Author: Krishnendu Bakshi

  • Buddhadeb Bhattacharjee: স্থিতিশীল প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য, রয়েছেন বাইপ্যাপ সাপোর্টে

    Buddhadeb Bhattacharjee: স্থিতিশীল প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য, রয়েছেন বাইপ্যাপ সাপোর্টে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাইপ্যাপ সাপোর্টে রয়েছেন রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য (Buddhadeb Bhattacharjee)। শনিবার সন্ধেয় হাসপাতালের বুলেটিনে জানানো হয়েছে, প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর শ্বাসনালীতে সংক্রমণ রয়েছে। টাইপ ২ রেসপিরেটরি ফেলিয়োর হয়েছে। বাইপ্যাপ সাপোর্টে রয়েছেন। অ্যান্টি-বায়োটিক দেওয়া হয়েছে। একাধিক পরীক্ষা হয়েছে। আপাতত শারীরিকভাবে স্থিতিশীল রয়েছেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী।

    স্থিতিশীল মুখ্যমন্ত্রী

    হাসপাতাল সূত্রে খবর, সকালের দিকে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর শারীরিক অবস্থার অবনতি হচ্ছিল। এখন তাঁর শারীরিক অবস্থা কিছুটা স্থিতিশীল। হাসপাতালের একটি সূত্রের খবর, চিকিৎসায় সাড়া দিচ্ছেন বুদ্ধদেব। ডাকলে সাড়াও দিচ্ছেন। চোখ মেলছেন। শরীরে কার্বন ডাই অক্সাইডের মাত্রা বেড়ে যাওয়ায় ওষুধ পাল্টানো হয়েছে। গঠন করা হয়েছে আট সদস্যের মেডিক্যাল টিম। এই টিমে রয়েছেন মেডিসিন বিশেষজ্ঞ কৌশিক চক্রবর্তী, ক্রিটিক্যাল বিশেষজ্ঞ সৌপ্তিক পান্ডা ও সুস্মিতা দেবনাথ, কার্ডিওলজিস্ট সরোজ মণ্ডল, পালমোলজিস্ট অঙ্কন বন্দোপাধ্যায়, ইন্টারন্যাল মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ধ্রুব ভট্টাচার্য, অ্যানাস্থিটিওলজিস্ট আশিস পাত্র, সোমনাথ মাইতি ও সপ্তর্ষী বসু। এদিন সন্ধের দিকে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীকে দেখতে হাসপাতালে আসেন তাঁর স্ত্রী মীরা ভট্টাচার্য। দেখতে আসার কথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়েরও।   

    হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন আগেও

    প্রসঙ্গত, দীর্ঘদিন ধরেই ক্রনিক অবস্ট্রাকটিভ পালমোনারি ডিজিজে ভুগছেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী (Buddhadeb Bhattacharjee)। এজন্য একাধিকবার হাসপাতালে ভর্তিও করা হয়েছে তাঁকে। প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর দ্রুত আরোগ্য কামনা করা হয়েছে বিজেপির তরফে। দলের মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য বলেন, দলের তরফে রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের দ্রুত আরোগ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করছি। তিনি তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে উঠুন।

    আরও পড়ুুন: “কালামের মহাকাশ বিজ্ঞানের স্বপ্ন পূরণ করবেন প্রধানমন্ত্রী মোদি”, বললেন অমিত শাহ

    প্রসঙ্গত, এদিন বিকেলে আচমকাই অসুস্থ হয়ে পড়েন রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর রক্তে অক্সিজেনের মাত্রা কমে যায়। শ্বাসকষ্টের সমস্যাও দেখা দেয়। সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে বালিগঞ্জের পাম অ্যাভেনিউয়ের বাড়ি থেকে নিয়ে যাওয়া হয় আলিপুরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে। হাসপাতালে তাঁর সঙ্গে ছিলেন সন্তান সুচেতন ভট্টাচার্য। এদিন সকালের দিকে অসুস্থতা বোধ করতেই তলব করা হয় পারিবারিক চিকিৎসককে। বাড়িতে গিয়ে পরীক্ষা করেন তিনি। তার পরেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় হাসপাতালে ভর্তির। ২০২১ সালে করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের সময় কোভিডে সংক্রমিত হয়েছিলেন বুদ্ধদেব (Buddhadeb Bhattacharjee)। ওই বছরই ২৫ মে তাঁকে ভর্তি করা হয়েছিল এই হাসপাতালেই। সেবার ছুটি পেয়েছিলেন ২ জুন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Dattatreya Hosabale: “মানসিক ক্রীতদাসত্ব থেকে বেরিয়ে আসতে হবে”, বললেন দত্তাত্রেয় হোসেবল

    Dattatreya Hosabale: “মানসিক ক্রীতদাসত্ব থেকে বেরিয়ে আসতে হবে”, বললেন দত্তাত্রেয় হোসেবল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “মানসিক ক্রীতদাসত্ব থেকে আমাদের বেরিয়ে আসতে হবে।” কথাগুলি বললেন আরএসএসের সরকার্যবাহ দত্তাত্রেয় হোসেবল (Dattatreya Hosabale)। শুক্রবার নয়া দিল্লির একটি বই প্রকাশ অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন হোসেবল।

