Author: Krishnendu Bakshi

  • Traditional Medicine: “ট্র্যাডিশনাল মেডিসিনে ভারতের একটি সমৃদ্ধশালী ইতিহাস রয়েছে”, বললেন হু প্রধান

    Traditional Medicine: “ট্র্যাডিশনাল মেডিসিনে ভারতের একটি সমৃদ্ধশালী ইতিহাস রয়েছে”, বললেন হু প্রধান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ট্র্যাডিশনাল মেডিসিনে (Traditional Medicine) ভারতের একটি সমৃদ্ধশালী ইতিহাস রয়েছে। এই ট্র্যাডিশনাল মেডিসিনের মধ্যে আয়ুর্বেদের পাশাপাশি রয়েছে যোগাও। আজ, বৃহস্পতিবার কথাগুলি বললেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান টেডর্স আধানম ঘেব্রেইসাস। এদিন গুজরাটের গান্ধীনগরে ট্র্যাডিশনাল মেডিসিন গ্লোবাল সামিটে যোগ দিয়েছিলেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা কর্তা। সেখানেই তিনি ভারতের ট্র্যাডিশনাল মেডিসিনের ভূয়সী প্রশংসা করেন।

    হু প্রধানের বক্তব্য

    বুধবারই ভারতে এসেছেন হু প্রধান। এদিনের সম্মেলনে তিনি বলেন, “দুরারোগ্য ব্যাধি, মানসিক স্বাস্থ্য এবং অন্য আরও অনেক রোগের চিকিৎসায় ট্র্যাডিশনাল মেডিসিনের (Traditional Medicine) খোঁজ চালাচ্ছে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ। মানুষকে সুস্বাস্থ্য দিতে ট্র্যাডিশনাল মেডিসিনের অবদান কম নয়।” এদিন সম্মেলনের উদ্বোধন করেন টেডর্স। তিনি বলেন, “গতকাল (বুধবার) গুজরাটের একটি স্বাস্থ্যকেন্দ্র দেখার সুযোগ আমার হয়েছিল। এই স্বাস্থ্যকেন্দ্রটি হাজার পরিবারের পাঁচ হাজার সদস্যের স্বাস্থ্যের দেখভাল করে। তাঁরা যেভাবে ওষুধ ব্যবহার করছেন, তা দেখে আমি মুগ্ধ হয়েছিলাম। আমি এও দেখেছি, প্রাথমিক পর্যায়ে কীভাবে তাঁরা ট্র্যাডিশনাল মেডিসিন ব্যবহার করছেন। ট্র্যাডিশনাল মেডিসিনের ক্ষেত্রে একটা বড় ব্যাপার হল মানব স্বাস্থ্যের সঙ্গে পরিবেশের যোগ। জামনগরে খোলা হয়েছে গ্লোবাল ট্র্যাডিশনাল মেডিসিন সেন্টার। গত বছর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে এর উদ্বোধন করার সৌভাগ্য আমার হয়েছিল।”

    ‘ভারতের কাছে বড় সুযোগ’

    এদিনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী মনসুখ মাণ্ডব্যও। তিনি বলেন, “এই বিশ্ব সম্মেলন (Traditional Medicine) ভারতের কাছে একটা বড় সুযোগ। এখানে বার্তা বিনিময় হচ্ছে, আইডিয়া দেওয়া নেওয়া হচ্ছে, গাঁটছড়া বাঁধা হচ্ছে এবং আন্তর্জাতিক অংশীদারিত্বও হচ্ছে। সর্বোপরি, এক সঙ্গে কাজের সুযোগের দুয়ার খুলে যাচ্ছে।” তিনি বলেন, “আজও বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ট্র্যাডিশনাল মেডিসিনের সাহায্যেই চিকিৎসা হচ্ছে বহু মানুষের। ট্র্যাডিশনাল মেডিসিনের ওপর এই যে বিশ্ব সম্মেলন হচ্ছে, এটাকে একটা প্লাটফর্ম হিসেবেও ব্যবহার করা যেতে পারে। এই প্লাটফর্মে রাজনৈতিক দায়বদ্ধতা, ট্র্যাডিশনাল মেডিসিনের ওপর এভিডেন্স ভিত্তিক অ্যাকশনও করা যেতে পারে। যার দ্বারা বিশ্বব্যাপী উপকৃত হতে পারে লাখ লাখ মানুষ।

    আরও পড়ুুন: প্রয়োগ করা যাবে না ‘ইভটিজিং’, ‘প্রস্টিটিউট’, পরিবর্তে কী লিখতে হবে জানেন?

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

     

     

  • Supreme Court: প্রয়োগ করা যাবে না ‘ইভটিজিং’, ‘প্রস্টিটিউট’, পরিবর্তে কী লিখতে হবে জানেন?

    Supreme Court: প্রয়োগ করা যাবে না ‘ইভটিজিং’, ‘প্রস্টিটিউট’, পরিবর্তে কী লিখতে হবে জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিচার করার সময় ব্যবহার করা যাবে না ‘ইভটিজিং’ শব্দটি। নিষেধ করা হয়েছে ‘প্রস্টিটিউট’ বা ‘হুকার’ শব্দ প্রয়োগেও। ‘হাউস-ওয়াইফ’ শব্দটিও ব্যবহার করতে পারবেন না। এসব শব্দের বদলে ব্যবহার করতে হবে যথাক্রমে ‘যৌন নির্যাতন’, ‘যৌনকর্মী’ এবং ‘হোমমেকার’। বুধবার সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় ‘হ্যান্ডবুক অন কমবাটিং জেন্ডার স্টিরিওটাইপস’ নামে একটি পুস্তিকা প্রকাশ করেছেন। তাতেই দেওয়া হয়েছে ‘ডুজ’ অ্যান্ড ‘ডোনটজে’র পাঠ।

