Author: Krishnendu Bakshi

  • Nusrat Jahan: “প্রতারণার টাকা সাইফন হয়েছে দফায় দফায়, সেই টাকায়ই ফ্ল্যাট নুসরতের”, দাবি বিজেপির

    Nusrat Jahan: “প্রতারণার টাকা সাইফন হয়েছে দফায় দফায়, সেই টাকায়ই ফ্ল্যাট নুসরতের”, দাবি বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফ্ল্যাট দেওয়ার নামে প্রতারণার অভিযোগ খারিজ করতে আজ, বুধবার ডেকেছিলেন সাংবাদিক বৈঠক। সাংবাদিকরা আগেভাগে হাজির হলেও, তৃণমূলের (TMC) নায়িকা সাংসদ নুসরত জাহান (Nusrat Jahan) এলেন নির্ধারিত সময়ের প্রায় পঁচিশ মিনিট পরে। নুসরতের উদ্দেশে প্রশ্নবাণ ধেয়ে আসতেই খানিক পরে মেজাজ হারান বসিরহাটের সাংসদ। সাংবাদিক বৈঠক মাঝপথে ফেলেই বেরিয়ে গেলেন। তার আগে অবশ্য তৃণমূল নেত্রী বললেন, “ঋণ নিয়েছিলাম, সুদ সহ ফেরত দিয়েছি।”

    নুসরতের বিরুদ্ধে অভিযোগ

    প্রসঙ্গত, ফ্ল্যাট দেওয়ার নামে কোটি কোটি টাকা নিয়েও ফ্ল্যাট না দিয়ে, ওই টাকায় নিজের নামে বিলাসবহুল ফ্ল্যাট কেনার অভিযোগ উঠেছে নুসরতের বিরুদ্ধে। তার জেরে অভিযোগকারীদের নিয়ে ইডির দ্বারস্থ হয়েছেন বিজেপি নেতা শঙ্কুদেব পণ্ডা। এরই জবাব দিতে এদিন সাংবাদিক বৈঠক নুসরতের। তৃণমূল নেত্রী (Nusrat Jahan) অভিযোগ অস্বীকার করলে কী হবে, চেক নম্বর দিয়ে শঙ্কুদেবের দাবি, “প্রতারণার টাকা সাইফন হয়েছে, দফায় দফায়। সেই টাকায়ই ফ্ল্যাট কিনেছেন নুসরত। ফ্ল্যাটের দলিলে কবে, কত টাকা নিয়েছেন, তাও জানিয়েছেন নুসরত।” নুসরতের গ্রেফতারির দাবিও জানিয়েছে পদ্ম শিবির।

    প্রতারণার নয়া ছক

    বিজেপি নেতৃত্বের অভিযোগ, “এটাই প্রতারণার নয়া ছক। টাকা তুলব, সংস্থা থেকে ইস্তফা দেব, এভাবেই প্রতারণা।” বিজেপির প্রশ্ন, “অভিযোগ মিথ্যে হলে কেন আদালতে যাচ্ছেন না বসিরহাটের সাংসদ?” বিজেপির অভিযোগ, “ নুসরতের বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ দায়ের হয়েছে, অথচ তাঁকে আড়াল করছে পুলিশ। এখন বলছেন ঋণ নিয়েছেন! নিজের সংস্থা থেকে নিজেই ঋণ নিয়েছেন! মামলা না করার জন্য অভিযোগকারীদের ওপর চাপ দেওয়া হচ্ছে কেন? কেন নথি দেখাতে পারলেন না?  কে ঋণ মঞ্জুর করল?  কোথায় সিদ্ধান্ত হয়েছে?”  

    আরও পড়ুুন: জাল নথি দিয়ে সেনায় চাকরি! পাক নাগরিক নিয়োগ মামলায় তদন্তের নির্দেশ হাইকোর্টের

    নুসরত (Nusrat Jahan) প্রভাবশালী বলেই অভিযোগকারীরা টাকা ফেরত পাচ্ছেন না  বলে অভিযোগ। শঙ্কুদেবের অভিযোগ, “দফায় দফায় ৫ লক্ষ, ১১ লক্ষ, ২৫ লক্ষ, ২৫ লক্ষ, ২৫ লক্ষ, ২৫ লক্ষ, ২০ লক্ষ, ৩৭ লক্ষ টাকা নিয়েছেন নুসরত। ১ কোটি ৯৮ লক্ষ টাকার ট্রানজাকশন হয়েছে। অথচ বলছেন ১ কোটি ১৬ লক্ষ টাকা ঋণ নিয়েছেন! কীভাবে?” বিজেপির দাবি, বকলমে সংস্থা নিয়ন্ত্রণ করেছেন বসিরহাটের তৃণমূল সাংসদ।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: “চুরি আটকান, তাহলে রাজ্যের বরাদ্দ আদায়ে এক সঙ্গে দিল্লি যাব”, বললেন শুভেন্দু

    Suvendu Adhikari: “চুরি আটকান, তাহলে রাজ্যের বরাদ্দ আদায়ে এক সঙ্গে দিল্লি যাব”, বললেন শুভেন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “চুরি আটকান, তাহলে রাজ্যের বরাদ্দ আদায়ে এক সঙ্গে দিল্লি যাব।” মঙ্গলবার বিধানসভায় কথাগুলি বললেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা নন্দীগ্রামের বিধায়ক বিজেপির (BJP) শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। তিনি বলেন, “আমরা কেন্দ্রের টাকা আটকাইনি। চুরি আটকেছি।” 

