Author: Krishnendu Bakshi

  • Amit Shah: “সিএএ দেশের আইন, বাংলায় লাগু করবই”, ধর্মতলার সভা থেকে শাহি-বার্তা

    Amit Shah: “সিএএ দেশের আইন, বাংলায় লাগু করবই”, ধর্মতলার সভা থেকে শাহি-বার্তা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “সিএএ (CAA) আইন হয়ে গিয়েছে, প্রণয়নও হয়ে যাবে।” বুধবার ধর্মতলার ওয়াই চ্যানেলে বিজেপির ভরা সভায় কথাগুলি বললেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। তিনি বলেন, “এত অনুপ্রবেশ কোনও রাজ্যে হলে সেখানে উন্নয়ন হতে পারে? মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ভোটের জন্য সিএএ-র বিরোধিতা করছেন।” এর পরেই শাহ বলেন, “আমি বলছি, সিএএ আইন হয়ে গিয়েছে, প্রণয়নও হয়ে যাবে। সিএএ লাগু হবেই, কেউ আটকাতে পারবে না।”  

    সিএএ-র পথে অন্তরায় তৃণমূল!

    রাজ্যে সিএএ চালুর পথে যে তৃণমূল সরকারই অন্তরায়, এদিন তাও জানিয়েছেন অমিত শাহ। তিনি জানান, ২০২৬ সালে বাংলায় বিজেপি সরকার ক্ষমতায় আসার পর এ রাজ্যে সিএএ চালু হবে। কারণ কেন্দ্রীয় সরকার সিএএ চালু করতে চাইলেও, তৃণমূল সরকার তা করতে দিচ্ছে না।ধর্মতলার ওয়াই চ্যানেলে এদিন তিল ধারণের জায়গা ছিল না। প্রত্যাশিতভাবেই সেই সভায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারকে আগাগোড়া নিশানা করেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।

    অনুপ্রবেশকারীদের ভোটার কার্ড দিচ্ছেন মমতা!

    তিনি বলেন, “দেশে সব চেয়ে বেশি রাজনৈতিক হিংসা হয় বাংলায়। বাংলার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার অনুপ্রবেশ রুখতে পারেনি। যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অনুপ্রবেশ রুখতে পার্লামেন্ট চলতে দেননি, সেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আজ অনুপ্রবেশকারীদের ভোটার কার্ড করে দিচ্ছেন। বাংলায় অনুপ্রবেশকারীদের আধার কার্ড করে দেওয়া হচ্ছে। তাও আবার রীতিমতো সোশ্যাল মিডিয়ায় বিজ্ঞাপন দিয়ে (Amit Shah)।”

    প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালের ডিসেম্বর মাসে সংসদে পাশ হয় সিএএ। সিএএ-তে বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও আফগানিস্তান থেকে ধর্মীয় উৎপীড়নের জেরে ভারতে চলে আসা সেইসব দেশের ছ’টি ধর্মীয় সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষকে ভারতীয় নাগরিকত্ব দেওয়ার কথা বলা হয়েছিল। এতে মুসলমানদের প্রতি বৈষম্য হচ্ছে বলে অভিযোগ ওঠে।

    এদিনের সভায় শাহ বলেন, “অসমে বিজেপি ক্ষমতায় আসার পর সেখানে অনুপ্রবেশ বন্ধ হয়ে গিয়েছে। এ রাজ্যেও বিজেপি এলে অনুপ্রবেশ বন্ধ হয়ে যাবে। বিজেপি সিএএ লাগু করবেই।” কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “প্রতিবেশী রাজ্য (বাংলাদেশ) থেকে যে হিন্দু ভাইয়েরা এসেছেন, এদেশের ওপর আমাদের যতটা অধিকার রয়েছে, তাঁদেরও ততটাই অধিকার রয়েছে।” প্রসঙ্গত, গত মার্চ মাসে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী মতুয়া সম্প্রদায়ের প্রতিনিধি শান্তনু ঠাকুর বলেছিলেন, “সিএএ একটি জটিল অবস্থায় রয়েছে। সুপ্রিম কোর্টে আটকে রয়েছে। আদালত রায় না দিলে সরকার এটা কার্যকর করতে পারে (Amit Shah) না।”

    আরও পড়ুুন: ‘‘ছাব্বিশে দিদিকে উৎখাত করতে হলে চব্বিশে মোদিকে ফের আনতে হবে’’, ধর্মতলায় অমিত শাহ

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।  

  • Ruchira Kamboj: সন্ত্রাসবাদ নির্মূলে ‘জিরো-টলারেন্স’ নীতি ভারতের, ফের জানালেন রুচিরা

    Ruchira Kamboj: সন্ত্রাসবাদ নির্মূলে ‘জিরো-টলারেন্স’ নীতি ভারতের, ফের জানালেন রুচিরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সন্ত্রাসবাদ নির্মূলে ভারত যে ‘জিরো-টলারেন্স’ নীতি নিয়েছে, বিশ্বমঞ্চে ফের একবার তা জানিয়ে দিলেন রাষ্ট্রসংঘে ভারতের স্থায়ী প্রতিনিধি রুচিরা কম্বোজ (Ruchira Kamboj)। মঙ্গলবার রাষ্ট্রসংঘের সাধারণ সভায় বক্তব্য রাখছিলেন রুচিরা। ‘ইন্টারন্যাশনাল ডে অফ সলিডারিটি উইথ প্যালেস্তাইন পিপল’ শীর্ষক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল এদিন। সেই উপলক্ষেই বক্তৃতা দিচ্ছিলেন রাষ্ট্রসংঘে ভারতের স্থায়ী প্রতিনিধি।

    ‘তামাম বিশ্বে মানবতার সঙ্কট’

