Author: Krishnendu Bakshi

  • Earthquake: মরক্কোয় ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা পেরলো হাজারের গন্ডি, সাহায্যের আশ্বাস মোদির

    Earthquake: মরক্কোয় ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা পেরলো হাজারের গন্ডি, সাহায্যের আশ্বাস মোদির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মরক্কোয় ভূমিকম্পের (Earthquake) বলি এক হাজারেরও বেশি মানুষ। জখম হয়েছেন বহু মানুষ। শুক্রবার রাতে অনুভূত হয় কম্পন। রিখটার স্কেলে যার মাত্রা ছিল ৬.৮। সূত্রের খবর, চিকিৎসার জন্য রাজ্যের বিভিন্ন হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে ৩০০ বাসিন্দাকে।

    ব্যথিত প্রধানমন্ত্রী

    সে দেশের অভ্যন্তরীণ মন্ত্রী জানান, ক্ষয়ক্ষতির বেশিরভাগটাই হয়েছে শহর ও শহরতলির বাইরে। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ ঠিক কত, তা জানার চেষ্টা করছেন মরক্কোর কর্তারা। ভূমিকম্পে মৃতদের পরিবারকে সমবেদনা জানিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এক্স হ্যান্ডেলে তিনি লিখেছেন, “মরক্কোয় ভূমিকম্পে প্রাণহানির জন্য আমি গভীরভাবে ব্যথিত। এই কঠিন মুহূর্তে আমি পাশে রয়েছি মরক্কোবাসীর। যাঁরা প্রিয়জনকে হারিয়েছেন, তাঁদের সমবেদনা জানাই। যাঁরা জখম হয়েছেন, তাঁদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করছি। এই কঠিন সময়ে মরক্কোকে সব রকমভাবে সাহায্য করতে প্রস্তুত ভারত।” 

    দ্বিতীয় কম্পন

    মার্কিন জিওলজিক্যাল সার্ভে থেকে জানা গিয়েছে, রাত্রি ১১.১১টা নাগাদ শুরু হয় কম্পন (Earthquake)। স্থায়িত্ব ছিল বেশ কয়েক সেকেন্ডের। মরক্কোর ন্যাশনাল সিসমিক মনিটরিং অ্যান্ড অ্যালার্ট নেটওয়ার্কের দাবি, কম্পনের মাত্রা রিখটার স্কেলে ৭। মার্কিন এজেন্সির দাবি, প্রথম কম্পনের ১৯ মিনিট পরে অনুভূত হয়েছে দ্বিতীয় কম্পন। উত্তর আফ্রিকা অঞ্চলে ভূমিকম্প হয় তুলনামূলকভাবে কম। এদিন যে কম্পন অনুভূত হয়েছে, তার উৎসস্থল ছিল মাটি থেকে ৮০০ কিলোমিটার গভীরে। এর আগে এ দেশে ভূমিকম্প হয়েছিল ২০০৪ সালে। সেবার কম্পন অনুভূত হয়েছিল উত্তর পূর্বের আল হোসেইমা এলাকায়।

    আরও পড়ুুন: নতুন বছরেই খুলছে রামমন্দিরের দ্বার, শুভদিনটি কবে জানেন?

    ভূমিকম্পে মারা গিয়েছিলেন ৬২৮ জন। এর আগে আরও একবার ভয়াবহ ভূমিকম্পে কেঁপে উঠেছিল মরক্কো। আগাদির অঞ্চলের ওই ভূমিকম্পে মৃত্যু হয়েছিল অন্তত ১২ হাজার মানুষের। এদিন রাতে আচমকাই কেঁপে (Earthquake) ওঠে মরক্কো। কম্পন স্থায়ী ছিল ২০ সেকেন্ড। কম্পনের আঘাতে তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়ে একের পর এক বাড়ি। বাড়ির নীচে চাপা পড়ে রয়েছেন বহু মানুষ। মারাকাশের বিভিন্ন রাস্তায় সৃষ্টি হয়েছে চওড়া ফাটলের। ভেঙে পড়েছে বিদ্যুৎ ও টেলি যোগাযোগ ব্যবস্থা।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
     
  • G20 Summit: জি২০ সম্মেলনে গৃহীত হল নয়াদিল্লি ডিক্লারেশন, ঘোষণা করলেন প্রধানমন্ত্রী

    G20 Summit: জি২০ সম্মেলনে গৃহীত হল নয়াদিল্লি ডিক্লারেশন, ঘোষণা করলেন প্রধানমন্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নয়াদিল্লিতে জি২০ (G20 Summit) শীর্ষ সম্মেলনে ইউক্রেন প্রশ্নে ঐক্যমত্যে পৌঁছলেন সদস্য দেশের রাষ্ট্রপ্রধানরা। শনিবার শুরু হয়েছে জি২০ সম্মেলন। নয়াদিল্লির এই সম্মেলনে নয়াদিল্লি ডিক্লারেশন গৃহীত হয়েছে। এই ডিক্লারেশন ঘোষণা করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, এদিনের ঘোষণার পর ইউক্রেন প্রশ্নে স্বমত স্পষ্ট করে দিল নয়াদিল্লি।

