Author: নিমাই দে

  • Mann Ki Baat: ‘মাস্ক পরুন, সতর্ক থাকুন’, বছর শেষের ‘মন কি বাতে’ দেশবাসীকে বার্তা প্রধানমন্ত্রীর

    Mann Ki Baat: ‘মাস্ক পরুন, সতর্ক থাকুন’, বছর শেষের ‘মন কি বাতে’ দেশবাসীকে বার্তা প্রধানমন্ত্রীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রবিবার, বড়দিনে চলতি বছরের শেষ মন কি বাত (Mann Ki Baat) অনুষ্ঠান করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। এদিন ছিল ৯৬তম মন কি বাত অনুষ্ঠান। বক্তব্যের শুরুতেই দেশবাসীকে বড়দিনের শুভেচ্ছা জানান প্রধানমন্ত্রী। এর পরেই করোনা নিয়ে দেশবাসীকে সতর্ক থাকারও পরামর্শ দেন তিনি। দেশবাসীকে মাস্ক পরে থাকা এবং বারবার হাত ধোয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। তিনি আরও জানিয়েছেন, উৎসবের মরশুমে আনন্দ করলেও করোনা নিয়ে সকলকে সতর্ক থাকতে হবে।

    করোনা নিয়ে সতর্কবার্তা প্রধানমন্ত্রীর

    এদিন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Mann Ki Baat) বলেন, “অনেক দেশেই ফের নতুন করে কোভিড সংক্রমণ বৃদ্ধি পাচ্ছে। আমাদের তাই সতর্ক থাকতে হবে। সব প্রতিরোধমূলক পদক্ষেপ নিতে হবে।” এর পরেই তিনি কোভিড থেকে বাঁচতে ভারতবাসীকে মাস্ক পরতে এবং হাত ধোয়ার কথা জানান। তিনি আরও বলেন, “আপনারা দেখতে পাচ্ছেন যে বিশ্বের অনেক দেশেই করোনা বাড়ছে, তাই আমাদের মাস্ক পরতে হবে এবং হাত ধোয়ার মত সতর্কতামূলক পদক্ষেপ নিতে হবে। আমরা যদি সজাগ থাকি, তাহলে আমরা নিরাপদে থাকব এবং আমাদের উৎসবে কোনও বাধা আসবে না।”

    আরও পড়ুন: ‘ভারত দ্রুত এগোচ্ছে’, বছরের শেষ মন কি বাতে জানালেন প্রধানমন্ত্রী

    করোনা রুখতে আয়ুর্বেদ ও যোগার উপর ভরসা রাখার বার্তা মোদির

    প্রসঙ্গত, গত কয়েকদিন ধরেই ভারতে থাবা বসিয়েছে করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট। ভারতের একাধিক রাজ্যে পাওয়া গিয়েছে সেই বিএফ.৭। করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্টের ফলে হু হু করে বাড়ছে করোনা সংক্রমণ। ফলে এই পরিস্থিতিতে প্রধানমন্ত্রী মোদি (Mann Ki Baat) দেশবাসীকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়েছেন। আবার করোনা রুখতে আয়ুর্বেদ ও যোগার উপর ভরসা রাখার বার্তা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, “করোনার বিরুদ্ধে মোকাবিলার জন্য আয়ুর্বেদে বিশ্বাস রাখুন।”

    এর পর আজ নিজের বক্তব্যের (Mann Ki Baat) শেষে সকলকে বর্ষবরণের শুভেচ্ছা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “পরের বার, আমরা ২০২৩ সালে দেখা করব। আমি আপনাদের সকলকে ২০২৩ সালের জন্য শুভকামনা জানাই। এই বছরটিও দেশের জন্য বিশেষ হয়ে উঠুক। ভারত নতুন উচ্চতায় ছুঁতে থাকুক। একসঙ্গে আমাদের একটি রেজোলিউশন নিতে হবে ও এটিকে সত্যি করে তুলতে হবে।”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Sushant Singh Rajput: সুশান্তের চোখে ঘুষির দাগ, দেহের একাধিক হাড় ভাঙা! বিস্ফোরক দাবি মর্গকর্মীর

    Sushant Singh Rajput: সুশান্তের চোখে ঘুষির দাগ, দেহের একাধিক হাড় ভাঙা! বিস্ফোরক দাবি মর্গকর্মীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২ বছর কেটে গেল, তবে সুশান্তের মৃত্যুর কারণ এখনও ধোঁয়াশায়। তবে এই ঘটনায় এবারে এল এক নতুন মোড়। একের পর এক বিস্ফোরক দাবি করেই চলেছেন কুপার হাসপাতালের মর্গকর্মী রূপকুমার শাহ। তাঁর দাবি, সুশান্ত আত্মহত্যা করেননি, তাঁকে খুন করা হয়েছে। তাঁর মৃতদেহ দেখে তাই মনে হয়েছিল শাহের। কারণ, অভিনেতার দেহে অনেক আঘাতের চিহ্ন ছিল।

    ১৪ জুন, ২০২০ সালে অসংখ্য ভক্তের মন ভেঙে দিয়ে চিরকালের জন্য বিদায় নিয়েছিলেন বলিউডের অভিনেতা সুশান্ত সিং রাজপুত (Sushant Singh Rajput)। তরুণ অভিনেতার অকাল মৃত্যুর কারণ এখনও অজানা। চলছে সিবিআই তদন্ত। সুশান্তের মৃত্যুর কারণ নিয়ে এমনিতেই বিতর্ক লেগেই রয়েছে। আর এবারে মর্গকর্মী এমন বিস্ফোরক দাবি করে বিতর্ককে আরও উস্কে দিলেন।

