Author: নিমাই দে

  • Shankar Mishra Arrested: সহযাত্রীর গায়ে প্রস্রাবকাণ্ডে অভিযুক্ত শঙ্কর মিশ্রের খোঁজ দিল্লি পুলিশ কীভাবে পেল জানেন?

    Shankar Mishra Arrested: সহযাত্রীর গায়ে প্রস্রাবকাণ্ডে অভিযুক্ত শঙ্কর মিশ্রের খোঁজ দিল্লি পুলিশ কীভাবে পেল জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিমান প্রস্রাবকাণ্ড ঘিরে তোলপাড় গোটা দেশ। শনিবার মুম্বইয়ের ব্যবসায়ী শঙ্কর মিশ্রকে এয়ার ইন্ডিয়ার বিমানে সহযাত্রীর গায়ে প্রস্রাব করার জেরে গ্রেফতার করে দিল্লি পুলিশ। গত বছর ২৬ নভেম্বর এয়ার ইন্ডিয়ার নিউ ইয়র্ক-দিল্লির বিমানের বিজনেস ক্লাসে মত্ত অবস্থায় শঙ্কর নামে ওই ব্যক্তি এক মহিলা সহযাত্রীর গায়ে প্রস্রাব করেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এর পর তাঁর বিরুদ্ধে পদক্ষেপ না নেওয়ারও অভিযোগ উঠেছিল। শেষপর্যন্ত ঘটনার প্রায় ৪২ দিন পর অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়। শনিবার তাঁকে ১৪দিনের জেল হেফাজতে পাঠিয়েছে দিল্লি আদালত। কিন্তু জানেন কি অভিযুক্ত শঙ্কর মিশ্রকে আটক করা অতটাও সহজ ছিল না। কারণ তিনি ঘটনার পর থেকেই পলাতক ছিলেন।

    কীভাবে দিল্লি পুলিশ খোঁজ পেল অভিযুক্ত শঙ্কর মিশ্রের?

    সূত্রের খবর অনুযায়ী, শঙ্কর মিশ্রকে শেষবার দেখা গিয়েছিল বেঙ্গালুরুতে। তার ভিত্তিতেই খোঁজ চলছিল। এর পর বিমানবন্দরেও সতর্কতা জারি করা হয়েছিল। শঙ্করের ফোন ট্রেস করার চেষ্টা করা হয়েছিল, এছাড়া ডিজিটাল ফুট প্রিন্ট, ব্যাঙ্ক লেনদেনও নজরে রাখা হয়েছিল। দিল্লি পুলিশের একটি সূত্র বলছে, ৩ জানুয়ারি শঙ্কর মিশ্রের মোবাইল ফোন বেঙ্গালুরুতে সক্রিয় ছিল। তার পর থেকে তাঁর ফোন বন্ধ। এর পর তাঁর অবস্থান জানতে বেঙ্গালুরুতে দিল্লি পুলিশ বেশ কয়েকটি দল মুম্বইয়ে পাঠিয়ে ছিল। কিন্তু সেখানেও তাঁকে খুঁজে পাওয়া যায়নি। তবে পুলিশ জানায়, অভিযুক্ত ফোন বন্ধ করে দিলেও সোশ্যাল মিডিয়ার সাহায্য তাঁর বন্ধুদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলেন। আর এতেই পুলিশের তাঁকে খুঁজতে সুবিধা হয়ে যায়। আবার তিনি এক জায়গায় ক্রেডিট কার্ড ও ডেবিট কার্ডও ব্যবহার করেছিলেন।

    আরও পড়ুন: বিমানে সহযাত্রীর গায়ে প্রস্রাব! বেঙ্গালুরু থেকে গ্রেফতার অভিযুক্ত শঙ্কর মিশ্র

    এরপরেই পুলিশের ডেপুটি কমিশনার রবি কুমার সিং বলেছেন, “আইজিআইএ মামলায় অভিযুক্ত শঙ্কর মিশ্রকে দিল্লি পুলিশের একটি দল বেঙ্গালুরু থেকে গ্রেফতার করেছে৷ তাঁকে দিল্লিতে নিয়ে আসা হয়েছে এবং মামলার আরও তদন্ত চলছে৷” অভিযুক্ত বেঙ্গালুরুর সঞ্জয় নগরে তাঁর বোনের বাড়িতে থাকতেন। বেঙ্গালুরু পুলিশের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, বেঙ্গালুরু পুলিশ তাঁকে গ্রেফতার করতে দিল্লি পুলিশের দলকে সহায়তা করেছিল।

    চাকরি হারিয়েছেন অভিযুক্ত

    বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পর অভিযুক্ত শঙ্কর মিশ্রের চাকরি চলে গিয়েছে। তাঁকে বহিষ্কার করেছে ওয়েলস ফার্গো৷ মুম্বইয়ে ওয়েলস ফার্গো নামে একটি সংস্থায় কর্মরত ছিলেন তিনি। শুক্রবার সন্ধ্যায় ওয়েলস ফার্গোর তরফে একটি বিবৃতি প্রকাশ করে জানানো হয়েছে, বিমানের মধ্যে শঙ্করের বিরুদ্ধে যে অভব্য আচরণের অভিযোগ উঠেছে, কোম্পানি তা কোনওভাবেই সমর্থন করে না। এই ঘটনায় সংস্থার বদনাম হয়েছে। ফলে সংস্থা তাঁকে বরখাস্ত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।”

  • Cattle Smuggling Case: গরু পাচার কাণ্ডে এবারে সিউড়ির ব্যাঙ্ক ম্যানেজারকে তলব সিবিআইয়ের

