Author: Krishnendu Bakshi

  • Imran Khan: তোষাখানা মামলায় কারাদণ্ড ইমরানের, পাঁচ বছর লড়তে পারবেন না ভোটে!

    Imran Khan: তোষাখানা মামলায় কারাদণ্ড ইমরানের, পাঁচ বছর লড়তে পারবেন না ভোটে!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তোষাখানা মামলায় দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় গ্রেফতার পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান (Imran Khan)। শনিবার ইমরানকে তিন বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে ইসলামাবাদের একটি আদালত। তার পরেই গ্রেফতার করা হয় পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ সুপ্রিমোকে। কারাদণ্ডের সঙ্গে সঙ্গে এক লক্ষ টাকা জরিমানাও করা হয় তাঁর। গ্রেফতার করার পরে ইমরানকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে লাহোরের কোট লতপত জেলে। পাকিস্তানের আইন অনুযায়ী, আদালতের এই রায়ের জেরে আগামী পাঁচ বছর নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারবেন না ইমরান।

    ইমরানের বিরুদ্ধে অভিযোগ

    ইমরানের (Imran Khan) বিরুদ্ধে অভিযোগ, দেশের প্রধানমন্ত্রী থাকাকালীন ইমরান যেসব উপহার পেয়েছিলেন, সেগুলি তিনি বিক্রি করে দিয়েছিলেন। দুবাইয়ের এক ব্যবসায়ীর দাবি, তিনি ২০ লক্ষ ডলারে কিনে নিয়েছিলেন উপহার হিসেবে পাওয়া ইমরানের একটি ঘড়ি। সৌদি আরবের রাজা মহম্মদ বিন সলমন বহুমূল্য ওই ঘড়িটি উপহার দিয়েছিলেন ইমরানকে। প্রসঙ্গত, তোষাখানা হল মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অধীন একটি বিভাগ যা অন্যান্য সরকার এবং বিদেশের বিশিষ্ট ব্যক্তি এবং সরকারি কর্তারা যে উপহার দেন, তা সংরক্ষণ করে।

    ইমরানের সাজা

    পাকিস্তানের সংবাদপত্র দ্য ডন জানিয়েছে, আদালত ইমরানকে ১০ লক্ষ রুপি জরিমানা করেছে। তোষাখানা উপহারের বিবরণ গোপন করায় পাকিস্তানের নির্বাচন কমিশন তাঁর বিরুদ্ধে দায়ের করা একটি ফৌজদারি অভিযোগে ১০ মে এই মামলায় পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীকে (Imran Khan) অভিযুক্ত করে। পাকিস্তানের ১৭৪ ইলেকশন অ্যাক্টে দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন ইমরান। পাকিস্তানের নির্বাচন কমিশন পাঁচ বছরের জন্য ইমরানকে নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছিল। কমিশনের এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে গত অক্টোবরে ইসলামাবাদ হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী।

    আরও পড়ুুন: “ইন্ডিয়া নয়, বিরোধী জোটকে ডাকুন ঘমন্ডিয়া নামে”, এনডিএ সাংসদদের বৈঠকে পরামর্শ মোদির

    আদালত অবশ্য ইমরানের আর্জি খারিজ করে দেয়। চলতি বছরের মে মাসে ইসলামাবাদের পুলিশ লাইনসের বিশেষ আদালত দোষী সাব্যস্ত করে ইমরানকে। চলতি বছরই সাধারণ নির্বাচন হওয়ার কথা পাকিস্তানে। বিভিন্ন জনমত সমীক্ষায় দেখা যাচ্ছিল, ফের বাড়ছে ইমরানের (Imran Khan) জনপ্রিয়তা। এমতাবস্থায় তাঁর জেল হওয়ায় মুসলিম নওয়াজ-পাকিস্তান পিপলস পার্টির জোট সরকারের পোয়া বারো বলেই মত রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

     
     
  • PM Modi: “ইন্ডিয়া নয়, বিরোধী জোটকে ডাকুন ঘমন্ডিয়া নামে”, এনডিএ সাংসদদের বৈঠকে পরামর্শ মোদির

    PM Modi: “ইন্ডিয়া নয়, বিরোধী জোটকে ডাকুন ঘমন্ডিয়া নামে”, এনডিএ সাংসদদের বৈঠকে পরামর্শ মোদির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “ইন্ডিয়া নয়, বিরোধীদের জোটকে ডাকুন ঘমন্ডিয়া নামে।” সম্প্রতি এই ভাষায়ই বিরোধীদের জোটকে নিশানা করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। বৃহস্পতিবার এনডিএর সহযোগী দলগুলির সাংসদদের সঙ্গে বৈঠকে বসেছিলেন প্রধানমন্ত্রী। সেখানেই বিরোধীদের মোকাবিলা কীভাবে করতে হবে, তার পথ বাতলে দেন তিনি। সম্প্রতি বিজেপি বিরোধী ২৬টি দলের জোটকে বিভিন্ন সময় নিশানা করেছেন প্রধানমন্ত্রী। বিশেষত, কংগ্রেসকে।

