Author: Krishnendu Bakshi

  • Calcutta High Court: পছন্দের কোনও হাসপাতালে অস্ত্রোপচার করাতে পারেন সুজয়কৃষ্ণ, নির্দেশ আদালতের

    Calcutta High Court: পছন্দের কোনও হাসপাতালে অস্ত্রোপচার করাতে পারেন সুজয়কৃষ্ণ, নির্দেশ আদালতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শেষমেশ বেসরকারি হাসপাতালেই চিকিৎসা করানোর অনুমতি পেলেন ‘কালীঘাটের কাকু’ ওরফে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র। তাঁর শারীরিক পরীক্ষা করে রিপোর্ট দেয় ইডি (ED)। তার পরেই অস্ত্রোপচারের জন্য তাঁকে বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা যেতে পারে বলে জানিয়ে দেয় কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। যদিও আজ, বুধবারও তাঁকে জামিন দেননি বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ। আদালতের নির্দেশ, যেহেতু সুজয়কৃষ্ণের জামিন হয়নি, তাই হাসপাতালে জেল কর্তৃপক্ষের নিরাপত্তার সঙ্গে সঙ্গে থাকবে কেন্দ্রীয় বাহিনীও।

    বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা করানোর ইচ্ছে প্রকাশ

    কিছু দিন আগেই স্ত্রী বিয়োগ হয় সুজয়কৃষ্ণের। সেই সময়ও তাঁর জামিনের আবেদন নাকচ করে দিয়েছিল আদালত। তবে স্ত্রীর পারলৌকিক ক্রিয়া করার জন্য প্যারোলে মুক্তি দেওয়া হয়েছিল তাঁকে। কাজ শেষে ফের সুজয়কৃষ্ণ ফেরেন প্রেসিডেন্সি জেলের ছোট্ট কুঠুরিতেই। সম্প্রতি আদালতে (Calcutta High Court) অসুস্থ বলে দাবি করেন সুজয়কৃষ্ণ। বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা করাতে চান বলেও জানান তিনি। তবে কেন তিনি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা করাতে চান, তা জানতে চান বিচারপতি। বিচারপতি জানান, এসএসকেএম হাসপাতাল যতক্ষণ না বলবে তাঁরা বিষয়টি বিশ্বাস করতে পারছেন না।

    সুজয়কৃষ্ণের স্বাস্থ্য পরীক্ষা ইডির

    এর পর সুজয়কৃষ্ণের বর্তমান শারীরিক অবস্থা জানতে চেয়ে ইডির কাছে রিপোর্ট তলব করেন বিচারপতি। ইডিকে বিশেষ মেডিক্যাল টিম গঠন করার নির্দেশও দেন। আদালতের নির্দেশ মেনে সুজয়কৃষ্ণের শারীরিক অবস্থা পরীক্ষা করে বিশেষ মেডিক্যাল টিম। এই টিমের চিকিৎসকরাও জানান সুজয়কৃষ্ণের অস্ত্রোপচার করা প্রয়োজন। সেই রিপোর্ট দেখেই আদালত অনুমতি দেয় সুজয়কৃষ্ণের অস্ত্রোপচারে। কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষের নির্দেশ, এসএসকেএম বা তাঁর পছন্দের কোনও বেসরকারি হাসপাতাল, যেখানে খুশি চিকিৎসা করাতে পারেন সুজয়কৃষ্ণ।

    আরও পড়ুুন: “প্রাক্তন না করতে পারলে আমরা ক্ষুদিরামের দেশের লোক নই”, শুভেন্দুর তোপ মমতাকে

    প্রসঙ্গত, নিয়োগ কেলেঙ্কারিতে ধৃত প্রাক্তন তৃণমূল নেতা তাপস মণ্ডলের মুখেই প্রথম শোনা যায় কালীঘাটের কাকুর কথা। পরে জানা যায়, এই কালীঘাটের কাকুই সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র। নিয়োগ কেলেঙ্কারিতে ধৃত প্রাক্তন তৃণমূল নেতা কুন্তল ঘোষও নাকি বারবার বলতেন কালীঘাটের কাকুর কাছে পেমেন্ট দিতে হবে। সুজয়কৃষ্ণের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তৃণমূলের বড় বড় নেতাদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখতেন তিনি। মানিক ভট্টাচার্যের সঙ্গে সুজয়কৃষ্ণের হোয়াটস অ্যাপ চ্যাটও এসেছে ইডির হাতে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • No Confidence Motion: অনাস্থা বিতর্কে ছক্কা হাঁকাল বিজেপি, মুখে কুলুপ রাহুলের

    No Confidence Motion: অনাস্থা বিতর্কে ছক্কা হাঁকাল বিজেপি, মুখে কুলুপ রাহুলের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মোদি সরকারের বিরুদ্ধে দ্বিতীয়বার অনাস্থা প্রস্তাব এনেছেন বিরোধীরা। মঙ্গলবার থেকে শুরু হয়েছে অনাস্থা নিয়ে আলোচনা (No Confidence Motion)। এদিন অধিবেশনের শুরুতেই বিজেপির সংসদীয় দলের বৈঠকে মূল সুরটি বেঁধে দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তিনি বলেছিলেন, “অনাস্থা প্রস্তাবের আলোচনায় বিরোধীদের প্রত্যেকটি বল মাঠের বাইরে পাঠিয়ে দিতে হবে।” সেই মতো এদিন অনাস্থা বিতর্কের শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক ছিল বিজেপি।

    “এটা কোনও অনাস্থা নয়”

