Author: Krishnendu Bakshi

  • Singur Verdict: সিঙ্গুরে ন্যানো কারখানা না হওয়ায় টাটাকে দিতে হবে গুণাগার, টাকার পরিমাণ জানেন?

    Singur Verdict: সিঙ্গুরে ন্যানো কারখানা না হওয়ায় টাটাকে দিতে হবে গুণাগার, টাকার পরিমাণ জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সিঙ্গুর (Singur Verdict) মামলায় মুখ পুড়ল তৃণমূল পরিচালিত রাজ্য সরকারের। ওই মামলায় জয়ী হল টাটা মোটরর্স। সংস্থার দাবি, ওয়েস্ট বেঙ্গল ইন্ডাস্ট্রিয়াল ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশনকে সুদ সহ ক্ষতিপূরণ বাবদ টাটাকে দিতে হবে ৭৬৬ কোটি টাকা।

    কত টাকা দিতে হবে টাটাকে?

    সোমবার স্টক এক্সচেঞ্জে সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে, ওয়েস্ট বেঙ্গল ইন্ডাস্ট্রিয়াল ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশন ও টাটা মোটরর্সের মধ্যে আরবিট্রেশন চলছিল। অরবিট্রাল ট্রাইব্যুনালের তিন সদস্যের কাছে আরবিট্রেশন চলছিল। সেখানে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের কাছে ক্ষতিপূরণ দাবি করেছিল টাটা। সংস্থার দাবি, সিঙ্গুরে ন্যানো গাড়ি কারখানা গড়তে না পারায় মূলধন বিনিয়োগে ক্ষতি হয়েছে। এদিন ট্রাইব্যুনালের সদস্যরা জানিয়ে দেন, ক্ষতিপূরণ দিতে হবে রাজ্যকে। টাটাকে সরকারকে দিতে হবে ৭৬০ কোটি টাকা। সুদ বাবদ দিতে হবে আরও ৬ কোটি টাকা। সব মিলিয়ে টাটাকে দিতে হবে ৭৬৬ কোটি টাকা।

    টাটার নোট

    ন্যাশনাল স্টক এক্সচেঞ্জে একটি নোট দিয়ে টাটার (Singur Verdict) তরফে জানানো হয়েছে, ২০২৩ সালের ৩০ অক্টোবর তিন সদস্যের আরবিট্রাল ট্রাইব্যুনালে সিঙ্গুরে অটোমোবাইল কারখানা মামলার নিষ্পত্তি হয়েছে। সর্বসম্মতভাবে ট্রাইব্যুনাল, টাটা মোটরর্সকে ৭৬৫.৭৮ কোটি টাকা দিতে বলেছে। সেই সঙ্গে ২০১৬ সালের ১ সেপ্টেম্বর থেকে পুরো ক্ষতিপূরণ পুনরুদ্ধার না হওয়া পর্যন্ত ১১ শতাংশ সুদ দিতে বলা হয়েছে। মামলার খরচ বাবদ আরও এক কোটি টাকা দিতে হবে ওয়েস্ট বেঙ্গল ইন্ডাস্ট্রিয়াল ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশনকে। এ প্রসঙ্গে প্রাক্তন বিচারপতি অশোক গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল এই নির্দেশ দিয়েছে। সিঙ্গুরে ন্যানো কারখানা করতে না পারায় টাটা মোটরর্স যেভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, সেই ক্ষতিপূরণের জন্যই টাটা মোটরর্সকে ওই অর্থ দিতে বাধ্য থাকবে ওয়েস্ট বেঙ্গল ইন্ডাস্ট্রিয়াল ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশন।

    আরও পড়ুুন: “বালুর হস্ত করে সমস্ত…” রেশন দুর্নীতিতে রাজ্যের মন্ত্রীর যোগ নিয়ে কী বললেন শুভেন্দু?

    হুগলির সিঙ্গুরে এক (Singur Verdict) লাখি গাড়ি কারখানা গড়তে বাম আমলে জমি অধিগ্রহণ করেছিল টাটা। তখন রাজ্যের বিরোধী নেত্রী ছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জমি অধিগ্রহণের প্রতিবাদে রাজ্যজুড়ে তীব্র আন্দোলন গড়ে তোলে তৃণমূল। যার জেরে রাজ্য ছেড়ে গুজরাটের সানন্দে চলে যায় টাটা।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • Kerala Blasts: কেরল বিস্ফোরণে মৃত আরও এক, তদন্ত শুরু এনআইএ, এনএসজি-র

    Kerala Blasts: কেরল বিস্ফোরণে মৃত আরও এক, তদন্ত শুরু এনআইএ, এনএসজি-র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কেরলের এর্নাকুলাম জেলার কালামাসেরি এলাকায় প্রার্থনা সভায় ধারাবাহিক বিস্ফোরণের (Kerala Blasts) ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে আরও একজনের। সোমবার ভোরে মৃত্যু হয়েছে বছর বারোর লিবিনার। এ নিয়ে খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের ওই প্রার্থনা সভায় বিস্ফোরণের ঘটনায় মৃতের সংখ্যা দাঁড়াল ৩। জখম হয়েছেন ৫০ জনেরও বেশি। তদন্তকারীদের পাশাপাশি কেরল পুলিশেরও দাবি, ওই প্রার্থনা সভায় আইইডি ব্যবহার করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই তদন্ত শুরু করেছে জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা সংক্ষেপে এনআইএ।

