Author: নিমাই দে

  • Tripura: ত্রিপুরায় ৪৮ প্রার্থীর নাম ঘোষণা বিজেপির, বরদোয়ালি থেকে লড়বেন মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহা

    Tripura: ত্রিপুরায় ৪৮ প্রার্থীর নাম ঘোষণা বিজেপির, বরদোয়ালি থেকে লড়বেন মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পরের মাসেই ত্রিপুরার বিধানসভা নির্বাচন। ২৭ ফেব্রুয়ারি বিধানসভা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে চলেছে সে রাজ্যে। কিছুদিন আগেই নির্বাচন কমিশন থেকে বিধানসভা নির্বাচনের নির্ঘণ্ট প্রকাশ করা হয়েছে। আজ শনিবার, ত্রিপুরা বিধানসভা নির্বাচনের জন্য প্রার্থীতালিকাও ঘোষণা করল বিজেপি৷ মোট ৬০টি আসনের মধ্যে আপাতত ৪৮টি আসনে প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করা হয়েছে৷ তাঁদের মধ্যে ১১ জনই মহিলা প্রার্থী। সূত্রের খবর, বাকি ১২ জন প্রার্থীর নাম খুব শীঘ্রই ঘোষণা করা হবে। টাউন বরদোয়ালি কেন্দ্র থেকেই নির্বাচনে লড়বেন ত্রিপুরার বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহা (Manik Saha)। তবে এই নির্বাচনে লড়বেন না ত্রিপুরার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেব।

    বিধানসভা নির্বাচনের প্রার্থীর নাম ঘোষণা গেরুয়া শিবিরের

    শুক্রবার বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডার নেতৃত্বে দিল্লিতে কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিটির বৈঠক হয়। হাজির ছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ-সহ বিজেপির প্রথমসারির নেতারা। পরদিনই প্রাথমিকভাবে ৪৮ টি আসনে প্রার্থী ঘোষণা করেছে বিজেপি। আজ প্রার্থীতালিকা প্রকাশ করে রাজীব জানান, প্রার্থীতালিকায় দলিত, মূলবাসী, মহিলা-সহ সকল শ্রেণি এবং বর্ণের প্রতিনিধিত্ব রাখা হয়েছে। একইসঙ্গে জানানো হয়, বাকি ১২টি আসনেও শীঘ্রই প্রার্থীদের নাম চূড়ান্ত করা হবে।

    আরও পড়ুন: মধ্যপ্রদেশ ও রাজস্থানে এক ঘণ্টার ব্যবধানে ভেঙে পড়ল বায়ুসেনার তিনটি বিমান, মৃত ১ পাইলট

    বিজেপির তরফে প্রকাশিত তালিকা অনুযায়ী, বনমালীপুর কেন্দ্র থেকে বিপ্লব দেবের জায়গায় বিজেপি সভাপতি রাজীব ভট্টাচার্য নির্বাচনে লড়বেন। গতকাল সিপিএম বিধায়ক মহম্মদ মবোশার আলী বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন। এবার বিজেপির টিকিটে কৈলাশহর কেন্দ্র থেকে নির্বাচনে লড়বেন তিনিও। ত্রিপুরায় একটি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ আসন হল ধানপুর। সেই আসনে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রতিমা ভৌমিক প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন।

    প্রসঙ্গত, ২৭ ফেব্রুয়ারি হবে ভোটগ্রহণ।  আর ফলাফল ঘোষণা হবে ২ মার্চই। ত্রিপুরা নির্বাচনের জন্য মনোনয়ন জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ৩০ জানুয়ারি। মনোনয়নপত্র যাচাই করা হবে তার পরের দিন। আর মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ দিন ২ ফেব্রুয়ারি।

    ত্রিপুরার বিধানসভা নির্বাচন নিয়ে প্রস্তুতি তুঙ্গে। ত্রিপুরা নিয়ে কোমর বেঁধেছে বাংলার শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসও। তবে, এসবের মধ্যেই ভোটমুখী ত্রিপুরায় বড় ধাক্কা খেতে হয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দলকে৷ ত্রিপুরায় তৃণমূলের অন্যতম প্রধান নেতা সুবল ভৌমিক শুক্রবারই বিজেপিতে যোগ দেন।

  • India Book of Records: তাক লাগানো প্রতিভায় ‘ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডসে’ নাম, জানুন তাঁদের কৃতিত্বের কথা

    India Book of Records: তাক লাগানো প্রতিভায় ‘ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডসে’ নাম, জানুন তাঁদের কৃতিত্বের কথা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মানুষের কতই না কীর্তি, কতই না প্রতিভা! কথায় আছে, চেষ্টা থাকলে কোনও কিছুই অসম্ভব নয়। এমনই কিছু অসাধারণ কাজ করে রেকর্ড গড়ে ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডসে নাম তুলে নিল ভারতের বিভিন্ন প্রান্তের কিছু মানুষ। আর এই তালিকায় খুদেরাও পিছিয়ে নেই। বড়দের সঙ্গে তালে তাল মিলিয়ে বুক অফ রেকর্ডসে স্থান অর্জন করে নিয়েছে। তাঁদের এমন প্রতিভা রয়েছে, যা দেখে মুগ্ধ দেশবাসী। দেশের এমনই কিছু প্রতিভাবান ব্যক্তিদের সঙ্গে পরিচয় করাতে চলেছি, যাঁরা ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডসে জায়গা করে নিয়েছে।

    দীর্ঘতম সময়ের জন্য হুলা হুপিং

    প্রথমেই বলা যাক, এই খুদের বিষয়ে। মাত্র ১৩ বছরের এক খুদে সবচেয়ে বেশি সময়ের জন্য হুলা হুপিং করে রেকর্ড গড়েছে। এই খুদের নাম দর্শিতা ভাদানি, সে ঝাড়খণ্ডের গিরিডির বাসিন্দা। ২ ঘন্টা ৩০ মিনিট এবং ৫৩ সেকেন্ড নন-স্টপ হুলা হুপ স্পিন করে ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডসে নাম তুলেছে দর্শিতা।

