Author: নিমাই দে

  • Exam season: পরীক্ষার মরশুমে সন্তানের কোন দিকে বাড়তি খেয়াল রাখা জরুরি?

    Exam season: পরীক্ষার মরশুমে সন্তানের কোন দিকে বাড়তি খেয়াল রাখা জরুরি?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    শুরু হয়ে গিয়েছে পরীক্ষার মরশুম (Exam season)! একদিকে আবহাওয়ার রকমফের, আরেকদিকে পরীক্ষা। তাই এই মরশুমে সন্তানের স্বাস্থ্য নিয়ে বাড়তি উদ্বিগ্ন অভিভাবকদের একাংশ। অনেকেই সর্দি-কাশিতে ভোগে, ভাইরাস ঘটিত অসুখে কাবু হয়ে পড়ে, আবার অনেকের ভোগান্তি বাড়ায় হজমের গোলমাল, পেটের সমস্যা। তাই চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, এই সময়ে বাড়তি যত্ন ও নজরদারি জরুরি। সন্তানকে সুস্থ রাখার জন্য ঘরোয়া উপাদানেই ভরসা রাখছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। এবার দেখে নেওয়া যাক, কোন ঘরোয়া উপাদান সুস্থ রাখতে বিশেষ সাহায্য করবে?

    সকাল শুরু হোক তুলসীপাতা, কাঠবাদামের সঙ্গে (Exam season)

    বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, বছরের এই সময়ে আবহাওয়ার পরিবর্তন হয়।‌ ঘনঘন বদলে যায় তাপমাত্রার পারদ। আর এর প্রভাবে শরীরে একাধিক সমস্যা দেখা দেয়। গলাব্যথা, সর্দি-কাশি-জ্বরে নাজেহাল হতে হয়। তাই তাঁদের পরামর্শ, সকালে ঘুম থেকে উঠে কয়েকটা তুলসীপাতা ভেজানো এক গ্লাস জল খেয়ে নেওয়া জরুরি! তাঁরা জানাচ্ছেন, তুলসী পাতার একাধিক ঔষধিগুণ রয়েছে। তুলসী পাতা সর্দি-কাশি মোকাবিলায় বিশেষ সাহায্য করে। ঘুম থেকে উঠে প্রথমেই এই তুলসী পাতা ভেজানো জল খেলে সর্দি-কাশির মোকাবিলা সহজ হবে। যে কোনও ভাইরাস ঘটিত অসুখের বিরুদ্ধে দেহ প্রতিরোধ শক্তি গড়ে তুলতে পারবে। আরেকদিকে‌ খালি পেটে জল খেলে হজম শক্তি বাড়ে, পেটের গোলমাল কমে‌। তবে তার সঙ্গে গোটা পাঁচেক কাঠবাদাম খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, এই খাবারের পুষ্টিগুণ প্রচুর। কাঠবাদামে রয়েছে পর্যাপ্ত পরিমাণ খনিজ পদার্থ। তাই সকালে কাঠবাদাম খেলে সহজেই স্নায়ু সক্রিয় থাকে, মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বাড়ে।

    নিয়মিত একটা লেবু

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, এই আবহাওয়ায় (Exam season) শরীর সুস্থ রাখতে নিয়মিত একটা লেবু খাওয়া জরুরি। তাঁরা জানাচ্ছেন, লেবুতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি এবং ক্যালসিয়াম। তাই নিয়মিত যে কোনও একটা লেবু খেলে শরীরে রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়ে। যে কোনও রোগের বিরুদ্ধে মোকাবিলা সহজ হয়। শরীর সুস্থ থাকে। বিশেষত সর্দি-কাশির ভোগান্তি কমে।

    ভাতের সঙ্গে থাকুক টক দই (Exam season)

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, এই সময়ে অনেকেই পেটের সমস্যা এবং হজমের গোলমালে ভোগেন। তাই ভাতের সঙ্গে টক দই খাওয়া দরকার। তাঁরা জানাচ্ছেন, টক দই শরীরের জন্য বিশেষ উপকারী। এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে উপকারী ব্যাকটেরিয়া। যার ফলে অন্ত্র ভালো থাকে। হজম হয়। তাই নিয়মিত টক দই খেলে একাধিক পেটের সমস্যা সহজেই নিয়ন্ত্রণ করা যায়।

    পর্যাপ্ত ঘুম জরুরি

    পরীক্ষার দুশ্চিন্তায় (Exam season) বিশ্রামে ঘাটতি হলে চলবে না। এমনটাই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, নিয়মিত পর্যাপ্ত ঘুম জরুরি। সেদিকে অভিভাবকদের নজরদারি প্রয়োজন। তাঁরা জানাচ্ছেন, নিয়মিত পর্যাপ্ত ঘুমোলে তবেই শরীর সুস্থ থাকবে, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়বে, মস্তিষ্কের বিশ্রাম হলে তবেই স্মৃতিশক্তি বজায় থাকবে। আবার দেহের হরমোনের ভারসাম্য বজায় থাকবে। বিশ্রাম ঠিকমতো না হলে স্ট্রেস হরমোন অতিরিক্ত ক্ষরণ হবে, যা শরীরের পক্ষে বিপজ্জনক।

    নিয়মিত যোগাভ্যাসের জন্য সময় বরাদ্দ (Exam season)

    পরীক্ষার চাপ কমাতে এবং সুস্থ থাকতে নিয়মিত যোগাভ্যাসের পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, সকালে ঘুম থেকে উঠে কিছুটা সময় যোগাভ্যাসের জন্য বরাদ্দ করতে হবে। এতে দেহে রক্ত সঞ্চালন ঠিকমতো হবে। শরীরের সমস্ত পেশি ঠিকমতো কাজ করবে। মস্তিষ্কের স্নায়ু এবং কোষ সক্রিয় হবে। এর ফলে যে কোনও কাজে মনোযোগ বাড়বে। তাই সন্তান যাতে নিয়মিত যোগাভ্যাসের জন্য সময় বরাদ্দ করে, সেদিকে খেয়াল রাখার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

  • Hearing: শ্রবণশক্তি হারাচ্ছেন অধিকাংশ ভারতীয়! কী বলছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার রিপোর্ট?

