Author: Krishnendu Bakshi

  • Israel Hamas War: কেরলের কংগ্রেস সাংসদের নিশানায় ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী, কী বললেন উন্নিথান?

    Israel Hamas War: কেরলের কংগ্রেস সাংসদের নিশানায় ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী, কী বললেন উন্নিথান?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার কংগ্রেস সাংসদের নিশানায় ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু। কেরলের কংগ্রেস সাংসদ রাজমোহন উন্নিথান হামাস-ইজরায়েল যুদ্ধের (Israel Hamas War) জন্য কাঠগড়ায় তুলেছেন নেতানিয়াহুকে। তাঁকেই অপরাধী ঠাওরেছেন উন্নিথান। যুদ্ধের জন্য ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রীকে গুলি করে হত্যা করা উচিত বলেও দাবি করেন কেরলের ওই কংগ্রেস সাংসদ। উন্নিথানের এই মন্তব্যে বিতর্কের ঝড় উঠেছে দেশজুড়ে।

    শনিবার কেরলের কাসারাগোদে হামাস-ইজরায়েল যুদ্ধ ও প্যালেস্তাইনের পাশে থাকার বার্তা দিতে আয়োজন করা হয়েছিল সমাবেশের। সেখানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে উন্নিথান দোষী সাব্যস্ত করেন ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রীকে। তিনি বলেন, “দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরে নুরেমবার্গে যুদ্ধাপরাধে জড়িতদের বিনা বিচারে গুলি করে হত্যা করা হয়েছিল। সেই নুরেমবার্গ মডেল লাগু করার সময় এসে গিয়েছে। মধ্যপ্রাচ্যের সংঘর্ষের জন্য বিশ্বের মানুষ ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রীকে দায়ি বলে মনে করছেন। তাই নেতানিয়াহুর ওপর নরেমবার্গ মডেল প্রয়োগ করা উচিত।” উন্নিথান বলেন, “প্যালেস্তাইন-ইজরায়েল সমস্যা নিয়ে জেনেভা কনভেনশনে একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছিল। এই চুক্তি যারা ভঙ্গ করছে, তাদের কড়া শাস্তি হওয়া উচিত।” হামাস-ইজরায়েল সংঘর্ষে কংগ্রেস যে প্যালেস্তাইনের পাশেই, সেই বার্তাও দিয়েছে কংগ্রেস। ২৩ নভেম্বর কোঝিকোড়ে এনিয়ে একটি সমাবেশ করতে চলেছে সোনিয়া গান্ধীর দল।

    হামাস-ইজরায়েল যুদ্ধ নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি যে যথেষ্ট উদ্বিগ্ন, শুক্রবারই তা প্রকাশ পেয়েছে দিল্লিতে আয়োজিত দ্বিতীয় ভয়েস অফ গ্লোবাল সাউথ সামিটের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে। ওই অনুষ্ঠানে প্যালেস্তাইনের গাজা স্ট্রিপে অসামরিক ব্যক্তির মৃত্যুর ঘটনার নিন্দার পাশাপাশি যুদ্ধ বন্ধ না হওয়ায় উদ্বেগ প্রকাশ করেন তিনি। অবিলম্বে সংঘর্ষ বন্ধের আবেদনও জানান প্রধানমন্ত্রী। গত ৭ অক্টোবর ইজরায়েলের ওপর প্রথমে হামলা চালায় হামাস। ইহুদি রাষ্ট্র ইজরায়েলেকে নিশানা করে ইসলামি রাষ্ট্র প্যালেস্তাইনের জঙ্গি সংগঠন হামাস। তারা নৃশংসভাবে খুন করে ইজরায়েলের (Israel Hamas War) নাগরিকদের। তার পরেই প্রত্যাঘাত করে নেতানিয়াহুর দেশ।

    আরও পড়ুুন: ‘‘দুর্নীতির ঘাঁটিতে পরিণত হয়েছে তেলেঙ্গানা’’, ভোটের প্রচারে বললেন অমিত শাহ

    রাজনৈতিক মহলের মতে, বছর ঘুরলেই লোকসভা নির্বাচন। এই নির্বাচনে মুসলমান ভোট ব্যাঙ্ক যাতে কংগ্রেসের পাশে থাকে, সেই চেষ্টাই করে যাচ্ছেন সোনিয়া গান্ধীর দলের ভোট ম্যানেজাররা। উন্নিথানের বক্তব্য সেই পথের দিশারী বলেই ধারণা ওয়াকিবহাল মহলের।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Uttarkashi Tunnel Collapsed: উত্তরকাশীর সুড়ঙ্গে আটকে পড়া শ্রমিকদের উদ্ধারে নয়া পন্থা, জানুন বিশদে

    Uttarkashi Tunnel Collapsed: উত্তরকাশীর সুড়ঙ্গে আটকে পড়া শ্রমিকদের উদ্ধারে নয়া পন্থা, জানুন বিশদে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ঘুরে যাচ্ছে ঘড়ির কাঁটা। বয়ে যাচ্ছে সময়। দুর্ঘটনার ছ’ দিন পরেও এখনও উত্তরাখণ্ডের উত্তরকাশীর সুড়ঙ্গে (Uttarkashi Tunnel Collapsed) আটকে পড়া শ্রমিকদের উদ্ধার করা যায়নি। আটকে পড়া শ্রমিকদের উদ্ধার করতে এবার উলম্বভাবে গর্ত খোঁড়ার সিদ্ধান্ত নিলেন উদ্ধারকারী দলের সদস্যরা।