    আমাদের হীনমণ্যতা 

    সেখানে তিনি বলেন, “শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে আমরা মুঘলদের বিরুদ্ধে লড়াই করেছিলাম। কিন্তু ভারতীয় সমাজ ও শিক্ষিত সমাজ কখনও স্বীকার করেনি যে তারা আমাদের চেয়ে অনেক বেশি সভ্য এবং ভাল ছিল। এমনকি কখনও কখনও লড়াই করতে গিয়ে তারা পরাজয়ও বরণ করেছে। কিন্তু তবুও সাধারণ মানুষ বিশ্বাস করেন না যে বহিরাগতরা আমাদের চেয়ে বেশি সভ্য ছিল। যাইহোক, ব্রিটিশ শাসনের দেড়শো বছরে ভারতের বুদ্ধিজীবী সম্প্রদায় বিশ্বাস করতে শুরু করেছিল যে আমরা ক্ষুদ্র, নির্বোধ, অসভ্য এবং বিশ্বকে আমরা কিছুই দিতে পারিনি। আমরা আমাদের নিজেদেরই ঘৃণা করতে শুরু করেছিলাম। এই মানুষগুলো ভুলে গিয়েছিল তাদের হাজার বছরের ইতিহাস, জ্ঞান এবং আধ্যাত্মিকতা। স্বাধীনতার পর আমাদের এই সব চিন্তাভাবনা থেকে বেরিয়ে আসা উচিত।” তিনি (Dattatreya Hosabale) বলেন, “দুর্ভাগ্যবশতঃ, এটা চলছিলই। এটা ঘটেছে, কারণ এমন একটা ব্যাখ্যা তারা তৈরি করেছিল, তাদের এজেন্টদের মাধ্যমে তা আমাদের মগজে ঢুকিয়ে দিয়েছিল। বিশ্ববিদ্যালয়, শিক্ষিত সমাজ, চিন্তাবিদ, সংবাদ মাধ্যম এবং বিচারব্যবস্থার মাধ্যমে তারা এটা আমাদের মগজে ঢুকিয়ে দিয়েছিল।”

    রাষ্ট্র ও দেশের মধ্যে পার্থক্য

    রাষ্ট্র এবং দেশের মধ্যে যে পার্থক্য রয়েছে, এদিন তাও মনে করিয়ে দেন হোসেবল। তিনি বলেন, “রাষ্ট্র এবং দেশের মধ্যে পার্থক্য রয়েছে। যদিও আমরা দেশের ধারণ গ্রহণ করেছিলাম। আমরা বিশ্বাস করি যে সোভিয়েত রাশিয়ার মতো আমরা বহুজাতির দেশ।” তিনি বলেন, “আমরা ধর্ম নিয়ে কথা বলতে কিন্তু কিন্তু করতাম। কারণ ভারত ধর্ম নিরপেক্ষ দেশ। আমি মহর্ষি অরবিন্দের কথা বলতে চাই যিনি বিশদে ব্যাখ্যা করেছিলেন তামাম বিশ্বে ভারতের তিনখানি অবদানের কথা। এগুলি হল, আত্মার অস্তিত্ব আবিষ্কার, ধর্মের আবিষ্কার এবং শাস্ত্র রচনা। দুর্ভাগ্যবশতঃ ধর্ম নিরপেক্ষতার নামে আমরা ধর্মকেই বিচ্ছিন্ন করে দিয়েছিলাম। অথচ ধর্মই জীবনের কেন্দ্র। জয়প্রকাশ নারায়ণ তো বলেইছিলেন, পঞ্চায়েতিরাজ সিস্টেমের ভিত্তিই হল ধর্ম।” তিনি (Dattatreya Hosabale) বলেন, “ভারতকে বুঝতে হলে সংস্কৃত ভাষাকে জানতে হবে।”

    আরও পড়ুুন: মাস্টার স্ট্রোক বিজেপির! সর্বভারতীয় সহ সভাপতি পদে তারিক মনসুর, জানেন কে?

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Tariq Mansoor: মাস্টার স্ট্রোক বিজেপির! সর্বভারতীয় সহ সভাপতি পদে তারিক মনসুর, জানেন কে?

    Tariq Mansoor: মাস্টার স্ট্রোক বিজেপির! সর্বভারতীয় সহ সভাপতি পদে তারিক মনসুর, জানেন কে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিজেপির (BJP) বিরুদ্ধে মুসলিম বিরোধিতার অভিযোগে নানা সময় সরব হয়েছে বিরোধী দলগুলি। এবার তাদের মুখ বন্ধ করতে মাস্টার স্ট্রোক দিল বিজেপি। শনিবার দলের সর্বভারতীয় সহ সভাপতি পদে বসানো হল আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্য তারিক মনসুরকে (Tariq Mansoor)। বছর ঘুরলেই লোকসভা নির্বাচন। তার আগে তারিককে সংগঠনের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ পদে বসিয়ে বিরোধীদের কয়েক কদম পিছনে ফেলে দিল গেরুয়া শিবির। জানা গিয়েছে, তারিক পসমন্দা মুসলিম সম্প্রদায়ের সদস্য। লোকসভা নির্বাচনের আগে তাঁকে দলের সর্বভারতীয় সহ সভাপতি বসিয়ে মুসলিম সম্প্রদায়ের কাছে বড়া বার্তা দিলেন পদ্ম শিবিরের ভোট ম্যানেজাররা।

    তারিক মনসুর

    সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন এবং জাতীয় নাগরিক পঞ্জি আইন নিয়ে উত্তাল হয়েছিল গোটা দেশ। সেই বিক্ষোভের আঁচ লেগেছিল আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়েও। সেই সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ছিলেন তারিক (Tariq Mansoor)। দক্ষ হাতে সামলেছিলেন পরিস্থিতি। আরএসএসের সঙ্গেও কাজ করেছেন প্রাক্তন উপাচার্য তারিক। আরএসএসের প্রতিনিধি হিসেবে তিনি মুঘল যুবরাজ দারা-শুকোর হিন্দু-মুসলিম সহাবস্থান নীতিশিক্ষা দিয়েছিলেন পসমন্দ মুসলমানদের। তাই তাঁকেই সর্বভারতীয় সহ সভাপতি পদে বসিয়ে বিজেপি কিস্তি মাত দিল বলেই ধারণা রাজনৈতিক মহলের। 

