Author: নিমাই দে

  • West Bengal Weather: শহরে ফিরল শীতের আমেজ! আরও কমবে তাপমাত্রা! কী বলছেন আবহবিদরা?

    West Bengal Weather: শহরে ফিরল শীতের আমেজ! আরও কমবে তাপমাত্রা! কী বলছেন আবহবিদরা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শহরে ফের শীতের আমেজ ফিরে এল। উত্তুরে হাওয়ার হাত ধরেই রাজ্যে ফিরল শীত। একদিনে প্রায় ৩ ডিগ্রি নামল তাপমাত্রা। বুধবারে কলকাতায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৯.৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আজ তা কমে দাঁড়াল ১৬.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর, শুক্রবার থেকে আরও কমতে পারে ঠান্ডা। পশ্চিমী ঝঞ্ঝা সরতেই উত্তুরে হাওয়ার দাপট বাড়তে শুরু করেছে রাজ্যে।

    কলকাতার আবহাওয়া

    বৃহস্পতিবার এক ধাক্কায় ৩ ডিগ্রি নামল পারদ। আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, আকাশ পরিষ্কার থাকবে। সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রা থাকতে পারে ২৭ ও ১৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশেপাশে। বৃহস্পতিবার কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৬.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা স্বাভাবিক তাপমাত্রার চেয়ে ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি। আগামী ২৪ ঘণ্টায় কলকাতায় বৃষ্টির কোনও সম্ভাবনা নেই। বাংলার পশ্চিম দিকে উত্তরপ্রদেশের কাছে যে পশ্চিমি ঝঞ্ঝা অবস্থান করছিল, তার প্রভাব কেটে গিয়েছে বলে জানিয়েছেন আবহবিদরা। আগামী কয়েক দিনে কলকাতার তাপমাত্রা ১৫ ডিগ্রির নিচে নামার পূর্বাভাস রয়েছে।

    উত্তরবঙ্গের আবহাওয়া

    আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, আগামী ৪৮ ঘন্টা অর্থাৎ ৪ ফেব্রুয়ারি শনিবার সকালের মধ্যে সবকটি জেলার আবহাওয়া শুকনো থাকবে। তবে আগামী ২৪ ঘণ্টায় দার্জিলিং এবং কালিম্পং পার্বত্য এলাকায় হালকা বৃষ্টির সামান্য সম্ভাবনা রয়েছে। আগামী ৪৮ ঘন্টায় রাতের তাপমাত্রা ৩-৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস নামতে পারে বলে পূর্বাভাসে বলা হয়েছে।

    আরও পড়ুন: শীতের বিদায় এখনই নয়, বৃহস্পতিবার থেকেই ফিরবে শীত! কী বলছে হাওয়া অফিস?

    দক্ষিণবঙ্গের আবহাওয়া

    আবহওয়া দফতরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, দক্ষিণবঙ্গে পরিষ্কার আকাশ থাকবে। ৪-৫ দিন শুষ্ক আবহাওয়া, বৃষ্টির কোন সম্ভাবনা নেই। আগামী ৪৮ ঘন্টায় রাতের তাপমাত্রা ৩-৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত হ্রাস পেতে পারে। তবে এর পরের দুদিনে গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গের জেলাগুলিতে তাপমাত্রার তেমন কোনও পরিবর্তন হবে না বলে আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাসে বলা হয়েছে। পশ্চিমের জেলাগুলিতে তাপমাত্রা ১২ ডিগ্রির কাছাকাছি নেমে যেতে পারে।

    পশ্চিমী ঝঞ্ঝা পূর্ব দিকে সরে যেতেই উত্তুরে হাওয়া বইতে শুরু করেছে। ফলে আজ, বৃহস্পতিবার থেকে শীতের আরও একটি স্পেল বাংলায়। ৪-৫ দিন স্থায়ী হতে পারে এই শীতের স্পেল। যদিও জাঁকিয়ে ঠান্ডা বা কনকনে শীতের সম্ভাবনা কম। তবে শীতের আমেজ অনেকটাই ফিরবে দক্ষিণবঙ্গে।

  • Bengal BJP: বাজেট প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্যের কড়া জবাব দিলেন শুভেন্দু-সুকান্ত, কী প্রতিক্রিয়া শমীক ভট্টাচার্যের

    Bengal BJP: বাজেট প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্যের কড়া জবাব দিলেন শুভেন্দু-সুকান্ত, কী প্রতিক্রিয়া শমীক ভট্টাচার্যের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গতকাল মোদি সরকারের শেষ পূর্ণাঙ্গ বাজেট পেশ করেছেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। বাজেট পেশের পরেই এর কটাক্ষ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বাজেটকে অমাবস্যার অন্ধকারের সঙ্গে তুলনা করেছেন তিনি। এরপরেই যোগ্য জবাব দিতে মুখ্যমন্ত্রী ও তাঁর দলকে একহাত নিল বঙ্গ বিজেপি। দক্ষিণ ২৪ পরগনার কুলতলিতে বিজেপির প্রতিবাদ সভামঞ্চ থেকে মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে সুর চড়িয়েছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। সেখানে বক্তব্য রাখতে এসে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাজেট বিশ্লেষণকে কটাক্ষ করেন। আবার বঙ্গ বিজেপির মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্যও মমতাকে কড়া ভাষায় জবাব দিয়েছেন। বাজেট নিয়ে শাসকদল সমালোচনা করলে সুকান্ত মজুমদারও তাঁদের কটাক্ষ করতে ছাড়েননি।

