Author: Krishnendu Bakshi

  • Onion: পেঁয়াজের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে রফতানিতে ৪০ শতাংশ শুল্ক আরোপ কেন্দ্রের

    Onion: পেঁয়াজের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে রফতানিতে ৪০ শতাংশ শুল্ক আরোপ কেন্দ্রের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: টোম্যাটোর দামের আঁচে হাত পুড়েছিল দেশবাসীর। পেঁয়াজের (Onion) দামও যাতে মধ্যবিত্তের হাতে ছ্যাঁকা না লাগায়, তাই পেঁয়াজ রফতানিতে ৪০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করল কেন্দ্রীয় সরকার। এর ফলে পেঁয়াজের জোগান বৃদ্ধি পাবে। অর্থনীতির সূত্র মেনে ভারসাম্য থাকবে চাহিদা ও জোগানের। ফলে দামও চলে যাবে না ধরাছোঁয়ার বাইরে।

    পেঁয়াজের দাম

    পেঁয়াজের (Onion) দাম অবশ্য এখনও মধ্যবিত্তের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে চলে যায়নি। তবে সেপ্টেম্বরেই পেঁয়াজের দামের আঁচে ছ্যাঁকা লাগতে পারে। সেই কারণেই পেঁয়াজ রফতানিতে আরোপ করা হল ৪০ শতাংশ শুল্ক। এই বিধি জারি থাকবে চলতি বছরের শেষ দিন পর্যন্ত। জানা গিয়েছে, বর্তমানে দেশে মজুত রয়েছে তিন লক্ষ টন পেঁয়াজ। তাই রফতানি না হলে দাম খুব একটা বাড়ার কথা নয়। যদিও ১০ অগাস্ট পেঁয়াজের সর্বভারতীয় দর ছিল কেজি প্রতি ২৭.৯০ পয়সা। এ থেকেই মূল্য বৃদ্ধির ইঙ্গিত পায় কেন্দ্র। কেননা গত বছর এই সময় পেঁয়াজের সর্বভারতীয় দর ছিল ২৫.৯০ পয়সা। তার পরেই দাম নিয়ন্ত্রণে আনতে উদ্যোগী হয় কেন্দ্র। চাপানো হয় শুল্ক।

    শুল্কের দাওয়াই 

    আগামী বছর দেশে সাধারণ নির্বাচন। তার আগে টোম্যাটো, পেঁয়াজের (Onion) মতো নিত্য প্রয়োজনীয় সবজির দাম বেড়ে বেড়ে যাক, তা চাইছে না কেন্দ্র। কিছুদিন আগেই টোম্যাটোর দাম পৌঁছে গিয়েছিল কেজি প্রতি দুশোর ঘরে। নেপাল থেকে টোম্যাটো আমদানি করার কথা ঘোষণা করে কেন্দ্র। ভর্তুকিও দেয়। তবে ভর্তুকিযুক্ত দামে টোম্যাটো বিক্রি হলেও, চাহিদার তুলনায় তা কম। টোম্যাটোর দামে রাশ টানতে ন্যাশনাল কো-অপারেটিভ কনজিউমার্স ফেডারেশন ও ন্যাশনাল এগ্রিকালচার কো-অপারেটিভ মার্কেটিং ফেডারেশনকে পাইকারি বাজারে টোমাট্যো ৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রির নির্দেশও দিয়েছে কেন্দ্র। স্বাধীনতা দিবস থেকেই পাইকারি বাজারে টোম্যাটো বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকা কেজি দরে। তার জেরে ইদানিং টোম্যাটোর দাম চলে এসেছে মধ্যবিত্তের নাগালে। ৬০-৭০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে এই লাল আনাজ। টোম্যাটোর পর ফের যাতে পেঁয়াজের (Onion) ঝাঁঝে চোখের জল ফেলতে না হয় মধ্যবিত্তকে, তাই শুল্কের দাওয়াই প্রয়োগ কেন্দ্রীয় সরকারের।

    আরও পড়ুুন: তদন্ত চলাকালীন পদত্যাগ ডিনের, যাদবপুরকাণ্ডে প্রতিক্রিয়া দিলেন ধর্মেন্দ্র প্রধান

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • RSS: লোকসভা নির্বাচনের আগেই এক লক্ষ গ্রামে গিয়ে ১ কোটি সদস্য সংগ্রহ করবে কিষান সংঘ

    RSS: লোকসভা নির্বাচনের আগেই এক লক্ষ গ্রামে গিয়ে ১ কোটি সদস্য সংগ্রহ করবে কিষান সংঘ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২০২৪ সালে লোকসভা নির্বাচন। তার আগে পথে নামছে আরএসএস (RSS) অনুমোদিত ভারতীয় কিষান সংঘ। দেশজুড়ে সদস্য সংগ্রহ অভিযানে নামবে তারা। ভারতীয় কিষান সংঘ স্থির করেছে, সাধারণ নির্বাচনের আগে এক কোটি সদস্য সংগ্রহ করবে। এক লক্ষ গ্রামে গিয়ে সংগ্রহ করা হবে ওই পরিমাণ সদস্য।

