Author: Krishnendu Bakshi

  • Calcutta High Court: ফের মুখ পুড়ল তৃণমূলের! বিজেপি নেতাদের বাড়ি ঘেরাও কর্মসূচিতে স্থগিতাদেশ হাইকোর্টের

    Calcutta High Court: ফের মুখ পুড়ল তৃণমূলের! বিজেপি নেতাদের বাড়ি ঘেরাও কর্মসূচিতে স্থগিতাদেশ হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের একবার আদালতে (Calcutta High Court) মুখ পুড়ল তৃণমূলের! ৫ অগাস্ট রাজ্যের ব্লকস্তরের বিজেপি নেতাদের বাড়ি ঘেরাও কর্মসূচির ডাক দিয়েছিলেন তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার এই কর্মসূচিতে স্থগিতাদেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। মামলার শুনানিতে প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম বলেন, “কেউ যদি বলেন, কাল হাইকোর্ট ঘেরাও করা হবে, তবে কি সরকার বা পুলিশ কোনও পদক্ষেপ করবে না? কেউ যদি কোথাও বোমা রাখা হবে বলে, তবে কি সরকার বা পুলিশ কোনও পদক্ষেপ করবে না?”

    অভিষেকের কর্মসূচি

    প্রসঙ্গত, ২১ জুলাই তৃণমূলের সমাবেশ মঞ্চ থেকে বিজেপি নেতাদের বাড়ি ঘেরাও কর্মসূচি ঘোষণা করেন অভিষেক। অভিষেক ও তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। আদালতের দ্বারস্থও হয় বিজেপি। এই মামলার শুনানিতেই এদিন স্থগিতাদেশ দেয় প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ (Calcutta High Court)। ধর্মতলায় তৃণমূলের ওই সমাবেশ মঞ্চে একশো দিনের টাকা আটকে রাখার প্রসঙ্গ তুলে কেন্দ্রকে নিশানা করেন তৃণমূল নেত্রীর ভাইপো। সেই সূত্রেই বিজেপি নেতাদের বাড়ি ঘেরাও কর্মসূচির ডাক দেন তিনি। ভরা জনসভায় অভিষেক বলেন, “আগামী ৫ অগাস্ট সমস্ত বুথ, অঞ্চল, ব্লক, জেলা থেকে রাজ্যস্তরের বিজেপি নেতাদের বাড়ি শান্তিপূর্ণভাবে ঘেরাও করতে হবে। তবে বাড়িতে কোনও বৃদ্ধ মানুষ থাকলে তাঁকে ছেড়ে দেবেন। বিজেপি নেতা বাড়ি থেকে বেরোবেন না, ঢুকবেনও না।” দলীয় কর্মীদের সতর্ক করতে অভিষেক বলেন, “কারও গায়ে হাত দেবেন না। প্রথম এখানে গণঘেরাও কর্মসূচি হবে। তারপর দিল্লি ঘেরাও হবে।”

    মমতার সংশোধিত কর্মসূচি 

    অভিষেকের পরে ভাষণ দিতে উঠে কর্মসূচির খানিক পরিবর্তন করেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, “কর্মসূচি হবে ব্লক স্তরে। আর ঘেরাও করা হবে বিজেপি নেতাদের বাড়ি থেকে ১০০ মিটার দূরে, প্রতীকীভাবে। যাতে কেউ না বলতে পারেন, বাধা দেওয়া হচ্ছে।” মুখ্যমন্ত্রীর এহেন মন্তব্যে বিস্ময় প্রকাশ করেন প্রধান বিচারপতি। তিনি বলেন, “কী করে কিছু মানুষকে একজোট হয়ে বাড়ি ঘেরাও করতে বলেন! একজন সাংবিধানিক পদাধিকারীর কাছ থেকে এই ধরনের মন্তব্য আশা করা যায় না।”

    আরও পড়ুুন: ‘‘পঞ্চায়েত বোর্ড গঠন হয়নি, তাই ডেঙ্গির বাড়বাড়ন্ত’’! মুখ্যমন্ত্রীর কথায় ওয়াকআউট বিজেপির

    আদালতের (Calcutta High Court) রায় প্রসঙ্গে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেন, “আদালতের এই অন্তর্বর্তীকালীন নির্দেশকে স্বাগত জানাচ্ছি। আদালত এই অগণতান্ত্রিক কর্মসূচিকে কড়া হাতে দমন করেছেন। আদালতের এই নির্দেশের পর আশা করব, পিসি-ভাইপো এই ধরনের অসংসদীয় কাজ থেকে বিরত থাকবেন।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Buddhadeb Bhattacharjee: কমছে সংক্রমণ, শারীরিক অবস্থার উন্নতি হচ্ছে বুদ্ধদেবের

    Buddhadeb Bhattacharjee: কমছে সংক্রমণ, শারীরিক অবস্থার উন্নতি হচ্ছে বুদ্ধদেবের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এখনও সঙ্কট কাটেনি রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের (Buddhadeb Bhattacharjee)। সোমবার সকালে সিটি স্ক্যান হয়েছে তাঁর। জানা গিয়েছে, তাঁর শারীরিক পরিস্থিতির কোনও অবনতি হয়নি। সিটি স্ক্যানের এই রিপোর্ট নিয়েই সোমবার বেলা ১২টা নাগাদ আলোচনায় বসেন মেডিক্যাল বোর্ডের চিকিৎসকরা। তাঁর রক্তে সিআরপির পরিমাণ কত, তা দেখেই করা হবে পরবর্তী পদক্ষেপ।

    নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত ফুসফুস

    চিকিৎসকদের বক্তব্য, রক্তে সিআরপির পরিমাণ কমে গেলে বোঝা যাবে বুদ্ধদেবের শরীরে কমেছে সংক্রমণের মাত্রা। শনিবার সন্ধ্যায় হাসপাতালে ভর্তির সময় তাঁর শরীরে সিআরপির মাত্রা বেশি ছিল। প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর দুটি ফুসফুসই নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়েছে। রবিবারই বুদ্ধদেবকে (Buddhadeb Bhattacharjee) দেখে গিয়েছিলেন মেডিক্যাল টিমের সদস্য হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ সরোজ মণ্ডল। করানো হয় ইকো-কার্ডিয়োগ্রাম। সেই রিপোর্টও ভাল। বুদ্ধদেব আলিপুরের যে বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন, সেখানকার চিকিৎসক কৌশিক চক্রবর্তী বলেন, বুদ্ধদেববাবুর কার্ডিয়াক ফাংশন বেশ ভাল। তাই ফুসফুসের অবস্থা খারাপ থাকলেও, উনি লড়ে যাচ্ছেন। শরীরে সুগারের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে ইনসুলিন দেওয়া হচ্ছে। রাইলস টিউবের মাধ্যমে তাঁকে খাবার দেওয়া হচ্ছে। কোনও সমস্যা ছাড়াই তাঁর খাদ্যনালী দিয়ে শরীরে খাবার ঢুকছে। এটা ভাল লক্ষণ।

    কানে শুনতে পাচ্ছেন বুদ্ধদেব

    তিনি বলেন, প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী এখন কানে শুনতে পাচ্ছেন। বুঝতে পারছেন, আশপাশটা অনুভব করতে পারছেন। আমরা ডাকলে উনি তাকাচ্ছেন, মাথাও নাড়ছেন। কখনও কখনও ইশারায় হ্যাঁ বা না বোঝানোর চেষ্টাও করছেন। তবে এখনও বিপন্মুক্ত নন তিনি। হাসপাতালেরই একটি সূত্রে খবর, বুদ্ধদেবের (Buddhadeb Bhattacharjee) সিটি স্ক্যানের রিপোর্ট দেখে চিকিৎসকরা মনে করছেন, ক্রমেই নিয়ন্ত্রণে আসছে তাঁর ফুসফুসের সংক্রমণ। প্রাথমিক রিপোর্ট অনুসারে সংক্রমণ এখন অর্গানাইজিং পর্যায়ে রয়েছে। তাঁর ফুসফুসের সংক্রমণ আর বাড়ছে না। বুকে জল জমার পরিস্থিতিও আর নেই। তবে ফুসফুসে ফাইব্রসিস নজরে এসেছে চিকিৎসকদের।

    আরও পড়ুুন: “মণিপুর নিয়ে আলোচনায় রাজি বিজেপি, কথা হোক বাংলা নিয়েও”, দাবি অগ্নিমিত্রার

    প্রসঙ্গত, শনিবার সকালে আচমকাই অসুস্থ হয়ে পড়ায় প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যকে (Buddhadeb Bhattacharjee) ভর্তি করা হয় আলিপুরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে। তাঁর শ্বাসনালীতে সংক্রমণ ছিল। টাইপ ২ রেসপিরেটরি ফেলিয়োরও হয়েছিল। বাইপ্যাপ সাপোর্টে ছিলেন। বুদ্ধদেবের চিকিৎসায় গঠিত হয়েছে আট সদস্যের একটি মেডিক্যাল টিম। এই টিমে রয়েছেন মেডিসিন বিশেষজ্ঞ কৌশিক চক্রবর্তী, ক্রিটিক্যাল বিশেষজ্ঞ সৌপ্তিক পান্ডা ও সুস্মিতা দেবনাথ, কার্ডিওলজিস্ট সরোজ মণ্ডল, পালমোলজিস্ট অঙ্কন বন্দোপাধ্যায়, ইন্টারন্যাল মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ধ্রুব ভট্টাচার্য, অ্যানাস্থিটিওলজিস্ট আশিস পাত্র, সোমনাথ মাইতি ও সপ্তর্ষী বসু। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Manipur: “মণিপুর নিয়ে আলোচনায় রাজি বিজেপি, কথা হোক বাংলা নিয়েও”, দাবি অগ্নিমিত্রার

    Manipur: “মণিপুর নিয়ে আলোচনায় রাজি বিজেপি, কথা হোক বাংলা নিয়েও”, দাবি অগ্নিমিত্রার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মণিপুর (Manipur) ইস্যুতে সরগরম দেশ। বিজেপি শাসিত এই রাজ্য নিয়ে আলোচনার দাবিতে উত্তাল হয়েছে সংসদ। বিরোধীদের হট্টগোলের জেরে নষ্ট হয়েছে সংসদের বেশ কয়েকটা মূল্যবান দিন। মণিপুর ইস্যুতে হইচই হয়েছে রাজ্যের বিধানসভায়ও। আজ, সোমবার এনিয়ে বিধানসভায় আলোচনায় সম্মতি দিয়েছেন স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। যদিও মালদহ-সহ পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জায়গায় নারী নির্যাতন নিয়ে বিজেপি মুলতুবি প্রস্তাব আনতে চাইলেও, তাতে রাজি হননি তিনি। স্পিকারের ‘দ্বিচারিতা’র বিরুদ্ধেই সরব হয়েছে গেরুয়া শিবির।