    সাড়ে চার মাস পরে এদিন সংসদে এলেও, মুখ খোলেননি কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। কংগ্রেসের তরফে প্রথমে মুখ খোলেন সাংসদ গৌরব গগৈ। প্রধানমন্ত্রীকে নিশানা করে তিনি বলেন, “ভুল স্বীকার করতে হবে বলেই মৌন রয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।” প্রসঙ্গত, এই গৌরবই নিয়ে এসেছিলেন অনাস্থা প্রস্তাব। গৌরবের পরেই বক্তৃতা করতে ওঠেন সাংসদ বিজেপির নিশিকান্ত দুবে। তিনি বলেন, “এটা কোনও অনাস্থা ভোট নয়। এটা আসলে বিরোধীদের আস্থা পরীক্ষার ভোট। বিরোধীরা আসলে দেখতে চান, কে কে তাঁদের সমর্থন করছেন। বিরোধীরা (No Confidence Motion) নিজেদের মধ্যে লড়াই করছেন।” নিশিকান্ত বলেন, “ইন্ডিয়ার যতজন সাংসদ রয়েছেন, তাঁদের জিজ্ঞাসা করুন, তাঁদের মধ্যে মাত্র কয়েকজনই এর পুরো নাম বলতে পারবেন। এটা কোনও অনাস্থা নয়। এটা আসলে বিরোধীদের আস্থা পরীক্ষার ভোট।”

    এনডিএর প্রতিবাদ

    অনাস্থা বিতর্কে অংশ নিয়ে জম্মু-কাশ্মীরের প্রসঙ্গ তোলেন সাংসদ কংগ্রেসের মণীশ তিওয়ারি। তিনি বলেন, “৩৭০ অনুচ্ছেদ রদের চার বছর পরেও জম্মু-কাশ্মীরে নির্বাচন করা হয়নি।” এর প্রতিবাদ করেন এনডিএ সাংসদরা। তাঁরা বলেন, “বিষয়টি সুপ্রিম কোর্টে বিচারাধীন। তাই সংসদে এ নিয়ে আলোচনা করা ঠিক নয়।” অনাস্থা (No Confidence Motion) বিতর্কে অংশ নিয়েছিলেন বিজেপির কিরেন রিজিজুও। তিনি বলেন, “মণিপুরে হিংসার জন্য দায়ী ইউপিএ জমানা। উত্তর-পূর্বের রাজ্যগুলির জন্য কাজ করে আস্থা অর্জন করেছেন প্রধানমন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কারণেই টোকিও অলিম্পিকে সাতটি পদক জিততে পেরেছে ভারত।”

    আরও পড়ুুন: “চিনের কাছে অর্থ নিয়ে ভারতকে ভাগ করতে চায় কংগ্রেস”, তোপ বিজেপি সাংসদের

    বিজেপি বিরোধী ২৬টি রাজনৈতিক দলের জোট ‘ইন্ডিয়া’কেও নিশানা করেন রিজিজু। বলেন, “ইন্ডিয়া নাম নিলেও, কিছু হবে না। কারণ ওরা কাজ করছে ভারতের বিরুদ্ধে।” উদ্ধব শিবিরের শিবসেনা সাংসদ অরবিন্দ সাওয়ান্ত বলেন, “মণিপুর নিয়ে ৭০ দিন ধরে মৌন ছিল কেন্দ্রীয় সরকার। ওরা মৌন না থাকলে অনাস্থা প্রস্তাব আনা হত না।” এদিকে, বিরোধীদের আনা অনাস্থা প্রস্তাব (No Confidence Motion) সমর্থন করেনি বিজেডি। দলের সাংসদ পিনাকী মিশ্র জানান, তাঁর দল কংগ্রেস বিরোধী। তাই এই প্রস্তাবে সমর্থন জানাবেন না তাঁরা।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Recruitment Scam: মুর্শিদাবাদের পর এবার বাঁকুড়া, সাত শিক্ষককে তলব সিবিআইয়ের, হাজিরা বুধেই

    Recruitment Scam: মুর্শিদাবাদের পর এবার বাঁকুড়া, সাত শিক্ষককে তলব সিবিআইয়ের, হাজিরা বুধেই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মুর্শিদাবাদের পর এবার বাঁকুড়া। সোমবার তলব করা হয়েছিল মুর্শিদাবাদের নবগ্রামের প্রাইমারি স্কুলের চার শিক্ষককে। টাকা দিয়ে চাকরি কেনার (Recruitment Scam) অভিযোগে গ্রেফতার করা হয় তাঁদের। এবার তলব করা হল বাঁকুড়ার প্রাইমারি স্কুলের সাত শিক্ষককে। বুধবার নিজাম প্যালেসে তাঁদের হাজির হওয়ার নির্দেশ দিয়েছে সিবিআই।

    হাজিরায় আসতে হবে নথি নিয়ে 

    বাঁকুড়া জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদ সূত্রে খবর, জেলার এই সাত শিক্ষককে তাঁদের চাকরি সংক্রান্ত কাগজপত্র এবং শিক্ষাগত যোগ্যতার যাবতীয় নথি নিয়ে হাজিরা দিতে বলেছে সিবিআই। এই শিক্ষকদের মাধ্যমিক, উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার অ্যাডমিট কার্ড, মার্কশিট, জাতিগত শংসাপত্র সহ বিভিন্ন নথি নিয়ে সিবিআই দফতরে উপস্থিত হতে বলা হয়েছে। প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের কাছেও ওই সাত শিক্ষকের বিষয়ে তথ্য চাওয়া হয়েছে। সূত্রের খবর, ওই শিক্ষকদের নথিগুলি মিলিয়ে দেখতে চাইছেন সিবিআইয়ের তদন্তকারী আধিকারিকরা।