    Hearing: শ্রবণশক্তি হারাচ্ছেন অধিকাংশ ভারতীয়! কী বলছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার রিপোর্ট?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    ‌বেড়েছে শব্দের দাপট। যে কোনও উৎসব উদযাপনে তীব্র শব্দের দাপট এখন অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িয়ে থাকে।‌ কালীপুজোর রাত হোক বা নতুন বছর শুরুর উদযাপন, বিকট জোরে গান বাজানো কিংবা শব্দবাজির তীব্র আওয়াজ এখন রেওয়াজ হয়ে দাঁড়িয়েছে। আর এই রেওয়াজেই বাড়ছে বিপদ। ভারতীয়দের মধ্যে বাড়ছে শ্রবণশক্তির (Hearing) সমস্যা। তীব্র হচ্ছে ‘চিরবধির’ হয়ে যাওয়ার ঝুঁকি। আর সবচেয়ে বেশি‌ দুশ্চিন্তা বাড়াচ্ছে শিশুদের সমস্যা। এমনটাই জানাচ্ছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সাম্প্রতিক রিপোর্ট।

    কী বলছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার রিপোর্ট? (Hearing)

    বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (World Health Organization) তরফে জানানো হয়েছে, ভারতে শ্রবণশক্তির সমস্যা বাড়ছে। অধিকাংশ মানুষের শ্রবণ ক্ষমতা হ্রাস পাচ্ছে। সাম্প্রতিক এক সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, ভারতের ৬৩ মিলিয়ন মানুষ শ্রবণযন্ত্রের গুরুতর সমস্যার ভুগছেন।‌ যার প্রভাবে তাদের শ্রবণ ক্ষমতা কমেছে। বাদ নেই শিশুরাও। ওই রিপোর্ট অনুযায়ী, সদ্যোজাত থেকে ছ’বছর বয়সি শিশুদের ২৩ শতাংশের শ্রবণ সমস্যা রয়েছে। আর সদ্যোজাত থেকে ১৯ বছর বয়সি ছেলেমেয়েদের ২০ শতাংশ শ্রবণ অক্ষমতার শিকার। এই পরিসংখ্যান‌ যথেষ্ট উদ্বেগজনক বলেই জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ।

    কেন শ্রবণ সমস্যা বাড়ছে?

    বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, ভারতে শ্রবণ সমস্যা বাড়ার প্রধান‌ কারণ অসচেতনতা।‌ তাঁরা জানাচ্ছেন, অধিকাংশ মানুষ শ্রবণযন্ত্রের যত্ন সম্পর্কে একেবারেই ধারণা রাখেন না। তীব্র শব্দ যে কতখানি গভীর প্রভাব ফেলতে পারে, সে সম্পর্কে অধিকাংশ মানুষের সচেতনতা খুবই কম। তাঁরা জানাচ্ছেন, প্রতি বছর দীপাবলির পরে ভারতের একাধিক হাসপাতালে শ্রবণ সমস্যায় ভুক্তভোগীর সংখ্যা বাড়ে। তারপরেও‌ সচেতনতা তলানিতে। যে কোনও উৎসবে শব্দবাজির দাপট অব্যাহত। এর ফলে কানের পর্দায় মারাত্মক চাপ পড়ছে। অনেক সময়েই ভিতরে রক্তক্ষরণ হচ্ছে। যা বোঝা যাচ্ছে না। আর সেই আঘাত থেকেই অকাল বধির হয়ে যাচ্ছেন। আর এর প্রভাব‌ শিশুদের উপরেই সবচেয়ে বেশি‌ পড়ছে। শিশুদের শ্রবণযন্ত্র আরও বেশি স্পর্শকাতর হয়। ফলে লাগাতার তীব্র আওয়াজে তাদের আরও বেশি ক্ষতি হচ্ছে।‌ যার জেরেই শিশুদের মধ্যে শ্রবণ সমস্যা (Hearing) বাড়ছে।
    শব্দ দূষণের পাশাপাশি পরিবেশ দূষণ ও ভাইরাসের দাপট বেড়ে‌ যাওয়ার জেরেও শ্রবণ সমস্যা দেখা‌ দিচ্ছে বলে জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, গত এক দশকে পৃথিবী জুড়ে‌ নানান ভাইরাসঘটতি অসুখের দাপট বেড়েছে। এর ফলে শরীরের নানান অঙ্গে সমস্যা তৈরি হচ্ছে। ভাইরাসঘটিত অসুখ সেরে গেলেও, তার প্রভাব শরীরের নানান অঙ্গে থেকে যাচ্ছে। সেই অঙ্গের কার্যশক্তি কমছে। শ্রবণ শক্তি হ্রাসের পিছনেও অনেক সময় এই কারণ দেখা যাচ্ছে।‌

    কী পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞ মহল? (Hearing)

    শ্রবণ সমস্যা নিয়ে সচেতনতা জরুরি বলেই জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, শ্রবণ ক্ষমতা অনেকের ধীরে ধীরে কমে। কিন্তু সচেতনতার অভাবে রোগ চিহ্নিত করতে অনেক দেরি হয়ে যায়। তখন চিকিৎসার বিশেষ সুযোগ থাকে না। তাই তাঁদের পরামর্শ, শ্রবণ শক্তি হ্রাস পাচ্ছে কিনা, সে নিয়ে সচেতনতা জরুরি।‌ বিশেষত শিশু ঠিকমতো শুনতে পাচ্ছে কিনা, শব্দের খেয়াল করতে পারছে কিনা, সে দিকে অভিভাবকদের নজরদারি জরুরি। তাহলে সমস্যা দেখা দিলে প্রথম থেকেই সতর্ক হওয়া যাবে। প্রয়োজনীয় চিকিৎসার মাধ্যমে সমাধান‌ করার চেষ্টা করা যাবে।
    পাশপাশি শ্রবণ সমস্যার এই বাড়বাড়ন্ত ঠেকাতে একমাত্র হাতিয়ার সচেতনতা এবং প্রশাসনিক তৎপরতা বলেই জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, সাধারণ মানুষকে শব্দ দূষণ নিয়ে সচেতন করতে হবে। দরকার হলে সরকারি-বেসরকারি উদ্যোগে স্কুল স্তর থেকেই নানান কর্মশালার আয়োজন করতে হবে।‌ পাশপাশি শব্দ দূষণ করলে তার আইনানুগ শাস্তি জরুরি। প্রশাসনকে সেই ব্যাপারে তৎপর হতে হবে। তবেই এই সমস্যা মোকাবিলা সম্ভব বলে জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞ মহল।

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

  • Climate change: তাপমাত্রার রকমফেরে ভোগান্তির শেষ নেই! কোন কোন রোগের প্রকোপ বাড়ছে?