    সুশান্তের মৃত্যুতে বিস্ফোরক দাবি মর্গকর্মীর

    বান্দ্রার ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার করা হয় সুশান্ত সিং রাজপুতের (Sushant Singh Rajput) ঝুলন্ত দেহ। এর পর ময়নাতদন্তের জন্য তাঁর মৃতদেহ নিয়ে আসা হয় কুপার হাসপাতালে। সেই কুপার হাসপাতালের মর্গের এক কর্মী রূপকুমার শাহ জানিয়েছেন, তাঁদের কাছে যখন সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃতদেহ আসে, তখন তা দেখে তাঁর মনে হয়নি যে, সেটি আত্মহত্যার ঘটনা। প্রয়াত অভিনেতার চোখে ঘুষি মারার মত আঘাতের চিহ্ন ছিল। মনে হয়েছিল, চোখে বারবার ঘুঁষি মারা হয়েছে। শুধু তাই নয়, চোখের পাশের হাড়ও ভাঙা ছিল অভিনেতার। শরীরের একাধিক হাড় ভাঙা ছিল সুশান্তের। তাঁর গলায় ফাঁসির চিহ্নও রয়েছে এবং দেখে মনে হয়েছিল তাঁকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে।

    আরও পড়ুন: যেসব বলি-তারকাদের ডেবিউ হয়েছিল ছোটপর্দায়

    তিনি আরও জানিয়েছেন, তিনি ময়নাতদন্ত দলের নেতৃত্বে থাকা ডাক্তারদের মনে করতে পারছেন না। কারণ সে সময় করোনার জন্য সবাই মাাস্ক ও কোভিড কিট পরেছিলেন। তাই তাদের ভালোমত দেখতে পারেননি শাহ। তিনি বলেছেন,  “আমি ময়নাতদন্ত দলের অংশ ছিলাম কিন্তু তখন ময়নাতদন্ত দলের নেতৃত্বে কে ছিলেন তা আমার মনে নেই।”

    রূপকুমার শাহকে জিজ্ঞেস করা হয়, তিনি কেন ২০২০ সালেই এই কথাগুলো বলেননি। তখন তিনি জানিয়েছেন, সে সময়কার মহারাষ্ট্রের উদ্ধব ঠাকরে সরকারের প্রতি বিশ্বাস ছিল না তাঁর এবং তাই তিনি কিছু বলেননি। তিনি বলেন, “আমি এখন এজেন্সিগুলোর সামনে আমার বক্তব্য রেকর্ড করতে প্রস্তুত। আমি আমার নিরাপত্তার কথা চিন্তা করি না, তবে সুশান্ত সিং রাজপুতের বিচার হওয়া উচিত।”

    বিহারের প্রাক্তন ডিরেক্টর-জেনারেল অফ পুলিশের বক্তব্য

    অন্যদিকে রূপকুমার শাহের দাবির প্রতিক্রিয়ায়, বিহারের প্রাক্তন ডিরেক্টর-জেনারেল অফ পুলিশ গুপ্তেশ্বর পান্ডেও চাঞ্চল্যকর দাবি করেছেন। সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যুর মামলার তদন্ত দলের দায়িত্বে ছিলেন গুপ্তেশ্বর পান্ডে। তিনি বলেছেন, “তদন্তের সময় মুম্বই পুলিশ বিহার থেকে পাঠানো অফিসারদের দলকে সহযোগিতা করেনি। পুরো পরিস্থিতি তদন্ত করার জন্য একটি বিশেষ তদন্ত দল (এসআইটি)ও গঠন করা হয়েছিল। কিন্তু তাদের প্রতি মুম্বই পুলিশদের আচরণ ভালো ছিল না। তখনই আমি বিশ্বাস করেছিলাম যে তারা কিছু লুকিয়ে রেখেছে। একজন আইপিএস অফিসারকে পাঠানো হয়েছিল যাকে গৃহবন্দী করে রাখা হয়েছিল।” তাই পান্ডের বিশ্বাস, মহারাষ্ট্রের বর্তমান সরকারের আমলে আসল সত্যিটা (Sushant Singh Rajput) বেরিয়ে আসবে।

  • Kolkata Weather: আজও তাপমাত্রা ২০ ডিগ্রির উপরে, বর্ষবরণে কেমন থাকবে কলকাতার আবহাওয়া?

    Kolkata Weather: আজও তাপমাত্রা ২০ ডিগ্রির উপরে, বর্ষবরণে কেমন থাকবে কলকাতার আবহাওয়া?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কুয়াশার চাদরে ঢেকেছে রাজ্য। কলকাতাতেও কুয়াশা। সূত্রের খবর অনুযায়ী, বুধরাত ভোররাতে কলকাতার কয়েকটি জায়গায় বিক্ষিপ্ত বৃষ্টিও হয়েছে। আর এদিকে বছর শেষের দিকে, তবুও পারদ ঊর্ধ্বমুখী। সব মিলিয়ে আবহাওয়ার খামখেয়ালি আচরণ ক্রমশই লাগামছাড়া হয়ে উঠছে। আজও কলকাতায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২০ ডিগ্রির উপরে। আজ সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২০.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। স্বাভাবিকের থেকে ৭ ডিগ্রি বেশি। গতকাল তাপমাত্রা ছিল ২০.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এর আগে ২০০৪ সালে ২১ শে ডিসেম্বর সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২০.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তবে মঙ্গলবার সর্বনিম্ন তাপমাত্রার ১৮ বছরের রেকর্ড ভেঙে গিয়েছে কলকাতায়। ডিসেম্বরের শেষ, তবুও নেই ঠান্ডা। ফলে শহরবাসী শীতের অপেক্ষায়। তবে হাওয়া অফিস শীত নিয়ে খুশির খবর দিয়েছে। ইঙ্গিত, আজ থেকেই হতে পারে আবহাওয়ার বিশাল পরিবর্তন।

