Author: নিমাই দে

  • Shah Rukh Khan: কিং খান-এর নাম সর্বকালের সেরা ৫০ অভিনেতার তালিকায়!

    Shah Rukh Khan: কিং খান-এর নাম সর্বকালের সেরা ৫০ অভিনেতার তালিকায়!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এমনিতেই তাঁকে ‘বাদশা’ বলা হয় না। তাঁর অ্যাক্টিং স্কিল, স্ক্রিন প্রেজেন্স থেকে শুরু করে তাঁর বিনয়ী স্বভাব, তাঁর ব্যক্তিত্বের জন্য তিনি অচিরেই হয়ে উঠেছেন গ্লোবাল সুপারস্টার। তাই তিনি শুধু বলিউডের নন, সারা পৃথিবীর মানুষের কাছেই ‘বাদশা’। আর তাঁরই প্রমাণ পাওয়া গেল ফের একবার। পৃথিবীর সেরা ৫০ অভিনেতার তালিকায় নাম তুলে নিলেন একমাত্র ভারতীয় অভিনেতা ও সবার প্রিয় শাহরুখ খান। ‘এম্পায়ার ম্যাগাজিন’-এর তরফে দুনিয়ার কিছু সেরা, এবং চিরস্মরণীয় নাম এই তালিকায় রাখা হয়েছে। আর এবারে এটিতে জায়গা করে নিয়েছেন কিং খানও।

    পৃথিবীর সেরা ৫০ অভিনেতার তালিকায় বাদশার নাম

    সম্প্রতি, সোশ্যাল মিডিয়ায় এম্পায়ার ম্যাগাজিন প্রকাশ করে সেরা ৫০-এর তালিকা। এ যাবৎ সর্বকালের সেরা ৫০ অভিনেতাকে বেছে নেওয়া হয়েছে। সাধারণ মানুষের ভোটেই তৈরি হয়েছে সেই তালিকা। আর সেখানে বেছে নেওয়া হয়েছে শাহরুখকে। ভারতীয় অভিনেতাদের মধ্যে শুধু তাঁর নামই রয়েছে এই তালিকায়। আর অন্য কোনও ভারতীয় অভিনেতা-অভিনেত্রীর এই তালিকায় নাম আসেনি। এছাড়াও এই তালিকায় নাম রয়েছে আল প্যাসিনো, লিওনার্দো ডিক্যাপ্রিও, মার্লন ব্র্যান্ডো, ডেনজেল ওয়াশিংটন, টম ক্রজ, ফ্লোরেন্স পাগ, টম হ্যাঙ্কস, কেট উইন্সলেট সহ আরও অনেকের।

    আরও পড়ুন: সোশ্যাল মিডিয়ায় সংকীর্ণ মানসিকতা প্রকাশ পায়! ‘পাঠান’ বিতর্কে মুখ খুললেন শাহরুখ খান

    শাহরুখের সেরা কিছু কাজের উল্লেখ

    এই লিস্টে বাদশাহের একাধিক সেরা কাজের কথাও উল্লেখ করা হয়েছে। এর মধ্যে আছে ‘কুছ কুছ হোতা হ্যায়’ ছবি থেকে রাহুল খান্নার চরিত্র, সঞ্জয় লীলা বনসালির ‘দেবদাস’ থেকে দেবদাস মুখোপাধ্যায়, আশুতোষ গোয়ারিকরের ‘স্বদেশ’ ছবি থেকে মোহন ভার্গব- এর চরিত্র, করণ জোহরের ‘মাই নেম ইজ খান’ থেকে রিজওয়ান খান-এর চরিত্র ইত্যাদি। আবার এই তালিকায় কিং খানের একাধিক ডায়লগের কথাও উল্লেখ করা হয়েছে। এর মধ্যে আছে, ‘জব তক হ্যায় জান’ ছবির ‘জীবন প্রতিদিন আমাদের একটু একটু করে মারে। আর বোমা একেবারে’ ডায়লগটি।

    উল্লেখ্য, দীর্ঘ ৪ বছর কিং খান তাঁর নতুন ছবি ‘পাঠান’ নিয়ে আগামী বছর বড়পর্দায় ফিরতে চলেছেন। এই ছবিটির পরিচালনা করেছেন সিদ্ধার্থ আনন্দ। তাঁর সঙ্গে দীপিকা পাডুকোন এবং জন আব্রাহামকে এই ছবিতে দেখা যাবে। ফলে তাঁকে আবার বড় পর্দায় দেখতে অপেক্ষায় বসে রয়েছেন তাঁর অনুরাগীরা।

  • Ajanta Circus: দু’বছর পর কলকাতার বুকে ফের ফিরে এল ঐতিহ্যবাহী অজন্তা সার্কাস

    Ajanta Circus: দু’বছর পর কলকাতার বুকে ফের ফিরে এল ঐতিহ্যবাহী অজন্তা সার্কাস

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এক সময় শীত মানেই ছিল সার্কাস। কিন্তু মোবাইলের যুগে সেসব এখন সব অতীত। বন্য প্রাণী সংক্রান্ত নানা বিধিনিষেধের কারণে এখন সার্কাসে পশুপাখি বলতে রয়েছে কিছু ম্যাকাও পাখি ও কুকুর৷ বিদেশি জিমন্যাস্টরাও নেই। ফলে সার্কাসে আগের মতন দর্শক আসে না। নেই তেমন জৌলুসও। তার পর করোনার দাপটে দুবছর সার্কাস বন্ধ ছিল। তবে এসবের পরেও কিছু চমক নিয়ে ফের হাজির হয়েছে সার্কাসের দল৷ ৫০ বছর ধরে মানুষের মনোরঞ্জন করা অজন্তা সার্কাস (Ajanta Circus) ফিরে এল কলকাতার বুকে। কোভিড মহামারীর জন্য বন্ধ ছিল সার্কাসের দরজা, কিন্তু এবারে নতুন আকর্ষণীয় খেলা নিয়ে ফিরে এসেছে তারা।

    ফের অজন্তা সার্কাস কলকাতার বুকে

    অজন্তা সার্কাস (Ajanta Circus) ভারতের অন্যতম জনপ্রিয় সার্কাস, যা ৫০ বছর ধরে মানুষদের মনোরঞ্জন দিয়ে আসছে। আগের মত তেমন জাঁকজমক না থাকলেও মানুষ একেবারেই ভুলে যায়নি সার্কাসকে। কোভিডের জন্য দুবছর সার্কাস বন্ধ থাকলেও ফের হাতেগোনা দর্শক নিয়ে শুরু হল অজন্তা সার্কাস৷ নিজেদের ঐতিহ্যকে এখনও ধরে রেখেছে তারা।

    অজন্তা সার্কাসের ম্যানেজার কী বললেন?