    তিনি বলেন, “প্যালেস্তাইনে নাগরিকদের সঙ্গে আমাদের গভীর সম্পর্ক রয়েছে। সেই সম্পর্ক ঐতিহাসিক। দুই দেশের নাগরিকদের মধ্যেও সম্পর্ক রয়েছে। প্যালেস্তাইনের বাসিন্দারা যাতে রাষ্ট্র ও শান্তি-সমৃদ্ধি পান, সেজন্য তাঁদের পাশে রয়েছে ভারত।” এর পরেই রুচিরা (Ruchira Kamboj) বলেন, “সন্ত্রাসবাদ নির্মূল করতে ভারত ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি নিয়েছে। আমরা এটাও বিশ্বাস করি, আন্তর্জাতিক মানবতা আইন সকলেরই মেনে চলা উচিত।” বর্তমান বিশ্বে যে মানবতার সঙ্কট চলছে, এদিন তাও মনে করিয়ে দেন রুচিরা। তিনি বলেন, “মানবতার এই সঙ্কটের দিনে মানবতা রক্ষায় চূড়ান্ত দায়িত্ব পালন করা প্রয়োজন বিশ্বের প্রতিটি রাজনৈতিক দলেরই।”

    গাজার অসহায়দের পাশে ভারত

    হামাস-ইজরায়েল যুদ্ধের জেরে বিপর্যস্ত গাজা স্ট্রিপের বাসিন্দারা। এই গাজা স্ট্রিপেই ঘাঁটি গেড়েছিল প্যালেস্তাইনের সশস্ত্র সংগঠন। এই সংগঠনই প্রথম হামলা চালায় ইজরায়েলে। প্রত্যাঘাত করে ইজরায়েল। এই যুদ্ধের জেরেই ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয় গাজা স্ট্রিপ। গাজার অসহায় নাগরিকদের পাশে দাঁড়াতে সেখানে ত্রাণ পাঠায় ভারত। এদিন সেকথা মনে করিয়ে দিয়ে রুচিরা বলেন, “গাজা স্ট্রিপে ৭০ টন মানবিক সাহায্য পাঠিয়েছে ভারত। এর মধ্যে রয়েছে ১৬.৫ টন ওষুধ ও মেডিকেল সরঞ্জাম।”

    আরও পড়ুুন: ‘‘কলকাতার ‘প্রতিবাদ সভা’য় যোগ দেওয়ার অপেক্ষায়…’’, ট্যুইট-বার্তায় অমিত শাহ

    রাষ্ট্রসংঘে ভারতের স্থায়ী প্রতিনিধি বলেন, “৭ অক্টোবর, প্রথম যেদিন ইজরায়েলের ওপর হামলা হয়েছিল, সে সম্পর্কেও আমরা জানি। আমরা হতবাক হয়ে গিয়েছিলাম। সন্ত্রাসবাদের পক্ষে কোনও যুক্তিই খাড়া করা যায় না। আবার গাজায় যেসব নিরীহ মানুষ যুদ্ধের ক্ষত বয়ে বেড়াচ্ছেন, তাঁদের নিয়েও ভারত উদ্বিগ্ন।” রুচিরা (Ruchira Kamboj) বলেন, “ইজরায়েল-প্যালেস্তাইন ইস্যুতে ভারত বরাবরই আলোচনার পক্ষে। প্যালেস্তাইন স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে আত্মপ্রকাশ করুক, ভারত তা চায়। দুই দেশের সীমান্তেই বজায় থাকুক কাঙ্খিত শান্তি।”

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।  

  • Amit Shah: ‘‘কলকাতার ‘প্রতিবাদ সভা’য় যোগ দেওয়ার অপেক্ষায়…’’, ট্যুইট-বার্তায় অমিত শাহ

    Amit Shah: ‘‘কলকাতার ‘প্রতিবাদ সভা’য় যোগ দেওয়ার অপেক্ষায়…’’, ট্যুইট-বার্তায় অমিত শাহ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ন’ বছর পর কলকাতার ওয়াই চ্যানেলে বিজেপির সভায় যোগ দিচ্ছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। এর আগে শাহ যখন এখানে সভা করেছিলেন, তখন তিনি ছিলেন বিজেপির জাতীয় সভাপতি। আর আজ, বুধবার যখন সমাবেশে যোগ দিচ্ছেন, তখন তাঁর পরিচয়, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। দীর্ঘ এই ন’ বছরের ব্যবধানে গঙ্গা দিয়েছে গড়িয়েছে কিউসেক কিউসেক জল।

    শাহি-বার্তা

    তবে ন’ বছর আগের মতোই এবারও শাহের অস্ত্র হতে চলেছে তৃণমূলের দুর্নীতি। কলকাতার এই সভায় যোগ দিতে তিনি যে মুখিয়ে রয়েছেন, এদিন এক্স হ্যান্ডেলে তা জানিয়েছেন শাহ স্বয়ং। তিনি লিখেছেন, “প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিজির নেতৃত্বে বিজেপি এখন বাংলার মানুষের প্রথম পছন্দের রাজনৈতিক দল। আগামী নির্বাচনে বিজেপির জয় এবং মমতা দিদির তৃণমূলের পরাজয় নিশ্চিত। আজ কলকাতায় প্রতিবাদ সভায় বক্তব্য রাখার দিকেই এখন তাকিয়ে রয়েছি।”

    শাহের তুণীরে কোন শর? 