    কলকাতার আবহাওয়া

    আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, আজ থাকবে আংশিক মেঘলা আকাশ। ভোররাতে কলকাতার কয়েকটি জায়গা থেকে বৃষ্টি হওয়ার খবর পাওয়া গিয়েছে। কুয়াশা থাকার সম্ভাবনাও রয়েছে। সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রা থাকতে পারে ২৯ ও ২০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশেপাশে। এদিন কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২০.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা স্বাভাবিকের থেকে ৭ ডিগ্রি বেশি। ক্রমাগত তাপমাত্রা বৃদ্ধি হয়েই চলেছে। তবে আবহবিদরা জানিয়েছেন, আজ থেকেই তাপমাত্রা কমার সম্ভাবনা রয়েছে। বর্ষবরণে জাঁকিয়ে শীত না পড়লেও শীতের আমেজ ফিরবে।

    আরএমসি কলকাতার ওয়েবসাইট অনুযায়ী, ৩১ ডিসেম্বর কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা থাকতে পারে ১৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস, সর্বোচ্চ তাপমাত্রা থাকতে পারে ২৫ ডিগ্রি। ১ জানুয়ারি সর্বনিম্ন তাপমাত্রা থাকতে পারে ১৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস, সর্বোচ্চ তাপমাত্রা থাকতে পারে ২৭ ডিগ্রি। ২ জানুয়ারি সর্বনিম্ন তাপমাত্রা থাকতে পারে ১৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস, সর্বোচ্চ তাপমাত্রা থাকতে পারে ২৬ ডিগ্রি। এবং ৩ জানুয়ারি সর্বনিম্ন তাপমাত্রা থাকতে পারে ১৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস, সর্বোচ্চ তাপমাত্রা থাকতে পারে ২৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

    আবহাওয়ার পরিস্থিতি এমন কেন?

    আবহাওয়া অফিস জানাচ্ছে, উচ্চচাপের কারণে জলীয় বাষ্পের অতিরিক্ত প্রবেশের ফলেই আবহাওয়ার এই পরিবর্তন। আবহবিদরা এর আগেই বলেছিলেন, উত্তুরে হাওয়া বাধা পাওয়ার পাশাপাশি, দক্ষিণা বাতাস ঢুকতে শুরু করায় জলীয় বাষ্প তৈরি হওয়ার কারণে কয়েকদিন ধরেই তাপমাত্রা বাড়ছে। তবে বুধবার দুপুরের পর থেকেই রাজ্যে হাওয়া বদল হবে। আবহাওয়া দফতর জানায়, বৃহস্পতিবার থেকে ফের নামবে পারদ। বছর শেষে কনকনে ঠান্ডা না থাকলেও, ফিরবে শীতের আমেজ।  

  • Birbhum: অনুব্রত-গড়ে ভাঙন! তৃণমূল ছেড়ে শুভেন্দুর সভায় বিজেপিতে যোগ কেষ্টর ডেপুটির

    Birbhum: অনুব্রত-গড়ে ভাঙন! তৃণমূল ছেড়ে শুভেন্দুর সভায় বিজেপিতে যোগ কেষ্টর ডেপুটির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গরু পাচার মামলায় অভিযুক্ত তৃণমূলের দাপুটে নেতা অনুব্রত মণ্ডল রয়েছেন জেলে। আর অন্যদিকে তাঁরই গড়ে ভাঙন! দল ছাড়লেন তাঁর ঘনিষ্ঠ এক নেতা। এদিন সকালেই তৃণমূল ছেড়ে গেরুয়া শিবিরে যোগ দিয়েছেন অনুব্রত ঘনিষ্ঠ তৃণমূলের এই নেতা। আর বিকালেই তাঁকে দেখা গেল বীরভূমের (Birbhum) নলহাটিতে শুভেন্দু অধিকারীর সভায়। এখানে বলা হচ্ছে, অনুব্রত ঘনিষ্ঠ বিপ্লব ওঝার কথা। দলের প্রতি ক্ষোভ, অভিমান উগরে দিয়ে তৃণমূল ছাড়লেন বিপ্লব ওঝা। শুধু তাই নয়, দল ছাড়ার দু-তিন ঘণ্টার মধ্যেই সভার মঞ্চে শুভেন্দুর একটি আসন পরেই বসে থাকতে দেখা গেল বিপ্লব ওঝাকে। আর এই নিয়েই রাজ্য রাজনীতিতে শোরগোল পড়ে গিয়েছে।  

    বিজেপির পতাকা তুলে নিলেন তৃণমূলের বিপ্লব ওঝা

    আজ, মঙ্গলবার সকালে তৃণমূলের বিরুদ্ধে অভিমান ও ক্ষোভ উগরে দিয়ে দল ছাড়েন জেলা সহ সভাপতি তথা জেলা পরিষদ সদস্য বিপ্লব ওঝা। আবার এদিনই শুভেন্দু অধিকারীর সভা ছিল বীরভূম (Birbhum) জেলার নলহাটিতে। আর তাঁকে সেখানকার সভাতেই উপস্থিত থাকতে দেখা গেল। এর পরেই বিজেপিতে যোগদানের সমস্ত জল্পনা সত্যি হয়ে গেল।

    এদিন বিপ্লব ওঝা দাবি করেন, গত একবছর ধরে দলের কাছে তিনি ব্রাত্য। দল কোনও কর্মসূচিতে তাঁকে ডাকে না। তার মধ্যে অনুব্রত মণ্ডলও জেলে। দলের কাছে তাঁর কোনও দাম নেই। আর এ সবের কারণেই তাঁর দলত্যাগ। তিনি দল ছাড়ার পর বলেন, “এই মুহূর্তে বলতে পারি, তৃণমূলের সংস্পর্শ ত্যাগ করছি। বিগত এক বছর ধরে আমি দেখছি যে তৃণমূল আমার সম্পর্কে একটা অন্য মনোভাব পোষণ করছে। মিটিং, মিছিল কোনও কর্মসূচিতে আমাকে ডাকা হয় না। আমাকে বাদ রেখেই কাজ করছে। দীর্ঘদিন অপেক্ষা করে সিদ্ধান্ত নিলাম।”

    বিপ্লবকে স্বাগত জানান শুভেন্দু অধিকারী

    মঙ্গলবার বিকেলে বীরভূমের (Birbhum) নলহাটিতে শুভেন্দুর সভায় গিয়ে বিজেপিতে যোগদান করেন বিপ্লব। শুভেন্দু অধিকারীর একটি আসন পরে একেবারে প্রথমের সারিতে তিনি বসেছিলেন। শুভেন্দু অধিকারীর হাত থেকে তিনি পতাকা তুলে নেন। তাঁকে পুষ্পস্তবক দিয়ে স্বাগত জানান স্বয়ং শুভেন্দু অধিকারী।

    কে এই বিপ্লব ওঝা?

