Author: নিমাই দে

  • Pathaan: ভারতীয় সিনেমায় এই প্রথম! ৩ দিনে ৩১৩ কোটি! ‘পাঠান’ ঝড়ে কাঁপছে বক্স অফিস

    Pathaan: ভারতীয় সিনেমায় এই প্রথম! ৩ দিনে ৩১৩ কোটি! ‘পাঠান’ ঝড়ে কাঁপছে বক্স অফিস

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ৩ দিনেই ৩০০ কোটি পার! সমস্ত বিতর্ক উড়ে গেল ‘পাঠান’ ঝড়ে। প্রতিদিনই বক্স অফিসে একের পর এক রেকর্ড গড়ছে শাহরুখ-দীপিকা-জনের ‘পাঠান’। সবচেয়ে দ্রুত বিশ্ব বক্স অফিসে ৩০০ কোটি টাকা কামানো বলিউড ছবির তকমা পেল ‘পাঠান’। সূত্রের খবর, মাত্র তিন দিনেই বিশ্বব্যাপী এই ছবির কালেকশন দাঁড়িয়েছে ৩১৩ কোটি টাকা। এর আগে বলিউডের আর কোনও ছবি এই নজির গড়তে পারেনি। এর পাশাপাশি জানা গিয়েছে, অতিমারির পর ‘পাঠান’ই প্রথম হিন্দি ছবি যা মুক্তির দিনে সর্বোচ্চ আয় করেছে।

    নতুন পালক ‘পাঠান’-এর তাজে

    ‘পাঠান’ ঝড়ের প্রভাব ক্রমে ছড়িয়ে পড়ছে দেশ থেকে বিশ্বে। বিশ্বজুড়ে বক্স-অফিসে তৃতীয় দিনেও চোখ কপালে ওঠার মত ব্যবসা করেছে এই ছবি। সিদ্ধার্থ আনন্দ পরিচালিত ‘পাঠান’ মাত্র ৩ দিনেই দেশে প্রায় ১৫০ কোটি টাকার ব্যবসা করে ফেলেছে। সবমিলিয়ে দেশ-বিদেশ জুড়ে ৩ দিনে ‘পাঠান’-এর ব্যবসার অঙ্ক ছাড়িয়ে গেল ৩১৩ কোটি টাকা। দেশের আর কোনও হিন্দি ছবি প্রথম তিন দিনে এত টাকা আয় করতে পারেনি। এই সাফল্যের নজির নেই। গত বছর মুক্তি পেয়েছিল ‘কেজিএফ ২’। এত দিন পর্যন্ত ভারতীয় ছবির প্রথম দিনের ব্যবসার নিরিখে শীর্ষে ছিল এই ছবি। কিন্তু প্রথম, দ্বিতীয় এবং তৃতীয়, তিন দিনেই ‘কেজিএফ ২’-কেও হারিয়ে দিয়েছে ‘পাঠান’

    দীর্ঘ ৪ বছর পর কামব্যাক বাদশার!

    চারবছর পর সিনেপর্দায় আগমণ কিং খানের। আগের ছবি জিরো বক্স অফিসে মুখ থুবড়ে পড়েছিল। কিন্তু চারবছর পর পাঠান হয়ে ফিরে এসে শাহরুখ ভাঙলেন সব রেকর্ড। এখন বক্স অফিসে শুধুই ‘পাঠান’-এর রাজত্ব। তবে এই ছবি মুক্তির আগে থেকেই নানা বিতর্কে। কিন্তু বয়কট, বিতর্কের মাঝেও শাহরুখের পাঠান বক্স অফিসে দাপিয়ে ব্যবসা করছে। তবে মনে করা হচ্ছে, রবিবার ‘পাঠান’-এর রোজগার আরও বাড়তে পারে।

    ‘পাঠান’-এর তিনদিনের আয়

    ২৫ তারিখ মুক্তির দিন নজির গড়েছিল শাহরুখের এই ছবি। শুধু দেশেই ৫৭ কোটি টাকার ব্যবসা করে ফেলেছিল। বিশ্বের নিরিখে রোজগারের অঙ্ক প্রথম দিনেই পেরিয়েছিল ১০০ কোটির গণ্ডি। ছবি মুক্তির দিনে দেশে ৫৭ কোটি ও বিদেশে ৪৯ কোটি, মোট ১০৬ কোটি টাকার ব্যবসা করেছিল। দ্বিতীয় দিনের আয় দেশে ৭০.৫০ কোটি ও বিদেশে ৪৩.১০ কোটি, মোট ১১৩.৬০ কোটি টাকা। তৃতীয় দিনের আয় দেশে ৩৯.২৫ কোটি ও বিদেশে ৫৪.১৫ কোটি, মোট ৯৩.৪০ কোটি টাকা। ফলে তিনদিনে দেশ-বিদেশ মিলিয়ে ‘পাঠান’-এর আয় দাঁড়াল মোট ৩১৩ কোটি।

    কিং খানের ধামাকাদার কামব্যাকে নিজেদের আবেগ চেপে রাখতে পারেননি অগণিত শাহরুখ খান ভক্তরা। তবে শাহরুখ অনুরাগীদের পাশাপাশি বলিউডের তারকারাও পাঠান-এর প্রশংসায় পঞ্চমুখ। রাভিনা ট্যান্ডন, শিল্পা শেঠি পাঠান-এর প্রশংসা করে ট্যুইট করেছেন।  


    [/tw]

  • Suvendu Adhikari: মিড ডে মিলের টাকায় বগটুই গণহত্যার ক্ষতিপূরণ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী! বিস্ফোরক অভিযোগ শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: মিড ডে মিলের টাকায় বগটুই গণহত্যার ক্ষতিপূরণ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী! বিস্ফোরক অভিযোগ শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মিড ডে মিলের অর্থে বগটুই গণহত্যায় নিহতদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দিয়েছে রাজ্য! এদিন ঠিক এমনই বিস্ফোরক অভিযোগ তুলে সরব রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। ফলে ফের একবার শুভেন্দু অধিকারীর নিশানায় রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়। এই অভিযোগ প্রথম তুলেছিলেন বীরভূমের বিজেপি সভাপতি ধ্রুব সাহা। তারপর সেইসব চেকের ছবি ট্যুইট করে সরব হন শুভেন্দু। ১০ মাস হয়ে গিয়েছে বগটুই গণহত্যার। গত বছর ২৪ মার্চ বগটুইয়ে মৃত ও ক্ষতিগ্রস্থদের ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার সেই ক্ষতিপূরণের টাকা নিয়েও অভিযোগ তুলল গেরুয়া শিবির। অভিযোগ, এই ক্ষতিপূরণের টাকা কেন্দ্রীয় প্রকল্প মিড ডে মিলের জন্য বরাদ্দ টাকা থেকে খরচ করেছে রাজ্য সরকার৷

    ঠিক কী অভিযোগ?