    জানা গিয়েছে, এদিন বেলা ২টো নাগাদ ভাষণ দেবেন অমিত শাহ। লোকসভা নির্বাচনের আগে তাঁর এই সফর নিঃসন্দেহে বাড়তি অক্সিজেন জোগাবে রাজ্য বিজেপিকে। ন’ বছর আগে যখন এই ধর্মতলায় শাহি সমাবেশ হয়েছিল, তখন এ রাজ্যে বিজেপির পায়ের নীচের মাটি তেমন শক্ত ছিল না। আর আজ, ন’ বছর পরে এ রাজ্যে বিজেপির বুনিয়াদ যথেষ্ট মজবুত। কেলেঙ্কারির পঙ্কিল আবর্তে ঘুরছেন তৃণমূলের অনেক নেতাই। এহেন আবহে রাজ্যে আসছেন অমিত শাহ (Amit Shah)। তাই তাঁর তুণীরে কোন শর রাখা আছে, তা জানতে মুখিয়ে বঙ্গ বিজেপিও।

    এদিকে, বেলা ১২টা বাজতেই ধর্মতলার ওয়াই চ্যানেলে সভা শুরু হয়েছে বিজেপির। ইতিমধ্যেই সভায় হাজির হয়েছেন কয়েক লক্ষ মানুষ। হাওড়া ও শিয়ালদহ থেকেও সভাস্থলের দিকে আসছে ‘বঞ্চিত’ জনতার মিছিল। অন্যান্যবার বিজেপির সমাবেশে আসার পথে কর্মী-সমর্থকদের বাধা দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। এবার এখনও তেমন কোনও অভিযোগ ওঠেনি। বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, “জেলা থেকে ট্রেনে-বাসে করে কলকাতায় আসছেন আমাদের কর্মী-সমর্থকরা। বাধা দিলে পরিণাম ভাল হবে না। আজ তৃণমূল কর্মীরা বাধা দিলে আমাদের কর্মীরাও উচিত শিক্ষা দেবে। আজ এই কলকাতা থেকে ট্রেলার শুরু। তৃণমূলকে উৎখাতের ডাক দেবেন অমিত শাহ (Amit Shah)।”

    সবে ট্রেলর! পিকচার আভি ভি বাকি হ্যায়?

    আরও পড়ুুন: হাওড়া-শিয়ালদায় খাওয়া-দাওয়া সেরে ‘শাহি’ সমাবেশের পথে জনতা, রাজপথে ‘গৈরিক সুনামি’

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।  

     

  • Uttarkashi Tunnel Rescue: যবনিকা পতন ১৭ দিনের লড়াইয়ে, উত্তরকাশীর সুড়ঙ্গ থেকে উদ্ধার ৪১ শ্রমিকই  

    Uttarkashi Tunnel Rescue: যবনিকা পতন ১৭ দিনের লড়াইয়ে, উত্তরকাশীর সুড়ঙ্গ থেকে উদ্ধার ৪১ শ্রমিকই  

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চূড়ান্ত পর্বের অভিযান শুরু হয়েছিল রাত ৭টা ৪৯ মিনিটে। রাত ৮টা বেজে ৩৮ মিনিটের মধ্যে উত্তরকাশীর সিল্কিয়ারা সুড়ঙ্গ থেকে উদ্ধার করা হল ৪১ জন শ্রমিককেই। সেই সঙ্গে যবনিকা পতন হল টানা ১৭ দিনের লড়াইয়ের। এদিন সুড়ঙ্গ থেকে প্রথমে বেরিয়ে আসেন ঝাড়খণ্ডের বিজয় হোরো। তার পর একে একে বের করে আনা হয় আরও চল্লিশজন শ্রমিককে। আটক শ্রমিকদের উদ্ধার করার সময় উপস্থিত ছিলেন উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিং ধামী।

    কেমন ছিল শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি?

    মঙ্গলবার সন্ধের সময়ই সুড়ঙ্গে আটকে (Uttarkashi Tunnel Rescue) পড়া শ্রমিকদের কাছে পৌঁছে যান উদ্ধারকারী দলের সদস্যরা। যে পাইপের মাধ্যমে ওই শ্রমিকদের বের করে আনা হবে, সেটি প্রস্তুত রাখা হয়েছিল আগে থেকেই। শেষ মুহূর্তের কাজ শেষে একে একে উদ্ধার করা হয় শ্রমিকদের। সুড়ঙ্গের বাইরে প্রস্তত রাখা হয়েছিল চিকিৎসকদের একটি দলকে। উদ্ধার করা শ্রমিকদের প্রাথমিক স্বাস্থ্য পরীক্ষা করেন তাঁরাই। পরে নিয়ে যাওয়া হয় জেলা হাসপাতালে।

    চাকা লাগানো স্ট্রেচারে আনা হল বাইরে

    জানা গিয়েছে, যে পাইপের মধ্যে দিয়ে আটক শ্রমিকদের উদ্ধার করা হয়েছে, সেটি আড়াই ফুট চওড়া। চাকা লাগানো স্ট্রেচারের মাধ্যমে এই পাইপ দিয়েই বাইরে নিয়ে আসা হয়েছে তাঁদের। এই পাইপের মধ্যে দিয়ে প্রথমে শ্রমিকদের কাছে পৌঁছন জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর সদস্যরা। তাঁরাই শ্রমিকদের বুঝিয়ে দেন কীভাবে স্ট্রেচারের সাহায্যে সাবধানে বেরিয়ে আসতে হবে তাঁদের। টানা সতের দিন ধরে সুড়ঙ্গে আটকে থাকায় ক্ষীণকায় হয়েছেন শ্রমিকরা। তাই চাকা লাগানো স্ট্রেচারে করে তাঁদের বের করে আনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