    অজন্তা সার্কাসের (Ajanta Circus) ম্যানেজার সুজিত ঘোষ সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছেন, সার্কাস বর্তমান প্রজন্মের কাছে আগের মত জনপ্রিয় নয়, প্রাণীর ব্যবহারে বিভিন্ন বিধি নিষেধের কারণে সার্কাসটি প্রথমে তার জনপ্রিয়তা হারায়। তারপর আসে মহামারী, যার ফলে সার্কাসের অনেক ক্ষতি হয়। বাইশ বছর ধরে সার্কাসের সঙ্গে যুক্ত সুজিত ঘোষ বলেন, “সার্কাস শোতে বন্যপ্রাণী ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা ও শ্রম আইনের কঠোরতার কারণে আমাদের সার্কাস আগের মত দর্শকদের আকর্ষণ করে না। এছাড়াও কোভিড ১৯-এর বিধি নিষেধের কারণে আন্তর্জাতিক শিল্পীরা আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেননি। তবে আমরা তাদের এখন ভিসা ও পাসপোর্টের ব্যবস্থা করার প্রক্রিয়া আবার শুরু করেছি এবং তাঁরা খুব শীঘ্রই ফিরে আসবেন। তিনি আরও বলেন, “কোভিডের পরে সার্কাস ফিরিয়ে আনা আমাদের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ ছিল। কিন্তু কলকাতা লোকেদের এখনও আমাদের শোগুলির জন্য অনেক আগ্রহ রয়েছে। তারা সার্কাসে আসছেন এবং আগের মত উপভোগ করছেন। আমরা আশা করি, আগামী দিনে ভালো ব্যবসা করতে পারব।” 

    তিনি টিকিটের ও শো টাইমের ব্যাপারেও বলেছেন। তিনি জানিয়েছেন, টিকিটের দাম রাখা হয়েছে ১০০-৪০০ টাকা। তাঁরা আবার অনলাইনে টিকিট বুক করার ব্যবস্থাও চালু করেছে, যাতে দর্শকদের লাইনে দাঁড়িয়ে কষ্ট করতে না হয়। গত একমাস ধরে এই অজন্তা সার্কাস(Ajanta Circus) চলবে৷ শুরু হবে দুপুর ১টা থেকে৷ শেষ হবে সন্ধ্যে ৭ টা পর্যন্ত৷ দিনে দুটো-তিনটে শো-এ তাদের সার্কাস চলছে৷ কোভিড পরিস্থিতি কাটিয়ে বিপুল দর্শকের আশাবাদী সার্কাস কর্মীরা৷

  • Money Laundering Case: ইডির নজরে কলকাতা টিভির কর্ণধার, ছ’টি জায়গায় ফের তল্লাশি অভিযান

    Money Laundering Case: ইডির নজরে কলকাতা টিভির কর্ণধার, ছ’টি জায়গায় ফের তল্লাশি অভিযান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কলকাতা টিভির কর্ণধার কৌস্তুভ রায়ের বাড়িতে তল্লাশি অভিযানের পর ফের কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার হানা ৬টি জায়গায়। আর্থিক তছরুপ মামলায় (Money Laundering Case) আরপি ইনফোসিস্টেম লিমিটেড এবং কলকাতা টিভির মালিক কৌস্তুভ রায় সম্পর্কিত ছয়টি জায়গায় অনুসন্ধান চালিয়েছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। এর আগে ইডির তদন্তকারীরা কলকাতা টিভির মালিক কৌস্তুভ রায়ের বাড়িতে ঢুকে তল্লাশি চালিয়েছিলেন। এরপর একই মামলায় আরও ৬টি জায়গায় তল্লাশি অভিযান চালানো হয়।

    ইডির তল্লাশি অভিযান

    এদিন তল্লাশি অভিযানের সময় ইডির তদন্তকারীরা বেশ কিছু অপরাধমূলক নথি এবং ইলেকট্রনিক গ্যাজেট জব্দ করেছে। কৌস্তুভ রায় এবং তাঁর সংস্থাগুলির বিরুদ্ধে সিবিআই দুটি এফআইআর দায়ের করার ভিত্তিতে ইডি আর্থিক তছরুপের মামলা (Money Laundering Case) নথিভুক্ত করেছে। কৌস্তুভ রায়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে যে, তিনি কানাড়া ব্যাঙ্কের নেতৃত্বাধীন ব্যাঙ্কগুলির কনসোর্টিয়ামের সঙ্গে প্রতারণা করেছেন। সূত্রের খবর অনুযায়ী, এখনও পর্যন্ত ইডির তদন্ত চলাকালীন, ২২.৬৭ কোটি টাকার সম্পত্তির হদিশ পাওয়া গিয়েছে। ইডি সূত্রে খবর, এই আর্থিক প্রতারণা মামলায় তদন্ত এখনও করে চলেছে ইডির তদন্তকারীরা।

