Author: Krishnendu Bakshi

  • Recruitment Scam: সাড়ে ৮ হাজার পদে নিয়োগে কেলেঙ্কারি, হাইকোর্টে কবুল এসএসসির

    Recruitment Scam: সাড়ে ৮ হাজার পদে নিয়োগে কেলেঙ্কারি, হাইকোর্টে কবুল এসএসসির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পরীক্ষা হয়েছে তিনটি। আর কেলেঙ্কারি (Recruitment Scam) হয়েছে সাড়ে ৮ হাজার পদে। অর্থাৎ শিক্ষক সহ এই সাড়ে ৮ হাজার প্রার্থী মোটা টাকা দিয়ে চাকরি ‘কিনেছেন’। যাঁরা মানুষ গড়ার কারিগর, স্কুলে যাঁরা নৈতিকতার পাঠ দিচ্ছেন ছাত্রছাত্রীদের, তাঁদের অনেকেই চাকরি পেয়েছেন অনৈতিকভাবে।

    দুর্নীতি কবুল 

    তিন পরীক্ষার নিয়োগে যে সাড়ে আট হাজার পদে দুর্নীতি হয়েছে, শুক্রবার কলকাতা হাইকোর্টে হলফনামা দিয়ে এ কথা জানাল এসএসসি। শিক্ষক নিয়োগে ব্যাপক দুর্নীতি (Recruitment Scam) হয়েছে বলে অভিযোগ চাকরিপ্রার্থীদের একাংশের। তাঁদের অভিযোগ, কারচুপি হয়েছে ওএমআর শিটেও। রাজ্যের স্কুলগুলিতে যে শিক্ষক ও অশিক্ষক কর্মী নিয়োগে ব্যাপক কেলেঙ্কারি হয়েছে, সে দাবি করেছে সিবিআইও। চাকরি প্রার্থী ও সিবিআইয়ের সেই দাবি যে নিছক গালগল্প নয়, এদিন এসএসসির হলফনামায়ই তা স্পষ্ট।

    কীভাবে চাকরি

    কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি দেবাংশু বসাকের বিশেষ ডিভিশন বেঞ্চে হলফনামা দিয়ে এসএসসি জানিয়েছে, নবম-দশমের তালিকায় ওপরে থাকাদের টপকে নিয়োগ হয়েছে ১৮৩ জনের। এর মধ্যে ইতিমধ্যেই বরখাস্ত করা হয়েছে ১২২ জনকে। একাদশ-দ্বাদশে নিয়োগে দুর্নীতি হয়েছে ৩৯টি পদে। ৯৫২ জনের ওএমআর শিটে কারচুপির ঘটনাও চিহ্নিত করেছে এসএসসি। এর মধ্যে সুপারিশ করা হয়েছিল ৮২৩ জনের নাম। একাদশ-দ্বাদশে ওএমআর শিটে কারচুপির ঘটনা চিহ্নিত হয়েছে ৯০৭ জনের। এর মধ্যে সুপারিশ করা হয়েছিল ৭৭১ জন প্রার্থীর নাম।

    আরও পড়ুুন: ঝাড়খণ্ডে রেললাইন উড়িয়ে দিল মাওবাদীরা, ব্যাহত ট্রেন চলাচল

    জালিয়াতি হয়েছে গ্রুপ সি নিয়োগেও। অভিযোগ উঠেছে অনৈতিকভাবে চাকরি পেয়েছেন ৩ হাজার ৪৮০জন। এর মধ্যে এসএসসি সুপারিশপত্র দিয়েছে ৭৮৩জনকে। গ্রুপ ডিতে জালিয়াতির অভিযোগ উঠেছে ২ হাজার ৮২৩ জনের ওএমআর শিটে। সুপারিশপত্র ছাড়াই চাকরি হয়েছে বলেও হলফনামায় কবুল করেছে এসএসসি। স্কুল সার্ভিস কমিশনের দাবি, গ্রুপ সিতে সুপারিশপত্র ছাড়াই চাকরি পেয়েছেন ৫৭ জন। গ্রুপ ডিতে এভাবে চাকরি পেয়েছেন ১৭০ জন। সব মিলিয়েই চাকরি ‘বিক্রি’ হয়েছে (Recruitment Scam) সাড়ে আট হাজার।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

     

     

     

  • Imran Khan: সুপ্রিম কোর্টে মিলল জামিন, পাক রাজনীতিতে প্রত্যাবর্তন ইমরান খানের!

    Imran Khan: সুপ্রিম কোর্টে মিলল জামিন, পাক রাজনীতিতে প্রত্যাবর্তন ইমরান খানের!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশে সাধারণ নির্বাচনের আগে বড় জয় পেল পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের (Imran Khan) দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) পার্টি! শুক্রবার পাক সুপ্রিম কোর্টে জামিন পেলেন ইমরান। ইমরান ছাড়াও ‘রাষ্ট্রীয় গোপন তথ্য ফাঁস’ মামলায় জামিন পেয়েছেন প্রাক্তন বিদেশমন্ত্রী শাহ মেহমুদ কুরেশিও।

