Author: নিমাই দে

  • Suvendu Adhikari: কেন্দ্রের দেওয়া ঋণের টাকাতেই চলছে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার! বিস্ফোরক অভিযোগ শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: কেন্দ্রের দেওয়া ঋণের টাকাতেই চলছে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার! বিস্ফোরক অভিযোগ শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যের টাকা নয়, কেন্দ্রের টাকাই ব্যবহার করে চালানো হচ্ছে মমতা সরকারের লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্প! মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে ফের বিস্ফোরক অভিযোগ আনলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। গতকাল ট্যুইট করে তিনি অভিযোগ করেছেন, কেন্দ্রের কাছ থেকে টাকা ধার নিয়ে সেই টাকা ব্যবহার করা হচ্ছে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পে। শুভেন্দুর বক্তব্য, পশ্চিমবঙ্গে কোনও সরকার নয়, ‘পিসি ও ভাইপোর কোম্পানি’ চলছে। রাজ্য সরকারের এই আর্থিক অনিয়ম নিয়ে কেন্দ্রীয় অর্থসচিবকে চিঠিও দিয়েছেন তিনি।

    ট্যুইটে কী অভিযোগ করেছেন শুভেন্দু?

    রাজ্য সরকারের দুর্নীতির বিরুদ্ধে একাধিকবার সরব হয়েছেন বিরোধী নেতা শুভেন্দু অধিকারী। আবাস যোজনার দুর্নীতির অভিযোগ আনার পর এবারে লক্ষ্মীর ভাণ্ডারে আর্থিক অনিয়মের অভিযোগ তুলে প্রকাশ্যে মমতা সরকারকে আক্রমণ শানিয়েছেন তিনি। ট্যুইটারে শুভেন্দুবাবু লিখেছেন, “রাজ্যগুলিকে বিশেষ সহায়তা হিসাবে পশ্চিমবঙ্গকে ৬০০৮.২১ কোটি টাকা ঋণ দিয়েছিল কেন্দ্রীয় অর্থ মন্ত্রক। সেই টাকা থেকে ১০০০ কোটি টাকা ঘুরপথে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পে বিতরণ করা হয়েছে।” তিনি আরও লিখেছেন, এতে স্পষ্ট হয় রাজ্যে অর্থ দফতর কতটা বেপরোয়া। তারা কোনও আর্থিক বিধি মানে না। পশ্চিমবঙ্গে পিসি-ভাইপোর কোম্পানি চলছে। তিনি আরও জানিয়েছেন, কেন্দ্রের অর্থ মন্ত্রক রাজ্যকে পরিকাঠামো উন্নয়ন ও প্রকল্প রূপায়ণের জন্য কোটি কোটি টাকা দিচ্ছে, কিন্তু রাজ্য তা বেআইনিভাবে লক্ষ্মী ভাণ্ডারের মত প্রকল্পে ব্যবহার করছে।

    দুর্নীতির বিরুদ্ধে নথি শেয়ার ট্যুইটে

    তিনি লক্ষ্মীর ভাণ্ডার নিয়ে যেসব অভিযোগ করেছেন, সেই অভিযোগের ভিত্তিতে ট্যুইটে কিছু নথিও শেয়ার করেছেন শুভেন্দু অধিকারী। তাতে টাকার হিসাব সংক্রান্ত যেমন তথ্য রয়েছে, তেমনই রয়েছে রাজ্যের অর্থ দফতরের সচিবকে পাঠানো চিঠি। এই বিষয়টি নিয়ে কেন্দ্রের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে নিজের ট্যুইট কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীকেও ট্যাগ করেছেন শুভেন্দু, একই সঙ্গে কেন্দ্রীয় অর্থসচিব টিভি সোমনাথন এবং পশ্চিমবঙ্গ সরকারের অতিরিক্ত মুখ্যসচিব মনোজ পন্থকেও উল্লেখ করেছেন শুভেন্দু অধিকারী।

  • STF: আইএস জঙ্গি কুরেশি ও সাদ্দামের কীভাবে যোগাযোগ হয়? মুখোমুখি বসিয়ে জেরা করার সিদ্ধান্ত এসটিএফ-র

    STF: আইএস জঙ্গি কুরেশি ও সাদ্দামের কীভাবে যোগাযোগ হয়? মুখোমুখি বসিয়ে জেরা করার সিদ্ধান্ত এসটিএফ-র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জঙ্গি দমনে মরিয়া কলকাতার এসটিএফ। নতুন বছরের শুরুতেই আইএস জঙ্গি সন্দেহে হাওড়া থেকে দুজনকে গ্রেফতার করেছে স্পেশাল টাস্ক ফোর্স (STF)। এদের নাম মহম্মদ সাদ্দাম ও সৈয়দ আহমেদ। এখানেই শেষ না, কলকাতা এসটিএফের জালে আসে আরও এক আইএস (ISIS) জঙ্গি। মধ্যপ্রদেশ থেকে এই জঙ্গিকে গ্রেফতার করেছে কলকাতা পুলিশের এসটিএফ। ৩৩ বছর বয়সি ওই ধৃত জঙ্গির নাম আব্দুল রাকিব কুরেশি। আর এদেরকে জেরা করতেই তদন্তকারীদের হাতে উঠে আসছে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য। তদন্তে উঠে এসেছে, সাদ্দাম ও কুরেশির সঙ্গে এক যোগ-সূত্র রয়েছে এবং তাদের এক বড়সড় হামলার ছক ছিল। ফলে তাদের পরিকল্পনা সম্পর্কে আরও তথ্য বের করার জন্য একসঙ্গে বসিয়ে জেরা করার প্রস্তুতি নিচ্ছে স্পেশাল টাস্ক ফোর্স।

    কে এই আব্দুল রাকিব কুরেশি ও কীভাবে তার সাদ্দামের সঙ্গে আলাপ হয়?

