব সাউয়ের স্বাক্ষর থাকায় রাজ্যপালকে মেইল করে উদ্বেগের কথা জানিয়েছেন কয়েকজন পড়ুয়া। এই সার্টিফিকেট নিয়ে পরে কোনও সমস্যা হতে পারে কিনা, সেই আশঙ্কাও প্রকাশ করেছেন তাঁরা। বিষয়টি খতিয়ে দেখতে একটি কমিটিও তৈরি করেছে রাজভবন। সমাবর্তন করতে উচ্চ শিক্ষা দফতরের সবুজ সঙ্কেত, শংসাপত্র প্রাপকদের হাতে সহ-উপাচার্যের ডিগ্রি তুলে দেওয়া এবং সেই শংসাপত্রে সদ্য অপসারিত উপাচার্য বুদ্ধদেবের স্বাক্ষর থাকা – এসব নিয়ে আইনি পরামর্শ নিয়েছেন রাজ্যপাল (CV Ananda Bose)। বেশ কয়েকজন শিক্ষাবিদের সঙ্গেও কথা বলেছেন। মতামত নিয়েছেন অন্তর্বর্তী উপাচার্যদের। এ সব ক্ষেত্রের মতই হল, এভাবে সমাবর্তন করা যায় না। পুরোটাই বেআইনি।

    রাজ্যপালই বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য

    রাজ্যপালই পদাধিকার বলে রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলির আচার্য। তাই রাজভবনের দাবি, কোনও বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তনের বিষয়ে আইনত কিছু বলতে পারে না রাজ্য সরকার। সমাবর্তনে সহ-উপাচার্যেরও কোনও ভূমিকা থাকতে পারে না। যেসব বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য নেই, সেখানে তাঁর কাজের দায়িত্ব অন্য কাউকে দিতে পারেন কেবলই আচার্য। উপাচার্য থাকলে অবশ্য অন্য কথা। সেক্ষেত্রে তিনি দায়িত্ব দিতে পারেন তাঁর অধীনস্থ কাউকে। সেক্ষেত্রে আবার আইন অনুযায়ী নিযুক্ত কিংবা আচার্য মনোনীত অন্তর্বর্তী উপাচার্য তা করতে পারেন।

    আরও পড়ুুন: খসল পরাধীনতার গ্লানি! দেশে কার্যকর ভারতীয় ন্যায় সংহিতা আইন

    যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্ষেত্রে বিষয়টি এমনতর ছিল না। কারণ রবিবার সমবর্তনের ঠিক আগের দিন দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয় অন্তর্বর্তী উপাচার্যকে। তাই তিনি তখন উপাচার্য নন, কেবলই শিক্ষক। সেক্ষেত্রে পড়ুয়াদের হাতে শংসাপত্র তুলে দিয়েছেন সহ- উপাচার্য অমিতাভ দত্ত। যা আইনানুগ নয় বলেই মনে করছে রাজভবন। সেই কারণেই আদালতের দ্বারস্থ হতে চলেছেন রাজ্যপাল (CV Ananda Bose)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • NewsClick: রাজসাক্ষী হতে চান নিউজক্লিকের এইচআর-প্রধান অমিত চক্রবর্তী!

    NewsClick: রাজসাক্ষী হতে চান নিউজক্লিকের এইচআর-প্রধান অমিত চক্রবর্তী!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার রাজসাক্ষী হওয়ার আবেদন জানালেন নিউজ পোর্টাল নিউজক্লিকের (NewsClick) হিউম্যান রিসোর্স বিভাগের প্রধান অমিত চক্রবর্তী। দিল্লি কোর্টে এই আবেদন জানিয়েছেন তিনি। ইউএপিএ ধারায় অভিযুক্ত অমিত। বিদেশি তহবিল লঙ্ঘনের অভিযোগে এই সংবাদ মাধ্যমের বিরুদ্ধে তদন্তে নামে সিবিআই।