    একাধিক সংস্থার তদন্ত

    ঘটনার নেপথ্যে হামাসের উসকানি রয়েছে বলে অভিযোগ বিজেপির। তিনদিনের এই প্রার্থনা সভা শুরু হয়েছিল শুক্রবার। সেদিনই মুসলিম জঙ্গি সংগঠন হামাসের প্রাক্তন নেতা ভার্চুয়ালি প্যালেস্তাইনের পক্ষে ভাষণ দিয়েছিল। বিস্ফোরণ ঘটে রবিবার। সেদিনই ছিল প্রার্থনাসভার শেষ দিন। বিস্ফোরণের নেপথ্যে কার হাত রয়েছে, তা জানতে তদন্ত শুরু করেছে একাধিক সংস্থা। এনআইএ-র পাশাপাশি তদন্ত করছে এনএসজিও। এই সংস্থা ব্ল্যাক ক্যাট নামেই পরিচিত। কেরল সরকারের নির্দেশে ২০ সদস্যের একটি দলও তদন্ত করছে।

    নাড্ডার নিশানায় কেরল সরকার

    ঘটনায় (Kerala Blasts) কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়নকে একহাত নিয়েছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা। তিনি বলেন, “আমূল রাজনৈতিক পরিবর্তনের পক্ষপাতী হওয়ায় কেরলে এমন বিস্ফোরণ ঘটছে।” সোমবার কালামাসারি হাসপাতালে ভর্তি থাকা আহতদের দেখতে গিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রাজীব চন্দ্রশেখর। তিনি বলেন, “মৌলবাদ ও মৌলবাদীদের সঙ্গে বারংবার আপোস করছে কেরল সরকার। তার জেরে এমন ঘটনা ঘটছে।”

    আরও পড়ুুন: কেরল বিস্ফোরণের নেপথ্যে হামাসের উসকানি! তদন্ত দাবি বিজেপির

    কেরলের ঘটনার দায় স্বীকার করে রবিবারই স্থানীয় থানায় আত্মসমর্পণ করেছে এক ব্যক্তি। ডমিনিক মার্টিন নামের ওই ব্যক্তির দাবি, সে জিহোবা সাক্ষী (এই গোষ্ঠীই প্রার্থনা করছিল) নামে খ্রিস্টানদেরই একটি গোষ্ঠীর সদস্য। তবে তার বক্তব্য কতটা সত্য, তা জানার চেষ্টা করছে পুলিশ।

    এদিকে, ঘটনার (Kerala Blasts) জেরে দিল্লি এবং বাণিজ্য নগরী মুম্বইয়ের নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। দেশজুড়ে জারি হয়েছে সতর্কতা। দিল্লি পুলিশ জানিয়েছে, বিস্ফোরণের আশঙ্কায় জনবহুল এলাকাগুলিতে বাড়ানো হয়েছে নিরাপত্তা। বাজার সহ বিভিন্ন জনবহুল এলাকায় মোতায়েন করা হয়েছে অতিরিক্ত পুলিশ। গোয়েন্দা বাহিনীর সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছে দিল্লি পুলিশের স্পেশাল সেল। নিরাপত্তার চাদরে মুড়ে ফেলা হয়েছে মুম্বইও।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Kerala Blast: কেরল বিস্ফোরণের নেপথ্যে হামাসের উসকানি! তদন্ত দাবি বিজেপির  

    Kerala Blast: কেরল বিস্ফোরণের নেপথ্যে হামাসের উসকানি! তদন্ত দাবি বিজেপির  

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শুক্রবার ভার্চুয়ালি ভাষণ দিয়েছিলেন প্রাক্তন হামাস নেতা খালেদ মাশাল। তার আগে আগেই কেরলের মলপ্পুরমে মিছিল বের হয় প্যালেস্তাইনের সমর্থনে (Kerala Blast)। মিছিলের আয়োজক জামাত-ই-ইসলামির যুব সংগঠন। পরে আয়োজন হয় সভার। সেই সভায়ই ভার্চুয়ালি ভাষণ দেন খালেদ।

    খালেদের বক্তব্যের সঙ্গে বিস্ফোরণের যোগ!

    সেখানে প্যালেস্তিনীয় যোদ্ধাদের পক্ষে সমর্থন জোগাড় করতে বলা হয় শ্রোতাদের। ইহুদি সন্ত্রাসের হাত থেকে আল আকসা মসজিদ উদ্ধারের কথা বলেন এই মুসলমান নেতা। এর ঠিক দুদিন পরে রবিবার করলের একটি কনভেনশন সেন্টারে আয়োজিত প্রার্থনা সভায় আইইডি বিস্ফোরণ ঘটে। প্রার্থনা সভাটিতে অংশ নিয়েছিলেন খ্রিষ্টানদের একটি সম্প্রদায়। খালেদের বক্তব্যের সঙ্গে এই বিস্ফোরণের যোগ রয়েছে কিনা, তা জানতে চেয়ে তদন্ত দাবি করেছে বিজেপি, কংগ্রেস এবং বামেরা।

    প্যালেস্তাইনে হামলা হামাসের 

    ৭ অক্টোবর ইহুদিদের দেশ ইজরায়েলে হামলা চালায় মুসলমানের দেশ প্যালেস্তাইনের জঙ্গি গোষ্ঠী হামাস (Kerala Blast)। ইহুদিদের ধরে ধরে কার্যত কচুকাটা করে হামাসের জঙ্গিরা। এর পরেই প্রতিরোধ গড়ে তোলে ইজরায়েল। তেল আভিভের পাশে দাঁড়ায় ভারত, আমেরিকা, কানাডা সহ বিশ্বের বহু দেশ। ইজরায়েলের হামলায় আক্ষরিক অর্থেই কোণঠাসা হয়ে পড়েছে হামাসের জঙ্গিরা। আন্তর্জাতিক মহলের একাংশের মতে, তাই চলছে হামাসের পক্ষে সমর্থন জোগাড়ের কাজ।