    শব্দ তালিকা

    ওই পুস্তিকায় ৪৩টি শব্দের একটি তালিকা দিয়ে বলা হয়েছে রায় দেওয়ার সময় বিচারপতিরা যেন কোনওভাবেই এই শব্দগুলি প্রয়োগ না করেন। কেবল তাই নয়, মামলার শুনানি চলাকালীন আইনজীবী এবং মামলার পক্ষের লোকজনও যেন শব্দগুলি এড়িয়ে চলেন। তার পরিবর্তে পুস্তিকায় উল্লিখিত শব্দগুলি ব্যবহার করেন। প্রধান বিচারপতি (Supreme Court) বলেন, “এই শব্দগুলির মধ্যে রয়েছে লিঙ্গবৈষম্য। তাই এসব শব্দ বাদ দিয়ে রায় লেখা সহ আদালতের যাবতীয় কাজ করতে হবে পুস্তিকায় উল্লিখিত বিকল্প শব্দ প্রয়োগ করে।”

    কী লেখা যাবে না

    পুস্তিকায় স্পষ্ট বলা হয়েছে, কোনও মামলার রায় দিতে গিয়ে ‘অ্যাফেয়ার’ শব্দটি লেখা বা উচ্চারণ করা যাবে না। এর পরিবর্তে ব্যবহার করতে হবে ‘রিলেশনশিপ আউটসাইড অফ ম্যারেজ’। ‘ইভটিজিং’ শব্দটিও মামলার শুনানি চলাকালীন লেখা বা বলা যাবে না। তার বদলে লিখতে হবে ‘স্ট্রিট সেক্সুয়াল হ্যারাসমেন্ট’ বা ‘রাস্তায় যৌন হেনস্থা’। তিরিশ পাতার ওই পুস্তিকায় ‘রক্ষিতা’ শব্দটিও ব্যবহার করতে নিষেধ করা হয়েছে। তার পরিবর্তে লিখতে হবে ‘কোনও পুরুষের সঙ্গে বৈবাহিক সম্পর্কের বাইরে রোম্যান্টিক বা যৌন সম্পর্ক রয়েছে এমন মহিলা’।

    আরও পড়ুুন: এই প্রথম স্বাধীনতা দিবসে জাতীয় পতাকা উড়ল ছত্তিশগড়ের আটটি গ্রামে

    ‘অবিবাহিতা মা’ শব্দবন্ধটিও প্রয়োগ করা যাবে না। তার বদলে লিখতে হবে কেবল ‘মা’ শব্দটিই। মামলার শুনানি চলাকালীন ‘জারজ’ সন্তান শব্দবন্ধটিও ব্যবহার করা যাবে না। তার পরিবর্তে ব্যবহার করতে হবে ‘অ-বৈবাহিক’ সন্তান। ‘হাউস-ওয়াইফে’র পরিবর্তে প্রয়োগ করতে হবে ‘হোমমেকার’ শব্দটি।পুস্তিকা প্রসঙ্গে প্রধান বিচারপতি (Supreme Court) বলেন, “এর উদ্দেশ্য অতীতের বিচারের সমালোচনা করা বা সন্দেহ করা নয় বরং কেবল এটা দেখানো যে কীভাবে অজান্তেই স্টিরিওটাইপ শব্দ ব্যবহার করা হয়।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

     
     
  • Per Capita Income: স্বাধীনতার শতবর্ষে ভারতের মাথাপিছু গড় আয় দাঁড়াবে ১৪.৯ লাখ টাকা, বলছে রিপোর্ট

    Per Capita Income: স্বাধীনতার শতবর্ষে ভারতের মাথাপিছু গড় আয় দাঁড়াবে ১৪.৯ লাখ টাকা, বলছে রিপোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নরেন্দ্র মোদির জমানায় যে শ্রীবৃদ্ধি হচ্ছে দেশের অর্থনীতির, তা আগেই জানিয়ে দিয়েছে দেশ এবং বিদেশের বিভিন্ন অর্থনৈতিক সংস্থা। এবার প্রায় একই কথা জানাল স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া বা এসবিআই-ও। তারাও জানাল, দেশের অর্থনৈতিক উন্নতির লেখচিত্র ঊর্ধ্বমুখী। সমীক্ষা করার পর এসবিআই জানিয়ে দিয়েছে, ২০৪৭ সালে দেশ যখন স্বাধীনতার শতবর্ষ পালন করবে, ভারতের পার ক্যাপিটা ইনকাম (Per Capita Income) বৃদ্ধি পাবে সাত গুণ।

    এসবিআইয়ের রিপোর্ট

    ৭৭তম স্বাধীনতা দিবসের পরের দিনই একটি রিপোর্ট পেশ করে এসবিআই। তাতেই তারা রীতি মতো হিসেব কষে দেখিয়ে দিয়েছে ভারতবাসীর পার ক্যাপিটা ইনকাম ২ লক্ষ টাকা থেকে বেড়ে হবে ১৪.৯ লক্ষ টাকা। এসবিআইয়ের ওই রিসার্চ রিপোর্টে নমিনাল ইনকামের কথা বলা হয়েছে। ২০২৩ সাল থেকে ২০৪৭ পর্যন্ত মুদ্রাস্ফীতির হিসেব অবশ্য দেখানো হয়নি। আজ ১৪.৯ লক্ষ টাকার যে মূল্য, ২৪ বছর পরে অবশ্য একই থাকবে না। মুদ্রাস্ফীতির কারণে পার ক্যাপিটা ইনকামের (Per Capita Income) একটি হিসেব তুলে ধরে দেখানো হয়েছে ওই রিপোর্টে। অনুমান করা হয়েছে, বার্ষিক মুদ্রাস্ফীতির হার ৫ শতাংশ।