    ইউপিএ নাম বদলের কারণ

    তাঁর মতে, অতীতের কেলেঙ্কারি মুছে ফেলতেই ইউপিএ নাম বদলে হোয়াইটওয়াশ করতে চাইছে কংগ্রেস। প্রধানমন্ত্রী বলেন, “তারা ইউপিএ নাম বদলে ‘ইন্ডিয়া’ করেছে। তাদের এই নাম দেশপ্রেম দেখাতে নয়, দেশের সম্পদ লুঠ করতেই এটা করেছে তারা।” লোকসভা নির্বাচনে বিজেপিকে মাত দিতে জোট বেঁধেছে বিজেপি বিরোধী ২৬টি রাজনৈতিক দল। সম্প্রতি বেঙ্গালুরুতে বৈঠকে বসেছিল তারা। সেখানেই ইউপিএর বদলে জোটের (PM Modi) নয়া নাম হয় ‘ইন্ডিয়া’। তাদের দাবি, যেহেতু তারা ‘ইন্ডিয়া’র ভাবাদর্শের জন্য লড়াই করছে, তাই জোটের নাম দেওয়া হয়েছে ‘ইন্ডিয়া’।

    প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শ

    জোটের নয়া নামকরণের পর সাংবাদিক বৈঠকে কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী বলেছিলেন, “এই লড়াই এনডিএর সঙ্গে ইন্ডিয়ার, প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ইন্ডিয়ার, বিজেপির আদর্শের সঙ্গে ইন্ডিয়ার।” বিজেপির সহযোগী রাজনৈতিক দলগুলির সাংসদদের সঙ্গে বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী তাঁদের জাতভিত্তিক রাজনীতির ঊর্ধ্বে ওঠার পরামর্শ দেন। বলেন, “গোটা সমাজের নেতা হয়ে উঠুন।” এদিনের বৈঠকে বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারের প্রসঙ্গও টানেন প্রধানমন্ত্রী। বলেন, “বিহারের দিকে তাকান। নীতীশ কুমারকে দেখুন। অল্প কিছু আসন নিয়ে তিনি মুখ্যমন্ত্রী হতে পারতেন না। কিন্তু বিজেপি তাঁকে মুখ্যমন্ত্রী করেছিল। এটাই এনডিএর ত্যাগ ভাবনা।”

    আরও পড়ুুন: বাফার জোন টপকে এলোপাথাড়ি গুলি মণিপুরে, সংঘর্ষে মৃত ৩, পুড়ে খাক ঘরবাড়ি

    প্রসঙ্গত, বছরখানেক আগে বিজেপির সঙ্গ ছেড়ে আরজেডির হাত ধরেন নীতীশ। প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) বলেন, “সরকারি যেসব প্রকল্প কার্যকর হয়েছে, সেগুলিকে এনডিএ সরকারের প্রকল্প বলে প্রচার করুন। আর বলুন, একমাত্র এনডিএ-ই পারে দেশকে একটা স্থায়ী সরকার দিতে। দেশে এনডিএ সরকারের অবদান তুলে ধরতে সরকারের বিভিন্ন প্রকল্পকে সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ারও করুন।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Manipur: বাফার জোন টপকে এলোপাথাড়ি গুলি মণিপুরে, সংঘর্ষে মৃত ৩, পুড়ে খাক ঘরবাড়ি  

    Manipur: বাফার জোন টপকে এলোপাথাড়ি গুলি মণিপুরে, সংঘর্ষে মৃত ৩, পুড়ে খাক ঘরবাড়ি  

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আবারও উত্তপ্ত মণিপুর (Manipur)। শুক্রবার রাতে মণিপুরের বিষ্ণুপুরের কোয়াকতায় শুরু হয়েছে নতুন করে সংঘর্ষ। মৃত্যু হয়েছে অন্তত তিনজনের। এঁদের মধ্যে দুজন সম্পর্কে বাবা ও ছেলে। আর একজন গ্রামরক্ষী। একাধিক বাড়িতে লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে আগুন। সংঘর্ষ চলে শনিবার ভোর পর্যন্ত। জখম হন বেশ কয়েকজন নিরাপত্তা রক্ষী। জায়গাটি ঘন জঙ্গলে ঢাকা থাকায় যৌথবাহিনীর গুলিতে হামলাকারীদের কেউ নিহত কিংবা আহত হয়েছে কিনা তা জানা যায়নি।

    বাফার জোন

    রাজধানী ইম্ফল থেকে কুড়ি কিলোমিটার দূরে বিষ্ণুপুর (Manipur) জেলা। জেলাটি মেইতেই অধ্যুষিত। ৩ মে অশান্তি শুরু হওয়ার পর এলাকা ছেড়ে পালিয়েছে কুকিরা। আবার চূড়াইচাঁদপুর জেলায় কুকিরা সংখ্যাগরিষ্ঠ। সেখান থেকে পালিয়েছে মেইতেইরা। কোয়াকতা হল এই দুই জেলার মাঝামাঝি এলাকা। প্রশাসন জায়গাটিকে বাফার জোন হিসেবে আগলে রেখে চলছিল। শুক্রবার গভীর রাতে সংঘর্ষ শুরু হয় এখানেই। পুলিশ সূত্রে খবর, ওই রাতে বাফার জোন টপকে এলাকায় ঢুকে পড়ে কয়েকজন। এলোপাথাড়ি গুলি চালাতে শুরু করে দুর্বৃত্তরা। প্রতিরোধ গড়ে তোলেন মেইতেইরা। সংঘর্ষে মৃত্যু হয় অন্তত তিনজনের। তাঁরা মেইতেই জনগোষ্ঠীর।