    অনবরত গান করে তবলা বাজিয়ে রেকর্ড এক কিশোরের

    এই কীর্তি গুজরাটের পঞ্চমহলের (বর্তমানে মিশিগানে বসবাসকারী) ঋষি এম প্যাটেলের। ঋষি ৪০ মিনিট ধরে টানা শ্লোক গেয়ে ও একই সঙ্গে তবলা বাজিয়ে ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডসে জায়গা করে নিয়েছে।

    বিশেষভাবে সক্ষম ব্যক্তির এক অনুপ্রেরণামূলক কীর্তি

    গুজরাটের সুরাটের সুরেশচন্দ্র শান্তিলাল লালন নামের এক বিশেষভাবে সক্ষম ব্যক্তি তাঁর সংস্থা ‘স্পার্কেল ডায়মন্ড’-এ সবচেয়ে বেশি সংখ্যক ২০০ কর্মী নিয়োগ করে রেকর্ড গড়েছেন। শুধুমাত্র বুক অফ রেকর্ডসেই এই ব্যক্তি জায়গা করে নেননি, আত্মনির্ভর ভারত অভিযানেও তাঁর বড় অবদান রয়েছে।

    ডাক্তারদের তৈরি হার্ট সেপ কোলাজ

    বিশ্ব হার্ট দিবস উপলক্ষে সচেতনতা প্রচার করতে রোজিক্যাপ, নোভেলটিস, আকুমেন্টিস হেলথকেয়ার লিমিটেড-এর ৭৫১০ জন ডাক্তার মিলে মহারাষ্ট্রের থানের বিএমসি রঞ্জিত গ্রাউন্ডে একটি সবচেয়ে বড় হার্ট কোলাজ বানিয়ে তাক লাগিয়ে দিয়েছে ও  ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডসে জায়গা করে নিয়েছে।

    আরও পড়ুন: যখন বিশ্বজুড়ে চলছে ছাঁটাই, তখনই স্রোতের বিপরীতে গিয়ে কর্মী নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি জোম্যাটোর

    সর্বকনিষ্ঠ হিউম্যান ক্যালকুলেটর

    মুম্বইয়ের শানায় ভিমেশ দেধিয়া (জন্ম ২ ফেব্রুয়ারি, ২০১৪) অফলাইন মোডে মাত্র এক মিনিটে ৮৮ টি যোগ এবং ৯৩টি গুণ সঠিকভাবে সমাধান করেছে। এছাড়াও সে ডিজিটাল সফ্টওয়্যারের মাধ্যমে যথাক্রমে ২৫, ৫০ এবং ৭৫ সারির ৯টি গুণ এবং ৩টি যোগের সমাধান করেছে। এই খুদের বয়স মাত্র ৮ বছর।

    সর্বাধিক মুদ্রা সংগ্রহ

    এই রেকর্ডটি উড়িষ্যার ভুবনেশ্বরের ডাঃ সদানন্দ পানিগ্রাহি গড়েছে। তিনি ২৪৬ টি দেশের ২২৩৯ টি মুদ্রা সংগ্রহ করেছেন।

    দ্রুততম হিউম্যান ক্যালকুলেটর

    এই রেকর্ডটি মুম্বইয়ের ১৩ বছর বয়সী জিনাংশ ভিমেশ দেধিয়ার। এই খুদে সফ্টওয়্যার এবং খাতায় কলমে এক মিনিটে ১৪৩ টি ক্যালেন্ডার তারিখ, ২০ডিজিট x ২০ ডিজিট এবং অনেকগুলি বিভিন্ন গণনা সমাধান করেছে। সবচেয়ে কম সময়ে সমাধান করে জিনাংশ ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডসে জায়গা করে নিয়েছে।

    সর্বাধিক সংখ্যক কোম্পানির স্টক রেখে রেকর্ড

    কেরালার ত্রিশুরের জয় পালোস এই রেকর্ড গড়েছে। ২০২২-এর ১৮ অক্টোবর পর্যন্ত হোল্ডিংয়ের সর্বশেষ বিবৃতি অনুসারে, ১৭৩৬টি তালিকাভুক্ত কোম্পানির স্টক রেখেছেন তিনি।

    দীর্ঘতম ক্লিনিং ম্যারাথন

    উত্তরপ্রদেশের গাজিয়াবাদের বাসিন্দা আসিফ খান দীর্ঘতম ক্লিনিং ম্যারাথনের উদ্যোগটি নিয়েছিলেন। ২০০ ঘন্টার জন্য নন-স্টপ এই ক্লিনিং ম্যারাথন করা হয়েছিল, যা ২০২২-এর ২ অক্টোবরে শুরু হয়েছিল ও ১২ অক্টোবর শেষ হয়েছিল।

  • Layoffs: আমেরিকায় কর্মী ছাঁটাইয়ের ধুম! ভিসার মেয়াদ শেষে নতুন চাকরি না পেলে প্রবাসী ভারতীয়দের ছাড়তে হবে দেশ

    Layoffs: আমেরিকায় কর্মী ছাঁটাইয়ের ধুম! ভিসার মেয়াদ শেষে নতুন চাকরি না পেলে প্রবাসী ভারতীয়দের ছাড়তে হবে দেশ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ট্যুইটারের পর থেকে গণ ছাঁটাইয়ের পথে হেটেছে মেটা, অ্যামাজন, মাইক্রোসফট, গুগলের মত একাধিক সংস্থা। রাতারাতি কর্মী ছাঁটাইয়ে বেকার হয়ে পড়বেন বিপুল সংখ্যক কর্মী। তবে বেশি সমস্যায় পড়তে হচ্ছে মার্কিন মুলুকে চাকরি করা ভারতীয় কর্মীদের। আমেরিকায় প্রবাসী ভারতীয়রা পাগলের মত চাকরি খুঁজছেন, কারণ চাকরি যাওয়ার ৬০ দিনের মধ্যে নতুন চাকরি না পেলে তাঁদের দেশে ফিরে যেতে হবে। ফলে তাঁদের কাজের ভিসার মেয়াদ শেষ হওয়ার নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই নতুন চাকরি খুঁজে পেতে বিদেশে রীতিমত লড়াই করতে হচ্ছে। এমনকি আচমকাই চাকরি চলে যাওয়ায় আমেরিকার মত দেশে বাস করাও তাঁদের পক্ষে কঠিন হয়ে দাঁড়াচ্ছে।