    শুভেন্দুর বক্তব্য

    মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় গতকাল বলেন, “কেন্দ্রের বাজেট গরিববিরোধী বাজেট।” সেই প্রসঙ্গে শুভেন্দু অধিকারীর কটাক্ষ, “ওনার চোখে গরিববিরোধী বাজেটই বটে। নিজে তো সাত লাখ টাকা প্যালেসে থাকেন। নিজে তো ডিএ দেন না আবার বড় বড় কথা। মধ্যবিত্তদের তো সঞ্চয় হবে। এই দেখুন না ৯ লাখ টাকায় ১৫ হাজার টাকা সঞ্চয় হবে নয়া কর কাঠামোয়।” এর পর দুর্নীতির প্রসঙ্গ এনেও মমতাকে আক্রমণ করেছেন শুভেন্দু। তিনি বলেছেন, “মমতা চোরদের রানী, সব হিসেব হবে, সিপিআইএম, সংখ্যালঘু মানুষ সকলে বলেছেন সঙ্গে আছি, তৃণমূলকে হটাতে হবে। যাদের ভাঙা সাইকেল ছিল না তাদের এখন গাড়ি হয়েছে। এবার থেকে যদি আর একটাও বিজেপির কর্মীর গায়ে হাত পড়ে তাহলে কেষ্টর থেকেও অবস্থা খারাপ হবে। চোরেদের রানী মমতা বন্দোপাধ্যায়।”

    আরও পড়ুন: সাগরদিঘি বিধানসভার উপনির্বাচনে ত্রিমুখী লড়াই! বিজেপির প্রার্থী দিলীপ সাহা

    সুকান্ত মজুমদার কী বললেন?

    বাজেট প্রসঙ্গে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক এবং মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। কটাক্ষ করে তিনি বলেছেন, “এটা ছদ্মবেশী রাবণের বাজেট।” এই প্রসঙ্গেই পাল্টা জবাব দিয়েছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। তিনি বলেছেন, “রাবণ গেরুয়া বসনে এসেছিল। বাকি সময়ে সে অধর্মের কাজ করত। পশ্চিমবঙ্গে কারা অধর্মের কাজ করে সেটা জনগণ জানেন। আমরা সীতাহরণ করতে চাই না। আমাদের পারফরম্যান্সের ভিত্তিতে ভোটে লড়তে চাই। ওনাদের শূর্পণখা হওয়ার ইচ্ছে হলে হতে পারেন। আমরা নাক কেটে যাত্রা ভঙ্গ করব।”

    মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্তব্যেরও পাল্টা জবাব দিয়েছেন সুকান্ত মজুমদার। মমতা বলেছিলেন, “এই বাজেটে আশার আলো নেই, অন্ধকারের অমাবস্যা আছে।” পাল্টা জবাব দিয়ে সুকান্ত বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী ঠিকই বলেছেন পশ্চিমবঙ্গের জন্য অন্ধকার অমাবস্যাই আছে। কারণ পশ্চিমবঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেস নামক শাসক দল রাজ করছে। যতক্ষণ পর্যন্ত এই রাহুর গ্রাস পশ্চিমবঙ্গে থাকবে, ততক্ষণ পর্যন্ত পূর্ণিমা আসার সম্ভাবনা নেই, অমাবস্যাই থাকবে। কারণ গ্রহণ হলে অন্ধকারই থাকে।”

    বঙ্গ বিজেপির মুখপাত্রের প্রতিক্রিয়া

    মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্য বাজেটকে কটাক্ষ করায় শমীক ভট্টাচার্য বলেন, “রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী আজকের এই বাজেটকে দিশাহীন বলেছেন এবং এই বাজেটের মধ্যে তিনি কোনও ভবিষ্যৎ দেখতে পাননি। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গের মানুষ আজ তৃণমূলকে চিনেছে৷ আসলে তৃণমূল কংগ্রেসের কোনও ভবিষ্যৎ নেই এই বাজেটে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে তাই এটি হতাশা।”

  • Recruitment Scam: ইডির জিজ্ঞাসাবাদে মুখোমুখি কুন্তল-গোপাল-তাপস, জেরা করা হয় শান্তনুকেও

    Recruitment Scam: ইডির জিজ্ঞাসাবাদে মুখোমুখি কুন্তল-গোপাল-তাপস, জেরা করা হয় শান্তনুকেও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে একের পর এক নাম উঠে আসছে। সম্প্রতি গ্রেফতার করা হয়েছে তৃণমূল যুব নেতা কুন্তল ঘোষকে। তাঁকে জেরা করেও চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে আসছে। তাঁকে গ্রেফতার করার পরেই নাম উঠে আসে গোপাল দলপতির। ইডি সূত্রে খবর, গত মঙ্গলবার গোপালকে নিয়ে সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্সে ইডি-র আঞ্চলিক দফতরে যান তাপস মণ্ডল। সেখানেই কুন্তল, তাপস ও গোপালকে মুখোমুখি বসিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। সেখানেই গোপাল তদন্তকারীদের প্রশ্নের উত্তরে পার্থকে টাকা দেওয়া হয়নি বলে দাবি করতেই ‘তাপসকে টাকা দেওয়া হয়েছে’ বলে চিৎকার শুরু করে দেন কুন্তল। ফলে ইডির অভিযোগ, তদন্তকারীদের লাগাতার বিভ্রান্ত করে বিপথে চালিত করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন কুন্তল।

    ইডির মুখোমুখি জেরা কুন্তল, তাপস ও গোপালকে

    মঙ্গলবার দুপুর পৌনে ১টা নাগাদ সিজিও কমপ্লেক্সে ইডি-র দফতরে আসেন গোপাল ও তাপস। রাত ১টা ২০ নাগাদ দু’জনে বের হন। মঙ্গলবার নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে ধৃত যুব তৃণমূলের রাজ্য সম্পাদক কুন্তল ঘোষের মুখোমুখি বসিয়ে গোপাল দলপতিকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন ইডি-র আধিকারিকরা। ইডি সূত্রে খবর, জিজ্ঞাসাবাদ চলাকালীন একাধিকবার কথা কাটাকাটিতে জড়িয়ে পড়েন কুন্তল ও গোপাল। কুন্তল ১৫ কোটি টাকা দেওয়ার দাবি করলেও, গোপাল তা অস্বীকার করেন। উল্টে জানতে চান কার সামনে টাকা দিয়েছেন কুন্তল? তার কোনও প্রমাণ রয়েছে কি না।

