Author: নিমাই দে

  • Calcutta High Court: বিচারপতি মান্থার এজলাস বয়কট, আইনজীবীদের বিক্ষোভে উত্তপ্ত হাইকোর্ট চত্বর

    Calcutta High Court: বিচারপতি মান্থার এজলাস বয়কট, আইনজীবীদের বিক্ষোভে উত্তপ্ত হাইকোর্ট চত্বর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নজিরবিহীন ঘটনা বাংলায়! কলকাতা হাইকোর্টে বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার এজলাস বয়কটের দাবি তুলে বিক্ষোভ করতে দেখা গেল আইনজীবীদের একাংশকে। আইনজীবীদের মধ্যে এই সংঘাত শেষপর্যন্ত হাতাহাতিতে পৌঁছল। কলকাতা হাইকোর্টের ১৩ নম্বর আদালত কক্ষ বন্ধ থাকা নিয়ে প্রতিবাদ জানান আইনজীবীদের একাংশ। তাঁরা জোর করে এজলাসে ঢুকতে গেলে বাধা দেন কিছু আইনজীবী। এর পর দু’পক্ষের মধ্যে শুরু হয়ে যায় ধস্তাধস্তি, হাতাহাতি। তৃণমূলের মহিলা আইনজীবীদের একাংশ এজলাসের গেট বন্ধ করে দেন। তুমুল হট্টগোলে বিচারপতি এজলাস ছেড়ে উঠে যান। এই বিক্ষোভ, ধস্তাধস্তি শুরু হলে কিছুক্ষণ বন্ধ থাকে কাজ। এর পর ২ ঘণ্টা পর এজলাসে ফিরে আসেন বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা ও শুরু হয় বিচারের কাজ।

    হাইকোর্ট চত্বরে ধুন্ধুমার! 

    সোমবার সকাল সাড়ে ১০ টা নাগাদ কলকাতা হাইকোর্টে  বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার এজলাস ঘিরে বয়কটের দাবি তোলে কিছু আইনজীবী। তাঁরা অবস্থান বিক্ষোভে বসেন। সেই পরিস্থিতিতে নিজের এজলাস ছেড়ে উঠে যান প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তবও। বন্ধ হয়ে যায় প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চের শুনানি। প্রায় ১ ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে শুনানি বন্ধ থাকে বিচারপতি মান্থার এজলাসে। এরপর বিচারপতি মান্থা ফিরে আসলে কাজ শুরু হয়। হাইকোর্টের এই দৃশ্য ট্যুইটারে শেয়ার করেছেন, আইনজীবী তরুণজ্যোতি তিওয়ারি।

    বিচারপতির বাড়ির পাশেও বেনামি অভিযোগ-পোস্টার

    আবার তাঁর বিরুদ্ধে আদালতের বাইরের দেওয়ালেও পোস্টার দেখা গিয়েছে। তাতে বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার ছবি দিয়ে ইংরাজিতে লেখা – লজ্জা, বিচারব্যবস্থার নামে কলঙ্ক! কেউ আবার প্রশ্ন তুলেছেন – কোথায় আসল বিচার মিলবে? তাঁর বাড়ির আশেপাশেও লাগানো হয়েছে পোস্টার। যোধপুর পার্ক এলাকায় বিচারপতির বাড়ি। পোস্টারে বিচারপতি রাজশেখর মান্থার নামে বিভিন্ন অভিযোগ তোলা হয়েছে, কারা এই পোস্টার লাগিয়েছে, তার কোনও উল্লেখ নেই। তদন্তে নেমেছে লেক থানার পুলিশ।

    প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব কী বললেন?

    এরপর ১৩ নম্বর কোর্ট বয়কট নিয়ে প্রধান বিচারপতির দৃষ্টি আকর্ষণ করেন কেন্দ্রের অ্যাসিস্ট্যান্ট সলিসিটর জেনারেল বিল্বদল ভট্টাচার্য। এসব শুনে প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব বলেন, “এটা উচিত নয়। সব তথ্য প্রমাণ নিয়ে আসুন। বারের সভাপতি ডেকে পাঠাচ্ছি। এই ঘটনা একেবারেই উচিত নয়। বিষয়টি আমরা দেখেছি।” এরপর প্রধান বিচারপতি বার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি এবং রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেলকে (AG) ডেকে পাঠান। তাঁদের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে কথা বলতে চান তিনি। আদালতের ১৩-এর বাইরের সমস্ত সিসি ক্যামেরা ফুটেজ চাইলেন প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব। পরে একাধিক সিসি ক্যামেরার ফুটেজ পাঠানোও হল তাঁর কাছে। ফুটেজ খতিয়ে দেখছেন তিনি। এই বিক্ষোভ এবং হাতাহাতির ঘটনার পর নিজের এজলাসে শুনানি বন্ধ করে জরুরি বৈঠকে বসেছেন তিনি। বৈঠকে রয়েছেন হাই কোর্টের অন্য বিচারপতিরাও। 

  • Covid-19: করোনার কোন ভ্যারিয়েন্ট বেশি ভয়ঙ্কর, এক্সবিবি.১.৫ নাকি বিএফ.৭?