    মার্কিন মুলুকে হাজার হাজার প্রবাসী ভারতীয় কর্মী ছাঁটাই

    কিছুদিন আগেই গুগল থেকে প্রায় ১২ হাজার কর্মী ছাঁটাইয়ের খবর দেওয়া হয়েছে। সূত্রের খবর, মার্কিন মুলুকে মন্দার আশঙ্কায় তড়িঘড়ি এই কর্মী ছাঁটাই করছে মাইক্রোসফট, গুগলের মত টেক জায়ান্টগুলি। গুগলের ১২,০০০ কর্মী ছাঁটাইয়ের খবর সামনে আসতেই বিশ্বের প্রযুক্তি জগতে তৈরি হয়েছে আশঙ্কার পরিবেশ। বিশ্বজুড়ে কোম্পানির বিভিন্ন শাখায় এই ছাঁটাইয়ের প্রক্রিয়া চলবে। এর মধ্যে অনেক কর্মীই ভারতীয়। ওয়াশিংটন পোস্টের মতে, গত বছরের নভেম্বর থেকে প্রায় ২ লক্ষ আইটি কর্মী ছাঁটাই করা হয়েছে। এদের মধ্যে প্রায় ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ ভারতীয় আইটি কর্মী এইচ-১বি এবং এল১ ভিসায় রয়েছেন। ফলে তাঁদের মেয়াদ শেষের আগে আমেরিকায় বা অন্য জায়গায়  চাকরি খুঁজতে নানা সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। এমন অনেক চাকরি হারানো প্রবাসী ভারতীয় কর্মী তাঁদের অভিজ্ঞতা শেয়ার করেছেন।

    আরও পড়ুন: মন্দার জের! ব্যাপকহারে কর্মী ছাঁটাই মার্কিন সংবাদমাধ্যমগুলিতে

    ভারতীয়দের ভিসার সমস্যা আমেরিকায়

    এইচ-১বি অধীনে থাকা প্রবাসী ভারতীয় কর্মীদের চাকরি যাওয়ার ৬০ দিনের মধ্যে নতুন চাকরিতে যোগ দিতে হবে। তা না হলে, তাঁদের দেশে ফিরে যেতে হবে। এই পরিস্থিতিতে অ্যামাজন কর্মী গীতা জানিয়েছেন, মাত্র তিন মাস আগে আমেরিকায় এসেছিলেন তিনি। কিন্তু এই সপ্তাহে তাঁকে বলা হয় আগামী ২০ মার্চে তাঁকে বরখাস্ত করা হবে। তিনি এইচ-১বি ভিসায় রয়েছেন, ফলে তাঁকে ৬০ দিনের মধ্যে একটি নতুন চাকরি খুঁজতে হবে ,নয়তো তাঁকে ভারতে ফিরে আসতে হবে।

    আরও এক কর্মী সীতা জানিয়েছেন, ১৮ জানুয়ারি মাইক্রোসফট থেকে ছাঁটাই করা হয়েছে তাঁকে। তিনি একজন ‘সিঙ্গল মাদার’। তাঁর ছেলে হাই স্কুল জুনিয়র ইয়ারে, কলেজে ভর্তির জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে। তিনি বলেছেন, “এই পরিস্থিতি আমাদের জন্য সত্যিই কঠিন।”

    ফলে এটি দুর্ভাগ্যজনক যে হাজার হাজার আইটি কর্মচারী ছাঁটাইয়ের সম্মুখীন হচ্ছে, বিশেষ করে যারা এইচ-১বি ভিসায় রয়েছেন, তাঁদের বেশি প্রতিকূলতার সম্মুখীন হতে হচ্ছে। কারণ তাঁদের একটি নতুন চাকরি খুঁজে বের করতেই হবে নয়তো দেশ ছাড়তে হবে। 

     

  • Oscar: সত্যজিৎ-সুস্মিতের পর ফের এক বাঙালি! অস্কারে মনোনীত বঙ্গ সন্তান শৌনক সেনের ‘অল দ্যাট ব্রিদস’

    Oscar: সত্যজিৎ-সুস্মিতের পর ফের এক বাঙালি! অস্কারে মনোনীত বঙ্গ সন্তান শৌনক সেনের ‘অল দ্যাট ব্রিদস’

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আন্তর্জাতিক মঞ্চে বাংলার মুখ উজ্জ্বল। অস্কারে সেরা ফিচার তথ্যচিত্রের বিভাগে মনোনয়ন পেয়েছে বাঙালি পরিচালক শৌনক সেনের ‘অল দ্যাট ব্রিদস’। সম্প্রতি, এক সংবাদমাধ্যমকে শৌনক জানিয়েছেন, এত ভাল লাগছে যে বলার নয়। মঙ্গলবার প্রকাশিত হয়েছে ৯৫তম অ্যাকাডেমি অ্যাওয়ার্ডসের মনোনয়ন তালিকা৷ সেই তালিকায় অরিজিনাল সং বিভাগে যেমন জায়গা করে নিয়েছে আরআরআর ছবিটির নাটু নাটু গানটি, তেমনই আরও দুটি ভারতীয় তথ্যচিত্রও স্থান পেয়েছে এবছরের অস্কারের মনোনয়ন তালিকায়৷ ডকুমেন্টারি শর্ট ফিল্ম বিভাগের জন্য মনোনীত হয়েছে কার্তিকি গনসালভেসের ‘দ্য এলিফ্যান্ট হুইসপারার্স’ ও ডকুমেন্টারি ফিচার ফিল্ম বিভাগে মনোনীত হয়েছে বাঙালি পরিচালক শৌনক সেনের তথ্যচিত্র ‘অল দ্যাট ব্রিদস’ ৷ শৌনকের এই সৃষ্টি ভারতীয় সিনেমায় সত্যি গর্বের বিষয়।

