Author: নিমাই দে

  • Recruitment Scam: এজেন্ট নিয়োগ করে বিক্রি হচ্ছে চাকরি! মধুপুরেও শিক্ষক প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের হদিশ! দাবি ইডির

    Recruitment Scam: এজেন্ট নিয়োগ করে বিক্রি হচ্ছে চাকরি! মধুপুরেও শিক্ষক প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের হদিশ! দাবি ইডির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে ধুন্ধুমার পরিস্থিতি বাংলায়। একের পর পর শাসক দলের নেতা মন্ত্রীরা ধরা পড়েছে তদন্তকারী সংস্থার হাতে। সম্প্রতি শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে গ্রেফতার হয়েছেন যুব তৃণমূলের রাজ্য সম্পাদক কুন্তল ঘোষ। গ্রেফতার করার পর তাঁকে জেরা করতেই উঠে আসছে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য। এবার এই যুব নেতাকে জেরা করে আরও এক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পেল ইডি, যা শুনে তদন্তকারীদের চক্ষু চড়কগাছ। চাকরিপ্রার্থীদের সঙ্গে নিয়োগ কর্তাদের যোগাযোগ রাখতে রীতিমত এজেন্ট নিয়োগ করেছিলেন কুন্তল। তাঁরাই টাকা পয়সা লেনদেনের বিষয়টি দেখভাল করত। এছাড়াও জানা গিয়েছে, এবার আরও একটি শিক্ষক প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের হদিশ পাওয়া গিয়েছে মধুপুরে। অভিযোগ, এই প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে ভর্তি হতে গেলে খরচ করতে হয় লক্ষ লক্ষ টাকা। এমনই চাঞ্চল্যকর তথ্য ইডির।

    বিস্ফোরক স্বীকারোক্তি কুন্তলের

    ইডি সূত্রে খবর, শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির ক্ষেত্রে এতদিন মিডিলম্যান, এবং সুপারিশকারী, মূলত ২টি শ্রেণির মাধ্যমেই ব্যাপকহারে দুর্নীতি হত বলে তথ্য প্রমাণ ছিল ইডির হাতে। এজেন্টদের ব্যাপারে তেমন কোনও প্রমাণ ছিল না ইডির কাছে। তবে এবার কুন্তলের বয়ানে এজেন্টদের বিষয়টিও জলের মত পরিষ্কার হয়ে গেল তদন্তকারী সংস্থার কাছে। সূত্রের খবর, জেরায় কুন্তল জানিয়েছেন, চাকরিপ্রার্থীদের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় একার পক্ষে সবার সঙ্গে যোগাযোগ রাখা সম্ভব হচ্ছিল না তাঁর। ফলে বিভিন্ন পদে চাকরির জন্য আলাদা আলাদা এজেন্ট নিয়োগ করেছিলেন তিনি। চাকরিপ্রার্থীদের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করতেন তাঁরাই। টাকা পয়সা লেনদেনের বিষয়টিও দেখত তাঁরা।

    এখানেই শেষ নয়, কুন্তলের আরও দাবি, কোন প্রার্থী কবে কোথায় হাজিরা দেবে, কার কাছে নথিপত্র জমা করবে, কোন নথি সংগ্রহ করবে, এই সমস্ত বিষয়টি দেখতেন এই এজেন্টরাই। তাঁরাই নিয়ত চাকরিপ্রার্থীদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতেন। এরপর এজেন্টদের থেকে টাকা বুঝে নিতেন কুন্তল নিজে। আর এসব কথা জানার পরেই এখন কুন্তল ও তাপস মণ্ডলের কাছ থেকে এজেন্টদের তালিকা তৈরি শুরু করেছেন ইডির গোয়েন্দারা। প্রত্যেককে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে বলে সূত্রের খবর।

    আরও পড়ুন: সনাতন ধর্মই ভারতের রাষ্ট্রীয় ধর্ম, সাফ জানালেন যোগী আদিত্যনাথ

    শিক্ষক প্রশিক্ষণের নামে টাকা তোলার অভিযোগ কুন্তলের বিরুদ্ধে 

    এর আগে হুগলি ধনিয়াখালির ভান্ডারহাটিতে কুন্তলের একটি শিক্ষক প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের খোঁজ মেলে বলে অভিযোগ ওঠে। ধনিয়াখালির পর এবার মধুপুর এলাকা। মধুপুরও ধনিয়াখালি থানার অন্তর্গত। অভিযোগ, ২০১৬ সালের আগে এই প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে প্রশিক্ষণ নিতেন বহু ছাত্র ছাত্রী। যদিও ২০১৬ সালের পর প্রশিক্ষণ কেন্দ্রটি বন্ধ হয়ে যায়। প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের সংস্কারের কাজ হবে বলে তা বন্ধ রাখা হয়। অভিযোগ, এই প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে ভর্তি হতে গেলে খরচ করতে হত লক্ষ লক্ষ টাকা। এতদিন কুন্তল ঘোষের নামে চাকরি বিক্রির অভিযোগ ছিল। এবার সেই তালিকায় যুক্ত হল প্রশিক্ষণ দেওয়ার নামে টাকা তোলার অভিযোগ। এইসব বিস্ফোরক তথ্য প্রকাশ্যে আসতেই সব অভিযোগই খতিয়ে দেখছে ইডির আধিকারিকরা।

  • Padma Shri: গরিবের ‘ক্যাপ্টেন ডাক্তার’! পদ্মশ্রী পেলেন জব্বলপুরের ২০ টাকার চিকিৎসক

