Author: Krishnendu Bakshi

  • Justice Abhijit Gangopadhyay: “মনে হয় সিবিআই-মানিক ভট্টাচার্যের মধ্যে যোগসাজশ আছে”, মন্তব্য বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের

    Justice Abhijit Gangopadhyay: “মনে হয় সিবিআই-মানিক ভট্টাচার্যের মধ্যে যোগসাজশ আছে”, মন্তব্য বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “আমার তো মনে হয় সিবিআই-মানিক ভট্টাচার্যের মধ্যে যোগসাজশ আছে।” সোমবার এই ভাষায়ই সিবিআইকে ভর্ৎসনা করলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Justice Abhijit Gangopadhyay)। প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি তথা তৃণমূল নেতা মানিক ভট্টাচার্য বন্দি রয়েছেন জেলে। জেলে গিয়েই তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে সিবিআইকে নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। মানিককে জিজ্ঞাসাবাদ না করায় সিবিআইকে ভর্ৎসনা করেন তিনি।

    সিবিআইকে ভর্ৎসনা

    সিবিআইকে তিনি বলেন, “ওএমআর শিট নষ্ট করা নিয়ে মানিক ভট্টাচার্যকে জেলে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন? সুপ্রিম কোর্ট কড়া পদক্ষেপ করতে বারণ করেছে, জিজ্ঞাসাবাদ করতে তো বারণ করেনি।” বিচারপতি বলেন, “আমার নির্দেশের পরেও সিবিআই মানিক ভট্টাচার্যকে জিজ্ঞাসাবাদ করেননি। দীর্ঘদিন ছেড়ে রেখে দিয়েছিলেন, আমার তো মনে হয় যোগসাজশ আছে। আমার তো মনে হয় সিবিআই-মানিক ভট্টাচার্যের মধ্যে যোগসাজশ রয়েছে।”

    মানিককে সিবিআই আধিকারিকরাই বুদ্ধি দিয়েছিলেন!

    তিনি (Justice Abhijit Gangopadhyay) বলেন, “আমার তো মনে হয় মানিককে সিবিআই আধিকারিকরাই বুদ্ধি দিয়েছিলেন। মনে হয়, সুপ্রিম কোর্ট থেকে রক্ষাকবচ আনার বুদ্ধি দিয়েছিলেন সিবিআই আধিকারিকরাই। সুপ্রিম কোর্ট থেকে রক্ষাকবচ নিয়ে আসুন, তাহলে গ্রেফতার করব না বলে বুদ্ধি দিয়েছিলেন সিবিআই আধিকারিকরাই।” কেন মানিকের বিষয়ে কোনও পদক্ষেপ করা হচ্ছে না, এদিন সেই প্রশ্নও করেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। তার পরেই তিনি (Justice Abhijit Gangopadhyay) বলেন, “লোকসভা নির্বাচন ঘোষণা হওয়ার পরে কি পদক্ষেপ করবেন? আপনারা মুখে বলছেন আদালতের নজরদারিতে তদন্ত চলছে। কিন্তু আদতে আদালতকেই কাঁচকলা দেখাচ্ছেন।”

    আরও পড়ুুন: “বিজেপির হয়ে খুব পোস্ট করছিস” বলেই নেতার মাথায় ধারালো অস্ত্রের কোপ

    সিবিআইয়ের তরফে আইনজীবী জানান, একাধিকবার জিজ্ঞাসাবাদ করা হলেও, মানিক সহযোগিতা করছেন না। বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, “সিবিআই মানিককে গ্রেফতার করতে পারবে না, এই নির্দেশ প্রত্যাহারের আবেদন করেছেন? মানিক ভট্টাচার্য যদি সহযোগিতা না করেন, তাহলে সুপ্রিম কোর্টে আগের রক্ষাকবচ প্রত্যাহারের জন্য আবেদন করছেন না কেন? ২০২২ সালে সুপ্রিম কোর্ট মানিক ভট্টাচার্যকে রক্ষা কবচ দিয়েছিল। এখন ২০২৩ সাল। এক বছর হয়ে গিয়েছে, কেন সুপ্রিম কোর্টে আবেদনপত্র দাখিল করেননি?”  বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় (Justice Abhijit Gangopadhyay) বলেন, “সবাই শুধু অপেক্ষা করে আছে, আমি কবে অবসর নেব। আমি অবসরে যাব না। মাঝে মাঝে ভাবছি, একটা পদযাত্রা শুরু করব। সুন্দরবন চলে যাব। কিছু বলব না, শুধু হেঁটে যাব।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Anubrata Mondal: গরু পাচারকাণ্ডে তৃণমূল নেতা অনুব্রতর জামিনের মামলায় সিবিআইকে নোটিশ সুপ্রিম কোর্টের

    Anubrata Mondal: গরু পাচারকাণ্ডে তৃণমূল নেতা অনুব্রতর জামিনের মামলায় সিবিআইকে নোটিশ সুপ্রিম কোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃণমূল (TMC) নেতা অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mondal) জামিনের আবেদনের মামলায় সিবিআইকে নোটিশ দিল সুপ্রিম কোর্ট। সোমবার বিচারপতি অনিরুদ্ধ বসু ও বিচারপতি বেলা এম ত্রিবেদীর বেঞ্চ ওই নোটিশ দেয়। তদন্ত কোন পর্যায়ে রয়েছে, তা জানতেই সিবিআইকে নোটিশ দিয়েছে দেশের শীর্ষ আদালত।  

