Author: নিমাই দে

  • Mid Day Meal: মিড ডে মিলের পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে রাজ্যে এল কেন্দ্রীয় দল, আজ থেকেই শুরু পরিদর্শন

    Mid Day Meal: মিড ডে মিলের পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে রাজ্যে এল কেন্দ্রীয় দল, আজ থেকেই শুরু পরিদর্শন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার পর এবারে রাজ্যের স্কুল গুলিতে মিড-ডে মিলের পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে কলকাতায় এসে পৌঁছল কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল। রবিবার সন্ধ্যা ৭টায় দমদম বিমানবন্দরে পৌঁছন কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দলের ১১ জন সদস্য। কেন্দ্রীয় সরকার এবং রাজ্য সরকারের তরফে নির্বাচিত মোট ১১ জন আধিকারিক এবং সঙ্গে একজন ইউনিসেফের সদস্যকে নিয়ে যৌথভাবে মিড ডে মিলের পরিস্থিতি পরিদর্শন করা হবে। এই প্রতিনিধি দল পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় ঘুরে খতিয়ে দেখবে পরিস্থিতি। আজ সোমবার থেকেই রাজ্যের ৪ জেলায় মিড ডে মিল প্রকল্পের অগ্রগতি খতিয়ে দেখবেন তাঁরা।

    রাজ্যে ফের কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল

    অনেক দিন ধরেই রাজ্যে মিড ডে মিল নিয়ে একাধিক দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে। কেন্দ্রের অভিযোগ, রাজ্য সরকার এই প্রকল্পের বরাদ্দ টাকা ঠিক ভাবে ব্যবহার করছে না। এই প্রকল্পের টাকা নয়ছয় হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। শনিবার এক ট্যুইটে শুভেন্দু অধিকারী দাবি করেন, মিড ডে মিলের টাকায় বগটুইয়ে নিহতদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দিয়েছে রাজ্য সরকার। আবার বিগত কয়েকদিন ধরে রাজ্যের স্কুল গুলিতে মিড ডে মিলের গুণমান নিয়েও প্রশ্ন তোলেন বিরোধী দলের অনেকেই। ফলে এবারে মিড ডে প্রকল্পের বিভিন্ন দিক খতিয়ে দেখতে গতকাল রাজ্যে পৌঁছল কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল।

    আরও পড়ুন: বিজেপি ক্ষমতায় এলেই সিএএ লাগু! মালদার সভায় বিস্ফোরক সুকান্ত

    কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দলের ১১ জন সদস্য। দলের নেতৃত্বে রয়েছেন পুষ্টিবিদ অনুরাধা দত্ত। রয়েছেন ইউনিসেফের এক প্রতিনিধি। সঙ্গে থাকবেন রাজ্যের এক প্রতিনিধিও। ওই দলের সদস্যেরা কলকাতা বিমাবন্দর থেকে চলে যান নিউ টাউনের একটি হোটেলে। এক সপ্তাহ ধরে তাঁরা রাজ্যের চারটি জেলার বিভিন্ন স্কুলে গিয়ে মিড-ডে মিলের পরিস্থিতি খতিয়ে দেখবেন। আজ ওই পর্যবেক্ষকেরা যাচ্ছেন উত্তর ২৪ পরগনার কয়েকটি স্কুলে। পরের কয়েক দিন হাওড়া, উত্তরবঙ্গ এবং সব শেষে কলকাতার কয়েকটি স্কুলে তাঁদের ঘোরার কথা আছে।

    কোন কোন দিক খতিয়ে দেখবেন তাঁরা?

    এই প্রকল্পে কেন্দ্রের দেওয়া টাকা ঠিকমত খরচ করা হচ্ছে কি না, তা যাচাই করে দেখবেন তাঁরা। এর পাশাপাশি কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষকেরা খতিয়ে দেখবেন, নিত্যদিন যে খাবার স্কুলপড়ুয়াদের দেওয়া হচ্ছে, তা কতটা পুষ্টিকর। আর সেই জন্যই এক পুষ্টিবিশারদকে রাখা হয়েছে ওই দলের নেতৃত্বে। মিড ডে মিলের সঠিক চার্ট আছে কি না, মিড ডে মিলের জন্য প্রতিমাসে স্কুলের যে অর্থ বরাদ্দ করা হয় তার রেজিস্টার খাতা ঠিকঠাক আছে কি না, স্কুলের মিড ডে মিলের লোগো ঠিকঠাক আছে কি না, চাল, ডাল যেখানে রাখা হয় সেই জায়গা পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন আছে কি না, খাবারের মান কেমন, ইত্যাদি বিষয় বারংবার খতিয়ে দেখবেন তাঁরা। আবার কেন পড়ুয়াদের একটি অংশ খাবার খায় না, তা-ও দেখা হবে বলে জানা গিয়েছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     

  • Gujarat: গুজরাট এটিএস-এর বড় সাফল্য! পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনায় গ্রেফতার ১৫

    Gujarat: গুজরাট এটিএস-এর বড় সাফল্য! পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনায় গ্রেফতার ১৫

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গুজরাটে এক পরীক্ষার আগে প্রশ্নপত্র ফাঁস। আর ইতিমধ্যেই এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত ১৫ জন অভিযুক্তকে প্রশ্নপত্র সহ ভাদোদরা থেকে গ্রেফতার করেছে গুজরাটের অ্যান্টি টেরোরিস্ট স্কোয়াড (এটিএস)। ২৯ জানুয়ারি অর্থাৎ আজ রবিবার পঞ্চায়েত জুনিয়র ক্লার্ক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু তা বাতিল করা হয়েছে। পরীক্ষার পাঁচ ঘণ্টা আগে পঞ্চায়েত দফতর আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করে কোনও পরীক্ষার্থী যেন পরীক্ষা কেন্দ্রে না যায় কারণ প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়ে গিয়েছে৷ এছাড়াও গুজরাট পঞ্চায়েত পরিষেবা নির্বাচন বোর্ডও পরীক্ষা স্থগিতের ঘোষণা করেছে৷ এই ঘটনায় পুলিশ মামলা করে ১৫ জনকে গ্রেফতার করেছে৷ এছাড়াও তদন্তের জন্য গুজরাট এটিএস টিমকে অন্যান্য রাজ্যেও পাঠানো হয়েছে৷