    ইসলামাবাদ হাইকোর্টে জামিন

    প্রসঙ্গত, তোষাখানা মামলায় আগেই নিম্ন আদালতের দেওয়া সাজায় স্থগিতাদেশ দিয়েছিল ইসলামাবাদ হাইকোর্ট। নির্বাচনের আগে ক্যাপ্টেনের জামিনে জয়ের আনন্দ পিটিআইয়ের অন্দরে। তোষাখানা মামলায় অগাস্ট মাসেই তিন বছরের কারাদণ্ড দিয়েছিল ইসলামাবাদের বিশেষ আদালত। বিশেষ আদালতের এই নির্দেশের ওপর স্থগিতাদেশ দিয়ে পিটিআই সুপ্রিমোর জামিন মঞ্জুর করেছিল ইসলামাবাদ হাইকোর্ট। তবে যেহেতু ‘রাষ্ট্রীয় গোপন তথ্য ফাঁসে’র অভিযোগে মামলা চলছিল, তাই বন্দিদশা ঘোঁচেনি প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর (Imran Khan)।

    পিটিআই কর্মী-সমর্থকদের আশা

    সেই সময়ই পিটিআই নেতৃত্ব জানিয়ে দিয়েছিলেন, জেল থেকেই লাহোর, মিয়াঁওয়ালি ও ইসলামাবাদ এই তিনটি কেন্দ্র থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন পিটিআই প্রধান। দেশের শীর্ষ আদালতের এদিনের রায়ের ফলে পাক রাজনীতিতে ইমরানের প্রত্যাবর্তন স্রেফ সময়ের অপেক্ষা বলেই মত সে দেশের আইনবিদদের একটা বড় অংশের। সুপ্রিম কোর্টের রায়ে ইতিমধ্যেই আশার আলো দেখতে শুরু করেছেন পিটিআইয়ের সমর্থকরাও। তাঁরা বলছেন, অবসর ভেঙে ক্রিকেট মাঠে ফিরে যেভাবে দেশকে বিশ্বকাপ জিতিয়েছিলেন ক্যাপ্টেন, সেভাবেই নির্বাচনী ময়দানেও জয়ী হবেন ইমরান। ফেব্রুয়ারি মাসে নির্বাচন পাকিস্তানে। সেই নির্বাচনে ইমরান বিপুল ভোটে জয়ী হবেন বলে আশাবাদী পিটিআই কর্মী-সমর্থকরা। কেবল ক্যাপ্টেন নন, তাঁদের আশা, নিরঙ্কুশ সংখ্যা গরিষ্ঠতা নিয়েই পাকিস্তানের কুর্সিতে বসবে ইমরানের দল।

    আরও পড়ুুন: লোকসভাকাণ্ডে ধৃতদের মনের হদিশ পেতে হচ্ছে সাইকো-অ্যানালিসিস টেস্ট!

    ফেব্রুয়ারি মাসে নির্বাচনের আগে পাকিস্তানের বিভিন্ন জনমত সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, বেহাল আর্থিক পরিস্থিতির কারণে তলানিতে মুসলিম নওয়াজ-পাকিস্তান পিপলস পার্টির জোট সরকারের। তার জেরে ক্রমেই বাড়ছে ইমরানের দলের জনপ্রিয়তা। সুপ্রিম কোর্টে জামিন মেলায় জোট সরকারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের যে অভিযোগ ক্যাপ্টেন করেছিলেন, জনমানসে সেটাই মান্যতা পাবে বলে ওয়াকিবহাল মহলের একাংশের ধারণা। সেক্ষেত্রে অবশ্যই ডিভিডেন্ড পাবেন ক্যাপ্টেন (Imran Khan)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ। 

  • Amit Shah: রবিবার রাতে ফের কলকাতায় আসছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ?

    Amit Shah: রবিবার রাতে ফের কলকাতায় আসছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আগামী রবিবার কলকাতায় আসছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। বিভিন্ন সূত্র মারফৎ এমনটাই জানা যাচ্ছে। আগামী লোকসভা ভোটের আগে প্রস্তুতি বৈঠক করতেই তিনি আসছেন বলে জানা গিয়েছে। রবিবার রাতে তিনি আসবেন এবং সোমবার সারাদিন থাকবেন বলে এখনও পর্যন্ত ঠিক রয়েছে। যদিও শেষ মুহূর্তে তাঁর এই সফরসূচি পরিবর্তন হতে পারে, এমন আভাসও মিলেছে।

    দিল্লিতে শুরু বিজেপির বৈঠক (Amit Shah)

    আগামীকাল শুক্রবার থেকেই দিল্লিতে বিজেপির বিশেষ বৈঠক শুরু হচ্ছে। এই বৈঠক মূলত সাংগঠনিক। এখানে সংগঠনের কেন্দ্রীয় পদাধিকারীরা উপস্থিত থাকবেন বলে জানা গিয়েছে। বৈঠকে আলোচনা হবে প্রত্যেক রাজ্যে বিজেপির সংগঠনের পরিস্থিতি নিয়ে। উল্লেখ্য, সামনেই লোকসভার নির্বাচন। তাই রণকৌশল ঠিক কী হবে, তার আলোচনা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে এই বৈঠকে। সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, আগামী নির্বাচনে রাজ্যগুলিতে কীভাবে বিজেপি প্রচার অভিযান করবে, সেই বিষয়েও কেন্দ্রীয় পদাধিকারীদের বুঝিয়ে দেওয়া হবে। এরপরেই বঙ্গে অমিত শাহের (Amit Shah) সফরকে নির্বাচনী রণকৌশলের অঙ্গ বলেই মনে করছেন রাজনীতির বিশ্লেষকেরা।