    অনুব্রতর আইনজীবীর বক্তব্য

    অনুব্রতর আইনজীবী মুকুল রোহতগি বলেন, “এই মামলায় জড়িত অনেকেই ইতিমধ্যেই জামিন পেয়েছেন। পাঁচটি চার্জশিট ফাইল হয়েছে। অনুব্রত মণ্ডল একমাত্র জেলে রয়েছেন। ১৪ মাস ধরে জেলে রয়েছেন উনি। এই মামলায় ‘কিংপিন’ জামিন পেয়ে গিয়েছেন। তাই অনুব্রতকে জামিন দেওয়া হোক।” গরু পাচার মামলায় অনুব্রতর জামিনের আবেদন খারিজ হয়ে যায় কলকাতা হাইকোর্টে। উচ্চতর আদালতের ওই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন অনুব্রত।

    সিবিআইকে নোটিশ আদালতের

    এদিন সেই মামলারই শুনানি ছিল সুপ্রিম কোর্টে। বিচারপতি বসু জানান, আদালত সিবিআইকে নোটিশ জারি করার নির্দেশ দিচ্ছে। তদন্ত কোন পর্যায়ে রয়েছে, তা জানা দরকার। তার পরেই বিবেচনা করা হবে জামিনের আবেদন। হাইকোর্টে সিবিআই জানিয়েছিল, অনুব্রতকে (Anubrata Mondal) জামিন দিলে ব্যাহত হতে পারে তদন্ত। সিবিআইয়ের দাবি, অনুব্রত বছরের পর বছর বীরভূমের জেলা সভাপতি পদে থেকেছেন। সেই জেলায় চলছে তাঁর একচ্ছত্র অধিকার। সেই প্রভাব কাজে লাগিয়েই গরু পাচারের মতো ঘটনায় যোগ রয়েছে তাঁর।

    গরু পাচার মামলায় গত বছর অগাস্ট মাসে সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতার হন তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতি। তাঁকে পাঠানো হয় আসানসোল জেলে। পরে এই মামলায়ই তাঁকে নিজেদের হেফাজতে নেয় ইডি। গরু পাচার মামলায় দিল্লিতে ইডি নিজেদের হেফাজতে তাঁকে রেখে দু’ সপ্তাহ জিজ্ঞাসাবাদের পর তিহাড় োজেলেই রয়েছেন অনুব্রত। এখানেই বন্দি রয়েছেন অনুব্রতের মেয়ে সুকন্যা মণ্ডল এবং হিসাবরক্ষক মনীশ কোঠারিও।

    আরও পড়ুুন: পঞ্চায়েত মামলায় কমিশনের বিরুদ্ধে কি রুল জারি করবে আদালত? জানা যাবে বৃহস্পতিবার

    প্রসঙ্গত, গরু পাচারকাণ্ডে বীরভূমের এক চালকল মালিক রবিন টিব্রেওয়ালকে মার্চ মাসে জিজ্ঞাসাবাদ করেছিল সিবিআই। গরু পাচারকাণ্ডের কিংপিন এনামুল হকের ‘হক ইন্ডাস্ট্রি’র সঙ্গে টাকার যে লেনদেন হয়েছে, তার বিস্তারিত হিসেব চেয়েছে সিবিআই। কোনও ব্যবসায়িক চুক্তি হয়েছে কিনা, তাও জানাতে (Anubrata Mondal) বলা হয়েছে। সিবিআই সূত্রে খবর, এনামুল গ্রেফতার হওয়ার পরেও হয়েছে আর্থিক লেনদেন।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
  • Jio AirFiber: গণেশ চতুর্থীতেই লঞ্চ হচ্ছে জিও এয়ার ফাইবার, কী কী সুবিধা মিলবে জানেন?

    Jio AirFiber: গণেশ চতুর্থীতেই লঞ্চ হচ্ছে জিও এয়ার ফাইবার, কী কী সুবিধা মিলবে জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাত পোহালেই গণেশ চতুর্থী। পূর্ব ঘোষণা মতো এদিনই লঞ্চ হতে চলেছে জিও এয়ার ফাইবার (Jio AirFiber)। বাড়ির পাশাপাশি জিও এয়ার ফাইবার ব্যবহার করা যাবে অফিসেও। ইন্টারনেট স্পিড মিলবে দেড় জিবিপিএস।

    বাফারিং হবে না!

    উচ্চ গতি থাকায় কোনওরকম বাফারিং ছাড়াই করা যাবে ভিডিও কনফারেন্স। গেমিং, হাই-ডেফিনেশন ভিডিও দেখতে পারবেন ইউজাররা। গত মাসে রিলায়েন্স কোম্পানির বার্ষিক জেনারেল মিটিংয়ে সংস্থার চেয়ারপার্সন মুকেশ আম্বানি জিও এয়ার ফাইবার আসতে চলেছে বলে জানিয়েছিলেন। গণেশ চতুর্থীর দিনই যে জিও এয়ার ফাইবার আসছে, তাও জানিয়েছিলেন তিনি। সেই মতো মঙ্গলবার দেশ পেতে চলেছে হাইস্পিডের এয়ার ফাইবার।