    Padma Shri: গরিবের ‘ক্যাপ্টেন ডাক্তার’! পদ্মশ্রী পেলেন জব্বলপুরের ২০ টাকার চিকিৎসক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বর্তমানে প্রায়ই শুনতে পাওয়া যায় চিকিৎসকদের দায়িত্ব জ্ঞানহীনতা, অর্থ লোভের কাহিনী। এরই মধ্যে ব্যতিক্রমও রয়েছেন কেউ কেউ। এক চিকিৎসক রয়েছেন, তাঁকে এককথায় ঈশ্বরই বলা চলে। যেখানে কিছু চিকিৎসক এমন রয়েছেন, টাকা ছাড়া চিকিৎসাই করেন না, সেখানে এমন একজনও রয়েছেন, যিনি দিনের পর দিন মাত্র ২০ টাকাতেই চিকিৎসা করে চলেছেন। কেউ কেউ আবার সামান্য ২০ টাকা দিতেও পারেন না। কিন্তু তাতেও কোনও আপত্তি নেই এই ডাক্তারবাবুর। তাঁদেরকে বিনামূল্যেই চিকিৎসা পরিষেবা দিয়ে যাচ্ছেন তিনি। তাঁকেই আজ পদ্মশ্রী সম্মানে সম্মানিত করল কেন্দ্রীয় সরকার। তিনি হলেন ডা. এম সি দাওয়ার।

    গরিবের ডাক্তারবাবু এবার পেলেন পদ্মশ্রী

    এখন বয়স ৭৭। রোগী দেখা শুরু করেছিলেন মাত্র দুই টাকা দিয়ে। পরিস্থিতির চাপে তা সামান্য বাড়াতে হয়েছিল। তাও সেটা সামান্য। দুই টাকার পরিবর্তে সেটা বাড়িয়ে করেন ২০ টাকা। চেম্বার খোলার আগেই রোগীগের লম্বা লাইন পড়ে যায়। এবারের পদ্ম সম্মান প্রাপকদের তালিকায় তাঁরও নাম রয়েছে। আসন্ন স্বাধীনতা দিবসে বাকিদের সঙ্গে তিনিও গ্রহণ করবেন পদ্ম সম্মান।

    আরও পড়ুন: জীবন কাটছে জেলখানায় বন্দিদের মতো! চিনের শিনজিয়াং প্রদেশে উইঘুর মুসলিমদের কী অবস্থা জানেন?

    ডাক্তার আদতে পাক পাঞ্জাব প্রদেশের বাসিন্দা ছিলেন। অবিভক্ত স্বাধীন ভারতে ১৯৪৬-য়ের ১৬ জানুয়ারি তাঁর জন্ম। দেশ ভাগের পরে পরিবার নিয়ে চলে আসেন। বর্তমানে মধ্যপ্রদেশের জব্বলপুরে বাড়ি ডা. এম সি দাওয়ারের। তাঁকে চেনেন না এমন কোনও লোক নেই সেই জেলায়। পাড়ার লোকজন বলেন, ‘ক্যাপ্টেন ডাক্তার’। কারণ একসময় ভারতীয় সেনাবাহিনীতে ছিলেন তিনি। ১৯৭১ সালে ভারত-পাক যুদ্ধে ভারতীয় বাহিনীর হয়ে লড়াই করেছিলেন। সেনা ক্যাম্পের ডাক্তারও ছিলেন। ১৯৭২ সাল থেকে নিজের চেম্বার খোলেন সাধারণ মানুষের জন্য। সেই সময় তাঁর ফি ছিল ২ টাকা। এখন হয়েছে ২০ টাকা। দিতে না পারলেও আপত্তি নেই। ডাক্তারবাবুর সাফ কথা, “মানুষটা তো আগে বাঁচুক।”

    পদ্মশ্রীতে ভূষিত হওয়ার পরে, ডা. দাওয়ার সংবাদমাধ্যমে বলেন, “কঠোর পরিশ্রম ফল দেয়, এমনকি দেরি হলেও। এটি তারই ফল এবং এটি মানুষের আশীর্বাদ যে আমি এই পুরস্কার পেয়েছি।” নিজের জীবনের অভিজ্ঞতার কথা বলতে গিয়ে তিনি বলেন, “এত কম পারিশ্রমিক নেওয়ার বিষয়ে অবশ্যই বাড়িতে আলোচনা হয়েছিল, তবে এটি নিয়ে কোনও বিতর্ক ছিল না। আমাদের একমাত্র লক্ষ্য ছিল জনগণের সেবা করা, তাই ফি বাড়ানো হয়নি। সাফল্যের মূল মন্ত্র হল আপনি যদি ধৈর্য ধরে কাজ করেন তবে আপনি অবশ্যই সাফল্য পাবেন এবং সাফল্যও সম্মানিত হবে।”

  • Uluberia: মেয়ের শ্লীলতাহানির প্রতিবাদ করায় পিটিয়ে ‘খুন’ বাবা! নৃশংস ঘটনায় শাসকদলকে কটাক্ষ বিজেপির

    Uluberia: মেয়ের শ্লীলতাহানির প্রতিবাদ করায় পিটিয়ে ‘খুন’ বাবা! নৃশংস ঘটনায় শাসকদলকে কটাক্ষ বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পশ্চিমবঙ্গে ক্রমশ বেড়েই চলেছে দুষ্কৃতিদের দাপট। খুন, মারামারি, শ্লীলতাহানির মত ঘটনা রাজ্যজুড়ে ঘটেই চলেছে, আর এখন এর প্রতিবাদ করতে গিয়েও দোষীদের কাছেই মারধর খেতে হচ্ছে। আর এমনই এক ঘটনায় মৃত্যু হল এক ব্যক্তির। জানা গিয়েছে, মেয়ের শ্লীলতাহানির প্রতিবাদ করতে গিয়েই দুষ্কৃতীদের হাতে খুন হয় বাবা। ঘটনাটি উলুবেড়িয়ার শ্যামপুরের নস্করপুর এলাকার। পিটিয়ে খুনের অভিযোগ উঠেছে এলাকারই ৩ যুবকের বিরুদ্ধে। এক অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছিল আগেই। বাকি ২ অভিযুক্তকেও বুধবার গ্রেফতার করল পুলিশ। ক্ষোভে ফেটে পড়েছে এলাকার বাসিন্দারা। অভিযুক্তদের কঠোরতম শাস্তির দাবি জানিয়েছেন তাঁরা। মেয়েকে বাঁচাতে গিয়ে বাবার দুষ্কীতিদের হাতে মৃত্যু, বাংলার এই নৃশংস ঘটনায় শাসকদলের বিরুদ্ধে সরব হয়েছে অন্যান্য রাজনৈতিক দল।  

    ঠিক কী ঘটেছিল?