    ১৫ জন অভিযুক্ত গ্রেফতার

    সূত্রের খবর, পঞ্চায়েত জুনিয়র ক্লার্ক নিয়োগের পরীক্ষা আজ সকাল ১১টা থেকে ১২টা পর্যন্ত হওয়ার কথা ছিল, কিন্তু প্রশ্ন ফাঁসের জেরে তা স্থগিত করা হয়৷ পুলিশের কাছ থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে জানা গিয়েছে, পরীক্ষার দিন সকালে সন্দেহভাজন একজনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করার সময় তার কাছ থেকে আজকের পরীক্ষার প্রশ্নপত্রের একটি কপি উদ্ধার করা হয়। তারপরই তড়িঘড়ি পরীক্ষা বন্ধের কথা ঘোষণা করা হয়৷ এরপর প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনায় অ্যান্টি টেরোরিস্ট স্কোয়াড ১৫ জনকে গ্রেফতার করেছে৷ ফলে এটি একটি বড় সাফল্য এটিএস-এর।

    আরও পড়ুন: প্রকাশ্য দিবালোকে গুলিবিদ্ধ ওড়িশার স্বাস্থ্যমন্ত্রী, কাঠগড়ায় খোদ পুলিশই

    গুজরাট এটিএস-এর পুলিশ সুপার সুনীল যোশি বলেছেন, “গুজরাট এটিএস ক্রমাগত তাদের উপর নজর রাখছিল যারা আগের প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনার সঙ্গে জড়িত ছিল। এরপর আজ ১৫ জন অভিযুক্তকে ভাদোদরা থেকে প্রশ্নপত্র সহ গ্রেফতার করা হয়েছে। সরকার পরীক্ষা বাতিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আরও তদন্ত চলছে।” গুজরাট পঞ্চায়েত পরিষেবা নির্বাচন বোর্ডের তরফে বলা হয়েছে, পরীক্ষাটি শীঘ্রই নতুন করে অনুষ্ঠিত হবে, যার তারিখও শীঘ্রই ঘোষণা করা হবে।

    প্রসঙ্গত, ৯ লক্ষ পরীক্ষার্থী এই জুনিয়র ক্লার্ক পরীক্ষায় ১হাজার ১৮১টি পদের জন্য আবেদন করেছিলেন৷ পরীক্ষা চলাকালীন যাতে কোনওরকম অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে সেই ব্যবস্থাও করা হয়েছিল৷ একইসঙ্গে ১২২টি পরীক্ষা কেন্দ্রে পরীক্ষা চলাকালীন কেন্দ্রের বাইরে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়৷

  • Mughal Garden: নাম বদলে গেল জাতীয় ঐতিহ্য মুঘল গার্ডেনের, কী হল নতুন নাম?

    Mughal Garden: নাম বদলে গেল জাতীয় ঐতিহ্য মুঘল গার্ডেনের, কী হল নতুন নাম?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের এক ঐতিহাসিক ঐতিহ্যের নাম বদল! পরিবর্তন করা হল রাষ্ট্রপতি ভবনের মুঘল গার্ডেনের নাম। এবার থেকে ‘অমৃত উদ্যান’ হিসেবে পরিচিতি পাবে রাষ্ট্রপতি ভবনের ঐতিহ্যশালী স্থান। এমনই জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতির ডেপুটি প্রেস সচিব নবিকা গুপ্তা। স্বাধীনতার ৭৫ বছর পূর্তি উপলক্ষে ‘অমৃত মহোৎসব’ পালন করছে মোদি সরকার। সেই সূত্রেই মুঘল গার্ডেনের নতুন নামকরণ বলে জানা গিয়েছে। ২৮ জানুয়ারি, শনিবার এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার৷ তবে ২৯ জানুয়ারি, আগামীকাল রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু অমৃত উদ্যানের উদ্বোধন করবেন।

    ফের ঐতিহাসিক জায়গার নাম বদল!

    মোদি সরকারের জমানায় অনেক ঐতিহ্যবাহী জায়গার নাম পরিবর্তন করা হয়েছে। মুঘলসরাই স্টেশনের নাম বদলে করা হয়েছে দিন দয়াল উপাধ্যায় জংশন৷ রাজপথ হয়ে গিয়েছে কর্তব্য পথ৷ এবার বদলে গেল রাষ্ট্রপতি ভবনের বিখ্যাত মুঘল গার্ডেনের নামও৷ রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর ডেপুটি প্রেস সচিব নবিকা গুপ্ত বলেন, “স্বাধীনতার ৭৫ বছর পূর্তি উপলক্ষে ‘আজাদি কা অমৃত মহোৎসব’ পালন করা হচ্ছে। তার সঙ্গে মিলিয়েই দ্রৌপদী মুর্মু রাষ্ট্রপতি ভবনের বাগানকে অমৃত উদ্যান নাম দিলেন।”

    রবিবার, ২৯ জানুয়ারি এই অমৃত উদ্যানের উদ্বোধন করবেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু। এর পরেই সর্বসাধারণের জন্য এই উদ্যান খুলে দেওয়া হবে। তারপর আগামী দু-মাস অর্থাৎ ৩১ জানুয়ারি থেকে ২৬ মার্চ পর্যন্ত জনগণের জন্য খোলা থাকবে এই উদ্যান।

    আরও পড়ুন: ত্রিপুরায় ৪৮ প্রার্থীর নাম ঘোষণা বিজেপির, বরদোয়ালি থেকে লড়বেন মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহা

    অমৃত উদ্যান…

    রাষ্ট্রপতি ভবনের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে অমৃত উদ্যান সম্পর্কে তথ্য তুলে ধরা হয়েছে। বলা হয়েছে ১৫ একর জায়গা জুড়ে বিস্তৃত রয়েছে এই উদ্যান। এই উদ্যানকে রাষ্ট্রপতি ভবনের আত্মা হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছে। জম্মু ও কাশ্মীরের মুঘল উদ্যান এবং তাজমহলের চারপাশের উদ্ধানগুলির অনুকরণে এই উদ্যান তৈরি করা হয়েছিল। এখানে ভারত ও পারস্যের চিত্রকর্মও ব্যবহার করা হয়েছিল। বিভিন্ন আকারের বাগান রয়েছে রাষ্ট্রপতি ভবন চত্বরে। কোনওটি আয়তাকার, কোনওটি গোল। সব মিলিয়েই নাম মুঘল গার্ডেন। যার বর্তমান নাম অমৃত উদ্যান।