    নিউজক্লিকের বিরুদ্ধে অভিযোগ

    অভিযোগ, চিন সহ নানা বিদেশি সংস্থার কাছ থেকে টাকা নিয়ে ভুয়ো খবর ছড়িয়েছে এই নিউজ পোর্টাল। সেই সঙ্গে কাশ্মীর ও অরুণাচল প্রদেশকে যাতে ভারতের অংশ হিসেবে দেখানো না হয়, সেই চেষ্টাও এই নিউজ পোর্টাল করেছিল বলে অভিযোগ। উনিশের লোকসভা নির্বাচন ভণ্ডুলের চেষ্টাও সংবাদ মাধ্যমটি করেছিল বলে অভিযোগ। সংস্থার (NewsClick) বিরুদ্ধে বেশ কয়েকটি এফআইআর দায়ের হয়। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডির অভিযোগ, ২০১৮ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত এই অর্থ নেওয়া হয়েছে। অভিযোগ পেয়েই একুশেই নিউজক্লিকের অফিসে হানা দেয় ইডি। মাস দুয়েক আগে তল্লাশি চালায় সিবিআইও। গ্রেফতার করা হয় প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক প্রবীর পুরকায়স্থ ও হিউম্যান রিসোর্স বিভাগের প্রধান অমিত চক্রবর্তীকে।

    অমিতের আবেদন

    অক্টোবরের ৩ তারিখে দিল্লি পুলিশের স্পেশাল সেল প্রবীরকে গ্রেফতার করে। তার পরেই ৪০০ জন পুলিশ কর্মী দিল্লি, নয়ডা, গুরগ্রাম, মুম্বই ও গাজিয়াবাদের ৩০টি ঠিকানায় হানা দেন। এফআইআরে দিল্লি পুলিশ জানিয়েছে, চিন থেকে এই পোর্টালে ৭৫ কোটি টাকা পাঠানো হয়েছে। ভারতের সার্বভৌমত্ব খর্ব করতেই ওই টাকা দেওয়া হয়েছে নিউজক্লিককে। দেশে অস্থিরতা সৃষ্টি করাও উদ্দেশ্য ছিল তাদের। গত সপ্তাহেই অমিত ক্রিমিনাল প্রসিডিওর কোডের ৩০৬ ধারায় আবেদন করেছিলেন আদালতে। এই ধারায় বলা হয়েছে, যদি অভিযুক্ত ব্যক্তি তাঁর জ্ঞান মতো তদন্তে সাহায্য করবেন, এবং ঘটনায় কারা জড়িত, তাঁদের নামধাম জানাবেন বলেন, তাহলে আদলত ক্ষমা করার একটি সুযোগ পাবে। সেই সুযোগের সদ্ব্যবহার করতেই ওই ধারায় আবেদন করেছিলেন নিউজক্লিকের হিউম্যান রিসোর্স বিভাগের প্রধান।

    আরও পড়ুুন: অভিন্ন দেওয়ানি বিধির পথ চলা শুরু হচ্ছে উত্তরাখণ্ড থেকে!

    অমিতের আবেদন সেশন কোর্ট পাঠায় মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে। তিনি যে রাজসাক্ষী হতে চান, সেই বিষয়টি খতিয়ে দেখে সিদ্ধান্ত নেবেন মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট। প্রসঙ্গত, নিউজক্লিক মামলায় ২২ ডিসেম্বর আদালতে তদন্তের জন্য আরও কিছুটা সময় চেয়ে পাতিয়ালা হাউস কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল দিল্লি পুলিশ। এমতাবস্থায় রাজসাক্ষী হওয়ার আবেদন (NewsClick) অমিতের।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

     
  • UCC: অভিন্ন দেওয়ানি বিধির পথ চলা শুরু হচ্ছে উত্তরাখণ্ড থেকে!

