Author: নিমাই দে

  • Police Bribery: ঘুষের টাকা গিলে ফেলার চেষ্টা এক পুলিশকর্মীর! গলা থেকে টেনে বের করা হল সেই টাকা!

    Police Bribery: ঘুষের টাকা গিলে ফেলার চেষ্টা এক পুলিশকর্মীর! গলা থেকে টেনে বের করা হল সেই টাকা!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মোষ চুরির মামলায় ঘুষ নিচ্ছিলেন এক পুলিশকর্মী (Police Bribery)। আর ঘুষের টাকা নেওয়ার সময়েই ভিজিল্যান্স অফিসারদের কাছে হাতেনাতে ধরা পড়লেন তিনি। এরপর প্রমাণ লোপাট করতে এমন এক কাণ্ড করে বসলেন ওই পুলিশকর্মী, যা দেখে হতবাক নেটিজেনরা। ভিজিল্যান্স অফিসারদের হাতে ধরা পড়তেই সেই টাকা ঢুকিয়ে দিলেন মুখে এবং টাকা গিলে ফেলারও চেষ্টা করলেন তিনি। যদিও সঙ্গে সঙ্গে সেই পুলিশ আধিকারিকের মুখে আঙুল ঢুকিয়ে টাকা বের নেয় ভিজিল্যান্স অফিসাররা। এই ঘটনার ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল। এই অদ্ভুত ঘটনাটি ঘটেছে হরিয়ানার ফরিদাবাদে।

    ঘুষের টাকা গিলে ফেলার চেষ্টা পুলিশকর্মীর

    সূত্রের খবর অনুযায়ী, সেই পুলিশকর্মীর নাম মহেন্দ্র উলা। তিনি হরিয়ানা পুলিশে সাব-ইন্সপেক্টর পদে রয়েছেন। অভিযোগ উঠেছে, একটি মোষ চুরির মামলায় ঘুষ নিচ্ছিলেন তিনি। সেই মোষ মালিক শম্ভু নাথকে  মহেন্দ্র উলা বলেছিলেন, ১০ হাজার টাকা দিলেই তাঁর মামলার তদন্ত করা হবে। সেই কথা মত মহেন্দ্রকে প্রথমে ৬০০০ টাকা দিয়েও দিয়েছিলেন শম্ভু। পরে ৪০০০ টাকা দেওয়ার কথাও ভেবেছিলেন শম্ভু নাথ। কিন্তু পরে তিনি এই বিষয়ে ভিজিল্যান্স অফিসারদের কাছে ওই পুলিশকর্মীর নামে অভিযোগ (Police Bribery) করে দেন। এরপর সেই অভিযুক্ত সাব ইন্সপেক্টরকে ধরতে ফাঁদ পাতেন অফিসাররা। সেই বাকি টাকা দেওয়ার নাম করে হাতেনাতে ধরে ফেলে অফিসাররা। আর তারপরেই করে বসে অদ্ভুত কাণ্ড। সেই টাকা মুখে ঢুকিয়ে গিলে ফেলার চেষ্টা করেন মহেন্দ্র উলা।

    ভিজিল্যান্স অফিসারও এখানে থেমে থাকেনি। সাব ইন্সপেক্টরটির মুখে আঙ্গুল ঢুকিয়ে সঙ্গে সঙ্গে সেই টাকা বের করে আনেন তাঁরা। নিজেকে বাঁচাতে ভিজিল্যান্স আধিকারিকদের সঙ্গে ধস্তাধস্তিতেও জড়িয়ে পড়েন তিনি। তবে টাকা উদ্ধার হতেই অভিযুক্ত মহেন্দ্রকে গ্রেফতার করেন ভিজিল্যান্স আধিকারিকরা (Police Bribery)।

    এদিকে, ইতিমধ্যেই এই পুরো ঘটনাটির ভিডিও ঝড়ের গতিতে ভাইরাল হতে শুরু করেছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। এমতাবস্থায়, একজন পুলিশ অফিসারের এহেন কাণ্ডকারখানা দেখে সকলেরই চক্ষু চড়কগাছ।

  • Acid Attack: প্রকাশ্য দিবালোকে দিল্লিতে কিশোরীর উপর অ্যাসিড হামলা! গ্রেফতার তিন