    কৃষকদের কাছে পৌঁছনো

    কিষান সংঘের এক কর্তার অবশ্য দাবি, এর সঙ্গে লোকসভা নির্বাচনের কোনও সম্পর্ক নেই। তিনি বলেন, “সদস্য সংগ্রহ অভিযানের সঙ্গে সাধারণ নির্বাচনের কোনও সম্পর্ক নেই। আমরা আমাদের কাজ করি। আমাদের কাজই হল কৃষকদের কাছে পৌঁছনো, তাঁদের উদ্বেগের কথা জেনে সরকারের কাছে তুলে ধরা। সেটা কেন্দ্র এবং রাজ্য উভয় সরকারের কাছেই।” জানা গিয়েছে, সদস্য সংগ্রহ অভিযান শুরু হবে চলতি বছরের ডিসেম্বরে।

    লক্ষ্য লক্ষ গ্রাম

    চলবে আগামী বছরের জানুয়ারি পর্যন্ত। কিষান সংঘের (RSS) তরফে দীনেশ কুলকার্নি বলেন, “সংগঠনের লক্ষ্যই হল অন্তত এক লক্ষ গ্রামে যাওয়া। এই গ্রামগুলির এক কোটিরও বেশি বাসিন্দার কাছে যাওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে। এঁদের ভারতীয় কিষান সংঘের সদস্য করা হবে।” তিনি বলেন, “মোদি সরকার যেসব কল্যাণমূলক পদক্ষেপ করেছে, সেগুলি তুলে ধরা হবে তাঁদের সামনে। এর পাশাপাশি কিষান সংঘ কৃষকদের জন্য কী কী কাজ করেছে, তাও তুলে ধরা হবে।” কোভিড অতিমারির আগেও এই ধরণের অভিযান হয়েছিল বলে মনে করিয়ে দেন কুলকার্নি। তিনি বলেন, “ভারতে সাড়ে ৬ লক্ষ রেভেন্যু গ্রাম রয়েছে। আমাদের অভিযানের লক্ষ্যই হল এই গ্রামগুলির কৃষকদের সঙ্গে সংগঠনের যোগসূত্র স্থাপন করা।” তিনি বলেন, “আমরা বিশেষত পঞ্জাবের কৃষকদের কাছে পৌঁছতে চাইছি।”

    আরও পড়ুুন: তদন্ত চলাকালীন মাঝ পথে পদত্যাগ ডিনের, যাদবপুরকাণ্ডে ঘনাচ্ছে রহস্য

    আরএসএসের (RSS) এক কর্তা বলেন, “আমাদের লক্ষ্যই হল প্রত্যন্ততম গ্রামের কৃষকটির কাছেও পৌঁছে যাওয়া। কৃষক সম্প্রদায়ের সমস্যা তুলে ধরতে আমরা প্রতিবাদ করে চলেছি। স্মারকলিপিও দিয়েছি। গ্রামাঞ্চলে তাঁদের সমস্যা তুলে ধরতে আমরা তরুণ কৃষকদের কিষান সংঘের সদস্য করার চেষ্টা করছি। সদস্য সংগ্রহ অভিযানের কাজ ইতিমধ্যেই শুরু করে দিয়েছে স্থানীয় ইউনিটগুলি।”

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • INDIA: ছত্তিশগড়ের সভায় কংগ্রেসকে নিশানা আপ সুপ্রিমোর, ভাঙনের পথে ‘ইন্ডিয়া’?

    INDIA: ছত্তিশগড়ের সভায় কংগ্রেসকে নিশানা আপ সুপ্রিমোর, ভাঙনের পথে ‘ইন্ডিয়া’?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শনির দশা চলছে ‘ইন্ডিয়া’য় (INDIA)? ‘ইন্ডিয়া’র সদস্যদের নিষেধ না শুনে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে মঞ্চ শেয়ার করেছিলেন এনসিপি নেতা শারদ পাওয়ার। তা নিয়ে সংগঠনের অন্দরেই হয়েছিল গুঞ্জন। এবার ফের কাদা ছোড়াছুড়ি হল কংগ্রেস এবং আপের। ‘ইন্ডিয়া’য় রয়েছে এই দুই রাজনৈতিক দলই। তার জেরেই উঠছে প্রশ্ন, ‘ইন্ডিয়া’র আয়ু আর কতদিন?

    ‘ইন্ডিয়া’

    লোকসভা নির্বাচনে বিজেপিকে পরাস্ত করতে জোট বেঁধেছে বিজেপি বিরোধী ২৬টি রাজনৈতিক দল। পূর্বতন ‘ইউপিএ’ নাম বদলে নয়া নাম হয়েছে ‘ইন্ডিয়া’। এই ‘ইন্ডিয়া’য় যেমন আপ রয়েছে, তেমনি রয়েছে কংগ্রেস। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তৃণমূলের পাশাপাশি রয়েছে শারদ পাওয়ারের এনসিপি। এই ‘ইন্ডিয়া’র অন্দরেই এবার ফের অশান্তির আগুন। দোরগোড়ায় ছত্তিশগড় বিধানসভার নির্বাচন। নির্বাচনী প্রচারে সে রাজ্যে গিয়েছিলেন আপ সুপ্রিমো অরবিন্দ কেজরিওয়াল। ছত্তিশগড়ের রাশ রয়েছে কংগ্রেসের হাতে।