    খোলা থাকবে প্রায় দু-মাস

    প্রতি বছরই মুঘল গার্ডেন দেখতে ভিড় করেন বহু সাধারণ মানুষ। রাষ্ট্রপতি ভবনে বাগানকে আরও বেশি সংখ্যক মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে এদিন থেকে এক পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। ৩১ জানুয়ারি থেকে এই বাগান খোলা থাকবে ২৬ মার্চ পর্যন্ত। এর মধ্যে রক্ষণাবেক্ষণের জন্য সোমবার এবং হোলির কারণে ৮ মার্চ তা বন্ধ রাখা হবে। এছাড়াও বিশেষভাবে সক্ষম, কৃষক ও মহিলাদের দেখার জন্য কিছু সময় সংরক্ষিত রাখার কথা জানানো হয়েছে রাষ্ট্রপতি ভবনের তরফে। ২৮ মার্চ খোলা রাখা হবে কৃষকদের জন্য, বিশেষভাবে সক্ষমদের জন্য ২৯ মার্চ, প্রতিরক্ষা বাহিনী, আধা সামরিক বাহিনী এবং পুলিশ কর্মীদের জন্য ৩০ মার্চ এবং মহিলাদের জন্য খোলা থাকবে ৩১ মার্চ।

    প্রসঙ্গত, ৭৫ তম স্বাধীনতা দিবসের বক্তৃতায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেছিলেন, যে সমস্ত চিহ্নে ঔপনিবেশিক মানসিকতার ভাব রয়েছে, সেগুলি বাতিল করতে হবে। তারপরই নয়া দিল্লির রাস্তার নাম বদল করা হয়। রাজপথের নাম বদলে কর্তব্য পথ, রেসকোর্সের নাম লোকমান্য মার্গ করা হয়। আর এবার মুঘল ইতিহাসের প্রতীক মুঘল গার্ডেনেরও নাম বদল করা হল।

  • Tripura: ত্রিপুরায় ৪৮ প্রার্থীর নাম ঘোষণা বিজেপির, বরদোয়ালি থেকে লড়বেন মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহা

    Tripura: ত্রিপুরায় ৪৮ প্রার্থীর নাম ঘোষণা বিজেপির, বরদোয়ালি থেকে লড়বেন মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পরের মাসেই ত্রিপুরার বিধানসভা নির্বাচন। ২৭ ফেব্রুয়ারি বিধানসভা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে চলেছে সে রাজ্যে। কিছুদিন আগেই নির্বাচন কমিশন থেকে বিধানসভা নির্বাচনের নির্ঘণ্ট প্রকাশ করা হয়েছে। আজ শনিবার, ত্রিপুরা বিধানসভা নির্বাচনের জন্য প্রার্থীতালিকাও ঘোষণা করল বিজেপি৷ মোট ৬০টি আসনের মধ্যে আপাতত ৪৮টি আসনে প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করা হয়েছে৷ তাঁদের মধ্যে ১১ জনই মহিলা প্রার্থী। সূত্রের খবর, বাকি ১২ জন প্রার্থীর নাম খুব শীঘ্রই ঘোষণা করা হবে। টাউন বরদোয়ালি কেন্দ্র থেকেই নির্বাচনে লড়বেন ত্রিপুরার বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহা (Manik Saha)। তবে এই নির্বাচনে লড়বেন না ত্রিপুরার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেব।

    বিধানসভা নির্বাচনের প্রার্থীর নাম ঘোষণা গেরুয়া শিবিরের

    শুক্রবার বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডার নেতৃত্বে দিল্লিতে কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিটির বৈঠক হয়। হাজির ছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ-সহ বিজেপির প্রথমসারির নেতারা। পরদিনই প্রাথমিকভাবে ৪৮ টি আসনে প্রার্থী ঘোষণা করেছে বিজেপি। আজ প্রার্থীতালিকা প্রকাশ করে রাজীব জানান, প্রার্থীতালিকায় দলিত, মূলবাসী, মহিলা-সহ সকল শ্রেণি এবং বর্ণের প্রতিনিধিত্ব রাখা হয়েছে। একইসঙ্গে জানানো হয়, বাকি ১২টি আসনেও শীঘ্রই প্রার্থীদের নাম চূড়ান্ত করা হবে।

    আরও পড়ুন: মধ্যপ্রদেশ ও রাজস্থানে এক ঘণ্টার ব্যবধানে ভেঙে পড়ল বায়ুসেনার তিনটি বিমান, মৃত ১ পাইলট

    বিজেপির তরফে প্রকাশিত তালিকা অনুযায়ী, বনমালীপুর কেন্দ্র থেকে বিপ্লব দেবের জায়গায় বিজেপি সভাপতি রাজীব ভট্টাচার্য নির্বাচনে লড়বেন। গতকাল সিপিএম বিধায়ক মহম্মদ মবোশার আলী বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন। এবার বিজেপির টিকিটে কৈলাশহর কেন্দ্র থেকে নির্বাচনে লড়বেন তিনিও। ত্রিপুরায় একটি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ আসন হল ধানপুর। সেই আসনে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রতিমা ভৌমিক প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন।

    প্রসঙ্গত, ২৭ ফেব্রুয়ারি হবে ভোটগ্রহণ।  আর ফলাফল ঘোষণা হবে ২ মার্চই। ত্রিপুরা নির্বাচনের জন্য মনোনয়ন জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ৩০ জানুয়ারি। মনোনয়নপত্র যাচাই করা হবে তার পরের দিন। আর মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ দিন ২ ফেব্রুয়ারি।

    ত্রিপুরার বিধানসভা নির্বাচন নিয়ে প্রস্তুতি তুঙ্গে। ত্রিপুরা নিয়ে কোমর বেঁধেছে বাংলার শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসও। তবে, এসবের মধ্যেই ভোটমুখী ত্রিপুরায় বড় ধাক্কা খেতে হয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দলকে৷ ত্রিপুরায় তৃণমূলের অন্যতম প্রধান নেতা সুবল ভৌমিক শুক্রবারই বিজেপিতে যোগ দেন।

  • India Book of Records: তাক লাগানো প্রতিভায় ‘ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডসে’ নাম, জানুন তাঁদের কৃতিত্বের কথা