    প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে, ওই ব্যক্তি প্রাক্তন সিমি সদস্য। ২০০৯ সালে তাকে একবার গ্রেফতার করা হয়েছিল। খুনের চেষ্টার অভিযোগেও তাকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। ২০১৪ সালে তিনিই আবার তালিবানের পক্ষে স্লোগান দিয়েছিলেন আদালতে। এসটিএফ-এর আধিকারিকরা আগেই জানিয়েছিলেন যে, সাদ্দাম ও কুরেশির যোগাযোগ রয়েছে। এসটিএফ আধিকারিকদের দাবি, ২০১৯ সালে জেল থেকে বের হওয়ার পরেও কুরেশি হাওড়া আইএস মডিউলের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলত। এর পর সে সোশ্যাল মিডিয়াকে ব্যবহার করে তার মত লোকজনকে খুঁজে বেড়াত। মূলত রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণার জন্য সে এইভাবে সংগঠনে নতুন করে নিয়োগ করত। এদিকে সেই সূত্র ধরেই টেলিগ্রামের মাধ্যমে তার সঙ্গে হাওড়ার আইএস অপারেটিভ মহম্মদ সাদ্দামের সঙ্গে তার আলাপ হয়। এর পর তারা দুজনেই যুব সমাজের ব্রেন ওয়াশ করে আইএস মডিউলে নাম লেখানোর চেষ্টা করত। এর কিছু নজিরও পাচ্ছেন তদন্তকারীরা। তারা ঠিক কোথায় যাতায়াত করত, আর কাদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখত সবটাই খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা।

    আরও পড়ুন: আদালতে তালিবানি স্লোগান দিয়েছিল কুরেশি! আইসিস নেতার সঙ্গে যোগাযোগ রয়েছে সাদ্দামের!

    আবার সাদ্দাম পুলিশকে জানিয়েছে, সে অস্ত্রের জন্য কুরেশির সঙ্গে যোগাযোগ করেছিল। সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমেই তাদের মধ্যে যোগাযোগ গড়ে ওঠে। তদন্তকারীরা ইতিমধ্যেই পুরানো কিছু চ্যাট সম্পর্কে খোঁজখবর নিচ্ছেন। অস্ত্র সংক্রান্ত ক্ষেত্রে কুরেশির পুরানো কোনও মামলা রয়েছে কি না, আর কার সঙ্গে তারা যোগাযোগ রাখত এসব জানার চেষ্টা করছেন তদন্তকারীরা। জঙ্গি মডিউলের সম্পর্কেও আরও তথ্য জোগাড়ের চেষ্টা করে চলেছে এসটিএফ। এর জন্য কেন্দ্রীয় এজেন্সির সঙ্গেও যোগাযোগ রাখা হচ্ছে। সাদ্দাম ও কুরেশির বিষয়ে আরও বেশি তথ্য জানার জন্য এসটিএফ আধিকারিকরা তাদের একসঙ্গে বসিয়ে জেরা করার পরিকল্পনা করেছেন।

    জামাত-উল-মুজাহিদিন বাংলাদেশ মামলায় চার্জশিট জমা এনআইএ-এর

    একদিকে এসটিএফ যেমন সন্ত্রাস দমনে তৎপর হয়ে উঠেছে। অন্যদিকে এনআইএ এদিন ২০২২ সালে দাখিল হওয়া জামাত-উল-মুজাহিদিন বাংলাদেশ মামলায় এক অভিযুক্তের বিরুদ্ধে মধ্যপ্রদেশের ভোপালের একটি বিশেষ আদালতে সাপ্লিমেন্টরি চার্জশিট জমা করল। এই মামলায় ২০২২ সালের মার্চ মাসে বাংলাদেশ থেকে অনুপ্রবেশকারী ৬ জন সহ মোট ১০ জন সন্ত্রাসীকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। প্রসঙ্গত, ২০১৬ সালে ঢাকার একটি জনপ্রিয় ক্যাফেতে জেএমবি জঙ্গি গোষ্ঠী হামলা চালানোর পর সেখানে ১৭ জন বিদেশী সহ ২২ জন নিহত হয়েছিলেন। পরে এনআইএ জানিয়েছিল যে, এই জঙ্গি গোষ্ঠী ভারতেও এমনই করার চেষ্টা করছিল।

  • Hockey World Cup 2023: আজ স্পেনের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু ভারতীয় হকি দলের, জানুন কোথায়, কখন সরাসরি দেখবেন খেলা

    Hockey World Cup 2023: আজ স্পেনের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু ভারতীয় হকি দলের, জানুন কোথায়, কখন সরাসরি দেখবেন খেলা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আর কিছুক্ষণ পরেই ভারতের মাটিতে আরম্ভ হচ্ছে হকি বিশ্বকাপ ২০২৩ (Hockey World Cup 2023)। আন্তর্জাতিক হকি ফেডারেশনের উদ্যোগে ২০২৩ সালের পুরুষদের এফআইএইচ হকি বিশ্বকাপের (FIH Hockey World Cup) আয়োজন করা হয়েছে ভারতে। টানা দ্বিতীয়বারের মত এই টুর্নামেন্ট আয়োজন করতে যাচ্ছে ভারত। ভুবনেশ্বর ও রাউরকেলায় হবে বিশ্বকাপের আসর। সবগুলো ম্যাচই হবে রাউরকেলার ২০ হাজার আসনের বিরসা মুন্ডা আন্তর্জাতিক হকি স্টেডিয়ামে এবং ভুবনেশ্বরের কলিঙ্গ স্টেডিয়ামে। আজকের ম্যাচটি নবনির্মিত বিরসা মুন্ডা স্টেডিয়ামে আয়োজিত করা হয়েছে। স্পেনের বিরুদ্ধে ভারতের (India vs Spain) ম্যাচ দিয়ে আজ টুর্নামেন্টের যাত্রা শুরু হবে।

    ভারতীয় হকি টিমের যাত্রা শুরু

    ওড়িশায় নবনির্মিত বিরসা মুন্ডা স্টেডিয়ামে আজ জয়ের উদ্দেশ্যে অভিযান শুরু করবে হরমনপ্রীত সিংয়ের (Harmanpreet Singh) নেতৃত্বাধীন ভারত। ২০২৩ সালের আসরে ১৬টি দল অংশ নেবে। প্রতিটি গ্রুপের বিজয়ী সরাসরি কোয়ার্টার ফাইনালে উঠবে এবং প্রতিটি গ্রুপের দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থানাধিকারী দল ক্রসওভার রাউন্ড খেলবে এবং বিজয়ী কোয়ার্টারে যাবে। ১৬ দলের এই টুর্নামেন্টে রয়েছে মোট চারটি গ্রুপ। গ্রুপ ডি-তে ভারতের সঙ্গে স্পেন ছাড়াও রয়েছে ওয়েলস এবং ইংল্যান্ড।

    আরও পড়ুন: ভিড়ে ঠাসা ইডেন! দ্বিতীয় একদিনের ম্যাচে শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে সিরিজ জয় ভারতের

    হকি বিশ্বকাপের ভারত বনাম স্পেন গ্রুপ ডি ম্যাচ কখন এবং কোথায় আয়োজিত করা হয়েছে?