    কেন্দ্রকে চিঠি শুভেন্দুর

    কেন্দ্রের বিরুদ্ধে একশো দিনের কাজ সহ নানা প্রকল্পে টাকা আটকে রাখার অভিযোগ প্রতিনিয়তই তোলে রাজ্য সরকার। তাদের অভিযোগ, বঙ্গ বিজেপি নেতাদের জন্যই আটকে রয়েছে রাজ্যের বরাদ্দ। অভিযোগের নেপথ্যে রয়েছে কেন্দ্রকে দেওয়া শুভেন্দুর চিঠি। রাজ্যে কেন্দ্রীয় নানা প্রকল্পে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে কেন্দ্রকে একাধিকবার চিঠি দিয়েছিলেন শুভেন্দু। তার পর থেকেই নিয়মিত বরাদ্দ আটকে থাকায় বিজেপি নেতাদের দুষছে রাজ্য সরকার। এদিন সে প্রসঙ্গেই বিধানসভায় সরব হন শুভেন্দু। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা জানান, রাজ্যে আবাস প্রকল্পের কাজ ও একশো দিনের কাজের বেশ কিছু বিষয়ে কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রী গিরিরাজ সিংহের কাছে অভিযোগ জানিয়েছিলেন তিনি।

    ‘খরচ হয়নি ফান্ড’ 

    শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বলেন, “আমার পাঠানো চিঠির উত্তরে ওঁর দফতর জানায় দুটি ছাড়া আমার করা সব অভিযোগ সত্য। এই মর্মে সেকশন ২৭ প্রয়োগ করা হল। সংশ্লিষ্ট বিডিওদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিলে টাকা দেওয়া হবে না।” রাজ্যের বিরোধী দলনেতা (Suvendu Adhikari) বলেন, “কেন্দ্রীয় বঞ্চনার কথা বলা হয়েছে। একশো দিনের কাজ সহ বেশ কয়েকটি কথা বলা হয়েছে। বিভিন্ন খাতে যে অর্থ বরাদ্দ করা হয়, তাতে সমস্যার কথা আপনারা বলছেন। সমস্যা হচ্ছে একশো দিনের টাকা আর আবাস যোজনার শেয়ার অর্থ নিয়ে। অডিট রিপোর্ট জমা না দেওয়ায় রাজ্যের ৯০ শতাংশ জিএসটি ফান্ড রিলিজ হয়েছে। বাকি টাকা হয়নি।”

    আরও পড়ুুন: “কেন্দ্রীয় হারে রাজ্য সরকারি কর্মীদের ডিএ দিতেই হবে”, বিধানসভায় দাবি শুভেন্দুর

    শুভেন্দু বলেন, “শিক্ষা দফতরের ফান্ড ব্যবহার না হয়ে পড়ে রয়েছে। জল জীবন মিশনে ফান্ড ব্যবহার হয়নি। ১৭৯১ কোটি টাকা ব্যবহার হয়নি। ৪ হাজার কোটি টাকা মাইনরিটি খাতে ব্যবহার হয়নি। কেন্দ্রের প্রকল্পের নাম আপনারা বদল করেছেন। ভারত সরকারের থেকে টাকা পেতে গেলে কেন্দ্রের স্কিমের নাম দিতে হবে।” রাজ্যের বিরোধী দলনেতা (Suvendu Adhikari) বলেন, “সাগরদিঘি, নওদায় প্রধান নিজেই একাধিক বাড়ি নিয়েছেন। একাধিক জেলায় পুকুর কাটার টাকা তুলেছেন, অথচ পুকুর কাটেননি। টাকা না পাওয়ার জন্য আপনাদের কাজই দায়ী।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ। 

  • Delhi Amendment Bill: লোকসভায় পেশ দিল্লি পরিষেবা বিল, “ক্ষমতা দিয়েছে সংবিধান” ‘ইন্ডিয়া’কে জবাব শাহের

    Delhi Amendment Bill: লোকসভায় পেশ দিল্লি পরিষেবা বিল, “ক্ষমতা দিয়েছে সংবিধান” ‘ইন্ডিয়া’কে জবাব শাহের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লোকসভায় পেশ হল দিল্লির প্রশাসনিক নিয়ন্ত্রণ সংক্রান্ত আইনের সংশোধনী বিল (Delhi Amendment Bill)। মঙ্গলবার গভর্নমেন্ট অফ ন্যাশনাল ক্যাপিটাল টেরিটরি (জিএনসিটি) অফ দিল্লি নামের আইনের এই সংশোধনী বিলটি পেশ করেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের ‘ডেপুটি’ নিত্যানন্দ রাই। বিলটি লোকসভায় পেশ হতেই প্রতিবাদ করতে শুরু করে বিজেপি বিরোধী ২৬টি রাজনৈতিক দলের জোট ‘ইন্ডিয়া’।

    সমালোচনা আপের

    জাতীয় রাজধানী অঞ্চল দিল্লি (সংশোধনী) বিল ২০২৩কে “গণতন্ত্রের পরিবর্তে বাবুতন্ত্রের সূচনা” বলে বর্ণনা করেন আম আদমি পার্টির সাংসদ সুশীলকুমার রিঙ্কু সহ ‘ইন্ডিয়া’র বিভিন্ন দলের সাংসদরা। বিল পেশ করার সময় শাহ বলেন, “সংবিধান সংসদকে দিল্লি সংক্রান্ত যে কোনও বিল পাশ করানোর ক্ষমতা দিয়েছে। সুপ্রিম কোর্টও জানিয়েছে, দিল্লি প্রশাসন সংক্রান্ত কোনও আইনের ওপর সংশোধনী বিল সংসদ চাইলে পাশ করতেই পারে। তাই এই বিষয়টি নিয়ে যে বিরোধিতা করা হচ্ছে, তা সবটাই রাজনীতির স্বার্থে।” কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর এহেন মন্তব্যের পরেই সভায় বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন ‘ইন্ডিয়া’র সাংসদরা। আপের রিঙ্কু এবং কংগ্রেসের টিএন প্রথাপন কাগজ ছোড়ায় স্পিকার ওম বিড়লা তাঁদের সতর্ক করে দেন। বলেন, “এমন আচরণ ঠিক নয়, দেশবাসী আপনাদের দেখছে।” 

    খুশি হওয়া উচিত দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর!