    Covid-19: করোনার কোন ভ্যারিয়েন্ট বেশি ভয়ঙ্কর, এক্সবিবি.১.৫ নাকি বিএফ.৭?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চিনে নতুন করে তাণ্ডব শুরু করেছে করোনা ভাইরাস। ওমিক্রনের সাব-ভ্যারিয়েন্ট বিএফ.৭ নতুন করে আতঙ্ক ছড়াচ্ছে চিনে। পিছিয়ে নেই আমেরিকাও। সেখানেও করোনার অন্য এক ভ্যারিয়েন্ট নতুন করে উদ্বেগের সৃষ্টি করছে। সেটি হল এক্সবিবি.১.৫। চিনে যখন ওমিক্রনের বিএফ.৭ সাব ভ্যারিয়েন্ট ত্রাসের রূপ নিয়েছে, তখন আমেরিকায় এই সংক্রমণ ছড়ানোর নেপথ্যে রয়েছে ওমিক্রন এক্সবিবি.১.৫। আমেরিকার এই এক্সবিবি ভ্যারিয়েন্টটি নিয়ে বিশেষজ্ঞরা বেশ উদ্বিগ্ন। তবে সবথেকে আতঙ্কের বিষয় হল, এই দুই ভ্যারিয়েন্টে ভারতের কিছু মানুষও আক্রান্ত হয়েছেন। তবে সবারই প্রশ্ন, কোন ভ্যারিয়েন্ট বেশি ক্ষতিকারক?

    বিএফ.৭ না এক্সবিবি.১.৫, কোনটি বেশি ভয়ঙ্কর?

    আমেরিকা এক্সবিবি.১.৫-এর জন্য বেশি উদ্বিগ্ন। কারণ বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, করোনার এই ভ্যারিয়েন্ট বেশি সংক্রামক। এটি বিএ.২.৭৫ এবং বিএ.২.১০.১-এর  মিলিত প্রজাতি। সূত্রের খবর অনুযায়ী, এই ভ্যারিয়েন্টের ফলে আমেরিকার প্রায় ৪০.৫ শতাংশ আক্রান্ত হয়েছেন। তথ্য বলছে, এক্সবিবি.১.৫ এর গতি বিকিউ.১ এর থেকে ১২০ শতাংশ বেশি। এক্সবিবি.১.৫ আগের এক্সবিবি ভ্যারিয়েন্টগুলির থেকে ৯৫ শতাংশ দ্রুত বলেও জানানো হচ্ছে। বলা হচ্ছে, কোভিড ভ্যারিয়েন্ট এক্সবিবি.১.৫ এমন একটি ভ্যারিয়েন্ট যা শরীরের প্রতিরোধ ক্ষমতাকে সহজেই ভেঙে দিতে পারে। আর সংক্রমণ ছড়িয়ে ফেলার দ্রুত ক্ষমতা ধরে রাখে।

    আরও পড়ুন: সামনেই চিনা নববর্ষ, করোনার মধ্যেই ভ্রমণ সংক্রান্ত একাধিক বিধিনিষেধ তুলে নিল জিনপিং সরকার

    অন্যদিকে ওমিক্রনের উপপ্রজাতি বিএ.৫ ও বিএ.৫.২.১৭ এর পরিবর্তিত রূপ হল ওমিক্রন বিএফ.৭। যেটির ফলে নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হচ্ছেন চিনের নাগরিকরা। এটিও দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে।

    তবে বিজ্ঞানীরা বলছেন, বিএফ.৭ এর থেকেও বেশি সংক্রামক এক্সবিবি.১.৫ ভাইরাস। ৫৬ শতাংশ বেশি রোগ ছড়াতে পারে। বিএফ.৭ এর চেয়ে এর সংক্রমণের হার প্রায় ১২০ শতাংশ বেশি। খুব তাড়াতাড়ি মানুষের শরীরে ছড়িয়ে পড়তে পারে। মানুষের শরীরে এর সংক্রমণ হলে অ্যান্টিবডিগুলোকে দুর্বল করে দিতে পারে, ফলে খুব সহজেই রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা কমিয়ে দেয়। হু-এর তরফে বলা হয়েছে, এটি আজ পর্যন্ত ওমিক্রনের সবথেকে সংক্রামক ভাইরাস।

    দুই ভ্যারিয়েন্টের সাধারণ উপসর্গ কী কী?

    করোনার এই দুই ভ্যারিয়েন্টেই যে যে উপসর্গ দেখা যায় সেগুলো হল- গলা ব্যথা, সর্দি, নাক বন্ধ, হাঁচি, কফ ছাড়া কাশি, মাথাব্যথা, কফ সহ কাশি, কর্কশ কণ্ঠস্বর, পেশী ব্যথা এবং ব্যথা ইত্যাদি।

     

  • Dehradun Student: দেরাদুনের এক খুদের স্বরচিত কবিতার প্রশংসায় পঞ্চমুখ নরেন্দ্র মোদি, দেখুন ভিডিও

    Dehradun Student: দেরাদুনের এক খুদের স্বরচিত কবিতার প্রশংসায় পঞ্চমুখ নরেন্দ্র মোদি, দেখুন ভিডিও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সোশ্যাল মিডিয়ায় অনেকেই অনেক কিছুই শেয়ার করে থাকেন। অনেকে নিজেদের প্রতিভাকেও সবার সামনে তুলে ধরেন। ফলে নেটিজেনরাও তাঁদের প্রতিভার প্রশংসা করে থাকেন। কিন্তু যদি কারোর প্রতিভায় স্বয়ং দেশের প্রধানমন্ত্রী প্রশংসা করেন, তবে কার না ভালো লাগবে! কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর প্রশংসা পাওয়া অতটাও সোজা নয়। এবারে এমনই এক অসাধ্য সাধন করল দেরাদুনের এক খুদে। এই খুদে স্ট্রেস ফ্রি পরীক্ষা দেওয়ার জন্য নিজেই একটি কবিতা লিখেছে ও সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করেছে। আর এটিতেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি প্রশংসায় পঞ্চমুখ।

