Author: Krishnendu Bakshi

  • Sukanta Majumdar: “রাজ্যের জন্য কেন্দ্রীয় প্রকল্প থেকে বঞ্চিত পশ্চিমবঙ্গবাসী”! হাইকোর্টের দুয়ারে সুকান্ত

    Sukanta Majumdar: “রাজ্যের জন্য কেন্দ্রীয় প্রকল্প থেকে বঞ্চিত পশ্চিমবঙ্গবাসী”! হাইকোর্টের দুয়ারে সুকান্ত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিভিন্ন কেন্দ্রীয় প্রকল্প বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বঞ্চিত পশ্চিমবঙ্গের বাসিন্দারা। আজ, মঙ্গলবার এই মর্মে কলকাতা হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। ফি বার নির্বাচনের আগে কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে বঞ্চনার অভিযোগ তুলে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল হাওয়া গরম করে বলে অভিযোগ। রাজ্যের অভিযোগ, কেন্দ্রের জন্যই বন্ধ হয়ে গিয়েছে একশো দিনের প্রকল্পের টাকা। এবার পাল্টা চাল দিল বঙ্গ বিজেপি। দায়ের করল জনস্বার্থ মামলা। আগামী সপ্তাহে কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম এবং হিরণ্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চে শুনানি হতে পারে মামলাটির।

    সুকান্তর অভিযোগ

    সুকান্ত (Sukanta Majumdar) বলেন, “কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদি সরকারের প্রকল্পের কথা যাতে বাংলার মানুষ জানতে পারেন, সেজন্য পঞ্চায়েত স্তরে কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে কমন সার্ভিস সেন্টার (সিএসসি) চালু করা হয়েছিল। কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার রাজ্যের প্রায় ৪০ হাজার সিএসসি বন্ধ করে দিয়েছে। বাংলার মানুষ যাতে কেন্দ্রীয় পরিষেবার কথা জানতে না পারেন, তাই ওই পদক্ষেপ করেছে রাজ্য।”

    সিএসসির সুবিধা

    বিজেপির রাজ্য সভাপতি বলেন, “সিএসসির মাধ্যমে পঞ্চায়েত অফিসে গিয়ে ই-সার্ভিস মারফৎ কেন্দ্রীয় প্রকল্পের সুযোগ-সুবিধা জানতে পারতেন গ্রামের বাসিন্দারা। ২০২০ সালে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার ওই পরিষেবা তুলে দেয়। পরিবর্তে ‘বাংলা সেবা কেন্দ্র’ নামে একটি সেন্টার খোলা হয়েছে।” “কেন ওই পরিষেবা বন্ধ করা হল?”, প্রশ্ন সুকান্তর। বিজেপির রাজ্য সভাপতি বলেন, “রাজ্যের বিভিন্ন পঞ্চায়েত অফিসে কমপক্ষে দেড় লক্ষ ছেলেমেয়েকে কর্মসংস্থানের সুযোগ থেকে বঞ্চিত করেছে রাজ্য। তাই পঞ্চায়েত অফিসগুলিতে কেন্দ্রের ওই পরিষেবা আবার চালু হোক।” তিনি জানান (Sukanta Majumdar), প্রায় ২০০ কেন্দ্রীয় প্রকল্পের সুবিধা নানাভাবে পান রাজ্যের মানুষ।

    আরও পড়ুুন: “যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে রাতে মাদক পাচার হতো”, বিধানসভায় তোপ শুভেন্দুর

    প্রসঙ্গত, সাধারণ মানুষ যাতে কেন্দ্রীয় প্রকল্পগুলি সম্পর্কে জানতে পারেন, তাই কমন সার্ভিস সেন্টার খুলেছিল কেন্দ্রীয় সরকার। পঞ্চায়েত স্তরে এই কমন সার্ভিস সেন্টারগুলি খোলা হয়েছিল। আয়ুষ্মান ভারত, কেন্দ্রীয় আবাস যোজনা সহ নানা প্রকল্পের সুবিধা পেতে গেলে কোথায় যেতে হয়, কী করতে হয়, অনায়াসেই মিলত এসব তথ্য। এই সব কেন্দ্রের সুবিধা পেতেন মূলত প্রান্তিক অঞ্চলের বাসিন্দারাই।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Jadavpur University: যাদবপুরের আঁচ বিধানসভায়ও, ছাত্রমৃত্যুর প্রতিবাদে বিক্ষোভ বিজেপির, ওয়াকআউট

    Jadavpur University: যাদবপুরের আঁচ বিধানসভায়ও, ছাত্রমৃত্যুর প্রতিবাদে বিক্ষোভ বিজেপির, ওয়াকআউট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়কাণ্ডের (Jadavpur University) আঁচ পৌঁছল বিধানসভায়ও। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের প্রথমবর্ষের এক ছাত্রের অস্বাভাবিক মৃত্যুতে তোলপাড় হয় রাজ্য। মঙ্গলবার এ নিয়ে সরকারকে নিশানা করেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বিজেপির শুভেন্দু অধিকারী। ছাত্রমৃত্যুর প্রতিবাদে এদিন গলায় কালো উত্তরীয় জড়িয়ে বিধানসভায় আসেন বিজেপি বিধায়করা। আনেন মুলতুবি প্রস্তাব। প্রস্তাবটি গ্রহণ করেন স্পিকার। অধিবেশন শুরু হলে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বলেন, “মর্মান্তিক ঘটনা ঘটেছে। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে এক শ্রেণির উগ্র বাম মানসিকতার লোক রয়েছে, তারা মাঝে মধ্যে দেশবিরোধী কথাবার্তাও বলে। এই বিশ্ববিদ্যালয় দেশবিরোধী কথা বলার একটা ঘাঁটিতে পরিণত হয়েছে। তাদের জন্য যাদবপুরে রুলস-রেগুলেশন কিছুই মানা হয় না। মানা হলে গ্রামের মেধাবী ছাত্রটির জীবন এভাবে চলে যেত না।”