    পুলিশ সূত্রে খবর, ওই দশম শ্রেণীর ছাত্রী হাওড়ার নস্করপুরের বাসিন্দা। রবিবার সন্ধ্যায় গোবিন্দপুর এলাকায় প্রাইভেট টিউশন পড়তে গিয়েছিল সে। রাত ন’টা নাগাদ টিউশন পড়ে বাড়ি ফিরছিল। অভিযোগ, সেই সময় তার পথ আটকায় ৩ মদ্যপ যুবক। অভিযোগ, ছাত্রীর শ্লীলতাহানি করা হয়। ওই পড়ুয়া বাড়িতে গিয়ে তার বাবাকে বিষয়টা জানায়। স্বাভাবিকভাবেই ক্ষুব্ধ হন তিনি। রবিবার রাতেই ওই দুষ্কৃতীদের কাছে যান নাবালিকার বাবা। ঘটনার প্রতিবাদ করেন।

    অভিযোগ, এর পরেই ওই ছাত্রীর বাবাকে আক্রমণ করে দুষ্কৃতীরা। তাঁকে অন্ধকার ফাঁকা মাঠে নিয়ে গিয়ে বেধড়ক মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। দুষ্কৃতীদের মারধরে অচৈতন্য হয়ে পড়েন ওই ছাত্রীর বাবা। এরপর তাঁকে উদ্ধার করে প্রথমে শ্যামপুরের একটি গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে উলুবেড়িয়া মহকুমা হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয় ওই ব্যক্তিকে। এরপর সোমবার রাতে মৃত্যু হয় ওই ব্যক্তির।

    আরও পড়ুন:‘সিন্ধ আর অত্যাচার সহ্য করবে না’, জিএম সৈয়দের জন্মদিনে পাকিস্তানকে হুঁশিয়ারি

    এই ঘটনায় ইতিমধ্যেই শ্যামপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে মৃতের পরিবার। ধৃতদের বিরুদ্ধে খুন এবং পকসো আইন-সহ একাধিক জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা দায়ের হয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে। তাঁদের উলুবেড়িয়া আদালতে হাজির করানো হবে বুধবার। অভিযুক্ত ৩ যুবকের মধ্যে এলাকার দুই ভাই রয়েছে বলেও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে। স্থানীয় মানুষের অভিযোগ এলাকায় মদ বিক্রি প্রচণ্ড বেড়েছে। পুলিশকে জানিয়েও কোনও লাভ হয়নি। যারা মদের কারবার করে, তাঁরা এলাকায় বেশ প্রভাবশালী।

    শাসকদলকে কটাক্ষ বিজেপির

    এই নৃশংস ঘটনায় শাসকদল ও রাজ্যের আইনশৃঙ্খলাকে কটাক্ষ করে বিজেপির মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য বলেছেন, বাংলায় দুষ্কৃতিরা ভয় পায় না। তারা আত্মবিশ্বাসী যে, রাজ্যে কেউ তাদের কোনও ক্ষতি করবে না। তারা পুলিশ বা আইনশৃঙ্খলাকেও ভয় পায় না। এছাড়াও রাজ্যের অন্যান্য দলের নেতারা প্রশ্ন করেছেন, “এক ব্যক্তি তাঁর মেয়েকে শ্লীলতাহানির হাত থেকে বাঁচাতে গিয়ে মারা গেলেন। এটা নিয়ে কি সরকারের লজ্জা হওয়া উচিত নয়? এটি একটি দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা। এই অনাচারের জন্য কি তৃণমূল দায়ী নয়?”

    রাজ্যে মহিলাদের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন

    প্রসঙ্গত, রাজ্যের বিভিন্ন জায়গা থেকে প্রায় প্রতিদিনই কোনও না কোনও নারী নিগ্রহের অভিযোগ সামনে আসে। সেই তালিকায় নতুন সংযোজন উলুবেড়িয়ার এই ঘটনা। যার ফলে রাজ্যে ফের মহিলাদের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।

  • Manik Bhattacharya: ওএমআর শিট দেখতে না দেওয়ার জের! ফের মানিককে ৫ লক্ষ টাকা জরিমানা হাইকোর্টের

    Manik Bhattacharya: ওএমআর শিট দেখতে না দেওয়ার জের! ফের মানিককে ৫ লক্ষ টাকা জরিমানা হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরও বিপাকে জেলবন্দি তৃণমূল বিধায়ক তথা প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি মানিক ভট্টাচার্য। ফের জরিমানার মুখে পড়লেন তিনি। পাঁচ লক্ষ টাকা জরিমানা করল কলকাতা হাইকোর্ট। এবার এক প্রার্থীকে ওএমআর শিট দেখতে না দেওয়ায় তাঁকে ৫ লক্ষ টাকা জরিমানা করেছে। বুধবার এই নির্দেশ দিয়েছেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। এর আগে এক প্রার্থীর পরীক্ষার ফল না জানানোয় মানিককে ২ লক্ষ টাকা জরিমানা করেছিল আদালত।

    কী অভিযোগ করেছেন মামলাকারী?