    অভিযোগ অস্বীকার গোপালের

    ইডি জানিয়েছে, গ্রেফতারের পরে কুন্তল দাবি করেছিলেন, শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে পার্থকে তিনি সাড়ে ১৫ কোটি টাকা দিয়েছেন এবং সেই টাকা লেনদেনের অন্যতম সাক্ষী গোপাল। কিন্তু এই অভিযোগই অস্বীকার করেছেন গোপাল দলপতি। তিনি বলেছেন, পার্থের কাছে তিনি কোনও দিনই কোনও টাকা পৌঁছে দেননি। ইডি সূত্রে খবর, তার পরেই কুন্তল আচমকা চিৎকার করে বলতে থাকেন, ‘গোপালদা, তুমি বলো। তাপস তোমার সামনেই আমার কাছ থেকে দশ কোটি টাকা নিয়ে কলেজ তৈরি করেছেন।’ কুন্তলের ওই দাবিও নস্যাৎ করে দিয়েছেন গোপাল।

    আরও পড়ুন: পুড়িয়ে ফেলা হয়েছে ২০১৭-এর টেটের ওএমআর শিট! কার নির্দেশে এমন কাজ, রিপোর্ট চাইলেন বিচারপতি

    এমনকী নিয়োগ দুর্নীতিতে নাম জড়ানো আরেক যুব তৃণমূল নেতা ও হুগলি জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গেও যোগাযোগের কথা অস্বীকার করেন গোপাল। এর পর ইডি-র তরফে জানানো হয়, ৭ দিনের মধ্যে গোপালকে ব্যাঙ্ক স্টেটমেন্ট, সম্পত্তি সংক্রান্ত নথি ও পুরনো মামলার সমস্ত তথ্য জমা দিতে হবে। তাপস ও কুন্তলের সামনে বসে গোপাল দাবি করেন, ২০১৬ সালে তাপস মারফত কুন্তলের সঙ্গে তাঁর পরিচয় হয়। নিয়োগ দুর্নীতিতে কুন্তলের নির্দেশে তিনি নানা কাজ করেছেন। ২০১৬ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত কুন্তল বেশ কয়েক বার তাঁর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে মোট চার-পাঁচ লক্ষ টাকা দিয়েছেন। সেই লেনদেনের নথিও তাঁর কাছে আছে।

    তাপস মণ্ডল কী বললেন?

    অন্যদিকে, প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যর ঘনিষ্ঠ তাপস মণ্ডল মঙ্গলবার ইডি-র জিজ্ঞাসাবাদের পর দাবি করেন, গোপাল দলপতি তাঁর গ্রামের ছেলে। কিন্তু ৪ বছর পর দেখা হয়েছে। তিহার জেল থেকে গোপালের ছাড়া পাওয়ার কথা কেন্দ্রীয় এজেন্সির কাছ থেকে জেনে তিনিই পূর্ব মেদিনীপুরের ভূপতিনগরের কসবা গ্রামের বাড়িতে গিয়ে গোপালকে খুঁজে নিয়ে আসেন বলে দাবি করেন তাপস মণ্ডল।

    ফের তলব শান্তনুকে

    যুব তৃণমূল নেতা শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়কে চতুর্থ দিনও দীর্ঘ জেরা করল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। বুধবার প্রায় ৭ ঘণ্টা জেরার পর ইডির অফিস থেকে বেরোন তিনি। নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে শান্তনুকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডেকেছিল ইডি। বুধবার বেলা ১২টার কিছু পরে সিজিও কমপ্লেক্সে ঢোকেন যুব তৃণমূল নেতা। সন্ধ্যা ৭টা নাগাদ আবার বেরিয়ে আসেন তিনি। ইডি সূত্রে খবর, শান্তনুর কাছে কিছু নথি চাওয়া হয়েছিল। সেগুলিই জমা দিতে ইডির অফিসে গিয়েছিলেন তিনি। সেই সঙ্গে শান্তনুর বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকেরা বেশ কিছু নথি উদ্ধার করেছিলেন। সেগুলির বিষয়েও তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় বুধবার।

  • Viswa Bharati: ‘মুখ্যমন্ত্রীর আশীর্বাদ না থাকলে সুবিধা, আমরা প্রধানমন্ত্রীর মার্গদর্শনে চলি’, বিস্ফোরক বিবৃতি বিশ্বভারতীর

    Viswa Bharati: ‘মুখ্যমন্ত্রীর আশীর্বাদ না থাকলে সুবিধা, আমরা প্রধানমন্ত্রীর মার্গদর্শনে চলি’, বিস্ফোরক বিবৃতি বিশ্বভারতীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “কান দিয়ে দেখেন। স্তাবকরা যা শোনান, তাই বিশ্বাস করেন, টিপ্পনি করেন।” এবারে বিশ্বভারতীর নিশানায় রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি। বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ আধিকারিক বিবৃতি দিলেন, “মুখ্যমন্ত্রীর আর্শীবাদ না থাকলে আমাদের সুবিধা। কারণ, বিশ্বভারতী প্রধানমন্ত্রীর মার্গদর্শনে চলতে অভ্যস্ত।” বুধবার বিশ্বভারতীর কর্তৃপক্ষের থেকে তিন পাতার একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে। সেখানে শুরুতেই কড়া ভাষায় আক্রমণ করা হয়েছে মুখ্যমন্ত্রীকে। উল্লেখ্য, বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে চিঠি লেখার হুঁশিয়ারি দেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর হুঁশিয়ারির জবাবেই পালটা বিবৃতি দিল বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

    ঠিক কী ঘটেছিল?