    আরও পড়ুুন: খননকাজ শেষ করে শ্রমিকদের মঙ্গল কামনায় পুজোয় বসলেন আর্নল্ড ডিক্স

    সুড়ঙ্গে আটকে ছিলেন বাংলার তিনজন সহ মোট ৪১ জন শ্রমিক। তাই সুড়ঙ্গের বাইরে প্রস্তুত রাখা হয়েছিল ৪১টি অ্যাম্বুলেন্স। গড়া হয়েছিল অস্থায়ী স্বাস্থ্যকেন্দ্রও। এখানে প্রাথমিক চিকিৎসার পর উদ্ধার করা শ্রমিকদের নিয়ে যাওয়া হবে তিরিশ কিলোমিটার দূরের জেলা হাসপাতালে। শ্রমিকদের যাতে দ্রুত হাসপাতালে পৌঁছে দেওয়া যায়, তাই (Uttarkashi Tunnel Rescue) তৈরি করা হয়েছে গ্রিন করিডর। এই হাসপাতালের পাশেই প্রস্তুত রাখা হয়েছে বায়ুসেনার হেলিকপ্টার চিনুক। কোনও শ্রমিকের স্বাস্থ্যের অবনতি হলে দ্রুত উড়িয়ে নিয়ে যাওয়া হবে হৃষিকেশের এইমস হাসপাতালে। প্রশাসন জানিয়েছে, শ্রমিকদের জন্য প্রস্তুত রাখা হয়েছে ৪১টি বেড। ট্রমা কেয়ার ইউনিট, আইসিইউ এবং অক্সিজেনের ব্যবস্থাও রাখা হয়েছে। জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা কর্তৃপক্ষের সদস্য অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট জেনারেল সৈয়দ আটা হাসনাইন বলেছিলেন, “আমার মনে হয়, এই অপারেশন শেষ করতে পুরো রাত লেগে যাবে।” তবে তার আগেই আটক শ্রমিকদের উদ্ধার করায় খনি বিশেষজ্ঞদের ধন্যবাদ জানিয়েছেন তিনি।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Uttarkashi Tunnel Rescue: উত্তরকাশীর সুড়ঙ্গে আশার আলো, আটক শ্রমিকদের উদ্ধারে প্রস্তুত ‘চিনুক’, সুখবর শীঘ্রই!

    Uttarkashi Tunnel Rescue: উত্তরকাশীর সুড়ঙ্গে আশার আলো, আটক শ্রমিকদের উদ্ধারে প্রস্তুত ‘চিনুক’, সুখবর শীঘ্রই!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উত্তরাখণ্ডের উত্তরকাশীর সিল্কিয়াড়া সুড়ঙ্গে (Uttarkashi Tunnel Rescue) ফের ধস। সেই কারণেই দেরি হচ্ছে উদ্ধার কাজে। তবে ছোট্ট এই ধসের কারণে উদ্বিগ্ন হওয়ার কোনও কারণ নেই বলেই জানিয়েছেন উদ্ধারকারীরা। সূত্রের খবর, সুড়ঙ্গে আটকে থাকা শ্রমিকদের পরিবারবর্গকে ‘সুখবর’ দেওয়ার জন্য তৈরি থাকতে বলা হয়েছে প্রশাসনকে।

    প্রস্তুত বায়ুসেনার হেলিকপ্টার

    সুড়ঙ্গে আটক শ্রমিকদের উদ্ধার করার পর নিয়ে যাওয়া হবে হাসপাতালে। পরে নিয়ে যাওয়া হবে অন্যত্র। তাই সুড়ঙ্গের কাছেই প্রস্তুত রাখা হয়েছে বায়ুসেনার একটি চিনুক হেলিকপ্টার। এনডিএমএ সদস্য অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট জেনারেল সৈয়দ আতা হাসনাইন বলেন, “চিনুক হেলিকপ্টারটি, চিন্যালিসাউর এয়ারস্ট্রিপে রয়েছে। এর ওড়ার সময় ছিল বিকেল সাড়ে চারটে। আমরা এটি রাতে ওড়াব না। যেহেতু সুড়ঙ্গে আটকে পড়া শ্রমিকদের উদ্ধারে দেরি আছে, তাই আগামিকাল সকালে শ্রমিকদের নিয়ে যাওয়া হবে।”

    সাফল্যের খুব কাছাকাছি!

    তিনি বলেন, “আমরা বড় সাফল্যের খুব কাছাকাছি থাকলেও, এখনও সেখানে পৌঁছতে পারিনি (Uttarkashi Tunnel Rescue)। আটকে পড়া শ্রমিকরা মেশিনের শব্দ শুনেছেন। একবার ব্রেকথ্রু পাওয়া গেলে আটকে পড়া শ্রমিকদের বের করতে তিন-চার ঘণ্টা সময় লাগবে। পাইপের মধ্যে দিয়ে চাকাযুক্ত স্ট্রেচারে প্রত্যেক শ্রমিককে বের করতে প্রায় পাঁচ মিনিট সময় লাগবে।” তিনি বলেন, “ইঁদুরের গর্ত খোঁড়ার খনি শ্রমিকরা চব্বিশ ঘণ্টারও কম সময়ে ১০ মিটার খনন করে আসাধারণ কাজ করেছেন।”

    প্রসঙ্গত, দিন কুড়ি ধরে সুড়ঙ্গে আটকে থাকা শ্রমিকদের উদ্ধারে একাধিক পন্থা অবলম্বন করা হয়েছিল। আমেরিকায় তৈরি অগার মেশিনও নামানো হয়েছিল আটকে পড়া শ্রমিকদের উদ্ধারে। সেই মেশিনটি ভেঙে যাওয়ায় প্রয়োগ করা হয় ‘ইঁদুর-গর্ত’ পদ্ধতি। ১২ জন খনি বিশেষজ্ঞ এই পদ্ধতি প্রয়োগ করে উদ্ধার করার চেষ্টা চালাচ্ছেন সুড়ঙ্গে আটকে পড়া শ্রমিকদের।

    আরও পড়ুুন: ‘‘গেরুয়া সুনামি দেখবে শহরবাসী’’, বুধবারের শাহি-সভা নিয়ে প্রত্যয়ী সুকান্ত

    এদিকে, সুড়ঙ্গে আটকে পড়া শ্রমিকদের উদ্ধারে আশার আলো দেখা দিতেই দুর্ঘটনাস্থল ছাড়লেন উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিং ধামি। উত্তরকাশীর ওই সুড়ঙ্গে আটকে রয়েছেন বাংলার তিনজন শ্রমিকও। উদ্ধারকাজ শেষ পর্বে পৌঁছে যেতেই তাঁদের ঘরে ফেরাতে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের তিন প্রতিনিধির একটি দল রওনা দিয়েছে উত্তরাখণ্ডের উদ্দেশে। প্রসঙ্গত, খনি শ্রমিকদের কল্যাণ ও নিরাপদে দ্রুত উদ্ধারের (Uttarkashi Tunnel Rescue) আশায় এদিনই পুজো দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Jyotipriya Mallick: আচমকাই বাড়ল রক্তচাপ, আইসিইউতে নিয়ে যাওয়া হল জ্যোতিপ্রিয়কে