    চাকরি পেয়েছিলেন ২০১৪ টেটে

    জানা গিয়েছে, যে সাত শিক্ষককে বুধবার নিজাম প্যালেসে তলব (Recruitment Scam) করেছে সিবিআই, তাঁরা প্রত্যেকেই চাকরি পেয়েছিলেন ২০১৪ সালের টেট পাশ করে। সিবিআই সূত্রে খবর, এঁদের নিয়োগ প্রক্রিয়া নিয়ে সন্দেহ দানা বেঁধেছে। সিবিআই সাত শিক্ষককে তলব করেছে খবর ছড়িয়ে পড়তেই হইচই জেলায়। সিবিআই কাকে, কখন তলব করবে, সেই আশঙ্কায় কাঁটা ২০১৪ সালের টেট পাশ করে চাকরি পাওয়া প্রাইমারি স্কুলের শিক্ষকদের একটা অংশ। প্রসঙ্গত, সোমবার যে চার শিক্ষককে গ্রেফতার করা হয়েছে, তাঁরা হলেন জাহিরউদ্দিন শেখ, সায়গর হোসেন, সীমার হোসেন এবং সৌগত মণ্ডল।

    আরও পড়ুুন: আরামবাগ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়োগ দুর্নীতি, দিনভর অবস্থানে কোভিড যোদ্ধারা

    এদিকে, নিয়োগ কেলেঙ্কারি (Recruitment Scam) মামলায় ধৃত প্রাক্তন তৃণমূল নেতা কুন্তল ঘোষ ও তাপস মণ্ডলের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক তথ্য সিবিআইয়ের চার্জশিটে। ২৪ পাতার ওই চার্জশিটে বলা হয়েছে, চাকরি বিক্রির এজেন্ট ও চাকরি প্রার্থী মিলিয়ে মোট ১৪১ জনের কাছ থেকে তাপস নেন ৪ কোটি ১২ লক্ষ ৮৫ হাজার টাকা। আর চাকরি বেচে ৭১ জনের কাছ থেকে কুন্তল নিয়েছিলেন ৩ কোটি ১৩ লক্ষ টাকা। চাকরি করে দিয়ে মুর্শিদাবাদের পাঁচ শিক্ষকের কাছ থেকে তাপস মোট ২৩ লক্ষ টাকা নেন বলেও অভিযোগ। এর মধ্যে ধৃত সায়গর দিয়েছিলেন ছ’ লক্ষ টাকা। জহিরউদ্দিন ও সৌগত দেন সাড়ে পাঁচ লক্ষ করে টাকা। সীমার দিয়েছিলেন পাঁচ লক্ষ টাকা। ওই চার্জশিটের প্রথমেই নাম রয়েছে আশিক আহমেদের। তিনি অবশ্য এখনও অধরা।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
     
  • BJP: “চিনের কাছে অর্থ নিয়ে ভারতকে ভাগ করতে চায় কংগ্রেস”, তোপ বিজেপি সাংসদের

    BJP: “চিনের কাছে অর্থ নিয়ে ভারতকে ভাগ করতে চায় কংগ্রেস”, তোপ বিজেপি সাংসদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কংগ্রেসের (Congress) চিনা যোগ নিয়ে গ্র্যান্ড ওল্ড পার্টিকে নিশানা বিজেপির (BJP)। সাড়ে চার মাস পরে মঙ্গলবারই সংসদে পা রেখেছেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। প্রত্যাশিতভাবেই উৎসাহিত ছিল কংগ্রেস শিবির। তবে লোকসভার সাংসদ বিজেপির নিশিকান্ত দুবের আক্রমণের সামনে দৃশ্যতই হতাশ দেখায় কংগ্রেসকে। সম্প্রতি নিউইয়র্ক টাইমসের একটি প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে নিউজক্লিকের কর্ণধার নেভিল রয় সিঙ্ঘম চিনের কমিউনিস্ট পার্টির কাছ থেকে টাকা নিয়ে তাদের মতবাদ প্রচার করে। একেই হাতিয়ার করে বিরোধীদের তাক করেন বিজেপি সাংসদ।

    “রাহুলের বিদ্বেষের দোকান”

    নিশিকান্ত (BJP) বলেন, “রাহুলের বিদ্বেষের দোকান চিনা সামগ্রীতে ভরে গিয়েছে। কংগ্রেস পার্টির নীতি আর লক্ষ্য হল ভারতকে ভেঙে দেওয়া। আর সেজন্য চিনের সহযোগিতা চায় তারা। চিন থেকে কংগ্রেস পার্টির অর্থায়নের তদন্ত করুক ভারত সরকার ও জাতীয় নির্বাচন কমিশন।” নিশিকান্ত বলেন, “নরেন্দ্র মোদি সরকারের বিরোধিতা করতে কংগ্রেস নেতারা ২০১৬ সালে চিনের এক ব্যক্তির সঙ্গে দেখা করেছিলেন।” তাঁর অভিযোগ, ডোকলাম নিয়ে অচলাবস্থার সময় রাহুল গান্ধী তৎকালীন চিনা রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে দেখা করেছিলেন।

    “চিন থেকে অর্থ পেয়েছে কংগ্রেস”