    Climate change: তাপমাত্রার রকমফেরে ভোগান্তির শেষ নেই! কোন কোন রোগের প্রকোপ বাড়ছে?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    শীতের শেষ নাকি বসন্তের শুরু, স্পষ্ট করে বোঝা মুশকিল। সকালে গাঢ় কুয়াশা আর হিমেল হাওয়া। আবার বেলা বাড়তেই অস্বস্তি! সব মিলিয়ে আবহাওয়ার হাবভাব (Climate change) টের পাওয়া কঠিন। তাপমাত্রার পারদ ওঠানামা করছে! আর তার জেরেই বাড়ছে ভোগান্তি। বিশেষত প্রবীণ ও শিশুদের নিয়ে বাড়তি সমস্যা দেখা দিচ্ছে। তাই চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, সতর্কতা জরুরি। না হলেই বাড়াবাড়ি হতে পারে।

    কোন রোগের প্রকোপ বাড়ছে? (Climate change)

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, তাপমাত্রার পারদ ওঠানামা করছে। আর তার জেরেই বাতাসে নানান ভাইরাসের দাপট বাড়ছে। সক্রিয় হচ্ছে নানান ব্যাকটেরিয়া। আর তার জেরেই নানান রোগের ঝুঁকি বাড়ছে। ভাইরাস ঘটিত রোগের জেরে দেখা দিচ্ছে সর্দি-কাশি এবং জ্বর। বিশেষত শিশুদের এই সময়ে জ্বরের প্রকোপ বেশি‌ দেখা দিচ্ছে। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, প্রবীণদের ভোগান্তি বাড়াচ্ছে কাশি।‌ তাঁরা জানাচ্ছেন, অধিকাংশ প্রবীণ মানুষই‌ ফুসফুসের অসুখে কাবু। বায়ুদূষণ সহ একাধিক কারণে তাঁদের ফুসফুসের কার্যক্ষমতা কমছে। তার উপরে বাতাসে একাধিক ভাইরাস সক্রিয় হওয়ায় শ্বাসনালী এবং ফুসফুসে সংক্রমণের ঝুঁকিও বাড়ছে। তাই কাশির সমস্যা দেখা দিচ্ছে। অধিকাংশ ক্ষেত্রে কাশি কমতে অনেকটাই সময় নিচ্ছে। অর্থাৎ সংক্রমণের দাপট অত্যন্ত বেশি। তাই ভোগান্তি বাড়ছে।
    শ্বাসনালীর সংক্রমণের জেরেও নানান ভোগান্তি দেখা দিচ্ছে। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, অনেক সময়েই হাঁপানির সমস্যায় আক্রান্তদের ভোগান্তি বাড়াচ্ছে সর্দি-কাশি। তাই বছরের এই সময়ে তাঁদের বাড়তি সতর্কতা জরুরি।
    তাছাড়া, এই সময়ে পেটের সমস্যা দেখা দিচ্ছে। আবহাওয়ার এই পরিবর্তনের জেরে পেটের অসুখ দেখা দিচ্ছে। হজমের সমস্যাও দেখা দিচ্ছে।

    চিকেন পক্স

    তবে বছরের এই সময়ে চিকেন পক্স নিয়ে বাড়তি সতর্কতা জরুরি বলেই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ।‌ তাঁরা জানাচ্ছেন, এই সময়েই এই রোগের প্রকোপ বাড়ে। তাই এই সময়ে যাতে সর্দি-জ্বর কাবু করতে না পারে, সেদিকে খেয়াল রাখা জরুরি। এসবের পাশপাশি বছরের এই ঋতু পরিবর্তনের সময়ে (Climate change) অনেকেই ত্বকের সমস্যায় ভোগেন। এই সময়ে আবহাওয়ার জেরে এক ধরনের শুষ্কতা দেখা দেয়। তার ফলেই ত্বকের সমস্যা দেখা দেয়।

    কী পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকেরা? (Climate change)

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, ঋতু পরিবর্তনের এই সময়ে বাড়তি সতর্কতা জরুরি। ভোরে বা সন্ধ্যায় বাইরে থাকলে গলা ও মাথা হালকা কাপড়ে ঢেকে রাখলে ভালো। বিশেষ করে শিশু ও প্রবীণদের জন্য এই পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, ঠান্ডা হাওয়ার জেরে অনেক সময়েই আপার রেসপিরেটরি ট্র্যাকে ইনফেকশন হয়ে যায়। আর তার থেকেই জ্বর-কাশির মতো ভোগান্তি শুরু হয়। তাই সেদিকে খেয়াল রাখা জরুরি।
    পাশপাশি রাতে ঘুমানোর সময় পাতলা চাদর অবশ্যই রাখার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ।‌ তাতে ঠান্ডা লাগার ঝুঁকি কমবে।
    দেহের রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়ানোর দিকে বিশেষ নজরদারি প্রয়োজন বলেই মনে করছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়া ঘটিত অসুখের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য শরীর শক্তিশালী থাকা দরকার। তাই রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়ানো প্রয়োজন। তাই এই সময়ে (Temperature variation) নিয়মিত লেবুর রস খাওয়া দরকার। কারণ লেবুতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি। যা দেহের রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়ায়। সর্দি-কাশির ভোগান্তি কমায়। আবার ভিটামিন সি ত্বকের জন্যও উপকারী। তাই এই লেবু, কিউই জাতীয় ফল নিয়মিত খেলে ত্বকের শুষ্কতার সমস্যাও কমবে।
    পেটের অসুখ মোকাবিলায় এই সময়ে (Climate change) অতিরিক্ত পরিমাণ জল খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকেরা। তাঁরা জানাচ্ছেন, এই সময়ে আবহাওয়া শুষ্ক হয়। শরীরে যাতে জলের পরিমাণ কমে না যায়, সেদিকে খেয়াল রাখা জরুরি। তাই নিয়মিত পর্যাপ্ত পরিমাণে জল খাওয়া দরকার। ডিহাইড্রেশনের ঝুঁকি তাতে কমবে।
    সহজপাচ্য খাবার খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকেরা।‌ তাঁরা জানাচ্ছেন, মাছ-মাংস-ডিমের মতো প্রাণীজ প্রোটিন হোক কিংবা সব্জি, যেকোনও রান্না কম তেলমশলায় করতে হবে। যাতে হজম সহজেই হয়। তাহলে একাধিক অসুখ মোকাবিলা সহজ হবে।