    Jyotipriya Mallick: আচমকাই বাড়ল রক্তচাপ, আইসিইউতে নিয়ে যাওয়া হল জ্যোতিপ্রিয়কে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হঠাৎই চড়ল রক্তচাপ। তাই সোমবার রাতে এসএসকেএমের আইসিইউয়ের ১২ নম্বর বেডে নিয়ে যাওয়া হল জ্যোতিপ্রিয় মল্লিককে (Jyotipriya Mallick)। রাজ্যের প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী তথা বর্তমান বনমন্ত্রী তৃণমুলের জ্যোতিপ্রিয় ভর্তি ছিলেন ওই হাসপাতালেরই ৫ নম্বর কেবিনে। হাসপাতাল সূত্রে খবর, আচমকাই রক্তচাপ বেড়ে যাওয়ায় কেবিন থেকে আইসিইউতে স্থানান্তর করা হয়েছে মন্ত্রীকে। আপাতত তিনি রয়েছেন হাসপাতালের মেডিকেল বোর্ডের পর্যবেক্ষণে।

    মেডিকেল টিম গঠন

    রেশন বণ্টন কেলেঙ্কারিতে ইডির হাতে গ্রেফতার হয়েছিলেন উত্তর ২৪ পরগনার এই তৃণমূল নেতা। তাঁকে রাখা হয়েছিল প্রেসিডেন্সি জেলে। অসুস্থ বোধ করায় গত মঙ্গলবার রাতে মন্ত্রীকে (Jyotipriya Mallick) ভর্তি করা হয় হাসপাতালে। সেই থেকে তিনি ছিলেন কেবিনে। এসএসকেএম সূত্রে খবর, জ্যোতিপ্রিয়র চিকিৎসার জন্য যে মেডিকেল টিম গঠন করা হয়েছে তাতে রয়েছেন মেডিসিন, স্নায়ু, হৃদরোগ বিশেষজ্ঞরা। রয়েছেন কিডনি এবং ইউরোলজি বিশেষজ্ঞরাও। জ্যোতিপ্রিয় সুগারের রোগী। গ্রেফতারির সময়ই সে কথা জানিয়েছিলেন তিনি। তবে তাতে বিশেষ কাজ হয়নি। জ্যোতিপ্রিয়কে ছাড়া হয়নি।

    জ্যোতিপ্রিয় অসুস্থ হয়েছিলেন আগেও

    গ্রেফতারির পর প্রথম যেদিন জ্যোতিপ্রিয়কে আদালতে তোলা হয়, সেদিনই ১০ দিনের ইডি হেফাজতের রায় শুনে এজলাসেই জ্ঞান হারিয়েছিলেন মন্ত্রিমশাই। সামান্য বমিও করেছিলেন। ততক্ষণাৎ তাঁকে ভর্তি করা হয় বাইপাসের একটি বেসরকারি হাসপাতালে। সেখান থেকে ছাড়া পাওয়ার পর ইডি হেফাজতে নেয় তৃণমূলের এই নেতাকে। ইডি হেফাজত শেষে মন্ত্রীর ঠাঁই হয় প্রেসিডেন্সি জেলে। জেলেই অসুস্থ হয়ে পড়ায় গত মঙ্গলবার রাতে তাঁকে ভর্তি করা হয় এসএসকেএমে।

    অসুস্থ থাকায় ১৬ নভেম্বর নিম্ন আদালতে ভার্চুয়ালি হাজিরা দিয়েছিলেন মন্ত্রিমশাই। সেদিনই তিনি বলেছিলেন, “আমার সাড়ে তিনশোর বেশি সুগার, হাত-পা কাজ করছে না। আমায় বাঁচতে দিন।” বিচারক তাঁকে বলেছিলেন, “অসুবিধা থাকলে আপনি সেলে চলে যেতে পারেন।” এর পরের দিনই কাশি, শ্বাসকষ্ট শুরু হওয়ায় মন্ত্রীকে (Jyotipriya Mallick) ভর্তি করানো হয় রাজ্যের সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে।

    আরও পড়ুুন: ‘কোড’ নামের আড়ালেই চলত পুর নিয়োগ দুর্নীতি! ইডির নজরে ফের কোন মন্ত্রী?

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Sukanta Majumdar: “শাহ আসছেন শুনে ভাইপো বাড়ি থেকে বেরচ্ছেন না”, তোপ সুকান্তর

    Sukanta Majumdar: “শাহ আসছেন শুনে ভাইপো বাড়ি থেকে বেরচ্ছেন না”, তোপ সুকান্তর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “তিনি আসছেন শুনে ভাইপো আর বাড়ি থেকে বের হচ্ছেন না।” সোমবার হাজরা মোড়ে কথাগুলি বললেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। ২৯ নভেম্বর ধর্মতলার ওয়াই চ্যানেলে বিজেপির জনসভায় উপস্থিত থাকবেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। সেই সভা উপলক্ষে এদিন গড়িয়াহাট থেকে হাজরা মোড় পর্যন্ত পদযাত্রা করে বিজেপি। হাজরা মোড়ে হয় পথসভা।