    বিজেপি সাংসদ বলেন, “তারা (কংগ্রেস) চিনা বাহিনী ও কিছু মিডিয়ার সাহায্যে ভারতকে ভাগ করতে চায়। ২০০৫ সাল থেকে ২০১৪, সঙ্কটের সময় চিন থেকে অর্থ পেয়েছে কংগ্রেস। ২০০৮ সালে তারা সোনিয়া গান্ধী এবং রাহুল গান্ধী দুজনকেই আমন্ত্রণ জানিয়েছিল।” তিনি বলেন, “কীভাবে মাওবাদী ও সিনিয়র সাংবাদিকদের টাকা দেওয়া হয়েছিল, তা ব্যাখ্যা করা হয়েছে নিউইয়র্ক টাইমসের রিপোর্টে।” নিউইয়র্ক টাইমসের ওই রিপোর্টকে হাতিয়ার করে কংগ্রেসকে নিশানা করেছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বিজেপির (BJP) অনুরাগ ঠাকুরও।

    আরও পড়ুুন: ভয় দেখাচ্ছে তৃণমূল! জয়ী বিরোধী প্রার্থীদের নিরাপত্তা দেওয়ার নির্দেশ হাইকোর্টের

    তিনি বলেন, “নিউইয়র্ক টাইমস বলার বহু আগে ভারত গোটা বিশ্বকে বলেছিল নিউজক্লিক আসলে চিনা মতবাদ প্রচারের একটি হাতিয়ার। নেভিল এই হাতিয়ার ব্যবহার করে ভারত বিরোধী মনোভাবকে ছড়িয়ে দিচ্ছে। ২০২১ সালে কংগ্রেস এই নিউজক্লিকের হয়েই গলা ফাটিয়েছিল। নিউজক্লিক ও নেভিলকে সমর্থন জানানো কংগ্রেসের পক্ষে স্বাভাবিক। কারণ এই দলটার কাছে জাতীয় স্বার্থের কোনও দাম নেই। চিনা মতবাদের প্রসার ঘটানোর জন্য চিনের কমিউনিস্ট পার্টির সঙ্গে ২০০৮ সালে চুক্তি করেছিল এই দলটা। রাজীব গান্ধী ফাউন্ডেশনের জন্য তারা দান গ্রহণ করেছিল চিনা দূতাবাস থেকে।”

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • PM Modi: “বিরোধীদের প্রত্যেকটি বল মাঠের বাইরে পাঠিয়ে দিতে হবে”, অনাস্থা প্রসঙ্গে বললেন মোদি

    PM Modi: “বিরোধীদের প্রত্যেকটি বল মাঠের বাইরে পাঠিয়ে দিতে হবে”, অনাস্থা প্রসঙ্গে বললেন মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “একে লোকসভা নির্বাচনের আগে সেমিফাইনাল মনে করুন। অনাস্থা প্রস্তাবের আলোচনায় বিরোধীদের প্রত্যেকটি বল মাঠের বাইরে পাঠিয়ে দিতে হবে।” মঙ্গলবার বিজেপির সংসদীয় দলের বৈঠকে কথাগুলি বললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। মণিপুর ইস্যুতে প্রধানমন্ত্রীর বিবৃতি দাবি করে বাদল অধিবেশনের প্রথম দিন থেকেই হট্টগোল করছেন বিরোধীরা। তার জেরে নষ্ট হয়েছে সংসদের মূল্যবান প্রচুর সময়।

    অনাস্থা প্রস্তাব

    প্রধানমন্ত্রীর বিবৃতি দাবি করে অনাস্থা প্রস্তাব আনেন বিরোধীরা। আজ, মঙ্গলবার থেকে সেই অনাস্থা প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা হওয়ার কথা। সংখ্যাতত্ত্বের হিসেবে অনাস্থায় সামান্যতম বিপদের সম্ভাবনাও নেই মোদি সরকারের। বিরোধীদের আনা অনাস্থা প্রস্তাবকে বিশেষ গুরুত্বও দিচ্ছেন না প্রধানমন্ত্রী। এদিনের বৈঠকে তিনি বলেন, “এই অনাস্থা প্রস্তাব আমাদের বিরুদ্ধে নয়, বরং বিরোধীদের নিজেদের মধ্যে যে অবিশ্বাস রয়েছে, তার জন্যই এই প্রস্তাব। লাস্ট বলে যেভাবে ছক্কা হাঁকানো হয়, এটা বিরোধীদের কাছে সেই সুযোগ বলেই মনে করুন।”

    লোকসভা নির্বাচনের আগে সেমিফাইনাল

    এর পরেই প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) বলেন, “একে লোকসভা নির্বাচনের আগে সেমিফাইনাল মনে করুন। অনাস্থা প্রস্তাবের আলোচনায় বিরোধীদের প্রত্যেকটি বল মাঠের বাইরে পাঠিয়ে দিতে হবে। এই বিরোধী জোট হল ঔদ্ধত্যের জোট। বিরোধীদের মধ্যে পারস্পরিক অবিশ্বাস রয়েছে।” বিজেপি বিরোধী ২৬টি রাজনৈতিক দলের জোট ‘ইন্ডিয়া’কে এদিনের বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী নিশানা করার নিদান দেন বলে সূত্রের খবর। দুর্নীতি, পরিবারবাদ এবং তুষ্টিকরণকে হাতিয়ার করতে বলেছেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী বলেন, “বিরোধীদের কোনও গ্রহণযোগ্যতা নেই। নিজেদের বাধ্যবাধকতা থেকেই জোট করেছে বিরোধীদলগুলি।”

    আরও পড়ুুন: ধনখড়ের সঙ্গে তুমুল বিতণ্ডা, বাদল অধিবেশনে সাসপেন্ড তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ ডেরেক