    রাজ্যে ফের অমিত শাহ

    সূত্রের খবর, রাজ্যগুলিতে বিজেপির সাংগঠনিক অবস্থা এবং প্রচার কাজের দিকে বিশেষ ভাবে নজর দেওয়া হয়েছে। এই রাজ্যে ২০১৯ সালে লোকসভার নির্বাচনে বিজেপি পেয়েছিল ১৮টি আসন। ফলে এবারও বিজেপি পাখির চোখ করেছে পশ্চিমবঙ্গের ৪২টি লোকসভার কেন্দ্রকে। আগামী রবিবার তাই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আমিত শাহ (Amit Shah) ফের কলকাতায় আসছেন। সোমবার দিনভর বৈঠক করবেন। দলের ঠিক কী অবস্থা, সাংগঠনিক দুর্বলতা কোথায় কোথায় রয়েছে, সংগঠনের ভিতরে আরও কী কী পরিবর্তন প্রয়োজন, দলের মধ্যে কোনও রদবদল দরকার কিনা ইত্যাদি বিষয়ে আলোচনা হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। সেই সঙ্গে আরও জানা গিয়েছে, শুধু বঙ্গ নয়, আরও অনেক রাজ্যে লাগাতার যাবেন তিনি। পাশপাশি সময় অনুসারে বিজেপির দলের সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও এমন অনেক বৈঠক করবেন। সব মিলিয়ে ২০২৪ সালের লোকসভার নির্বাচনকে ঘিরে বিজেপি কর্মীদের মধ্যে তীব্র উন্মাদনা লক্ষ্য করা গিয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Criminal Law Bills: লোকসভায় পাশ ফৌজদারি আইন সংক্রান্ত তিন বিল, কী আছে জানেন?  

    Criminal Law Bills: লোকসভায় পাশ ফৌজদারি আইন সংক্রান্ত তিন বিল, কী আছে জানেন?  

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লোকসভায় পাশ হয়ে গেল ফৌজদারি আইন সংক্রান্ত (Criminal Law Bills) তিনটি বিল। কেন্দ্রের তরফে আগেই ঘোষণা করা হয়েছিল বিলগুলির বিষয়ে। তা নিয়ে আপত্তি জানিয়েছিলেন বিজেপি বিরোধী দলগুলির সাংসদরা। পরিমার্জন করে এই বিলগুলিই পেশ হয়েছিল লোকসভায়। বুধবার সংসদে পাশও হয়ে গেল বিল তিনটি।

    ফৌজদারি আইন সংক্রান্ত ৩ বিল

    এদিন যে তিনটি বিল পাশ হল, সেগুলি হল ভারতীয় ন্যায় সংহিতা, ভারতীয় নাগরিক সুরক্ষা সংহিতা ও ভারতীয় সাক্ষ্য সংহিতা। আইপিসির পরিবর্তে এসেছে ভারতীয় ন্যায় সংহিতা। কোড অব ক্রিমিনাল প্রসিডিওরের পরিবর্তে এসেছে ভারতীয় নাগরিক সুরক্ষা সংহিতা। ইন্ডিয়ান এভিডেন্ট অ্যাক্টের পরিবর্তে এসেছে ভারতীয় সাক্ষ্য সংহিতা। বিল পেশের সময় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বলেন, “নয়া ফৌজদারি আইনের প্রতিটি দাঁড়ি, কমা খতিয়ে দেখেছি।” তিনি জানান, মোদি সরকারের তরফে এই বিল সংক্রান্ত ১৫৮টি বৈঠক করা হয়েছে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “এই বিলের ক্ষেত্রে ভারতীয়তা, ভারতীয় সংবিধান ও জনগণের কল্যাণের ওপর জোর দেওয়া হয়েছে।”

    যৌন নিপীড়নের জন্য সাজা

    নয়া বিলে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৭৩ (অনুমতি ছাড়াই আদালতে কার্যক্রম প্রকাশ), ৮৬ (নিষ্ঠুরতা) ধারার পরিবর্তন করা হয়েছে। ধারা ৭৩-এ অনুমতি ছাড়া ধর্ষণ বা যৌন নিপীড়নের জন্য দণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে। নতুন বিলগুলিতে পুরানো ফৌজদারি আইনে ‘মানসিক অসুস্থতা’র মতো শব্দও বাদ দেওয়া হয়েছে। প্রতিস্থাপন করা হয়েছে ‘অস্থির মন’।

    কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “জাতীয় নিরাপত্তা নিশ্চিত করা (Criminal Law Bills) ও জঙ্গি দমনে কঠোর পদক্ষেপের উদ্দেশ্যে এই তিনটি বিল আনা হয়েছে। ব্রিটিশ জমানায় রাজদ্রোহ আইন শুধু নাম বদলে স্বাধীন ভারতে দেশদ্রোহ আইন হিসেবে কার্যকর হয়েছিল। আমাদের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সেই দাসত্বের সব চিহ্ন মুছে দিতে চলেছেন।” তিনি বলেন, “স্বাধীনতা-উত্তরকালে নরেন্দ্র মোদির সরকারই এক মাত্র নির্বাচনের আগে দেওয়া সব প্রতিশ্রুতি পূরণ করতে চলেছে।” তিনি জানান, সিআরপিসিতে ৪৮৪টি ধারা ছিল। বাড়িয়ে করা হয়েছে ৫৩১টি। ১৭৭টি ধারায় পরিবর্তন করা হয়েছে। যোগ করা হয়েছে ৯টি নয়া অনুচ্ছেদ। যোগ হয়েছে ৩৯টি উপধারাও। নয়া ধারা নিয়ে আসা হয়েছে ৪৪টি।