    অভিযোগ, কেন্দ্রীয় প্রকল্প মিড ডে মিলের জন্য বরাদ্দ টাকা বগটুই কাণ্ডে মৃতদের পরিবারকে দেওয়া অনুদান হিসেবে খরচ করেছে রাজ্য সরকার৷ এই নিয়ে ট্যুইট করেছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী৷ সেই ট্যুইটে তিনি মেনশন করেছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে৷ আবার ট্যুইটের মাধ্যমেই এই নিয়ে কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধানের কাছে কড়া পদক্ষেপ নেওয়ার আর্জি জানিয়েছেন৷

    ট্যুইটে সরব শুভেন্দু

    এদিন সকালে নিজের ট্যুইটার হ্যান্ডেল থেকে বগটুই গ্রামে মুখ্যমন্ত্রীর সেই আর্থিক সাহায্যের ভিডিও আপলোড করেন শুভেন্দু অধিকারী৷ এরপর রাজ্য সরকারকে কটাক্ষ করে তিনি লেখেন, “স্কুলছাত্রীদের খাদ্য ও পুষ্টির জন্য কেন্দ্রীয় সরকার মিড ডে মিল তহবিলে অর্থ দেয়৷ সেই অর্থ ছবি তোলার জন্য ব্যবহার করা হচ্ছে! এটা একটা আর্থিক অপরাধ।” তিনি আরও লিখেছেন, বাংলার সরকার দেউলিয়া হয়ে গিয়েছে৷ আপৎকালীন তহবিল ও মুখ্যমন্ত্রীর রিলিফ ফান্ডে কোনও অর্থ নেই৷ তার পরও অর্থ-কম্বল প্রদান চলছে৷ সেগুলি মিড ডে মিলের তহবিল থেকে করা হচ্ছে৷ তিনি আবার এই নিয়ে কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধানের কাছে অভিযোগ জানানোর হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন৷

    বীরভূমের বিজেপি সভাপতি ধ্রুব সাহার অভিযোগ

    একই অভিযোগ নিয়ে প্রথমে বিজেপির বীরভূম সাংগঠনিক জেলার সভাপতি ধ্রুব সাহা সরব হয়েছিলেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় দুটি চেকের ছবি দিয়ে অভিযোগ করেছেন রাজ্য সরকার বগটুই কাণ্ডে যে আর্থিক সাহায্য দিয়েছে, তা কেন্দ্রীয় সরকারের দেওয়া মিড ডে মিলের টাকা থেকে। এ ব্যাপারে তিনি দুটি চেকের ছবি দিয়েছেন। পাশাপাশি তিনি বিষয়টি নিয়ে হাইকোর্টে যাওয়ারও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন।

    প্রসঙ্গত, বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী আগেই জানিয়েছিলেন, অন্য সব কেন্দ্রীয় প্রকল্পের মত মিড ডে মিলের প্রকল্পের পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে কেন্দ্রীয় দল রাজ্যে আসছে ৩০ জানুয়ারি। তাঁরা ৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত রাজ্যে থাকবেন। মিড ডে মিল নিয়ে রাজ্যের বিভিন্ন জায়গা থেকে অভিযোগ উঠেছে। এই পরিস্থিতিতে রাজ্যে কেন্দ্রীয় দল পাঠানো হচ্ছে। তবে তার আগে বগটুই কাণ্ডে ক্ষতিপূরণের টাকায় এই অভিযোগ আনায় ও শুভেন্দুর ট্যুইট নিয়ে শুরু হয়েছে জোর চৰ্চা। তোলপাড় রাজ্য রাজনীতি।

  • Love Jihad: ধর্মান্তর বিরোধী আইনের দাবি, মুম্বইয়ে লভ জিহাদ বিরোধী মিছিল হিন্দু সংগঠনের

    Love Jihad: ধর্মান্তর বিরোধী আইনের দাবি, মুম্বইয়ে লভ জিহাদ বিরোধী মিছিল হিন্দু সংগঠনের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক:  গতকাল মুম্বইয়ের রাস্তায় জড়ো হয়েছিল হিন্দু জনতা। লভ জিহাদ, ল্যান্ড জিহাদ সহ হিন্দু রাষ্ট্র ইস্যুতে রবিবার মুম্বইয়ের রাজপথে হিন্দু সংগঠনের পক্ষ থেকে ব্যাপক হিন্দু জন আক্রোশ মোর্চা মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছিল। হিন্দু সংগঠনগুলি মহারাষ্ট্রের এক লক্ষেরও বেশি হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষকে একত্রিত করার প্রস্তুতি নিয়েছিল। সকাল ১০ টায় মুম্বইয়ের শিবাজি পার্কে লোকেরা জড়ো হয়েছিল এবং তারপরে শিবাজি পার্ক থেকে পেরেলের কামগার ময়দান পর্যন্ত একটি পদযাত্রা বের করেছিল। বিজেপির কিছু নেতা, সাধু-সন্ন্যাসী এই মোর্চায় যোগ দিয়েছিলেন। অংশগ্রহণকারীরা ধর্মান্তর বিরোধী আইন প্রণয়ন ও ধর্মের নামে জমি দখলের বিরুদ্ধে কঠোর ভূমিকা নেওয়ার দাবি তোলেন।

    কারা অংশগ্রহণ করেছিলেন এই পদযাত্রায়?