    মুদ্রাস্ফীতির হার

    গত ১০ বছরে অন্তত এভাবেই বেড়েছে মুদ্রাস্ফীতির হার। সেই হিসেবে ২০৪৭ সালে ১৪.৯ লক্ষ টাকার প্রকৃত মূল্য আজকের টাকার অঙ্কে দাঁড়াবে ৪ লক্ষ টাকার কাছাকাছি। এই মুহূর্তে ভারতের পার ক্যাপিটা ইনকামের পরিমাণ খুবই কম। পার ক্যাপিটা ইনকামে ভারত রয়েছে বাংলাদেশেরও নীচে। স্বাধীনতার শতবর্ষের মধ্যে দেশে ওয়ার্কফোর্সের পাশাপাশি বাড়বে ট্যাক্সদাতাদের সংখ্যাও। করদাতাদের দিতে হবে এখনের চেয়ে সাতগুণ বেশি ট্যাক্স। ২০৪৭ সালে সব মিলিয়ে করের পরিমাণ দাঁড়াবে ৪৮.২ কোটি টাকা।

    আরও পড়ুুন: ১০০ কেজিরও বেশি মাদক বাজেয়াপ্ত, এমবিএ পাশ যুবক সহ গ্রেফতার ৭ পাচারকারী

    রিপোর্টে বলা হয়েছে স্বাধীনতার শতবর্ষ পূর্তির সময় ট্যাক্সদাতাদের সংখ্যা একলপ্তে বেড়ে যাবে অনেকখানি। যাঁদের আয় কম এমনতর ২৫ শতাংশ মানুষের নাম বাদ যাবে ট্যাক্সদাতাদের তালিকা থেকে। যাঁরা আয়কর দেবেন, তাঁদের মধ্যে ১৭.৫ শতাংশ করদাতার আয় হবে পাঁচ থেকে ১০ লাখ টাকার মধ্যে। পাঁচ শতাংশ মানুষের আয় হবে ১০ থেকে ২০ লাখ টাকার মধ্যে (Per Capita Income)। আর ২০ থেকে ৫০ লাখ টাকার মধ্যে আয় করবেন করদাতাদের মধ্যে তিন শতাংশ।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Drugs Smuggling: ১০০ কেজিরও বেশি মাদক বাজেয়াপ্ত, এমবিএ পাশ যুবক সহ গ্রেফতার ৭ পাচারকারী

    Drugs Smuggling: ১০০ কেজিরও বেশি মাদক বাজেয়াপ্ত, এমবিএ পাশ যুবক সহ গ্রেফতার ৭ পাচারকারী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: একশো কেজিরও বেশি মাদক সহ গ্রেফতার সাত পাচারকারী (Drugs Smuggling)। এই পাচারাকারীদের সঙ্গে যোগ রয়েছে আন্তর্জাতিক মাদক বাজারের। লিঙ্ক রয়েছে উত্তর-পূর্বের রাজ্যগুলিরও। পাচারকারীদের গ্রেফতার করতে অসমের গুয়াহাটি ও মণিপুরের ইম্ফলে অভিযান চালিয়েছিল নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরো বা এনসিবি। তার পরেই গ্রেফতার করা হয় পাচারকারীদের। মাদক বাজেয়াপ্ত করার পাশাপাশি মাদক তৈরিতে ব্যবহৃত কেমিক্যালও উদ্ধার হয়েছে। মাদকগুলি সরবরাহ করা হচ্ছিল ৫৫৩টি প্যাকেটে। সব মিলিয়ে বাজেয়াপ্ত হওয়া মাদকের পরিমাণ ১১০.৫ কেজি। মাদকগুলি ছিল ট্যাবলেটের আকারে।

    বি-টু-বি প্লাটফর্ম

    জানা গিয়েছে, মাদক পাচারে (Drugs Smuggling) মূল অভিযুক্ত মহঃ আবদুল ওয়াকলি এমবিএ স্নাতক। মাদক পাচারের জন্য সে খুলেছিল বি-টু-বি প্লাটফর্ম। ধূর্ত আবদুল  জাল নথিপত্র নিয়ে ঘুরে বেড়াত। মিজোরামস আইজল নামের একটি স্টোরের ভুয়ো ডকুমেন্ট নিয়ে ঘুরে বেড়াত সে। পরে সে আমেদাবাদের ভদ্রেশ প্যাটেলের সঙ্গে যোগাযোগ করে। সংগ্রহ করে ১৫০০ প্যাকেট ট্যাবলেট আকারে থাকা মাদক। পুলিশ যাতে মাদক পাচারের খবর জানতে না পারে, তাই ট্যাবলেটের প্যাকেটগুলির লেবেল বদলে দেওয়া হয়েছিল।

    মাদক পাচার ট্যাবলেটের আকারে

    লিভোসেট এবং কলজেন নামের ভুয়ে লেবেল সাঁটিয়ে দেওয়া হয়েছিল মাদকের প্যাকেটগুলিতে। একাধিক অফিস, গোডাউন এবং বাড়িতে হানা দিয়ে সেগুলি উদ্ধার করা হয় বলেও জানান এনসিবির আধিকারিকরা। নীতীন কুমার পাঞ্চাল এবং অনিলভাই নায়ক অর্ডার সংগ্রহ করত। প্যাকেটের (Drugs Smuggling) গায়ে ভুয়ো লেবেলও সাঁটাত তারা। ধৃতদের মধ্যে রয়েছে এরাও। কিছুদিন আগেই মায়ানমার থেকে বাজেয়াপ্ত হয়েছিল ১.৩ মিলিয়ন কলজেন ট্যাবলেট। যা থেকে প্রমাণ হয়, আন্তর্জাতিক মাদক পাচার চক্র সক্রিয় উত্তর-পূর্বের বিভিন্ন রাজ্যে।

