Author: Krishnendu Bakshi

  • Uniform Civil Code: প্রতিশ্রুতি রাখছে বিজেপি সরকার, উত্তরাখণ্ডে চালু হচ্ছে অভিন্ন দেওয়ানি বিধি!

    Uniform Civil Code: প্রতিশ্রুতি রাখছে বিজেপি সরকার, উত্তরাখণ্ডে চালু হচ্ছে অভিন্ন দেওয়ানি বিধি!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অভিন্ন দেওয়ানি বিধি (Uniform Civil Code) চালু করতে চলেছেন উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী বিজেপির পুষ্কর সিং ধামী। বিধি চালু হলে উত্তরাখণ্ডই হবে দেশের প্রথম অঙ্গরাজ্য, যারা এই বিধি লাগু করবে। জানা গিয়েছে, বিশেষজ্ঞ কমিটির রিপোর্টের ভিত্তিতে তৈরি অভিন্ন দেওয়ানি বিধি সংক্রান্ত বিল পাশের লক্ষ্যে আগামী সপ্তাহেই বিধানসভার অধিবেশন ডাকছে উত্তরাখণ্ড সরকার।

    অভিন্ন দেওয়ানি বিধি কার্যকর করার প্রতিশ্রুতি

    উত্তরাখণ্ড বিধানসভা নির্বাচনের আগে বিজেপি ক্ষমতায় এলে অভিন্ন দেওয়ানি বিধি কার্যকর করা হবে বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন ধামী। গত বছরের ওই নির্বাচনে উত্তরাখণ্ডে জয়ী হয় বিজেপি। মুখ্যমন্ত্রীর কুর্সিতে বসেন ধামী। তার পরেই শুরু হয় অভিন্ন দেওয়ানি বিধি কার্যকর করার তৎপরতা। আইনি প্রক্রিয়া খতিয়ে দেখতে সুপ্রিম কোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি রঞ্জনা প্রকাশ দেশাইয়ের নেতৃত্বে কমিটিও গড়েছিল উত্তরাখণ্ড সরকার। কমিটি (Uniform Civil Code) গঠিত হয় ২০২২ সালের ২৭ মে। এ পর্যন্ত তিনবার মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে ওই কমিটির। বিচারপতি দেশাই ছাড়াও কমিটিতে রয়েছেন দিল্লি হাইকোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি প্রমোদ কোহলি, সমাজকর্মী মনু গৌর, প্রাক্তন মুখ্য সচিব তথা আইএএস অফিসার শত্রুঘ্ন সিংহ এবং দুন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সুরেথা দাঙ্গওয়াল।

    অভিন্ন দেওয়ানি বিধির খসড়া

    জানা গিয়েছে, একটি অনলাইন পোর্টালের মাধ্যমে রাজ্যবাসীর মতামত জানতে চেয়েছিল ওই কমিটি। পরামর্শ পাঠিয়েছিলেন ২০ লাখ মানুষ। ইতিমধ্যেই অভিন্ন দেওয়ানি বিধির খসড়া তৈরি হয়ে গিয়েছে বলেও সূত্রের খবর। অভিন্ন দেওয়ানি বিধি নিয়ে গত মাসে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে বৈঠক করেন ধামী। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন উত্তরাখণ্ড অভিন্ন দেওয়ানি কমিটির চেয়ারপার্সন অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি রঞ্জনা দেশাই ও কমিটির অন্য সদস্যরা।

    আরও পড়ুুন: “যিনি শ্রীরামচন্দ্রকে ঘৃণা করেন তিনি হিন্দু নন”, বিস্ফোরক কংগ্রেস নেতা

    সুপ্রিম কোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি বলবীর সিং চৌহানের নেতৃত্বাধীন ২১তম আইন কমিশনের সুপারিশ ছিল, অভিন্ন দেওয়ানি বিধি চালু করে বিবাহ, বিবাহ বিচ্ছেদ, উত্তরাধিকারের মতো পারিবারিক বিষয়ে হিন্দু, মুসলমান, শিখ, খ্রিস্টান, পার্সি, জৈন সকলের জন্য একই আইন চালু করার প্রয়োজন নেই। যদিও কেন্দ্র চাইছে, দেশজুড়ে চালু হোক অভিন্ন দেওয়ানি বিধি। কারণ তাতে এক সঙ্গে সমাধান হবে অনেক সমস্যার।

    প্রসঙ্গত, অভিন্ন দেওয়ানি বিধি (Uniform Civil Code) লাগু হলে বাস্তবায়িত হবে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির এক দেশ, এক আইন নীতি। দেশে বিবাহ, বিবাহবিচ্ছেদ, সন্তান দত্তক নেওয়ার নিয়ম, উত্তরাধিকার ও সম্পত্তি সংক্রান্ত বিভিন্ন আইন রয়েছে ধর্ম ভেদে। অভিন্ন দেওয়ানি বিধি লাগু হলে দেশবাসীর জন্য একটিই আইন থাকবে, তা তিনি যে ধর্ম বা বর্ণেরই হোন না কেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের , Twitter এবং Google News পেজ।

     

     

  • Ration Scam: ধান বিক্রি করেও মেলেনি সহায়ক মূল্য, তদন্ত শুরু ইডির

    Ration Scam: ধান বিক্রি করেও মেলেনি সহায়ক মূল্য, তদন্ত শুরু ইডির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ধান বিক্রি করলে মেলে ন্যূনতম সহায়ক মূল্য। অথচ ধান বেচেও, মেলেনি ওই মূল্য। এ নিয়ে কলকাতা পুলিশে দায়ের হয় অভিযোগ। সেটা ২০১৮ সাল। সেই সময় রাজ্যের খাদ্যমন্ত্রী ছিলেন রেশন বণ্টন (Ration Scam) কেলেঙ্কারিতে ইডির হাতে গ্রেফতার হওয়া তৃণমূল নেতা জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক।

