Author: নিমাই দে

  • Jalpaiguri: মায়ের মৃতদেহ কাঁধে ছেলে, ‘মমতাকে ক্ষমা চাওয়া উচিত’, মুখ্যমন্ত্রীকে কড়া ভাষায় আক্রমণ শুভেন্দুর

    Jalpaiguri: মায়ের মৃতদেহ কাঁধে ছেলে, ‘মমতাকে ক্ষমা চাওয়া উচিত’, মুখ্যমন্ত্রীকে কড়া ভাষায় আক্রমণ শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মর্মান্তিক! মায়ের মৃতদেহ কাঁধে নিয়ে চলছে ছেলে। পাশে বৃদ্ধ বাবা। অ্যাম্বুল্যান্সে নিয়ে যাওয়ার জন্য ভাড়া দিতে না পারায় এই পরিস্থিতি। ঘটনাটি জলপাইগুড়ির। বৃহস্পতিবার এমন ঘটনায় লজ্জায় মাথা হেঁট বাংলার। শিউরে উঠেছে রাজ্যবাসী। এই নিয়ে নিন্দার ঝড় বইছে সর্বত্র। পাশাপাশি শুরু হয়ে গিয়েছে রাজনৈতিক তরজাও। এই মর্মান্তিক ঘটনার জন্য রাজ্য সরকার তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, যিনি বাংলার স্বাস্থ্যমন্ত্রীও, তাঁর দিকে আঙুল তুলছেন বিরোধীরা। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেছেন, “২০০ শতাংশ কাজ হয়েছে বলা মুখ্যমন্ত্রীর ক্ষমা স্বীকার করা উচিত। লজ্জা রাখার জায়গা নেই।”

    মায়ের দেহ কাঁধে তুলেই রওনা দিলেন ছেলে

    জলপাইগুড়ির ক্রান্তি এলাকার বাসিন্দা ওই মহিলা লক্ষ্মীরানি দেওয়ান। তিনি বেশ কয়েকদিন ধরে জলপাইগুড়ি মেডিক্যাল কলেজের সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালে ভরতি ছিলেন। বৃহস্পতিবার সকালে ওই হাসপাতালে মৃত্যু হয় তাঁর। মৃতার ছেলের দাবি, জলপাইগুড়ির হাসপাতাল থেকে ক্রান্তির দূরত্ব প্রায় ৫০ কিলোমিটার। মৃতার ছেলের দাবি, মায়ের মৃতদেহ নিয়ে বাড়ি ফেরার জন্য অ্যাম্বুলেন্সের খোঁজ করেছিলেন। কিন্তু অ্যাম্বুলেন্স চালক ৩০০০ টাকা দাবি করে। কিন্তু ওই টাকা দেওয়ার মত ক্ষমতা ছিল না তাঁদের। সে কারণে কাঁধে করেই দেহ নিয়ে হেঁটে বাড়ি যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন বাবা ও ছেলে। যদিও পরে তাঁকে সাহায্যের জন্য এগিয়ে যায় একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা। তাঁরা অ্যাম্বুল্যান্স ভাড়া করে লক্ষ্মীরানির মৃতদেহ বাড়িতে পৌঁছে দেন।

    আরও পড়ুন: ১৫০ অ্যাকাউন্টে সই একজনেরই! সিউড়ির ব্যাঙ্কে সিবিআই হানা, এখানেও কেষ্ট-যোগ?

    রাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রীকে কড়া ভাষায় আক্রমণ শুভেন্দুর

    এই ঘটনার পরেই বিরোধীরা সরব হয়েছে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে। মুখ্যমন্ত্রীর সমালোচনা করে বলা হয়েছে, যে রাজ্যে মুখ্যমন্ত্রী নিজেই স্বাস্থ্যমন্ত্রী, ২০০ শতাংশ কাজ করে দিয়েছেন বলে দাবি করেন, সেখানে এমন ঘটনা গ্রাম বাংলার দুর্দশার ছবিই প্রকট ভাবে তুলে ধরছে। বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিশানা করে বলেন, “অত্যন্ত যন্ত্রণাদায়ক ঘটনা। সকালেই দেখেছি আমি। ২০০ শতাংশ কাজ হয়েছে বলা মুখ্যমন্ত্রীর ক্ষমা স্বীকার করা উচিত। লজ্জা রাখার জায়গা নেই।”

    বিরোধীদের আরও বক্তব্য

    শুভেন্দুর পাশাপাশি এদিন রাজ্য সরকারকে নিশানা করেছে সিপিএম এবং কংগ্রেসও। সিপিএম থেকে বলা হয়েছে, “জলপাইগুড়ি থেকে যে ছবি উঠে এসেছে, তা অত্যন্ত মর্মান্তিক। কোথায় প্রশাসন, কোথায় কী! টাকা দিতে পারেনি বলে মায়ের দেহ কাঁধে নিয়ে হাঁটতে হবে বাংলায়! সরকারি হাসপাতালের কী মর্মান্তিক, বীভৎস চেহারা!”  কংগ্রেস থেকে বলা হয়েছে, “সব হাসপাতালে এই কারচুপি রয়েছে। রক্ত নিয়ে, অ্যাম্বুল্যান্স ভাড়া নিয়ে, ওষুধ নিয়ে দুর্নীতি চলছে দেদার।”

  • Mohammed Amin Khubaib: লস্করের লঞ্চিং কমান্ডার আবু খুবাইবকে জঙ্গি ঘোষণা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের

