Author: নিমাই দে

  • Vande Bharat: আরও তাড়াতাড়ি গন্তব্যে, শীঘ্রই গতি বাড়তে চলেছে হাওড়া-জলপাইগুড়ি বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের

    Vande Bharat: আরও তাড়াতাড়ি গন্তব্যে, শীঘ্রই গতি বাড়তে চলেছে হাওড়া-জলপাইগুড়ি বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলার রেলযাত্রীদের জন্য সুখবর! খুব শীঘ্রই গতি বাড়তে চলেছে বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের। এই মুহূর্তে বন্দে ভারত এক্সপ্রেস ট্রেনের সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ১১০ কিলোমিটার। গতিবেগ প্রতি ঘণ্টায় আরও ২০ থেকে ৩০ কিলোমিটার বাড়ানোর পরিকল্পনা চলছে। সেই কারণেই পরিকাঠামো ও রেলপথ সরেজমিনে পরিদর্শন করলেন পূর্ব রেলের অতিরিক্ত জেনারেল ম্যানেজার ড. জয়দীপ গুপ্তা। আগামী কিছুদিনের মধ্যেই হাওড়া-নিউ জলপাইগুড়ি বন্দে ভারত এক্সপ্রেস ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ১৩০ থেকে ১৪০ কিলোমিটার বেগে ছুটতে চলেছে বলে তিনি জানিয়েছেন।

    হাওড়া-নিউ জলপাইগুড়ি বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের গতি বৃদ্ধি

    মঙ্গলবার মালদহ টাউন স্টেশন পরিদর্শনে আসেন পূর্ব রেলের অতিরিক্ত জেনারেল ম্যানেজার জয়দীপ গুপ্তা। তিনি সাংবাদিকদের জানান, বন্দে ভারত এক্সপ্রেস বর্তমানে ঘন্টায় ১১০ কিলোমিটার গতিবেগে চলছে। এই গতি বাড়িয়ে অন্তত ১৩০ কিলোমিটার করার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। এজন্য রেলের মালদহ ডিভিশনে পরিকাঠামো উন্নয়নের কাজ চলছে। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে মাস তিনেকের মধ্যেই আরও বেশি গতিতে ছুটবে বন্দে ভারত এক্সপ্রেস। রেলের তরফে জানানো হয়েছে, প্রাথমিক পর্যায়ের কাজ প্রায় শেষের দিকে। সমস্ত বিষয় খতিয়ে দেখার পাশাপাশি কন্ট্রোল রুমের বিভিন্ন বিভাগ, ট্র্যাক, সিগন্যালিং ব্যবস্থা ইত্যাদি নিজে পরিদর্শন করেও সন্তোষ প্রকাশ করেছেন জয়দীপ গুপ্তা।

    গতকাল, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় মালদায় ডিভিশনের পদস্থ ও সংশ্লিষ্ট আধিকারিকদের নিয়ে বৈঠক করেন পূর্ব রেলের অতিরিক্ত জেনারেল ম্যানেজার। বৈঠক শেষে তিনি বলেন, “হাইস্পিড ট্রেন চলাচলের জন্য রেল ট্র্যাক একেবারেই নিরাপদ। আমরা মালদহে সেই পরিকাঠামোও দেখেছি। খুব শীঘ্রই বন্দে ভারত এক্সপ্রেস ১৩০ থেকে ১৪০ কিলোমিটার গতিবেগে চালানো হবে। বর্তমানে ১১০-এ চলছে। ধীরে ধীরে গতি বাড়িয়ে ১৬০ পর্যন্ত করা যাবে।”

    আরও পড়ুন: মালদায় উদ্ধার ‘সোনার দুর্গা’ ঘিরে চলছে পুজো-অর্চনা, মূর্তি প্রশাসনকে দিতে নারাজ গ্রামবাসীরা

    বন্দে ভারতের গতি বৃদ্ধি পেলে হাওড়া থেকে উত্তরবঙ্গ পৌঁছনোর সময় কমে যাবে। দ্রুত গতির এই ট্রেন হাওড়া-নিউ জলপাইগুড়ি রুটে সঠিক সময়েই চলাচল করছে বলে জানিয়েছে রেল এবং তাতে খুশি রেলযাত্রীরাও। উল্লেখ্য, রেল সূত্রে খবর, বন্দে ভারত এক্সপ্রেস সর্বোচ্চ ১৬০ থেকে ১৮০ কিলোমিটার পর্যন্ত গতিবেগে ছুটতে পারে। তবে তার জন্য রেলের রেক, বৈদ্যুতিকরণ, সিগন্যাল, স্টেশনের পরিকাঠামো উন্নয়ন-সহ বেশকিছু অগ্রগতির প্রয়োজন রয়েছে। এজন্যই পরিকাঠামোগত উন্নয়নে জোর দিয়েছে রেল কর্তৃপক্ষ। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Malda: মালদায় উদ্ধার ‘সোনার দুর্গা’ ঘিরে চলছে পুজো-অর্চনা, মূর্তি প্রশাসনকে দিতে নারাজ গ্রামবাসীরা

    Malda: মালদায় উদ্ধার ‘সোনার দুর্গা’ ঘিরে চলছে পুজো-অর্চনা, মূর্তি প্রশাসনকে দিতে নারাজ গ্রামবাসীরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবারে সোনার দুর্গা মূর্তি উদ্ধার হল মালদার মানিকচক থেকে। চাষের জমি থেকে পাওয়া ‘সোনার দুর্গা মূর্তি’ নিয়ে হুলস্থুল মালদহের মানিকচকের চৌকি মীরদাদপুরের রাজনগরের দামোদরপুর ঘোষপাড়া এলাকায়। কুড়িয়ে পাওয়া মূর্তি নিয়ে চলছে পুজো-অর্চনা। ওই মূর্তি দেখতে দূরদূরান্ত থেকে ছুটে আসছেন অগণিত ভক্ত। বসে গিয়েছে মেলাও। এই মূর্তি উদ্ধারের খবর পুলিশে দেওয়া হলে জেলা প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের হাতে মূর্তি তুলে দিতে সাফ না করে দিলেন গ্রামবাসীরা। ফলে খালি হাতেই ফিরতে হল তাঁদের।

    ঠিক কী ঘটেছিল মালদায়?