    ক্ষোভ উগরে দিলেন অগ্নিমিত্রা 

    রবিবার এ ব্যাপারে একরাশ ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন আসানসোল দক্ষিণের বিধায়ক বিজেপির অগ্নিমিত্রা পাল। তিনি বলেন, “ওরা এ প্রসঙ্গে আগামিকাল (আজ, সোমবার) আলোচনা চালাবে এবং আমরাও আলোচনা করতে রাজি আছি। তবে আমরা এর পাশাপাশি পশ্চিমবঙ্গে মহিলারা কী অবস্থার সম্মুখীন হচ্ছেন, তা নিয়েও আলোচনা করতে চাই। পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভায় আমাদের উচিত প্রথমে পশ্চিমবঙ্গ নিয়ে কথা বলা, তারপর মণিপুর (Manipur)। আমরা দুটো রাজ্য নিয়েই আলোচনা করতে প্রস্তুত।”

    তৃণমূল সূত্রে খবর, এদিন বিধানসভায় আলোচনায় উপস্থিত থাকবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। থাকবেন বিরোধীরাও। প্রসঙ্গত, মণিপুর নিয়ে বিধানসভায় তৃণমূলের আনা নিন্দাপ্রস্তাব গৃহীত হয়েছে শুক্রবার। বিধানসভার সচিবালয় থেকে জানানো হয়েছে, আজ, সোমবার এই প্রস্তাবের ওপর আলোচনা হবে। এ সংক্রান্ত বিবৃতিতে মণিপুরের ঘটনা প্রসঙ্গে উত্তর-পূর্বের পাহাড়ি ওই রাজ্যের প্রশাসন ও কেন্দ্রীয় সরকারের প্রশাসনিক ব্যর্থতার কথা উল্লেখ করা হয়েছে। মণিপুর সরকারের কাছে দাবি জানানো হয়েছে শান্তি প্রতিষ্ঠারও।

    বিবৃতি জারি বিধানসভার

    বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মধ্যে হিংসার ঘটনায় মহিলাদের ওপর সব থেকে বেশি আক্রমণ হচ্ছে। তাঁদের নিশানা করা হচ্ছে। গোটা রাজ্য জ্বলছে। রাজ্যে লুটপাট, অরাজকতা চলছে। মানুষের ন্যূনতম স্বাধীনতা খর্ব হচ্ছে, লঙ্ঘিত হচ্ছে মানবাধিকার। সন্ত্রাসের পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। হিংসাশ্রয়ী এই সংঘর্ষের ছবি শুধু মণিপুরের (Manipur) নয়, গোটা দেশের ভাবমূর্তিকে কালিমালিপ্ত করেছে। অমানবিক পরিস্থিতির তীব্র নিন্দা করে রাজ্য বিধানসভা দাবি করেছে, কেন্দ্র অবিলম্বে মণিপুরকে শান্ত করুক।

    আরও পড়ুুন: বাড়িতে বোমা মজুত! বিস্ফোরণে উড়ে গেল তৃণমূল কর্মীর বাড়ির চাল

    ঘটনা প্রসঙ্গে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেন, “পশ্চিমবঙ্গে মহিলারা যে নৃশংসতার শিকার হচ্ছেন, তা নিয়েও অবশ্যই আলোচনা হওয়া প্রয়োজন। এটা (নিন্দা প্রস্তাব) কেবল মণিপুর নিয়েই নয়, বাংলা নিয়েও হওয়া প্রয়োজন। এই প্রস্তাব রাজনৈতিক স্বার্থ চরিতার্থ করতেই করা হয়েছে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

     
     
  • Kerala Murder: শিশুকন্যাকে ধর্ষণ করে খুনের ঘটনায় শোকস্তব্ধ কেরল, ‘সরি, ডটার’, বলছে পুলিশ

    Kerala Murder: শিশুকন্যাকে ধর্ষণ করে খুনের ঘটনায় শোকস্তব্ধ কেরল, ‘সরি, ডটার’, বলছে পুলিশ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বছর পাঁচেকের শিশুকন্যাকে ধর্ষণ করে খুনের (Kerala Murder) ঘটনায় শোকস্তব্ধ কেরল। রবিবার শিশুটির দেহ নিয়ে যাওয়া হয় তার স্কুলে। শেষযাত্রায় পা মেলান কয়েকশো মানুষ। স্কুলে নিয়ে যাওয়া হলে কান্নায় ভেঙে পড়েন সহপাঠী এবং শিক্ষকরা। শেষ শ্রদ্ধা জানানোর পর এর্নাকুলাম জেলার আলুভা শহরের কাছে কিঝমাড কবরস্থানে সমাহিত করা হয় তাকে। দোষী ব্যক্তির কড়া শাস্তিও দাবি করেন শেষযাত্রায় পা মেলানো মানুষ।

    গ্রেফতার অভিযুক্ত

    জানা গিয়েছে, তিন ভাইবোনের সঙ্গে বেড়ে উঠছিল মেয়েটি। শুক্রবার সন্ধ্যায় আলুভা শহরের কাছ থকে মেয়েটিকে তুলে নিয়ে যায় আসফাক আসলাম নামে এক পরিযায়ী শ্রমিক। নির্জন জায়গায় নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে খুন করে বস্তায় ভরে জঞ্জাল ফেলার জায়গায় তাকে ফেলে পালিয়ে যায় আসফাক। শিশুটির পরিবার বিহারের বাসিন্দা। পরিযায়ী শ্রমিক হিসেবে এসেছিলেন কেরলে। ওই দিনই আসফাককে গ্রেফতার করে পুলিশ। পুলিশ (Kerala Murder) সূত্রে খবর, মদ্যপ অবস্থায় থাকায় আসফাককে এদিন জেরা করা যায়নি।

