Author: Krishnendu Bakshi

  • Amit shah: “উন্নত দেশ গড়তে হলে প্রয়োজন আঁটোসাঁটো নিরাপত্তার ব্যবস্থা”, বললেন শাহ

    Amit shah: “উন্নত দেশ গড়তে হলে প্রয়োজন আঁটোসাঁটো নিরাপত্তার ব্যবস্থা”, বললেন শাহ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “একটি দেশকে উন্নতির শিখরে নিয়ে যেতে হলে প্রয়োজন শক্তপোক্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা।” শনিবার কথাগুলি বললেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit shah)। এদিন দেরাদুনে ৪৯তম অল ইন্ডিয়া পুলিশ সায়েন্স কংগ্রেসের (AIPSC) যোগ দিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। সেখানেই আঁটোসাঁটো নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে মন্তব্য করেন তিনি।

    প্রসঙ্গ জম্মু-কাশ্মীর

    শাহ বলেন, “জম্মু-কাশ্মীরের তিনটি হটস্পটে নরেন্দ্র মোদির সরকার আইনশৃঙ্খলার উন্নতি ঘটানোর ক্ষেত্রে ব্যাপক সাফল্য পেয়েছে। উত্তর-পূর্বে বামপন্থী অধ্যুষিত এলাকায়ও আইন-শৃঙ্খলার উন্নতি হয়েছে।” তিনি বলেন, “স্বাধীনতার ১০০ বছর পূর্তিতে দেশকে সব ক্ষেত্রে সাফল্যের শীর্ষে পৌঁছে দেওয়ার পরিকল্পনা করছে মোদি সরকার।” কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “এজন্য কঠোর পরিশ্রম প্রয়োজন। কিন্তু প্রথমে যেটা প্রয়োজন, সেটা হল আইন-শৃঙ্খলা বজায় রাখা। অভ্যন্তরীণ ও সীমান্তে নিরাপত্তা বজায় রাখাও প্রয়োজন। এজন্য স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক বিভিন্ন ক্ষেত্রে পরিবর্তন এনেছে। এবং এখন যখন অমৃতকাল চলছে, তখন ওই পরিবর্তনগুলি প্রয়োগ করা প্রয়োজন। সেই কারণে পুলিশ সায়েন্স কংগ্রেস খুব গুরুত্বপূর্ণ।”

    উন্নয়নের জোয়ার

    শাহ (Amit shah) বলেন, “আমি আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে বলতে পারি, ৩৭০ ধারা অবলুপ্তির পর এই দেশের প্রতিটি ব্যক্তি জম্মু-কাশ্মীরের পরিস্থিতি দেখে স্বস্তির শ্বাস ফেলতে পারেন। তাঁরা এই ভেবে আশ্বস্ত হচ্ছেন যে জম্মু-কাশ্মীর চিরকালের জন্যই ভারতের। একই রকমভাবে বামপন্থী সন্ত্রাসবাদী অধ্যুষিত এলাকায় গ্রামে গ্রামে পৌঁছে যাচ্ছে উন্নয়নের জোয়ার। স্বাস্থ্য, শিক্ষা এবং পরিকাঠামোর উন্নয়ন হচ্ছে সব রাস্তায়, এলাকায়। উত্তর-পূর্বে শান্তি স্থাপনেও নরেন্দ্র মোদি সরকার সফল।

    আরও পড়ুুন: পুর-নিয়োগ দুর্নীতিতে ফিরহাদ-মদনের বাড়িতে সিবিআই হানা

    শাহ বলেন, “২০০৪ থেকে ২০১৪ এই ১০ বছরে ১১ হাজার ৯৪৭ জন নিরাপত্তা বাহিনী ও সাধারণ মানুষের মৃত্যু হয়েছে। আর তার পরের ৯ বছরে মৃত্যু হয়েছে ৩ হাজার ২৪০ জনের। আমি আপনাদের আশ্বস্ত করতে পারি, আগামী পাঁচ বছরে এই সংখ্যাটা আরও কমবে।” কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী (Amit shah) বলেন, “আইপিসি, সিআরপিসি অথবা ১৮৬০ সালের এভিডেন্স অ্যাক্টে কোনও পরিবর্তন হয়নি। যে কোনও আইন পঞ্চাশ বছর পর অচল হয়ে যায়। অপরাধের ধরন বদলেছে, অথচ তাদের সঙ্গে পাল্লা দেওয়ার মতো আইন তৈরি হয়নি।”

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Israel Palestine Conflict: চলছে হামাসের হামলা, ইসরায়েল-প্যালেস্টাইন সংঘর্ষে হত তিন শতাধিক

    Israel Palestine Conflict: চলছে হামাসের হামলা, ইসরায়েল-প্যালেস্টাইন সংঘর্ষে হত তিন শতাধিক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রবিবার আরও তীব্র হল ইসরায়েলি সেনার সঙ্গে প্যালেস্টাইন গ্রুপ হামাসের সংঘর্ষ (Israel Palestine)। এদিনের সংঘর্ষে দু’ পক্ষে মৃত্যু হয়েছে কয়েকশো মানুষের। ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু জানিয়েছেন, তাঁরা কঠিন এবং দীর্ঘ মেয়াদি লড়াইয়ের মধ্যে রয়েছেন।