    Cattle Smuggling Case: গরু পাচার কাণ্ডে এবারে সিউড়ির ব্যাঙ্ক ম্যানেজারকে তলব সিবিআইয়ের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গতকাল গরু পাচার মামলার (Cattle Smuggling Case) তদন্ত করতে গিয়ে বীরভূমের সিউড়িতে সমবায় ব্যাঙ্কের শাখায় তল্লাশি চালায় সিবিআই। বৃহস্পতিবার সমবায় ব্যাঙ্কে পৌঁছন গরু পাচার কাণ্ডের প্রধান তদন্তকারী অফিসার সুশান্ত ভট্টাচার্য। সিবিআই সূত্রে খবর, ১৫০টি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে প্রায় ১০ কোটি কালো টাকা সাদা করা হয়েছে। ফলে এই নিয়ে ব্যাঙ্কের ম্যানেজারকে অনেক প্রশ্নের সম্মুখীনও হতে হয়। এর পর আজ, শুক্রবার ব্যাঙ্ক ম্যানেজার অভিজিৎ সামন্তকে নিজাম প্যালেসে তলব করল সিবিআই। ব্যাঙ্কের ম্যানেজারকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চান সুশান্তবাবু।

    ব্যাঙ্ক ম্যানেজারকে নিজাম প্যালেসে ডাকল সিবিআই

    গতকাল পর্যন্ত ১৫০ টি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের হদিশ পাওয়া গিয়েছিল ও সেগুলোর মাধ্যমে ১০ কোটি টাকার লেনদেন হয়েছিল বলে জানা গিয়েছিল। কিন্তু আজ সিবিআই সূত্রে খবর, মোট ১৭৭টি বেনামি অ্যাকাউন্টের হদিশ মিলেছে সিউড়ির ব্যাঙ্ক থেকে। এমনকী ৫০টি অ্যাকাউন্টের হদিশ মিলেছে যাতে একজনেরই সই রয়েছে। সংগ্রহ করা হয়েছে যাবতীয় নথি। আবার শুধু ৫৪ টি অ্যাকাউন্টেই মিলেছে ৪ কোটি টাকার লেনদেনের হদিশ।

    আরও পড়ুন: ১৫০ অ্যাকাউন্টে সই একজনেরই! সিউড়ির ব্যাঙ্কে সিবিআই হানা, এখানেও কেষ্ট-যোগ?

    গতকাল সিবিআই সূত্রে জানানো হয়েছিল ওই ভুয়ো অ্যাকাউন্টগুলির মাধ্যমে গরু পাচারের বিপুল পরিমাণ কালো টাকা সাদা করা হয়েছিল। এই বেনিয়মের হদিশ মিলতেই সিউড়ি সমবায় ব্যাঙ্কের ম্যানেজার অভিজিৎ সামন্তকে গতকাল জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছিল। এমনকী তিনি যদি তদন্তে সহযোগিতা না করেন, তাঁকে গ্রেফতার করারও হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন সিবিআই অফিসার সুশান্ত ভট্টাচার্য। এর পর আজ ম্যানেজার অভিজিৎকে নিজাম প্যালেসে তলব করল সিবিআই।

    কী কী জেরা করা হতে পারে?

    কীভাবে নথি যাচাই না করে ব্যাঙ্কে ১৭৭টি ভুয়ো অ্যাকাউন্ট খুলতে দিলেন তিনি? এই প্রশ্নই আজ করা হবে ব্যাঙ্ক ম্যানেজারকে। এত টাকা এল কোথা থেকে?‌ কে এই অ্যাকাউন্টগুলো খুলল? এসবই জিজ্ঞেস করা হবে ম্যানেজারকে।

    সিবিআইয়ের নজরে কী কী?

    সিবিআই সূত্রে জানা গিয়েছিল, রাইস মিল সংক্রান্ত প্রচুর টাকার লেনদেন হয়েছে বেশ কয়েকটি অ্যাকাউন্ট থেকে। এমনিতেই গরু পাচার তদন্তে অনুব্রত মণ্ডলের শিবশম্ভু ও ভোলে ব্যোম রাইস মিলের কথা উঠে এসেছিল। এছাড়াও এই ব্যাঙ্ক অ্যাকউন্টের সঙ্গে খাদ্য দফতরের যোগসূত্রও উঠে এসেছে। সমবায় ব্যাঙ্কের অ্যাকাউন্টে সেই সংক্রান্ত কিছু রয়েছে কিনা তাও খতিয়ে দেখছেন সিবিআই অফিসাররা। ফলে এই অ্যাকাউন্টগুলোর সঙ্গে গরু পাচার মামলা কীভাবে জড়িয়ে রয়েছে, সব কিছু নিয়েই তদন্ত করছে সিবিআই আধিকারিকরা। এখন এটাই দেখার, ম্যানেজারকে জিজ্ঞাসাবাদ করার পর কোন দিকে গড়ায় এই তদন্ত। 

  • Suhana Khan: বিগ বি-র নাতির সঙ্গে প্রেম শাহরুখ কন্যার! সুহানা-অগস্ত্যর সম্পর্কে খুশি বচ্চন পরিবার!

    Suhana Khan: বিগ বি-র নাতির সঙ্গে প্রেম শাহরুখ কন্যার! সুহানা-অগস্ত্যর সম্পর্কে খুশি বচ্চন পরিবার!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নতুন বছরের শুরুতেই ফের বলিপাড়ায় নতুন তারকা জুটির সম্পর্কের গুঞ্জন! বলিউডের নতুন জুটি হতে চলেছেন সুহানা খান ও অগস্ত্য নন্দা! তবে কি খান-বচ্চন পরিবার আত্মীয়তার বন্ধনে বাঁধা পড়তে চলেছে? তবে কি একে অপরকে মন দিয়ে বসেছেন তাঁরা? এমনটাই প্রশ্ন চারিদিকে। খুব শীঘ্রই বলিউডে পা রাখতে চলেছেন শাহরুখ কন্যা সুহানা খান ও বচ্চন কন্যা শ্বেতার পুত্র অগস্ত্য নন্দা। জোয়া আখতারের ‘দ্য আর্চিস’ ছবির মাধ্যমেই বলিউডে এন্ট্রি হতে চলেছে দুই সেলেব কিডসের। কিন্তু তার আগেই সুহানা ও অগস্ত্যর সম্পর্ক নিয়ে আলোচনা শুরু হয়ে গিয়েছে। তবে এই খবর কতটা সত্যি, তা এখনও জানা যায়নি।

    সুহানার প্রেমে হাবুডুবু অগস্ত্য!