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

  • Shantanu Banerjee: ‘প্রভাবশালী’দের কথায় কাজ করেছেন শান্তনু! ২৫টি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করল ইডি

    Shantanu Banerjee: ‘প্রভাবশালী’দের কথায় কাজ করেছেন শান্তনু! ২৫টি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করল ইডি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবারে শান্তনু ব্যানার্জির (Shantanu Banerjee) ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টও ফ্রিজ করল ইডি। ইডি সূত্রে খবর, ফ্রিজ করা হয়েছে শান্তনুর মোট ২৫টি অ্যাকাউন্ট। এই অ্যাকাউন্টগুলিতে প্রায় দেড় কোটি টাকা রয়েছে। ফ্রিজ হওয়া অ্যাকাউন্টগুলি শান্তনু, তাঁর স্ত্রী প্রিয়ঙ্কা ও তাঁদের সংস্থার। আবার নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে ইডির হাতে ধৃত হুগলির বলাগড়ের যুবনেতা শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়কে জেরা করে আরও এক চাঞ্চল্যকর তথ্য ইডির হাতে এসেছে। জানা গিয়েছে, কয়েকজন ‘প্রভাবশালীর’ নির্দেশে কাজ করেছেন শান্তনু (Shantanu Banerjee) , এমনটাই দাবি তাঁর।

    শান্তনুর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ

    এর আগের দিন রিমান্ড লেটারে দাবি করা হয়েছিল যে কুন্তল ঘোষ বিভিন্ন সময়ে প্রায় ১ কোটি টাকা নগদ শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Shantanu Banerjee) ধার দিয়েছিলেন। সেই টাকার খোঁজেই, শান্তনুর লেনদেন সম্পর্কিত তথ্য খতিয়ে দেখার প্রক্রিয়ায় ধৃত যুবনেতা, তাঁর স্ত্রী এবং তাঁদের সংস্থার নামে খোলা ২৫টির মত ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ‘ফ্রিজ’ করে দিয়েছে ইডি। এই সমস্ত অ্যাকাউন্টের গত পাঁচ বছরের লেনদেন ইডির নজরে রয়েছে। ওই অ্যাকাউন্টগুলির লেনদেন আপাতত বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। আগামী দিনে সেগুলি ‘অ্যাটাচ’ করা হবে। দফায় দফায় জেরা করা হচ্ছে শান্তনুকে।

    আরও পড়ুন: ২০১৮ সালে বিজেপি প্রার্থীর ‘কপালে পিস্তল ঠেকিয়ে’ মনোনয়ন প্রত্যাহার করিয়েছিলেন শান্তনু!

    শান্তনুর মুখে ‘প্রভাবশালী’দের কথা

    ইডি সূত্রে খবর, জেরায় শান্তনু (Shantanu Banerjee) তাঁদের কাছে দাবি করেছেন, কয়েক জন প্রভাবশালীর নির্দেশেই তিনি ‘সব কাজ’ করেছেন। হুগলিরই আর এক ধৃত যুবনেতা কুন্তল ঘোষ, যাঁকে নিয়োগকাণ্ডের ‘মাস্টারমাইন্ড’ বলে দাবি করেছিলেন শান্তনু, তাঁর মাধ্যমে প্রভাবশালীদের দেওয়া নির্দেশ কার্যকর করানো হত বলেও তদন্তকারীদের জানিয়েছেন তিনি। ইডি সূত্রে খবর, শান্তনু বর্ণিত ‘প্রভাবশালী’ কারা, তা জানার চেষ্টা চালাচ্ছেন তদন্তকারীরা। এই তথ্য কতটা সত্যি, তাও তদন্ত করা হচ্ছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।   

     

  • Anubrata Mondal: গরু পাচারের টাকায় সুকন্যার নামে ১৬ কোটির এফডি! মণীশ ‘মুখ খোলায়’ মহাবিপদে কেষ্ট-কন্যা?

    Anubrata Mondal: গরু পাচারের টাকায় সুকন্যার নামে ১৬ কোটির এফডি! মণীশ ‘মুখ খোলায়’ মহাবিপদে কেষ্ট-কন্যা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গরু পাচার কাণ্ডে ধৃত অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal)। ইডি হেফাজতে রয়েছেন কেষ্টর হিসেবরক্ষক মণীশ কোঠারি। অন্যদিকে কেষ্ট কন্যা সুকন্যাকে তলব করা হলেও এড়িয়ে যান তিনি। তবে তাঁকে আবার ২০ মার্চ তলব করেছে ইডি, সূত্রের খবর। এই পরিস্থিতিতে অবশেষে মণীশ কোঠারি কেষ্ট-সুকন্যার বিরুদ্ধে মুখ খুলতে শুরু করেছেন। আবার জানা গিয়েছে, এদিন দিল্লিতে ইডির সদর দফতরে হাজিরা দিলেন অনুব্রত মণ্ডলের বাড়ির পরিচারক তথা রাঁধুনি বিজয় রজক। শুক্রবার বেলার দিকে লাভপুর কলেজের অস্থায়ী কর্মী বিজয়কে ইডি দফতরে ঢুকতে দেখা যায়।

    অনুব্রতের বিরুদ্ধে সরব মণীশ কোঠারি

    ইডির জেরার মুখে চাপে পড়েন মণীশ কোঠারি। প্রথমে তিনি মুখ না খুললেও পরে তিনি সরব হন কেষ্টর (Anubrata Mondal) বিরুদ্ধে। তিনি জানিয়েছেন, গরু পাচারের কালো টাকাতেই অনুব্রত মণ্ডলের কন্যা সুকন্যা মণ্ডলের নামে ১৬ কোটি টাকার ফিক্সড ডিপোজিট করা হয়। মণীশ কোঠারি তদন্তকারীদের আরও জানিয়েছেন, অনুব্রত মণ্ডলের নির্দেশেই বিভিন্ন জায়গায় টাকা আমানত করেছেন তিনি। কোথায়, কার অ্যাকাউন্টে টাকা রাখা হবে, সেই নির্দেশ দিয়েছেন অনুব্রত মণ্ডলই।

    ইডি সূত্রের খবর, মণীশ ইডি আধিকারিকদের জানিয়েছেন, পেশাদার চাটার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট হিসেবে তিনি অনুব্রত মণ্ডলের নির্দেশ পালন করেছেন মাত্র এবং তাঁর কোনও কালো টাকা নেই। নিজেকে নির্দোষ বলেই দাবি করেছেন মণীশ কোঠারি। সুকন্যার নামে ১৬ কোটি টাকার ফিক্সড ডিপোজিট কীভাবে? এই ফিক্সড ডিপোজিটের উৎস কী? তা নিয়েই প্রশ্ন উঠছিল এতদিন। এরপর মণীশের বয়ান থেকেই জানা গেল, কালো টাকাতেই এই ফিক্সড ডিপোজিট।