    ভুক্তভোগীর অভিযোগ

    ২০১৮ সালে অভিযোগ দায়ের হলেও, কোনও এক অজানা কারণে এগোয়নি তদন্ত। এফআইআরে উল্লেখ করা হয়, ধান কেনার ন্যূনতম সহায়ক মূল্য কৃষকরা পাননি। তা আত্মসাৎ করেছে রাইস মিল। এই মর্মে অভিযোগ দায়ের করেন হাওড়ার জগৎবল্লভপুরের বাসিন্দা স্বপন সাঁতরাও। স্বপনের অভিযোগ, অঙ্কিত রাইস মিলের দুই প্রতিনিধি ২০১৭ সালে তাঁর কাছে গিয়েছিল। তাঁরা তাঁকে একটি বেসরকারি ব্যাঙ্কে অ্যাকাউন্ট খুলতে বলেছিল। তিনি প্রথমে রাজি হননি। পরে পাঁচ হাজার টাকার টোপ দিয়ে তাঁর নামে একটি অ্যাকাউন্ট খোলা হয়। ওই অ্যাকাউন্টে ধান কেনার ২ লক্ষ টাকা জমা পড়ে। পরে রাইস মিল কর্তৃপক্ষ তা তুলেও নেয়। তিনি বলেন, “বসে বসে সব অ্যাকাউন্ট করেছিল। সেখানে টাকা ঢোকাত। অন্য ধানও আমাদের অ্যাকাউন্টে বিক্রি করত। আমাকে বলেছিল এজন্যও আমাকে পাঁচ হাজার করে টাকা দেবে। পরে দিয়েছে ৪০০-৫০০ টাকা।”

    মামলা হাতে নিল ইডি

    এবার (Ration Scam) সেই মামলাও হাতে নিল ইডি। ২০১৮ সালের অগাস্ট মাসে ভবানীপুর ও ২০১৯ সালে বালিগঞ্জ থানায় দায়ের হওয়া দুটি মামলার ভিত্তিতে মামলা দায়ের করে ইডি। জানা গিয়েছে, জনৈক হিতেশ চাণ্ডক ও দীপেশ চাণ্ডক দুজনেই অঙ্কিত ইন্ডিয়া রাইস মিল কর্তৃপক্ষের লোক। এই মিলের সঙ্গে উত্তর ২৪ পরগনার তৃণমূল নেতা তথা রাজ্যের প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের যোগ রয়েছে বলে অভিযোগ। এই মিলে ম্যারাথন তল্লাশি চালিয়েছে ইডি। প্রকাশ্যে এসেছে বেশ কিছু অভিযোগও।

    আরও পড়ুুন: ‘‘হিন্দুদের জন্যই ভারতবর্ষে গণতন্ত্র রয়েছে’’, মত জাভেদ আখতারের

    বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্য বলেন, “ইদানিংকালে কোনও চাষি বাংলায় ন্যূনতম সহায়ক মূল্যে ধান বিক্রি করতে পেরেছেন? ধান বিক্রি করবে বললেই এলাকায় ফড়ে, দালাল পৌঁছে যায়। বাধ্য হচ্ছে চাষিরা কম দামে ফসল বিক্রি করতে। আর সেই দাম নিয়ে মাঝখান থেকে একটা চক্র ৩০০ টাকা করে লাভ নিয়ে চলে যাচ্ছে। মার খাচ্ছেন প্রান্তিক (Ration Scam) কৃষকরা।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের , Twitter এবং Google News পেজ।

     

     

     

     

  • Terror Funding Racket: ভূস্বর্গে টেরর ফান্ডিং চক্রের হদিশ, কীভাবে জঙ্গিদের হাতে অর্থ যেত জানেন?

    Terror Funding Racket: ভূস্বর্গে টেরর ফান্ডিং চক্রের হদিশ, কীভাবে জঙ্গিদের হাতে অর্থ যেত জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভূস্বর্গে মিলল টেরর ফান্ডিং (Terror Funding Racket) চক্রের হদিশ। এই চক্রের পান্ডারা ৮৫ কোটি টাকা জোগাড় করে জঙ্গিদের হাতে পৌঁছে দিয়েছিল বলে অভিযোগ। এই চক্রে কাশ্মীর পুলিশের এক কর্তা এবং শ্রীনগরের এক ব্যবসায়ী জড়িত বলে অনুমান তদন্তকারীদের। ওই পুলিশ কর্তার বাড়িতেও চালানো হয়েছে তল্লাশি।

    জম্মু-কাশ্মীরে তল্লাশি চালায় এসআইএ

    কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিতে তল্লাশি চালায় স্টেট ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি (এসআইএ)। বুধবার থেকে শুক্রবার পর্যন্ত কেন্দ্রশাসিত জম্মু-কাশ্মীরে তল্লাশি চালায় এসআইএ। তখনই ফাঁস হয় এই টেরর ফান্ডিং চক্রের। এসআইএ সূত্রে খবর, বিভিন্ন গোপন চ্যানেলের মাধ্যমে এই টাকা লেনদেন করা হত। তদন্তকারীদের দাবি, বিপুল পরিমাণ এই টাকা উপত্যকা সহ দেশের অন্যান্য কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিতে নাশকতার কাজে লাগানোর জন্য সংগ্রহ করা হয়েছিল। সাম্প্রতিক অতীতে এত বড় টেরর ফান্ডিং চক্রের ধরা পড়ার নজির নেই বলেও দাবি তাঁদের। তিন দিনের ওই অভিযানে তল্লাশি চালানো হয়েছিল ভূস্বর্গের ২২টি জায়গায়।

    টেরর ফান্ডিংয়ে দুবাই যোগ!