    ছাত্রীর কবিতার প্রশংসা মোদির

    দেরাদুনের কেন্দ্রীয় বিদ্যালয়ের (ওএনজিসি) ছাত্রী কে এম দিয়া পরীক্ষার উপর তার স্বরচিত একটি কবিতা নেট মাধ্যমে তুলে ধরেছে সকলের কাছে। এজন্য তার প্রশংসা করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। কেন্দ্রীয় বিদ্যালয় সংগঠনের এক ট্যুইট বার্তার উত্তরে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, “খুবই সৃজনশীল একটি বিষয়। যে পরীক্ষাকে ঘিরে কোনও দুশ্চিন্তা থাকে না, তা হল সবচেয়ে সেরা পরীক্ষা। এ মাসের ২৭ তারিখে #ParikshaPeCharcha2023 – এর মঞ্চে এই বিষয়টি নিয়ে আমরা আরও বিস্তারিত আলোচনা করব।”

    ‘পরীক্ষা পে চর্চা’…

    প্রসঙ্গত, বিগত ২০১৮ থেকে ৫ বছর ধরে বোর্ড পরীক্ষা এবং প্রবেশিকা পরীক্ষায় যাতে শিক্ষার্থীরা চিন্তামুক্ত হয়ে পরীক্ষা দিতে পারেন, তাঁদের উদ্দেশ্যে শুরু হয়েছিল ‘পরীক্ষা পে চর্চা’ কর্মসূচি। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির উদ্যোগেই ‘পরীক্ষা পে চর্চা’ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়।  মূলত ভিডিও কনফারেন্স এর মাধ্যমে সরাসরি নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে শিক্ষার্থী, অভিভাবক এবং শিক্ষকরা কথা বলতে পারেন এই কর্মসূচির মধ্য দিয়ে।

    ২০২৩ সালে সমস্ত শিক্ষার্থীদের জন্য ‘পরীক্ষা পে চর্চা’ কর্মসূচির রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়া শুরু হয়েছিল ডিসেম্বর মাসে। এখন রেজিস্ট্রেশনের মেয়াদ বাড়িয়ে ২৭ জানুয়ারি, ২০২৩ পর্যন্ত করা হয়েছে। এবছর ২৭ জানুয়ারি নয়াদিল্লির তালকাটোরা ইনডোর স্টেডিয়াম এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হবে।

  • Delhi Firing: প্রতিশোধের আগুন! ধর্ষণ করল ছেলে, বদলা নিতে মাকে গুলি করল দিল্লির এক কিশোরী

    Delhi Firing: প্রতিশোধের আগুন! ধর্ষণ করল ছেলে, বদলা নিতে মাকে গুলি করল দিল্লির এক কিশোরী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের রাজধানী দিল্লির বুকে গা শিউরে ওঠা ঘটনা! প্রতিশোধের আগুন এক বছরের বেশি সময় ধরে চেপে রেখেছিল এক ১৬ বছরের কিশোরী। ফলে দোষীকে না পেয়ে অভিযুক্তের মাকেই গুলি করে বসে এই কিশোরী। তবে কেন তাঁকে গুলি করল ও কী এমন অপরাধ করেছিল, হামলার কারণ জানতে চাওয়া হলে, ওই কিশোরী যা জানাল, তাতে চমকে ওঠেন পুলিশ কর্মীরাও। জানা গিয়েছে, প্রায় ১ বছরেরও আগে ওই মহিলার ছেলে ওই কিশোরীকে ধর্ষণ করেছিল। পুলিশে অভিযোগ দায়ের করা হলেও তার কোনও সুবিচার হয়নি। শেষপর্যন্ত তাই আইন নিজের হাতেই তুলে নেয় সে।

    ঠিক কী ঘটেছিল?

    চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি রাজধানী দিল্লির ভজনপুরা এলাকার। শনিবার বিকাল সাড়ে পাঁচটা নাগাদ দিল্লির ভজনপুরা এলাকার এক নাবালিকার বিরুদ্ধে স্থানীয় এক মহিলাকে গুলি চালানোর অভিযোগ ওঠে। সূ্ত্রের খবর অনুযায়ী, অভিযুক্ত ছেলে ও তার মায়ের একটি মুদির দোকান রয়েছে। গতকাল সবে মাত্র দোকান খুলেছিলেন ওই মহিলা, আর তখন দূর থেকে হেঁটে আসছিল এক কিশোরী। আর দোকানের সামনে আসতেই পকেট থেকে বন্দুক বের করে ৫০ বছর বয়সী ওই মহিলাকে লক্ষ্য করে গুলি চালায় ওই কিশোরী। গুলিতে আহত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ওই মহিলাকে নিয়ে হাসপাতালে ছোটেন স্থানীয়রা। প্রাণে বেঁচে যান তিনি। এখনও দিল্লির জিটিবি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন তিনি।

    আরও পড়ুন: সহযাত্রীর গায়ে প্রস্রাবকাণ্ডে অভিযুক্ত শঙ্কর মিশ্রের খোঁজ দিল্লি পুলিশ কীভাবে পেল জানেন?