    গতকাল মঙ্গলবার আন্দোলনরত বিশ্বভারতীর পড়ুয়া ও অধ্যাপকদের সঙ্গে বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী। বুধবার বোলপুরে জনসভার মঞ্চ থেকে আরও একবার বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীকে আক্রমণ করেন তিনি। সেখানকার সাসপেন্ড হওয়া পড়ুয়া, কয়েক জন অধ্যাপক দেখাও করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে। বিশ্ববিদ্যালয়ের নানা অভাব-অভিযোগের কথা তাঁকে জানান। এরপরেই ক্ষোভ উগরে দিয়ে মমতা বলেন, “শিক্ষার্থী থেকে শিক্ষক-শিক্ষিকা কর্মচারীরা কাঁদছেন। প্রতিবাদ করলে সাসপেন্ড বা রেস্ট্রিক্টেড করা হচ্ছে। প্রবীণ আশ্রমিক সুপ্রিয় ঠাকুরের বাড়িতেও বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ পাঁচিল তুলে দিচ্ছে বলে অভিযোগ করেন মুখ্যমন্ত্রী। বিশ্বভারতীর গৈরিকীকরণ করবেন, সেটা চলতে পারে না। বিশ্বভারতীর আচার্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিস্থিতি নিয়ে আমি প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লিখব।”

    প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লেখার হুঁশিয়ারির পাল্টা জবাব বিশ্বভারতীর

    মুখ্যমন্ত্রীর ওই মন্তব্যের পরেই বুধবার প্রেস বিবৃতি প্রকাশ করল বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়। মুখ্যমন্ত্রী বিশ্বভারতী সম্পর্কে ‘দায়িত্বজ্ঞানহীন’ মন্তব্য করেছেন বলে উল্লেখ করা হয়েছে বিবৃতিতে। আরও লেখা হয়েছে, “বিশ্বভারতীতে এখন ৪৭৩ জন শিক্ষক, প্রায় ১৫ হাজার ছাত্র-ছাত্রী এবং ৭৫০ জন কর্মচারী বন্ধু আছেন। তার মধ্যে এক জন শিক্ষক এবং ছয় জন ছাত্র-ছাত্রীদের বক্তব্য শুনে তিনি বিশ্ববিদ্যালয়কে আক্রমণ করলেন। এটা অস্বাভাবিক নয়, কারণ তিনি কান দিয়ে দেখেন। যে অধ্যাপক সম্পর্কে বললেন, তাঁকে বরখাস্ত করা হয়েছে, এটা সর্বৈব ভুল। তাঁকে শাস্তির প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে এবং এই প্রস্তাবটা নিয়ে ওই অধ্যাপক মামলা করেছেন। অতএব ব্যাপারটা বিচারাধীন। মাননীয় কোর্ট কোনও সিদ্ধান্ত দেয়নি। অতএব মুখ্যমন্ত্রী একটু বাড়াবাড়ি করলেন না কি?” আবার ছাত্রদের প্রসঙ্গ এনেও বিশ্বভারতীর তরফে বলা হয়েছে, মুখ্যমন্ত্রী ছাত্রদের সম্পর্কে যা মতামত দিয়েছেন তা তথ্যগত ভুল। সেই ছাত্রদের কেন পরীক্ষা দেওয়া থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে, তাও স্পষ্ট উল্লেখ রয়েছে এই বিবৃতিতে।

    গতকাল বিশ্বভারতীতে পাঁচিল তোলা নিয়েও কর্তৃপক্ষকে নিশানা করেছিলেন মমতা। ফলে তার উত্তরে আজ বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “ওনার নিরাপত্তার জন্য বোলপুর শহরকে ঘিরে ফেলা হল। ওনার বাসস্থান, হরিশ চ্যাটার্জি স্ট্রিটে কি দেওয়াল নেই? আরও জানাই এই দেওয়াল তোলার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে তিন যুগ আগে।”

    আবার এই বিবৃতিতে নাম না করে গরু পাচার কাণ্ডে অভিযুক্ত অনুব্রত মণ্ডল ও নিয়োগ দুর্নীতিতে অভিযুক্ত একাধিক মন্ত্রী-উপাচার্যের কথাও উল্লেখ করা হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রীর উদ্দেশে বলা হয়েছে, “আজ আপনার মনোনীত মন্ত্রী ও উপাচার্য গারদের ভিতরে। কী করে হল? কারণ আপনি স্তাবকদের কথা শুনে সিদ্ধান্ত নিয়ে নিজেই বিধ্বস্ত। আপনার প্রিয় শিষ্য, যাঁকে না হলে আপনি বীরভূম ভাবতে পারতেন না। তিনিও জেলে। কবে বেরোবেন কেউ জানে না। আগে সাবধান করলে আপনি দুর্নাম থেকে বাঁচতে পারতেন। আপনি যদি সত্যি অর্থে মানুষের মুখ্যমন্ত্রী হন, তবে এই কথাটা আপনার বোধগম্য হবে।”

    এর পর বিবৃতি শেষে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির প্রসঙ্গে এনে বলা হয়েছে, “বিশ্বভারতী একমাত্র কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়। আপনার আশীর্বাদ না থাকলে আমাদের সুবিধা কারণ আমরা প্রধানমন্ত্রীর মার্গদর্শনে চলতে অভ্যস্ত।” এরপর ছাত্র-ছাত্রী, মাস্টার মশায়দের ভুল পথে চলার জন্য প্ররোচনা না দেওয়ার জন্য মুখ্যমন্ত্রীকে অনুরোধ করা হয় এবং পরামর্শ দেওয়া হয়, মুখ্যমন্ত্রী যেন তথ্য, প্রমাণ দিয়ে মত তৈরি করেন। এছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়ের পরামর্শ ‘চোখ দিয়ে দেখুন, কান দিয়ে নয়।’ বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের এই প্রেস বিজ্ঞপ্তির পর ইতিমধ্যেই শোরগোল পড়ে গিয়েছে রাজ্যের বিভিন্ন মহলে।

  • Union Budget 2023: “আমি অমৃতকাল বাজেটে বিশ্বাস করি”, বললেন শুভেন্দু, কী প্রতিক্রিয়া দিলীপ ঘোষের?