    আরও পড়ুুন: গ্যাসেও কাটমানি! আধার সংযোগ করতে মন্ত্রীর স্ত্রী নিচ্ছেন ২০০ টাকা! বাড়ির সামনে বিক্ষোভ

    শাহ বলেন, “গণপিটুনি একটি জঘন্য অপরাধ। এই আইনে আমরা এই অপরাধের জন্য মৃত্যুদণ্ডের বিধান দিয়েছি। সাইবার অপরাধের জন্যও অনেক বিধান রাখা হয়েছে।” তিনি বলেন, “নয়া তিনটি বিলে পুলিশ ও নাগরিকের অধিকারের মধ্যে ভারসাম্য রাখা হয়েছে। এর ফলে শাস্তি দেওয়ার সংখ্যা বাড়বে। ন্যায়বিচার, সমতা ও নিরপেক্ষতার ধারণাকে বিলে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে ফরেনসিক বিজ্ঞানও (Criminal Law Bills)।”

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Mahua Moitra: বাংলো নিয়ে তৃণমূলের মহুয়ার মামলায় স্থগিতাদেশ দিল্লি হাইকোর্টের

    Mahua Moitra: বাংলো নিয়ে তৃণমূলের মহুয়ার মামলায় স্থগিতাদেশ দিল্লি হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সাংসদ পদ খুইয়েছেন। তাই ছাড়তে হবে দিল্লির সরকারি বাংলো। এই মর্মে কেন্দ্রের তরফে নোটিশও পান তৃণমূলের বহিষ্কৃত সাংসদ মহুয়া মৈত্র (Mahua Moitra)। ৭ জানুয়ারির মধ্যে বাংলো ছেড়ে দিতে বলা হয়েছে তাঁকে। কেন্দ্রের এই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে দিল্লি হাইকোর্টে মামলা করেন তৃণমূল নেত্রী।

    মহুয়ার আবেদন

    রিট পিটিশন দাখিল করে মহুয়ার আবেদন, ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের নির্ঘণ্ট ঘোষণা পর্যন্ত যাতে তিনি ওই বাংলোয় থাকতে পারেন, সেই নির্দেশ দিক আদালত। মঙ্গলবার এই মামলায় স্থগিতাদেশ দিল দিল্লি হাইকোর্ট। সুপ্রিম কোর্টের সঙ্গে সংঘাত এড়াতেই এই নির্দেশ বলে জানান বিচারপতি সুব্রহ্মণ্যম প্রসাদ। বিচারপতি প্রসাদের পর্যবেক্ষণ, “মহুয়া (Mahua Moitra) লোকসভা থেকে তাঁর বহিষ্কারকে চ্যালেঞ্জ করে মামলা দায়ের করেছেন সুপ্রিম কোর্টে। সেই মামলার শুনানি এখনও হয়নি। তাই এখন সরকারি বাংলো নিয়ে হাইকোর্ট যদি কোনও নির্দেশ দেয়, তবে বাধাপ্রাপ্ত হবে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপ্রক্রিয়া। তাই আপাতত ওই মামলায় স্থগিতাদেশ দেওয়া হল।

    কী বললেন বিচারপতি?

    তৃণমূলের বহিষ্কৃত সাংসদের উদ্দেশে বিচারপতি প্রসাদের মন্তব্য, “আপনি একটি রিট পিটিশন দায়ের করে সরকারি নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করেছেন। আবার অন্য মামলা হয়েছে সুপ্রিম কোর্টে। যদি শীর্ষ আদালত সেই মামলায় স্থগিতাদেশ দেয়, তাহলে এই বিষয়টির শুনানি হতে পারে।” প্রসঙ্গত, সুপ্রিম কোর্টে পিছিয়ে গিয়েছে মহুয়ার মামলার শুনানি। এই মামলার শুনানি হতে পারে ৩ জানুয়ারি। ওই দিন পর্যন্ত মহুয়ার বাংলো মামলায় স্থগিতাদেশ দিয়েছে দিল্লি হাইকোর্ট। তাই ৪ জানুয়ারি মামলাটি শুনবেন বিচারপতি প্রসাদ। এই সময়ের মধ্যে কোনও অন্তর্বর্তী নির্দেশ দিতেও অস্বীকার করেছে দিল্লি হাইকোর্ট।

    আরও পড়ুুন: উপরাষ্ট্রপতিকে ‘মিমিক’ কল্যাণের, ‘মুর্খো কা সর্দারে’র আচরণে ধিক্কার নেটিজেনদের

    ঘুষ নিয়ে প্রশ্নকাণ্ডে অভিযুক্ত হন কৃষ্ণনগরের সাংসদ তৃণমূলের মহুয়া মৈত্র। অভিযোগ, নগদ টাকা ও দামি দামি উপহার নিয়ে সংসদে প্রশ্ন করেছেন তিনি। সাংসদ নিশিকান্ত দুবের অভিযোগের ভিত্তিতে সংসদের এথিক্স কমিটি তলব করে মহুয়াকে (Mahua Moitra)। এথিক্স কমিটির বৈঠক ছেড়ে মাঝপথে বেরিয়ে যান মহুয়া। তাঁকে বহিষ্কারের সুপারিশ করে এথিক্স কমিটি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

     
     
  • Mallikarjun Kharge: ‘ইন্ডি’ জোটের প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী মল্লিকার্জুন খাড়্গে! নেপথ্যে কোন অঙ্ক?