    জি২০ শীর্ষ সম্মেলন

    নয়াদিল্লির প্রগতি ময়দানের ভারত মণ্ডপম কনভেনশন সেন্টারে বসেছে জি২০ শীর্ষ সম্মেলনের আসর। এদিন উদ্বোধনী ভাষণে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “ইউক্রেন যুদ্ধ আস্থাহীনতারই পরিণতি। আমাদের এই আবহ থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। পারস্পরিক আস্থা ফিরিয়ে আনতে হবে।” তিনি বলেন, “একুশ শতক বিশ্বকে নতুন দিক নির্দেশ দেওয়ার শতক। নতুন দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে আমাদের পুরনো সমস্যাগুলির সমাধানের পথ খুঁজতে হবে। যখন আমরা কোভিডকে পরাজিত করতে পেরেছি, তখন আমরা এই আস্থার ঘাটতির সঙ্কটের বিরুদ্ধেও জয়ী হতে পারব।”

    সবকা সাথ সবকা বিকাশ মন্ত্র

    প্রধানমন্ত্রী (G20 Summit) বলেন, “সবকা সাথ সবকা বিকাশ মন্ত্রেই আস্থাহীনতার সমস্যা কাটিয়ে উঠতে হবে আমাদের।” তিনি বলেন, “বিশ্বজুড়ে এই যে অবিশ্বাসের বাতাবরণ তৈরি হয়েছে, তা কাটিয়ে উঠে আমাদের ভরসা রাখতে হবে বিশ্বাস এবং আস্থার ওপর।”

    দিল্লি লিডার্স ঘোষণাপত্রে বলা হয়েছে, ‘ইউক্রেনে প্রয়োজন স্থায়ী এবং উপযুক্ত শান্তি। জি২০-এর সদস্য দেশগুলির কাছে আবেদন জানানো হয়েছে এই বলে যে, কেউ যদি পরমানু অস্ত্র প্রয়োগ কিংবা বলপ্রয়োগ করে অন্যের এলাকা দখল করার কৌশল নেয়, তা কোনওভাবেই মেনে নেওয়া হবে না’।

    যৌথ ঘোষণাপত্রের কথা বলতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আমাদের টিমের কঠোর পরিশ্রম ও আপনাদের সহযোগিতায় নয়াদিল্লিতে জি২০ (G20 Summit) সম্মেলনের ঘোষণাপত্র এসে পৌঁছেছে। এই ঘোষণাপত্র গ্রহণ করার প্রস্তাব ছিল আমার। সব সদস্য দেশের রাষ্ট্রনেতাদের সঙ্গে সহমত হয়ে এটি গৃহীত হল। দেশের সমস্ত মন্ত্রী, শেরপা ও সব আধিকারিকদের ধন্যবাদ জানাতে চাই। যাদের জন্য এটি সম্ভব হয়েছে।”

    আরও পড়ুুন: জি২০-এর মঞ্চেও ‘ইন্ডিয়া’র বদলে লেখা ‘ভারত’, দেশের নাম তাহলে বদলাচ্ছেই!

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

     

     

  • Ayodhya Ram Mandir: নতুন বছরেই খুলছে রামমন্দিরের দ্বার, শুভদিনটি কবে জানেন?

    Ayodhya Ram Mandir: নতুন বছরেই খুলছে রামমন্দিরের দ্বার, শুভদিনটি কবে জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২০২৪ সালে লোকসভা নির্বাচন। তার আগেই জন সাধারণের জন্য অযোধ্যার রাম মন্দিরের (Ayodhya Ram Mandir) দ্বার খুলে দেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছিল হিন্দুত্ববাদী একাধিক সংগঠনের তরফে। নতুন বছরের জানুয়ারি মাসেই মন্দিরের গর্ভগৃহে রামলালা প্রতিষ্ঠিত হবেন বলেও জানা গিয়েছিল। তবে ঠিক কবে রামলালার প্রাণ প্রতিষ্ঠা হবে, তা জানা গিয়েছিল না। এবার জানা গেল সেই শুভদিনটিও।

    উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী

    শনিবার রামমন্দির কমিটির তরফে জানানো হয়েছে, ২২ জানুয়ারি উদ্বোধন হবে মন্দিরের। উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। প্রধানমন্ত্রী ছাড়াও এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। বিগ্রহের প্রাণ প্রতিষ্ঠার অনুষ্ঠান পরিচালনার দায়িত্বে থাকবেন সংঘ নেতা জি জোশী। দেশের বিভিন্ন প্রান্তের সাধু-সন্তদেরও অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকতে পাঠানো হয়েছে আমন্ত্রণপত্র। রামমন্দিরের প্রধান পুরোহিত সত্যেন্দ্র দাস জানান, রামলালা দর্শনে ভক্তদের যাতে কোনও সমস্যা না হয়, সেজন্য বসানো হচ্ছে ৪২টি দরজা। মন্দিরের গর্ভগৃহে একটি সোনার দরজাও বসানো হবে। দরজায় খোদাই থাকবে ময়ূর, কলস, চক্র এবং ফুল। গর্ভগৃহে বসানো হবে রামের দুটি ছোট মূর্তি। গর্ভগৃহের দেওয়াল তৈরি হচ্ছে দুধসাদা মার্বেল পাথর দিয়ে। বৈদ্যুতিক যানের মাধ্যমে দর্শনার্থীরা যেতে পারবেন মন্দিরের ভেতরে।