    এর পর হামলাকারী ওই কিশোরীকে আটক করে পুলিশ। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে ওই কিশোরী জানায়, আহত মহিলার ছেলে তাকে ধর্ষণ করেছিল। তার প্রতিশোধ নিতেই মহিলার উপরে গুলি চালায় সে। ২০২১ সালে ওই কিশোরী ওই কিশোরের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করেছিল। সেসময় অভিযুক্ত ওই ধর্ষকও ছিল নাবালক। তার বিরুদ্ধে আইপিসি (IPC) এবং পকসো (POCSO) দুই আইনেই মামলা করা হয়। কিন্তু সেই মামলার কোনও সুবিচার হয়নি। তাই শেষপর্যন্ত নিজেই শাস্তি দেওয়ার কথা ভেবে অভিযুক্তের মাকেই গুলি করে ওই তরুণী।

    পুলিশ সূত্রে খবর, নাবালিকাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে এই হামলার কারণ নিয়ে বিস্তারিত জানার চেষ্টা করছে তারা। মেয়েটির কাছে বন্দুক কোথা থেকে এল সেটাও জানার চেষ্টা করা হচ্ছে। আইন মেনেই নাবালিকার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানিয়েছে পুলিশ।

  • West Bengal Weather: পৌষ সংক্রান্তিতে পারদ হবে ঊর্ধ্বমুখী! শীত কি তবে বিদায়ের পথে?

    West Bengal Weather: পৌষ সংক্রান্তিতে পারদ হবে ঊর্ধ্বমুখী! শীত কি তবে বিদায়ের পথে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গত কয়েকদিন ধরেই হাড়কাঁপুনি ঠান্ডায় কেঁপেছে গোটা বাংলা। কিন্তু আবহাওয়া দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, কয়েকদিন পর থেকেই আবহাওয়ায় বড় পরিবর্তন আসতে চলেছে। আলিপুর আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস, মকর সংক্রান্তির দিন কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৫ ডিগ্রির উপরে থাকবে। মঙ্গলবার শহরের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা স্বাভাবিকের চেয়ে ১ ডিগ্রি কম। হাওয়া অফিস জানিয়েছে, কলকাতা ও সংলগ্ন এলাকায় আগামী কয়েক দিনে ধীরে ধীরে তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাবে।

    কলকাতার আবহাওয়া

    আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, সকালের দিকে কুয়াশা থাকলেও আকাশ সাধারণভাবে পরিষ্কার থাকবে। সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রা থাকতে পারে ২৬ ও ১৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশেপাশে। এদিন কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা স্বাভাবিকের থেকে ১ ডিগ্রি কম। ১৫ জানুয়ারি নাগাদ কলকাতায় ন্যূনতম তাপমাত্রা ১৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ওপরে উঠে যেতে পারে।

    পৌষে শীত কি বিদায়ের পথে?

    ডিসেম্বরে তেমন শীতের আমেজ অনুভব করতে পারেনি শহরবাসী। তবে নতুন বছরের শুরুর থেকেই শীতের দাপট দেখা গিয়েছে। গোটা বাংলায় ছিল হাড়কাঁপানো ঠান্ডা। কিন্তু এই শীতও এখন বিদায়ের পথে, এমনটাই পূর্বাভাস আবহাওয়া দফতরের। আবহবিদরা জানিয়েছেন, উত্তর-পশ্চিম ভারতে পশ্চিমী ঝঞ্ঝার কারণে তাপমাত্রা ফের বাড়তে পারে। সেই সঙ্গে দুর্বল হয়ে এসেছে উত্তুরে হাওয়া। বঙ্গোপসাগর থেকে প্রচুর পরিমাণে জলীয় বাষ্পপূর্ণ উষ্ণ বাতাস রাজ্যে প্রবেশ করছে। সেই কারণেই আগামী কয়েক দিনে তাপমাত্রা বাড়তে পারে কয়েক ডিগ্রি। দু’টি পশ্চিমী ঝঞ্ঝার কারণেই আগামী ৪৮ ঘণ্টা পার হয়ে গেলে ধীরে ধীরে তাপমাত্রা কিছুটা ঊর্ধ্বমুখী হবে। তবে শীতের আমেজ বজায় থাকবে।

    উত্তরবঙ্গ ও দক্ষিণবঙ্গের আবহাওয়া

    উত্তরবঙ্গের সব জেলাতেই ঘন কুয়াশার সতর্কতা রয়েছে। উত্তরবঙ্গের দার্জিলিং, কালিম্পং, আলিপুরদুয়ার, জলপাইগুড়ি ও কোচবিহারে ঘন কুয়াশা থাকবে আগামী ৪৮ ঘণ্টা। এছাড়াও দুই দিনাজপুর এবং মালদাতে ঘন কুয়াশা থাকবে। দিনের বেলাতেও ভালো ঠান্ডা থাকবে এই জেলাগুলিতে। এই মুহূর্তে বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই উত্তরবঙ্গে। তবে জোড়া পশ্চিমী ঝঞ্ঝার কারণে আগামী ৪৮ ঘণ্টার পর থেকে তুলনামূলক ভাবে তাপমাত্রা বাড়তে পারে উত্তরবঙ্গেও।

    ১২ জানুয়ারি বৃহস্পতিবার সকালের মধ্যে দক্ষিণবঙ্গের সবকটি জেলার আবহাওয়া শুকনো থাকবে। আগামী ২৪ ঘন্টায় রাতের তাপমাত্রার তেমন বড় কোনও পরিবর্তন হবে না। তবে তার পরের তিন দিনে গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গের তাপমাত্রা ধীরে ধীরে ২-৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত বাড়তে পারে বলে পূর্বাভাস আবহাওয়া দফতরের।