    জানা গিয়েছে, বিলটি আইনে পরিণত হলে, দিল্লির সরকারি কর্মকর্তাদের নিয়োগ ও বদলি সংক্রান্ত সুপারিশে চূড়ান্ত সম্মতি দেওয়ার ক্ষমতা পাবেন উপ-রাজ্যপাল। বিলটি (Delhi Amendment Bill) কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় অনুমোদিত হয়েছিল ২৫ জুলাই। বিলটি সম্পর্কে সংসদে বিজেপি নেতা পরবেশ ভার্মা বলেন, “দিল্লির জনগণের জন্যই দিল্লি (পরিষেবা) অধ্যাদেশ আনা হয়েছে। এর মাধ্যমে কেন্দ্রীয় সরকার দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীকে যে ক্ষমতা দিচ্ছে, তা আগে কখনও দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীরা পাননি। তাই এই অধ্যাদেশ নিয়ে খুশি হওয়া উচিত দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর।”

    আরও পড়ুুন: “তৃণমূল এখন জাতও চুরি করছে”, শংসাপত্রকাণ্ডে রাজ্য সরকারকে কটাক্ষ শুভেন্দুর

    প্রসঙ্গত, আমলাদের নিয়োগ ও বদলি সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা কেন্দ্রীয় সরকার না দিল্লির সরকার কার হাতে থাকবে, তা নিয়ে দীর্ঘ দিন ধরে বিবাদ চলছে। মামলাও হয়েছে সুপ্রিম কোর্টে। ১১ মে দিল্লির সরকারের পক্ষেই রায় দেয় শীর্ষ আদালত। এর পর মে মাসে একটি অর্ডিন্যান্স জারি করে কেন্দ্র। উদ্দেশ্য ছিল, দিল্লির আমলাদের নিয়োগ ও বদলির বিষয়টি নিয়ন্ত্রণ করা। সেই অর্ডিন্যান্সকেই আইনের রূপ দিতে বিল (Delhi Amendment Bill) পেশ করল কেন্দ্র।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ। 

     

  • Suvendu Adhikari: “তৃণমূল এখন জাতও চুরি করছে”, শংসাপত্রকাণ্ডে রাজ্য সরকারকে কটাক্ষ শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: “তৃণমূল এখন জাতও চুরি করছে”, শংসাপত্রকাণ্ডে রাজ্য সরকারকে কটাক্ষ শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “তৃণমূল (TMC) এখন জাতও চুরি করছে।” মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারকে এই ভাষায়ই কটাক্ষ-বাণ হানলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। মঙ্গলবার বিধানসভায় সাংবাদিক বৈঠক করেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক। সেখানেই তিনি নিশানা করেন রাজ্য সরকারকে। শুভেন্দুর দাবি, তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থীদের ভুয়ো জাতিগত শংসাপত্র দেওয়া হয়েছে। জাতিগত শংসাপত্র পাওয়ার যোগ্য অনেক বিরোধী প্রার্থীই তা পাননি। এর পরেই তিনি বলেন, “তৃণমূল এখন জাতও চুরি করছে।”

    ‘জনজাতিদের অধিকারও খর্ব হচ্ছে’

    রাজ্যের বিরোধী দলনেতার (Suvendu Adhikari) অভিযোগ, রাজ্য সরকার এখন জনজাতিদের অধিকারও খর্ব করছে। রায়গঞ্জে ভুয়ো তফশিলি উপজাতি শংসাপত্র দিয়ে চাকরি পাওয়া ৭৮ জনের চাকরি গিয়েছে। এই ধরনের দুর্নীতিতে যেসব সরকারি আধিকারিক মদত দিচ্ছেন, তাঁদের শাস্তি এবং গ্রেফতারিও দাবি করেন শুভেন্দু। তিনি বলেন, “বাংলায় দু’ কোটি বেকার কর্মসংস্থান পাচ্ছেন না। অমানবিক, বর্বর, অহংকারী, দুর্নীতিগ্রস্ত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। সমস্ত শূন্য পদে আগামী ছ’ মাসের মধ্যে স্বচ্ছ নিয়োগের দাবি রাখছি। আমি রাজ্য নির্বাচন কমিশনে আরটিআই করে জানতে চেয়েছিলাম, কাস্ট রিজার্ভ আসনে যাঁরা প্রার্থী হয়েছেন, সেই তালিকা চেয়েছিলাম। ভুয়ো সার্টিফিকেট আমরা পেয়েছি। আমার ধারণা, ওবিসির ক্ষেত্রে যে তথ্য পেয়েছি, তার অধিকাংশই ভুয়ো।”

    দুর্নীতির খবর ফাঁস করার হুমকি

    রাজ্য সরকারের আরও দুর্নীতির খবর ফাঁস করবেন বলে হুমকিও দেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। বলেন, “১৫ অগাস্টের পর আরও তথ্য নিয়ে সামনে আসব। ব্যাপক দুর্নীতি হয়েছে। জেনুইন এসসি, ওবিসিকে সার্টিফিকেট দেওয়া হয়নি। ৭৮ জনের সার্টিফিকেট বাতিল করলে হবে না। অভিযুক্ত বিডিও-এসডিওদের সাসপেন্ড করলে হবে না। ওঁদের গ্রেফতারি দাবি করছি। অর্থনৈতিকভাবে যত টাকা বেতন আকারে তুলেছেন তাঁরা, সেটা ফেরত দিতে বলছি।”