    বিদেশিদের জন্য ঘর

    টানা দু বছর ধরে চলছে রামমন্দির (Ayodhya Ram Mandir) নির্মাণের কাজ। জানা গিয়েছে, যেভাবে মন্দিরটি গড়ে তোলা হচ্ছে, তাতে ভূমিকম্প হলেও, এর কোনও ক্ষতি হবে না। রাম জন্মভূমি তীর্থক্ষেত্র ট্রাস্টের সেক্রেটারি চম্পত রাই জানান, মন্দিরের আয়ু অন্তত এক হাজার বছর। মন্দির নির্মাণে ব্যয় হচ্ছে ১৮০০ কোটি টাকা। রামমন্দিরের নির্মাণশৈলি দেখতে আসতে পারেন ভিনদেশিরাও। বিদেশি অতিথিদের থাকার জন্য তাই এখানে থাকছে ঘর। অযোধ্যার ১০০টি প্লট দেওয়া হচ্ছে বিভিন্ন ধর্মীয় সংগঠনকে।

    আরও পড়ুুন: জি২০-এর মঞ্চেও ‘ইন্ডিয়া’র বদলে লেখা ‘ভারত’, দেশের নাম তাহলে বদলাচ্ছেই!

    এদিকে, রামমন্দিরের (Ayodhya Ram Mandir) উদ্বোধনের কথা মাথায় রেখে ঢেলে সাজানো হচ্ছে অযোধ্যা শহরকে। তৈরি করা হচ্ছে ঝাঁ চকচকে অযোধ্যা স্টেশন, আন্তর্জাতিক মানের বিমানবন্দর। দেশের বিভিন্ন প্রান্তের দর্শনার্থীরা যাতে অনায়াসে রামলালার দর্শনে আসতে পারেন, তাই অযোধ্যাকে জুড়ে দেওয়া হচ্ছে একাধিক হাইওয়ের সঙ্গে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • India Name Change: দেশের নাম বদলের জল্পনা, অমিতাভ বচ্চনের ট্যুইটে নয়া গুঞ্জন

    India Name Change: দেশের নাম বদলের জল্পনা, অমিতাভ বচ্চনের ট্যুইটে নয়া গুঞ্জন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সংসদের বিশেষ অধিবেশনে দেশের নাম বদলাতে (India Name Change) চলেছে বলে খবর। ‘ইন্ডিয়া’র বদলে এবার দেশের নাম হতে চলেছে ‘ভারত’। এ নিয়ে চটে লাল বিরোধীদের একাংশ। এহেন আবহে মঙ্গলবার ইন্ধন জোগাল অমিতাভ বচ্চনের একটি ট্যুইট। এক্স হ্যান্ডেলে তিনি লিখেছেন, “ভারতমাতা কী জয়।” অমিতাভের এহেন পোস্টের জেরে চড়ছে জল্পনার পারদ। নেটিজেনদের একাংশের মতে, দেশের নাম নিয়ে যে বিতর্ক শুরু হয়েছে, তা নিয়েই অমিতাভের এই পোস্ট। দেশের নাম ‘ভারত’ করার পক্ষেই মত দিয়েছেন তিনি।

    ‘ইন্ডিয়া’র দাবি

    বিজেপি-বিরোধী ২৬টি রাজনৈতিক দলের জোটের নাম ‘ইন্ডিয়া’। এই সংগঠনের সদস্য একাধিক রাজনৈতিক দলের দাবি, তাঁদের জোটের নাম ‘ইন্ডিয়া’ হওয়ায় দেশের নাম বদলের চেষ্টা করছে কেন্দ্র। আম আদমি পার্টি সুপ্রিমো তথা দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের প্রশ্ন, “বিজেপি-বিরোধী জোটের নাম ইন্ডিয়া বলেই কি দেশের নাম বদলে দেওয়া হচ্ছে?”  দেশের নাম বদলের (India Name Change) প্রসঙ্গে কেন্দ্রকে নিশানা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও।

    আরও পড়ুুন: সনাতন ধর্মকে নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য, ‘ইন্ডি’ জোটকে ধুয়ে দিল বিজেপি

    তিনি বলেন, “আজ তো ইন্ডিয়ার নাম চেঞ্জ করে দিচ্ছে বলে আমি শুনলাম। মাননীয় রাষ্ট্রপতির নামে যে কার্ড হয়েছে, জি২০-এর লাঞ্চে না ডিনারে, তাতে লেখা আছে ভারত বলে। আরে ভারত তো আমরা বলি। এতে নতুনত্ব কী আছে?” প্রসঙ্গত, অমিতাভ-পত্নী জয়া বচ্চন ‘ইন্ডিয়া’র নেত্রী। তাঁর সঙ্গে সুসম্পর্ক রয়েছে তৃণমূল সুপ্রিমোর। এহেন আবহে অমিতাভের পোস্ট বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ বই কি!