    Union Budget 2023: “আমি অমৃতকাল বাজেটে বিশ্বাস করি”, বললেন শুভেন্দু, কী প্রতিক্রিয়া দিলীপ ঘোষের?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২০২৪-এর লোকসভা ভোটের আগে আজ মোদি সরকারের শেষ পূর্ণাঙ্গ বাজেট পেশ করেছেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। অমৃত কালের প্রথম বাজেট-কে স্বাগত জানিয়ে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীকে অভিবাদন জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। বাজেট নিয়ে প্রশংসা করতে দেখা গিয়েছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে। আর এবারে নির্মলা সীতারামনের বাজেটের প্রশংসা করলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী ও দিলীপ ঘোষ। এই দুই বিজেপি নেতা দৃঢ়বিশ্বাসী যে, এবারে বাজেট মধ্যবিত্তদের জীবনে খুশি নিয়ে আসবে।

    বাজেট নিয়ে শুভেন্দুর বক্তব্য

    শুভেন্দু অধিকারী এদিন ট্যুইটে বাজেটের প্রশংসা করেছেন। তিনি বাজেটে সবথেকে বেশি গুরুত্ব পাওয়া সাতটি ক্ষেত্র সামনে রেখে লেখেন, “আমি অমৃতকাল বাজেটে বিশ্বাস করি।” নির্মলা সীতারামনের বাজেটের সাতটি উল্লেখযোগ্য পয়েন্ট তুলে ধরেছেন তিনি। এর মধ্যে রয়েছে অর্থনৈতিক ক্ষেত্র, কৃষিপরিকাঠামো উন্নতির জন্য ডিজিটাল প্রযুক্তি ইত্যাদি। অন্যদিকে, বাজেটে আয়কর ছাড়ের ঊর্ধবসীমা বৃদ্ধি করার প্রসঙ্গ এনেও অন্য একটি ট্যুইটে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামনকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন তিনি। এর ফলে মধ্যবিত্তের অনেক সুবিধা বলে মন্তব্য রাজ্যের বিরোধী দলনেতার।

    বাজেট নিয়ে দিলীপ ঘোষের প্রতিক্রিয়া

    বাজেট নিয়ে প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে এদিন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, “নির্মলাজি যা বলেছেন তার ফলে সমাজের সমস্ত মানুষ খুশি হবেন। ব্যক্তিগত ইনকামে ছাড় আছে। অর্থনীতিকে গতিশীল রাখার জন্য ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। কেন্দ্রীয় সরকার জনকল্যাণের জন্য যা যা ব্যবস্থা নিয়েছে তাও বজায় থাকছে। সার্বিক ভাবে খুশি মানুষ।” 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।  

  • Union Budget 2023: কেন্দ্রীয় বাজেটে ঘোষণা করা হল নয়া প্রকল্প ‘মিষ্টি’, কী এই স্কিম, জানুন

    Union Budget 2023: কেন্দ্রীয় বাজেটে ঘোষণা করা হল নয়া প্রকল্প ‘মিষ্টি’, কী এই স্কিম, জানুন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কেন্দ্রীয় বাজেট ২০২৩-২৪ পেশ করলেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। অর্থমন্ত্রী আজ সকাল ১১টায় লোকসভায় বাজেট শুরু করেন। এবারের এই বাজেটে রয়েছে একের পর এক চমক। কেন্দ্রের বাজেটে উপস্থিত বাংলার মিষ্টি। অবাক হচ্ছেন তবে এটিই সত্যি। বাজেটে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতরামন ঘোষণা করলেন ‘মিষ্টি’ প্রকল্প। যেখানে উপকূল বরাবর ম্যানগ্রোভ বাগান করা হবে। এই নাম নেওয়া হয়েছে বাংলার মিষ্টি থেকেই। এই প্রকল্পের পুরো নাম Mangrove Initative for Shoreline Habitats and Tangible Incomes। অর্থমন্ত্রী সীতারামন বলেছেন যে সরকার নতুন মিষ্টি প্রকল্পের অধীনে উপকূলরেখা বরাবর ম্যানগ্রোভ বাগান করবে। মিষ্টি প্রকল্পটি ম্যানগ্রোভ সংরক্ষণের লক্ষ্যেই শুরু করা হচ্ছে।

    আরও পড়ুন: ডিজিটাল প্যান কার্ডই ব্যবসায়ীদের মূল পরিচয়পত্র, বড় ঘোষণা নির্মলার

    ‘মিষ্টি’ প্রকল্প চালু কেন্দ্রীয় সরকারের

    কেন্দ্রীয় বাজেটের অন্যতম মূল উদ্দেশ্য ছিল সবুজ ও দূষণমুক্ত ভারত গড়ে তোলা। সেই লক্ষ্য পূরণে এবছর মোট ৩৫ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ করে একগুচ্ছ প্রকল্পের ঘোষণা করলেন অর্থমন্ত্রী। ২০৭০ সালের মধ্যে পরিবেশে কার্বন নিঃসরণ বন্ধ করার পথে এগোনোর কথা জানিয়ে প্রথমেই ম্যানগ্রোভ অরণ্য বাড়ানোর জন্য ‘মিষ্টি’ প্রকল্পের ঘোষণা করেন তিনি।

    পৃথিবীর সবচেয়ে বড় ম্যানগ্রোভ অরণ্য রয়েছে এই বাংলার বুকেই, তা হল সুন্দরবন। নির্মলা সীতারামনের ‘মিষ্টি’ সেই সুন্দরবনকেই করে তুলবে আরও সবুজ, যাতে লাভবান হবে এ রাজ্যই। বিশ্বের বৃহত্তম ম্যানগ্রোভ অরণ্যের অবক্ষয়ে বিপদের আঁচ দেখছে বাংলা তথা গোটা দেশ। ফলে এবার সেই দিকেই বিশেষ নজর দেওয়া হল বাজেটে। উল্লেখযোগ্যভাবে, সমুদ্রে সুনামির মত বড় বিপর্যয়ের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া প্রতিরোধে ম্যানগ্রোভ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

    ২০৪৭ সালে স্বাধীনতার শতবর্ষের স্বপ্ন পূরণের জন্য ‘সপ্তর্ষি’ লক্ষ্যের কথা ঘোষণা করেন নির্মলা। তার মধ্যে অন্যতম ছিল সবুজ ভারত গড়ে তোলা। সেই জন্যই লুপ্তপ্রায় ম্যানগ্রোভ অরণ্যকে বাঁচিয়ে রাখা ও তার বিস্তার করার জন্য ‘মিষ্টি’ প্রকল্প শুরু করবে কেন্দ্র। উপকূল অঞ্চলে ম্যানগ্রোভ চাষে উৎসাহ দেবে এই প্রকল্প।

     

  • Union Budget 2023: ৭ লক্ষ টাকা পর্যন্ত দিতে হবে না কোনও আয়কর! দেখুন নতুন কর-তালিকা