    মর্টার হানা

    ইসরায়েল ও প্যালেস্টাইনের এই সংঘাতে ঢুকে পড়ল হেজবোল্লা। লেবাননের বিতর্কিত শীবা ফার্মস এলাকায় ইজরায়েলি বাহিনীর উদ্দেশে মর্টার ছোড়ে তারা। পাল্টা জবাব দেয় ইসরায়েল। তার জেরেই মৃত্যু হয়েছে প্রায় সাড়ে ৩শো জনের। কেবল গাজায়ই নিহত হয়েছেন ২৫৬ জন। ঘনঘন আছড়ে পড়ছে ইজরায়েলি রকেট। ভেঙে পড়ছে বাড়িঘর। দু পক্ষেই পণবন্দি করা হয়েছে বহু মানুষকে। ইসরায়েলি সেনার মুখপাত্র জানান, প্যালেস্তানীয় যোদ্ধাদের বন্দি করেছেন তাঁরা। আবার হামাসের দাবি, ইসরায়েলি সেনাদের পণবন্দি করেছে তারা। তবে কোন পক্ষ কতজনকে বন্দি করেছে, তা জানা যায়নি।

    ইসরায়েলের পাশে ভারত, ব্রিটেন, আমেরিকা

    হামাস এবং ইসরায়েলের এই সংঘাতে (Israel Palestine) ইসরায়েলের পাশে দাঁড়িয়েছে ব্রিটেন। সে দেশের প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনক এক্স হ্যান্ডেলে লেখেন, “এই নৃশংতার বর্বরতার বিরুদ্ধে আমরা। ইজরায়েলের পাশে আছি। হামাসের এই হামলা কাপুরুষোচিত এবং অবমাননাকর। আমরা ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর প্রতি আমাদের পূর্ণ সংহতি প্রকাশ করেছি। আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আন্তর্জাতিক অংশীদারদের সঙ্গে হাতে হাত মিলিয়ে কাজ করব। পূর্ণ সমর্থন রয়েছে।” ইসরায়েলের পাশে দাঁড়িয়েছে আমেরিকাও।

    আরও পড়ুুন: খালিস্তানপন্থীদের হুমকির মুখেও জাতীয় পতাকা তুলে ধরলেন ভারতীয় ছাত্র!

    অবিলম্বে যুদ্ধ বন্ধের আহ্বান জানিয়েছেন মার্কিন প্রসিডেন্ট জো বাইডেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় তিনি বলেন, “বিশ্ব এখন এক বিভীষিকাময় চিত্র দেখছে। ইসরায়েলের একাধিক শহরে বৃষ্টির মতো রকেট হামলা হয়ে চলেছে। হামাস জঙ্গিগোষ্ঠী শুধু ইসরায়েলি সেনাদেরই নয়, রাস্তায় হেঁটে চলা সাধারণ মানুষকেও হত্যা করে চলেছে। এর কোনও যুক্তি নেই। ইসরায়েল সব অধিকার দিয়েই এই লড়াইকে শেষ করুক। সব বন্ধ হওয়া প্রয়োজন (Israel Palestine)। 

    প্রসঙ্গত, শনিবার সাত সকালে আচমকাই ইসরায়েলের রাজধানী জেরুজালেম ও আশপাশে শুরু হয়ে যায় রকেট হামলা। অভিযোগ, হানাদারির নেপথ্যে রয়েছে প্যালেস্তাইনের মদতপুষ্ট হামাস বাহিনী। ইসরায়েলি প্রশাসনের অভিযোগ, তাদের ভূখণ্ড লক্ষ্য করে পাঁচ হাজারেরও বেশি রকেট বর্ষণ করেছে হামাস গোষ্ঠী। হামলার নিন্দা করে ইসরায়েলের পাশে থাকার বার্তা দিয়েছে ভারতও।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • World Cup 2023: ৪৯ বলে ১০২! বিশ্বকাপে নয়া রেকর্ড দক্ষিণ আফ্রিকার

    World Cup 2023: ৪৯ বলে ১০২! বিশ্বকাপে নয়া রেকর্ড দক্ষিণ আফ্রিকার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিশ্বকাপে (World Cup 2023) নয়া রেকর্ড হল শ্রীলঙ্কা-দক্ষিণ আফ্রিকার ম্যাচে। ২০১১ সালে ১২ বছর আগে ভারতের মাটিতে দ্রুততম শতরান করে রেকর্ড গড়েছিলেন আয়ারল্যান্ডের কেভিন ও’ব্রায়েন। শনিবার সেই রেকর্ড ভেঙে শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে দ্রুততম শতরান করলেন দক্ষিণ আফ্রিকার আইডেন মার্করাম।

    রেকর্ড দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটারের

    মাত্র ৪৯ বলে ১০২ রান করেন দক্ষিণ আফ্রিকার এই ব্যাটার। মিডল অর্ডারে খেলতে নেমে দাপিয়ে খেলেছেন মার্করাম। যার জেরে দক্ষিণ আফ্রিকার রান পেরিয়ে গেল ৪০০র চৌকাঠ। মোট তিনটি ছক্কা মারেন তিনি। শতরান করেন ছক্কা মেরেই। সব মিলিয়ে এদিন ১৪টি চার ও তিনটি ছক্কা হাঁকান মার্করাম। ৫৪ বলে ১০৬ রান করে আউট হন তিনি। ২০১১ সালের বিশ্বকাপে (World Cup 2023) ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে ৫০ বলে শতরান করেছিলেন কেভিন। তাঁর ব্যাটের দাপটে সেবার ইংল্যান্ডকে হারিয়েছিল আয়ারল্যান্ড। সেই রেকর্ডই ভাঙলেন মার্করাম।