    সহবাগের ট্যুইট 

    দেশের নাম বদলে ‘ভারত’ হওয়ার পক্ষে মত দিয়েছেন প্রাক্তন ভারতীয় ব্যাটার বীরেন্দ্র সহবাগও। এক্স হ্যান্ডেলে তিনি লেখেন, “আমাদের দেশের (India Name Change) আসল নাম ভারত। আনুষ্ঠানিকভাবে সেই নাম ফিরিয়ে আনার সময় এসে গিয়েছে। আমি সব সময় বিশ্বাস করি, দেশের নাম এমন হওয়া উচিত, যা আমাদের গর্বিত করবে। আমরা ভারতীয়। ইন্ডিয়া নাম ব্রিটিশদের দেওয়া। আমাদের আসল নাম ভারত। আমি বিসিসিআই এবং জয় শাহকে অনুরোধ করছি যাতে আসন্ন বিশ্বকাপে ভারতীয় খেলোয়াড়দের জার্সিতে ভারত লেখা থাকে।”

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • BJP: সনাতন ধর্মকে নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য, ‘ইন্ডি’ জোটকে ধুয়ে দিল বিজেপি

    BJP: সনাতন ধর্মকে নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য, ‘ইন্ডি’ জোটকে ধুয়ে দিল বিজেপি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সনাতন ধর্ম নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করেছিলেন বিজেপি-বিরোধী ২৬টি রাজনৈতিক দলের জোট ‘ইন্ডিয়া’র নেতা উদয়নিধি স্ট্যালিন। মঙ্গলবার রাজস্থানের এক জনসভায় তাঁকে নিশানা করলেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংহ (BJP)। তিনি বলেন, “সনাতন ধর্ম বিশ্বকে একটি পরিবার হিসেবে বিবেচনা করে।” উদয়নিধির বিতর্কিত মন্তব্যের পরেও সোনিয়া গান্ধী, রাহুল গান্ধী, অশোক গেহলটরা চুপ কেন সে প্রশ্নও তোলেন রাজনাথ। বিতর্কিত মন্তব্যের জন্য ‘ইন্ডিয়া’র নেতাদের ক্ষমা চাওয়া উচিত বলেও মনে করেন তিনি। রাজনাথ বলেন, “ক্ষমা না চাইলে দেশ তাঁদের ক্ষমা করবে না।”

    ‘ইন্ডিয়া’কে নিশানা শাহের

    উদয়নিধির বিতর্কিত মন্তব্যের জেরে ‘ইন্ডিয়া’কে নিশানা করেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহও। তিনি বলেন, “গত দু দিন ধরে ইন্ডিয়া জোট সনাতন ধর্মকে অপমান করছে। রাজনৈতিক ভোটব্যাঙ্কের জন্যই কংগ্রেস এবং ডিএমকে নেতারা এসব বলছেন। এর আগে মনমোহন সিং বলেছিলেন বাজেটের প্রথম অধিকার সংখ্যালঘুদের। কিন্তু আমরা (BJP) বলছি, বাজেটের প্রথম অধিকার গরিব, উপজাতি, দলিত এবং পিছিয়ে পড়া মানুষের। কংগ্রেস বলছে মোদি যদি জেতেন, তাহলে সনাতন দেশ শাসন করবে। রাহুল গান্ধী বলেছিলেন, লস্কর-ই-তৈবার চেয়ে বেশি বিপজ্জনক হিন্দুত্ববাদী সংগঠনগুলি।” 

    এদিকে, উদয়নিধির শিরচ্ছেদ করতে পারলে ১০ কোটি টাকা পুরস্কার দেওয়া হবে বলে ঘোষণা করলেন অযোধ্যার তপস্বী ছাউনি মন্দিরের মহন্ত পরমহংস দাস। তিনি জানান, সনাতন ধর্ম সম্পর্কে কু-মন্তব্য করা উদয়নিধি স্ট্যালিনের শিরচ্ছেদ যে করতে পারবে, তাঁকে ১০ কোটি টাকা পুরস্কার দেওয়া হবে।

    বিহারে দায়ের মামলা 

    অন্যদিকে, তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী এমকে স্ট্যালিন ও তাঁর ছেলে উদয়নিধির বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হল বিহারের মুজফ্ফরপুর সিভিল কোর্টে। সোমবার সুনীল কুমার ঝা নামে এক আইনজীবী ওই মামলা করে। আদালতে দায়ের করা মামলায় সুনীল লিখেছেন, উদয়নিধির ওই মন্তব্যের ফলে হিন্দু ও সনাতন ধর্মকে যাঁরা মানেন এমন কোটি কোটি মানুষের (BJP) ভাবাবেগে আঘাত লেগেছে। রাজনৈতিক লাভের আশায় তিনি ওই মন্তব্য করেছেন। তাই অভিযুক্তের বিরুদ্ধে কড়া আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হোক। ১৪ সেপ্টেম্বর শুনানি হবে এই মামলার।

     

  • Student Death: কসবায় পাঁচতলা থেকে পড়ে ছাত্রের মৃত্যু, স্কুলের বিরুদ্ধে মানসিক নির্যাতনের অভিযোগ পরিবারের

    Student Death: কসবায় পাঁচতলা থেকে পড়ে ছাত্রের মৃত্যু, স্কুলের বিরুদ্ধে মানসিক নির্যাতনের অভিযোগ পরিবারের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: স্কুলের পাঁচতলা থেকে পড়ে ছাত্রের মৃত্যু (Student Death)। সোমবার দুপুরে খোদ কলকাতা শহরের কসবা এলাকার ঘটনায় ছড়িয়েছে চাঞ্চল্য। দশম শ্রেণির ওই ছাত্র আত্মঘাতী হয়েছে কিনা, তা জানা যায়নি। যদিও মৃত ছাত্রের পরিবারের তরফে স্কুলের বিরুদ্ধে মানসিক চাপ সৃষ্টির অভিযোগ করা হয়েছে।