    শ্রমিকদের উদ্ধারে নয়া পন্থা

    বর্ডার রোড অর্গানাইজেশনের মেজর নমন নারুলা বলেন, “সুড়ঙ্গের ওপর থেকে আমরা উলম্বভাবে একটি গর্ত খোঁড়ার চেষ্টা করছি। এজন্য একটি জায়গাও চিহ্নিত করা হয়েছে। অবিলম্বে শুরু হবে গর্ত খোঁড়ার কাজ। ট্র্যাকটি হাজার থেকে এগারোশো মিটার দীর্ঘ। গর্ত খুঁড়তে কত সময় লাগবে, তা নিয়েও আমরা একটা সমীক্ষা করছি। আমাদের হিসেব বলছে রবিবার দুপুরের মধ্যে ট্র্যাক তৈরির কাজ শেষ হয়ে যাবে।” শনিবারই গুজরাট থেকে উড়িয়ে নিয়ে আসা হয়েছে নয়া মেশিন। সেই মেশিনটিকেও কাজে লাগানো হয়েছে।

    পিএমও দলের বক্তব্য

    এদিনই উদ্ধারকাজ খতিয়ে (Uttarkashi Tunnel Collapsed) দেখতে এসেছিল প্রধানমন্ত্রীর অফিসের একটি দল। এই দলে রয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর প্রাক্তন উপদেষ্টা ভাস্কর খুলবে। তিনি বলেন, “উদ্ধারকারী দলের বিশেষজ্ঞরা কেবল একটা মাত্র পন্থা অবলম্বন করে সুড়ঙ্গে আটকে পড়া শ্রমিকদের উদ্ধার করার চেষ্টা করছেন না। শ্রমিকদের উদ্ধার করতে আমরা এক সঙ্গে পাঁচটি পন্থা অবলম্বন করছি।” তিনি বলেন, “চার-পাঁচদিনের মধ্যেই আটকে পড়া শ্রমিকদের উদ্ধার করা সম্ভব হবে। তবে ভগবান সদয় হলে আরও আগেই উদ্ধার করা যেতে পারে আটকে পড়া শ্রমিকদের।”

    আরও পড়ুুন: যোগী রাজ্যে নিষিদ্ধ হল হালাল সার্টিফিকেটযুক্ত পণ্য

    গত রবিবার দুপুরে উত্তরকাশীতে একটি নির্মীয়মাণ সুড়ঙ্গে ধস নামে। সেই সময় সুড়ঙ্গটিতে কাজ করছিলেন ৪১ জন শ্রমিক। আচমকা সুড়ঙ্গ মুখে ধস নামায় বের হতে পারেননি তাঁরা। ওই শ্রমিকদের জন্য সুড়ঙ্গে রয়েছে ৪০ মিটার ফাঁকা জায়গা। সেখানেই পাইপের মাধ্যমে শ্রমিকদের পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে খাবার, জল এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র। আটকে পড়া শ্রমিকরা যাতে মানসিকভাবে সুস্থ থাকেন, তাই তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন সাইকোলজিস্টরা। আটকে পড়া শ্রমিকদের উদ্ধার করতে দেশের পাশাপাশি নরওয়ে থেকেও নিয়ে আসা হয়েছে বিশেষজ্ঞ দল। আনা হয়েছে অত্যাধুনিক মেশিনও। সুড়ঙ্গ মুখে পুজো-অর্চনাও শুরু হয়েছে। তার পরেও শ্রমিকরা আটকে রয়েছেন সুড়ঙ্গের (Uttarkashi Tunnel Collapsed) নিকষ কালো অন্ধকারে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • NREGA: একশো দিনের কাজে ১.১ লক্ষ কোটি টাকা বরাদ্দের আবেদন গ্রামোন্নয়ণ মন্ত্রকের

    NREGA: একশো দিনের কাজে ১.১ লক্ষ কোটি টাকা বরাদ্দের আবেদন গ্রামোন্নয়ণ মন্ত্রকের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: একশো দিনের কাজে (NREGA) ১.১ লক্ষ কোটি টাকা বরাদ্দের আবেদন জানিয়েছে গ্রামোন্নয়ণ মন্ত্রক। আগামী অর্থবর্ষের জন্য ওই টাকা বরাদ্দের অনুরোধ জানানো হয়েছে। চলতি অর্থবর্ষে এই খাতে বরাদ্দ হয়েছিল ৬০ হাজার কোটি টাকা। সব কিছু ঠিকঠাক থাকলে সেটাই বেড়ে দ্বিগুণ হতে চলেছে।

    কাজের চাহিদা বেড়েছে

    কাজের চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় মহাত্মা গান্ধী ন্যাশনাল রুরাল এমপ্লয়মেন্ট গ্যারেন্টি স্কিমে ২০২৫ অর্থবর্ষে ব্যয় বাড়তে পারে। এর পাশাপাশি রয়েছে মজুরি বৃদ্ধি, মুদ্রাস্ফীতিও। সেই কারণেই বাড়বে ব্যয়। যা সামাল দিতে বাড়াতে হবে বরাদ্দও। অর্থমন্ত্রকের এক আধিকারিক জানান, ২০২৫ অর্থবর্ষের বাজেট এস্টিমেটে যে পরিমাণ টাকা বরাদ্দের আবেদন জানানো হয়েছে, তা দেওয়া যায় কিনা, সে ব্যাপারে ভাবনা-চিন্তা চলছে। এই প্রকল্পে (NREGA) যথাযথ পরিমাণ টাকাই বরাদ্দ করা হবে। আগামী বছর লোকসভা নির্বাচন। তাই নির্বাচনের আগে পুরো বাজেট পেশ করা যাবে না।