    রানের পাহাড়

    বিশ্বকাপে যতবার দক্ষিণ আফ্রিকার মুখোমুখি হয়েছে শ্রীলঙ্কা, ততবারই সব চেয়ে বেশি রান হয়েছে। ২০১৫ সালে এই দক্ষিণ আফ্রিকাই দুবার ৪০০ বা তার বেশি রান করেছে। এই ইনিংসে ছিল তিনটে সেঞ্চুরি। যাদের মধ্যে একজন মার্করাম। সেঞ্চুরির পাশাপাশি রেকর্ডও করলেন তিনি। মার্করামের স্ট্রাইক রেট ১৯৬.৩০। কুইন্টন ডি কক ৮৩ বলে সেঞ্চুরি করেন। ১১০ বলে ১০৮ রান করেন ভান ডার ডুসেন।

    আরও পড়ুুন: খালিস্তানপন্থীদের হুমকির মুখেও জাতীয় পতাকা তুলে ধরলেন ভারতীয় ছাত্র!

    বিশ্বকাপে (World Cup 2023) দ্রুততম শতরানের তালিকায় প্রথম দশে ভারতের একমাত্র ক্রিকেটার কপিল দেব। ১৯৮৩ সালের বিশ্বকাপে জিম্বাবোয়ের বিরুদ্ধে ৭২ বলে শতরান করেছিলেন কপিল। সেই ম্যাচে অপরাজিত ১৭৫ রানের ইনিংস খেলেছিলেন ভারতের অধিনায়ক। এই ম্যাচে দুটো রেকর্ড ভেঙেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। রেকর্ড হয়েছে দিল্লির অরুণ জেটলি স্টেডিয়ামে। এই দুটো রেকর্ডেরই একটা হল মার্করামের দ্রুততম সেঞ্চুরি (World Cup 2023)।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
     

     

  • Khalistan Protest: খালিস্তানপন্থীদের হুমকির মুখেও জাতীয় পতাকা তুলে ধরলেন ভারতীয় ছাত্র!  

    Khalistan Protest: খালিস্তানপন্থীদের হুমকির মুখেও জাতীয় পতাকা তুলে ধরলেন ভারতীয় ছাত্র!  

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: খালিস্তানপন্থীদের হুমকির (Khalistan Protest) মুখেও প্রতিরোধ গড়ে তুললেন এক ভারতীয় ছাত্র। ‘লন্ডন স্কুল অফ ইকনমিক্সে’র এই পড়ুয়ার নাম সত্যম সুরানা। ব্রিটেনের রাজধানী শহর লন্ডনে বিক্ষোভ দেখাচ্ছিল খালিস্তানপন্থীরা। সেই বিক্ষোভের মাঝে গিয়েই ভারতের জাতীয় পতাকা তুলে ধরলেন সত্যম। ভারতের নামে জয়ধ্বনিও দিলেন। সমাজমাধ্যমে এই ভিডিও ভাইরাল হতেই ধন্য ধন্য করছেন নেটিজেনরা।

    খালিস্তানপন্থীদের বিক্ষোভ

    কানাডার কলম্বিয়া প্রদেশে প্রকাশ্যে খুন হন খালিস্তানপন্থী জঙ্গি হরদীপ সিং নিজ্জর। ওই ঘটনায় ভারতের দিকে অভিযোগের আঙুল তোলেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো। তার জেরে লন্ডনের ইন্ডিয়া হাউসের সামনে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ দেখায় খালিস্তানপন্থীরা। দাবি তোলে স্বাধীন ও সার্বভৌম খালিস্তানের। বিক্ষোভ প্রদর্শনের সময় ভারতের জাতীয় পতাকা মাটিতে ফেলে দেয় খালিস্তানপন্থীরা।

    উঁচিয়ে ধরেন তিরঙ্গা

    সেই সময় ভিড় ঠেলে এগিয়ে যান সত্যম। মাটি থেকে তুলে নেন জাতীয় পতাকা। উঁচিয়ে ধরেন তিরঙ্গা। এক্স হ্যান্ডেলে সেই ভিডিও পোস্ট করেন (Khalistan Protest) লন্ডনের স্কুল অফ ইকনমিক্সে সত্যমের সিনিয়র করণ কটেরিয়া লিখেছেন, “লন্ডন স্কুল অফ ইকনমিক্সে আমার জুনিয়র সত্যম লন্ডনের ভারতীয় হাই কমিশনের সামনে গর্বিতভাবে ভারতের তেরঙ্গা পতাকা তুলে ধরেছে। অহিংসার পথেই চরমপন্থী শক্তির মোকাবিলা করেছে।”