    রাতভর গুলির লড়াই

    গুলির লড়াই চলে শনিবার ভোর পর্যন্ত। এলাকার বেশ কয়েকটি বাড়িতে ভাঙচুর চালানো হয়। লাগিয়ে দেওয়া হয় আগুন। কোয়াকতা থেকে দু কিলোমিটার আগে যে বাফার জোন রয়েছে, সেখানে নিরাপত্তার দায়িত্বে রয়েছে কেন্দ্রীয় বাহিনী। সংঘর্ষের খবর পেয়ে দ্রুত এলাকায় পৌঁছায় তারা। চলে আসে বিশাল পুলিশ বাহিনীও। তার পরেই আয়ত্ত্বে আসে পরিস্থিতি। বিষ্ণুপুর এলাকায় সংঘর্ষ হয়েছিল দিন দুই আগেও। সেদিন সংঘর্ষ (Manipur) হয় সশস্ত্র বাহিনীর সঙ্গে মেইতেইদের। জখম হয়েছিলেন অন্তত ১৭ জন।

    আরও পড়ুুন: ফের রক্তাক্ত উপত্যকা! জঙ্গিদের সঙ্গে সংঘর্ষে প্রাণ গেল ৩ সেনাকর্মীর

    বিক্ষোভকারীরা নিরাপত্তা বাহিনীর কাছ থেকে আগ্নেয়াস্ত্র লুঠ করার চেষ্টা করেছিল। ঘটনার জেরে পূর্ব ও পশ্চিম ইম্ফলে ফের জারি করা হয় কারফিউ। মণিপুর পুলিশ জানিয়েছে, এলাকায় তল্লাশি অভিযান চালাচ্ছে যৌথবাহিনী। অবৈধভাবে গড়ে তোলা সাতটি বাঙ্কার ধ্বংস করা হয়েছে। প্রসঙ্গত, ৩ মে অশান্তি শুরু হয় মণিপুরে। মেইতেইরা তফশিলি জাতির দাবি জানাচ্ছিল দীর্ঘদিন ধরে। তার প্রতিবাদ জানায় কুকি সহ বিভিন্ন জনজাতি। তার জেরেই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে উত্তর-পূর্বের এই পাহাড়ি রাজ্য।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Amit Shah: “২০২৪ সালে নরেন্দ্র মোদিই ফের প্রধানমন্ত্রী”, দাবি অমিত শাহের

    Amit Shah: “২০২৪ সালে নরেন্দ্র মোদিই ফের প্রধানমন্ত্রী”, দাবি অমিত শাহের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “বিরোধীরা যতই জোটের জুজু দেখাক, আর যতই হইচই করুক, ২০২৪ সালে নরেন্দ্র মোদিই ফের প্রধানমন্ত্রী।” বৃহস্পতিবার দিল্লি বিল নিয়ে আলোচনার সময় এই কথাগুলিই বললেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)।

    ইন্ডিয়া’কে আক্রমণ

    বিজেপি বিরোধী ২৬টি রাজনৈতিক দলের জোট ‘ইন্ডিয়া’কে আক্রমণ শানিয়ে তিনি বলেন, “দিল্লি বিল একবার পাশ হয়ে গেলে আম আদমি পার্টি আর জোটে থাকবে না।” বিরোধী সাংসদদের উদ্দেশে তিনি বলেন, “দিল্লির কথা ভাবুন, জোটের কথা নয়।” শাহ বলেন, “দেশের মানুষ সিদ্ধান্ত নিয়েছে মোদিই হবেন পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী। এই বিলের পরে আপনাদের জোট যেভাবেই হোক ভেঙে যাবে। কেজরিওয়াল আপনাদের বিদায় জানাবেন।” তিনি (Amit Shah) বলেন, “বিরোধীরা কেবল তাদের জোট নিয়ে চিন্তা করে, দেশ নিয়ে নয়। আমার ভাল লেগেছে যে এতদিন পর আলোচনা হচ্ছে। সংসদে ৯টি বিল পাশ হয়েছে। বিরোধীরা অংশ নেননি…তাঁরা দেশের কথা চিন্তা করেন না, কেবলমাত্র তাঁদের জোটের কথা চিন্তা করেন…।”

    আম আদমি পার্টিকে নিশানা

    আম আদমি পার্টিকে নিশানা করে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “রাজধানী দিল্লি সম্পর্কিত যে কোনও আইন প্রণয়নের ক্ষমতা সংসদের রয়েছে। আর তার জন্যই আমলা নিয়ন্ত্রণ সংক্রান্ত অর্ডিন্যান্সটি সরকারের তরফে জারি করা হয়েছিল। এ ব্যাপারে সংবিধানকে ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে।” শাহ বলেন, “দিল্লির আপ সরকার দুর্নীতিতে ভরে গিয়েছে। দুর্নীতির বিরুদ্ধে সরব হোন। ২০১৫ সালে আপ সরকার ক্ষমতায় আসে। দিল্লিবাসীকে পরিষেবা নয়, কেন্দ্রের বিরুদ্ধে লড়াই করাই তাদের মুখ্য উদ্দেশ্য ছিল। সেই সঙ্গে ভিজিল্যান্স বিভাগকে কবজায় রাখার লক্ষ্যও ছিল।”

    আরও পড়ুুন: “বিরোধীদের প্ররোচনায় পা দেবেন না”, এনডিএর সাংসদদের সঙ্গে বৈঠকে বার্তা মোদির

    কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী (Amit Shah) বলেন, “বাংলো তৈরির মতো দুর্নীতি ধামাচাপা দিতে ভিজিল্যান্সকে নিয়ন্ত্রণে রাখার চেষ্টা করেছিল কেজরিওয়াল সরকার। তাই জওহরলাল নেহরু, সর্দার প্যাটেল, বিআর আম্বেদকরের মতো নেতারা দিল্লিকে পূর্ণ রাজ্যের মর্যাদা দেওয়ার বিরুদ্ধে ছিলেন।”