    Acid Attack: প্রকাশ্য দিবালোকে দিল্লিতে কিশোরীর উপর অ্যাসিড হামলা! গ্রেফতার তিন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজধানী দিল্লিতে ভয়াবহ ঘটনা। ফের অ্যাসিড অ্যাটাকের (Acid Attack) শিকার হতে হল এক কিশোরীকে। দিনের আলোয় প্রকাশ্যে রাস্তায় অ্যাসিড ছুঁড়ে দেওয়া হল তরুণীর মুখে-চোখে। ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ-পশ্চিম দিল্লির দ্বারকায়। দুই যুবক বাইক চেপে ১৭ বছর বয়সি ওই কিশোরীর মুখে অ্যাসিড ছুঁড়ে দেয় বলে অভিযোগ। আজ, বুধবার একেবারে সকাল ৯টা, ব্যস্ত সময়ে চাঞ্চল্যকর এই ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ। এই ঘটনার পরে ফের প্রশ্নের মুখে রাজধানীর দিল্লির বুকে মহিলা সুরক্ষা। ইতিমধ্যে অভিযুক্ত তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

    কিশোরীর উপর অ্যাসিড হামলা

    দিল্লির বুকে এই নারকীয় অ্যাসিড হামলার (Acid Attack) দৃশ্য  সিসিটিভি ফুটেজে উঠে এসেছে। যা দেখে শিউরে উঠছেন মানুষ। সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গিয়েছে, রাস্তার একপাশ দিয়ে হেঁটে যাচ্ছে দুই কিশোরী। হঠাৎ করেই একটি বাইক আসে এবং তাঁদের সামনে ধীরে হয়ে যায়। আর তাদের দিকে তাকাতেই ওই কিশোরীকে লক্ষ্য করে মুখে অ্যাসিড ছুঁড়ে মারে। সঙ্গে সঙ্গে মুখ চেপে ধরে দৌড়াতে দেখা যায় মেয়েটিকে। সূত্রের খবর অনুযায়ী, এই ঘটনার পর সফদরগঞ্জ হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাকে। অ্যাসিড হামলার জেরে ওই কিশোরীর মুখের বেশ কিছুটা অংশ পুড়ে গিয়েছে। সেই সঙ্গে তার চোখও অ্যাসিডে ক্ষতিগ্রস্থ বলে জানা যাচ্ছে। ফলে সফদরগঞ্জ হাসপাতালের আইসিইউতে ওই কিশোরীর চিকিৎসা চলছে বলে খবর।

    অন্যদিকে ঘটনার (Acid Attack) পরেই ওই কিশোরীর বাবা জানিয়েছেন, তাঁর দুই মেয়ে। একজনের বয়স ১৭ এবং অন্যজনের ১৩। সকালে দুজনেই তাঁরা বের হয়। আর এরপরেই এই ঘটনা ঘটে। তাঁর মেয়েকে কেউ বিরক্ত করত কিনা তা জিজ্ঞাসা করলে তিনি জানান, “আমার মেয়েকে এর আগে কেউ বিরক্ত করেছে বলে আমার জানা নেই। আমি ওকে সব জায়গায় নিয়ে যেতাম। দুই বোন মেট্রোতে করে একসঙ্গে স্কুলে যাতায়াত করত।”

    গ্রেফতার তিন

    দিল্লির অ্যাসিড ছোঁড়ার (Acid Attack) ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সকালেই এক প্রত্যক্ষদর্শীর অভিযোগে একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। ধৃত ওই যুবককে জেরা করাও শুরু হয়েছে। কেন এই ঘটনা তা জানার চেষ্টা করা হচ্ছে। আবার পরে বিকেলে এই হামলায় জড়িত থাকার অভিযোগে আরও দুজনকে গ্রেফতার করেছে দিল্লি পুলিশ।

    হামলা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ অরবিন্দ কেজরিওয়ালের

    এই নারকীয় ঘটনা (Acid Attack) নিয়ে সরব হন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী তথা আম আদমি পার্টির নেতা অরবিন্দ কেজরিওয়াল। দিল্লির অ্যাসিড হামলা প্রসঙ্গে ক্ষোভে ফেটে পড়েন তিনি। তিনি ট্যুইট করে লেখেন, “এটি একেবারেই মেনে নেওয়া যাবে না। অপরাধীদের এত সাহস হল কী করে? অপরাধীদের কঠিন থেকে কঠিনতর সাজা দিতে হবে। দিল্লির প্রতিটি মেয়ের নিরাপত্তা আমাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ।”

  • SSC Scam: “লজ্জাজনক… সব নিয়োগ বাতিল করে দেব”, অভিযুক্ত ২১জনকে সিবিআই জেরার নির্দেশ বিচারপতি বসুর