    একসময় বীরভূম (Birbhum) জেলা কংগ্রেসের রামপুরহাট ১ নম্বর ব্লক সভাপতি ছিলেন বিপ্লব ওঝা। এরপর ২০০৭ সালে নলহাটি পুরসভার চেয়ারম্যান হন তিনি। ২০০৯ বীরভূম লোকসভায় তৃণমূলের টিকিটে সাংসদ শতাব্দী রায় জেতার পরেই ওই সালে প্রথম সমস্ত কাউন্সিলর নিয়ে তৃণমূলে যোগদান করেন বিপ্লব ওঝা। গোটা রাজ্যের মধ্যে সেই সময় একমাত্র নলহাটি পুরসভা তৃণমূলের প্রথম দখলে আসে। পরবর্তী সময়ে তিনিই নলহাটি পুরসভার চেয়ারম্যান হন। এরপর নলহাটি বিধানসভা উপনির্বাচনে তৃণমূলের প্রার্থী করা হয়েছিল বিপ্লববাবুকে। কিন্তু বামফ্রন্টের কাছে পরাজিত হন তিনি। পরবর্তীকালে তৃণমূলের টিকিটে জেলা পরিষদের সদস্য হন। কিন্তু তাঁকে কোনও পদে রাখা হয়নি। এর পর বছরখানেক ধরে দলে ব্রাত্য করে রাখা হয় বলে জানিয়েছেন বিপ্লববাবু নিজেই। আর এতেই তাঁর এমন সিদ্ধান্ত। 

     
  • Calcutta High Court: প্রাথমিকের নিয়োগ প্রক্রিয়ায় ফের বিলম্ব! পার্শ্বশিক্ষক মামলায় রিপোর্ট তলব হাইকোর্টের

    Calcutta High Court: প্রাথমিকের নিয়োগ প্রক্রিয়ায় ফের বিলম্ব! পার্শ্বশিক্ষক মামলায় রিপোর্ট তলব হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগে ফের জটিলতা। পার্শ্বশিক্ষক নিয়োগ সংক্রান্ত মামলার ফলে প্রাথমিকের শিক্ষক নিয়োগে ফের বাধা পড়তে পারে বলে মনে করছেন পরীক্ষার্থী সহ শিক্ষা মহল। কারণ পার্শ্বশিক্ষক নিয়োগ সংক্রান্ত মামলায় প্রাথমিকে নিয়োগ নিয়ে রিপোর্ট তলব করল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। সোমবার বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত এবং বিচারপতি অপূর্ব সিংহ রায়ের ডিভিশন বেঞ্চ এই নিয়োগ প্রক্রিয়ার স্ট্যাটাস রিপোর্ট তলব করেছে। আগামী ১০ জানুয়ারির মধ্যে ডিভিশন বেঞ্চে এই রিপোর্ট জমা দিতে হবে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদকে। ফলে নতুন মামলার জন্য প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়ায় ফের দেরি হতে পারে , এমনটাই আশঙ্কা করা হচ্ছে।

    কী এই নতুন মামলা?

    গত ২১ নভেম্বর, কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় নির্দেশ দেন, প্রাথমিক এবং উচ্চ প্রাথমিকের পার্শ্বশিক্ষকরা প্রাথমিকের নিয়োগ পরীক্ষায় বসতে পারবেন। এই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করেই ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হন প্রাথমিকের কয়েক জন পার্শ্বশিক্ষক। তাঁদের বক্তব্য, ওই নির্দেশের ফলে প্রতিযোগিতা আরও বাড়বে এবং প্রাথমিকের পার্শ্বশিক্ষকদের সুযোগ কমবে। কেন উচ্চ প্রাথমিকের পার্শ্বশিক্ষকদের প্রাথমিকে সুযোগ দেওয়া হবে, সেই প্রশ্ন তোলেন কিছু পরীক্ষার্থী। এই নিয়ে সোমবার হাইকোর্ট কোনও নির্দেশ দেয়নি। পার্শ্বশিক্ষকরা ডিভিশন বেঞ্চের দারস্থ হলেই হাইকোর্ট সাফ জানিয়ে দেয়, প্রাথমিকের বর্তমান নিয়োগ প্রক্রিয়া কোন জায়গায় দাঁড়িয়ে এবং কী পদ্ধতিতে এগিয়েছে, তা নিয়ে রিপোর্ট দিতে হবে পর্ষদকে।

    আরও পড়ুন:কেন্দ্রের বরাদ্দের বছর পার, এখনও শেষ হল না রাজ্যের করোনা প্রস্তুতি

    পর্ষদের তরফে কী বলা হল?