    India Book of Records: তাক লাগানো প্রতিভায় ‘ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডসে’ নাম, জানুন তাঁদের কৃতিত্বের কথা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মানুষের কতই না কীর্তি, কতই না প্রতিভা! কথায় আছে, চেষ্টা থাকলে কোনও কিছুই অসম্ভব নয়। এমনই কিছু অসাধারণ কাজ করে রেকর্ড গড়ে ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডসে নাম তুলে নিল ভারতের বিভিন্ন প্রান্তের কিছু মানুষ। আর এই তালিকায় খুদেরাও পিছিয়ে নেই। বড়দের সঙ্গে তালে তাল মিলিয়ে বুক অফ রেকর্ডসে স্থান অর্জন করে নিয়েছে। তাঁদের এমন প্রতিভা রয়েছে, যা দেখে মুগ্ধ দেশবাসী। দেশের এমনই কিছু প্রতিভাবান ব্যক্তিদের সঙ্গে পরিচয় করাতে চলেছি, যাঁরা ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডসে জায়গা করে নিয়েছে।

    দীর্ঘতম সময়ের জন্য হুলা হুপিং

    প্রথমেই বলা যাক, এই খুদের বিষয়ে। মাত্র ১৩ বছরের এক খুদে সবচেয়ে বেশি সময়ের জন্য হুলা হুপিং করে রেকর্ড গড়েছে। এই খুদের নাম দর্শিতা ভাদানি, সে ঝাড়খণ্ডের গিরিডির বাসিন্দা। ২ ঘন্টা ৩০ মিনিট এবং ৫৩ সেকেন্ড নন-স্টপ হুলা হুপ স্পিন করে ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডসে নাম তুলেছে দর্শিতা।

    অনবরত গান করে তবলা বাজিয়ে রেকর্ড এক কিশোরের

    এই কীর্তি গুজরাটের পঞ্চমহলের (বর্তমানে মিশিগানে বসবাসকারী) ঋষি এম প্যাটেলের। ঋষি ৪০ মিনিট ধরে টানা শ্লোক গেয়ে ও একই সঙ্গে তবলা বাজিয়ে ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডসে জায়গা করে নিয়েছে।

    বিশেষভাবে সক্ষম ব্যক্তির এক অনুপ্রেরণামূলক কীর্তি

    গুজরাটের সুরাটের সুরেশচন্দ্র শান্তিলাল লালন নামের এক বিশেষভাবে সক্ষম ব্যক্তি তাঁর সংস্থা ‘স্পার্কেল ডায়মন্ড’-এ সবচেয়ে বেশি সংখ্যক ২০০ কর্মী নিয়োগ করে রেকর্ড গড়েছেন। শুধুমাত্র বুক অফ রেকর্ডসেই এই ব্যক্তি জায়গা করে নেননি, আত্মনির্ভর ভারত অভিযানেও তাঁর বড় অবদান রয়েছে।

    ডাক্তারদের তৈরি হার্ট সেপ কোলাজ

    বিশ্ব হার্ট দিবস উপলক্ষে সচেতনতা প্রচার করতে রোজিক্যাপ, নোভেলটিস, আকুমেন্টিস হেলথকেয়ার লিমিটেড-এর ৭৫১০ জন ডাক্তার মিলে মহারাষ্ট্রের থানের বিএমসি রঞ্জিত গ্রাউন্ডে একটি সবচেয়ে বড় হার্ট কোলাজ বানিয়ে তাক লাগিয়ে দিয়েছে ও  ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডসে জায়গা করে নিয়েছে।

    আরও পড়ুন: যখন বিশ্বজুড়ে চলছে ছাঁটাই, তখনই স্রোতের বিপরীতে গিয়ে কর্মী নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি জোম্যাটোর

    সর্বকনিষ্ঠ হিউম্যান ক্যালকুলেটর

    মুম্বইয়ের শানায় ভিমেশ দেধিয়া (জন্ম ২ ফেব্রুয়ারি, ২০১৪) অফলাইন মোডে মাত্র এক মিনিটে ৮৮ টি যোগ এবং ৯৩টি গুণ সঠিকভাবে সমাধান করেছে। এছাড়াও সে ডিজিটাল সফ্টওয়্যারের মাধ্যমে যথাক্রমে ২৫, ৫০ এবং ৭৫ সারির ৯টি গুণ এবং ৩টি যোগের সমাধান করেছে। এই খুদের বয়স মাত্র ৮ বছর।

    সর্বাধিক মুদ্রা সংগ্রহ

    এই রেকর্ডটি উড়িষ্যার ভুবনেশ্বরের ডাঃ সদানন্দ পানিগ্রাহি গড়েছে। তিনি ২৪৬ টি দেশের ২২৩৯ টি মুদ্রা সংগ্রহ করেছেন।

    দ্রুততম হিউম্যান ক্যালকুলেটর

    এই রেকর্ডটি মুম্বইয়ের ১৩ বছর বয়সী জিনাংশ ভিমেশ দেধিয়ার। এই খুদে সফ্টওয়্যার এবং খাতায় কলমে এক মিনিটে ১৪৩ টি ক্যালেন্ডার তারিখ, ২০ডিজিট x ২০ ডিজিট এবং অনেকগুলি বিভিন্ন গণনা সমাধান করেছে। সবচেয়ে কম সময়ে সমাধান করে জিনাংশ ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডসে জায়গা করে নিয়েছে।

    সর্বাধিক সংখ্যক কোম্পানির স্টক রেখে রেকর্ড

    কেরালার ত্রিশুরের জয় পালোস এই রেকর্ড গড়েছে। ২০২২-এর ১৮ অক্টোবর পর্যন্ত হোল্ডিংয়ের সর্বশেষ বিবৃতি অনুসারে, ১৭৩৬টি তালিকাভুক্ত কোম্পানির স্টক রেখেছেন তিনি।

    দীর্ঘতম ক্লিনিং ম্যারাথন

    উত্তরপ্রদেশের গাজিয়াবাদের বাসিন্দা আসিফ খান দীর্ঘতম ক্লিনিং ম্যারাথনের উদ্যোগটি নিয়েছিলেন। ২০০ ঘন্টার জন্য নন-স্টপ এই ক্লিনিং ম্যারাথন করা হয়েছিল, যা ২০২২-এর ২ অক্টোবরে শুরু হয়েছিল ও ১২ অক্টোবর শেষ হয়েছিল।

  • Layoffs: আমেরিকায় কর্মী ছাঁটাইয়ের ধুম! ভিসার মেয়াদ শেষে নতুন চাকরি না পেলে প্রবাসী ভারতীয়দের ছাড়তে হবে দেশ