    তৃণমূলকে নিশানা সুকান্তর

    এই সভা থেকেই তৃণমূলকে নিশানা করেন সুকান্ত। তিনি বলেন, “আমাদের আওয়াজ কালীঘাটের বাড়ি অবধি পৌঁছবে কিনা জানি না। তবে কালীঘাটের ব্যানার্জি পরিবারের নামে যে ৩৫ খানা প্লট রয়েছে, সেই প্লট পর্যন্ত আপনাদের আওয়াজ পৌঁছবে। সেই ব্যবস্থা আমরা করব।” সুকান্ত বলেন, “প্রধানমন্ত্রীর বিভিন্ন প্রকল্প থেকে বঞ্চিত এ রাজ্যের বহু মানুষ। মানুষের সেই অধিকার খেয়ে নিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও তাঁর দলের চোরেরা। তাদের শায়েস্তা করতেই ধর্মতলায় আসছেন অমিতজি। ওই দিন গেরুয়া সুনামিতে কলকাতাকে ছেয়ে ফেলুন।” সুকান্ত বলেন, “কলকাতা পুরসভার মেয়র ছিলেন সুভাষচন্দ্র বোস। সেখানে এখন মেয়র ফিরহাদ হাকিম। তাঁর বাড়িতে ইডি দৌড়চ্ছে। সিবিআই কান ধরে টেনে নিয়ে গিয়েছিল ফিরহাদকে। তাঁর সমর্থনে অবস্থানে বসেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী।”

    ‘কয়লা ভাইপো’

    বালুরঘাটের সাংসদ বলেন, কালীঘাটের কাকু, ইউনিভার্সাল কাকু, বাংলায় আপ্পু আছেন, তিনি ইউনিভার্সাল ভাইপো, কয়লা ভাইপো। কাকু বলছেন তিনি আমার বস। তাঁকে ফোন করা যায় না। তাঁর কাছে পৌঁছানো যায় না। যে নেতাকে ধরা যায় না, তাঁর দল করছেন কেন? সুকান্ত বলেন, সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রকে বাঁচাতে গিয়ে রাজ্যের এক নম্বর হাসপাতাল এসএসকেএমকে নোংরা জায়গায় নিয়ে এসেছে তৃণমূল। ইডি কণ্ঠস্বর পরীক্ষা করবে বলে নমুনা চেয়েছিল। কল রেকর্ডিংয়ের গলা তাঁর (কালীঘাটের কাকুর) কিনা, যাচাই করতে। মুখ্যমন্ত্রী স্বাস্থ্যমন্ত্রী হয়ে বলছেন এসএসকেএম তাঁর ভুল ট্রিটমেন্ট করেছেন। আপনার ভলান্টিয়ার রিটায়ারমেন্ট নিয়ে বসে যাওযা উচিত। আপনি যোগ্যতা হারিয়েছেন।”

    আরও পড়ুুন: ‘‘দলুয়াখাকিতে ক্রিমিনালদের বাস’’! প্রশাসন ‘ব্যর্থ’, তা কি মেনেই নিলেন ফিরহাদ?

    বিজেপির রাজ্য সভাপতি বলেন, “পার্থ চট্টোপাধ্যায় চুরি করে কোটি কোটি টাকা নিয়ে বান্ধবীর খাটের তলায় লুকিয়ে রাখলেন। তাঁর সম্পর্কে আপনি বললেন আমি জানি না! অথচ বিধানসভা নির্বাচনের আগে আপনিই বলেছিলেন, ২৯৪ আসনে আপনিই প্রার্থী। এর জবাব দিন। আপনি অপদার্থ। ইস্তফা দেওয়া উচিত। সিভিক ভলান্টিয়ার মুখ্যমন্ত্রী রাজ্য চালাক, তাও ভাল।” সুকান্ত (Sukanta Majumdar) বলেন, “ভাইপো বেকার যুবক। কোনও কর্মসংস্থান নেই। তিনি ইডি অফিসে যাচ্ছেন সম্পত্তির হিসেব দিতে ৬ হাজার পাতার রিপোর্ট নিয়ে! যাঁরা সততার প্রতীক বলে দাবি করেন, তাঁদের ৩৫ খানা প্লট! সমাজ সেবিকা মমতার বৌদি কাজরি বন্দ্যোপাধ্যায় সমাজ সেবা করেন। তিনি ও তাঁর স্বামী কীভাবে এত সম্পত্তি করলেন? কোটি টাকা মূল্যের সেন পরিবারের জমি মাত্র ২৪ লক্ষ টাকায় কীভাবে কাজরি পান?”

    সুকান্ত বলেন, “যাঁকে টালির চালের বাড়িতে দেখেছিলেন আপনারা, তাঁর পরিবার কীভাবে এত টাকার মালিক হলেন? আপনি বলেছিলেন, বালু অসৎ, আমি বিশ্বাস করি না। বালুদার মেয়ে টিউশন পড়িয়ে ৩ কোটি টাকা ইনকাম করেছেন! কয়লা পাচারের টিউশনি পড়ানো হয়েছে, নাকি গম পাচারের টিউশনি পড়ানো হয়েছে?” সুকান্ত বলেন, “বেঙ্গল অলিম্পক অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি বাবুন ব্যানার্জি। উনি অলিম্পক খেলেছেন! চেহারা দেখে তো মনে হয় না!” সুকান্ত (Sukanta Majumdar) বলেন, “এ রাজ্যে রোহিঙ্গাদেরও নাগরিকত্ব দেওয়া হয়।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

     

  • Telangana Elections 2023: ধোপে টিকল না কেসিআরের কৌশল, ‘খয়রাতি’ বন্ধের নির্দেশ নির্বাচন কমিশনের

    Telangana Elections 2023: ধোপে টিকল না কেসিআরের কৌশল, ‘খয়রাতি’ বন্ধের নির্দেশ নির্বাচন কমিশনের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ক্ষমতায় ফিরতে ‘খয়রাতি’র আশ্রয় নিতে চেয়েছিল তেলঙ্গনার শাসক দল ভারত রাষ্ট্র সমিতি। গত বিধানসভা নির্বাচনে (Telangana Elections 2023) এই অঙ্কেই মুখ্যমন্ত্রী চন্দ্রশেখর রাও ক্ষমতায় এসেছিলেন বলে অভিযোগ। এবারও তেমনধারা পরিকল্পনা ছিল শাসক দলের। তবে তাতে বাধ সাধল নির্বাচন কমিশন। সোমবার কমিশন সাফ জানিয়ে দিয়েছে, বিধানসভা নির্বাচনের আগে কৃষকদের রবিশস্যের অনুদান বণ্টন বন্ধ রাখতে হবে। কমিশনের মতে, শাসকের এহেন খয়রাতি নির্বাচনী আচরণভঙ্গের শামিল।