    গত ২ মাসে মহারাষ্ট্রে ৪০ টিরও বেশি হিন্দু জন আক্রোশ মোর্চা সংঘটিত হয়েছে, তবে গতকালের মোর্চাকে এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বড় বলে মনে করা হচ্ছে। লভ জিহাদ, ধর্মের নামে জমি দখল এবং ধর্মান্তর বিরোধী আইনের দাবিতেই মুম্বইয়ে হিন্দু জন আক্রোশ মোর্চা সংগঠিত করেছে সকল হিন্দু সমাজ। এতে প্রায় এক লক্ষ হিন্দু অংশগ্রহণ করেছিল বলে জানা গিয়েছে। এছাড়াও হিন্দু সংগঠন, উৎসব মন্ডল এবং নাগরিক ও হিন্দুদের কল্যাণে কাজ করে এমন এনজিও গতকালের মিছিলে অংশ নিয়েছিল। এই অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ (আরএসএস), বজরং দল এবং বিশ্ব হিন্দু পরিষদ (ভিএইচপি) সহ হিন্দু সংগঠনের নেতা ও কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। বিজেপির একাধিক নেতা ও বিধায়ক এবং শিবসেনার একনাথ শিন্ডে গোষ্ঠীও সমাবেশে অংশ নেন। মুম্বই বিজেপির সভাপতি আশিস শেলার, বিধায়ক প্রবীণ দারেকার, বিধায়ক অতুল ভাটখালকর, বিধায়ক নীতেশ রানে প্রমুখ বিজেপি নেতারা সমাবেশে অংশ নিয়েছিলেন। মিছিল উপলক্ষে পুরো পথে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়। মোতায়েন করা হয় বাড়তি পুলিশ।

    অনুষ্ঠানের প্রধান বক্তা ছিলেন হায়দ্রাবাদের বিধায়ক টি রাজা সিং। তিনি আবেগঘন ভাষণ দেন এবং হিন্দুদের ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানান। এছাড়াও ভিএইচপি মুখপাত্র এবং জেটি সেক্রেটারি, শ্রীরাজ নায়ার বলেছেন, “প্রায় এক লাখ হিন্দু মিছিলে অংশ নিয়েছিলেন এবং লভ জিহাদ এবং ল্যান্ড জিহাদের বিরুদ্ধে তাঁদের আওয়াজ তুলেছিলেন। হিন্দুদের নৃশংসতার হাত থেকে বাঁচাতে সরকারের উচিত ধর্মান্তর বিরোধী আইন আনা।” বিজেপি বিধায়ক নীতেশ রানে বলেছেন যে হিন্দুদের নিপীড়নের চেষ্টা করা হয়েছে, এবং হিন্দুদের একত্রিত হয়ে একটি বার্তা দিতে হবে।

    হিন্দু সংগঠনের তরফে কী কী দাবি তোলা হয়েছিল?

    তাঁরা গতকাল লভ জিহাদের বিরুদ্ধে আইন, ল্যান্ড জিহাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা, ধর্মান্তর বিরোধী আইনের দাবি করেছেন। আবার ধর্মের নামে জমি দখল করা, মসজিদের লাউডস্পিকার থেকে আওয়াজ ইত্যাদির বিরুদ্ধে সরব হয়েছিলেন। মিছিলে অংশগ্রহণকারীদের লভ জিহাদের বিরুদ্ধে স্লোগান দিতেও দেখা যায়।                                  

  • Suvendu Adhikari: “বিজেপি বাংলায় ক্ষমতায় এলে সমস্ত ব্রিটিশ এবং মুঘল নাম মুছে দেব”, বললেন শুভেন্দু

    Suvendu Adhikari: “বিজেপি বাংলায় ক্ষমতায় এলে সমস্ত ব্রিটিশ এবং মুঘল নাম মুছে দেব”, বললেন শুভেন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পরিবর্তন করা হল রাষ্ট্রপতি ভবনের মুঘল গার্ডেনের নাম। এবার থেকে ‘অমৃত উদ্যান’ হিসেবে পরিচিতি পাবে রাষ্ট্রপতি ভবনের ঐতিহ্যশালী স্থান। আজই রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু অমৃত উদ্যানের উদ্বোধন করবেন। আর কেন্দ্রীয় সরকারের এই সিদ্ধান্তে খুশি রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তিনি সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছেন, মুঘলরা অনেক হিন্দুকে হত্যা করেছে এবং মন্দির ধ্বংস করেছে। তাই তাদের নামে নামকরণ করা সমস্ত জায়গা চিহ্নিত করা উচিত এবং সেগুলোর নতুন নামকরণ করা উচিত। তিনি আরও জানিয়েছেন, আগামী বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি ক্ষমতায় এলে এক সপ্তাহের মধ্যে ব্রিটেন ও মুঘলদের সঙ্গে যুক্ত সব জায়গার নাম পরিবর্তন করা হবে।

    মুঘল গার্ডেনের নাম এখন ‘অমৃত উদ্যান’

    জানা গিয়েছে, ‘আজাদি কা অমৃত মহোৎসব’ উপলক্ষে বদলে ফেলা হয়েছে রাষ্ট্রপতি ভবনের ‘মুঘল গার্ডেন’-এর নাম। শনিবার একথা ঘোষণা করেছেন রাষ্ট্রপতির ডেপুটি প্রেস সচিব নবিকা গুপ্তা। আর আজ রবিবার, ২৯ জানুয়ারি এই অমৃত উদ্যানের আনুষ্ঠানিক ভাবে উদ্বোধন করবেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু। এর পরেই সর্বসাধারণের জন্য এই উদ্যান খুলে দেওয়া হবে। তারপর আগামী দু-মাস অর্থাৎ ৩১ জানুয়ারি থেকে ২৬ মার্চ পর্যন্ত জনগণের জন্য খোলা থাকবে এই উদ্যান।

    আরও পড়ুন: নাম বদলে গেল জাতীয় ঐতিহ্য মুঘল গার্ডেনের, কী হল নতুন নাম?