    আরও পড়ুুন: এই প্রথম স্বাধীনতা দিবসে জাতীয় পতাকা উড়ল ছত্তিশগড়ের আটটি গ্রামে

    প্রসঙ্গত, দিন কয়েক আগে ত্রিপুরার আমবাসা থানার আধিকারিকদের সঙ্গে যৌথ অভিযানে নামে অসম রাইফেলস। বাজেয়াপ্ত হয় প্রচুর মারিজুয়ানা। বর্তমানে এই পরিমাণ মাদকের বাজার দর এক কোটি টাকার কাছাকাছি। অভিযান শেষে পুলিশ জানিয়েছিল, একটি গাড়িতে করে ওই মাদক পাচার করার চেষ্টা হচ্ছিল। সূত্র মারফৎ খবর পেয়ে গাড়িটিতে তল্লাশি চালানো হয়। বাজেয়াপ্ত হয় ২৫৭ কেজি মাজুরিয়ানা। ঘটনায় গ্রেফতারও করা হয় দুজনকে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Shimla Landslides: মেঘভাঙা বৃষ্টিতে ধস, শিমলায় মন্দির চাপা পড়ে মৃত একই পরিবারের তিন প্রজন্ম

    Shimla Landslides: মেঘভাঙা বৃষ্টিতে ধস, শিমলায় মন্দির চাপা পড়ে মৃত একই পরিবারের তিন প্রজন্ম

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মেঘভাঙা বৃষ্টির জেরে নামল ধস (Shimla Landslides)। হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ল আস্ত একটি শিব মন্দির। মন্দিরের নীচে চাপা পড়ে মৃত্যু হল একই পরিবারের তিন প্রজন্মের। মর্মান্তিক এই ঘটনাটি ঘটেছে শিমলার সামার হিল এলাকায়। প্রশাসন সূত্রে খবর, সোমবার ধস নামার সময় শিব মন্দিরে ছিলেন একই পরিবারের সাতজন। হঠাতই ভেঙে পড়ে মন্দিরটি।

    মন্দিরের নীচে চাপা পড়ে মৃত

    চাপা পড়ে মৃত্যু হয় সাতজনেরই। এঁরা হলেন পবন শর্মা, তাঁর স্ত্রী সন্তোষ, ছেলে আমন, বৌমা অর্চনা এবং তাঁর তিন নাতনি। রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, শর্মা পরিবারের পাঁচজনের দেহ উদ্ধার হয়েছে। দু জনের খোঁজ এখনও মেলেনি। শর্মা পরিবারের তরফে সুনীতা বলেন, “আমার একটাই অনুরোধ, যাঁরা নিখোঁজ, তাঁদের খুঁজে বের করুন। আমাদের হাতে তুলে দিন। তাঁরা (Shimla Landslides) জীবিত বা মৃত যাই হোক না কেন, আমরা মেনে নেব। তাঁদের জন্য তিন দিন ধরে অপেক্ষা করছি আমরা।”

    নিখোঁজও রয়েছেন কয়েকজন

    সুনিধি নামে নিখোঁজ একজনের বোন বলেন, “আমরা জানিনা, ভগবান আমাদের কপালে কী লিখে রেখেছেন।” নিখোঁজ আরও একজনের ভাই বিনোদ বলেন, “এই এলাকার সুরক্ষা বজায় রাখা উচিত প্রশাসনের। বৃষ্টি হলেই যাতে জমা জল বেরিয়ে যেতে পারে, তার ব্যবস্থা করা উচিত।” শর্মা পরিবারের এক প্রতিবেশী মেহের সিং এইচ ভার্মা বলেন, “শর্মা পরিবার হারাল তিন প্রজন্মকে।” প্রশাসনের এক আধিকারিক জানান, এ পর্যন্ত ১৩টি দেহ উদ্ধার হয়েছে। বৃষ্টিজনিত (Shimla Landslides) কারণে হিমাচল প্রদেশে এ পর্যন্ত ৬০ জনের মৃত্যু হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী সুখবিন্দর সিং সুকু জানান, সব মিলিয়ে রাজ্যের ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ ১০ হাজার কোটি টাকা।

    আরও পড়ুুন: অতিভারী বৃষ্টিতে তিনদিনে ৭১ জন মৃত হিমাচলে, ‘পর্বত সমান চ্যালেঞ্জ’ বললেন মুখ্যমন্ত্রী

    শিবমন্দিরের পাশাপাশি ধসের কবলে ভেঙে পড়েছে একটি কষাইখানাও। কৃষ্ণনগর এলাকার ওই কষাইখানার ওপর ভেঙে পড়েছিল আশপাশের কয়েকটি বাড়ি। কষাইখানাটি ভেঙে পড়ার সময় সেখানে ছিলেন বছর আটচল্লিশের ইয়াম থাপা। বরাত জোরে বেঁচে গিয়েছেন তিনি। তবে তাঁর দুই সহকর্মীর (Shimla Landslides) জীবন্ত সমাধি হয়েছে। পরে তাঁদের দেহ উদ্ধার হয়েছে। এঁরা হলেন কষাইখানার ম্যানেজার নবীন ভাল্লা এবং কষাই রাজু।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
     
  • Pakistan: পাকিস্তানে চার গির্জায় ভাঙচুর, পোড়ানো হল বাইবেলও, নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন খ্রিস্টানরা

    Pakistan: পাকিস্তানে চার গির্জায় ভাঙচুর, পোড়ানো হল বাইবেলও, নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন খ্রিস্টানরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এতদিন হামলা হচ্ছিল হিন্দু মন্দিরে। এবার ভাঙচুর করা হল গির্জা। আল্লাহর নিন্দে করা হয়েছে এই অভিযোগ তুলে আজ, বুধবার ভাঙচুর করা হয়েছে গির্জায়। পাকিস্তানের (Pakistan) ফয়জলবাদের ঘটনা। এদিন ভাঙচুর চালিয়ে পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে চারটি গির্জা। খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বী কয়েকজনের বাড়িতেও ভাঙচুর চালানো হয়। পাক পঞ্জাব প্রদেশে বাইবেল পুড়িয়ে খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বী কয়েকজনকে মারধর করা হয়।