    অন্তর্বর্তীকালীন বাজেট

    নির্বাচনের কারণে করতে হবে অন্তর্বর্তীকালীন বাজেট পেশ। নতুন বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে এই অন্তর্বর্তীকালীন বাজেট পেশ করবে নরেন্দ্র মোদির সরকার। এপ্রিল-মে মাসে নির্বাচন হয়ে যাওয়ার পর যাঁরাই সরকার গড়ুন না কেন, তাঁরা বাজেট পেশ করবেন জুলাই মাসে। অন্তর্বর্তীকালীন বাজেটে সে পর্যন্ত ব্যয়ের ব্যবস্থা করতে হবে। অর্থমন্ত্রকের আধিকারিকদের মতে, ২০২৪ অর্থবর্ষে ব্যয় গিয়ে দাঁড়াতে পারে ৮৮ হাজার কোটি টাকায়। ২০২৩ অর্থবর্ষে এর পরিমাণ প্রায় ৯০ হাজার কোটি টাকা। কাজের চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় বাড়তে পারে খরচ।

    আরও পড়ুুন: ধর্মতলায় বিজেপির ‘বঞ্চিত’ সমাবেশ, যোগ দেবেন অমিত শাহও!

    মহাত্মা গান্ধী ন্যাশনাল রুরাল এমপ্লয়মেন্ট গ্যারেন্টি স্কিমে অর্থমন্ত্রক ১০ হাজার কোটি টাকার অনুমোদন দিয়েছে। অস্বাভাবিকভাব খরচ বেড়ে যাওয়ায় এই টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। ২০২৪ অর্থবর্ষে যে ২৮ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ হয়েছিল, এই বরাদ্দ তার অংশ নয়, বাড়তি। অর্থমন্ত্রকের এক আধিকারিক জানান, প্রাক-বাজেট বৈঠকে বিভিন্ন মন্ত্রক অর্থমন্ত্রীর কাছে তাদের দাবি জানিয়ে রাখেন। যাতে বরাদ্দের পরিমাণ বাড়ে। গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রকও এই আবেদন জানিয়েছে। অর্থমন্ত্রক পুরো বিষয়টি বিবেচনা করবে। তার পরেই হবে বরাদ্দ (NREGA)।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Amit Shah: ধর্মতলায় বিজেপির ‘বঞ্চিত’ সমাবেশ, যোগ দেবেন অমিত শাহও!

    Amit Shah: ধর্মতলায় বিজেপির ‘বঞ্চিত’ সমাবেশ, যোগ দেবেন অমিত শাহও!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ব্রিগেডে বসবে লক্ষ কণ্ঠে গীতা পাঠের আসর। ২৪ ডিসেম্বর গীতা জয়ন্তীর দিন হবে ওই অনুষ্ঠান। এই অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে। সম্মতি মিলেছে। প্রধানমন্ত্রী আসার আগেই কলকাতায় আসতে চলেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। ২৯ নভেম্বর বিজেপি আয়োজিত একটি সমাবেশে যোগ দিতে পারেন তিনি।

    সুকান্ত-বার্তা

    বিজেপি সূত্রে খবর, শুক্রবার দিল্লিতে শাহের সঙ্গে এ ব্যাপারে প্রাথমিক কথাবার্তা হয়েছে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের। সুকান্ত বলেন, “আমরা চেয়েছি অমিত শাহজি ধর্মতলার সভায় থাকুন। কেন্দ্রীয় প্রকল্প থেকে বঞ্চিত মানুষদের নিয়ে আমাদের ২৯ নভেম্বরের সমাবেশ ঐতিহাসিক আকার নেবে। সব কিছু ঠিকঠাক থাকলে সেই সভায় উপস্থিত থাকবেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।” ২৯ নভেম্বরের এই সভার ডাক দেওয়া হয়েছিল ৭ অক্টোবর, কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন প্রতিমন্ত্রী স্বাধ্বী নিরঞ্জনের উপস্থিতিতে।

    বঞ্চিতদের সমাবেশের ডাক শুভেন্দুর 

    সেদিন সাংবাদিক বৈঠকে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বিজেপির শুভেন্দু অধিকারী জানিয়েছিলেন, ২৯ নভেম্বর কলকাতায় বঞ্চিতদের সমাবেশ করা হবে। এক লক্ষ বঞ্চিতকে আনা হবে। বিজেপির অভিযোগ, কেন্দ্রীয় নানা প্রকল্পের সুবিধা থেকে বহু পরিবারকে বঞ্চিত করে রেখেছে রাজ্য সরকার। ২৯ তারিখের সভায় নিয়ে আসা হবে এই বঞ্চিতদেরই। সভায় যাতে ব্যাপক ভিড় হয়, সেজন্য ইতিমধ্যেই জেলায় জেলায় নির্দেশ পাঠিয়েছে বিজেপির রাজ্য নেতৃত্ব। মূলত কেন্দ্রীয় প্রকল্পের সুবিধা-বঞ্চিতদের সভায় নিয়ে আসার চেষ্টা করছে পদ্মশিবির।

    আরও পড়ুুন: ‘‘জার্সির রঙ গেরুয়া হলে মুখ্যমন্ত্রী কি গঙ্গায় ঝাঁপ দেবেন’’, মমতাকে কটাক্ষ দিলীপের

    ফি বার ধর্মতলার ভিক্টোরিয়া হাউসের সামনে একুশে জুলাইয়ের সভা করে তৃণমূল। বিজেপির (Amit Shah) রাজ্য নেতৃত্বও চান ২৯ তারিখে ওই জায়গায় সমাবেশ করতে। কলকাতা পুলিশের কাছে এ ব্যাপারে আবেদনও করেছে পদ্ম শিবির। যদিও এখনও অনুমোদন মেলেনি। তবে শেষ পর্যন্ত অনুমতি না মিললে তাঁরা যে আদালতের দ্বারস্থ হবেন, তা আগেই জানিয়ে দিয়েছেন সুকান্ত, শুভেন্দুরা। পদ্ম শিবিরের আশা, আদালতে মিলবে অনুমতি। তবে সভার অনুমতি পাওয়ার আগেই শাহের সঙ্গে প্রাথমিক কথাবার্তা সেরে রেখেছে বিজেপি। বছর ঘুরলেই লোকসভা নির্বাচন। রাজনৈতিক মহলের মতে, সাধারণ নির্বাচনের আগে প্রথমে শাহ ও পরে প্রধানমন্ত্রীকে রাজ্যে নিয়ে এসে ওয়ার্ম-আপ সেরে নিতে চাইছে গেরুয়া শিবির (Amit Shah)।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Gurpatwant Singh Pannun: রাত পোহালেই বিশ্বকাপ, ভারতকে ফের হুমকি-বার্তা খালিস্তানপন্থী জঙ্গি পান্নুনের