    শুভেন্দু অধিকারীর বক্তব্য

    গতকাল কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে মুঘল গার্ডেনের নাম পরিবর্তনের কথা জানানো হলে সংবাদমাধ্যমে রাজ্যে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেছেন, “তারা (মুঘলরা) অনেক হিন্দুকে হত্যা করেছে এবং মন্দির ধ্বংস করেছে। তাদের নামে নামকরণ করা সমস্ত জায়গা চিহ্নিত করা উচিত এবং নতুন নামকরণ করা উচিত। বিজেপি বাংলায় ক্ষমতায় এলে আমরা এক সপ্তাহের মধ্যে সমস্ত ব্রিটিশ এবং মুঘল নাম মুছে দেব।”

    অন্যদিকে কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রী গিরিরাজ সিং রাষ্ট্রপতি ভবনের মুঘল গার্ডেনের নাম অমৃত উদ্যান করার পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়েছেন। তিনি বলেন, দেশের স্বাধীনতাকে ভালোভাবে উদযাপন করা উচিত।

  • Recruitment Scam: এজেন্ট নিয়োগ করে বিক্রি হচ্ছে চাকরি! মধুপুরেও শিক্ষক প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের হদিশ! দাবি ইডির

    Recruitment Scam: এজেন্ট নিয়োগ করে বিক্রি হচ্ছে চাকরি! মধুপুরেও শিক্ষক প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের হদিশ! দাবি ইডির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে ধুন্ধুমার পরিস্থিতি বাংলায়। একের পর পর শাসক দলের নেতা মন্ত্রীরা ধরা পড়েছে তদন্তকারী সংস্থার হাতে। সম্প্রতি শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে গ্রেফতার হয়েছেন যুব তৃণমূলের রাজ্য সম্পাদক কুন্তল ঘোষ। গ্রেফতার করার পর তাঁকে জেরা করতেই উঠে আসছে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য। এবার এই যুব নেতাকে জেরা করে আরও এক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পেল ইডি, যা শুনে তদন্তকারীদের চক্ষু চড়কগাছ। চাকরিপ্রার্থীদের সঙ্গে নিয়োগ কর্তাদের যোগাযোগ রাখতে রীতিমত এজেন্ট নিয়োগ করেছিলেন কুন্তল। তাঁরাই টাকা পয়সা লেনদেনের বিষয়টি দেখভাল করত। এছাড়াও জানা গিয়েছে, এবার আরও একটি শিক্ষক প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের হদিশ পাওয়া গিয়েছে মধুপুরে। অভিযোগ, এই প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে ভর্তি হতে গেলে খরচ করতে হয় লক্ষ লক্ষ টাকা। এমনই চাঞ্চল্যকর তথ্য ইডির।

    বিস্ফোরক স্বীকারোক্তি কুন্তলের

    ইডি সূত্রে খবর, শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির ক্ষেত্রে এতদিন মিডিলম্যান, এবং সুপারিশকারী, মূলত ২টি শ্রেণির মাধ্যমেই ব্যাপকহারে দুর্নীতি হত বলে তথ্য প্রমাণ ছিল ইডির হাতে। এজেন্টদের ব্যাপারে তেমন কোনও প্রমাণ ছিল না ইডির কাছে। তবে এবার কুন্তলের বয়ানে এজেন্টদের বিষয়টিও জলের মত পরিষ্কার হয়ে গেল তদন্তকারী সংস্থার কাছে। সূত্রের খবর, জেরায় কুন্তল জানিয়েছেন, চাকরিপ্রার্থীদের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় একার পক্ষে সবার সঙ্গে যোগাযোগ রাখা সম্ভব হচ্ছিল না তাঁর। ফলে বিভিন্ন পদে চাকরির জন্য আলাদা আলাদা এজেন্ট নিয়োগ করেছিলেন তিনি। চাকরিপ্রার্থীদের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করতেন তাঁরাই। টাকা পয়সা লেনদেনের বিষয়টিও দেখত তাঁরা।

    এখানেই শেষ নয়, কুন্তলের আরও দাবি, কোন প্রার্থী কবে কোথায় হাজিরা দেবে, কার কাছে নথিপত্র জমা করবে, কোন নথি সংগ্রহ করবে, এই সমস্ত বিষয়টি দেখতেন এই এজেন্টরাই। তাঁরাই নিয়ত চাকরিপ্রার্থীদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতেন। এরপর এজেন্টদের থেকে টাকা বুঝে নিতেন কুন্তল নিজে। আর এসব কথা জানার পরেই এখন কুন্তল ও তাপস মণ্ডলের কাছ থেকে এজেন্টদের তালিকা তৈরি শুরু করেছেন ইডির গোয়েন্দারা। প্রত্যেককে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে বলে সূত্রের খবর।

    আরও পড়ুন: সনাতন ধর্মই ভারতের রাষ্ট্রীয় ধর্ম, সাফ জানালেন যোগী আদিত্যনাথ

    শিক্ষক প্রশিক্ষণের নামে টাকা তোলার অভিযোগ কুন্তলের বিরুদ্ধে 

    এর আগে হুগলি ধনিয়াখালির ভান্ডারহাটিতে কুন্তলের একটি শিক্ষক প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের খোঁজ মেলে বলে অভিযোগ ওঠে। ধনিয়াখালির পর এবার মধুপুর এলাকা। মধুপুরও ধনিয়াখালি থানার অন্তর্গত। অভিযোগ, ২০১৬ সালের আগে এই প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে প্রশিক্ষণ নিতেন বহু ছাত্র ছাত্রী। যদিও ২০১৬ সালের পর প্রশিক্ষণ কেন্দ্রটি বন্ধ হয়ে যায়। প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের সংস্কারের কাজ হবে বলে তা বন্ধ রাখা হয়। অভিযোগ, এই প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে ভর্তি হতে গেলে খরচ করতে হত লক্ষ লক্ষ টাকা। এতদিন কুন্তল ঘোষের নামে চাকরি বিক্রির অভিযোগ ছিল। এবার সেই তালিকায় যুক্ত হল প্রশিক্ষণ দেওয়ার নামে টাকা তোলার অভিযোগ। এইসব বিস্ফোরক তথ্য প্রকাশ্যে আসতেই সব অভিযোগই খতিয়ে দেখছে ইডির আধিকারিকরা।

