Author: Krishnendu Bakshi

  • Birbhum: বিয়ের সাতদিন পর মেয়ে পালাল প্রেমিকের সঙ্গে, বাধা দিলে গাড়ি চাপায় মৃত বাবা

    Birbhum: বিয়ের সাতদিন পর মেয়ে পালাল প্রেমিকের সঙ্গে, বাধা দিলে গাড়ি চাপায় মৃত বাবা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মেয়ের সঙ্গে প্রেমিকের সম্পর্ক মেনে নেননি বাবা। কোনও রকমে মেয়েকে অন্য পাত্রের সঙ্গে বিয়ে দিয়েছিলেন। কিন্তু সেই মেয়ে সাতদিন পর বাপের বাড়িতে আসতেই ঘটল বিপত্তি। আগের প্রেমিকের সঙ্গে পালিয়ে গেল মেয়ে। আটকাতে গিয়ে মেয়ে যে গাড়িতে পালাচ্ছিল, তার নীচেই চাপা পড়ে মৃত্যু হল বাবার। মেয়ের প্রেমিককে অস্বীকার করার পরিণতি যে এমন ভয়ঙ্কর এবং মর্মান্তিক হতে পারে, তা কেউ বিশ্বাসই করতে পারছেন না। এই ঘটনায় স্বাভাবিকভাবেই বীরভূমে (Birbhum) ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।

    বীরভূমে কোথায় ঘটল ঘটনা (Birbhum)?

    স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ঘটনাটি ঘটেছে বীরভূমের (Birbhum) বোলপুর থানা এলাকায়। মেয়ের বাবার নাম কুদ্দুস। মেয়েকে প্রেমিকের সঙ্গে পালাতে দেখে বাধা দিতে যান বাবা এবং একেবারে গাড়ির সামনে এসে পড়েন। তখনই তাঁকে চাপা দিয়ে চলে যায় গাড়ি। এতবড় ঘটনা চোখের সামনে ঘটতে দেখেও মেয়ে এবং তার প্রেমিক কিন্তু একটিবারের জন্য দাঁড়ায়নি, বাবার চিকিৎসা করা তো দূর অস্ত। এই ঘটনায় মারাত্মক জখম হন কুদ্দুস। গুরুতর অবস্থায় বর্ধমান হাসপাতালে নিয়ে গেলে তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়।

    প্রেমের সম্পর্ক মেনে নেননি বাবা

    স্থানীয় (Birbhum) বাসিন্দারা জানান, মেয়ের নাম কুতুবা খাতুন। সে গাজু শেখ নামে এক যুবকের সঙ্গে প্রেম করত। দু’জনের মধ্যে অনেক দিনের সম্পর্ক। কিন্তু কুতুবার পরিবার থেকে মেনে নেয়নি এই সম্পর্ক। অন্য জায়গায় সম্বন্ধ দেখে তারা বিয়ে দিয়ে দেয় কুতুবার। নিয়মমতো বিয়ের সাতদিনের মাথায় বাপের বাড়িতে নতুন স্বামীকে নিয়ে আসে কুতুবা। আগের প্রেমিকের সঙ্গে তার যোগাযোগ যা ভালোই রয়েছে, সেটাই এবার সামনে চলে আসে। আগের প্রেমিক গাজু একটি গাড়ি ভাড়া করে নিয়ে আসে। তারপর সেই গাড়িতে করে পালানোর সময়ই চাপা দিয়ে পিষে দেয় বাবা কুদ্দুসকে।

    তদন্তে পুলিশ

    এই ঘটনার খবর পেয়ে ছুটে আসে বোলপুর (Birbhum) থানার পুলিশ। পরিবারের পক্ষ থেকে অপহরণের মামলা দায়ের করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। দায়ের হওয়া অভিযোগের ভিত্তিত্বে পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Hijab Ban Row: বিজেপির চাপেই কি হিজাব নিয়ে ঢোঁক গিলল কর্নাটকের কংগ্রেস সরকার?

    Hijab Ban Row: বিজেপির চাপেই কি হিজাব নিয়ে ঢোঁক গিলল কর্নাটকের কংগ্রেস সরকার?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দলের নাম কংগ্রেস। সরকারও তাদেরই। তবে মাত্র দু’ দিনের ব্যবধানে হিজাব (Hijab Ban Row) নিয়ে প্রকাশ্যে চলে এসেছে মুখ্যমন্ত্রী বনাম স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর মতবিরোধ। দিন দুই আগেই কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, “এখন হিজাবের ওপর কোনও নিষেধাজ্ঞা থাকবে না।” মুখ্যমন্ত্রীর এই বক্তব্যের পর সোমবার তাঁরই মন্ত্রিসভার সদস্য স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জি পরমেশ্বর একটি বিবৃতি জারি করে জানিয়ে দিয়েছেন, “এ বিষয়ে চিন্তাভাবনা করেই সিদ্ধান্ত নেবে কংগ্রেস সরকার।”

    হিজাবে নিষেধাজ্ঞা জারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে 

    বিজেপি জমানায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয় স্কুল-কলেজে হিজাব পরে আসার ওপর। বিষয়টি গড়িয়েছে সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত। এমতাবস্থায় মে মাসে পালাবদল হয় কর্নাটকে। ক্ষমতায় আসে কংগ্রেস। অভিযোগ, তার পরেই শুরু হয়েছে মুসলমান তোষণ। লোকসভা নির্বাচনের আগে মুসলমান ভোট পেতে দিন দুই আগে ইসোরে এক জনসভায় ভাষণ দিতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী কংগ্রেসের সিদ্দারামাইয়া বলেন, “পোশাক বেছে নেওয়ার সম্পূর্ণ অধিকার রয়েছে মেয়েদের।”

    মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্য 

    তিনি বলেন, “কর্নাটক সরকার রাজ্যে হিজাবের (Hijab Ban Row) ওপর নিষেধাজ্ঞা তুলে নিতে চলেছে। মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া বলছেন, এখন হিজাবের ওপর কোনও নিষেধাজ্ঞা থাকবে না। হিজাব নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করবে রাজ্য সরকার।” মুখ্যমন্ত্রীর এহেন প্রকাশ্য-ভাষণের পর আটচল্লিশ ঘণ্টার মধ্যেই বিবৃতি জারি করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “এ বিষয়ে চিন্তাভাবনা করেই সিদ্ধান্ত নেবে কংগ্রেস সরকার।” সংবাদ মাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে তিনি বলেন, “সরকার হিজাব নিষিদ্ধ করার বিষয়ে কোনও আদেশ জারি করেনি। সরকার গভীরভাবে বিবেচনা করে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে।”

    হিজাব নিষেধাজ্ঞা নিয়ে কংগ্রেসের এই ভোলবদলে গ্র্যান্ড ওল্ড পার্টিকে নিশানা করেছে ভারত রাষ্ট্র সমতি। দলের নেতা কেটি রামা রাও বলেন, “সিদ্দারামাইয়া সরকার এখনও রাজ্যে হিজাবের ওপর নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়নি এবং তারা এখনও এ ব্যপারে ভাবনাচিন্তা করছে। মানুষ দেখছে, কংগ্রেসের আচরণ। তারা ক্ষমতায় আসার আগে কী বলেছিল এবং ক্ষমতায় আসার পরে কীভাবে বদলে গিয়েছে।

    আরও পড়ুুন: আইএস জঙ্গিদের তহবিলে টাকা দিতেন ভারতীয় রেলের ক্লার্ক! তদন্তে এনআইএ

    ঘরে-বাইরে চাপের মুখে পড়ে গিয়ে ঢোঁক গিলেছেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, “আমরা সিদ্ধান্ত (হিজাব নিষিদ্ধের) প্রত্যাহারের কথা ভাবছি। আমরা এ বিষয়ে আলোচনা করব।” প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বিজেপির বাসবরাজ বোমাই বলেন, “গোটা রাজ্যে হিজাবের ওপর কোনও নিষেধাজ্ঞা নেই। কেবল নির্দিষ্ট ড্রেস কোড রয়েছে এমন জায়গায় হিজাব অনুমোদিত নয়।” তাঁর প্রশ্ন, “হিজাবের (Hijab Ban Row) ওপর যখন কোনও নিষেধাজ্ঞাই নেই, তাহলে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার প্রশ্নই বা কোথায়?”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • TET Exam 2023: রাজ্যে বেকারত্বের করুণ ছবি, বাবা-ছেলে একসঙ্গে দিলেন টেট!

    TET Exam 2023: রাজ্যে বেকারত্বের করুণ ছবি, বাবা-ছেলে একসঙ্গে দিলেন টেট!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যে প্রাথমিক টেট (TET Exam 2023) পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে গতকাল, ২৪ ডিসেম্বর। তিন লক্ষ পরীক্ষার্থী এই পরীক্ষায় বসেছিলেন। রাজ্যে বেকারত্বের করুণ ছবি দেখা গেল এবারের পরীক্ষায়, যেখানে বাবা-ছেলে একসঙ্গে দিলেন টেট! ঘটনাটি ঘটেছে মুর্শিদাবাদ জেলায়। রাজ্যে বছর বছর নিয়মিত হয় না প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা। রাজ্যের স্কুলগুলিতে এখনও অনেক শূন্যপদ। বেকারত্ব কার্যত ছুঁয়ে ফেলল ছেলে-বাবাকে। সরকারি চাকরির আশায় পরীক্ষায় বসলেন বাবা-ছেলে। ছেলের দাবি, ‘প্রতি বছর নিয়মিত পরীক্ষা হলে বাবাকে হয়তো এই দিন দেখতে হত না।” পরীক্ষার্থীদের একাংশ বলছেন, রাজ্যে মমতার সরকার যদি ঠিক করে শিক্ষক নিয়োগ করত, তাহলে রাজ্যে ডিএলএড প্রশিক্ষক বাবা-ছেলেকে একযোগে পরীক্ষায় বসতে হত না।

    মুর্শিদাবাদে কোথায় ঘটনা ঘটল (TET Exam 2023)?