    খ্রিস্টান যুবককে মৃত্যুদণ্ড 

    প্রসঙ্গত, কোরানের অবমাননার অভিযোগে জুন মাসে পাক আদালত মৃত্যুদণ্ড দিয়েছিল এক খ্রিস্টান যুবককে। ইমরান ভাট্টি নামে জারানওয়ালা তহশিলের এক প্যাস্টর সংবাদ মাধ্যমকে জানান, দুর্বৃত্তরা স্যালভেশন আর্মি চার্চ, ইউনাইটেড প্রেসবিটেরিয়ান চার্চ, অ্যালায়েড ফাউন্ডেশন চার্চ এবং শ্রেহুনওয়ালা চার্চ তছনছ করেছে। আল্লাহর নিন্দার অভিযোগ তুলে ভাঙচুর করা হয়েছে এক খ্রিস্টানের বাড়িও। ভাইরাল হওয়া ভিডিওয় দেখা গিয়েছে, শতাধিক মানুষের একটি দল লাঠি হাতে নির্মমভাবে ভাঙচুর চালাচ্ছে গির্জায়। পরে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয় গির্জায় থাকা জিনিসপত্রে (Pakistan)। ধোঁয়ায় ঢেকে যায় গির্জার আশপাশ। খবর পেয়ে দ্রুত এলাকায় যায় পুলিশ। সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয় খ্রিস্টানদের।

    বিশপের কাতর প্রার্থনা 

    গির্জায় হামলার ছবি প্রকাশ করে ট্যুইট করেছেন স্থানীয় বিশপ আজাদ মার্শাল। তিনি লিখেছেন, “বিচারের জন্য ভিক্ষা চাইছি আমরা। সদ্যই স্বাধীনতা দিবস পালন করেছি। তারপরেও আমাদের নিরাপত্তার আশ্বাস নেই। আমাদের গির্জা ধ্বংস করে বাইবেল পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। আমাদের বিরুদ্ধে কোরান অবমাননার মিথ্যা অভিযোগ উঠেছে।”

    পঞ্জাব পুলিশের (Pakistan) প্রধান উসমান আনোয়ার জানান, প্রতিবাদীদের সঙ্গে পুলিশ কথা বলেছে। পুলিশ এলাকা ঘিরে রেখেছে। যদিও খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীদের অভিযোগ, পুলিশ কোনও ব্যবস্থা নেয়নি। কেবল ঠায় দাঁড়িয়ে দেখেছে দুষ্কৃতীদের তাণ্ডব।

    আরও পড়ুুন: ভারতীয় অর্থনীতিকে দিশা দেখিয়েছিলেন অটল বিহারী বাজপেয়ী

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Atal Bihari Vajpayee: ভারতীয় অর্থনীতিকে দিশা দেখিয়েছিলেন অটল বিহারী বাজপেয়ী

    Atal Bihari Vajpayee: ভারতীয় অর্থনীতিকে দিশা দেখিয়েছিলেন অটল বিহারী বাজপেয়ী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তিনি দেশের প্রধানমন্ত্রী হয়েছিলেন তিনবার। ১৯৯৬ সালে মাত্র ১৩ দিনের জন্য প্রধানমন্ত্রী হয়েছিলেন। দ্বিতীয় দফায় তাঁর কার্যকালের মেয়াদ ছিল ১৩ মাস। আর তৃতীয় দফায় (১৯৯৯ সাল থেকে ২০০৪ পর্যন্ত) পুরো পাঁচ বছরের জন্য প্রধানমন্ত্রী ছিলেন তিনি। এতক্ষণ যাঁর কথা বলা হল, তিনি প্রয়াত প্রধানমন্ত্রী বিজেপির অটল বিহারী বাজপেয়ী (Atal Bihari Vajpayee)। এই স্বল্প মেয়াদের ভারত-শাসন কালে দেশকে এক উচ্চতায় নিয়ে গিয়েছিলেন তিনি।

    বাজপেয়ী জমানা

    বাজপেয়ীর কথা উঠলেই আমাদের মনে পড়ে ১৯৯৮ সালে পোখরানে পরমাণু অস্ত্র পরীক্ষা ও ১৯৯৯ সালে কার্গিল যুদ্ধের কথা। সব মিলিয়ে তাঁর বছর ছয়েকের রাজত্বকালে যে উন্নয়নের ধ্বজা তিনি উড়িয়েছিলেন, তা দেশকে দেখিয়েছে নয়া দিশা। নেহরু-গান্ধী পরিবার চেয়েছিলেন সব কিছু নিয়ন্ত্রণ করতে। সেই কারণে সব কিছুই ছিল কেন্দ্রীভূত। কোনও দেশের উন্নয়নে মুখ্য ভূমিকা পালন করে জিডিপি গ্রোথ। এই জিডিপি গ্রোথের জন্যই হয় কর্মসংস্থান। যে দফায় বাজপেয়ী পুরো মেয়াদ শেষ করেছিলেন, সেই সময় উন্নয়নের জোয়ার বইয়ে দিয়েছিলেন দেশে।