    Mohammed Amin Khubaib: লস্করের লঞ্চিং কমান্ডার আবু খুবাইবকে জঙ্গি ঘোষণা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সন্ত্রাস দমনে আরও এক গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নিল কেন্দ্র। বৃহস্পতিবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের তরফে জম্মু-কাশ্মীরের লস্কর-ই-তৈবার লঞ্চিং কমান্ডার মোহম্মদ আমিন ওরফে আবু খুবাইবকে (Mohammed Amin Khubaib) জঙ্গি হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। তাকে বেআইনি কার্যকলাপ (প্রতিরোধ) আইন ১৯৬৭-এর অধীনে সন্ত্রাসী হিসাবে ঘোষণা করা হয়েছে। এর পাশাপাশি লস্কর-ই-তৈবার মদতপ্রাপ্ত শাখা সংগঠন ‘দ্য রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট’-কে নিষিদ্ধ হিসাবে ঘোষণা করা হচ্ছে। গতকাল স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক থেকে একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করে এটি ঘোষণা করা হয়। জঙ্গি দমনে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ গ্রহণ করছে কেন্দ্রীয় সরকার। এরইমধ্যে একটি হল গতকালের সিদ্ধান্ত।

    মোহম্মদ আমিন খুবাইবকে জঙ্গি হিসেবে ঘোষণা কেন্দ্রের

    সূত্রের খবর অনুযায়ী, জম্মু ও কাশ্মীরের ডোডা জেলার কাথাওয়া গ্রামের বাসিন্দা ও দাউদ ভাটের ছেলে খুবাইব (Mohammed Amin Khubaib)। কিন্তু বর্তমানে পাকিস্তানে বসবাস করছে সে এবং লস্কর-ই-তৈবার জন্য সন্ত্রাসীদের লঞ্চিং কমান্ডার হিসাবে কাজ করছে। অর্থাৎ জম্মু-কাশ্মীরে লস্কর-ই-তৈবার জঙ্গি গতিবিধির দায়িত্বে খুবাইব থাকলেও, বর্তমানে তিনি পাকিস্তানে গা ঢাকা দিয়ে রয়েছে। বিজ্ঞপ্তি থেকে জানা গিয়েছে, আবু খুবাইব আন্তঃসীমান্ত এজেন্সিগুলির সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তুলেছে এবং জম্মু অঞ্চলে এলইটি-এর সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপকে পুনরুজ্জীবিত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে সে। এছাড়াও খুবাইব জম্মু ও কাশ্মীরে সন্ত্রাসী হামলা, অস্ত্র ও বিস্ফোরক সরবরাহ এবং সন্ত্রাসীদের অর্থ দেওয়া ইত্যাদির সঙ্গে জড়িত।

    আরও পড়ুন: অঙ্কিতার থেকে প্রাপ্ত টাকা ববিতাকে আলাদা করে রাখার নির্দেশ দিল হাইকোর্ট

    বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে, “কেন্দ্রীয় সরকার বিশ্বাস করে যে মোহাম্মদ আমিন খুবাইব সন্ত্রাসবাদের সঙ্গে জড়িত এবং তাকে বেআইনি কার্যকলাপ (প্রতিরোধ) আইন ১৯৬৭-এর অধীনে সন্ত্রাসী হিসাবে যুক্ত করা হবে।” প্রসঙ্গত, ব্যক্তি এবং সংস্থার কিছু বেআইনি কার্যকলাপ প্রতিরোধ করার জন্য এবং সন্ত্রাসী কার্যকলাপের সঙ্গে মোকাবিলা করার জন্যই বেআইনি কার্যকলাপ (প্রতিরোধ) আইন, ১৯৬৭ তৈরি করা হয়েছিল।

    অন্যদিকে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সূত্রে খবর, ২০১৯ সালে তৈরি হয় ‘দ্য রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট’। মূলত অনলাইনেই কার্যকলাপ চালায় এই জঙ্গি সংগঠন। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের তথ্য অনুযায়ী, বেআইনিভাবে সীমান্ত পারাপার এবং অস্ত্র ও মাদক পাচারের সঙ্গেও যুক্ত এই সংগঠন। জম্মু-কাশ্মীরের সাধারণ মানুষদের সোশ্যাল মিডিয়ায় ভারতের বিরুদ্ধে উস্কানি দেয় এই সংগঠন, এমনটাও জানানো হয়েছে। ফলে দ্য রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট-কেও নিষিদ্ধ হিসাবে ঘোষণা করা হয়েছে।

  • Cattle Smuggling: ১৫০ অ্যাকাউন্টে সই একজনেরই! সিউড়ির ব্যাঙ্কে সিবিআই হানা, এখানেও কেষ্ট-যোগ?

    Cattle Smuggling: ১৫০ অ্যাকাউন্টে সই একজনেরই! সিউড়ির ব্যাঙ্কে সিবিআই হানা, এখানেও কেষ্ট-যোগ?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের বীরভূমের ব্যাঙ্কে হানা দিল কেন্দ্রীয় এজেন্সি সিবিআই (CBI)। এর আগে গরু পাচার মামলার তদন্তে বোলপুরের রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কে হানা দিয়েছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। বৃহস্পতিবার সিবিআইয়ের একটি বড় টিম পৌঁছল সিউড়ি সমবায় ব্যাঙ্কে। সূত্রের খবর, ওই ব্যাঙ্কে এমন অনেকগুলি অ্যাকাউন্টের হদিশ পাওয়া গিয়েছে, যা বেনামে খোলা হয়েছে। প্রায় ১৫০টি অ্যাকাউন্ট খোলা হয়েছে বলে অভিযোগ। ওই সব অ্যাকাউন্টে প্রায় ১০ কোটি টাকার লেনদেন হয়েছে। তবে অবাক করা ব্যাপার, প্রতিটি অ্যাকাউন্টে সই একজনেরই। ফলে এই অ্যাকাউন্টগুলির সঙ্গেও তৃণমূলের বীরভূম জেলার সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের যোগ আছে কি না তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তবে কি এই অ্যাকাউন্টগুলোর সাহায্যেও গরু পাচারের (Cattle Smuggling) কালো টাকা সাদা করা হত? এমনটাই প্রশ্ন উঠছে রাজ্যবাসীর মনে।

    আরও পড়ুন: আরও ৫৯ জন প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরি বাতিল, বন্ধ হবে বেতনও! নির্দেশ হাইকোর্টের

    খাদ্য দফতরেরও যোগসূত্র রয়েছে?