    স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মুর্শিদাবাদের ফরাক্কা থানার চন্দড় গ্রামের গত কালকের টেট (TET Exam 2023) পরীক্ষার প্রার্থী ছিলেন বাবা দিলওয়ার হোসেন এবং ছেলে মোকাম্মেল হোসেন। দিলওয়ার নিজে এমএ পাশ করে ডিএলএডে পড়াশুনা করছেন। আর বাবা মোকাম্মেল চাদর প্রাথমিক স্কুলে প্যারাটিচার হিসাবে শিক্ষতার কাজ করছেন। বাবার পরীক্ষার কেন্দ্র পড়েছিল লালবাগ গভর্নমেন্ট স্পনসর গার্লস হাইস্কুলে। অপর দিকে ছেলের কেন্দ্র পড়েছিল গোলযান রিফিউজি হাইস্কুলে।

    পরীক্ষার্থী বাবা-ছেলের বক্তব্য

    ২০২৩ সালের টেট (TET Exam 2023) পরীক্ষার্থী বাবা মোকাম্মেল হোসেন বলেন, “এর আগে অনেক বার টেট পরীক্ষা দিয়েছি, কিন্তু সফল হতে পারিনি। তবে এবার পরীক্ষা বেশ ভালো হয়েছে, আমি আশাবাদী। তবে প্রত্যেক বছর পরীক্ষাও হয় না।” একই ভাবে টেট পরীক্ষার্থী নিয়মিত না হওয়ায় ছাত্র দিলওয়ার হোসেন বলেন, “বাবার চাকরিটা হয়ে গেলে, হয়ত আমি একটু ভালো জায়গায় পৌঁছাতে পারতাম। প্রতি বছর নিয়ম করে যদি পরীক্ষা হত, তাহলে বাবাকে হয়তো এই দিন দেখতে হত না।”

    টেট দুর্নীতিতে সিবিআই

    উল্লেখ্যে রাজ্যে শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে হাইকোর্টের নির্দেশে সিবিআই তদন্ত চলছে। টাকার বিনিময়ে চাকরি দেওয়ার অভিযোগে শাসকদলের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় ইতিমধ্যে জেলে। প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের প্রাক্তন সভাপতি মানিক ভট্টাচার্য, তৃণমূল বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহা সহ আরও অনেক তৃণমূল নেতা গ্রেফতার হয়েছেন। রাজ্যের টেট (TET Exam 2023) শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির প্রতিবাদে শাসক দলের বিরুদ্ধে বিরোধীরা ব্যাপক ভাবে সরব হওয়ায় তীব্র শোরগোল পড়েছিল।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Ram Temple: স্বাধীনতা দিবসের চেয়ে কম গুরুত্বপূর্ণ নয় রাম মন্দিরের উদ্বোধন, বললেন চম্পত

    Ram Temple: স্বাধীনতা দিবসের চেয়ে কম গুরুত্বপূর্ণ নয় রাম মন্দিরের উদ্বোধন, বললেন চম্পত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “২০২৪ সালের ২২ জানুয়ারি ততটাই গুরুত্বপূর্ণ, যতটা ১৯৪৭ সালের ১৫ অগাস্ট ছিল। ১৯৯৯ সালে কার্গিল যুদ্ধে জয় ও ১৯৭১ সালে পাকিস্তানের এক লাখ সেনাকে বন্দি করার ঘটনার মতোই সমান গুরুত্বপূর্ণ রাম মন্দির উদ্বোধন।” কথাগুলি বললেন রাম (Ram Temple) জন্মভূমি ট্রাস্টের সাধারণ সম্পাদক চম্পত রাই।

    চম্পতের দাবি

    তিনি বলেন, “রাম মন্দির গোটা দেশের মানুষকে ঐক্যবদ্ধ করেছে। অযোধ্যায় রাম মন্দির তৈরি হওয়ায় এখানকার মানুষ সন্তুষ্ট। এখানকার আশপাশের মানুষজন, সাধু, শিক্ষক থেকে শুরু করে অনেকেই এই রাম মন্দির আন্দোলনের সঙ্গে জড়িয়ে পড়েছিলেন।” চম্পত বলেন, “১৯৮৩ সালের পর থেকে অবশ্য গোটা দেশের মানুষই জড়িয়ে পড়েছিলেন এর সঙ্গে। তার আগে বিষয়টি শুধুমাত্র অযোধ্যায়ই সীমাবদ্ধ ছিল। আর এখন গোটা দেশের শ্রদ্ধার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে এটি (Ram Temple)।”

    অগাস্টের গুরুত্ব

    উল্লেখ্য, এই অগাস্ট যেমন স্বাধীনতার মাস, তেমনই ২০২০ সালের অগাস্ট মাসেই অযোধ্যায় রাম মন্দিরের শিলান্যাস করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ২০১৯ সালের অগাস্টেরই পাঁচ তারিখে জম্মু-কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা রদ করে মোদি সরকার। তিন তালাক রদে আইনও চালু হয়েছিল অগাস্টেই। 

    আগামী ২২ জানুয়ারি উদ্বোধন হবে রাম মন্দিরের। উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। দেবদর্শন শুরু হবে তারও একদিন পর থেকে। এই রাম জন্মভূমি তীর্থক্ষেত্র ট্রাস্ট্রের সম্পাদক চম্পত। বহু বছর ধরে বিশ্ব হিন্দু পরিষদের গুরুত্বপূর্ণ পদে রয়েছেন তিনি। তাঁর কাছে ১৫ অগাস্টের চেয়ে কোনও অংশেই কম গুরুত্বপূর্ণ নয় ২০২৪ সালের ২২ জানুয়ারি।

    আরও পড়ুুন: অটল বিহারী বাজপেয়ীর জন্মদিনে দেশজুড়ে কর্মসূচি বিজেপির, কী বললেন প্রধানমন্ত্রী?