    উন্নয়নের জোয়ার

    তাঁর আমলেই উন্নয়ন হয়েছে রাস্তাঘাটের। উন্নত হয়েছে সড়ক। উন্নত হয়েছে শিক্ষা ব্যবস্থা। বিপ্লব এসেছিল টেলিকমের ক্ষেত্রে। সোনালি চতুর্ভুজ প্রকল্প তাঁরই (Atal Bihari Vajpayee) অবদান। দেশের চার মেট্রো শহর কলকাতা, চেন্নাই, দিল্লি এবং মুম্বইকে এই প্রকল্পের মাধ্যমে এক সূত্রে গেঁথেছেন তিনি। এই চার শহর বাদেও দেশের প্রধান প্রধান শিল্প, কৃষি এবং সাংস্কৃতিক কেন্দ্রগুলোকেও সোনালি চতুর্ভুজ প্রকল্পের মাধ্যমে নিয়ে এসেছিলেন একই বন্ধনীতে। গ্রামীণ রাস্তার উন্নয়নে প্রধানমন্ত্রী গ্রামীণ সড়ক যোজনা চালু করেছিলেন তিনিই। যার ফলশ্রুতি হিসেবে বর্তমানে দেশের রাস্তার দৈর্ঘ সব মিলিয়ে ৬.৪ মিলিয়ন কিলোমিটার। এই পুরো রাস্তার দু’ শতাংশ জাতীয় সড়ক। প্রসঙ্গত, কোনও একটি দেশের উন্নতিতে বড় ভূমিকা পালন করে রাস্তা ও রেললাইন। কারণ যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নত হলে সুগম হয় পরিবহণ। যা অর্থনৈতিক উন্নতির অন্যতম একটি কারণ।

    আমরা যদি চিনের দিকে তাকাই, তাহলে দেখব অর্থনৈতিক সংস্কার করতে গিয়ে বেজিং প্রথমেই রেল এবং সড়ক উন্নয়নে জোর দিয়েছে। ওয়ার্ল্ড ব্যাঙ্কের সহায়তায় নয়ের দশকের মাঝামাঝি চিন চালু করে রোডস ইমপ্রুভমেন্ট ফর পোভার্টি অ্যালিভিয়েশন। তারপর থেকে চিন রেল ও সড়কের উন্নতিতে প্রাণপাত করছে। বেজিংয়ের সমৃদ্ধির এটাই হল চাবিকাঠি। তার পর থেকে আজও চিন জোর দিয়ে চলেছে যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নে। বিশ্ব বাজার নিয়ন্ত্রণ করতে ড্রাগনের দেশ হাতে নিয়েছে ‘বেল্ট অ্যান্ড রোড’ প্রকল্প। এবার তাকানো যাক ভারতের (Atal Bihari Vajpayee) দিকে। তথ্য বলছে, ১৯৯৯ সালের পর থেকে এ দেশে তরতরিয়ে বেড়েছে জিডিপি। বলা বাহুল্য, এই সময় প্রধানমন্ত্রী ছিলেন বাজপেয়ী। এটা সত্য যে, নরসিমহা রাওয়ের সরকার যে অর্থনৈতিক সংস্কার শুরু করেছিলেন নয়ের দশকের মাঝামাঝি, তার পর থেকেই ফিরতে থাকে ভারতীয় অর্থনীতির হাল।

    আরও পড়ুুন: পুলওয়ামায় শহিদ জওয়ানের স্ত্রী তাপসীকে ধূপগুড়ি উপ নির্বাচনে প্রার্থী করল বিজেপি

    ১৯৯৪ সালে ভারতের জিডিপি ছিল ৩৩৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। ২০০২ সালে জিডিপির লেখচিত্র ঊর্ধ্বমুখী হতে শুরু করে। তার পরের দু বছরে ভারতের জিডিপি দাঁড়ায় ৫২৩.৭৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে। তার পরের দু বছরে এর পরিমাণ হয় ৭২১ বিলিয়ন ডলার। তার পর থেকে একের পর এক রেকর্ড ভেঙে চলেছে ভারতের জিডিপি গ্রোথ। ১৯৯৮ সালে বাজপেয়ী যখন ক্ষমতায়, তখন ভারতের জিডিপির পরিমাণ ছিল ৪২৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। তাহলে দেখা গেল, বাজপেয়ী (Atal Bihari Vajpayee) যখন দেশের হাল ধরেন, তখনই প্রকৃত দিশা পায় ভারতীয় অর্থনীতি। কেবল অর্থনৈতিক উন্নয়ন নয়, ভারতের সঙ্গে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সম্পর্কের উন্নতিও ঘটেছিল বাজপেয়ীর হাত ধরে। পোখরানে পরমাণু বোমা পরীক্ষার পর ভারতের সঙ্গে আমেরিকার সম্পর্কে চিড় ধরেছিল। যদিও বাজপেয়ীর আমলেই সেই ভাঙা সম্পর্ক ফের জোড়া লেগেছিল।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Libya Clashes: লিবিয়ায় ফের অশান্তির আগুন, দু পক্ষের সংঘর্ষে মৃত অন্তত ২৭, জখম শতাধিক

    Libya Clashes: লিবিয়ায় ফের অশান্তির আগুন, দু পক্ষের সংঘর্ষে মৃত অন্তত ২৭, জখম শতাধিক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মাস কয়েক শান্ত থাকার পর ফের অশান্তির আগুন লিবিয়ার (Libya Clashes) রাজধানী ত্রিপোলিতে। দু’ পক্ষের সংঘর্ষে অন্তত ২৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। জখম হয়েছেন শতাধিক। লিবিয়ার এমার্জেন্সি সার্ভিসেসের তরফে জানানো হয়েছে, সব মিলিয়ে সংর্ঘষে জখম হয়েছন ১০৬ জন।