    সূত্রের খবর অনুযায়ী, এই ব্যাঙ্কের আর্থিক লেনদেনে খাদ্য দফতরের যোগসূত্রও পাওয়া গিয়েছে। গরু পাচারের (Cattle Smuggling) কালো টাকা সাদা করার জন্য খাদ্য দফতরকেও ব্যবহার করা হয়েছে কিনা সেই প্রশ্নই সামনে আসছে। সিবিআই সূত্রে জানা যাচ্ছে, গরীব মানুষদের কাছ থেকে অল্প দামে নগদে ধান কেনা হত ওই সব অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে। খাদ্য দফতরে যে চাল বিক্রি হয়েছিল অনুব্রতর মিল থেকে, সেই টাকা জমা পড়েছে এই অ্যাকাউন্টগুলিতে। কিন্তু কার সইয়ে এই লেনদেন হত, তা জানা যায়নি। এভাবে গরু পাচারের টাকা দিনের পর দিন সাদা করা হত বলে সন্দেহ গোয়েন্দাদের। আর এই সব তথ্য সংগ্রহ করতে এদিন ব্যাঙ্কে পৌঁছে যায় সিবিআই।

    সিবিআইয়ের ধমক ব্যাঙ্কের ম্যানেজারকে

    ওই সমবায় ব্যাঙ্কে গিয়ে ম্যানেজারকে ধমক দেন গরু পাচার কাণ্ডের তদন্তকারী সিবিআই আধিকারিক সুশান্ত ভট্টাচার্য। তিনি ম্যানেজারকে বলেন, ‘‘এক জন অপরাধীকে কালো টাকা সাদা করতে সাহায্য করছেন আপনি!” তিনি প্রশ্ন করেন, “কার নির্দেশে তা করা হয়েছে? অ্যাকাউন্ট খুলতে কে এসেছিলেন? আপনি নাম বলুন।” আবার সুশান্তবাবু ম্যানেজারকে সহযোগিতা না করলে গ্রেফতার করারও হুঁশিয়ারি দেন। ইতিমধ্যেই ব্যাঙ্কের সব লেনদেনও আপাতত বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে বলে সিবিআই সূত্রে খবর। এখনও পর্যন্ত প্রায় ১০ কোটির লেনদেনের তথ্য সামনে এলেও পরবর্তীতে টাকার পরিমাণ আরও বাড়বে বলে মনে করছে সিবিআই।

  • Delhi Accident: দিল্লি কাণ্ডে প্রমাণ লোপাটের চেষ্টা! পুলিশের নজরে আরও দুই ব্যক্তি

    Delhi Accident: দিল্লি কাণ্ডে প্রমাণ লোপাটের চেষ্টা! পুলিশের নজরে আরও দুই ব্যক্তি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বর্ষবরণের রাতে দিল্লির অঞ্জলি সিং-এর ভয়াবহ মৃত্যুর ঘটনায় এল আরও এক চাঞ্চল্যকর তথ্য। বৃহস্পতিবার, দিল্লি পুলিশ জানায়, এই ঘটনায় তাদের সন্দেহভাজনের তালিকায় উঠে এসেছে আরও দুই ব্যক্তির নাম। এমনকী জানা গিয়েছে, এই দুই ব্যক্তি প্রমাণ লোপাটেরও চেষ্টা করেছেন। ইতিমধ্যেই গাড়ির সওয়ারি পাঁচ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। দিল্লি পুলিশের বিশেষ কমিশনার সাগরপ্রীত হুডা জানিয়েছেন, এই দুই সন্দেহভাজন হলেন আশুতোষ এবং অঙ্কুশ নামের ব্যক্তি। তাদের শীঘ্রই গ্রেফতার করা হবে বলে জানিয়েছেন তিনি। অন্যদিকে অঞ্জলির মত্ত হয়ে গাড়ি চালানোর নিধির দাবিকে মিথ্যে বলেছেন অঞ্জলির মা।

    অঞ্জলি সিং-এর ঘটনায় চাঞ্চল্যকর তথ্য

    সূত্রের খবর অনুযায়ী, অভিযুক্ত পাঁচজনের নাম অমিত খান্না, দীপক খান্না, মিঠুন, কৃষাণ এবং মনোজ মিত্তাল। আর এদেরকেই সাহায্য করার চেষ্টা করছিলেন ওই সন্দেহভাজন দুই ব্যক্তি। সাগরপ্রীত হুডা বলেন, “আমরা পাঁচ অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছি। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। জেরার সময় আমরা জানতে পেরেছি, এই ঘটনায় আরও দুই ব্যক্তি জড়িত আছে। আমাদের দল তাদের সন্ধানে অভিযান চালাচ্ছে। অপর দুই অভিযুক্তের নাম আশুতোষ এবং অঙ্কুশ খান্না। তারা ওই পাঁচজনকে রক্ষা করার চেষ্টা করেছিলেন ও প্রমাণ লোপাটের চেষ্টা করেছিলেন।”

    হুডা আরও জানিয়েছেন, মামলার তদন্তের জন্য দিল্লি পুলিশের মোট ১৮ টি দল গঠন করা হয়েছে এবং তারা যত তাড়াতাড়ি সম্ভব চার্জশিট দাখিল করার চেষ্টা করছে। তিনি জানিয়েছেন, অঞ্জলি সিং-এর বান্ধবী, ঘটনার অন্যতম সাক্ষী নিধির বয়ান রেকর্ড করা হয়েছে। তাঁর সঙ্গে অভিযুক্তদের কোনও যোগসূত্র এখনও পর্যন্ত পাওয়া যায়নি।