    SSC Scam: “লজ্জাজনক… সব নিয়োগ বাতিল করে দেব”, অভিযুক্ত ২১জনকে সিবিআই জেরার নির্দেশ বিচারপতি বসুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে (SSC Scam) মামলা যেন শেষ হওয়ার নামই নিচ্ছে না। আর একের পর এক মামলার তদন্তভার দেওয়া হচ্ছে সিবিআইকে। ২০১৬ সালে নবম-দশম শ্রেণির (SLST) ২১ জনের বেআইনি ভাবে শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে মামলা হয়েছিল কলকাতা হাইকোর্টে। সেই মামলায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশও দেওয়া হয় আদালতের তরফে। আর আজ সেই ২১ জনকে জেরা করার জন্য সিবিআইকে অনুমতি দিল হাইকোর্টের বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু। বয়স কম দেখিয়ে চাকরি দেওয়া হয়েছিল বলে অভিযোগ। জানুয়ারি মাসে এই মামলার পরবর্তী শুনানি।

    ২১ জনের সিবিআই জিজ্ঞাসাবাদে অনুমতি হাইকোর্টের

    ২০১৬ সালে নবম এবং দশম শ্রেণিতে বয়স কমিয়ে এবং অ্যাকাডেমিক নম্বর বেশি দেখিয়ে অনেককে শিক্ষক পদে চাকরি দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করে ১৯২ জন চাকরিপ্রার্থী হাইকোর্টে মামলা করেন। চাকরিতে নিয়োগের জন্য বয়সসীমা ৪০ বছর। কিন্তু সেই বয়স পেরিয়ে গেলেও নিয়োগ দেওয়ার অভিযোগ তুলেছেন মামলাকারী (SSC Scam)। মামলাকারীদের দাবি, “এসএসসি-র দেওয়া মেধাতালিকা তথ্যেই স্পষ্ট, বয়স পেরোনোর পরেও চাকরি দেওয়া হয়েছে। এতে সিবিআই তদন্তের দরকার।”

    আরও পড়ুন: অষ্টম শ্রেণি পাশেই প্রাথমিকের শিক্ষক! ভাটপাড়া পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যানকে হাজিরার নির্দেশ হাইকোর্টে

    ইতিমধ্যেই আদালতের কাছে এই ২১ জনের তালিকা এসে পৌঁছেছে। ফলে সেখানে দেখা গিয়েছে, তাদের প্রকৃত বয়স ৪০-এর উপরে। কিন্তু চাকরির জন্য বয়স কম করে দেখিয়েছে তারা। এরপরেই এতে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়। অন্যদিকে, ২০১৬ সালে অন্তত ১৬৩ জনকে বেআইনি ভাবে চাকরিতে নিয়োগের সুপারিশপত্র দেওয়া হয়েছিল বলে ইতিমধ্যেই হলফনামা দিয়ে মেনে নিয়েছে এসএসসি কর্তৃপক্ষ (SSC Scam)।

    আর এরপরেই এই মামলায় (SSC Scam) বুধবার বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর নির্দেশ, আপাতত অভিযুক্ত ২১ জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করবে সিবিআই। এমনকী গোটা প্যানেল বাতিলের হুঁঁশিয়ারিও দেন বিচারপতি। আজ শুনানি পর্বে বিচারপতি বসু বলেন, “দুর্নীতি কোথায় হয়েছে তা দেখা হবে। কিছু যোগ্য প্রার্থীর কথা বিবেচনা করবে আদালত। যদি দেখা যায় অধিকাংশকেই বেআইনি ভাবে নিয়োগ করা হয়েছে তবে, প্রয়োজনে সব নিয়োগ বাতিল করে দেব।” সেই সঙ্গে তাঁর মন্তব্য, “স্কুল সার্ভিস কমিশনের মেধাতালিকায় থাকা ৪০ বছর বয়স পেরিয়ে যাওয়া ব্যক্তিকে চাকরি দেওয়া হয়েছে। এটা অত্যন্ত লজ্জাজনক।”

    হাইকোর্ট থেকে আরও নির্দেশ দেওয়া হল, নিয়োগ মামলায় (SSC Scam) বয়স, নম্বর ইত্যাদি খতিয়ে দেখে আদালতে ১৬ জানুয়ারির মধ্যে রিপোর্ট জমা দিতে হবে সিবিআইকে। ফলে এই নিয়োগ মামলায় আবার কী তথ্য সিবিআইয়ের হাতে উঠে আসে, সেটাই এখন দেখার। 

  • FIFA World Cup: ১৭ কেজি ক্ষীর দিয়ে মেসির মূর্তি! হাওড়ার এক মিষ্টির দোকানে এক টুকরো আর্জেন্টিনা