    সত্যজিৎ-সুস্মিতের পর অস্কার সফরে বাঙালি ছেলে

    ১৯৯২ সালের ৬৪তম অস্কার অ্যাওয়ার্ডে লাইফটাইম অ্যাচিভমেন্ট অ্যাওয়ার্ড পেয়েছিলেন বাংলার সত্যজিৎ রায়। সেটিই বাংলা এবং ভারতের একটি মাত্র অস্কার পুরস্কার। তারপর ৩১ বছর কেটে গিয়েছে, ভারতে অস্কার আসেনি মনোনয়নের যাওয়ার পরও। ২০২১ সালে বঙ্গ সন্তান সুস্মিত ঘোষের তৈরি তথ্যচিত্র ‘রাইটিং উইথ ফায়ার’ সেরা তথ্যচিত্রের লড়াইয়ে মনোনীত হয়েছিল। তবে শেষ বিচারে সেটি বিবেচিত হয়নি পুরস্কারের জন্য। ফলে বাংলা থেকেও কোনও বাঙালি অস্কার জেতেননি। তবে এবার একটি সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। কারণ, এবার অস্কারের তথ্যচিত্র বিভাগে জায়গা পেয়েছে বাঙালি পরিচালক শৌনক সেনের ছবি ‘অল দ্যাট ব্রিদস’।

    তথ্যচিত্র মনোনীত হওয়ায় কী বললেন শৌনক?

    সংবাদমাধ্যমে শৌনক বলেছেন, “এত ভাল লাগছে…! এত ভাল লাগছে…! যে বলার নয়! এটা একটা অসামান্য অনুভূতি, যা ভাষায় প্রকাশ করা মুশকিল। অন্যরকম খুশির মুহূর্ত। আমি, আমার দল সবাই ভীষণ ভীষণ খুশি।” এরপর তিনি তাঁর টিমকেও কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন। সেই সঙ্গে ধন্যবাদ দিলেন অ্যাকাডেমি কর্তৃপক্ষকে, তাঁর ছবিকে মনোনীত করার জন্য।

    একাধিক পুরস্কারে সম্মানিত শৌনকের এই তথ্যচিত্র

    এর আগে কান, বাফটা’র মত মঞ্চেও প্রশংসিত হয়েছে শৌনক সেনের ‘অল দ্যাট ব্রিদস’ (All that Breathes)৷ গত বছর কান চলচ্চিত্র উৎসবে পুরস্কার জিতেছিল এই তথ্যচিত্রটি৷ সানডান্স ফিল্ম ফেস্টিভালেও পুরস্কৃত হয়েছে এই তথ্যচিত্র৷ আবার একমাত্র ভারতীয় ছবি হিসেবে ২০২২ সালের ‘ল’ওয়েল ডি‘অর’ পুরস্কারেও ভূষিত হয়েছে শৌনকের তৈরি তথ্যচিত্র। সেই সাফল্যের ধারা বজায় রেখেই এবার অস্কারের দৌড়েও নাম লেখাল বাঙালি তরুণের এই ডকুমেন্টারি৷ এবারে যদি হলিউডের ডলবি থিয়েটরে বাঙালি শৌনকের হাতে অস্কার ওঠে, তবে ভারতীয় চলচ্চিত্রের ইতিহাসে আরেকটি উল্লেখযোগ্য বিষয় হবে৷ আর বাঙালি হিসেবেও এক অনন্য নজির গড়বেন এই তরুণ৷ সত্যজিৎ রায়ের পর তিনিই হবেন সেই বঙ্গ সন্তান, যাঁর হাতে অস্কার উঠবে।

    ‘অল দ্যাট ব্রিদস’-এর গল্প

    দুই ভাইয়ের গল্প বলে এই ছবি। সেই দুই ভাইয়ের নাম নাদিম এবং সউদ, যাঁরা পাখিদের চিকিৎসা করেন। আহত পাখি, বিশেষত কালো চিল উদ্ধার করে শুশ্রূষা করেন তাঁরা। পরিবেশে মিশে থাকা বিষ এবং সামাজিক অবক্ষয়ের কথা বলে এই তথ্যচিত্র।

  • Pakistan: অন্ধকারে নিমজ্জিত প্রায় গোটা পাকিস্তান! রাজধানী সহ করাচি, লাহোরে ব্যাহত বিদ্যুৎ পরিষেবা

    Pakistan: অন্ধকারে নিমজ্জিত প্রায় গোটা পাকিস্তান! রাজধানী সহ করাচি, লাহোরে ব্যাহত বিদ্যুৎ পরিষেবা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গত কয়েক মাস ধরেই প্রবল আর্থিক সংকটে ভুগছে পাকিস্তান। দেশে প্রথমে আটা ফুরিয়ে গেল, তারপর গ্যাস-পেট্রোলের সংকট, এখন বিদ্যুতের পালা। খবর আসছে, সোমবার সকাল থেকেই পাকিস্তানের একটা বড় অংশ অন্ধকারে নিমজ্জিত। বিশাল বিদ্যুৎ বিভ্রাট ঘটল পাকিস্তানের ইসলামাবাদ, লাহোর এবং করাচির উল্লেখযোগ্য কয়েকটি অংশে। সেখানকার মানুষদের ঘণ্টার পর ঘণ্টা বিদ্যুৎ ছাড়াই থাকতে হচ্ছে। ট্রান্সমিশন লাইনে ত্রুটির কারণেই সোমবার দেশের বিভিন্ন অংশে বিদ্যুৎ পরিষেবা ব্যাহত হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। এখনও সেদেশের বেশিরভাগ অংশই অন্ধকারে রয়েছে।

    পাকিস্তান জুড়ে বিশাল বিদ্যুৎ বিভ্রাট

    পাকিস্তান ইলেক্ট্রিকের মুখপাত্র ইমরান রানা একটি ট্যুইটার পোস্টে লিখেছেন, “শহরের বিভিন্ন অংশ থেকে একাধিক বিদ্যুৎ বিভ্রাটের খবর পাওয়া গেছে। আমরা বিষয়টি তদন্ত করছি।” প্রাথমিক রিপোর্ট অনুযায়ী, জাতীয় গ্রিডের সিস্টেম ফ্রিকোয়েন্সি আজ সকাল ৭টা ৩০ মিনিটে বসে যায়, যার ফলে বিদ্যুৎ ব্যবস্থায় ব্যাপক বিপর্যয় ঘটে। পরিষেবা স্বাভাবিক করতে জোরকদমে কাজ চলছে। সিস্টেম রক্ষণাবেক্ষণের কাজ দ্রুত এগিয়ে চলেছে বলে জানিয়েছে পাকিস্তান সরকারের শক্তি মন্ত্রক।