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
     
  • PM Modi: “বিরোধীদের প্ররোচনায় পা দেবেন না”, এনডিএর সাংসদদের সঙ্গে বৈঠকে বার্তা মোদির

    PM Modi: “বিরোধীদের প্ররোচনায় পা দেবেন না”, এনডিএর সাংসদদের সঙ্গে বৈঠকে বার্তা মোদির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “বিরোধীরা হতাশাগ্রস্ত। তাঁরা আপনাদের ফাঁদে ফেলতে চাইবে। কিন্তু কোনও অবস্থায়ই বিরোধীদের প্ররোচনায় পা দেওয়া যাবে না।” বুধবার এনডিএর (NDA) সদস্য দলগুলির সাংসদদের সঙ্গে বৈঠকে বসে সাফ জানিয়ে দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। লোকসভা নির্বাচনের আগে বিতর্কিত বিষয় ও মন্তব্য থেকে তাঁদের দূরে থাকার পরামর্শও দেন প্রধানমন্ত্রী।

    সাংসদদের সঙ্গে বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী

    লোকসভা নির্বাচনে গতবারের চেয়েও বেশি আসন পেয়ে ক্ষমতায় ফিরতে চাইছে বিজেপি। তাই এনডিএর সদস্য ১১টি দলের সাংসদদের সঙ্গে বৈঠকে বসছেন তিনি। লোকসভা ও রাজ্যসভা মিলিয়ে প্রধানমন্ত্রী বৈঠক করবেন ৪৩০ জন সাংসদের সঙ্গে। প্রথম বৈঠকটি হয়েছে ৩১ জুলাই। চলবে ১০ অগাস্ট পর্যন্ত। প্রথম দিনের বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বাংলা, ওড়িশা ও ঝাড়খণ্ডের সাংসদরা। আর বুধবারের বৈঠকে (PM Modi) উপস্থিত ছিলেন অন্ধ্রপ্রদেশ, তেলঙ্গনা, তামিলনাড়ু, কর্নাটক, কেরালা, পুদুচেরি, আন্দামান ও নিকোবরের সাংসদরা।

    বিদ্বেষমূলক মন্তব্যের অভিযোগ

    গত কয়েক বছরে বিজেপির কয়েকজন নেতা-মন্ত্রীর বিরুদ্ধে প্ররোচনা ও বিদ্বেষমূলক মন্তব্যের অভিযোগ উঠেছে। তার জেরে বিপাকে পড়তে হয়েছে দলকে। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, সেই ঘটনার পুনরাবৃত্তি যাতে না ঘটে, তাই আগেভাগে সাংসদদের সতর্ক করে দিলেন মোদি। বিজেপি এবং এনডিএর সদস্য দলগুলির সাংসদদের সঙ্গে বৈঠকে বসে প্রচারের সুরও বেঁধে দিচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী (PM Modi)। প্রথম দিনের বৈঠকেই তিনি সাংসদদের জানিয়েছিলেন, কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা রদ কিংবা রাম জন্মভূমির মতো জাতীয় বিষয় নিয়ে প্রচার করতে হবে না। প্রচারের মূল সুর হবে জনগণের মানোন্নয়নে বিভিন্ন রাজ্যে মোদি সরকার কী কী কাজ করেছে, তার ফিরিস্তি। এর পাশাপাশি করতে হবে বিরোধীদের শানিত আক্রমণ। বিজেপি বিরোধী ২৬ দলের জোট ‘ইন্ডিয়া’র বিরুদ্ধে প্রচারের হাতিয়ার কী হবে, তাও বলে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।

    আরও পড়ুুন: “সংখ্যালঘুরা তৃণমূলের পাশে নেই, তাই ইমাম ভাতা বাড়াতে পারেন মমতা”, তোপ শুভেন্দুর

    প্রথম বৈঠকে তিন তালাক বাতিলের প্রসঙ্গটিকে প্রচারের হাতিয়ার করতে বলেছিলেন প্রধানমন্ত্রী (PM Modi)। পরের বৈঠক হয়েছে ১ অগাস্ট। এই বৈঠকে ‘ইন্ডিয়া’র মোকাবিলায় ইউপিএ সরকারের আমলের দুর্নীতিগুলিকে হাতিয়ার করার পরামর্শ দিয়েছিলেন মোদি। এর পরের বৈঠক হবে ৮ অগাস্ট। সেদিন উপস্থিত থাকবেন মহারাষ্ট্র, রাজস্থান ও গোয়ার ৭৬ জন সাংসদ। তার পরের দু দিন প্রধানমন্ত্রী বৈঠক করবেন গুজরাট, মধ্যপ্রদেশ, ছত্তিশগড়, দমন-দিউ এবং উত্তর-পূর্বের রাজ্যগুলির সাংসদদের সঙ্গে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: “সংখ্যালঘুরা তৃণমূলের পাশে নেই, তাই ইমাম ভাতা বাড়াতে পারেন মমতা”, তোপ শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: “সংখ্যালঘুরা তৃণমূলের পাশে নেই, তাই ইমাম ভাতা বাড়াতে পারেন মমতা”, তোপ শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বুঝে গিয়েছেন, সংখ্যালঘুরা আর তৃণমূলকে ভোট দেবেন না। তাই নানারকম মিথ্যে প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন।” বৃহস্পতিবার বিধানসভার অধিবেশন শেষে এই ভাষায়ই মমতাকে নিশানা করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বিজেপির শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। যেহেতু সংখ্যালঘু ভোট তাঁর সঙ্গে নেই, তাই লোকসভা নির্বাচনের আগে মমতা ইমাম ভাতা বাড়াতে পারেন বলেও মনে করেন শুভেন্দু। তিনি বলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বুঝে গিয়েছেন, সংখ্যালঘু ভোট তাঁর সঙ্গে নেই। প্রথমে বালিগঞ্জ কিছুটা বুঝিয়েছিল। সাগরদিঘিতে চওড়া ফাটল দেখা দিয়েছে। ভাঙড়ের মানুষ ভোট দিতে পারলে তাঁরাও বুঝিয়ে দিতেন। ওখানকার বীর আরাবুলকেও হারতে হয়েছে। তাই বিভিন্নভাবে সংখ্যালঘুদের ভুল বোঝানোর চেষ্টা হচ্ছে। মিথ্যে প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী।”  