    এর মধ্যে রয়েছে একজন প্রবীণ পুলিশ আধিকারিক ও একজন ব্যবসায়ীর বাড়িও। শুক্রবার সকালে তল্লাশি চালানো হয় শ্রীনগর, পুলওয়ামা এবং অনন্তনাগ জেলার ১০টি জায়গায়। বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে (Terror Funding Racket) প্রচুর পরিমাণ বৈদ্যুতিন যন্ত্র সহ নানা সামগ্রী। তদন্তকারীদের আরও দাবি, টেরর ফান্ডিং এই চক্রের সঙ্গে রয়েছে দুবাই যোগ। এসআইএ জানিয়েছে, সোনার চোরা চালান ও অন্যান্য পথে বিপুল পরিমাণ অর্থ পাচার করা হত। কারা অর্থ সংগ্রহ করত, কোথা থেকে ভারতে জঙ্গি হামলার জন্য অর্থ সরবরাহ করত, তা জানতে শুরু হয়েছে তদন্ত। এই ঘটনায় যারা জড়িত, তাদের কড়া সাজা হবে বলে আশ্বাস এসআইএ-র। তারা জানিয়েছে, ভূস্বর্গ থেকে সন্ত্রাসবাদ নিশ্চিহ্ন করতে বদ্ধ পরিকর তারা।

    আরও পড়ুুন: ‘‘হিন্দুদের জন্যই ভারতবর্ষে গণতন্ত্র রয়েছে’’, মত জাভেদ আখতারের

    একটি বিবৃতি জারি করে এসআইএ জানিয়েছে, “এটি জঙ্গিদের আর্থিক মদত দেওয়ার একটি মামলা। যেখানে ৮৫ কোটি টাকা সংগ্রহ করা হয়েছে এবং গোপন মাধ্যমে সেই টাকা জঙ্গিদের হাতে পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। সেই টাকা কাশ্মীরে সন্ত্রাসবাদ ছড়ানোর জন্য ব্যবহার করা হয়েছে বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। প্রসঙ্গত, টেরর ফান্ডিংয়ে (Terror Funding Racket) মদত দেওয়ার অভিযোগে অগাস্ট মাসে একটি মামলা দায়ের হয়। তার পরেই তদন্তে নামে এসআইএ। ফাঁস হয় টেরর ফান্ডিংয়ের পর্দা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের , Twitter এবং Google News পেজ।

     

  • Supreme Court: “রাঘব বোয়ালদের ছুঁয়ে দেখা হল না কেন?”, সিবিআইকে প্রশ্ন সুপ্রিম কোর্টের  

    Supreme Court: “রাঘব বোয়ালদের ছুঁয়ে দেখা হল না কেন?”, সিবিআইকে প্রশ্ন সুপ্রিম কোর্টের  

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “কেন এখনও রাঘব বোয়ালদের ছুঁয়ে দেখা হল না? যাঁদের জন্য টাকা নিয়েছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে এখনও কোনও পদক্ষেপ করা হল না কেন?” শুক্রবার সিবিআইকে এই প্রশ্নই করল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। নিয়োগ কেলেঙ্কারিতে এদিন জামিন পেয়েছেন চাকরি বিক্রির অন্যতম দালাল প্রসন্ন রায়। সেই প্রসঙ্গেই সিবিআইকে প্রশ্ন করে শীর্ষ আদালত।

    তদন্তের অনুমতি দেয়নি রাজ্য!

    নিয়োগ কেলেঙ্কারি মামলায় গ্রেফতার হয়েছিলেন মানিক ভট্টাচার্যের স্ত্রী শতরূপা ভট্টাচার্য, নাইসারের ভাইস প্রেসিডেন্ট নীলাদ্রি দাস। এবার ছাড়া পেলেন প্রসন্ন। আদালতের প্রশ্নের মুখে পড়ে সিবিআই জানিয়েছে, কয়েকজন রাজ্য সরকারি কর্মীকে চিহ্নিত করা হয়েছে। কিন্তু তাঁদের বিরুদ্ধে তদন্তের অনুমতি এখনও মেলেনি রাজ্য সরকারের তরফে। ২০২২ সালের অগাস্টে শিক্ষক নিয়োগ কেলেঙ্কারি মামলায় গ্রেফতার হয়েছিলেন প্রসন্ন। পরে তাঁকে হেফাজতে নেয় সিবিআই।

    রং মিস্ত্রি কয়েক কোটি টাকার মালিক!

    এক সময় রংয়ের মিস্ত্রি হিসেবে কাজ করতেন প্রসন্ন। অথচ সিবিআই যখন তাঁকে গ্রেফতার করে, তখন তিনি কয়েক কোটি টাকার মালিক। পরে জানা যায়, প্রসন্ন রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের আত্মীয়। এদিন প্রসন্নর হয়ে শীর্ষ আদালতে সওয়াল করেন আইনজীবী মুকুল রোহতগি। এই সওয়াল চলাকালীনই আদালতের প্রশ্নের মুখে পড়ে সিবিআই। অবশ্য এই প্রথম (Supreme Court) নয়, কলকাতা হাইকোর্টেও একাধিকবার প্রশ্নের মুখে পড়েছে সিবিআই। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় ও বিচারপতি অমৃতা সিনহার এজলাসেও কেন্দ্রীয় তদন্তকারী এই সংস্থাকে প্রশ্ন করা হয়েছিল, নিয়োগ কেলেঙ্কারির চাঁইদের এখনও কেন গ্রেফতার করা হয়নি। এদিন সুপ্রিম কোর্টেও সেই একই প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হল সিবিআইকে।