    ২০২৩ সালের পুরুষদের হকি বিশ্বকাপের ভারত বনাম স্পেন গ্রুপ ডি ম্যাচটি শুক্রবার, ১৩ জানুয়ারি, ২০২৩ তারিখে রাউরকেলার বিরসা মুন্ডা হকি স্টেডিয়ামে আয়োজিত করা হয়েছে।

    ভারত বনাম স্পেনের হকি খেলা কোন সময়ে শুরু হবে?

    ভারত বনাম স্পেন ২০২৩ পুরুষ হকি বিশ্বকাপের গ্রুপ ডি ম্যাচটি ভারতীয় সময় অনুসারে সন্ধ্যা ৭ টায় শুরু হবে।

    কোথায় দেখবেন ২০২৩ পুরুষ হকি বিশ্বকাপের লাইভ স্ট্রিমিং?

    হকি বিশ্বকাপের সব ম্যাচ ভারতের স্টার স্পোর্টস ফার্স্ট (Star Sports First), স্টার স্পোর্টস সিলেক্ট ২ (Star Sports Select 2) এবং স্টার স্পোর্টস সিলেক্ট ২ এইচডি (Star Sports Select 2 HD) টিভি চ্যানেলে সরাসরি সম্প্রচার করা হবে। এছাড়া, বিনামূল্যে দেখতে পাবেন দূরদর্শন স্পোর্টসে (Doordarshan Sports)। আবার ডিজনি+ হটস্টার অ্যাপে (Disney+ Hotstar App) সরাসরি দেখা যাবে পুরুষদের হকি বিশ্বকাপ ২০২৩-এর লাইভ স্ট্রিমিং। এছাড়াও watch.hockey অ্যাপ ও ওয়েবসাইটে লাইভ স্ট্রিমিং করা হবে।

    বিশ্বকাপে ভারতীয় হকি স্কোয়াড

    কোচ: গ্রাহাম রিড

    গোলরক্ষক: কৃষাণ বাহাদুর পাঠক ও শ্রীজেশ

    ডিফেন্ডার: নীলম সঞ্জীপ জেস, জার্মানপ্রীত সিং, সুরেন্দর কুমার, হরমনপ্রীত সিং (অধিনায়ক), বরুণ কুমার, অমিত রোহিদাস

    মিডফিল্ডার: মনপ্রীত সিং, হার্দিক সিং, নীলকান্ত শর্মা, শমসের সিং, বিবেক সাগর প্রসাদ, এবং আকাশদীপ সিং

    ফরোয়ার্ড: মনদীপ সিং, ললিত কুমার উপাধ্যায়, অভিষেক, সুখজিৎ সিং

    স্ট্যান্ড বাই: রাজকুমার পাল এবং জুগরাজ সিং

  • Joshimath: মাত্র ১২ দিনের মধ্যেই ৫.৪ সেমি বসে গিয়েছে জোশীমঠ! আতঙ্কের ছবি শেয়ার করল ইসরো

    Joshimath: মাত্র ১২ দিনের মধ্যেই ৫.৪ সেমি বসে গিয়েছে জোশীমঠ! আতঙ্কের ছবি শেয়ার করল ইসরো

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জোশীমঠ ঘিরে আতঙ্ক ক্রমশ বেড়েই চলেছে। গত ১২ দিনে ৫.৪ সেন্টিমিটার বসে গেছে জোশীমঠ! এমনই উদ্বেগজনক তথ্য মিলল ইসরোর রিপোর্টে। ইন্ডিয়ান স্পেস রিসার্চ অর্গানাইজেশনের ন্যাশনাল রিমোট সেন্সিং সেন্টারের তরফে উপগ্রহ চিত্র প্রকাশ করা হয়েছে, তাতেই দেখা গিয়েছে দ্রুতগতিতে বসে যাচ্ছে জোশীমঠের মাটি। জানা গিয়েছে, গত ২৭ ডিসেম্বর থেকে গত ৮ জানুয়ারির মধ্যে জোশীমঠের মাটি ৫.৪ সেন্টিমিটার বসে গিয়েছে।

    ইসরোর প্রকাশিত উপগ্রহ চিত্র

    ইসরো-র ন্যাশনাল রিমোট সেন্সিং সেন্টার (এনআরএসসি) জানাচ্ছে, ২০২২ সাল থেকে এই ধস শুরু হয়। গত বছরের এপ্রিল মাস থেকে নভেম্বর মাস পর্যন্ত একটি তথ্য দিয়েছেন এনআরএসসি। জানা গিয়েছে, গত বছরের এপ্রিল থেকে নভেম্বর এই সাত মাসে জোশীমঠের জমি ধসেছে প্রায় ৯ সেন্টিমিটার। আবার ২০২২ সালের ২৭ ডিসেম্বর থেকে ৮ জানুয়ারি পর্যন্ত অর্থাৎ ১২ দিনেরও একটি রিপোর্ট সংস্থা সামনে নিয়ে এসেছে। প্রকাশ্যে এনেছে বেশ কিছু স্যাটেলাইট ছবিও। আর তাতে দেখা যাচ্ছে, এই সময়ে ভূমি ধস ব্যাপক ভাবে বেড়েছে। আর তা বেড়ে ৫.৪ সেন্টিমিটারে দাঁড়িয়েছে বলে জানাচ্ছে ন্যাশনাল রিমোট সেন্সিং সেন্টার।

    আর্মি হেলিপ্যাড এবং নরসিংহ মন্দিরের আশেপাশের অঞ্চলে মধ্য জোশীমঠের মাটির দ্রুত স্থানান্তর ঘটেছে। ইসরো-র রিপোর্টে বলা হয়েছে, “নিম্নপতনের শীর্ষস্থানটি ২ হাজার ১৮০ মিটার উচ্চতায় জোশীমঠ-আউলি রোডের কাছে অবস্থিত।”