    আরও পড়ুন: “আপনার মক্কেল এত ভিআইপি যে…”, কেষ্টর জামিন মামলায় বললেন বিচারপতি

    প্রসঙ্গত, এর আগে ২০১৮ সালে ব্যাঙ্ক প্রতারণা মামলায় (Money Laundering Case) গ্রেফতার হয়েছিলেন কৌস্তুভ রায়। আর পি গ্রুপের কর্ণধার কৌস্তুভ রায়কে গ্রেফতার করেছিল সিবিআই। তাঁর বিরুদ্ধে ৫১৫ কোটি টাকা জালিয়াতির অভিযোগ রয়েছে। কৌস্তুভের সঙ্গেই গ্রেফতার করা হয়েছে শিবাজি পাঁজাকেও।

    কৌস্তুভ ও শিবাজির বিরুদ্ধে ঋণ নিয়ে প্রতারণার মামলা দায়ের করে কানাড়া ব্যাঙ্ক-সহ ১০টি ব্যাঙ্ক। ওই অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করেছিল সিবিআই। বেশ কয়েকবার কৌস্তুভ রায়ের বাড়িতে ও অফিসে তল্লাশি চালানো হয়। একাধিকবার জিজ্ঞাসাবাদের জন্য কৌস্তুভ রায় ও শিবাজি পাঁজাকে তলবও করে সিবিআই। কিন্তু তাঁদের জবাবে সন্তুষ্ট হতে পারেনি কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। আর পি কর্ণধার কৌস্তুভ রায়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ, বিভিন্ন সময়ে ভুয়ো নথি দেখিয়ে ব্যাঙ্ক থেকে ঋণ নিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু তারপরে ঋণ শোধ করেননি আর পি গ্রুপের কর্ণধার। এরপর তিনি জামিনও পেয়ে যান। কিন্তু সিবিআইয়ের পর এবারে ফের ইডির নজরে কৌস্তুভ রায় (Money Laundering Case)।

  • Menaka Gambhir: রক্ষাকবচের মেয়াদ শেষ অভিষেকের শ্যালিকা মেনকার, হস্তক্ষেপ করল না হাইকোর্ট

    Menaka Gambhir: রক্ষাকবচের মেয়াদ শেষ অভিষেকের শ্যালিকা মেনকার, হস্তক্ষেপ করল না হাইকোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee) শ্যালিকা মেনকা গম্ভীরের (Menaka Gambhir) বিদেশ যাওয়ার আবেদন খারিজ করল কলকাতা হাইকোর্ট। শুক্রবার কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তবের ডিভিশন বেঞ্চ তাঁর এই আর্জি খারিজ করে দেয়। সুতরাং সিঙ্গল বেঞ্চ যে নির্দেশ দিয়েছিল, সেটাই বহাল রাখল প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। বিদেশ যাওয়ার অনুমতি চেয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন মেনকা গম্ভীর। কারণ তাঁর মা অসুস্থ। আর এই কারণ দেখিয়ে ব্যাংকক যাওয়ার অনুমতি চেয়েছিলেন তিনি।

    আরও পড়ুন: হঠাৎ মধ্যরাতে আইনজীবীকে নিয়ে ইডি দফতরে হাজির মেনকা গম্ভীর! কেন?

    রক্ষাকবচের মেয়াদ শেষ মেনকার

    কয়লা পাচার মামলায় ইডির জিজ্ঞাসাবাদের তালিকায় রয়েছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee) শ্যালিকা মেনকা (Menaka Gambhir)। মেনকা গম্ভীরকেও ইডি কয়লা পাচার মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডেকে পাঠিয়েছিল দিল্লিতে। ইডির নির্দেশ পাওয়া মাত্রই মেনকা গম্ভীর দারস্থ হন কলকাতা হাইকোর্টের। এবং সেই মামলার শুনানিতে বিচারপতি মৌসুমী ভট্টাচার্যের সিঙ্গেল বেঞ্চের তরফ থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল ইডির আঞ্চলিক অফিস কলকাতাতেই জিজ্ঞাসাবাদ করতে হবে মেনকা গম্ভীরকে। পাশাপাশি মেনকার বিরুদ্ধে কোনরকম কড়া পদক্ষেপ নেওয়া যাবে না বলে নির্দেশ দিয়েছিল হাইকোর্ট। ফলে নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত তাঁর স্বস্তি ছিল। কিন্তু আজকের দিনে মেনকা গম্ভীরের কোনও রক্ষাকবচ নেই।

    হাইকোর্টের দেওয়া রক্ষাকবচের মেয়াদ অনেক আগেই শেষ হয়ে গিয়েছে। সিঙ্গল বেঞ্চের নোটিশের ওপর ভিত্তি করেই এদিন হাইকোর্টে বিদেশযাত্রার আবেদন করেন অভিষেকের শ্যালিকা (Menaka Gambhir)। কিন্তু সেই আবেদন খারিজ হয়ে যায় প্রকাশ শ্রীবাস্তবের ডিভিশন বেঞ্চেও। মেনকা ভারতীয় নাগরিক না হয়েও নিজেকে ভারতীয় নাগরিক ঘোষণা করে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। এছাড়াও ইডির আবেদনে আপাতত হস্তক্ষেপ করল না হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। উল্লেখ্য, সেই রক্ষাকবচ খারিজের দাবিতেই হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল ইডি। তবে জানা গিয়েছে, মেনকা নতুন করে সিঙ্গল বেঞ্চেই আবেদন করতে পারবেন এবং সেখানেই মামলাটি খারিজ করতে হবে। ফলে আদালত না খোলা পর্যন্ত স্বস্তি পেল মেনকা (Menaka Gambhir)।

  • Anubrata Mondal: “আপনার মক্কেল এত ভিআইপি যে…”, কেষ্টর জামিন মামলায় বললেন বিচারপতি