    আরও পড়ুুন: ‘‘ভাই-ভাইপো, বাড়ির কুকুর-বিড়াল দুর্নীতিতে যুক্ত’’, মমতাকে নিশানা দিলীপের

    শুক্রবার কেরলে যে জনসভার আয়োজন করা হয়েছিল, তার আয়োজক ছিলেন জামাত-ই-ইসলামি সেন্ট্রাল কাউন্সিলের সদস্য আবুসালেম আহমেদ। প্যালেস্তাইনে বর্ণবিদ্বেষী শক্তি সংগঠিতভাবে গণহত্যা চালাচ্ছে বলে অভিযোগ করা হয় সভায়। ভারতও ওই সংগঠিত শক্তির অংশ বলেও দাবি করা হয়। এর পরেই দেশজুড়ে শুরু হয় বিতর্ক। সভা ও মিছিলের অনুমতি দিয়ে বিপাকে পড়ে কেরলের বাম সরকার। কেরলের বিজেপি সহ সভাপতি ভিটি রেমা বলেন, “ভারতের মতো ধর্মনিরপেক্ষ দেশে ইসলামি সন্ত্রাসবাদীরা নিজেদের আসল চেহারা দেখাচ্ছে। সবাই জানে, হামাসই প্রথম ইজরায়েলকে আক্রমণ করেছিল।” কেরল বিজেপির সভাপতি কে সুরেন্দ্রণ বলেন, “মলপ্পুরমের সভায় হামাস নেতা খালেদ মাশালের ভাষণ অত্যন্ত উদ্বেগজনক। পিনারাই বিজয়নের কেরল পুলিশ কোথায়? প্যালেস্তাইন বাঁচাওয়ের নামে সন্ত্রাসীদের যোদ্ধা হিসেবে তুলে ধরা হচ্ছে। এটা মেনে নেওয়া যায় না।” পুরো ঘটনায় (Kerala Blast) কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন সুরেন্দ্রণ।

    কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রাজীব চন্দ্রশেখর ঘটনাটিকে কংগ্রেস এবং সিপিএমের তুষ্টিকরণের রাজনীতি বলে অভিহিত করেছেন। কেরলে হিংসা এবং জিহাদ ছড়ানোর জন্য ইন্ডি জোট ভারতে হামাস জঙ্গিদের আমন্ত্রণ জানিয়েছে বলেও অভিযোগ তাঁর। বিজেপির জাতীয় মুখপাত্র সুধাংশু ত্রিবেদী বলেন, “মিছিল হয়েছিল কেরলে। আইন-শৃঙ্খলা রাজ্যের বিষয়। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা তদন্ত করবে বক্তৃতাটি লাইভ না রেকর্ড করা। রেকর্ড করা হলে কে এবং কীভাবে ভিডিওটি পেল তা তদন্ত করা হবে।”

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

     

  • Train Accident: মানুষের ভুলেই রেল দুর্ঘটনা অন্ধ্রপ্রদেশে? প্রকাশ্যে এল আসল সত্য

    Train Accident: মানুষের ভুলেই রেল দুর্ঘটনা অন্ধ্রপ্রদেশে? প্রকাশ্যে এল আসল সত্য

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের দুর্ঘটনার কবলে ট্রেন (Train Accident)। এবার অকুস্থল অন্ধ্রপ্রদেশের ভিজিয়ানগরম। ঠিক কী কারণে এই দুর্ঘটনা, তা নিয়ে চলছিল চুলচেরা বিশ্লেষণ। এবার সামনে এল দুর্ঘটনার প্রকৃত কারণ। ইস্ট কোস্ট রেলওয়ের তরফে জানানো হয়েছে, মানুষের গাফিলতির জেরেই অন্ধ্রপ্রদেশে এই দুই প্যাসেঞ্জার ট্রেনের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়েছে।

    দুর্ঘটনার সম্ভাব্য কারণ

    ইস্ট কোস্ট রেলওয়ের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক বিশ্বজিৎ সাহু বলেন, “এই রেল দুর্ঘটনার সম্ভাব্য কারণ মানুষের গাফিলতি। আর সেই ত্রুটির জন্যই গন্তব্য ছাড়িয়ে দ্রুতগতিতে ছুটে গিয়ে বেলাইন হয়ে যায় বিশাখাপত্তনম-রায়গড় প্যাসেঞ্জার স্পেশাল ট্রেনটি।” তিনি জানান, মুখোমুখি সংঘর্ষের জেরে বিশাখাপত্তনম-পলাসা প্যাসেঞ্জার ট্রেনটির দুটি কামরা ও বিশাখাপত্তনম-রায়গড়ের লোকো পাইলটের কোচটি লাইনচ্যুত হয়। রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব জানান, দুর্ঘটনাস্থল থেকে বিশাখাপত্তনম-পালাসা ট্রেনটির ১১টি বগি ও বিশাখাপত্তনম-রায়গড় ট্রেনের ৯টি বগি সরানো হয়েছে। বাকিগুলি দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সেগুলি এখনও ঘটনাস্থল থেকে সরানো যায়নি। 

    কেন্দ্রের তৎপরতা 

    দুর্ঘটনার (Train Accident) পরে পরেই রেলমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। পর্যালোচনা করেন পরিস্থিতি। দুর্ঘটনায় মৃতদের প্রতি শোক প্রকাশ করেছেন তিনি। অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গেও কথা বলেছেন রেলমন্ত্রী। রেল দুর্ঘটনায় প্রাণহানি নিয়ে শোক প্রকাশ করেছেন অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী জগন রেড্ডি। সোশ্যাল মিডিয়ায় রেলমন্ত্রী জানান, মৃত ও আহতদের ক্ষতিপূরণের প্রক্রিয়া শুরু করা হয়েছে। মৃতদের ক্ষেত্রে ১০ লক্ষ টাকা, গুরুতর আহতদের ক্ষেত্রে ২ লক্ষ টাকা এবং যাঁরা অল্পস্বল্প জখম হয়েছেন, তাঁদের ৫০ হাজার করে টাকা দেওয়া হবে। রেড্ডি সরকারের তরফেও মৃতদের নিকট আত্মীয়দের ২ লক্ষ টাকা এবং আহতদের ৫০ হাজার করে টাকা দেওয়ার কথা ঘোষণা করা হয়েছে।