    Mallikarjun Kharge: ‘ইন্ডি’ জোটের প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী মল্লিকার্জুন খাড়্গে! নেপথ্যে কোন অঙ্ক?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনে একটি রাজ্যে জিতে কোনওরকমে মুখরক্ষা করেছে কংগ্রেস। এহেন গ্র্যান্ড ওল্ড পার্টির সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়্গেই (Mallikarjun Kharge) হচ্ছেন ‘ইন্ডি’ জোটের প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী। বছর আশির খাড়্গে উত্তরপ্রদেশের তফশিলি সম্প্রদায়ের জন্য সংরক্ষিত কোনও আসনে প্রার্থী হতে পারেন।

    খাড়্গেকে প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী করার প্রস্তাব

    খাড়্গেকে প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী করার প্রস্তাব দিয়েছেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং আপ সুপ্রিমো অরবিন্দ কেজরিওয়াল। খাড়্গে অবশ্য বলছেন, “আগে জয়ী হওয়া যাক। পরে ভাবা যাবে প্রধানমন্ত্রী কে হবেন।” মমতা ও কেজরির এই প্রস্তাব নিয়ে ইতিমধ্যেই ইন্ডি জোটের শরিক সমাজবাদী পার্টির অখিলেশ যাদব ও রাষ্ট্রীয় লোকদলের সভাপতি জয়ন্ত চৌধুরীর সঙ্গে আলোচনা করছেন কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্ব।

    নেপথ্যে কোন পার্টি-গণিত?

    পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনে মাত্র একটিতে জিতেছে কংগ্রেস। তা সত্ত্বেও কংগ্রেস সভাপতিকে প্রার্থী করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে নির্বাচনী আঁক কষেই। খাড়্গে (Mallikarjun Kharge) তফশিলি সম্প্রদায়ভুক্ত। উত্তর প্রদেশের মোট জনসংখ্যার ২০ শতাংশই দলিত। তাই খাড়্গে প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী হলে কেবল উত্তর প্রদেশ নয়, বদলে যেতে পারে লোকসভা নির্বাচনের পার্টি-গণিতই। কারণ এই দলিত ভোটারদের সমর্থনেই ২০০৭ সালে তৃতীয়বারের জন্য উত্তর প্রদেশের কুর্সিতে বসেছিলেন বিএসপির মায়াবতী। ইন্ডি জোটের ভোট ম্যানেজারদের হিসেব, এই ভোটের সঙ্গে কংগ্রেসের নিজস্ব ভোট যোগ হলে, গোটা দেশেই ঘুরে দাঁড়াবে কংগ্রেস। যার জেরে আদতে উপকৃত হবে ইন্ডি জোট।

    আরও পড়ুুন: উপরাষ্ট্রপতিকে ‘মিমিক’ কল্যাণের, ‘মুর্খো কা সর্দারে’র আচরণে ধিক্কার নেটিজেনদের

    এহ বাহ্য। খাড়্গে বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী। সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মধ্যে প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন একমাত্র শিখ মনমোহন সিংহ। খাড়্গেকে দাঁড় করিয়ে সংখ্যালঘু ভোটও ইন্ডি জোটের ঝুলিতে নিয়ে আসতে চাইছেন ভোট ম্যানেজাররা। সোনিয়া গান্ধী অসুস্থ। আগামী লোকসভা নির্বাচনে তিনি আর প্রার্থী হবেন না বলেই জানিয়ে দিয়েছেন। শোনা যাচ্ছে, সোনিয়ার জেতা রায়বেরিলি কেন্দ্রেই প্রার্থী করা হতে পারে খাড়্গেকে। এই কেন্দ্রে তফশিলি ভোট রয়েছে ১৫ শতাংশ। মুসলিম ভোট ২৫ শতাংশ। এর সঙ্গে বিজেপি বিরোধী দলগুলির ভোট এক বাক্সে পড়লে খাড়্গের (Mallikarjun Kharge) জয় একপ্রকার নিশ্চিত। তবে খাড়্গে জিতলেও, ইন্ডি জোটের কী হাল হয়, সেটাই দেখার।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Bankura: কয়েকশো কোটি টাকার হাতির দাঁত পুড়িয়ে দিল বাঁকুড়া বন দফতর!

    Bankura: কয়েকশো কোটি টাকার হাতির দাঁত পুড়িয়ে দিল বাঁকুড়া বন দফতর!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ছোট বড় ৫৭ টি বিভিন্ন আকারের এবং ওজনের হাতির দাঁত পুড়িয়ে দিল ফেলল বাঁকুড়া বন দফতর। বিগত ১০ বছর যাবৎ বিভিন্ন দুর্ঘটনায় মৃত হাতির দাঁতগুলিকে সংরক্ষণ করে রেখেছিল বাঁকুড়া (Bankura) বন দফতর। কয়েকশো কোটি টাকার মূল্যের হাতির দাঁত ছিল বলে জানা গিয়েছে।

    উল্লেখ্য, হাতির দেহ পোড়াতে যত তাপমাত্রার প্রয়োজন হয় সেই সঙ্গে দাঁত পোড়াতে আরও বেশি তাপমাত্রার প্রয়োজন হয়। তাই চোরাকারবারিরা হাতিকে পোড়ানোর আগেই দাঁত কেটে নিয়ে পালিয়ে যায়। উল্লেখ্য গত তিন দশক ধরে দলমা পাহাড় থেকে দলে দলে হাতিরা খাবারের খোঁজে বাঁকুড়ায় আসে। হাতির দলের মধ্যে অসুস্থ এবং বৃদ্ধ হাতিও থাকে প্রচুর। ফলে অনেক সময় জঙ্গলেই মারা যায় তারা। বন দফতরের নিয়ম অনুযায়ী মৃত হাতিগুলির দেহকে জঙ্গলেই পুড়িয়ে দেওয়া হয়। এবার পোড়ানো হল সেই দাঁতগুলি।

    বাঁকুড়ার কোথায় পোড়ানো হল (Bankura)?