    Gurpatwant Singh Pannun: রাত পোহালেই বিশ্বকাপ, ভারতকে ফের হুমকি-বার্তা খালিস্তানপন্থী জঙ্গি পান্নুনের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের হুমকি-বার্তা নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন শিখস ফর জাস্টিসের প্রতিষ্ঠাতা গুরুপন্ত সিং পান্নুনের (Gurpatwant Singh Pannun)। রাত পোহালেই আইসিসি মেন্স ওয়ার্ল্ড কাপ ২০২৩ এর ফাইনাল। তার আগে পান্নুনের এই হুমকি বার্তায় উদ্বেগে ক্রীড়াপ্রেমীরা। রবিবার গুজরাটের নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামে মুখোমুখি হবে ভারত ও অস্ট্রেলিয়া। পান্নুনের হুমকি-বার্তা পাওয়ার পরেই আরও আঁটোসাঁটো করা হয়েছে স্টেডিয়ামের নিরাপত্তা।

    পান্নুনের হুমকি

    গুজরাট পুলিশ ও কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাগুলি কোমর কষে নেমেছে হাইভোল্টেজ এই ম্যাচ সম্পন্ন করতে। এদিন বিশ্বকাপ ফাইনাল খেলা দেখতে মাঠে উপস্থিত থাকবেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও অস্ট্রেলিয়ার ডেপুটি প্রাইম মিনিস্টার রিচার্ড মার্লস। হুমকি-বার্তায় পান্নুন বলেছে, “১৯ নভেম্বর শিখদের আমরা এয়ার ইন্ডিয়ার বিমানে চড়তে নিষেধ করছি। ১৯ নভেম্বর গ্লোবাল ব্লকেড হবে। বিশ্বের কোথাও এদিন এয়ার ইন্ডিয়ার ওড়ার অনুমতি পাবে না। ১৯ নভেম্বরের পরেও তোমরা এয়ার ইন্ডিয়ার বিমানে চড়ো না। এটা প্রাণঘাতী হতে পারে। এটা ভারত সরকারকেও আমার সতর্কবার্তা। ১৯ নভেম্বর ইন্দিরা গান্ধী ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্ট বন্ধ রাখা উচিত।”

    ভারতের গায়ে কালি ছেটানোর হীন চেষ্টা

    পান্নুন (Gurpatwant Singh Pannun) আরও বলেছে, “১৯ নভেম্বর ‘ওয়ার্ল্ড টেরর কাপে’র ফাইনাল ম্যাচ হবে। এটা বিশ্বকে দেখানো হবে ভারতে শিখ ভাইদের হত্যা করা হয়েছে এবং এটা করেছে ভারত। যখন আমরা পঞ্জাবকে মুক্ত করতে পারব, তখন এই বিমানবন্দরের নাম হবে শহিদ বিয়ন্ত সিং ও শহিদ সতবন্ত সিং এয়ারপোর্ট।” ভাইরাল হওয়া ভিডিও-বার্তায় পান্নুন বারবার যে দিনটির উল্লেখ করেছে, ঘটনাচক্রে সেই ১৯ নভেম্বর দিনটি প্রয়াত প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর জন্মদিন। ১৯৮৪ সালে খালিস্তানপন্থী জঙ্গিরা তাঁকে হত্যা করেছিল। এদিনই আবার রয়েছে ক্রিকেট বিশ্বকাপের ফাইনাল খেলা। সেই খেলা ভেস্তে দিতেই পান্নুনের যাবতীয় উদ্যোগ বলে ধারণা ওয়াকিবহাল মহলের।

    আরও পড়ুুন: খড়দায় বসে বিদেশি নাগরিকদের অ্যাকাউন্ট সাফ! কোটি কোটি টাকার প্রতারণা

    এই প্রথম নয়, ১৯ নভেম্বর অশান্তি হবে বলে আগেও একটি হুমকি বার্তা দিয়েছিল খালিস্তানপন্থী এই জঙ্গি। দ্বিতীয়বার ফের হুমকি বার্তা পাওয়ার পর দিল্লি সহ দেশের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ শহরগুলির নিরাপত্তা ব্যবস্থা আঁটোসাঁটো করা হয়েছে। প্রসঙ্গত, খালিস্তানপন্থী এই জঙ্গি ভারত থেকে পালিয়ে আমেরিকায় ঘাঁটি গেড়েছে। বর্তমানে সে রয়েছে কানাডায়। সেখান থেকেই ছাড়ছে গর্জন (Gurpatwant Singh Pannun)।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Uttarkashi Tunnel Collapse: দুর্ঘটনার ৫ দিন পরেও সুড়ঙ্গে আটকে শ্রমিকরা, উত্তরকাশী গেল পিএমও দল