    কঠোর সাজার দাবি

    শেষযাত্রায় অংশ নেওয়া এক মহিলা বলেন, “পুলিশ ওকে আমাদের হাতে ছেড়ে দিক। ও যেভাবে শিশুটিকে নৃশংসভাবে মেরেছে, ওর সেভাবেই মরা উচিত। সরকার না পারলে, আমাদের হাতে তুলে দিক।” “ঘটনাটি কেবল যে নৃশংস, তাই নয়, হৃদয়বিদারকও”, বলছেন অন্য এক মহিলা। তিনি বলেন, “এটা সহ্য করা যায় না। এই ঘটনাটা শোনার পর থেকে আমি ঠিকঠাক ঘুমোতে পর্যন্ত পারিনি। আমাদের আইন আরও কঠোর হওয়া প্রয়োজন। যাতে এমন ঘটনা আর না ঘটে।”

    আরও পড়ুুন: ছুটিতে বাড়িতে এসে নিখোঁজ কাশ্মীরের তরুণ জওয়ান, গাড়িতে রক্তের দাগ কেন?

    নৃশংস এই ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করেছে কেরল পুলিশ। ট্যুইট-বার্তায় তারা লিখেছে, “সরি, ডটার।” ঘটনায় কড়া প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন কেরলের রাজ্যপাল আরিফ মহম্মদ খান। তিনি বলেন, “ঘটনাটি অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক। আমি খুব কষ্ট পেয়েছি এবং লজ্জাবোধ করছি। সরকারের (Kerala Murder) পক্ষে হয়তো সবকিছু ঠেকানো সম্ভব নয়। কিন্তু সরকারের কর্তব্য এ জাতীয় অপরাধীর জন্য কঠোর থেকে কঠোরতম শাস্তির ব্যবস্থা করা। এমন শাস্তি যে যা একটা দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে। যাতে ভবিষ্যতে কেউ এই ধরনের কাজ করার আগে ভয় পায়।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

     

  • Indian Economy: ২০২৭ সালের মধ্যেই ভারত হবে তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ, বলছে সমীক্ষা

    Indian Economy: ২০২৭ সালের মধ্যেই ভারত হবে তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ, বলছে সমীক্ষা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অপেক্ষা আর মাত্র দু বছরের। তার মধ্যেই ভারত হয়ে উঠবে বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ (Indian Economy)। বর্তমানে বৃদ্ধির যে হার রয়েছে, সেই হার বজায় থাকলে ২০২৭ সালের মধ্যেই বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ হয়ে উঠবে ভারত। তৃতীয় স্থান দখল করতে গিয়ে ভারত পিছনে ফেলে দেবে জাপান এবং জার্মানিকে। স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার সমীক্ষায়ই একথা বলা হয়েছে। এর আগে এসবিআইয়ের প্রকাশিত রিপোর্টে বলা হয়েছিল, ২০২৭ সালের মধ্যেই ভারত বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ হয়ে উঠবে।

    মোদি জমানায় উন্নতি 

    ২০১৪ সালে কেন্দ্রের ক্ষমতায় আসে নরেন্দ্র মোদির সরকার। সেই সময় বিশ্বের বৃহত্তম অর্থনীতির দেশের তালিকায় ১০ নম্বরে ছিল ভারত। এগোতে এগোতে বর্তমানে ভারত দখল করেছে পঞ্চম স্থান। দীর্ঘদিন এই জায়গাটা দখল করে রেখেছিল ব্রিটেন। ব্রিটেনকে সরিয়ে সেই জায়গা দখল করেছে মোদির ভারত। রিপোর্টে বলা হয়েছে, ২০২২-২০২৭ এই সময়সীমার মধ্যে বৃদ্ধির বর্তমান হার বজায় থাকবে। আশা করা যাচ্ছে, এর আকৃতি হবে অস্ট্রেলিয়ার বর্তমান অর্থনীতি ১.৮ লক্ষ কোটি মার্কিন ডলারের চেয়েও বেশি। রিপোর্টে বলা হয়েছে, এই হারে প্রতি দু বছর ছাড়া ভারতীয় অর্থনীতিতে (Indian Economy) যোগ হচ্ছে ০.৭৫ লক্ষ কোটি মার্কিন ডলার। এভাবে ২০৪৭ সালের মধ্যে ভারত ছুঁয়ে ফেলবে ২০ লক্ষ কোটি মার্কিন ডলারের চৌকাঠ।

    জিডিপির হার

    শুধু তাই নয়, ২০২৭ সালের মধ্যে জিডিপিতে ভারতের গ্লোবাল শেয়ারের পরিমাণ দাঁড়াবে ৪ শতাংশ। বর্তমানে জিডিপিতে ভারতের শেয়ার ৩.৫ শতাংশ। ২০১৪ সালে এর পরিমাণ ছিল ২.৬ শতাংশ। তিন বছর পরে যা গিয়ে দাঁড়াবে ৪ শতাংশে। এসবিআইয়ের ওই রিসার্চ থেকে এও জানা গিয়েছে, অন্ততপক্ষে দেশের দুটি রাজ্য – মহারাষ্ট্র এবং উত্তরপ্রদেশ অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে (Indian Economy) ২০২৭ সালের মধ্যে ৫০ হাজার কোটি মার্কিন ডলারের গণ্ডী ছাড়াবে। আর এই বছরই ভারতের ঠাঁই হবে বিশ্বের বৃহত্তম অর্থনীতির দেশের তালিকার তিন নম্বরে। রিপোর্টে বলা হয়েছে, ২০২৭ সালে ভারতের প্রধান রাজ্যগুলির জিডিপির আকার এশিয়া এবং ইউরোপের দেশ যথাক্রমে ভিয়েতনাম ও নরওয়ের চেয়ে বেশি হবে।

    আরও পড়ুুন: ছুটিতে বাড়িতে এসে নিখোঁজ কাশ্মীরের তরুণ জওয়ান, গাড়িতে রক্তের দাগ কেন?