    আরও পড়ুন: জোশীমঠের গৃহহীনদের ক্ষতিপূরণ দেওয়া শুরু, স্থানীয়দের আশ্বস্ত করলেন ধামি

    ডুবন্ত জোশীমঠ…

    জোশীমঠকে (Joshimath) একটি ডুবতে থাকা অঞ্চল হিসেবে ঘোষণা করেছে সেখানকার প্রশাসন, ইতিমধ্যে এলাকা ছাড়ার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে স্থানীয় বাসিন্দাদের। গত কয়েকদিন ধরে জোশীমঠের (Joshimath) বহু বাড়িতে ফাটল ধরেছে। একের পর এক বাড়িতে ফাটল বেড়েই চলেছে। হোটেল মালারি ইন ও মাউন্ট ভিউ, পাশাপাশি দুটি হোটেল ভাঙা শুরু হয়েছে। হোটেলের পিছনের দিকে ঘনবসতিপূর্ণ এলাকা রয়েছে। সেখানকার বাসিন্দাদেরও সরানো হয়েছে। দুর্ঘটনা এড়াতে হোটেলের এক একটা তলা ধীরে ধীরে ভেঙে সরানো হচ্ছে। বিপজ্জনক বাড়িগুলিতে রেড ক্রস দিয়ে চিহ্নিত করা হয়েছে। সেখান থেকে বাসিন্দাদের সরানো হয়েছে। আজ দেরাদুনে মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিং ধামী ক্যাবিনেট বৈঠক করবেন। ক্ষতিগ্রস্তদের আর্থিক সাহায্য নিয়ে আলোচনার সম্ভাবনা রয়েছে।

  • Calcutta High Court: চাপে পড়ে আইনজীবীদের বয়কট-বিক্ষোভ প্রত্যাহার! বিচারপতি মান্থাকে সুরক্ষা দিতে নির্দেশ রাজ্যপালের

    Calcutta High Court: চাপে পড়ে আইনজীবীদের বয়কট-বিক্ষোভ প্রত্যাহার! বিচারপতি মান্থাকে সুরক্ষা দিতে নির্দেশ রাজ্যপালের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অবশেষে বয়কট উঠল। বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার বেঞ্চ বয়কট করার সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করলেন আইনজীবীদের একাংশ। আগেই বিচারপতি রাজশেখর মান্থার এজলাসের বাইরে বিক্ষোভ প্রত্যাহার করেছিলেন আইনজীবীরা। তবে বিচারপতিকে বয়কটে অনড় ছিলেন আইনজীবীরা। কিন্তু এবারে জানা গিয়েছে, বিচারপতিকে বয়কটের সিদ্ধান্ত থেকেও সরে এলেন। আদালত অবমাননার রুল জারি হওয়ার পরই আইনজীবীদের এমন সিদ্ধান্ত বলে মনে করা হচ্ছে। ফলে বুধবার সকালে অনেকটাই স্বাভাবিক হল কলকাতা হাইকোর্টের (Calcuta High Court) পরিস্থিতি।

    আইনজীবীদের রণে ভঙ্গ!

    গত কয়েকদিন ধরে বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার এজলাসের সামনে দেখা যাচ্ছিল আইনজীবীদের ভিড়। সোমবার থেকে এই পরিস্থিতি তৈরি হওয়ার পর মঙ্গলবারই আদালত অবমাননার রুল জারি করেন বিচারপতি মান্থা। পরে আজ সকালে বিক্ষোভ করতে না দেখা গেলেও বিচারপতিকে বয়কটে অনড় ছিলেন আইনজীবীরা। কিন্তু বর্তমানে তাঁরা বয়কটও উঠিয়ে নিয়েছেন বলে সূত্রের খবর। বুধবার সকাল সাড়ে ১০টায় বসে আদালত। স্বাভাবিক নিয়মেই শুরু হয় আদালতের কাজ। এদিন বিচারপতি মান্থার এজলাসে ৭টি মামলার শুনানি হয়েছে।

    বার অ্যাসোসিয়েশনের তরফে কী বলা হল?

    এদিন বার অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক বিশ্বব্রত বসু মৌলিক বলেন, “এই এজলাসের সামনে আর অবস্থান করা হবে না, বারের সম্পাদক হিসেবে আশ্বস্ত করছি। কোনও মামলায় দুপক্ষ উপস্থিত না থাকলে সেই মামলায় কোনও রায় না দেওয়ার অনুরোধ জানাচ্ছি।” এর পরেই বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা বলেন, “আমার একটাই অনুরোধ, কোর্টের সম্মান নষ্ট করবেন না। শুধু মাত্র আমার এজলাস নয়, অন্য কোনও বিচারপতির ক্ষেত্রেও এমনটা যেন না ঘটে। দয়া করে সে দিকে নজর দিন।”

    আরও পড়ুন: বিচারপতি মান্থার এজলাস বয়কট, আইনজীবীদের বিক্ষোভে উত্তপ্ত হাইকোর্ট চত্বর

    হাইকোর্টের ঘটনায় ‘তিতিবিরক্ত’ রাজ্যপাল

    কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার এজলাসের বাইরে আইনজীবীদের বিক্ষোভের ঘটনায় অত্যন্ত ক্ষুব্ধ রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। এই ঘটনা কোনওভাবেই মেনে নেওয়া যায় না বলে তিনি জানিয়েছেন। গোটা ঘটনা নিয়ে তিনি ইতিমধ্যেই কথা বলেছেন রাজ্যের মুখ্যসচিব ও কলকাতার পুলিশ কমিশনারের সঙ্গে। তিনি গতকাল রাতেই রাজ্যের মুখ্যসচিব, স্বরাষ্ট্রসচিব এবং কলকাতা পুলিশের কমিশনারকে তলব করে বিচারপতির সুরক্ষা নিশ্চিত করার নির্দেশ দিয়েছেন। এমনকী বিচারপতি রাজাশেখর মান্থাকে সবরকম সুরক্ষা দেওয়া হয়েছে কিনা এবং তাঁর বাড়ির বাইরে লাগানো পোস্টার খোলা হয়েছে কিনা সেব্যাপারে পুলিশ কমিশনারকে তথ্য জানাতেও বলেছেন রাজ্যপাল।