    UCC: অভিন্ন দেওয়ানি বিধির পথ চলা শুরু হচ্ছে উত্তরাখণ্ড থেকে!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উত্তরাখণ্ডেই ‘ডেবিউ’ হতে চলেছে অভিন্ন দেওয়ানি বিধি (UCC)! নতুন বছরের মাঝ-এপ্রিলে হতে পারে লোকসভা নির্বাচন। তার আগেই দীর্ঘদিনের প্রতিশ্রুতি পূরণ করতে চলেছে বিজেপি। জম্মু-কাশ্মীর থেকে প্রত্যাহৃত হয়েছে ৩৭০ ধারা। রাম মন্দির নির্মাণের প্রতিশ্রুতিও পূরণ হতে চলেছে জানুয়ারির ২২ তারিখে। গেরুয়া শিবির সূত্রে খবর, পদ্ম শিবির এবার মনোনিবেশ করতে চলেছে অভিন্ন দেওয়ানি বিধি লাগুর বিষয়ে।

    কোথায় লাগু হচ্ছে অভিন্ন দেওয়ানি বিধি?

    জানা গিয়েছে, নতুন বছরের গোড়ায়ই অভিন্ন দেওয়ানি বিধি লাগু করতে চলেছে উত্তরাখণ্ড সরকার। তার পর একে একে এই আইন লাগু হবে বিজেপি শাসিত উত্তরপ্রদেশ, মধ্যপ্রদেশ, গুজরাট, রাজস্থান, ছত্তিশগড়, হরিয়ানা, মহারাষ্ট্র, অসম, ত্রিপুরা এবং মণিপুরে (UCC)। বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি জিতলেই অভিন্ন দেওয়ানি বিধি কার্যকরের প্রক্রিয়া শুরু হবে বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিং ধামী। গত বছর নির্বাচনে জয়ের পরেই রাজ্যে এই আইন লাগু করতে উদ্যোগী হন তিনি।

    আইনি প্রক্রিয়া খতিয়ে দেখতে কমিটি

    এই বিধি কার্যকরের আইনি প্রক্রিয়া খতিয়ে দেখতে সুপ্রিম কোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি রঞ্জনা প্রকাশ দেশাইয়ের নেতৃত্বে একটি কমিটিও গড়েছিল ধামী সরকার। সরকার জানিয়েছিল, সব ধর্মের মানুষের জন্য বিবাহ, বিবাহবিচ্ছেদ, জমি-সম্পত্তি ও উত্তরাধিকার সংক্রান্ত একই আইন প্রচলনের রূপরেখা তৈরি করবে ওই কমিটি। দেশাই ছাড়াও কমিটিতে ছিলেন অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি প্রমোদ কোহলি, সমাজকর্মী মনু গৌড়, অবসরপ্রাপ্ত আইএএস অফিসার শত্রুঘ্ন সিংহ এবং দুন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সুরেখা ডাঙ্গওয়াল। এই কমিটি অভিন্ন দেওয়ানি বিধি লাগুর বিষয়ে উত্তরাখণ্ডের ২ লক্ষ ৩০ হাজার মানুষের মতামত নিয়েছে। যাঁদের মতামত নেওয়া হয়েছে তাঁরা সমাজের বিভিন্ন অংশের মানুষ।

    আরও পড়ুুন: বিজেপির চাপেই কি হিজাব নিয়ে ঢোঁক গিলল কর্নাটকের কংগ্রেস সরকার?

    বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলিতে অভিন্ন দেওয়ানি বিধি লাগুর পাশাপাশি কেন্দ্রীয় স্তরেও বিষয়টি নিয়ে শুরু হয়েছে সক্রিয়তা। গত ১৪ জুন ২২তম আইন কমিশনের তরফে অভিন্ন দেওয়ানি বিধি চালুর বিষয়ে মতামত জানতে চাওয়া হয়েছিল বিভিন্ন ধর্মীয় সংগঠন ও আমজনতার। এই জনমত সংগ্রহের সময়সীমা প্রথমে দেওয়া হয়েছিল এক মাস। পরে কয়েক দফায় বৃদ্ধি করা হয়েছে এর মেয়াদ (UCC)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

     
     

     

  • TET Exam 2023: বন্ধু অঙ্কে দুর্বল, টেট পরীক্ষায় পাশ করাতে হাইটেক প্রযুক্তির জালিয়াতি!

