Author: নিমাই দে

  • KLO Chief: জল্পনার অবসান! অবশেষে আত্মসমর্পণ করলেন কেএলও প্রধান জীবন সিংহ

    KLO Chief: জল্পনার অবসান! অবশেষে আত্মসমর্পণ করলেন কেএলও প্রধান জীবন সিংহ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অবশেষে আত্মসমর্পণ করলেন কেএলও বা কামতাপুর লিবারেশন অর্গানাইজেশনের প্রধান জীবন সিংহ (KLO Chief)। নাগাল্যান্ডের মন জেলায় নয়া বস্তি এলাকায় আত্মসমর্পণ করেন কেএলও নেতা তিমির দাস ওরফে জীবন সিংহ। শুধুমাত্র কেএলও নেতা জীবন সিংহ নন, তাঁর সঙ্গে মোট ৬ জন আত্মসমর্পণ করেছেন বলে খবর। গত ১৩ জানুয়ারি তিনি নাগাল্যান্ডে অসম রাইফেলসের কাছে ধরা দেন বলে জানা গিয়েছে। জানা যাচ্ছে, তাঁদের সবাইকে অসমে নিয়ে গিয়ে রাখা হবে। আপাতত, কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা বাহিনীর হেফাজতে রয়েছেন তাঁরা। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক সূত্রের খবর, জীবন ও তাঁর অনুগামীদের আত্মসমর্পণে বড় ভূমিকা রয়েছে অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মার।

    আত্মসমর্পণ কেএলও নেতা ও তাঁর ৬ অনুগামীর

    কয়েক দিন আগে থেকেই জোর জল্পনা ছিল। অবশেষে সমস্ত জল্পনার অবসান ঘটিয়ে সামনে এল বড় খবর। মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক সূত্রে জানা গিয়েছে যে, উত্তরবঙ্গে সক্রিয় জঙ্গি সংগঠন কামতাপুর লিবারেশন অর্গানাইজেশন (কেএলও)-এর প্রধান জীবন সিংহ ছ’জন অনুগামীকে নিয়ে নাগাল্যান্ডের মন জেলার মায়ানমার সীমান্ত লাগোয়া নয়াবস্তি এলাকায় আত্মসমর্পণ করেছেন।

    প্রসঙ্গত, জলপাইগুড়ির কুমারগ্রামের বাসিন্দা ছিলেন জীবন। ১৯৯৫ সালে তৈরি হয় কেএলও তথা ‘কামতাপুর লিবারেশন অর্গানাইজেশন’। রাজবংশীদের জন্য পৃথক রাজ্যের দাবি জানাতে দেখা গিয়েছে কামতাপুরীদের। বাংলা ও অসমের বিক্ষিপ্ত অংশকে জুড়ে এই রাজ্য গঠনের দাবি দীর্ঘদিন ধরেই জানাচ্ছেন তাঁরা। কখনও উত্তরবঙ্গ, কখনও অসম, কখনও বা দেশের বাইরে থেকেও এই বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠীকে নেতৃত্ব দিয়েছেন জীবন সিংহ। কয়েকদিন আগেও জীবন সিংহকে দাবি করতে দেখা গিয়েছিল, তাঁদের দীর্ঘদিনের দাবি শীঘ্রই পূরণ হতে চলেছে। এই নিয়ে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছিল। কিন্তু এর পরেই আজ তাঁর আত্মসমর্পণের কথা প্রকাশ্যে এল।

    আরও পড়ুন: বিজেপির সভাপতি পদে বহাল রইলেন নাড্ডাই, শাহি ঘোষণার কারণ জানেন?

    জীবনের আত্মসমর্পণে অসম মুখ্যমন্ত্রীর অবদান

    জানা গিয়েছে, জীবন ও তাঁর অনুগামীদের আত্মসমর্পণে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রয়েছে অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মার। অসমের মুখ্যমন্ত্রী তথা বিজেপি নেতা হিমন্ত গত এক বছর ধরেই শান্তি ফেরাতে কেএলও নেতৃত্বের সঙ্গে আলোচনা চালাচ্ছিলেন। আত্মসমর্পণকারী কেএলও নেতাদের সঙ্গে শীঘ্রই অসমে শান্তি আলোচনা শুরু হবে। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা দফতরের একটি সূত্রের দাবি, জীবন ভারতে ফিরতে তৈরি- এই বার্তা পাঠানোর পরেই, অসম রাইফেলসের দল নাগাল্যান্ডের মন জেলায় পৌঁছে যায়। আর ওই এলাকাতেই অসম রাইফেলসের সামনে জীবনদের আত্মসমর্পণ করানো হয়।

    প্রসঙ্গত, পৃথক কামতাপুর গড়ার দাবিতে উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন এলাকায় দীর্ঘ দিন ধরেই সন্ত্রাস ছড়ানোর অভিযোগ রয়েছে কেএলওর বিরুদ্ধে। ২০০৩ সালে আলিপুরদুয়ার লাগোয়া ভুটানের জঙ্গলে ঘাঁটি গড়ে বসা কেএলও এবং তার সহযোগী সংগঠনগুলির বিরুদ্ধে ‘অপারেশন অল ক্লিয়ার’ এবং ‘অপারেশন ফ্ল্যাশ আউট’ চালিয়েছিল ভারত ও ভুটান সেনা। আগেই জীবনের বোন, ভগ্নীপতি, সহ-সভাপতি হর্ষবর্ধন, সেনাধ্যক্ষ টম অধিকারী, কৈলাশ কোচের মত কেএলও-র শীর্ষ নেতারা আত্মসমর্পণ করেন। কিন্তু জীবন মায়ানমারে পালিয়ে গিয়ে নাগা জঙ্গিগোষ্ঠী এনএসসিএন (খাপলাং)-এর শিবিরে আশ্রয় নিয়েছিলেন। এর পর তাঁর আত্মসমর্পণের কথা প্রকাশ্যে এল। ফলে এখন প্রশ্নে উঠছে যে, এবার কি অস্ত্র ছেড়ে সাধারণ জীবনে ফিরতে চাইছেন তিনি?

  • Nepal Plane Crash: বাবাকে দেওয়া কথা রাখতে পারলেন না মেয়ে! কী বলেছিলেন বিমান দুর্ঘটনায় মৃত ওশিন?