  • Suvendu Adhikari: একবছরে তৃণমূলের আয়বৃদ্ধি ১২০০ শতাংশ! ‘তালিকা আছে’, বললেন শুভেন্দু অধিকারী

    Suvendu Adhikari: একবছরে তৃণমূলের আয়বৃদ্ধি ১২০০ শতাংশ! ‘তালিকা আছে’, বললেন শুভেন্দু অধিকারী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সম্প্রতি প্রকাশিত হয়েছে তৃণমূলের অডিট রিপোর্ট। আর তাতেই সামনে এসেছে চোখে কপালে ওঠার মত তথ্য। চলতি বছর ইলেক্টোরাল বন্ডের মাধ্যমে তৃণমূলের ভাঁড়ারে জমা পড়েছে ৫২৮.১৪ কোটি টাকা। যেখানে ২০২১ সালেই এই পরিমাণ ছিল ৪২ কোটি টাকা। তৃণমূল কংগ্রেসের এমন আয় বৃদ্ধিতে মঙ্গলবার সংবাদমাধ্যমের সামনে সরব হন শুভেন্দু অধিকারী। তিনি প্রশ্ন করেন, কোন ‘জাদুবলে’ নির্বাচনী বন্ডে তৃণমূলের ১২০০ শতাংশ আয় বৃদ্ধি হয়েছে? শুভেন্দুবাবুর দাবি, তৃণমূলের দুর্নীতিতে যুক্ত ব্যবসায়ীরাই তৃণমূলকে এই টাকা দিয়েছে। এর আগেও তাঁকে বলতে শোনা গিয়েছে, “তৃণমূল দল নয়, একটা চোরের কোম্পানি।” আজও এই নিয়ে ফের নতুন করে আক্রমণ শানিয়েছেন বিরোধী দলনেতা।

    কী বললেন শুভেন্দু অধিকারী?

    শুভেন্দুবাবু আজ ত্রিপুরা যাওয়ার আগে বলেন, “একটা দল নির্বাচনী বন্ডে ১২০০ শতাংশ আয় বৃদ্ধি করেছে। কোন কোন ব্যবসায়ী দিলো, কোন কোন শিল্পপতি দিলো, আয়করে দেখাতে হবে ওদের। ২০২১ সালে যেখানে মাত্র ৪২ কোটি টাকা নির্বাচনী বন্ডের মাধ্যমে তুলতে পেরেছিল তৃণমূল, সেখানে কোন যাদুবলে এবছর ৫২৮ কোটি টাকা তুলল?” তিনি দাবি করেছেন, “যারা টাকা দিয়েছে আমরা তো তাদের তালিকা দিয়ে দেব। সব চোর। বালির খাদান যারা পেয়েছে, পাথরের খাদান যারা চালায়, বেআইনি কাজ যারা করে, যারা কেন্দ্রীয় সরকারের সমগ্র শিক্ষা মিশনের টাকা খায়, স্কুলে নিম্নমানের ব্যাগ, জুতো, ইউনিফর্ম যারা সরবরাহ করে তারা সব টাকা দিয়েছে। আমি ধর্মেন্দ্র প্রধানজিকে বলব, অভিভাবকদের অ্যাকাউন্টে টাকা পাঠাতে। পশ্চিমবঙ্গ সরকারকে টাকা না দিতে। তারা সব আপাদমস্তক চোর।”

    আরও পড়ুন: তৃণমূলের এক বছরে আয় বৃদ্ধি ১২ গুণ! ‘চোরের কোম্পানি’ বলে কটাক্ষ শুভেন্দুর

    শাসকদলের আয়বৃদ্ধি

    প্রসঙ্গত, ২০২১-২২ অর্থবর্ষে তৃণমূলের আয় ছিল ৪২ কোটি টাকা আর ২০২২-এ তৃণমূলের বার্ষিক আয় হয়েছে ৫৪৫.৭৪ কোটি টাকা। তৃণমূলের এই পরিমাণ আয় বৃদ্ধি দেখে চক্ষু চড়কগাছ রাজ্যবাসীর। অর্থাৎ এক বছরে আয় বৃদ্ধি পেয়েছে ৯৬%। আর এই তথ্য সামনে আসতেই উত্তাল হয়েছে রাজ্য রাজনীতি। ইলেক্টোরাল বন্ডে রোজগার বৃদ্ধি নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসকে আগেই কটাক্ষ করেছে বিজেপি। আজ আবার শাসকদলকে প্রশ্ন ছুঁড়ে দিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী।

  • ISIS: কলকাতা এসটিএফের বড় সাফল্য! মধ্যপ্রদেশ থেকে গ্রেফতার আইএস মডিউলের মাথা কুরেশি

    ISIS: কলকাতা এসটিএফের বড় সাফল্য! মধ্যপ্রদেশ থেকে গ্রেফতার আইএস মডিউলের মাথা কুরেশি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কলকাতা এসটিএফের জালে আরও এক আইএস (ISIS) জঙ্গি। হাওড়া থেকে ধৃত দুই আইএস জঙ্গিকে জেরা করেই গতকাল মধ্যপ্রদেশ থেকে আরও এক সন্দেহভাজন জঙ্গিকে গ্রেফতার করল কলকাতা পুলিশের এসটিএফ। ৩৩ বছর বয়সি ওই ধৃত জঙ্গির নাম আব্দুল রাকিব কুরেশি। ধৃতের কাছ থেকে একটি পেন ড্রাইভ, মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়েছে। এ ছাড়াও ধৃতের কাছ থেকে এমন কিছু জিনিস মিলেছে, যা থেকে তাঁর জঙ্গি যোগের প্রমাণ মিলেছে। কলকাতা পুলিশের এসটিএফ (STF) তাঁকে গ্রেফতার করে ট্রানজিট রিমান্ডে কলকাতায় নিয়ে আসছে।