    ব্যবহার করা সহজ

    রিলায়েন্স জিও ইনফোকম লিমিটেডের চেয়ারম্যান আকাশ আম্বানি ওই বৈঠকে জানিয়েছিলেন, জিও এয়ার ফাইবারে রয়েছে একটা প্লাগ আর প্লে সমাধান। এটা ব্যবহার করা অত্যন্ত সহজ। গ্রাহকরা সহজেই এটা ব্যবহার করতে পারবেন। পেশাগত ক্ষেত্রেও এটা ব্যবহার করা বেশ সহজ। বাড়িতেই ব্যক্তিগত ওয়াইফাই হটস্পট পাওয়া যাবে এবার থেকে। কারণ এতে আলট্রা হাইস্পিড ট্রু ফাইভজি ব্যবহার করা হয়েছে। সংস্থার দাবি, এতে গিগাবাইট ইন্টারনেট স্পিড পাবেন ইউজাররা। স্মার্টফোন, টিভি, ট্যাবলেট, ল্যাপটপ সহ ডিভাইসে এক সঙ্গে যুক্ত করা যাবে। 

    আরও পড়ুুন: লেগেছে ঠোকাঠুকি, আগমনীর আগেই বিসর্জনের সুর ইন্ডি জোটে!

    প্রশ্ন হল, জিও এয়ার ফাইবার (Jio AirFiber) কী? জিও এয়ার ফাইবার একটি নতুন ওয়্যারলেস ইন্টারনেট পরিষেবা। যেখানে দ্রুত গতির ইন্টারনেট পরিষেবা দিতে ব্যবহার করা হয়েছে ফাইভজি প্রযুক্তি। বর্তমানে যে ফাইবার-অপটিক সংযোগগুলি ব্যবহার করা হয়, তার চেয়ে বেশি গতিতে পাওয়া যাবে এই পরিষেবা। দুই ডিভাইসের প্রধান পার্থক্য হল, জিও ফাইবার একটি ওয়্যার ফাইবার-অপটিক কেবল।

    যেখানে জিও এয়ার ফাইবার (Jio AirFiber) সম্পূর্ণ ওয়্যারলেস। জিও ফাইবারে তারের সমস্যা ছিল, তবে জিও এয়ার ফাইবারে তারের কোনও সমস্যা থাকবে না। ভারতে জিও এয়ার ফাইবারের খরচ পড়তে পারে ৬ হাজার টাকা। যেহেতু জিও এয়ার ফাইবার পোর্টেবল ইউনিট হিসেবে কাজ করবে এবং একাধিক সুবিধা মিলবে, তাই খরচ হবে জিও ফাইবারের চেয়ে একটু বেশিই।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Indi Alliance: লেগেছে ঠোকাঠুকি, আগমনীর আগেই বিসর্জনের সুর ইন্ডি জোটে!

    Indi Alliance: লেগেছে ঠোকাঠুকি, আগমনীর আগেই বিসর্জনের সুর ইন্ডি জোটে!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে বিজেপিকে পরাস্ত করতে জোট বেঁধেছিল পদ্ম-বিরোধী ২৬টি রাজনৈতিক দল। জোটের (Indi Alliance) নাম হয়েছিল ‘ইন্ডিয়া’। সেই জোটকে ‘ঘমন্ডিয়া’ বলে কটাক্ষ করেছিলেন খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এবার সেই জোটের অন্দরেই বেঁধেছে বড় গোল।

    কটাক্ষ সেলিমের

    দিন দুই আগে এনসিপি সুপ্রিমো শরদ পাওয়ারের দিল্লির বাসভবনে সমন্বয় কমিটির বৈঠক বসেছিল ইন্ডি জোটের। কমিটির ১৪ নম্বর জায়গাটি ফাঁকা রাখা হয়েছিল সিপিএমের জন্য। যদিও সিপিএম জানিয়ে দিয়েছে, জোটে থাকলেও, তৃণমূল থাকায় সমন্বয় কমিটিতে থাকছে না তারা। ইডির তলব পাওয়ায় সমন্বয় কমিটির বৈঠকে যোগ দিতে পারেননি তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। বৈঠকে একটি চেয়ার ফাঁকা রাখা হয়েছিল তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভাইপোর জন্য। তাতেও বেজায় চটেছিল সিপিএম। করেছিল কড়া সমালোচনাও। সিপিএম নেতা মহম্মদ সেলিমের কটাক্ষ, “অভিষেক জেলে গেলেও পাকাপাকিভাবে আসন ফাঁকা থাকবে কি?”

    চোরেদের ধরার দাবি অধীরের

    ইন্ডি জোটে রয়েছে কংগ্রেস (Indi Alliance)। তবে অভিষেককে ইডির তলব প্রসঙ্গে বেসুরো বঙ্গ কংগ্রেস। প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী বলেন, “এই তদন্তের দাবি পশ্চিমবঙ্গের বঞ্চিত, নিপীড়িত, নির্যাতিত মানুষ করেছে। আমরা চেয়েছি সিবিআই তদন্ত হোক, চোরেদের ধরা হোক, দুর্নীতিগ্রস্তদের ধরা হোক।” দিন কয়েক আগে কংগ্রেসের হাত থেকে তৃণমূল ঝালদা পুরসভার রাশ ‘কেড়ে’ নিয়েছে বলে অভিযোগ। নির্দল সহ কংগ্রেসের প্রতীকে জয়ী চার কাউন্সিলর যোগ দিয়েছেন তৃণমূলে। তার জেরে ওই পুরসভায় গরিষ্ঠতা হারায় কংগ্রেস। ইন্ডি জোটের শরিক তৃণমূলের এহেন ‘আগ্রাসনে’র জেরে যারপরনাই ক্ষুব্ধ বঙ্গ কংগ্রেস। যদিও হাইকমান্ডের নির্দেশ তারা মানছেন সাপের ছুঁচো গেলার মতো।