    আরও পড়ুন:দিল্লি কি সর্দি! ঠান্ডায় জবুথবু রাজধানী, পারদ নামল ২.৫ ডিগ্রিতে

    নিধির দাবি অস্বীকার অঞ্জলির মায়ের

    অঞ্জলির বন্ধু নিধি দাবি করেছিলেন, অঞ্জলি মত্ত হয়ে স্কুটি চালাচ্ছিলেন। এবার তাঁর এই দাবিকে সম্পূর্ণ মিথ্যা বলে উড়িয়ে দিলেন অঞ্জলির মা রেখা দেবী। তাঁর অভিযোগ, নিধি মিথ্যা কথা বলছেন। তাঁর মেয়েকে খুনের চক্রান্তে সে-ও শামিল ছিলেন বলে দাবি করেছেন তিনি। আবার অঞ্জলির পারিবারিক চিকিৎসক জানান, তাঁর ময়নাতদন্তের রিপোর্টে মদ খাওয়ার সপক্ষে কোনও প্রমাণ পাওয়া যায়নি। অঞ্জলির মায়েরও দাবি, তিনি তাঁর মেয়েকে কোনও দিন মদ খেয়ে বাড়ি আসতে দেখেননি। উল্টে নিধির বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়েই প্রশ্ন তুলেছেন তিনি।

    ক্ষতিপূরণ অঞ্জলির পরিবারকে

    এই ঘটনার পর দিল্লির উপ-মুখ্যমন্ত্রী মনীশ সিসোদিয়া বুধবার অঞ্জলির বাড়িতে গিয়েছিলেন এবং মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল ইতিমধ্যে অঞ্জলির পরিবারকে ১০ লক্ষ টাকা ও পরিবারের একজনকে সরকারি চাকরি দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন। আবার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ অঞ্জলির মৃত্যুর ঘটনায় উচ্চ পর্যায়ের তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। ফলে পরবর্তীতে এই ঘটনায় আর কী কী তথ্য বেরিয়ে আসে, সেটিই এখন দেখার।

  • Kalyanmoy Ganguly: জামিনের আবেদন প্রত্যাহার করলেন নিয়োগ দুর্নীতিতে অভিযুক্ত কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়

    Kalyanmoy Ganguly: জামিনের আবেদন প্রত্যাহার করলেন নিয়োগ দুর্নীতিতে অভিযুক্ত কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কলকাতা হাইকোর্টে জামিনের আবেদন প্রত্যাহার করলেন শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে অভিযুক্ত কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায় (Kalyanmoy Ganguly)। জামিনের আর্জি জানিয়ে মামলা করেছিলেন তিনি। কিন্তু শুনানি শেষ হওয়ার আগেই সেই মামলা প্রত্যাহার করে নিলেন তিনি। গতকাল মধ্যশিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতিকে (Kalyanmoy Ganguly) আবেদন প্রত্যাহারের সুযোগ দেয় আদালত। এর পরেই বৃহস্পতিবার আবেদন প্রত্যাহার করলেন তিনি।

    জামিনের আবেদন প্রত্যাহার কল্যাণময়ের

    গতকাল মৌখিক পর্যবেক্ষণে বিচারপতি জয়মাল্য বাগচী জানিয়েছিলেন, সিবিআই এই মুহূর্তে আর্থিক দুর্নীতির দিকটি খতিয়ে দেখছে, তাই কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়কে দুটি বিকল্প দেওয়া হল। হয় তিনি মামলা প্রত্যাহার করুন, না হলে তাঁর জামিনের আবেদন খারিজ করা হবে। তিনি কী করতে চান, সেটা বৃহস্পতিবারের মধ্যে আদালতে জানাতে হবে। তারপরই আজ জামিনের আবেদন প্রত্যাহার করলেন কল্যাণময় গাঙ্গুলি (Kalyanmoy Ganguly)। নিয়োগ দুর্নীতিতে অভিযুক্ত মধ্যশিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতির জামিনের আবেদন প্রত্যাহার নিয়ে ইচ্ছাপ্রকাশের কথা বিচারপতি জয়মাল্য বাগচী ও বিচারপতি অজয় কুমার গুপ্তর ডিভিশন বেঞ্চে জানানো হয়েছিল।

    আরও পড়ুন: গরু পাচার মামলায় ফের ১৪ দিনের জেল হেফাজত কেষ্ট ও সায়গলের

    প্রসঙ্গত, শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে ধৃত মধ্যশিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়ের ভূমিকা এবং আর্থিক লেনদেনের সঙ্গে তিনি যুক্ত কিনা, তা খুঁজে দেখার জন্য সিবিআইকে নির্দেশ দিয়েছিল হাইকোর্ট। কল্যাণময়ের বিরুদ্ধে এর আগে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় চার্জশিট দিয়েছে সিবিআই। অযোগ্য প্রার্থীদের নিয়োগপত্র দেওয়ার ক্ষেত্রে অন্যতম প্রধান ভূমিকা ছিল কল্যাণময়ের। এছাড়াও জানা গিয়েছিল, শান্তিপ্রসাদ সিনহার কাছ থেকে সুপারিশপত্র নিয়ে নিজেই সরাসরি নিয়োগপত্র দিতেন, এমনই অভিযোগ উঠেছে কল্যাণময়ের বিরুদ্ধে। আর এর ভিত্তিতেই গত বছরের ১৫ সেপ্টেম্বর, কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়কে গ্রেফতার করে সিবিআই। ১০০ দিনেরও বেশি সময় ধরে জেলে রয়েছেন তিনি। এর পর সম্প্রতি হাইকোর্টে তিনি জামিনের আবেদন করেন। কিন্তু আদালতের তরফে জামিন খারিজের কথা বলা হলে তিনি আগেই তাঁর জামিনের আবেদন প্রত্যাহার করে নেন।     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Anubrata Mondal: গরু পাচার মামলায় ফের ১৪ দিনের জেল হেফাজত কেষ্ট ও সায়গলের