    আরও পড়ুুন: পুর-নিয়োগ দুর্নীতিতে ফিরহাদ-মদনের বাড়িতে সিবিআই হানা

    সুরানা বলেন, “ভারতীয়দের ওপর অত্যাচার হচ্ছে দেখে খুব খারাপ লাগল। ভারত এখন সুপার পাওয়ার হওয়ার পথে। বিশ্বের অন্যতম বৃহত্তম অর্থনীতি। এই যে প্রতিবাদ করা হচ্ছে, তা আসলে ভারতকে উন্নয়ন থেকে দূরে সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা।” তিনি বলেন, “আমি আমার দেশের মর্যাদা রক্ষা করেছি। কিন্তু এমন অনেক দৃষ্টান্ত রয়েছে যেখানে ভারতীয়রা বাইরে যায় এবং ভারত-বিরোধী হয়ে যায়। তারা ভারত সম্পর্কে বাজে কথা বলে। না জেনেই এসব বলে। তারা এটা করে কারণ তারা দেখাতে চায় যারা ভারতকে ঘৃণা করে, তাদের মধ্যে তারাও একজন।” এই জাতীয় (Khalistan Protest) লোকজনের ওপর নজর রাখতে ভারতীয়দের অনুরোধ করেছেন ‘লন্ডন স্কুল অফ ইকনমিক্সে’র ওই পড়ুয়া। তিনি বলেন, “এই জাতীয় লোকজনের ওপর আমাদের নজর রাখতে হবে। তাদের উত্তর দিতে হবে বুদ্ধিদীপ্তভাবে, শারীরিকভাবে নয়।”

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Nobel Prize 2023: ইরানি মেয়েদের স্বাধীনতার দাবিতে লড়তে গিয়ে ক্ষতবিক্ষত নার্গিস, ‘শান্তি’র প্রলেপ নোবেল পুরস্কারে  

    Nobel Prize 2023: ইরানি মেয়েদের স্বাধীনতার দাবিতে লড়তে গিয়ে ক্ষতবিক্ষত নার্গিস, ‘শান্তি’র প্রলেপ নোবেল পুরস্কারে  

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “ব্যক্তিগত বহু ক্ষতি স্বীকার করে নার্গিস তাঁর লড়াই চালিয়ে গিয়েছেন। নারীর বিরুদ্ধে অত্যাচারের বিরুদ্ধে, সাধারণ মানুষের স্বাধীনতা ও অধিকারের পক্ষে লড়াই চালিয়ে গিয়েছেন।” নোবেল (Nobel Prize 2023) কমিটির তরফে এই কথাগুলি যাঁর সম্পর্কে বলা হয়েছে, তিনিই এবার পেলেন নোবেল শান্তি পুরস্কার। শুক্রবার যখন তাঁর নাম ঘোষণা করা হল, তখনও তিনি বন্দি রয়েছেন ইরানের গারদে। এই মহীয়সী নারীর পুরো নাম নার্গিস মোহম্মাদিই।

    নার্গিস মোহম্মাদিই

    ১৯৭২ উত্তর-পশ্চিম ইরানের জানজানে জন্ম নার্গিসের। ফিজিক্স নিয়ে পড়াশোনা শেষ করার পর পড়েন ইঞ্জিনিয়ারিং। যোগ দিয়েছিলেন চাকরিতে। পরে চলে আসেন সাংবাদিকতায়। হয়ে যান সেন্টার ফর ইউম্যান রাইটস ডিফেন্ডারের সদস্য। এই সময় তিনি ইরানের মহিলাদের পড়াশোনা, পোশাক মায় সার্বিক স্বাধীনতার প্রশ্নে সোচ্চার হন। ইরানের পর্দানসীন সমাজ তাঁর এই ‘বিপ্লব’ ভাল চোখে দেখেনি। যার পরিণতিতে আজও ভোগ করতে হচ্ছে নিদারুণ অত্যাচার।

    ইরান সরকারের অত্যাচার 

    ইরানি মহিলাদের সার্বিক স্বাধীনতার দাবিতে সরব হওয়ায় নার্গিসকে ১৩ বার গ্রেফতার করেছে ইরান সরকার (Nobel Prize 2023)। এর মধ্যে পাঁচবার দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন। জীবনের মূল্যবান ৩১টা বছর কেটেছে কারান্তরালে। এখনও মেলেনি কাঙ্খিত মুক্তি। ১৫৪ বার চাবুক মারা হয়েছে তাঁকে। তা সত্ত্বেও ইরানি-নারী মুক্তির যে স্বপ্ন দেখেছিলেন নার্গিস, সেখান থেকে এক চুলও সরে আসেননি। যার জেরে নোবেল পুরস্কারে সম্মানিত করা হল তাঁকে। এদিন নোবেল কমিটির তরফে নার্গিসের নাম ঘোষণা করে বলা হয়, “ব্যক্তিগত বহু ক্ষতি স্বীকার করে নার্গিস তাঁর লড়াই চালিয়ে গিয়েছেন। নারীর বিরুদ্ধে অত্যাচারের বিরুদ্ধে সাধারণ মানুষের স্বাধীনতা ও অধিকারের পক্ষে লড়াই চালিয়ে গিয়েছেন।”

    নোবেল পুরস্কার পাওয়ার খবরে নার্গিসের কী প্রতিক্রিয়া জেলবন্দি থাকায় তা জানা যায়নি। তবে তাঁর ভাই হামিদ্রেজা মোহাম্মদি বলেন, “আমার মনে হয়, এর ফলে ইরানের অবস্থা কিছুটা হলেও, ভাল হবে। ওখানকার অবস্থা ভয়ঙ্কর। যাঁরা প্রতিবাদী, আন্দোলনকারী, তাঁরা খুনও হয়ে যেতে পারেন ওখানে। নার্গিসের এই খবরে (Nobel Prize 2023) আমি খুশি।

    আরও পড়ুুন: রোগীর রক্তচাপ মাপছেন সিভিক ভলান্টিয়ার! রাজ্যের স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে কটাক্ষ সুকান্তর

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Justice Abhijit Gangopadhyay: “প্রয়োজনে সিবিআইকে তদন্তভার দিতে পারি”, আইন কলেজকাণ্ডে মন্তব্য বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের

    Justice Abhijit Gangopadhyay: “প্রয়োজনে সিবিআইকে তদন্তভার দিতে পারি”, আইন কলেজকাণ্ডে মন্তব্য বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “এটা একটা বৃহত্তর ষড়যন্ত্র। তদন্ত করে দেখতে হবে। প্রয়োজনে সিবিআইকে তদন্তভার দিতে পারি।” যোগেশচন্দ্র চৌধুরী ল কলেজের অধ্যক্ষ ও অধ্যাপকের বেআইনি নিয়োগ মামলায় এমনই মন্তব্য করলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Justice Abhijit Gangopadhyay)। বৃহস্পতির পর ফের শুনানি হয় শুক্রবারে। তখনই সিবিআই তদন্তের ইঙ্গিত দেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়।

    অপসারণের নির্দেশ বিচারপতির

    ইউজিসি নির্ধারিত যোগ্যতা না থাকায় বৃহস্পতিবার ওই ল কলেজের অধ্যক্ষ সুনন্দা ভট্টাচার্য গোয়েনকা এবং অধ্যাপক অচিনা কুন্ডুকে অপসারণের নির্দেশ দেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। আদালতের পর্যবেক্ষণ, ইউজিসি নির্ধারিত যোগ্যতা তাঁদের নেই। তিনি বলেন, ওই দুই ব্যক্তি যদি তাঁদের যোগ্যতা সম্পর্কে আদালতকে সন্তুষ্ট করতে পারেন, তাহলে পুনর্বহাল করা হবে।

    গুরুতর অভিযোগ শিক্ষা দফতরেরও

    সুনন্দা ও অচিনার বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ এনেছে রাজ্যের শিক্ষা দফতরও। একুশ, বাইশ এবং তেইশ সালে তাঁদের বেতন বন্ধ ও বিভাগীয় তদন্তের জন্য কলেজের গভর্নিং বডিকে সুপারিশ করেছিল শিক্ষা দফতর। গভর্নিং বডি সেই সুপারিশ কার্যকর করেনি। আদালত (Justice Abhijit Gangopadhyay) নিযুক্ত স্পেশাল অফিসারের দাবি, গভর্নিং বডির সভাপতির উদ্দেশে সুপারিশপত্র পাঠানো হলেও, তা পৌঁছত সচিবের হাতে। সুনন্দা ছিলেন গভর্নিং বডির বর্তমান সচিব।

    আরও পড়ুুন: রোগীর রক্তচাপ মাপছেন সিভিক ভলান্টিয়ার! রাজ্যের স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে কটাক্ষ সুকান্তর

    এদিনের শুনানিতে অচিনার অপসারণের নির্দেশ বহাল রাখেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। আদালতের পর্যবেক্ষণ, কলেজে শিক্ষকতার জন্য ইউজিসির নির্ধারিত যোগ্যতা তাঁর নেই। তাই তাঁর অপসারণের নির্দেশ বহাল থাকবে। রাজ্যের ও পুলিশের রিপোর্ট দেখার পর বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, “এ তো তিনজনে (মানিক ভট্টাচার্য, সুনন্দা এবং অচিনা) মিলে যা খুশি করেছেন। অন্দরমহলে রাজা ধন ছড়াচ্ছেন আর কুড়োচ্ছে কে? রানি। তিনজন কলেজ চালাতেন। তিনজন মিলেই সব সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।”

    ওই অধ্যক্ষ কীভাবে বেতন পেতেন, তা জানতে কলেজ সার্ভিস কমিশনকে রিপোর্ট দেওয়ার নির্দেশও দিয়েছে আদালত।  এদিকে, হাইকোর্টের নির্দেশে স্পেশাল অফিসার অর্ক কুমার নাগ বৃহস্পতিবার রাতে এসে পুলিশ নিয়ে কোর্ট অর্ডারে অধ্যক্ষের ঘরে তালা ঝুলিয়ে সিল করে দিয়ে চলে যান। তাঁর রুমের দরজায় সাঁটিয়ে দেওয়া হয় অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের (Justice Abhijit Gangopadhyay) অর্ডারের কপি। বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হয়েছেন ওই ল কলেজের সদ্য অপসারিত অধ্যক্ষ সুনন্দা ভট্টাচার্য গোয়েনকা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Sukanta Majumdar: রোগীর রক্তচাপ মাপছেন সিভিক ভলান্টিয়ার! রাজ্যের স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে কটাক্ষ সুকান্তর

    Sukanta Majumdar: রোগীর রক্তচাপ মাপছেন সিভিক ভলান্টিয়ার! রাজ্যের স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে কটাক্ষ সুকান্তর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তিনি পেশায় সিভিক ভলান্টিয়ার। যান শাসনের কাজে লাগানো হয় এই সিভিক ভলান্টিয়ারদের। ইদানিং লাগানো হচ্ছে হাসপাতালের প্রহরায়ও। এহেন এক সিভিক ভলান্টিয়ারকে দেখা গেল রোগীর রক্তচাপ মাপতে! এ ছবি কোনও বেসরকারি হাসপাতালের নয়, সরকারি এক হাসপাতালের।

    ‘এগিয়ে বাংলার নিদর্শন’!