    শুভেন্দুর প্রশ্ন

    যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে (Jadavpur University) সিসি ক্যামেরা বসানো সহ যেসব নির্দেশিকা দিয়েছিলেন হাইকোর্টের প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি, সেসব মানা হয়নি কেন, এদিন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্যবসুর কাছে তা জানতে চান রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় প্রাক্তন উপাচার্য অভিজিৎ চক্রবর্তীকে পদ্যত্যাগে বাধ্য করেছিলেন বলেও শিক্ষামন্ত্রীকে মনে করিয়ে দেন শুভেন্দু। বিজেপির তরফে এদিন ফের এনআইএ তদন্তের দাবিও জানানো হয়। অধিবেশন কক্ষেই বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন বিজেপি বিধায়করা। পরে ওয়াক-আউট করেন বিধানসভা কক্ষ থেকে। 

    শুভেন্দুকে নোটিশ 

    এদিকে, এবার শুভেন্দুকে নোটিশ পাঠাল যাদবপুর থানা। তদন্তকারী আধিকারিকের সঙ্গে দেখা করতে বলা হয়েছে রাজ্যের বিরোধী দলনেতাকে। পুলিশ সূত্রে খবর, যেদিন শুভেন্দুর ওপর হামলা হয়েছিল, সেদিনের ঘটনা বিশদে জানতেই ডেকে পাঠানো হয়েছে শুভেন্দুকে।

    আরও পড়ুুন: ‘‘আইনি সন্ত্রাস’’! ৪৯৮-এ ধারার অপব্যবহারে উদ্বিগ্ন কলকাতা হাইকোর্ট

    প্রসঙ্গত, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়কাণ্ডের (Jadavpur University) প্রতিবাদে দিন কয়েক আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের তিন নম্বর গেটের বাইরে অবস্থান বিক্ষোভ করে বিজেপির যুব মোর্চা। ওই কর্মসূচিতে যোগ দিতে গিয়েছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। কর্মসূচি সেরে ফেরার সময় শুভেন্দুকে কালো পতাকা দেখানো হয়। তাঁর গাড়িতে হামলা হয় বলেও অভিযোগ। এর পরেই যাদবপুর জিআরপিতে আরএসএফের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। পরে শুভেন্দুর অভিযোগ জিআরপির তরফে হস্তান্তরিত করা হয় কলকাতা পুলিশে। তার প্রেক্ষিতেই শুভেন্দুকে নোটিশ পাঠিয়েছে যাদবপুর থানা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • PM Modi: ব্রিকস সম্মেলনে যোগ দিতে দক্ষিণ আফ্রিকার উদ্দেশে রওনা মোদির, কী বললেন জানেন?

    PM Modi: ব্রিকস সম্মেলনে যোগ দিতে দক্ষিণ আফ্রিকার উদ্দেশে রওনা মোদির, কী বললেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ব্রিকস (BRICS) সম্মেলনে যোগ দিতে আজ, মঙ্গলবার দক্ষিণ আফ্রিকার উদ্দেশ্যে রওনা দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। ২২ অগাস্ট শুরু হওয়া এই সম্মেলন চলবে চলতি মাসেরই ২৪ তারিখ পর্যন্ত। ব্রিকসের সদস্য দেশগুলি হল, ব্রাজিল, রাশিয়া, ভারত, চিন এবং দক্ষিণ আফ্রিকা। যদিও এবারের সম্মেলনে যোগ দিচ্ছে বাংলাদেশও।

    ব্রিকস সেরা মঞ্চ

    প্রধানমন্ত্রী বলেন, “দক্ষিণ আফ্রিকার প্রেসিডেন্ট সিরিল রামাফোসার আমন্ত্রণে ১৫তম ব্রিকস সম্মেলনে যোগ দিতে আমি দক্ষিণ আফ্রিকা যাচ্ছি। জোহানেসবার্গে সম্মেলন হবে ২২ থেকে ২৪ অগাস্ট পর্যন্ত। এই সম্মেলনের নেতৃত্ব দেবে দক্ষিণ আফ্রিকা।” এক বিবৃতিতে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “সদস্য দেশগুলির মধ্যে নানা ক্ষেত্রে শক্তিশালী সংযোগ গড়ে তুলতে ব্রিকস সেরা মঞ্চ। পুরো গ্লোবাল সাউথের উদ্বেগ নিয়ে আলোচনার জন্য ব্রিকস একটি ভাল মঞ্চ বলে আমরা মনে করি। অদূর ভবিষ্যতে কোন কোন ক্ষেত্রে সহযোগিতা প্রয়োজন, তা চিহ্নিত করতেও ব্রিকস একটি ভাল প্লাটফর্ম।” ব্রিকস সম্মেলনে যেসব রাষ্ট্রনেতারা উপস্থিত থাকবেন, তাঁদের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে বসতেও আগ্রহ প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী।