    নির্ণায়ক শক্তি যখন পসমন্দা মুসলমান

    উত্তর প্রদেশের আলিগড়েরই বাসিন্দা তারিক। এখানকার ১৯ শতাংশ ভোটারই মুসলিম। রাজ্যের ১৫-২০টি আসনে জয়-পরাজয় নির্ণায়ক শক্তি এঁরাই। তাই তারিককে সংগঠনের সর্বোচ্চ পদে বসিয়ে একদিকে যেমন বিরোধীদের মুখে ঝামা ঘষে দিল পদ্ম শিবির, তেমনি পসমন্দা মুসলমানদের কাছেও পৌঁছে দেওয়া হল বড় বার্তা। বিজেপি সূত্রে খবর, তারিককেই প্রচারের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ মুখ করতে চাইছে গেরুয়া শিবির।

    শল্য চিকিৎসক তারিক এমবিবিএস পাশ করেছিলেন জেএন মেডিক্যাল কলেজ থেকে। পরে শল্য চিকিৎসায় এমএস করেন। তারও পরে বসেন আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য পদে। কেবল তারিক নন, তাঁর পরিবারের প্রায় সব সদস্যই হয় চিকিৎসাক্ষেত্রের সঙ্গে যুক্ত থেকেছেন, নয়তো আইনি পেশায়। শিক্ষিত মুসলমানদের মধ্যে তাঁর পরিবারের গ্রহণযোগ্যতাও রয়েছে। উত্তর প্রদেশে পসমন্দা মুসলিমদের একটা বড় অংশই বিজেপির সঙ্গে রয়েছেন। রাজনৈতিক মহলের মতে, এই সম্প্রদায়ের বাকিদেরও কাছে টানতে শুরু হয়েছে বিজেপির ‘পসমন্দা স্নেহ যাত্রা’।

    আরও পড়ুুন: ‘‘মমতার নির্দেশে গুন্ডামি করছে তৃণমূল কর্মীরা’’, রাজ্যে এসে বললেন অনুরাগ

    বিজেপির সংখ্যালঘু মোর্চার প্রধান জামাল সিদ্দিকি বলেন, “তারিক (Tariq Mansoor) একজন জাতীয়তাবাদী মুসলিম। দেশকে সব সময় এগিয়ে রেখেছেন তিনি। মুসলিম সম্প্রদায়ের মধ্যে ঠিক কোথায় সমস্যা রয়েছে, তা বোঝেন তিনি। দেশের ইতিহাস সম্পর্কেও অবগত। আলিগড় মুসলিম ইউনিভার্সিটির পড়ুয়াদের সঠিক পথ দেখিয়ে তাঁদের বিভ্রান্ত হতে দেননি। তাঁকে পেয়ে দল আরও উন্নতি করবে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • Rahul Gandhi: নির্যাতিতা নাবালিকার পরিচয় প্রকাশ! রাহুলের বিরুদ্ধে আদালতে এনসিপিসিআর

    Rahul Gandhi: নির্যাতিতা নাবালিকার পরিচয় প্রকাশ! রাহুলের বিরুদ্ধে আদালতে এনসিপিসিআর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘মোদি’ পদবি নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করে বিপাকে পড়েছেন প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi)। সেই মামলা নিষ্পত্তি হওয়ার আগেই ফের নয়া অভিযোগ রাহুলের বিরুদ্ধে। এবার তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ, নির্যাতিতা এক নাবালিকার পরিচয় প্রকাশ করেছেন রাহুল। ২০২১ সালের ওই ঘটনা সম্পর্কে জাতীয় শিশু অধিকার রক্ষা কমিশন (NCPCR) বৃহস্পতিবার দিল্লি হাইকোর্টে অভিযোগ দায়ের করেছে রাহুলের বিরুদ্ধে। প্রধান বিচারপতি সতীশচন্দ্র শর্মা ও বিচারপতি সঞ্জীব নারুলার বেঞ্চে জমা দেওয়া হলফনামায় কমিশন জানিয়েছে, ওই দলিত নাবালিকাকে ধর্ষণের পরে খুন করা হয় বলে অভিযোগ। তার বাবা-মায়ের সঙ্গে নিজের একটি ছবি প্রকাশ করায় রাহুলের বিরুদ্ধে এফআইআর করা উচিত। কমিশনের অভিযোগ, নির্যাতিতার পরিচয় প্রকাশ করে পকসো আইন ভেঙেছেন রাহুল।

    এফআইআর দায়েরের সুপারিশ

    ২০২১ সালে ওই ঘটনার পরেই ট্যুইটারকে চিঠি দিয়েছিল জাতীয় শিশু অধিকার রক্ষা কমিশন। ফেসবুককেও এই মর্মে চিঠি দিয়েছিল তারা। চিঠি পেয়েই রাহুলের (Rahul Gandhi) অ্যাকাউন্ট ব্লক করে দেয় ট্যুইটার। কমিশন জানিয়েছিল, রাহুলের ইনস্টাগ্রাম প্রোফাইলের মাধ্যমে সামনে আসছে নির্যাতিতার পরিচয়। এবার কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতির বিরুদ্ধে এফআইআর দায়েরের সুপারিশ করল কমিশন।