    আরও পড়ুুন: “কান্নাকাটির জন্য অনেক সময় পাবেন”, অধিবেশন শুরুর আগেই বিরোধীদের বার্তা প্রধানমন্ত্রীর

    প্রায় একই অবস্থা বঙ্গ সিপিএমেরও। তৃণমূল বিরোধিতাই যাদের রাজনীতির অভিমুখ, ঘাসফুলের সঙ্গে একাসনে বসতে তাদের যে আপত্তি থাকবে, তা বলাই বাহুল্য। বঙ্গ সিপিএমের সঙ্গে তৃণমূলের যেমন অহিনকুল সম্পর্ক, কেরল সিপিএমের ক্ষেত্রে আবার শত্রু হল কংগ্রেস (Indi Alliance)। তাই সে রাজ্যের সিপিএম চায় না কংগ্রেসের সঙ্গে বিশেষ মাখামাখি করুক দল। দুই রাজ্যের এহেন বাধ্যবাধকতায় সিপিএমের পলিটব্যুরোর সিদ্ধান্ত অনেকটা ধরি মাছ না ছুঁই পানির মতো। তাই পলিটব্যুরোর সিদ্ধান্ত,  জোটে থাকলেও, সমন্বয় কমিটিতে থাকবে না সিপিএম। জোটের অন্দরে অশান্তির চোরাস্রোত বয়ে যাওয়ায় ভোটমুখী মধ্যপ্রদেশে ইন্ডি জোটের (Indi Alliance) যে প্রথম জনসভা হওয়ার কথা ছিল, তাও বাতিল হয়েছে।

    প্রধানমন্ত্রী বোধহয় খুব একটা ভুল বলেননি!

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
     

     

  • Madras High Court: “বাক স্বাধীনতা যেন ঘৃণা ভাষণ হয়ে না দাঁড়ায়”, মন্তব্য মাদ্রাজ হাইকোর্টের

    Madras High Court: “বাক স্বাধীনতা যেন ঘৃণা ভাষণ হয়ে না দাঁড়ায়”, মন্তব্য মাদ্রাজ হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাক স্বাধীনতা যেন ঘৃণা ভাষণ হয়ে না দাঁড়ায়। শনিবার এক মামলার শুনানিতে এই সতর্কবার্তা শোনাল মাদ্রাজ হাইকোর্ট (Madras High Court)। বিচারপতি এন শেষাসয়ী বলেন, “সনাতন ধর্ম দেশ, রাজা, মা-বাবা ও গুরুর প্রতি দায়িত্ব পালন, গরিব আর্তজনের যত্নের শিক্ষা দেয়। সনাতন ধর্ম নিয়ে হয়তো অনেক ভুল ভাবনা তৈরি হয়েছে। অনেকে মনে করছেন, সনাতন ধর্ম মানেই জাতপাত আর অস্পৃশ্যতা। এটা চূড়ান্ত ভুল ধারণা।”

    কারও বিশ্বাসে আঘাত নয়

    তিনি বলেন, “যদিবা সনাতন ধর্মের ধারণায় জল-অচলের অস্তিত্ব থেকেও থাকে, স্বাধীন দেশে সংবিধানে যেখানে সবার সমান অধিকার স্বীকৃত – সেখানে অস্পৃশ্যতার কোনও ঠাঁই নাই।” বিচারপতি (Madras High Court) বলেন, “ধর্মের মতো স্পর্শকাতর বিষয়ে সবার সতর্ক থাকা উচিত যাতে কোনও বক্তব্য কারও বিশ্বাসে আঘাত না করে।” সনাতন ধর্ম নিয়ে দেশজুড়ে চলছে বিতর্ক। দিন কয়েক আগে তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী এমকে স্ট্যালিনের পুত্র উদয়নিধি স্ট্যালিন সনাতন ধর্ম সম্পর্কে বিতর্কিত মন্তব্য করেন। এই ডিএমকে রয়েছে বিজেপি বিরোধী ২৬টি রাজনৈতিক দলের জোট ‘ইন্ডিয়া’য়। ইন্ডি জোটের তরফে এর কোনও প্রতিক্রিয়া না দেওয়ায় ডিএমকের পাশাপাশি ইন্ডি জোটকেও নিশানা করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। আক্রমণ শানান কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামণও।

    ইন্ডি জোটকে নিশানা নাড্ডার 

    বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডাও নিশানা করেন ইন্ডি জোটকে। তবে এর সঙ্গে এদিন মাদ্রাজ হাইকোর্টের পর্যবেক্ষণের কোনও সম্পর্ক নেই। কারণ এদিন যে মামলার প্রেক্ষিতে বিচারপতি ওই মন্তব্য করেছিলেন, সেটি একটি সরকারি শিল্পশিক্ষা কলেজের সার্কুলারের প্রেক্ষিতে। ওই সার্কুলারে শিক্ষার্থীদের ‘সনাতনের বিরোধিতায়’ মতামত জানাতে বলা হয়েছিল। এই সার্কুলার চ্যালেঞ্জ করেই মামলা দায়ের হয় হাইকোর্টে। সেই মামলার শুনানিতেই এমন মন্তব্য করেন বিচারপতি। তিনি (Madras High Court) বলেন, “যেহেতু ধর্মীয় আচরণগুলি সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বদলায়, সেহেতু কিছু ক্ষতিকর বা বাজে বিষয় সবার অলক্ষ্যে ঢুকে পড়ে এতে। এগুলো আগাছা। নির্মূল করা উচিত। কিন্তু তার মানে এই নয় যে, ফলসটাকেই কেটে ফেলতে হবে!”