    Anubrata Mondal: “আপনার মক্কেল এত ভিআইপি যে…”, কেষ্টর জামিন মামলায় বললেন বিচারপতি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গরু পাচার মামলায় এখনই জামিন মিলল না অনুব্রতের (Anubrata Mondal)। বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের ঠাঁই হয়েছে এখন দুবরাজপুর থানায়। শিবঠাকুরের দায়ের করা অভিযোগের পরে তাঁকে বর্তমানে রাখা হয়েছে দুবরাজপুরে। আজ, গরু পাচার মামলায় হাইকোর্টে অনুব্রতের জামিনের মামলা ছিল। আর সেই মামলার শুনানিতেই শিবঠাকুরের দায়ের করা অভিযোগের কেস ডায়েরি চায় কলকাতা হাইকোর্ট। বিচারপতি জয়মাল্য বাগচীর ডিভিশন বেঞ্চের নির্দেশ, অনুব্রতের বিরুদ্ধে রাজ্য পুলিশে যে মামলা হয়েছে, তার কেস ডায়েরি জমা দিতে হবে। এছাড়াও এদিন বিচারপতি জয়মাল্য বাগচী অনুব্রতকে কটাক্ষ করে ‘ভিআইপি’ তকমা দিয়েছেন।

    কী ঘটেছে হাইকোর্টে?

    আজ হাইকোর্টে অনুব্রতের (Anubrata Mondal) জামিন মামলা ছিল। কিন্তু এই মামলার শুনানিতে জামিন তো দূরের কথা, বিচারপতি কেষ্টর বিরুদ্ধে নতুন মামলার কেস ডায়েরি চেয়ে বসলেন। একই সঙ্গে আসানসোল বিশেষ আদালতের বিচারকের হুমকি পাওয়ায় যে অভিযোগ উঠেছিল, সে কথা ফের মনে করিয়ে দিলেন বিচারপতি। সে বিষয়ে রাজ্য কী তদন্ত করেছে, সেটাও জানতে চায় আদালত। ফলে আজ শুনানি শেষে জামিনের মামলা আরও পিছিয়ে গেল। পরবর্তী শুনানি হবে ৩ জানুয়ারি।

    আরও পড়ুন: উত্তরপত্র ফাঁকা, তবু প্রাপ্ত নম্বর ৫৩! এসএসসি-এর বিকৃত ওএমআর শিট প্রকাশ হতেই চক্ষু চড়কগাছ

    এদিন বিচারপতি প্রশ্ন করেন, কেন অনুব্রত (Anubrata Mondal) মামলায় সব নথি সিবিআইয়ের তদন্তকারীদের হাতে জমা করা হয়নি। এই মর্মে তিনি অনুব্রত মণ্ডলকে শুক্রবার ৫টা পর্যন্ত সময় দিয়েছেন। এর মধ্যে মামলা সংক্রান্ত সমস্ত নথি কেন্দ্রীয় তদন্তকারী এজেন্সির হাতে জমা করতে বলেছেন বিচারপতি জয়মাল্য বাগচী।

    বিচারপতি কেষ্টর আইনজীবীকে কী বললেন?

    অনুব্রতর (Anubrata Mondal) হয়ে আদালতে লড়েছেন আইনজীবী কপিল সিব্বল। তিনি এদিন আদালতকে জানান, নতুন মামলায় রাজ্য পুলিশ কেষ্টকে গ্রেফতার করেছে। তাঁকে বর্তমানে পুলিশি হেফাজতে রাখা হয়েছে। রাজ্য আগামী শুনানিতে কেস ডাইরি হাজির করবে বলে জানানো হয়। এরপরই কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি জয়মাল্য বাগচী মজা করে বলেন, “আপনার মক্কেল এত ভিআইপি, যে কেন্দ্র ও রাজ্য উভয় তাঁর বিরুদ্ধে তদন্ত করতে চায়। ভিআইপিদের ক্ষেত্রে এটা হয়। সবাই নজরে রাখে।” এছাড়াও বিচারপতি এদিন জানতে চান, আর নতুন করে কোনও মামলা অনুব্রতর বিরুদ্ধে দায়ের হয়েছে কি না, কোনও মামলা পেন্ডিং রয়েছে কি না, তাও জানতে চাওয়া হয়। ফলে এই সব সওয়াল-জবাবের পর নতুন মামলার কেস ডায়েরি চাওয়া হয় ও জামিন মামলা পিছিয়ে যায়।

  • Charles Sobhraj: জেলমুক্ত ‘বিকিনি কিলার’! ১৯ বছর পর নেপালের জেল থেকে বেরলেন চার্লস শোভরাজ

    Charles Sobhraj: জেলমুক্ত ‘বিকিনি কিলার’! ১৯ বছর পর নেপালের জেল থেকে বেরলেন চার্লস শোভরাজ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দীর্ঘ ১৯ বছর পর মুক্ত ‘বিকিনি কিলার’ চার্লস শোভরাজ (Charles Sobhraj)। নেপালের সুপ্রিম কোর্ট বুধবার তাঁর মুক্তির আবেদন মঞ্জুর করেছে। আর আজ, দেশটির সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মেনেই মুক্তি দিল একাধিক খুন, ধর্ষণ, লুটের ঘটনায় জেলখাটা ৭৮ বছরের এই কুখ্যাত ফরাসি নাগরিককে। ১৫ দিনের মধ্যেই তাঁকে দেশ থেকে বের করে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে আদালত।

    জেলমুক্ত ‘বিকিনি কিলার’

    কিছুদিন আগেই নেপালের সুপ্রিম কোর্টের কাছে মুক্তির জন্য আবেদন করেছিলেন চার্লস শোভরাজ (Charles Sobhraj)। সেই আবেদন মঞ্জুর করেছে বিচারপতি স্বপ্না প্রধান মাল্লা ও বিচারপতি তিল প্রশাস শ্রেষ্ঠার ডিভিশন বেঞ্চ। বয়স জনিত কারণেই এই ফরাসি সিরিয়াল কিলারের মুক্তির ঘোষণা করেছে নেপাল সুপ্রিম কোর্ট, সূত্রের খবর।