    সুকন্যার বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ ইডির

    অন্যদিকে জানা যাচ্ছে, সুকন্যাকে এর আগে দিল্লিতে তলব করা হলেও হাজিরা দেননি তিনি। এবারে কিছুদিনের সময় দিয়ে ফের ২০ মার্চ তলব করা হয়েছে তাঁকে। কিন্তু ২০ মার্চও তাঁর দিল্লিতে ইডি দফতরে হাজিরার সম্ভাবনা কম বলেই জানাচ্ছে ঘনিষ্ঠ মহল। অসুস্থতার কথা বলে সেইদিনও তিনি যদি হাজিরা এড়িয়ে যান তাহলে বাবা ও মেয়েকে মুখোমুখি বসিয়ে ইডির জেরা করতে পারার সম্ভাবনা কমে যাবে বলে মনে করছেন ওয়াকিবহাল মহল। কারণ, পরের দিনই অর্থাৎ ২১ মার্চ অনুব্রতর ইডি হেফাজতের মেয়াদ শেষ হচ্ছে। এরপর তাঁকে ফের আদালতে পেশ করা হবে। তারপর যদি জেল হেফাজতের নির্দেশ দেয় আদালত, তাহলে কেষ্ট মণ্ডল যেতে পারেন তিহাড়ে। ফলে প্রশ্ন উঠছে, বাবার (Anubrata Mondal) মুখোমুখি বসিয়ে যাতে সুকন্যাকে জেরা করতে না পারে ইডি, তাই তাঁর এমন কৌশল? তবে, সুকন্যার বিরুদ্ধে এবারে নোটিশ জারি করল ইডি। আগামী সোমবারের মধ্যে দিল্লিতে ইডি অফিসে হাজিরা না দিলে সুকন্যা মণ্ডলের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে বলে বার্তা দিয়েছেন তদন্তকারীরা। সুকন্যার আইনজীবী মারফত তাঁর কাছে এই মর্মে একটি চিঠিও পাঠানো হয়েছে বলে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট সূত্রে খবর।

    হাজিরা দিলেন কেষ্টর বাড়ির পরিচারক

    ইডি সূত্রে খবর, শুধু সুকন্যা নন, গরু পাচার মামলার তদন্তে অনুব্রতের (Anubrata Mondal) মুখোমুখি বসিয়ে তাঁর হিসাবরক্ষক মণীশ কোঠারি-সহ মোট ১২ জন সন্দেহভাজন এবং সাক্ষীদের জিজ্ঞাসাবাদ করতে চেয়ে নোটিশ পাঠিয়েছে তদন্তকারী সংস্থা। ইডি সূত্রেরই দাবি, ওই ১২ জনের তালিকাতেই ছিলেন কেষ্টর বাড়ির পরিচারক বিজয়। বোলপুর হাটতলা এলাকার বাসিন্দা বিজয় অনুব্রতের অত্যন্ত বিশ্বস্ত বলে পরিচিত। ইডি সূত্রের দাবি, অনুব্রতের বাড়ির পরিচারকদের অ্যাকাউন্টে নানা সময় বহু টাকার লেনদেন হয়েছে। সেই সূত্রে বিজয়ের একাধিক অ্যাকাউন্টের হদিশও মিলেছে। সেই সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করতেই তাঁকে তলব করা হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। ফলে আজ তিনি ইডি দফতের হাজিরা দেন। এনাকেও জেরা করার পর কী কী তথ্য প্রকাশ্যে আসে, এটাই এখন দেখার।

  • Calcutta High Court: নিয়োগ খারিজ করার হুঁশিয়ারি! এসএসসির চেয়ারম্যানকে আদালতে তলব বিচারপতির

    Calcutta High Court: নিয়োগ খারিজ করার হুঁশিয়ারি! এসএসসির চেয়ারম্যানকে আদালতে তলব বিচারপতির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবারে এসএসসির চেয়ারম্যানকে সশরীরে হাজিরার নির্দেশ দিলেন বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা (Calcutta High Court)। আগামী শুক্রবার রিপোর্ট নিয়ে হাজির থাকার নির্দেশ দিলেন তিনি। এদিন ২০১১ সালের প্রাথমিক টেটে প্রশ্ন ভুলের অভিযোগ ঘিরে একটি মামলায় কমিশনকে তীব্র ভর্ৎসনা করলেন বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা। তিনি কমিশনের উদ্দেশ্যে বলেন, “আদালতের সঙ্গে খেলবেন না। আপনারা নিয়োগ করছেন,আবার আপনারাই ভুল প্রশ্ন করছেন? সব পরিকল্পিত। বলতে দ্বিধা নেই, একটা গোটা প্রজন্মের ভবিষ্যত নিয়ে খেলছে কমিশন।”

    কোন মামলায় এমন মন্তব্য বিচারপতির?

    ২০১১ সালের আপার প্রাইমারি প্রার্থীদের পরীক্ষায় ভুল ও সিলেবাসের বাইরের প্রশ্ন করেছিল এসএসসি (SSC)। এমনটাই অভিযোগ তুলে মামলা করেছিলেন ৮৩ জন। মামলাকারীদের হয়ে আদালতে সওয়াল করেন আইনজীবী শামিম আহমেদ। গত বছর জুন মাসে মামলাকারীদের নম্বর দিতে নির্দেশ দেয় হাইকোর্ট (Calcutta High Court। কিন্তু কোর্টের নির্দেশ অমান্য করে সেই নম্বর না দেওয়ায় এসএসসি-কে চরম ভর্ৎসনা করলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা।

    আরও পড়ুন: মিড ডে মিলের হিসেব খতিয়ে দেখতে রাজ্যে আসছে কেন্দ্রীয় অডিট দল, ট্যুইট শুভেন্দুর

    আর কী বললেন বিচারপতি?