    সূত্রের খবর, মানিকচক ব্লকের অন্তর্গত কালিন্দ্রি ঘোষপাড়া এলাকার বাসিন্দা বিশু ঘোষ। তাঁর জমিতে পড়ে থাকা আবর্জনা পরিষ্কার করতে গিয়ে একটি মূর্তি খুঁজে পান তিনি। তাতে তিনি বেশ অবাক হয়ে যান। আর আশেপাশের লোকজনকে মূর্তির কথা বললে ভিড় জড়ো হয়। তাঁরা মূর্তিটিকে জল দিয়ে ধুয়ে পরিষ্কার করেন। স্থানীয়রা অনেকেই এটাকে সোনার দুর্গা মূর্তি হিসাবে চিহ্নিত করেন। তবে প্রশাসনিকভাবে সেই বিষয়ে এখনও নিশ্চিত করে কিছু বলা হয়নি। ‘সোনার দুর্গা মূর্তি’ উদ্ধারের পর থেকেই গ্রামের মানুষ পূজো অর্চনায় মেতে উঠেছেন। ততক্ষণে মানিকচক থানার পুলিশ এসে যায় ঘটনাস্থলে। আর তদন্ত শুরু করে।

    আরও পড়ুন: মুর্শিদাবাদ, কলকাতায় পতাকা বিড়ির কারখানা, অফিসে আয়কর হানা, চলছে তল্লাশি

    ওই মূর্তি সোনার কি না তা পরীক্ষা করার জন্য প্রশাসনিক কর্তারা ঘটনাস্থলে যান। মূর্তিটিকে নিজেদের হেফাজতে নেওয়ার চেষ্টা করেন। কিন্তু জেলার মহকুমা শাসক লাডেন লেপচার নেতৃত্বে তিন সদস্যের দলের হাতে ওই মূর্তি তুলে দিতে অস্বীকার করেন স্থানীয়রা। মঙ্গলবার বেশ কিছু ক্ষণের চেষ্টায় ব্যর্থ হয়ে ওই এলাকা ছাড়েন সরকারি আধিকারিকরা। গ্রামবাসীদের দাবি, মূর্তি নিয়ে যেতে হলে ফিরিয়ে দেওয়ার স্বীকারোক্তি দিতে হবে। এক গ্রামবাসী বলেন, “যদি মূর্তি নিয়েই যেতে হয়, তাহলে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে মূর্তি আমাদের কাছে ফিরিয়ে দিতে হবে, এই মর্মে লিখিত চাই আমাদের।”

    পুলিশের প্রাথমিক অনুমান

    কীভাবে এই মূর্তি উদ্ধার হল, তার কথা বলতে গিয়ে পুলিশ আধিকারিকরা অনুমান করেছেন যে, সোনার মূর্তি পাচার করতে গিয়েই এখানে পড়ে যায়। কোনও ব্যক্তি একাধিক মূর্তে নিয়ে এখান দিয়ে যাচ্ছিল পাচারের উদ্দেশে। তখন একটি সোনার মূর্তি কোনভাবে পড়ে গিয়ে থাকতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। যদিও এই বিষয়ে এখনই বিশদে মুখ খুলতে নারাজ পুলিশের উচ্চপদস্থ কর্তারা। বিষয়টি খতিয়ে দেখছে পুলিশ। মূর্তিটি কোথা থেকে এসেছে তা নিয়েও পুলিশ তদন্ত করছে। তবে এটি সোনার কিনা তা পরীক্ষা করার জন্য মূর্তিটি নিয়ে যেতে এলেও খালি হাতেই ফিরতে হয় সরকারি আধিকারিকদের।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Kolkata Metro: কবি সুভাষ থেকে রুবি, নতুন লাইনে মেট্রো চলবে চলতি মাসেই! জুড়ে যাবে দুটি ভিন্ন লাইন

    Kolkata Metro: কবি সুভাষ থেকে রুবি, নতুন লাইনে মেট্রো চলবে চলতি মাসেই! জুড়ে যাবে দুটি ভিন্ন লাইন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কলকাতাবাসীর জন্য ফের এক সুখবর! চলতি মাসেই কলকাতায় যাতায়াতের পথ আরও মসৃণ হতে চলেছে। ফেব্রুয়ারিতেই শুরু হচ্ছে রুবি-নিউ গড়িয়া মেট্রো পরিষেবা। চলতি মাসেই পরিষেবা শুরুর জন্য মঙ্গলবার রেলের সবুজ সঙ্কেত মিলেছে। কমিশনার অফ রেলওয়ে সেফটির তরফ থেকে মঙ্গলবারই অনুমতি মিলেছে। তার পরই ওই শাখায় মেট্রো পরিষেবা চালুর তোড়জোড় শুরু হয়ে গেল। শীঘ্রই উদ্বোধনের দিনক্ষণ ঠিক করা হবে বলে কলকাতা মেট্রো রেল সূত্রে খবর।

    রুবি-কবি সুভাষ মেট্রো

    গত মাসের ৩০ তারিখ কলকাতা মেট্রোর লাইন ৬ (অরেঞ্জ লাইন) এর প্রথম দফার অর্থাৎ কবি সুভাষ থেকে হেমন্ত মুখোপাধ্যায় বা রুবি পর্যন্ত সেকশনের ইন্সপেকশন করেছিলেন কমিশনার অফ রেলওয়ে সেফটি। নর্থ ইস্ট ফ্রন্টিয়ার সার্কেলের কমিশনার অফ রেলওয়ে সেফটি, শ্রী শুভময় মিত্রের নেতৃত্বে এই ইন্সপেকশন সংঘটিত হয়েছিল। কবি সুভাষ থেকে হেমন্ত মুখোপাধ্যায় (রুবি মোড়) মেট্রো স্টেশনের মধ্যে মোট ৫ টি স্টেশনকে চালু করা হতে চলেছে। প্রাথমিক দফায় আপাতত এই প্রথম সাড়ে পাঁচ কিলোমিটার রেলপথে কোনো সিগনালিং ব্যবস্থা না থাকার জন্য জোকা তারাতলা লাইনের মতই “ওয়ান রেক সার্ভিস” চলবে। একটি রেকই যাতায়াত করবে রুবি থেকে কবি সুভাষের মধ্যে। একবার কবি সুভাষ থেকে ছেড়ে রুবি পৌঁছে ফের রুবি থেকে কবি সুভাষ ফিরবে ওই রেকটি।