    Layoffs: আমেরিকায় কর্মী ছাঁটাইয়ের ধুম! ভিসার মেয়াদ শেষে নতুন চাকরি না পেলে প্রবাসী ভারতীয়দের ছাড়তে হবে দেশ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ট্যুইটারের পর থেকে গণ ছাঁটাইয়ের পথে হেটেছে মেটা, অ্যামাজন, মাইক্রোসফট, গুগলের মত একাধিক সংস্থা। রাতারাতি কর্মী ছাঁটাইয়ে বেকার হয়ে পড়বেন বিপুল সংখ্যক কর্মী। তবে বেশি সমস্যায় পড়তে হচ্ছে মার্কিন মুলুকে চাকরি করা ভারতীয় কর্মীদের। আমেরিকায় প্রবাসী ভারতীয়রা পাগলের মত চাকরি খুঁজছেন, কারণ চাকরি যাওয়ার ৬০ দিনের মধ্যে নতুন চাকরি না পেলে তাঁদের দেশে ফিরে যেতে হবে। ফলে তাঁদের কাজের ভিসার মেয়াদ শেষ হওয়ার নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই নতুন চাকরি খুঁজে পেতে বিদেশে রীতিমত লড়াই করতে হচ্ছে। এমনকি আচমকাই চাকরি চলে যাওয়ায় আমেরিকার মত দেশে বাস করাও তাঁদের পক্ষে কঠিন হয়ে দাঁড়াচ্ছে।

    মার্কিন মুলুকে হাজার হাজার প্রবাসী ভারতীয় কর্মী ছাঁটাই

    কিছুদিন আগেই গুগল থেকে প্রায় ১২ হাজার কর্মী ছাঁটাইয়ের খবর দেওয়া হয়েছে। সূত্রের খবর, মার্কিন মুলুকে মন্দার আশঙ্কায় তড়িঘড়ি এই কর্মী ছাঁটাই করছে মাইক্রোসফট, গুগলের মত টেক জায়ান্টগুলি। গুগলের ১২,০০০ কর্মী ছাঁটাইয়ের খবর সামনে আসতেই বিশ্বের প্রযুক্তি জগতে তৈরি হয়েছে আশঙ্কার পরিবেশ। বিশ্বজুড়ে কোম্পানির বিভিন্ন শাখায় এই ছাঁটাইয়ের প্রক্রিয়া চলবে। এর মধ্যে অনেক কর্মীই ভারতীয়। ওয়াশিংটন পোস্টের মতে, গত বছরের নভেম্বর থেকে প্রায় ২ লক্ষ আইটি কর্মী ছাঁটাই করা হয়েছে। এদের মধ্যে প্রায় ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ ভারতীয় আইটি কর্মী এইচ-১বি এবং এল১ ভিসায় রয়েছেন। ফলে তাঁদের মেয়াদ শেষের আগে আমেরিকায় বা অন্য জায়গায়  চাকরি খুঁজতে নানা সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। এমন অনেক চাকরি হারানো প্রবাসী ভারতীয় কর্মী তাঁদের অভিজ্ঞতা শেয়ার করেছেন।

    আরও পড়ুন: মন্দার জের! ব্যাপকহারে কর্মী ছাঁটাই মার্কিন সংবাদমাধ্যমগুলিতে

    ভারতীয়দের ভিসার সমস্যা আমেরিকায়

    এইচ-১বি অধীনে থাকা প্রবাসী ভারতীয় কর্মীদের চাকরি যাওয়ার ৬০ দিনের মধ্যে নতুন চাকরিতে যোগ দিতে হবে। তা না হলে, তাঁদের দেশে ফিরে যেতে হবে। এই পরিস্থিতিতে অ্যামাজন কর্মী গীতা জানিয়েছেন, মাত্র তিন মাস আগে আমেরিকায় এসেছিলেন তিনি। কিন্তু এই সপ্তাহে তাঁকে বলা হয় আগামী ২০ মার্চে তাঁকে বরখাস্ত করা হবে। তিনি এইচ-১বি ভিসায় রয়েছেন, ফলে তাঁকে ৬০ দিনের মধ্যে একটি নতুন চাকরি খুঁজতে হবে ,নয়তো তাঁকে ভারতে ফিরে আসতে হবে।

    আরও এক কর্মী সীতা জানিয়েছেন, ১৮ জানুয়ারি মাইক্রোসফট থেকে ছাঁটাই করা হয়েছে তাঁকে। তিনি একজন ‘সিঙ্গল মাদার’। তাঁর ছেলে হাই স্কুল জুনিয়র ইয়ারে, কলেজে ভর্তির জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে। তিনি বলেছেন, “এই পরিস্থিতি আমাদের জন্য সত্যিই কঠিন।”

    ফলে এটি দুর্ভাগ্যজনক যে হাজার হাজার আইটি কর্মচারী ছাঁটাইয়ের সম্মুখীন হচ্ছে, বিশেষ করে যারা এইচ-১বি ভিসায় রয়েছেন, তাঁদের বেশি প্রতিকূলতার সম্মুখীন হতে হচ্ছে। কারণ তাঁদের একটি নতুন চাকরি খুঁজে বের করতেই হবে নয়তো দেশ ছাড়তে হবে। 

     

  • Oscar: সত্যজিৎ-সুস্মিতের পর ফের এক বাঙালি! অস্কারে মনোনীত বঙ্গ সন্তান শৌনক সেনের ‘অল দ্যাট ব্রিদস’

    Oscar: সত্যজিৎ-সুস্মিতের পর ফের এক বাঙালি! অস্কারে মনোনীত বঙ্গ সন্তান শৌনক সেনের ‘অল দ্যাট ব্রিদস’

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আন্তর্জাতিক মঞ্চে বাংলার মুখ উজ্জ্বল। অস্কারে সেরা ফিচার তথ্যচিত্রের বিভাগে মনোনয়ন পেয়েছে বাঙালি পরিচালক শৌনক সেনের ‘অল দ্যাট ব্রিদস’। সম্প্রতি, এক সংবাদমাধ্যমকে শৌনক জানিয়েছেন, এত ভাল লাগছে যে বলার নয়। মঙ্গলবার প্রকাশিত হয়েছে ৯৫তম অ্যাকাডেমি অ্যাওয়ার্ডসের মনোনয়ন তালিকা৷ সেই তালিকায় অরিজিনাল সং বিভাগে যেমন জায়গা করে নিয়েছে আরআরআর ছবিটির নাটু নাটু গানটি, তেমনই আরও দুটি ভারতীয় তথ্যচিত্রও স্থান পেয়েছে এবছরের অস্কারের মনোনয়ন তালিকায়৷ ডকুমেন্টারি শর্ট ফিল্ম বিভাগের জন্য মনোনীত হয়েছে কার্তিকি গনসালভেসের ‘দ্য এলিফ্যান্ট হুইসপারার্স’ ও ডকুমেন্টারি ফিচার ফিল্ম বিভাগে মনোনীত হয়েছে বাঙালি পরিচালক শৌনক সেনের তথ্যচিত্র ‘অল দ্যাট ব্রিদস’ ৷ শৌনকের এই সৃষ্টি ভারতীয় সিনেমায় সত্যি গর্বের বিষয়।