    কংগ্রেসকে নিশানা কেসিআরের দলের 

    নির্বাচন কমিশনের এই সিদ্ধান্তে কংগ্রেসের ওপর বেজায় চটেছে কেসিআরের দল। কেসিআরের ভাইপো টি হরিশ রাও তেলঙ্গনার অর্থমন্ত্রী। তিনি বলেন, “এআইসিসির সাধারণ সম্পাদক কে বেণুগোপাল রাও অভিযোগ জানানোর ফলেই রায়তু বন্ধু যোজনার কিস্তির টাকা বিতরণ বন্ধ করতে নির্দেশ দিয়েছে কমিশন।” কেসিআর কন্যা কে কবিতা বলেন, “কংগ্রেসের ষড়যন্ত্রের জবাব দেবেন তেলঙ্গনার কৃষকরা।”

    রায়তু বন্ধু প্রকল্প

    রায়তু বন্ধু প্রকল্পে প্রত্যেক কৃষককে প্রতি একর শস্য পিছু বছরে ১০ হাজার টাকা অনুদান দেয় তেলঙ্গনা সরকার। টাকা দেওয়া হয় জানুয়ারি মাসে। অভিযোগ, চলতি বছর জানুয়ারিতে সেই টাকা না দিয়ে চলতি মাসে দেওয়ার পরিকল্পনা করেছিল কেসিআর প্রশাসন। বেণুগোপাল বলেন, “পরাজয় নিশ্চিত বুঝে নির্বাচনের মুখে টাকা ছড়িয়ে ভোট কিনতে চাইছিলেন কেসিআর।”

    আরও পড়ুুন: ‘‘দলুয়াখাকিতে ক্রিমিনালদের বাস’’! প্রশাসন ‘ব্যর্থ’, তা কি মেনেই নিলেন ফিরহাদ?

    এদিন মুখ্য নির্বাচন কমিশনের তরফে (Telangana Elections 2023) পাঠানো নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, কমিশন এই মর্মে নির্দেশ দিচ্ছে যে রায়তু বন্ধু প্রকল্পে রবি মরশুমে যে অনুদান দেওয়া হয়, তা এখনই বন্ধ করতে হবে। কারণ ইতিমধ্যেই লাগু হয়েছে আদর্শ আচরণ বিধি। এই বিধি প্রত্যাহৃত হলেই দেওয়া যাবে অনুদান।

    তেলঙ্গনা বিধানসভার আসন সংখ্যা ১২০। এর মধ্যে জনগণের ভোটে নির্বাচিত হন ১১৯জন। একটি আসনে মনোনীত করা হয় একজন অ্যাংলো-ইন্ডিয়ানকে। এ রাজ্যে এবারও লড়াই হচ্ছে ত্রিমুখী – ভারত রাষ্ট্র সমিতি, কংগ্রেস এবং বিজেপি। তবে এ রাজ্যে মূল লড়াই হবে কংগ্রেস বনাম ভারত রাষ্ট্র সমিতি। নির্বাচন হবে ৩০ নভেম্বর, এক দফায়। ফল ঘোষণা হবে বাকি চার রাজ্যের সঙ্গে ৩ ডিসেম্বর (Telangana Elections 2023)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

     

  • PM Modi: ভিড়ে ঠাসা সভায় খুদে ‘ভারতমাতা’, “দেশের যুবকে অনুপ্রেরণা দিচ্ছে শিশুটি”, মন্তব্য মোদির

    PM Modi: ভিড়ে ঠাসা সভায় খুদে ‘ভারতমাতা’, “দেশের যুবকে অনুপ্রেরণা দিচ্ছে শিশুটি”, মন্তব্য মোদির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সমাবেশে ভিড় করেছেন কয়েক লক্ষ আবাল-বৃদ্ধ-বনিতা। এই ভিড়েই মিশে রয়েছেন বিজেপির স্থানীয় স্তরের নেতা-কর্মীরাও। মঞ্চে তখন ভাষণ দিচ্ছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। হঠাৎই তাঁর চোখ গেল এক খুদের দিকে। ভারতমাতার সাজে সজ্জিত ওই খুদে নেড়ে চলেছেন জাতীয় পতাকা।

    ‘ওয়েল ডান বেটা’

    শিশুটির উদ্দেশে হাত নাড়েন প্রধানমন্ত্রী। বলেন, ‘ওয়েল ডান বেটা’। প্রধানমন্ত্রীর মুখে এই শব্দবন্ধ শুনে জনতার চোখ তখন মঞ্চের মধ্যমণিকে ছেড়ে চলে গিয়েছে খুদে ‘ভারতমাতা’র দিকে। ২৯ নভেম্বর রয়েছে তেলঙ্গনা বিধানসভা নির্বাচন। সেই নির্বাচনের প্রচারেই গিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী। তেলঙ্গনার ক্ষমতায় রয়েছে ভারত রাষ্ট্রীয় সমিতি। কেসিআরের এই দলকে এদিন তুলোধনা করেন প্রধানমন্ত্রী। এই সময়ই তাঁর চোখ পড়ে শিশুটির দিকে। তার পরেই প্রধানমন্ত্রীর (PM Modi) আবেগমথিত মন্তব্য, “ওয়েল ডান বেটা”। প্রধানমন্ত্রী বলেন, “এই শিশুটি তিরঙ্গা নিয়ে নাড়ছে। দেখুন, ও ভারতমাতা সেজে এসেছে। দেশের প্রত্যেক যুবকে অনুপ্রেরণা দিচ্ছে এই বাচ্চাটি।”