    আটক হামজা

    জানা গিয়েছে, ৪৪৪ ব্রিগেডের কমান্ডার মহম্মদ হামজা ত্রিপোলির মিটিগা এয়ারপোর্টের মধ্যে দিয়ে অন্যত্র যাওয়ার চেষ্টা করছিলেন। তাঁকে সেখানেই আটক করা হয়। এর পরেই সংঘর্ষ শুরু হয় দু পক্ষে। ৪৪৪ ব্রিগেডের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী স্পেশাল ডিটারেন্স ফোর্স। এই ফোর্সই রয়েছে এয়ারপোর্টের দায়িত্বে। হামজাকে আটক করে এরাই। তার পরেই রাজধানীতে জ্বলে অশান্তির আগুন। তবে কেন হামজাকে আটক করা হল, তা জানা যায়নি। সোমবার শুরু হওয়া ওই সংঘর্ষে ইতি পড়ে মঙ্গলবার রাতের দিকে। রাষ্ট্রসংঘ স্বীকৃত গভর্নমেন্ট অফ ন্যাশনাল ইউনিটির সঙ্গে চুক্তির পরেই থামে সংঘর্ষ। এই চুক্তি অনুযায়ী, হামজাকে একটি নিরপেক্ষ রাজনৈতিক দলের হাতে হস্তান্তরিত করা হবে। রাতভর সংঘর্ষের জেরে এদিনও ধোঁয়া উড়তে দেখা যায়। চলতি বছরে লিবিয়ায় সব চেয়ে ভয়ঙ্কর সংঘর্ষ এটি।

    সংঘর্ষ বিরতি চুক্তি 

    চুক্তি অনুযায়ী, আপাতত ত্রিপোলিতে কোনও সামরিক অভিযান চালানো (Libya Clashes) হবে না। সেনাদের ব্যারাকে ফিরে আসতে বলা হয়েছে। জনগণ এবং ব্যক্তিগত সম্পত্তির ক্ষতির পরিমাণ কত, তা জানার চেষ্টা হবে বলেও চুক্তিতে বলা হয়েছে। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানার পরেই সরকারের তরফে দেওয়া হবে ক্ষতিপূরণ। লিবিয়ায় চলছে ইউনাইটেড নেশনস সাপোর্ট মিশন। মঙ্গলবার এই মিশনের তরফে বলা হয়েছে, ত্রিপোলির সংঘর্ষের ঘটনার প্রভাব সাধারণ মানুষের ওপর কতটা, তা জানার চেষ্টা চলছে। মিশন মনে করিয়ে দিতে চায়, আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী সংঘর্ষ রুখতে প্রতিটি রাজনৈতিক দলের ভূমিকা কী হওয়া উচিত।

    আরও পড়ুুন: “আমি ভারতীয়, এই দেশ আমারও”, তিরঙ্গা উড়িয়ে বললেন জঙ্গির দাদা বশির

    প্রসঙ্গত, ২০১১ সালে স্বৈরশাসক মুয়াম্মর গদ্দাফিকে ক্ষমতাচ্যুত করার পর থেকে সংঘর্ষ লেগেই রয়েছে লিবিয়ায়। শেষবার সংঘর্ষ হয়েছিল চলতি বছরের মে মাসে। ৪৪৪ ব্রিগেডের এক সদস্যকে গ্রেফতার করার পরে দু পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ (Libya Clashes) হয়েছিল বেশ কয়েক ঘণ্টা ধরে। তারপর ফের হল এদিন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • BJP: পাঁচ রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন, বৈঠকে বসতে চলেছে বিজেপির কেন্দ্রীয় কমিটি

    BJP: পাঁচ রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন, বৈঠকে বসতে চলেছে বিজেপির কেন্দ্রীয় কমিটি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চলতি বছরের শেষের দিকে হওয়ার কথা পাঁচটি রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন। সেই কারণে আজ, বুধবার ডাক দেওয়া হয়েছে বিজেপির (BJP) কেন্দ্রীয় কমিটির বৈঠকের। নয়াদিল্লিতে দলের সদর দফতরে হবে বৈঠক। এদিনের বৈঠকে উপস্থিত থাকবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, বিজেপির জাতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংহ সহ কেন্দ্রীয় কমিটির ১৫ জন সদস্য।

    প্রস্তুতি বৈঠক

    বছর ঘুরলেই লোকসভা নির্বাচন। তার আগে এ বছরই রয়েছে মধ্যপ্রদেশ, ছত্তিশগড়, রাজস্থান, তেলঙ্গনা এবং মিজোরাম বিধানসভার নির্বাচন। এদিনের প্রস্তুতি বৈঠকে মূলত দুর্বল আসনগুলিকে কীভাবে শক্তিশালী করা যায়, তা নিয়েই আলোচনা হবে। নির্বাচনী কৌশল কী হবে, প্রার্থীই বা হবেন কারা, তা নিয়েও এদিন আলোচনা হতে পারে বলে বিজেপি (BJP) সূত্রে খবর। এই পাঁচ রাজ্যের যে আসনগুলিতে বেশি নজর দেওয়া প্রয়োজন, তার একটি তালিকাও তৈরি করা হয়েছে দলের তরফে।

    নির্বাচনী কৌশল

    এদিনের বৈঠকে ওই পাঁচ রাজ্যের বিজেপি নেতারা জানাবেন, কীভাবে কেন্দ্রের বিজেপি সরকার জনগণের কল্যাণে নানা প্রকল্প চালু করেছে, সেকথা তৃণমূলস্তরে পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। এদিনের প্রস্তুতি বৈঠকে উপস্থিত থাকবেন মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহান এবং বিজেপির রাজ্য সভাপতি ভিডি শর্মা, ছত্তিশগড় বিজেপির সভাপতি অরুণ সাও এবং দলের অন্য নেতারা। প্রসঙ্গত, যে পাঁচটি রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন হতে চলেছে, তার মধ্যে একমাত্র মধ্যপ্রদেশেই ক্ষমতায় রয়েছে বিজেপি।