    Anubrata Mondal: গরু পাচার মামলায় ফের ১৪ দিনের জেল হেফাজত কেষ্ট ও সায়গলের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আবারও জামিন হল না কেষ্টর। গরুপাচার মামলায় (cattle smuggling case) ১৪ দিনের জেল হেফাজত বীরভূমের জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mondal)। একই মেয়াদের জেল হেফাজত সায়গল হোসেনেরও (Saigal Hossain)। আসানসোলের বিশেষ সিবিআই আদালত এই নির্দেশ দিয়েছে। সূত্রের খবর অনুযায়ী, আজ অনুব্রতর তরফে জামিনের কোনও আবেদনই করা হয়নি। আবার ১৪ দিনের জেল হেফাজতের পাশাপাশি অনুব্রত মণ্ডলকে সংশোধনাগারে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদও করতে পারবেন সিবিআই আধিকারিকরা। বৃহস্পতিবার শুনানি চলাকালীন সিবিআইকে এমনটাই অনুমতি দিলেন আসানসোলের বিশেষ আদালত। আগামী ১৯ জানুয়ারি মামলার পরবর্তী শুনানি।

    ফের জেল হেফাজতে ‘বীরভূমের বাঘ’ 

    বুধবারেই হাইকোর্টে খারিজ হয়েছে অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mondal) জামিনের আবেদন। শুধু আবেদন খারিজই নয়, পর্যবেক্ষণে যে সব কড়া বাক্য বিচারপতিরা লিখেছেন তাতে ভবিষ্যতে তাঁর জামিনের সম্ভাবনা কমই রয়েছে। ফলে আজও তাঁকে ফের জেলে পাঠানে হবে, তা আগে থেকেই জানা ছিল। ফলে হলও তাই, ১৯ জানুয়ারি পর্যন্ত ‘বীরভূমের বাঘ’কে ফের জেল হেফাজতে পাঠালেন বিচারক। এদিন অনুব্রতর আইনজীবীকে তাঁর জামিনের আবেদনের পরিবর্তে ভোলে ব্যোম রাইস মিলের অ্যাকাউন্ট ডি ফ্রিজের আবেদন করতে দেখা যায়।

    এদিন আসানসোল সংশোধনাগার থেকে সকাল ১১টা নাগাদ আসানসোল বিশেষ সিবিআই আদালতে নিয়ে যাওয়া হয় অনুব্রতকে (Anubrata Mondal)। আজ আদালতে অনুব্রতর কোনও অনুগামীকেই দেখা যায়নি। সাধারণত আদালতে নিয়ে আসলে কিছু অনুগামীদের দেখা যায়। কিন্তু আজকের দৃশ্য পুরোটাই উল্টো ছিল। আদালত চত্বর ছিল শুনশান। শুনানি শেষ হতেই অনুব্রতকে নিয়ে জেলের উদ্দেশে রওনা হয় গাড়ি। এই প্রথম এমন দৃশ্য দেখা গেল আসানসোল আদালতে।

    আরও পড়ুন: নতুন বছরেও জেলেই অনুব্রত! জামিনের আবেদন খারিজ করল হাইকোর্ট

    সিবিআইকে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি

    কেষ্টকে (Anubrata Mondal) জেল হেফাজতে পাঠানোর পাশাপাশি এদিন বিচারক রাজেশ চক্রবর্তী নির্দেশ দিয়েছেন, সিবিআই আধিকারিকরা চাইলে তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতিকে সকাল ৮টা থেকে সন্ধ্যা ৬টার মধ্যে সংশোধনাগারে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারবে। সিবিআইয়ের তরফে সংশোধনাগারে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের আবেদন জানানো হয়েছিল। সেই আবেদনে সাড়া দিয়ে এই অনুমতি দিয়েছে আদালত। আরও জানা গিয়েছে, বিচারকের কাছে নতুন কেস ডায়েরি জমা দেয় সিবিআই। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার তরফে জানানো হয়, চার নম্বর চার্জশিট জমা দেওয়ার পর ৪৮ জন সাক্ষীর বয়ান পাওয়া গিয়েছে। এই মামলার পরবর্তী শুনানি ১৯ জানুয়ারি।

    সায়গলেরও ১৪ দিনের জেল হেফাজত

    আবার অন্যদিকে, এদিন অনুব্রতের প্রাক্তন দেহরক্ষী সায়গল হোসেনকেও একই মেয়াদে জেল হেফাজতে পাঠানো হয়েছে। তিহার জেল থেকে ভার্চুয়ালি আসানসোল বিশেষ সিবিআই আদালতে পেশ করা হয় তাঁকে। সায়গল হোসেন বিচারককে জানান, এখানে খুব ঠান্ডা। তাই তাঁকে আসানসোলে সশরীরে হাজিরা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হোক। বিচারক জানান, এ বিষয়ে আলাদাভাবে আবেদন করতে হবে। আবেদনের পর দু’পক্ষের সওয়াল জবাব শুনে নেওয়া হবে পরবর্তী সিদ্ধান্ত। এর পর সায়গল হোসেনকেও ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক।

  • Supreme Court: সিনেমা হলে দর্শক বাইরের খাবার নিয়ে যেতে পারবে কি? কী রায় দিল সুপ্রিম কোর্ট?