    রাহুলের বিরুদ্ধে অভিযোগ

    ঘটনার সূত্রপাত ২০২১ সালের অগাস্ট মাসে। দক্ষিণ-পশ্চিম দিল্লির ওল্ড নাঙ্গল গ্রাম বছর নয়েকের এক দলিত নাবালিকার অস্বাভাবিক মৃত্যু নিয়ে ব্যাপক হইচই হয়। মৃতের পরিবারের অভিযোগ ছিল, এক পুরোহিত ওই নাবালিকাকে ধর্ষণ করে খুন করেন। এর পর নির্যাতিতার পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন রাহুল। মৃতের পরিচয় এবং তার বাবা-মায়ের সঙ্গে সাক্ষাতের একটি ছবি রাহুল সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেন বলে অভিযোগ। তার জেরেই পদক্ষেপ করল কমিশন।

    আরও পড়ুুন: “মেয়াদ উত্তীর্ণ ওষুধ বিক্রির চক্র চলছে…ফাঁসি হওয়া উচিত ”, বিস্ফোরক রাজ্যপাল

    এর আগে ২০২১ সালের অক্টোবর মাসে নির্যাতিতার পরিচয় সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করা নিয়ে রাহুলের (Rahul Gandhi) বিরুদ্ধে জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়েছিল দিল্লি হাইকোর্টে। ওই মামলায় ছবিটি পোস্ট করা নিয়ে ট্যুইটারকে নোটিশ দিয়েছিলেন দিল্লি হাইকোর্টের তৎকালীন প্রধান বিচারপতি ডিএন প্যাটেল। ঘটনাটি দুর্ভাগ্যজনক বলেও মন্তব্য করেছিলেন প্রধান বিচারপতি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • CV Ananda Bose: “মেয়াদ উত্তীর্ণ ওষুধ বিক্রির চক্র চলছে…ফাঁসি হওয়া উচিত ”, বিস্ফোরক রাজ্যপাল

    CV Ananda Bose: “মেয়াদ উত্তীর্ণ ওষুধ বিক্রির চক্র চলছে…ফাঁসি হওয়া উচিত ”, বিস্ফোরক রাজ্যপাল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “রাজ্যে মেয়াদ উত্তীর্ণ ওষুধ বিক্রির চক্র চলছে।” শুক্রবার এমনই বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস (CV Ananda Bose)। তাঁর অভিযোগ, মেয়াদ উত্তীর্ণ ওষুধের ওপর নয়া লেবেল সেঁটে তা বিক্রি করে লাভবান হচ্ছেন এক শ্রেণির ব্যবসায়ী। মেয়াদ উত্তীর্ণ ওষুধ নিয়ে কোটি কোটি টাকার ব্যবসা চলছে বলেও মন্তব্য করেন রাজ্যপাল। তাঁর মন্তব্যে তোলপাড় রাজ্য। অভিযোগের তদন্ত হবে বলেও আশ্বাস দেন সিভি আনন্দ বোস।

    রাজ্যপালের দাবি

    এদিন ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ ফার্মাকিউটিক্যাল এডুকেশন রিসার্চের একাদশতম সমাবর্তনের অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন রাজ্যপাল। ওই অনুষ্ঠানে তিনি (CV Ananda Bose) বলেন, “রাজভবনে আমার দফতরে একটি ইমেল এসেছে। সেই ইমেলে অভিযোগ করা হয়েছে রাজ্যে মেয়াদ উত্তীর্ণ ওষুধ বিক্রির একটি চক্র চলছে। আপনাদের আশপাশে এই চক্র সক্রিয় রয়েছে। মেয়াদ উত্তীর্ণ ওষুধে নয়া লেবেল লাগিয়ে তা বিক্রির জন্য কলকাতায় পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে। এটা কোটি কোটি টাকার ব্যবসা। নতুন ওষুধ হিসেবে মেয়াদ উত্তীর্ণ ওষুধ বিক্রি করা হচ্ছে। এই ব্যবসায় নিরীহ মানুষের জীবনহানির সম্ভাবনা রয়েছে। আমি আশ্বাস দিচ্ছি, এই অভিযোগের তদন্ত হবে। এই ব্যবসার সঙ্গে যুক্তদের ফাঁসি দেওয়া উচিত।” প্রসঙ্গত, সম্প্রতি কলকাতা থেকে কোটি কোটি টাকার নকল ওষুধ উদ্ধার করে ড্রাগ কন্ট্রোল ও কলকাতা পুলিশ। কলুতলা স্ট্রিটের একটি বাড়িতে অভিযান চালিয়ে বাজেয়াপ্ত করা হয় ওই ওষুধ। ওই ঘটনায় অসীম সাধু নামে একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

    নিয়োগ নিয়ে রিপোর্ট তলব

    এদিকে, এবার স্বাস্থ্য বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়োগ নিয়ে রিপোর্ট তলব করলেন রাজ্যপাল (CV Ananda Bose)। স্বাস্থ্য বিশ্ববিদ্যালয়কে চিঠি দিয়ে এই রিপোর্ট চাওয়া হয়েছে। উল্লেখ্য, কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশের জেরেই রাজ্যপাল এই রিপোর্ট তলব করেছেন। নিয়োগ কেলেঙ্কারির মামলার জেরে প্রায় প্রতিদিনই প্রকাশ্যে আসছে নতুন নতুন তথ্য। এহেন আবহে রাজ্যপাল রিপোর্ট তলব করায় বিষয়টিতে যোগ হল বাড়তি মাত্রা।অসমর্থিত একটি সূত্রের খবর, সম্প্রতি নিয়োগে দুর্নীতি হয়েছে আশঙ্কা করে রাজ্যপালের কাছে চিঠি পাঠান কয়েকজন চিকিৎসক। তার পরেই নিয়োগ নিয়ে রিপোর্ট তলব করেন রাজ্যপাল। ওই চিকিৎসকরা রাজ্যপালকে এও জানিয়েছিলেন, স্বাস্থ্য বিশ্ববিদ্যালয়ে পঠনপাঠন পরিচালনার ক্ষেত্রে খামতি রয়েছে।