  • IND vs SL ODI: ইডেনে ভারত-শ্রীলঙ্কা ম্যাচের টিকিট বিক্রি শুরু, রয়েছে বিশেষ মেট্রো ব্যবস্থাও

    IND vs SL ODI: ইডেনে ভারত-শ্রীলঙ্কা ম্যাচের টিকিট বিক্রি শুরু, রয়েছে বিশেষ মেট্রো ব্যবস্থাও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মঙ্গলবার, ১০ জানুয়ারি থেকে শুরু হচ্ছে তিন ম্যাচের একদিনের সিরিজ। ভারত বনাম শ্রীলঙ্কা ওডিআই সিরিজ (IND vs SL ODI Series 2023) অনুষ্ঠিত হবে ইডেনে। গুয়াহাটিতে হবে সিরিজের প্রথম ম্যাচ। পরবর্তী দুটি ম্যাচ ১২ এবং ১৫ জানুয়ারি কলকাতা এবং তিরুবনন্তপুরমে অনুষ্ঠিত হবে। ফলে ভারত বনাম শ্রীলঙ্কার ম্যাচের জন্য উত্তেজনা তুঙ্গে। আর এই ম্যাচের জন্য ইতিমধ্যেই টিকিট বিক্রি শুরু হয়ে গিয়েছে। এছাড়াও এই ম্যাচকে ঘিরে কলকাতায় এমনই উন্মাদনা যে ম্যাচের দিন বিশেষ মেট্রোরও ব্যবস্থা করা হয়েছে।

    কোথা থেকে কীভাবে টিকিট কাটবেন?

    এক দিনের ম্যাচে রোহিত শর্মা, বিরাট কোহলিরা দলে ফেরায়, বেশি উন্মাদনা রয়েছে এই ম্যাচকে ঘিরে। অনলাইন এবং কাউন্টার মিলিয়ে মোট ১৫ হাজার টিকিট ছাড়া হয়েছে। রবিবার থেকে অনলাইনে টিকিট বিক্রি শুরু হয়েছে। এই টিকিটের মূল্য মোট তিনটে ভাগ রয়েছে। ১,৫০০ টাকা, ১,০০০ টাকা এবং ৬৫০ টাকা। এছাড়াও অফলাইনেও টিকিট বিক্রি হচ্ছে। দ্য ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন অফ বেঙ্গলের একটি বিবৃতি প্রকাশ করা হয়েছে, সেখানে বলা হয়েছে, ৮ থেকে ১১ জানুয়ারি বেলা ১১টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ইডেন গার্ডেন্স স্টেডিয়ামের ৪ নম্বর গেট থেকে জনসাধারণের জন্য টিকিট বিক্রি করা হবে।

    আরও পড়ুন: ‘এই ঘটনা আমার আত্মবিশ্বাস আরও বাড়িয়ে তুলবে’, শ্রীলঙ্কা ম্যাচের আগে অর্শদীপ

    এর পাশাপাশি আপনি www.bookmyshow.com থেকেও এই টিকিট কিনতে পারেন। সেক্ষেত্রে আপনাকে প্রথমে এই ওয়েবসাইটে ঢুকতে হবে। এরপর ভারত বনাম শ্রীলঙ্কা দ্বিতীয় একদিনের ম্যাচের ট্যাবে ক্লিক করতে হবে। এরপর আপনাদের লাল রংয়ের ‘বুক’ অপশনে যেতে হবে। প্রথমে কতজন যাবেন, সেটা সিলেক্ট করে নেবেন। এরপর কোন ব্লকের টিকিটের কত দাম, সেটা আলাদা রং দিয়ে বোঝানো রয়েছে। আপনি নিজের সুবিধামত রং বেছে নিন। এবার পছন্দমত সিট বুক করে ফেলুন।

    ম্যাচের জন্য বিশেষ মেট্রোর ব্যবস্থা

    অনেকক্ষেত্রেই রাতে ম্যাচ শেষে বাড়ি ফিরতে গিয়ে সমস্যায় পড়তে হয় মানুষদের। যানবাহনের সমস্যায় ভোগান্তির শিকার হন সকলেই। সেই সমস্যা সমাধানেই এবার শহরের ক্রিকেটভক্তদের জন্য স্পেশাল মেট্রো চালানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে মেট্রো কর্তৃপক্ষ। খেলা শেষ হতে রাত প্রায় সাড়ে ন’টা। এর পর ইডেন থেকে বেরিয়ে এসপ্ল্যানেড পর্যন্ত এলেই পাওয়া যাবে স্পেশাল মেট্রো। ফলে বড় সমস্যার সমাধান ক্রিকেটপ্রেমীদের। বাকি মেট্রো স্টেশনগুলির টিকিট কাউন্টার বন্ধ হয়ে গেলেও এসপ্ল্যানেড স্টেশনের টিকিট বুকিং কাউন্টার খোলা থাকবে বেশি সময় পর্যন্ত। যাত্রীরা কাউন্টার থেকে স্মার্ট কার্ড রিচার্জ কিংবা টোকেন উভয়ই নিতে পারবেন।

  • West Bengal Weather: হাড়কাঁপুনি ঠান্ডা গোটা বাংলা জুড়ে, ফের কবে বাড়বে তাপমাত্রা?