    প্রসঙ্গত, মণিপুর ইস্যুতে আলোচনার দাবিতে ২৬ জুলাই অনাস্থা প্রস্তাব আনেন লোকসভার সাংসদ গৌরব গগৈ। সেই প্রস্তাব গ্রহণ করেন স্পিকার ওম বিড়লা। লোকসভার বিজনেস অ্যাডভাইসরি কমিটির তরফে অনাস্থা প্রস্তাব নিয়ে আলোচনার জন্য ধার্য করা হয় ৮-১০ অগাস্ট। পরপর দুদিনই আলোচনা শুরু হবে বেলা ১২টায়, চলবে সন্ধে ৭টা পর্যন্ত। ১০ অগাস্ট ফের হবে আলোচনা। বিকেল ৪টেয় জবাবি ভাষণ দেবেন প্রধানমন্ত্রী (PM Modi)। উল্লেখ্য, মোদি সরকারের বিরুদ্ধে এর আগে বিরোধীরা অনাস্থা প্রস্তাব নিয়ে এসেছিলেন ২০১৮ সালে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • Data Protection Bill: লোকসভায় পাশ ডিজিটাল পার্সোনাল ডেটা প্রোটেকশন বিল, জানেন কী আছে বিলে?

    Data Protection Bill: লোকসভায় পাশ ডিজিটাল পার্সোনাল ডেটা প্রোটেকশন বিল, জানেন কী আছে বিলে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লোকসভায় পাশ হয়ে গেল ডিজিটাল পার্সোনাল ডেটা প্রোটেকশন বিল (Data Protection Bill) ২০২৩। বিলটিতে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে, ব্যক্তিগত তথ্য প্রোটেকশন আইন লঙ্ঘিত হলে সংশ্লিষ্ট সংস্থাকে কম করে ৫০ কোটি টাকা থেকে সর্বোচ্চ ২৫০ কোটি টাকা পর্যন্ত জরিমানা করা হবে। প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবারই লোকসভায় পেশ হয়েছিল বিলটি। বিলটি পুনর্বিবেচনার জন্য স্ট্যান্ডিং কমিটিতে পাঠানোর দাবি জানিয়েছিলেন বিরোধীরা। সোমবার লোকসভায় সেই বিলটিই পাশ হয়ে গেল ধ্বনি ভোটে।

    প্রথমবার বিলটি পেশ হয়েছিল ২০১৯ সালে

    ২০১৯ সালের ডিসেম্বর মাসে লোকসভায় বিলটি পেশ করেছিল মোদি সরকার। বিলটি পাঠানো হয়েছিল সংসদের যুগ্ম কমিটির কাছে। বিলটি নিয়ে আলোচনার পর লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লাকে রিপোর্ট পাঠায় যুগ্ম কমিটি। সেই সময় বিভিন্ন স্টেকহোল্ডার এবং সংস্থা আপত্তি জানায় বিলটিতে। শেষমেশ ২০২২ সালের অগাস্টে প্রত্যাহার করা হয় বিলটি। নয়া খসড়া বানিয়ে ফের পেশ করা হয় বৃহস্পতিবার। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব বলেন, “কেন্দ্রীয় সরকারের ডিজিটাল (Data Protection Bill) প্রয়াস গোটা বিশ্বের প্রশংসা কুড়িয়েছে। ভারতকে দেখেই অনেক দেশ ইউপিআই চালু করার চেষ্টা করছে। ডিজিটাল ইন্ডিয়ার সৌজন্যে বর্তমানে শহর থেকে গ্রামকে অনায়াসেই সংযুক্ত করা যায়। ইউজারদের ব্যক্তিগত তথ্য সুরক্ষার অধিকারকে সুনিশ্চিত করতেই এই বিল আনার সিদ্ধান্ত। সংসদীয় কমিটির একাধিক বৈঠকের পর এই বিলটি তৈরি করা হয়।”

    তথ্য সুরক্ষা বোর্ড গঠনের প্রস্তাব

    এই বিলে একটি তথ্য সুরক্ষা বোর্ড গঠনের প্রস্তাব রয়েছে। বিলে বলা হয়েছে, এই বোর্ড যদি তদন্তের পর জানায়, কোনও ব্যক্তি বা সংস্থা এই ডিজিটাল তথ্য সুরক্ষা আইনের বিধানগুলি লঙ্ঘন করেছে, তাহলে ওই ব্যক্তি বা সংস্থাকে প্রথমে আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ দেওয়া হবে। পরে করা হবে মোটা অঙ্কের জরিমানা।

    আরও পড়ুুন: নিয়োগ কেলেঙ্কারি মামলায় গ্রেফতার চার ‘অযোগ্য’ শিক্ষক, পাঠানো হল প্রেসিডেন্সির গারদে

    ডিজিটাল পার্সোনাল ডেটা প্রোটেকশন বিল (Data Protection Bill) ২০২৩ বলা হয়েছে, এই আইনের অধীনে কোনও পদক্ষেপ করা হলে কেন্দ্রীয় সরকার, তথ্য সুরক্ষা বোর্ড, বোর্ডের চেয়ারপার্সন এবং বোর্ডের কোনও সদস্য, কর্মকর্তা বা কর্মচারীর বিরুদ্ধে কোনও মামলা বা অন্য কোনও আইনি প্রক্রিয়া করা যাবে না। তথ্য সুরক্ষা বোর্ডের সুপারিশ অনুযায়ী, জনসাধারণের স্বার্থে কোনও বিষয়বস্তু ব্লক করতে পারবে কেন্দ্র। জাতীয় নিরাপত্তা ও প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের মতো জরুরি পরিস্থিতিতে আইনিভাবে এই সব ডিজিটাল তথ্য ব্যবহার করতে পারবে কেন্দ্র।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • Recruitment Scam: নিয়োগ কেলেঙ্কারি মামলায় গ্রেফতার চার ‘অযোগ্য’ শিক্ষক, পাঠানো হল প্রেসিডেন্সির গারদে