    কেজরির নিশানায় কংগ্রেস

    সেখানে রায়পুরের ভরা জনসভায় কেজরিওয়াল বলেন, “আমি (INDIA) একটা রিপোর্ট পড়েছিলাম যেখানে ছত্তিশগড়ের সরকারি স্কুলগুলির বেহাল দশার উল্লেখ করা হয়েছে। সরকার একাধিক স্কুল বন্ধ করে দিয়েছে। এমনও অনেক স্কুল রয়েছে, যেখানে ১০টি ক্লাস রয়েছে, কিন্তু শিক্ষক একজন। অনেক শিক্ষকই ভাল বেতন পান না। তিনি বলেন, দিল্লির সরকারি স্কুলগুলি দেখুন বা দিল্লিতে থাকা আত্মীয়দের জিজ্ঞাসা করুন। স্বাধীনতার পর এই প্রথম এমন সরকার ক্ষমতায় এসেছে যে শিক্ষা ক্ষেত্রে এত কিছু করেছে। আপ ক্ষমতায় এলে ৩০০ ইউনিট পর্যন্ত বিদ্যুৎ বিনা পয়সায় দেওয়ার কথাও ঘোষণা করেন কেজরিওয়াল। এদিনের সভায় তাঁর সঙ্গে ছিলেন পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী তথা আপ নেতা ভগবন্ত মান।

    আরও পড়ুুন: পুলিশকে হুঁশিয়ারি দিয়ে খেজুরিতে ফের সভা, ঘোষণা করলেন শুভেন্দু

    কেজরিওয়ালের এহেন মন্তব্যে বেজায় চটেছে কংগ্রেস (INDIA)। হাত শিবিরের নেতা পবন খেরা বলেন, “দিল্লির সরকারের সঙ্গে ছত্তিশগড় সরকারের তুলনা টানার কী প্রয়োজন? যদি তুলনা করতেই হয়, তবে পূর্ববর্তী রমন সিং সরকারের সঙ্গে তুলনা করুন। আপনি নিজের পছন্দ মতো কোনও একটি ক্ষেত্র বেছে নিন। তারপর দিল্লিতে কংগ্রেস সরকার আর আপনার সরকারের কাজের মধ্যে তুলনা করা হোক। বিতর্ক করতে আপনি প্রস্তুত?” প্রসঙ্গত, এই প্রথম নয়, নানা বিষয়ে একাধিকবার অশান্তি হয়েছে ‘ইন্ডিয়া’র অন্দরে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • PM Modi: শাহ-নাড্ডার সঙ্গে বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী, কী নিয়ে আলোচনা হল  জানেন?

    PM Modi: শাহ-নাড্ডার সঙ্গে বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী, কী নিয়ে আলোচনা হল  জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পর পর কয়েকদিন মেঘভাঙা বৃষ্টি ও ধসের জেরে বিধ্বস্ত হিমাচল প্রদেশ। প্রাণহানি, বাড়িঘর ভেঙে পড়া, রাস্তাঘাট চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়া এবং ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। মার খেয়েছে পর্যটন শিল্পও। পুরো পরিস্থিতিকে ‘রাষ্ট্রীয় বিপর্যয়’ বলে ঘোষণা করেছেন সে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী সুখবিন্দর সিং সুখু।

    উদ্বিগ্ন প্রধানমন্ত্রী

    হিমাচল প্রদেশের বিপর্যয়ে উদ্বিগ্ন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi) স্বয়ং। প্রকৃতির রোষে বিধ্বস্ত এই রাজ্যের পরিস্থিতি সম্পর্কে খোঁজ-খবর নিতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ও বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডার সঙ্গে শনিবার বৈঠক করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। আজ, রবিবার হিমাচল প্রদেশের পরিস্থিতি সরেজমিনে খতিয়ে দেখতে যাবেন নাড্ডা। এদিনের বৈঠকে শাহের কাছ থেকে প্রধানমন্ত্রী বিশদে জানতে চান হিমাচল প্রদেশ ও উত্তরাখণ্ডের বন্যা পরিস্থিতি সম্পর্কে।

    শাহকে তদারকি করার নির্দেশ

    প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত এই দুই রাজ্যে ত্রাণ বিলি ও উদ্ধারকাজে যাতে কোনও সমস্যা না হয়, সে ব্যাপারে শাহকে তদারকি করার নির্দেশ দেন প্রধানমন্ত্রী (PM Modi)। এ ব্যাপারে রাজ্য সরকারের সঙ্গে নিবিড় যোগাযোগ রেখে চলার পরামর্শও তিনি দেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে। রবিবার হিমাচলের পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে প্রধানমন্ত্রীকে রিপোর্ট দেবেন নাড্ডা। এদিনের বৈঠকের দ্বিতীয়ার্ধে প্রধানমন্ত্রী আলোচনা করেন পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচন নিয়ে। চলতি বছর শেষ হওয়ার আগেই ভোট হবে মধ্যপ্রদেশ, মিজোরাম, রাজস্থান, ছত্তিশগড় এবং তেলঙ্গনায়। এর মধ্যে দুটি রাজ্যে ক্ষমতায় রয়েছে কংগ্রেস। পাঁচ রাজ্যের রশিই যাতে বিজেপির হাতে আসে, তাই চেষ্টার কসুর করছেন না পদ্ম-নেতৃত্ব।

    আরও পড়ুুন: পুলিশকে হুঁশিয়ারি দিয়ে খেজুরিতে ফের সভা, ঘোষণা করলেন শুভেন্দু

    তাই এদিনের বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী এই পাঁচ রাজ্যের নির্বাচনী কৌশল কী হবে, তা নিয়েও আলোচনা করেন। রবিবার মধ্যপ্রদেশ যাচ্ছেন শাহ। তার আগে প্রধানমন্ত্রীর (PM Modi) সঙ্গে এই বৈঠক বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ বলেই ধারণা রাজনৈতিক মহলের। বছর ঘুরলেই লোকসভা নির্বাচন। সেই নির্বাচনেও যাতে গত বারের চেয়ে আরও বেশি সংখ্যক আসন নিয়ে ক্ষমতায় ফেরা যায়, তা নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে আলোচনা করেছেন শাহ ও নাড্ডা।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
     