    আরও জানা গিয়েছে, বিদ্যুৎ বিভ্রাটের কারণে মেট্রো পরিষেবাও ব্যাহত হয়েছে, যার ফলে যাত্রীদের বিশাল সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। ইসলামাবাদ ইলেকট্রিসিটি সাপ্লাই কোম্পানির ১১৭টি গ্রিড স্টেশনেও বিদ্যুৎ সরবরাহ বিঘ্নিত হয়েছে, পুরো শহর এবং রাওয়ালপিন্ডিকে অন্ধকারে নিমজ্জিত করেছে। সূত্রের খবর অনুযায়ী, বিদ্যুৎ ফিরতে কয়েক ঘণ্টা সময় লাগত পারে।

    আরও পড়ুন: ‘ভারতীয় ভূখণ্ডে যোগ দিতে প্রস্তুত’, বললেন পাক অধিকৃত কাশ্মীরের নেতা

    পাকিস্তানের কিছু সংবাদমাধ্যম থেকে জানা গিয়েছে, করাচি এবং লাহোরের বেশ কয়েকটি এলাকা বিদ্যুৎবিহীন ছিল। আবার কোয়েটা ইলেকট্রিক সাপ্লাই কোম্পানি (QESCO) অনুসারে, গুড্ডু থেকে কোয়েটা পর্যন্ত দুটি ট্রান্সমিশন লাইন ছিঁড়ে গেছে। কোয়েটা সহ বেলুচিস্তানের ২২টি জেলা বিদ্যুৎবিহীন বলে জানিয়েছে এই সংস্থাটি।

    প্রসঙ্গত, পাকিস্তান আগে থেকেই আর্থিক, খাবার সংকটে ভুগছে।  কয়েক মাস ধরে বিদ্যুৎ সরবরাহের অবস্থা খারাপ। বিদ্যুতের ঘাটতিতেও রয়েছে পাকিস্তান। ফলে সেদেশের সরকার দীর্ঘ বিদ্যুতের ঘাটতি এড়াতে এবং বিদ্যুত বাঁচাতে রাত ৮টায় বাজার বন্ধ রাখার নির্দেশ জারি করেছে। এরই মধ্যে আজ সকাল ৭টা ৩০ মিনিট থেকে দেশব্যাপী বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেলে দেশবাসী চরম সমস্যায় পড়েছে। বিপর্যয় এতটাই গভীর যে কত দ্রুত তা দূর করা যাবে, তা নিয়ে বিদ্যুৎ দফতরের কর্মীরাই অন্ধকারে।  

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।  

  • Shraddha Walkar: শ্রদ্ধা হত্যাকাণ্ডে ৩ হাজার পাতার খসড়া চার্জশিট দিল্লি পুলিশের, রয়েছে শতাধিক সাক্ষীর বয়ান

    Shraddha Walkar: শ্রদ্ধা হত্যাকাণ্ডে ৩ হাজার পাতার খসড়া চার্জশিট দিল্লি পুলিশের, রয়েছে শতাধিক সাক্ষীর বয়ান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লিভ-ইন পার্টনার শ্রদ্ধা ওয়ালকরকে (Shraddha Walkar) খুন করায় অভিযুক্ত আফতাব পুনাওয়ালা বর্তমানে জেল হেফাজতে। সূত্রের খবর, আজ তার বিরুদ্ধে ৩ হাজার পাতার খসড়া চার্জশিট প্রস্তুত করেছে দিল্লি পুলিশ। এই চার্জশিটে শ্রদ্ধা খুনের ঘটনার সঙ্গে জড়িত একাধিক প্রমাণ, তথ্য ও শতাধিক সাক্ষীদের বয়ান নথিভুক্ত করা হয়েছে। আফতাব পুনাওয়ালার গ্রেফতারের প্রায় আড়াই মাস পরে দিল্লি পুলিশ চার্জশিট জমা করতে চলেছে আদালতে।

    ৩ হাজার পাতার খসড়া চার্জশিটে কী রয়েছে?

    পুলিশ সূত্রে খবর, শ্রদ্ধার (Shraddha Walkar) খুনের ঘটনা নিয়ে তাঁর আত্মীয়, বন্ধু-বান্ধব থেকে শুরু করে প্রতিবেশীদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। তাঁদেরই বয়ান এই চার্জশিটে উল্লেখ করা হয়েছে। প্রায় ১০০ জনের বেশি সাক্ষীর বয়ান রয়েছে এই চার্জশিটে। শুধু তাই নয়, এই হত্যা নিয়ে আফতাব কী কী তথ্য দিয়েছে, তার শ্রদ্ধাকে খুন করার স্বীকারোক্তিরও উল্লেখ রয়েছে। আফতাবকে গ্রেফতার করার পরে আফতাবের নারকো টেস্ট, পলিগ্রাফ টেস্ট করা হয়েছে, সেই টেস্ট থেকে কী কী তথ্য পাওয়া গিয়েছে, সেগুলোও রয়েছে চার্জশিটে। এতে রয়েছে ফরেন্সিক পরীক্ষার রিপোর্ট। সূত্রের খবর, সেই খসড়া চার্জশিট এখন নিরীক্ষা করছেন আইন বিশেষজ্ঞরা। তার পর তা জমা পড়বে আদালতে।

    আরও পড়ুন: আফতাবের ভয়েস স্যাম্পলিং টেস্ট! শ্রদ্ধা হত্যাকাণ্ডে দিল্লি পুলিশের হাতে রহস্যময় অডিও ক্লিপ