  • Padma Shri: গরিবের ‘ক্যাপ্টেন ডাক্তার’! পদ্মশ্রী পেলেন জব্বলপুরের ২০ টাকার চিকিৎসক

    Padma Shri: গরিবের ‘ক্যাপ্টেন ডাক্তার’! পদ্মশ্রী পেলেন জব্বলপুরের ২০ টাকার চিকিৎসক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বর্তমানে প্রায়ই শুনতে পাওয়া যায় চিকিৎসকদের দায়িত্ব জ্ঞানহীনতা, অর্থ লোভের কাহিনী। এরই মধ্যে ব্যতিক্রমও রয়েছেন কেউ কেউ। এক চিকিৎসক রয়েছেন, তাঁকে এককথায় ঈশ্বরই বলা চলে। যেখানে কিছু চিকিৎসক এমন রয়েছেন, টাকা ছাড়া চিকিৎসাই করেন না, সেখানে এমন একজনও রয়েছেন, যিনি দিনের পর দিন মাত্র ২০ টাকাতেই চিকিৎসা করে চলেছেন। কেউ কেউ আবার সামান্য ২০ টাকা দিতেও পারেন না। কিন্তু তাতেও কোনও আপত্তি নেই এই ডাক্তারবাবুর। তাঁদেরকে বিনামূল্যেই চিকিৎসা পরিষেবা দিয়ে যাচ্ছেন তিনি। তাঁকেই আজ পদ্মশ্রী সম্মানে সম্মানিত করল কেন্দ্রীয় সরকার। তিনি হলেন ডা. এম সি দাওয়ার।

    গরিবের ডাক্তারবাবু এবার পেলেন পদ্মশ্রী

    এখন বয়স ৭৭। রোগী দেখা শুরু করেছিলেন মাত্র দুই টাকা দিয়ে। পরিস্থিতির চাপে তা সামান্য বাড়াতে হয়েছিল। তাও সেটা সামান্য। দুই টাকার পরিবর্তে সেটা বাড়িয়ে করেন ২০ টাকা। চেম্বার খোলার আগেই রোগীগের লম্বা লাইন পড়ে যায়। এবারের পদ্ম সম্মান প্রাপকদের তালিকায় তাঁরও নাম রয়েছে। আসন্ন স্বাধীনতা দিবসে বাকিদের সঙ্গে তিনিও গ্রহণ করবেন পদ্ম সম্মান।

    আরও পড়ুন: জীবন কাটছে জেলখানায় বন্দিদের মতো! চিনের শিনজিয়াং প্রদেশে উইঘুর মুসলিমদের কী অবস্থা জানেন?

    ডাক্তার আদতে পাক পাঞ্জাব প্রদেশের বাসিন্দা ছিলেন। অবিভক্ত স্বাধীন ভারতে ১৯৪৬-য়ের ১৬ জানুয়ারি তাঁর জন্ম। দেশ ভাগের পরে পরিবার নিয়ে চলে আসেন। বর্তমানে মধ্যপ্রদেশের জব্বলপুরে বাড়ি ডা. এম সি দাওয়ারের। তাঁকে চেনেন না এমন কোনও লোক নেই সেই জেলায়। পাড়ার লোকজন বলেন, ‘ক্যাপ্টেন ডাক্তার’। কারণ একসময় ভারতীয় সেনাবাহিনীতে ছিলেন তিনি। ১৯৭১ সালে ভারত-পাক যুদ্ধে ভারতীয় বাহিনীর হয়ে লড়াই করেছিলেন। সেনা ক্যাম্পের ডাক্তারও ছিলেন। ১৯৭২ সাল থেকে নিজের চেম্বার খোলেন সাধারণ মানুষের জন্য। সেই সময় তাঁর ফি ছিল ২ টাকা। এখন হয়েছে ২০ টাকা। দিতে না পারলেও আপত্তি নেই। ডাক্তারবাবুর সাফ কথা, “মানুষটা তো আগে বাঁচুক।”

    পদ্মশ্রীতে ভূষিত হওয়ার পরে, ডা. দাওয়ার সংবাদমাধ্যমে বলেন, “কঠোর পরিশ্রম ফল দেয়, এমনকি দেরি হলেও। এটি তারই ফল এবং এটি মানুষের আশীর্বাদ যে আমি এই পুরস্কার পেয়েছি।” নিজের জীবনের অভিজ্ঞতার কথা বলতে গিয়ে তিনি বলেন, “এত কম পারিশ্রমিক নেওয়ার বিষয়ে অবশ্যই বাড়িতে আলোচনা হয়েছিল, তবে এটি নিয়ে কোনও বিতর্ক ছিল না। আমাদের একমাত্র লক্ষ্য ছিল জনগণের সেবা করা, তাই ফি বাড়ানো হয়নি। সাফল্যের মূল মন্ত্র হল আপনি যদি ধৈর্য ধরে কাজ করেন তবে আপনি অবশ্যই সাফল্য পাবেন এবং সাফল্যও সম্মানিত হবে।”

  • Uluberia: মেয়ের শ্লীলতাহানির প্রতিবাদ করায় পিটিয়ে ‘খুন’ বাবা! নৃশংস ঘটনায় শাসকদলকে কটাক্ষ বিজেপির

    Uluberia: মেয়ের শ্লীলতাহানির প্রতিবাদ করায় পিটিয়ে ‘খুন’ বাবা! নৃশংস ঘটনায় শাসকদলকে কটাক্ষ বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পশ্চিমবঙ্গে ক্রমশ বেড়েই চলেছে দুষ্কৃতিদের দাপট। খুন, মারামারি, শ্লীলতাহানির মত ঘটনা রাজ্যজুড়ে ঘটেই চলেছে, আর এখন এর প্রতিবাদ করতে গিয়েও দোষীদের কাছেই মারধর খেতে হচ্ছে। আর এমনই এক ঘটনায় মৃত্যু হল এক ব্যক্তির। জানা গিয়েছে, মেয়ের শ্লীলতাহানির প্রতিবাদ করতে গিয়েই দুষ্কৃতীদের হাতে খুন হয় বাবা। ঘটনাটি উলুবেড়িয়ার শ্যামপুরের নস্করপুর এলাকার। পিটিয়ে খুনের অভিযোগ উঠেছে এলাকারই ৩ যুবকের বিরুদ্ধে। এক অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছিল আগেই। বাকি ২ অভিযুক্তকেও বুধবার গ্রেফতার করল পুলিশ। ক্ষোভে ফেটে পড়েছে এলাকার বাসিন্দারা। অভিযুক্তদের কঠোরতম শাস্তির দাবি জানিয়েছেন তাঁরা। মেয়েকে বাঁচাতে গিয়ে বাবার দুষ্কীতিদের হাতে মৃত্যু, বাংলার এই নৃশংস ঘটনায় শাসকদলের বিরুদ্ধে সরব হয়েছে অন্যান্য রাজনৈতিক দল।  

    ঠিক কী ঘটেছিল?