    West Bengal Weather: হাড়কাঁপুনি ঠান্ডা গোটা বাংলা জুড়ে, ফের কবে বাড়বে তাপমাত্রা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কাঁপুনি দিয়ে শীত গোটা বাংলায়। আজ কলকাতায় তাপমাত্রা সামান্য বাড়লেও শহরজুড়ে শীতের দাপট রয়েছে। আজ কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৩.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা স্বাভাবিকের থেকে ১ ডিগ্রি কম। তবে কলকাতায় সামান্য তাপমাত্রা বাড়লেও পশ্চিমের জেলায় পারদপতন অব্যাহত ও সেখানে শৈত্যপ্রবাহের সতর্কতাও জারি করা হয়েছে। আবার উত্তরবঙ্গেও জাঁকিয়ে শীত। কুয়াশার দাপটও রয়েছে সেখানে।

    কলকাতার আবহাওয়া

    আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, কলকাতা ও আশেপাশের এলাকায় সাধারণভাবে আকাশ পরিষ্কার থাকবে। বৃষ্টিপাতের কোনও সম্ভাবনা নেই। সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রা থাকতে পারে ২৩ ও ১৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশেপাশে। সকালে কলকাতার আকাশে ঘন কুয়াশা থাকলেও পরে আকাশ পরিষ্কার হয়ে যাবে। এমনটাই পূর্বাভাস দিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর।  এদিন আপেক্ষিক আর্দ্রতা সর্বোচ্চ ৯১ শতাংশ। আগামী কয়েকদিন তাপমাত্রার বিশেষ হেরফের হবে না বলেই জানিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া অফিস। তবে আগামী ১২ জানুয়ারি থেকে বাড়তে পারে তাপমাত্রার পারদ।

    আরও পড়ুন: শীতে জবুথবু রাজ্যবাসী, একাধিক জেলায় শৈত্যপ্রবাহের সর্তকতা জারি

    উত্তরবঙ্গ ও দক্ষিণবঙ্গের আবহাওয়া

    আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ১১ জানুয়ারি মঙ্গলবার সকালের মধ্যে উত্তরবঙ্গের সবকটি জেলারই আবহাওয়া শুকনো থাকবে। পরবর্তী ২৪ ঘন্টা অর্থাৎ ১২ জানুয়ারি বুধবার সকালের মধ্যে আবহাওয়া শুকনো থাকলেও, জেলাগুলির কোনও না কোনও জায়গায় হাল্কা থেকে মাঝারি কুয়াশা থাকতে পারে। তবে আগামী দুদিনে রাতের তাপমাত্রার তেমন কোনও পরিবর্তন হবে না। এরপরের দুদিনে তাপমাত্রা ২-৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস বাড়তে পারে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর। আবার কোনও কোনও জেলায় শৈত্যপ্রবাহের সতর্কতা জারি করা হয়েছে।

    আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, পরবর্তী ৪৮ ঘন্টা অর্থাৎ ১১ জানুয়ারি বুধবার সকালের মধ্যে দক্ষিণবঙ্গের সবকটি জেলার আবহাওয়া শুকনো থাকবে। আগামী দুদিনে রাতের তাপমাত্রার তেমন কোনও পরিবর্তন না হলেও, পরবর্তী দুদিনে গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গে তাপমাত্রা ২-৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস কমতে পারে।

     

  • China: সামনেই চিনা নববর্ষ, করোনার মধ্যেই ভ্রমণ সংক্রান্ত একাধিক বিধিনিষেধ তুলে নিল জিনপিং সরকার

    China: সামনেই চিনা নববর্ষ, করোনার মধ্যেই ভ্রমণ সংক্রান্ত একাধিক বিধিনিষেধ তুলে নিল জিনপিং সরকার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অভ্যন্তরীণ বা বিদেশফেরত ভ্রমণকারীদের জন্য কোয়ারেন্টিন তুলে নিল চিন। আজ, রবিবার থেকে এই সিদ্ধান্ত কার্যকর করা হয়েছে সেদেশে। আবার কোভিড অতিমারি শুরুর পর থেকেই আন্তর্জাতিক পর্যটকদের জন্য চিনের দরজা বন্ধ রেখেছিল জিনপিং সরকার। এর পর বিদেশ থেকে চিনে যাওয়া ব্যক্তিদের গেলে কোয়ারেন্টিনে থাকার নির্দেশও দিয়েছিল। কিন্তু এবারে কোয়ারেন্টিনের ব্যবস্থা তুলে নিল চিন। সামনেই চিনা নববর্ষের সূচনা উৎসব। প্রায় তিন বছর পর সেই উৎসব হবে চিনে। তার আগে পর্যটকদের জন্য বন্ধ দরজাও খুলল চিন। ২০২০ সালের পর এইবার প্রথম কোনও বিধিনিষেধ ছাড়াই দেশের অভ্যন্তরে যেকোনও জায়গায় সফর করতে পারবেন নাগরিকরা।

    করোনা বিধিনিষেধ তুলে নিল চিন

    চিনে যখন কোভিডের বাড়বাড়ন্ত, তখনই এমন সিদ্ধান্ত নিল চিন সরকার। চিনে নতুন করে করোনার দাপট দেখা গেলে জিরো কোভিড নীতি চালু করা হয়েছিল। জিরো কোভিড নীতিতে বাধ্যতামূলক ছিল কোয়ারান্টিন এবং লকডাউন। কিন্তু চিনের নাগরিকদের বিক্ষোভের পর গত ডিসেম্বরে জিরো কোভিড নীতি বাতিলের ঘোষণা করে চিন। এই নীতির বিরুদ্ধে চিনের বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভ শুরু হয়। তারপরই কঠোর বিধিনিষেধ শিথিল করে চিন। ফলে চিনের স্বাস্থ্যমন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, চিনে আগত অভ্যন্তরীণ যাত্রীদের জন্য কোয়ারেন্টিন তুলে দেওয়া হচ্ছে। কেউ করোনায় আক্রান্ত হলে বাড়িতেই থাকতে পারবেন। কোয়ারেন্টিন সেন্টারে যেতে হবে না। যদিও, কঠোর নীতি শিথিল করার পরই চিনে কোভিডের বাড়বাড়ন্ত দেখা দিয়েছে। উল্লেখ্য, ২০২০ সালের মার্চ থেকে, চিনে আগত সকল ব্যক্তিকে কেন্দ্র সরকারের ব্যবস্থাপনায় কোয়ারেন্টিনে থাকতে বাধ্য করা হত। এবার সেই নিয়ম উঠে যাচ্ছে ।