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

     

     

  • Soldier Missing: ছুটিতে বাড়িতে এসে নিখোঁজ কাশ্মীরের তরুণ জওয়ান, গাড়িতে রক্তের দাগ কেন?

    Soldier Missing: ছুটিতে বাড়িতে এসে নিখোঁজ কাশ্মীরের তরুণ জওয়ান, গাড়িতে রক্তের দাগ কেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইদের পর ছুটিতে বাড়িতে এসে নিখোঁজ কাশ্মীরের এক জওয়ান (Soldier Missing)। বছর পঁচিশের ওই যুবকের নাম জাভেদ আহমেদ। কুলগাম জেলার জাভেদ বর্তমানে পোস্টিং ছিলেন লাদাখে। চাকরি করতেন লাইট ইনফ্যান্ট্রি রেজিমেন্টে, রাইফেলম্যান হিসেবে। সোমবার কাজে যোগ দেওয়ার কথা ছিল তাঁর। শনিবার সন্ধে থেকে খোঁজ মিলছে না ওই জওয়ানের। পুলিশ সূত্রে খবর, ওই জওয়ানের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারছেন না তাঁর পরিবারের সদস্যরাও।

    নিখোঁজ জওয়ান

    জানা গিয়েছে, শনিবার সন্ধে সাড়ে ৬টা নাগাদ বাড়ির অদূরে একটি বাজারে কিছু কেনাকাটা করতে গিয়েছিলেন জাভেদ। নিজের অল্টো গাড়ি চালিয়েই গিয়েছিলেন। রাত্রি ৯টা পর্যন্তও বাড়ি না ফেরায় খোঁজ করতে শুরু করেন ওই জওয়ানের পরিবারের লোকজন (Soldier Missing)। শেষমেশ দেখা যায়, বাজারের কাছে পড়ে রয়েছে তাঁর গাড়িটি। তাতে লেগে রয়েছে রক্তের দাগ। জাভেদের খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ। তবে রবিবার বিকেল ৩টে পর্যন্তও হদিশ মেলেনি তাঁর।

    পরিবারের আবেদন

    পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে সন্দেহভাজন কয়েকজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পবিবারের আশঙ্কা, ওই জওয়ানকে অপহরণ করতে পারে জঙ্গিরা। জাভেদকে ছেড়ে দেওয়ার আর্জি জানিয়ে পরিবারের তরফে একটি ভিডিও পোস্ট করা হয়েছে। তাতে তাঁর মাকে বলতে শোনা গিয়েছে, “দয়া করে আমাদের ক্ষমা কর। আমার ছেলেকে ছেড়ে দাও, আমার জাভেদকে ছেড়ে দাও। তাকে আর আমি সেনাবাহিনীতে চাকরি করতে দেব না। দয়া করে তাকে ছেড়ে দাও।”

    ছেলেকে খুঁজে না পাওয়ায় ভেঙে পড়েছেন জাভেদের বাবা মহম্মদ আয়ুব ওয়ানিও। তিনি বলেন, “আমার (Soldier Missing) ছেলে লাদাখে পোস্টিং ছিল। ইদের পরে ছুটি পেয়ে বাড়িতে এসেছিল। আগামীকাল (সোমবার) ওর চাকরিতে যোগ দেওয়ার কথা ছিল। শনিবার সন্ধেয় টুকিটাকি কয়েকটা জিনিস কিনতে বাজারে গিয়েছিল। পথে কয়েকজন তার পথ আগলায়। অপহরণ করে। আমি তাদের কাছে আবেদন করছি, দয়া করে আমার ছেলেকে ছেড়ে দাও।”

    আরও পড়ুুন: “একশোরও বেশি প্রত্নসামগ্রী ফেরত নিয়ে আসা হয়েছে”, ‘মন কি বাতে’ বললেন মোদি

    কাশ্মীরে এমন ঘটনা নতুন নয়। এর আগেও একাধিকবার জঙ্গিদের টার্গেট হয়েছে কাশ্মীরের ভূমিপুত্র সেনা জওয়ানরাও। বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে তাঁদের হত্যা করেছে জঙ্গিরা। গত বছরই নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন লস্কর-ই-তৈবার সদস্যরা অপহরণ করে হত্যা করে সমীর আহমেদ মাল্লা নামে এক জওয়ানকে। অপহরণের পরের দিন বদগামের একটি ফলের বাগান থেকে উদ্ধার হয় তাঁর দেহ। ৩৭০ ধারা রদ হওয়ার পরে ক্রমেই ছন্দে ফিরছে কাশ্মীর। সেখানেই ফের জওয়ানকে অপহরণ করে পাক মদতপুষ্ট জঙ্গিরা অশান্তি পাকাতে চাইছে বলেই মত ওয়াকিবহাল মহলের।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Buddhadeb Bhattacharjee: ভেন্টিলেশনেই রয়েছেন বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য, চিকিৎসায় দিচ্ছেন সাড়াও