    পুলিশ সূত্রে খবর, ওই দশম শ্রেণীর ছাত্রী হাওড়ার নস্করপুরের বাসিন্দা। রবিবার সন্ধ্যায় গোবিন্দপুর এলাকায় প্রাইভেট টিউশন পড়তে গিয়েছিল সে। রাত ন’টা নাগাদ টিউশন পড়ে বাড়ি ফিরছিল। অভিযোগ, সেই সময় তার পথ আটকায় ৩ মদ্যপ যুবক। অভিযোগ, ছাত্রীর শ্লীলতাহানি করা হয়। ওই পড়ুয়া বাড়িতে গিয়ে তার বাবাকে বিষয়টা জানায়। স্বাভাবিকভাবেই ক্ষুব্ধ হন তিনি। রবিবার রাতেই ওই দুষ্কৃতীদের কাছে যান নাবালিকার বাবা। ঘটনার প্রতিবাদ করেন।

    অভিযোগ, এর পরেই ওই ছাত্রীর বাবাকে আক্রমণ করে দুষ্কৃতীরা। তাঁকে অন্ধকার ফাঁকা মাঠে নিয়ে গিয়ে বেধড়ক মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। দুষ্কৃতীদের মারধরে অচৈতন্য হয়ে পড়েন ওই ছাত্রীর বাবা। এরপর তাঁকে উদ্ধার করে প্রথমে শ্যামপুরের একটি গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে উলুবেড়িয়া মহকুমা হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয় ওই ব্যক্তিকে। এরপর সোমবার রাতে মৃত্যু হয় ওই ব্যক্তির।

    আরও পড়ুন:‘সিন্ধ আর অত্যাচার সহ্য করবে না’, জিএম সৈয়দের জন্মদিনে পাকিস্তানকে হুঁশিয়ারি

    এই ঘটনায় ইতিমধ্যেই শ্যামপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে মৃতের পরিবার। ধৃতদের বিরুদ্ধে খুন এবং পকসো আইন-সহ একাধিক জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা দায়ের হয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে। তাঁদের উলুবেড়িয়া আদালতে হাজির করানো হবে বুধবার। অভিযুক্ত ৩ যুবকের মধ্যে এলাকার দুই ভাই রয়েছে বলেও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে। স্থানীয় মানুষের অভিযোগ এলাকায় মদ বিক্রি প্রচণ্ড বেড়েছে। পুলিশকে জানিয়েও কোনও লাভ হয়নি। যারা মদের কারবার করে, তাঁরা এলাকায় বেশ প্রভাবশালী।

    শাসকদলকে কটাক্ষ বিজেপির

    এই নৃশংস ঘটনায় শাসকদল ও রাজ্যের আইনশৃঙ্খলাকে কটাক্ষ করে বিজেপির মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য বলেছেন, বাংলায় দুষ্কৃতিরা ভয় পায় না। তারা আত্মবিশ্বাসী যে, রাজ্যে কেউ তাদের কোনও ক্ষতি করবে না। তারা পুলিশ বা আইনশৃঙ্খলাকেও ভয় পায় না। এছাড়াও রাজ্যের অন্যান্য দলের নেতারা প্রশ্ন করেছেন, “এক ব্যক্তি তাঁর মেয়েকে শ্লীলতাহানির হাত থেকে বাঁচাতে গিয়ে মারা গেলেন। এটা নিয়ে কি সরকারের লজ্জা হওয়া উচিত নয়? এটি একটি দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা। এই অনাচারের জন্য কি তৃণমূল দায়ী নয়?”

    রাজ্যে মহিলাদের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন

    প্রসঙ্গত, রাজ্যের বিভিন্ন জায়গা থেকে প্রায় প্রতিদিনই কোনও না কোনও নারী নিগ্রহের অভিযোগ সামনে আসে। সেই তালিকায় নতুন সংযোজন উলুবেড়িয়ার এই ঘটনা। যার ফলে রাজ্যে ফের মহিলাদের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।

  • Manik Bhattacharya: ওএমআর শিট দেখতে না দেওয়ার জের! ফের মানিককে ৫ লক্ষ টাকা জরিমানা হাইকোর্টের

    Manik Bhattacharya: ওএমআর শিট দেখতে না দেওয়ার জের! ফের মানিককে ৫ লক্ষ টাকা জরিমানা হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরও বিপাকে জেলবন্দি তৃণমূল বিধায়ক তথা প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি মানিক ভট্টাচার্য। ফের জরিমানার মুখে পড়লেন তিনি। পাঁচ লক্ষ টাকা জরিমানা করল কলকাতা হাইকোর্ট। এবার এক প্রার্থীকে ওএমআর শিট দেখতে না দেওয়ায় তাঁকে ৫ লক্ষ টাকা জরিমানা করেছে। বুধবার এই নির্দেশ দিয়েছেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। এর আগে এক প্রার্থীর পরীক্ষার ফল না জানানোয় মানিককে ২ লক্ষ টাকা জরিমানা করেছিল আদালত।

    কী অভিযোগ করেছেন মামলাকারী?