    শুভেন্দুর অভিযোগ 

    রাজ্যের বিরোধী দলনেতা (Suvendu Adhikari) বলেন, “২১ তারিখ শুনলাম নেতাজি ইন্ডোরে ইমাম, মোয়াজ্জেমদের নিয়ে মিটিং ডেকেছেন মুখ্যমন্ত্রী। মিটিংয়ের আগে টাউন হলে ববি হাকিম, জাভেদ খান, সিদ্দিকুল্লা চৌধুরীরা মিটিং করেছেন। সেখানে সিদ্দিকুল্লা বলেছেন, তাঁর সংগঠন জমিয়েত উলেমা হিন্দের লোক এনে নেতাজি ইন্ডোর ভরিয়ে দেবেন। আবার ববি নাকি বলেছেন, আমি গাড়ির ব্যবস্থা করে দেব। ওই মিটিংয়েই সিদ্ধান্ত হয়েছে কেউ যেন ইমাম ভাতা বা মোয়াজ্জেম ভাতা বাড়াতে না বলেন।”

    ‘আন প্রেডিক্টেবল’

    মুখ্যমন্ত্রীকে ‘আন প্রেডিক্টেবল’ বলে সম্বোধন করে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বলেন, “ওই অনুষ্ঠানেই হয়তো ইমাম, মোয়াজ্জেমদের ভাতা পাঁচশো কিংবা হাজার টাকা বাড়িয়ে দিতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী।” তিনি বলেন, “ভোট বড় বালাই। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বুঝে গিয়েছেন, সংখ্যালঘুরা আর তৃণমূলকে ভোট দেবেন না। তাই নানারকম মিথ্যে প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন।”

    আরও পড়ুুন: চার্জশিটে অভিষেকের নাম! দুর্নীতির টাকায় বিপুল সম্পত্তি কালীঘাটের কাকুর, দাবি ইডির

    এদিন বেকারত্ব নিয়েও তোপ দেগেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। তিনি (Suvendu Adhikari) বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী চান না, বাংলার লোকের চাকরি হোক।” বক্তব্যের স্বপক্ষে যুক্তিও দিয়েছেন শুভেন্দু। বলেন, “একজনকে চাকরি দিতে গেলে ন্যূনতম কাউকে ২৫ হাজার টাকা বেতন দিতে হবে।

    মুখ্যমন্ত্রী এতেও ভোটের রাজনীতি করছেন। তাই রাজ্যের একাধিক বিভাগে শূন্যপদ থাকলেও, তিনি নিয়োগ করছেন না।” মুখ্যমন্ত্রীর উদ্দেশে কটাক্ষ-বাণ হেনে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বলেন, “আমি কেন একজনকে ২৫ হাজার টাকা দেব? আমি ওই টাকা ব্যয় করে পাঁচশো টাকা একাধিক পরিবারকে দেব, তাহলে আমরা ২০০ ভোট পাব, এটাই উনি চান।”

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
     
  • Morgan Stanley: ভারতের অর্থনীতি ‘ওভারওয়েট’, চিন ‘ইক্যুয়াল ওয়েট’, রিপোর্টে দাবি মর্গ্যান স্ট্যানলির

    Morgan Stanley: ভারতের অর্থনীতি ‘ওভারওয়েট’, চিন ‘ইক্যুয়াল ওয়েট’, রিপোর্টে দাবি মর্গ্যান স্ট্যানলির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভবিষ্যতে ভারতীয় অর্থনীতির ব্যাপক উত্থানের সম্ভাবনা দেখছে মর্গ্যান স্ট্যানলি (Morgan Stanley)। আমেরিকার বিখ্যাত আর্থিক পরিষেবা প্রদানকারী এই সংস্থার সাম্প্রতিক রিপোর্টে ভারতকে ‘ওভারওয়েট রেটিং’ দেওয়া হয়েছে। সংস্থার দাবি, আর্থিক বৃদ্ধির নিরিখে ভারত ‘ইক্যুয়াল ওয়েট’ থেকে উন্নীত হয়েছে ‘ওভারওয়েটে’। কেবল তাই নয়, আমেরিকার ‘ট্রিপল এ’ তকমাও কেড়ে নিয়েছে মার্কিন এই সংস্থা।