    মোদি-জিনপিং

    জোহানেসবার্গের এই সম্মেলনে ফের একবার মুখোমুখি হতে পারেন চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং এবং মোদি। হতে পারে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকও। দিন কয়েক আগে সীমান্ত সমস্যা মেটাতে বৈঠকে বসেছিল ভারত ও চিনের সেনাবাহিনী। এমতাবস্থায় মোদি-জিনপিং বৈঠকে সীমান্ত নিয়ে কোনও রফাসূত্র মেলে কিনা, সেদিকেই তাকিয়ে ভারতের পাশাপাশি তামাম বিশ্বও। জিনপিং সহ ব্রিকসের সদস্য দেশগুলির বিভিন্ন নেতা উপস্থিত থাকলেও, এবারের সম্মেলনে সশরীরে উপস্থিত থাকছেন না রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। তবে ভার্চুয়ালি তিনি যোগ দেবেন এই সম্মেলনে।

    আরও পড়ুুন: ভুয়ো শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে সংখ্যালঘু বৃত্তি! দুর্নীতির অভিযোগে সরব শুভেন্দু

    প্রধানমন্ত্রী বলেন, “জোহানেসবার্গে থাকাকালীন আমি ব্রিকস-আফ্রিকা আউটরিচ এবং ব্রিকস প্লাস ডায়ালগেও অংশ নেব আমি। ব্রিকস সম্মেলনের অংশ হিসেবেই হবে এই অনুষ্ঠান। এই অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে অতিথি দেশগুলির সদস্যদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করতে আমি মুখিয়ে রয়েছি।” দক্ষিণ আফ্রিকা সফর শেষে প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) পাড়ি দেবেন গ্রিসে। তিনি বলেন, “গ্রিসে এটা হবে আমার প্রথম সফর। দীর্ঘ ৪০ বছর পর ভারতের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে আমি সেখানে পা রাখব। তাই আমি খুব সম্মানিত ও গর্ব বোধ করছি।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Lok Sabha Election: দুরমুশ ‘ইন্ডিয়া’, ক্ষমতায় ফিরছে এনডিএ, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিই, বলছে সমীক্ষা  

    Lok Sabha Election: দুরমুশ ‘ইন্ডিয়া’, ক্ষমতায় ফিরছে এনডিএ, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিই, বলছে সমীক্ষা  

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বছর ঘুরলেই লোকসভা নির্বাচন (Lok Sabha Election)। কে আসবে ক্ষমতায় নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে এনডিএ নাকি ২৬টি রাজনৈতিক দলের জোট ‘ইন্ডিয়া’? আপাতত এই প্রশ্নেরই চুলচেরা বিশ্লেষণ চলছে অহরহ। এহেন আবহে পূর্বাভাস দিতে মাঠে নেমে পড়েছে বিভিন্ন সমীক্ষক দলও। তাদের সমীক্ষায় উঠে এসেছে পূর্বাভাস।

    ক্ষমতায় ফিরবে এনডিএ

    সমীক্ষা চালিয়েছিল ‘দ্য টাইমস নাও ইটিজি’। এদের সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, এখনই নির্বাচন হলে ক্ষমতায় ফিরবে এনডিএ। সেক্ষেত্রে বিজেপি পেতে পারে ৩০০টিরও বেশি আসন। ‘ইন্ডিয়া’ পেতে পারে ১৬০ থেকে ১৯০টি আসন। রিপোর্ট অনুযায়ী, এনডিএ পেতে পারে ২৯৬-৩২৬টি আসন। প্রসঙ্গত, গত লোকসভা নির্বাচনে এনডিএ পেয়েছিল ৩৫৩টি আসন। সমীক্ষায় (Lok Sabha Election) জানা গিয়েছে, হিন্দি বলয়ে অব্যাহত থাকবে এনডিএর জয়যাত্রা। গুজরাট, মধ্যপ্রদেশ এবং রাজস্থান এই তিন রাজ্য থেকে ৭০-৮০টি আসন পেতে পারে এনডিএ। এই তিন রাজ্যে শতাংশের হিসেবে সাফল্যের হার ৮০।

    জোর টক্কর এনডিএ বনাম ‘ইন্ডিয়া’ 

    দক্ষিণের তিন রাজ্য কর্নাটক, কেরালা এবং তামিলনাড়ুতে ‘ইন্ডিয়া’ ভাল ফল করতে পারে বলে প্রকাশ সমীক্ষায়। এখনই নির্বাচন হলে তামিলনাড়ুতে ‘ইন্ডিয়া’ পেতে পারে ৩০-৩৪টি আসন। এ রাজ্যে এনডিএ পেতে পারে ৪-৮টি আসন। কর্নাটকে ‘ইন্ডিয়া’ পেতে পারে ৮-১০টি আসন। এ রাজ্যে এনডিএ পেতে পারে ১৮-২০টি আসন। এই সমীক্ষা থেকেই জানা গিয়েছে, মহারাষ্ট্র ও বিহারে এনডিএকে ভালই টক্কর দেবে ‘ইন্ডিয়া’। পশ্চিমবঙ্গে ভাল ফল করবে তৃণমূল, তবে কমবে জয়ের ব্যবধান।