    আরও পড়ুুন: রাচিনের মুখে জয় শ্রী রাম! নাতির জন্য প্রার্থনা ঠাকুমার

    জানা গিয়েছে, উত্তর ২৪ পরগনা ও লাগোয়া এলাকায় চাকরিপ্রার্থীদের কাছ থেকে টাকা তুলে পার্থর কাছে পাঠাতেন প্রসন্ন। এই কারণে বিধাননগরে একটি পরিবহণ সংস্থার দফতর খুলেছিলেন তিনি। অভিযোগ, সেই দফতর থেকেই চলত জালিয়াতির কারবার। যাঁদের চাকরি বিক্রি করা হত, প্রসন্নর পাঠানো তালিকা দেখে সেই অযোগ্যদেরই চাকরি দেওয়ার ব্যবস্থা করতেন পার্থ। সিবিআইয়ের দাবি, ২০১৪ সাল থেকে ধৃত শান্তিপ্রসাদ সিনহার সঙ্গে যোগাযোগ ছিল প্রসন্ন রায়ের। প্রসন্নর সল্টলেকের অফিসে অযোগ্য প্রার্থীদের তালিকা তৈরি হত। ওই অফিসেই অযোগ্য প্রার্থীদের সঙ্গে বৈঠকও হত (Supreme Court)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের , Twitter এবং Google News পেজ।

  • Sujay Krishna Bhadra: কণ্ঠস্বরের নমুনা মেলেনি ‘কালীঘাটের কাকু’র, আদালতে যাচ্ছে ইডি!

    Sujay Krishna Bhadra: কণ্ঠস্বরের নমুনা মেলেনি ‘কালীঘাটের কাকু’র, আদালতে যাচ্ছে ইডি!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তাঁর কণ্ঠস্বরের নমুনা পেলে জাল গুটিয়ে আনা যেত তদন্তের। যদিও একাধিকবার চেয়েও মেলেনি তাঁর (Sujay Krishna Bhadra) কণ্ঠস্বরের নমুনা। এসএসকেএমে চিকিৎসা চলছে তাঁর। হাসপাতাল সূত্রে খবর, তিনি কণ্ঠস্বরের নমুনা দিতে পারবেন কিনা, সে ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবে মেডিক্যাল বোর্ড। তাই সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র ওরফে ‘কালীঘাটের কাকু’র কণ্ঠস্বরের নমুনা পেতে এবার কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হওয়ার কথা ভাবছে ইডি।

    নমুনা সংগ্রহ করার অনুমতি দিয়েছিল আদালত

    সুজয়ের কণ্ঠস্বরের নমুনা কবে নাগাদ মিলবে, তাও জানতে চেয়েছিলেন ইডির কর্তারা। তবে এখনও তার কোনও সদুত্তর মেলেনি। সুজয়ের কণ্ঠস্বরের নমুনা পেতে কেন এত দেরি হচ্ছে, তাও জানতে চাওয়া হয়েছে এসএসকেএম হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে। নিয়োগ কেলেঙ্কারিতে গ্রেফতার হয়েছেন সুজয়। একটি অডিওর কণ্ঠস্বর তাঁর গলার স্বরের মতো লাগছে ইডির তদন্তকারীদের। সেখানে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য মুছে ফেলতে বলছেন তিনি। ইডি আদালতে এ কথা জানানোর পর সুজয়ের কণ্ঠস্বরের নমুনা সংগ্রহ করার অনুমতি দিয়েছিল আদালত। বিচারক জানিয়েছিলেন, প্রয়োজনে হাসপাতাল থেকেই নমুনা সংগ্রহ করতে পারবেন তদন্তকারীরা। তবে তা করতে হবে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়েই।

    কী দাবি করল ইডি?

    এর পর থেকেই (Sujay Krishna Bhadra) ‘কালীঘাটের কাকু’র কণ্ঠস্বরের নমুনা সংগ্রহের চেষ্টা করছে ইডি। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী এই সংস্থার দাবি, তারা যখন হাসপাতালে গিয়েছিল, তখন হাসপাতালের তরফে বলা হয়েছিল, তিনি (সুজয়) মানসিকভাবে সুস্থ নন। জানা গিয়েছে, দিন তিনেক আগে ফের একবার ইডির আধিকারিকরা এসএসকেএম হাসপাতালকে সুজয়ের কণ্ঠস্বরের নমুনার জন্য চিঠি লেখেন। চিঠিতে দ্রুত একটা তারিখও দিতে বলা হয়। সূত্রের খবর, ইডির সেই চিঠির জবাব দিয়েছেন এসএসকেএম কর্তৃপক্ষ। তাঁরা জানিয়েছেন, একটি মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হয়েছে। সেই মেডিকেল বোর্ড পরীক্ষা করে ঠিক করবে, কোন দিন সুজয়ের গলার স্বরের নমুনা নেওয়া সম্ভব হবে। হাসপাতাল সূত্রে খবর, সুজয়ের কণ্ঠস্বরের নমুনা পরীক্ষার ক্ষেত্রে তাঁর শারীরিক অবস্থাকেই অগ্রাধিকার দেওয়া হবে বলে ইডিকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। যার প্রেক্ষিতে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার দাবি, এটা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের এড়িয়ে যাওয়ার প্রবণতা। সূত্রের খবর, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ সহযোগিতা না (Sujay Krishna Bhadra) করলে আদালতের দ্বারস্থ হতে পারে ইডি।