    ভারত রাষ্ট্র সমিতিকে নিশানা প্রধানমন্ত্রীর

    এর পর ফের তিনি আক্রমণ শানান রাজ্যের শাসক দলকে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আজ, ভারত যখন খেলনা রফতানিতে নতুন নতুন রেকর্ড গড়ছে, তখন ভারত রাষ্ট্র সমিতি ব্যস্ত নির্মলের খেলনা শিল্পকে ধ্বংস করতে। আমরা ক্ষমতায় এলে, এই শিল্পের পুনরুজ্জীবনে প্রচার শুরু করব।” প্রসঙ্গত, এই নির্মল জেলার খেলনা শিল্প এক সময় দেশ তো বটেই, বিদেশেও সমাদৃত হত।

    প্রধানমন্ত্রী বলেন, “তেলঙ্গনায় আমাদের একটা সরকার রয়েছে, যারা ফার্মহাউসে বাস করেন। অথচ গরিবদের ঘরবাড়ি দেন না। কেসিআর (তেলঙ্গনার মুখ্যমন্ত্রী) গরিবদের শত্রু। তাই তাঁদের ঘরবাড়ি পাওনা থেকে বঞ্চিত করেছেন। কিন্তু আমি আপনাদের কথা দিচ্ছি, যেই না তেলঙ্গনায় বিজেপি সরকার গড়বে, তার পরে পরেই বাড়ি দেওয়া হবে গরিবদের। সরকারি প্রকল্পের সুবিধা পাবেন সাধারণ মানুষ। এটা মোদির (PM Modi) গ্যারেন্টি।” প্রসঙ্গত, বাকি চার রাজ্যের সঙ্গেই ৩ নভেম্বর ফল ঘোষণা হবে তেলঙ্গনা বিধানসভা নির্বাচনেরও।  

    আরও পড়ুুন: ‘শাহি সমাবেশ’কে সফল করাই পাখির চোখ রাজ্য বিজেপির, নেওয়া হচ্ছে একাধিক পদক্ষেপ

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
     

     

  • DY Chandrachud: “কেউ যেন আদালতে যেতে ভয় না পান”, সংবিধান দিবসে বার্তা চন্দ্রচূড়ের

    DY Chandrachud: “কেউ যেন আদালতে যেতে ভয় না পান”, সংবিধান দিবসে বার্তা চন্দ্রচূড়ের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “কেউ যেন আদালতে যেতে ভয় না পান।” রবিবার ৭৫তম সংবিধান দিবস উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে কথাগুলি বলেন সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় (DY Chandrachud)। দেশের শীর্ষ আদালতে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে উদ্বোধনী ভাষণ দেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু। উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী অর্জুন রাম মেঘওয়াল, বিচারপতি সঞ্জয় কাষান কওল, বিচারপতি সঞ্জীব খান্না সহ বহু বিশিষ্ট ব্যক্তি।

    প্রধান বিচারপতির বার্তা

    প্রধান বিচারপতি বলেন, “কেউ যেন কোর্টে যেতে ভয় না পান। আর কোনও উপায় না থাকলে তবেই আদালতে আসবেন, এমনটা যেন না হয়। বরং আমি চাইব, সব শ্রেণি বা সম্প্রদায়ের মানুষ যেন কোর্ট সিস্টেমের ওপর ভরসা রাখতে পারেন। সেটা নিশ্চিত করার চেষ্টাই আমাদের করতে হবে।” প্রধান বিচারপতি বলেন, “গত সাত দশকে সুপ্রিম কোর্ট জনতার আদালত হিসেবে কাজ করেছে। হাজার হাজার মানুষ কোর্টের দরজায় আসেন ন্যায় বিচার পাওয়ার আশায়। ব্যক্তি স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে, বেআইনি গ্রেফতারি রুখতে ক্রীতদাসের অধিকার রক্ষায়, জনজাতিদের জমির অধিকার সুরক্ষিত করতে আদালতের দ্বারস্থ হন নাগরিকেরা। এঁরা সকলেই আদালতের দ্বারস্থ হন ন্যায় বিচারের আশায়।”

    ‘সেতুবন্ধনের কাজ করে মিডিয়া রিপোর্ট’

    এর পরেই তিনি বলেন, “কেউ যেন কোর্টে যেতে ভয় না পান। কোর্টের শুনানির মিডিয়া রিপোর্টিং কোর্টরুমের কাজকর্মের সঙ্গে জনতার সেতুবন্ধন করে দেয়।” শীর্ষ আদালতের প্রধান বিচারপতি (DY Chandrachud) বলেন, “আমাদের দেশে সুপ্রিম কোর্টের একটা মৌলিক জায়গা রয়েছে। এখানে প্রধান বিচারপতিকে স্রেফ একটা চিঠি লিখেই গড়িয়ে দেওয়া যায় সাংবিধানিক মেশিনারির চাকা। এক সময় যেটা পোস্টকার্ডে হত, আধুনিক যুগে এখন সেটাই হয় ই-মেইল মারফত।” প্রধান বিচারপতি বলেন, “আপনাদের বিশ্বাসটাই আমাদেরও বিশ্বাসের জায়গা। তাই আমরা চাই, আপনারা যেন আদালতে আসতে কখনওই ভয় না পান।” তিনি বলেন, “আমরা যখন বলি আমরা সংবিধান গ্রহণকে সম্মান করি, তখন আমরা আসলে বিশ্বাস করি, সাংবিধান আছে এবং তা নিরলসভাবে কাজও করে চলেছে।”

    আরও পড়ুুন: ধর্মতলার সভায় আসছেন শাহ, লাখো মানুষের জমায়েতের প্রস্তুতি বিজেপির

    এদিন একটি ই-এসসিআর পোর্টালেরও উদ্বোধন হয়। এই পোর্টালে হিন্দিতে জানা যাবে সুপ্রিম কোর্টের বিভিন্ন রায় সম্পর্কে। এই রায়গুলি যাতে পঞ্জাবি, বাংলা, ওড়িয়া, উর্দু সহ দেশের বিভিন্ন ভাষায় পড়তে পারা যায়, তার ব্যবস্থাও করতে বলেন প্রধান বিচারপতি (DY Chandrachud)।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

LinkedIn
Share