    আরও পড়ুুন: “আমি ভারতীয়, এই দেশ আমারও”, তিরঙ্গা উড়িয়ে বললেন জঙ্গির দাদা বশির

    সূত্রের খরব, মধ্যপ্রদেশ এবং ছত্তিশগড় বিধানসভা নির্বাচন নিয়ে বেশ কিছু সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে এদিনের প্রস্তুতি বৈঠকে। সচরাচর কেন্দ্রীয় কমিটির বৈঠকে সম্ভাব্য প্রার্থী কারা হতে পারেন, তা নিয়ে আলোচনা (BJP) হয়। এমন বৈঠক হয় নির্বাচন ঘোষণা হওয়ার পরে পরেই। কিন্তু এই পাঁচ রাজ্যের নির্বাচনের দিন এখনও ঘোষণা হয়নি। তার আগেই প্রস্তুতি বৈঠকে বসছে বিজেপি। জানা গিয়েছে, এই পাঁচ রাজ্যে ক্ষমতায় আসতে বিজেপি নেতৃত্ব এখনই প্রার্থীর নাম ঠিক করে ফেলতে চলেছেন। প্রার্থীদের জানিয়েও দেওয়া হবে যে, তাঁরা প্রার্থী হতে চলেছেন। তাঁদের এখন থেকেই প্রচারে নামতে বলা হবে। বিরোধী দলের প্রার্থীদের পরাজিত করতেই এই কৌশল অবলম্বন করা হবে বলে বিজেপি সূত্রে খবর।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

     
     
  • Independence Day: “আমি ভারতীয়, এই দেশ আমারও”, তিরঙ্গা উড়িয়ে বললেন জঙ্গির দাদা বশির

    Independence Day: “আমি ভারতীয়, এই দেশ আমারও”, তিরঙ্গা উড়িয়ে বললেন জঙ্গির দাদা বশির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “আমি ভারতীয়, এই দেশ আমারও”, ৭৭তম স্বাধীনতা দিবসে (Independence Day) জাতীয় পতাকা উত্তোলন করে কথাগুলি যিনি বললেন তিনি বশির আহমেদ। মঙ্গলবার বাড়ির সামনে জাতীয় পতাকা তোলেন তিনি। বশির কোনও কেউকেটা নন। তবে তিনি ‘খবর’ হয়েছেন সম্পূর্ণ ভিন্ন কারণে। জম্মু-কাশ্মীরের ডোডা এলাকায় বাড়ি বশিরের। তাঁর ভাই ইরশাদ আহমেদ জঙ্গি সংগঠন হিজবুল মুজাহিদিনের খাতায় নাম লিখিয়েছেন। সেই কারণেই খবরের শিরোনামে বশির। মঙ্গলবার পরিবারের সদস্যদের নিয়ে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করে বশির বলেন, “আমি ভারতীয়। এই দেশ আমারও।” গত বছরের অক্টোবরেই ইউএপিএ ধারায় মামলা হয়েছে বশিরের ভাইয়ের বিরুদ্ধে।

    স্বাধীনতা দিবসে উৎসবের মেজাজ

    এদিন সকালে বশিরের বাড়ির সামনে আক্ষরিক অর্থেই ছিল উৎসবের (Independence Day) মেজাজ। জাতীয় পতাকা উত্তোলন করে সবাই গাইলেন জাতীয় সঙ্গীত। বশির বলেন, “ভাইয়ের (ইরশাদ) জন্য আমার মা মানসিক কষ্ট পাচ্ছেন। বাবাও তার অভাব অনুভব করছেন। তার জন্য আমাদের অনেক খেসারত দিতে হয়েছে। এই দেশ আমাদের। আমরা ভারতীয়। এই দেশের জন্য মরতেও পারি। এই তিরঙ্গা আমাদের বড় গর্বের।”

    ইরশাদ ওরফে ইদ্রিস 

    ১৯৯৪ সালে জঙ্গি খাতায় নাম লেখায় ইরশাদ। সূত্রের খবর, বর্তমানে সে ইদ্রিস নাম নিয়ে পাকিস্তানের ইসলামাবাদে বাস করছে। এদিন ছোট্ট একটি জাতীয় পতাকা হাতে নিয়ে বশির যেন তাদেরই বার্তা দিলেন এই বলে যে, যারা এই দেশের সার্বভৌমত্বকে চ্যালেঞ্জ করবে, তিনি তাঁদের বিরুদ্ধে। এদিন (Independence Day) ভাইয়ের সংগঠনের আদর্শেরও সমালোচনা করেন বশির। বলেন, “আমরা ভারতে খুবই সুখে এবং নিরাপদে রয়েছি। এই দেশকে দুর্বল করা নয়, আমাদের উচিত সবাই মিলে এই দেশকে আরও উন্নত করা।” ভাই যে ভুল পথে গিয়েছে, এদিন তাও মনে করিয়ে দেন ভূস্বর্গের এই বাসিন্দা। বলেন, “আমার ভাই ভুল পথ বেছে নিয়েছে। ভাইকে সঠিক পথে ফিরিয়ে আনতে আমি অনুরোধ করব সরকারকে।”

    আরও পড়ুুন: পাকিস্তানের স্বাধীনতা দিবসে ‘কালো দিন’ পালন সিন্ধ-বালোচ ফোরামের

    প্রসঙ্গত, ইরশাদের পরিবারের তরফেও বারংবার তাকে সশস্ত্র বাহিনীর কাছে আত্মসমর্পণ করতে অনুরোধ করা হয়েছে। আবেদন জানানো হয়েছে সমাজের মূল স্রোতে ফিরে সুখে জীবনযাপন করতে। তাঁরা সরকারের কাছেও বশিরকে ফিরিয়ে নিয়ে আসার আবেদন জানিয়েছেন। উল্লেখ্য যে, এই ডোডা জেলা থেকেই পালিয়ে গিয়েছে ১১৯ জন জঙ্গি। ২০১৯ সালে কাশ্মীর থেকে রদ করা হয়েছে ৩৭০ ধারা। তার পর থেকে ভূস্বর্গে এসেছে উন্নয়নের জোয়ার। তাই সুখে রয়েছেন (Independence Day) কাশ্মীরবাসী। যে সুখের বার্তা এদিন প্রতিধ্বনিত হয়েছে বশিরের পরিবারের সদস্যদের গলায়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share