    মৃতের পরিবারের অভিযোগ

    মৃত ছাত্রের বাবা বলেন, “আজ একটি প্রজেক্ট জমা দেওয়ার কথা ছিল। দিতে পারেনি বলে ওকে বকাবকি করা হয়েছিল। সবার সামনে কান ধরে দাঁড় করিয়েও রাখা হয়েছিল। নিশ্চয়ই ও অপমানিত বোধ করেছিল।” ছাত্রটি কীভাবে পাঁচতলায় পৌঁছল, সেই প্রশ্নও তুলেছে তার পরিবার। স্কুলের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়েও উঠেছে প্রশ্ন। মৃত ছাত্রের পরিবারের দাবি, স্কুল কর্তৃপক্ষের বয়ানে রয়েছে অসঙ্গতি। মৃত ছাত্রটি বাবা বলেন, “করোনা অতিমারির সময় এই স্কুলের বেতন কমানো হচ্ছিল না বলে আমি অন্য অভিভাবকদের কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে একত্রিত করেছিলাম। অভিভাবকদের চাপে ৩৩ শতাংশ বেতন কমানো হয়েছিল। সেই সময়ই প্রধান শিক্ষিকা আমাকে বলেছিলেন, আপনাকে চিহ্নিত করে রাখা হল। তখনই বুঝেছিলাম, ওরা আমার ছেলের ক্ষতি করবে। আমরা ধারণা, স্কুলেই ওকে মারধর করা হয়েছে। পিটিয়ে মেরে ফেলা হয়েছে।”

    তদন্ত শুরু পুলিশের 

    জানা গিয়েছে, কসবার রথতলার সিলভার পয়েন্ট স্কুলে পড়ত ওই ছাত্র। পুলিশ জানিয়েছে, এদিন দুপুরে দশম শ্রেণির এক ছাত্র স্কুলের পাঁচতলা থেকে নীচে পড়ে যায়। সঙ্গে সঙ্গে তাকে উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয় হাসপাতালে। সেখানেই তাকে মৃত ঘোষণা করেন কর্তব্যরত চিকিৎসক। ছাত্রটি আত্মঘাতী (Student Death) হয়েছে নাকি তাকে কেউ ঠেলে ফেলে দিয়েছে, তা জানতে শুরু হয়েছে তদন্ত।

    আরও পড়ুুন: ‘‘কেন্দ্রে ফের ক্ষমতায় আসছে বিজেপি’’, সাক্ষাৎকারে বললেন প্রধানমন্ত্রী, কারণ কী জানেন?

    মৃত ছাত্রের বাবার দাবি, তাঁর ছেলের শরীরের কোনও হাড় ভাঙেনি। পাঁচতলা থেকে পড়লে যা স্বাভাবিক। তাঁর ছেলের কান ও মুখ থেকে রক্ত পড়তে দেখেছেন তিনি। ঘটনার পর পরই স্কুলের তরফে ফোন করা হয় তাঁকে। বলা হয়, তাঁর ছেলে সিঁড়ি থেকে পড়ে গিয়েছে। তবে চিকিৎসার পর সুস্থ রয়েছে। অথচ হাসপাতালে গিয়ে ছেলের মৃত্যু সংবাদ পান তিনি। এ ব্যাপারে অবশ্য স্কুল কর্তৃপক্ষের কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Arunachal Tunnels: সেপ্টেম্বরেই জোড়া টানেলের উদ্বোধন করছে ভারত, কেন জানেন?

    Arunachal Tunnels: সেপ্টেম্বরেই জোড়া টানেলের উদ্বোধন করছে ভারত, কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অরুণাচল প্রদেশকে নিয়ে অব্যাহত ভারত-চিন বিবাদ। অরুণাচল প্রদেশকে (Arunachal Tunnels) নিজের দেশের ভূখণ্ড দাবি করে নয়া মানচিত্র প্রকাশ করেছে ড্রাগনের দেশ। যদিও ভারত বরাবরই বলে আসছে, অরুণাচল প্রদেশ ভারতের ছিল, আছে এবং ভবিষ্যতেও থাকবে।

    বিশ্বের দীর্ঘতম যমজ টানেল

    অরুণাচল প্রদেশকে দক্ষিণ তিব্বতের অংশ বলে দাবি করে বেজিং যখন মানচিত্রের নয়া সংস্করণ প্রকাশ করছে, ঠিক তখনই অরুণাচল প্রদেশে টানেলের উদ্বোধন করতে চলেছে ভারত। চলতি মাসেই উন্মুক্ত করে দেওয়া হবে এই টানেলের দ্বার। অরুণাচল প্রদেশের এই টানেলটির নাম সেলা টানেল। এটি বিশ্বের দীর্ঘতম যমজ টানেল। এই জোড়া ট্যানেল রয়েছে ১৩ হাজার ফিট উচ্চতায়। এই টানেলটি চালু হয়ে গেলে তাওয়াং অঞ্চলে দ্রুত সেনা এবং সমর সরঞ্জাম পাঠানো যাবে। সূত্রের খবর, চলতি মাসের শেষের দিকেই খুলে যাবে এই যমজ টানেল।