    আরও পড়ুুন: ‘‘আইপ্যাক-কে ১৫২ কোটির টেন্ডার পাইয়ে দিতে দুর্নীতি করেছেন মমতা’’! বিস্ফোরক শুভেন্দু

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Rajya Sabha: “নাটক করা আপনাদের অভ্যাস”, তৃণমূলের ডেরেককে বললেন ধনখড়

    Rajya Sabha: “নাটক করা আপনাদের অভ্যাস”, তৃণমূলের ডেরেককে বললেন ধনখড়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মণিপুরকাণ্ডে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বিবৃতির দাবিতে বিরোধীদের হট্টগোলের জেরে শুক্রবারও মুলতুবি হয়ে গেল রাজ্যসভার (Rajya Sabha) অধিবেশন। শোরগোলের জেরে মুলতুবি হয়ে গিয়েছে লোকসভাও। এই দাবিতে এনিয়ে টানা ষষ্ঠ দিন মুলতুবি হয়ে গেল সংসদের বাদল অধিবেশন। এই হট্টগোলের আবহেই লোকসভায় খনি ও খনিজ সম্পদ (উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ) সংশোধনী বিল পাশ করিয়ে নিল সরকার।

    ধ্বনি ভোটে পাশ বিল

    খনি বিল পাশ হয় ধ্বনি ভোটে। ২০১৫ সাল থেকে এই বিলের একাধিক ধারা নিয়ে আপত্তি জানিয়ে আসছিলেন বিরোধীরা। খনি বিলের পাশাপাশি এদিন লোকসভায় ধ্বনি ভোটে পাশ হয়েছে আরও দুটি বিল। একটি হল জাতীয় নার্সিং কমিশন বিল, অন্যটি জাতীয় ডেন্টাল কমিশন বিল। এদিন মুলতুবি হওয়ার আগে বিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন উপরাষ্ট্রপতি তথা রাজ্যসভার (Rajya Sabha) চেয়ারম্যান জগদীপ ধনখড় ও সাংসদ তৃণমূলের ডেরেক ও’ ব্রায়েন। ডেরেকের উদ্দেশে ধনখড়কে বলতে শোনা যায়, “নাটক করা আপনাদের অভ্যাস হয়ে গিয়েছে।” তাঁকে এও বলতে শোনা যায়, “আমাকে এত বোঝানোর কোনও প্রয়োজন নেই।”

    হট্টগোলের সূত্রপাত 

    প্রসঙ্গত, মণিপুরে দুই তরুণীকে বিবস্ত্র করে ঘোরানোর একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে সম্প্রতি। তার পরেই মণিপুরের ঘটনায় প্রধানমন্ত্রীর বিবৃতি দাবি করে বিজেপি বিরোধী বিভিন্ন দল। বাদল অধিবেশনের শুরুতেই ২৬৭ ধারায় মণিপুরের সামগ্রিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনার দাবিতে নোটিশ দিয়েছিল (Rajya Sabha) কংগ্রেস সহ বিভিন্ন বিরোধী দল। তবে তাতে রাজি হয়নি মোদি সরকার। কেন্দ্রীয় সংসদীয় মন্ত্রী প্রহ্লাদ জোশী ২৬৭ ধারার পরিবর্তে আলোচনা চান ১৭৬ ধারায়।

    আরও পড়ুুন: আগ্নেয়াস্ত্র দেখিয়ে বিজেপির তিন সহ ৪ জয়ী প্রার্থীকে অপহরণ! কাঠগড়ায় তৃণমূল

    এদিন রাজ্যসভার চেয়ারম্যান ধনখড়ও জানিয়েছিলেন মণিপুর নিয়ে আলোচনা হতে কোনও আপত্তি নেই। তবে কোন ধারায় আলোচনা হবে, তা নিয়ে কিছু বলেননি তিনি। এ থেকেই শুরু বিতণ্ডার। এদিনও  নাগাড়ে ডেস্ক চাপড়াতে দেখা যায় তৃণমূলের ডেরেককে। তখনই রাজ্যসভার চেয়ারম্যান বলেন, ডেস্ক চাপড়ানো বন্ধ করুন। চেয়ারকে সম্মান করুন। তার পরেও ডেরেককে দমানো যায়নি। এমতাবস্থায় এদিনের মতো মুলতুবি করে দেওয়া হয় রাজ্যসভার (Rajya Sabha) অধিবেশন। শনি ও রবিবার বন্ধ থাকায় সংসদের অধিবেশন ফের হবে ৩১ জুলাই, সোমবার।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • One Nation One Election: ‘এক দেশ এক ভোট’, আইন কমিশনের কাছে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে, জানালেন মন্ত্রী

    One Nation One Election: ‘এক দেশ এক ভোট’, আইন কমিশনের কাছে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে, জানালেন মন্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘এক দেশ এক ভোটে’র (One Nation One Election) পক্ষে বারংবার সওয়াল করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। বছর ঘুরলেই লোকসভা নির্বাচন। তার আগে ফের একবার এক দেশ এক ভোট নীতি কার্যকরের পক্ষে সওয়াল করল নরেন্দ্র মোদির সরকার। রাজ্যসভায় কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী অর্জুনরাম মেঘওয়াল জানান, ওই নীতি কার্যকরের দিকগুলি খতিয়ে দেখার জন্য আইন কমিশনের কাছে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। মন্ত্রী বলেন, “এর ফলে যে বিপুল পরিমাণ অর্থ সাশ্রয় হবে, তা রাজনৈতিক দলের প্রার্থীদের প্রচারে ব্যয় হতে পারে। এই নীতি কার্যকর হলে উন্নয়নমূলক প্রকল্পের গতিও বাড়বে।”