    প্রসঙ্গত, ২২ জানুয়ারি রাম মন্দির উদ্বোধনের আগে এ মাসেই অযোধ্যা যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী। ৩০ ডিসেম্বর অযোধ্যায় নয়া বিমানবন্দরের উদ্বোধন করবেন। উদ্বোধন করবেন অযোধ্যা রেলস্টেশনেরও। বিমানবন্দর থেকে রেলস্টেশনের দূরত্ব ১৫ কিলোমিটার। এই পথেই এদিন রোড-শো করবেন প্রধানমন্ত্রী।

    প্রসঙ্গত, রাম মন্দির (Ram Temple) উদ্বোধন উপলক্ষে দেশ-বিদেশের বহু অতিথি আসবেন অযোধ্যায়। ওই অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে কংগ্রেস নেত্রী সোনিয়া গান্ধীকেও। তবে এদিন বিজেপির সহ প্রতিষ্ঠাতা লালকৃষ্ণ আদবানি ও প্রবীণ বিজেপি নেতা মুরলি মনোহর যোশীকে না আসার অনুরোধ জানিয়েছে রাম জন্মভূমি ট্রাস্ট।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

     

     

  • BJP: অটল বিহারী বাজপেয়ীর জন্মদিনে দেশজুড়ে কর্মসূচি বিজেপির, কী বললেন প্রধানমন্ত্রী?

    BJP: অটল বিহারী বাজপেয়ীর জন্মদিনে দেশজুড়ে কর্মসূচি বিজেপির, কী বললেন প্রধানমন্ত্রী?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২৫ ডিসেম্বর, প্রয়াত প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারী বাজপেয়ীর ৯৯তম জন্মদিনটিকে ‘সুশাসন দিবস’ হিসেবে পালন করছে বিজেপি (BJP)। দিনটির স্মরণে দেশজুড়ে গুচ্ছ কর্মসূচির আয়োজন করেছে পদ্মশিবির।

    শ্রদ্ধা প্রধানমন্ত্রীর

    সোমবার সাত সকালে সদৈব অটলে গিয়ে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর স্মৃতিস্তম্ভে মাল্যদান করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। বাজপেয়ীকে স্মরণ করে এক্স হ্যান্ডেলে তিনি লিখেছেন, “প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ভারতরত্ন শ্রদ্ধেয় অটল বিহারী বাজপেয়ীকে আন্তরিক শ্রদ্ধা, ভারতীয় রাজনীতির চূড়া, লক্ষ লক্ষ বিজেপি কর্মী ও আমাদের অনুপ্রেরণার উৎস।”

    শ্রদ্ধা জানালেন নাড্ডাও

    শ্রদ্ধা জানিয়েছেন বিজেপির (BJP) সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা। এক্স হ্যান্ডেলে তিনি লিখেছেন, “জাতির উন্নতি ও জনসেবায় নিবেদিত তাঁর সমগ্র জীবন সর্বদা আমাদের জন্য অনুপ্রেরণা হয়ে থাকবে।” শ্রদ্ধা জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহও। এক্স হ্যান্ডেলে তিনি লিখেছেন, “প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারী বাজপেয়ীকে তাঁর জন্মদিনে আমি স্মরণ ও স্যালুট করি। অটলজি নিঃস্বার্থভাবে দেশ ও সমাজের সেবা করেছেন।”

    প্রসঙ্গত, ১৯২৪ সালের ২৫ ডিসেম্বর জন্মগ্রহণ করেন অটল। মধ্যপ্রদেশের গোয়ালিয়রে জন্ম তাঁর। ১৯৫৭ সালে প্রথমবার বলরামপুর কেন্দ্র থেকে জয়ী হয়ে সাংসদ হন (BJP)। ১৯৯৬ সালে মাত্র ১৩ দিনের জন্য প্রধানমন্ত্রী হয়েছিলেন। ১৯৯৯-২০০৪ সাল পর্যন্ত প্রথম পূর্ণ সময়ের জন্য প্রধামন্ত্রী হন তিনি। রাজনীতির পাশাপাশি সুন্দর কবিতাও লিখতেন।

    পরিচিত ছিলেন বাগ্মী হিসেবে। রাষ্ট্রসঙ্ঘে হিন্দিতে বক্তৃতাও দিয়েছিলেন। ২০১৮ সালের ১৬ অগাস্ট প্রয়াত হন অটল। ২০১৪ সালে ক্ষমতায় আসার পর থেকে প্রতিবছর তাঁর জন্মদিনটিকে বিজেপি পালন করে সুশাসন দিবস হিসেবে। দেশজুড়ে নানা কর্মসূচিও পালন করে বিজেপি (BJP)।

     

    আরও পড়ুুন: আজ শহরে অমিত শাহ! যাবেন কালীঘাট মন্দিরে, দু’দিনে কী কী কর্মসূচি?