  • Jadavpur University: যাদবপুরে ছাত্রের অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনায় গ্রেফতার আরও ৩

    Jadavpur University: যাদবপুরে ছাত্রের অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনায় গ্রেফতার আরও ৩

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: যাদবপুরে প্রথম বর্ষের ছাত্রের অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনায় গ্রেফতার আরও তিন। শুক্রবার প্রাক্তন ও বর্তমান মিলিয়ে আরও তিন ছাত্রকে থানায় ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ। পুলিশ (Jadavpur University) সূত্রে খবর, ৯ অগাস্ট ঘটনার দিন রাতে ওই হস্টেলে একাধিকবার জিবি বৈঠকে বসেন ছাত্ররা। বৈঠকে এই তিনজন ছাড়াও কয়েকজন প্রাক্তনীও উপস্থিত ছিলেন। যাদবপুরকাণ্ডে সৌরভ চৌধুরী নামে আগেই এক প্রাক্তনীকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন, সেই রাতে সৌরভের নেতৃত্বেই জিবির বৈঠক হয়েছিল। এদিন যাদবপুর থানায় আসেন কলকাতা পুলিশের ডিসি (এসএসডি) বিদিশা কালীতা। এদিন তাঁর নেতৃত্বেই জেরা করা হয় ওই তিন ছাত্রকে। তাঁদের কথায় অসঙ্গতি ধরা পড়ায় করা হয় গ্রেফতার।

    ঘটনার পুনর্নির্মাণ

    যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম বর্ষের এক পড়ুয়ার অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়। তার পরেই তোলপাড় হয় রাজ্য-রাজনীতি। প্রাক্তন ও বর্তমান ছাত্র মিলিয়ে এ পর্যন্ত ৯জনকে গ্রেফতার করেছে কলকাতা পুলিশের হোমিসাইড শাখা। শুক্রবার এক পড়ুয়াকে নিয়ে গিয়ে সেই রাতের ঘটনার পুনর্নির্মাণ করিয়েছে পুলিশ। বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার স্নেহমঞ্জু বসু ও ডিন অফ স্টুডেন্টস রজত রায়কে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে লালবাজার।

    যাদবপুরে পথ অবরোধ, বচসা 

    অন্যদিকে, এদিন সন্ধ্যায় যাদবপুরে (Jadavpur University) রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখায় ছাত্রছাত্রীদের একাংশ। দিনের ব্যস্ত সময়ে পথ অবরোধ হওয়ায় ব্যাপক যানজট হয়। বিপাকে পড়েন অফিস ফেরত মানুষজন। বেশ কিছুক্ষণ অবরোধ করে রাখা হয় যাদবপুর থানার সামনের রাস্তা। সার দিয়ে দাঁড়িয়ে যায় গাড়ি। দেখা দেয় ব্যাপক যানজট। গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা অবরোধ হওয়ায় পুলিশের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন সাধারণ মানুষ। অবরোধকারীদের সঙ্গে তুমুল বচসাও হয় নিত্যযাত্রীদের। বেশ কিছুক্ষণের ভোগান্তি শেষে তুলে নেওয়া হয় অবরোধ। ততক্ষণে অবশ্য যানজটে নাভিশ্বাস ওঠার জোগাড় যাত্রীদের।

    আরও পড়ুুন: “২০৪৭ সালের মধ্যে প্রতিটি গ্রামে উন্নয়নের দীপ জ্বালাতে হবে”, বললেন প্রধানমন্ত্রী

    র‍্যাগিং বন্ধে সৌরভের দাওয়াই 

    “র‍্যাগিং (Jadavpur University) বন্ধ করার জন্য তাড়াতাড়ি আইন আনা প্রয়োজন।” শুক্রবার কলকাতার এক অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে এ কথা বললেন প্রাক্তন অধিনায়ক তথা বিসিসিআইয়ের সভাপতি সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। তিনি বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয় পড়াশোনা করার জায়গা। সেটাই মূল লক্ষ্য হওয়া উচিত।র‍্যাগিং বন্ধে কড়া আইন করা উচিত।” 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • PM Modi: “২০৪৭ সালের মধ্যে প্রতিটি গ্রামে উন্নয়নের দীপ জ্বালাতে হবে”, বললেন প্রধানমন্ত্রী

    PM Modi: “২০৪৭ সালের মধ্যে প্রতিটি গ্রামে উন্নয়নের দীপ জ্বালাতে হবে”, বললেন প্রধানমন্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “বিজেপির আসল শক্তি তার কর্মীরা।” শুক্রবার কথাগুলি বললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। এদিন দলীয় জেলা পঞ্চায়েত সদস্যদের সম্মেলনে ভার্চুয়ালি ভাষণ দিচ্ছিলেন প্রধানমন্ত্রী। সেই সময়ই তিনি দলীয় কর্মীদের অবদানের কথা উল্লেখ করেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, “বিজেপির আসল শক্তি তার কর্মীরা এবং তাঁরা সব সময় আমাদের সঙ্গেই থাকেন।”