    এক্স হ্যান্ডেলে দক্ষিণ দিনাজপুরের কুশমণ্ডি গ্রামীণ হাসপাতালে রোগী পরিষেবার এই ভিডিও পোস্ট করে এমনই দাবি করেছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। রাজ্যের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন তিনি। সুকান্ত বলেন, “তৃণমূলের এগিয়ে বাংলার বিস্ময়কর নিদর্শন। এই ছবিই বলে দিচ্ছে কেমন বিশ্বমানের স্বাস্থ্য পরিষেবা দেয় তৃণমূল সরকার।” ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। 

    ‘রাজ্যবাসীর জীবন নিয়ে খেলছেন মুখ্যমন্ত্রী’

    বিজেপির রাজ্য সভাপতি বলেন, “রাজ্যের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা সম্পূর্ণ ভেঙে পড়েছে। চিকিৎসা ব্যবস্থা বলে কিছু নেই। সেই কারণে সিভিক ভলান্টিয়ারদের দিয়ে রক্তচাপ মাপানো হচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রী রাজ্যের মানুষদের জীবন নিয়ে খেলছেন। স্বাস্থ্যসাথী কার্ড করেও গরিব মানুষ বঞ্চিত হয়েছেন। সঠিক পরিষেবা পাচ্ছেন না। বেসরকারি হাসপাতালে গিয়ে ভর্তি হতে পারছেন না। এভাবে স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে ভেঙে ফেলার চেষ্টা করা হচ্ছে (Sukanta Majumdar)।

    হাসপাতালের সিএমওএইচ বলেন, “হাসপাতালে রোগীর চাপ সামলাতে অনেক ক্ষেত্রেই সিভিক ভলান্টিয়ারদের কাজে লাগানো হচ্ছে। প্রশাসনের নির্দেশেই সিভিক ভলান্টিয়ারদের কাজে লাগানো হচ্ছে। এ ক্ষেত্রে ডাক্তারদের সাহায্য করতে প্রেসার মাপার যন্ত্র এগিয়ে দিয়েছেন ওই সিভিক ভলান্টিয়াররা।”

    আরও পড়ুুন: কামদুনি গণধর্ষণ মামলায় ফাঁসির সাজা রদ হাইকোর্টে, ‘‘রাজ্যের গাফিলতি’’, দাবি পরিবারের

    কুশমণ্ডি ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক অমিত দাস বলেন, “অতি উৎসাহবশত ওই দুই সিভিক ভলান্টিয়ার এ কাজ করেছে। কাজটি মোটেই সমর্থনযোগ্য নয়। এটা তাদের কাজও নয়।” দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা স্বাস্থ্য আধিকারিক সুদীপ দাস বলেন, “আমি খোঁজ নিয়ে জেনেছি ওই সিভিক ভলান্টিয়াররা সাহায্য করেছেন। তাঁরা চিকিৎসা করেননি। চিকিৎসকের কাজে শুধু সাহায্য করেছেন। এই ঘটনা (Sukanta Majumdar) মানবিক।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

     
     
  • PM Modi: “রাজস্থানে ২৪ ঘণ্টা কুরসির খেলা চলতে থাকে”, কংগ্রেস সরকারকে নিশানা প্রধানমন্ত্রীর  

    PM Modi: “রাজস্থানে ২৪ ঘণ্টা কুরসির খেলা চলতে থাকে”, কংগ্রেস সরকারকে নিশানা প্রধানমন্ত্রীর  

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “গত পাঁচ বছরে কংগ্রেস সরকার এক কদমও এগোয়নি। এখানে চব্বিশ ঘণ্টা কুরসির খেলা চলতে থাকে।” ভোটমুখী রাজস্থানে গিয়ে সে রাজ্যের কংগ্রেস সরকারকে এই ভাষায়ই নিশানা করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। বৃহস্পতিবার রাজস্থানের যোধপুরে সরকারি এক অনুষ্ঠানে যোগ দেন প্রধানমন্ত্রী। সেখানেই হাতিয়ার করেন সে রাজ্যের কংগ্রেসের দুর্নীতিকে।

    লাল ডায়েরির প্রসঙ্গ

    তিনি বলেন, “লাল ডায়েরির কথা শুনেছেন? লোকে বলে যে ওই ডায়েরিতে কংগ্রেসের দুর্নীতির সব কথা লেখা রয়েছে। আমাকে বলুন, ডায়েরির গোপনীয়তা কি প্রকাশ্যে আসা উচিত নয়? …অসাধুদের কি শাস্তি দেওয়া উচিত নয়? …কংগ্রেস সরকার কি ডায়েরির গোপনীয়তা প্রকাশ্যে আসতে দেবে? সত্য প্রকাশ্যে আনতে গেলে আপনাদের বিজেপি সরকার গঠন করতে হবে।” প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) বলেন, “কেন্দ্রের বিজেপি সরকার রাজস্থানের উন্নয়নের জন্য তাদের পক্ষ থেকে সর্বাত্মক চেষ্টা করছে। কিন্তু এখানকার অবস্থা বেদনাদায়ক…দুর্নীতি ও হিংসার ক্ষেত্রে কংগ্রেস রাজস্থানকে দেশের শীর্ষে নিয়ে এসেছে। নারী ও দলিতদের প্রতি অত্যাচারের ক্ষেত্রে রাজস্থানকে এক নম্বরে পরিণত করেছে। কংগ্রেস মাদক ব্যবসাকে ছাড় দিয়েছে।”

    ‘স্বাস্থ্যই রয়েছে অগ্রাধিকারের তালিকায়’