    Recruitment Scam: নিয়োগ কেলেঙ্কারি মামলায় গ্রেফতার চার ‘অযোগ্য’ শিক্ষক, পাঠানো হল প্রেসিডেন্সির গারদে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ঘুষ দিয়ে চাকরি পাওয়ার অভিযোগে গ্রেফতার চার শিক্ষক। নিয়োগ কেলেঙ্কারি (Recruitment Scam) মামলায় এই প্রথম কোনও শিক্ষককে গ্রেফতার করা হল। এর আগে গ্রেফতার করা হয়েছে যাঁদের হাত ধরে অযোগ্য প্রার্থীরা চাকরি পেয়েছিলেন বলে অভিযোগ, তাঁদের। আজ, সোমবার আলিপুর আদালতে ডেকে পাঠানো হয়েছিল মুর্শিদাবাদের নবগ্রামের ওই চার শিক্ষককে।

    গ্রেফতার ৪ শিক্ষক 

    এর পরেই তাঁদের গ্রেফতারির নির্দেশ দেন বিচারক অর্পণ চট্টোপাধ্যায়। ওই শিক্ষকদের পাঠানো হয়েছে প্রেসিডেন্সি জেলে। এদিন যাঁদের গ্রেফতার করা হয়েছে, তাঁরা হলেন সাইগার হোসেন, জাহিরউদ্দিন শেখ, সমীর হোসেন এবং সৌগত মণ্ডল। তাঁদের ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। প্রসঙ্গত, সিবিআইয়ের চার্জশিটে নাম ছিল এই চার শিক্ষকের। ২০১৪ সালের প্রাথমিক টেটের পর টাকা দিয়ে চাকরি পেয়েছিলেন বলে সিবিআইয়ের কাছে কবুল করেছিলেন এঁরা।

    কবুল করেছিলেন অপরাধ?

    জানা গিয়েছে, এঁরা প্রত্যেকেই প্রাথমিক (Recruitment Scam) স্কুলের শিক্ষক। প্রাক্তন তৃণমূল নেতা তাপস মণ্ডলের মাধ্যমে টাকা দিয়ে চাকরি পেয়েছিলেন। সিবিআইয়ের কাছে এই মর্মে বিবৃতিও দিয়েছিলেন এই চারজন। এঁদের বয়ানকে হাতিয়ার করে তাপসের বিরুদ্ধে তথ্য হিসেবে এবং সাক্ষী হিসেবে চার্জশিটে উল্লেখ করেছিলেন তদন্তকারীরা। এ ব্যাপারে এদিন তীব্র অসন্তোষ প্রকাশ করেন বিচারক অর্পণ বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, নিজেরা অযোগ্য জেনেও এঁরা টাকা দিয়ে চাকরি কিনেছেন। এঁরা তো বাকিদের সঙ্গে সমান অভিযুক্ত। এর পরেই ওই শিক্ষকদের গ্রেফতারির নির্দেশ দেন তিনি।

    আরও পড়ুুন: “নিয়োগ সংক্রান্ত রিপোর্ট যেত মুখ্যমন্ত্রীর কাছে”! আদালতে বোমা ফাটালেন পার্থ

    এদিন শুনানিতে বিচারক চট্টোপাধ্যায় এই শিক্ষকদের আইনজীবীকে বলেন, “আপনার মক্কেলদের কেন জামিন দেব? এরাই সেই পাবলিক, যার জন্য এতগুলো মানুষ ভুগছে।” অভিযুক্তদের উদ্দেশেও তাঁর প্রশ্ন, “আপনাদেরই বলতে হবে যে কেন আপনাদের জামিন দেব।” এদিকে, এদিনই নিয়োগ কেলেঙ্কারি (Recruitment Scam) মামলায় হাইকোর্ট থেকে জামিন পেলেন প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন চেয়ারম্যান জেলবন্দি মানিক ভট্টাচার্যের স্ত্রী শতরূপা। দিন কয়েক আগেই বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ মন্তব্য করেছিলেন, শতরূপাকে এভাবে আটকে রাখার কোনও মানে হয় না। এদিন বিচারপতি ঘোষই শর্তসাপেক্ষে জামিন দেন শতরূপাকে।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • Manipur: বিক্ষিপ্ত অশান্তি চিত্রাঙ্গদার দেশে, মণিপুর সহ আট রাজ্যের সঙ্গে বৈঠকে বসছেন মোদি

    Manipur: বিক্ষিপ্ত অশান্তি চিত্রাঙ্গদার দেশে, মণিপুর সহ আট রাজ্যের সঙ্গে বৈঠকে বসছেন মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ক্রমেই ছন্দে ফিরছে মণিপুর (Manipur)। তবে উত্তর-পূর্বের এই পাহাড়ি রাজ্যের বিভিন্ন পকেটে বিক্ষিপ্তভাবে জ্বলছে অশান্তির আগুন। গোয়েন্দা রিপোর্টে স্পষ্ট, চিত্রঙ্গদার দেশে অশান্তির নেপথ্যে রয়েছে ভারতের দুই প্রতিবেশী দেশ চিন ও পাকিস্তানের হাত। নেপালকে ভায়া করে মণিপুরে তারা নিত্য বুনছে অশান্তির বীজ।