    সহিলা পারভিন নামে ২০১৭ সালের এক প্রাথমিক টেট পরীক্ষার্থী আদালতে অভিযোগ করেন, ২০১৭ সালে পরীক্ষা দিয়েও ফলাফল জানতে পারেননি তিনি। এরপর সেই ওএমআর দেখার জন্য আবেদন করেন তিনি। তার পর পর্ষদের তরফে জানানো হয়েছিল, ৫০০ টাকা ড্রাফট কেটে নির্দিষ্ট ফরম্যাটে আবেদন করতে হবে। নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে টাকা জমা দিয়েই পরীক্ষার ওএমআর শিট দেখার আবেদন করেছিলেন তিনি। কিন্তু পর্ষদ তাঁকে তাও দেখতে দেয়নি। উল্টে তাঁকে জানানো হয়, সঠিক ফরম্যাটে আবেদন করেননি তিনি। কিন্তু অভিযোগকারীর দাবি, যে ফরম্যাটে তিনি আবেদন করেছেন, সেটি ছাড়া আর কোনও ফরম্যাট নেই। সেই কারণে তিনি হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন। আর যেসময়ে সহিলা পারভিন অভিযোগ করছেন, সেই সময় প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি ছিলেন মানিক ভট্টাচার্য।

    আরও পড়ুন: আট বছরেও মেলেনি পরীক্ষার ফল, টেট পরীক্ষার্থীর অভিযোগে মানিককে জরিমানা আদালতের

    বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশ

    এই মামলার রায়ে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় বুধবার জানান, সঠিক পদ্ধতি অনুসরণ করে আবেদন করলেও সহিলা পারভিনকে ওএমআর শিট দেখতে দেওয়া হয়নি। এজন্য মানিক ভট্টাচার্যকে ৫ লক্ষ টাকা জরিমানা করল আদালত। আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যেই সেই টাকা জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।

    প্রসঙ্গত, এই জরিমানাই প্রথম নয়, এর আগেও মানিককে জরিমানা করেছে হাইকোর্ট। এর আগে মালারানী পাল নামে এক চাকরিপ্রার্থী অভিযোগ করেছিলেন যে, পরীক্ষার আট বছর পরও তাঁকে ফলাফল জানায়নি পর্ষদ। ফলে সেই অভিযোগের ভিত্তিতে মানিক ভট্টাচার্যকে ২ লক্ষ টাকা আর্থিক জরিমানার নির্দেশ দিয়েছিল বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের একক বেঞ্চ।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • SSC Scam: “টাকার বিনিময়ে চাকরি, ইয়ার্কি হচ্ছে?”, গ্রুপ ডি-এর ওএমআর শিট প্রকাশের নির্দেশ বিচারপতি বসুর

    SSC Scam: “টাকার বিনিময়ে চাকরি, ইয়ার্কি হচ্ছে?”, গ্রুপ ডি-এর ওএমআর শিট প্রকাশের নির্দেশ বিচারপতি বসুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবারে এসএসসি গ্রুপ ডি মামলায় কড়া বার্তা দিলেন বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু (Justice Biswajit Basu)। এই মামলার শুনানিতে ফের একবার আদালতের ভর্ৎসনার মুখে সিবিআই। বিচারপতি বসুর মন্তব্য, “ঘুষ দিয়ে চাকরি পাওয়া ব্যক্তিদের সরাসরি জিজ্ঞাসা করুন, কাকে টাকা দিয়েছে? কাদের টাকা দিয়েছে জানতেই হবে সিবিআইকে।” এ ব্যাপারে এসএসসিকে ৭ দিন সময় দিয়ে বিচারপতি বসু বলেছেন, “গাজিয়াবাদ থেকে পরীক্ষার্থীদের যে উত্তরপত্র  বা ওএমআর শিট উদ্ধার করা হয়েছে, তা ৩১ জানুয়ারির মধ্যে এসএসসিকে নিজেদের ওয়েবসাইটে আপলোড করতে হবে।” আগামী ৮ ফেব্রুয়ারি এই মামলার পরবর্তী শুনানি। অন্যদিকে ঘুষ দিয়ে যারা চাকরি পেয়েছেন এদিন তাদেরও চরম ভর্ৎসনা করেন বিচারপতি।

    বিচারপতির প্রশ্নের মুখে সিবিআই ও বেআইনি চাকরিপ্রার্থী

    এসএসসি গ্রুপ ডি মামলার শুনানিতে এদিন একাধিক প্রশ্নের মুখে পড়তে হয় সিবিআইকে। স্কুল সার্ভিস কমিশনের গ্রুপ ডি পদে নিয়োগে বেনিয়মের অভিযোগ ওঠে। সেই অভিযোগের ভিত্তিতেই এই মামলা হয়েছিল। এদিন বিচারপতি বসু বলেন, “কাকে টাকা দেওয়া হয়েছে সেই তথ্য জানতেই হবে সিবিআইকে। ঘুষ দিয়ে যারা চাকরি পেয়েছেন তাদের জিজ্ঞাসা করুন টাকা তারা দিয়েছেন কাকে?”

    এদিন বেআইনি চাকরীপ্রার্থীদেরও তিরস্কার করা হয়। “পড়ুয়াদের কথা না ভেবে টাকা দিয়ে চাকরি পেয়েছে। আবার আদালতে এসে কথা বলছে, ইয়ার্কি হচ্ছে?” অবৈধ চাকরিপ্রাপকদের উদ্দেশে মন্তব্য বিচারপতি বসুর।

    আরও পড়ুন: ইস্তফা প্রকাশ তৃণমূলের, ভোট কিনতে বাংলার মতো টাকার টোপ মেঘালয়েও!

    গাজিয়াবাদ থেকে উদ্ধার করা ওএমআর শিট প্রকাশের নির্দেশ

    এসএসসি পরীক্ষার্থীদের অন্তত ৪৪৮৭টি উত্তরপত্র বা ওএমআর শিটের সন্ধান গাজিয়াবাদে পাওয়া গিয়েছে বলে জানিয়েছিলেন তদন্তকারীরা। সেই উত্তরপত্রই এসএসসির ওয়েবসাইটে আগামী ৭ দিনের মধ্যে প্রকাশ করার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি বসু। এর আগে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ও গ্রুপ ডি সংক্রান্ত মামলায় ওএমআর প্রকাশের নির্দেশ দিয়েছিলেন। এবারে বিচারপতি বসুও তাই করলেন। তবে তিনি এবারে সময় বেঁধে দিলেন।

    এসএসসি-র উদ্দেশে কী বললেন বিচারপতি বসু?