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

     

  • PM Modi: দীর্ঘ পথে রোড-শো, বছর শেষের আগেই অযোধ্যায় মেগা কর্মসূচি প্রধানমন্ত্রীর

    PM Modi: দীর্ঘ পথে রোড-শো, বছর শেষের আগেই অযোধ্যায় মেগা কর্মসূচি প্রধানমন্ত্রীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২২ জানুয়ারি উদ্বোধন হবে অযোধ্যার রাম মন্দিরের। উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। তবে তার আগেই একবার অযোধ্যা সফরে যাচ্ছেন তিনি। ৩০ ডিসেম্বর অযোধ্যায় রোড-শো করবেন প্রধানমন্ত্রী। যোগ দেবেন জনসভায়ও। এদিন তাঁর হাতেই উদ্বোধন হবে অযোধ্যা বিমানবন্দরেরও। এর পরেই রোড-শো ও জনসভা করবেন প্রধানমন্ত্রী।

    প্রধানমন্ত্রীর কর্মসূচি

    অযোধ্যার কমিশনার গৌরব দয়াল বলেন, “সব বন্দোবস্ত হয়ে গিয়েছে। গোটা বিষয়টি পর্যালোচনা করছেন মুখ্যমন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রী আসছেন ৩০ ডিসেম্বর। প্রথম দফার কাজ শেষে উদ্বোধনের জন্য প্রস্তুত অযোধ্যা বিমানবন্দর ও রেলস্টেশন।” তিনি জানান, এদিন প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) প্রথমে অযোধ্যা বিমানবন্দরের উদ্বোধন করবেন। পরে অযোধ্যা রেলস্টেশন থেকে সবুজ পতাকা দেখিয়ে সূচনা করবেন ট্রেনযাত্রার। রোড-শো করে তিনি যাবেন বিমানবন্দর থেকে রেলস্টেশন পর্যন্ত। এই রাস্তাটির দৈর্ঘ ১৫ কিলোমিটার। পরে একটি জনসভায় যোগ দেবেন প্রধানমন্ত্রী।

    রামলালার দর্শন কবে থেকে?

    কমিশনার জানান, রাম মন্দিরের উদ্বোধনের পর থেকে প্রতিদিন গড়ে ৫০-৫৫ হাজার মানুষ আসবেন মন্দির দর্শনে। এই দর্শনার্থীরা যাতে সমস্যায় না পড়েন, সেজন্য শেষ পর্যায়ের প্রস্তুতিতে ব্যস্ত প্রশাসন। তিনি বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী জানিয়ে দিয়েছেন উদ্বোধনের আগে মন্দির দর্শন হবে না। ২১ এবং ২২ জানুয়ারি ভক্তরা রামলালাকে দর্শন করতে পারবেন না। দেবদর্শন শুরু হবে ২৩ তারিখ থেকে। মন্দির উদ্বোধন উপলক্ষে যাঁরা অযোধ্যায় আসবেন, তাঁদের থাকার বন্দোবস্ত করতে হোটেলের ঘর নেওয়া হয়েছে। অনেক অতিথি চাটার্ড প্লেনে করে আসতে পারেন। তাই প্রয়াগরাজ, গোরক্ষপুর ও বারাণসীতে সেই বিমানগুলি রাখার ব্যবস্থা হয়েছে। ঠিক কতগুলি চাটার্ড বিমান আসবে, তা জানা গেলে এভিয়েশন বিভাগের সঙ্গে কথা বলে তা জানাব।”

    আরও পড়ুুন: এবার লোহিত সাগরে ভারতীয় তেলের ট্যাঙ্কারে ড্রোন হানা, নেপথ্যে হুথি?

    রাম মন্দিরের উদ্বোধন উপলক্ষে ‘প্রদীপ প্রজ্জ্বলন’ কর্মসূচিও হাতে নেওয়া হয়েছে। এই কর্মসূচি সফল করতে দেশের প্রতিটি বাড়িতে যাবেন বিজেপি  নেতা-কর্মীরা। অন্তত ১০ কোটি পরিবার যাতে এই কর্মসূচি পালন করেন, সেই জন্যই তাঁরা ঘুরবেন দোরে দোরে। নতুন (PM Modi) বছরের প্রথম দিন সোমবার থেকেই পথে নেমে পড়বেন বিজেপি নেতা-কর্মীরা।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
     

      

  • Weed Farming: দোষ প্রমাণ হলে কারাবাস! তবুও লাভের আশায় রমরমিয়ে চলছে গাঁজার চাষ

    Weed Farming: দোষ প্রমাণ হলে কারাবাস! তবুও লাভের আশায় রমরমিয়ে চলছে গাঁজার চাষ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দোষ প্রমাণ হলে যাবজ্জীবন কারাবাস। কিন্তু সব জেনেও লাভের আশায় প্রতিবছর গাঁজার চাষ (Weed Farming) করেন কোচবিহারেরে চাষিরা। মামলা হয় অনেকের নামে, এমন কী পুলিশ গ্রেফতার করেও নিয়ে যায়। তারপরও বেশি পয়সার জন্য এই অবৈধ ভাবে রমরমিয়ে গাঁজার চাষ করতে বাধ্য হন চাষিরা। রীতিমতো দরমার বেড়া দিয়ে ঘিরে রেখে, কিছুটা কাপড় দিয়ে ঢেকে রাখা হয় গাঁজা চাষের জমিকে। নিরুপায় কিন্তু পেট চালানোর জন্য এই ভাবেই কোচবিহারে চলছে অবৈধ গাঁজার চাষ।

    চাষিদের বক্তব্য (Weed Farming)

    কোচবিহারেরে একচাষি (নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক) বলেন, “এক বিঘা জমিতে ধান চাষ করে আয় হয় মাত্র পাঁচ হাজার টাকা, আবার ওই জমিতেই গাঁজা চাষ (Weed Farming) করে আয় হয় সাত লক্ষ টাকা। এরপর এই গাঁজা চলে যায় অন্য রাজ্যে। রাজ্যে চাষের ফসলে সঠিক দাম না পাওয়ার জন্যই এইভাবে লুকিয়ে চাষ করে থাকি আমরা।”