    আরও পড়ুুন: “২০১৪ সালের পর দেশে দুর্নীতি বন্ধ হয়েছে”, মধ্যপ্রদেশে বললেন মোদি

    গত ১৮ জুলাই থেকে ১৯ অগাস্ট পর্যন্ত একটি সমীক্ষা চালিয়েছিল এবিপি নিউজ-সি ভোটার-ও। সমীক্ষায় অংশ নিয়েছিলেন ৭ হাজার ৬৭৯ জন। এই সমীক্ষায় অংশগ্রহণকারীদের (Lok Sabha Election) মধ্যে ৬২ শতাংশই প্রধানমন্ত্রী পদে দেখতে চেয়েছেন নরেন্দ্র মোদিকে। রাহুল গান্ধীকে প্রধানমন্ত্রী পদে দেখতে চেয়েছেন মাত্র ২০ শতাংশ মানুষ। এর পরেই রয়েছেন অরবিন্দ কেজরিওয়াল। তাঁর পক্ষে ভোট পড়েছে ৬ শতাংশ। যোগী আদিত্যনাথকে প্রধানমন্ত্রী পদে দেখতে চেয়েছেন তিন শতাংশ মানুষ। ৯ শতাংশ মানুষ চেয়েছেন অন্যদের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দেখতে। এই অন্যদের তালিকায় রয়েছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

     

     

  • Jadavpur University: ব়্যাগিং রুখতে যাদবপুরে কুইক রেসপন্স টিম, আর কী সিদ্ধান্ত হল বৈঠকে?  

    Jadavpur University: ব়্যাগিং রুখতে যাদবপুরে কুইক রেসপন্স টিম, আর কী সিদ্ধান্ত হল বৈঠকে?  

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে (Jadavpur University) ছাত্র মৃত্যুর জেরে তোলপাড় হয়েছে রাজ্য রাজনীতি। তার জেরে এবার সম্বিত ফিরল বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের। ব়্যাগিং রুখতে নেওয়া হল কুইক রেসপন্স টিম তৈরির সিদ্ধান্ত। বিশ্ববিদ্যালয়ের দু’কিমি এলাকার মধ্যে থাকবে এই টিম। বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস ও হস্টেলে কোনওরকম অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটলে দ্রুত পদক্ষেপ করবে এই টিম। আজ, সোমবার বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যান্টি-ব়্যাগিং কমিটির বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এদিনের বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বিভাগীয় প্রধানরা। ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার স্নেহমঞ্জু বসুও।  

    অ্যান্টি-ব়্যাগিং কমিটির বৈঠক 

    ৯ অগাস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের প্রথমবর্ষের এক ছাত্রের অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়। ঘটনায় উঠেছে ব়্যাগিংয়ের অভিযোগ। তারপরেই এদিন পদক্ষেপ করেন বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এদিনের বৈঠকে সিসি ক্যামেরা বসানো নিয়েও আলোচনা (Jadavpur University) হয়েছে। যদিও এ ব্যাপারে কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। জানা গিয়েছে, অ্যান্টি-ব়্যাগিং কমিটির তরফে কথা বলা হবে স্নাতক থেকে স্নাতকোত্তর স্তরের পড়ুয়াদের সঙ্গে। তাঁদের ভয় কাটাতেই অবলম্বন করা হবে এই পন্থা। যেসব অধ্যাপক মেন্টর হিসেবে কাজ করেন, তাঁদের সঙ্গে আলাদা করে বৈঠক করা হবে। পড়ুয়াদের কাউন্সেলিংয়ের পাশাপাশি কথা বলা হবে তাঁদের অভিভাবকদের সঙ্গেও।

    ব়্যাগিং ও বুলিং বন্ধে ব্যবস্থা

    ব়্যাগিং ও বুলিং বন্ধে অ্যান্টি-ব়্যাগিং কমিটির সদস্যদের আরও বেশি করে তৎপর হতে বলা হয়েছে। চার বছর ধরে বন্ধ রয়েছে ছাত্র সংসদ নির্বাচন। সেই নির্বাচন যাতে দ্রুত সেরে ফেলা যায়, সে বিষয়ে সরকারের কাছে আবেদন জানানো হবে বলেও জানান উপাচার্য বুদ্ধদেব সাউ। তিনি বলেন, “আজকের বৈঠকে নির্বাচনের ব্যাপারে রেজোলিউশন নেওয়া হয়েছে। সেই মোতাবেক আমরা রাজ্যকে জানাব, যাতে তাড়াতাড়ি নির্বাচন করানো যায়।”

    আরও পড়ুুন: “২০১৪ সালের পর দেশে দুর্নীতি বন্ধ হয়েছে”, মধ্যপ্রদেশে বললেন মোদি

    উপাচার্য (Jadavpur University) জানান, ব়্যাগিং রুখতে ওরিয়েন্টশন প্রোগ্রাম চালু করার কথা ভাবা হয়েছে। হস্টেলের প্রতিটি বিল্ডিংয়ের এন্ট্রিতে সিসি ক্যামেরা লাগানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। হস্টেলের আবাসিকদের জন্য ব্যবস্থা করা হবে আইডি কার্ডের। বহিরাগত কাদের ঢুকতে দেওয়া হবে, সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। তাঁদের জন্য লগবুক রাখা হবে। লগবুকে নাম লিখে তবেই ঢোকা যাবে হস্টেলে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

     

  • PM Modi: “২০১৪ সালের পর দেশে দুর্নীতি বন্ধ হয়েছে”, মধ্যপ্রদেশে বললেন মোদি

    PM Modi: “২০১৪ সালের পর দেশে দুর্নীতি বন্ধ হয়েছে”, মধ্যপ্রদেশে বললেন মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “দুর্নীতি ও কেলেঙ্কারির যুগে ২০১৪ সালের আগে অ্যাকাউন্টে টাকা পৌঁছানোর আগেই দরিদ্রদের অধিকার ও তাঁদের অর্থ লুট করা হত। আর এখন প্রতিটি পয়সা সরাসরি তাঁদের অ্যাকাউন্টে পৌঁছে যাচ্ছে। সিস্টেমের মধ্যে থাকা এই লিকেজ বন্ধ করে দরিদ্রদের কল্যাণে আরও অর্থ ব্যয় করা হচ্ছে।” সোমবার কথাগুলি বললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)।