    Uttarkashi Tunnel Collapse: দুর্ঘটনার ৫ দিন পরেও সুড়ঙ্গে আটকে শ্রমিকরা, উত্তরকাশী গেল পিএমও দল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উত্তরকাশীতে সুড়ঙ্গে ধসের (Uttarkashi Tunnel Collapse) পর কেটে গিয়েছে পাঁচ দিন। এখনও উদ্ধার করা যায়নি সুড়ঙ্গে আটকে পড়া ৪০ জন শ্রমিককে। বাইরে থেকে অক্সিজেন এবং খাবার সরবরাহ করা হলেও, ক্রমেই মনে-প্রাণে ধ্বস্ত হয়ে পড়ছেন আটকে থাকা শ্রমিকরা। সুড়ঙ্গে আটকে থাকা শ্রমিকদের মধ্যে রয়েছেন এ রাজ্যের তিনজনও।

    উত্তরকাশীতে পিএমও-র দল

    উদ্ধারকার্য খতিয়ে দেখতে পিএমও-র একটি দল গিয়েছে উত্তরকাশীতে। জানা গিয়েছে, উদ্ধারকারী দল শুক্রবার পর্যন্ত ধ্বংসস্তূপ সরিয়ে সুড়ঙ্গের ২৪ মিটার অবধি যেতে পেরেছে। যদিও সুড়ঙ্গে আটকে পড়া শ্রমিকদের উদ্ধার করতে যেতে হবে ৬০ মিটার। ন্যাশনাল হাইওয়ে অ্যান্ড ইনফ্রাকস্ট্রাকচার ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশন লিমিটেড কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, আটকে পড়া শ্রমিকদের উদ্ধার করতে পাঁচ নম্বর পাইপটি ঢোকানো হচ্ছে সুড়ঙ্গ পথে। কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয়েছে, সুড়ঙ্গে আটকে পড়া শ্রমিকদের খাবার এবং জল সরবরাহ করা হচ্ছে। চলছে সাইকোলজিক্যাল কাউন্সেলিংও। তাঁরা সাইকোলজিক্যাল এক্সপার্টদের সঙ্গে কথাও বলছেন। তাঁরা প্রত্যেকেই শারীরিক ও মানসিকভাবে সুস্থ রয়েছেন।

    ইন্দোর থেকে আসছে নয়া মেশিন

    জানা গিয়েছে, আটকে পড়া শ্রমিকদের (Uttarkashi Tunnel Collapse) উদ্ধার করতে এতদিন যেসব মেশিন ব্যবহার করা হচ্ছিল, সেগুলির পাশাপাশি নতুন মেশিন আনা হচ্ছে। কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয়েছে, এখন যে মেশিন কাজ করছে, সেটি ডিজেল চালিত মেশিন। মেশিনটি এনক্লোজড এলাকায় কাজ করছে। তাই ভেন্টিলেশনের জন্য কিছুক্ষণের জন্য বন্ধ রাখতে হচ্ছে মেশিনটি। মেশিনটি চলাকালীন ব্যাপক কম্পনও হচ্ছে। সমস্যা মেটাতে ইন্দোর থেকে উড়িয়ে আনা হচ্ছে অগার মেশিন। উদ্ধারকার্যে যাতে ব্যাঘাত না ঘটে, তাই এই ব্যবস্থা।

    আরও পড়ুুন: কেন্দ্রীয় প্রকল্পের সুবিধা দেয়নি মমতা সরকার! অভিযোগ শুনতে কল-সেন্টার চালু করছে বিজেপি?

    উদ্ধারকার্য ত্বরান্বিত করতে বিভিন্ন সংস্থার ৬৫ জন কর্মীকে নিয়োগ করা হয়েছে। এদের মধ্যে রয়েছে এনডিআরএফ, এসডিআরএফ, বর্ডার রোডস অর্গানাইজেশন এবং ইন্দো-টিবেটান বর্ডার পুলিশ। উদ্ধারকার্যে শামিল হয়েছেন থাইল্যান্ড ও নরওয়ের উদ্ধারকারী দলের বিশেষজ্ঞরাও। ন্যাশনাল হাইওয়ে অ্যান্ড ইনফ্রাকস্ট্রাকচার ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশন লিমিটেড কর্তৃপক্ষ জানান, জায়েন্ট ড্রিল মেশিনের সাহায্যে সুড়ঙ্গে ৮০০-৯০০ মিলিমিটার ডায়ামিটারের পাইপ ঢোকানো হচ্ছে। এভাবেই তৈরি করা হবে জায়গা। তার পরেই উদ্ধার করা সম্ভব হবে সুড়ঙ্গে আটকে পড়া শ্রমিকদের (Uttarkashi Tunnel Collapse)। এদিকে, আটকে পড়া শ্রমিকদের উদ্ধার করতে পুজো-আচ্চা শুরু হয়েছে সুড়ঙ্গের মুখে। প্রসঙ্গত, রবিবার দুপুরে জাতীয় সড়কের ওপর সুড়ঙ্গ তৈরি করতে গিয়ে ধস নামে। আটকে পড়েন শ্রমিকরা।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

     

  • Suvendu Adhikari: আমহার্স্ট স্ট্রিটকাণ্ডের প্রতিবাদে লালবাজার ঘেরাও অভিযানের ডাক শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: আমহার্স্ট স্ট্রিটকাণ্ডের প্রতিবাদে লালবাজার ঘেরাও অভিযানের ডাক শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আমহার্স্ট স্ট্রিটকাণ্ডের প্রতিবাদে লালবাজার ঘেরাও অভিযানের ডাক দিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বিজেপির শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। তাঁর দাবি, আমহার্স্ট স্ট্রিট থানায় পিটিয়ে খুন করা হয়েছে ওই যুবককে। শুক্রবার মৃত যুবকের পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন শুভেন্দু। তার পরেই লালবাজার ঘেরাও অভিযানের ডাক দেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক। শুভেন্দু বলেন, “আমরা অশোক সিংহের মৃত্যুকে ছোট আকারে দেখছি না। বৃহস্পতিবার আদালতের পরবর্তী নির্দেশ পাওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করব। তারপর লালবাজার ঘেরাও হবে। সেই আন্দোলনের নেতৃত্ব দেব আমি।”