    এদিন তিনি (Calcutta High Court হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, “আপনাদের প্রতিটি পদক্ষেপ সন্দেহজনক। আপনাদের ভাবমূর্তি নষ্ট হচ্ছে। প্রয়োজনে সব নিয়োগ খারিজ করে দেব। আমি সব নিয়োগে সন্দেহ করছি। আমাকে বাধ্য করবেন না আরও কড়া পদক্ষেপ করতে। আপনারা ভেবেছেন কী? আপনারা কোর্টের নির্দেশের উপরে খবরদারি করছেন! আগেও এই মামলায় আমি বলেছিলাম, দুর্নীতি হয়েছে। কিন্তু আজও দেখছি সেই একই পথে হাঁটছে এসএসসি।”

    ভর্ৎসনার শেষে এদিন আদালত (Calcutta High Court স্পষ্ট নির্দেশ দিয়ে জানায়, এই মামলায় এসএসসি-র চেয়ারম্যান যে হলফনামা দিয়েছেন, তা গ্রহণযোগ্য নয়। এরপরেই  আগামী শুক্রবার, ২৪ মার্চ রিপোর্ট নিয়ে কমিশনের চেয়ারম্যানকে সশরীরে হাজির থাকার নির্দেশ দেন বিচারপতি।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ। 

     

  • Kalbaisakhi In Kolkata: মরশুমের প্রথম কালবৈশাখী বঙ্গে, কতদিন চলবে ঝড়-বৃষ্টি?

    Kalbaisakhi In Kolkata: মরশুমের প্রথম কালবৈশাখী বঙ্গে, কতদিন চলবে ঝড়-বৃষ্টি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মরশুমের প্রথম কালবৈশাখী পেল কলকাতা (Kalbaisakhi In Kolkata)। ভ্যাপসা গরম থেকে স্বস্তি শহরবাসীর। গতকাল রাতের বেলা বৃষ্টিতে ভিজল শহর কলকাতা সহ দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলা। প্রথমে রাতের দিকেই শুরু হয় দমকা হাওয়া ও বৃষ্টি। কোনও কোনও জেলায় হয়েছে শিলাবৃষ্টিও। বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই শহরের আকাশ আংশিক মেঘলা ছিল। দিনের বেলায় ছিল গুমোট ভাব। এরপর রাতে শুরু হল বৃষ্টি। এই প্রথম কালবৈশাখীর হাত ধরে পারদ নামল রাজ্যে। জানা গিয়েছে, আজও বৃষ্টি হবে দক্ষিণবঙ্গে।

    মরশুমের প্রথম কালবৈশাখী

    মরশুমের প্রথম কালবৈশাখী শুরু হয় বৃহস্পতিবার থেকে (Kalbaisakhi In Kolkata)। আবহাওয়া দফতর অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার রাত ১০টা ৫২ মিনিট নাগাদ দমদমের উপর দিয়ে ৬৪ কিমি বেগে পশ্চিমমুখী ঝড় বয়ে গিয়েছে। অন্য দিকে, রাত ১০টা ৩৭ মিনিট নাগাদ আলিপুরের উপর দিয়ে ৪৮ কিমি বেগে উত্তর-পশ্চিমমুখী একটি ঝড় বয়ে গিয়েছে। এই ঝড়ের ফলে এখনও পর্যন্ত কোথাও কোনও ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি। বৃহস্পতিবার রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় বৃষ্টি হয়েছে। নদিয়া, পূর্ব বর্ধমানের কালনায় শিলাবৃষ্টি হয়েছে। বৃষ্টি হয়েছে পুরুলিয়া, বর্ধমান, মেদিনীপুর, হুগলিতেও।

    আরও পড়ুন: মোদি জমানায় ভারতীয়দের মাথা পিছু আয় বেড়ে দ্বিগুণ হয়েছে, বলছে রিপোর্ট

    এছাড়াও কালবৈশাখীর তাণ্ডব দেখা গিয়েছে নদিয়া, পশ্চিম বর্ধমান, পূর্ব বর্ধমান, পশ্চিম মেদিনীপুর সহ একাধিক জেলায়। তবে দক্ষিণবঙ্গের যে সকল জেলায় কালবৈশাখী হয়নি সেখানে শুক্রবার দুপুরের পর যে কোনও সময় কালবৈশাখীর সম্ভাবনা রয়েছে। এ ক্ষেত্রে দেড় থেকে দু’ঘণ্টা আগে সতর্কতা জারি করবে আলিপুর আবহাওয়া দফতর।

    উত্তরবঙ্গের আবহাওয়া

    দক্ষিণবঙ্গের আগে বুধবার উত্তরবঙ্গে বিভিন্ন জেলায় ঝড়বৃষ্টি হয়েছে। কিছু জেলায় শিলাবৃষ্টিও হয়েছে। আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস, উত্তরবঙ্গেও বজ্রবিদ্যুৎ সহ কালবৈশাখীর দাপট দেখা যাবে। উত্তরবঙ্গের কোনও কোনও জায়গায় আগামী ২৪ ঘণ্টায় ফের শিলাবৃষ্টির সম্ভাবনাও রয়েছে। বৃষ্টি হতে পারে দার্জিলিং, কালিম্পং, আলিপুরদুয়ার, দুই দিনাজপুর এবং মালদায়।

    ঝড়-বৃষ্টি কতদিন পর্যন্ত চলবে?

    হাওয়া অফিস সূত্রের খবর, আগামী মঙ্গলবার পর্যন্ত এরকমই আবহাওয়া থাকবে। কলকাতা, দুই ২৪ পরগনা, হাওড়া, হুগলি, দুই মেদিনীপুর, পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, বীরভূম, নদিয়া, মুর্শিদাবাদ, ঝাড়গ্রাম, দুই বর্ধমানে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টি হতে পারে। বৃষ্টির সঙ্গে বইতে পারে দমকা হাওয়া। উত্তরবঙ্গের জেলাগুলিতেও বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। বৃষ্টির সঙ্গে কোথাও কোথাও ঘণ্টায় ৩০-৪০ কিমি বেগে ঝোড়ো হাওয়া বইতে পারে। এই দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ায় ক্ষয়ক্ষতি হতে পারে বলে প্রস্তুতি নিতে শুরু করছে রাজ্য সরকার। কোথাও যাতে বিদ্যুৎ বিভ্রাটে সমস্যা না হয় সেটা নিশ্চিত করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ইতিমধ্যেই। খোলা হচ্ছে কন্ট্রোল রুমও।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Soup: ঘন ঘন সর্দি-কাশিতে কাবু! ইমিউনিটি বাড়াতে খান এই স্বাস্থ্যকর স্যুপগুলো