    রুবি-নিউ গড়িয়ার মধ্যে ৫টি স্টেশন থাকবে। সত্যজিৎ রায় (হাইল্যান্ড পার্ক), জ্যোতিরিন্দ্র নন্দী (মুকুন্দপুর) ও কবি সুকান্ত (কালিকাপুর)। আপাতত প্রান্তিক স্টেশনদুটি হল কবি সুভাষ (নিউ গড়িয়া) ও হেমন্ত মুখোপাধ্যায় (রুবি)। এই শাখায় এখনও ভাড়া ঠিক করা হয়নি।

    নিউ গড়িয়া – রুবি মেট্রো ও দক্ষিণেশ্বর – নিউ গড়িয়া মেট্রোয় সংযুক্ত টোকেন পরিষেবা চালু করা হবে। অর্থাৎ কেউ রুবি থেকে দক্ষিণেশ্বর যেতে চাইলে তাঁকে নিউ গড়িয়ায় নেমে আর টোকেন সংগ্রহ করতে হবে না। রুবি থেকেই পাওয়া যাবে দক্ষিণেশ্বরের টোকেন। একই প্ল্যাটফর্মে ২ দিকে আসবে ২টি ট্রেন।

    রুবি – নিউ গড়িয়া মেট্রো পরিষেবার হাত ধরে এই প্রথম কলকাতা মেট্রোয় ‘ইন্টিগ্রেটড টিকেটিং সিস্টেম’ চালু করা হচ্ছে। এই প্রথম শহরের দু’টি আলাদা মেট্রোপথ একটি স্টেশনের মাধ্যমে কাছাকাছি আসবে। কলকাতার উত্তর-দক্ষিণ (নিউ গড়িয়া-দক্ষিণেশ্বর, যাকে ব্লু লাইন বলা হয়) মেট্রো এবং নিউ গড়িয়া-রুবি মেট্রো (অরেঞ্জ লাইন) জুড়ে যাবে নিউ গড়িয়া অর্থাৎ কবি সুভাষ স্টেশনের মাধ্যমে। ফলে এতে শহরবাসীর সময় বাঁচবে ও কোনও সমস্যাও হবে না। কলকাতার দক্ষিণের বাসিন্দারা এর ফলে বিশেষ উপকৃত হবেন বলেই মনে করা হচ্ছে।

  • Union Budget: ‘বাজেটের ইতিবাচক দিকগুলি জনগণের সামনে তুলে ধরুন’, বিজেপি সাংসদদের নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর

    Union Budget: ‘বাজেটের ইতিবাচক দিকগুলি জনগণের সামনে তুলে ধরুন’, বিজেপি সাংসদদের নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাজেট পেশ করার পর অনুষ্ঠিত হয় প্রথম বিজেপি সংসদীয় বৈঠক। বিজেপি সংসদীয় দলের বৈঠক থেকেই দলকে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ বার্তা দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। বাজেটের ইতিবাচক দিকগুলি, যা সাধারণ মানুষের জন্য কার্যকরী, তা জনগণের দরবারে নিয়ে যাওয়ার জন্য নির্দেশ দিলেন প্রধানমন্ত্রী মোদি। দেশের সার্বিক উন্নয়ন ও কর্মসংস্থানের লক্ষ্যে বাজেটে কী ধরনের পদক্ষেপ করা হয়েছে, তা দেশবাসীর সামনে তুলে ধরা জরুরি বলে দলীয় সাংসদদের বোঝান প্রধানমন্ত্রী। সংসদীয় বৈঠকে তিনি বলেন, “বাজেটটি জনগণের পক্ষে এবং সকলের জন্য, ভারতের ১৩০ কোটি মানুষের জন্য। যদিও এটি লোকসভা নির্বাচনের আগে শেষ পূর্ণাঙ্গ বাজেট, তবে কেউ এটিকে ‘ চুনাভি’ বাজেট বলছে না। এমনকি বিরোধীরাও এর প্রশংসা করেছে।”

    বিজেপি সংসদীয় দলের বৈঠকে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য

    ১ ফেব্রুয়ারি বাজেট ঘোষণার পর প্রথম তিনি বিজেপি সংসদীয় দলের বৈঠকে ভাষণ দেন। বৈঠকে যোগ দিয়ে নরেন্দ্র মোদি বলেন, এই বাজেটকে ভোটমুখী বলা যায় না। কারণ তাঁরা ভোটের দিকে চেয়ে বাজেট করেননি, বাজেট করা হয়েছে জনতার দিকে চেয়ে। তাই এই বাজেট জনমুখী। বাজেট ২০২৩-এ একাধিক এমন বিষয় রয়েছে, যেখানে ‘সকলের জন্য’ কিছু না কিছু সুবিধা দেওয়া হয়েছে। সেই সুবিধার ভালো দিকগুলিকে মানুষের কাছে যেন বিজেপি নেতা কর্মীরা প্রচার করেন। দলীয় সংসদ সদস্যদের তাঁদের নিজ নিজ নির্বাচনী এলাকায় বিশেষত মধ্যবিত্ত ও দরিদ্র শ্রেণির কাছে গিয়ে যাতে এই বাজেট নিয়ে জোরালো প্রচার হয়, তার বার্তা দেন নরেন্দ্র মোদি। বাজেট থেকে মধ্যবিত্তরা কোন কোন উপকার পেতে চলেছেন, তার বিস্তারিত যেন জানানো হয় সাধারণ মানুষকে, সেই নির্দেশ দেন নরেন্দ্র মোদি।