    মোদি সরকারের যুক্তি 

    ২০১৪ সালে প্রধানমন্ত্রী পদে শপথ নেওয়ার পরে পরেই ‘এক দেশ এক ভোটে’র তত্ত্বের পক্ষে সওয়াল করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী। তাঁর যুক্তি ছিল, লোকসভার সঙ্গেই দেশের সব বিধানসভার নির্বাচন সেরে নিলে কমবে নির্বাচনী ব্যয়। কেবল তাই নয়, উন্নয়নমূলক কাজের গতিও বাড়বে। একই ভোটার তালিকায় দুই নির্বাচন হলে কর্মীদের তালিকা তৈরির কাজের চাপও কমবে। মোদি সরকারের এই ভাবনাকে সমর্থন করেছিল নীতি আয়োগ, আইন কমিশন এবং নির্বাচন কমিশন।

    ‘এক দেশ এক ভোট’ 

    ‘এক দেশ এক ভোট’ (One Nation One Election) নীতি লাগু করতে গেলে সংবিধানের বেশ কিছু অনুচ্ছেদ পরিবর্তনের প্রয়োজন হতে পারে বলেও সরকারি সূত্রে খবর। সংবিধানের ৮৩ নম্বর অনুচ্ছেদে সংসদের দুই কক্ষের মেয়াদের কথা বলা হয়েছে। ৮৫ নম্বর অনুচ্ছেদে লোকসভা ভেঙে দেওয়ার নিয়ম বলা হয়েছে। ১৭২ নম্বর অনুচ্ছেদে রাজ্য বিধানসভাগুলির মেয়াদের কথা বলা হয়েছে। ১৭৪ নম্বর অনুচ্ছেদে বিধানসভা ভেঙে দেওয়ার নিয়মের উল্লেখ করা হয়েছে। ৩৫৬ নম্বর ধারায় রয়েছে রাষ্ট্রপতি শাসন জারি সংক্রান্ত নিয়ম। ১৯৫১ সালের জনপ্রতিনিধিত্ব আইনও সংশোধন করা প্রয়োজন হতে পারে।

    আরও পড়ুুন: “কৃষ্ণ-রুক্মিণীর বিয়ে লাভ জিহাদ”! কংগ্রেস নেতার বিতর্কিত মন্তব্যের কী জবাব দিলেন হিমন্ত?

    বিজেপি ‘এক দেশ এক ভোট’ (One Nation One Election) নীতি লাগু করার পক্ষে সওয়াল করলেও, বিরোধী দলগুলি এই নীতির সমালোচনায় মুখর প্রথম থেকেই। তাদের মতে, এই নীতি নিয়ে মোদি সরকার ঘুরপথে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট নির্বাচন ধাঁচের ব্যবস্থা চালু করতে চাইছে। এটি যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামো এবং সংসদীয় গণতান্ত্রিক ভাবনার পরিপন্থী। এক দেশ এক ভোট নীতি চালু হওয়ার পরে কেন্দ্রে বা কোনও রাজ্যে পাঁচ বছরের আগেই নির্বাচিত সরকার পড়ে গলে কী হবে, তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন বিরোধীরা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

      

  • Suvendu Adhikari: ‘‘যেখানে দাঁড়াবেন, সেখানেই হারাব’’! লোকসভা ভোটে মমতাকে খোলা চ্যালেঞ্জ শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: ‘‘যেখানে দাঁড়াবেন, সেখানেই হারাব’’! লোকসভা ভোটে মমতাকে খোলা চ্যালেঞ্জ শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “যেখানে দাঁড়াবেন সেখানেই হারাব।” লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূল (TMC) সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে এই ভাষায়ই চ্যালেঞ্জ জানালেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। তিনি বলেন, “দম থাকলে পূর্ব মেদিনীপুরের জেলা পরিষদের আসনগুলি পুনর্গণনা করে দিন না! বড় বড় কথা বলছেন উনি। ২০১৪ সাল থেকে হারছেন। মিত্র ইনস্টিটিউশনে নিজে হেরেছেন তো। কেন্দ্রীয় পুলিশ থাকলেই হারছেন। আবার আগামী বছরে হারবেন। মিত্র ইনস্টিটিউশনে হারবেন, ওঁর নিজের বুথে হারাব।” নন্দীগ্রামের বিধায়ক বলেন, “উনি ভাইপোকে মুখ্যমন্ত্রী করে দিল্লিতে পালাতে চাইছেন। তো দিল্লি যেতে গেলে তো লোকসভায় দাঁড়াতে হবে, নাহলে রাজ্যসভায় পিছনের দরজা দিয়ে যেতে হবে। কিন্তু ভোটে দাঁড়ালেই হারাব। যেখানে দাঁড়াবেন, সেখানেই হারাব।”

    ‘কমপার্টমেন্টাল চিফ মিনিস্টার’

    একুশের বিধানসভা নির্বাচনে নন্দীগ্রামে শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari) কাছে হেরে গিয়েছিলেন মমতা। এদিন সে প্রসঙ্গ টেনে শুভেন্দু বলেন, “হ্যাঁ, শুভেন্দু জিতেছে। জিতেছে বলেই আপনি কমপার্টমেন্টাল চিফ মিনিস্টার। জিতেছে বলেই শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়কে কলার ধরে পদত্যাগ করিয়ে ভবানীপুরে ছাপ্পা মেরে আপনাকে জিততে হয়েছে।” প্রসঙ্গত, নন্দীগ্রামে শুভেন্দুর কাছে হেরে গিয়ে ভাবনীপুর উপনির্বাচনে জয়ী হন তৃণমূলের মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী মমতা।