    Nepal Plane Crash: বাবাকে দেওয়া কথা রাখতে পারলেন না মেয়ে! কী বলেছিলেন বিমান দুর্ঘটনায় মৃত ওশিন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রবিবার নেপালের পোখরা বিমানবন্দরে অবতরণের ঠিক কয়েক সেকেন্ড আগে ভেঙে পরে নেপালের ইয়েতি এয়ারলাইন্সের বিমান। সেই ভয়াবহ দুর্ঘটনার ভিডিও ইতিমধ্যেই দেখা গিয়েছে ভারতীয় যুবক সোনুর ফেসবুক লাইফ থেকে। সেদিন ইয়েতি এয়ারলাইন্সের ওই বিমানে ছিলেন বিমান সেবিকা ওশিন আলে মাগার। সেদিন ২৪ বছরের এই তরুণীও প্রাণ হারিয়েছেন ভয়াবহ দুর্ঘটনায়। জানা গিয়েছে, তাঁকে ওইদিন তাঁর বাবা বলেছিলেন, সেদিনের মত কাজে না গিয়ে বাড়ির উৎসবে অংশ নিতে। কিন্তু ওশিন বলেছিলেন, ফ্লাইটটি শেষ করেই তিনি ফিরে আসবেন। কিন্তু বাবাকে দেওয়া কথা রাখতে পারলেন না তিনি।

    মেয়েকে সেদিন আটকাতে না পেরে আক্ষেপ বাবার

    রবিবার ছিল মাঘে সংক্রান্তি উৎসব। মকর সংক্রান্তির দিনটিকে এই নামেই উদযাপন করেন নেপালের মানুষ। উৎসবের দিনে মেয়েকে কাজে যেতে নিষেধ করেছিলেন ওশিনের বাবা মোহন। ভারতীয় সেনাবাহিনীর একজন অবসরপ্রাপ্ত কর্মী মোহন আলে মাগার। তিনি সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছেন, রবিবার তাঁর কেমন যেন মনে হয়েছিল। তাই তিনি তাঁর মেয়ে ওশিনকে খুব সকালে বলেছিলেন, কাজে যাওয়ার দরকার নেই। বরং সে যেন বাড়ির অনুষ্ঠানে আসে। কিন্তু ওশিন বলেছিলেন, দুটি ফ্লাইট শেষ করেই তিনি উৎসবে যোগ দেবেন। বাবার কথা না রাখতে পারলেও বাবাকে ওশিন কথা দিয়েছিলেন, তিনি ফিরে এসে মাঘে সংক্রান্তি উদযাপন করবেন। কিন্তু নিয়তি তা হতে দিল না।

    ওশিনের বাবা আরও জানিয়েছেন, বাড়িতে যখন উৎসবের আয়োজন চলছিল, ঠিক সেই সময় এই বিমান দুর্ঘটনার খবর পান তাঁরা। ফলে সেদিন তাঁর মেয়েকে আটকাতে না পারার আক্ষেপ তো রয়েছেই, সঙ্গে মেয়েকে হারিয়ে শোকে আকুল তিনি। ওশিনের বাবা-মায়ের শুধু মনে হচ্ছে, সেদিন ছুটি নিলে তাঁদের মেয়ে আজ বেঁচে থাকত।

    মৃত্যুর আগের টিকটক ভিডিও ভাইরাল

    প্রকাশ্যে এসেছে বিমানসেবিকা ওশিনের টিকটক ভিডিও। গতকাল থেকেই তাঁর মৃত্যুর আগে করা ভিডিওটি নেটদুনিয়ায় ভাইরাল। সেদিন বিমানযাত্রা শুরুর আগেই বিমানের ভিতর থেকে ভিডিও বানিয়ে নিজেকে ক্যামেরাবন্দি করেছিলেন তিনি। সেখানে তাঁকে হাসিমুখে ভিডিও করতে দেখা যায়। ভিডিওটি পোস্টও করেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। সেই ভিডিওই এখন নেটপাড়ায় ভাইরাল, যা দেখে চোখে জল নেটিজেনদের।

    চিতওয়ানের মাদির বাসিন্দা তাঁরা। ওশিন কাঠমাণ্ডুতে থেকে পড়াশোনা করেছেন। নেপালের অক্সফোর্ড কলেজ থেকে পড়াশোনা করেন তিনি। তাঁর উচ্চশিক্ষা ভারতে। স্নাতক হয়ে সাহারা এয়ার হোস্টেস অ্যাকাডেমি থেকে পাশ করেন। দু’বছর হল বিয়ে হয়েছে ওশিনের। তাঁর স্বামী কর্মসূত্রে ব্রিটেনে থাকেন। দুই বোন এবং এক ভাই আছে ওশিনের। মোহন জানিয়েছেন, মেয়ের অনেক স্বপ্ন ছিল। কেরিয়ারে অনেক এগিয়ে যেতে চেয়েছিলেন ওশিন। সব শেষ হয়ে গেল। দুর্ঘটনার খবর পেয়ে ভেঙে পড়েছে ওশিনের পরিবার। তাঁর বাবা এবং মা গিয়ে মেয়ের মৃতদেহ শনাক্ত করে এসেছেন।

  • Amazon: অ্যামাজন ভারতে ১০০০ কর্মী ছাঁটাই! অফিসেই কান্নায় ভেঙে পড়লেন কর্মীরা

    Amazon: অ্যামাজন ভারতে ১০০০ কর্মী ছাঁটাই! অফিসেই কান্নায় ভেঙে পড়লেন কর্মীরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আগেই ঘোষণা করা হয়েছিল যে, নতুন বছরে কর্মী ছাঁটাই হতে চলেছে ই-কমার্স সংস্থা অ্যামাজনে। অবশেষে খারাপ খবরটা পৌঁছেই গিয়েছে অ্যামাজনের কর্মীদের কাছে। ইমেল মারফৎ জানিয়ে দেওয়া হয়েছে কতজনকে ছাঁটাই করা হবে। এই খবরে কার্যত কান্নার রোল পড়ে গিয়েছে আন্তর্জাতিক ই-কমার্স সংস্থার ভারতীয় অফিসে। কয়েকদিন আগেই ১৮ হাজারের বেশি কর্মী ছাঁটাইয়ের ঘোষণা করেছিল অ্যামাজন। আগামী ১৮ জানুয়ারি থেকেই কর্মী ছাঁটাইয়ের প্রক্রিয়া কার্যকরী করা হবেও জানিয়েছিলেন কোম্পানির সিইও অ্যান্ডি জেসি। আর সেই ছাঁটাইয়ের তালিকায় রয়েছে ভারত থেকে অনেক কর্মী। সূত্রের খবর অনুযায়ী, ভারতের প্রায় ১০০০ কর্মীকে বরখাস্ত করা হবে।