    আরও পড়ুুন: “জালিয়াত সাংসদ জেলে যান”, নাম না করে মহুয়াকে নিশানা শুভেন্দুর

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: “জালিয়াত সাংসদ জেলে যান”, নাম না করে মহুয়াকে নিশানা শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: “জালিয়াত সাংসদ জেলে যান”, নাম না করে মহুয়াকে নিশানা শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “এই ধরনের জালিয়াত সাংসদের সাংসদ পদ খারিজ হওয়া সময়ের অপেক্ষা ছিল। বাংলার মানুষ চান, তাঁকে জেলে ঢোকানো হোক। আমরাও চাই এই জালিয়াত সাংসদ জেলে যান।” শুক্রবার কথাগুলি বললেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা নন্দীগ্রামের বিধায়ক বিজেপির শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। এদিন বিষ্ণুপুরে নাম না করে মহুয়াকে জেলে ঢোকানোর দাবি তোলেন তিনি।

    কাঠগড়ায় কৃষ্ণনগরের সাংসদ

    ঘুষ নিয়ে সংসদে প্রশ্ন তোলার অভিযোগে কাঠগড়ায় কৃষ্ণনগরের সাংসদ তৃণমূলের মহুয়া। তাঁর বিরুদ্ধে এই অভিযোগ করেছিলেন সাংসদ নিশিকান্ত দুবে। এর পরেই সংসদের এথিক্স কমিটি তলব করে তৃণমূলের এই নেত্রীকে। সেখানে প্রশ্ন-বাণের মুখে পড়ে মাঝ পথে কমিটির সামনে থেকে বেরিয়ে চলে যান তৃণমূল নেত্রী। নিশিকান্তর ওই অভিযোগের প্রেক্ষিতে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে লোকপাল। আর এথিক্স কমিটি জানিয়েছে, মহুয়ার বিরুদ্ধে ব্যবসায়ীর কাছ থেকে টাকা ও দামি উপহার নেওয়ার যে অভিযোগ রয়েছে, তার প্রাতিষ্ঠানিক তদন্ত করুক সরকার। মহুয়ার সাংসদ পদ খারিজের সুপারিশও করেছে এথিক্স কমিটি। ৪ ডিসেম্বর শুরু হচ্ছে সংসদের শীতকালীন অধিবেশন। সেখানেই পেশ হতে পারে এথিক্স কমিটির সুপারিশপত্রটি।

    “জালিয়াত সাংসদ জেলে যান”

    এহেন আবহে এদিন বিষ্ণুপুরে শুভেন্দু বলেন, “এই ধরনের জালিয়াত সাংসদের সাংসদ পদ খারিজ হওয়া সময়ের অপেক্ষা ছিল। বাংলার মানুষ চান, তাঁকে জেলে ঢোকানো হোক। আমরাও চাই এই জালিয়াত সাংসদ জেলে যান (Suvendu Adhikari)।” গত মাসে মহুয়াকে নিশানা করে শুভেন্দু বলেছিলেন, “লোকসভার এথিক্স কমিটির যত দ্রুত সম্ভব যথাযথ পদক্ষেপ করা উচিত। মা কালীর অভিশাপ পড়েছে। এই লোভী সাংসদ মা কালী মদ খায় আর সিগারেট খায় বলেছিল। প্রমাণ হয়ে গিয়েছে মা কালী আর সনাতনের দেবদেবীদের কুরচিকর ভাষায় খারাপ কথা বললে তার পরের জন্মে নয়, এজন্মেই ধ্বংস হবে।“ প্রসঙ্গত, দিন দুই আগে মহুয়ার বিরুদ্ধে বাড়িতে অনুপ্রবেশের অভিযোগ তুলে থানায় গিয়েছিলেন তাঁরই প্রাক্তন ‘প্রেমিক’ সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী জয় অনন্ত দেহাদ্রাই। দায়ের করা অভিযোগে দেহাদ্রাই জানিয়েছিলেন, ভয় দেখানোর উদ্দেশ্যেই তাঁর বাড়িতে ‘অনুপ্রবেশ’ করেছিলেন মহুয়া। সুপ্রিম কোর্টের এই আইনজীবীর অভিযোগ, ৫ ও ৬ নভেম্বর না জানিয়েই তাঁর বাড়িতে এসেছিলেন তৃণমূল নেত্রী।

    আরও পড়ুুন: ‘দুবাইয়ের প্রতি তাঁর বেশি প্রেম’, মহুয়াকে টেনে অভিষেককে তীব্র কটাক্ষ সুকান্তর

    তৃণমূল নেত্রীর বিরুদ্ধে দিল্লি থানায় দায়ের করা অভিযোগপত্রে দেহাদ্রাই লিখেছেন, গত ৫ নভেম্বর সকাল ১১টা নাগাদ ও ৬ নভেম্বর সকাল ৯টা নাগাদ সাংসদ মহুয়া মৈত্র কাউকে কিছু না জানিয়েই আমার বাড়িতে আসেন। এভাবে (মহুয়া) মৈত্রর আমার বাড়িতে আসার কারণ হিসেবে মনে হচ্ছে, তিনি আমার বিরুদ্ধে আবার কোনও ভুয়ো প্রতারণামূলক অভিযোগ দায়ের করার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। তাঁর অভিযোগ, তাঁকে ভয় দেখানোর অভিপ্রায় নিয়েই তাঁর বাড়িতে অনুপ্রবেশ করেছিলেন মহুয়া (Mahua Moitra)। তাঁর সংযোজন, “মহুয়া মৈত্রর প্রতারণামূলক ও মিথ্যে অভিযোগ সম্পর্কে আমি আগেই দিল্লির পুলিশ (Suvendu Adhikari) কমিশনারকে জানিয়েছি। তবে তাঁর এই অনুপ্রবেশে ভয় পেয়েছেন আমার বাড়ির কর্মীরা।”

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • CV Ananda Bose: কোনও বিল আটকে নেই, স্পিকারের অভিযোগ খারিজ করে জানাল রাজভবন