    আরও পড়ুন: করোনার প্রকৃত তথ্য প্রকাশ না করায় এবার চিনের সমালোচনা করল হু-ও

    আগামী ৪০ দিনে ২ বিলিয়ন লোকের যাতায়াত চিনে!

    আগামী ২১ জানুয়ারি থেকে শুরু হয়ে যাবে চিনা নববর্ষের ছুটি। চিনের বড় উৎসব এই নববর্ষ। ফলে তার আগেই ভ্রমণ সংক্রান্ত একাধিক বিধিনেষেধ তুলে নেওয়া হয়েছে। এমনকী বিদেশ ভ্রমণের জন্য পাসপোর্ট তৈরি ও ভিসা দেওয়ার জন্য ৮ জানুয়ারি থেকে আবেদন করা যাবে বলে জানা গিয়েছে। এর আগে করোনার কারণে দেশের অভ্যন্তরেই একাধিক জায়গায় সফরে একাধিক নিষেধাজ্ঞা বহাল ছিল। ২০২০ সাল থেকেই সেই নিষেধাজ্ঞা ছিল। এই প্রথম সেই নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হয়েছে। মনে করা হচ্ছে, আগামী ৪০ দিনে প্রায় ২ বিলিয়নের বেশি মানুষ চিনের বিভিন্ন প্রান্তে সফর করবেন। তবে চিনে সমস্ত রকমের বিধিনিষেধ তুলে দেওয়ার ফলে পরবর্তীতে বিশ্বব্যাপী এর প্রভাব পড়বে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

  • Vande Bharat: বন্দে ভারত এক্সপ্রেসে ফের পাথরবৃষ্টি! আতঙ্কিত যাত্রীরা

    Vande Bharat: বন্দে ভারত এক্সপ্রেসে ফের পাথরবৃষ্টি! আতঙ্কিত যাত্রীরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের হামলা বন্দে ভারত এক্সপ্রেসে। মালদা, নিউ জলপাইগুড়ি, বিহারের মাঙ্গুরজান, বারসইের পর এবারে চন্দরনগর ও বর্ধমান স্টেশনের মাঝপথে বন্দে ভারত এক্সপ্রেস লক্ষ্য করে পাথর ছোঁড়া হয় বলে জানা গিয়েছে। এই নিয়ে চতুর্থ দিন হামলার মুখে বাংলার প্রথম সেমি হাইস্পিড ট্রেন। সোমবার হাওড়া থেকে বন্দে ভারত বর্ধমানে ঢোকার মুখে পাথর ছোড়া হয় বলে অভিযোগ করেন যাত্রীরা। রেল সূত্রে খবর, আজ সকাল ৬ টা ৪০ মিনিট নাগাদ হুগলির চন্দরনগর ও বর্ধমানের মাঝামাঝি ছোড়া হয়েছে জানালা। ফলে বন্দে ভারত ট্রেনে পাথর হামলার ঘটনায় প্রবল চাঞ্চল্য। বারবার বন্দে ভারত এক্সপ্রেসে পাথর-হামলায় আতঙ্কিত যাত্রীরা। যদিও রেলের তরফে সরকারিভাবে এখনও এ বিষয়ে কিছু জানা যায়নি।

    ফের ‘পাথরবৃষ্টি’ বন্দে ভারত এক্সপ্রেসে

    উদ্বোধনের পর থেকেই বার বার হামলার নিশানায় বাংলার বন্দে ভারত এক্সপ্রেস। সেই নিয়ে তোলপাড় রাজ্য রাজনীতি। একইসঙ্গে প্রশ্নের মুখে যাত্রী নিরাপত্তাও। ২ জানুয়ারি প্রথম বন্দে ভারত এক্সপ্রেসে হামলা হয়। সেদিন মালদার কুমারগঞ্জ স্টেশন পার করার সময়ে ট্রেনের সি ১৩ কোচে পাথর ছোড়া হয়েছিল। এর পর দিন ঘুরতে না ঘুরতেই ফের হামলা হয়েছিল বন্দে ভারত এক্সপ্রেসে। সেদিন হামলা হয়েছিল নিউ জলপাইগুড়িতে। যার জেরে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের সি-৩, সি-৬ কামরা। তার পরের দিনই বিহারের মাঙ্গুরজানে বন্দে ভারতের ওপর পাথর হামলা হয়। আবার বিহারের বারসইয়েও উঠেছে পাথর হামলার অভিযোগ। আর আজও একই অভিযোগ উঠল। ফলে এই নিয়ে যাত্রী নিরাপত্তা প্রশ্নের মুখে পড়ছে।

    আরও পড়ুন: মজা করেই পাথর নিক্ষেপ বন্দে ভারত এক্সপ্রেসে! জেরায় জানাল ধৃত তিন নাবালক