    শুভেন্দুর দাবি

    অশোককে থানায় পিটিয়ে মারা হয়েছে বলে দাবি করেন শুভেন্দু। ঘটনার সময়ের সিসিটিভি ফুটেজ মুছে দেওয়া হয়েছে বলেও দাবি তাঁর। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বলেন, “ওই যুবকের মাথায় রক্ত জমাট বেঁধে গিয়েছিল। কিন্তু রক্ত জমাট বাঁধল কী করে? এটা করেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পুলিশ হরি দাস রায় ও তাঁর সহযোগী রাজু। ঘটনাটিকে ত্বরান্বিত করেছে ওসি আমহার্স্ট স্ট্রিট থানা। এই ক্ষমতাগুলো পেয়েছে বিনীত গোয়েলদের কাছ থেকে।” মৃত যুবকের পরিবারকে বিজেপির তরফে আইনি সাহায্য দেওয়া হবে বলেও জানান শুভেন্দু। তাঁর স্ত্রীর চিকিৎসার সব ব্যবস্থাও করার আশ্বাস দেন তিনি (Suvendu Adhikari)।

    কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ বিজেপি

    অশোকের মৃত্যুর ঘটনায় কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল বিজেপি। এদিন প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানমের এজলাসে শুনানি হয় এই মামলার। দু’ পক্ষের সওয়াল শুনে আদালতের নির্দেশ, পুলিশের তদন্তের ওপর আস্থা প্রকাশ করা হচ্ছে। এই ঘটনায় দ্বিতীয়বার ময়নাতদন্তেরও কোনও প্রয়োজন নেই। চুরির মোবাইল ফোন কেনার অভিযোগে বুধবার আমহার্স্ট স্ট্রিট থানায় ডেকে পাঠানো হয় পেশায় ব্যবসায়ী অশোককে। জিজ্ঞাসাবাদ করার সময় তাঁকে বেধড়ক মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। ঘটনায় সিবিআই তদন্তের দাবি জানায় বিজেপি। অপসারণের দাবি তোলা হয় আমহার্স্ট স্ট্রিট থানার ওসিকে।

    আরও পড়ুুন: ব্রিগেডে লক্ষ কণ্ঠে গীতাপাঠ, দিল্লিতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে আমন্ত্রণ জানালেন সুকান্ত

    বিজেপির দাবি ছিল, রাজ্যের হাসপাতালে ময়নাতদন্ত হলে যেন চিকিৎসক আসেন কমান্ড হাসপাতাল থেকেই। যদিও পুলিশের দাবি, অশোককে মারধর করা হয়নি। অসুস্থ হয়ে জ্ঞান হারিয়ে পড়ে যান তিনি। মাথা ফেটে যায়, মুখ দিয়ে গ্যাঁজলা বেরিয়ে আসে। মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া (Suvendu Adhikari) হলে মৃত ঘোষণা করা হয় তাঁকে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

     

  • PM Modi: ডিপফেক নিয়ে উদ্বিগ্ন স্বয়ং প্রধানমন্ত্রীও, হুঁশিয়ারি দিলেন চ্যাট জিপিটিকে

    PM Modi: ডিপফেক নিয়ে উদ্বিগ্ন স্বয়ং প্রধানমন্ত্রীও, হুঁশিয়ারি দিলেন চ্যাট জিপিটিকে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “আমাদের হাতে এখন কৃত্রিম মেধার মতো উন্নত প্রযুক্তি রয়েছে। আমাদের উচিত দায়িত্ববোধের সঙ্গে সেই প্রযুক্তি ব্যবহার করা। কেউ যেন এই ধরনের প্রযুক্তির অপব্যবহার না করেন। এজন্য এ ব্যাপারে উপযুক্ত শিক্ষার প্রসার ঘটানো জরুরি।” শুক্রবার দিল্লিতে বিজেপির সদর দফতরে আয়োজিত দিওয়ালি মিলন অনুষ্ঠানে যোগ দিতে গিয়ে একথা বললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। তিনি বলেন, “একটি ফেক ভিডিওতে আমাকে গরবা নাচতে দেখা গিয়েছে। এটা দেখে আমি বিস্মিত হয়েছি। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ও ডিপফেক আমাদের কাছে ক্রমেই বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে উঠছে।”

    ‘অশান্তি ও অস্থিরতার সৃষ্টি হতে পারে’

    প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আমাদের সমাজের একটা বড় অংশের মানুষের এই জাল ভিডিও যাচাই করার সুযোগ নেই। তাই লোকজন সহজেই ডিপফেককে বিশ্বাস করে নেয়। এতে সমাজে অশান্তি ও অস্থিরতার সৃষ্টি হতে পারে।” তিনি বলেন, “ডিপফেক কীভাবে কাজ করে, এটা কী করতে পারে, কোন চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হতে হবে আমাদের, এ থেকে কী হতে পারে, এগুলো আমাদের জানতে হবে। দেশবাসীকে এ ব্যাপারে সচেতন হতে হবে। একটি ফেক ভিডিওয় আমাকে গরবা নাচতে দেখা গিয়েছে। স্কুল ছাড়ার পর কোনওদিনই আমি গরবা নাচিনি। আমার প্রিয়জনেরাও এই ভিডিও শেয়ার করছেন। এটা গভীর উদ্বেগের বিষয়।”