    তিনি বলেন, “আপনার সরকারের আমলে বাজার দর বাড়ছে। আপনি প্রাণিসম্পদে কোনও চিকিৎসক নিয়োগ করেননি। হেল্থ সেক্টর চালাচ্ছেন আশা কর্মীরা।” শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বলেন, “আংশিক ও চুক্তিভিত্তিক কর্মীরা এখন খেতে পাচ্ছেন না। আমি বিধানসভায় বলেছি, অবিলম্বে কেন্দ্রীয় হারে মহার্ঘ ভাতা দিতে হবে। বাজার অগ্নিমূল্য, চাষিরা ফসলের ন্যায্য দাম পাচ্ছেন না। পাবলিক সার্ভিস কমিশন কোনও নিয়োগ করছে না। যত রিক্রুটমেন্ট বোর্ড রয়েছে, সব বোর্ডকে অচল করে রেখেছেন মুখ্যমন্ত্রী। আগামী ছ’ মাসের মধ্যে সমস্ত পদে স্বচ্ছতার সঙ্গে নিয়োগের দাবি জানাচ্ছি।”

    আরও পড়ুুন: ‘ইন্ডিয়া’র বারণ উপেক্ষা করেই মোদির মঞ্চে শরদ, জোটের অন্দরেই চওড়া হচ্ছে ফাটল!

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ। 

     

  • PM Modi: ‘ইন্ডিয়া’র বারণ উপেক্ষা করেই মোদির মঞ্চে শরদ, জোটের অন্দরেই চওড়া হচ্ছে ফাটল!

    PM Modi: ‘ইন্ডিয়া’র বারণ উপেক্ষা করেই মোদির মঞ্চে শরদ, জোটের অন্দরেই চওড়া হচ্ছে ফাটল!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘ইন্ডিয়া’র অন্দরেই চওড়া হচ্ছে ফাটল! প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে মঞ্চ শেয়ার করতে তাঁকে পইপই করে না বলেছিলেন ইন্ডিয়ার সদস্যরা। সেসব উপেক্ষা করেই মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রীর (PM Modi) সঙ্গে মঞ্চ শেয়ার করলেন এনসিপি সুপ্রিমো শরদ পাওয়ার। শুধু তাই নয়, প্রধানমন্ত্রীকে সম্মাননাও জ্ঞাপন করলেন তিনিই।

    প্রধানমন্ত্রীকে সম্মাননা দিলেন পাওয়ার

    এদিন মহারাষ্ট্রের পুণেয় পালন করা হয় স্বাধীনতা সংগ্রামী বাল গঙ্গাধর তিলকের ১০৩তম প্রয়াণ বার্ষিকী। তাঁর নামাঙ্কিত পুরষ্কারে ভূষিত করা হল প্রধানমন্ত্রীকে। প্রধানমন্ত্রীর হাতে সেই সম্মাননা তুলে দিলেন এনসিপি প্রধান। এ মাসেই মুম্বইয়ে বসার কথা বিজেপি বিরোধী ২৬টি দলের জোট ‘ইন্ডিয়া’র তৃতীয় বৈঠক। এই বৈঠকের আগে ‘ইন্ডিয়া’র নেতাদের কথা না শুনে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে মঞ্চ শেয়ার করে শরদ জোটকে অস্বস্তিতে ফেললেন বলেই ধারণা রাজনৈতিক মহলের।

    ক্ষোভ এনসিপির অন্দরেই

    প্রবীণ রাজনীতিবিদের এহেন আচরণে ক্ষুব্ধ খোদ শরদ ঘনিষ্ঠ সাংসদই। রাজ্যসভার সাংসদ এনসিপির (শারদপন্থী) বন্দনা চহ্বান বলেন, “যিনি (PM Modi) আমাদের দল ভাঙলেন এবং দুর্নীতির অভিযোগ তুললেন সেই নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে আমাদের দলীয় প্রধানের এক মঞ্চে বসাটা ব্যক্তিগতভাবে ঠিক বলে মনে করি না। আমি পাওয়ারজিকে অনুরোধ করেছিলাম না যাওয়ার জন্য। কিন্তু তিনি আমাকে জানিয়েছিলেন ওই অনুষ্ঠানে মোদিকে তিনিই আমন্ত্রণ করেছেন তিলক ট্রাস্টের অনুরোধে। সেটা অজিত পাওয়ার দল ভাঙার আগের ঘটনা।”

    এদিনের অনুষ্ঠানের আয়োজক ছিল লোকমান্য তিলক সম্পর্ক মন্দির ট্রাস্ট। অনুষ্ঠানে শরদের পাশাপাশি উপস্থিত ছিলেন তাঁরই ভাইপো তথা এনসিপির বিদ্রোহী গোষ্ঠীর নেতা অজিতও। এহেন অনুষ্ঠানে শরদ কেন যোগ দিলেন, তা নিয়ে শুরু হয়েছে জল্পনা।এই অনুষ্ঠানের সাত বছর আগে মোদির (PM Modi) সঙ্গে মঞ্চ শেয়ার করেছিলেন শরদ। তারপর এবার। তবে এবার তাঁকে ওই অনুষ্ঠানে যোগ দিতে বারণ করেছিল এমভিএ জোট এবং ইন্ডিয়ার বিভিন্ন শরিক দল। লোকসভা নির্বাচনের আগে আমজনতার কাছে ভুল বার্তা যেতে পারে ভেবেই না বলা হয়েছিল তাঁকে। এদিক, এদিন পাওয়া পুরস্কার প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) উৎসর্গ করেন দেশবাসীকে। তিনি বলেন, “এই পুরস্কারের টাকা আমি নমামি গঙ্গে প্রকল্পে দান করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।”

    আরও পড়ুুন: ২৪ কোটির প্রতারণা! বয়স্কদের ঠকিয়ে ফ্ল্যাট কিনেছেন নুসরত? ‘কীর্তি’ জানত পুলিশও