    CV Ananda Bose: কোনও বিল আটকে নেই, স্পিকারের অভিযোগ খারিজ করে জানাল রাজভবন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজভবনে কোনও বিল আটকে নেই। বুধবারই বিবৃতি দিয়ে এ কথা জানিয়ে দিল রাজভবন (CV Ananda Bose)। মঙ্গলবার বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় অভিযোগ করেছিলেন, সাড়ে ১২ বছরে ২২টি বিল আটকে রয়েছে রাজভবনে। তার প্রেক্ষিতেই বিবৃতি জারি করে রাজভবন।

    রাজভবনের বিবৃতি

    তাতে বলা হয়েছে, কয়েকটি সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছিল যে, ১২ বছরে ২২টি বিল আটকে রয়েছে রাজভবনে। অভিযোগটি খতিয়ে দেখতে বুধবারই রাজভবনে একটি বৈঠক ডেকেছিলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। বিবৃতিতে আরও জানানো হয়েছে, যে বিলগুলি রাজ্যের ব্যাখ্যা না পাওয়ার জন্য আটকে রয়েছে, সেই বিলগুলি দ্রুত অনুমোদনের জন্য ‘স্পিড’ নামে একটি প্রোগ্রাম চালু করেছে রাজভবন। এই স্পিড প্রোগ্রামের অধীনে সংশ্লিষ্ট দফতরের মন্ত্রী বা সচিবদের সঙ্গে আলোচনা করেই যে বিলগুলি রাজভবনে আটকে রয়েছে, সেগুলির ব্যাপারে দ্রুত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। রাজভবনের (CV Ananda Bose) তরফে যে বিবৃতি দেওয়া হয়েছে, সেখানে এও বলা হয়েছে, রাজ্যপালকে সরিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে আচার্য করার যে বিল, সেটি বর্তমানে আদালতের বিচারাধীন।

    কোন পর্যায়ে রয়েছে বিলগুলি 

    যে বিলগুলি আটকে রয়েছে বলে স্পিকার জানিয়েছিলেন, সেগুলি কোন পর্যায়ে রয়েছে, বিবৃতিতে তাও জানানো হয়েছে। হাওড়া মিউনিসিপাল কর্পোরেশন সংক্রান্ত বিল ২০২২ সালের ১৪ মার্চ থেকে রাজ্য সরকারের ব্যাখ্যার উত্তর পাওয়া যায়নি। দ্য ওয়েস্ট বেঙ্গল প্রোটেকশন অফ ইন্টারেস্ট অফ ডিপোজিটার্স ইন ফিনান্সিয়াল এস্টাবলিশমেন্টস বিল ২০১৩ শর্ত সাপেক্ষে রাষ্ট্রপতির অনুমোদন পাওয়ার পর তা ২২ এপ্রিল ২০১৫ সালে রাজ্য সরকারের কাছে পাঠানো হয়েছে। জেসপ ও ডানলপ অধিগ্রহণ নিয়ে বিধানসভায় পাশ হওয়া দুটি বিল রাষ্ট্রপতির অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে ২০১৬ সাল থেকে।

    আরও পড়ুুন: ‘দুবাইয়ের প্রতি তাঁর বেশি প্রেম’, মহুয়াকে টেনে অভিষেককে তীব্র কটাক্ষ করলেন সুকান্ত

    প্রিভেনশন অফ লিঞ্চিং বিল ২০২১ সালের ১৫ ডিসেম্বর রাজ্য সরকারের কাছ থেকে ব্যাখ্যা চাওয়া হলেও, তার উত্তর মেলেনি (CV Ananda Bose)। দ্য ওয়েস্ট বেঙ্গল কমিশন ফর ব্যাকওয়ার্ড ক্লাসেস আমেন্ডমেন্ট বিল সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে ২০১৯ সালের ২৩ জুলাই ব্যাখ্যা চাওয়া হয়েছিল রাজ্য সরকারের কাছে, তারও উত্তর আসেনি। বিশ্ববিদ্যালয়গুলির আচার্য পদে রাজ্যপালকে সরিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে বসানোর জন্য বেশ কয়েকটি বিল পাশ করা হয়েছিল ২০২২ সালে। সেগুলিকে বিচারাধীন বিল বলেও উল্লেখ করা হয়েছে বিবৃতিতে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
  • CBI Consent Case: সিবিআই একটি স্বাধীন, স্বতন্ত্র সংস্থা, সুপ্রিম কোর্টে জানাল কেন্দ্র

    CBI Consent Case: সিবিআই একটি স্বাধীন, স্বতন্ত্র সংস্থা, সুপ্রিম কোর্টে জানাল কেন্দ্র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সিবিআই একটি স্বাধীন, স্বতন্ত্র সংস্থা, কেন্দ্রীয় সরকারের অঙ্গ নয়। বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্টে সাফ জানিয়ে দিল কেন্দ্র। পশ্চিমবঙ্গে সিবিআই (CBI Consent Case) তদন্তের জেনারেল কনসেন্ট প্রত্যাহার করে নিয়েছে রাজ্য সরকার। তার পরেও রাজ্যের অনুমতি ছাড়া একের পর এক মামলায় এফআইআর করতে শুরু করে সিবিআই। এর পরেই সিবিআইয়ের বিরুদ্ধে মামলা করে তৃণমূল পরিচালিত রাজ্য সরকার।

    সলিসিটর জেনারেলের যুক্তি

    এদিন শুনানির জন্য মামলাটি ওঠে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি বিআর গবই ও বিচারপতি অরবিন্দ কুমারের বেঞ্চে। কেন্দ্রের হয়ে শুনানি করেন সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা। সেখানেই তিনি জানিয়ে দেন, সিবিআই স্বাধীন ও স্বতন্ত্র একটি সংস্থা। পশ্চিমবঙ্গ সরকারের করা মামলার গ্রহণযোগ্যতা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন কেন্দ্রের সলিসিটর জেনারেল। শীর্ষ আদালতে তিনি জানান, সিবিআইয়ের (CBI Consent Case) তদন্তের ধরন বা এফআইআর করার সিদ্ধান্তে নাক গলায় না কেন্দ্র। তাই কেন্দ্রের বিরুদ্ধে এই মামলা দায়ের করা যায় না। কেন্দ্রের সলিসিটর জেনারেল এও জানান, যেসব ঘটনায় সিবিআইয়ের তদন্ত বা এফআইআরের বিরুদ্ধে আপত্তি তুলেছে রাজ্য সরকার, সেই তদন্ত সিবিআই শুরু করেছে কলকাতা হাইকোর্ট কিংবা সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে। তাই রাজ্য সরকারের অনুমতি নেওয়ার প্রয়োজন কেন হবে?