    নিয়োগ প্রক্রিয়ার স্ট্যাটাস রিপোর্ট হাইকোর্ট (Calcutta High Court) তলব করার পর পর্ষদ থেকে জানানো হয়, এই মামলার পরবর্তী শুনানির দিন পর্যন্ত নিয়োগ নিয়ে তারা চূড়ান্ত কোনও পদক্ষেপ নেবে না। আর পর্ষদের এমন সিদ্ধান্তের ফলেই নিয়োগ প্রক্রিয়ায় ফের বিলম্ব হতে পারে বলে মনে করছেন টেট পরীক্ষার্থীরা।

    প্রসঙ্গত, টেট নিয়োগ নিয়ে নানা দুর্নীতি সামনে আসায় গত পাঁচ বছর ধরে রাজ্যে টেট পরীক্ষা বন্ধ ছিল। সেই দুর্নীতির সিবিআই তদন্ত চলছে। এই আবহেই এ বছর টেট পরীক্ষা হল। গত ১১ ডিসেম্বর অত্যন্ত কড়া ব্যবস্থার মাধ্যমে পরীক্ষা নেওয়া হয়েছে। ফলে প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়া কোনদিকে মোড় নেয়, তারই অপেক্ষায় পরীক্ষার্থী।

  • West Bengal Weather: উষ্ণতম ডিসেম্বর! কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রাই ২০ ডিগ্রির উপর!

    West Bengal Weather: উষ্ণতম ডিসেম্বর! কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রাই ২০ ডিগ্রির উপর!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তাপমাত্রা বৃদ্ধি জারি। পারদ ঊর্ধ্বমুখী হয়ে পৌঁছে গেল ২০ ডিগ্রিরও উপরে। আবহবিদরা জানিয়েছেন, আজ উষ্ণতম ডিসেম্বর। এমন গরম শীতকালে গত কয়েক বছরে পড়েনি। এর আগে ২০০৪ ও ২০১৩ সালের ডিসেম্বরে তাপমাত্রা ২০ ডিগ্রির উপরে উঠেছিল। ২০১৩ সালে ২৪ ডিসেম্বর সর্বোচ্চ তাপমাত্রা হয়েছিল ২৯.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ২৬ ডিসেম্বর সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ২৮.৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর ২০০৪ সালে ২১  ডিসেম্বর সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২০.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এদিন কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২০.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ফলে কবে ফিরবে শীতের আমেজ, কবে পড়বে কনকনে ঠান্ডা, তারই অপেক্ষায় শহরবাসী (West Bengal Weather)।

    কলকাতার আবহাওয়া

    আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, এদিন থাকবে আংশিক মেঘলা আকাশ। সকালের দিকে কুয়াশা ছিল। সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রা থাকতে পারে ২৯ ও ২০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশেপাশে। এদিন কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২০.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা স্বাভাবিকের থেকে ৭ ডিগ্রি বেশি। সোমবার ছিল ২০.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। শনিবার এই তাপমাত্রা ছিল ১৪.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। অর্থাৎ ৪৮ ঘন্টায় তাপমাত্রা বেড়েছে ছয় ডিগ্রির মত। এদিন আপেক্ষিক আর্দ্রতা সর্বোচ্চ ৯৬ শতাংশ (West Bengal Weather)।

    আরও পড়ুন: শহরে উধাও শীত! ঘূর্ণাবর্তের জেরে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা বাড়ল ৬ ডিগ্রিরও বেশি!

    উত্তরবঙ্গ ও দক্ষিণবঙ্গের আবহাওয়া

    আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, ২৮ ডিসেম্বর বুধবার সকালের মধ্যে উত্তরবঙ্গের সবকটি জেলার আবহাওয়া শুকনো থাকবে। তবে ২৯ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার সকালের মধ্যে দার্জিলিং ও কালিম্পং জেলার কোনও কোনও জায়গায় হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। বাকি জেলাগুলির আবহাওয়া শুষ্ক থাকবে। আবার কোনও কোনও জায়গায় হালকা থেকে মাঝারি কুয়াশা থাকতে পারে। আর বুধবার থেকে পরপর ৩-৪ দিন তাপমাত্রা ২-৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মত কমে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

    ২৯ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার সকালের মধ্যে দক্ষিণবঙ্গেরও সর্বত্র আবহাওয়া শুকনো থাকবে। আগামী ২৪ ঘণ্টায় গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গের জেলাগুলির কোনও কোনও জায়গায় হালকা থেকে মাঝারি কুয়াশা থাকতে পারে। এরপর বুধবার থেকে পরপর ৩-৪ দিন তাপমাত্রা ২-৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মত হ্রাস পেতে পারে, সূত্রের খবর অনুযায়ী। এই মুহূর্তে রাজ্যে রয়েছে দক্ষিণ পশ্চিমী বায়ু, যা বঙ্গোপসাগর থেকে প্রচুর পরিমাণে আর্দ্রতা নিয়ে আসছে। যার জেরে বাড়ছে তাপমাত্রা (West Bengal Weather)। 

    ফের কবে শীত?

    ২৯-৩১ ডিসেম্বর নাগাদ তথা বর্ষশেষের সময় কলকাতার তাপমাত্রা ১৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস বা তারও নিচে নামতে পারে বলে পূর্বাভাস হাওয়া অফিসের। আগামীকাল থেকেই ফের উত্তর-পশ্চিম বায়ুর প্রভাব বাড়বে। যার ফলে আবারও তাপমাত্রা নামতে শুরু করবে বলে জানাচ্ছেন আবহাওয়াবিদরা। 

  • Shahid Afridi: পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডে ফের বদল! প্রধান নির্বাচক হলেন শাহিদ আফ্রিদি

    Shahid Afridi: পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডে ফের বদল! প্রধান নির্বাচক হলেন শাহিদ আফ্রিদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাকিস্তান ক্রিকেটের প্রধান নির্বাচক হলেন শাহিদ আফ্রিদি (Shahid Afridi)। শনিবার তাঁকে এই দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। রামিজ রাজার জায়গায় দায়িত্বে ফেরার পরদিন থেকেই পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড ‘পুনর্গঠনে’ হাত দিয়েছেন নাজাম শেঠি। সরিয়ে দিয়েছিলেন প্রধান নির্বাচক মহম্মদ ওয়াসিমকে। গতকাল অন্তর্বর্তীকালীন প্রধান নির্বাচকের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে প্রাক্তন ক্রিকেটার শাহিদ আফ্রিদিকে। তাঁর সঙ্গে আব্দুর রজ্জার এবং রাও ইফতিকার অঞ্জুম মিলিয়ে তিন সদস্যের নির্বাচক কমিটি গড়া হয়েছে। আফ্রিদি সেই কমিটিরই প্রধান।