    বৈঠকে বসছেন মোদি

    যার জেরে মাঝেমধ্যেই উত্তপ্ত হয়ে উঠছে ছবির মতো সাজানো এই রাজ্যটি। অশান্তির আগুনে জল ঢালতে আজ, সোমবার নয়াদিল্লিতে মণিপুর সহ উত্তর-পূর্বের আট রাজ্যের সাংসদদের সঙ্গে বৈঠকে বসছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। লোকসভা নির্বাচনে আরও বেশি করে আসন নিয়ে ফিরতে ৩১ জুলাই থেকে বিভিন্ন রাজ্যের এনডিএর সদস্য দলগুলির সাংসদদের নিয়ে বৈঠক করছেন প্রধানমন্ত্রী। সোমবার তিনি বৈঠকে বসবেন অসম, মিজোরাম, মণিপুর, নাগাল্যান্ড, মেঘালয়, অরুণাচল প্রদেশ, ত্রিপুরা এবং সিকিমের সাংসদদের সঙ্গে।

    বিক্ষিপ্ত অশান্তি 

    এদিকে, রবিবারই মণিপুরের (Manipur) বিজেপি সরকারের ওপর থেকে সমর্থন প্রত্যাহারের কথা ঘোষণা করেছে কুকি পিপলস অ্যালায়েন্স। মুখ্যমন্ত্রী বীরেন সিংহের প্রশাসনে এই দলের দুই বিধায়ক ছিলেন। রাজ্যপাল অনুসূয়া উইকেকে চিঠি লিখে সমর্থন প্রত্যাহারের কথা জানিয়ে দিয়েছে কুকি পিপলস অ্যালায়েন্স। মেইতেই ও কুকিদের সঙ্গে সংঘর্ষের জেরে গত ৩ মে থেকে অশান্ত হয়ে ছিল মণিপুর। পরে অশান্তি দমনে কোমর কষে নামে কেন্দ্র। তার পরেও অবশ্য বিরাম নেই বিক্ষিপ্ত অশান্তির। শুক্র ও শনিবার দুই সম্প্রদায়ের সংঘর্ষের জেরে নৃশংসভাবে খুন করা হয়েছে অন্তত ছ জনকে। এমতাবস্থায় এদিন উত্তর-পূর্বের আট রাজ্যের এনডিএর সদস্য দলগুলির সাংসদদের সঙ্গে বৈঠকে বসতে চলেছেন প্রধানমন্ত্রী। ওই সাংসদরা ছাড়াও এদিনের বৈঠকে উপস্থিত থাকার কথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সর্বানন্দ সোনোয়াল, কিরেন রিজিজু এবং নীতিন গড়করিরও।

    আরও পড়ুুন: “নিয়োগ সংক্রান্ত রিপোর্ট যেত মুখ্যমন্ত্রীর কাছে”! আদালতে বোমা ফাটালেন পার্থ

    এদিকে, মণিপুরে (Manipur) বিক্ষিপ্ত অশান্তিতে রাশ টানতে আরও ৯০০ কোম্পানি আধাসামরিক জওয়ান পাঠিয়েছে কেন্দ্র। ইতিমধ্যেই মণিপুরে ৪০ হাজারেরও বেশি সেনা ও আধাসেনা মোতায়েন করা হয়েছে। এবার ফের পাঠানো হয়েছে আরও ৯০০ কোম্পানি। অন্যদিকে, গত ৪ মে দুই তরুণীকে নগ্ন করে ঘোরানো ও গণধর্ষণের ঘটনায় নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগে সাসপেন্ড করা হয়েছে নঙ্গপোক সেকমেই থানার ইনচার্জ সহ পাঁচ পুলিশ কর্মীকে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
  • Partha Chatterjee: “নিয়োগ সংক্রান্ত রিপোর্ট যেত মুখ্যমন্ত্রীর কাছে”! আদালতে বোমা ফাটালেন পার্থ

    Partha Chatterjee: “নিয়োগ সংক্রান্ত রিপোর্ট যেত মুখ্যমন্ত্রীর কাছে”! আদালতে বোমা ফাটালেন পার্থ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শেষমেশ বোমাটা ফাটিয়েই দিলেন রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chatterjee)! সোমবার আদালতে নিজেকে নির্দোষ দাবি করে তিনি বলেন, “নিয়োগে মন্ত্রী হিসেবে আমার কোনও ভূমিকা নেই, নিয়োগ সংক্রান্ত রিপোর্ট যেত মুখ্যমন্ত্রীর কাছে।” পার্থ বলেন, “এক বছর ধরে সিবিআই কিছু প্রডিউস করতে পারেনি। আমার বিরুদ্ধে কোনও তথ্যপ্রমাণ দিতে পারেনি সিবিআই। সামনে পুজো, আমারও পরিবার আছে, যে কোনও শর্তে জামিন দিন।” রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী বলেন, “একজন পলিসি তৈরি করে, একটা অংশ নিয়োগ করে। ক্যাবিনেট সেক্রেটারি রিপোর্ট করেন প্রিন্সিপাল সেক্রেটারিকে। প্রিন্সিপাল সেক্রেটারি রিপোর্ট করেন মুখ্যমন্ত্রীর কাছে। এসএসসি আলাদা একটি বোর্ড। মন্ত্রী এসএসসিকে নিয়ন্ত্রণ করত না। আমি জানি না কারা চাকরি পেয়েছেন। আমি পাঁচটি দফতরের দায়িত্বে ছিলাম, বারবার দফতর বদল হয়েছে। নিয়োগে মন্ত্রী হিসেবে আমার কোনও ভূমিকা নেই।”

    পার্থর দাবি

    এদিনও ফের পার্থ (Partha Chatterjee) দাবি করেন, তাঁকে ফাঁসানো হয়েছে। তিনি বলেন, “যাঁরা ফাঁসিয়েছে, তাঁদের আমি সামনে নিয়ে আসতে চাই। আমি জামিনে মুক্ত হয়ে প্রকৃত অপরাধীদের বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যেতে চাই। তাই আমার জামিন মঞ্জুর করা হোক।” এদিন আলিপুরে সিবিআইয়ের বিশেষ আদালতে নিয়ে আসা হয় পার্থকে। সেই সময় রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যকে ‘আমার বস’ বলে সম্বোধন করেন পার্থ। বলেন, “আমার বস বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য উডল্যান্সসে ভর্তি। উনিও অসুস্থ। আমিও অসুস্থ।”