    তিনি বলেছেন, “বর্তমানে অত্যন্ত কঠিন সময়ের মধ্যে এই বাজেট আনা হয়েছে। এই বাজেটে সব স্তরের মানুষের সুযোগ সুবিধা নিশ্চিত করা হয়েছে।” বিশেষত যুবসমাজের কাছে আরও বেশি করে পৌঁছোনর জন্য খেলাধুলো ও প্রতিযোগিতা মূলক অনুষ্ঠানের উপরও জোর দিতে বলেন প্রধানমন্ত্রী। সীমান্তবর্তী এলাকার মানুষের পাশেও যে সরকার আছে তা প্রচারের ক্ষেত্রেও জোর দেওয়ার পরামর্শ দেন তিনি।

    দলের সংসদীয় বৈঠকে উপস্থিত বিজেপির একজন কর্মকর্তা বলেন, “আমরা বাজেটের সেরা স্কিমগুলি সম্পর্কে কথাটি ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য একটি দল গঠন করেছি এবং এখন  রাজ্যের জন্য ব্যয় চেক করতে এবং সেগুলি মন্ডল স্তরে প্রচার করতে নাড্ডা প্রতিটি রাজ্যের সাংসদকে তাঁদের অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলেছে।”

  • Salman Rushdie: এক চোখের দৃষ্টি হারিয়েও ভেঙে পড়েননি সলমন রুশদি, প্রকাশিত হল নতুন উপন্যাস ‘ভিকট্রি সিটি’

    Salman Rushdie: এক চোখের দৃষ্টি হারিয়েও ভেঙে পড়েননি সলমন রুশদি, প্রকাশিত হল নতুন উপন্যাস ‘ভিকট্রি সিটি’

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হামলাকারীর ছুরিতে ক্ষতবিক্ষত হওয়ার পর প্রায় ৬ মাস কেটে গিয়েছে। সেই হামলার পর প্রথম সাক্ষাৎকার দিলেন বুকারজয়ী লেখক সলমন রুশদি। এর পাশাপাশি সাহিত্যের মঞ্চেও হাজির সলমন রুশদি। আমেরিকায় তাঁর উপর ধারালো অস্ত্র নিয়ে হামলা চালিয়েছিলেন এক ব্যক্তি। সেই ঘটনায় মারাত্মক জখম হন জনপ্রিয় এই সাহিত্যিক৷ সেই ভয়াবহ অতীত পিছনে ফেলে নিজের নতুন উপন্যাস প্রকাশ করলেন সলমন৷ উপন্যাসের নাম ‘ভিকট্রি সিটি’ (Victory City) ! অর্থাৎ, ‘বিজয় শহর’। এর পাশাপাশি সংবাদমাধ্যমে ইন্টারভিউও দিলেন তিনি। তাঁর উপর ভয়ানক হামলা হওয়ার পরেও তিনি বেঁচে আছেন বলে নিজেকে ভাগ্যবান বললেন রুশদি।

    সলমন রুশদির সাক্ষাৎকার

    নিউ ইয়র্কের একটি পত্রিকার জন্য সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে রুশদি তাঁর যন্ত্রণার কথা বলেন। আবার রুশদি ওই হামলা থেকে রক্ষা পাওয়ায় ছেলে জাফর এবং মিলন-সহ পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান। ৭৫ বছর বয়সি লেখক জানিয়েছেন, সেই হামলার পর থেকে তিনি ‘পোস্ট ট্রমাটিক স্ট্রেস ডিজঅর্ডার (পিটিএসডি)’-এ ভুগছেন। রুশদি বলেন, “আমার বাইরের ক্ষতগুলি প্রায় সেরে উঠছে ধীরে ধীরে। হাতের আঘাতগুলি সারানোর জন্য নিয়মিত হ্যান্ড থেরাপির মধ্যে রয়েছি। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, আমি তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে উঠব। আমার সঙ্গে যা হয়েছে, তার তুলনায় আমি দ্রুতই সুস্থ হয়ে উঠছি।” তিনি জানিয়েছেন, তিনি আগের মত তেমন টাইপ করতে পারছেন না। তিনি বলেছেন, “বছরের পর বছর ধরে নিন্দা ও তিক্ততা এড়াতে কঠোর চেষ্টা করছি। অতীতের দিকে না তাকিয়ে সামনের দিকে তাকিয়ে আমি এই পুরো ঘটনাটির সঙ্গে মোকাবেলা করেছি। অতীতে যা যা ঘটেছিল তার চেয়ে আগামীকাল কী ঘটবে তা আরও গুরুত্বপূর্ণ।”

    আজ প্রকাশিত হল ‘ভিকট্রি সিটি’

    এটি সলমন রুশদির ১৫তম উপন্যাস৷ সূত্রের দাবি, আমেরিকার মঞ্চে হামলার শিকার হওয়ার আগেই এই উপন্যাসটি লেখার কাজ শেষ করে ফেলেছিলেন তিনি  শোনা যাচ্ছে, সলমন রুশদির এই নয়া উপন্যাসটি আদতে একটি ঐতিহাসিক নারী চরিত্রের উপর চিত্রিত মহাকাব্য। যা লেখা হয়েছিল সংস্কৃত ভাষায়৷ সলমন সেই কাহিনিকেই ইংরেজিতে অনুবাদ করে নিজের মত করে সাজিয়েছেন৷

    প্রসঙ্গত, শতকা ইনস্টিটিউশনে ৭৫ বছর বয়সি রুশদির উপর হামলা চালানো হয়। তাঁর উপর যে যুবক এই হামলা চালিয়েছিলেন, তাঁর নাম হ্যাডি মাটার৷ ২৪বছরের ওই যুবককে ঘটনার পরই গ্রেফতার করা হয়৷ এই হামলায় সলমন রুশদির একটি চোখ মারাত্মকভাবে জখম হয়৷ মুম্বইয়ে জন্মগ্রহণকারী এই ব্রিটিশ-মার্কিন ঔপন্যাসিক এক চোখের দৃষ্টি হারিয়েছেন। ঘটনার পর দীর্ঘ সময় হাসপাতালে কাটাতে হয় তাঁকে৷ ভারতীয় বংশোদ্ভূত হলেও গত বিশ বছর ধরে নিউ ইয়র্কেরই বাসিন্দা রুশদি।