    পাকিস্তান পুরুষ জাতীয় দলের অন্তর্বর্তীকালীন প্রধান নির্বাচক

    পিসিবির প্রাক্তন চেয়ারম্যান রামিজ রাজাকে সরিয়ে নাজম শেঠি দায়িত্ব নেওয়ার পরেই আনা হয়েছে একাধিক পরিবর্তন। পিসিবির তরফে তাঁদের অফিসিয়াল ট্যুইটার হ্যান্ডেল থেকে ট্যুইট করে জানানো হয়েছে, ‘পিসিবির ম্যানেজমেন্ট কমিটি প্রাক্তন পাকিস্তান অধিনায়ক শাহিদ আফ্রিদিকে (Shahid Afridi) অন্তর্বর্তীকালীন নির্বাচক প্রধান হিসেবে নির্বাচন করা হয়েছে। পুরুষ জাতীয় সিনিয়র দলের নির্বাচক মন্ডলীর অন্য সদস্যরা হলেন আব্দুর রজ্জার এবং রাও ইফতিকার অঞ্জুম। কনভেনার হবেন হারুন রশিদ।’

    আরও পড়ুন: নিজের অটোগ্রাফ দেওয়া জার্সি বিসিসিআই সাধারন সম্পাদক জয় শাহকে পাঠালেন মেসি

    নাজম শেঠি বলেন, “শাহিদ আফ্রিদি আক্রমণাত্মক ক্রিকেটার ছিলেন। কোনও ভয় ছাড়াই আজীবন ক্রিকেট খেলেছেন। ২০ বছরের অভিজ্ঞতা রয়েছে। সব ধরণের ফরম্যাটে সাফল্য রয়েছে। তার থেকেও বড় কথা, বরাবর তরুণ প্রতিভাকে উৎসাহ দিয়ে এসেছেন। আধুনিক ক্রিকেটের যে চ্যালেঞ্জ, সেটা সামলানোর জন্য আফ্রিদির থেকে ভাল কেউ এই মুহূর্তে নেই। আমি আত্মবিশ্বাসী যে নিজের ভাবনা এবং জ্ঞানের সাহায্যে পাকিস্তানের সেরা এবং যোগ্যতম ক্রিকেটারদের দলে বেছে নেবেন আফ্রিদি। পরের সিরিজে যাতে সাফল্য পাওয়া যায়, সে ব্যাপারেও অবদান রাখবেন।”

    এই দায়িত্ব পাওয়ার পর শাহিদ (Shahid Afridi) বলেন, “পাকিস্তান বোর্ড আমাকে এই দায়িত্ব দেওয়ায় আমি সম্মানিত বোধ করছি। দায়িত্ব পালনের ব্যাপারে কোনও খামতি রাখব না। জয়ের রাস্তায় ফেরার ব্যাপারে কোনও সন্দেহ নেই। আশা করি জাতীয় দল আগামী দিনে সাফল্য পাবে।” প্রসঙ্গত, নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে ঘরের মাঠে সিরিজ খেলবে পাকিস্তান। সেই সিরিজের দল পর্যালোচনা করে দেখাই প্রধান কাজ হতে চলেছে আফ্রিদির। মাঠে সাহসী ক্রিকেট খেলা আফ্রিদিকে আরও একবার সাহসিকতার পরিচয় দিতেই প্রধান নির্বাচকের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন পিসিবির প্রধান নাজাম শেঠি।

  • National Education Policy: ভবিষ্যৎমুখী শিক্ষাব্যবস্থা তৈরি করা হচ্ছে ভারতে, নতুন শিক্ষানীতি সম্পর্কে জানালেন প্রধানমন্ত্রী

    National Education Policy: ভবিষ্যৎমুখী শিক্ষাব্যবস্থা তৈরি করা হচ্ছে ভারতে, নতুন শিক্ষানীতি সম্পর্কে জানালেন প্রধানমন্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নতুন জাতীয় শিক্ষানীতি (National Education Policy) নিয়ে আজ একাধিক মন্তব্য করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। “দেশ প্রথমবারের মত এমন একটি শিক্ষাব্যবস্থা তৈরি করেছে, যা দূরদৃষ্টি সম্পন্ন এবং ভবিষ্যৎমুখী।” এমনটাই বললেন প্রধানমন্ত্রী মোদি। ভারতকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য দেশের শিক্ষা ব্যবস্থাকে উন্নত করার উপর জোর দিতে বরাবরই দেখা গিয়েছে প্রধানমন্ত্রীকে। সেই কথাই আরও একবার শোনা গেল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির গলায়। শনিবার প্রধানমন্ত্রী বলেছেন নতুন জাতীয় শিক্ষানীতির (NEP) মাধ্যমে দেশে প্রথমবারের মত একটি দূরদর্শী এবং ভবিষ্যতমূলক শিক্ষাব্যবস্থা (Futuristic Education System) তৈরি করা হচ্ছে।

    নতুন শিক্ষানীতি নিয়ে আর কী বললেন প্রধানমন্ত্রী?