    আরও পড়ুুন: জন্মদিনের শুভেচ্ছা-বন্যায় ভাসলেন প্রধানমন্ত্রী, রাহুল, কেজরিওয়াল কে নেই তালিকায়?

    প্রসঙ্গত, উদয়নিধির মন্তব্য প্রসঙ্গে এদিন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামণও বলেছিলেন, “যে সব মন্তব্য হিংসা ছড়াতে উৎসাহ দেয় কিংবা হিংসায় ইন্ধন জোগায়, সে সব কথা বলা ঠিক নয়।  সংবিধানেও বলা হয়েছে, যে সব কথায় অশান্তি ছড়ায়, তা বলা ঠিক নয়।”

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Asia Cup 2023: সিরাজের অগ্নিবর্ষী বলে ছত্রখান শ্রীলঙ্কা, এশিয়া কাপে দ্বীপরাষ্ট্রে নয়া ইতিহাস ভারতের

    Asia Cup 2023: সিরাজের অগ্নিবর্ষী বলে ছত্রখান শ্রীলঙ্কা, এশিয়া কাপে দ্বীপরাষ্ট্রে নয়া ইতিহাস ভারতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ধরাশায়ী দ্বীপরাষ্ট্র শ্রীলঙ্কা। এশিয়া কাপ (Asia Cup 2023) ছিনিয়ে নিল ভারত। এ নিয়ে অষ্টমবারের জন্য এশিয়া কাপে চ্যাম্পিয়ন হল ভারত। মাত্র ৬.১ ওভারেই কোনও উইকেট না হারিয়ে জয় ছিনিয়ে নেয় ভারত।

    ভারতের অনায়াস জয়

    এশিয়া কাপের রবিবাসরীয় এই ফাইনালে ১০ উইকেটে জয়ী হল ভারত। শুভমন গিল ও ঈষান কিষান রইলেন অপরাজিত। ভারতের ভয়ঙ্কর বোলিংয়ের সামনে প্রায় খড়কুটোর মতো উড়ে যায় শ্রীলঙ্কা বাহিনী। ১৫.২ ওভারে মাত্র ৫০ রানে অলআউট হয়ে যায় শ্রীলঙ্কার ক্রিকেট দল। হার্দিক পাণ্ড্যর দুই বল খেলেই সাজঘরে ফিরে যেতে হয় প্রমোদ মধুশানকে। তাঁর ঝুলিতে মাত্র ১ রান। হার্দিক পাণ্ড্যর বলেই আউট হয়ে যান মাথিশা পাথিরানা। হার্দিক পাণ্ড্যর বলে দুনিথ ওয়েল্লালাগের ক্যাচ নেন রাহুল। ১৭ রান করে মহম্মদ সিরাজের বলে বোল্ড হয়ে যান কুশল মেন্ডিস। সিরাজের বলে অফস্টাম্প ছিটকে যায় দাসুন শনাকারের।

    আগুন ঝরানো বল সিরাজের

    বস্তুত, এদিন শ্রীলঙ্কার (Asia Cup 2023) ব্যাটিংয়ের কোমর ভেঙে দেন সিরাজই। তাঁর প্রথম বলেই রবীন্দ্র জাডেজার হাতে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফিরে যান পাথুম নিশাঙ্কা। তৃতীয় বলে সাদিরা সমারাবিক্রমাকে এলবিডব্লিউ করেন সিরাজ। চতুর্থ বলে ঈশানের হাতে অনায়াস ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান চারিথ আসালঙ্কা। শ্রীলঙ্কা পাকিস্তান ম্যাচে সালালঙ্কা নায়ক হলেও, এদিন তাঁকে ফিরতে হয়েছে খালি হাতে। ওভারের শেষ বলে ধনঞ্জয় ডি সিলভাকে তুলে নেন সেই সিরাজই। মাত্র ৩৭ বলেই প্রয়োজনীয় রান তুলে নেয় ভারত। হাতে চলে আসে এশিয়া কাপ।