    সত্যজিৎ-সুস্মিতের পর অস্কার সফরে বাঙালি ছেলে

    ১৯৯২ সালের ৬৪তম অস্কার অ্যাওয়ার্ডে লাইফটাইম অ্যাচিভমেন্ট অ্যাওয়ার্ড পেয়েছিলেন বাংলার সত্যজিৎ রায়। সেটিই বাংলা এবং ভারতের একটি মাত্র অস্কার পুরস্কার। তারপর ৩১ বছর কেটে গিয়েছে, ভারতে অস্কার আসেনি মনোনয়নের যাওয়ার পরও। ২০২১ সালে বঙ্গ সন্তান সুস্মিত ঘোষের তৈরি তথ্যচিত্র ‘রাইটিং উইথ ফায়ার’ সেরা তথ্যচিত্রের লড়াইয়ে মনোনীত হয়েছিল। তবে শেষ বিচারে সেটি বিবেচিত হয়নি পুরস্কারের জন্য। ফলে বাংলা থেকেও কোনও বাঙালি অস্কার জেতেননি। তবে এবার একটি সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। কারণ, এবার অস্কারের তথ্যচিত্র বিভাগে জায়গা পেয়েছে বাঙালি পরিচালক শৌনক সেনের ছবি ‘অল দ্যাট ব্রিদস’।

    তথ্যচিত্র মনোনীত হওয়ায় কী বললেন শৌনক?

    সংবাদমাধ্যমে শৌনক বলেছেন, “এত ভাল লাগছে…! এত ভাল লাগছে…! যে বলার নয়! এটা একটা অসামান্য অনুভূতি, যা ভাষায় প্রকাশ করা মুশকিল। অন্যরকম খুশির মুহূর্ত। আমি, আমার দল সবাই ভীষণ ভীষণ খুশি।” এরপর তিনি তাঁর টিমকেও কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন। সেই সঙ্গে ধন্যবাদ দিলেন অ্যাকাডেমি কর্তৃপক্ষকে, তাঁর ছবিকে মনোনীত করার জন্য।

    একাধিক পুরস্কারে সম্মানিত শৌনকের এই তথ্যচিত্র

    এর আগে কান, বাফটা’র মত মঞ্চেও প্রশংসিত হয়েছে শৌনক সেনের ‘অল দ্যাট ব্রিদস’ (All that Breathes)৷ গত বছর কান চলচ্চিত্র উৎসবে পুরস্কার জিতেছিল এই তথ্যচিত্রটি৷ সানডান্স ফিল্ম ফেস্টিভালেও পুরস্কৃত হয়েছে এই তথ্যচিত্র৷ আবার একমাত্র ভারতীয় ছবি হিসেবে ২০২২ সালের ‘ল’ওয়েল ডি‘অর’ পুরস্কারেও ভূষিত হয়েছে শৌনকের তৈরি তথ্যচিত্র। সেই সাফল্যের ধারা বজায় রেখেই এবার অস্কারের দৌড়েও নাম লেখাল বাঙালি তরুণের এই ডকুমেন্টারি৷ এবারে যদি হলিউডের ডলবি থিয়েটরে বাঙালি শৌনকের হাতে অস্কার ওঠে, তবে ভারতীয় চলচ্চিত্রের ইতিহাসে আরেকটি উল্লেখযোগ্য বিষয় হবে৷ আর বাঙালি হিসেবেও এক অনন্য নজির গড়বেন এই তরুণ৷ সত্যজিৎ রায়ের পর তিনিই হবেন সেই বঙ্গ সন্তান, যাঁর হাতে অস্কার উঠবে।

    ‘অল দ্যাট ব্রিদস’-এর গল্প

    দুই ভাইয়ের গল্প বলে এই ছবি। সেই দুই ভাইয়ের নাম নাদিম এবং সউদ, যাঁরা পাখিদের চিকিৎসা করেন। আহত পাখি, বিশেষত কালো চিল উদ্ধার করে শুশ্রূষা করেন তাঁরা। পরিবেশে মিশে থাকা বিষ এবং সামাজিক অবক্ষয়ের কথা বলে এই তথ্যচিত্র।

  • Pakistan: অন্ধকারে নিমজ্জিত প্রায় গোটা পাকিস্তান! রাজধানী সহ করাচি, লাহোরে ব্যাহত বিদ্যুৎ পরিষেবা

    Pakistan: অন্ধকারে নিমজ্জিত প্রায় গোটা পাকিস্তান! রাজধানী সহ করাচি, লাহোরে ব্যাহত বিদ্যুৎ পরিষেবা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গত কয়েক মাস ধরেই প্রবল আর্থিক সংকটে ভুগছে পাকিস্তান। দেশে প্রথমে আটা ফুরিয়ে গেল, তারপর গ্যাস-পেট্রোলের সংকট, এখন বিদ্যুতের পালা। খবর আসছে, সোমবার সকাল থেকেই পাকিস্তানের একটা বড় অংশ অন্ধকারে নিমজ্জিত। বিশাল বিদ্যুৎ বিভ্রাট ঘটল পাকিস্তানের ইসলামাবাদ, লাহোর এবং করাচির উল্লেখযোগ্য কয়েকটি অংশে। সেখানকার মানুষদের ঘণ্টার পর ঘণ্টা বিদ্যুৎ ছাড়াই থাকতে হচ্ছে। ট্রান্সমিশন লাইনে ত্রুটির কারণেই সোমবার দেশের বিভিন্ন অংশে বিদ্যুৎ পরিষেবা ব্যাহত হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। এখনও সেদেশের বেশিরভাগ অংশই অন্ধকারে রয়েছে।