    ভারতের অর্থনীতির বিপুল উত্থানের সম্ভাবনা

    ভারতকে ‘ওভারওয়েট রেটিং’ দেওয়া হলেও, চিনকে নামানো হয়েছে ‘ইক্যুয়াল ওয়েট’ স্তরে। শি জিনপিংয়ের দেশে আর্থিক মন্দার নেতিবাচক প্রভাব আরও বাড়বে বলেই রিপোর্টে পূর্বাভাস সংস্থার। সেই তুলনায় ভারতের অর্থনীতির বিপুল উত্থানের সম্ভাবনা দেখছেন মর্গ্যান স্ট্যানলির বিশেষজ্ঞরা। তাঁরা জানিয়েছেন করোনা অতিমারির অভিঘাত ও রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের ক্ষত সারিয়ে দ্রুত ঘুরে দাঁড়িয়েছে মোদির ভারতের অর্থনীতি। ভারতের অর্থনীতি যে ক্রমেই ‘স্বাস্থ্যবান’ হচ্ছে, তার ইঙ্গিত মিলেছিল ঢের আগেই। বিশ্বব্যাঙ্ক, আইএমএফ, ব্লুমবার্গ ইকনমিক্স সহ নানা আর্থিক পরামর্শদাতা সংস্থার রিপোর্টে মিলেছিল এই ইঙ্গিত। এবার একই ইঙ্গিত মিলল মর্গ্যান স্ট্যানলির (Morgan Stanley) রিপোর্টেও। নভেম্বর মাসেও মার্কিন ওই সংস্থা জানিয়েছিল, আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে ভারত হতে চলেছে বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ। জাপান, জার্মানি নয়, ভারতের আগে থাকবে কেবল আমেরিকা ও চিন।

    জিডিপি বৃদ্ধির হার

    ২০২২-২৩ অর্থবর্ষে ভারতের জিডিপি বৃদ্ধির হার পৌঁছে গিয়েছে ৭.২ শতাংশে। ভারতে জিডিপি বৃদ্ধির হার ধারাবাহিকভাবে ৬.২ শতাংশের ওপরে থাকার ঘটনাকে আশাব্যঞ্জক বলা হয়েছে মর্গ্যান স্ট্যানলির রিপোর্টে। কী কারণে রকেট গতিতে উত্থান হচ্ছে ভারতের অর্থনীতির? মর্গ্যান স্ট্যানলির (Morgan Stanley) রিপোর্টে বলা হয়েছে, বিনিয়োগের পরিমাণ বাড়াতে সরকারি স্তরে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ ও কার্যকরী পদক্ষেপ করেছে মোদির দেশ। বিপুল জনশক্তি ও ডিজিটাল প্রযুক্তির ওপর জোরও দিয়েছে এশিয়ার এই দেশ। মর্গ্যান স্ট্যানলির বিশেষজ্ঞদের মতে, এই জোড়া পদক্ষেপের জেরে শক্তিশালী হয়েছে ভারতীয় অর্থনীতি।

    আরও পড়ুুন: রামনবমীর মিছিলে হামলা, রিষড়ার পর হাওড়ার শিবপুরে তদন্তে এল এনআইএ

    প্রসঙ্গত, ২০১৪ সালে যখন দিল্লির তখতে বসে মোদি সরকার, তখন বিশ্বের বৃহত্তম অর্থনীতির দেশের তালিকায় দশ নম্বরে ছিল ভারত। বর্তমানে এই তালিকার পঞ্চম স্থানে রয়েছে মোদির দেশ। দীর্ঘদিন এই জায়গাটা দখলে ছিল ইংল্যান্ডের। ইংল্যান্ডকে পেছনে ফেলে এগিয়ে গিয়েছে ভারত।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
     
  • PM Modi: “মুসলিম বোনেদের হাত থেকে রাখি পরুন”, বিজেপি সাংসদদের পরামর্শ মোদির

    PM Modi: “মুসলিম বোনেদের হাত থেকে রাখি পরুন”, বিজেপি সাংসদদের পরামর্শ মোদির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “মুসলিম বোনেদের হাত থেকে রাখি পরুন।” বিজেপি (BJP) সাংসদদের এমনই পরামর্শ দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। তাঁর দাবি, তিন তালাক নিষিদ্ধ করার জন্য তাঁর সরকারের সিদ্ধান্ত নিরাপত্তা বাড়িয়েছে মুসলিম মহিলাদের। তা নিয়ে অনেক মুসলিম মহিলা বিজেপিকে সমর্থন করেছেন। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, সেই কারণেই মুসলমান মহিলাদের কাছে পৌঁছানোর পরামর্শ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।

    বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী 

    বছর ঘুরলেই লোকসভা নির্বাচন। বিজেপিকে মাত দিতে গঠিত হয়েছে বিজেপি বিরোধী ২৬টি রাজনৈতিক দলের জোট ‘ইন্ডিয়া’। যদিও আগামী লোকসভা নির্বাচনে জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী বিজেপি। তবে পদ্ম শিবির চাইছে, গতবারের চেয়েও বেশি সংখ্যক আসন নিয়ে দিল্লিতে ফিরতে। সেই কারণেই এনডিএর সদস্য দলগুলির সাংসদদের সঙ্গে বৈঠক করছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ৩১ জুলাই হয়েছে প্রথম বৈঠক। চলবে ১০ অগাস্ট পর্যন্ত। প্রথম দিন প্রধানমন্ত্রী বৈঠক করেছেন বাংলা, ওড়িশা এবং ঝাড়খণ্ডের সাংসদদের সঙ্গে। সেখানে প্রচারের কৌশল কী হবে, তাও বলে দেন প্রধানমন্ত্রী (PM Modi)।