    চ্যাট জিপিটিকে হুঁশিয়ারি

    প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) জানান, তিনি ইতিমধ্যেই চ্যাট জিপিটির সঙ্গে কথা বলেছেন। তাদের এ ব্যাপারে সতর্ক করার পাশাপাশি ডিপফেক প্রযুক্তিকেও যেন তাদের তৈরি ভিডিও বা অন্য বিষয়বস্তু নিয়ে সতর্ক করা হয়। তিনি বলেন, “গত সপ্তাহেও আমরা ‘ভোকাল ফর লোকালে’র পক্ষে সওয়াল করেছিলাম। আমরা বলেছিলাম, দেশে প্রায় ৪.৫ লাখ কোটি টাকার ব্যবসা হচ্ছে। লোকজন ক্ষুদ্র ব্যবসায় নিযুক্ত হয়ে রোজগার করছেন। এর ভিত্তিতেই আমরা উন্নত ভারত গঠনের পথে এগোতে পারি। এ ব্যাপারে একটা বিশ্বাসের জায়গা গড়ে তুলতে হবে। এ ব্যাপারে দেশবাসীকে উৎসাহ দিতে হবে।”

    আরও পড়ুুন: জমির দালাল থেকে তৃণমূলের প্রধান, রকেট গতিতে উত্তরণই কাল হল রূপচাঁদের

    তিনি (PM Modi) বলেন, “আপনারা এ নিয়ে সম্মেলনের আয়োজন করতে পারেন। সেখানে আলোচনা করতে পারেন দেশের ১০টি শহর কীভাবে এক ট্রিলিয়ান থেকে তিন ট্রিলিয়ন অর্থনীতির হতে পেরেছে। কীভাবে ওই শহরগুলি ক্রমেই তাদের অর্থনীতির ভিত মজবুত করে চলেছে? এ ব্যাপারে আলোচনা করতে আপনারা ওই শহরগুলি থেকে বিশেষজ্ঞদের আনতে পারেন।”

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • Jammu Kashmir: ভূস্বর্গে জঙ্গি-নিরাপত্তারক্ষী সংঘর্ষ, খতম লস্কর-ই-তইবার ৫ জঙ্গি

    Jammu Kashmir: ভূস্বর্গে জঙ্গি-নিরাপত্তারক্ষী সংঘর্ষ, খতম লস্কর-ই-তইবার ৫ জঙ্গি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভূস্বর্গে (Jammu Kashmir) ফের খতম জঙ্গি। শুক্রবার নিরাপত্তারক্ষীদের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে জঙ্গিরা। কুলগাঁওয়ের ওই সংঘর্ষে মৃত্যু হয় পাঁচ জঙ্গির। মৃত জঙ্গিরা লস্কর-ই-তইবার সদস্য ছিল। গত দুদিন ধরে চলছিল সংঘর্ষ। শেষমেশ শুক্রবারে নিকেশ হয় জঙ্গিরা। কাশ্মীর জোন পুলিশ হ্যান্ডেলে করা পোস্টে লেখা হয়েছে, “দ্বিতীয় দিন: পাঁচ জঙ্গি নিকেশ কুলগাঁও পুলিশ, সেনা ও সিআরপিএফ। জঙ্গিদের ডেরা থেকে উদ্ধার হয়েছে আপত্তিকর বস্তু। অভিযান শেষ পর্যায়ে। এলাকা জঙ্গিমুক্ত।”

    জঙ্গিদের খোঁজে চলছে তল্লাশি

    স্থানীয় সূত্রে খবর, জঙ্গিদের খোঁজে এখনও এলাকায় চলছে তল্লাশি। সীমান্তে নিরাপত্তা রক্ষীদের সঙ্গে জঙ্গিদের গুলি বিনিময়ও চলছে। জম্মু-কাশ্মীর পুলিশ সূত্রে খবর, কুলগাঁওয়ের ডিএইচ পোরা অঞ্চলের সামনো এলাকায় বৃহস্পতিবার দুপুরে শুরু হয় সংঘর্ষ। সেই সংঘর্ষই চলছে এখনও। জঙ্গিদের (Jammu Kashmir) বিরুদ্ধে এই যৌথ অভিযানে অংশ নিয়েছে সেনার ৩৪ নম্বর রাষ্ট্রীয় রাইফেলস, ৯ পারা, পুলিশ এবং সিআরপিএফ।

    অনুপ্রবেশের চেষ্টা জঙ্গিদের

    এর আগে নভেম্বরের ১৫ তারিখে উরি সেক্টরে নিয়ন্ত্রণ রেখায় অনুপ্রবেশের চেষ্টা করেছিল জঙ্গিরা। তাদের সে চেষ্টা ব্যর্থ করে দিয়েছে সেনা। ‘অপারেশন কালী’ নামের ওই যৌথ অভিযানে সেনা ও জম্মু-কাশ্মীর পুলিশ অনুপ্রবেশের চেষ্টা রুখে দিয়ে জঙ্গিদের পরিকল্পনা ভেস্তে দেয়। একই অঞ্চলে এদিন অনুপ্রবেশের চেষ্টা করেছিল জঙ্গিরা। সেই চেষ্টায়ও জল ঢেলে দিলেন নিরাপত্তারক্ষীরা। নিহত জঙ্গিদের একজন বশির আহমেদ মালিক। জম্মুকাশ্মীরে সীমান্তপারের সন্ত্রাসীদের এক চাঁই ছিল সে।

    আরও পড়ুুন: বৈঠক শেষে ফের জিনপিংকে ‘একনায়ক’ কটাক্ষ বাইডেনের, কেন চুপ চিনা প্রেসিডেন্ট?