    আজ, নেপালের এক সংবাদমাধ্যমে জানা যায়, আজ শোভরাজ কাঠমান্ডু জেলের বাইরে বেরিয়ে পুলিশের গাড়িতে ওঠেন। গাড়িতে করে তাঁকে অজ্ঞাত গন্তব্যে নিয়ে যাওয়া হয়। সূত্রের খবর, শোভরাজের হৃদযন্ত্রের সমস্যা থাকায় এরপর তাঁকে গঙ্গালাল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তবে নেপালেই তাঁর অস্ত্রপচার হবে কি না, বা কবে শোভরাজ নেপাল ছেড়ে যাবেন, তা নিয়ে এখনও নির্দিষ্ট জবাব মেলেনি। এছাড়াও জানা গিয়েছে, বর্তমানে তাঁর পাসপোর্ট ও ভিসা পাওয়ার প্রক্রিয়ার চলছে। তাঁর আসল পাসপোর্ট শনাক্ত করার পরই ভিসা প্রক্রিয়া শুরু করতে পারে ফরাসি দূতাবাস।

    আরও পড়ুন: মুক্তি পেতে চলেছেন ‘বিকিনি কিলার’, জন্মসূত্রে ভারতীয় চার্লস শোভরাজ

    কী অভিযোগ ছিল চার্লসের বিরুদ্ধে?

    ‘বিকিনি কিলার’ ছাড়াও শোভরাজ (Charles Sobhraj) ‘দ্য স্প্লিটিং কিলার’ এবং ‘দ্য সারপেন্ট’ নামেও পরিচিত। দিল্লিতে ৩ পর্যটককে বিষ খাওয়ানোর দায়ে তিহার জেলেও দিন কেটেছে শোভরাজের। ১৯৮৬ সালে তিহার থেকেও পালাতে সক্ষম হয়েছিল চার্লস শোভরাজ। পরে অবশ্য গোয়া থেকে ফের তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। ১৯৯৭ সালে ভারত থেকে মুক্তি পেয়ে ফ্রান্সে গিয়েছিল শোভরাজ। পরে সেখান থেকে ২০০৩ সালে নেপালে ফিরলে তাঁকে ফের গ্রেফতার করা হয়েছিল। ১৯৭৫ সালে কাঠমান্ডুতে দুই পর্যটককে খুনের মামলায় শোভরাজকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়। এছাড়াও সাত-আটের দশকের গোড়ায় তাইল্যান্ড-সহ বিভিন্ন দেশে মহিলা পর্যটকদের মাদক খাইয়ে খুন করার অভিযোগ ছিল তাঁর বিরুদ্ধে। পুলিশের দাবি, জেরায় শোভরাজ ১২ জনকে খুনের কথাও স্বীকার করেন। যদিও দাবি, অন্তত ২০ জনের খুনে হাত রয়েছে তাঁর। কিন্তু পরে তিনি মুক্তির আবেদন করায় তা মঞ্জুর করে নেয় নেপালের সুপ্রিম কোর্ট। ফলে তিনি এখন মুক্ত।

  • Taliban Ban: মহিলাদের উচ্চশিক্ষায় নিষেধাজ্ঞা নিয়ে যুক্তি দিলেন তালিবানের উচ্চশিক্ষা মন্ত্রী

    Taliban Ban: মহিলাদের উচ্চশিক্ষায় নিষেধাজ্ঞা নিয়ে যুক্তি দিলেন তালিবানের উচ্চশিক্ষা মন্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আফগানিস্তানের (Afghanistan) ক্ষমতা দখলের পর থেকেই তালিবানরা জারি করে চলেছে একের পর এক ফতোয়া, কেড়ে নেওয়া হচ্ছে নারীদের অধিকার। মৌলবাদী শাসকদের আমলে খর্ব হচ্ছে মহিলাদের স্বাধীনতা। এবার গত মঙ্গলবার মহিলাদের উচ্চশিক্ষার উপরও অনির্দিষ্টকালের নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে তালিবান সরকার (Taliban Ban)। আর এই ফতোয়া ঘিরে উত্তাল গোটা বিশ্ব। ইতিমধ্যেই বৃহস্পতিবার এই সিদ্ধান্তের যুক্তি দিলেন তালিবানের উচ্চশিক্ষা মন্ত্রী নেদা মহম্মদ নাদিম।

    মহিলাদের উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা

    গত কয়েকমাস ধরেই একের পর এক নিষেধাজ্ঞা চাপানো হচ্ছিল মহিলাদের উপর। মিডল স্কুল ও হাই স্কুলে যাওয়াও নিষেধ করে দিয়েছে তালিবানরা (Taliban Ban)। একা রাস্তায় বেরনো থেকে স্বাধীনভাবে পোশাক পরা, শিক্ষা, পেশা বেছে নেওয়ার অধিকারও কেড়ে নেওয়া হয়েছে ধাপে ধাপে। আর এবারে মহিলাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে যাওয়াতেও নিষেধ করল তালিবানরা। এমনকী মুসলমান অধ্যুষিত দেশগুলিতেও এই সিদ্ধান্তকে ইসলাম বিরোধী, এমনকী ‘মানবিকতার বিরুদ্ধে অপরাধ’ বলেও দাবি করা হয়েছে। কিন্তু এত কিছু সত্ত্বেও নিজেদের সিদ্ধান্তে অনড় তালিবান সরকার।

    নিষেধাজ্ঞা নিয়ে যুক্তি দিলেন তালিবান উচ্চশিক্ষা মন্ত্রী

    যখন তালিবানদের এই সিদ্ধান্তে ক্ষোভে ফুঁসছে গোটা দেশ। আর সেখানেই এই সিদ্ধান্ত নিয়ে ব্যাখ্যা দিতে দেখা গেল তালিবানের উচ্চশিক্ষা মন্ত্রী নেদা মহম্মদ নাদিমকে। তিনি জানিয়েছেন, মহিলা পডুয়ারা সরকারের নিয়মবিধি অনুসরণ করছে না। পোশাকবিধি থেকে শুরু করে একাধিক নিয়ম ভঙ্গ করা হচ্ছে। সেই কারণেই আপাতত মহিলাদের উচ্চশিক্ষায় নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।