    গ্রেফতার আইএস মডিউলের মাথা

    গত ৬ জানুয়ারি হাওড়া থেকে দুই সন্দেহভাজন জঙ্গিকে গ্রেফতার করে কলকাতা পুলিশ। ধৃত দু’জনের নাম এম ডি সাদ্দাম এবং শেখ সৈয়দ। এই দু’ জনকে জেরা করেই একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য হাতে পেয়েছেন তদন্তকারীরা। সাদ্দামের সঙ্গে যোগাযোগের সূত্রেই কুরেশিকেএই মামলায় গ্রেফতার করা হয় বলে জানিয়েছে পুলিশ। এই আব্দুল রাকিব কুরেশি জঙ্গি সংগঠন সিমি-র সঙ্গে যুক্ত ছিল বলে পুলিশ সূত্রে দাবি। গতকাল মধ্যপ্রদেশের খান্ডওয়া জেলা থেকে ওই জঙ্গিকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। এসটিএফ সূত্রে জানা যাচ্ছে, কুরেশি দেশের আইএস-এর অন্যতম মাথা। তাঁকে হাতে পাওয়ার পর এবার লিঙ্কম্যানদের খোঁজে নামবেন তদন্তকারীরা। মঙ্গলবারই ধৃত কুরেশিকে কলকাতায় আনা হতে পারে ও বুধবার তোলা হবে আদালতে।

    ধৃত দুই জঙ্গির থেকে কী তথ্য পেয়েছে এসটিএফ?

    আপাতত পুলিশ হেফাজতে রয়েছেন সাদ্দাম, সৈয়দরা। সাদ্দামদের বড়সড় হামলার ছক ছিল বলে গোয়ান্দাদের কাছে তথ্য এসেছে বলে সূত্রের দাবি। সে কারণে অস্ত্র জোগাড়ও করছিল তারা। এছাড়াও সাদ্দামকে জেরা করে পুলিশ জানতে পেরেছে, অন্তত তিন জনের মগজ ধোলাই করেছে কুরেশি। ওই তিন জনেরও খোঁজ শুরু হয়েছে। সাদ্দামের কাছে উদ্ধার হওয়া ডায়েরিতে আরবি ভাষায় আইএস জঙ্গি গোষ্ঠীর শপথ বাক্যও পেয়েছে পুলিশ। ইতিমধ্যেই ধৃত সাদ্দাম এবং সৈয়দকে জেরা করতে এনআইএ-এর একটি দল লালবাজারে গিয়েছে। ধৃতদের নিজেদের হেফাজতেও নিতে পারে এনআইএ।

    আরও পড়ুন: ভোটমুখী ত্রিপুরায় প্রচারে আজ শুভেন্দু-মিঠুন, পৃথক সভার কর্মসূচি জানুন

    ধৃত সাদ্দাম ও সৈয়দের সম্পর্কে কী কী তথ্য পেল এসটিএফ?

    পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, জঙ্গি সন্দেহে ধৃত আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই ছাত্র সাদ্দাম ও সৈয়দ মূলত সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে নিজেদের পরিচয় গোপন রেখে বিভিন্ন উস্কানিমূলক এবং হত্যাকাণ্ডের মত ভিডিও ভাইরাল করার কাজে নিয়োজিত ছিল। তাদের হেফাজতে নিয়ে জেরা করার পর এই তথ্য পেয়েছেন কলকাতা পুলিশের স্পেশাল টাস্ক ফোর্সের গোয়েন্দারা। তাঁরা আরও জানতে পেরেছেন, রাজস্থানের উদয়পুরে যেভাবে এক দর্জির গলা কেটে খুন করা হয়েছিল এবং সেই ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল করা হয়েছিল, ঠিক সেই রকমই প্ল্যানিং ছিল সাদ্দাম ও সৈয়দের। তাদের উদ্দেশ্য ছিল বিভিন্ন সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা এবং নৃশংস হত্যাকান্ডের ভিডিওকে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল করে দেশ এবং রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলাকে উত্তপ্ত করা।

    আবার এই দুই যুবক পাকিস্তান এবং সৌদি আরবের একাধিক জঙ্গি সংগঠনের নেতা-নেত্রীদের সঙ্গে নিয়মিত টেলিগ্রামের মাধ্যমে যোগাযোগ রাখত এবং তাদের থেকে অ্যাসাইমেন্ট পেয়ে তা এই রাজ্য তথা দেশের উপর প্রয়োগ করত। এটিই তাদের প্রধান লক্ষ্য ছিল। এছাড়াও দুই জঙ্গি সন্দেহে যুবকের কাছ থেকে বেশ কিছু সাংকেতিক বিবরণ পাওয়া গিয়েছে, যার মধ্যে বেশ কিছু সাংকেতিক কথাবার্তা এখনও বোঝা সম্ভব হয়নি তদন্তকারীদের পক্ষে। এবার তা ল্যাবরেটরীতে পাঠানোর ব্যবস্থা করছে লালবাজার।

  • Calcutta High Court: পার্শ্ব শিক্ষকদের প্রাথমিকে নিয়োগ নয়, নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের

    Calcutta High Court: পার্শ্ব শিক্ষকদের প্রাথমিকে নিয়োগ নয়, নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আপাতত প্যারা টিচার বা পার্শ্ব শিক্ষকদের প্রাথমিক স্কুলে নিয়োগ করা যাবে না। মঙ্গলবার কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি সুব্রত তালুকদারের ডিভিশন বেঞ্চ এই নির্দেশ দিয়েছে। এর ফলে চলতি নিয়োগ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে কোনও প্যারা টিচার প্রাথমিকে স্থায়ী শিক্ষকের চাকরিতে নিযুক্ত হতে পারবেন না। তবে সাধারণভাবে নিয়োগ প্রক্রিয়া চলবে বলে জানিয়েছে আদালত।

    পার্শ্ব শিক্ষকদের প্রাইমারীতে নিয়োগে ‘না’ আদালতের

    সম্প্রতি, প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে। তাতে জানানো হয়, বর্তমানে প্রাথমিক স্কুলে কর্মরত অস্থায়ী শিক্ষকদের মধ্যে থেকে ১০ শতাংশকে যোগ্যতার বিচার করে স্থায়ী শিক্ষক হিসাবে নিয়োগ করা হবে। আর এই বিজ্ঞপ্তিকেই চ্যালেঞ্জ জানিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়ের করেন উচ্চ প্রাথমিক স্কুলে কর্মরত বেশ কয়েক জন অস্থায়ী শিক্ষক। তাঁরা দাবি করেন, প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়ায় তাঁদেরও সুযোগ দিতে হবে।