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ। 

     
     

     

  • Manipur: ‘ইন্ডিয়া’র অনাস্থা প্রস্তাব, আলোচনা ৮ অগাস্ট, ১০ তারিখে জবাবি ভাষণ দেবেন প্রধানমন্ত্রী

    Manipur: ‘ইন্ডিয়া’র অনাস্থা প্রস্তাব, আলোচনা ৮ অগাস্ট, ১০ তারিখে জবাবি ভাষণ দেবেন প্রধানমন্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সংখ্যাতত্ত্বের হিসেবে পরাজয় নিশ্চিত। তা সত্ত্বেও মণিপুর (Manipur) নিয়ে মোদি সরকারের বিরুদ্ধে লোকসভায় অনাস্থা প্রস্তাব এনেছে ‘ইন্ডিয়া’। বিজেপি বিরোধী ২৬টি দলের জোট ‘ইন্ডিয়া’র আনা অনাস্থা প্রস্তাব নিয়ে সংসদে আলোচনা হবে ৮ অগাস্ট। তার দু দিন পরে জবাবি ভাষণ দেবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। আজ, মঙ্গলবার বৈঠক ছিল লোকসভার অ্যাডভাইসারি কমিটির। সেখানেই অনাস্থা প্রস্তাবের ওপর আলোচনার দিনক্ষণ স্থির করার কথা ছিল।

    প্রধানমন্ত্রীর জবাবি ভাষণ

    বৈঠকে জানানো হয়, এদিন দুপুর দুটোয় লোকসভায় দিল্লি সার্ভিসেস বিল পেশ করা হবে এবং বুধবার এ বিষয়ে আলোচনা চায় সরকার। এর তীব্র বিরোধিতা করেন বৈঠকে উপস্থিত বিরোধী দলের নেতারা। প্রতিবাদে মাত্র ১২ মিনিটের মাথায় বৈঠক ছেড়ে বেরিয়ে যান তাঁরা। বিরোধীরা বেরিয়ে যাওয়ার পরেই সরকার পক্ষের নেতাদের সঙ্গে আলোচনা (Manipur) হয় অধ্যক্ষের। তার পরেই স্থির করা হয় অনাস্থা প্রস্তাবের দিনক্ষণ। অনাস্থা প্রস্তাবের ওপর প্রধানমন্ত্রী জবাবি ভাষণ দেবেন ১০ অগাস্ট। তার পরের দিনই শেষ হওয়ার কথা বাদল অধিবেশনের।

    অনাস্থা প্রস্তাব কী?

    অনাস্থা প্রস্তাব একটি সংসদীয় প্রক্রিয়া। এর মাধ্যমে সরকারের সংখ্যাগরিষ্ঠতাকে চ্যালেঞ্জ করে বিরোধী পক্ষ। সংসদীয় নিয়ম অনুযায়ী, সংসদের যে কোনও সদস্যই অনাস্থা প্রস্তাব আনতে পারেন। তবে তাঁর সেই প্রস্তাবের পক্ষে সমর্থন থাকতে হবে অন্তত ৫০জন সাংসদের। এ নিয়ে দেশে মোট ২৮টি অনাস্থা প্রস্তাব আনা হয়েছে লোকসভায়। মোদি সরকারের বিরুদ্ধে এর আগে অনাস্থা প্রস্তাব নিয়ে আসা হয়েছিল ২০১৮ সালে। লোকসভায় শাসক জোট এনডিএর হাতে রয়েছে ৩৩১ জন সাংসদ। ‘ইন্ডিয়া’র (Manipur) সাংসদ রয়েছেন ১৪৪ জন। তাই সংখ্যাতত্ত্বের হিসেবে অনাস্থায় গোহারা হারবে ইন্ডিয়া।

    আরও পড়ুুন: ২৪ কোটির দুর্নীতি! অভিযোগ, নুসরতের ‘কীর্তি’ জানত গড়িয়াহাট থানা

    মেইতেই ও কুকিদের সঙ্গে সংঘর্ষের জেরে উত্তপ্ত হয়ে রয়েছে উত্তর-পূর্বের পাহাড়ি রাজ্য মণিপুর (Manipur)। তফশিলি জাতির দাবিতে সোচ্চার হন মেইতেইরা। তার জেরে আক্ষরিক অর্থেই জ্বলছে মণিপুর। একটি ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পর সম্প্রতি ঘি পড়ে  সেই আগুনেই। ৪ মে মণিপুরের এক গ্রামে বিবস্ত্র করে ঘোরানো হয় দুই তরুণীকে। পরে তাঁদের একটি মাঠে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণও করা হয় বলে অভিযোগ। এর জেরেই তোলপাড় দেশ। যার আঁচ লেগেছে সংসদের গায়েও। এহেন আবহেই মোদি সরকারের বিরুদ্ধে অনাস্থা এনেছেন বিরোধীরা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ। 

     
     
  • Buddhadeb Bhattacharjee: সুস্থতার পথে বুদ্ধদেব, রাতেই হয়েছে ফিজিওথেরাপি, মাঝে মধ্যে দেওয়া হচ্ছে বাইপ্যাপ  

    Buddhadeb Bhattacharjee: সুস্থতার পথে বুদ্ধদেব, রাতেই হয়েছে ফিজিওথেরাপি, মাঝে মধ্যে দেওয়া হচ্ছে বাইপ্যাপ  