    “১৪ মাস কেটে গেলেও মহিলাদের উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে যে সব নিয়মগুলি রয়েছে তা মানা হচ্ছে না।” সম্প্রতি একটি সাক্ষাৎকারে এমনটাই বলেছেন নাদিম। তিনি আরও বলেন, “মহিলারা এমন পোশাকে বিশ্ববিদ্যালয় আসেন, দেখে মনে হয় যেন কোনও বিয়েবাড়িতে যাচ্ছেন। তাছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষা নিতে আসা মহিলারা বাধ্যতামূলকভাবে হিজাব পরার নিয়মও মানেন না।” নাদিম আরও জানিয়েছেন, বিজ্ঞানের মত বিষয় মহিলাদের জন্য নয়। তিনি বলেন, “ইঞ্জিনিয়ারিং, কৃষি সহ বেশ কিছু বিষয় মহিলাদের সম্মান ও মর্যাদার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়। আফগানিস্তানের সংস্কৃতিও তাই বলে।” এখানেই শেষ নয়, নাদিম আরও জানিয়েছেন, কর্তৃপক্ষ মহিলাদের শিক্ষার জন্য তৈরি মাদ্রাসাগুলিকেও বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে (Taliban Ban)।

    নিষেধাজ্ঞার পর আন্দোলন আফগান মহিলাদের

    গত বছরের অগাস্ট থেকে আফগানিস্তানের ক্ষমতায় রয়েছে তালিবান সরকার। তাঁরা ক্ষমতায় আসার পর একাধিকবার নারী অধিকার নিয়ে বিক্ষোভ হতে দেখা গিয়েছে। কিন্তু এবারই প্রথম বড় আকারে আন্দোলন হতে দেখা গেল কাবুলে। উচ্চশিক্ষায় নিষেধাজ্ঞার প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার কাবুলের রাস্তায় বিক্ষোভে সামিল হন মহিলারা। জমায়েত করেন কাবুল বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে। বিক্ষোভের সময় বেশ কয়েকজন আফগান মহিলাকে গ্রেফতার করে পুলিশরা। পরে তাঁদের কয়েকজনকে ছেড়ে দিলেও বাকিদের হেফাজতে নিয়েছে তালিবান পুলিশ।

  • Airport Security: আলাদা করে মোবাইল, চার্জার চেক করাতে হবে না বিমানবন্দরে, আসছে অত্যাধুনিক মেশিন

    Airport Security: আলাদা করে মোবাইল, চার্জার চেক করাতে হবে না বিমানবন্দরে, আসছে অত্যাধুনিক মেশিন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিমানবন্দরে ভিড় এড়াতে ও যাত্রীদের সুবিধার্থে একাধিক পদক্ষেপ নিল কর্তৃপক্ষ। বিমান বন্দরে বাড়ানো হল ডিসপ্লে বোর্ডের সংখ্যা, চেকিং মেশিন ও নিরাপত্তা চেকের ক্ষেত্রে অত্যাধুনিক মেশিন। বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এবার থেকে যাত্রীদের আলাদা করে মোবাইল ফোন, চার্জার, পাওয়ার ব্যাঙ্ক বের করে চেক করতে হবে না। খুব শীঘ্রই এমন মেশিন আসতে চলেছে যে, যার সাহায্যে ব্যাগের মধ্যে থেকেই ফোন, চার্জার চেক করা যাবে।

    ইলেকট্রনিকস ডিভাইস বের না করেই ব্যাগ চেক করার অত্যাধুনিক মেশিন

    এভিয়েশন সিকিউরিটি ওয়াচডগ, ব্যুরো অফ সিভিল এভিয়েশন সিকিউরিটি (বিসিএএস), এক মাসের মধ্যে একটি নির্দেশিকা জারি করতে চলেছে, যেখানে জানানো হবে, ইলেকট্রনিক ডিভাইস বের না করে ব্যাগ স্ক্রিন করার জন্য আধুনিক মেশিন ব্যবহার করা হবে এবং এটি খুব শীঘ্রই সব বিমানবন্দরে চালু করা হবে। এমন ধরণের মেশিন আমেরিকা ও ইউরোপের বিমানবন্দরগুলোতে ব্যবহার করা হয়।

    আরও পড়ুন: ‘ভিড়ে মাস্ক পরুন, বুস্টার ডোজ নিন’, চিনে করোনার বাড়বাড়ন্তর পরই পরামর্শ কেন্দ্রের

    কেন্দ্রীয় অসামরিক বিমান পরিবহন মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, তাদের লক্ষ্যই হল যাত্রীদের দ্রুত ও ভালোমত নিরাপত্তা দিয়ে তাঁদের যাত্রা সফল করা। বিমান পরিবহন মন্ত্রকের তরফে আরও জানানো হয়েছে, সমস্ত বড় বিমানবন্দর যেমন দিল্লি, মুম্বই, বেঙ্গালুরু এবং হায়দ্রাবাদে আগে এই অত্যাধুনিক মেশিনগুলো ইনস্টল করা হবে এবং এক বছরের মধ্যে অন্যান্য বিমানবন্দরে পৌঁছবে।

    প্রসঙ্গত, গত ১২ ডিসেম্বর দিল্লি বিমানবন্দরে ব্যাপক ভিড় হয়। ভিড়ের চোটে বহু যাত্রী নির্দিষ্ট সময়ে বিমান ধরতে ব্যর্থ হন। ভিড়ের একটি দৃশ্য সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়। নেটিজেনদের একাংশ ক্ষোভ প্রকাশ করে ভিড় নিয়ে তির্যক মন্তব্যও করেন। এই ঘটনায় নড়েচেড়ে বসে অসামরিক বিমান পরিবহণ মন্ত্রক। ঘটনার পর দিন দিল্লি বিমানবন্দর পরিদর্শনে যান মন্ত্রী জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া। আর সিন্ধিয়ার পরিদর্শনের পরেই তিনি জানিয়েছেন, টার্মিনাল ৩-এ আগামী দিনে আরও এক্স-রে মেশিন ও কর্মী মোতায়েনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইন্দিরা গান্ধী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ। এর পরেই ভিড় এড়াতে বিমাবন্দর কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি ও বিভিন্ন সমস্যা সমাধানে একগুচ্ছ পদক্ষেপ নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন মন্ত্রী।