    সূত্রের খবর অনুযায়ী জানা গিয়েছে, জোয়া আখতারের সিনেমার সেটেই শুরু হয়েছে এই প্রেম কাহিনি। ২০২২ সালের অগাস্ট মাস থেকেই নাকি তৈরি হয়েছে এই নতুন সম্পর্ক। তবে এখনই কিছু প্রকাশ্যে আনতে রাজি নন তাঁরা। তবে সেটে শুরু হওয়া এই রোম্যান্সের চর্চা ঝড়ের গতিতে ছড়িয়ে পড়েছে বি-টাউনে। সম্প্রতি কাপুর পরিবারের ক্রিসমাস ব্রাঞ্চে শ্বেতা বচ্চন ও অগস্ত্যর সঙ্গে হাজির ছিলেন সুহানা। আর সেই ছবিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়তেই শুরু হয়েছে জোর জল্পনা।

    এক ঘনিষ্ঠ সূত্র জানিয়েছে, ক্রিসমাস সেলিব্রেশনে কাপুর পরিবারের সামনে সুহানাকে নিজের ‘পার্টনার’ বলেও পরিচয় দিয়েছিলেন অগস্ত্য। এখানেই শেষ নয়, আরও জানা যাচ্ছে, বচ্চন কন্যা শ্বেতার নাকি খুব পছন্দ শাহরুখ-গৌরী কন্যাকে। তাঁদের বন্ধুত্বে নাকি বেশ খুশি অগস্ত্যর মা শ্বেতা। তবে তাঁদের সম্পর্ক নিয়ে কখনই মুখ খোলেননি সুহানা-অগস্ত্য।

    নেটিজেনদের আবার একাংশ এই খবরকে গুজব বলে মেনে নিয়েছেন। অনেকে বলেছেন, সিনেমা রিলিজ হওয়ার আগে ইচ্ছাকৃতভাবেই এই খবর ছড়ানো হয়েছে। তবে খান-বচ্চন অনুরাগীরা সুহানা-অগস্ত্যর সম্পর্কের খবরে বেজায় খুশি। প্রসঙ্গত, জোয়ার এই নতুন সিনেমার মাধ্যমে শুধু সুহানা আর অগস্ত্য নন, অভিনেত্রী হিসাবে আত্মপ্রকাশ করতে চলেছেন বনি কাপুর এবং শ্রীদেবীর ছোট মেয়ে খুশি কাপুরও। ওটিটি প্ল্যাটফর্ম নেটফ্লিক্সে মুক্তি পাবে ‘দ্য আর্চিস কমিকস’ অবলম্বনে তৈরি এই সিনেমা।

  • Same Sex Marriage: সমলিঙ্গ বিবাহ সংক্রান্ত মামলার শুনানি সুপ্রিম কোর্টেই! কেন্দ্রের মতামতও চাইল শীর্ষ আদালত

    Same Sex Marriage: সমলিঙ্গ বিবাহ সংক্রান্ত মামলার শুনানি সুপ্রিম কোর্টেই! কেন্দ্রের মতামতও চাইল শীর্ষ আদালত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সমলিঙ্গ বিবাহ নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নিল সুপ্রিম কোর্ট। এদিন সমলিঙ্গ বিবাহ সংক্রান্ত হাইকোর্টে যে আবেদনগুলি করা হয়েছে, সেই সমস্ত মামলাগুলিকে শুক্রবার সুপ্রিম কোর্টে স্থানান্তরিত করা হল। এছাড়াও সমলিঙ্গ বিবাহ নিয়ে কেন্দ্রের মতামত জানতে চাইল দেশের শীর্ষ আদালত। আগামী ১৫ ফেব্রুয়ারির মধ্যে মতামত জানাতে হবে কেন্দ্রীয় সরকারকে। এদিন প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়, বিচারপতি পিএস নরসীমা এবং বিচারপতি জেবি পর্দিওয়ালার সমন্বয়ে গঠিত এক বেঞ্চ এই নির্দেশ দিয়েছে।

    সমলিঙ্গ বিবাহ নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের কী নির্দেশ?

    সমলিঙ্গ বিবাহের আইনি বৈধতা নিয়ে মামলা শুনতে সম্মত হয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। এদিন বেঞ্চ বলেছে, “দিল্লি, কেরল এবং গুজরাট হাইকোর্টে বেশ কয়েকটি মামলা চলছে। আমাদের মতে এই মামলাগুলি এই আদালতে (সুপ্রিম কোর্টে) স্থানান্তর করা উচিত এবং এই আদালতেই সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত। তাই আমরা সমস্ত পিটিশনগুলি এই আদালতে স্থানান্তর করার নির্দেশ দিচ্ছি।”

    আরও পড়ুন: আবাস যোজনার তালিকায় নাম দোতলা বাড়ির মালিকের! ঘুরে দেখল কেন্দ্রীয় দল

    বিশেষ বিবাহ আইনে দেশের বিভিন্ন আদালতে সমলিঙ্গ বিয়ের আইনি বৈধতা নিয়ে মামলার শুনানি চলছে। সেই সব মামলা আগামী ১৩ মার্চ শুনবে সুপ্রিম কোর্ট। তার আগেই কেন্দ্রকে তার মতামত দিতে বলা হয়েছে শীর্ষ আদালত থেকে। জানা গিয়েছে, মামলার আবেদনকারীরা সুপ্রিম কোর্টকেই এই মামলাগুলি শোনার আর্জি জানিয়েছিলেন। ফলে সুপ্রিম কোর্ট সেই মামলাগুলি শুনতে রাজি হয়েছে ও এই মামলার সমস্ত আবেদনকারীর নাম নথিভুক্ত করার জন্যও কেন্দ্রকে নির্দেশও দিয়েছে শীর্ষ আদালত। একইসঙ্গে সুপ্রিম কোর্ট এদিন জানিয়েছে, যে আবেদনকারীরা আইনজীবী নিয়োগ করতে পারবেন না, তাঁরা আদালতে ভার্চুয়ালি হাজিরা দিতে পারবেন। এছাড়া লিখিতভাবেও তাদের আবেদন জমা দিতে পারবেন।

    কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে নোডাল কাউন্সেল হিসেবে কানু আগরওয়াল এবং আবেদনকারীদের তরফে অরুন্ধতী কাটজুকে নিয়োগ করেছে সুপ্রিম কোর্ট।

    প্রসঙ্গত, গত বছর ২৫ নভেম্বর সুপ্রিম কোর্ট দুই সমকামী যুগলের দায়ের করা দু’টি মামলা সম্পর্কে অবহিত হয়। ২০২১ সালের ডিসেম্বরে অনুষ্ঠান করে বিয়ে করেন সুপ্রিয় চক্রবর্তী এবং অভয় ডাং। এখন বিশেষ বিবাহ আইনের স্বীকৃতি চেয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন ওই যুগল। এমনই অনেক মামলা রয়েছে আদালতে, যার শুনানি হবে আগামী ১৩ মার্চ।

  • Jalpaiguri: মায়ের মৃতদেহ কাঁধে ছেলে, ‘মমতাকে ক্ষমা চাওয়া উচিত’, মুখ্যমন্ত্রীকে কড়া ভাষায় আক্রমণ শুভেন্দুর

    Jalpaiguri: মায়ের মৃতদেহ কাঁধে ছেলে, ‘মমতাকে ক্ষমা চাওয়া উচিত’, মুখ্যমন্ত্রীকে কড়া ভাষায় আক্রমণ শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মর্মান্তিক! মায়ের মৃতদেহ কাঁধে নিয়ে চলছে ছেলে। পাশে বৃদ্ধ বাবা। অ্যাম্বুল্যান্সে নিয়ে যাওয়ার জন্য ভাড়া দিতে না পারায় এই পরিস্থিতি। ঘটনাটি জলপাইগুড়ির। বৃহস্পতিবার এমন ঘটনায় লজ্জায় মাথা হেঁট বাংলার। শিউরে উঠেছে রাজ্যবাসী। এই নিয়ে নিন্দার ঝড় বইছে সর্বত্র। পাশাপাশি শুরু হয়ে গিয়েছে রাজনৈতিক তরজাও। এই মর্মান্তিক ঘটনার জন্য রাজ্য সরকার তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, যিনি বাংলার স্বাস্থ্যমন্ত্রীও, তাঁর দিকে আঙুল তুলছেন বিরোধীরা। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেছেন, “২০০ শতাংশ কাজ হয়েছে বলা মুখ্যমন্ত্রীর ক্ষমা স্বীকার করা উচিত। লজ্জা রাখার জায়গা নেই।”

    মায়ের দেহ কাঁধে তুলেই রওনা দিলেন ছেলে

    জলপাইগুড়ির ক্রান্তি এলাকার বাসিন্দা ওই মহিলা লক্ষ্মীরানি দেওয়ান। তিনি বেশ কয়েকদিন ধরে জলপাইগুড়ি মেডিক্যাল কলেজের সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালে ভরতি ছিলেন। বৃহস্পতিবার সকালে ওই হাসপাতালে মৃত্যু হয় তাঁর। মৃতার ছেলের দাবি, জলপাইগুড়ির হাসপাতাল থেকে ক্রান্তির দূরত্ব প্রায় ৫০ কিলোমিটার। মৃতার ছেলের দাবি, মায়ের মৃতদেহ নিয়ে বাড়ি ফেরার জন্য অ্যাম্বুলেন্সের খোঁজ করেছিলেন। কিন্তু অ্যাম্বুলেন্স চালক ৩০০০ টাকা দাবি করে। কিন্তু ওই টাকা দেওয়ার মত ক্ষমতা ছিল না তাঁদের। সে কারণে কাঁধে করেই দেহ নিয়ে হেঁটে বাড়ি যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন বাবা ও ছেলে। যদিও পরে তাঁকে সাহায্যের জন্য এগিয়ে যায় একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা। তাঁরা অ্যাম্বুল্যান্স ভাড়া করে লক্ষ্মীরানির মৃতদেহ বাড়িতে পৌঁছে দেন।

    আরও পড়ুন: ১৫০ অ্যাকাউন্টে সই একজনেরই! সিউড়ির ব্যাঙ্কে সিবিআই হানা, এখানেও কেষ্ট-যোগ?

    রাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রীকে কড়া ভাষায় আক্রমণ শুভেন্দুর

    এই ঘটনার পরেই বিরোধীরা সরব হয়েছে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে। মুখ্যমন্ত্রীর সমালোচনা করে বলা হয়েছে, যে রাজ্যে মুখ্যমন্ত্রী নিজেই স্বাস্থ্যমন্ত্রী, ২০০ শতাংশ কাজ করে দিয়েছেন বলে দাবি করেন, সেখানে এমন ঘটনা গ্রাম বাংলার দুর্দশার ছবিই প্রকট ভাবে তুলে ধরছে। বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিশানা করে বলেন, “অত্যন্ত যন্ত্রণাদায়ক ঘটনা। সকালেই দেখেছি আমি। ২০০ শতাংশ কাজ হয়েছে বলা মুখ্যমন্ত্রীর ক্ষমা স্বীকার করা উচিত। লজ্জা রাখার জায়গা নেই।”