    তিনি বলেন, “বিজেপি সরকারের কাছে আপনার স্বাস্থ্যই রয়েছে অগ্রাধিকারের তালিকায়। একদিকে আমরা আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্পের অধীনে দরিদ্র পরিবারগুলিকে বিনামূল্যে চিকিৎসার সুবিধা দিচ্ছি এবং অন্য দিকে আমরা রেকর্ড সংখ্যায় আধুনিক হাসপাতাল তৈরি করছি।” প্রধানমন্ত্রী বলেন, “জনগণের প্রতি কংগ্রেসের কোনও আগ্রহ নেই। তারা কেবল ভালবাসে ভোটব্যাঙ্ক।” তিনি বলেন, “রাজস্থানকে উন্নয়নশীল দেশের ইঞ্জিন করতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ বিজেপি। পর্যটনে রাজস্থানকে ১ নম্বর রাজ্য করার অঙ্গীকার করছে বিজেপি। বিজেপি যদি রাজস্থানে সরকার গড়ে, তাহলে পর্যটনে রাজ্যটি হবে এক নম্বর।”

    এদিনের অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী প্রায় পাঁচ হাজার কোটি টাকার প্রকল্পের শিলান্যাস করেন। সরকারি এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন না মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট। এ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) বলেন, “মোদির ওপর ওঁর অনেক ভরসা রয়েছে। সেজন্য ওঁর মনে হয়েছে, মোদি আসছেন, সব হয়ে যাবে। আমিও ওঁকে বলছি, আপনি বিশ্রাম করুন। এবার আমরা সামলে নেব।”

    আরও পড়ুুন: সাত লক্ষে টাইপিস্ট, ৪ লাখে ড্রাইভার! জানেন পুরসভায় চাকরি বিক্রির রেট?

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

     

  • Justice Abhijit Gangopadhyay: যোগ্যতা নেই! ল কলেজের অধ্যক্ষ সহ ২ জনকে অপসারণের নির্দেশ হাইকোর্টের

    Justice Abhijit Gangopadhyay: যোগ্যতা নেই! ল কলেজের অধ্যক্ষ সহ ২ জনকে অপসারণের নির্দেশ হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইউজিসি নির্ধারিত যোগ্যতামান তাঁদের নেই বলে অভিযোগ। অথচ দিব্যি পড়াচ্ছিলেন কলেজে। তাও আবার সাধারণ কোনও কলেজে নন, সুনন্দা ভট্টাচার্য গোয়েনকা এবং অচিনা কুন্ডু নামের ওই দুই শিক্ষক পড়াচ্ছিলেন যোগেশচন্দ্র চৌধুরী আইন কলেজে। সুনন্দা ছিলেন কলেজের অধ্যক্ষ। আর অধ্যাপক পদে ছিলেন অচিনা। বৃহস্পতিবার এই দুই শিক্ষককে পদ থেকে সরানোর নির্দেশ দিলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Justice Abhijit Gangopadhyay)। আদালতের নির্দেশ, শুক্রবার থেকেই আর কলেজে ঢুকতে পারবেন না এঁরা। এদিন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশ, যোগেশচন্দ্র ল কলেজের অধ্যক্ষের ঘরে তালা ঝোলাতে হবে। কোনওভাবে যাতে সমস্যা তৈরি না হয়, তা নিশ্চিত করতে হবে চারু মার্কেট থানাকে। 

    অধ্যক্ষ ছিলেন তৃণমূলের মানিকও

    নিয়োগ কেলেঙ্কারিতে ধৃত তৃণমূল নেতা মানিক ভট্টাচার্য ওই কলেজের অধ্যক্ষ ছিলেন। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল, কোনও ব্যক্তির ল কলেজের অধ্যক্ষ হওয়ার জন্য তাঁর কমপক্ষে পনের বছরের অধ্যাপনার অভিজ্ঞতা থাকা প্রয়োজন। মানিকের তা ছিল না বলেই অভিযোগ। তার পরেও তিনি কীভাবে চাকরি করেছেন, সে প্রশ্ন তোলেন মামলাকারীরা। প্রসঙ্গত, নিয়োগ কেলেঙ্কারি মামলায় তদন্ত করছে সিবিআই এবং ইডি। প্রাথমিক নিয়োগ কেলেঙ্কারি মামলায় তদন্তে (Justice Abhijit Gangopadhyay) নেমে গ্রেফতার করা হয় মানিককে। গ্রেফতার করা হয়েছিল তাঁর স্ত্রী এবং পুত্রকেও। মানিকের স্ত্রী জামিন পেলেও, গারদে রয়েছেন মানিক ও তাঁর ছেলে।

    মামলাকারীর অভিযোগ

    মানিক যখন ওই আইন কলেজের অধ্যক্ষ ছিলেন, তখন উপযুক্ত যোগ্যতা না থাকা সত্ত্বেও বেশ কয়েকজনকে তিনি অধ্যাপক পদে নিয়োগ করেছিলেন বলে অভিযোগ। মামলাকারীর অভিযোগ, ওই অধ্যাপকরা নিজেদের স্বার্থে কলেজে বেশ কয়েকজন দুষ্কৃতীকে প্রশয় দিয়েছেন। তারা কলেজকে অসামাজিক কাজের আখড়ায় পরিণত করেছে। মামলাকারীর দাবি, পুলিশ ও কলেজ কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ জানিয়েও কাজ হয়নি।

    আরও পড়ুুন: মঙ্গলবারের মধ্যেই ইডির কাছে নথি দিতে হবে, অভিষেককে নির্দেশ হাইকোর্টের