    এদিন এসএসসি-কে ক্ষুব্ধ বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু প্রশ্ন করেন, যদি এই সব কর্মীদের সরিয়ে দেওয়া হয়, তাহলে সেখানে দ্রুত নিয়োগের জন্য কতটা প্রস্তুত এসএসসি? কর্মী না থাকলে যে স্কুল চালানো সমস্যা হবে, সে কথাও উল্লেখ করেন বিচারপতি। এর পর তিনি নতুন নিয়োগের কথাও উল্লেখ করে বলেন। আর এসএসসির কাছে নতুন নিয়োগ নিয়ে প্রস্তুতির কথাও জানতে চেয়েছেন বিচারপতি। কমিশনের উদ্দেশে বিচারপতি বসুর মন্তব্য, “দুর্নীতি যেখানে পরিষ্কার, সেখানে কেন এই ব্যক্তিদের এখনও সরিয়ে দিতে পদক্ষেপ করা হচ্ছে না। কিসের জন্য অপেক্ষা করা হচ্ছে?” পরবর্তী শুনানির দিন বিচারপতির প্রশ্নের উত্তর দিতে পারবে বলেও জানানো হয়েছে। তবে তার আগে বিচারপতির নির্দেশে ওএমআর শিট প্রকাশের অপেক্ষায় চাকরিপ্রার্থীরা।

  • Republic Day: প্রজতন্ত্র দিবসের অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি রিকশাচালক, সবজি বিক্রেতা সহ সেন্ট্রাল ভিস্তা ও কর্তব্যপথের কর্মীরা

    Republic Day: প্রজতন্ত্র দিবসের অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি রিকশাচালক, সবজি বিক্রেতা সহ সেন্ট্রাল ভিস্তা ও কর্তব্যপথের কর্মীরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রজাতন্ত্র দিবস নিয়ে রাজধানী দিল্লির বুকে সাজো সাজো রব। শুরু হয়ে গিয়েছে ২০২৩ প্রজাতন্ত্র দিবসের প্রস্তুতি। তবে ২০২৩ সালের প্রজাতন্ত্র দিবস হতে চলেছে ভারতের ইতিহাসে এক অনন্য দিন। এবারের কুচকাওয়াজে বিশেষ অতিথিদের পাশাপাশি সামনের সারিতে থাকবেন রিকশাচালক থেকে শুরু করে সবজি বিক্রেতা সহ শ্রমিকও। যেসব শ্রমিক সেন্ট্রাল ভিস্তা, কর্তব্য পথ তৈরির কাজে যুক্ত রয়েছে তাঁদের আমন্ত্রণ করা হয়েছে। প্রজাতন্ত্র দিবসের বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠান দেখার সুযোগ হয় না যেসব মানুষের, এবার তাঁদের জন্যই এই বিশেষ উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।

    প্রজাতন্ত্র দিবসের অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি

    এই বছরের উদযাপনের থিম হল ‘পার্টিসিপেশন অফ দ্য কমন পিপল’ অর্থাৎ “সাধারণ মানুষের অংশগ্রহণ”। সংবাদমাধ্যম সূত্রের খবর, প্যারেড চলাকালীন শ্রমজীবীরা অর্থাৎ ​​যে শ্রমিক সেন্ট্রাল ভিস্তা তৈরিতে সাহায্য করেছেন, তাঁদের পরিবার, কর্তব্য পথের রক্ষণাবেক্ষণ কর্মী এবং সম্প্রদায়ের অন্যান্য সদস্যরা যেমন রিকশাচালক, ছোট মুদি এবং সবজি বিক্রেতারা প্রধান মঞ্চের সামনে বসে থাকবেন। সব মিলিয়ে এক হাজার মানুষ এই অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির সম্মান পাবেন।

    প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের তরফে জানা গিয়েছে, কর্তব্য পথ তৈরির ক্ষেত্রে যাঁরা কাজ করেছেন, প্রজাতন্ত্র দিবসের অনুষ্ঠানে তাঁদের বিশেষ আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। এছাড়াও তফসিলি জাতি, দিব্যাঙ্গদের মধ্যে থেকেও বহু মানুষকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। গতবছরও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi) প্রজাতন্ত্র দিবসের প্যারেডের জমকালো অনুষ্ঠানে অটোরিকশা চালক, নির্মাণ শ্রমিক, সাফাইকর্মী এবং ফ্রন্টলাইন কর্মীদের আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন।

    তবে কোভিড বিধি মেনে দর্শকের সংখ্যা অনেক কমিয়ে দেওয়া হয়েছে। প্রজাতন্ত্র দিবসের অনুষ্ঠানের আসন সংখ্যা নামিয়ে আনা হয়েছে ৪৫০০০-এ। ৪৫০০০ টি আসনের মধ্যে ৩২০০০ টি এই বছর সাধারণ জনগণের জন্য অনলাইন বুকিংয়ের জন্য উপলব্ধ হবে, যেখানে দ্য বিটিং রিট্রিটে মোট আসনের ১০ শতাংশ অনলাইন বুকিংয়ের জন্য উপলব্ধ হবে। শুধুমাত্র ভ্যাকসিন নেওয়া থাকলেই এই অনুষ্ঠানে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হবে।

    প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে, চলতি বছরের এই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন মিশরের প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাট্টা আল সিসি। জানা গিয়েছে, মিশর থেকে ১২০ জনের প্রতিনিধিদল অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকতে পারেন। এছাড়াও এবারে দেশের প্রজাতন্ত্র দিবসে নজর কাড়তে চলেছে প্রযুক্তি। ৩,৫০০ টি ড্রোন নিয়ে এক বিশেষ শোয়ের আয়োজন করা হয়েছে। অন্যদিকে, অনুষ্ঠানের আগে নিরাপত্তায় মুড়ে ফেলা হয়েছে গোটা দিল্লি। সীমান্তে এলাকায় কড়া নজরদারি চালাচ্ছে দিল্লি পুলিশ।

  • Sudheer Verma: ফিরে এল সুশান্তের স্মৃতি! ‘আত্মহত্যা’ করলেন তেলেগু জনপ্রিয় অভিনেতা সুধীর বর্মা