    গণছাঁটাইয়ের খবরে কান্নায় ভেঙে পড়লেন অ্যামাজন ভারতের কর্মীরা

    প্রয়োজনের থেকে বেশি লোক নেওয়া হয়ে গিয়েছে। তাই এবার ছাঁটাই। এমনটাই জানিয়েছে জনপ্রিয় ই-কমার্স সংস্থা অ্যামাজন। ভারত থেকে ১০০০ জন কর্মীকে ছাঁটাই করা হবে বলে জানানো হয়েছে সংস্থার তরফে। সেই প্রক্রিয়াই শুরু হচ্ছে এবার। আর ছাঁটাইয়ের খবর আসা মাত্রই অফিসের মধ্যেই কান্নায় ভেঙে পড়লেন কর্মচারীরা। যদিও ৫ মাসের বেতনের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ভারতে কর্মী ছাঁটাই শুরু করেছে অ্যামাজন। কিন্তু কর্মীরা এই ছাঁটাইয়ের খবরে খুশি নন। সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজেদের দুঃখ, ক্ষোভ উগড়ে দিচ্ছেন কর্মচারীরা। এক কর্মচারী ট্যুইট করে লেখেন, “আমার টিমের ৭৫ শতাংশ কর্মী কাজ হারিয়েছেন। বাকি ২৫ শতাংশের মধ্যে আমি রয়েছি। কাজের উৎসাহ পাচ্ছি না যেন আর। সহ কর্মীদের অঝোরে কাঁদতে দেখছি অফিসে।” এই পোস্টটির একটি স্ক্রিনশট ট্যুইটারে ভাইরাল হয়েছে, যা ৪.৫ লক্ষেরও বেশি ভিউ এবং প্রচুর কমেন্ট এসেছে।

    উল্লেখ্য, ভারত সহ বিশ্বব্যাপী কর্মীদের ছাঁটাই পর্ব শুরু করেছে অ্যামাজন। ইতিমধ্যে ভারতে বেঙ্গালুরু, গুরুগ্রাম এবং অন্যান্য জায়গায় অ্যামাজনের একাধিক দফতরে কর্মী ছাঁটাই শুরু হয়েছে। ছাঁটাই করা হলেও কর্মীদের ৫ মাসের বেতন দেওয়া হবে বলেও কোম্পানির তরফে প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে। শুধু তাই নয়, ওই কর্মীদের পরবর্তী কাজ খুঁজতেও সাহায্য করবে অ্যামাজন। কীভাবে চাকরি খুঁজবেন, কীভাবে রিজিউম বানাবেন, কীভাবে ইন্টারভিউ দেবেন, এ সব শেখানো হবে।

  • West Bengal Weather: ফের নামল পারদ! মাঘের শুরুতেই বৃষ্টির পূর্বাভাস

    West Bengal Weather: ফের নামল পারদ! মাঘের শুরুতেই বৃষ্টির পূর্বাভাস

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শীত এখনই শেষ না। মকর সংক্রান্তিতে শহরে শীত উধাও থাকলেও ফের নিম্নমুখী পারদ। তবে পৌষ সংক্রান্তির পর তাপমাত্রার পারদ খানিকটা নামলেও, গত সপ্তাহের মত জাঁকিয়ে ঠান্ডার আমেজ একেবারেই নেই। রয়েছে হালকা শীতের আমেজ। আজ কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৬.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আবার এর সঙ্গে রয়েছে বৃষ্টির পূর্বাভাস। নতুন সপ্তাহে উত্তর থেকে দক্ষিণ, বাংলার সব প্রান্তে বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে হাওয়া অফিস। তবে কলকাতায় তেমন বৃষ্টি হবে না বলে জানা গিয়েছে।

    কলকাতার আবহাওয়া

    সকালের দিকে কুয়াশা থাকবে। পরে আকাশ আংশিক মেঘলা থাকবে। সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রা থাকতে পারে ২৬ ও ১৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশেপাশে। এদিন কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৬.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা স্বাভাবিকের থেকে ২ ডিগ্রি বেশি। রবিবার এই তাপমাত্রা ছিল ১৯.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। অর্থাৎ এদিন এক ধাক্কায় তাপমাত্রা নেমেছে ৩ ডিগ্রি।

    বৃষ্টির পূর্বাভাস এই জেলাগুলোতে

    আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, মাঘের শুরুতেই রাজ্যের উপকূলবর্তী জেলায় হালকা বৃষ্টি হতে পারে।  আগামী ১৭ এবং ১৮ জানুয়ারি দক্ষিণ ২৪ পরগনা এবং পূর্ব মেদিনীপুরে হালকা বৃষ্টি হতে পারে। এছাড়াও উত্তর ২৪ পরগনা, হাওড়া এই দুই জেলাতেও বৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া দক্ষিণবঙ্গের বাকি জেলাগুলির আবহাওয়া শুষ্ক থাকবে। এদিন গাঙ্গের পশ্চিমবঙ্গের জেলাগুলিতে তাপমাত্রা কিছুটা কমেছে। তবে বুধবার থেকে তাপমাত্রা ফের ঊর্ধ্বগামী হওয়ার পূর্বাভাস দিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর।

    আরও পড়ুন: মকর সংক্রান্তিতে উধাও শীতের আমেজ! বৃষ্টির পূর্বাভাস রাজ্যের এই জেলাগুলিতে

    অন্যদিকে উত্তরবঙ্গে ১৬, ১৭, ১৮ জানুয়ারি দার্জিলিং-এ হালকা বৃষ্টি হতে পারে। ১৬, ১৭ জানুয়ারি হালকা বৃষ্টি হতে পারে কালিম্পং-এ। শুধুমাত্র আলিপুরদুয়ারে হালকা বৃষ্টি হতে পারে আজ, ১৬ জানুয়ারি। এছাড়া উত্তরবঙ্গের জলপাইগুড়ি, কোচবিহার, উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুর এবং মালদায় আগামী এক সপ্তাহ আবহাওয়া প্রায় শুষ্ক থাকবে। উত্তরবঙ্গের জেলাগুলিতে ঘন কুয়াশার দাপট দেখা যাব। তবে আপাতত উত্তরবঙ্গের জেলাগুলিতে রাতের তাপমাত্রার তেমন কোনও পরিবর্তন হবে না।

    তাপমাত্রা নামলেও জাঁকিয়ে ঠান্ডা নেই কেন?

    আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, ইতিমধ্যেই একটি শক্তিশালী পশ্চিমী ঝঞ্ঝা রয়েছে। নতুন করে পরপর দুটি শক্তিশালী পশ্চিমী ঝঞ্ঝা ঢুকবে উত্তর-পশ্চিম ভারতে। একটি বুধবার ও আরেকটি শুক্রবার। এছাড়াও উত্তর বঙ্গোপসাগরে রয়েছে একটি উচ্চচাপ বলয়। এই উচ্চচাপ বলয় থেকে দক্ষিণ-পশ্চিম বাতাসে ভর করে প্রচুর জলীয় বাষ্প ঢুকবে গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গে। ফলে হাড়কাঁপানো শীত অনুভব করা যাচ্ছে না।

  • Nepal Plane Crash: দুর্ঘটনার মুহূর্তে ফেসবুক লাইভ করছিলেন এক ভারতীয় যাত্রী! দেখুন সেই ভিডিও

    Nepal Plane Crash: দুর্ঘটনার মুহূর্তে ফেসবুক লাইভ করছিলেন এক ভারতীয় যাত্রী! দেখুন সেই ভিডিও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মৃত্যুর আগেও এক যাত্রী ভিডিও করে গেলেন, আর সেই ভয়াবহ দৃশ্যই দেখতে পেল গোটা বিশ্ব। বিমানের ভিতরে থাকা সহযাত্রীদের শেষ মুহূর্ত ক্যামেরিবন্দি করেছেন এক জন যাত্রী।  নেপালের বিমান দুর্ঘটনার সেই চাঞ্চল্যকর মুহূর্তই সামনে এল এবার। সেই ভিডিওতে দেখা গিয়েছে হাসি মুখে এক ভারতীয় যাত্রী ফেসবুক লাইফ করছিলেন। কিন্তু পরক্ষণেই সেই দৃশ্য বদলে গেল কান্না-চিৎকারে। ভিডিওতে মনে হয়েছে, হঠাৎ এক ঝাঁকুনিতে সেই ফোনটি পড়ে যায় ও শেষ মুহূর্তে দেখা যায় ভয়াবহ আগুন। 

    বিমান ভেঙে পড়ার কিছু ভিডিও মাটি থেকেও নেওয়া হয়েছিল। সেই ভিডিওতে স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে বিমান আকাশেই নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেছিল। তারপরই মুহূর্তের মধ্যে আছড়ে পড়ে মাটিতে। বিকট আওয়াজ করে মাটিতে আছড়ে পড়ে এটি। সেই ক্লিপে দেখা যায় কীভাবে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে মাটিতে আছড়ে পড়ে বিমান। এর পর আরেকটি ভিডিওতে দেখা যায়, ভেঙে পড়া ফ্লাইটটি থেকে ধোঁয়া বের হচ্ছে, আর দাউ দাউ করে জ্বলছে আগুন। 

    মৃত্যুর আগের দৃশ্য ক্যামেরাবন্দি!

    গতকাল, রবিবার সকাল ১০টা ৩২ মিনিটে কাঠমাণ্ডু থেকে ৬৮ জন যাত্রী নিয়ে পোখরার উদ্দেশে রওনা দিয়েছিল ইয়েতি এয়ারলাইন্সের বিমানটি। বিমানে ৪ জন বিমানকর্মীও ছিলেন। রবিবার সকালে পোখরা বিমানবন্দরে নামার ঠিক আগেই ৭২ জনকে নিয়েই মাটিতে আছড়ে পড়ে ইয়েতি বিমান সংস্থার একটি এটিআর-৭২ বিমান। ভেঙে পড়া সেই বিমানের ধ্বংসাবশেষের কাছ থেকে একটি মোবাইল খুঁজে পেয়েছেন উদ্ধারকারীরা। আর তাতেই প্রকাশ্যে এসেছে বিমান ভেঙে পড়ার ঠিক আগের মুহূর্ত। সেই ভিডিওই প্রমাণ যে, কিছু সেকেন্ডের মধ্যেই কত কিছুই না ঘটে যেতে পারে। সেই ভিডিও দেখেই বোঝা যাচ্ছে যে, সেটি কতটা অসহনীয়! কতটা যন্ত্রনার!

    মৃত্যু ভারতীয়দের

    সূত্রের খবর অনুযায়ী, ফেসবুক লাইভ করা সেই ব্যক্তির নাম সোনু জয়সওয়াল। তিনি উত্তরপ্রদেশের গাজিপুর জেলার চক জিনাব গ্রামের বাসিন্দা। সোনু ছাড়াও দুর্ঘটনার কবলে পড়েছেন যে চার ভারতীয় যুবক, তাঁরা হলেন – অনিল রাজভর, বিশাল শর্মা, অভিষেক কুশওয়া, সঞ্জয় জয়সওয়াল। জানা গিয়েছে, গত ১৩ জানুয়ারি তাঁরা নেপালে বেড়াতে গিয়েছিলেন। কিন্তু ঘটে এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনা। বিমান মাটিতে আছড়ে পড়ার আগে তিনি ফেসবুক লাইফ করছিলেন। লাইফ করার প্রথমে তাঁর হাসি মুখ দেখা গেলেও সেই লাইফ শেষ হয় যাত্রীদের চিৎকার-কান্না ও আগুনের লেলিহান শিখায়। জানা গিয়েছে, দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে সোনু সহ পাঁচ ভারতীয় যুবকের। সূত্রের খবর অনুযায়ী, ৭২ জন যাত্রীর মধ্যে সকলেই মারা গেছেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। এখনও পর্যন্ত ৬৮টি দেহ উদ্ধার। তবে, কারও বেঁচে থাকার সম্ভাবনা ভীষণই ক্ষীণ বলে জানিয়েছে নেপাল সেনা। 