    Union Budget 2023: ৭ লক্ষ টাকা পর্যন্ত দিতে হবে না কোনও আয়কর! দেখুন নতুন কর-তালিকা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আজ, সংসদে কেন্দ্রীয় বাজেট পেশ করছেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। এটি হল মোদি ২.০ সরকারের শেষ পূর্ণাঙ্গ বাজেট। এই নিয়ে পঞ্চম বাজেট পেশ করলেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। সেই সঙ্গে নিয়ে এলেন মধ্যবিত্তদের জন্য সুখবর। এই বাজেটে প্রত্যাশা মতই ব্যক্তিগত আয়করে বড় ছাড় ঘোষণা করলেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী। ৫ লক্ষ টাকা থেকে আয়কর ছাড়ের ঊর্ধ্বসীমা বেড়ে ৭ লক্ষ টাকা হল। অর্থাৎ বছরে ৭ লক্ষ টাকা পর্যন্ত আয় হলে আয়করে ছাড় পাওয়া যাবে। নতুন ট্যাক্স রেট অনুযায়ী, এখন ৩ লক্ষ টাকা পর্যন্ত কোনও আয়কর দিতে হবে না। ৩ লক্ষ থেকে ৬ লক্ষ টাকা পর্যন্ত ৫ শতাংশ আয়কর। ৬ লক্ষ থেকে ৯ লক্ষ টাকা পর্যন্ত ১০ শতাংশ আয়কর।

    বড় ঘোষণা কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীর

    নয়া আয়কর ব্যবস্থা অনুযায়ী, বছরে ৭ লক্ষ টাকা পর্যন্ত আয় হলে আয়করে ছাড়। এ দিন বাজেট পেশের সময় এমনটাই ঘোষণা করলেন নির্মলা সীতারামন। উল্লেখ্য, এর আগে ৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত আয় হলে ছিল আয়করে ছাড়। আজ সেটিই বৃদ্ধি করা হল। আর এর ফলে চাকরিজীবীদের অনেক স্বস্তি হবে বলে মনে করা হচ্ছে। এর পাশাপাশি, কারও বছরে ৯ লক্ষ টাকা পর্যন্ত আয় হলে ৪৫ হাজার টাকা আয়কর দিতে হবে। যা আগের তুলনায় ২৫ শতাংশ কম। যাঁর ১৫ লক্ষ টাকা বাৎসরিক আয় তাঁকে দেড় লক্ষ টাকা কর দিতে হবে। আগে দিতে হত ১ লক্ষ ৮৭ হাজার টাকা। ফলে অনেকটাই সাশ্রয় হবে সাধারণ মানুষের।

    আরও পড়ুন: আবাস যোজনায় বরাদ্দ বৃদ্ধি থেকে আয়করে ছাড়, বাজেটে কী কী বললেন নির্মলা?

    একনজরে নতুন কর কাঠামো জেনে নিন

    নতুন কর ব্যবস্থায়, ৩ লক্ষ টাকা পর্যন্ত করযোগ্য আয়ে করের হার হবে শূন্য শতাংশ।

    ৩ থেকে ৬ লক্ষ টাকা পর্যন্ত করযোগ্য আয়ে আয়কর দিতে হবে ৫ শতাংশ হারে।

    বাৎসরিক আয় ৬ লক্ষ টাকা থেকে ৯ লক্ষ টাকা হলে কর দিতে হবে ১০ শতাংশ।

    ৯ থেকে ১২ লক্ষ টাকা পর্যন্ত করযোগ্য আয়ে আয়কর দিতে হবে ১৫ শতাংশ হারে।

    বাৎসরিক আয় ১২ লক্ষ টাকা থেকে ১৫ লক্ষ টাকা হলে কর দিতে হবে ২০ শতাংশ।

    ১৫ লক্ষ টাকার বেশি করযোগ্য আয়ে আয়কর দিতে হবে ৩০ শতাংশ হারে।

     

  • Justice Abhijit Ganguly: কুন্তলের বাড়ি থেকে উদ্ধার ওএমআর শিট! সিবিআইকে তদন্তের নির্দেশ বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের

    Justice Abhijit Ganguly: কুন্তলের বাড়ি থেকে উদ্ধার ওএমআর শিট! সিবিআইকে তদন্তের নির্দেশ বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবারে ইডি ওএমআর শিট বাজেয়াপ্ত করল ধৃত হুগলির যুব তৃণমূল নেতা কুন্তল ঘোষের বাড়ি থেকে। এর মধ্যে ৩০টি ওএমআর শিট ২০২২ সালের। বেশ কিছু পুরনো ওএমআর শিটও বাজেয়াপ্ত করেছে ইডি। শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে ধৃত তৃণমূল যুব নেতা কুন্তলের বিরুদ্ধে এই চাঞ্চল্যকর দাবি করে ইডি জানিয়েছে, কুন্তলের বাড়িতে তল্লাশি চলাকালীন তারা ১৮৯টি ওএমআর শিট পেয়েছে। আর এই বিষয়ে জানতেই বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় পৃথকভাবে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিলেন। অন্যদিকে নিয়োগ দুর্নীতিতে এক অভিনেত্রীর নাম প্রকাশ্যে এসেছে, যাকে তিনটি ফ্ল্যাট কিনে দিয়েছেন কুন্তল। সেই প্রসঙ্গ এনেই বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় নির্দেশ দিয়েছেন যে, সেই অভিনেত্রীর নাম জানিয়ে ইডিকে আদালতে হলফনামা জমা দিতে হবে।

    কুন্তলের বাড়ি থেকে ওএমআর শিট উদ্ধার

    এদিন ইডি জানিয়েছে, কুন্তলের বাড়িতে তল্লাশি চলাকালীন ১৮৯টি ওএমআর শিট পাওয়া গিয়েছে। সূত্রের খবর, আরটিআই-এর মাধ্যমে এই ওএমআর শিট পেয়েছেন বলে জানিয়েছেন কুন্তল। তবে কেন আরটিআই করেছিলেন, তার কোনও জবাব দেননি কুন্তল। এই খবর জানতে পেরেই বিস্মিত বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় প্রশ্ন করেন, “কিছু দুষ্কৃতী রাজ্যটাকে ধ্বংস করে দেবে। কী করে কুন্তলের কাছে গেল ওএমআর শিট, অ্যাডমিট কার্ড? কারা বসে রয়েছে পর্ষদে? কী করে হয় দুর্নীতি? কেউ নিজে কিছু করবে না, আদালত করলে তাকেই কাঠগড়ায় দাঁড় করাবে। কাউকে রেয়াত করা হবে না। অতিরিক্ত শূন্যপদ তৈরি করে দুর্নীতি ঢাকার চেষ্টা বরদাস্ত নয়।”