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ক্রমেই উন্নতি হচ্ছে রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের (Buddhadeb Bhattacharjee) শারীরিক অবস্থার। সোমের চেয়ে মঙ্গলবার বেশ ভাল রয়েছেন তিনি। সোমবারই বুদ্ধদেবকে বের করা হয়েছিল ইনভেসিভ ভেন্টিলেশন থেকে। তার পর থেকে মঙ্গলবার বেলা ১০টা পর্যন্ত আর অবনতি হয়নি তাঁর শারীরিক অবস্থার। বুদ্ধদেব যাতে নিজেই শ্বাস-প্রশ্বাস নিতে পারেন, তাই সোমবার রাতেই তাঁকে দেওয়া হয়েছে পালমোনারি ফিজিওথেরাপি। রক্তে সুগারের পরিমাণ যাতে বেড়ে না যায় তাই নিয়মিত দেওয়া হচ্ছে ইনস্যুলিনও।

    মেডিক্যাল টিমের কড়া নজরে বুদ্ধদেব

    হাসপাতাল সূত্রে খবর, সোমবার অনেক রাত পর্যন্ত হাসপাতালে ছিলেন বুদ্ধদেবের (Buddhadeb Bhattacharjee) চিকিৎসায় গঠিত মেডিক্যাল টিমের সদস্যরা। সেই সময়ই তাঁকে ফিজিওথেরাপি দেওয়া হয়েছে। এতে তিনি নিজে থেকেই শ্বাস-প্রশ্বাস নিতে পারবেন। এর পাশাপাশি তাঁকে মাঝে-মধ্যে দেওয়া হচ্ছে নন-ইনভেসিভ বাইপ্যাপ সাপোর্টও। সংক্রমণ কমাতে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীকে দেওয়া হচ্ছে কড়া ডোজের অ্যান্টিবায়োটিক। তবে অ্যান্টিবায়োটিকের জেরে কিডনি যাতে ক্ষতিগ্রস্ত না হয়, সেদিকেও কড়া নজর রাখছেন মেডিক্যাল টিমের সদস্যরা। ওই মেডিক্যাল টিমের এক চিকিৎসক বলেন, “ওঁর সব প্যারামিটার স্টেবল রয়েছে। আগের চেয়ে তুলনামূলকভাবে উনি ভাল আছেন।”

    স্বাভাবিকতার পথে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী

    প্রসঙ্গত, অসুস্থতার কারণে শনিবার বিকেলে আলিপুরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয় বুদ্ধদেবকে (Buddhadeb Bhattacharjee)। সোমবার সন্ধ্যার মেডিক্যাল বুলেটিনে বলা হয়েছিল, অনেকটাই চেতনা ফিরেছে বুদ্ধদেবের। তাঁর রক্তচাপ, রক্তে অক্সিজেন ও কার্বন ডাই অক্সাইডের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। নয়া অ্যান্টি বায়োটিক প্রয়োগ করায় এবং ভেন্টিলেশনে রাখায় অনেকটাই স্থিতিশীল প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর শারীরিক অবস্থা।

    এদিন বুদ্ধদেবকে দেখতে হাসপাতালে যান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনিও বলেছিলেন, “স্থিতিশীল রয়েছেন বুদ্ধবাবু (Buddhadeb Bhattacharjee)।” মুখ্যমন্ত্রী এও বলেছিলেন, “আমার যেটুকু মনে হল, আমাকে যেন হাত নাড়লেন। এখন ভালই আছেন। স্থিতিশীল আছেন। হাসপাতালে চিকিৎসা চলছে। ওঁরা সাধ্যমতো ভাল করে করছেন। বোর্ডও তৈরি হয়েছে। আমার মনে হয় প্যারামিটারগুলি অনেকটাই ঠিক আছে। বাদবাকিটা উনি কেমন আছেন, কী আছেন, যাঁরা মেডিক্যাল বোর্ডে রয়েছেন বা যাঁরা চিকিৎসা করছেন, তাঁরাই বলতে পারবেন।”

    আরও পড়ুুন: হরিয়ানায় হিন্দুদের শোভাযাত্রায় হামলা, নিহত ৩, জ্বলল গাড়ি, বন্ধ ইন্টারনেট

    সোমবারই জানা গিয়েছিল, প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর রক্তে সংক্রমণ আগের চেয়ে অনেকটাই কমেছে। কমেছে ক্রিয়েটিনিনের মাত্রাও। হাসপাতালের তরফে এদিন বিকেলের মেডিক্যাল বুলেটিনে বলা হয়েছে, চিকিৎসকরা সর্বক্ষণ নজর রেখে চলেছেন বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের ওপর। হাসপাতাল সূত্রে খবর, বুদ্ধদেবের (Buddhadeb Bhattacharjee) শারীরিক অবস্থার উন্নতি হচ্ছে ধীরে ধীরে। তাঁদের আশা, আস্তে আস্তে সুস্থ হয়ে উঠবেন রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী। ফিরেও যাবেন পাম অ্যাভেনিউয়ের বাড়িতে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ। 

     

  • Buddhadeb Bhattacharjee: চেতনা ফিরেছে অনেকটাই, নিয়ন্ত্রণে রক্তচাপও, স্থিতিশীল বুদ্ধদেব

    Buddhadeb Bhattacharjee: চেতনা ফিরেছে অনেকটাই, নিয়ন্ত্রণে রক্তচাপও, স্থিতিশীল বুদ্ধদেব

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইনভেসিভ ভেন্টিলেশন থেকে বের করে নিয়ে আসা হল রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যকে (Buddhadeb Bhattacharjee)। তবে পরিস্থিতির কথা বিবেচনা করে বাইপ্যাপ সাপোর্টে রাখা হয়েছে তাঁকে। আলিপুরের যে বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন বুদ্ধদেব, সেই হাসপাতালের মেডিক্যাল বুলেটিনে বলা হয়েছে, অনেকটাই চেতনা ফিরেছে বুদ্ধদেবের। তাঁর রক্তচাপ, রক্তে অক্সিজেন ও কার্বন ডাই অক্সাইডের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। হাসপাতাল সূত্রে খবর, নয়া অ্যান্টি বায়োটিক প্রয়োগ করায় এবং ভেন্টিলেশনে রাখায় অনেকটাই স্থিতিশীল প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর শারীরিক অবস্থা।