    Sudheer Verma: ফিরে এল সুশান্তের স্মৃতি! ‘আত্মহত্যা’ করলেন তেলেগু জনপ্রিয় অভিনেতা সুধীর বর্মা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরও এক নক্ষত্রপতন! আরও এক অভিনেতার রহস্যমৃত্যু! জনপ্রিয় তেলুগু সিনেমার তরুণ অভিনেতা সুধীর বর্মা প্রয়াত। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, আত্মহত্যা করেছেন ৩৩ বছর বয়সী অভিনেতা সুধীর বর্মা (Sudheer Varma)। এই মৃত্যু ফের মনে করিয়ে দিচ্ছে সুশান্ত সিং রাজপুতের কথা। তরুণ অভিনেতা তথা পরিচালকের মৃত্যুতে শোকের পরিবেশ তৈরি হয়েছে তেলুগু সিনেমা জগতে।

    সুধীরের রহস্যমৃত্যুতে স্মৃতি ফিরল সুশান্তের

    পরিবার সূত্রে পাওয়া খবর অনুযায়ী বিষ খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিলেন সুধীর। পরিবারের লোকেদের নজরে আসায় গত ১৮ জানুয়ারি তাঁকে একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। ক্রমাগত অবস্থার অবনতি ঘটতে থাকে। চিকিৎসকদের বহু চেষ্টায়ও শেষ রক্ষা হল না। গতকাল তাঁর মৃত্যু হয়।

    ২০২০ সালের ১৪ জুন নিজের ফ্ল্যাট থেকে বলিউড অভিনেতা সুশান্ত সিং রাজপুতের দেহ উদ্ধার করা হয়েছিল। সুশান্ত আত্মহত্যা করেছিলেন, এখনও অবধি এই তথ্যই পাওয়া গেছে পুলিশের থেকে। ফলে তেত্রিশের সুধীরের অস্বাভাবিক মৃত্যু সুশান্তের মৃত্যুকে মনে পড়িয়ে দিয়েছে। তবে পুলিশ এ বিষয়ে এখনও কিছু স্পষ্ট ভাবে জানায়নি। তবে এখনও পর্যন্ত জানা গিয়েছে যে, সুধীর আত্মহত্যা করেছেন। সুধীরের মৃত্যুতে শোকপ্রকাশ করেছেন তেলুগু সিনেমা জগতের অনেক শিল্পী। ‘কুণ্ডানাপু বোম্মা’ ছবিতে সুধীরের সহঅভিনেতা সুধাকর কোমাকালু ট্যুইটারে লিখেছেন, “একজন ভাল মানুষ চলে গেল। তোমার সঙ্গে কাজের প্রতিটা মুহূর্তই সুন্দর ছিল। তুমি আর নেই মানতেই পারছি না। ওম শান্তি।”

    সূত্রের খবর, ব্যক্তিগত জীবনে কঠিন পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে যাচ্ছিলেন তিনি। যে কারণে এই চরম পদক্ষেপ তিনি নিতে বাধ্য হন। যদিও কোনো সুইসাইড নোট উদ্ধার হয়নি বলেই খবর পুলিশ সূত্রে। তবে কী এমন সমস্যা ছিল অভিনেতার জীবনে, যা কাছের মানুষেরা কেউই টের পেল না। কেরিয়ারে ওঠা-নামা ছিলই। তবু তারই মাঝে নিজের অভিনয় ক্ষমতায় জায়গা করে নিয়েছিলেন সুধীর। পরিচালনার দায়িত্বও সামলেছেন একইভাবে। তবে প্রশ্ন উঠছে কেন এমন সিদ্ধান্ত হঠাৎ নিলেন অভিনেতা। পরিবারের তরফে কোনওকিছুই জানা যায়নি এব্যাপারে।

    তেলুগু ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির জনপ্রিয় মুখ সুধীর…

    থিয়েটারের মাধ্যেমে অভিনয়ে হাতেখড়ি সুধীরের। ২০১৩ সালে প্রথম বড় পর্দায় পা রাখেন। সুধীর বর্মার প্রথম সিনেমা সিদ্ধার্থ ও সাথী রেড্ডি অভিনীত ‘স্বামী রা রা’ ২০১৩ সালে রিলিজ করে। বক্স অফিসের হিসেব বলছে বেশ ভাল আয় হয়েছিল ছবিটি থেকে। বর্মার দ্বিতীয় ছবি ‘দোচে’। নাগা চৈতন্য ও কৃতি শ্যানন অভিনীত এই ছবিটিও বক্স অফিসে হিট। এরপর ২০১৭ সালে সুধীরের পরিচালনায় ‘কেশভা’ ছবিতে মুখ্যচরিত্রে অভিনয় করেছিলেন।

    প্রসঙ্গত, বিনোদন জগতে ক্রমে বেড়েই চলেছে অভিনেতা-অভিনেত্রীদের আত্মহত্যা। গত মাসে টেলি অভিনেত্রী তুনিশা শর্মার আত্মহত্যা নাড়িয়ে দিয়েছিল বিনোদন জগতকে। তার আগে সুশান্ত সিংহ রাজপুতের আত্মহত্যা। ফের বিনোদন জগতের আর এক অভিনেতার এমন অস্বাভাবিক মৃত্যু!