    সহিলা পারভিন নামে ২০১৭ সালের এক প্রাথমিক টেট পরীক্ষার্থী আদালতে অভিযোগ করেন, ২০১৭ সালে পরীক্ষা দিয়েও ফলাফল জানতে পারেননি তিনি। এরপর সেই ওএমআর দেখার জন্য আবেদন করেন তিনি। তার পর পর্ষদের তরফে জানানো হয়েছিল, ৫০০ টাকা ড্রাফট কেটে নির্দিষ্ট ফরম্যাটে আবেদন করতে হবে। নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে টাকা জমা দিয়েই পরীক্ষার ওএমআর শিট দেখার আবেদন করেছিলেন তিনি। কিন্তু পর্ষদ তাঁকে তাও দেখতে দেয়নি। উল্টে তাঁকে জানানো হয়, সঠিক ফরম্যাটে আবেদন করেননি তিনি। কিন্তু অভিযোগকারীর দাবি, যে ফরম্যাটে তিনি আবেদন করেছেন, সেটি ছাড়া আর কোনও ফরম্যাট নেই। সেই কারণে তিনি হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন। আর যেসময়ে সহিলা পারভিন অভিযোগ করছেন, সেই সময় প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি ছিলেন মানিক ভট্টাচার্য।

    আরও পড়ুন: আট বছরেও মেলেনি পরীক্ষার ফল, টেট পরীক্ষার্থীর অভিযোগে মানিককে জরিমানা আদালতের

    বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশ

    এই মামলার রায়ে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় বুধবার জানান, সঠিক পদ্ধতি অনুসরণ করে আবেদন করলেও সহিলা পারভিনকে ওএমআর শিট দেখতে দেওয়া হয়নি। এজন্য মানিক ভট্টাচার্যকে ৫ লক্ষ টাকা জরিমানা করল আদালত। আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যেই সেই টাকা জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।

    প্রসঙ্গত, এই জরিমানাই প্রথম নয়, এর আগেও মানিককে জরিমানা করেছে হাইকোর্ট। এর আগে মালারানী পাল নামে এক চাকরিপ্রার্থী অভিযোগ করেছিলেন যে, পরীক্ষার আট বছর পরও তাঁকে ফলাফল জানায়নি পর্ষদ। ফলে সেই অভিযোগের ভিত্তিতে মানিক ভট্টাচার্যকে ২ লক্ষ টাকা আর্থিক জরিমানার নির্দেশ দিয়েছিল বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের একক বেঞ্চ।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • SSC Scam: “টাকার বিনিময়ে চাকরি, ইয়ার্কি হচ্ছে?”, গ্রুপ ডি-এর ওএমআর শিট প্রকাশের নির্দেশ বিচারপতি বসুর

    SSC Scam: “টাকার বিনিময়ে চাকরি, ইয়ার্কি হচ্ছে?”, গ্রুপ ডি-এর ওএমআর শিট প্রকাশের নির্দেশ বিচারপতি বসুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবারে এসএসসি গ্রুপ ডি মামলায় কড়া বার্তা দিলেন বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু (Justice Biswajit Basu)। এই মামলার শুনানিতে ফের একবার আদালতের ভর্ৎসনার মুখে সিবিআই। বিচারপতি বসুর মন্তব্য, “ঘুষ দিয়ে চাকরি পাওয়া ব্যক্তিদের সরাসরি জিজ্ঞাসা করুন, কাকে টাকা দিয়েছে? কাদের টাকা দিয়েছে জানতেই হবে সিবিআইকে।” এ ব্যাপারে এসএসসিকে ৭ দিন সময় দিয়ে বিচারপতি বসু বলেছেন, “গাজিয়াবাদ থেকে পরীক্ষার্থীদের যে উত্তরপত্র  বা ওএমআর শিট উদ্ধার করা হয়েছে, তা ৩১ জানুয়ারির মধ্যে এসএসসিকে নিজেদের ওয়েবসাইটে আপলোড করতে হবে।” আগামী ৮ ফেব্রুয়ারি এই মামলার পরবর্তী শুনানি। অন্যদিকে ঘুষ দিয়ে যারা চাকরি পেয়েছেন এদিন তাদেরও চরম ভর্ৎসনা করেন বিচারপতি।

    বিচারপতির প্রশ্নের মুখে সিবিআই ও বেআইনি চাকরিপ্রার্থী

    এসএসসি গ্রুপ ডি মামলার শুনানিতে এদিন একাধিক প্রশ্নের মুখে পড়তে হয় সিবিআইকে। স্কুল সার্ভিস কমিশনের গ্রুপ ডি পদে নিয়োগে বেনিয়মের অভিযোগ ওঠে। সেই অভিযোগের ভিত্তিতেই এই মামলা হয়েছিল। এদিন বিচারপতি বসু বলেন, “কাকে টাকা দেওয়া হয়েছে সেই তথ্য জানতেই হবে সিবিআইকে। ঘুষ দিয়ে যারা চাকরি পেয়েছেন তাদের জিজ্ঞাসা করুন টাকা তারা দিয়েছেন কাকে?”

    এদিন বেআইনি চাকরীপ্রার্থীদেরও তিরস্কার করা হয়। “পড়ুয়াদের কথা না ভেবে টাকা দিয়ে চাকরি পেয়েছে। আবার আদালতে এসে কথা বলছে, ইয়ার্কি হচ্ছে?” অবৈধ চাকরিপ্রাপকদের উদ্দেশে মন্তব্য বিচারপতি বসুর।

    আরও পড়ুন: ইস্তফা প্রকাশ তৃণমূলের, ভোট কিনতে বাংলার মতো টাকার টোপ মেঘালয়েও!

    গাজিয়াবাদ থেকে উদ্ধার করা ওএমআর শিট প্রকাশের নির্দেশ

    এসএসসি পরীক্ষার্থীদের অন্তত ৪৪৮৭টি উত্তরপত্র বা ওএমআর শিটের সন্ধান গাজিয়াবাদে পাওয়া গিয়েছে বলে জানিয়েছিলেন তদন্তকারীরা। সেই উত্তরপত্রই এসএসসির ওয়েবসাইটে আগামী ৭ দিনের মধ্যে প্রকাশ করার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি বসু। এর আগে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ও গ্রুপ ডি সংক্রান্ত মামলায় ওএমআর প্রকাশের নির্দেশ দিয়েছিলেন। এবারে বিচারপতি বসুও তাই করলেন। তবে তিনি এবারে সময় বেঁধে দিলেন।

    এসএসসি-র উদ্দেশে কী বললেন বিচারপতি বসু?