  • Anubrata Mondal: “পাপ বাপকেও ছাড়ে না, তিহারে গিয়ে…”, কেষ্টর দিল্লি যাত্রা নিয়ে তীব্র কটাক্ষ সুকান্তর

    Anubrata Mondal: “পাপ বাপকেও ছাড়ে না, তিহারে গিয়ে…”, কেষ্টর দিল্লি যাত্রা নিয়ে তীব্র কটাক্ষ সুকান্তর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অবশেষে অনুব্রতকে (Anubrata Mondal) দিল্লিতে নিয়ে গিয়ে জেরা করার অনুমতি পেল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। সোমবার এমনই নির্দেশ দিল দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ আদালত। অনুব্রত মণ্ডলকে তিহার জেলে রেখে জেরা করা হবে। অনুব্রতর হয়ে আদালতে সওয়াল করেন তাঁর আইনজীবী কপিল সিব্বল। কিন্তু সেই সওয়াল কোনও কাজেই দিল না। কেষ্টকে যেতেই হচ্ছে দিল্লি। গতকাল রাউস অ্যাভিনিউ আদালত সবপক্ষের সওয়াল জবাব শোনার পর অনুব্রতকে দিল্লি নিয়ে গিয়ে জেরা করার অনুমতি দিয়েছে। আর এরপরেই বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার তীব্র আক্রমণ করলেন কেষ্টকে। তিনি বললেন, “অনেকদিন লোককে চরাম চরাম আর গুড় বাতাসা খাইয়েছেন। আসানসোল জেলে তো রাজার হালে ছিলেন। এবার একটু তিহার জেলের জল-হাওয়া খান।”

    আরও পড়ুন: অনুব্রতকে দিল্লি নিয়ে গিয়ে জেরা করতে পারবে ইডি, অনুমতি রাউস অ্যাভেনিউ আদালতের

    কেষ্টকে কড়া ভাষায় আক্রমণ সুকান্তর

    এই মুহূর্তে একাধিক মামলায় নাম জড়িয়েছে অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mondal)। একদিকে গরুপাচার মামলা অপরদিকে ভোট পরবর্তী মামলা। সবমিলিয়ে জেরবার অবস্থা। গতকাল গরুপাচার মামলায় দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ কোর্টে অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal) বড় ধাক্কা খেল। অনুব্রত মণ্ডলকে দিল্লি আনতে প্রোডাকশন ওয়ারেন্ট পেয়ে গিয়েছে ইডি। আর এর পরেই বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) দিয়েছেন মোক্ষম খোঁচা ‘বীরভূমের বাঘ’-কে (Anubrata Mondal) ।

    তিনি বলেছেন, “অনুব্রত মণ্ডল যে কাজ করেছেন তাতে তো ওনার তিহারেই যাওয়ার কথা। কতদিন আর পয়সা খরচ করে আটকে রাখবেন। তিহারে একটু বিহার করে আসুন কিছুদিন। এতদিন তো লোককে চড়াম চড়াম, গুড় বাতাসা অনেক কিছুই খাইয়েছেন। এবার তিহারের জল-বাতাস খেয়ে আসুন। পাপ বাপকেও ছাড়ে না। আমরা আগেই বলেছি, যত বড় চোর হোক বা যত বড় ধেড়ে ইঁদুর হোক কেউ ছাড়া পাবে না। এই অন্যায় যারা করেছে, গরুর টাকা, চাকরির টাকা, কয়লার টাকা খেয়েছে, জেলে যেতেই হবে।” 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • PM Awas Yojana: রাজ্য জুড়ে আবাস তালিকায় দুর্নীতি! বিজেপির প্রতিবাদ-বিক্ষোভে উত্তাল পুরুলিয়া-বাঁকুড়া

    PM Awas Yojana: রাজ্য জুড়ে আবাস তালিকায় দুর্নীতি! বিজেপির প্রতিবাদ-বিক্ষোভে উত্তাল পুরুলিয়া-বাঁকুড়া

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আবাস যোজনার (PM Awas Yojana) তালিকায় দুর্নীতির অভিযোগে দিকে দিকে প্রতিবাদে সরব হয়েছে বিজেপি।  জেলায় জেলায় আবাস প্রকল্পের তালিকা নিয়ে অভিযোগ উঠে আসছে, আর এই দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়তেই এবার পথে নামল বিজেপির কর্মীরা। গতকাল পুরুলিয়ার বেলকুঁড়ি এলাকায় এই বিক্ষোভে নেমে পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি শুরু হয় বিজেপির কর্মীদের। শুধুমাত্র পুরুলিয়া নয়, বাঁকুড়া, মুর্শিদাবাদ, মালদা সহ আরও অনেক জেলায় আবাস যোজনায় দুর্নীতির অভিযোগ উঠে এসেছে। এমনকি অভিযোগ উঠেছে, ঝাঁ চকচকে বাড়ি রয়েছে, এমন তৃণমূল নেতারও নাম রয়েছে আবাস যোজনার তালিকায়। আর এর ফলেই সাধারণ মানুষ সহ বিজেপির নেতা-কর্মীরা বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেছেন।