    ‘সিবিআই আর কেন্দ্রীয় সরকার এক নয়’

    তিনি বলেন, “সিবিআই আর কেন্দ্রীয় সরকার এক নয়। যদি সিবিআইয়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ থাকে, তাহলে সিবিআইয়ের বিরুদ্ধেই মামলা করতে হবে। এই সংস্থার ওপর আমাদের কোনও নিয়ন্ত্রণ নেই। এটি একটি স্বাধীন সংস্থা।” সলিসিটর জেনারেল বলেন, “ভারতীয় সংবিধানের ১৩১ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, কেন্দ্র ও রাজ্যের মতপার্থক্য হলে তবেই অরিজিনাল সিভিল স্যুট দায়ের করা যায়। এ ক্ষেত্রে যেহেতু অভিযোগটা সিবিআইয়ের বিরুদ্ধে, কেন্দ্রের বিরুদ্ধে নয়, তাই এ ক্ষেত্রে কেন্দ্রের কোনও ভূমিকাই নেই।”

    আরও পড়ুুন: সংসদের শীতকালীন অধিবেশন বসবে ৪ ডিসেম্বর, পেশ হবে মহুয়াকে বহিষ্কারের সুপারিশ!

    তাঁর অভিযোগ, সিবিআই পশ্চিমবঙ্গে রেলের জমি থেকে ইস্টার্ন কোল্ডফিল্ডসের কয়লা পাচারের তদন্ত শুরু করেছিল। সেই তদন্তে বিশেষ একজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করার উদ্যোগ নিতেই এই মামলা করেছে রাজ্য সরকার।” বেঞ্চ জানিয়ে দেয়, তদন্তের বিষয়টা বুঝতে পারছি। সিবিআই স্বাধীনভাবেই কাজ করবে। তবে প্রশাসনিক দিক থেকে সিবিআই কেন্দ্রেরই অধীন। এই মামলার (CBI Consent Case) পরবর্তী শুনানি হবে ২৩ নভেম্বর।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের , Twitter এবং Google News পেজ।

  • PM Modi: “কংগ্রেস যদি পাপ করতে চায় তো করুক”, মধ্যপ্রদেশে হাত শিবিরকে নিশানা মোদির  

    PM Modi: “কংগ্রেস যদি পাপ করতে চায় তো করুক”, মধ্যপ্রদেশে হাত শিবিরকে নিশানা মোদির  

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “কংগ্রেস বিনামূল্যে রেশন দেওয়া নিয়ে যদি নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ জানানোর পাপ করতে চায় তো করুক। আমি মানুষের ভালর জন্য কাজ করে যাব।” বুধবার কথাগুলি বললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। বুধবার মধ্যপ্রদেশের দামোহে বিধানসভা নির্বাচনের প্রচারে গিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী। সেখানেই নিখরচায় রেশন বিলির সিদ্ধান্তে কংগ্রেসের সমালোচনার জবাব দিতে গিয়ে একথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।

    “দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই”

    শনিবার ছত্তিশগড়ে বিধানসভা নির্বাচনের প্রচারে গিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী। সেখানেই তিনি বলেছিলেন, “আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছি, বিজেপি সরকার দেশের ৮০ কোটিরও বেশি দরিদ্র মানুষকে বিনামূল্যে রেশন দেওয়ার প্রকল্প আরও পাঁচ বছর বাড়িয়ে দেবে। মানুষের ভালবাসা এবং আশীর্বাদ সব সময় আমাকে পবিত্র সিদ্ধান্ত নেওয়ার শক্তি দেয়।” প্রধানমন্ত্রী বলেন, “কংগ্রেসের অপমান সত্ত্বেও আমি দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই করে যাব। মানুষ কংগ্রেসকে রাজস্থান ও ছত্তিশগড়ে ক্ষমতায় বসিয়েছিল। কিন্তু তাঁদের মুখ্যমন্ত্রীদের দেখা গেল বেটিংয়ে যুক্ত রয়েছেন, কালো টাকা করছেন।”

    দুর্নীতির মেশিনারির টায়ার পাংচার

    তিনি (PM Modi) বলেন, “২০১৪ সালে যখন আমরা সরকার গড়ি, তখন আমি কংগ্রেসের সব দুর্নীতির মেশিনারির টায়ার পাংচার করে দিয়েছিলাম। কংগ্রেসের দুর্নীতির চাকা যাতে আর না গড়ায়, তাই আমরা আধার, ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ও মোবাইল নম্বরের ত্রিশক্তি তৈরি করেছিলাম।” দেশের অর্থনীতি যে অচিরেই আরও উন্নত হবে, এদিন তাও মনে করিয়ে দেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, “২০১৪ সালের পর দেশের আর্থিক বৃদ্ধির হার দশম থেকে পঞ্চম স্থানে উঠে এসেছে। ২০০ বছর ধরে ভারতে রাজত্ব করা ব্রিটেনের আর্থিক বৃদ্ধিকেও পিছনে ফেলেছে ভারত। ভারতের এই আর্থিক বৃদ্ধি দেখে অবাক হয়েছে বিশ্বের অন্য দেশগুলি। ভবিষ্যতে দেশকে প্রথম তিন বৃহৎ অর্থনীতির দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করব।”