    এরই প্রেক্ষিতে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের (Justice Abhijit Gangopadhyay) নির্দেশ, অভিযোগ খতিয়ে দেখে উপযুক্ত ব্যবস্থা নিতে হবে পুলিশকে। ৯ অক্টোবরের মধ্যে ওই দুষ্কৃতীদের আদালতে হাজির করবে পুলিশ। বিষয়টিতে নজর রাখবেন কলকাতা পুলিশ কমিশনারও। এদিন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় জানান, সুনন্দা ও অচিনা যদি তাঁদের যোগ্যতা সম্পর্কে আদালতকে সন্তুষ্ট করতে পারেন, তাহলে তাঁদের পুনর্বহাল করা হবে। শুক্রবার ফের হবে এই মামলার শুনানি।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Flash Flood: নেপালে ভূমিকম্পের জেরে নড়বড়ে হয়ে গিয়েছিল লোনকের পাড়, তাই কি বিপর্যয় সিকিমে?

    Flash Flood: নেপালে ভূমিকম্পের জেরে নড়বড়ে হয়ে গিয়েছিল লোনকের পাড়, তাই কি বিপর্যয় সিকিমে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তিস্তার হড়পা বানের (Flash Flood) জেরে দু’ভাগ হয়ে গিয়েছে জাতীয় সড়ক। তাই সারা দেশের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে সিকিমের। মেঘভাঙা বৃষ্টির কারণেই এমনটা হয়েছে বলে দাবি স্থানীয়দের একটা বড় অংশের। তবে সিংহভাগ বিজ্ঞানীর দাবি, সিকিমের এই বিপর্যয়ের নেপথ্যে রয়েছে নেপালের মঙ্গলবারের ভূমিকম্প।

    পাড় ভাঙল লোনকের

    বিষয়টি তবে খুলেই বলা যাক। বুধবার কাকভোরে ফেটে যায় উত্তর সিকিমের পাহাড়ি হ্রদ লোনকের পাড়। হুড়মুড়িয়ে নেমে আসে বিশাল জলরাশি। পড়ে তিস্তায়। একলপ্তে তিস্তার জলস্তর বেড়ে যায় ১৫-২০ ফুট। হড়পা বান চলে আসায় লন্ডভন্ড হয়ে যায় উত্তর সিকিমের বিস্তীর্ণ অংশ। কোথাও ভেঙে গিয়েছে সেতু, কোথাও জলের তোড়ে ভেসে গিয়েছে সড়ক। বাড়িঘরের পাশাপাশি ভেসে গিয়েছে মানুষ ও তাঁদের পোষ্যরা। বন্যায় মৃত্যু হয়েছে ১৪ জনের। নিখোঁজ শতাধিক।

    নেপালে ভূমিকম্প

    সিকিমের এই বিপর্যয়ের কারণ কেবল হড়পা বান (Flash Flood) নয়। বিজ্ঞানীদের একাংশের মতে, এর নেপথ্যে রয়েছে নেপালের ভূমিকম্প। গত মঙ্গলবার ভূমিকম্প হয় নেপালে। রিখটার স্কেলে কম্পনের মাত্রা ছিল ৬। এদিন ঘণ্টাখানেকের ব্যবধানে পরপর চারবার কেঁপে উঠেছিল নেপাল। সেই কম্পনের আঁচ পেয়েছিলেন উত্তরপ্রদেশ, দিল্লি, চণ্ডীগড়, জয়পুর এবং উত্তরাখণ্ডের কিছু অংশের বাসিন্দারা। বিজ্ঞানীদের মতে, এই ভূকম্পনের জেরে নড়বড়ে হয়ে গিয়েছিল লোনকের পাড়। এর পর মেঘভাঙা বৃষ্টির জল এসে পড়ায় জলের চাপ সহ্য করতে পারেনি দুর্বল বাঁধ। যার জেরে দেখা দেয় বিপর্যয়।

    আরও পড়ুুন: হড়পা বানে বিধ্বস্ত সিকিম, চারদিকে ধ্বংসলীলার ছবি, আটকে ৩ হাজার পর্যটক

    সম্প্রতি লোনকের একটি উপগ্রহচিত্র প্রকাশ করেছে হায়দরাবাদের ন্যাশনাল রিমোট সেন্সিং সেন্টার। তাতে দেখা গিয়েছে, ১৭ সেপ্টেম্বর হ্রদের যা বিস্তৃতি ছিল, তা কমে গিয়েছে। ১৬৮ হেক্টর এলাকা নিয়ে লোনক হ্রদ। তা কমে গিয়ে বর্তমানে হ্রদের আয়তন দাঁড়িয়েছে ৬০ হেক্টরে। যার অর্থ, জল ডাঙায় উঠে এসেছে। জলস্তরের সব সীমা পেরিয়ে গিয়েছে বলে জানিয়েছে সেন্ট্রাল ওয়াটার কমিশন।

    এর আগে একটি সমীক্ষায় জানা গিয়েছিল, লোনক হ্রদের আয়তন ক্রমেই বাড়ছিল। বিশ্ব উষ্ণায়নের জেরে হিমবাহ গলে সেই জল জমছিল হ্রদে। বুধবার যখন এই এলাকায় মেঘভাঙা বৃষ্টি হয়, তখন আর নিজেকে সামলাতে পারেনি লোনক। বিশাল জলরাশি হুড়মুড়িয়ে এসে পড়ে তিস্তায় (Flash Flood)।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
     

     

LinkedIn
Share