    পঞ্চায়েতে বেড়েছে বরাদ্দ

    দাদরা নগর হাভেলি এবং দমন দিউয়ে ক্ষেত্রীয় পঞ্চায়েতি রাজ পরিষদের উদ্বোধন করেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী জানান, তাঁর সরকার ৩০ হাজারের বেশি জেলা পঞ্চায়েত ভবন তৈরি করেছে। তিনি বলেন, “আগে জেলা পঞ্চায়েতকে দেওয়া হত ৭০ হাজার কোটি টাকা। আর এখন দেওয়া হয় ৩ লক্ষ কোটি টাকা।” উন্নয়নের ক্ষেত্রে যৌথ দায়িত্ব যে খুবই গুরুত্বপূর্ণ, এদিন তাও মনে করিয়ে দেন প্রধানমন্ত্রী (PM Modi)। তিনি বলেন, “আমরা সংগঠনে বিশ্বাস করি, আমরা মূল্যবোধে বিশ্বাস করি, আমরা ত্যাগে বিশ্বাস করি এবং যৌথ দায়িত্ব নিয়ে আমরা এগিয়ে চলি। আমরা প্রতিনিয়ত সক্ষমতা অর্জন করি, বাড়িয়ে চলি দক্ষতা। উন্নয়ন হওয়া উচিত ব্যক্তি মানুষের পাশাপাশি আঞ্চলিক স্তরেও।”

    উন্নয়নের দিশা

    প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আমি আপনাদের একটি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ খুলতে বলছি। এর মাধ্যমে পরস্পরের সঙ্গে যোগাযোগ রাখুন। একে অন্যকে বলুন, আপনার জেলায় কী কী উন্নয়নমূলক কাজ হচ্ছে, অন্যের জেলায় কী কাজ হচ্ছে, তাও জানুন।” তিনি বলেন, “প্রতি বছর তিনটি সামাজিক সমস্যা খুঁজে বের করুন। সেগুলি সম্পূর্ণ করতে চার মাস করে সময় দিন। এভাবে কাজ করলে আপনি দেখবেন, পাঁচ বছরে পনেরটি সামাজিক সমস্যার সমাধান আপনি করতে পেরেছেন। একশো দিনের কাজ প্রকল্পের টাকায় পুকুর খুঁড়ুন, রাস্তার কাজ করুন কিংবা বৃক্ষরোপণ অভিযান করুন।” প্রধানমন্ত্রী বলেন, “২০৪৭ সালের মধ্যে দেশের প্রতিটি গ্রাম, তহশিল এবং জেলায় উন্নয়নের দীপ জ্বালাতে হবে।”

    আরও পড়ুুন: নকশালপন্থী সংগঠনকে নিষিদ্ধ না করলে যাদবপুরে তালা ঝোলানোর হুঁশিয়ারি এবিভিপির

    প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) বলেন, “উন্নয়নমূলক কাজের গুরুত্ব বিচার করে কাজ সাজান। তারপর শুরু করুন।” তিনি বলেন, “যাঁরা লোকাল বডির বিভিন্ন পদে কাজ করেন তাঁরা তাঁদের গ্রাম বা জেলায় উন্নয়নমূলক কাজ করুন। কোন কাজ আগে করা প্রয়োজন, জনগণের সমর্থন নিয়ে সেই কাজ শেষ করুন।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Manipur: পাহাড়ি এলাকা থেকে এসে এলোপাথাড়ি গুলি, মণিপুরে সংঘর্ষ, মৃত ৩

    Manipur: পাহাড়ি এলাকা থেকে এসে এলোপাথাড়ি গুলি, মণিপুরে সংঘর্ষ, মৃত ৩

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের অশান্তির আগুন মণিপুরে। আজ, শুক্রবার ভোরে উত্তর-পূর্বের এই পাহাড়ি রাজ্যের উখরুল জেলায় দুই গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষ বাঁধে। হয় গুলি বিনিময়ও। সংঘর্ষ থামলে দেহ উদ্ধার হয় কুকি অধ্যুষিত থোয়াই গ্রামের তিন যুবকের। এঁরা হলেন জামখোগিন হাওকিপ, থাঙখোকাই হাওকিপ এবং হ্যালেনসন বাইতে। হিংসা দীর্ণ এই রাজ্যের (Manipur) কুকি সংগঠনগুলির দাবি, মেইতেইরাই খুন করেছে ওই তিনজনকে।

    ফের অশান্তি চিত্রাঙ্গদার দেশে

    পক্ষকাল শান্তি থাকার পরে ফের নতুন করে অশান্তির ঘটনায় ত্রস্ত মণিপুরবাসী। অশান্তির আগুন যাতে অন্যত্র ছড়িয়ে না পড়ে, তাই অতিরিক্ত সেনা মোতায়েন করা হয়েছে থোয়াই গ্রামে। উখরুলের পুলিশ সুপার এন ভাশুম বলেন, “গ্রামের পূর্ব দিকে থাকা পাহাড়ি এলাকা থেকে একদল সশস্ত্র দুষ্কৃতী এসে আচমকা গুলি চালাতে শুরু করে। তারা গ্রামের প্রহরীকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়। ঘটনায় তিনজনের মৃত্যু হয়। আহতের কোনও খবর নেই।