    আরও পড়ুুন: “এখন চাকরির সঙ্কট চলছে” মন্ত্রী উদয়ন গুহের মন্তব্যে তীব্র চাপে শাসক দল
    এদিন ফাইনাল ম্যাচ হয় শ্রীলঙ্কার আর প্রেমদাসা স্টেডিয়ামে। এখানেই এদিন নয়া ইতিহাস লেখে টিম ইন্ডিয়া। এর আগে কলম্বোয় মোট তিনবার এশিয়া কাপের ফাইনাল অনুষ্ঠিত হয়েছে। ১৯৮৬, ১৯৯৭ এবং ২০০৪। প্রতিবারই চ্যাম্পিয়ন হয়েছে শ্রীলঙ্কা। ব্যতিক্রম কেবল এবারই। দ্বীপরাষ্ট্রে অনুষ্ঠিত এশিয়া কাপের ফাইনালে এদিন গোহারা হারল শ্রীলঙ্কা। এদিন শুভমন ৬টি (Asia Cup 2023) বাউন্ডারির সাহায্যে ১৯ বলে ২৭ রান করে অপরাজিত থাকেন। ৩টি বাউন্ডারির সাহায্যে ১৮ বলে ২৩ রান করে অপরাজিত থাকেন ঈশানও। প্রসঙ্গত, ২০১৮ সালের পর ফের কোনও বহুজাতিক ক্রিকেট টুর্নামেন্টে চ্যাম্পিয়ন হল ভারত।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Delhi High Court: ডিভোর্সের মামলা চলাকালীন পর-নারী সম্পর্কে জড়ানো অন্যায় নয়, পর্যবেক্ষণ দিল্লি হাইকোর্টের

    Delhi High Court: ডিভোর্সের মামলা চলাকালীন পর-নারী সম্পর্কে জড়ানো অন্যায় নয়, পর্যবেক্ষণ দিল্লি হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গার্হস্থ্য হিংসার শিকার হলে কিংবা স্ত্রীর দ্বারা মানসিকভাবে অত্যাচারিত হলে অন্য সম্পর্কে জড়ানো অন্যায় নয়। এর জেরে কোনও পুরুষকে ডিভোর্সের অধিকার থেকে বঞ্চিত করা যাবে না। এমনই পর্যবেক্ষণ দিল্লি হাইকোর্টের (Delhi High Court)। কোনও মহিলা গার্হস্থ্য হিংসার শিকার হলে সংবিধান অনুযায়ী শাস্তি হয় স্ত্রীর।

    গার্হস্থ্য হিংসার শিকার পুরুষও

    সিংহভাগ ক্ষেত্রে মহিলারাই শিকার হন গার্হস্থ্য হিংসার। তবে ইদানিং গার্হস্থ্য হিংসার শিকার হচ্ছেন বহু পুরুষ। দ্বারস্থ হচ্ছেন আদালতের। শান্তি খুঁজতে জড়িয়ে পড়ছেন পরকীয়ায়। দিল্লি হাইকোর্ট জানিয়ে দিল, বিবাহ বিচ্ছেদের মামলা চলাকালীন পর-নারীর সঙ্গে এই সম্পর্ক অপরাধ হিসেবে গণ্য হবে না। আদালত (Delhi High Court) সূত্রে খবর, ২০০৫ সাল থেকে আলাদা থাকেন এক দম্পতি। তাঁদের মধ্যে শারীরিক সম্পর্ক তো নেইই, সম্পর্ক পুনর্স্থাপনের সম্ভাবনাও নেই।

    নির্যাতিত স্বামীর অভিযোগ

    স্বামীর অভিযোগ ছিল, স্ত্রী তাঁকে মানসিক নির্যাতন করেন। তাই বিবাহ বিচ্ছেদ চাইছেন তিনি। মামলাটি ওঠে দিল্লি হাইকোর্টের বিচারপতি সুরেশ কুমার কাইতের বেঞ্চে। আদালতের পর্যবেক্ষণ, তাঁর পরিবারের প্রতি অসম্মান, দীর্ঘ সময় ধরে ঝগড়া, অশান্তির জেরে মানসিক যন্ত্রণা ভোগ করেছিলেন মামলাকারী স্বামী। এই সমস্যার কোনও সমাধান না দেখে নিরুপায় হয়ে তিনি দীর্ঘ সময় ধরে আলাদা থাকেন। স্ত্রীর দ্বারা মানসিকভাবে নির্যাতনের শিকার এই স্বামী তাই বিয়ের এই সম্পর্কটি থেকে বেরিয়ে আসতে মরিয়া। স্ত্রীর থেকে বিচ্ছেদ চেয়ে আদালতের দ্বারস্থ হন স্বামী।

    আরও পড়ুুন: বিকেল পর্যন্ত অভুক্ত রইলেন প্রভু জগন্নাথদেব! পুরীর মন্দিরে কেন এমন ঘটল?

    ১৩ সেপ্টেম্বর বিচারপতি নীনা বনসান কৃষ্ণের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ (Delhi High Court) জানায়, পুনরায় মিলনের কোনও সম্ভাবনা ছাড়া দীর্ঘ দিন বিচ্ছেদের পর যদি কোনও স্বামী নির্যাতন বা হিংসার শিকার হয়ে থাকেন, তাহলে তিনি শান্তি খুঁজে পেতে অন্য প্রেমের সম্পর্কে লিপ্ত হতেই পারেন। অন্য কোনও মহিলার সঙ্গে সহবাসও করতে পারেন। এই পরকীয়া সম্পর্ক দেখিয়ে স্বামীর বিরুদ্ধে কোনও অপরাধমূলক ও হিংসাত্মক ঘটনার প্রমাণ দিতে পারবেন না স্ত্রী।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • PM Modi: ৭৪-এ পা প্রধানমন্ত্রীর, গত পাঁচ বছর কীভাবে তিনি পালন করেছিলেন জন্মদিন?