    Soup: ঘন ঘন সর্দি-কাশিতে কাবু! ইমিউনিটি বাড়াতে খান এই স্বাস্থ্যকর স্যুপগুলো

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিদায় নিয়েছে শীতকাল ও শেষের পথে বসন্ত কালও। আর এই গরমের শুরুতেই শুরু হয়েছে ঘন ঘন হাঁচি, সর্দি, কাশি, ফ্লুয়ের মত সমস্যা। এই আবহে রাজ্যে আবার অ্যাডিনো ভাইরাসের প্রকোপ, আর দেশ জুড়ে নতুন করে আতঙ্ক ছড়াচ্ছে ইনফ্লুয়েঞ্জা। যার কারণে শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল হওয়া কোনও অস্বাভাবিক ঘটনা নয়। ফলে ঋতু পরিবর্তনের সময় খাদ্যতালিকায় কিছু রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিকারী খাবার যোগ করার পরামর্শ দেন চিকিত্‍সকরা। যাতে এই পরিবর্তনশীল আবহাওয়ার সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিতে সাহায্য করতে পারে। তাই শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে খাদ্য তালিকায় যোগ করতে পারেন এই স্যুপগুলি (Soup)।

    ইমিউনিটি বৃদ্ধিকারী স্যুুপ

    গাজর আদার স্যুপ

    গাজর ভিটামিন এ, সি এবং বি৬ সমৃদ্ধ, যা আপনার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। আদা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং খনিজ সমৃদ্ধ যা রোগ সংক্রমণ থেকে আপনাকে দূরে রাখে। আদা ও গাজরের স্যুপ সর্দি এবং কাশির জন্য একটি কার্যকরী। এটিকে আরও সুস্বাদু ও স্বাস্থ্যকর করে তুলতে এই স্যুপে গোল মরিচ এবং রসুনও যোগ করুন।

    টোম্যাটো ও গোল মরিচের স্যুপ

    ইমিউনিটি বুস্টার হিসেবে কাজ করে টোম্যাটো স্যুপ। প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ, সি, ই, কে রয়েছে এতে। এছাড়াও শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, অ্যান্টি-মাইক্রোবিয়াল বৈশিষ্ট্য রয়েছে গোল মরিচে। এই দুই উপকরণের ফলে সংক্রমণ প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে টোম্যাটো ও গোল মরিচের স্যুপ।

    মিক্সড ভেজিটেবল স্যুপ

    বিভিন্ন রকমের সবজি যেমন-মটর, গাজর, টোম্যাটো, ফ্রেঞ্চ বিন ইত্যাদি, প্রয়োজনে আরও সবজি যোগ করে তৈরি করা হয় ভেজিটেবল স্যুপ। যা আপনার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তোলে। এই স্যুপে মিশিয়ে নিন লবণ, গোলমরিচ এবং জিরে গুঁড়ো।

    রসুন স্যুপ

    যদি আপনি রসুনের গন্ধ সহ্য করতে পারেন, তবে এই স্যুপ আপনারই জন্য এবং রোগ প্রতিরোধেও কার্যকরী। রসুনে কিছু স্বাস্থ্যকর সালফিউরিক যৌগ রয়েছে যা আপনার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে শক্তিশালী করতে সাহায্য করে। বিভিন্ন সবজি গাজর, বাঁধাকপি, পেঁয়াজ, মটর, ভুট্টার সঙ্গে রসুন মিশিয়ে তৈরি করুন এই স্যুপ।

    থুকপা স্যুপ

    হিমালয় অঞ্চলের ঐতিহ্যবাহী খাবার এই লাদাখি চিকেন থুকপা। চিকেনের সঙ্গে সবজি, কাটা রসুন, আদা, স্প্রিং অনিয়ন, কাঁচালঙ্কা, স্বাদমত নুন, সয়াসস এবং ধনে পাতা ছড়িয়ে তৈরি করুন এই স্যুপ। এটি স্বাস্থ্যের পক্ষে খুবই উপকারী।

    মিষ্টি আলুর স্যুপ

    মিষ্টি আলুতে রয়েছে ক্যারোটিনয়েড, অ্যান্থোসায়ানিন, ভিটামিন এবং পটাসিয়াম। এগুলি আপনার প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে এবং প্রদাহ প্রতিরোধ করতে সহায়তা করে। এটি অন্ত্রের জন্যও উপকারী।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Recruitment scam: চাকরি বিক্রির ডিল হত কফি শপে বসে! তিনটি হোটেলের সিসিটিভি ফুটেজ চাইল ইডি

    Recruitment scam: চাকরি বিক্রির ডিল হত কফি শপে বসে! তিনটি হোটেলের সিসিটিভি ফুটেজ চাইল ইডি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে (Recruitment scam) আরও এক চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রকাশ্যে এসেছে। জানা গিয়েছে, চাকরির ডিল করা হত কফি শপে বসে। ফলে নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে এবার কলকাতা ও লাগোয়া এলাকার তিনটি অভিজাত হোটেলের কফি শপের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ চাইল ইডি। কেন্দ্রীয় তদন্ত এজেন্সি সূত্রে খবর, ওই হোটেলের ক্যাফেটেরিয়ায় কফির কাপে চুমুক দিতে দিতে নিয়োগ দুর্নীতির ব্লুপ্রিন্ট, টাকা লেনদেন সংক্রান্ত বৈঠক হয়েছিল।

    ইডি আর কী কী জানাল?

    নিয়োগ দুর্নীতিতে (Recruitment scam) গ্রেফতার হয়েছেন প্রাক্তন তৃণমূল যুবনেতা কুন্তল ঘোষ ও শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়। ইডি সূত্রে খবর, শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়কে জিজ্ঞাসাবাদ করতেই তাঁরা জানতে পেরেছেন শহর কলকাতার তিনটি অভিজাত হোটেলের কফিশপে শান্তনু, কুন্তল, তাপস মণ্ডলরা বিভিন্ন সময় বৈঠক করেছেন। শান্তনুর বয়ানের উপর ভিত্তি করে এই তিনটি হোটেলের সিসিটিভি ফুটেজ চেয়ে পাঠানো হয়েছে। ইডি গোয়েন্দারা যাচাই করে দেখতে চাইছেন শান্তনুর বয়ানের সত্যতা কতটা। এমনকী এও দেখা হচ্ছে, শান্তনু, কুন্তল ছাড়া আর কারা উপস্থিত থাকতেন ওই বৈঠকে।

    আরও পড়ুন: দিল্লিতে পরবর্তী এসসিও-র বৈঠকের জন্য পাকিস্তানকে আমন্ত্রণ মোদির, কী করবে ইসলামাবাদ?