    Buddhadeb Bhattacharjee: ভেন্টিলেশনেই রয়েছেন বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য, চিকিৎসায় দিচ্ছেন সাড়াও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এখনও ভেন্টিলেশনেই রয়েছেন রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য (Buddhadeb Bhattacharjee)। শনিবার রাতে তাঁকে দেওয়া হয়েছিল ভেন্টিলেশন। এখনও সেখানেই রয়েছেন তিনি। রবিবার সকালে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর মেডিক্যাল বুলেটিন প্রকাশ করেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। তার পরেই জানা যায়, এখনও তিনি রয়েছেন ভেন্টিলেশনেই। যদিও নতুন করে অবস্থার অবনতি হয়নি বুদ্ধদেবের। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের তরফে জারি করা এক প্রেস বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, এদিন দুপুরে সিটি স্ক্যান করা হবে তাঁর বুকের। চিকিৎসকদের মতে, যেহেতু এখনও ভেন্টিলেশনেই রয়েছেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী, তাই তাঁর অবস্থা সঙ্কটজনকই। তবে যেহেতু নতুন করে শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়নি, তাই তাঁকে স্থিতিশীল বলাই যায়।

    মেডিক্যাল বুলেটিন

    মেডিক্যাল বুলেটিনে জানানো হয়েছে, বুদ্ধদেবকে প্রথমে দেওয়া হয়েছিল নন-ইনভেসিভ ভেন্টিলেশনে। কয়েক ঘণ্টা পরেও অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় তাঁকে (Buddhadeb Bhattacharjee) দেওয়া হয় ইনভেসিভ ভেন্টিলেশনে। তার পর থেকে আর শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়নি বুদ্ধদেবের। হাসপাতাল সূত্রে খবর, চিকিৎসায় অল্প সাড়া দিচ্ছেন বুদ্ধদেব। তাঁর আচ্ছন্নভাব কিছুটা কেটেছে। মাঝে মধ্যে অল্প চোখও খুলছেন। রাইলস টিউবের মাধ্যমে দেওয়া হচ্ছে তরল খাবার।  

    শ্বাসনালীতে সংক্রমণ

    চিকিৎসকরা জানান, প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর ফুসফুস ও শ্বাসনালীতে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়েছে। তা নিয়ন্ত্রণে আনতে স্যালাইনের মাধ্যমে দেওয়া হচ্ছে কড়া ডোজের অ্যান্টিবায়োটিক। এর প্রভাব পড়ছে কিডনিতে। অনেকটা বেড়ে গিয়েছে ক্রিয়েটিনিনের মাত্রা। তবে কিডনির সমস্যা যাতে দেখা না দেয়, সেদিকেও নজর রাখছেন চিকিৎসকরা।  

    শনিবার সকালে আচমকাই অসুস্থ হয়ে পড়ায় প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যকে (Buddhadeb Bhattacharjee) ভর্তি করা হয় আলিপুরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে। সন্ধেয় হাসপাতালের বুলেটিনে জানানো হয়েছিল, প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর শ্বাসনালীতে সংক্রমণ রয়েছে। টাইপ ২ রেসপিরেটরি ফেলিয়োর হয়েছে। বাইপ্যাপ সাপোর্টে রয়েছেন। অ্যান্টি-বায়োটিক দেওয়া হয়েছে। একাধিক পরীক্ষা হয়েছে।

    আরও পড়ুুন: তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা জোর করে মুচলেকা লিখিয়েছে, বাড়ি ফিরে বললেন অপহৃতরা

    তাঁর চিকিৎসায় গঠিত হয়েছে আট সদস্যের একটি মেডিক্যাল টিম। এই টিমে রয়েছেন মেডিসিন বিশেষজ্ঞ কৌশিক চক্রবর্তী, ক্রিটিক্যাল বিশেষজ্ঞ সৌপ্তিক পান্ডা ও সুস্মিতা দেবনাথ, কার্ডিওলজিস্ট সরোজ মণ্ডল, পালমোলজিস্ট অঙ্কন বন্দোপাধ্যায়, ইন্টারন্যাল মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ধ্রুব ভট্টাচার্য, অ্যানাস্থিটিওলজিস্ট আশিস পাত্র, সোমনাথ মাইতি ও সপ্তর্ষী বসু। প্রসঙ্গত, দীর্ঘদিন ধরেই ক্রনিক অবস্ট্রাকটিভ পালমোনারি ডিজিজে ভুগছেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী (Buddhadeb Bhattacharjee)। এজন্য একাধিকবার হাসপাতালে ভর্তিও করা হয়েছে তাঁকে। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

     
     

     

  • PM Modi: “একশোরও বেশি প্রত্নসামগ্রী ফেরত নিয়ে আসা হয়েছে”, ‘মন কি বাতে’ বললেন মোদি

    PM Modi: “একশোরও বেশি প্রত্নসামগ্রী ফেরত নিয়ে আসা হয়েছে”, ‘মন কি বাতে’ বললেন মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: একশোরও বেশি প্রত্নসামগ্রী ফেরত দেওয়ায় আমেরিকাকে ধন্যবাদ জানালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। ফি মাসের শেষ রবিবার ‘মন কি বাত’ অনুষ্ঠানে যোগ দেন প্রধানমন্ত্রী। এদিন হয়েছে ‘মন কি বাতে’র ১০৩ নম্বর পর্বের সম্প্রচার। এই অনুষ্ঠানে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে ধন্যবাদ জানান তিনি। প্রধানমন্ত্রী বলেন, “চোল রাজবংশের স্ট্যাচু, তামিলনাড়ু সংস্কৃতির সঙ্গে যুক্ত প্রভু মুরুগানের আবক্ষ মূর্তি, হাজার বছরের পুরনো ভগবান গণেশের স্ট্যাচু আমেরিকা থেকে ফেরত নিয়ে আসা হয়েছে ভারতে। কিছুদিন আগেই সোশ্যাল মিডিয়া তোলপাড় হয়েছিল এই বলে যে আমেরিকা একশোরও বেশি দুষ্প্রাপ্য ও প্রত্নসামগ্রী ফেরত দিয়েছে। এই সমস্ত জিনিসগুলি ২৫০ থেকে ২৫০০ বছরের পুরনো।”