    মঙ্গলবার দুপুর বারোটা নাগাদ বাঁকুড়া (Bankura) জেলার বড়জোরার একটি বেসরকারি ভস্মকারী সংস্থার মাধ্যমে এই দাঁত পোড়ানো হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। বাঁকুড়ার তিনটি বনবিভাগ যৌথ উদ্যোগে এই কাজ সম্পন্ন হয়। জেলার বন দফতরের ডিএফও নর্থের অধিকারিক উমর ইমাম, ডিএফও পাঞ্চেতের আধিকারিক অঞ্জন গুহ এবং কেন্দ্রের মুখ্য বনপাল এস কুলান ডাইভেলের তত্ত্বাবধানে এই দাঁতগুলি পুড়িয়ে ফেলা হল। নিজের কানকে বিশ্বাস করতে না পারার মতো ঘটনা। প্রায় পঁচিশ কেজি ওজনের হাতির দাঁতগুলিকে ঢুকিয়ে দেওয়া হলো হাজার ডিগ্রী সেলসিয়াসের চুল্লিতে। এরপর সব একদিনেই শেষ হয়ে গেল।

    বন দফতরের বক্তব্য

    এই ঘটনায় বাঁকুড়া (Bankura) বন দফতরের বিশেষ বার্তা হল, জঙ্গলের বন্যপ্রাণকে বাণিজ্যিকরণ করা যাবে না। এই দাঁত পোড়ানোর কাজ ভারতের বন্যপ্রাণ সুরক্ষা আইন অনুযায়ী সম্পন্ন করা হয়েছে। ২০২৩ সাল পর্যন্ত এপ্রিল মাসে পাস হওয়া একটি আইন অনুযায়ী কোনও পরিস্থিতিতেই হাতির দাঁত ব্যবহার করা যাবে না। ফলে বন দফতরের সংগ্রহে থাকা দাঁতের নষ্ট করে ফেলার সিদ্ধান্ত নেয় বন দফতর। ঘটনায় জেলা জুড়ে বেশ শোরগোল পড়েছে বলে জানা গিয়েছে। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Parliament Security Breach: লোকসভাকাণ্ডের মূল চক্রী ললিতের কলকাতার ডেরায় হানা দিল্লি পুলিশের

    Parliament Security Breach: লোকসভাকাণ্ডের মূল চক্রী ললিতের কলকাতার ডেরায় হানা দিল্লি পুলিশের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লোকসভাকাণ্ডের (Parliament Security Breach) মূল চক্রী ললিত ঝা। এই ললিতের ডেরার খোঁজে কলকাতার অলি-গলিতে চক্বর দিচ্ছেন দিল্লি পুলিশের তদন্তকারী আধিকারিকরা। সোমবারই তাঁরা পৌঁছেছিলেন রবীন্দ্র সরণিতে। এখানে একটি ঘর ভাড়া নিয়ে টিউশন পড়াত ললিত। এদিন বাগুইআটি থেকে ডালহৌসি— সর্বত্র চষে বেড়াল দিল্লি পুলিশের দল।

    বিএসএনএল অফিসে দিল্লি পুলিশ

    মঙ্গলবার দিল্লি পুলিশের আরও একটি দল আসে ইকোপার্ক থানায়। পরে যায় ডালহৌসির বিএসএনএল অফিসে। ললিতের নামে নেওয়া একটি সিমকার্ডের ডুপ্লিকেটের জন্য দিল্লি পুলিশের ওই দলটি গিয়েছিল বিএসএনএল অফিসে। ললিতের সঙ্গে যে বাংলার নিবিড় যোগ রয়েছে, সে খবর আগেই জানিয়েছিল মাধ্যম। বাংলার একটি এনজিওর কর্মী সে। ব্যবহার করত বিএসএনএলের সিমকার্ড। এই সিমকার্ডেরই ডুপ্লিকেটের খোঁজে বিএসএনএলের দফতরে ঢুঁ মেরেছিলেন তদন্তকারীরা। ললিতের ওই সিমকার্ডটি কোন (Parliament Security Breach) কোন ফোনে ব্যবহার করা হয়েছিল, কোথায় কোথায় ওয়াইফাইয়ের সঙ্গে যুক্ত হয়েছিল মূলত এসবই জানতে চান তাঁরা। বিএসএনএলের কাছে প্রযুক্তিগত কিছু তথ্যও চেয়েছেন তদন্তকারীরা।