    হামলায় প্রতিক্রিয়া যাত্রীদের

    আজকের ঘটনা দিয়ে বিগত ৮ দিনে মোট ৪ বার হামলা করা হল বন্দে ভারত এক্সপ্রেসে। ফলে এই সব ঘটনায় এনআইএ তদন্তের দাবি তুলেছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। বিজেপি নেতাদের অভিযোগের আঙুল ছিল শাসকদলের দিকে। অন্যদিকে আজ এক যাত্রীকে বলেত শোনা যায়, “বারবার, একের পর এক প্রতিদিনই হচ্ছে… এত ভালো ট্রেন পেয়েছি আমরা। এটা নিয়ে কী হচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রীর এটা নিয়ে শক্ত পদক্ষেপ করা উচিত।” এছাড়াও এদিনের ঘটনায় এই ট্রেনে যাত্রা করা সাধারণ যাত্রীরা জানিয়েছেন, যারা এই কাজ করছেন তাঁরা অন্যায় করছেন। কঠোর শাস্তি হচ্ছে না বলেই এমন ঘটনা ঘটছে বার বার।

  • TET Scam: ফের ৩ জন প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরি বাতিল! বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের প্রশ্নের মুখে সিবিআই

    TET Scam: ফের ৩ জন প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরি বাতিল! বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের প্রশ্নের মুখে সিবিআই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে (TET Scam) ফের ৩ জনের চাকরি বাতিল করার নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। সোমবার বেআইনি ভাবে প্রাথমিকের স্কুলে চাকরি পাওয়া আরও ৩ জনের চাকরি বাতিল করার নির্দেশ দেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। এই নিয়ে মোট ২৬৮ জন প্রাথমিক শিক্ষকের মধ্যে ২৫৮ জনেরই চাকরি বাতিলের নির্দেশ বহাল রাখল আদালত। আবার আজ এসএসসি সংক্রান্ত এক মামলার শুনানি চলাকালীন সিবিআইকে বিচারপতির প্রশ্নের মুখেও পড়তে হয়। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় ভর্ৎসনার সুরে সিবিআইয়ের আইনজীবীকে জিজ্ঞেস করেন, “সিবিআইয়ের ম্যাজিক আবার কবে দেখব?”

    ফের ৩ জনের চাকরি বাতিল

    বিচারপতির এজলাসে চাকরি বাতিলের সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার আর্জি জানিয়েছিলেন এই তিন শিক্ষক। কিন্তু আদালত তাঁদের নথিপত্র খতিয়ে দেখে জানিয়ে দিয়েছে, তাঁরা তাঁদের চাকরি ফিরে পাবেন না। প্রসঙ্গত, বেআইনি ভাবে এবং নিয়োগের নিয়ম না মেনে প্রাথমিকের চাকরি পাওয়ার অভিযোগে চাকরি বাতিল হয়েছিল ২৬৮ জন শিক্ষকের। পরে সেই নির্দেশকে পাল্টা চ্যালেঞ্জ জানিয়ে এই শিক্ষকেরা সুপ্রিম কোর্টে গেলেও লাভ হয়নি। গত বুধবারই ১৪৩ জন ও বৃহস্পতিবার ৫৯ জন প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরি বাতিল করা হয়েছিল। এর আগে ডিসেম্বর মাসেও ৫৩ জনের চাকরি বাতিল করেছিল উচ্চ আদালত। ফলে মোট ২৫৮ জনের চাকরি বাতিল করা হল।

    আরও পড়ুন: আরও একমাস জেল হেফাজতে মানিক, আদালতে আত্মসমর্পণ স্ত্রী-পুত্রের

    সুপ্রিম কোর্টে ধাক্কা রাজ্য সরকারের

    এদিন প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে দায়ের জনস্বার্থ মামলায় হস্তক্ষেপে অস্বীকার করল সুপ্রিম কোর্ট। রাজ্য সরকারের আবেদন খারিজ করে মামলা হাইকোর্টে ফেরত পাঠালেন বিচারপতি। ২০১৪ সালের প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে কলকাতা হাইকোর্টে দায়ের হয়েছিল জনস্বার্থ মামলা। সেই মামলাকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে গিয়েছিল রাজ্য সরকার। তাদের দাবি, ২০১৪ সালের ঘটনায় ৮ বছর পর মামলা দায়েরের পিছনে উদ্দেশ্য কী? মামলা খারিজ করা হোক। কিন্তু সওয়াল শুনে আদালত জানিয়েছে, এব্যাপারে আপাতত কোনও হস্তক্ষেপ করবে না সুপ্রিম কোর্ট। রাজ্য সরকারের যা বলার হাইকোর্টে বলতে হবে। মামলা খারিজের আবেদনও জানাতে হবে সেখানেই।

    সিবিআইয়ের আইনজীবীকে প্রশ্ন বিচারপতির

    আজ, সোমবার এসএসসি সংক্রান্ত একটি মামলার শুনানি চলছিল। সিবিআইয়ের আইনজীবীকে তখন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, “২০২২ সালের নভেম্বর মাসে প্রথম সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। এখনও কোনও আলো দেখা যায়নি।”‌ তখন সিবিআইয়ের আইনজীবী জানান, তাঁরা দ্রুত আসল সত্য সামনে আনবেন। তাতে আরও হতাশ হয়ে পড়েন বিচারপতি। তার পর ফের সিবিআইকে জিজ্ঞাসা করলেন, “‌আবার ম্যাজিক দেখব কবে?‌”

LinkedIn
Share