    সূত্রের খবর, ২০১৭ সালের পর থেকে বিভিন্ন সময়ে এইসব অভিজাত হোটেলগুলির কফি শপে শান্তনু, কুন্তলদের সঙ্গে বৈঠক হয়েছিল বলে খবর। জানা গিয়েছে, এই তালিকায় রয়েছে আলিপুরের একটি নামী হোটেলও। ওই কফি শপগুলিতে হয়েছে একাধিক বৈঠক। কোন কোন চাকরি প্রার্থীদের কাছ থেকে কত টাকা নেওয়া হবে। তা সমস্ত কিছুই ঠিক করা হত এই বৈঠকে। শান্তনু ও কুন্তল ঘোষ ছাড়া বৈঠকে কারা থাকতেন, তা জানতেই শহরের তিন অভিজাত হোটেলের কফি শপের ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরার ফুটেজ চাওয়া হয়েছে বলে ইডি সূত্রে জানা গেছে।

    সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে নিয়োগ দুর্নীতিতে কুন্তল এবং শান্তনুর যোগাযোগ সম্পর্কে আরও তথ্য ইডির হাতে আসতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। কফি শপে গিয়ে তাঁদের মধ্যে কোনও টাকার লেনদেন হয়েছে কি না, তা-ও ফুটেজ দেখে বোঝার চেষ্টা করবেন তদন্তকারীরা। এর ফলে তদন্তে সুবিধা হতে পারে। তবে কোন তিন কফি শপে কুন্তল আর শান্তনু দেখা করতেন, তদন্তের স্বার্থে আপাতত তা গোপন রাখতে চাইছে ইডি। তবে এখন এটাই দেখার যে, ফুটেজে কী পায় ইডি। 

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • STF: ছাগল ব্যবসার আড়ালে মাদকের কারবার! শহরে উদ্ধার কোটি কোটি টাকার মাদক, গ্রেফতার দম্পতি

    STF: ছাগল ব্যবসার আড়ালে মাদকের কারবার! শহরে উদ্ধার কোটি কোটি টাকার মাদক, গ্রেফতার দম্পতি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের শহরে উদ্ধার টাকা ও প্রায় ৫ কোটি টাকার মাদক। জানা গিয়েছে, ছাগলের ব্যবসার আড়ালে চলছিল মাদকের কারবার। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে বৃহস্পতিবার ভোরে সল্টলেকের সুকান্তনগরের নওভাঙা এলাকার একটি পাঁচ তলার ফ্ল্যাটে তল্লাশি চালিয়ে উদ্ধার হয়েছে ৫ কেজি ব্রাউন সুগার ও লক্ষাধিক টাকা। এরপর এক মহিলা-সহ দু’জনকে গ্রেফতার করেছে রাজ্য পুলিশের স্পেশাল টাস্ক ফোর্স (STF)।

    ঠিক কী ঘটেছে?

    সূত্রের খবর, ওই ফ্ল্যাটের বাসিন্দা মোমিন খান। তিনি পেশায় ব্যবসায়ী। তিনি ও তাঁর স্ত্রী এই মাদক ব্যবসার সঙ্গে জড়িত ছিল বলে সূত্র মারফত জানা গিয়েছে। পুলিশের দাবি, মাদক চক্রের পাণ্ডা মহম্মদ মোমিন খান ও তাঁর স্ত্রী মেহতাব। বিশেষ করে মোমিনের স্ত্রী মেহতাবই এই মাদকচক্রের কিংপিন। এর আগেও মাদককাণ্ডে গ্রেফতার হয়েছিলেন মেহতাব। ওই দম্পতিকে আটক করেছে পুলিশ(STF)।

    গোপন সূত্রে খবর পেয়ে গতকাল সন্ধ্যায় সুকান্তনগরে মোমিনের ৫ তলার ফ্ল্যাটে হানা দেয় এসটিএফ। ফ্ল্যাটের বিভিন্ন জায়গা থেকে লুকনো মাদক ও টাকা উদ্ধার করে। এই মাদক কোথা থেকে আনা হয়েছিল, কোথায় পাচারের পরিকল্পনা ছিল, খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

    সূত্রের খবর, ১৫ ঘণ্টার বেশি সময় ধরে ফ্ল্যাটটিতে তল্লাশি চালাচ্ছিলেন গোয়েন্দারা। এসটিএফ সূত্রে খবর, প্রায় সাড়ে ৩ কিলোগ্রাম হেরোইন উদ্ধার করা হয়েছে। সেই সঙ্গে মিলেছে হেরোইন এবং ব্রাউন সুগারের মত মাদক তৈরির জন্য প্রয়োজনীয় প্রায় দেড় কিলোগ্রাম রাসায়নিক। এছাড়াও প্রায় নগদ ৫ লক্ষ টাকা উদ্ধার হয়েছে। টাকাগুলিকে গোয়েন্দারা ট্রাঙ্কে করে নিয়ে গিয়েছেন। বাজেয়াপ্ত হয়েছে বেশ কিছু নথি (STF)।

    কীভাবে খোঁজ পেল এসটিএফ?

    এসটিএফ সূ্ত্রে খবর, এই ঘটনার আগে পার্কসার্কাস এলাকার একটি বাড়িতে প্রথমে হানা দেয় গোয়েন্দারা। সেই জায়গা থেকেই প্রথমে বেনিয়াপুকুর থানা এবং তারপরে রাজ্য পুলিশের এসটিএফ-এর (STF) নার্কোটিক শাখার কাছে বিধাননগর দক্ষিণ থানা এলাকার, সল্টলেক সেক্টর চারের, ৫বি, নওভাঙার এই বাড়ির দিকে নজর পরে। এরপরে জিজ্ঞাসাবাদ করতে করতে এই বিষয়ে ক্রমশ এসটিএফ নিশ্চিত হয় যে, এই ফ্ল্যাটে এমন কিছু লোকের যাতায়াত আছে যাদের গতিবিধি অত্যন্ত সন্দেহজনক। তখনই জানতে পারে, ছাগলের ব্যবসার আড়ালেই মাদকের ব্যবসা চালাত ওই ব্যক্তি। ধৃতদের বিরুদ্ধে মাদক আইনে বিধাননগর দক্ষিণ থানায় মামলা রুজু করা হয়েছে। ধৃতদের রবিবার আদালতে তোলা হবে।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share