  • Harvard Law Review: ১৩৬ বছরের ইতিহাসে প্রথম! হার্ভার্ড ল রিভিউয়ের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত ভারতীয় বংশোদ্ভূত অপ্সরা

    Harvard Law Review: ১৩৬ বছরের ইতিহাসে প্রথম! হার্ভার্ড ল রিভিউয়ের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত ভারতীয় বংশোদ্ভূত অপ্সরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হার্ভার্ড ল রিভিউয়ের (Harvard Law Review) প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত ছাত্রী অপ্সরা আইয়ার। আর ভাঙলেন ১৩৬ বছরের রেকর্ড। তিনিই প্রথম ভারতীয় বংশোদ্ভুত মহিলা, যিনি এত বড় পদে বসলেন। দ্য হার্ভার্ড ক্রিমসন (The Harvard Crimson) সোমবার একটি রিপোর্টে বলেছে, অপ্সরা আইয়ার হার্ভার্ড ল রিভিউয়ের ১৩৭তম প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছেন। ১৮৮৭ সালে প্রতিষ্ঠিত এই প্রতিষ্ঠান ছাত্রছাত্রীদের দ্বারা পরিচালিত বিশ্বের অন্যতম সবচেয়ে পুরনো আইনি স্কলারশিপ প্রকাশনা।

    অপ্সরার কৃতিত্ব

    অপ্সরার এই কৃতিত্বে ফের একবার ভারতের মুখ বিশ্বদরবারে উজ্জ্বল হল। হার্ভার্ড ল রিভিউ-এর প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়ে অপ্সরা বলেন, “ল রিভিউ প্রেসিডেন্ট হিসেবে তাঁর লক্ষ্য হল, প্রতিবেদন পর্যালোচনা ও বাছাই প্রক্রিয়ায় আরও বেশি করে সম্পাদকদের অন্তর্ভুক্ত করানো এবং উচ্চ-মানের কাজের যে খ্যাতি রয়েছে প্রকাশনার, সেই সুনাম বজায় রাখা।” অপ্সরা আগামী দিনের দিকে তাকিয়ে সঙ্কল্প নিয়েছেন এবং বলেছেন, প্রকাশ সংস্থা যাতে তার সুনাম বজায় রাখতে পারে এবং সবকিছু সুষ্ঠুভাবে চলে, তা সুনিশ্চিত করার জন্য মনোনিবেশ করতে চান।

    হার্ভার্ড ল রিভিউ

    হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন সংক্রান্ত এক প্রকাশনা সংস্থা হার্ভার্ড ল রিভিউ। ১৮৮৭ সালে প্রতিষ্ঠিত এই প্রকাশনায় মূলত ছাত্রছাত্রীদের প্রতিবেদন বা গবেষণা প্রকাশিত হয়। তাঁরাই চালান প্রকাশনাটি। আর এই ল রিভিউ-এর শীর্ষেই এখন ভারতীয় বংশোদ্ভূত মহিলা। উল্লেখ্য, হার্ভার্ড ল রিভিয়ের প্রেসিডেন্ট হিসেবে এর আগে দায়িত্ব সামলেছেন সেদেশের সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি রুথ ব্যাডার জিন্সবার্গ এবং প্রাক্তন মার্কিন রাষ্ট্রপতি বারাক ওবামা।

    বিদায়ী প্রেসিডেন্ট প্রিসিলা করোনাডো বলেছেন, হার্ভার্ড ল রিভিউ অপ্সরাকে পাওয়ায় অত্যন্ত ভাগ্যবান বলতে হবে। তিনি এটাও বলেছেন, “অপ্সরা আইয়ার এর আগে অনেক সম্পাদকের জীবন বদলে দিয়েছেন এবং আমি জানি, তিনি সেই কাজ চালিয়ে যাবেন। শুরু থেকেই, তিনি তাঁর অসাধারণ বুদ্ধিমত্তা, চিন্তাশীলতা দিয়ে তিনি তাঁর সহ সম্পাদকদের মুগ্ধ করেছেন।”

    অপ্সরার কর্মজীবন

    দ্য ক্রিমসন রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে, ২০১৬ সালে ইয়েল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক হয়েছেন অপ্সরা। অর্থনীতি ও গণিত এবং স্প্যানিশে তিনি ব্যাচেলর ডিগ্রি অর্জন করেছেন। ২০১৮ সালে, আইনের ছাত্রী হওয়ার আগে তিনি চাকরিও করতেন। কর্মস্থল থেকে টানা ছুটি নিয়ে আইনের প্রথম বর্ষের পড়াশোনা শেষ করেন অপ্সরা। এরপর আইয়ার “রাইট-অন” নামে একটি প্রতিযোগিতামূলক প্রক্রিয়া অনুসরণ করে হার্ভার্ড ল রিভিউতে যোগ দিয়েছিলেন। এছাড়াও তিনি ল স্কুলের হার্ভার্ড হিউম্যান রাইটস জার্নাল এবং ন্যাশনাল সিকিউরিটি জার্নালের সঙ্গে জড়িত ছিলেন এবং তিনি সাউথ এশিয়ান ল স্টুডেন্টস অ্যাসোসিয়েশনেরও সদস্য।

  • Ethanol: প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে ২০ শতাংশ ইথানল মেশানো পেট্রোলের সরবরাহ ১১টি রাজ্যে

    Ethanol: প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে ২০ শতাংশ ইথানল মেশানো পেট্রোলের সরবরাহ ১১টি রাজ্যে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সোমবার বেঙ্গালুরুতে ইন্ডিয়া এনার্জি উইকের উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এর সঙ্গেই ২০ শতাংশ ইথানল যুক্ত পেট্রোল (ফুয়েল E20) চালু করলেন প্রধানমন্ত্রী মোদি। নির্ধারিত সময়ের দুই মাস আগেই ২০ শতাংশ ইথানল মিশ্রিত পেট্রোল দেশের ১১ টি রাজ্যে ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে সরবরাহ করা হয়েছে। ফলে ইথানল মিশ্রণে বড় সাফল্য অর্জন করেছে ভারত। ঠিক ছিল, চলতি বছরের এপ্রিল মাস থেকে ২০ শতাংশ করে ইথানল মেশানো হবে পেট্রোলে। কিন্তু তার আগেই ইন্ডিয়া এনার্জি উইকে এই উদ্যোগ শুরু করা হল। 