    রাখি পরার পরামর্শ

    ঘণ্টা তিনেকের এই বৈঠকেই প্রধানমন্ত্রী মুসলমান বোনেদের হাত থেকে রাখি পরার পরামর্শ দেন। প্রধানমন্ত্রী জানান, তিন তালাক নিষিদ্ধ হওয়ায় মুসলিম মহিলাদের নিরাপত্তা বৃদ্ধি পেয়েছে। সেই সঙ্গে মুসলিম মহিলাদের জন্য মোদি সরকার কী কী পদক্ষেপ করেছে, সে সম্পর্কেও অবহিত করেন দলীয় সাংসদদের। প্রসঙ্গত, এ বছর রাখিবন্ধন উৎসব পালিত হবে ৩০ অগাস্ট।

    মুসলিম মহিলাদের জন্য মোদি সরকার যে গুচ্ছ পদক্ষেপ করেছে, তা দিন কয়েক আগের ‘মন কি বাতে’র অনুষ্ঠানে জানিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি জানিয়েছিলেন, চলতি বছর পুরুষ সঙ্গী (মেহরাম) ছাড়াই চার হাজারেরও বেশি মুসলমান মহিলা হজ করতে সৌদি আরবে গিয়েছিলেন। নির্বিঘ্নে হজ শেষ করে ফিরে তাঁদের অনেকেই ধন্যবাদ জানিয়ে চিঠি লিখেছিলেন প্রধানমন্ত্রীকে। হজের নীতিতে পরিবর্তন আনার কথাও বলেন তিনি।

    আরও পড়ুুন: মসজিদ কমিটির আর্জি খারিজ, জ্ঞানবাপীতে এএসআইকে সমীক্ষার অনুমতি আদালতের

    সোমবারের ওই বৈঠকে ইন্ডিয়াকেও আক্রমণ শানিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী (PM Modi)। তিনি বলেছিলেন, “বিরোধী জোট তাদের নাম ইউপিএ থেকে ‘ইন্ডিয়া’তে পরিবর্তন করতে পারে। তবে এই নাম তাদের দুর্নীতি ও অপশাসনের পাপ ধুয়ে ফেলতে পারবে না। কারণ ইউপিএ বেশ কয়েকটি কেলেঙ্কারিতে কলঙ্কিত হয়েছিল।”

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
     
  • Gyanvapi Mosque: মসজিদ কমিটির আর্জি খারিজ, জ্ঞানবাপীতে এএসআইকে সমীক্ষার অনুমতি আদালতের

    Gyanvapi Mosque: মসজিদ কমিটির আর্জি খারিজ, জ্ঞানবাপীতে এএসআইকে সমীক্ষার অনুমতি আদালতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বারাণসীর জ্ঞানবাপী মসজিদ (Gyanvapi Mosque) কমিটির আর্জি খারিজ এলাহাবাদ হাইকোর্টে। আজ, বৃহস্পতিবার প্রধান বিচারপতি প্রীতিনকর দিবাকরের বেঞ্চ মসজিদে ভারতীয় পুরাতত্ত্ব সর্বেক্ষণকে সমীক্ষার অনুমতি দিল। তবে বিতর্কিত ওজুখানায় পাওয়া তথাকথিত শিবলিঙ্গ ও সন্নিহিত এলাকায় এখনই কোনও সমীক্ষা হবে না বলে বারাণসী জেলা আদালত যে নির্দেশ দিয়েছিল, তা বহাল রেখেছে এলাহাবাদ হাইকোর্ট।

    সুপ্রিম কোর্টের স্থগিতাদেশ 

    গত ২৪ জুলাই সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়, বিচারপতি জেবি পারদিওয়ালা ও বিচারপতি মনোজ মিশ্রের বেঞ্চ ৪৮ ঘণ্টার জন্য বারাণসী জেলা আদালতের নির্দেশের ওপর স্থগিতাদেশ দিয়েছিল। এই সময়ের মধ্যে এ বিষয়ে এলাহাবাদ হাইকোর্টে আবেদন করার নির্দেশ দিয়েছিল শীর্ষ আদালত। ২৬ জুলাই মসজিদ (Gyanvapi Mosque) কমিটির তরফে হাইকোর্টকে জানানো হয়েছিল, সমীক্ষার অনুমতি দিলে প্রাচীন ওই সৌধের ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। সেই সময় এএসআইয়ের তরফে আদালতকে জানানো হয়েছিল, গ্রাউন্ড পেনিট্রেটিং রাডারের সাহায্যে খননের কাজ ছাড়াই সমীক্ষার কাজ চালানো যেতে পারে। তাতে ওই প্রাচীন কাঠামোর ক্ষতি হওয়ার কোনও আশঙ্কা নেই। এদিন রায় দিতে গিয়ে প্রধান বিচারপতি বলেন, সমীক্ষার জন্য বারাণসী জেলা আদালতের নির্দেশ বৈধ। ন্যায় বিচারের স্বার্থে মসজিদের বৈজ্ঞানিক সমীক্ষার প্রয়োজন।

    সমীক্ষার নির্দেশ

    প্রসঙ্গত, হিন্দুত্ববাদী বিভিন্ন সংগঠনের আবেদনের ভিত্তিতে গত জুলাই মাসে বারাণসীর জেলা আদালত ভারতীয় পুরাতত্ত্ব সর্বেক্ষণকে দিয়ে মসজিদে (Gyanvapi Mosque) সমীক্ষার নির্দেশ দেয়। ওজুখানা এলাকা বাদ দিয়ে এই সমীক্ষার নির্দেশ দিয়েছিল আদালত। ২৪ জুলাই এএসআইয়ের ৩০ সদস্যের একটি দল রাডার ম্যাপিং সহ আধুনিক প্রযুক্তির সাহায্যে সমীক্ষা করতে জ্ঞানবাপী মসজিদে যায়। তার পরেই আসে সুপ্রিমকোর্টের স্থগিতাদেশের নির্দেশ। বন্ধ হয়ে যায় সমীক্ষার কাজ। এদিন এলাহাবাদ হাইকোর্টের নির্দেশের পর আর বাধা রইল না সমীক্ষার কাজে।