    Supreme Court: সিনেমা হলে দর্শক বাইরের খাবার নিয়ে যেতে পারবে কি? কী রায় দিল সুপ্রিম কোর্ট?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সিনেমা হলে দর্শকরা বাড়ির তৈরি বা বাইরে থেকে খাবার কিনে ঢুকতে পারবেন কিনা তা নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ রায় দিল সুপ্রিম কোর্ট। খাবার নিয়ে ঢোকার উপর নিষেধাজ্ঞা নিয়েই পিটিশন জমা পড়েছিল সুপ্রিম কোর্টে। মঙ্গলবার সেই মামলার শুনানি চলছিল সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডি.ওয়াই চন্দ্রচূড় এবং বিচারপতি পি.এস নরসিনহার ডিভিশন বেঞ্চে। ফলে শুনানিতে সুপ্রিম কোর্টের তরফে বলা হয়, সিনেমা হলে দর্শকরা বাড়ির তৈরি বা বাইরে থেকে খাবার কিনে ঢুকতে পারবেন কিনা তা সম্পূর্ণভাবে হল মালিকের ইচ্ছা। এই ব্যাপারে সরকার, আদালত, ক্রেতা সুরক্ষা আদালত কোনওভাবেই হস্তক্ষেপ করতে পারে না।

    মামলাটি কী?

    ২০১৮ সালে সিনেমা হল বা মাল্টিপ্লেক্সে খাবার নিয়ে প্রবেশ করায় নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের নির্দেশ দিয়েছিল জম্মু-কাশ্মীর হাইকোর্ট। এরপর জম্মু-কাশ্মীর হাইকোর্টের এই রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে পিটিশন পড়ে। সেই মামলার শুনানিতেই এদিন জম্মু-কাশ্মীর হাইকোর্টকে কার্যত ভৎর্সনা করল শীর্ষ আদালত।

    আরও পড়ুন: নতুন বছরে রেলমন্ত্রকের উপহার পরিবেশ বান্ধব হাইড্রোজেন ট্রেন

    জম্মু হাইকোর্টের রায়কে খারিজ করে সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে, “সিনেমা হলের সম্পত্তি হল মালিকদের ব্যক্তিগত সম্পত্তি। যতক্ষণ না এই ধরণের শর্তাবলী জনস্বার্থ, নিরাপত্তা এবং কল্যাণের বিরোধী না-হয়, ততক্ষণ পর্যন্ত মালিক শর্তাবলী স্থির করতেই পারেন। সিনেমা হল জিম নয়, যে সেখানে স্বাস্থ্যকর খাবার নিয়ে যাওয়ার প্রয়োজন আছে। এটা একটা বিনোদনের জায়গা। সিনেমা হল ব্যক্তিগত সম্পত্তি। সুতরাং এই বিষয়টি মালিক সিদ্ধান্ত নেবে। আর হলের দর্শকরাও সেই খাবার-পানীয় কিনবেন কি না, সেটা তাঁদের পছন্দের ব্যাপার।” তাই গতকাল সুপ্রিম কোর্ট সাফ জানিয়ে দেয়, হল মালিক এবং মাল্টিপ্লেক্স কর্তৃপক্ষের পূর্ণ অধিকার রয়েছে, বাইরের খাবার বা পানীয় নিয়ে প্রবেশ করা যাবে কি যাবে না, সেই ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়ার।

    আবার সিনেমা হলের অন্দরে জল এবং শিশুদের জন্য খাদ্য নিয়ে যাওয়ার ব্যাপারে হাইকোর্ট যে নির্দেশ দিয়েছে, সেটা অতিরিক্ত বলেও পর্যবেক্ষণ দেশের শীর্ষ আদালতের। এ প্রসঙ্গে সুপ্রিম কোর্ট স্পষ্ট জানায়, দর্শক সিনেমা দেখবেন কিনা সেটা ঠিক করা তাঁদের অধিকার এবং সিনেমা হলে প্রবেশের পর কর্তৃপক্ষের নিয়মই চূড়ান্ত। এই প্রসঙ্গে প্রধান বিচারপতি ডি.ওয়াই চন্দ্রচূড় আরও বলেন, “যদি কেউ খাবার নিয়ে সিনেমা হলে প্রবেশ করে এবং সিট নোংরা করে, তাহলে সেটা পরিষ্কার করার জন্য কে টাকা দেবে?” 

  • Capt Shiva Chauhan: সিয়াচেনে মোতায়েন প্রথম মহিলা জওয়ান! ইতিহাস সৃষ্টি ক্যাপ্টেন শিবা চৌহানের

    Capt Shiva Chauhan: সিয়াচেনে মোতায়েন প্রথম মহিলা জওয়ান! ইতিহাস সৃষ্টি ক্যাপ্টেন শিবা চৌহানের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতীয় সেনার প্রথম মহিলা অফিসার হিসাবে সিয়াচেনে মোতায়েন হলেন শিবা চৌহান (Capt Shiva Chauhan)। যার ফলে এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা হল ভারতীয় সেনাবাহিনীতে। প্রসঙ্গত, বিশ্বের সবথেকে উঁচু যুদ্ধক্ষেত্র হিসাবে সিয়াচেনের নাম সকলেরই জানা। আর সেই সিয়াচেন হিমবাহের সর্বোচ্চ যুদ্ধক্ষেত্রের দায়িত্ব তুলে দেওয়া হল ফায়ার অ্যান্ড ফিউরি কর্পসের ক্যাপ্টেন শিবা চৌহানের হাতে। এবার সেখানে প্রথম কোনও মহিলা অফিসারকে নিয়োগ করা হল। প্রথম মহিলা অফিসার হয়ে ইতিহাস তৈরি করলেন ক্যাপ্টেন শিবা। গোটা দেশ কুর্নিশ জানাচ্ছে বীর ভারতীয় কন্যাকে। সকলেই তাঁর যুগান্তকারী অর্জনে মুগ্ধ।