    এদিন এসএসসি-কে ক্ষুব্ধ বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু প্রশ্ন করেন, যদি এই সব কর্মীদের সরিয়ে দেওয়া হয়, তাহলে সেখানে দ্রুত নিয়োগের জন্য কতটা প্রস্তুত এসএসসি? কর্মী না থাকলে যে স্কুল চালানো সমস্যা হবে, সে কথাও উল্লেখ করেন বিচারপতি। এর পর তিনি নতুন নিয়োগের কথাও উল্লেখ করে বলেন। আর এসএসসির কাছে নতুন নিয়োগ নিয়ে প্রস্তুতির কথাও জানতে চেয়েছেন বিচারপতি। কমিশনের উদ্দেশে বিচারপতি বসুর মন্তব্য, “দুর্নীতি যেখানে পরিষ্কার, সেখানে কেন এই ব্যক্তিদের এখনও সরিয়ে দিতে পদক্ষেপ করা হচ্ছে না। কিসের জন্য অপেক্ষা করা হচ্ছে?” পরবর্তী শুনানির দিন বিচারপতির প্রশ্নের উত্তর দিতে পারবে বলেও জানানো হয়েছে। তবে তার আগে বিচারপতির নির্দেশে ওএমআর শিট প্রকাশের অপেক্ষায় চাকরিপ্রার্থীরা।

  • Republic Day: প্রজতন্ত্র দিবসের অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি রিকশাচালক, সবজি বিক্রেতা সহ সেন্ট্রাল ভিস্তা ও কর্তব্যপথের কর্মীরা

    Republic Day: প্রজতন্ত্র দিবসের অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি রিকশাচালক, সবজি বিক্রেতা সহ সেন্ট্রাল ভিস্তা ও কর্তব্যপথের কর্মীরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রজাতন্ত্র দিবস নিয়ে রাজধানী দিল্লির বুকে সাজো সাজো রব। শুরু হয়ে গিয়েছে ২০২৩ প্রজাতন্ত্র দিবসের প্রস্তুতি। তবে ২০২৩ সালের প্রজাতন্ত্র দিবস হতে চলেছে ভারতের ইতিহাসে এক অনন্য দিন। এবারের কুচকাওয়াজে বিশেষ অতিথিদের পাশাপাশি সামনের সারিতে থাকবেন রিকশাচালক থেকে শুরু করে সবজি বিক্রেতা সহ শ্রমিকও। যেসব শ্রমিক সেন্ট্রাল ভিস্তা, কর্তব্য পথ তৈরির কাজে যুক্ত রয়েছে তাঁদের আমন্ত্রণ করা হয়েছে। প্রজাতন্ত্র দিবসের বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠান দেখার সুযোগ হয় না যেসব মানুষের, এবার তাঁদের জন্যই এই বিশেষ উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।

    প্রজাতন্ত্র দিবসের অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি

    এই বছরের উদযাপনের থিম হল ‘পার্টিসিপেশন অফ দ্য কমন পিপল’ অর্থাৎ “সাধারণ মানুষের অংশগ্রহণ”। সংবাদমাধ্যম সূত্রের খবর, প্যারেড চলাকালীন শ্রমজীবীরা অর্থাৎ ​​যে শ্রমিক সেন্ট্রাল ভিস্তা তৈরিতে সাহায্য করেছেন, তাঁদের পরিবার, কর্তব্য পথের রক্ষণাবেক্ষণ কর্মী এবং সম্প্রদায়ের অন্যান্য সদস্যরা যেমন রিকশাচালক, ছোট মুদি এবং সবজি বিক্রেতারা প্রধান মঞ্চের সামনে বসে থাকবেন। সব মিলিয়ে এক হাজার মানুষ এই অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির সম্মান পাবেন।

    প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের তরফে জানা গিয়েছে, কর্তব্য পথ তৈরির ক্ষেত্রে যাঁরা কাজ করেছেন, প্রজাতন্ত্র দিবসের অনুষ্ঠানে তাঁদের বিশেষ আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। এছাড়াও তফসিলি জাতি, দিব্যাঙ্গদের মধ্যে থেকেও বহু মানুষকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। গতবছরও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi) প্রজাতন্ত্র দিবসের প্যারেডের জমকালো অনুষ্ঠানে অটোরিকশা চালক, নির্মাণ শ্রমিক, সাফাইকর্মী এবং ফ্রন্টলাইন কর্মীদের আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন।

    তবে কোভিড বিধি মেনে দর্শকের সংখ্যা অনেক কমিয়ে দেওয়া হয়েছে। প্রজাতন্ত্র দিবসের অনুষ্ঠানের আসন সংখ্যা নামিয়ে আনা হয়েছে ৪৫০০০-এ। ৪৫০০০ টি আসনের মধ্যে ৩২০০০ টি এই বছর সাধারণ জনগণের জন্য অনলাইন বুকিংয়ের জন্য উপলব্ধ হবে, যেখানে দ্য বিটিং রিট্রিটে মোট আসনের ১০ শতাংশ অনলাইন বুকিংয়ের জন্য উপলব্ধ হবে। শুধুমাত্র ভ্যাকসিন নেওয়া থাকলেই এই অনুষ্ঠানে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হবে।

    প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে, চলতি বছরের এই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন মিশরের প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাট্টা আল সিসি। জানা গিয়েছে, মিশর থেকে ১২০ জনের প্রতিনিধিদল অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকতে পারেন। এছাড়াও এবারে দেশের প্রজাতন্ত্র দিবসে নজর কাড়তে চলেছে প্রযুক্তি। ৩,৫০০ টি ড্রোন নিয়ে এক বিশেষ শোয়ের আয়োজন করা হয়েছে। অন্যদিকে, অনুষ্ঠানের আগে নিরাপত্তায় মুড়ে ফেলা হয়েছে গোটা দিল্লি। সীমান্তে এলাকায় কড়া নজরদারি চালাচ্ছে দিল্লি পুলিশ।

LinkedIn
Share