    ইন্ডিয়া এনার্জি উইক ২০২৩

    কর্ণাটকের বেঙ্গালুরুতে ইন্ডিয়া এনার্জি উইক ২০২৩ এর উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। উদ্বোধনের সময় মোদির সঙ্গে মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী বাসবরাজ বোম্মাই, কেন্দ্রীয় পেট্রোলিয়াম ও প্রাকৃতিক গ্যাস মন্ত্রী হরদীপ সিং পুরী ও রাজ্যপাল ঠাওয়ার চাঁদ গেহলট। সোমবার এই এনার্জি উইকের সূচনা হয়। দু’দিন ব্যাপী এই অনুষ্ঠানের সমাপ্তি হবে ৮ ফেব্রুয়ারি। আর এই দিনেই ২০ শতাংশ ইথানল মিশ্রিত পেট্রোলের সরবরাহের কথা বলা হয়। প্রসঙ্গত, বর্তমানে, পেট্রোলে ১০ শতাংশ ইথানল মিশ্রিত হয় (১০শতাংশ ইথানল, ৯০ শতাংশ পেট্রোল) এবং সরকার ২০২৫ সালের মধ্যে এই পরিমাণ দ্বিগুণ করতে চাইছে।

    প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেন, “আমরা পেট্রোলে ইথানলের মিশ্রণ ১.৫ শতাংশ (২০১৪ সালে) থেকে বাড়িয়ে ১০ শতাংশ করেছি এবং এখন ২০ শতাংশ মিশ্রণের দিকে অগ্রসর হচ্ছি।” আরও জানা গিয়েছে, প্রথম পর্যায়ে, ১৫টি শহরকে কভার করা হবে এবং আগামী দুই বছরের মধ্যে এটি সারা দেশে সম্প্রসারিত হবে।

    ইথানল মিশ্রিত পেট্রোলে কী কী সুবিধা হবে?

    প্রথমত, এতে কার্বন নিঃসরণ কমবে, যা পরিবেশের পক্ষে ভালো। গ্রিনহাউস গ্যাসের প্রভাব কমবে। দ্বিতীয়ত, ভারতের বৈদেশিক মুদ্রার সাশ্রয় হবে। ভারতের কৃষকদেরও খুবই উপকার হবে। এর ফলে ভারতের কৃষকদের ৪০ হাজার ৬০০ কোটি টাকার উপকার হবে। পেট্রোলের দাম বৃদ্ধিতে রাশ টানতেও কার্যকর হতে পারে ইথানলের মিশ্রণ৷ পেট্রোলের সঙ্গে ইথানল মিশ্রণের ফলে ক্রুড অয়েল আমদানির ওপর ভারত যে আরব ডলার খরচ করে, তা অনেকটাই বেঁচে যাবে। কারণ প্রতি বছর ভারত অনেক টাকার ক্রুড অয়েল আমদানি করে বিভিন্ন দেশের থেকে।

    প্রসঙ্গত, ২০১৯-২০ সালে ৫% ইথানল মিশ্রিত করা হয়েছিল পেট্রোলে। অন্যদিকে, ২০১৩-১৪ সালে ভারতে পেট্রোলে মাত্র ১.৫৩ শতাংশ ইথানল মিশ্রিত করা হয়েছিল। বর্তমানে ভারত সরকার পেট্রলে ২০ শতাংশ ইথানল মিশ্রিত করার লক্ষ্যমাত্রা রেখেছে। এর ফলে প্রায় ১০০০ কোটি লিটার ইথানলের প্রয়োজন হবে। ইথানলের মাত্রা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে কাঁচা তেল আমদানি করার প্রক্রিয়া কম হয়ে যাবে।

  • Shikhar Dhawan: শিখরের অযথা সম্মানহানি করা যাবে না, প্রাক্তন স্ত্রী আয়েশাকে নির্দেশ আদালতের

    Shikhar Dhawan: শিখরের অযথা সম্মানহানি করা যাবে না, প্রাক্তন স্ত্রী আয়েশাকে নির্দেশ আদালতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিগত কয়েক বছর ধরেই ভারতীয় দলের ওপেনার শিখর ধাওয়ান ও তাঁর স্ত্রী আয়েশা মুখোপাধ্যায়ের মধ্যে বিবাহবিচ্ছেদের মামলা চলছে। আর এরই মধ্যে দুজনের সম্পর্ক নিয়ে বড় নির্দেশ দিল দিল্লির পাতিয়ালা হাউস কোর্ট। কেরিয়ার শেষ করে দেওয়ার হুমকি দিচ্ছেন প্রাক্তন স্ত্রী। সম্মানহানি করার চেষ্টা করছেন। এমনই অভিযোগ তুলে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন শিখর ধাওয়ান। ফলে শিখরের আবেদনে সাড়া দিয়ে আয়েশা মুখোপাধ্যায়কে আদালত নির্দেশ দিয়েছে, শিখর ধাওয়ান সম্পর্কে মানহানিকর মন্তব্য করা থেকে বিরত থাকতে হবে আয়েশাকে। ফলে আদালতের এই নির্দেশে নিঃসন্দেহে তাঁর ব্যক্তিগত জীবনে স্বস্তি দিয়েছে দিল্লির পাতিয়ালা হাউস কোর্ট।

    কী ঘটেছে?