    বিরোধীদের আরও বক্তব্য

    শুভেন্দুর পাশাপাশি এদিন রাজ্য সরকারকে নিশানা করেছে সিপিএম এবং কংগ্রেসও। সিপিএম থেকে বলা হয়েছে, “জলপাইগুড়ি থেকে যে ছবি উঠে এসেছে, তা অত্যন্ত মর্মান্তিক। কোথায় প্রশাসন, কোথায় কী! টাকা দিতে পারেনি বলে মায়ের দেহ কাঁধে নিয়ে হাঁটতে হবে বাংলায়! সরকারি হাসপাতালের কী মর্মান্তিক, বীভৎস চেহারা!”  কংগ্রেস থেকে বলা হয়েছে, “সব হাসপাতালে এই কারচুপি রয়েছে। রক্ত নিয়ে, অ্যাম্বুল্যান্স ভাড়া নিয়ে, ওষুধ নিয়ে দুর্নীতি চলছে দেদার।”

  • Mohammed Amin Khubaib: লস্করের লঞ্চিং কমান্ডার আবু খুবাইবকে জঙ্গি ঘোষণা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের

    Mohammed Amin Khubaib: লস্করের লঞ্চিং কমান্ডার আবু খুবাইবকে জঙ্গি ঘোষণা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সন্ত্রাস দমনে আরও এক গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নিল কেন্দ্র। বৃহস্পতিবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের তরফে জম্মু-কাশ্মীরের লস্কর-ই-তৈবার লঞ্চিং কমান্ডার মোহম্মদ আমিন ওরফে আবু খুবাইবকে (Mohammed Amin Khubaib) জঙ্গি হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। তাকে বেআইনি কার্যকলাপ (প্রতিরোধ) আইন ১৯৬৭-এর অধীনে সন্ত্রাসী হিসাবে ঘোষণা করা হয়েছে। এর পাশাপাশি লস্কর-ই-তৈবার মদতপ্রাপ্ত শাখা সংগঠন ‘দ্য রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট’-কে নিষিদ্ধ হিসাবে ঘোষণা করা হচ্ছে। গতকাল স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক থেকে একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করে এটি ঘোষণা করা হয়। জঙ্গি দমনে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ গ্রহণ করছে কেন্দ্রীয় সরকার। এরইমধ্যে একটি হল গতকালের সিদ্ধান্ত।

    মোহম্মদ আমিন খুবাইবকে জঙ্গি হিসেবে ঘোষণা কেন্দ্রের

    সূত্রের খবর অনুযায়ী, জম্মু ও কাশ্মীরের ডোডা জেলার কাথাওয়া গ্রামের বাসিন্দা ও দাউদ ভাটের ছেলে খুবাইব (Mohammed Amin Khubaib)। কিন্তু বর্তমানে পাকিস্তানে বসবাস করছে সে এবং লস্কর-ই-তৈবার জন্য সন্ত্রাসীদের লঞ্চিং কমান্ডার হিসাবে কাজ করছে। অর্থাৎ জম্মু-কাশ্মীরে লস্কর-ই-তৈবার জঙ্গি গতিবিধির দায়িত্বে খুবাইব থাকলেও, বর্তমানে তিনি পাকিস্তানে গা ঢাকা দিয়ে রয়েছে। বিজ্ঞপ্তি থেকে জানা গিয়েছে, আবু খুবাইব আন্তঃসীমান্ত এজেন্সিগুলির সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তুলেছে এবং জম্মু অঞ্চলে এলইটি-এর সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপকে পুনরুজ্জীবিত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে সে। এছাড়াও খুবাইব জম্মু ও কাশ্মীরে সন্ত্রাসী হামলা, অস্ত্র ও বিস্ফোরক সরবরাহ এবং সন্ত্রাসীদের অর্থ দেওয়া ইত্যাদির সঙ্গে জড়িত।

    আরও পড়ুন: অঙ্কিতার থেকে প্রাপ্ত টাকা ববিতাকে আলাদা করে রাখার নির্দেশ দিল হাইকোর্ট

    বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে, “কেন্দ্রীয় সরকার বিশ্বাস করে যে মোহাম্মদ আমিন খুবাইব সন্ত্রাসবাদের সঙ্গে জড়িত এবং তাকে বেআইনি কার্যকলাপ (প্রতিরোধ) আইন ১৯৬৭-এর অধীনে সন্ত্রাসী হিসাবে যুক্ত করা হবে।” প্রসঙ্গত, ব্যক্তি এবং সংস্থার কিছু বেআইনি কার্যকলাপ প্রতিরোধ করার জন্য এবং সন্ত্রাসী কার্যকলাপের সঙ্গে মোকাবিলা করার জন্যই বেআইনি কার্যকলাপ (প্রতিরোধ) আইন, ১৯৬৭ তৈরি করা হয়েছিল।

    অন্যদিকে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সূত্রে খবর, ২০১৯ সালে তৈরি হয় ‘দ্য রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট’। মূলত অনলাইনেই কার্যকলাপ চালায় এই জঙ্গি সংগঠন। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের তথ্য অনুযায়ী, বেআইনিভাবে সীমান্ত পারাপার এবং অস্ত্র ও মাদক পাচারের সঙ্গেও যুক্ত এই সংগঠন। জম্মু-কাশ্মীরের সাধারণ মানুষদের সোশ্যাল মিডিয়ায় ভারতের বিরুদ্ধে উস্কানি দেয় এই সংগঠন, এমনটাও জানানো হয়েছে। ফলে দ্য রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট-কেও নিষিদ্ধ হিসাবে ঘোষণা করা হয়েছে।

  • Cattle Smuggling: ১৫০ অ্যাকাউন্টে সই একজনেরই! সিউড়ির ব্যাঙ্কে সিবিআই হানা, এখানেও কেষ্ট-যোগ?