    আরও পড়ুন: ভারতের বিচারব্যবস্থা এত ঠুনকো নয়! বিস্ফোরক বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়

    এর পর গত ২১ নভেম্বর বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় নির্দেশ দেন, প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে আপার প্রাইমারির পার্শ্ব শিক্ষকদের ১০ শতাংশকে সুযোগ দিতে হবে। তিনি বলেছিলেন, “প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ আইনে এমন কোনও নির্দেশিকা নেই যেখানে, প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে আপার প্রাইমারির পার্শ্বশিক্ষককে নিয়োগ করা যায় না।” তাই তিনি এক্ষেত্রে উচ্চ প্রাথমিকের পার্শ্ব শিক্ষকদের অংশগ্রহণের অনুমতি দিয়েছেন।

    কিন্তু সেই রায়কেও চ্যালেঞ্জ জানিয়ে ৫০ জন প্রাথমিক পার্শ্ব শিক্ষক প্রথমে শীতকালীন অবকাশকালীন ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হয়। সেই মামলা শুনানিতে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের পক্ষ থেকে জানানো হয়, পার্শ্ব শিক্ষক নিয়োগ সংক্রান্ত বিষয়ে কোনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করছে না পর্ষদ। আদালতের পূর্ণাঙ্গ রায়ের উপরেই সিদ্ধান্ত নির্ভর করবে। আর এই মামলার শুনানিতেই গতকাল বিচারপতি তালুকদারের বেঞ্চের নির্দেশ দেয়, মামলার নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত কোনও ভাবেই পার্শ্ব শিক্ষকদের প্রাথমিকে নিয়োগ করা যাবে না। মামলকারী এই ৫০ জন প্রাথমিক পার্শ্ব শিক্ষকদের দাবি, উচ্চ প্রাথমিকের পার্শ্ব শিক্ষকরা নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অংশ নিলে প্রাথমিকের পার্শ্ব শিক্ষকরা সুযোগ থেকে বঞ্চিত হবেন। 

  • CRPF: ঝাড়খণ্ডে মাওবাদীদের সঙ্গে এনকাউন্টারের সময় আইইডি বিস্ফোরণ, আহত ৫ সিআরপিএফ জওয়ান

    CRPF: ঝাড়খণ্ডে মাওবাদীদের সঙ্গে এনকাউন্টারের সময় আইইডি বিস্ফোরণ, আহত ৫ সিআরপিএফ জওয়ান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের মাওবাদী হামলার শিকার সিআরপিএফ জওয়ান। মাওবাদীদের সঙ্গে এনকাউন্টারের সময় হঠাৎ আইইডি বিস্ফোরণে জখম হলেন পাঁচজন সিআরপিএফ জওয়ান (CRPF jawans)। বিস্ফোরণের পর এলাকা ঘিরে শুরু হয় তল্লাশি। বুধবার দুপুরে ঘটনাটি ঘটেছে ঝাড়খণ্ডের চাইবাসায় (Chaibasa)। ঝাড়খণ্ডের চাইবাসায় মাওবাদীদের বিরুদ্ধে অভিযান চলছিল বলে জানা গিয়েছে। আর সেসময়ই এই ঘটনা ঘটে বলে জানা যায়। ঝাড়খণ্ড পুলিশ জানিয়েছে, এই ঘটনার পরেই আহত জওয়ানদের চিকিৎসার জন্য তড়িঘড়ি রাঁচীর স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।

    চাইবাসায় আইইডি বিস্ফোরণ

    ঝাড়খণ্ডের মাওবাদী অধ্যুষিত চাইবাসা শহরে প্রায়ই মাওবাদীদের হামলার শিকার হতে হয়। আজও সেই ঘটনাই ঘটল। সূত্রের খবর অনুযায়ী, বুধবার চাইবাসার টোন্টো থানার টুম্বাহাকা এলাকায় তল্লাশি অভিযান চালাচ্ছিল সিআরপিএফের কোবরা বাহিনী। এনকাউন্টার চলাকালীন আচমকা আইইডি বিস্ফোরণ ঘটে। অ্যাডিশনাল ডিরেক্টর জেনারেল সঞ্জয় আনন্দরাও লাঠকার বলেন, “আজ সকাল থেকে চাইবাসায় মাওবাদীদের সঙ্গে দুটি সংঘর্ষ হয়েছে, যার ফলেই ৫ জন সিআরপিএফ জওয়ান আহত হয়েছেন। তাঁদের হেলিকপ্টারে করে আনা হয়েছে এবং চিকিৎসা করা হচ্ছে।”

    আরও পড়ুন: চাকরিপ্রার্থীদের ১০টি সংগঠনকে মিছিলের অনুমতি দিল কলকাতা হাইকোর্ট

    উল্লেখ্য, গত বছরের ২ ডিসেম্বরেই এই জায়গাতেই নিরাপত্তা বাহিনীদের সঙ্গে মাওবাদীদের সংঘর্ষ হয়। সেদিনও পাঁচ জন জওয়ান আহত হয়েছিলেন। এছাড়াও ঝাড়খণ্ডের গারওয়া এবং চাতরা জেলা থেকে অত্যাধুনিক আমেরিকান অস্ত্র সহ এক টিএসপিসি বিদ্রোহীকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। আবার নকশাল সাব-জোনাল কমান্ডার রবীন্দ্র মেহতা ওরফে ছোটা ব্যাসকে গত বছরের সেপ্টেম্বরে গারওয়া জেলার মাঝিয়াওঁ থানার অন্তর্গত বুডিখান্দ গ্রাম থেকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। পুলিশের মতে, রবীন্দ্র মেহতা বিহার ও ঝাড়খণ্ডের সীমান্ত এলাকায় সক্রিয় ছিল এবং দুই রাজ্যে ১৬টি ঘটনার সঙ্গে জড়িত ছিল সে। এর আগে টিএসপিসি-র কমান্ডার ভাইরো গাঞ্জুকে চাতরা জেলার সিমারিয়া থানার অন্তর্গত কাসিয়াতু বন থেকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। তার কাছ থেকে একটি অত্যাধুনিক আমেরিকান অস্ত্রসহ বিপুল পরিমাণ অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার করা হয়েছিল। গাঞ্জু ১৬ টিরও বেশি মামলায় ওয়ান্টেড ছিল এবং ঝাড়খণ্ডের চাতরা, পালামু এবং লাতেহার জেলায় সক্রিয় ছিল।