    বিরোধীদের নিশানা মোদির

    এদিন মধ্যপ্রদেশের ভোপালে সিএম রাইজ গভর্নমেন্ট মহাত্মা গান্ধি উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে নবনিযুক্ত শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ-কাম-ওরিয়েন্টেশন প্রোগ্রামে ভাষণ দেন প্রধানমন্ত্রী। সেখানেই তিনি নিশানা করেন বিরোধীদের। তিনি বলেন, “অমৃতকালের প্রথম বছরেই ইতিবাচক খবর আসতে শুরু করেছে। যার ফলে সমৃদ্ধি ক্রমবর্ধমান ও দারিদ্র হ্রাস পাচ্ছে। মানুষ নিম্ন থেকে উচ্চ আয়ের গোষ্ঠীতে চলে আসছেন।” ২০১৪ সালে কেন্দ্রের ক্ষমতায় আসে নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে বিজেপি সরকার। তার পর যে দেশের অবস্থার বিশেষ বদল হয়েছে, এদিন নীতি আয়োগের একটি রিপোর্ট তুলে ধরে তা দাবি করেন প্রধানমন্ত্রী।

    ‘করের টাকা ভাল কাজে’

    তিনি বলেন, “গত পাঁচ বছরে ভারতে ১৩.৫০ কোটি মানুষ বিপিএল তালিকা থেকে বেরিয়ে আসতে পেরেছেন। তাঁরা এখন দারিদ্রসীমার ঊর্ধ্বে জীবনযাপন করছেন। সরকার সরাসরি অ্যাকাউন্টে টাকা পাঠাচ্ছে বলেই এটা সম্ভব হচ্ছে। তাছাড়া সাধারণ নাগরিকের করের টাকা ভালো কাজে ব্যবহার হচ্ছে, এটা বুঝতে পেরে আয়কর দাতার সংখ্যা ক্রমশ বাড়ছে। নীতি আয়োগের রিপোর্ট অনুযায়ী, গত ন’ বছরে আয়কর রিটার্নের সংখ্যা বেড়েছে ১৩ লাখ।”

    প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) বলেন, “বিভিন্ন তথ্য বলছে নানা ক্ষেত্রে শক্তি বৃদ্ধি পাচ্ছে। কর্মসংস্থান তৈরি হচ্ছে। নাগরিকদের বিশ্বাস বেড়েছে। প্রতিটি পয়সা দেশের উন্নয়নে ব্যয় হবে এই বিশ্বাস নিয়েই সাধারণ মানুষ তাঁদের কর জমা দিচ্ছেন। সেই কারণেই দেশের অর্থনীতি ২০১৪ সালের দশম অবস্থান থেকে পৌঁছেছে বিশ্বের পঞ্চম স্থানে।” তিনি (PM Modi) বলেন, “সরকার আঞ্চলিক ভাষায় শিক্ষাদান চালু করার ওপর জোর দিচ্ছে। এতে দেশে শিক্ষা ব্যবস্থায় আমূল পরিবর্তন আসবে।”

    আরও পড়ুুন: রাজ্যের আর্জি খারিজ, পুর-নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সিবিআই তদন্তে সায় সুপ্রিম কোর্টেরও

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Jadavpur University: যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়কাণ্ডে হাইকোর্টের দ্বারস্থ বিজেপি, দাবি এনআইএ তদন্তের

    Jadavpur University: যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়কাণ্ডে হাইকোর্টের দ্বারস্থ বিজেপি, দাবি এনআইএ তদন্তের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়কাণ্ডে (Jadavpur University) কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ  হল বিজেপি। বিশ্ববিদ্যালয়ে মাওবাদী কার্যকলাপের পাশাপাশি আজাদি স্লোগানের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেন বিজেপির মুখপাত্র রাজর্ষি লাহিড়ি। ঘটনার তদন্তে এনআইএ দাবি করেছে পদ্ম শিবির।

    শুভেন্দুর অভিযোগ

    ৯ অগাস্ট রাতে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম বর্ষের এক ছাত্রের অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়। ঘটনার প্রতিবাদে বিশ্ববিদ্যালয়ের তিন নম্বর গেটের সামনে অবস্থান বিক্ষোভে বসে বিজেপির যুব মোর্চা। ওই কর্মসূচিতে যোগ দিতে গিয়েছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী। ফেরার সময় তাঁকে কালো পতাকা দেখানো হয়। দেওয়া হয় মাওবাদী স্লোগানও। হামলা চালানো হয় তাঁর গাড়িতেও। এর পরেই আরএসএফের বিরুদ্ধে খুনের চেষ্টার অভিযোগ দায়ের করেন শুভেন্দু। তাঁর (Jadavpur University) দাবি, আরএসএফ মাওবাদীদের সেই সংগঠন, যা ভারতে নিষিদ্ধ। এই সংগঠনের বিরুদ্ধে ইউএপিএ প্রয়োগ করার জন্যও যাদবপুর থানার ওসিকে লিখিত অভিযোগ জানান শুভেন্দু।