    দুষ্কৃতীদের খোঁজে তল্লাশি অভিযান

    ঘটনার পরে পরেই অভিযুক্তদের খোঁজে (Manipur) যৌথভাবে তল্লাশি অভিযান চালাচ্ছে রাজ্য পুলিশ ও সেনা। গত ৫ অগাস্ট বিষ্ণুপুর ও চূড়াচাঁদপুর জেলায় পৃথক গুলি চালানোর ঘটনায় মেইতেই ও কুকি সম্প্রদায়ের ৫ জনের মৃত্যু হয়েছিল। মৃতদের মধ্যে ছিলেন তিনজন মেইতেই এবং দুজন কুকি সম্প্রদায়ের। তার পর থেকে শান্তির সুপবন বয়ে যাচ্ছিল চিত্রাঙ্গদার দেশে। শুক্রবার ভোরে ফের অশান্তির আগুন জ্বলায় কপালে ভাঁজ প্রশাসনেরও।

    তফশিলি জাতির দাবিতে দীর্ঘদিন ধরেই সরব হয়েছেন মেইতেই সম্প্রদায়ের মানুষ। হিংসার সূত্রপাত তা থেকেই। সংঘর্ষের প্রথম ঘটনাটি ঘটে ৩ মে। হিংসার আগুনে পুড়েছে ঘরবাড়ি, দোকানদানি। ভাঙচুর, লুটপাটের ঘটনাও ঘটেছে। অকালে প্রাণ হারিয়েছেন শতাধিক মানুষ। জখমও হয়েছেন বহু। হিংসার জেরে সব চেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলি হল মেইতেই অধ্যুষিত বিষ্ণুপুর, ইম্ফল পূর্ব, পশ্চিম এবং কাকচিং।

    আরও পড়ুুন: যাদবপুরে ‘হামলা’ শুভেন্দুর ওপর, আরএসএফের বিরুদ্ধে এফআইআর বিরোধী দলনেতার

    কুকি-জোমি অধ্যুষিত চূড়াচাঁদপুর ও কাঙ্গপোকপি এলাকাও ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সব মিলিয়ে পুলিশের কাছে জমা পড়েছে সাড়ে ৬ হাজারেরও বেশি অভিযোগ। মণিপুরের এই হিংসায় অবশ্য জড়িয়ে পড়েননি সে রাজ্যের নাগা সম্প্রদায়ের মানুষ। স্বাধীনতা দিবসে লালকেল্লায় ভাষণ দিতে গিয়ে মণিপুর প্রসঙ্গ টানেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেছিলেন, “মণিপুরে (Manipur) ধীরে ধীরে শান্তি ফিরছে। মণিপুরের সঙ্গে রয়েছে ভারত।”

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
     
  • Suvendu Adhikari: যাদবপুরে ‘হামলা’ শুভেন্দুর ওপর, আরএসএফের বিরুদ্ধে এফআইআর বিরোধী দলনেতার

    Suvendu Adhikari: যাদবপুরে ‘হামলা’ শুভেন্দুর ওপর, আরএসএফের বিরুদ্ধে এফআইআর বিরোধী দলনেতার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বৃহস্পতিবার আরএসএফের কর্মীদের হাতে আক্রান্ত হয়েছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। ওই ঘটনায় এবার এফআইআর দায়ের করলেন তিনি। তাঁর অভিযোগ, যাদবপুরে এবিভিপির সভা সেরে ফেরার সময় ‘পূর্ব-পরিকল্পিত’ হামলা চালানো হয় তাঁর ওপর। এ ব্যাপারে যাদবপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক।

    শুভেন্দুর ট্যুইট

    ট্যুইট-বার্তায় শুভেন্দু লিখেছেন, “গতকাল আমি ভারতীয় জনতা যুব মোর্চা আয়োজিত একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিতে যাদবপুর গিয়েছিলাম। অনুষ্ঠানস্থল থেকে বের হওয়ার সময়, বিকেল ৫:৪০ এর দিকে আমি হঠাৎ করে একদল অজানা আততায়ীর দ্বারা আক্রান্ত হই, যারা নিরাপত্তা লঙ্ঘন করতে সক্ষম হয় এবং স্লোগান দিচ্ছিল এবং কালো পতাকা দেখাচ্ছিল। অজ্ঞাত দুর্বৃত্তরা বিপ্লবী ছাত্র ফেডারেশন এর সদস্য; নিষিদ্ধ মাওবাদী সংগঠনের একটি অতি-বাম ফ্রন্টাল সংগঠন।”

    ‘সমাজবিরোধী কার্যকলাপের আস্তানা’

    রাজ্যের বিরোধী দলনেতা (Suvendu Adhikari) লিখেছেন, “যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়কে জাতীয় ও সমাজবিরোধী কার্যকলাপের আস্তানায় পরিণত করেছে ওই দলের সদস্যরা। তারা প্রতিষ্ঠান বিরোধী এবং বিচ্ছিন্নতাবাদী মতাদর্শকে আশ্রয় করে; যাঁরা সর্বদা সরকারের সমালোচনা করছেন, কিন্তু একই সাথে তাঁদের আনুষ্ঠানিক সমিতি শেষ হওয়ার পরেও, শিক্ষার্থীদের জন্য ভর্তুকিযুক্ত সুবিধাগুলি উপভোগ করার জন্য প্রতিষ্ঠানকে আঁকড়ে ধরে আছেন। আমি এই ঘটনার বিষয়ে একটি এফআইআর দায়ের করেছি।”