    প্রশাসনের বক্তব্য

    কোচবিহার আবগারি দফতরের জেলা জেলার সুপারিনটেন্ডেন্ট সাঙ্গে ডোমা ভুটিয়া বলেন, “অতিরিক্ত লাভের আশায় অনেক চাষি গাঁজার (Weed Farming) চাষ করেন। কিন্তু এটা পুরোপুরি বেআইনি। তাই পদক্ষেপ বেশ কড়া নিতে হয় আমাদের।” আবার কোচবিহার পুলিশ সুপার দ্যুতিমান ভট্টাচার্য বলেন, এখনও পর্যন্ত জেলায় তিন হাজার বিঘা গাঁজার চাষ নষ্ট করা হয়েছে।”

    পুলিশ সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, এই গাঁজা চাষের পিছনে চাষিদের পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণ থাকে না, এর পিছনে একটি বিরাট চক্র কাজ করে। গাছ লাগানো থেকে শুরু করে, গাছ পরিচর্যা ইত্যাদির জন্য আগে থেকে চাষিদের হাতে টাকা দেওয়া হয়। এমনকি গাছ পরিণত হওয়ার আগেই লাভের বেশির ভাগ টাকা চলে যায় ওই পাচারচক্রীদের কাছে। কলকাতা, মুম্বই, দিল্লি থেকে পাইকারীরা গ্রামের চাষিদের টাকা দিয়ে গাঁজা কিনে নেয়। লাভের টাকা তেমন ভাবে চাষিরা পান না। তবে শাস্তির সম্মুখে পড়তে হয় কেবল চাষিদেরই।

    গাঁজা চাষ বছরের দুইবার হয়

    সূত্রে জানা গিয়েছে, গাঁজা চাষ (Weed Farming) বছরে দুইবার হয়। একটি আষঢ়ি অপরটি হেমতি। ভালো মানের চাষ আষাঢ় মাসেই হয়ে থাকে। তবে এখন মণিপুরের এক রকমের দামে বেশি এক প্রকার গাঁজার চাষ হচ্ছে কোচবিহারে। কোচবিহারের তোর্সা, মানসাই, ধরলা, কালজানি নদীর দু’ধারের জমিতে চাষ হয় গাঁজা। তাই রাজ্যের কৃষি বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য, “রাজ্য সরকারকে চাষিদের খাদ্যশষ্য চাষের দিকে উৎসাহী করতে হবে।” 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • S Jaishankar: “ভারত যখন স্বাধীন হয়, তখন থেকেই শুরু সন্ত্রাসবাদের,” তোপ জয়শঙ্করের

    S Jaishankar: “ভারত যখন স্বাধীন হয়, তখন থেকেই শুরু সন্ত্রাসবাদের,” তোপ জয়শঙ্করের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “ভারত যখন স্বাধীন হয়, তখন থেকেই শুরু হয়েছিল সন্ত্রাসবাদ।” কথাগুলি বললেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর (S Jaishankar)। শনিবার দিল্লিতে একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন তিনি। সেখানেই বক্তব্য রাখতে গিয়ে নিয়ে আসেন আন্তঃসীমান্ত সন্ত্রাসবাদের প্রসঙ্গ।

    প্রসঙ্গ: ২৬/১১ 

    বিদেশমন্ত্রীর মতে, স্বাধীনতার সময় থেকেই সন্ত্রাসবাদের শিকার হয়েছে ভারত। এর মদত পাকিস্তানের পক্ষ থেকে দেওয়া হয়েছিল বলেও অভিযোগ তাঁর। তাঁর ভাষণে অনিবার্যভাবে উঠে আসে ২৬/১১র মুম্বই হামলার ঘটনার কথা। ওই দিন মুম্বইয়ে ধারাবাহিক বিস্ফোরণ ঘটিয়েছিল লক্সর-ই-তৈবা। সেটাকেই এদেশে সন্ত্রাসবাদের ‘পিভটাল মোমেন্ট’ বলে মনে করেন বিদেশমন্ত্রী। তিনি (S Jaishankar) বলেন, “সন্ত্রাসবাদ শুরু হয়েছিল সেই মুহূর্তে, যখন আমরা স্বাধীনতা পেয়েছিলাম। তখন পাকিস্তান থেকে এ দেশে এসেছিল রেইডাররা।… আজ এ দেশে যা বদল হয়েছে, আমার মনে, হয় এর পটভূমিতে রয়েছে ২৬/১১-র মুম্বই হামলা।”

    প্রসঙ্গ: সীমান্তপারের সন্ত্রাস

    জয়শঙ্কর বলেন, “কেউ যদি নিরন্তর সীমান্তপারের সন্ত্রাসে মদত দিয়ে যায়, তাহলে তার পাল্টা জবাব দেওয়ার দায় বর্তায় আমাদের ওপর।” তিনি বলেন, “২৬/১১-র সন্ত্রাসবাদ দেখার আগে পর্যন্ত অনেকেই সন্ত্রাসবাদ রুখতে কী করা উচিত, তা ভেবে পাচ্ছিলেন না। তাই এখন আমাদের প্রথমেই যেটি করতে হবে, সেটি হল আমাদের প্রথমে প্রতিরোধ গড়ে তোলা প্রয়োজন। আমি জানি, সেই লোকগুলিকে যাঁরা বলেছিলেন, আমাদের একটা স্মার্ট স্ট্র্যাটেজি ছিল সন্ত্রাসবাদের মোকাবিলায়। আমার মনে হয় না এর কোনও অর্থ হয়। আমার মনে হয় না যে এর কোনও কৌশলগত দিক আছে।” তার পরেই বিদেশমন্ত্রী বলেন, “কেউ যদি লাগাতার সীমান্তপার সন্ত্রাসে মদত দেয়, তাহলে আপনাকে যোগ্য জবাব অবশ্যই দিতে হবে।”