    আদালতে মামলা

    সোমবার রাজর্ষি মামলা দায়ের করার পাশাপাশি পৃথক একটি মামলার অনুমতি চেয়েছিলেন শুভেন্দু। পুরো বিষয়টি নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানমের ডিভিশন বেঞ্চের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন তাঁরা। মামলা দায়েরের অনুমতিও দেন প্রধান বিচারপতি। আদালতে শুভেন্দুর আইনজীবী বলেন, “ইউএপিএ আইন অনুযায়ী, মাওবাদী সংগঠন নিষিদ্ধ। তা সত্ত্বেও যাদবপুরের মতো প্রতিষ্ঠানে (Jadavpur University) এই অতিবাম সংগঠনগুলো কীভাবে সক্রিয় থাকতে পারে? তাই ছাত্র খুনের ঘটনায় ইউএপিএ ধারা যুক্ত করে এনআইএ তদন্ত হওয়া প্রয়োজন।” তিনি বলেন, “২০২২ সালে নদিয়া জেলা থেকে কিছু মাওবাদী গ্রেফতার হয়েছিলেন। তাঁরা যাদবপুরের ছাত্র ছিলেন। যে ছাত্রটির মৃত্যু হয়েছে, তারও বাড়ি নদিয়ায়। ছেলেটি কিছু জানতে পেরেছিল বলেই তাকে হত্যা করা হল কিনা, সেটা জানা জরুরি। যেহেতু যাদবপুরে মাওবাদীদের মতো নিষিদ্ধ সংগঠন সক্রিয় তাই জাতীয় নিরাপত্তার স্বার্থে এনআইএ তদন্ত চাইছি।”

    আরও পড়ুুন: লিপস অ্যান্ড বাউন্ডসের দফতরে ইডি! ‘কালীঘাটের কাকু’র মেয়ে-জামাইয়ের ফ্ল্যাটে তল্লাশি

    যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়কাণ্ডে (Jadavpur University) আগেই এনআইএ তদন্ত চেয়েছিলেন শুভেন্দু। গ্রেফতার হওয়া ১৩ জন পড়ুয়ার মধ্যে একজন জম্মু-কাশ্মীরের। তাঁকে ওবিসি এ সার্টিফিকেট দিয়ে ভর্তির সুযোগ করে দেওয়া হয়েছে বলেও দাবি করেছিলেন তিনি। শুভেন্দু বলেছিলেন, “জম্মু-কাশ্মীরের ছেলে যাদবপুরে ভর্তি হতে পারে না। তাঁকে রেসিডেন্সিয়াল সার্টিফিকেট দিয়েছে শাসক দলের নেতা। এর সঙ্গে কাদের লিঙ্ক রয়েছে, মধ্যযুগীয় বর্বরতা কারা করতে পারে, তা সহজেই অনুমেয়। একে একেবারে শেকড় থেকে তুলে ফেলতে হবে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Uttarakhand Himachal Pradesh: কেন বারবার প্রকৃতির রোষে বিধ্বস্ত হচ্ছে দেবভূমি উত্তরাখণ্ড, হিমাচল প্রদেশ?

    Uttarakhand Himachal Pradesh: কেন বারবার প্রকৃতির রোষে বিধ্বস্ত হচ্ছে দেবভূমি উত্তরাখণ্ড, হিমাচল প্রদেশ?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রকৃতির রোষানলে বিধ্বস্ত হিমালয়ের পাদদেশের দুই রাজ্য উত্তরাখণ্ড-হিমাচল প্রদেশ (Uttarakhand Himachal Pradesh)। মেঘভাঙা বৃষ্টি, প্রবল বর্ষণ এবং ধসের জেরে তছনছ হয়ে গিয়েছে শিল্পীর ক্যানভাসে নিপুণ হাতে আঁকা ছবির মতো সুন্দর দুই রাজ্য। কোথাও প্রবল বর্ষণের জেরে বন্যা পরিস্থিতি, কোথাও আবার মেঘভাঙা বৃষ্টিতে জল থইথই অবস্থা, আবার কোথাও ধসের কবলে ঘরবাড়ি, দোকানদানি, কলকারখানা, মন্দির। ধসের জেরে বিভিন্ন এলাকায় বাড়িতে ধরেছে ফাটল। ভয়ে ঘরছাড়া শ’ খানেক পরিবার। বৃষ্টি এবং ধসের কারণে দুই রাজ্যেই মৃতের সংখ্যা একশো ছুঁইছুঁই। উত্তরাখণ্ডের জোশী মঠ সহ বিভিন্ন ধসপ্রবণ এলাকায় আক্ষরিক অর্থেই প্রাণ হাতে করে বাস করছেন কয়েক হাজার মানুষ। জুলাইয়ের পর অগাস্ট মাসেও প্রকৃতির ধ্বংসলীলা চলায় কার্যত পথে বসেছে পাহাড়ি এই দুই রাজ্য।

    প্রকৃতির তাণ্ডব

    প্রশ্ন হল, কেন বারংবার প্রকৃতি তাণ্ডব চালাচ্ছে এই দুই রাজ্যে (Uttarakhand Himachal Pradesh)? কেন ইদানিং বিপর্যস্ত হচ্ছে দেবভূমি উত্তরাখণ্ড? বিশেষজ্ঞদের মতে, পরিকল্পনাহীন নগরায়নই কাল হয়েছে এই দুই রাজ্যে। নির্বিচারে অরণ্য ধ্বংস করে বসত বাড়ি গড়ছে মানুষ। উন্নয়ন যজ্ঞে আহুতি দেওয়া হচ্ছে গাছপালা। কোথাও রাস্তা তৈরি করতে গিয়ে কাটা পড়ছে গাছ, কোথাও আবার নান্দনিক শোভা বাড়াতে পাহাড়ে চলছে খোদাইয়ের কাজ। পাথর কেটে হচ্ছে নির্মাণও। নদীতে বাঁধ দিয়ে চলছে জলবিদ্যুৎ উৎপাদন। যাতে ব্যাহত হয়েছে পাহাড়ি নদীর স্বাভাবিক গতি। নদীর জমি চুরি করে গড়ে তোলা হচ্ছে বিলাসবহুল রিসর্ট, হোটেল, বাড়ি। কোথাও আবার কয়লা পুড়িয়ে চলছে তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র। দূষণের জেরে বিপন্ন হচ্ছে প্রকৃতি।

    প্রকৃতির প্রতিশোধ!