     

  • Covid in China: করোনায় মৃত্যু মিছিল! চিনে ৩৫ দিনে কোভিডে মৃতের সংখ্যা প্রায় ৬০ হাজার

    Covid in China: করোনায় মৃত্যু মিছিল! চিনে ৩৫ দিনে কোভিডে মৃতের সংখ্যা প্রায় ৬০ হাজার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: করোনার দাপট যখন ভারত সহ গোটা বিশ্বে কমে গিয়েছে, তখনই চিনে করোনায় মৃত্যুর সংখ্যা রীতিমতো ভয় ধরাচ্ছে। সূত্রের খবর অনুযায়ী, মাত্র ৩৫ দিনে চিনে করোনায় মৃত্যু হয়েছে প্রায় ৬০ হাজার মানুষের। সম্প্রতি এমনই চাঞ্চল্যকর রিপোর্ট প্রকাশ করেছে চিন সরকার। শনিবার বেজিংয়ে সাংবাদিক সম্মেলনে একথা জানিয়েছেন চিনের জাতীয় স্বাস্থ্য কমিশনের (NHC) একজন কর্মকর্তা।

    এক মাসে চিনে করোনায় মৃত্যুর সংখ্যা ৬০ হাজার!

    করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট ‘বিএফ.৭’ সংক্রমণের দাপাদাপি চিন জুড়ে। সেই আবহে শনিবার করোনায় মৃত্যুর পরিসংখ্যান প্রকাশ করল শি জিনপিংয়ের সরকার। শনিবার ব্যুরো অফ মেডিক্যাল অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের প্রধান জিয়াও ইয়াহুই জানিয়েছেন, গত বছরের ৮ ডিসেম্বর থেকে চলতি বছরের ১২ জানুয়ারি পর্যন্ত চিনে করোনায় মৃত্যু হয়েছে ৫৯ হাজার ৯৩৮ জনের। এদের মধ্যে শ্বাসকষ্টজনিত কারণে ৫ হাজার ৫০৩ জন মারা গিয়েছেন। কোভিড ও অন্যান্য অসুস্থতার কারণে মারা গিয়েছেন ৫৪ হাজার ৪৫৩ জন। তবে, এই হিসেবের মধ্যে নেই বাড়িতে মৃত্যু হওয়া লোকজনের সংখ্যা। এই পরিসংখ্যান কেবল স্বাস্থ্য দফতরের নথিভুক্ত পরিসংখ্যান। সুতরাং ৩৫ দিনে চিনে করোনায় মৃত্যুর সংখ্যা আরও বেশি হতে পারে।

    আরও পড়ুন: বেজিংয়ের মিথ্যা ফাঁস! উপগ্রহ চিত্রে ধরা পড়ল চিনের বেলাগাম করোনা পরিস্থিতি

    এর পাশাপাশি দাবি করা হয়েছে যে, মৃত রোগীদের ৯০%ই ৬৫ বয়স বা তার বেশি। শনিবার চিনের স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, যারা মারা গেছেন তাদের গড় বয়স ৮০.৩ বছর, যার ৯০ শতাংশের বেশি মৃত্যু হয়েছে ৬৫ বছরের বেশি বয়সী।

    কোভিডের প্রথম, দ্বিতীয়, তৃতীয় ঢেউয়ের ধাক্কা সামলে ভ্যাকসিন নিয়ে ধীরে ধীরে গোটা বিশ্বে সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে এলেও গত বছরের শেষে পুনরায় করোনাভাইরাসে জেরবার হয়ে পড়ে চিন। সংক্রমণ মোকাবিলায় প্রথমবারের মত ‘জিরো কোভিড পলিসি’ চালু করে শি জিনপিংয়ের সরকার। কিন্তু দেশের নাগরিকদের একাংশ সেই নীতির তীব্র বিরোধিতা করে। ফলে ওই নীতি প্রত্যাহার করে নেয় বেজিং। আর যার জেরে ফের চিনে মারাত্মক আকার নেয় কোভিড মহামারী। তবে চিন থেকে যে তথ্য বেরিয়েছে, তার পর থেকেই উদ্বেগ বেড়েছে বিশ্বে।

  • West Bengal Weather: মকর সংক্রান্তিতে উধাও শীতের আমেজ! বৃষ্টির পূর্বাভাস রাজ্যের এই জেলাগুলিতে

    West Bengal Weather: মকর সংক্রান্তিতে উধাও শীতের আমেজ! বৃষ্টির পূর্বাভাস রাজ্যের এই জেলাগুলিতে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মকরসংক্রান্তির দিনে কলকাতা ও আশেপাশের এলাকার আকাশ মেঘলা। অন্যদিকে হু হু করে বেড়েই চলেছে শহর কলকাতার তাপমাত্রা। ইতিমধ্যেই কি তবে রাজ্য থেকে শীত বিদায়ের পথে! এই মরশুমে বড়দিন ও বর্ষবরণে তেমন ভাবে শীত অনুভব করতে পারেনি কলকাতাবাসী। তবে নতুন বছর থেকে অবশ্য টানা শীতের ঝোড়ো ইনিংস শহরে। কিন্তু কাল থেকে ফের পরিবর্তন শীতের চালে। গতকালই সর্বনিম্ন তাপমাত্রা বেড়ে হয়েছিল ১৯.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা ছিল স্বাভাবিকের থেকে ৫ ডিগ্রি বেশি। আর তা সামান্য কমে হয়েছে ১৯.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

    কেন তাপমাত্রা বৃদ্ধি ও ফের কবে তাপমাত্রা কমবে?

    আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, বঙ্গোপসাগরে উচ্চচাপ বলয়ের কারণে প্রচুর পরিমাণে জলীয় বাষ্প স্থলভাগে ঢুকছে। আর পশ্চিমী ঝঞ্ঝার প্রভাবে উত্তুরে হাওয়া আটকে গিয়েছে। সেই কারণে পৌষ সংক্রান্তিতেও ১৯ ডিগ্রির ওপরে তাপমাত্রা। যদিও সোমবার থেকে তা সামান্য কমবে। কলকাতায় ১৫ ডিগ্রিতে নামবে তাপমাত্রা। পাশাপাশি জেলা গুলিতেও তা সামান্য নিম্নমুখী হবে। যদিও সোমবার তাপমাত্রা কমলেও বুধবার তা ফের বেড়ে যাবে। তাপমাত্রা বাড়ার পাশাপাশি বুধবার কলকাতা-সহ উপকূলের জেলায় হালকা বৃষ্টির পূর্বাভাসও রয়েছে। আজ রবিবার, ঘন কুয়াশার দাপট আপাতত বজায় থাকবে।

    কলকাতার তাপমাত্রা

    আবহাওয়া দফতর থেকে জানানো হয়েছে, সকালের দিকে দিকে কুয়াশা থাকলেও পরে আকাশ পরিষ্কার হয়ে যাবে। সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রা থাকতে পারে ২৭ ও ১৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশেপাশে। কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৯.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা স্বাভাবিকের থেকে ৫ ডিগ্রি বেশি। এদিন আপেক্ষিক আর্দ্রতা সর্বোচ্চ ৯৪ শতাংশ।

    আরও পড়ুন: মকর সংক্রান্তির আগেই বিদায় শীত? কলকাতায় পারদ উঠল ৫ ডিগ্রি

    উত্তরবঙ্গ ও দক্ষিণবঙ্গের আবহাওয়া

    পূর্বাভাস অনুযায়ী, আগামী ৪৮ ঘন্টা অর্থাৎ ১৭ জানুয়ারি মঙ্গলবার সকালের মধ্যে দার্জিলিং, কালিম্পং এবং আলিপুরদুয়ারে হাল্কা বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। বাকি জেলাগুলির আবহাওয়া শুকনো থাকবে। আগামী ২৪ ঘন্টায় হিমালয় সংলগ্ন পশ্চিমবঙ্গের জেলাগুলির কোনও কোনও জায়গায় হাল্কা থেকে মাঝারি কুয়াশা থাকতে পারে। পরের তিন দিনে তাপমাত্রা ২-৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস হ্রাস পেতে পারে।

    ১৭ জানুয়ারি মঙ্গলবার সকালের মধ্যে দক্ষিণবঙ্গের সবকটি জেলার আবহাওয়া শুকনো থাকবে। এই সময়ে গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গের জেলাগুলির কোথাও কোথাও হাল্কা থেকে মাঝারি কুয়াশা থাকতে পারে। বুধবার নাগাদ উপকূলের জেলাগুলিতে হাল্কা বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। আগামী দুদিনে গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গের জেলাগুলিতে তাপমাত্রা ২-৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস হ্রাস পেতে পারে।

    কাশ্মীরে তুষারধস

    ফের তুষারধস উপত্যকায়। দুই দিনে এই নিয়ে পরপর দুইবার তুষারধস নামল জম্মু-কাশ্মীরের সোনমার্গে। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শনিবার ফের সোনমার্গে তুষারধস নামে। পাহাড় থেকে আচমকাই নেমে আসে বরফের বড় বড় চাঁই। প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, তুষারধসে কোনও প্রাণহানির ঘটনা ঘটেনি। এর আগে বৃহস্পতিবারও সোনমার্গের বালতাল এলাকায় তুষারধস নামে। ওই ধসে দুই শ্রমিকের মৃত্যু হয়।

  • Russia-Ukraine War: ইউক্রেনে ফের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা রুশ বাহিনীর! মৃত অন্তত ১৪

    Russia-Ukraine War: ইউক্রেনে ফের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা রুশ বাহিনীর! মৃত অন্তত ১৪

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের ইউক্রেনে ভয়াবহ মিসাইল হামলা। ইউক্রেন জুড়ে নতুন করে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে রাশিয়া। রুশ ক্ষেপণাস্ত্রের হামলায় ডিনিপ্রো শহরের একটি অ্যাপার্টমেন্ট ভেঙে গুড়িয়ে যায়। সেখানে অন্তত ১৪ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে সূত্রের খবর। ধ্বংসস্তূপের নিচেও বহু মানুষ চাপা পড়ে রয়েছে বলে জানা গিয়েছে। এছাড়াও কিভ, খারকিভ এবং ওডেসা শহরের ওপরেও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানো হয়েছে। ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পর একাধিক শহরের বিদ্যুৎ সরবরাহে ব্যাঘাত ঘটেছে। সূত্রের খবর, ইউক্রেনের জ্বালানি অবকাঠামো লক্ষ্য করেই হামলা চালিয়েছে রাশিয়া।

    রুশ বাহিনীর মিসাইল হামলা

    সূত্রের খবর অনুযায়ী, শনিবার রাতে ইউক্রেনের ডিনিপ্রো শহরের একটি বহুতলে মিসাইল হামলা হয়। মৃত্যু হয় ১৪ জনের। হামলার পরই প্রবল শীতের মধ্যেও যুদ্ধকালীন তৎপরতায় উদ্ধারকার্য শুরু হয়। একইদিনে রাজধানী কিভ এবং অন্যান্য স্থানেও হামলা চালায় রাশিয়া। বিদ্যুৎ পরিষেবা ব্যাহত হয়েছে। পাশাপাশি প্রায় ৬ টি বাড়ি ধ্বংস হয়েছে।

    ইউক্রেনের শীর্ষ জেনারেল জানিয়েছেন, রাশিয়া শনিবার প্রায় ২৮ টি ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র এবং ৫টি গাইডেড এয়ার মিসাইল নিক্ষেপ করেছে। এর পরেই ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি জানিয়েছেন, ২০ টির মত ক্ষেপণাস্ত্র গুলি করে নীচে নামানো হয়েছে। যুদ্ধবিধ্বস্ত ইউক্রেনে বিদ্যুৎ ও জল সরবরাহ আটকাতে একের পর এক হামলা চালায় রাশিয়া, এমনই অভিযোগ। তবে এই প্রথমবার নয়, ইউক্রেনের শক্তি সরবরাহকারী ইউনিটগুলিকে বারবার নিশানা করে আক্রমণ করেছে রাশিয়া। প্রথমে জানা গিয়েছিল, গতকালের হামলায় ডিনিপ্রো শহরে ১২ জনের মৃত্যু হয়েছে। কিন্তু আজ তা বেড়ে হয়েছে ১৪। আহত হয়েছেন অন্তত ৬৪। ধ্বংসস্তূপের নিচেও আটকে পড়েছেন বহু মানুষ। তাঁদের উদ্ধারকার্য এখনও চলছে।