    আরও পড়ুুন: রেকর্ড গড়ার পথে ব্রিগেড! ‘লক্ষ কণ্ঠের গীতা পাঠে’ মুখরিত কলকাতা

    গান্ধীনগরের লাভাড রাষ্ট্রীয় রক্ষা বিশ্ববিদ্যালয়ের তৃতীয় সমাবর্তন অনুষ্ঠানেও এদিন যোগ দিয়েছিলেন বিদেশমন্ত্রী। সেখানে তিনি (S Jaishankar) বলেছিলেন, “ভারতের অন্যতম চ্যালেঞ্জ হল সন্ত্রাসবাদের মোকাবিলা করা।” তিনি বলেন, “আমাদের নিজেদের সুরক্ষিত রাখার পাশাপাশি অন্যদের নিরাপত্তায় অবদান রাখতেও লড়তে হবে আমাদের। এটা হতে পারে আমাদের সব চেয়ে কাছের কোনও প্রতিবেশী দেশ কিংবা যাদের কাছে অর্থনৈতিক বা শক্তিগত সমর্থন পাই, তাদের প্রতি। অথবা এটা গ্লোবাল সাউথের মতো কোনও বৃহত্তর সম্পর্কের জন্য হতে পারে।”

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Jalpaiguri: পোশাকের রঙ নীল-সাদা করায় বিতর্কের মুখে জলপাইগুড়ি জেলা স্কুল

    Jalpaiguri: পোশাকের রঙ নীল-সাদা করায় বিতর্কের মুখে জলপাইগুড়ি জেলা স্কুল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পোশাক বিতর্কে ফের শোরগোল পড়েছে জলপাইগুড়ি (Jalpaiguri) জেলা স্কুলে। এই স্কুল শতাব্দীর পুরতান ইতিহাস বহন করে চলেছে। আগে স্কুলের পোশাকের রঙ ছিল সাদা জামা এবং কালো প্যান্ট। এবার থেকে নতুন স্কুল পোশাকের রঙ হবে সাদা জামা এবং নীল প্যান্ট। স্কুলের এই পোশাক বদলে রীতিমতো বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে এই জেলা স্কুল।

    ১৮৭৬ সালে তৎকালীন ব্রিটিশ সরকারের লেফটেন্যান্ট গভর্নরের নির্দেশে মাসিক ২০০ টাকা করে সরকারি বরাদ্দ দিয়ে স্কুল নির্মাণ করা হয়েছিল। নানা সময়ে স্কুলের ভবন নির্মাণের বদল হলেও বদলায়নি পোশাকের রঙ। ফলে স্কুলের অভিভাবক, প্রাক্তনীরা তীব্র আপত্তি তুলেছেন পোশাকের রঙ বদলের সিদ্ধান্তে। আবার প্রাক্তনীদের কেউ কেউ বলছেন, “বর্তমান রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী পছন্দের রঙ নীল-সাদাকে জোর করে চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে স্কুলের উপর। তাই অনেক ছাত্রের অভিভাবকেরা এই নীল-সাদা রঙের পোশাক ফিরিয়ে দিয়েছেন।”

    স্কুল কর্তৃপক্ষের বক্তব্য (Jalpaiguri)

    সূত্রে জানা গিয়েছে, গত বৃহস্পতিবার জলপাইগুড়ি (Jalpaiguri) জেলা স্কুল কর্তৃপক্ষ সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রাতঃবিভাগে পড়ুয়াদের নীল-সাদা পোশাক দিয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। আগামী শিক্ষাবর্ষ থেকে সাদা জামা এবং নীল প্যান্ট পরে আসতে হবে। প্রাথমিক থেকে অষ্টম শ্রেণী পর্যন্ত এই পোশাক দেওয়া হয়েছে। উল্লেখ্য মাত্র আর দুই বছর পরেই এই স্কুলের সার্ধশতবর্ষ উদযাপন করা হবে। ফলে সবকিছু নতুন করে সেজে উঠছে স্কুলের পরিকাঠামো। ঠিক এই মুহূর্তে স্কুলের পোশাক বদলের সিদ্ধান্তকে অনেকেই ভালো ভাবে নিচ্ছেন না।

    স্কুলের প্রধান শিক্ষকের বক্তব্য

    স্কুলের (Jalpaiguri) প্রধান শিক্ষক ধর্মচাঁদ বাড়ুই বলেন, “সরকারি নিয়ম মেনে পড়ুয়াদের পোশাকের রঙ ঠিক করা হয়েছে। স্কুলের সব রকম পরিকল্পনার জন্য সরকার ঢেলে সাজানোর ব্যবস্থা করেছে। তাই সরকারী স্কুলে সরকারের নির্দেশকে মান্যতা দিতে হবে। তবে কেউ কেউ আপত্তি করছেন। এটা ঠিক নয়।”