    সিয়াচেনে মোতায়েন প্রথম মহিলা জওয়ান

    এখনকার মেয়েরা শুধুমাত্র রান্নাঘরেই সীমাবদ্ধ নয়, তারই এক জ্বলজ্যান্ত উদাহরণ ক্যাপ্টেন শিবা চৌহান (Capt Shiva Chauhan)। এখনকার মেয়েরা হাতে অস্ত্র তুলে শত্রুদের সঙ্গে মোকাবিলা করতে পারে। যুদ্ধ বিমান চালানো থেকে শুরু করে সীমান্তে শত্রুদের মোকাবিলা করার জন্য হাতে বন্দুক তুলে নেওয়া, সবেতেই সিদ্ধহস্ত নারীরা। শিবা দেশের সর্বোচ্চ যুদ্ধক্ষেত্রে যোগদানকারী সেনা অফিসার হিসাবে তিনিই প্রথম নারী। তাই তিনি এক ইতিহাস সৃষ্টি করেছেন। ক্যাপ্টেন শিবার এই কৃতিত্ব নিয়ে সারা দেশে আলোচনা হচ্ছে এবং তাঁর উদাহরণ দেওয়া হচ্ছে প্রতিটা ক্ষেত্রে।

    আরও পড়ুন: মালদার পর এবার নিউ জলপাইগুড়ি! ইটবৃষ্টি বন্দে ভারত এক্সপ্রেসে, আতঙ্কে যাত্রীরা

    গতকাল ভারতীয় সেনাবাহিনীর ফায়ার অ্যান্ড ফিউরি কর্পস তাদের অফিসিয়াল ট্যুইটার অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে ক্যাপ্টেন শিবা চৌহানের (Capt Shiva Chauhan) এই সাফল্যের কথা গোটা দেশবাসীকে জানিয়েছে। সেখানে লেখা ছিল, “শিবা চৌহান বিশ্বের সর্বোচ্চ যুদ্ধক্ষেত্র সিয়াচেন হিমবাহে কুমার পোস্টে কর্মরত প্রথম মহিলা অফিসার হিসাবে নিযুক্ত হয়েছেন।” দুটি ছবিও শেয়ার করেছে ফায়ার অ্যান্ড ফিউরি কর্পস। ক্যাপশনে লেখা হয়েছে, ‘ব্রেকিং দ্য গ্লাস সিলিং’। এই ছবি এই মুহুর্তে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল।

    সূত্রের খবর অনুযায়ী, এই যোগদানের আগে এক মাস ধরে কঠোর প্রশিক্ষণের মধ্যে দিয়ে গিয়েছেন শিবা (Capt Shiva Chauhan)। ভারতীয় সেনার ‘সিয়াচেন ব্যাটেল স্কুল’-এ তাঁর প্রশিক্ষণ চলেছে। এরপর মঙ্গলবার সিয়াচেনে আনুষ্ঠানিকভাবে পদে যোগ দেন শিবা। উল্লেখ্য, সিয়াচেন ভারতের সেই জায়গা, যেখানে তাপমাত্রা সারাবছর মাইনাসের নীচে থাকে। সিয়াচেন হিমবাহ পৃথিবীর সর্বোচ্চ যুদ্ধক্ষেত্র, যেখানে ভারত ও পাকিস্তান ১৯৮৪ সাল থেকে বিরতিহীনভাবে লড়াই করেছে। 

  • Cash Recovered: ফের টাকার পাহাড়ের খোঁজ কলকাতায়, ৫৬ লক্ষ নগদ টাকা সহ গ্রেফতার ৯

    Cash Recovered: ফের টাকার পাহাড়ের খোঁজ কলকাতায়, ৫৬ লক্ষ নগদ টাকা সহ গ্রেফতার ৯

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নতুন বছরের শুরুতেই ফের টাকার পাহাড় রাজ্যে! শহর কলকাতা থেকে ফের উদ্ধার করা হল লক্ষ লক্ষ নগদ টাকা (Cash Recovered)। সোমবার কলকাতার বড়বাজার এলাকা থেকে এসটিএফ ও গোয়েন্দা বিভাগের যৌথ অভিযানে ৫৬ লক্ষ টাকা উদ্ধার হয়েছে। এই ঘটনায় মোট ৯ জনকে গ্রেফতারও করেছে গোয়েন্দারা। এই বিপুল পরিমাণের টাকার সঙ্গে হাওয়ালার যোগ থাকতে পারে বলে প্রাথমিক অনুমান তদন্তকারীদের। গত বছরেই এমনই নগদ টাকা উদ্ধারের সাক্ষী থেকেছিল গোটা বাংলা। রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ‘ঘনিষ্ঠ’ অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের ফ্ল্যাট থেকে থরে থরে টাকা উদ্ধারের ছবি এখনও চোখে চোখে ভাসে রাজ্যবাসীর। এবারও তেমনই দৃশ্য ফের দেখা গেল।

    আরও পড়ুন: বন্দে ভারত এক্সপ্রেসে পাথর বৃষ্টি মালদায়! ভাঙল জানলার কাচ, তদন্তে রেল

    কলকাতার বুকে ফের নগদ টাকা উদ্ধার

    গতকাল সন্ধ্যায় প্রথমে মহাত্মা গান্ধী রোডের কাছে কপিলচরণ বেহারা নামে এক ব্যক্তিকে আটক করে পুলিশ। গোপন সূত্রে খবর পেয়েই কালিচরণকে আটক করা হয়েছিল। আটক ব্যক্তির কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছিল ১২ লক্ষ টাকা। টাকার উৎস সম্পর্কে অবশ্য সঠিক জবাব দিতে পারেননি কালিচরণ। এরপর কালিচরণকে আরও জিজ্ঞাসাবাদ করে রবীন্দ্র সরণিতে অবস্থিত এক অফিসের খোঁজ পায় পুলিশ। সেখানেও অভিযান চালিয়ে ১৫ লক্ষ টাকার উপরে উদ্ধার করে বলে সূত্রের দাবি (Cash Recovered)। অফিসে সেই সময় উপস্থিত ছিলেন মালিক গৌরব প্রজাপতি এবং চিরাগ রমেশভাই প্রজাপতি। তাছাড়া আরও তিনজন সেখানে ছিলেন। সেই পাঁচ জনকেই গ্রেফতার করে পুলিশ। তাঁরাও এই বিপুল টাকার উৎস সম্পর্কে কোনও জবাব দিতে পারেননি। আবার এই পাঁচ জনকেও জেরা করে কিছু জায়গার নাম উঠে আসে। আর সেই সব জায়গায় অভিযান চালিয়ে প্রায় ২৮ লক্ষ টাকার কাছাকাছি নগদ উদ্ধার করে তদন্তকারীরা (Cash Recovered)। গ্রেফতার করা হয় মোট ৯ জনকে।