    আরও পড়ুুন: ‘‘ভাই-ভাইপো, বাড়ির কুকুর-বিড়াল দুর্নীতিতে যুক্ত’’, মমতাকে নিশানা দিলীপের

    এদিকে, দুর্ঘটনার (Train Accident) জেরে রবিবার রাতেই বাতিল করা হয় বেশ কিছু ট্রেন। সোমবার সকালেও বিশাখাপত্তনম থেকে ছাড়া এবং বিশাখাপত্তনমগামী বহু ট্রেন বাতিল করা হয়েছে। বদল করা হয়েছে বেশ কিছু ট্রেনের যাত্রাপথ। এগুলি হল ০৩৩৫৭ কোয়েম্বাটোর স্পেশাল ফেয়ার, ১৮১৮৯ এর্নাকুলাম এক্সপ্রেস, ১১০২০ কোনারক এক্সপ্রেস, ১২৭০৩ হাওড়া-সেকেন্দ্রাবাদ ফলকনুমা এক্সপ্রেস ও ১২২৪৫ হাওড়া-যশবন্তপুর দুরন্ত এক্সপ্রেস।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Terrorist Attack: কাশ্মীরে পুলিশ আধিকারিকের ওপর জঙ্গি হামলা, শুরু তল্লাশি

    Terrorist Attack: কাশ্মীরে পুলিশ আধিকারিকের ওপর জঙ্গি হামলা, শুরু তল্লাশি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কেরলে প্রার্থনা সভায় বিস্ফোরণের ঘটনার রেশ মিলিয়ে যাওয়ার আগেই জঙ্গি হামলা (Terrorist Attack) কাশ্মীরের শ্রীনগরের ইদগাহ এলাকায়। জঙ্গিদের ছোড়া গুলিতে জখম হয়েছেন এক পুলিশ আধিকারিক। রবিবার বিকেলের এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে ভূস্বর্গে। যদিও কোনও জঙ্গি সংগঠনের তরফে এই ঘটনার দায় স্বীকার করা হয়নি।

    জঙ্গিদের খোঁজে তল্লাশি

    এদিন ইদগাহ এলাকায় প্রহরায় ছিলেন ইনসপেক্টর মাসরুর আহমেদ। আচমকাই কয়েকজন জঙ্গি তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। জঙ্গিরা পুলিশের পিস্তল ব্যবহার করেছিল। ওই পুলিশ আধিকারিককে দ্রুত নিয়ে যাওয়া হয় হাসপাতালে। জঙ্গিদের খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ।

    পুলিশের পিস্তল থেকে গুলি

    এক্স হ্যান্ডেলে কাশ্মীর (Terrorist Attack) জোন পুলিশের তরফে ট্যুইট-বার্তায় লেখা হয়েছে, “শ্রীনগরের ইদগাহ এলাকায় জঙ্গিরা গুলি চালায় ইনসপেক্টর মাসরুর আহমেদের ওপর। তাঁকে দ্রুত নিয়ে যাওয়া হয় হাসপাতালে। প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে, জঙ্গিরা পুলিশের পিস্তল থেকে গুলি ছুড়েছিল। এলাকা ঘিরে ফেলা হয়েছে, দায়ের হয়েছে অভিযোগ।” হাসপাতাল সূত্রে খবর, ওই পুলিশ আধিকারিকের অবস্থা আশঙ্কাজনক।

    দিন তিনেক আগে যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করে জম্মু-কাশ্মীর সীমান্তে হামলা চালায় পাকিস্তান। বৃহস্পতিবার রাতে আরএস পুরা সেক্টরের আর্নিয়া এলাকায় বিএসএফের ঘাঁটি লক্ষ্য করে অতর্কিতে গোলা বর্ষণ শুরু করে পাক রেঞ্জার্সরা। জবাব দেয় ভারতীয় সেনাও। শুক্রবার ভোররাত পর্যন্ত গুলির লড়াই চলে দু’ পক্ষে। এই ঘটনার রেশ মিলিয়ে যাওয়ার আগেই পুলিশ আধিকারিককে লক্ষ্য করে জঙ্গিদের গুলি চালানোর ঘটনায় উদ্বেগ বাড়ছে ভূস্বর্গে।

    বুধবারই জম্মু-কাশ্মীরের শীর্ষ আধিকারিক ও নিরাপত্তা সংস্থাগুলির বৈঠক হয়েছে শ্রীনগরের ১৫ কর্পস হেডকোয়ার্টারে। এই বৈঠকে কাশ্মীরে বিদেশি জঙ্গিদের (Terrorist Attack) ভূমিকা নিয়েও আলোচনা হয়েছে।

    আরও পড়ুুন: “ছত্তিশগড়ে গ্রহণ চলছে, বিজেপিকে ক্ষমতায় আনুন”, রায়পুরের সভায় আবেদন নাড্ডার

    প্রসঙ্গত, চলতি বছর উপত্যকায় ৪৬ জন জঙ্গিকে খতম করা হয়েছে। এর মধ্যে পাকিস্তানি জঙ্গি রয়েছে ৩৭ জন। স্থানীয় জঙ্গি রয়েছে ৯ জন। জানা গিয়েছে, গত ৩৩ বছরে এই প্রথম স্থানীয় জঙ্গির চারগুণ বেশি বিদেশি জঙ্গি খতম হয়েছে ভূস্বর্গে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক সূত্রে খবর, বর্তমানে উপত্যকায় জঙ্গি কার্যকলাপ চালাচ্ছে ১৩০ জন সন্ত্রাসী। এর অর্ধেকই বিদেশি।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
  • Ernakulam Blast: কেরলে বিস্ফোরণের দায় স্বীকার করে থানায় সন্দেহজনক ব্যক্তি, কী কারণে হামলা?