    হাসপাতালে মুখ্যমন্ত্রী

    এদিকে, এদিন প্রাক্তনকে দেখতে হাসপাতালে যান বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনিও বলেন, “স্থিতিশীল রয়েছেন বুদ্ধবাবু (Buddhadeb Bhattacharjee)।” মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “আমার যেটুকু মনে হল, আমাকে যেন হাত নাড়লেন। এখন ভালই আছেন। স্থিতিশীল আছেন। হাসপাতালে চিকিৎসা চলছে। ওঁরা সাধ্যমতো ভাল করে করছেন। বোর্ডও তৈরি হয়েছে। আমার মনে হয় প্যারামিটারগুলি অনেকটাই ঠিক আছে। বাদবাকিটা উনি কেমন আছেন, কী আছেন, যাঁরা মেডিক্যাল বোর্ডে রয়েছেন বা যাঁরা চিকিৎসা করছেন, তাঁরাই বলতে পারবেন। আমি ডাক্তার নই।”

    কমেছে সংক্রমণ 

    জানা গিয়েছে, প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর রক্তে সংক্রমণ আগের চেয়ে অনেকটাই কমেছে। কমেছে ক্রিয়েটিনিনের মাত্রাও। হাসপাতালের তরফে এদিন বিকেলের মেডিক্যাল বুলেটিনে বলা হয়েছে, চিকিৎসকরা সর্বক্ষণ নজর রেখে চলেছেন বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের ওপর। হাসপাতাল সূত্রে খবর, বুদ্ধদেবের (Buddhadeb Bhattacharjee) শারীরিক অবস্থার উন্নতি হচ্ছে ক্রমেই। তাঁদের আশা, ধীরে ধীরে সুস্থ হয়ে উঠবেন রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী। ফিরে যাবেন পাম অ্যাভেনিউয়ের বাড়িতে। এদিন সকালেই ওই হাসপাতালের চিকিৎসক কৌশিক চক্রবর্তী বলেছিলেন, “বুদ্ধদেববাবুর (Buddhadeb Bhattacharjee) কার্ডিয়াক ফাংশন বেশ ভাল। তাই ফুসফুসের অবস্থা খারাপ থাকলেও, উনি লড়ে যাচ্ছেন। শরীরে সুগারের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে ইনসুলিন দেওয়া হচ্ছে। রাইলস টিউবের মাধ্যমে তাঁকে খাবার দেওয়া হচ্ছে। কোনও সমস্যা ছাড়াই তাঁর খাদ্যনালী দিয়ে শরীরে খাবার ঢুকছে। এটা ভাল লক্ষণ।”

    আরও পড়ুুন: “দুর্নীতির সঙ্গে আপোষ নয়”, অন্তর্বর্তীকালীন উপাচার্যদের বৈঠকে আনন্দ-বার্তা

    তিনি বলেছিলেন, “প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী এখন কানে শুনতে পাচ্ছেন। বুঝতে পারছেন, আশপাশটা অনুভব করতে পারছেন। আমরা ডাকলে উনি তাকাচ্ছেন, মাথাও নাড়ছেন। কখনও কখনও ইশারায় হ্যাঁ বা না বোঝানোর চেষ্টাও করছেন। তবে এখনও বিপন্মুক্ত নন তিনি।” 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।     

  • Calcutta High Court: ভাঙড় থেকে প্রত্যাহৃত ১৪৪ ধারা, আদালতে জানাল রাজ্য সরকার

    Calcutta High Court: ভাঙড় থেকে প্রত্যাহৃত ১৪৪ ধারা, আদালতে জানাল রাজ্য সরকার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সোমবার থেকে ১৪৪ ধারা প্রত্যাহার করা হল ভাঙড় থেকে। এদিন কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court) একথা জানাল রাজ্য সরকার। স্বাভাবিকভাবেই এখন আর ভাঙড়ে যেতে কোনও বাধা রইল না স্থানীয় বিধায়ক আইএসএফের নওশাদ সিদ্দিকির। এদিন রাজ্য সরকারও জানিয়েছে, এখন আর ভাঙড়ের বিধায়কের মামলার কোনও যৌক্তিকতা নেই।

    ভাঙড়ে জারি ১৪৪ ধারা

    ত্রিস্তর পঞ্চায়েত নির্বাচন পর্বে দফায় দফায় উত্তপ্ত হয়েছিল ভাঙড়। রাজনৈতিক হিংসার বলি হয়েছেন বেশ কয়েকজন। মনোনয়ন-পেশ পর্বেও হয়েছে খুনখারাপি। তারপরেই এলাকায় শান্তি বজায় রাখতে ১৪৪ ধারা জারি করে প্রশাসন। তার জেরে এলাকায় ঢুকতে পারেননি স্থানীয় বিধায়ক নওশাদ। নির্বাচন-পর্ব মিটে যাওয়ার পরেও কেন ভাঙড়ে ১৪৪ ধারা জারি রয়েছে, সে প্রশ্নও ওঠে। এই ১৪৪ ধারার কারণেই ১২ জুলাই নওশাদকে ভাঙড়ে ঢুকতে বাধা দেয় পুলিশ। ১৭ জুলাইও তাঁর বিধানসভা ক্ষেত্রে যেতে দেওয়া হয়নি নওশাদকে।