    ধৃতদের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ধারা নং ৩৭৯-এ মামলা রুজু করা হয়েছে বড়বাজার থানায়। ধৃত ব্যক্তিদের কাছে এত টাকা কীভাবে এল, কোথা থেকে এই বিপুল পরিমাণ টাকা এল, এবং কার কাছে তা যেত তা খতিয়ে দেখতে জেরা চালিয়ে যাচ্ছে পুলিশ।

  • Air India: বিমানে বৃদ্ধার গায়ে প্রস্রাব মদ্যপ ব্যক্তির! এয়ার ইন্ডিয়ার কাছে রিপোর্ট তলব ডিজিসিএ-র

    Air India: বিমানে বৃদ্ধার গায়ে প্রস্রাব মদ্যপ ব্যক্তির! এয়ার ইন্ডিয়ার কাছে রিপোর্ট তলব ডিজিসিএ-র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মাঝ আকাশে সহযাত্রীর সঙ্গে ফের অভব্য আচরণের অভিযোগ। এক মহিলা সহযাত্রীর গায়েই প্রস্রাব করে দেওয়ার অভিযোগ উঠল এক পুরুষ যাত্রীর বিরুদ্ধে। শুধু তাই নয়, ওই পুরুষ যাত্রীটি মদ খেয়ে ছিলেন বলেও অভিযোগ। নিউ ইয়র্ক থেকে দিল্লিগামী এয়ার ইন্ডিয়ার (Air India) বিমানের বিজনেস ক্লাসে ছিলেন বছর সত্তরের এক বৃদ্ধা। সেই বৃদ্ধার গায়েই প্রস্বার করার অভিযোগ উঠেছে। এই ঘটনায় রিপোর্ট তলব করল ডিজিসিএ। এই ঘটনায় বিমান সংস্থা এয়ার ইন্ডিয়ার (Air India) কাছে রিপোর্ট চাওয়া হয়েছে।  

    ঠিক কী ঘটেছিল?

    ঘটনাটি ২৬ নভেম্বরের। সেই বৃদ্ধা দাবি করেছেন, বিমানের বিজনেস ক্লাসে আচমকাই তাঁর গায়ে প্রস্রাব করেন এক ব্যক্তি। অধিকাংশ যাত্রী ঘুমন্ত থাকার কারণে ঘটনাটি সকলের নজর এড়িয়ে যায়। বিমানের কর্মীদের এই ঘটনা জানালে তাঁরা ওই বৃদ্ধাকে পরিষ্কার জামাকাপড় পরে ঘুমিয়ে যেতে নির্দেশ দেন। এই বিষয়টি নিয়ে তিনি যেন মুখ না খোলেন, সেই কথাও বলা হয় বৃদ্ধাকে। এমনকী সেই অভিযুক্তের বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপও নেওয়া হয়নি। তিনি আরও বলেন, অভিযুক্ত পোশাক খুলে প্রকাশ্যেই তাঁর গায়ে প্রস্রাব করেন। প্রস্রাবের পরেও পোশাক খোলা অবস্থায় সেখানে দাঁড়িয়েছিলেন বেশ কিছুক্ষণ। আর এই অভিযোগ ঘিরেই এবারে ক্ষোভে ফুঁসছে নেটপাড়া।

    আরও পড়ুন: ১৪৩ জন প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরি বাতিল করল হাইকোর্ট, বেতন বন্ধের নির্দেশ

    রিপোর্ট তলব ডিজিসিএ-র

    এই ঘটনার পর তার বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ না নেওয়ায়, টাটা গ্রুপের চেয়ারম্যান এন চন্দ্রশেখরনকে চিঠি লিখেছেন ওই বৃদ্ধা। তিনি বলেন, “এরকম জঘন্য ঘটনা সত্ত্বেও কর্মীদের তরফে কোনও রকম উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। নিজেকেই দায়িত্ব নিয়ে সমস্ত ঘটনা সকলকে জানাতে হয়।” চিঠি পাওয়ার পর নড়েচড়ে বসেছে বিমান কর্তৃপক্ষ। সংস্থার এক আধিকারিক জানিয়েছেন, “২৬ নভেম্বরের ঘটনায় পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছিল। এয়ার ইন্ডিয়ার তরফে একটি অভ্যন্তরীণ কমিটিও গঠন করা হয় এবং অভিযুক্ত যাত্রীকে নো ফ্লাই লিস্টের অন্তর্ভুক্ত করার পরামর্শ দেওয়া হয়। বর্তমানে সরকারি একটি কমিটি এই ঘটনার তদন্ত করছে।” এর পর বুধবার ডিজিসিএর (DGCA) তরফে জানানো হয়েছে, “আমরা ইতিমধ্যেই বিমান সংস্থার কাছে গোটা ঘটনা নিয়ে রিপোর্ট চেয়েছি। যাত্রীর প্রতি অবহেলার অভিযোগ যদি প্রমাণিত হয়, তাহলে যথাযথ পদক্ষেপ করা হবে।”

LinkedIn
Share