    বাগুইআটির ভাড়া বাড়িতেও হানা

    এদিন ললিতের বাগুইআটির ভাড়া বাড়িতেও হানা দেন তদন্তকারীরা। এই এলাকাটি ইকোপার্ক থানার অধীনে। তাই আগে থানায় যায় দিল্লি পুলিশের দলটি। পরে যায় ললিতের ভাড়া বাড়িতে। সেখানে ঝুলছে তালা। তদন্তকারীরা অবশ্য ঘরের তালা খোলেননি। তবে কথা বলেছেন ললিতের প্রতিবেশীদের সঙ্গে। তাঁরা জানিয়েছেন, লোকসভাকাণ্ডের তিন তিনেক আগেও এই বাড়িতে ছিল ললিত। পরে ঘরে তালা দিয়ে কোথাও চলে যায়। এদিন ললিতের বাড়ির মালিকের সঙ্গেও কথা বলেছে তদন্তকারী দলটি। ঘটনার দিন তিনেক আগে বাগুইআটির বাড়িতে থাকলেও, ২১৮ রবীন্দ্র সরণির ভাড়া বাড়িতে বহু দিন সে যায়নি বলে স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন দিল্লি পুলিশের দলটিকে। এই ঠিকানায়ই টিউশন পড়াত সে।

    আরও পড়ুুন: সরকারি ধান বিক্রয় কেন্দ্রেই ওজনে কারচুপি, ১৫ কুইন্টাল ধানে ৬০ কেজি হাপিশ!

    গত বুধবার শীতকালীন অধিবেশন চলাকালীনই লোকসভার দর্শক গ্যালারি থেকে নিচে লাফিয়ে পড়ে দুই হানাদার। জুতোয় লুকিয়ে রাখা রং-বোমা বিস্ফোরণ ঘটায় তারা। পরে হানাদারদের ধরে ফেলেন দুই সাংসদ। মার্শাল ডেকে তুলে দেওয়া হয় তাঁদের হাতে। ওই ঘটনায় সব মিলিয়ে গ্রেফতার হয়েছে ৬ জন। পুরো ঘটনার মূল চক্রী ললিতই বলে মনে করছেন (Parliament Security Breach) তদন্তকারীরা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Cow Smuggling: অনুব্রত তিহার জেলে, তারপরেও বঙ্গে ফের শুরু গরু পাচার, শোরগোল

    Cow Smuggling: অনুব্রত তিহার জেলে, তারপরেও বঙ্গে ফের শুরু গরু পাচার, শোরগোল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অনুব্রত তিহার জেলে, তারপরেও বঙ্গে ফের শুরু গরু পাচার, শোরগোল। বেশ কয়েক বছর উত্তর ২৪ পরগনার সীমান্তে গরু পাচার (Cow Smuggling) বন্ধ থাকলেও এবার ফের গরু পাচার হচ্ছে বলে এলাকায় অভিযোগ উঠেছে। সূত্রে জানা গিয়েছে, বাগদার কুলিয়া ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত দিয়ে এই গরু পাচার ফের শুরু হয়েছে। ইতিমধ্যে গ্রামবাসীদের মধ্যে আতঙ্কের সূত্রপাত হয়েছে। অবশ্য বিএসএফের দাবি, গরু পাচার ঠেকাতে সবরকম ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।

    বিএসএফ সূত্রে খবর (Cow Smuggling)

    উত্তর ২৪ পরগনার বাগদার সীমান্ত এলাকায় গরু পাচার (Cow Smuggling) নিয়ে বিএসএফ জানিয়েছেন, পাচার আটকাতে নিরাপত্তা আরও শক্ত করা হয়েছে। তবে গরু রোজ পাচার হচ্ছে না। সীমান্তে যাঁরা গরু পোষেন তাঁদের বাড়িতে টাকা দিয়ে সাময়িক ভাবে রেখে দেওয়া হয়। তারপর সেগুলি পাচার হয়। আবার গ্রামবাসীদের বিক্রি করা গরু পাচারকারীদের কাছে চলে যাচ্ছে। সপ্তাহে এক বা দুই দিন সুযোগ বুঝে পাচারের চেষ্টা করা হয়। এলাকাগুলিকে চিহ্নিত করে সিসিটিভি বসানোর কথাও চলছে বলে জানা গিয়েছে।

    আগেও হয়েছে গরু পাচারের রমরমা

    স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এই জেলার বনগাঁ, বসিরহাট মহকুমার সীমান্ত দিয়ে রমরমিয়ে গরু পাচার (Cow Smuggling) হত। বেশ কিছু এলাকাকে সেফ করিডর করে পাচারের জন্য ব্যবহার করা হয়। উল্লেখ্য এখনো বেশ কিছু এলাকার সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়া নেই। রাতের অন্ধকারে অন্য রাজ্য থেকে ট্রাকে করে গরু এনে ফসলের জমিতে হাঁটিয়ে হাঁটিয়ে নিয়ে গিয়ে পাচার করা হয়। ফলে বিঘা বিঘা জমির ফসল নষ্ট হয়ে যায় এই গরু পাচারের কারণে। অনেক সময় এমন অভিযোগ শোনা গিয়েছে রীতিমতো আগ্নেয় অস্ত্র হাতে নিয়ে বাংলাদেশ থেকে পাচারকারীরা ভারতে ঢুকে গরু নিয়ে যায়। পরিস্থিতির অবনতি হলে স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী গরু পাচার বন্ধের নির্দেশ দিয়েছিলেন। একই ভাবে তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিং এই এলাকায় এসে একই কথা বলে গিয়েছিলেন।

    এলাকার মানুষের বক্তব্য

    ভারত-বাংলাদেশের কুলিয়া সীমান্ত এলাকায় চাষি সুভাষ সরকার বলেন, “পাচারকারীরা রাতের অন্ধকারে চাষের জমির মধ্যে দিয়ে গরু নিয়ে যায়। ফলে চাষের ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে। পাচারকারীদের (Cow Smuggling) হাতে দা, কুড়ুল, ভোজালি থাকছে।” আরেক চাষি কালীপদ বিশ্বাস বলেন, “রাত তিনটে থেকে গরু পাচার হচ্ছে। আমরা চাই বিএসএফ এবং পুলিশ কড়া ব্যবস্থা নেক।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Barrackpore: উলট পুরাণ, তৃণমূলের ডাকাবুকো নেতারাও খুন হওয়ার আশঙ্কায় কমিশনারেটের দ্বারস্থ!