    ফি বার শীতকালে তীব্র ঠান্ডার সুযোগ নিয়ে ভারতে অনুপ্রবেশের চেষ্টা করে পাক মদতপুষ্ট জঙ্গিরা। ঠান্ডা পড়তেই এবার শুরু হয়ে গিয়েছে জঙ্গিদের তৎপরতা। তবে সীমান্তে সেনার শ্যেনদৃষ্টি এড়িয়ে আপাতত তা সম্ভব হচ্ছে না পাকিস্তানে ঘাঁটি গেড়ে থাকা জঙ্গিদের পক্ষে। প্রসঙ্গত, দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় ফিরেই কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা রদ করে নরেন্দ্র মোদির সরকার। তার পর থেকে ক্রমেই কমতে থাকে ভূস্বর্গে রক্ত ঝরার পরিমাণ। যদিও বিক্ষিপ্ত অশান্তি লাগিয়েই রেখেছে জঙ্গিরা। এরই সঙ্গে পাল্লা দিয়ে জারি রয়েছে জঙ্গি অনুপ্রবেশ। পাক মদতপুষ্ট জঙ্গিদের সেই প্রচেষ্টা রুখতে গিয়ে নিরাপত্তারক্ষীদের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ছে জঙ্গিরা (Jammu Kashmir)।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Myanmar: শরণার্থীর ভিড়ে মিশে দেশে ঢুকছেন মায়ানমারের সেনাকর্মী, মাথাব্যথা বাড়ছে ভারতের

    Myanmar: শরণার্থীর ভিড়ে মিশে দেশে ঢুকছেন মায়ানমারের সেনাকর্মী, মাথাব্যথা বাড়ছে ভারতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারত-মায়ানমার সীমান্তে চলছে ঘোর যুদ্ধ। ভয়ে দেশ ছেড়ে ভারতে ঢুকে পড়ছে মায়ানমারবাসী। পিঠ বাঁচাতে জনতার ভিড়ে মিশে গিয়ে ভারতে ঢুকে পড়ছে মায়ানমারের (Myanmar) সেনারাও। জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যেই ভারতে অনুপ্রবেশ করেছে হাজার পাঁচেক মায়ানমারবাসী। তাঁদের মধ্যে বেশ কয়েকজন সেনাকর্মীও রয়েছেন। ভারতে ঢোকার জন্য মিজোরাম সীমান্তে অপেক্ষার প্রহর গুণছেন বহু শরণার্থী।

    জুন্টা সেনার বিরুদ্ধে লড়ছে বিদ্রোহী গোষ্ঠী

    বছর কয়েক আগে অং সান সু চি-র দলকে সরিয়ে মায়ানমারের রাশ হাতে নেয় সেনা পরিচালিত জুন্টা সরকার। সম্প্রতি জুন্টা সেনার বিরুদ্ধে অস্ত্র ধরে বিদ্রোহী গোষ্ঠী। তার পর থেকেই চলছে দু’ পক্ষে তুমুল সংঘর্ষ। মণিপুর, মিজোরাম ও নাগাল্যান্ড এই তিন রাজ্যের সীমানা লাগোয়া ভারত-মায়ানমার সীমান্ত রয়েছে দেড় হাজার কিলোমিটারের কাছাকাছি। এই অঞ্চলে দেড়শোরও বেশি জনগোষ্ঠীর বাস। ভারতে ঢুকে এদের ভিড়েই মিশে যাচ্ছে অনুপ্রবেশকারীরা (Myanmar)। দিন কয়েক আগে এ দেশে আশ্রয় নিয়েছিলেন মায়ানমারের ৩৯ জন সেনাকর্মীও। রবিবার ঢুকে পড়েছে আরও পাঁচজন। এঁদের শনাক্ত করে মায়ানমারে ফেরত পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।

    ভারতের শিরঃপীড়ার কারণ 

    পড়শি দেশের এই গৃহযুদ্ধই শিরঃপীড়ার কারণ হচ্ছে ভারতের। তাই ‘মিশন মায়ানমার’ হাতে নিয়েছে নয়াদিল্লি। এর লক্ষ্য হল, মায়ানমার সীমান্তবর্তী ভারতের গ্রামগুলির বাসিন্দাদের নিরাপত্তা দেওয়া এবং মায়ানমারের দুর্গতদের দিকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেওয়া। মায়ানমারের পরিস্থিতি যাতে হাতের বাইরে চলে না যায়, সেই চেষ্টাও করছে নয়াদিল্লি। সীমান্তে বাড়ানো হয়েছে নজরদারি।

    আরও পড়ুুন: গাজায় প্রবীণ হামাস নেতার বাড়িতে হানা ইজরায়েলের, কোথায় গেলেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী?

    বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচি বলেন, “আমরা মায়ানমারে শান্তি, স্থিতিশীলতা ও গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনার আহ্বান জানাচ্ছি। ভারত-মায়ানমার সীমান্তে মিজোরামের জোখাওথারের উল্টো দিকে, মায়ানমারের চিন প্রদেশের রিখাওদার এলাকায় তীব্র লড়াইয়ের ফলে, মায়ানমারের নাগরিকরা ভারতে পালিয়ে আসছেন। আমাদের সীমান্তের কাছাকাছি এই ধরনের ঘটনা নিয়ে আমরা গভীরভাবে উদ্বিগ্ন।” তিনি বলেন, “মায়ানমারের পরিস্থিতি নিয়ে ভারতের অবস্থান খুব স্পষ্ট। হিংসা বন্ধ হোক, এটাই চায় ভারত। আমরা চাই গঠনমূলক আলোচনার মাধ্যমে এই পরিস্থিতির সমাধান হোক।” বাগচি বলেন, “মানবিক কারণে সংশ্লিষ্ট প্রতিবেশী রাজ্যের স্থানীয় কর্তৃপক্ষ তাঁদের সেখানে থাকার ব্যবস্থা করে দিয়েছে। যারা মায়ানমারে (Myanmar) ফিরে যেতে ইচ্ছুক, আমরা তাদের ফিরে যাওয়ার ব্যবস্থাও করে দিয়েছি।”

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

LinkedIn
Share