    TET Exam 2023: বন্ধু অঙ্কে দুর্বল, টেট পরীক্ষায় পাশ করাতে হাইটেক প্রযুক্তির জালিয়াতি!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বন্ধু অঙ্কে দুর্বল, কিন্তু বন্ধুকে টেট পরীক্ষায় (TET Exam 2023) পাশ করাতে গিয়ে জালিয়াতিকাণ্ডে পুলিশের কাছে ধৃত দুই যুবক। জানা গিয়েছে, পরীক্ষার হলে ‘হাইটেক প্রযুক্তি’র ব্যবহার করে মোবাইল এবং ন্যানো ট্রান্সমিটারের সাহায্যে পরীক্ষা কেন্দ্রের বাইরে থেকে সাহায্য নিয়ে করা হচ্ছিল নকল। এরপর অঙ্কের উত্তর বলে দেওয়া হচ্ছিল বন্ধুকে। কিন্তু এই ঘটনা শিক্ষক এবং শিক্ষাকর্মীদের নজরে আসতেই ধরে ফেলা হয় তাদেরকে। ঘটনায় তীব্র উত্তেজনা ছড়িয়েছে নদিয়ার কৃষ্ণনগরের কালীনগর উচ্চ বিদ্যালয়ে।

    ধৃত যুবকদের পরিচয় কী (TET Exam 2023)?

    পুলিশ এবং স্থানীয়সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃতদের একজনের নাম সন্দীপ কুটি এবং অপর যুবকের নাম দেবাশিষ মৃধা। দুই জনের বাড়ি হল নদিয়ার ধানতলা থানার বাহিরগাছি অঞ্চলে। তারা পরীক্ষা দিতে গিয়েছিলেন কালীনগর উচ্চ বিদ্যালয়ে। পরস্পরের মধ্যে একে অপরকে টেট পরীক্ষায় (TET Exam 2023) সহযোগিতা করবে বলে কথা হয়েছিল। যখন পরীক্ষা চলছিল সেই সময় হল থেকেই শিক্ষকর্মীরা ডিভাইস এবং মোবাইল সমেত ধরে তাদেরকে পুলিশের কাছে তুলে দেয় বলে জানা গিয়েছে।

    ধৃতদের বক্তব্য

    পরীক্ষার হলে জালিয়াতির দায়ে ধৃত দেবাশিস দাবি করেছে, “আমার কাছে মোবাইল ছিল না। মোবাইল ছিল বন্ধুর হাতে।” অপর দিকে সন্দীপের দাবি, “আমি পরীক্ষায় (TET Exam 2023) দেবাশিসকে সাহায্য করতে গিয়েছিলাম। আর তাই মোবাইল সঙ্গে ছিল। কিন্তু শিক্ষকরা দেখতে পেয়ে যান।” অবশেষে সোমবার দুই জনকেই কৃষ্ণনগর থানার পুলিশ আদালতে তুলেছে বলে জানা গিয়েছে।  

    তবুও টেটে প্রশ্ন ফাঁস

    গতকালের টেট পরীক্ষায় (TET Exam 2023) মোট পরীক্ষার্থী ছিলেন ৩ লক্ষ। পরীক্ষা ঠিকঠাক করানোই ছিল প্রশাসনের কাছে অত্যন্ত চ্যালেঞ্জের বিষয়। এতো বজ্র আঁটুনির পরেও পরীক্ষার প্রশ্ন এইবারেও ফাঁস হয়ে গিয়েছিল। ১২ টায় পরীক্ষা শুরু হলে ঠিক বেলা ১ টায় একটি প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়েছে বলে সামজিক মাধ্যমে ভাইরাল হওয়ার খবর দেখা যায়। যদিও পর্ষদ প্রশ্ন ফাঁসের বিষয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • AI Technology: স্রষ্টার পেটেই ছুরি! পেটিএমের হাজারেরও বেশি কর্মীর চাকরি গিলে খেল এআই