    বাঙ্কার ও সুড়ঙ্গ খুঁড়ছে চিন

    কিছুদিন আগেই উপগ্রহ চিত্র বিশ্লেষণ করে ভারত জানতে পেরেছে, সীমান্তে (Arunachal Tunnels) প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখার অদূরে বাঙ্কার ও সুড়ঙ্গ খুঁড়ছে চিন। সমর বিশেষজ্ঞদের একাংশের মতে, এলাকায় আগেভাগেই অস্ত্র ও যুদ্ধের রসদ মজুত করে রাখার পরিকল্পনা করেছে বেজিং। যুদ্ধ শুরু হলে বেজিং যাতে কোনওভাবেই বাড়তি সুবিধা না পায়, তাই দ্রুত টানেলের দ্বার উন্মুক্ত করে দিয়ে মজবুত পরিকাঠামো গড়ে তুলতে চাইছে নয়াদিল্লি। ২০১৯ সালে ফেব্রুয়ারি মাসে এই টানেলের (Arunachal Tunnels) শিলান্যাস করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ব্যয় ধরা হয়েছে ৭০০ কোটি টাকা। বালিপাড়া চারদুয়ার তাওয়াং সড়কের ওপরই গড়ে উঠছে এই টানেল।

    আরও পড়ুুন: ‘‘কেন্দ্রে ফের ক্ষমতায় আসছে বিজেপি’’, সাক্ষাৎকারে বললেন প্রধানমন্ত্রী, কারণ কী জানেন?

    আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রজেক্ট হল উত্তরপূ্র্বের নচিপুর টানেল। এই টানেলের সাহায্যে প্রত্যন্ত অঞ্চলের সঙ্গে সারা দেশের অনায়াস যোগাযোগ ব্যবস্থা গড়ে তুলতে চাইছে ভারত। এক আধিকারিকের মতে, পাঁচশো মিটার দীর্ঘ এই টানেল রয়েছে ৫ হাজার ৭০০ ফিট উচ্চতায়। পশ্চিম কেমাংয়ের বিসিটি সড়কের ওপর গড়ে উঠেছে এই টানেল। আগামী সপ্তাহেই উদ্বোধন হবে এই টানেলের।

    প্রসঙ্গত, সম্প্রতি দেশের মানচিত্রের একটি নয়া সংস্করণ প্রকাশ করেছে চিন। সেখানে অরুণাচল প্রদেশ ও পূর্ব লাদাখকে চিনের অংশ হিসেবে দাবি করেছে বেজিং। যার কড়া প্রতিক্রিয়া দিয়েছে ভারত। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, এহেন আবহে জোড়া টানেল উদ্বোধন করে ড্রাগনের দেশকে মুখের মতো দিতে চাইছে মোদির ভারত।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

     

  • Durand Cup: ধরাশায়ী ইস্টবেঙ্গল, ১০ জনে খেলেও ডুরান্ড জয় মোহনবাগানের

    Durand Cup: ধরাশায়ী ইস্টবেঙ্গল, ১০ জনে খেলেও ডুরান্ড জয় মোহনবাগানের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ডুরান্ড কাপ (Durand Cup) জয় মোহনবাগান সুপার জায়ান্টের। ১-০ গোলে ইস্টবেঙ্গলকে হারিয়ে কাপ জিতে নিল মোহনবাগান। ম্যাচের প্রথমার্ধ গোল শূন্যই থাকে। দ্বিতীয়ার্ধে একমাত্র গোলটি করেন দিমিত্রি প্রেত্রাতোস। খেলার ৭১ মিনিটের মাথায় গোলটি করেন মোহনবাগানের ফরওয়ার্ড। খেলা শুরুর চার মিনিটের মাথায় প্রথম কর্নার পায় মোহনবাগান। যদিও সেই সুযোগ কাজে লাগাতে ব্যর্থ হন বাগানি সেনারা। ১৫ মিনিটের মাথায় ফের কর্নারের সুযোগ পেলেও গোল করতে ব্যর্থ হয় সবুজ মেরুন। খেলার ৩০ মিনিটের মাথায় মোহনবাগানের রক্ষণ ভাঙার চেষ্টা করে ইস্টবেঙ্গল। যদিও তা আটকে দেয় সবুজ মেরুনের রক্ষণ।

    ইস্টবেঙ্গল ব্যাকের চোট

    এদিকে, ম্যাচের (Durand Cup) প্রথমার্ধে ইস্টবেঙ্গল ব্যাক এলসে চোট পান। তাঁর বদলে নামানো হয় পার্দোকে। তবে তাতে অবশ্য কাজ হয়নি। প্রথমার্ধ গোলশূন্যই থাকে। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে গোলের সুযোগ পায় লাল হলুদ। ৪৭ মিনিটের মাথায় আনোয়ার আলির ব্যাক পাস আর একটু হলেই পেয়ে যাচ্ছিলেন সিভেরিয়ো। তবে বিশাল কাইথ বল বের করে দেওয়ায় গোল আর হয়নি। এদিনের ম্যাচে দু’ বার হলুদ কার্ড দেখানো হয়। একবার দেখানো হয় ইস্টবেঙ্গল কোচ কার্লেস কুয়াদ্রাতকে।

    অনিরুদ্ধকে লালকার্ড

    দ্বিতীয়বার দেখানো হয় অনিরুদ্ধ থাপাকে। তাঁকে লালকার্ডও দেখানো হয়। এর পরেই মাঠে লড়াইয়ের দায়িত্ব চলে আসে বাগানের ১০ জনের ঘাড়ে। এর পরেই আক্রমণাত্মক হয়ে ওঠে সবুজ মেরুন। তার সুফলও ফলে অচিরেই। ৭১ মিনিটের মাথায় গোল করে মোহনবাগান। ১-০ গোলে শেষ হয় ম্যাচ। যদিও বাগানি সেনারা গোল করার পরে পরেই সমতা ফেরানোর চেষ্টা করেন নন্দকুমার। মহেশের ক্রসে বক্সের ভিতরে ফাঁকা জায়গা থেকে হেড করেন তিনি। যদিও বল সরাসরি লাগে বিশালের হাতে।