    পুরুলিয়ায় বিক্ষোভ

    পুরুলিয়া ১ নম্বর ব্লকের লাগদা গ্রাম পঞ্চায়েতের বেলকুঁড়ি ও চাকড়া গ্রামের বহু মানুষকে চক্রান্ত করে এই তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে, এই অভিযোগ তুলে তৃণমূল পরিচালিত লাগদা গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান শান্তবালা মাহাতোকে বেশ কিছুক্ষণ ঘেরাও করে রাখেন বিক্ষোভকারীরা। বিক্ষোভ দেখানো হয় বিডিও অফিসেও। এদিন বিডিও-র কাছে স্মারকলিপি জমা দেওয়ার কর্মসূচি নেয় বিজেপি। আর তা দিতে গিয়েই পুলিশি বাধার মুখে পড়েন বিজেপি কর্মীরা। এরপর বিজেপি কর্মীদের সঙ্গে ধস্তাধস্তিও শুরু হয়। বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ, গরীব মানুষদের তালিকা থেকে সরানো হয়েছে ও তার জায়গায় তৃণমূল নেতাদের নাম দেওয়া হয়েছে তালিকায়।

    বাঁকুড়ায় বিক্ষোভ

    বাঁকুড়াতেও সেই একই অভিযোগ। ফলে গতকাল বাঁকুড়ার রানিবাঁধের বিডিও অফিসে ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখান বিজেপি কর্মীরা। তাঁদের দাবি, সম্প্রতি প্রকাশিত আবাস যোজনার (PM Awas Yojana) তালিকায় ব্যাপক গরমিল রয়েছে। তাঁদের অভিযোগ, রানিবাঁধ ব্লকের পুড্ডি, বারিকুল, রাজাকাটা, রুদড়া, রাওতড়া-সহ মোট আটটি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার প্রতিটি গ্রামে প্রকৃত গৃহহীনদের নাম বাদ দিয়ে পাকা বাড়ির মালিকদের নাম তালিকায় রয়েছে। বিজেপি নেতার বক্তব্য, “যাদের তিন তলা, চার তলা বাড়ি রয়েছে, বাইক রয়েছে, তারাই বাড়ি পাচ্ছে। আসলে যাঁদের প্রয়োজন, তাঁরা পাচ্ছেন না।” ফলে এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিলে পরবর্তীতে আরও বৃহত্তর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিয়েছে বিজেপি।

    আবাস যোজনায় দুর্নীতির অভিযোগ বর্ধমানেও

    পূর্ব বর্ধমানের মেমারী ১ নম্বর ব্লকের দুর্গাপুর গ্রামপঞ্চায়েত এলাকার ঘটনা। সেখানে গ্রামবাসীদের অভিযোগ, তৃণমূল নেতার ঝাঁ চকচকে দোতলা বাড়ি। অথচ আবাস যোজনার (PM Awas Yojana) তালিকায় রয়েছে তাঁর মায়ের নাম। স্থানীয় তৃণমূল নেতা অভিজিৎ ভট্টাচার্যের বিরুদ্ধে স্বজন-পোষণের অভিযোগ তুলেছেন গ্রামবাসীরা। তাঁরা বলেন, পরিকল্পিতভাবে আবাস যোজনার তালিকা থেকে যোগ্য ব্যক্তিদের নাম বাদ দেওয়া হয়েছে।

    দক্ষিণ ২৪ পরগনায় অভিযোগ

    এখানেও একই অভিযোগ। দক্ষিণ ২৪ পরগনার সোনারপুরের প্রতাপনগর গ্রাম পঞ্চায়েতে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার (PM Awas Yojana) তালিকায় ফের স্বজন-পোষণের অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। প্রতাপনগরের গাড়াল অঞ্চলের তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্য সঞ্জয় নস্করের স্ত্রীর নাম রয়েছে আবাস-তালিকায়। অন্যদিকে তাঁর টাইলস বসানো দোতলা বাড়ি থাকলেও কী করে তাঁর নাম আবাস যোজনায় আসে, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে গ্রামবাসীরা।

    মুর্শিদাবাদে অভিযোগ

    প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার (PM Awas Yojana) সমীক্ষায় কারচুপির অভিযোগ তুলে মুর্শিদাবাদের ভগবানগোলার সুলতানপুরে অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখালেন গ্রামবাসীরা। তাঁদের অভিযোগ, ওই ICDS কর্মী প্রকৃত প্রাপকদের নাম কেটে দিয়ে পাকা বাড়ির মালিকদের নাম আবাস-তালিকায় রেখেছেন।

    মালদাতেও একই কাণ্ড

    প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার (PM Awas Yojana) তালিকায় নাম রয়েছে তৃণমূল প্রধানের স্বামী ও শাশুড়ির। অভিযোগ এদের ঝাঁ চকচকে পাকা বাড়ি, তবুও নাম রয়েছে আবাস যোজনার তালিকায়। মালদার চাঁচল ২ নম্বর ব্লকের জালালপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের ঘটনা। অভিযোগ, প্রকৃত প্রাপকদের বঞ্চিত করে আবাস তালিকায় স্বামী ও শাশুড়ির নাম ঢুকিয়েছেন তৃণমূল প্রধান মাস্তারা খাতুন।

    আর এত সব অভিযোগ ওঠার পরে শাসকদলের দুর্নীতির বিরুদ্ধে পথে নেমেছেন বিজেপির কর্মীরা। তাঁরা মানবাজার ১ বিডিওকে স্মারকলিপি দিতে যাওয়ার পথে বিজেপির মিছিল থেকে আবাস যোজনাতে কারচুপি করা হচ্ছে, তৃণমূল সরকার দুর্নীতিগ্রস্ত — এই সব স্লোগান তুলে বিক্ষোভ দেখায়। তাঁদের দাবি, তালিকা (PM Awas Yojana) সংশোধন করে শুধু যোগ্যদের নামই রাখতে হবে। বিজেপির নেতৃত্বে এই কর্মসূচিতে ছিলেন দলের শাঁকা ও নতুনডি পঞ্চায়েতের বিজেপির প্রধান, সদস্য ও পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য।

     

LinkedIn
Share