    সূত্রের খবর অনুযায়ী, মাওবাদী অধ্যুষিত ঝাড়খণ্ডে লাগাতার হামলার ঘটনা ঘটে চলেছে। তবে কেন্দ্রের দাবি, সরকার ও নিরাপত্তা বাহিনীর তৎপরতার জেরেই মাওবাদীদের আগের তুলনায় নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়েছে।

  • Oscars 2023: ভারতীয় সিনেমার গর্বের দিন! অস্কার নমিশনে ‘দ্য কাশ্মীর ফাইলস’-‘গাঙ্গুবাই’ সহ ১১টি ছবি

    Oscars 2023: ভারতীয় সিনেমার গর্বের দিন! অস্কার নমিশনে ‘দ্য কাশ্মীর ফাইলস’-‘গাঙ্গুবাই’ সহ ১১টি ছবি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আজ ভারতীয় সিনেমার এক স্মরণীয় দিন। অস্কার নমিনেশনের তালিকায় স্থান পেল একাধিক ভারতীয় ছবি। ২০২৩ সালের অস্কারের রিমাইন্ডার লিস্টে জায়গা করে নিল ‘আরআরআর’, ‘কান্তারা’, ‘দ্য কাশ্মীর ফাইলস’, ‘চেলো শো’, ‘রকেট্রি: দ্য নাম্বি এফেক্ট’ এবং ‘গাঙ্গুবাই কাঠিয়াওয়াড়ি’ সহ এগারোটি সিনেমা। ২০২৩ সালের অস্কারে মোট ৩০১ টি সিনেমা জায়গা করে নিয়েছে।

    অস্কার ২০২৩ নমিশনের তালিকা প্রকাশ

    মঙ্গলবার তালিকা প্রকাশ করল দ্য অ্যাকাডেমি অফ মোশন পিকচার আর্টস অ্যান্ড সায়েন্সেস। এই ছবিগুলিই অস্কারের নমিনেশনে যাওয়ার জন্য প্রতিযোগিতায় নামতে পারবে। যদিও রিমাইন্ডার লিস্ট মানেই নমিনেশনের দরজা পুরোপুরি খুলে যাওয়া, এমনটা নয়। আগামী ১২ তারিখ থেকে নির্বাচনের পদ্ধতি শুরু হবে। মোট ৯,৫৭৯ জন সদস্য ব্যালটে ভোট দেবেন। প্রক্রিয়া শেষ হবে আগামী ১৭ জানুয়ারি। ২৪ জানুয়ারি প্রকাশ পাবে এর চূড়ান্ত তালিকা।

    অস্কারের তালিকায় ১১ টি ভারতীয় সিনেমা

    ‘আরআরআর’, ‘কান্তারা’, ‘দ্য কাশ্মীর ফাইলস’, ‘চেলো শো’, ‘রকেট্রি: দ্য নাম্বি এফেক্ট’ এবং ‘গাঙ্গুবাই কাঠিয়াওয়াড়ি ছাড়াও মারাঠি ছবি ‘মে ভাসানট্রাও’ এবং ‘তুজ্যা সাথি কহি হি’, গুজরাটি ছবি ‘দ্য চেলো শো’, তামিল ছবি ‘ইরাভিন নিজাল’ এবং কন্নড় ছবি ‘বিক্রান্ত রোনা’ও রয়েছে সেই তালিকায়। এছাড়া বাঙালি পরিচালক শৌনক সেনের ডকুমেন্টারি ‘অল দ্যাট ব্রিদস’ এবং কার্তিকী গনজালভেসের ‘দ্য এলিফ্যান্ট হুইসপারার্স’ও জায়গা করে নিয়েছে লিস্টে।

    ‘দ্য কাশ্মীর ফাইলস’ ছবির পরিচালকের ট্যুইট

    একাধিক বিতর্কের পরেও বিবেক অগ্নিহোত্রীর ছবি অস্কারের তালিকায় জায়গা করে নিয়েছে। নানা মহলের সমালোচনার মুখেও পড়েছিলেন বিবেক। তবে এবার সেই সমালোচনার যেন জবাব দিলেন বিবেক। ‘দ্য কাশ্মীর ফাইলস’ ছবির মুকুটে উঠল নতুন পালক। ২০২৩ সালের অস্কারের শর্ট লিস্টে উঠে এল ‘দ্য কাশ্মীর ফাইলস’। মঙ্গলবার ‘দ্য কাশ্মীর ফাইলস’-এর পরিচালক বিবেক অগ্নিহোত্রী ট্যুইট করেন, “আমাদের ছবিটি অস্কার ২০২৩-এর দ্য অ্যাকাডেমির প্রথম লিস্টে শর্টলিস্টেড হল। ভারতের তরফে যে ৫টি ছবি এই লিস্টে জায়গা করে নিয়েছে তার মধ্যে এটি অন্যতম। আমি বাকি সবাইকে শুভেচ্ছা জানাচ্ছি। ভারতীয় ছবির জন্য এটা একটি দারুণ বছর।”

    জানা গিয়েছে, সেরা অভিনেতা বিভাগে এই ছবির তিন অভিনেতা এবং এক অভিনেত্রী নিজেদের জায়গা করে নিয়েছেন। এঁদের মধ্যে আছেন মিঠুন চক্রবর্তী, অনুপম খের, দর্শন কুমার, পল্লবী যোশী। পরিচালকের কথায়, “সেরা পরিচালক বিভাগে মিঠুন চক্রবর্তী, অনুপম খের এবং দর্শন কুমার শর্টলিস্টেড হয়েছেন। আর সেরা অভিনেত্রী বিভাগে পল্লবী যোশী। এটা কেবল শুরু। সামনে এখন লম্বা পথ। ওঁদের সবাইকে আশীর্বাদ করুন।”

LinkedIn
Share