    নদীর জমি চুরি করার প্রতিশোধ নিচ্ছে প্রকৃতি। পাহাড়ি নদীর জল বইছে বিপদসীমার ওপর দিয়ে। যে কোনও মুহূর্তে কূল ভাসিয়ে বাসিন্দাদের আকূল পাথারে ফেলতে পারে অলকানন্দা, বিপাশার মতো নদী। পাহাড়ের স্বাভাবিক পরিবেশ বদলে উন্নয়ন করতে গিয়ে যেভাবে নির্বিচারে ধ্বংস করা হচ্ছে জঙ্গল, তারও শোধ নিচ্ছে প্রকৃতি। যার জেরে যত্রতত্র নামছে ধস। এই ধস গিলছে ঘরবাড়ি, রাস্তাঘাট সহ অনেক কিছুই। পরিসংখ্যান বলছে, ২০২০ সালে হিমাচল প্রদেশে ধস নেমেছিল ২০ বার। আর এবার গত ১১৩ দিনে ধস নেমেছে ৫৫ বার।

    এর ওপর রয়েছে মনসুন ট্রাফের চোখ রাঙানি। ফি বর্ষায় এই দুই রাজ্যে (Uttarakhand Himachal Pradesh) তৈরি হয় নিম্নচাপ অঞ্চল। আবহাওয়াবিদদের ভাষায় এটাই হল মনসুন ট্রাফ। এর জেরেই হচ্ছে তুমুল বৃষ্টি। বিশেষজ্ঞদের মতে, এই ত্রিফলায় বিদ্ধ হচ্ছে উত্তরাখণ্ড, হিমাচল প্রদেশ। যার ক্ষত সারবে না সহজে।

    আরও পড়ুুন: ‘‘কাশ্মীরের মতো যাদবপুরও ঠান্ডা হবে’’, তোপ দিলীপের

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • RBI: আনক্লেইমড ডিপোজিটের হদিশ পেতে নয়া পোর্টাল রিজার্ভ ব্যাঙ্কের, কীভাবে পাবেন খোঁজ?

    RBI: আনক্লেইমড ডিপোজিটের হদিশ পেতে নয়া পোর্টাল রিজার্ভ ব্যাঙ্কের, কীভাবে পাবেন খোঁজ?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার আনক্লেইমড ডিপোজিটের হদিশ পেতে নয়া পোর্টাল চালু করল রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া (RBI)। ইউডিজিএএম (UDGAM) নামের এই পোর্টাল সার্চ করলেই গ্রাহক জানতে পারবেন কোথাও স্থায়ী আমানত কিংবা অন্য কোনওভাবে কোনও টাকা দীর্ঘদিন ধরে জমা রয়েছে কিনা। সেভিংস কিংবা কারেন্ট অ্যাকাউন্টে ১০ বছর ধরে কোনও টাকা পড়ে থাকলে (ওই অ্যাকাউন্টে লেনদেন না হলে) বা কোনও আমানতের মেয়াদ পেরনোর পরে ১০ বছর কেটে গেলেও, টাকা তোলা না হলে তাকে আনক্লেইমড ডিপোজিট বলে। কোন কোন ব্যাঙ্কে এই আনক্লেইমড ডিপোজিট রয়েছে, এক সঙ্গে যাতে তার সন্ধান মেলে, তার জন্যই এই পোর্টাল চালু করেছে দেশের শীর্ষ ব্যাঙ্ক। এই পোর্টালই বলে দেবে, কোন কোন ব্যাঙ্কে গ্রাহকের আনক্লেইমড ডিপোজিট রয়েছে, তার খোঁজ। এবার জেনে নেওয়া যাক কীভাবে ‘গুপ্তধনে’র খোঁজ মিলবে।

    কীভাবে সার্চ করবেন?

    প্রথমে এই পোর্টালে (https:/udgam.rbi.org.in/unclaimed-deposits/#/register) যেতে হবে। রেজিস্টার করতে হবে (RBI) ফোন নম্বর দিয়ে। দিতে হবে নাম। পাসওয়ার্ড দিয়ে ক্যাপচা দিন। চেকবক্সে টিক করে নেক্সট ক্লিক করলে আসবে ওটিপি। ওটিপি দিন। যাঁর নামে খুঁজছেন, তাঁর নাম নির্দিষ্ট জায়গায় দিন। তালিকা থেকে বেছে নিন ব্যাঙ্কের নাম। এবার দেখুন আপনাকে কয়েকটি অপশন দেওয়া হয়েছে। এখানে কোনও একটি বা একাধিক বিভাগের নির্দিষ্ট তথ্য দিতে হবে। যেমন, প্যান, ভোটার আইডি, ড্রাইভিং লাইসেন্স, পাসপোর্ট নম্বর, জন্ম তারিখ। এবার সার্চ অপশনে ক্লিক করলেই চলে আসবে দাবিহীন আমানতের (যদি থাকে) তালিকা।

    কোন কোন ব্যাঙ্কে মিলবে সুবিধা?