    ‘হারলেন ১৯৫৬ ভোটে’

    রাজ্যের বিরোধী দলনেতা (Suvendu Adhikari) বলেন, “একটা ভাঙা রেকর্ড আছে। শুভেন্দু গণনায় কারচুপি করে নন্দীগ্রামে জিতেছে। একই বিল্ডিংয়ে তিনটে বিধানসভার গণনা হয়েছে। মহিষাদল, হলদিয়া এবং নন্দীগ্রাম। হলদিয়া থেকে বিজেপি প্রার্থী জিতলেন ১৫ হাজার প্লাস। মহিষাদলে তৃণমূল প্রার্থী জিতলেন ২১০০ ভোটে। একই বিল্ডিংয়ে আপনি হারলেন ১৯৫৬ ভোটে।” নন্দীগ্রামের বিধায়ক বলেন, “আপনি একটা কেস করেছেন। আপনার বিচারপতিকে অপছন্দ হয়েছিল, মাননীয় কৌশিক চন্দ। তাঁকে বদলালেন। দু বছরের বেশি সময় চলে গেল। মামলা আপনি করেছেন, আমি করিনি। কিন্তু আপনি তোলেন না। কারণ, সবই কানে শোনা, চোখে দেখা কিছু নেই। কোনও নথি নেই। সব নথি তো আমার কাছে।”

    আরও পড়ুুন: “দুর্নীতি কুইট ইন্ডিয়া, তুষ্টিকরণ কুইট ইন্ডিয়া”, রাজস্থানের সভায় ‘ইন্ডিয়া’কে নিশানা মোদির

    শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বলেন, “ওয়েবেল এবং ডব্লুটিএল দুর্নীতিতে সরাসরি যুক্ত মুখ্যমন্ত্রী। সমস্ত টেন্ডার ও কাগজপত্র নিয়ে কাল (শুক্রবার) দুপুর ৩টেয় সাংবাদিকদের সামনে হাজির হব।” আগামী লোকসভা নির্বাচনে এ রাজ্যে বিজেপি ৩৬টি আসন পাবে বলেও দাবি করেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • PM Modi: “দুর্নীতি কুইট ইন্ডিয়া, তুষ্টিকরণ কুইট ইন্ডিয়া”, রাজস্থানের সভায় ‘ইন্ডিয়া’কে নিশানা মোদির

    PM Modi: “দুর্নীতি কুইট ইন্ডিয়া, তুষ্টিকরণ কুইট ইন্ডিয়া”, রাজস্থানের সভায় ‘ইন্ডিয়া’কে নিশানা মোদির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “মহাত্মা গান্ধী যেমন ভারত ছাড়ো স্লোগান দিয়েছিলেন, আজকের মন্ত্র হল দুর্নীতি কুইট ইন্ডিয়া, পরিবারতন্ত্র কুইট ইন্ডিয়া, তুষ্টিকরণ কুইট ইন্ডিয়া। এই কুইট ইন্ডিয়াই পারে আমাদের দেশকে বাঁচাতে।” বৃহস্পতিবার রাজস্থানে বিজেপির (BJP) এক জনসভায় কথাগুলি বললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে একজোট হয়েছে কংগ্রেস সহ দেশের ২৬টি রাজনৈতিক দল। বেঙ্গালুরুর সভায় এই দলের নাম হয়েছে ‘ইন্ডিয়া’।

    ‘ইন্ডিয়া’কে নিশানা

    এদিন এই ‘ইন্ডিয়া’কেই নিশানা করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, “মহাত্মা গান্ধী একবার স্লোগান দিয়েছিলেন – ভারত ছাড়ো – ইংরেজ কুইট ইন্ডিয়া। ব্রিটিশদের দেশ ছাড়তে হয়েছিল। একইভাবে আমরা সমৃদ্ধ ভারত গড়ার সংকল্প নিয়েছি।” এর পরেই তিনি বলেন,“মহাত্মা গান্ধী যেমন ভারত ছাড়ো স্লোগান দিয়েছিলেন, আজকের মন্ত্র হল দুর্নীত কুইট ইন্ডিয়া, পরিবারতন্ত্র কুইট ইন্ডিয়া, তুষ্টিকরণ কুইট ইন্ডিয়া। এই কুইট ইন্ডিয়াই পারে আমাদের দেশকে বাঁচাতে।”

    ইন্ডিয়া ইজ ইউপিএ

    প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) বলেন, “ইন্ডিয়ার লেবেল দিয়ে তারা তাদের পুরনো কাজগুলো, ইউপিএ জমানার কাজগুলোকে ধামাচাপা দিতে চায়। তারা যদি সত্যিই ভারতের কথা ভাবত, তাহলে কি তারা বিদেশিদের বলত ভারতে হস্তক্ষেপ করতে? তারা একবার স্লোগান দিয়েছিল, ইন্দিরা ইজ ইন্ডিয়া, ইন্ডিয়া ইজ ইন্দিরা। তখন জনগণ তাদের উপড়ে ফেলেছিল। এই অহংকারীরা আবারও সেই একই কাজ করেছে। তারা বলে ইউপিএ ইজ ইন্ডিয়া। ইন্ডিয়া ইজ ইউপিএ। মানুষ আবার তাদের সঙ্গে একই আচরণ করবে।”

    কংগ্রেসকে নিশানা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “কংগ্রেস একটি দিশাহীন দলে পরিণত হয়েছে। ঠিক আগেকার দিনের জালিয়াত কোম্পানিগুলোর মতো নাম পরিবর্তন করেছে কংগ্রেস ও তার সহযোগীরা। তারা তাদের নাম পরিবর্তন করেছে যাতে তারা সেই দাগ মুছতে পারে, যা সন্ত্রাসের সামনে আত্মসমর্পণ করার পর তাদের গায়ে লেগেছিল। তারা দেশের শত্রুদের পথ অনুসরণ করছে। ইন্ডিয়া নামটি তাদের দেশপ্রেম দেখানোর জন্য নয়, বরং দেশকে লুট করার উদ্দেশ্যে ব্যবহার করছে।”