    আরও পড়ুুন: গাজার সুড়ঙ্গে মিলল বিদেশি অস্ত্র, আত্মঘাতী বিস্ফোরক বেল্ট, ছবি দিয়ে জানাল ইজরায়েল

    প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) বলেন, “কংগ্রেস আমায় যত পারে গালি দিক, আমি কিন্তু দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই করে যাব। কংগ্রেস গরিবের টাকা লুট করছে। আপনারা কি জানেন, গরিবের টাকা লুটের জন্য কংগ্রেস একটা বিশেষ মেশিন তৈরি করেছে? এই মেশিনের সাহায্যে সরকার ১০০ টাকা পাঠালে ৮৫ টাকা যায় কংগ্রেসের কোষাগারে, জনগণের কাছে পৌঁছায় মাত্র ১৫ টাকা।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের , Twitter এবং Google News পেজ।

  • PM Modi: “অচিরেই ভারত হবে বিশ্বের তৃতীয় বৃহৎ অর্থনীতির দেশ”, মধ্যপ্রদেশে বললেন প্রধানমন্ত্রী  

    PM Modi: “অচিরেই ভারত হবে বিশ্বের তৃতীয় বৃহৎ অর্থনীতির দেশ”, মধ্যপ্রদেশে বললেন প্রধানমন্ত্রী  

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তাঁকে হারাতে জোট বেঁধেছে বিজেপি-বিরোধী ২৬টি রাজনৈতিক দল। তবে তাতে যে আগামী লোকসভা নির্বাচনে তাঁর (PM Modi) বিজয়রথ থমকে যাবে, অতিবড় রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞও তা বলছেন না। বস্তুত, তিনি নিজেও জানেন চব্বিশের লোকসভা নির্বাচনে ফের ক্ষমতায় আসছে বিজেপি। এবং প্রধানমন্ত্রী সেই তিনিই।

    ভারতের অর্থনীতির উত্থান 

    ২৩০ আসন বিশিষ্ট মধ্যপ্রদেশ বিধানসভা নির্বাচনের প্রচারে গিয়ে ফের একবার প্রকাশ পেল লোকসভা নির্বাচনে বিজেপির জয়ের ব্যাপারে তাঁর আত্মবিশ্বাস। ১৭ নভেম্বর মধ্যপ্রদেশ বিধানসভার নির্বাচন। বুধবার দামোহ শহরে বিজেপি আয়োজিত এক জনসভায় যোগ দেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সেখানেই তিনি (PM Modi) বলেন, “২০১৪ সালের পর দেশের আর্থিক বৃদ্ধির হার দশম থেকে পঞ্চম স্থানে উঠে এসেছে। ২০০ বছর ধরে ভারতে রাজত্ব করা ব্রিটেনের আর্থিক বৃদ্ধিকেও পিছনে ফেলেছে ভারত। ভারতের এই আর্থিক বৃদ্ধি দেখে অবাক হয়েছে বিশ্বের অন্য দেশগুলি। ভবিষ্যতে দেশকে প্রথম তিন বৃহৎ অর্থনীতির দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করব।”

    কংগ্রেসকে নিশানা মোদির

    এদিন আরও একবার কংগ্রেসকে নিশানা করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, “ছত্তিশগড় ও রাজস্থানে এতদিন কংগ্রেসের সরকার ছিল। কিন্তু সেখানকার মুখ্যমন্ত্রীরা ক্ষমতা ও কালো টাকার রাজনীতি করেছেন। কংগ্রেস ক্ষমতায় এলে মধ্যপ্রদেশে ৮৫ শতাংশ কমিশনের রাজত্ব কায়েম হবে।” প্রসঙ্গত, প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী কংগ্রেসের রাজীব গান্ধী একবার বলেছিলেন, কেন্দ্র এক টাকা দিলে উপভোক্তাদের কাছে পৌছায় ১৫ পয়সা, বাকি ৮৫ পয়সা নিয়ে নেয় দুর্নীতিগ্রস্তরা। রাজনৈতিক মহলের মতে, ঘুরিয়ে রাজীবের সেই কথাটিই স্মরণ করিয়ে দিলেন বর্তমান প্রধানমন্ত্রী।

    মোদি বলেন, “২০১৪ সালে যখন আমরা সরকার গড়ি, তখন আমি কংগ্রেসের সব দুর্নীতির মেশিনারির টায়ার পাংচার করে দিয়েছিলাম। কংগ্রেসের দুর্নীতির চাকা যাতে আর না গড়ায়, তাই আমরা আধার, ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ও মোবাইল নম্বরের ত্রিশক্তি তৈরি করেছিলাম।” তিনি (PM Modi) বলেন, “কংগ্রেস প্রেসিডেন্ট রিমোট দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হন। তিনি কিছু করতে পারেন না। যখন রিমোট কাজ করে, তখন তিনি সনাতন ধর্মকে অপমান করেন। গতকাল, যখন রিমোট কাজ করেনি, তখন তিনি পাণ্ডবদের কথা বলেছিলেন। বলেছিলেন, বিজেপিতে পঞ্চপাণ্ডব রয়েছে। পাণ্ডবদের পথে চলতে পেরে আমরা গর্বিত।”

    আরও পড়ুুন: জন্মনিয়ন্ত্রণ-নারীশিক্ষা নিয়ে কুরুচিকর মন্তব্য, ক্ষমা চাইলেন নীতীশ কুমার

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের , Twitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share