    PM Modi: ৭৪-এ পা প্রধানমন্ত্রীর, গত পাঁচ বছর কীভাবে তিনি পালন করেছিলেন জন্মদিন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রবিবার ৭৪ বছরে পড়লেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। এদিন দিনভর শুভেচ্ছার বন্যায় ভেসেছেন তিনি। কংগ্রেসের তরফে তাঁকে  জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন রাহুল গান্ধী, কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে সহ একাধিক শীর্ষস্তরের নেতা। বিজেপি বিরোধী ২৬টি রাজনৈতিক দলের জোট ‘ইন্ডিয়া’র বিভিন্ন নেতাও জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীকে।

    ‘বিশ্বকর্মা যোজনা’র সূচনা 

    এদিন প্রধানমন্ত্রীর জন্মদিনে সরকার সূচনা করতে চলেছে ‘বিশ্বকর্মা যোজনা’র। তাঁত ইত্যাদি শিল্পের মতো পূর্বপুরুষের পেশা যাঁরা ধরে রেখেছেন, মূলত তাঁদের জন্যই চালু হচ্ছে ‘বিশ্বকর্মা যোজনা’। ‘আয়ুষ্মান ভব’ বলে একটি নয়া স্বাস্থ্য শিবিরও চালু হতে চলেছে আজ থেকে।

    কীভাবে জন্মদিনটি কাটিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী?

    যাইহোক, এখন দেখে নেওয়া যাক, গত পাঁচ বছর ধরে কীভাবে জন্মদিনটি কাটিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী (PM Modi)। গত বছর ৭২তম জন্মদিনে নাবিমিয়া থেকে আনা চিতা ছাড়া হয়েছিল মধ্যপ্রদেশের কুনো জাতীয় উদ্যানের বিশেষ খাঁচায়। ভারতে চিতার বংশবৃদ্ধির উদ্দেশ্যে হাতে নেওয়া হয়েছে ওই কর্মসূচি। প্রধানমন্ত্রীকে সেদিন একটি টুপি পরে ক্যামেরা হাতে দেখা গিয়েছিল।

    ৭১তম জন্ম দিনে একটি বিশেষ অভিযানে ভারত পূর্ণ করেছিল ২.২৬ কোটি কোভিড টিকাকরণ। প্রধানমন্ত্রীর জন্মদিন উপলক্ষে তার আগের বছর ‘সেবা শপথ’ কর্মসূচি হাতে নিয়েছিল বিজেপি। সেবার দরিদ্রদের বিনামূল্যে রেশন সামগ্রী বিলি করা হয়েছিল। আয়োজন করা হয়েছিল রক্তদান শিবিরেরও। ২০১৯ সালের জন্মদিনে প্রধানমন্ত্রী নিজের রাজ্য গুজরাটে ‘স্ট্যাচু অফ ইউনিটি’ দেখতে গিয়েছিলেন। এই সফরে তিনি করেছিলেন ‘মা নর্মদা পূজন’। সর্দার সরোবর বাঁধের কন্ট্রোল রুমও দেখতে গিয়েছিলেন তিনি।

    আরও পড়ুুন: জন্মদিনের শুভেচ্ছা-বন্যায় ভাসলেন প্রধানমন্ত্রী, রাহুল, কেজরিওয়াল কে নেই তালিকায়?

    ‘দত্তাত্রেয় মন্দির’ দর্শনের পর কেভাদিয়ায় এক জনসভায় ভাষণ দেন তিনি। এর আগের বছরের জন্মদিনটি প্রধানমন্ত্রী কাটিয়েছিলেন তাঁর সাংসদ ক্ষেত্র বারাণসীতে। দু’ দিনের সফরে মন্দির নগরীতে গিয়েছিলেন তিনি (PM Modi)। ৫০০ কোটি টাকা মূল্যের একাধিক প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনও করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী। 

    প্রসঙ্গত, ১৯৫০ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর জন্মগ্রহণ করেন নরেন্দ্র মোদি। ছ’ ভাইবোনের মধ্যে তিনি তৃতীয়। তাঁর বাবার নাম দামোদর দাস মোদি। মা হিরাবা মোদি। টানা ১২ বছর গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। ২০১৪ সালে হন প্রধানমন্ত্রী।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • PM Modi: জন্মদিনের শুভেচ্ছা-বন্যায় ভাসলেন প্রধানমন্ত্রী, রাহুল, কেজরিওয়াল কে নেই তালিকায়?

    PM Modi: জন্মদিনের শুভেচ্ছা-বন্যায় ভাসলেন প্রধানমন্ত্রী, রাহুল, কেজরিওয়াল কে নেই তালিকায়?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রবিবার ৭৩ বছর পূর্ণ করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। জন্মদিনে প্রধানমন্ত্রীকে শুভেচ্ছা জানালেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী সহ ইন্ডি জোটের নেতারা। প্রধানমন্ত্রীকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুও।

    ট্যুইট-বার্তা খাড়গের

    এক্স হ্যান্ডেলে কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে লিখেছেন, “প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিজিকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা। তাঁর সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করি।” শুভেচ্ছা জানিয়েছেন রাহুল গান্ধীও।

    শুভেচ্ছা নীতীশ কুমারেরও 

    ট্যুইটারে প্রধানমন্ত্রীকে (PM Modi) শুভেচ্ছা জানিয়েছেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী তথা জনতা দল ইউনাইটেড নেতা নীতীশ কুমারও। এই নীতীশ কুমারই বিজেপি বিরোধী দলগুলিকে এক ছাতার তলায় নিয়ে এসেছিলেন। বিজেপি বিরোধী সেই জোটের নাম হয়েছে ‘ইন্ডিয়া’ (INDIA)।