    Ernakulam Blast: কেরলে বিস্ফোরণের দায় স্বীকার করে থানায় সন্দেহজনক ব্যক্তি, কী কারণে হামলা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কেরলের কালামাসেরির প্রার্থনা সভায় বিস্ফোরণের (Ernakulam Blast) দায় স্বীকার করে থানায় আত্মসমর্পণ করলেন এক ব্যক্তি। তাঁর দাবি, কনভেনশন সেন্টারে বোমাটি রেখেছিল সে-ই। পুলিশ জানিয়েছে, ওই ব্যক্তির নাম ডমিনিক মার্টিন। আত্মসমর্পণের পর তাকে হেফাজতে নিয়েছে পুলিশ। তার দাবি কতটা সত্য, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। পরীক্ষা করা হচ্ছে তার মানসিক সুস্থতাও। ডমিনিক গুজরাটের বাসিন্দা। মেঙ্গালুরু থেকে কান্নুর হয়ে আরিকোড যাচ্ছিল সে। তার সঙ্গে ছিল একটি ব্যাগ। তার মধ্যেও সন্দেহজনক কিছু জিনিসপত্র পাওয়া গিয়েছে বলে জানিয়েছে ত্রিশুর পুলিশ।

    জিহোবা সাক্ষীর প্রার্থনা সভা

    রবিবার কালামাসেরির একটি কনভেনশন সেন্টারে প্রার্থনা করছিলেন জিহোবা সাক্ষী নামে একটি ধর্মীয় গোষ্ঠীর লোকজন। সেখানেই টিফিন বাক্সে রাখা ছিল আইইডি। আচমকা বিস্ফোরণের জেরে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় এক মহিলার। জখম হন প্রায় ৪০ জন। এঁদের মধ্যে ৭জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। নাশকতার ছকের আশঙ্কা করে পুলিশ। এমতাবস্থায় বিস্ফোরণের দায় স্বীকার করে কোদাকারা থানায় আত্মসমর্পণ করে মার্টিন।

    কী বলছে পুলিশ?

    কেরলের (Ernakulam Blast) অতিরিক্ত ডিজি (আইন-শৃঙ্খলা) এম আর অজিত কুমার বলেন, “ত্রিশুর গ্রামীণ অঞ্চলের কোদাকরা থানায় এসে আত্মসমর্পণ করে ডমিনিটক মার্টিন নামে এক ব্যক্তি। সে জানিয়েছে, জিহোবা সাক্ষী গ্রুপেরই (এই গ্রুপের সদস্যরাই প্রার্থনা করছিলেন) অন্তর্গত সে। তবে সে সত্য বলছে কিনা, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। আমরা সব দিক খতিয়ে দেখছি। কেন মার্টিন নিজের গ্রুপের সদস্যদের ওপর হামলা চালাল, তা খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা।”

    এদিকে, হামলার ব্যাপারে আলোচনার জন্য সোমবার রাজধানী তিরুবনন্তপুরমে সর্বদলীয় বৈঠক ডেকেছেন মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন। পুলিশের একটি সূত্র জানিয়েছে, প্রার্থনা সভায় এই বিস্ফোরণ সন্ত্রাসবাদী হামলা। বিস্ফোরণের সময় ওই কনভেনশন সেন্টারে ছিলেন হাজার দুয়েক মানুষ। হামলার প্রেক্ষিতে পড়শি রাজ্য কর্নাটক ও তামিলনাড়ুতে জোরদার করা হয়েছে নিরাপত্তা ব্যবস্থা। নিবিড় নজরদারি শুরু (Ernakulam Blast) হয়েছে সীমান্তবর্তী এলাকায়।  

    আরও পড়ুুন: “ছত্তিশগড়ে গ্রহণ চলছে, বিজেপিকে ক্ষমতায় আনুন”, রায়পুরের সভায় আবেদন নাড্ডার

    জিহোবা সাক্ষীরা খ্রিস্টানদেরই একটি সম্প্রদায়। এদের বিশ্বাস, জিহোবা আব্রাহাম, মুসা এবং যিশু খ্রিস্টেরও ঈশ্বর। এদের ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে, আমরা সব ধর্মকে সম্মান করি। রাজনৈতিক বিষয়ে নিরপেক্ষতা অবলম্বন করে চলি। সমাজে সত্যের প্রচার করাই আমাদের মূল ও একমাত্র লক্ষ্য।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
     
  • JP Nadda: “ছত্তিশগড়ে গ্রহণ চলছে, বিজেপিকে ক্ষমতায় আনুন”, রায়পুরের সভায় আবেদন নাড্ডার

    JP Nadda: “ছত্তিশগড়ে গ্রহণ চলছে, বিজেপিকে ক্ষমতায় আনুন”, রায়পুরের সভায় আবেদন নাড্ডার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “ছত্তিশগড়ে পাঁচ বছর ধরে গ্রহণ চলছে।” রবিবার রায়পুরের জনসভায় এই ভাষায়ই কংগ্রেসকে আক্রমণ শানালেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা (JP Nadda)। ছত্তিশগড়ের কংগ্রেস সরকার আপাদমস্তক দুর্নীতিতে ডুবে রয়েছে বলেও অভিযোগ বিজেপির এই শীর্ষ নেতার।