    প্রসঙ্গ: হজ

    এতদিন পুরুষ সঙ্গী ছাড়া হজ করতে যেতে পারতেন না মুসলিম মহিলারা। এদিন সে প্রসঙ্গ টেনে প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) বলেন, “এ বছর পুরুষ সঙ্গী ছাড়াই চার হাজার মুসলিম মহিলা সৌদি আরবে হজ করতে গিয়েছিলেন। ফিরে এসে তাঁদের অনেকেই আমাকে চিঠি লিখেছেন। তাঁদের যাতে কোনও অসুবিধায় পড়তে না হয়, তাই সরকার সমস্ত ব্যবস্থা নিয়েছিল। পুরুষ সঙ্গী ছাড়াই যেসব মহিলা হজে গিয়েছিলে, তাঁদের সবরকম সাহায্য করায় সৌদি আরবের সরকারকেও ধন্যবাদ।”

    সম্মিলিত শক্তির ক্ষমতা

    এদিন ‘মন কি বাতে’র অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর (PM Modi) মুখে শোনা গিয়েছে দিন কয়েক আগে দেশের বিভিন্ন অংশে যে বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছিল, তার কথাও। তিনি বলেন, “গত কয়েকদিন প্রাকৃতিক দুর্যোগের জেরে উদ্বেগে দিন কেটেছে। যমুনার মতো বিভিন্ন নদীর জলের কারণে বহু মানুষকে দুর্দশা ভোগ করতে হয়েছে। পাহাড়ি অঞ্চলে ধসও নেমেছে।” দুর্যোগ মোকাবিলায় যাঁরা কাজ করেছেন, তাঁদের প্রশংসাও শোনা গিয়েছে প্রধানমন্ত্রীর মুখে। তিনি বলেন, “সম্মিলিত শক্তির ক্ষমতা দেখিয়েছেন আমাদের দেশের বাসিন্দারা।”

    আরও পড়ুুন: তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা জোর করে মুচলেকা লিখিয়েছে, বাড়ি ফিরে বললেন অপহৃতরা

    বিশ্ব উষ্ণায়নের যুগে যে বৃক্ষরোপণ জরুরি, তা আমরা জানি। এদিন সে প্রসঙ্গ টেনে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “একদিনে ৩০ কোটি গাছের চারা লাগিয়ে রেকর্ড করেছে উত্তর প্রদেশ। আমজনতার সচেতনতা ও অংশগ্রহণের ফলেই এটা সম্ভব হয়েছে।” উত্তর প্রদেশ ও মধ্য প্রদেশ সরকার যেভাবে জল সংরক্ষণের উদ্যোগ নিয়েছে, তারও প্রশংসা করেন প্রধানমন্ত্রী। স্বাধীনতার ৭৫ বছর পূর্তিতে শহিদদের সম্মান জানাতে ‘মেরি মাটি মেরা দেশ’ নামের একটি প্রচার অভিযান কর্মসূচির কথাও ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

     
     
  • Himachal Pradesh: সস্তায় বেড়ানোর সুযোগ! হিমাচল প্রদেশের হোটেলে মিলছে ৫০ শতাংশ ছাড়

    Himachal Pradesh: সস্তায় বেড়ানোর সুযোগ! হিমাচল প্রদেশের হোটেলে মিলছে ৫০ শতাংশ ছাড়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: টানা বৃষ্টি ও মেঘভাঙা বৃষ্টির জেরে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছিল পাহাড়ি রাজ্য হিমাচল প্রদেশ (Himachal Pradesh)। রাজ্যের বিভিন্ন অংশে নেমেছিল ধস। জল বেড়ে গিয়েছিল নদীগুলির। ক্ষতি হয়েছিল রাস্তাঘাটেরও। তবে বর্তমানে বৃষ্টি হচ্ছে স্বাভাবিকভাবেই। মেরামত করা হয়েছে রাস্তা, ধস। প্রবল বর্ষণের খবর পেয়ে আর হিমাচল প্রদেশমুখো হননি পর্যটকরা। তাই হোটেলগুলির হা-পর্যটক দশা। এমতাবস্থায় ঘুরে দাঁড়াতে চাইছে এ রাজ্যের হোটেল শিল্প।

    আমন্ত্রণ রাজ্য সরকারের

    তাই ৫০ শতাংশ ছাড়ের কথা ঘোষণা করেছে হোটেল সংগঠন। হিমাচল প্রদেশের হোটেল সংগঠনের তরফে জানানো হয়েছে, পর্যটকরা হোটেল ভাড়া করলে মোট মূল্যের ওপর ৫০ শতাংশ ছাড় পাবেন। পর্যটক টানতেই এই উদ্যোগ বলেও জানিয়েছে তারা। পর্যটকদের সে রাজ্যে বেড়াতে যাওয়ার আমন্ত্রণও জানিয়েছে রাজ্য সরকার। তারা জানিয়েছে, রাজ্যে বর্ষা পরিস্থিতি এখন স্বাভাবিক। হিমাচল প্রদেশের এক মন্ত্রী জানান, পর্যটনের জন্য এই মুহূর্তে সম্পূর্ণ নিরাপদ তাঁদের রাজ্য।