    প্রসঙ্গত, গত বছরের ১৮ মে আফতাবের বিরুদ্ধে শ্রদ্ধাকে (Shraddha Walkar) খুন করার অভিযোগ ওঠে। শুধু তাই নয়, শ্রদ্ধাকে খুন করে ৩৫ টুকরোয় কেটে দিল্লির বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে দিয়েছিল বলে অভিযোগ ওঠে আফতাবের বিরুদ্ধে। সূত্রের খবর, দিল্লির আদালতে আফতাব নিজেও স্বীকার করেছিল যে, রাগের মাথায় সে শ্রদ্ধাকে খুন করেছিল।

    এর পর পুলিশ দিল্লির মেহরৌলির জঙ্গল থেকে কিছু দেহাংশ, হাড়, চুল উদ্ধার করে। সেগুলি শ্রদ্ধার (Shraddha Walkar) কিনা তা নিশ্চিত করতে ডিএনএ টেস্ট করায় পুলিশ। শ্রদ্ধার বাবার সঙ্গে ডিএনএ মিলে যেতেই পুলিশ নিশ্চিত হয় যে, উদ্ধার হওয়া দেহাংশ শ্রদ্ধারই। চার্জশিটে সেই ডিএনএ রিপোর্টের কথাও উল্লেখ করা হয়েছে বলে দিল্লি পুলিশ সূত্রে খবর।

    পুলিশের দাবি, প্রাথমিক ভাবে নিজের অপরাধের কথা সে স্বীকারও করে নিলেও, তা প্রমাণ করতে মরিয়া পুলিশ। তদন্ত যত এগোচ্ছে ততই নতুন নতুন তথ্য প্রকাশ্যে আসছে। শ্রদ্ধা খুনের ঘটনায় অভিযুক্তকে কঠোরতম শাস্তি দেওয়া হবে, বলে আগেই জানিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। এবারে এই চার্জশিট আদালতে জমা দেওয়ার পর আর কী কী তথ্য প্রকাশ্যে আসে, তারই অপেক্ষায় দেশবাসী।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Maharashtra: ছাত্রের সংখ্যা এক, শিক্ষকও এক! রয়েছে মিড-ডে মিলও! কেন এভাবে চলছে একটি সরকারি স্কুল?

    Maharashtra: ছাত্রের সংখ্যা এক, শিক্ষকও এক! রয়েছে মিড-ডে মিলও! কেন এভাবে চলছে একটি সরকারি স্কুল?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আপনি কি কখনও এমন একটি স্কুলের কথা শুনেছেন, যেখানে শুধুমাত্র একজন ছাত্র এবং সেই ছাত্রের জন্য শুধুমাত্র একজনই শিক্ষক আছে? সারা দেশে যখন স্কুলের শিক্ষা নিয়ে এত অভিযোগ, কোথাও পর্যাপ্ত সংখ্যক পড়ুয়া নেই তো কোথাও আবার অভাব রয়েছে শিক্ষকের। সেখানেই দেশের এক প্রান্তে এমনও একটি স্কুল রয়েছে, যেখানে পড়ুয়ার সংখ্যা মাত্র ১। আবার এই ছাত্রকেই পড়াতেই রোজ এক শিক্ষক ১২ কিমি চালিয়ে আসেন স্কুলে। ফলে এর থেকেই প্রমাণ হয় যে, চেষ্টা ও ইচ্ছা থাকলে সব সম্ভব। তবে অবাক হলেও এটিই সত্যি। একজন শিক্ষক ও একজন ছাত্রকে নিয়েই মহারাষ্ট্রের ওয়াসিম জেলার একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এভাবেই চলছে পড়াশোনা।

     কেন এমন অবস্থা এই সরকারি স্কুলের?

    মহারাষ্ট্রের ওয়াসিম জেলার সবথেকে ছোট গ্রাম হল গণেশপুর। এই গ্রামে জনসংখ্যা মাত্র ১৫০। গ্রামে রয়েছে একটিই জেলা পরিষদ প্রাথমিক বিদ্যালয়। সেখানে প্রথম থেকে চতুর্থ শ্রেণি অবধি পড়ানো হয়। কিন্তু যেখানে গ্রামের জনসংখ্যাই ১৫০, সেখানে খুদে পড়ুয়া আর ক’জন থাকবে! আপাতত গ্রামে প্রাথমিক স্কুলের পড়ুয়া রয়েছে একজনই। তৃতীয় শ্রেণিতে পড়ে সেই ছাত্র। পড়াশোনায় নাকি বেশ ভাল। তাকে পড়াতেই ১২ কিলোমিটার সাইকেল চালিয়ে স্কুলে আসেন শিক্ষক কিশোর মানকর। সব বিষয়েই পড়ান তিনি। তিনি জানিয়েছেন, তিনি বিগত দুবছর ধরে এই স্কুলে ওই ছাত্রকে পড়াচ্ছেন।

    একমাত্র পড়ুয়া হওয়া সত্ত্বেও শিক্ষা থেকে বঞ্চিত করা হয়নি এই ৮ বছর বয়সী কার্তিক সেগোকারকে। শুধুমাত্র তাঁর জন্যই চালু রাখা হয়েছে প্রাথমিক স্কুল। একটি স্কুলে যা যা নিয়ম পালন করা হয়, তা সমস্ত কিছুই অনুসরণ করা হয় এই স্কুলে। সকালে স্কুল শুরু হয় জাতীয় সঙ্গীত গেয়ে, এরপরে প্রার্থনার পর ঘড়ি ধরে ক্লাসও শুরু হয়। স্কুলে মিড ডে মিল খাওয়ানোর ব্যবস্থাও আছে। একজন ছাত্রের জন্যই রান্না হয় নিয়মিত। স্কুলের নিয়মে কোনও ফাঁকি নেই।

    শিক্ষক কিশোর মানকার বলেন, “গত ২ বছর ধরে স্কুলে শুধুমাত্র একজন ছাত্র ভর্তি হয়েছে। আমিই স্কুলে একমাত্র শিক্ষক। আমি তাকে সব বিষয়ে পড়াই। সকাল ১০:৩০ মিনিট থেকে দুপুর ১২ টা পর্যন্ত, আমি জাতীয় সঙ্গীত গাওয়া সহ সমস্ত নিয়ম-কানুন মেনে চলি। ছাত্রের জন্য মিড-ডে মিলসহ সরকার প্রদত্ত সব সুযোগ-সুবিধাও দেওয়া হয়।”