    Cattle Smuggling: ১৫০ অ্যাকাউন্টে সই একজনেরই! সিউড়ির ব্যাঙ্কে সিবিআই হানা, এখানেও কেষ্ট-যোগ?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের বীরভূমের ব্যাঙ্কে হানা দিল কেন্দ্রীয় এজেন্সি সিবিআই (CBI)। এর আগে গরু পাচার মামলার তদন্তে বোলপুরের রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কে হানা দিয়েছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। বৃহস্পতিবার সিবিআইয়ের একটি বড় টিম পৌঁছল সিউড়ি সমবায় ব্যাঙ্কে। সূত্রের খবর, ওই ব্যাঙ্কে এমন অনেকগুলি অ্যাকাউন্টের হদিশ পাওয়া গিয়েছে, যা বেনামে খোলা হয়েছে। প্রায় ১৫০টি অ্যাকাউন্ট খোলা হয়েছে বলে অভিযোগ। ওই সব অ্যাকাউন্টে প্রায় ১০ কোটি টাকার লেনদেন হয়েছে। তবে অবাক করা ব্যাপার, প্রতিটি অ্যাকাউন্টে সই একজনেরই। ফলে এই অ্যাকাউন্টগুলির সঙ্গেও তৃণমূলের বীরভূম জেলার সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের যোগ আছে কি না তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তবে কি এই অ্যাকাউন্টগুলোর সাহায্যেও গরু পাচারের (Cattle Smuggling) কালো টাকা সাদা করা হত? এমনটাই প্রশ্ন উঠছে রাজ্যবাসীর মনে।

    আরও পড়ুন: আরও ৫৯ জন প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরি বাতিল, বন্ধ হবে বেতনও! নির্দেশ হাইকোর্টের

    খাদ্য দফতরেরও যোগসূত্র রয়েছে?

    সূত্রের খবর অনুযায়ী, এই ব্যাঙ্কের আর্থিক লেনদেনে খাদ্য দফতরের যোগসূত্রও পাওয়া গিয়েছে। গরু পাচারের (Cattle Smuggling) কালো টাকা সাদা করার জন্য খাদ্য দফতরকেও ব্যবহার করা হয়েছে কিনা সেই প্রশ্নই সামনে আসছে। সিবিআই সূত্রে জানা যাচ্ছে, গরীব মানুষদের কাছ থেকে অল্প দামে নগদে ধান কেনা হত ওই সব অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে। খাদ্য দফতরে যে চাল বিক্রি হয়েছিল অনুব্রতর মিল থেকে, সেই টাকা জমা পড়েছে এই অ্যাকাউন্টগুলিতে। কিন্তু কার সইয়ে এই লেনদেন হত, তা জানা যায়নি। এভাবে গরু পাচারের টাকা দিনের পর দিন সাদা করা হত বলে সন্দেহ গোয়েন্দাদের। আর এই সব তথ্য সংগ্রহ করতে এদিন ব্যাঙ্কে পৌঁছে যায় সিবিআই।

    সিবিআইয়ের ধমক ব্যাঙ্কের ম্যানেজারকে

    ওই সমবায় ব্যাঙ্কে গিয়ে ম্যানেজারকে ধমক দেন গরু পাচার কাণ্ডের তদন্তকারী সিবিআই আধিকারিক সুশান্ত ভট্টাচার্য। তিনি ম্যানেজারকে বলেন, ‘‘এক জন অপরাধীকে কালো টাকা সাদা করতে সাহায্য করছেন আপনি!” তিনি প্রশ্ন করেন, “কার নির্দেশে তা করা হয়েছে? অ্যাকাউন্ট খুলতে কে এসেছিলেন? আপনি নাম বলুন।” আবার সুশান্তবাবু ম্যানেজারকে সহযোগিতা না করলে গ্রেফতার করারও হুঁশিয়ারি দেন। ইতিমধ্যেই ব্যাঙ্কের সব লেনদেনও আপাতত বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে বলে সিবিআই সূত্রে খবর। এখনও পর্যন্ত প্রায় ১০ কোটির লেনদেনের তথ্য সামনে এলেও পরবর্তীতে টাকার পরিমাণ আরও বাড়বে বলে মনে করছে সিবিআই।

  • Delhi Accident: দিল্লি কাণ্ডে প্রমাণ লোপাটের চেষ্টা! পুলিশের নজরে আরও দুই ব্যক্তি

    Delhi Accident: দিল্লি কাণ্ডে প্রমাণ লোপাটের চেষ্টা! পুলিশের নজরে আরও দুই ব্যক্তি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বর্ষবরণের রাতে দিল্লির অঞ্জলি সিং-এর ভয়াবহ মৃত্যুর ঘটনায় এল আরও এক চাঞ্চল্যকর তথ্য। বৃহস্পতিবার, দিল্লি পুলিশ জানায়, এই ঘটনায় তাদের সন্দেহভাজনের তালিকায় উঠে এসেছে আরও দুই ব্যক্তির নাম। এমনকী জানা গিয়েছে, এই দুই ব্যক্তি প্রমাণ লোপাটেরও চেষ্টা করেছেন। ইতিমধ্যেই গাড়ির সওয়ারি পাঁচ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। দিল্লি পুলিশের বিশেষ কমিশনার সাগরপ্রীত হুডা জানিয়েছেন, এই দুই সন্দেহভাজন হলেন আশুতোষ এবং অঙ্কুশ নামের ব্যক্তি। তাদের শীঘ্রই গ্রেফতার করা হবে বলে জানিয়েছেন তিনি। অন্যদিকে অঞ্জলির মত্ত হয়ে গাড়ি চালানোর নিধির দাবিকে মিথ্যে বলেছেন অঞ্জলির মা।

    অঞ্জলি সিং-এর ঘটনায় চাঞ্চল্যকর তথ্য

    সূত্রের খবর অনুযায়ী, অভিযুক্ত পাঁচজনের নাম অমিত খান্না, দীপক খান্না, মিঠুন, কৃষাণ এবং মনোজ মিত্তাল। আর এদেরকেই সাহায্য করার চেষ্টা করছিলেন ওই সন্দেহভাজন দুই ব্যক্তি। সাগরপ্রীত হুডা বলেন, “আমরা পাঁচ অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছি। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। জেরার সময় আমরা জানতে পেরেছি, এই ঘটনায় আরও দুই ব্যক্তি জড়িত আছে। আমাদের দল তাদের সন্ধানে অভিযান চালাচ্ছে। অপর দুই অভিযুক্তের নাম আশুতোষ এবং অঙ্কুশ খান্না। তারা ওই পাঁচজনকে রক্ষা করার চেষ্টা করেছিলেন ও প্রমাণ লোপাটের চেষ্টা করেছিলেন।”