    ছাড় মিলবে সরকারি হোটেলেও

    বর্ষাকালে অপরূপ শোভা হয় পাহাড়ি এলাকার। তবে নানা রকম (Himachal Pradesh) বিপদের আশঙ্কায় এই সময় সচরাচর পাহাড়মুখো হন না পর্যটকরা। তাই এই সময় পাহাড়ি অঞ্চলে পর্যটকের সংখ্যা খুব কমে যায়। খালি পড়ে থাকে হোটেল। আর এবার যেহেতু প্রবল বর্ষণ এবং মেঘভাঙা বৃষ্টির জেরে বিধ্বস্ত হয়ে পড়েছিল এই রাজ্য, তাই আক্ষরিক অর্থেই পর্যটক শূন্য হয়ে গিয়েছে হিমাচল প্রদেশ। সেই কারণেই বিপুল পরিমাণ ছাড়ের কথা ঘোষণা করেছে হোটেলগুলি। এর মধ্যে যেমন সরকারি হোটেল রয়েছে, তেমনি রয়েছে বেসরকারি হোটেলও। হিমাচল প্রদেশ (Himachal Pradesh) পর্যটন উন্নয়ন দফতর জানিয়েছে, তাদের অধীনে থাকা হোটেলগুলিতে ১৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ৫০ শতাংশ ছাড় মিলবে।

    আরও পড়ুুন: মাস্টার স্ট্রোক বিজেপির! সর্বভারতীয় সহ সভাপতি পদে তারিক মনসুর, জানেন কে?

    হিমাচল প্রদেশের পাবলিক ওয়ার্কস মিনিস্টার বিক্রমাদিত্য সিংহ বলেন, “আমরা আশা করছি, সেপ্টেম্বরের মধ্যে পর্যটকদের আনাগোনা বাড়বে।” তিনি বলেন, “আমি পর্যটকদের এই বলে আশ্বস্ত করছি যে, হিমাচল প্রদেশ ছন্দে ফিরেছে। ভ্রমণের জন্য আমাদের রাজ্য এখন নিরাপদ। প্রাকৃতিক শোভা উপভোগ করতে আপনারা নিশ্চিন্তে আসুন। সরকার আপনাদের পাশে থাকবে। করবে সব রকম সাহায্যও।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Gujarat Hospital Fire: গুজরাটে দাতব্য হাসপাতালে ভয়াবহ আগুন, তড়িঘড়ি সরানো হল রোগীদের

    Gujarat Hospital Fire: গুজরাটে দাতব্য হাসপাতালে ভয়াবহ আগুন, তড়িঘড়ি সরানো হল রোগীদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কাকভোরে আগুন হাসপাতালে (Gujarat Hospital Fire)। তার জেরে ছড়ায় আতঙ্ক। দ্রুত সরিয়ে নেওয়া হয় হাসপাতালে ভর্তি থাকা প্রায় ১২৫ জন রোগীকে। খবর পেয়ে তড়িঘড়ি ছুটে আসে দমকল বাহিনী। গুজরাটের আমদাবাদ হাসপাতালের ওই ঘটনায় ছড়ায় চাঞ্চল্য। চলছে আগুন নেভানোর কাজও।

    গল গল করে বেরতে থাকে ধোঁয়া

    জানা গিয়েছে, রবিবার ভোর সাড়ে ৪টে নাগাদ আমদাবাদের শাহিবাগ এলাকার রাজস্থান হাসপাতালের বেসমেন্ট থেকে গল গল করে ধোঁয়া বের হতে দেখেন কয়েকজন রোগী ও রোগীর আত্মীয়রা। খবর দেওয়া হয় দমকলে। চলে আসে দমকল বাহিনী। দমকলের ২০-২৫টি ইঞ্জিন যুদ্ধকালীন তৎপরতায় আগুন নেভানোর চেষ্টা চালাচ্ছে।

    সরানো হয় রোগীদের

    দমকলের আধিকারিক জয়েশ খাদিয়া সংবাদ মাধ্যমকে জানান, রবিবার ভোর সাড়ে ৪টে নাগাদ আমদাবাদের ওই হাসপাতাল (Gujarat Hospital Fire) থেকে ফোন পান তাঁরা। অকুস্থলে দ্রুত পাঠানো হয় অগ্নিনির্বাপক ইঞ্জিন। তবে কী কারণে আগুন লাগল, তা এখনও জানা যায়নি। হাসপাতাল সূত্রে খবর, বর্তমানে হাসপাতালের বেসমেন্টে চলছে সংস্কারের কাজ। এই বেসমেন্টেই প্রথম দেখা গিয়েছিল আগুন। সেই আগুনই ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কায় দ্রুত সরিয়ে নেওয়া হয় হাসপাতালে ভর্তি থাকা রোগীদের।

    পুলিশের ইন্সপেক্টর এমডি চম্পাবতী বলেন, দমকলের লোকজন আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করছে। হাসপাতালের বেসমেন্ট থেকে এদিন বেলা ৯টা পর্যন্ত আগুন বেরতে দেখা গিয়েছে। এই বেসমেন্টেই (Gujarat Hospital Fire) আগুন লেগেছিল। তিনি বলেন, সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে হাসপাতালে ভর্তি থাকা প্রায় ১২৫জন রোগীকে অন্য হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। প্রসঙ্গত, হাসপাতালটি চালায় একটি দাতব্য সংস্থা।

    আরও পড়ুুন: “মানসিক ক্রীতদাসত্ব থেকে বেরিয়ে আসতে হবে”, বললেন দত্তাত্রেয় হোসেবল

      

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
     
LinkedIn
Share