  • US Shooting: ফের বন্দুকবাজের হামলা! চিনা নববর্ষের উৎসবে রক্তাক্ত আমেরিকা, নিহত অন্তত ১০

    US Shooting: ফের বন্দুকবাজের হামলা! চিনা নববর্ষের উৎসবে রক্তাক্ত আমেরিকা, নিহত অন্তত ১০

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের গুলির আওয়াজে কাঁপল আমেরিকা। এবার চিনা নববর্ষে গুলি চলল ক্যালিফোর্নিয়ার মন্টেরে পার্কে। সূত্রের খবর, চিনা নববর্ষ (Chinese New Year) উপলক্ষে উৎসবে মেতে উঠেছিল ক্যালিফোর্নিয়ার মন্টেরে পার্কে জমায়েত করা মানুষ। আর সেই সময়ই চালানো হয় এলোপাথাড়ি গুলি। চিনের বর্ষবরণের দিনেই রক্তাক্ত হল আমেরিকা। এখনও পর্যন্ত ১০ জনের মৃত্যুর খবর মিলেছে। আহত বহু। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে জানা গিয়েছে। স্থানীয় পুলিশ সূত্রে খবর, শনিবার রাত ১০টা নাগাদ ওই পার্কে হামলা চালায় বন্দুকবাজ। তবে তাদের এখনও পর্যন্ত গ্রেফতার করা যায়নি বলেই জানা যাচ্ছে। ফলে আতঙ্ক আরও বাড়ছে। এই ঘটনার পর মন্টেরে পার্ক এলাকা পুরোপুরি ঘিরে ফেলা হয়েছে। আততায়ীর খোঁজে নেমেছে পুলিশ।

    ঠিক কী ঘটেছিল?

    গতকাল, শনিবার ছিল চিনা নববর্ষ। সেই উপলক্ষেই মন্টেরে পার্কে জড়ো হয়েছিলেন বহু মানুষ। সূত্রের খবর, স্থানীয় সময় রাত ১০টার পরে নাচ-গান, খাওয়া-দাওয়া, আনন্দে মেতে উঠেছিলেন তাঁরা। আর সেসময়েই আচমকা তাণ্ডব শুরু হয় বন্দুকবাজের। উৎসবে এসেই এলোপাথাড়ি গুলি চালাতে শুরু করে আততায়ী। একের পর এক রক্তাক্ত দেহ লুটিয়ে পড়ছিল সেখানে।

    ঘটনাস্থলে উপস্থিত ওই এলাকার এক রেস্তোরাঁ মালিক সিউং ওন চোই বলেন, “আমার রেস্তোরাঁয় তিন জন দৌড়ে এসে ঢুকেই ভিতর থেকে দরজা বন্ধ করে দিলেন। চিৎকার করে আমাকে বলেন, এক বন্দুকবাজ মেশিন গান নিয়ে এলাকায় ঘুরে বেড়াচ্ছে। এলোপাথাড়ি গুলি চালাচ্ছে!” প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, সেই আততায়ীর কাছে অসংখ্য গুলি ছিল। কারণ বন্দুকে গুলি শেষ হতেই ফের গুলি ভরে চলেছিল সে। বন্দুকবাজের খোঁজে চলছে তল্লাশি। সূত্রের খবর, ওই অনুষ্ঠানে জড়ো হয়েছিলেন চিনা-সহ কমপক্ষে ৬০ হাজার এশিয়ান বংশোদ্ভূত মানুষ।

    এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ১০ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে। আহত হয়েছেন বহু। বেশ কয়েকজনকে গুরুতর জখম অবস্থায় নিয়ে যাওয়া হয় হাসপাতালে। গোটা এলাকা ঘিরে ফেলেছে পুলিশ। তবে হামলাকারীরা সংখ্যায় কতজন ছিলেন ও কী কারণে গুলি তাও স্পষ্ট নয়।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।    

  • Pakistan: মৃতদেহ চিনতে পারছেন না পরিবারও! পাকিস্তানে ভয়াবহ বাস দুর্ঘটনায় মৃত অন্তত ৪১

    Pakistan: মৃতদেহ চিনতে পারছেন না পরিবারও! পাকিস্তানে ভয়াবহ বাস দুর্ঘটনায় মৃত অন্তত ৪১

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মর্মান্তিক দুর্ঘটনা পাকিস্তানে। পাকিস্তানের বালোচিস্তান প্রদেশে ঘটল ভয়াবহ বাস দুর্ঘটনা। রবিবার ঘটনার জেরে মৃত্যু হয়েছে কমপক্ষে ৪১ জনের। এদিন ভোরবেলা একটি বাস কোয়েটা থেকে করাচিতে যাচ্ছিল। সেই বাসে ৪৮ জন যাত্রী ছিলেন। পরবর্তীতে সিন্ধ প্রদেশের বালোচিস্তানের কাছে একটি পিলারে ধাক্কা দেয় বাসটি। ধাক্কা দিয়ে পাশের খাদে পড়ে যায়। তারপরই বাসে আগুন লেগে যায়। সূত্রের খবর, ঘটনাস্থল থেকে ৪১ জনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। তবে এমনভাবে পুড়ে গিয়েছে, দেহাংশ দেখে বোঝার উপায় নেই সেটি কার দেহ। সকালে দুর্ঘটনার পর তিন জনকে জীবন্ত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে। জীবিতদের মধ্যে একজন মহিলা এবং একজন শিশুও আছে। তারা আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি।

    কীভাবে ঘটল দুর্ঘটনা?