    হুডা আরও জানিয়েছেন, মামলার তদন্তের জন্য দিল্লি পুলিশের মোট ১৮ টি দল গঠন করা হয়েছে এবং তারা যত তাড়াতাড়ি সম্ভব চার্জশিট দাখিল করার চেষ্টা করছে। তিনি জানিয়েছেন, অঞ্জলি সিং-এর বান্ধবী, ঘটনার অন্যতম সাক্ষী নিধির বয়ান রেকর্ড করা হয়েছে। তাঁর সঙ্গে অভিযুক্তদের কোনও যোগসূত্র এখনও পর্যন্ত পাওয়া যায়নি।

    আরও পড়ুন:দিল্লি কি সর্দি! ঠান্ডায় জবুথবু রাজধানী, পারদ নামল ২.৫ ডিগ্রিতে

    নিধির দাবি অস্বীকার অঞ্জলির মায়ের

    অঞ্জলির বন্ধু নিধি দাবি করেছিলেন, অঞ্জলি মত্ত হয়ে স্কুটি চালাচ্ছিলেন। এবার তাঁর এই দাবিকে সম্পূর্ণ মিথ্যা বলে উড়িয়ে দিলেন অঞ্জলির মা রেখা দেবী। তাঁর অভিযোগ, নিধি মিথ্যা কথা বলছেন। তাঁর মেয়েকে খুনের চক্রান্তে সে-ও শামিল ছিলেন বলে দাবি করেছেন তিনি। আবার অঞ্জলির পারিবারিক চিকিৎসক জানান, তাঁর ময়নাতদন্তের রিপোর্টে মদ খাওয়ার সপক্ষে কোনও প্রমাণ পাওয়া যায়নি। অঞ্জলির মায়েরও দাবি, তিনি তাঁর মেয়েকে কোনও দিন মদ খেয়ে বাড়ি আসতে দেখেননি। উল্টে নিধির বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়েই প্রশ্ন তুলেছেন তিনি।

    ক্ষতিপূরণ অঞ্জলির পরিবারকে

    এই ঘটনার পর দিল্লির উপ-মুখ্যমন্ত্রী মনীশ সিসোদিয়া বুধবার অঞ্জলির বাড়িতে গিয়েছিলেন এবং মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল ইতিমধ্যে অঞ্জলির পরিবারকে ১০ লক্ষ টাকা ও পরিবারের একজনকে সরকারি চাকরি দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন। আবার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ অঞ্জলির মৃত্যুর ঘটনায় উচ্চ পর্যায়ের তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। ফলে পরবর্তীতে এই ঘটনায় আর কী কী তথ্য বেরিয়ে আসে, সেটিই এখন দেখার।

  • Kalyanmoy Ganguly: জামিনের আবেদন প্রত্যাহার করলেন নিয়োগ দুর্নীতিতে অভিযুক্ত কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়

    Kalyanmoy Ganguly: জামিনের আবেদন প্রত্যাহার করলেন নিয়োগ দুর্নীতিতে অভিযুক্ত কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কলকাতা হাইকোর্টে জামিনের আবেদন প্রত্যাহার করলেন শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে অভিযুক্ত কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায় (Kalyanmoy Ganguly)। জামিনের আর্জি জানিয়ে মামলা করেছিলেন তিনি। কিন্তু শুনানি শেষ হওয়ার আগেই সেই মামলা প্রত্যাহার করে নিলেন তিনি। গতকাল মধ্যশিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতিকে (Kalyanmoy Ganguly) আবেদন প্রত্যাহারের সুযোগ দেয় আদালত। এর পরেই বৃহস্পতিবার আবেদন প্রত্যাহার করলেন তিনি।

    জামিনের আবেদন প্রত্যাহার কল্যাণময়ের

    গতকাল মৌখিক পর্যবেক্ষণে বিচারপতি জয়মাল্য বাগচী জানিয়েছিলেন, সিবিআই এই মুহূর্তে আর্থিক দুর্নীতির দিকটি খতিয়ে দেখছে, তাই কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়কে দুটি বিকল্প দেওয়া হল। হয় তিনি মামলা প্রত্যাহার করুন, না হলে তাঁর জামিনের আবেদন খারিজ করা হবে। তিনি কী করতে চান, সেটা বৃহস্পতিবারের মধ্যে আদালতে জানাতে হবে। তারপরই আজ জামিনের আবেদন প্রত্যাহার করলেন কল্যাণময় গাঙ্গুলি (Kalyanmoy Ganguly)। নিয়োগ দুর্নীতিতে অভিযুক্ত মধ্যশিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতির জামিনের আবেদন প্রত্যাহার নিয়ে ইচ্ছাপ্রকাশের কথা বিচারপতি জয়মাল্য বাগচী ও বিচারপতি অজয় কুমার গুপ্তর ডিভিশন বেঞ্চে জানানো হয়েছিল।