    ট্যুইট-বার্তায় বিহারের মুখ্যমন্ত্রী লিখেছেন, “প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা। আমি তাঁর সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করি।”

    এনসিপি সুপ্রিমো শরদ পাওয়ার লিখেছেন, “নরেন্দ্র মোদিজিকে জন্মদিনের উষ্ণ শুভেচ্ছা। আপনার সুস্বাস্থ্য, সুখ এবং সমৃদ্ধি কামনা করি।”

    কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিনরাই বিজয়ন, তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী তথা আপ নেতা অরবিন্দ কেজরিওয়াল সহ ইন্ডি জোটের প্রায় সব নেতাই জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীকে (PM Modi)। শুভেচ্ছা জানিয়েছেন বিজেপির নেতারাও।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
     
  • Sanatana Dharma Row: সনাতন ধর্ম সম্পর্কে বিতর্কিত মন্তব্য, ডিএমকের উদয়নিধিকে নিশানা নির্মলার

    Sanatana Dharma Row: সনাতন ধর্ম সম্পর্কে বিতর্কিত মন্তব্য, ডিএমকের উদয়নিধিকে নিশানা নির্মলার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সনাতন ধর্ম সম্পর্কে বিতর্কিত (Sanatana Dharma Row) মন্তব্য করায় এবার তামিলনাডুর মুখ্যমন্ত্রী এমকে স্ট্যালিনের ছেলে উদয়নিধিকে নিশানা করলেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামণ। শনিবার স্ট্যালিনপুত্রর উদ্দেশে নির্মলা বলেন, “রাজ্যের একজন মন্ত্রী হয়ে ডিএমকে নেতা উদয়নিধির মনে রাখা প্রয়োজন ছিল, তিনি কী বলছেন।” সনাতন ধর্ম হিংসায় বিশ্বাস করে না বলেও মন্তব্য করেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী। সাংবাদিক বৈঠকে তিনি বলেন, “উদয়নিধি যদি মনে করেন সনাতন ধর্ম সম্পর্কে বিরূপ মন্তব্য করলেও, কোনও প্রতিক্রিয়া হবে না, তাহলে তিনি ভুল করছেন।”

    কী বললেন নির্মলা?

    চেন্নাইয়ের ওই সাংবাদিক বৈঠকে নির্মলা বলেন, “সনাতন ধর্ম নিয়ে বিতর্কের সূত্রপাত ডিএমকে নেতা উদয়নিধির বক্তব্যকে ঘিরে। এই ডিএমকে বিজেপি বিরোধী ২৬টি রাজনৈতিক দলের জোট ইন্ডিয়ায় রয়েছে। ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে ফয়দা তুলতেই তারা এমন মন্তব্য করেছে।” কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী বলেন, “আমরা বিতর্ক শুরু করিনি। আপনারাই শুরু করেছেন। প্রত্যেকেরই মত প্রকাশের স্বাধীনতা আছে। কিন্তু একজন মন্ত্রী হয়ে তাঁর একথা বলা ঠিক হয়নি। তিনি যে মন্ত্রী, তা মাথায় রাখা উচিত ছিল তাঁর।”

    সেদিনের ঘটনায় এখনও ব্যথা পাই

    কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী বলেন (Sanatana Dharma Row), “যে সব মন্তব্য হিংসা ছড়াতে উৎসাহ দেয় কিংবা হিংসায় ইন্ধন জোগায়, সে সব কথা বলা ঠিক নয়।  সংবিধানেও বলা হয়েছে, যে সব কথায় অশান্তি ছড়ায়, তা বলা ঠিক নয়।” উদয়নিধি বলেছিলেন, তাঁর দল শতবর্ষ ধরে সনাতন ধর্ম নিয়ে মন্তব্য করবে। সে প্রসঙ্গ তুলে নির্মলা বলেন, “আপনি বলতেই পারেন। তবে যে সব কথা হিংসায় ইন্ধন জোগায়, তা কারওরই বলা উচিত নয়।”

    আরও পড়ুুন: বিশ্বকর্মা ও গণেশ পুজোতে বৃষ্টি! কী বলছে হাওয়া অফিস?

    কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী জানান, তিনি একটি তামিল পরিবারে বেড়ে উঠেছেন। একদিন শোভাযাত্রা করার সময় রামের প্রতিকৃতিতে ছুঁড়ে দেওয়া হয়েছিল জুতোর মালা। সেদিনের সেই ঘটনায় খারাপ লেগেছিল তাঁর। সে কষ্ট আজও (Sanatana Dharma Row) ব্যথা দেয় তাঁকে। নির্মলা বলেন, “এই হল সনাতন ধর্ম। আমরা সেদিন দাঁতের বদলে দাঁত, চোখের বদলে চোখের নীতি গ্রহণ করিনি। কিন্তু এটা যদি অন্য ধর্মের ক্ষেত্রে ঘটত, তাহলে কী হত, তা বুঝতেই পারছেন। জীবন কীভাবে যাপন করতে হয়, সেই শিক্ষা দেয় সনাতন ধর্মই।”

     

         

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
     
LinkedIn
Share