    অন্যদিকে পূর্ব ইউক্রেনের সোলেদার শহর দখল করেছে তারা, শুক্রবার এই দাবি করেছে রাশিয়া। যদিও রাশিয়ার এই দাবি অস্বীকার করেছে ইউক্রেন। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি অবশ্য দাবি করেছেন, সোলেদারে এখনও জোর লড়াই চলছে এবং প্রতিরোধ করে যাচ্ছে তাঁর বাহিনী।

    সাহায্য চেয়েছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট

    গতকালের ফের নৃশংস হামলার পর পশ্চিমী দেশগুলির কাছে সাহায্য চেয়েছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। তাঁর আর্জিতে সাড়া দিয়ে চলতি সপ্তাহেই যুদ্ধবিধ্বস্ত ইউক্রেনে ১৪টি চ্যালেঞ্জ ২ যুদ্ধ ট্যাঙ্ক পাঠাচ্ছে ব্রিটেন। শনিবার এমনই ঘোষণা করেছেন ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক। রাশিয়ার মোকাবিলা করতে আরও অস্ত্র পাঠানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তিনি। তিনি জানিয়েছেন, ৩০টি সেলফ প্রপেলড এএস ৯০ বন্দুক পাঠানো হবে। সমরাস্ত্র পাঠাচ্ছে আমেরিকাও। ফলে এর থেকেই বোঝা যাচ্ছে, নতুন বছরেও রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শেষের পথে নেই, বরং নতুন করে মোড় নিচ্ছে এই যুদ্ধ।

     

  • Gangasagar Mela 2023: মকর সংক্রান্তিতে গঙ্গাসাগরে জনজোয়ার, পুণ্যস্নানে প্রায় ৪০ লক্ষ ভক্ত সমাগম

    Gangasagar Mela 2023: মকর সংক্রান্তিতে গঙ্গাসাগরে জনজোয়ার, পুণ্যস্নানে প্রায় ৪০ লক্ষ ভক্ত সমাগম

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আজ মকর সংক্রান্তি। পুণ্য তিথিতে মকরস্নান সারতে গঙ্গাসাগরে লক্ষ লক্ষ ভক্ত সমাগম৷ এ বছর, তিথি অনুযায়ী শনিবার সন্ধ্যা ৬টা ৫৩ মিনিটে শুরু হয়ে গিয়েছে মকর সংক্রান্তি। চলবে রবিবার সন্ধ্যার একই সময় পর্যন্ত। ফলে অতীতের সব রেকর্ড ভেঙে শনিবারেই পুণ্যার্থীদের ভিড় দেখা গিয়েছিল। তবে গতকাল থেকে স্নান পর্ব শুরু হলেও রবিবারের ভোরে আলো ফুটতে না ফুটতে মানুষের চাদরে যেন ঢাকা পড়েছে গোটা গঙ্গাসাগর। ভোর থেকে গঙ্গাসাগরে পুণ্যস্নানে উপচে পড়া ভিড়। মকর সংক্রান্তির পুণ্যস্নান সারছেন কাতারে-কাতারে পূণ্যার্থী। এরাজ্য তো বটেই ভিনরাজ্য থেকেও লক্ষ-লক্ষ পুণ্যার্থীর ভিড় সাগরতটে। রবিবার দিনভর গঙ্গায় ডুব দিয়ে পুণ্যস্নান পর্ব চলবে। জানা যাচ্ছে, এখনও পর্যন্ত ৪০ লক্ষ ভক্তের সমাগম হয়েছে গঙ্গাসাগরে৷

    রেকর্ড ভিড় গঙ্গাসাগরে

    আট থেকে আশি, সকলের একটাই উদ্দেশ্য, পুণ্যার্জন। মকর সংক্রান্তির আগেই এবারের সাগরমেলায় রেকর্ড ভিড়। গত দু’বছর করোনার কারণে মেলায় ভিড় হয়নি। তাই এবছর গঙ্গাসাগর মেলায় প্ৰচুর মানুষের ভিড় দেখা গেছে। সূত্রের খবর অনুযায়ী, এখনও পর্যন্ত ৪০ লক্ষের বেশি ভক্ত এসেছে এই মেলায়। বেলা যত বাড়ছে পুণ্যার্থীর সংখ্যা তত বাড়ছে গঙ্গাসাগরে। স্নান সেরে বহু পুণ্যার্থীই রওনা দিচ্ছেন কপিল মুনির মন্দিরের উদ্দেশ্যে। সেখানে চলছে পুজো-অর্চনা। এখানেও ভিড় করেছেন লাখো লাখো মানুষ। এবারের গঙ্গাসাগর মেলার ভিড় ৫০ লক্ষ ছাড়িয়ে যাবে বলে অনুমান পুলিশের।

    তবে এই উৎসবের আনন্দে মিশেছে বিষাদ। পুণ্যস্নান করতে এসে এখনও পর্যন্ত ২ জনের মৃত্যু হয়েছে। জেলা প্রশাসন জানিয়েছে, দুজনেই ৭০ উর্দ্ধ। একজন বিহারের ভাগলপুরের বাসিন্দা, অন্যজন ওড়িশার বাসিন্দা। হৃদযন্ত্ৰ বিকল হয়ে তাঁদের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গেছে।

    আরও পড়ুন: জানেন সনাতন ধর্মে মকর সংক্রান্তি এত গুরুত্বপূর্ণ কেন?