    ২০২০ সালের অগাস্ট থেকে শিখর ধাওয়ান ও তাঁর স্ত্রী আয়েশা মুখোপাধ্যায় আলাদা থাকেন। তাঁরা ভালোবেসেই বিয়ে করছিলেন। কিন্তু ভালোবাসায় ভাঙন ধরতে বেশিদিন সময় লাগেনি। দুজনের মধ্যে এখন বিবাহ বিচ্ছেদের মামলা চলছে। জানা গিয়েছে, এই মামলা চলাকালীনই শিখর ধাওয়ান সম্পর্কে সোশ্যাল মিডিয়ায় মানহানিকর মন্তব্য করছেন আয়েশা। এরপর শিখরের অভিযোগ, আয়েশা তাঁর মানহানির চেষ্টা করছেন। তাঁর কেরিয়ার শেষ করে দেওয়ার হুমকি দিচ্ছেন আয়েশা।

    এরপরেই ধাওয়ান পাতিয়ালা হাউস কোর্টে আয়েশা মুখোপাধ্যায়র বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ জানান। আদালতকে শিখর ধাওয়ান বলেন, আয়েশা মুখোপাধ্যায় সামাজিক মাধ্যমে এমন কিছু মন্তব্য করছেন যা তাঁর ভাবমূর্তি নষ্ট করছে এবং মানসিকভাবে তাঁকে বিধ্বস্ত করে তুলছে। এরপর শিখরের আবেদনে সাড়া দিয়েছেন দিল্লির আদালতের বিচারক হরিশ কুমার। তিনি বলেছেন, “আয়েশার নির্দিষ্ট কোনও অভিযোগ থাকতেই পারে। সেই অভিযোগ জানানোর পদ্ধতি রয়েছে। আয়েশা চাইলে আদালতে আসতে পারেন। কিন্তু এ ভাবে কারও সম্মানহানি করা যায় না।” আদালত আয়েশা মুখোপাধ্যায়কে নির্দেশ দিয়েছেন যে, তিনি শিখর ধাওয়ানের বিরুদ্ধে অবমাননাকর ও ভিত্তিহীন অভিযোগ করতে পারবেন না।

    বিচারক বলেছেন, “শিখরের বন্ধু, আত্মীয়, সতীর্থ কারও কাছে কোনও মেসেজ পাঠাতে পারবেন না আয়েশা। সমাজমাধ্যমেও কিছু লিখতে পারবেন না তিনি। কারণ, শুধুমাত্র এক জনের অভিযোগের ভিত্তিতে কারও চরিত্রহনন করা যায় না।” বিচারক আরও নির্দেশ দিয়েছেন, “সংবাদমাধ্যমেও শিখরের বিরুদ্ধে মুখ খুলতে পারবেন না আয়েশা। কারণ, বিষয়টি আদালতে বিচারাধীন। তাঁর কিছু বলার থাকলে আদালতে এসে বলতে পারেন। এর পরেও যদি শিখরের বিরুদ্ধে আয়েশা মুখ খোলেন তা হলে আদালত কড়া পদক্ষেপ নেবে।”

    উল্লেখ্য, মাঠ এবং মাঠের বাইরে বছর দুয়েক ধরে একেবারেই স্বস্তিতে নেই শিখর ধাওয়ান। এই মুহূর্তে তিনি জাতীয় দলের বাইরে রয়েছেন। অদূর ভবিষ্যতে জাতীয় দলে ফেরার সম্ভাবনাও খুবই কম। কারণ শুভমান গিল ওপেনিংয়ে তাঁর জায়গা দখল করে নিয়েছেন। ফলে এরই মধ্যে আদালতের নির্দেশে ব্যক্তিগত জীবনে কিছুটা স্বস্তি পেলেন তিনি।

  • Turkey: তুরস্কে মৃতের সংখ্যা ১৩০০ পার, ভারত থেকে পাঠানো হচ্ছে উদ্ধারকারী দল, স্নিফার ডগ ও ত্রাণ সামগ্রী

    Turkey: তুরস্কে মৃতের সংখ্যা ১৩০০ পার, ভারত থেকে পাঠানো হচ্ছে উদ্ধারকারী দল, স্নিফার ডগ ও ত্রাণ সামগ্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মৃত্যু মিছিল! ধীরে ধীরে মৃত্যুপুরীতে পরিণত হচ্ছে তুরস্ক এবং সিরিয়া। ভূমিকম্পের জেরে  মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১৩০০-এর গণ্ডি পার করেছে। সূত্রের খবর, নিহত ১৩০০ জনের মধ্যে তুরস্কে নিহতের সংখ্যা বেশি। এখনও পর্যন্ত ৯১২। সরকারি হিসাব অনুযায়ী, সিরিয়ায় মৃতের সংখ্যা গিয়ে দাঁড়িয়েছে ৩২৬। ধ্বংসস্তূপের মধ্যে আরও বহু মানুষ আটকে থাকায় মৃতের সংখ্যা আরও বাড়বে বলেই অনুমান। এই মর্মান্তিক প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে তুরস্কের পাশে থাকার বার্তা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। আক্রান্ত দেশকে সমস্ত সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছেন তিনি। বাড়িয়ে দিয়েছেন সাহায্যের হাত। ইতিমধ্যেই নয়াদিল্লি থেকে আঙ্কারা পাঠানো হচ্ছে উদ্ধারকারীদল। তাদের সঙ্গে রয়েছে স্নিফার ডগ। পাঠানো হচ্ছে ত্রাণ সামগ্রীও। চিকিৎসকদের একটি দলকেও সেখানে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্র।

    [tw]


    [/tw]

    তুরস্ককে সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী মোদি

    প্রধানমন্ত্রীর দফতর থেকে ট্যুইট করে জানানো হয়েছে যে, তুরস্কের ওই ভয়াবহ ভূমিকম্পের পরে প্রধানমন্ত্রীর প্রিন্সিপ্যাল সেক্রেটারি পিকে মিশ্র জরুরী বৈঠক ডাকেন। তুরস্ককে কীভাবে সাহায্য করা যায়, সে ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিতেই এই বৈঠকের ডাক দেন তিনি। সেই বৈঠকেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় যে, তুরস্কে এনডিআরএফ-এর অনুসন্ধান ও উদ্ধারকারী এবং ত্রাণ সামগ্রী সহ চিকিৎসকদের একটি দলকে পাঠানো হবে। আপাতত জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর দুটি দলকে সেখানে পাঠিয়ে দেওয়া হবে। বিশেষ বিমানে করে যাবে ত্রাণ সামগ্রী। চিকিৎসকদের একটি দলকেও সেখানে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্র। ত্রাণ সামগ্রী ছাড়াও দিল্লি থেকে ওষুধ যাবে তুরস্কে।