    পাকিস্তান জুড়ে বিশাল বিদ্যুৎ বিভ্রাট

    পাকিস্তান ইলেক্ট্রিকের মুখপাত্র ইমরান রানা একটি ট্যুইটার পোস্টে লিখেছেন, “শহরের বিভিন্ন অংশ থেকে একাধিক বিদ্যুৎ বিভ্রাটের খবর পাওয়া গেছে। আমরা বিষয়টি তদন্ত করছি।” প্রাথমিক রিপোর্ট অনুযায়ী, জাতীয় গ্রিডের সিস্টেম ফ্রিকোয়েন্সি আজ সকাল ৭টা ৩০ মিনিটে বসে যায়, যার ফলে বিদ্যুৎ ব্যবস্থায় ব্যাপক বিপর্যয় ঘটে। পরিষেবা স্বাভাবিক করতে জোরকদমে কাজ চলছে। সিস্টেম রক্ষণাবেক্ষণের কাজ দ্রুত এগিয়ে চলেছে বলে জানিয়েছে পাকিস্তান সরকারের শক্তি মন্ত্রক।

    আরও জানা গিয়েছে, বিদ্যুৎ বিভ্রাটের কারণে মেট্রো পরিষেবাও ব্যাহত হয়েছে, যার ফলে যাত্রীদের বিশাল সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। ইসলামাবাদ ইলেকট্রিসিটি সাপ্লাই কোম্পানির ১১৭টি গ্রিড স্টেশনেও বিদ্যুৎ সরবরাহ বিঘ্নিত হয়েছে, পুরো শহর এবং রাওয়ালপিন্ডিকে অন্ধকারে নিমজ্জিত করেছে। সূত্রের খবর অনুযায়ী, বিদ্যুৎ ফিরতে কয়েক ঘণ্টা সময় লাগত পারে।

    আরও পড়ুন: ‘ভারতীয় ভূখণ্ডে যোগ দিতে প্রস্তুত’, বললেন পাক অধিকৃত কাশ্মীরের নেতা

    পাকিস্তানের কিছু সংবাদমাধ্যম থেকে জানা গিয়েছে, করাচি এবং লাহোরের বেশ কয়েকটি এলাকা বিদ্যুৎবিহীন ছিল। আবার কোয়েটা ইলেকট্রিক সাপ্লাই কোম্পানি (QESCO) অনুসারে, গুড্ডু থেকে কোয়েটা পর্যন্ত দুটি ট্রান্সমিশন লাইন ছিঁড়ে গেছে। কোয়েটা সহ বেলুচিস্তানের ২২টি জেলা বিদ্যুৎবিহীন বলে জানিয়েছে এই সংস্থাটি।

    প্রসঙ্গত, পাকিস্তান আগে থেকেই আর্থিক, খাবার সংকটে ভুগছে।  কয়েক মাস ধরে বিদ্যুৎ সরবরাহের অবস্থা খারাপ। বিদ্যুতের ঘাটতিতেও রয়েছে পাকিস্তান। ফলে সেদেশের সরকার দীর্ঘ বিদ্যুতের ঘাটতি এড়াতে এবং বিদ্যুত বাঁচাতে রাত ৮টায় বাজার বন্ধ রাখার নির্দেশ জারি করেছে। এরই মধ্যে আজ সকাল ৭টা ৩০ মিনিট থেকে দেশব্যাপী বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেলে দেশবাসী চরম সমস্যায় পড়েছে। বিপর্যয় এতটাই গভীর যে কত দ্রুত তা দূর করা যাবে, তা নিয়ে বিদ্যুৎ দফতরের কর্মীরাই অন্ধকারে।  

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।  

  • Shraddha Walkar: শ্রদ্ধা হত্যাকাণ্ডে ৩ হাজার পাতার খসড়া চার্জশিট দিল্লি পুলিশের, রয়েছে শতাধিক সাক্ষীর বয়ান

    Shraddha Walkar: শ্রদ্ধা হত্যাকাণ্ডে ৩ হাজার পাতার খসড়া চার্জশিট দিল্লি পুলিশের, রয়েছে শতাধিক সাক্ষীর বয়ান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লিভ-ইন পার্টনার শ্রদ্ধা ওয়ালকরকে (Shraddha Walkar) খুন করায় অভিযুক্ত আফতাব পুনাওয়ালা বর্তমানে জেল হেফাজতে। সূত্রের খবর, আজ তার বিরুদ্ধে ৩ হাজার পাতার খসড়া চার্জশিট প্রস্তুত করেছে দিল্লি পুলিশ। এই চার্জশিটে শ্রদ্ধা খুনের ঘটনার সঙ্গে জড়িত একাধিক প্রমাণ, তথ্য ও শতাধিক সাক্ষীদের বয়ান নথিভুক্ত করা হয়েছে। আফতাব পুনাওয়ালার গ্রেফতারের প্রায় আড়াই মাস পরে দিল্লি পুলিশ চার্জশিট জমা করতে চলেছে আদালতে।

    ৩ হাজার পাতার খসড়া চার্জশিটে কী রয়েছে?

    পুলিশ সূত্রে খবর, শ্রদ্ধার (Shraddha Walkar) খুনের ঘটনা নিয়ে তাঁর আত্মীয়, বন্ধু-বান্ধব থেকে শুরু করে প্রতিবেশীদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। তাঁদেরই বয়ান এই চার্জশিটে উল্লেখ করা হয়েছে। প্রায় ১০০ জনের বেশি সাক্ষীর বয়ান রয়েছে এই চার্জশিটে। শুধু তাই নয়, এই হত্যা নিয়ে আফতাব কী কী তথ্য দিয়েছে, তার শ্রদ্ধাকে খুন করার স্বীকারোক্তিরও উল্লেখ রয়েছে। আফতাবকে গ্রেফতার করার পরে আফতাবের নারকো টেস্ট, পলিগ্রাফ টেস্ট করা হয়েছে, সেই টেস্ট থেকে কী কী তথ্য পাওয়া গিয়েছে, সেগুলোও রয়েছে চার্জশিটে। এতে রয়েছে ফরেন্সিক পরীক্ষার রিপোর্ট। সূত্রের খবর, সেই খসড়া চার্জশিট এখন নিরীক্ষা করছেন আইন বিশেষজ্ঞরা। তার পর তা জমা পড়বে আদালতে।

    আরও পড়ুন: আফতাবের ভয়েস স্যাম্পলিং টেস্ট! শ্রদ্ধা হত্যাকাণ্ডে দিল্লি পুলিশের হাতে রহস্যময় অডিও ক্লিপ