    আরও পড়ুুন: “উন্নত ভারতে দুর্নীতি, জাতিভেদ প্রথা এবং সাম্প্রদায়িকতাবাদ থাকবে না”, বললেন প্রধানমন্ত্রী

    প্রসঙ্গত, উনিশ বছর পর আজ, রবিবার ডুরান্ড কাপের (Durand Cup) ফাইনালে মুখোমুখি হয়েছিল দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী। ঐতিহ্যবাহী এই প্রতিযোগিতায় এখনও পর্যন্ত মোট ১৬ বার চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ইস্টবেঙ্গল ও মোহনবাগান। এদিন বাড়তি জয় গেল সবুজ-মেরুন ঝুলিতে। স্বাধীনতার পর থেকে ডুরান্ড কাপের ফাইনালে মোট ১১ বার মুখোমুখি হয়েছে ইস্টবেঙ্গল-মোহনবাগান। পাঁচবার জিতেছে বাগান। দুবার ম্যাচ ছিল অমীমাংসীত, যুগ্ম বিজয়ী।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

     
  • PM Modi: আবারও ইন্দোনেশিয়া সফরে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী, কেন জানেন?

    PM Modi: আবারও ইন্দোনেশিয়া সফরে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী, কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের একবার ইন্দোনেশিয়া সফরে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। দু’ দিনের সফরে তিনি যাচ্ছেন এই দ্বীপরাষ্ট্রে। গত বছরের শেষের দিকে জি ২০ সম্মেলনে যোগ দিতে ইন্দোনেশিয়ার বালিতে গিয়েছিলেন তিনি। এবার যাচ্ছেন ইন্দোনেশিয়ার জাকার্তায়।

    আসিয়ান-ভারত শীর্ষ সম্মেলন

    চলতি মাসের ৬-৭ তারিখে দু’ দু’টো সম্মেলন হবে সেখানে। একটি ২০তম আসিয়ান-ভারত শীর্ষ সম্মেলন। অন্যটি ১৮তম পূর্ব এশিয়া শীর্ষ সম্মেলন। গুরুত্বপূর্ণ এই দুই আন্তর্জাতিক সম্মেলনে যোগ দেওয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রীকে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন ইন্দোনেশিয়ার প্রেসিডেন্ট জোকো উইডোডো। ইন্দোনেশিয়ার পর ভারতে রয়েছে জি ২০ শীর্ষ সম্মেলন। সেখানে মিলিত হবেন বিশ্বের বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রপ্রধানরা। ভারত থেকেই জি ২০-এর ব্যাটন যাবে ইটালির হাতে।

    অর্থমন্ত্রীদের সম্মেলন

    অগাস্ট মাসেই ইন্দোনেশিয়ায় হয়েছিল আসিয়ান-ভারত গোষ্ঠীর অর্থমন্ত্রীদের সম্মেলন। এই বৈঠকে (PM Modi) পর্যালোচনা করা হয়েছিল ২০০৯ সালে আসিয়ান-ভারত যে পণ্য চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছিল, তা নিয়ে। গত মাসের সেই সম্মেলনের পর এবার হতে চলেছে আসিয়ান-ভারত শীর্ষ সম্মেলন। প্রসঙ্গত, গত বছরই ভারত ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয় দেশগুলির অ্যাসোসিয়েশনের (আশিয়ান) কৌশলগত অংশীদারিত্ব তৈরি হয়। এবারই হতে চলেছে এই গোষ্ঠীর প্রথম শীর্ষ সম্মেলন। বিদেশমন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, এই শীর্ষ সম্মেলনে ভারত-আসিয়ান সম্পর্কের অগ্রগতি পর্যালোচনা করা (PM Modi) হবে।

    আরও পড়ুুন: “উন্নত ভারতে দুর্নীতি, জাতিভেদ প্রথা এবং সাম্প্রদায়িকতাবাদ থাকবে না”, বললেন প্রধানমন্ত্রী

    এই অংশীদারিত্বের ভবিষ্যৎ দিক নির্দেশও করা হবে এই শীর্ষ সম্মেলনে। আঞ্চলিক এবং এর পাশাপাশি আন্তর্জাতিক দিক থেকে গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন বিষয়ে মতামত বিনিময় করবেন আসিয়ান গোষ্ঠীর সদস্য দেশগুলির নেতারা। ২০১৪ সালে কেন্দ্রের ক্ষমতায় আসার পর প্রতিবেশী দেশগুলির সঙ্গে সম্পর্কের উন্নতিতে জোর দেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। এর ঠিক চার বছর পরে ইন্দোনেশিয়ার প্রেসিডেন্টের আমন্ত্রণে জাকার্তা সফরে গিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী। সেই সফরে ইন্দোনেশিয়া ও ভারতের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের উন্নয়নে সহমত পোষণ করেছিলেন দুই রাষ্ট্রনেতা। তার পর থেকে দুই দেশের পারস্পরিক সম্পর্কের প্রভূত উন্নতি হয়েছে। চলতি সফরে সেই সম্পর্ক আরও পোক্ত হবে বলেই ধারণা আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞমহলের।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Gyanvapi Mosque: জ্ঞানবাপী মসজিদের সমীক্ষার রিপোর্ট জমা দিতে আট সপ্তাহ সময় চাইল এএসআই