    এছাড়াও বিশেষ প্রশিক্ষিত স্নিফার ডগ ও প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম সহ ১০০জনের উদ্ধারকারী দল সেদেশে যাওয়ার জন্য প্রস্তুত। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে বলা হয়েছে, “প্রশিক্ষিত ডাক্তার এবং প্রয়োজনীয় ওষুধের পাশাপাশি প্যারামেডিকদের সঙ্গে মেডিকেল টিমও প্রস্তুত করা হচ্ছে। তুর্কি সরকার এবং আঙ্কারায় ভারতীয় দূতাবাস এবং ইস্তাম্বুলের কনস্যুলেট জেনারেল অফিসের সঙ্গে সমন্বয় করে ত্রাণ সামগ্রী পাঠানো হবে।”

    উল্লেখ্য, তুরস্কে ব্যাপক ভূমিকম্পে বহু প্রাণহানির খবর প্রকাশের পরই বিশ্বব্যাপী শোকপ্রকাশ করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও ট্যুইটারে গিয়ে তুরস্ক এবং আশেপাশের এলাকায় প্রাণহানির জন্য শোকপ্রকাশ করেছেন। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি তুরস্কের প্রেসিডেন্টের উদ্দেশে লিখেছেন, “তুরস্কের ভূমিকম্পে যে অপূরণীয় ক্ষতি হল, তার জন্য আমি মর্মাহত। মৃতের পরিবারের প্রতি আমার সমবেদনা রইল। আহতরা দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠুন এই কামনা করি। এই বিপদের সময়ে তুরস্কের পাশে দাঁড়িয়ে সমস্ত সাহায্য করতে প্রস্তুত ভারত।”

  • Jhalda: তপন কান্দু হত্যাকাণ্ডে সিবিআইয়ের তলব ঝালদা পুরসভার প্রাক্তন কাউন্সিলর শীলা চট্টোপাধ্যায়কে

    Jhalda: তপন কান্দু হত্যাকাণ্ডে সিবিআইয়ের তলব ঝালদা পুরসভার প্রাক্তন কাউন্সিলর শীলা চট্টোপাধ্যায়কে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তপন কান্দু হত্যাকাণ্ডে এল নয়া মোড়। এবারে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআইয়ের আধিকারিকরা তলব করলেন পুরুলিয়ার ঝালদা পুরসভার নির্দল কাউন্সিলর শীলা চট্টোপাধ্যায়কে। শনিবার বিকেলে সিবিআইয়ের অস্থায়ী ক্যাম্পে যান শীলা। তাঁকে কিছুক্ষণ জিজ্ঞাসাবাদ করেন সিবিআই আধিকারিকরা। সম্প্রতি বেশ কিছুদিন ধরেই ঝালদা পুরসভাকে নিয়ে টালমাটাল পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। এরই মধ্যে তপন কান্দু খুনের মামলায় শীলা চট্টোপাধ্যায়কে তলব বেশ তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে।

    সিবিআই ক্যাম্পে হাজিরা শীলার

    শনিবার বিকেল ৪টে নাগাদ ঝালদায় সিবিআইয়ের অস্থায়ী ক্যাম্পে পৌঁছন শীলা। ঘণ্টা দু’য়েক জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় তাঁকে। এই নিয়ে শীলা বলেন, “আমার কাছ থেকে ওনারা কিছু বিষয় জানতে চেয়েছিলেন। যা ওনারা জানতে চেয়েছেন তা আমি জানিয়ে দিয়েছি।” তাঁর মতে, সিবিআই ভাল কাজ করছে। তপন হত্যা নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের পর্ব থমকে গিয়েছিল। মাস তিনেক বাদে তা আবার নতুন করে শুরু হল ঝালদার ৩ নম্বর ওয়ার্ডের নির্দল কাউন্সিলরকে তলব করায়।

    প্রসঙ্গত, দীর্ঘ টানাপোড়েন, আইনি লড়াই পড়ে ঝালদা পুরসভায় বোর্ড দখল করেছিল কংগ্রেস। চেয়ারপার্সন হন শীলা চট্টোপাধ্যায়। ৭-০ ভোটে জিতে বোর্ড দখল করে কংগ্রেস। শীলা চট্টোপাধ্যায় নির্দল কাউন্সিলর হিসাবে থাকলেও তিনি কংগ্রেসকে সমর্থন করেন। তবে আপাতত শীলা চট্টোপাধ্যায় আর চেয়ারপার্সনের পদে নেই। দলত্যাগ বিরোধী আইনে তাঁকে পদচ্যুত করেন মহকুমা শাসক। জানানো হয় পুরনির্বাচনের ৬ মাসের মধ্যে পর পর দল বদল করা যায় না। তারপরেই তৃণমূল কংগ্রেসের সন্দীপ সর্দারকে চেয়ারম্যান করে দেওয়া হয়।

    এদিকে কাউন্সিলর পদ খারিজের সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন শীলা চট্টোপাধ্যায়। সেই মামলায় হাইকোর্ট তাঁর কাউন্সিলর পদ খারিজের সিদ্ধান্তে স্থগিতাদেশ দেয়। এবং ঝালদা পুরসভার চেয়ারম্যান পদে পূর্নিমা কান্দুকে বসানোর নির্দেশ দেয়। এই পূর্ণিমা কান্দু ঝালদার কংগ্রেস কাউন্সিলর তপন কান্দুর স্ত্রী। পুরভোটের কয়েকদিনের মধ্যেই খুন হয়েছিলেন তপন কান্দু। আদালতের নির্দেশে সেই মামলার তদন্ত করছে সিবিআই।

    প্রসঙ্গত, গত বছর ১৩ মার্চ সন্ধ্যায় ঝালদায় খুন হন কংগ্রেস কাউন্সিলর তপন। তাঁকে কাছ থেকে গুলি করে হত্যাকারীরা। প্রাথমিক ভাবে ওই কাণ্ডের তদন্তে স্পেশাল ইনভেস্টিগেশন টিম (সিট) তৈরি করে জেলা পুলিশ। অবশ্য পরে কলকাতা হাইকোর্ট ওই মামলায় তদন্তভার তুলে দেয় সিবিআইকে।

LinkedIn
Share