    এদিন রাজকোটের শ্রী স্বামীনারায়ণ গুরুকুলে দেশের ‘অমৃত মহোৎসব’র ৭৫ তম বর্ষ উপলক্ষে এক বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল। সেই অনুষ্ঠানে ভিডিও কনফারেন্সে যোগদান করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সেই ভিডিও কনফারেন্স থেকে তিনি জাতীয় শিক্ষানীতি (National Education Policy) সম্পর্কে বলেন। তিনি জানিয়েছেন, ২০১৪ সালের পর দেশে আইআইটি, আইআইএম এবং মেডিক্যাল কলেজের সংখ্যা উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। অর্থাৎ বিজেপি সরকার কেন্দ্রে ক্ষমতায় আসার পরেই জাতীয় শিক্ষানীতিতে বড় পরিবর্তন এসেছে। এদিন প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আপনারা ভাল করেই জানেন যে ভারতের উজ্জ্বল ভবিষ্যতের জন্য, আমাদের বিদ্যমান শিক্ষানীতি এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিকে বড় ভূমিকা পালন করতে হবে। তাই স্বাধীনতার এই অমৃত-কালে দেশের শিক্ষা পরিকাঠামো ও নীতির উন্নয়ন ঘটাতে আমরা প্রতিটি স্তরে কাজ করে যাচ্ছি।”

    আরও পড়ুন: কাশীর পর মথুরা! শাহি ইদগাহ মসজিদে সমীক্ষার নির্দেশ আদালতের

    তিনি আরও জানান, দেশে আজ আইআইটি, আইআইআইটি, আইআইএম এবং এইমসের মত বড় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা বেড়েছে। ২০১৪ সালের পর মেডিক্যাল কলেজের সংখ্যা ৬৫ শতাংশের বেশি বেড়েছে। এরপরই নতুন শিক্ষানীতি (National Education Policy) প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “দেশ প্রথমবারের মত এমন একটি শিক্ষা ব্যবস্থা তৈরি করেছে, যা দূরদৃষ্টি সম্পন্ন এবং ভবিষ্যৎমুখী।”

    গুরুকুল শিক্ষা ব্যবস্থার প্রশংসা করলেন মোদি

    এদিন নরেন্দ্র মোদি ভারতের প্রাচীন ‘গুরুকুল’ শিক্ষাব্যবস্থার কথা উল্লেখ করে তার প্রশংসা করলেন। তিনি জানান, সাধু ও আধ্যাত্মিক নেতারা দেশের হারানো গৌরব পুনরুজ্জীবিত করতে সাহায্য করেছেন। তিনি আরও বলেন, “দেশ যখন স্বাধীন হয়েছিল তখন ভারতের প্রাচীন গৌরব এবং শিক্ষার ক্ষেত্রে মহান গৌরবগুলি পুনরুদ্ধার করা আমাদের দায়িত্ব ছিল। কিন্তু দাস মানসিকতার ফলে সরকার সেদিকে তাকায়নি এবং কিছু কিছু ক্ষেত্রে তারা উল্টো দিকে চলে গিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে আবার আচার্য এবং সাধুরা নতুন করে দায়িত্ব নিয়ে সেই কাজ করতে শুরু করেছেন। তারই একটি উদাহরণ শ্রী স্বামীনারায়ণ গুরুকুল।”

    প্রধানমন্ত্রী আজ স্বামীনারায়ণ গুরুকুলের কাছে বিশেষ আবেদনও করেছেন। তিনি বলেন, “প্রতিবছর যেন গুরুকুল থেকে ১০০ থেকে ১৫০ জন স্বেচ্ছাসেবক অন্তত ১৫ দিনের জন্য উত্তর-পূর্বের রাজ্যগুলিতে পাঠানো হয় এবং সেখানকার যুবকদের সঙ্গে দেখা করে নিজেদের পরিচয় দিয়ে তাঁদের সম্পর্কে যেন লেখে।”

  • J&K: মাদক পাচার রোধে বড়সড় সাফল্য কাশ্মীর পুলিশের, গ্রেফতার ৫ পুলিশকর্মী সহ ১৭

    J&K: মাদক পাচার রোধে বড়সড় সাফল্য কাশ্মীর পুলিশের, গ্রেফতার ৫ পুলিশকর্মী সহ ১৭

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মাদক পাচার রোধে বড়সড় সাফল্য পেল জম্মু-কাশ্মীর (J&K) পুলিশ। সীমান্তরক্ষী বাহিনীর পাশাপাশি মাদক পাচারের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করেছে জম্মু-কাশ্মীরের পুলিশও। যার ফলে মাদক চক্র ফাঁস করল সে রাজ্যের পুলিশ আধিকারিকরা। ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ১৭ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। যার মধ্যে রয়েছেন ৫ পুলিশকর্মী। শুক্রবার কাশ্মীরের কুপওয়ারা জেলার নিয়ন্ত্রণ রেখার কাছে থেকে এদের গ্রেফতার করেছে পুলিশ। 

    মাদক পাচার রোধে সাফল্য

    সূত্রের খবর অনুযায়ী, পাকিস্তান থেকে মাদক কাশ্মীরে (J&K) নিয়ে আসা হচ্ছিল। কুপওয়ারার সিনিয়র সুপারিটেন্ডেন্ট অফ পুলিশ (SSP) ইয়োগল কুমার মানহাস বলেন, “আমরা মাদক পাচারের বিরুদ্ধে অভিযান চালাচ্ছি। এদিনই মাদক পাচারের অভিযোগে ১৭ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। যার মধ্যে পাঁচ পুলিশকর্মী, এক দোকানদার, এক রাজনৈতিক নেতা এবং এক কন্ট্রাক্টার রয়েছে।” আরও জানানো হয়েছে, এদের কুপওয়ারা এবং বারামুল্লা জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

    পুলিশের দেওয়া একটি বিবৃতিতে বলা হয়েছে, গোপন সূত্রের ভিত্তিতে একটি পোলট্রি দোকানের মালিককে তার বাড়ি থেকে কিছু মাদকসহ আটক করা হয়। ওয়াসিম নামক ওই ব্যক্তি স্বীকার করে যে, সে মাদক ব্যবসায়ীদের একটি বড় গ্রুপের অংশ। এর পরেই বিভিন্ন জেলায় তার কিছু সহযোগীদের নাম প্রকাশ করে সে। পরবর্তীকালে সেই জেলা জুড়ে বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালানো হয় এবং আরও ১৬ জনকে গ্রেফতার করা হয়।