    Gyanvapi Mosque: জ্ঞানবাপী মসজিদের সমীক্ষার রিপোর্ট জমা দিতে আট সপ্তাহ সময় চাইল এএসআই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জ্ঞানবাপী মসজিদ (Gyanvapi Mosque) চত্বরে  করা সমীক্ষার রিপোর্ট পেশ করতে আদালতের কাছে আরও আট সপ্তাহ সময় চাইল ভারতীয় পুরাতত্ত্ব সর্বেক্ষণ বা এএসআই। তাই এএসআইয়ের সমীক্ষায় কী মিলল, তা জানতে অপেক্ষা করতে হবে আরও মাসখানেক। শনিবার বারাণসী জেলা আদালতে আবেদন জানিয়ে সময় চেয়ে নেয় এএসআই।

    এএসআই

    প্রসঙ্গত, শনিবারই আদালতে সমীক্ষার রিপোর্ট জমা দেওয়ার কথা ছিল এএসআইয়ের। এএসআই আবেদনপত্র জমা করলেও, এদিন এনিয়ে শুনানি হয়নি আদালতে। সূত্রের খবর, শীঘ্রই এনিয়ে আলোচনা হবে। আবেদনপত্রে এএসআইয়ের তরফে বলা হয়েছে, আদালত যে নির্দেশ দিয়েছিল সাইটে সায়েন্টিফিক তদন্ত করবে এএসআই, সেই অনুযায়ী আর্কিওলজিস্টে, আর্কিওলজিক্যাল কেমিস্টস, এপিগ্রাফিস্টস, সার্ভেয়রস, ফোটোগ্রাফার্স এবং অন্যান্য টেকনিক্যাল স্টাফ এই সায়েন্টিফিক তদন্ত এবং তথ্যচিত্র নির্মাণে ব্যস্ত রয়েছেন।

    ডেটা বিশ্লেষণ

    হায়দ্রাবাদের জিওফিজিক্যাল রিসার্চ ইন্সটিটিউটও জিপিআর সার্ভে করছে। সংগৃহীত ডেটাও বিশ্লেষণ করছে তারা। আদালতে পেশ করা আবেদনপত্রে বলা হয়েছে, মসজিদের (Gyanvapi Mosque) সেলারে প্রচুর ধ্বংসস্তূপ দেখা গিয়েছে। এগুলো প্রকৃত কাঠামোকে ঢেকে রেখেছে। পরীক্ষার জন্য এই ধ্বংসস্তূপগুলো সরানোর কাজ চলছে। যেহেতু আদালত মাটির নীচে থাকা সেলারগুলির সায়েন্টিফিক তদন্ত করতে নির্দেশ দিয়েছে, তাই ধ্বংসস্তূপ সরানোর কাজ চলছে খুব সাবধানে। এটি একটি ধীর গতির কাজ। এজন্য আরও সময় প্রয়োজন।

    আরও পড়ুুন: “উন্নত ভারতে দুর্নীতি, জাতিভেদ প্রথা এবং সাম্প্রদায়িকতাবাদ থাকবে না”, বললেন প্রধানমন্ত্রী

    প্রসঙ্গত, কিছু দিন আগেই বারাণসীর জ্ঞানবাপী মসজিদে (Gyanvapi Mosque) বৈজ্ঞানিক সমীক্ষার কাজ শুরু করেছে ভারতীয় পুরাতত্ত্ব সর্বেক্ষণ (ASI)। এলাহাবাদ হাইকোর্টের ছাড়পত্র পাওয়ায় কড়া নিরাপত্তার ঘেরাটোপেই শুরু হয়েছে সমীক্ষার কাজ। কয়েকটি দলে ভাগ হয়ে এএসআই-এর পুরাতত্ত্ব বিশেষজ্ঞরা জ্ঞানবাপী মসজিদ চত্বরে ঢুকে কাজ শুরু করেছেন। সপ্তদশ শতকে তৈরি মসজিদটি কোনও হিন্দু মন্দির ভেঙে গড়া হয়েছে কিনা, তা পরীক্ষা করে দেখবেন প্রত্নতাত্ত্বিক বিশেষজ্ঞরা। বারাণসী জেলা আদালতের বিচারক অজয় কুমার বিশ্বেসের নির্দেশ অনুযায়ী, দিন কয়েক আগেই সমীক্ষার রিপোর্ট পেশ করার কথা ছিল ভারতীয় পুরাতত্ত্ব সর্বেক্ষণের।

    কিন্তু আইনি লড়াই পেরিয়ে যেহেতু দিন কয়েক আগেই সমীক্ষার কাজ শুরু হয়েছে, তাই কবে ওই রিপোর্ট জেলা আদালতে জমা পড়বে তা নিয়ে মুখ খুলতে চেয়েছিলেন না সমীক্ষার দায়িত্বে থাকা এএসআই আধিকারিকরা। এদিকে, হাইকোর্টের রায়ের উপর স্থগিতাদেশ চেয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে মুসলিম পক্ষ। মুসলিম পক্ষের দাবি, এই সমীক্ষা (Gyanvapi Mosque) আইন বিরুদ্ধ এবং এতে মসজিদের ক্ষতি হতে পারে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share