    তবে এখনই দেশের সব (RBI) ব্যাঙ্ক সংক্রান্ত খোঁজ এই পোর্টালে মিলবে না। মিলবে কেবল স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া, পঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাঙ্ক, সেন্ট্রাল ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া, ধনলক্ষ্মী ব্যাঙ্ক লিমিটেড, সাউথ ইন্ডিয়ান ব্যাঙ্ক লিমিটেড, ডিবিএস ব্যাঙ্ক ইন্ডিয়া লিমিটেড এবং সিটিব্যাঙ্ক। এ বাদে দেশে আর যেসব ব্যাঙ্ক বাকি রইল, সেগুলির সুবিধাও মিলবে চলতি বছরের অক্টোবরের মধ্যেই।

    আরও পড়ুুন: পুলওয়ামায় সেনার হাতে নিহত লস্কর কমান্ডার সহ ২ জঙ্গি

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

     
     
  • Amit Shah: “বিজেপি একটি ‘বিমারু’ রাজ্যকে উন্নত রাজ্যে নিয়ে এসেছে”, মধ্যপ্রদেশে দাবি শাহের  

    Amit Shah: “বিজেপি একটি ‘বিমারু’ রাজ্যকে উন্নত রাজ্যে নিয়ে এসেছে”, মধ্যপ্রদেশে দাবি শাহের  

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “বিজেপি একটি অসুস্থ রাজ্যকে দেশের উন্নত রাজ্যের সমকক্ষে নিয়ে এসেছে।” মধ্যপ্রদেশ বিধানসভা নির্বাচনের রণকৌশল স্থির করতে গোয়ালিয়রে গিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। সেখানেই একথা বললেন তিনি। বিজেপি সরকারের রিপোর্ট কার্ড প্রকাশ করে শাহ বলেন, “মধ্যপ্রদেশের বিমারু তকমা সরাতে সফল হয়েছে বিজেপি সরকার।”

    রাজ্যে উন্নয়নের জোয়ার

    এদিন গোয়ালিয়রে দলের ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠকে যোগ দিয়েছিলেন শাহ। বৈঠক শেষে তুলে ধরেন রিপোর্ট কার্ড। তিনি বলেন, “২০ বছর আগে বিজেপি সরকার অসুস্থ রাজ্য হিসেবে মধ্যপ্রদেশকে নিয়েছিল এবং কুড়ি বছরের মধ্যে দেশের উন্নত রাজ্যগুলির সমকক্ষে নিয়ে এসেছে। আগামিদিনে প্রধানমন্ত্রী মোদিজির নেতৃত্বে কীভাবে এই রাজ্যকে আরও এগিয়ে নিয়ে যাওয়া হবে, তারও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।” বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ আশিস বসু এক সময় উন্নয়নের নিরিখে বিহার, সংযুক্ত মধ্যপ্রদেশ, রাজস্থান ও উত্তরপ্রদেশকে ‘বিমারু’ রাজ্য বলে উল্লেখ করেছিলেন।

    কংগ্রেসকে নিশানা শাহের 

    এদিন সে প্রসঙ্গ টেনে শাহ (Amit Shah) বলেন, “কংগ্রেসের ৫৩ বছরের শাসনকালে মধ্যপ্রদেশকে বিমারু রাজ্য হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছিল। সেই অবস্থা থেকে বিজেপি এ রাজ্যকে উন্নত রাজ্যের স্তরে নিয়ে গিয়েছে। প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী কমলনাথকেও এদিন একহাত নেন শাহ। তিনি বলেন, “রাজ্যকে লুঠ করেছে কমলনাথের সরকার।” আসন্ন নির্বাচনে মধ্যপ্রদেশে ফের ক্ষমতায় আসবে বিজেপি, দাবি শাহের। লোকসভা নির্বাচনে রাজ্যের ২৯টি আসনের মধ্যে বিজেপি ২৭টি পাবে বলেও দাবি করেন শাহ। এদিনের বৈঠকে রাজ্যের সমস্ত বিধায়ক, সাংসদ, দলের জেলা সভাপতিদের পাশাপাশি উপস্থিত ছিলেন হাজার দেড়েক দলীয় নেতা-কর্মীও।  

    আরও পড়ুুন: লোকসভা নির্বাচনের আগেই এক লক্ষ গ্রামে গিয়ে ১ কোটি সদস্য সংগ্রহ করবে কিষান সংঘ

    বৈঠক শেষে শাহ (Amit Shah) বলেন, “২০০৩ সালে মধ্যপ্রদেশবাসী একটি ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। তাঁরা মিস্টার বাঁতাধরকে (প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী কংগ্রেসের দিগ্বিজয় সিংহ) সরিয়ে আমাদের ক্ষমতায় নিয়ে এসেছিলেন।” কংগ্রেসকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে তিনি বলেন, “গত প্রায় পাঁচ দশক রাজ্য শাসন করেছে কংগ্রেস। রিপোর্ট কার্ড দেখাক তো!” তিনি বলেন, “মধ্যপ্রদেশের জন্ম ১৯৫৬ সালে। মাঝে পাঁচ-ছ বছর বাদ দিলে তখন থেকে ২০০৩ সাল পর্যন্ত রাজ্যের ক্ষমতায় ছিল কংগ্রেস। তার পরেও তাদের শাসনে মধ্যপ্রদেশ ছিল বিমারু।”

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share