    আরও পড়ুন: গরু পাচার মামলায় ফের ১৪ দিনের জেল হেফাজত কেষ্ট ও সায়গলের

    প্রসঙ্গত, শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে ধৃত মধ্যশিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়ের ভূমিকা এবং আর্থিক লেনদেনের সঙ্গে তিনি যুক্ত কিনা, তা খুঁজে দেখার জন্য সিবিআইকে নির্দেশ দিয়েছিল হাইকোর্ট। কল্যাণময়ের বিরুদ্ধে এর আগে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় চার্জশিট দিয়েছে সিবিআই। অযোগ্য প্রার্থীদের নিয়োগপত্র দেওয়ার ক্ষেত্রে অন্যতম প্রধান ভূমিকা ছিল কল্যাণময়ের। এছাড়াও জানা গিয়েছিল, শান্তিপ্রসাদ সিনহার কাছ থেকে সুপারিশপত্র নিয়ে নিজেই সরাসরি নিয়োগপত্র দিতেন, এমনই অভিযোগ উঠেছে কল্যাণময়ের বিরুদ্ধে। আর এর ভিত্তিতেই গত বছরের ১৫ সেপ্টেম্বর, কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়কে গ্রেফতার করে সিবিআই। ১০০ দিনেরও বেশি সময় ধরে জেলে রয়েছেন তিনি। এর পর সম্প্রতি হাইকোর্টে তিনি জামিনের আবেদন করেন। কিন্তু আদালতের তরফে জামিন খারিজের কথা বলা হলে তিনি আগেই তাঁর জামিনের আবেদন প্রত্যাহার করে নেন।     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Anubrata Mondal: গরু পাচার মামলায় ফের ১৪ দিনের জেল হেফাজত কেষ্ট ও সায়গলের

    Anubrata Mondal: গরু পাচার মামলায় ফের ১৪ দিনের জেল হেফাজত কেষ্ট ও সায়গলের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আবারও জামিন হল না কেষ্টর। গরুপাচার মামলায় (cattle smuggling case) ১৪ দিনের জেল হেফাজত বীরভূমের জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mondal)। একই মেয়াদের জেল হেফাজত সায়গল হোসেনেরও (Saigal Hossain)। আসানসোলের বিশেষ সিবিআই আদালত এই নির্দেশ দিয়েছে। সূত্রের খবর অনুযায়ী, আজ অনুব্রতর তরফে জামিনের কোনও আবেদনই করা হয়নি। আবার ১৪ দিনের জেল হেফাজতের পাশাপাশি অনুব্রত মণ্ডলকে সংশোধনাগারে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদও করতে পারবেন সিবিআই আধিকারিকরা। বৃহস্পতিবার শুনানি চলাকালীন সিবিআইকে এমনটাই অনুমতি দিলেন আসানসোলের বিশেষ আদালত। আগামী ১৯ জানুয়ারি মামলার পরবর্তী শুনানি।

    ফের জেল হেফাজতে ‘বীরভূমের বাঘ’ 

    বুধবারেই হাইকোর্টে খারিজ হয়েছে অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mondal) জামিনের আবেদন। শুধু আবেদন খারিজই নয়, পর্যবেক্ষণে যে সব কড়া বাক্য বিচারপতিরা লিখেছেন তাতে ভবিষ্যতে তাঁর জামিনের সম্ভাবনা কমই রয়েছে। ফলে আজও তাঁকে ফের জেলে পাঠানে হবে, তা আগে থেকেই জানা ছিল। ফলে হলও তাই, ১৯ জানুয়ারি পর্যন্ত ‘বীরভূমের বাঘ’কে ফের জেল হেফাজতে পাঠালেন বিচারক। এদিন অনুব্রতর আইনজীবীকে তাঁর জামিনের আবেদনের পরিবর্তে ভোলে ব্যোম রাইস মিলের অ্যাকাউন্ট ডি ফ্রিজের আবেদন করতে দেখা যায়।

    এদিন আসানসোল সংশোধনাগার থেকে সকাল ১১টা নাগাদ আসানসোল বিশেষ সিবিআই আদালতে নিয়ে যাওয়া হয় অনুব্রতকে (Anubrata Mondal)। আজ আদালতে অনুব্রতর কোনও অনুগামীকেই দেখা যায়নি। সাধারণত আদালতে নিয়ে আসলে কিছু অনুগামীদের দেখা যায়। কিন্তু আজকের দৃশ্য পুরোটাই উল্টো ছিল। আদালত চত্বর ছিল শুনশান। শুনানি শেষ হতেই অনুব্রতকে নিয়ে জেলের উদ্দেশে রওনা হয় গাড়ি। এই প্রথম এমন দৃশ্য দেখা গেল আসানসোল আদালতে।

    আরও পড়ুন: নতুন বছরেও জেলেই অনুব্রত! জামিনের আবেদন খারিজ করল হাইকোর্ট

    সিবিআইকে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি

    কেষ্টকে (Anubrata Mondal) জেল হেফাজতে পাঠানোর পাশাপাশি এদিন বিচারক রাজেশ চক্রবর্তী নির্দেশ দিয়েছেন, সিবিআই আধিকারিকরা চাইলে তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতিকে সকাল ৮টা থেকে সন্ধ্যা ৬টার মধ্যে সংশোধনাগারে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারবে। সিবিআইয়ের তরফে সংশোধনাগারে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের আবেদন জানানো হয়েছিল। সেই আবেদনে সাড়া দিয়ে এই অনুমতি দিয়েছে আদালত। আরও জানা গিয়েছে, বিচারকের কাছে নতুন কেস ডায়েরি জমা দেয় সিবিআই। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার তরফে জানানো হয়, চার নম্বর চার্জশিট জমা দেওয়ার পর ৪৮ জন সাক্ষীর বয়ান পাওয়া গিয়েছে। এই মামলার পরবর্তী শুনানি ১৯ জানুয়ারি।

    সায়গলেরও ১৪ দিনের জেল হেফাজত

    আবার অন্যদিকে, এদিন অনুব্রতের প্রাক্তন দেহরক্ষী সায়গল হোসেনকেও একই মেয়াদে জেল হেফাজতে পাঠানো হয়েছে। তিহার জেল থেকে ভার্চুয়ালি আসানসোল বিশেষ সিবিআই আদালতে পেশ করা হয় তাঁকে। সায়গল হোসেন বিচারককে জানান, এখানে খুব ঠান্ডা। তাই তাঁকে আসানসোলে সশরীরে হাজিরা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হোক। বিচারক জানান, এ বিষয়ে আলাদাভাবে আবেদন করতে হবে। আবেদনের পর দু’পক্ষের সওয়াল জবাব শুনে নেওয়া হবে পরবর্তী সিদ্ধান্ত। এর পর সায়গল হোসেনকেও ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক।

LinkedIn
Share