    এদিন এফআইআরে শুভেন্দু লিখেছেন, ‘গতকাল আমি যাদবপুর গিয়েছিলাম ভারতীয় যুব মোর্চার সভায় যোগ দিতে। তখন আমার ওপর আক্রণ করে কয়েকজন অজ্ঞাতপরিচয় আততায়ী। তারা আমার নিরাপত্তা ভেঙে কালো পতাকা দেখায় এবং স্লোগান দিতে শুরু করে। এই সব অজ্ঞাতপরিচয় আততায়ী অতি বাম সংগঠন রেভোলিউশনারি স্টুডেন্টস ফেডারেশনের অন্তর্গত। এই বিশ্ববিদ্যালয়ে যে ঘটনা ঘটেছে, তা তুলে ধরতেই কপটতা নেমে আসে। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে দেশ বিরোধী কার্যকলাপ চলে। এই ঘটনার প্রেক্ষিতে আমি এফআইআর করলাম’।

    আরও পড়ুুন: শুভেন্দুকে কালো পতাকা, এবিভিপি-আরএসএফ সংঘর্ষে ধুন্ধুমার, রক্তাক্ত যাদবপুর

    প্রসঙ্গত, প্রথমবর্ষের এক ছাত্রের অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনার প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের (Suvendu Adhikari) তিন নম্বর গেটের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করে এবিভিপি। ওই কর্মসূচিতে যোগ দিতে গিয়েছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। ফেরার সময় তাঁকে কালো পতাকা দেখানো হয়। তার জেরে এবিভিপি এবং আরএসএফের সংঘর্ষ বাঁধে। রক্তাক্ত হয় যাদবপুর।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Jadavpur University: শুভেন্দুকে কালো পতাকা, এবিভিপি-আরএসএফ সংঘর্ষে ধুন্ধুমার, রক্তাক্ত যাদবপুর

    Jadavpur University: শুভেন্দুকে কালো পতাকা, এবিভিপি-আরএসএফ সংঘর্ষে ধুন্ধুমার, রক্তাক্ত যাদবপুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বৃহস্পতিবারের বারবেলায় রক্ত ঝরল যাদবপুরে (Jadavpur University)। প্রথম বর্ষের এক পড়ুয়ার অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনার প্রতিবাদে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের তিন নম্বর গেটের সামনে অবস্থান বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করে এবিভিপি। সেই কর্মসূচিতে যোগ দিতেই যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়েছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। কর্মসূচি সেরে শুভেন্দু বেরিয়ে যেতেই সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে এবিভিপি এবং আরএসএফের কর্মী-সমর্থকরা। ঘটনায় দু পক্ষের বেশ কয়েকজন জখম হন।

    এবিভিপি-আরএসএফ সংঘর্ষ

    স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন কর্মসূচি সেরে বেরিয়ে যাওয়ার সময় শুভেন্দুকে কালো পতাকা দেখানো হয়। তার জেরে সংঘর্ষ বাঁধে এবিভিপি এবং আরএসএফের মধ্যে। তার আগে স্থানীয় থানার ওসি রাজ্যের বিরোধী দলনেতাকে বেরতে বাধা দেন বলে অভিযোগ। এ প্রসঙ্গে (Jadavpur University) শুভেন্দু বলেন, “ওসি আমার পথ আটকে ছিলেন। আমি ওঁকে বলি, মুখ্যমন্ত্রী আপনাকে বেতন দেন? মনে রাখবেন জনগণের ট্যাক্সের টাকায় বেতন হয়। পুলিশ তো তৃণমূলের দলদাসে পরিণত হয়েছে। এরপর মিছিল করতে হলে সঙ্গে কাঁচা বাঁশের লাঠি রাখতে হবে।”

    শুভেন্দুর হুঁশিয়ারি

    এদিনের কর্মসূচিতে যোগ দিয়ে শুভেন্দু জানান, শুক্রবার ১৫ জন বিধায়ককে নিয়ে মৃত ছাত্রের পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে যাবেন তিনি। শুভেন্দু বলেন, “আগামিকাল (শুক্রবার) মৃত ছাত্রের বাড়িতে যাব, সঙ্গে থাকবে ১৫ বিধায়কের দল। ছাত্রের পরিবার চাইলে আইনি লড়াই লড়বে বিজেপি।” তিনি বলেন, “পুলিশের ওপর ভরসা নেই। যাদবপুরে তিন-চারটি সংগঠন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বি-টিম। ব্লিচিং-ফিনাইল দিয়ে এদের পরিষ্কার করতে হবে। এদের উপড়ে ফেলব।” শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু মৃত ছাত্রের নাম নেওয়ায় রাজ্য শিশু সুরক্ষা কমিশনের চেয়ারপার্সনের কাছে তাঁকে নোটিশ পাঠানোর দাবিও জানান শুভেন্দু। বিশ্ববিদ্যালের (Jadavpur University) ভূমিকা নিয়ে ইউজিসিকে চিঠি লিখবেন বলেও জানান তিনি।

    সিবিআই / এনআইএ দাবি

    যাদবপুরকাণ্ডে গ্রেফতার হয়েছেন এক কাশ্মীরি পড়ুয়া। তাঁকে ওবিসি এ সার্টিফিকেট দেওয়া হয়েছিল। এনিয়ে প্রশ্ন তুলে সিবিআই বা এনআইএ তদন্তের দাবি জানান রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। এদিন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুকে হুঁশিয়ারি দিয়ে শুভেন্দু বলেন, “বিধানসভায় শিক্ষামন্ত্রীর কাছে হিসেব বুঝে নেব। শিক্ষামন্ত্রী আপনি পালিয়ে যাবেন না।” এদিকে, যাদবপুরে ছাত্র মৃত্যুর ঘটনায় কড়া পদক্ষেপ করলেন বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। বিশ্ববিদ্যালয়ের ইস্যু করা পরিচয়পত্র ছাড়া রাত ৮টা থেকে সকাল ৭টা পর্যন্ত ক্যাম্পাসে প্রবেশ করা যাবে না জানানো হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে।