    সূত্রের খবর, ভোর ৪ টে নাগাদ এই দুর্ঘটনাটি ঘটে। এলাকার অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার হামজা অঞ্জুম জানিয়েছেন, প্রাথমিকভাবে তদন্তে অনুমান, লাসবেলার কাছে বাসটি দ্রুতগতিতে ইউ টার্ন নেওয়ার সময় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পিলারে ধাক্কা দিয়ে পাশের উপত্যকায় গড়িয়ে যায়। সঙ্গে সঙ্গে আগুন ধরে যায় তাতে। এখনও পর্যন্ত ৪১ টি মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।

    তিনি আরও জানিয়েছেন, মৃতদেহগুলো চেনার বাইরে। এক শিশু-সহ ৩ জনকে জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে। বাসের জানলা দিয়ে টেনে তাঁদের বের করা হয়। মৃতদেহগুলিকে করাচি নিয়ে যাওয়া হচ্ছে ডিএনএ পরীক্ষার জন্য। তবে মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। তাঁরা দুর্ঘটনার কারণ তদন্ত করবেন।

    আরও পড়ুন: বন্ধ একশো দিনের প্রকল্প, ফের ভিন রাজ্যে কাজে গিয়ে মৃত্যু ৩ পরিযায়ী শ্রমিকের

    সূত্রের খবর, দুর্ঘটনার খবর পেয়ে ফায়ার ব্রিগেড, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে উদ্ধার অভিযান শুরু করেন। পুলিশ জানিয়েছে অনুমান করা হয়েছে, বাসের গতি অনেকটা বেশি ছিল। সেই কারণেই দুর্ঘটনা ঘটেছে। যদিও পাকিস্তানে এমন দ্রুত গতির জেরে পথ দুর্ঘটনা প্রায় নিত্যদিনের ব্যাপার। বর্তমানে ডিএনএ পরীক্ষার রিপোর্ট হাতে পাওয়ার অপেক্ষায় রয়েছে পুলিশ ও আত্মীয়রা। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Afghanistan: ফের নিষেধাজ্ঞা! বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রবেশিকা পরীক্ষাতেও বসতে পারবেন না আফগান মেয়েরা

    Afghanistan: ফের নিষেধাজ্ঞা! বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রবেশিকা পরীক্ষাতেও বসতে পারবেন না আফগান মেয়েরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আফগানিস্তানে নারী শিক্ষায় একাধিক ফতোয়া জারি করেছে তালিবান সরকার। এর আগেই তালিবান (Taliban) সরকার দেশের মহিলাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষা নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে। আর এবারে জানা গিয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশিকা পরীক্ষাতে অংশগ্রহণের ক্ষেত্রেও নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। ফেব্রুয়ারিতেই রয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার প্রবেশিকা পরীক্ষা। কিন্তু তার আগেই এই পদক্ষেপ। বিশ্বের বিভিন্ন দেশ এবং আন্তর্জাতিক সংগঠন এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে তীব্র নিন্দা জানিয়েছে।

    নোটিশ জারি তালিবান সরকারের

    আফগানিস্তানে ছাত্রীদের বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্তের এক মাসের মধ্যেই ফের এক নিষেধাজ্ঞা জারি করল তালিবান। তালিবান নিয়ন্ত্রিত সরকারের শিক্ষা মন্ত্রক বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে একটি নোটিশ জারি করেছে। যাতে বলা হয়েছে যে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত মেয়েরা পরীক্ষার জন্য আবেদন করতে পারবে না। মহিলাদের প্রবেশিকা পরীক্ষার জন্য রেজিস্ট্রেশন করার ওপরে জারি হয়েছে নিষেধাজ্ঞা।

    সে দেশের উচ্চ শিক্ষামন্ত্রী নিদা মোহাম্মদ নাদিম বলেছেন যে, বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে এইসব নিষেধাজ্ঞার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে কারণ তিনি বিশ্বাস করেন যে, কিছু বিষয় পড়ানো হচ্ছে যা ইসলাম নীতিকে লঙ্ঘন করে। ফলে সেই দিক যতদিন না ঠিক করা হচ্ছে, ততদিন এই নিষেধাজ্ঞা জারি থাকবে। বিভিন্ন সমস্যার সমাধান হয়ে গেলে বিশ্ববিদ্যালয়গুলি মহিলাদের জন্য পুনরায় চালু করা হবে বলে সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছেন তিনি।

    আরও পড়ুন: ভারত-চিন যুদ্ধের প্রসঙ্গ তুলে রাহুলকে একহাত নিলেন জয়শঙ্কর, কী বললেন বিদেশমন্ত্রী?

    আদেশ অমান্য করলে আইনি পদক্ষেপ…

    উচ্চশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র জিয়াউল্লাহ হাশমি শনিবার এক প্রতিবেদনে জানিয়েছেন, এই নিষেধাজ্ঞা বিষয়ে উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে একটি চিঠি দেওয়া হয়েছে। সেখানে উল্লেখ রয়েছে, মহিলারা স্নাতক, স্নাতকোত্তর এবং ডক্টরেট স্তরের জন্য প্রবেশিকা পরীক্ষা দিতে পারবেন না এবং যদি কোনও বিশ্ববিদ্যালয় এই আদেশ অমান্য করে, তবে তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তালিবান সরকার পরিচালিত মন্ত্রণালয়ের ওই নির্দেশে ফেব্রুয়ারি মাস থেকেই ভর্তি পরীক্ষায় নারীদের অংশ নেওয়ার সুযোগ বন্ধের কথা বলা হয়েছে।

    প্রসঙ্গত, এর আগে জাতিসংঘের সর্বোচ্চ পদমর্যাদার মহিলা, জাতিসংঘের ডেপুটি সেক্রেটারি-জেনারেল আমিনা মোহাম্মদের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল সে দেশে গিয়েছিলেন। এর পর এই সপ্তাহের শুরুতেও জাতিসংঘের মানবিক প্রধান মার্টিন গ্রিফিথস এবং দুটি প্রধান আন্তর্জাতিক সংস্থার নেতারা আফগানিস্তান সফর করেন। এই সফরের একই লক্ষ্য ছিল- নারী ও মেয়েদের উপর তালিবানের দমন-পীড়ন সহ, জাতীয় ও বৈশ্বিক মানবিক সংস্থার জন্য কাজ করা আফগান মহিলাদের উপর থেকে তাদের নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

LinkedIn
Share