    প্রসঙ্গত, গত বছরের ১৮ মে আফতাবের বিরুদ্ধে শ্রদ্ধাকে (Shraddha Walkar) খুন করার অভিযোগ ওঠে। শুধু তাই নয়, শ্রদ্ধাকে খুন করে ৩৫ টুকরোয় কেটে দিল্লির বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে দিয়েছিল বলে অভিযোগ ওঠে আফতাবের বিরুদ্ধে। সূত্রের খবর, দিল্লির আদালতে আফতাব নিজেও স্বীকার করেছিল যে, রাগের মাথায় সে শ্রদ্ধাকে খুন করেছিল।

    এর পর পুলিশ দিল্লির মেহরৌলির জঙ্গল থেকে কিছু দেহাংশ, হাড়, চুল উদ্ধার করে। সেগুলি শ্রদ্ধার (Shraddha Walkar) কিনা তা নিশ্চিত করতে ডিএনএ টেস্ট করায় পুলিশ। শ্রদ্ধার বাবার সঙ্গে ডিএনএ মিলে যেতেই পুলিশ নিশ্চিত হয় যে, উদ্ধার হওয়া দেহাংশ শ্রদ্ধারই। চার্জশিটে সেই ডিএনএ রিপোর্টের কথাও উল্লেখ করা হয়েছে বলে দিল্লি পুলিশ সূত্রে খবর।

    পুলিশের দাবি, প্রাথমিক ভাবে নিজের অপরাধের কথা সে স্বীকারও করে নিলেও, তা প্রমাণ করতে মরিয়া পুলিশ। তদন্ত যত এগোচ্ছে ততই নতুন নতুন তথ্য প্রকাশ্যে আসছে। শ্রদ্ধা খুনের ঘটনায় অভিযুক্তকে কঠোরতম শাস্তি দেওয়া হবে, বলে আগেই জানিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। এবারে এই চার্জশিট আদালতে জমা দেওয়ার পর আর কী কী তথ্য প্রকাশ্যে আসে, তারই অপেক্ষায় দেশবাসী।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Maharashtra: ছাত্রের সংখ্যা এক, শিক্ষকও এক! রয়েছে মিড-ডে মিলও! কেন এভাবে চলছে একটি সরকারি স্কুল?

    Maharashtra: ছাত্রের সংখ্যা এক, শিক্ষকও এক! রয়েছে মিড-ডে মিলও! কেন এভাবে চলছে একটি সরকারি স্কুল?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আপনি কি কখনও এমন একটি স্কুলের কথা শুনেছেন, যেখানে শুধুমাত্র একজন ছাত্র এবং সেই ছাত্রের জন্য শুধুমাত্র একজনই শিক্ষক আছে? সারা দেশে যখন স্কুলের শিক্ষা নিয়ে এত অভিযোগ, কোথাও পর্যাপ্ত সংখ্যক পড়ুয়া নেই তো কোথাও আবার অভাব রয়েছে শিক্ষকের। সেখানেই দেশের এক প্রান্তে এমনও একটি স্কুল রয়েছে, যেখানে পড়ুয়ার সংখ্যা মাত্র ১। আবার এই ছাত্রকেই পড়াতেই রোজ এক শিক্ষক ১২ কিমি চালিয়ে আসেন স্কুলে। ফলে এর থেকেই প্রমাণ হয় যে, চেষ্টা ও ইচ্ছা থাকলে সব সম্ভব। তবে অবাক হলেও এটিই সত্যি। একজন শিক্ষক ও একজন ছাত্রকে নিয়েই মহারাষ্ট্রের ওয়াসিম জেলার একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এভাবেই চলছে পড়াশোনা।

     কেন এমন অবস্থা এই সরকারি স্কুলের?

    মহারাষ্ট্রের ওয়াসিম জেলার সবথেকে ছোট গ্রাম হল গণেশপুর। এই গ্রামে জনসংখ্যা মাত্র ১৫০। গ্রামে রয়েছে একটিই জেলা পরিষদ প্রাথমিক বিদ্যালয়। সেখানে প্রথম থেকে চতুর্থ শ্রেণি অবধি পড়ানো হয়। কিন্তু যেখানে গ্রামের জনসংখ্যাই ১৫০, সেখানে খুদে পড়ুয়া আর ক’জন থাকবে! আপাতত গ্রামে প্রাথমিক স্কুলের পড়ুয়া রয়েছে একজনই। তৃতীয় শ্রেণিতে পড়ে সেই ছাত্র। পড়াশোনায় নাকি বেশ ভাল। তাকে পড়াতেই ১২ কিলোমিটার সাইকেল চালিয়ে স্কুলে আসেন শিক্ষক কিশোর মানকর। সব বিষয়েই পড়ান তিনি। তিনি জানিয়েছেন, তিনি বিগত দুবছর ধরে এই স্কুলে ওই ছাত্রকে পড়াচ্ছেন।

    একমাত্র পড়ুয়া হওয়া সত্ত্বেও শিক্ষা থেকে বঞ্চিত করা হয়নি এই ৮ বছর বয়সী কার্তিক সেগোকারকে। শুধুমাত্র তাঁর জন্যই চালু রাখা হয়েছে প্রাথমিক স্কুল। একটি স্কুলে যা যা নিয়ম পালন করা হয়, তা সমস্ত কিছুই অনুসরণ করা হয় এই স্কুলে। সকালে স্কুল শুরু হয় জাতীয় সঙ্গীত গেয়ে, এরপরে প্রার্থনার পর ঘড়ি ধরে ক্লাসও শুরু হয়। স্কুলে মিড ডে মিল খাওয়ানোর ব্যবস্থাও আছে। একজন ছাত্রের জন্যই রান্না হয় নিয়মিত। স্কুলের নিয়মে কোনও ফাঁকি নেই।

    শিক্ষক কিশোর মানকার বলেন, “গত ২ বছর ধরে স্কুলে শুধুমাত্র একজন ছাত্র ভর্তি হয়েছে। আমিই স্কুলে একমাত্র শিক্ষক। আমি তাকে সব বিষয়ে পড়াই। সকাল ১০:৩০ মিনিট থেকে দুপুর ১২ টা পর্যন্ত, আমি জাতীয় সঙ্গীত গাওয়া সহ সমস্ত নিয়ম-কানুন মেনে চলি। ছাত্রের জন্য মিড-ডে মিলসহ সরকার প্রদত্ত সব সুযোগ-সুবিধাও দেওয়া হয়।”

LinkedIn
Share