    ভূপেশ বাঘেলের দুর্নীতি…

    তিনি বলেন, “ভূপেশ বাঘেলের দুর্নীতি, অদক্ষতা এবং অবিশ্বাস আমরা চোখে দেখেছি। আমি অবিশ্বাস্য বলছি কারণ আপনি কি দেখেছেন একজন মুখ্যমন্ত্রীর সচিব বছরের পর বছর জেলে রয়েছেন? কপালে যদি দুর্নীতি লেখা থাকে, তাহলে তার চেয়ে বড় প্রমাণ আর কী প্রয়োজন হতে পারে!” উপস্থিত জনতার দিকে নাড্ডার প্রশ্ন, “এরকম দুর্নীতিগ্রস্ত সরকারের কি ক্ষমতায় থাকা উচিত?”

    প্রতিশ্রুতিভঙ্গ সরকারের

    ৯০ আসনের ছত্তিশগড় বিধানসভায় ভোট হবে দু’ দফায়। প্রথম দফার ভোট হবে ৭ নভেম্বর। দ্বিতীয় দফায় ভোট হবে ওই মাসেরই ১৭ তারিখে। এদিনের জনসভায় নাড্ডার প্রশ্ন, “এই (কংগ্রেস) সরকার তরুণদের সঙ্গে প্রতারণা করেছে কি না? মহিলারা কী প্রতি মাসে ৫০০ টাকা করে পাচ্ছেন? মদ কেলেঙ্কারি ঘটেছে কি না? ভূপেশ বাঘেল মদের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। সেই নিষেধাজ্ঞা জারি না করে তিনি কেলেঙ্করি করেছেন। সরকারি চাকরিতে নিয়োগের ক্ষেত্রেও দুর্নীতি করেছেন তিনি। তিনি গরু এবং গোবরের ক্ষেত্রেও দুর্নীতি করতে ছাড়ছেন না।”

    বিজেপিকে রাজ্যে ক্ষমতায় আনার আবেদন জানিয়ে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি (JP Nadda) বলেন, “গতকাল চন্দ্রগ্রহণ ছিল। ছত্তিশগড়েও গত পাঁচ বছর ধরে গ্রহণ চলছে। এখন সময় এসেছে এই গ্রহণ থেকে মুক্তি পাওয়ার। এরকম একটা দুর্নীতিগ্রস্ত সরকারের ক্ষমতায় থাকার কোনও অধিকারই নেই।”

    আরও পড়ুুন: ‘বালুর সঙ্গে একাধিকবার ফোনে কথা! মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে দুর্নীতি হয়েছে’, বিস্ফোরক শুভেন্দু

    প্রথম দফায় নির্বাচন হবে ২০টি বিধানসভা কেন্দ্রে। এদিনের সভায় ওই কেন্দ্রগুলিতে ভোটারদের বাড়ি বাড়ি যেতে নির্দেশ দেন দলীয় কর্মীদের। নাড্ডা (JP Nadda) বলেন, “আপনারা ভোটারদের ভোট দিতে উৎসাহিত করুন। তাঁরা আপনাদের ভোট দিন অথবা না দিন কিন্তু গণতন্ত্রকে শক্তিশালী করুন। আপনারা তাঁদের ভোট দিতে অনুরোধ করুন।”

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • PM Modi: ‘মেরা যুব ভারত’ গঠনের ডাক, মন কী বাতে আর কী বললেন প্রধানমন্ত্রী?

    PM Modi: ‘মেরা যুব ভারত’ গঠনের ডাক, মন কী বাতে আর কী বললেন প্রধানমন্ত্রী?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অক্টোবরের ৩১। সর্দার বল্লভভাই প্যাটেলের জন্মদিন। এই দিনে ‘মেরা যুব ভারত’ নামে একটি প্লাটফর্মের সূচনা হচ্ছে দেশজুড়ে। বিভিন্ন ইভেন্টের মাধ্যমে জাতি গঠনের সুযোগ দেওয়া হবে দেশের তরুণদের। রবিবার ‘মন কী বাতে’র ১০৬তম পর্বে জানালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)।

    ‘মেরা যুব ভারত’

    এদিন দেশবাসীকে উৎসবের মরশুমের শুভেচ্ছাও জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি জানান, ‘মেরা যুব ভারত’ নামের একটি ওয়েবসাইটও চালু হতে চলেছে। মাইভারত. গভ.ইন নামের এই ওয়েবসাইটে তরুণদের নাম নথিভুক্ত করা উচিত। প্রধানমন্ত্রী বলেন, “মাই ভারত দেশের তরুণদের বিভিন্ন ইভেন্টের মাধ্যমে জাতি গঠনের সুযোগ করে দেবে। দেশ গঠনে দেশের যুব শক্তিকে কাজে লাগানোর এটা একটা মৌলিক প্রচেষ্টা।”

    ‘ভোকাল ফর লোকাল’