  • West Bengal Weather: মাঘেও উধাও শীত! গরমেই কাটবে সরস্বতী পুজো, জানিয়ে দিলেন আবহবিদরা

    West Bengal Weather: মাঘেও উধাও শীত! গরমেই কাটবে সরস্বতী পুজো, জানিয়ে দিলেন আবহবিদরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মাঘের শুরুতেও আবহাওয়ার খামখেয়ালি চলছেই। কখনও উষ্ণ তো কখনও শীতের আমেজ৷ জাঁকিয়ে শীত পড়ার সম্ভাবনাও নেই বলে জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর। ফলে গরমেই কাটাতে হবে সরস্বতী পুজো, এমনটাই ইঙ্গিত আবহাওয়া দফতরেরে। আজ, সোমবার থেকেই পারদ চড়তে শুরু করেছে শহরে। রবিবার কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৬.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা স্বাভাবিকের চেয়ে দুই ডিগ্রি বেশি। সোমবার সকালে তা বেড়ে কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা হয়েছে ১৬.৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। চলতি শীতের মরশুমে প্রথমে জাঁকিয়ে শীত পড়লেও ইনিংসটা লম্বা হল না, আর এর পিছনে কারণ ঝঞ্ঝা। প্রধানত পশ্চিমী ঝঞ্ঝা ও ঘূর্ণাবর্তের কারণেই রাজ্যে তাপমাত্রা চড়ার পূর্বাভাস দিয়েছে আলিপুর হাওয়া অফিস।

    কলকাতার আবহাওয়া

    আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, আবহাওয়া থাকবে রবিবারের মতই। সকালের দিকে কোনও কোনও জায়গায় কুয়াশা থাকলেও সাধারণভাবে আকাশ পরিষ্কার থাকবে। সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রা থাকতে পারে ২৮ ও ১৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশেপাশে। এদিন কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৬.৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা স্বাভাবিকের থেকে ৩ ডিগ্রি বেশি। আগামী তিন চার দিনে আরও দু’থেকে তিন ডিগ্রি তাপমাত্রা বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। কলকাতার ক্ষেত্রে দিনের তাপমাত্রা ২৮ ডিগ্রির কাছাকাছি পৌঁছে যাবে। এর ফলে সরস্বতী পুজোর সময় ঠাণ্ডার বদলে উষ্ণ থাকবে আবহাওয়া। হাওয়া অফিস বলছে, শীত তার পুরনো ছন্দে এই মরশুমে আর ফিরবে কিনা তা নিয়ে সন্দেহ আছে। ফিরলেও সেই দাপট আর দেখা যাবে না।

    আরও পড়ুন: আজ হঠাৎ পারদ পতন! তবে সরস্বতী পুজো কাটবে গরমেই! কী বলছেন আবহবিদরা?

    উত্তরবঙ্গ ও দক্ষিণবঙ্গের আবহাওয়া

    উত্তরবঙ্গের ক্ষেত্রে আগামী তিনদিন তাপমাত্রার খুব একটা পরিবর্তন হবে না৷ ঠান্ডার ভাব বজায় থাকবে৷ সোমবার ভোরের দিকে হালকা কুয়াশা থাকলেও দিন রৌদ্রজ্জ্বল। বেলা গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে শীতের আমেজ অনেকটাই উধাও হবে। সর্বোচ্চ এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২৮ ডিগ্রি এবং ১৬ ডিগ্রির আশেপাশে থাকবে। ফলে উত্তরবঙ্গ থেকে শীত এখনওই বিদায় নিচ্ছে না।

    আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর, দক্ষিণবঙ্গে প্রধানত আগামী পাঁচদিন শুষ্ক ও পরিষ্কার আবহাওয়া থাকবে। আগামী ২৪ ঘণ্টায় তাপমাত্রা ২ থেকে ৩ ডিগ্রি বেড়ে যাবে। আগামী তিন চারদিনে দক্ষিণবঙ্গের রাতের তাপমাত্রাও দুই থেকে তিন ডিগ্রি বাড়বে৷ আগামী কয়েক দিনে গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গের জেলাগুলিরও রাতের তাপমাত্রা ধীরে ধীরে ২-৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস বৃদ্ধি পাবে। এর ফলে দক্ষিণবঙ্গের ঠান্ডার প্রভাব অনেকটাই কমে যাবে।

  • PMRBP: আগামীকাল দেশের ১১ জন শিশুকে ‘প্রধানমন্ত্রী রাষ্ট্রীয় বাল পুরস্কার’ প্রদান করবেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু

    PMRBP: আগামীকাল দেশের ১১ জন শিশুকে ‘প্রধানমন্ত্রী রাষ্ট্রীয় বাল পুরস্কার’ প্রদান করবেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবছর দেশের ১১ জন শিশুকে তাদের ব্যতিক্রমী প্রতিভা ও কৃতিত্বের জন্য প্রধানমন্ত্রী রাষ্ট্রীয় বাল পুরস্কারে ভূষিত (Pradhan Mantri Rashtriya Bal Puraskar 2023) করা হবে। সূত্রের খবর, ১১ জন শিশুকে প্রধানমন্ত্রী রাষ্ট্রীয় বাল পুরস্কার প্রদান করবেন দেশের রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু। আগামীকাল, ২৩ জানুয়ারি রাষ্ট্রপতি বিজ্ঞান ভবনে এই রাষ্ট্রীয় বাল পুরস্কার (PMRBP) ১১ জন শিশুদের হাতে তুলে দেওয়া হবে। শুধু তাই নয়, এরপর প্রধানমন্ত্রী মোদি ২৪ জানুয়ারি পুরস্কার প্রাপরদের সঙ্গে কথাও বলবেন বলে জানা গিয়েছে।

    প্রধানমন্ত্রী রাষ্ট্রীয় বাল পুরস্কার

    ১৯৯৬ সালে ব্যতিক্রমী কৃতিত্ব অর্জনকারী শিশুদের সম্মানের জন্য পুরস্কারটি চালু করা হয়েছিল। এই পুরস্কার অর্জনকারী শিশুদের পদক ছাড়াও নগদ পুরস্কার দেওয়া হয়। ২০১৮ সাল থেকে এই পুরস্কারের নাম পরিবর্তন করে ‘বাল শক্তি পুরস্কার’ করা হয়েছে এবং এতে সাহসিকতার ক্ষেত্রে কৃতিত্ব অর্জনকারী শিশুদেরও অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। যেসব শিশু ভারতের নাগরিক ও ভারতে বসবাস করে তাদের এই পুরস্কার দেওয়া হয়। নারী ও শিশু উন্নয়ন মন্ত্রক ৫ বছর থেকে ১৮ বছর মধ্যের শিশুদেরই এই পুরস্কার প্রদান করে। এই পুরস্কার শিশুদের উৎসাহীত করবে যা নতুন ভারত তৈরিতে অগ্রণী ভূমিকা গ্রহণ করবে।