    আরও পড়ুুন: বড় চমক বিজেপির! ভোট ঘোষণার আগেই মধ্যপ্রদেশ ও ছত্তিশগড়ে প্রার্থী তালিকা প্রকাশ

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
     
  • Gadar 2: রকেটের গতিতে ছুটছে ‘গদর ২’, মাত্র ছ’ দিনে রোজগার কত জানেন?

    Gadar 2: রকেটের গতিতে ছুটছে ‘গদর ২’, মাত্র ছ’ দিনে রোজগার কত জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কী বলবেন একে? টাইফুন? সুনামি? নাকি হ্যারিকেন? কারণ মাত্র ছ’ দিন আগেই মুক্তি পেয়েছিল ‘গদর ২’ (Gadar 2)। সপ্তাহও পার হয়নি, এর মধ্যেই অনিল শর্মার এ ছবি ঘরে তুলেছে ২০০ কোটিরও বেশি টাকা। সানি দেওল ও আমিশা প্যাটেলের মতো নক্ষত্র খচিত এই ছবি ছুটছে অশ্বমেধের ঘোড়ার গতিতে।

    ‘গদর: এক প্রেমকথা’

    ২০০১ সালে মুক্তি পেয়েছিল ‘গদর: এক প্রেমকথা’। এর পর ‘গদর ২’ মুক্তি পেল বাইশ বছর পরে। তাই প্রথম ছবির সিক্যুয়েল ‘গদর’ প্রথম ছবির সাফল্য স্পর্শ করতে পারবে কিনা, সে প্রশ্ন ছিলই। তবে ছবিটি মুক্তি পাওয়ার পরেই কার্যত উত্তর পেয়ে যান জিজ্ঞাসুরা। স্বাধীনতা দিবসেই এ ছবি ব্যবসা করেছে ৫৫.৪০ কোটি টাকার। ‘গদর ২’-এর (Gadar 2) ট্রেড অ্যানালিস্ট তরণ আদর্শ সোশ্যাল মিডিয়ায় লিখেছেন, “স্বাধীনতা দিবসে ইতিহাস গড়ল। ১৫ অগাস্টে সব চেয়ে বেশি। হ্যাঁ, গদর ২ স্বাধীনতা দিবসে বল পাঠাল মাঠের বাইরে।” তাঁর হিসেব, সব মিলিয়ে এ ছবি এখনই ব্যবসা করেছে ২২৮.৯৮ কোটি টাকার। ব্লক ব্লাস্টারের দৌড় অব্যাহত। তিনি জানান, স্বাধীনতা দিবসে ‘গদর ২’ কেবল সিঙ্গল স্ক্রিনেই দেখানো হয়নি, মাল্টিপ্লেক্সেও দেখানো হয়েছিল।

    ‘গদর ২’-র রোজগার 

    জানা গিয়েছে, ‘গদর ২’ করতে খরচ হয়েছে ২৬১.৩৫ কোটি টাকা। যে টাকার সিংহভাগই উঠে এসেছে মাত্র ছ’ দিনে। শুক্রবার মুক্তি পেয়েছে ছবিটি। সেদিনই ব্যবসা করেছিল ৪০ কোটি টাকার। তার পর থেকে যত দিন গড়িয়েছে, ততই ঊর্ধ্বমুখী হয়েছে রোজগারের লেখচিত্র। শনিবার ‘গদর ২’ ব্যবসা করেছে ৪৩ কোটি টাকার। রবিবার নির্মাতারা ঘরে তুলেছেন ৫১ কোটি টাকা। সোমবার, সপ্তাহের প্রথম দিন হওয়ায় ব্যবসা কিছুটা কমে দাঁড়ায় ৩৮ কোটি টাকায়। আর মঙ্গলবার স্বাধীনতা দিবসে ছবি বেচে আয় হয় ৫৫.৫ কোটি টাকা। মাত্র পাঁচ দিনেই এ ছবি পেরিয়েছে ২০০ কোটির গন্ডি।

    আরও পড়ুুন: তৃণমূলের মঞ্চে খড়দা থানার আইসি, কাউন্সিলারদের তোলাবাজি না করার হুঁশিয়ারি, বিতর্ক

    ষাটোর্ব্ধ সানি বলেন, “আমি দারুণ খুশি। গদরের সিক্যুয়েলটা যখন শ্যুট করছিলাম, তখনও জানতাম না যে ছবিটা দর্শকদের এত ভাল লাগবে।” ছবির পরিচালক অনিল শর্মা বলেন, “গদর ২ এ (Gadar 2) সানি দেওল তারা সিংহ নামে অমৃতসরের এক ট্রাক চালকের ভূমিকায় অভিনয় করছেন। আর আমিশা অভিনয় করছেন তাঁর প্রেয়সী সাকিনার ভূমিকায়। ১৯৪৭ সালের ভারত ভাগের পটভূমিকায় তৈরি হয়েছে গদর ২।”

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

LinkedIn
Share