    ২০১৪ সালে প্রধানমন্ত্রী হন নরেন্দ্র মোদি। ওই বছরই ৩ অক্টোবর প্রথম সম্প্রচারিত হয় আধঘণ্টার বেতার অনুষ্ঠান ‘মন কী বাত’। এই অনুষ্ঠানের শততম-পর্বটি দেখানো হয়েছে রাষ্ট্রসংঘে। এদিনের ‘মন কী বাতে’ প্রধানমন্ত্রী শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেছেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীকেও। ৩১ অক্টোবর নিজেরই দেহরক্ষীর গুলিতে খুন হয়েছিলেন ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা। এই দিনটি আবার সর্দার বল্লভ ভাই প্যাটেলের জন্মদিনও। প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) বলেন, “এই অনুষ্ঠান এমন একটা সময়ে হচ্ছে, যখন দেশবাসী উৎসবের মেজাজে রয়েছে। আপনাদের সকলকে আমি আসন্ন উৎসবের জন্য অভিনন্দন জানাই।” প্রধানমন্ত্রীর মুখে শোনা গিয়েছে ‘ভোকাল ফর লোকালে’র কথা। স্থানীয় পণ্য কেনার জন্য প্রধানমন্ত্রী পর্যটকদের উৎসাহিত করেছেন। স্থানীয় জিনিস কেনার ক্ষেত্রে ইউপিআই ব্যবহারের ওপরও জোর দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।

    আরও পড়ুুন: ‘বালুর সঙ্গে একাধিকবার ফোনে কথা! মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে দুর্নীতি হয়েছে’, বিস্ফোরক শুভেন্দু

    ১৫ নভেম্বর বিরসা মুন্ডার জন্মদিন। এ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “বিরসা মুন্ডা আমাদের হৃদয়ে থাকেন। আমরা তাঁর জীবন থেকে শিখেছি সত্যিকারের সাহসিকতা কাকে বলে। কীভাবে নিজের লক্ষ্যে দৃঢ়ভাবে দাঁড়িয়ে থাকা যায়, তাও ওঁর জীবন থেকে শিক্ষনীয়।” বিরসার জন্মদিনটিকে আদিবাসী গৌরব দিবস হিসেবে পালনের কথাও জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। এশিয়ান গেমসে ভারতের সাফল্য নিয়েও উচ্ছ্বসিত প্রধানমন্ত্রী। এই গেমসে অংশ গ্রহণকারী ভারতীয় অ্যাথলিটদের ভূয়সী প্রশংসাও করেছেন তিনি।

    প্রতিমাসের শেষ রবিবার সম্প্রচারিত হয় প্রধানমন্ত্রীর ‘মন কী বাতে’র অনুষ্ঠান। অনুষ্ঠানে যোগ দেন বিজেপির শীর্ষ নেতানেত্রীরা। ছত্তিসগড়ে এদিনের অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা। হিমাচল প্রদেশ থেকে অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর। ওড়িশার ভুবনেশ্বরে ‘মন কী বাতে’র (PM Modi) অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Israel Hamas War: গাজা স্ট্রিপজুড়ে সুড়ঙ্গ জাল, হামাসকে রুখতে স্পঞ্জ বোমা বানাচ্ছে ইজরায়েল!

    Israel Hamas War: গাজা স্ট্রিপজুড়ে সুড়ঙ্গ জাল, হামাসকে রুখতে স্পঞ্জ বোমা বানাচ্ছে ইজরায়েল!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইজরায়েলকে ঘায়েল করতে গাজা স্ট্রিপজুড়ে সুড়ঙ্গ খুঁড়েছে প্যালেস্তাইনের জঙ্গি গোষ্ঠী হামাস (Israel Hamas War)। সেই সুড়ঙ্গ-জাল ধরেই ইজরায়েলে হামলা চালিয়ে যাচ্ছে হামাসের নৃশংস জঙ্গিরা। হামাসের তৈরি এই সুড়ঙ্গ জালই এবার ছিঁড়ে ফেলতে চাইছে ইজরায়েল। তেল আভিভের মতে, হামাসের তৈরি এই সুড়ঙ্গ জাল অবরুদ্ধ করতে পারলেই কেল্লাফতে। সেই কারণেই এবার গাজার সুড়ঙ্গে স্পঞ্জ বোমা নিক্ষেপ করতে চলেছে ইজরায়েল। বেশ কয়েকটি প্রতিবেদন থেকে জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যেই জোরকদমে স্পঞ্জ বোমা তৈরি করতে শুরু করেছে ইজরায়েল।

    স্পঞ্জ বোমা কী?

    প্রশ্ন হল, স্পঞ্জ বোমা কী? স্পঞ্জ বোমা দেখতে খানিকটা ফেনার মতো। প্রাথমিকভাবে মনে হতে পারে এটি কোনও রাসায়নিকের ফেনা। কিন্তু নিক্ষিপ্ত হওয়ার পরেই ফেনা পরিণত হয় কঠিন পদার্থে। আসলে দুটি তরল দিয়ে তৈরি এই ফেনা। রাখা থাকে একটি প্লাস্টিকের প্যাকেটের মধ্যে। লোহার প্রতিবন্ধক দিয়ে প্যাকেটের মধ্যে আলাদা করে রাখা হয় তরল দুটি। নিক্ষিপ্ত হওয়ার পর ঘটে বিস্ফোরণ। তখনই প্লাস্টিকের প্যাকেট ছিন্ন করে মিশে যায় তরল দুটি। তৈরি হয় ফোম। দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে এই ফোম। বাতাসের সংস্পর্শে এসে জমাটও বাঁধতে থাকে দ্রুত। তার জেরে বন্ধ হয়ে যায় সুড়ঙ্গ কিংবা গুহামুখ।

    রাসায়নিক গ্রেনেডের পরীক্ষা

    গাজা স্ট্রিপে হামাসের (Israel Hamas War) তৈরি সুড়ঙ্গের মুখ এই স্পঞ্জ বোমা দিয়েই অবরুদ্ধ করে দিতে চাইছে ইজরায়েল। সুড়ঙ্গের মুখ বন্ধ করতে রাসায়নিক গ্রেনেডের পরীক্ষাও করছে ইজরায়েল। এই জাতীয় গ্রেনেডে কোনও বিস্ফোরক নেই। তবে সুড়ঙ্গ কিংবা গুহামুখ বন্ধ করতে ব্যবহার করা হয় এই ধরনের বোমা। বছর দুই আগেও গাজা স্ট্রিপ সীমান্তে থাকা কিছু সুড়ঙ্গমুখ বন্ধ করতে পরীক্ষামূলকভাবে এই জাতীয় গ্রেনেড ব্যবহার করেছিল ইজরায়েল।

    আরও পড়ুুন: আগেই ইডিকে তোপ! পুর-নিয়োগ দুর্নীতিতে বালুকে দেখে কি আতঙ্কিত সুজিত?