    আরও পড়ুন: ‘কিছু দুষ্কৃতী মিলে রাজ্যটাকে ধ্বংস করে দেবে’, কুন্তল ঘোষ প্রসঙ্গে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়

    এর পরেই তিনি এই বিষয়ে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেন। বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের স্পষ্ট নির্দেশ, কুন্তলকে হেফাজতে নিয়ে তদন্ত করতে হবে। কাদের ওএমআর শিট ওখানে মিলেছে, তাঁদের নাম ও রোল নম্বর ধরে তদন্ত করতে হবে। সবটাই তিন দিনের মধ্যে করতে হবে কেন্দ্রীয় এজেন্সিকে। হাইকোর্ট জানিয়েছে, প্রয়োজনে যাঁদের ওএমআর শিট মিলেছে তাঁদেরও হেফাজতে নিতে পারবে সিবিআই।

    অভিনেত্রীর প্রসঙ্গ এনে বিচারপতি কী বললেন?

    নিয়োগ দুর্নীতিতে এক অভিনেত্রীর নাম প্রকাশ্যে এসেছে বলে শুনেছেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। সোমবার আদালতে তিনি নির্দেশ দেন, সেই অভিনেত্রীর নাম জানিয়ে ইডিকে আদালতে হলফনামা জমা দিতে হবে। আজ স্কুলে নিয়োগ সংক্রান্ত একটি মামলার শুনানি চলাকালীন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডিকে এই নির্দেশ দেন তিনি। সম্প্রতি জানা গিয়েছে, কুন্তল এক অভিনেত্রীকে তিনটি ফ্ল্যাট কিনে দিয়েছেন, যা ভেঙে একটি বড় ফ্ল্যাট তৈরি করা হয়েছে। বিচারপতি সোমবার এজলাসে সেই প্রসঙ্গই টেনে এনেছেন। তিনি প্রশ্ন করেছেন, “নিয়োগ দুর্নীতিতে কোন অভিনেত্রী জড়িত? এই অভিনেত্রীকে দেখতে চাই। তাঁর সিনেমাও দেখতে চাই।”  

  • Gorakhnath: গোরক্ষনাথ মন্দির হামলাকাণ্ডে দোষী সাব্যস্ত আব্বাসি! মৃত্যুদণ্ডের সাজা এনআইএ কোর্টের

    Gorakhnath: গোরক্ষনাথ মন্দির হামলাকাণ্ডে দোষী সাব্যস্ত আব্বাসি! মৃত্যুদণ্ডের সাজা এনআইএ কোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অবশেষে উত্তরপ্রদেশের গোরক্ষনাথ মন্দিরের হামলার ঘটনায় দোষী সাব্যস্ত আহমেদ মুর্তজা আব্বাসিকে মৃত্যুদণ্ড দিল আদালত৷ সোমবার লখনউয়ের বিশেষ এনআইএ কোর্ট এই রায় দিয়েছে৷ ৬০ দিনের শুনানি চলার পর এই সাজা দেওয়া হয়েছে আব্বাসিকে৷ শনিবারই এই মামলায় ওই ব্যক্তিকে দোষী সাব্যস্ত করে আদালত। গত বছর এপ্রিলে উত্তরপ্রদেশের গোরক্ষনাথ মন্দিরে মোতায়েন নিরাপত্তারক্ষীদের লক্ষ্য করে ধারালো অস্ত্র নিয়ে হামলা চালিয়েছিল মুর্তজা। এর পর তাকে আজ মৃত্যুদণ্ডের সাজা দেওয়া হল।

    কী ঘটেছিল?

    গত বছরের ৩ এপ্রিল গোরক্ষনাথ মন্দিরে জোর করে ঢোকার চেষ্টা করে আব্বাসি। বাধা দেওয়ায় নিরাপত্তারক্ষীদের ধারালো অস্ত্র দিয়ে হামলা করে ওই ব্যক্তি। এর জেরে গুরুতর জখম হন দু’জন পুলিশ কর্মী। পরে অবশ্য তাকে নিরাপত্তারক্ষীরা ধরে ফেলেন। আব্বাসিকে গ্রেফতারের পর ঘটনার তদন্ত শুরু করে উত্তরপ্রদেশের সন্ত্রাস দমন শাখা। এরপর তার বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ১২১ ধারা ও ৩০৭ নং ধারায় মামলা রুজু হয়েছিল৷ ১২১ ধারার অধীনেই আজ তার মৃত্যুদণ্ডের সাজা হয়েছে।

    আরও পড়ুন: ‘মোদির জন্যেই সম্ভব হয়েছে’, কাশ্মীরে রাহুলের পতাকা উত্তোলনের পর দাবি বিজেপির

    সূত্রের খবর অনুযায়ী, আব্বাসিকে জেরা করে জঙ্গি সংগঠন আইএস-এর সঙ্গে তার ঘনিষ্ঠ যোগাযোগের কথা জানা যায়। উত্তরপ্রদেশ পুলিশের অতিরিক্ত ডিরেক্টর জেনারেল আইন-শৃঙ্খলা প্রশান কুমারের দাবি, জঙ্গি গোষ্ঠী ইসলামিক স্টেট (আইএস)-এর সঙ্গে যোগ ছিল মুর্তজার। আব্বাসি আইএসের জন্য লড়াই করতে শপথ নিয়েছিল এবং জঙ্গি সংগঠনের সমর্থকদের আর্থিক সহায়তাও করেছিল। প্রশান কুমারের দাবি, সন্ত্রাস ছড়ানোর জন্যই মুর্তজা হামলা চালিয়েছিল।