    নীল-সাদা রঙ নিয়ে আপত্তি একাকধিক স্কুলে

    জলপাইগুড়ি (Jalpaiguri) জেলা স্কুলের পোশাকের নীল-সাদা রঙ নিয়ে যেমন আপত্তি উঠেছে, ঠিক তেমনি রাজ্যের একাকধিক ঐতিহ্যবাহী স্কুলগুলিতে নীল-সাদা রঙে আপত্তি জানিয়ে আগেও আন্দোলন হয়েছিল। যেমন- কোচবিহারের সুনীতি অ্যাকাডেমি স্কুলের পোশাকের রঙ বদল করে নীল-সাদা করার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে ব্যাপক আন্দোলন হয়। আবার শিলিগুড়ি গার্লস স্কুল ভবনের আগের রঙ লাল-হলুদকে বদল করে নীল-সাদা করতে চাইলে ব্যাপক প্রতিবাদ ওঠে স্কুলে। এমনকি প্রতিবাদের কারণে রঙ বদলের সিদ্ধান্তও স্থগিত রাখতে বাধ্য হয় স্কুল কর্তৃপক্ষ।

        

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Malda: জাতিগত শংসাপত্রের জালিয়াতির চক্র খোদ সরকারি দফতরেই!

    Malda: জাতিগত শংসাপত্রের জালিয়াতির চক্র খোদ সরকারি দফতরেই!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যের সরকারি দফতরেই চলছে জাতিগত শংসাপত্রের জালিয়াতির চক্র। এলাকার ছাত্রদের দেওয়া এই জাল শংসাপত্রে রয়েছে সরকারি আধিকারিকের স্বাক্ষর। তার জেরে ছাত্রদের চুড়ান্ত ভোগান্তির মধ্যে পড়তে হয়েছে। জাল শংসাপত্রের কারণে বর্তমানে স্কলারশিপ থেকে বঞ্চিত হয়ে পড়েছে পড়ুয়ারা। ঘটনায় মালাদায় (Malda) ব্যাপক শোরগোল পড়ছে। অবশ্য চাঁচল মহকুমা শাসক শৌভিক মুখোপাধ্যায় বলেন, “প্রক্রিয়াগত কারণের জন্যই এই ধরনের ভুল হয়েছে। বিডিওকে বিষয় দেখার জন্য বলেছি।”

    ঘটনা কীভাবে ঘটল (Malda)?

    রাজ্যে একের পর এক জালয়াতির চক্র ফাঁস আগেও হয়েছে। ভুয়ো ভ্যাক্সিনের চক্র, ভুয়ো ডাক্তার, ভুয়ো সিআইডি, ভুয়ো শিক্ষক ইত্যাদি একেরপর এক জালিয়াতির ঘটনায় রাজ্যের শাসক দলকে বারবার কাঠগড়ায় তুলেছে বিরোধী দলগুলি। এবার মালদার (Malda) চাঁচলের ২নং ব্লকের কাপাসিয়া এলাকার ১২ থেকে ১৫ জন তফশিলি জাতির পড়ুয়াদের জাল শংসাপত্রের কারণে ব্যাপক সমস্যায় পড়তে হয়েছে। উল্লেখ্য ছাত্ররা নিয়ম মেনেই সরকারি ব্লকে আবেদন করেছিল। পরবর্তী সময়ে দফতর থেকেই সেই শংসাপত্র দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু এই শংসাপত্র বিভিন্ন কাজে ব্যবহার করে জানতে পারা যায় শংসাপত্রগুলি জাল। এরপর থেকেই ব্যাপক চাঞ্চাল্য তৈরি হয় জেলায়।

    আভিযোগ বিডিও-র কাছে

    ঘটনায় জাল শংসাপত্রের কথা জানিয়ে ইতিমধ্যে ব্লকের বিডিওর কাছে অভিযোগ জানিয়েছে ছাত্র-ছাত্রীরা। এখন প্রশ্ন হল কীভাবে সরকারি দফতরে এই ভাবে জালিয়াতির কাজ চলছে? আর তা নিয়েই উঠছে প্রশ্ন। এই পড়ুয়ারা প্রত্যেকেই বেছপুরা কালিকাপুর হাই স্কুলের (Malda) ছাত্রছাত্রী। ২০১৯ সালে তারা আবেদন করছিল শংসাপত্রের জন্য। এরপর ২০২০ সালে সেই শংসাপত্র পায় এবং ২ নম্বর চাঁচল ব্লকের হাতে তা তুলে দেওয়া হয়। এবার এই শংসাপত্র নিয়ে স্কলারশিপের জন্য আবেদন করলে ব্লক অফিস থেকে বলা হয় শংসাপত্র জাল এবং তা অবৈধ। এরপর ব্লকের আধিকারিকের কাছে অভিযোগ জানালেও তা কোনও কাজ হয়নি বলে অভিযোগ করে পড়ুয়ারা।

    বিজেপির বক্তব্য

    বিষয় সামনে আসতেই ইতিমধ্যে সরকারের বিরুদ্ধে বিজেপি তীব্র আক্রমণ করেছে। বিজেপির দাবি, “এই রাজ্যের তৃণমূল সরকার একটি জাল সরকার। তাই এটাতে নতুন কিছু নয়।” অপর দিকে তৃণমূলের পক্ষ থেকে এলাকার (Malda) বিধায়ক আব্দুল রহিম বলেন, “অভিযোগ পেয়েছি। বিষয় খতিয়ে দেখার কথা জানিয়েছি।”       

      

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share