    ৬টি ক্যাটাগরী যেমন-শিক্ষা, শিল্প ও সংস্কৃতি, সাহসিকতা, ইনোভেশন, সমাজসেবা এবং ক্রীড়া ক্ষেত্রে এই পুরস্কার দেওয়া হয়। জাতীয় শিশু পুরস্কার বিজয়ীদের পদক ও শংসাপত্র ছাড়াও নগদ ১ লাখ টাকাও পুরস্কার দেওয়া হয়। 

    এবছর শিল্প ও সংস্কৃতি থেকে চারজন, সাহসিকতায় একজন, ইনোভেশনে দুইজন, সমাজসেবায় একজন এবং ক্রীড়া ক্ষেত্রে তিনজন শিশুকে পুরস্কার দেওয়া হবে। ব্যতিক্রমী কৃতিত্ব অর্জনকারী  ৬টি বিভাগে শিশুদের এই পুরস্কার দেওয়া হয়। 

    প্রধানমন্ত্রী মোদির সঙ্গে প্রাপ্ত বিজয়ীদের সাক্ষাৎ

    আগামীকাল পুরস্কার বিতরণের পর ২৪ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রী পুরস্কার প্রাপকদের সঙ্গে কথাও বলবেন নরেন্দ্র মোদি। এছাড়াও নারী ও শিশু উন্নয়ন মন্ত্রী স্মৃতি জুবিন ইরানি শিশুদের সঙ্গে কথা বলবেন এবং মন্ত্রীদের উপস্থিতিতে শিশুদের পারফরম্যান্সের জন্য তাদের অভিনন্দন জানাবেন। উল্লেখ্য, গতবছর দেশের ২৯ জন শিশুদের এই পুরস্কারে ভূষিত করা হয়েছিল। পুরস্কার প্রাপকদের মধ্যে ১৫ জন ছেলে ও ১৪ জন মেয়ে ছিল।

  • Bihar: ফের বিষমদ কাণ্ড বিহারে! মৃত্যু অন্তত ২ জনের, অসুস্থ বহু

    Bihar: ফের বিষমদ কাণ্ড বিহারে! মৃত্যু অন্তত ২ জনের, অসুস্থ বহু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের বিষমদ কাণ্ড বিহারে। এবার ঘটনাস্থল সিওয়ান। মৃত্যু হয়েছে ২ জনের। অসুস্থ বেশ কয়েকজন। সূত্রের খবর, রবিবার বিহারের সিওয়ান এলাকায় পেটে যন্ত্রণা নিয়ে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় এক ব্যক্তিকে। চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। এছাড়া, অন্য এক জনকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার আগেই তিনি মারা যান বলে জানিয়েছে পুলিশ।

    বিহারে ফের বিষমদে প্রাণ গেল ২ জনের

    পুলিশ সূত্রে খবর, মৃতেরা হলেন, জনক বিন ওরফে জনক প্রসাদ এবং নরেশ বিন। তাঁরা সিওয়ানের নবীগঞ্জের বালা গ্রামের বাসিন্দা। অভিযোগ, রবিবার সন্ধ্যায় জনক এবং নরেশ জানান, তাঁদের পেটে অসহ্য যন্ত্রণা হচ্ছে। আত্মীয়েরা সিওয়ান সদর হাসপাতালে নিয়ে যান দু’জনকেই। কিন্তু চিকিৎসকেরা তাঁদের মৃত বলে ঘোষণা করেন।

    সিওয়ানের সাব ডিভিশনাল পাবলিক গ্রিভ্যান্স অফিসার অভিষেক চন্দন জানান, রবিবার বিষাক্ত মদ খেয়ে মৃত্যু হয় একজনের। এছাড়া অসুস্থ হয়ে পড়েন অন্তত ১২ জন। তাঁদের মধ্যে একজনকে হাসপাতালে নিয়ে আসার পর কর্তব্যরত চিকিৎসকরা আরও একজনকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। তবে তাঁর মৃত্যুর কারণ অনিশ্চিত। ময়নাতদন্তের রিপোর্টের পরে পরিষ্কার জানা যাবে। সিওয়ান হাসপাতালে আরও পাঁচজন চিকিৎসাধীন রয়েছেন। ঘটনায় মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। বিষাক্ত মদের কারণে মৃত্যুর ঘটনা সামনে আসার পর থেকেই গ্রামে গ্রামে বিষমদের বিরুদ্ধে প্রচার করতে ক্যাম্প চালাতে শুরু করেছে জেলা প্রশাসন।

    আরও পড়ুন: কোথাও খাঁচায় বন্দী, কোথাও আবার দাঁড়িপাল্লায় সরস্বতী! দেবী বন্দনায় নিয়োগ দুর্নীতির ছোঁয়া শহরের মণ্ডপে

    গ্রামের জেলা কাউন্সিলর রমেশ কুমার বলেন, “অন্তত দু’জনকে সিওয়ান সদর হাসপাতালে পাঠানোর পরে মৃত ঘোষণা করা হয়েছিল কারণ তাঁরা বিষমদ খেয়েছিল। প্রায় কয়েক ডজন লোক এখনও অসুস্থ এবং পুলিশ গ্রামে ক্যাম্প স্থাপন করেছে।”     

    প্রসঙ্গত, গত ডিসেম্বরেই বিহারের ছাপরায় বিষমদ খেয়ে ৭০-এরও বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছিল। সেই ঘটনায় অন্যতম মূল চক্রীকে দিল্লি থেকে গ্রেফতারও করে পুলিশ। তার একমাস কাটতে না কাটতেই নতুন করে ফের এমন ঘটনা সামনে এল। এছাড়াও গত মাসেই বিহারের দানাপুর এলাকা থেকে বহু লুকনো বিষমদের বোতল উদ্ধার করেছিল পুলিশ। সেই মদ উদ্ধারের আগে বিক্রি হয়ে গিয়েছিল কি না, তা থেকেই সিওয়ানের গ্রামে দু’জনের মৃত্যু হল কি না, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।  

LinkedIn
Share