    Barrackpore: উলট পুরাণ, তৃণমূলের ডাকাবুকো নেতারাও খুন হওয়ার আশঙ্কায় কমিশনারেটের দ্বারস্থ!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এলাকার সাধারণ মানুষকে যাদের রক্ষা করার কথা, ভাটপাড়া এলাকার তৃণমূলের সেই ডাকাবুকো জনপ্রতিনিধিরা চরম আতঙ্কে ভুগছেন। প্রকাশ্যে পোস্টার গলায় ঝুলিয়ে বারাকপুর পুলিশ কমিশনারের কাছে তাঁরা নিজেদের উদ্বেগের কথা জানিয়েছেন। মূলত দলেরই অন্য গোষ্ঠীর (সাংসদ অর্জুন সিংয়ের অনুগামী) দিকে তাঁরা আঙুল তুলেছেন। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে তৃণমূলের গোষ্ঠীকোন্দল একেবারে প্রকাশ্যে চলে এসেছে। বারাকপুরের (Barrackpore) পুলিশ কমিশনার অলোক রাজোরিয়া বলেন, ‘কয়েকজন এসে স্মারকলিপি দিয়েছেন। তাঁদের অভিযোগ শুনেছি। সব কিছু খতিয়ে দেখা হচ্ছে’।

    নতুন করে অশান্তির আশঙ্কা তৃণমূল নেতা-কর্মীদের (Barrackpore)

    পাশাপাশি জগদ্দল, ভাটপাড়া অঞ্চলে নতুন করে অশান্তি পাকানোর অভিযোগ তুলে সোমবার বিকেলে বারাকপুর (Barrackpore) পুলিশ কমিশনারের অফিসের সামনে গলায় ফেস্টুন ঝুলিয়ে মৌন প্রতিবাদ জানালেন জগদ্দল বিধানসভা অঞ্চলের তৃণমূল কংগ্রেসের প্রতিনিধিরা। সেখানে জগদ্দলের তৃণমূল কর্মী ভিকি যাদব খুনে মাস্টারমাইন্ডকে অবিলম্বে গ্রেফতারের দাবি জানানো হয়। ওই দলে ছিলেন নিহত তৃণমূল কর্মী ভিকি যাদবের মা নীলম দেবীও। গত কয়েক মাসে জগদ্দল, ভাটপাড়া অঞ্চলে খুন এবং আক্রান্তদের ছবি সহযোগে গলায় ফেস্টুন ঝুলিয়ে বিক্ষোভকারীরা প্রশ্ন তোলেন, এবার টার্গেট কি আমি? বিক্ষোভকারীদের তরফে ছয় জনের একটি প্রতিনিধিদল পুলিশ কমিশনারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে একটি স্মারকলিপিও জমা দেন। যেখানে তৃণমূল কংগ্রেস ক্ষমতায়, সেখানে শাসক দলেরই লোকজন অশান্তির আশঙ্কায় পুলিশ কমিশনারের অফিসে বিক্ষোভ প্রদর্শনের ঘটনায় পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।

    বিক্ষোভকারী জনপ্রতিনিধি কী বললেন?

    বিক্ষোভকারীদের দলে ছিলেন জগদ্দল বিধানসভার অধীন ভাটপাড়া পুরসভার ১৮ জন কাউন্সিলার, চারটি গ্রাম পঞ্চায়েতের ৯৮ জন সদস্য, দুজন জেলা পরিষদ সদস্য এবং সাত জন পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য সহ ওই এলাকার তৃণমূলের নেতাকর্মীরা। ওই প্রতিনিধি দলের সদস্য তথা ভাটপাড়া পুরসভার কাউন্সিলার বিপ্লব মালো বলেন, ২০১৯ সাল পরবর্তী সময়ে যেভাবে বিজেপির বাহিনী (সেই সময় অর্জুন সিং বিজেপিতে ছিলেন) ভাটপাড়া, জগদ্দল জুড়ে অশান্তি পাকিয়েছিল, একই ভাবে গত ছয়-আট মাস ধরে নতুন করে অশান্তি পাকিয়ে এলাকায় আতঙ্কের পরিবেশ তৈরি করা হচ্ছে। সম্ভাব্য কিছু জায়গার নাম আমরা পুলিশ কমিশনারকে দিয়েছি, যেখান থেকে দুস্কৃতীরা বেরিয়ে অশান্তি পাকাচ্ছে। পুলিশ কমিশনার আশ্বাস দিয়েছেন যারা জড়িত তাদের সকলকেই ধরা হবে’।

    তৃণমূল বিধায়ক কী বললেন?

    জগদ্দলের বিধায়ক সোমনাথ শ্যাম বলেন, ‘দলের কর্মীরা আতঙ্কিত। তাই তাঁরা পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছেন। আমি এতে অন্যায়ের কিছু দেখছি না। আশা করি মেঘনা জুটমিল লাইন সহ যে যে এলাকা থেকে অশান্তি পাকানো হচ্ছে, পুলিশ প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করবে’।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share