    হাইকোর্টে ভাঙড়ের বিধায়ক 

    এর পরেই কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন ভাঙড়ের বিধায়ক। বিচারপতি জয় সেনগুপ্তের এজলাসে সেই মামলার (Calcutta High Court) শুনানি হয় আজ, সোমবার। সেখানেই রাজ্য সরকার জানায়, এদিন থেকেই ভাঙড়ে প্রত্যাহার করা হয়েছে ১৪৪ ধারা। এর পরেই বিচারপতি সেনগুপ্তের সিঙ্গল বেঞ্চ জানায়, এখন আর ভাঙড়ে ঢুকতে বাধা নেই বিধায়কের। কেবল স্থানীয় বিধায়ক নন, ১৪৪ ধারা জারি থাকায় ভাঙড়ে ঢুকতে গিয়ে বাধা পেয়েছেন ক্যানিং পূর্বের বিধায়ক তৃণমূলের সওকত মোল্লা এবং তৃণমূল নেতা আরাবুল ইসলামও। 

    আরও পড়ুুন: ফের মুখ পুড়ল তৃণমূলের! বিজেপি নেতাদের বাড়ি ঘেরাও কর্মসূচিতে স্থগিতাদেশ হাইকোর্টের

    জানা গিয়েছে, তৃণমূল বিধায়ক সওকতের আবেদনে কান দেওয়ায়ই ভাঙড় থেকে প্রত্যাহার করা হয়েছে ১৪৪ ধারা। বিধানসভার বাদল অধিবেশনে যোগ দিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে ১৪৪ ধারা প্রত্যাহারের (Calcutta High Court) আবেদন করেন সওকত। তিনি বলেন, “আমি মুখ্যমন্ত্রীর কাছে আবেদন জানাই, যাতে ভাঙড় থেকে ১৪৪ ধারা তুলে নেওয়া হয়। ভাঙড়ের তপ্ত পরিবেশের জেরে ১৪৪ ধারা জারি হয়েছিল। আমার মনে হয়, এখন ১৪৪ ধারা তুলে নেওয়া উচিত। গরিব মানুষের অসুবিধা হোক, সেটা আমরা কখনও চাই না।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ। 

     

  • Love Jihad: ‘লাভ জিহাদ’ নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য, ক্ষমা প্রার্থনা অসম প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির

    Love Jihad: ‘লাভ জিহাদ’ নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য, ক্ষমা প্রার্থনা অসম প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘মহাভারতে’ ‘লাভ জিহাদ’ (Love Jihad) ছিল বলে বেফাঁস মন্তব্য করেছিলেন অসম প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি ভূপেন বোরা। তাঁর এই মন্তব্যে বিস্তর হইচই হয় রাজ্যে। বিতর্কিত মন্তব্যের জন্য ভূপেনকে গ্রেফতার করা হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী বিজেপির হিমন্ত বিশ্ব শর্মা। রাজ্যের বেশ কয়েকটি জেলায় এফআইআর দায়ের হয় ভূপেনের বিরুদ্ধে। এর পরেই সুর নরম করেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি। চান নিঃশর্ত ক্ষমাও। ক্ষমা প্রার্থনা করে ভূপেন বলেন, “আমার এই মন্তব্যের জন্য কোনও সম্প্রদায় যদি আঘাত পেয়ে থাকে, তার জন্য আমি দুঃখিত। ধর্মকে আঘাত করার মতো কোনও পরিকল্পনা আমার ছিল না।” মন্তব্যের জন্য শ্রীকৃষ্ণের কাছেও ক্ষমা চাইবেন বলে জানান তিনি। বিজেপির বিরুদ্ধে ধর্মীয় ভেদাভেদের অভিযোগও তোলেন ভূপেন।

    ‘লাভ জিহাদ’

    ঘটনার সূত্রপাত শুক্রবার। এদিন হিন্দু স্ত্রী সহ শ্বশুরবাড়ির বেশ কয়েকজন সদস্যকে খুন করার অভিযোগ ওঠে জনৈক নাজিবুর রহমান বোরার বিরুদ্ধে। পরে থানায় আত্মসমর্পণ করেন তিনি। এই ঘটনার পিছনে ‘লাভ জিহাদে’র (Love Jihad) তত্ত্ব খাড়া করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। এ ব্যাপারেই প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করে বসেন অসম প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি। তিনি দাবি করেছিলেন, মহাভারতেও ‘লাভ জিহাদ’ ছিল। এ ব্যাপারে তিনি ধৃতরাষ্ট্র ও গান্ধারী এবং শ্রীকৃষ্ণ ও রুক্মিনীর বিয়ের উদাহরণ দেন।

    ভূপেনের আলটপকা মন্তব্য

    তাঁর দাবি, মহাভারতের এই চরিত্রদের বিয়েও ছিল ‘লাভ জিহাদ’। ভূপেনের আলটপকা মন্তব্যের জেরে শোরগোল পড়ে যায় রাজ্যে। ঘরে-বাইরে বিপাকে পড়ে যায় গ্র্যান্ড ওল্ড পার্টিও। প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির বিরুদ্ধে হিন্দু ধর্মকে অপমান করার অভিযোগ ওঠে। এ নিয়ে সরব হয় হিন্দুত্ববাদী বিভিন্ন সংগঠন। গ্রেফতারির হুঁশিয়ারি দেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী।

    আরও পড়ুুন: ফের মুখ পুড়ল তৃণমূলের! বিজেপি নেতাদের বাড়ি ঘেরাও কর্মসূচিতে স্থগিতাদেশ হাইকোর্টের

    বছর ঘুরলেই লোকসভা নির্বাচন। তার আগে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির এহেন আলটপকা মন্তব্যে বিপাকে পড়তে পারে দল। বিজেপি ভূপেনের এই বিতর্কিত মন্তব্যকেই (Love Jihad) হাতিয়ার করতে পারে। সূত্রের খবর, এসব চিন্তা করেই ভূপেনের ওপর চাপ বাড়াতে থাকেন কংগ্রেস নেতৃত্ব। রাজনৈতিক মহলের মতে, সেই কারণেই তড়িঘড়ি ‘লাভ জিহাদ’ নিয়ে মন্তব্যের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করেন ভূপেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share