    আরও পড়ুুন: ভোটে সন্ত্রাস! “আগামী বছর সুদে আসলে হিসেব দিতে হবে”, বিধানসভায় শুভেন্দু

    তিনি (PM Modi) বলেন, “স্বাধীনতার কয়েক দশক পরে আজ দেশে এমন একটা সরকার ক্ষমতায় এসেছে, যারা কৃষকদের যন্ত্রণা বোঝে, তাঁদের উদ্বেগ বোঝে। সেই কারণে গত ন’ বছর ধরে তাঁদের কল্যাণের কথা ভেবেই নেওয়া হয়েছে যাবতীয় সিদ্ধান্ত।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • PM Modi: ‘ইন্ডিয়া’র আনা অনাস্থা প্রস্তাবকে পাত্তা নয়, তৃতীয় দফায় জয় নিয়ে নিশ্চিত মোদিও

    PM Modi: ‘ইন্ডিয়া’র আনা অনাস্থা প্রস্তাবকে পাত্তা নয়, তৃতীয় দফায় জয় নিয়ে নিশ্চিত মোদিও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সংখ্যাতত্ত্বের হিসেব বলছে বিরোধীদের আনা অনাস্থা প্রস্তাব কোনও প্রভাবই ফেলবে না মোদি সরকারের (PM Modi) ওপর। তা সত্ত্বেও মোদি সরকারের প্রতি অনাস্থা প্রস্তাব আনল বিজেপি-বিরোধী ২৬টি দলের জোট ‘ইন্ডিয়া’। ওই প্রস্তাবকে কার্যত পাত্তা না দিয়ে এক অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী জানিয়ে দিলেন, “আগামী বছর যে লোকসভা নির্বাচন হতে চলেছে, তাতে বিজেপির জয় নিয়ে কোনও দুশ্চিন্তাই নেই গেরুয়া শিবিরের।”

    তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ

    বুধবার সন্ধ্যায় দিল্লির প্রগতি ময়দানের এক অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আমার তৃতীয় দফার কার্যক্রমে আপনারা দেখবেন চোখের সামনে আপনাদের স্বপ্ন পূরণ হতে।” বিজেপির সংসদীয় দলের বৈঠকেও প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আমার লক্ষ্য হল, ২০২৭ সালের মধ্যে ভারতকে একটি উন্নত দেশে পরিণত করা এবং তৃতীয় মেয়াদে ভারতকে তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির দেশে পরিণত করা।”

    গুরুত্বপূর্ণ বিল পাশ 

    এদিকে, বিরোধীদের তৈরি হট্টগোলের আবহেই একাধিক বিল পাশ করিয়ে নিয়েছে বিজেপি (PM Modi)। এর মধ্যে রয়েছে বহু-রাষ্ট্রীয় সমবায় সমিতি (সংশোধন) বিল, ২০২২ এবং জৈবিক বৈচিত্র্য (সংশোধন) বিল, ২০২২-র মতো গুরুত্বপূর্ণ বিল। সোমবার জাতীয় নার্সিং অ্যান্ড মিডওয়াইফারি কমিশন বিল, ২০২৩ জাতীয় ডেন্টাল কমিশন বিল, ২০২৩ এবং সংবিধান (তফশিলি উপজাতি) আদেশ (পঞ্চম)-ও পেশ করা হয়েছে।

    এদিকে, কংগ্রেস সহ ‘ইন্ডিয়া’র আনা অনাস্থা প্রস্তাবের জবাবে কংগ্রসের অস্ত্রেই কংগ্রেসকে বধ করতে চাইছে বিজেপি। রাজনৈতিক মহলের মতে, অনাস্থা প্রস্তাব আনলেও, সরকার ফেলার সামর্থ্য বিরোধীদের নেই জেনেও, মণিপুর নিয়ে বিতর্কে দেশবাসীর মন জিততেই অনাস্থা এনেছে তারা। লোকসভার আসন সংখ্যা ৫৪৩। এর মধ্যে পাঁচটি আসন শূন্য রয়েছে। বাকি আসনের মধ্যে এনডিএর (PM Modi) মধ্যে রয়েছে ৩৩০টি আসন। বিরোধীদের হাতে রয়েছে ১৪০টি আসনের রাশ। তাই সংখ্যাতত্ত্বের হিসেবে সরকার পতনের কোনও সম্ভাবনাই নেই।

    আরও পড়ুুন: ‘শ্যালিকার মত উনিও দেশের বাইরে পালাতে চাইছেন..’, অভিষেককে কটাক্ষ শুভেন্দুর

    ২০১৮ সালের ২০ জুলাইও অনাস্থা এনেছিলেন বিরোধীরা। সেবারও ৩২৫-১২৫ এর ব্যবধানে গোহারা হেরেছিল তারা। সূত্রের খবর, অনাস্থা বিতর্কে বিজেপি কংগ্রেস জমানায় নারী নির্যাতনের বিষয়গুলি তুলে ধরার জন্য প্রস্তুত হচ্ছে। স্বাধীনতার পর থেকে নারী সুরক্ষা নিয়ে কংগ্রেস কতটা উদাসীন, সেই তথ্যও লোকসভায় পেশ করবে বিজেপি। প্রধানমন্ত্রীর জবাবি ভাষণেও তুলে ধরা হবে কংগ্রেসের ব্যর্থতার দিক।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

     

LinkedIn
Share