    আহমেদ মুর্তজা আব্বাসি

    মু্র্তজা গোরক্ষপুরের সিভিল লাইন এলাকার বাসিন্দা। পেশায় সে কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার। ২০১৫ সালে আইআইটি মুম্বই থেকে কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে স্নাতক পাশ করে সে। এর পর দু’টি সংস্থায় কাজও করেছিল। মুর্তজার পরিবারের দাবি, ২০১৭ সালে তাঁর মানসিক সমস্যা দেখা দেয়। তার পর অনেক চিকিৎসক তাঁর চিকিৎসা করেছেন। এই কারণে তাঁর দাম্পত্য জীবনেও সমস্যা দেখা গিয়েছিল। তার পর স্ত্রীর সঙ্গে বিচ্ছেদও হয়ে যায় মুর্তজার। এরপর গত বছরে উত্তরপ্রদেশের গোরক্ষনাথ মন্দিরে নিযুক্ত নিরাপত্তা কর্মীদের উপর হামলার পর এপ্রিলে তাকে গ্রেফতার করা হয়। আর আজ তাকে দোষী সাব্যস্ত করে মৃত্যুদণ্ডের সাজা দেওয়া হল।  

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Suvendu Adhikari: জেলায় জেলায় মিড ডে মিলের পরিদর্শনে বেরল কেন্দ্রীয় দল, রিপোর্টের দিকে বিশেষ নজর শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: জেলায় জেলায় মিড ডে মিলের পরিদর্শনে বেরল কেন্দ্রীয় দল, রিপোর্টের দিকে বিশেষ নজর শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মিড ডে মিল তদন্তে রাজ্যে এসেছে কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল। সোমবার অভিযানে দিল্লির ১১ জনের একটি দল। চার জেলায় গিয়ে বিভিন্ন স্কুলে খতিয়ে দেখবেন তাঁরা। সূত্রের খবর, সোমবার সকালে পরিদর্শনে বেরনোর আগে শিক্ষা দফতরের আধিকারিকদের সঙ্গে বিকাশ ভবনে বৈঠক করেন তাঁরা। এরপর জেলায় জেলায় মিড ডে মিল প্রকল্পের অগ্রগতি দেখতে বেরিয়ে পড়ে কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল। ৪ জেলার সফর শুরু আজ উত্তর ২৪ পরগনা দিয়ে। মিড ডে মিল নিয়ে সমস্ত বিষয় খতিয়ে দেখার পর কেন্দ্রকে রিপোর্ট জমা দেবে তাঁরা। অন্যদিকে এই ইনস্পেকশন নিয়ে উৎসাহী শুভেন্দু অধিকারী। তিনি জানিয়ে দিয়েছেন, এ ব্যাপারে কী রিপোর্ট জমা পড়ে সে দিকে নজর রাখবেন তিনি।

    মিড ডে মিলের পরিদর্শনে বেরল কেন্দ্রীয় দল

    সূত্রের খবর, সোমবার সকাল সাড়ে ন’টার কিছুটা সময় পর তাঁরা বিকাশ ভবনের উদ্দেশে রওনা হন। এর পর বিকাশভবনে পৌঁছন কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দলের সদস্যরা। শিক্ষা দফতরের আধিকারিকদের সঙ্গে বিকাশ ভবনে বৈঠক করেন তাঁরা। এরপরেই তদন্তে বেরিয়ে পড়েন তাঁরা। জানা গিয়েছে, আজ উত্তর ২৪ পরগনার কয়েকটি স্কুলে যাবেন। এর পর আরও ৩ টি জেলায় যাবেন তাঁরা। নজরে রয়েছে শিলিগুড়িও। তবে এই তালিকায় আরও বেশ কিছু জেলার সংযোজন করতে পারেন প্রতিনিধি দলের সদস্যরা, সেটা জানা যাচ্ছে। ১১ জনের প্রতিনিধি দল কয়েকটি ভাগে বিভিন্ন জেলাতেও যেতে পারে বলে খবর। সূত্রের খবর, চার জেলা ঘোরার পর কলকাতা হয়ে এই টিম দিল্লি যাবে। কেন্দ্রীয় শিক্ষা মন্ত্রকের কাছে রিপোর্ট পেশ করবে। সেই রিপোর্টের ভিত্তিতে সুপারিশ পাঠাবে কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রক।

    আরও পড়ুন: মিড ডে মিলের পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে রাজ্যে এল কেন্দ্রীয় দল, আজ থেকেই শুরু পরিদর্শন

    মিড ডে মিল নিয়ে শুভেন্দুর বক্তব্য

    রাজ্যে বিভিন্ন জায়গা থেকে মিড ডে মিলের খাবারের গুণমান নিয়ে একাধিক বার প্রশ্ন উঠেছে। কখনও শিশুদের খাবারে মিলেছে সাপ, কখনও আবার টিকটিকি, ইঁদুর। আবার আর্থিক দুর্নীতিরও অভিযোগ উঠে এসেছে। গত সপ্তাহে ট্যুইটে শুভেন্দু দাবি করেন, বগটুইয়ে মৃতদের ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়েছে মিড ডে মিলের টাকা থেকে। এর পরই রাজ্যে মিড ডে মিল প্রকল্পের অগ্রগতিতে কেন্দ্রীয় দল আসছে বলে জানান তিনি।

    এদিন তিনি বলেন, “কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল কী রিপোর্ট দেয় সে দিকে তাকিয়ে থাকব। মিড ডে মিলের টাকা থেকে বগটুইতে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা নয়। এটা ফাইনানসিয়াল ক্রাইম। বিডিও, ডিএমদের বিরুদ্ধে তদন্ত হওয়া দরকার। অডিটের পর কেন্দ্র সরকার এমনটা করবে। আমি যখন অভিযোগ করেছি তখন তা প্রমাণের দায়িত্ব আমার। আমি প্রমাণ দেওয়ার পর নিশ্চয় কেন্দ্র সরকার ব্যবস্থা নেবে।”

    ফলে কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দলের তদন্ত করার পর মিড ডে মিলের সমস্ত দিক খতিয়ে দেখে অবশেষে কেন্দ্রকে কী রিপোর্ট দেয় তাঁরা, সেটার অপেক্ষায় রাজ্যবাসী।

LinkedIn
Share