    ইজরায়েলকে পরাস্ত করতে নয়ের দশকের মাঝামাঝি সময় থেকে গাজায় এই সুড়ঙ্গ তৈরির ছক কষে হামাস। ২০০৫ সালে যখন ইজরায়েল গাজা থেকে সেনা প্রত্যাহার করে নেয় এবং তার পরের বছর নির্বাচনে জয়ী হয় হামাস, তার পরেই শুরু হয় সুড়ঙ্গ তৈরির কাজ। এই সুড়ঙ্গগুলিতে রয়েছে বাঙ্কার, স্টোরেজ এবং নানা ধরনের ফাঁদ। সূত্রের খবর, কয়েকশো কিলোমিটার জুড়ে রয়েছে এই সুড়ঙ্গ (Israel Hamas War)। গভীরতা ৮০ মিটারের কাছাকাছি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ। 

  • Tata iPhone: এবার ভারতেই আইফোন তৈরি করবে টাটা, কবে থেকে জানেন?  

    Tata iPhone: এবার ভারতেই আইফোন তৈরি করবে টাটা, কবে থেকে জানেন?  

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার আর আইফোনের জন্য মুখাপেক্ষী হয়ে থাকতে হবে না বিদেশের। খুব শীঘ্রই ভারতেই আইফোন তৈরি করবে টাটা গ্রুপ (Tata iPhone)। টাটা গ্রুপের সঙ্গে আইফোন প্রস্তুতকারক উইস্ট্রন কারখানা অধিগ্রহণের চুক্তি অনুমোদিত হয়েছে।

    কী জানালেন মন্ত্রী?

    কেন্দ্রীয়মন্ত্রী রাজীব চন্দ্রশেখর জানান, আগামী আড়াই বছরের মধ্যে দেশীয় ও বিশ্ব বিজারের জন্য ভারতে আইফোন তৈরি শুরু করবে টাটা গ্রুপ। ট্যুইট-বার্তায় তিনি লিখেছেন, “পিএলআই স্কিমের অধীনে স্মার্টফোন উৎপাদন ও রফতানির ক্ষেত্রে ভারতকে একটি বিশ্বস্ত ও প্রধান কেন্দ্রে পরিণত করেছে। আগামী দু থেকে আড়াই বছরের মধ্যে ভারতে আইফোন তৈরি করা শুরু করবে টাটা গ্রুপ।” চন্দ্রশেখর লিখেছেন, “উইস্ট্রনের এই সিদ্ধান্তের জন্য ধন্যবাদ। ভারত থেকে একটি বিশ্বব্যাপী সাপ্লাই চেইন তৈরির ক্ষেত্রে অ্যাপলের জন্য এটি খুব ভাল পদক্ষেপ।”

    কারখানার মূল্য

    উন্নত প্রযুক্তির এই ফোন ভারতে তৈরি হলে একদিকে যেমন বিপুল কর্মসংস্থান হবে, তেমনি অন্য দিকে ফোনের দামও চলে আসবে ব্যবহারকারীদের নাগালের মধ্যে। জানা গিয়েছে, ১০৪০ কোটি টাকায় টাটা গ্রুপের (Tata iPhone) কাছে কারখানা বিক্রির সিদ্ধান্তে অনুমোদন দিয়েছে উইস্ট্রনের বোর্ড। টাটা গ্রুপের তরফে এই ডিল সারবে টাটা ইলেকট্রনিক্স প্রাইভেট লিমিটেড। এই চুক্তির মাধ্যমে উইস্ট্রন ইনফোকম ম্যানুফ্যাকচারিং (ইন্ডিয়া) প্রাইভেট লিমিটেডের একশো শতাংশ শেয়ারই চলে আসবে টাটাদের হাতে।

    দক্ষিণ ভারতে অনেক দিন ধরেই আইফোন অ্যাসেম্বল করছে উইস্ট্রন। তাদের এই কারখানাটিই অধিগ্রহণ করতে চলেছে টাটা গ্রুপ। অধিগ্রহণ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হলেই উইস্ট্রনের কর্নাটকের প্ল্যান্টে আইফোন তৈরি করতে শুরু করবে টাটা। ফোনের পিছনে লেখা থাকবে, ‘মেড ইন ইন্ডিয়া’। চুক্তি স্বাক্ষরিত হওয়ার পর ভারত ছেড়ে চলে যাবে তাইওয়ানের এই ইলেকট্রনিক্স কোম্পানিটি। আইফোন উৎপাদনের জন্য ইতিমধ্যেই কর্মী নিয়োগ শুরু করেছে টাটা। সংস্থা সূত্রে খবর, আইফোন (Tata iPhone) উৎপাদনের জন্য ১২ হাজার কর্মী নিয়োগ করা হবে। অদূর ভবিষ্যতে ভারতে ১০০টি অ্যাপল অনুমোদিত স্টোর চালু করবে বলেও জানিয়েছে টাটা গ্রুপ।

    আরও পড়ুুন: জ্যোতিপ্রিয়র বাড়ির পরিচারকও কোম্পানির ডিরেক্টর! চাঞ্চল্যকর তথ্য ইডির হাতে

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ। 

LinkedIn
Share