    আরও পড়ুুন: “কোনও সংবিধান পরিষদ চিরকালীন নয়”, কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা রদ প্রসঙ্গে সুপ্রিম কোর্ট

    প্রসঙ্গত, ২০২১ সালের অগাস্টে পাঁচ হিন্দু মহিলা জ্ঞানবাপীর মা শৃঙ্গার গৌরী ও মসজিদের অন্দরের পশ্চিমের দেওয়ালে দেবদেবীর মূর্তির অস্তিত্বের দাবি করে পূজার্চনার অনুমতি চান। দ্বারস্থ হন আদালতের। তার প্রেক্ষিতেই মসজিদের (Gyanvapi Mosque) অন্দরে ভিডিও সমীক্ষার নির্দেশ দিয়েছিল বারাণসীর নিম্ন আদালত। তার পরেই জানানো হয় কার্বন ডেটিং পরীক্ষার আর্জি।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Jammu Kashmir: “কোনও সংবিধান পরিষদ চিরকালীন নয়”, কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা রদ প্রসঙ্গে সুপ্রিম কোর্ট

    Jammu Kashmir: “কোনও সংবিধান পরিষদ চিরকালীন নয়”, কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা রদ প্রসঙ্গে সুপ্রিম কোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “সংবিধান পরিষদ কোনওভাবেই সংসদ বা সুপ্রিম কোর্টের মতো স্থায়ী সংস্থা নয়। কোনও সংবিধান পরিষদ অনির্দিষ্টকালের জন্য থাকতে পারে না। জম্মু ও কাশ্মীরের (Jammu Kashmir) সংবিধান পরিষদ রাজ্যের সংবিধান তৈরির জন্য গঠিত হয়েছিল। তার মেয়াদ ফুরনোর পরে ক্ষমতা ছিল রাষ্ট্রপতির হাতেই।” বুধবার সাফ জানিয়ে দিলেন সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়।

    ৩৭০ ধারা সংক্রান্ত মামলা

    জম্মু-কাশ্মীর থেকে রদ করা হয় ৩৭০ ধারা। তার জেরে মামলা হয় দেশের শীর্ষ আদালতে। সুপ্রিম কোর্টের পাঁচ বিচারপতির সাংবিধানিক বেঞ্চে এদিন শুরু হয়েছে সেই মামলা। সংবিধানের ৩৭০ নম্বর অনুচ্ছেদে জম্মু-কাশ্মীরকে বিশেষ মর্যাদা দেওয়ার কথা বলা ছিল। ৩৭০ ধারা রদের পাশাপাশি জম্মু-কাশ্মীরকে (Jammu Kashmir) ভেঙে দুটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল তৈরি হয়। কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্তের বৈধতাকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে একগুচ্ছ মামলা দায়ের হয়েছে সুপ্রিম কোর্টে। স্থির হয়েছে সোম ও শুক্রবার বাদে প্রতিদিন শুনানি হবে এই মামলার।

    সিব্বলের সওয়াল 

    বৃহস্পতিবার, প্রথম দিনের শুনানিতে মামলাকারীদের তরফে সওয়াল করেন আইনজীবী কপিল সিব্বল। তাঁর অভিযোগ, ৩৭০ ধারা রদ করে ও পূর্ণ রাজ্যকে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে পরিণত করে সংসদ রাজ্যের বিধানসভার ক্ষমতা নিজের হাতে তুলে নিয়েছিল। সংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেদে বলা হয়েছিল, রাষ্ট্রপতি ওই অনুচ্ছেদ রদ করতে পারেন। কিন্তু একই সঙ্গে তার জন্য জম্মু-কাশ্মীরের সংবিধান পরিষদের সুপারিশ প্রয়োজন বলেও শর্ত ছিল। সিব্বলের অভিযোগ, রাজ্যের বিধানসভা ভেঙে দিয়ে রাজ্যপাল রাজ্য সরকারের ভূমিকা নিজের হাতে তুলে নিয়েছিলেন। বিধানসভা বা জম্মু-কশ্মীরের সংবিধান পরিষদের বদলে সংসদ কীভাবে ৩৭০ ধারা রদের সুপারিশ করতে পারে?

    আরও পড়ুুন: গণনায় কারচুপি! বড়জোড়ার বিডিও-এসডিওকে হাজিরার নির্দেশ হাইকোর্টে

    সেই প্রসঙ্গেই প্রধান বিচারপতি ওই মন্তব্য করেন। সিব্বলকে তিনি প্রশ্ন করেন, সংবিধান পরিষদের (Jammu Kashmir) মেয়াদ শেষ হলে কী হবে? কোনও গণপরিষদ অনির্দিষ্টকালের জন্য থাকতে পারে না। ৩৭০ ধারার ধারা ৩ এর বিধানটি রাজ্যের গণপরিষদের সুপারিশ প্রয়োজন। কিন্তু, প্রশ্ন হল, যখন গণপরিষদ বন্ধ হয়ে যাবে, তখন কী হবে?

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
     
LinkedIn
Share