    হাত ধুয়ে ফেলে তৃণমূল

    প্রসঙ্গত, শিক্ষক নিয়োগ কেলেঙ্কারিকাণ্ডে গ্রেফতার হওয়ার পরপরই পার্থকে (Partha Chatterjee) দল থেকে বহিষ্কার করে হাত ধুয়ে ফেলেন তৃণমূল নেতৃত্ব। তার পর এদিন তিনি বুদ্ধদেবকে ‘আমার বস’ সম্বোধন করায় ছড়িয়েছে জল্পনা। নিয়োগ কেলেঙ্কারিতে অভিযুক্ত হওয়ায় গত বছর জুলাই মাসে গ্রেফতার করা হয় পার্থকে। সেই সঙ্গে গ্রেফতার করা হয় পার্থ ঘনিষ্ঠ অর্পিতা মুখোপাধ্যায়কেও। অর্পিতার দুটি ফ্ল্যাট থেকে বাজেয়াপ্ত করা হয় বিপুল পরিমাণ নগদ টাকাও। পার্থ গ্রেফতার হতেই তাঁকে মন্ত্রিসভা থেকে ছেঁটে ফেলেন তৃণমূল নেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পরে বহিষ্কার করা হয় দল থেকে।

    আরও পড়ুুন: ‘‘ভাইপো অ্যান্ড কোম্পানির হাত ধরে অসমে গরু পাচার হচ্ছে’’, বিস্ফোরক শুভেন্দু

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
     
  • Rahul Gandhi: মোদি পদবি বিতর্কে খোয়ানো সাংসদ পদ ফিরে পেলেন রাহুল, অক্সিজেন পেল কংগ্রেস!

    Rahul Gandhi: মোদি পদবি বিতর্কে খোয়ানো সাংসদ পদ ফিরে পেলেন রাহুল, অক্সিজেন পেল কংগ্রেস!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: খুশির খবর কংগ্রেসের (Congress) অন্দরে। চার মাস পরে সাংসদ পদ ফিরে পেলেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi)। স্পিকার ওম বিড়লার সচিবালয় থেকে আজ, সোমবার সকালে এ বিষয়ে নির্দেশিকা জারি করা হয়। এদিন দুপুর ১২টা নাগাদ সংসদে আসার কথা রাহুলের। প্রসঙ্গত, শুক্রবারই সুপ্রিম কোর্টের তরফে শাস্তি স্থগিত করা হয়েছিল রাহুলের। তার আটচল্লিশ ঘণ্টার মধ্যেই কেরলের ওয়েনাড়ের সাংসদ রাহুলকে ফিরিয়ে দেওয়া হল তাঁর পদ।

    রাহুলের সাজা

    মঙ্গলবার সংসদে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বিরুদ্ধে অনাস্থা আনছে বিজেপি বিরোধী ২৬টি রাজনৈতিক দলের জোট ‘ইন্ডিয়া’। সাংসদ পদ ফিরে পাওয়ায় সে সংক্রান্ত বিতর্কে যোগ দিতে পারবেন রাহুল। মোদি পদবি অবমাননা মামলায় মার্চ মাসে রাহুলকে (Rahul Gandhi) দোষী সাব্যস্ত করেছিল গুজরাটের সুরাট আদালত। তাঁকে দু বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। এর জেরেই সাংসদ পদ খারিজ হয় রাহুলের। কারণ, নিয়ম অনুযায়ী, কোনও সাংসদ বা বিধায়কের দু বছর কিংবা তার বেশি মেয়াদের কারাদণ্ড হলে তাঁর সাংসদ বা বিধায়ক পদ খারিজ হয়ে যায়। সেই মতো স্পিকার ওম বিড়লা সাংসদ পদ খারিজ করে দেন রাহুলের। যার জেরে সাংসদ হিসেবে পাওয়া বাংলোও খোয়াতে হয় রাহুলকে।

    কংগ্রেসের আবেদন

    শুক্রবার সুপ্রিম কোর্ট ওই সাজায় স্থগিতাদেশ দিতেই রাহুলকে সাংসদ পদ ফিরিয়ে দেওয়ার আবেদন জানায় কংগ্রেস। কেসি বেণুগোপাল বলেন, “আমরা আশা করব স্পিকার যেমন দ্রুততার সঙ্গে রাহুলজির পদ খারিজ করেছিলেন, তেমনিই সক্রিয়তা দেখা যাবে সাংসদ পদ ফিরিয়ে দেওয়ার ক্ষেত্রেও।”

    লোকসভায় কংগ্রেসের নেতা অধীর চৌধুরীও রাহুলের সাংসদ পদ ফিরিয়ে দেওয়ার দাবি জানান। সোমবার সকালেই রাহুলের সাংসদ পদ ফিরিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত ঘোষণা করে স্পিকারের সচিবালয়। প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনের প্রচারে গিয়ে মোদি পদবি নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করেন রাহুল (Rahul Gandhi)। সেই কারণে ২৩ মার্চ রাহুলকে সাজা দেয় গুজরাটের আদালত।

    আরও পড়ুুন: ‘‘ভাইপো অ্যান্ড কোম্পানির হাত ধরে অসমে গরু পাচার হচ্ছে’’, বিস্ফোরক শুভেন্দু

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share