    দুর্ঘটনা এড়াতে তৎপর প্রশাসন

    এবছর ভিড় সামাল দিতে আগেই তৎপর প্রশাসন৷ মেগা কন্ট্রোলরুম, স্পিডবোট, ড্রোন, ওয়াচ টাওয়ার সহ একাধিক ব্যবস্থা নিয়ে নিরাপত্তার চাদরে মুড়ে ফেলা হয়েছে গোটা এলাকা৷ কোনও অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে তৎপর পুলিশ কর্মীরা। এছাড়াও একাধিক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সদস্যও তৎপর রয়েছেন। কুকুর নিয়ে গঙ্গাবক্ষে টহল দিচ্ছে জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা দল। চলছে ৭ টি ভাষায় মাইকিং। দুর্ঘটনা এড়াতে সাগরতটে পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা করা হয়েছে। NDRF-র তিনটি ব্যাটিলিয়ানের মোট ৭৫ জন কর্মীকে এবারের গঙ্গাসাগর মেলায় মোতায়েন করা হয়েছে। এছাড়া আকাশপথেও চলছে নজরদারি।

  • Jhalda Municipality: ঝালদায় চেয়ারম্যান নির্বাচনের দিন ঘোষণা হাইকোর্টের, রাজ্যের বিজ্ঞপ্তি খারিজ

    Jhalda Municipality: ঝালদায় চেয়ারম্যান নির্বাচনের দিন ঘোষণা হাইকোর্টের, রাজ্যের বিজ্ঞপ্তি খারিজ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অবশেষে পুরুলিয়ার ঝালদা পুরসভার চেয়ারম্যান নির্বাচনের দিন ঠিক করে দিল কলকাতা হাইকোর্ট। এই নির্বাচনের দিন নিয়েই এতদিন টানাপোড়েন চলছিল। দীর্ঘদিন ধরে আইন-আদালতের পর আজ, শুক্রবার পুরুলিয়ার ঝালদা পুরসভার চেয়ারম্যান নির্বাচনের দিন ঠিক করা হল। রাজ্যের বিজ্ঞপ্তি এদিন খারিজ করে দেন বিচারপতি অমৃতা সিনহা। আর তখনই নির্দেশ দিলেন, আগামী ১৬ জানুয়ারি বেলা ১১ টায় ঝালদা পুরসভার চেয়ারম্যান নির্বাচন করতে হবে। এছাড়াও নির্দেশে বলা হয়েছে যে, জেলাশাসকের তত্ত্বাবধানে ও পুলিশ প্রশাসনের নজরদারিতে হবে এই নির্বাচন। কাউন্সিলরদের পুর-নির্বাচনে অংশগ্রহণে যাতে কোনও সমস্যা না হয় সেই বিষয়টিও পুলিশ প্রশাসনকেই নিশ্চিত করতে হবে। নির্বাচনের সম্পূর্ণ প্রক্রিয়ার ভিডিওগ্রাফি করতে হবে নির্দেশ দিয়েছে আদালত। 

    ঝালদা পুরসভার চেয়ারম্যান নির্বাচনের দিন ঘোষণা

    পুরুলিয়ার ঝালদা পুরসভায় (Jhalda Municipality) চেয়ারম্যান নিয়োগ সংক্রান্ত রাজ্য সরকারের নির্দেশিকায় স্থগিতাদেশ দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট। আগামী ৫ জানুয়ারি পর্যন্ত এই স্থগিতাদেশ বহাল থাকবে বলে জানিয়েছিল আদালত। আর আগামী এক মাস ঝালদা পুরসভার যাবতীয় দায়িত্ব পুরুলিয়ার জেলাশাসককে দেওয়া হয়েছিল। আর আজ অবশেষে রাজ্য সরকারের বিজ্ঞপ্তি খারিজ করে বিচারপতি অমৃতা সিনহা নির্দেশ দিয়েছেন, আগামী ১৬ জানুয়ারি জেলাশাসকের উপস্থিতিতে ঝালদা পুরসভার চেয়ারম্যান নির্বাচন করতে হবে। আর সেখানে রাখতে হবে পর্যাপ্ত পুলিশবাহিনী। নির্বাচন প্রক্রিয়া ভিডিও-নজরদারিতে করারও নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।

    আরও পড়ুন: ফের ধাক্কা রাজ্যের, ঝালদায় প্রশাসক বসানোর নির্দেশে স্থগিতাদেশ দিল হাইকোর্ট

    রাজ্যের বিজ্ঞপ্তিতে কী ছিল?

    রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে গত ২ ডিসেম্বর একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছিল। সেখানে বলা হয়েছিল, তৃণমূল কংগ্রেসের একজন কাউন্সিলর জবা মাছুয়াকে চেয়ারম্যান হিসেবে নিযুক্ত করে অস্থায়ী প্রশাসক বোর্ড তৈরি করা হবে। আজ সেই নির্দেশের বিজ্ঞপ্তিই খারিজ করে দিয়েছেন বিচারপতি অমৃতা সিনহা। ফলে ঝালদা পুরসভার চেয়ারম্যান নির্বাচনের ক্ষেত্রেও হাইকোর্টে ফের ধাক্কা খেল রাজ্য সরকার।

    কী ঘটেছিল ঝালদা পুরসভায়?

    ১২ আসন বিশিষ্ট ঝালদা পৌরসভায় আসনের নিরিখে সমীকরণ ছিল কংগ্রেস ৫, তৃণমূল ৫, নির্দল ২। এই অবস্থায় অনাস্থা ডাকে কংগ্রেস। আস্থা ভোটের ৭-০ ভোটে জয়লাভ করে কংগ্রেস। এর ফলে অপসারণ করা হয় তৃণমূলের পৌরপ্রধান সুরেশ আগরওয়ালকে। এরই মধ্যে ২ ডিসেম্বর কাউন্সিলর জবা মাছুয়াকে ঝালদা পৌরসভার নতুন চেয়ারম্যান হিসেবে নিয়োগ করে রাজ্য। অন্যদিকে কাউন্সিলর শিলা চট্টোপাধ্যায়কে পৌরপ্রধান হিসেবে নির্বাচিত করতে চায় কংগ্রেস। এরপরেই মামলা গড়ায় কলকাতা হাইকোর্টে। তার পর ঝালদা পুরসভা নিয়ে স্থগিতাদেশ জারি করে হাইকোর্ট। আর অবশেষে নির্বাচনের দিন জানিয়ে দিল আদালত। ফলে এই অবস্থায় রাজ্যবাসীর নজরে এখন ঝালদা পুরসভার চেয়ারম্যান নির্বাচনের লড়াই।

LinkedIn
Share