    সূত্রের খবর অনুযায়ী, কুপওয়ারা পুলিশের বিভিন্ন দল, এসএইচও মহম্মদ রফিক লোন এবং ডিওয়াইএসপি খাদিম হুসেনের নেতৃত্বে ও ডিওয়াইএসপি সদর রশিদ ইউনিসের তত্ত্বাবধানে এই অভিযানটি চালানো হয়। এখনও পর্যন্ত দু’কিলো হিরোইন উদ্ধার হয়েছে বলে দাবি তদন্তকারীদের। জম্মু-কাশ্মীরে মাদকের কারবার রীতিমত পুলিশের কাছে চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছিল। কড়া নিরাপত্তার আড়ালেই চলে এই কারবার। অনেক ক্ষেত্রে ড্রোনের মাধ্যমেও চলছে ড্রাগ পাচার। ফলে ড্রাগ ট্রাফিকিংয়ের ক্ষেত্রে এবারে ১৭ জনকে গ্রেফতার করায় বড়সড় সাফল্য পেল কাশ্মীর পুলিশ। 

  • Harry & Meghan: ডকুমেন্টরি ‘হ্যারি অ্যান্ড মেগান’-এ দেখানো ক্যালিফোর্নিয়ার বাড়িটি বিক্রি করা হবে কত টাকায়, জানেন?

    Harry & Meghan: ডকুমেন্টরি ‘হ্যারি অ্যান্ড মেগান’-এ দেখানো ক্যালিফোর্নিয়ার বাড়িটি বিক্রি করা হবে কত টাকায়, জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ওটিটি প্ল্যাটফর্ম নেটফ্লিক্সে বহু প্রতীক্ষিত ‘হ্যারি অ্যান্ড মেগান’ (Harry & Meghan) নামক ডকুমেন্টরি সম্প্রতি মুক্তি পেয়েছে। যেটির মাধ্যমে রাজপরিবারের বিভিন্ন অজানা গল্প তুলে ধরা হয়েছে। তবে আজ আলোচনার বিষয়টি হল, ক্যালিফোর্নিয়ার যেই বাড়িটিতে এই ডকুমেন্টরি শ্যুট করা হয়েছে, তা দেখতে অস্বাভাবিক সুন্দর। আর যার সৌন্দর্য নজর কেড়েছে দর্শকদের। সূত্রের খবর অনুযায়ী, এই বাড়িটি বিক্রি করার জন্য রাখা হয়েছে। আর এটির দাম রাখা হয়েছে আকাশছোঁয়া। জানা গিয়েছে, এই বাড়িটি এখন ৩৩.৫ মিলিয়ন ডলারে বিক্রি হতে চলেছে। উল্লেখ্য, এই বাড়িটিতে কিন্তু প্রিন্স হ্যারি ও মেগান থাকেন না। এই বাড়িটিতে শুধুমাত্র ডকুমেন্টরিই শ্যুট করা হয়েছিল।

    ক্যালিফোর্নিয়ার বিলাসবহুল বাড়ি…

    সূত্রের খবর অনুযায়ী, ক্যালিফোর্নিয়ার (Harry & Meghan) এই বিলাসবহুল বাড়িটির মালিকের নাম মার্ক শুলহফ, যিনি একজন ব্যবসায়ী। ২০১৩ সালে তিনি ১৪.৬ মিলিয়ন ডলারে বাড়িটি কিনেছিলেন। বাড়িটি শুধু সুন্দরই নয়, এতে রয়েছে অত্যাধুনিক সুযোগ-সুবিধাও। ২ একরেরও বেশি জায়গা জুড়ে এই বাড়িটি তৈরি করা হয়েছে। এই বাড়িটিতে কি নেই! বাড়িটি প্রাসাদের থেকে কম কিছু নয়। এতে ছটি বেডরুম, সাতটি বাথরুম, একটি জিম, একটি থিয়েটার, একটি বার, একটি গেম রুম, একটি মেডিটেশন রুম এবং একটি পুল রয়েছে। এখানে গ্যারেজের পাশাপাশি একটি জেনারেটর, সৌর শক্তি এবং জলের সেচ ব্যবস্থা সহ বিভিন্ন প্রযুক্তিগত সুবিধাও রয়েছে৷ বেশ কয়েকটি ভাস্কর্য সহ একটি বিশাল বড় ডাইনিং রুমও রয়েছে।

    আরও পড়ুন: রাজপরিবারের সঙ্গে ক্রিসমাস উদযাপন করবেন না প্রিন্স হ্যারি ও মেগান মার্কেল! কী এমন হল?

    উল্লেখ্য, ১২,৮০৪ ফুটের বাড়িটি ২০০৬ সালে তৈরি করা হয়েছিল ও এটি তৈরি করেছিলেন ডন নল্টি এবং জেএফ ব্রেনান এবং নাতাশা বারাদারন। সান্তা বারবারা ব্রোকারস ও রিস্কিন পার্টনারস গ্রুপের ভিলেজ প্রপার্টিজের রায়ান মালমস্টেন এই প্রাসাদের মত বাড়িটিকে বিক্রির জন্য তালিকাভু্ক্ত করেছে (Harry & Meghan)।

    প্রসঙ্গত, প্রিন্স হ্যারি ও মেগান (Harry & Meghan) মার্কেল বর্তমানে মন্টেসিটোর একটি বাড়িতে থাকেন। এটি ২০২০ সালে তৈরি করতে প্রায় ১৫ মিলিয়ন ডলার লেগেছিল।

LinkedIn
Share