    AI Technology: স্রষ্টার পেটেই ছুরি! পেটিএমের হাজারেরও বেশি কর্মীর চাকরি গিলে খেল এআই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মানুষের তৈরি যন্ত্র সৃষ্টিকর্তার পেটেই আমূল বসিয়ে দিচ্ছে চকচকে ধারাল ছুরি! মগজ খাটিয়ে যে মানুষ আবিষ্কার করেছিল আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স (AI Technology), তারই পেটে টানের কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে তারই তৈরি ‘ডঃ ফ্র্যাঙ্কেস্টাইন’! সাম্প্রতিক এক ঘটনার কথা জানলে, মনের কোণে উঁকি দেবে গল্প কিংবা কল্পলোকের এই সব নজির। ফেরা যাক, আসল কথায়।

    বড়দিনের সপ্তাহে ‘বড়’ উপহার!!!

    অনলাইন পেমেন্ট সংস্থা পেটিএমে ছাঁটাই করা হয়েছে হাজারেরও বেশি কর্মীকে। বড়দিনেই সপ্তাহেই এই কর্মীদের ঘাড় ধাক্কা দিয়েছে সংস্থা। কারণ হিসেবে বলা হয়েছে, বারংবার একই কাজ করার যেসব চাকরি, সেগুলিকেই এআই প্রযুক্তি দিয়ে বদলে দিয়েছে তারা। তাই উদ্বৃত্ত কর্মীদের ছাঁটাই করা হয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে নিজেদের শ্রম দিয়ে লাভের কড়ি তুলে দিয়েছেন যে সংস্থার ঘরে, বড়দিনের সপ্তাহে সেই সংস্থার এই ‘বড়’ উপহারে যারপরনাই বিস্মিত কর্মীরা। এই বয়সে কোথায় কাজ পাবেন, আদৌ পাবেন কিনা, সেসব ভাবতে ভাবতেই বাড়ি ফিরে গিয়েছেন পেটিএমের হতভাগ্য কর্মীরা।

    কী বলছেন পেটিএম কর্তারা?

    অল্প খরচে এআই (AI Technology) বসিয়ে কাজ হাসিল হয়ে যাওয়ায় পেটিএমের মাদার কনসার্ন ওয়ান৯৭ কমিউনিকেশন লিমিটেড কর্মিছাঁটাই প্রক্রিয়া শুরু করেছিল অক্টোবরে, পুজোর মাসেই। বড় দিনের সপ্তাহে তারাই পেটিএম সহ বিভিন্ন বিভাগ থেকে ছাঁটাই করেছে হাজারেরও বেশি কর্মীকে। সংবাদ মাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে সংস্থার মুখপাত্র বলেন, “সংস্থাকে আরও কর্মক্ষম বানাতেই আমরা এই সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এই একটি সিদ্ধান্তে আমাদের সংস্থার যেমন উন্নতি হবে, তেমনই খরচও কমবে। তাই সব দিক ভেবেচিন্তেই আমরা নিজেদের কর্মী সংখ্যা সামান্য কমিয়েছি।” তিনি জানান, এআইয়ের কাজে তাঁরা খুশি। এই সিদ্ধান্তের জন্য এক লপ্তে ১০-১৫ শতাংশ কর্মীর খরচও কমানো যাবে।

    আরও পড়ুুন: বিজেপির চাপেই কি হিজাব নিয়ে ঢোঁক গিলল কর্নাটকের কংগ্রেস সরকার?

    এআই প্রযুক্তি (AI Technology) ব্যবহার করে ‘ডিপ ফেক’ তৈরি নিয়ে ব্যাপক হইচই হয়েছিল দেশজুড়ে। এই প্রযুক্তির অপব্যবহার নিয়ে সরব হয়েছিলেন খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এবার এআইয়ের আরও ভয়ঙ্কর রূপ দেখলেন পেটিএমের ছাঁটাই হওয়া কর্মীরা। যদিও পেটিএম জানিয়েছে, অচিরেই তারা ১৫ হাজার কর্মী নিয়োগ করবে। সেক্ষেত্রে কপাল খুলবে ১৫ হাজার তরুণ-তরুণীর। মাঝ বয়সে তাঁদেরও চাকরি গিলে খাবে না তো এআই? প্রশ্নটা কিন্তু উঠছেই।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share