    FIFA World Cup: ১৭ কেজি ক্ষীর দিয়ে মেসির মূর্তি! হাওড়ার এক মিষ্টির দোকানে এক টুকরো আর্জেন্টিনা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: স্টেডিয়াম অনেক দূর, তাতে কি! মেসিকে দেখতে এবার হাওড়ায় মিষ্টির দোকানেই ভীড় জমাচ্ছেন হুজুগে বাঙালিরা। না, মেসি বাংলায় আসেননি, বানানো হয়েছে ‘মেসি মিষ্টি’, আর সেটি দেখতেই মানুষ যাচ্ছে সেই মিষ্টির দোকানে। অবাক হচ্ছেন? তবে এতে অবাক হওয়ার কিছুই নেই। আসলে আর্জেন্টিনা-মেসি জ্বরে কাবু বাংলার ছোট থেকে বুড়ো। তেমনই এক মেসি পাগল মিষ্টিওয়ালা দেখা গেল হাওড়ায়। মিষ্টির দোকানের নাম মা গন্ধেশ্বরী সুইটস। দোকানের মালিকের নাম কেষ্ট হালদার। তিনি মেসির এমনই ভক্ত যে, ক্ষীর দিয়ে বানিয়ে ফেললেন মেসি (FIFA World Cup)।

    ক্ষীর দিয়ে তৈরি মেসি

    হাওড়ার নেতাজী সুভাষ রোডের “মা গন্ধেশ্বরী সুইটস” বিশ্বকাপ ফাইনালের আগে বানিয়ে ফেলেছেন ১৭ কেজি ক্ষীর দিয়ে ৩ ফুটের মেসির মূর্তি। বানানো হয়েছে আস্ত বিশ্বকাপ ট্রফিও। এরই সঙ্গে বানানো হয়েছে আর্জেন্টিনার জার্সির রঙে রসগোল্লা, সন্দেশ। তৈরি হয়েছে বিশ্বকাপের আদলে সন্দেশ, আর্জেন্টিনার জার্সির আদলে সন্দেশ, ফুটবলের আকারে সন্দেশ সহ নানা স্বাদের মিষ্টি। তা দেখতে দোকানে ভীড় জমাচ্ছেন এলাকার বহু মানুষ এবং সকলেই ছবি তুলছেন সেখানে।

    ফুটবল ঘিরে বাঙালির উত্তেজনা বরাবরই তুঙ্গে। তার উপর এখন চলছে ফিফা বিশ্বকাপ। আরব দেশই হোক না কেন, তার প্রভাব পশ্চিমবঙ্গে পড়বে না. তা কখনও সম্ভন নয়। তাই বরাবরের মত ফুটবল বিশ্বকাপ নিয়ে এবারও চরম উৎসাহ-উদ্দীপনা চলছে পশ্চিমবঙ্গে। আর এই উত্তেজনাতেই মিষ্টির দোকানের মালিকের এমন উদ্যোগ।

    আরও পড়ুন: মেসি বনাম এমবাপে! কাপ কার দখলে? ফাইনালের আগে দ্বিধাবিভক্ত ফুটবল বিশ্ব

    মিষ্টির দোকানের মালিক মেসির জয় নিয়ে দৃঢ়বিশ্বাসী

    মালিক কেষ্ট হালদার আর্জেন্টিনার অন্ধভক্ত, তিনি বলেন,  “এবার মেসির হাত ধরে বিশ্বকাপ আসবে। সেমিফাইনালে মেসি যেভাবে খেলেছেন, পায়ের জাদু দেখিয়ে দিয়েছেন। আর্জেন্টিনার সাপোর্টার হয়ে আমি গর্বিত।” তিনি দৃঢ়বিশ্বাসী যে, আজ মেসি তাঁর পায়ের জাদু দেখাবেই। তাঁর হাতেই উঠবে বিশ্বকাপের ট্রফি। মেসি প্রথমার্ধেই দুটি গোল করবেন বলে তিনি আশাবাদী। সেই আশা নিয়েই মেসি ভক্তদের জন্য এই মেসির ক্ষীরের মূর্তি উৎসর্গ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি। সেই এলাকার আর্জেন্টিনার সমর্থকরা জানিয়েছেন, তাঁরা চান যে, মেসি যেন ফাইনালে সেরা ফর্ম নিয়ে জ্বলে ওঠেন (FIFA World Cup)।

    আর কিছুক্ষণ পরেই বিশ্বকাপের ফাইনাল ম্যাচ

    বিশ্বকাপে আজ কঠিন প্রতিপক্ষ ফ্রান্সের মুখোমুখি হতে চলেছে আর্জেন্টিনা (FIFA World Cup)। হাই ভোল্টেজ ফাইনাল ম্যাচের ফলাফল কী হবে তা এখনও জানা নেই। কিন্তু হাওড়ায় আর্জেন্টিনার সমর্থকরা চান, মেসির হাত ধরেই যেন তাঁদের প্রিয় দল আর্জেন্টিনা বিশ্বকাপ জেতে। ব্রাজিল, পর্তুগাল, জার্মানি, স্পেন, ক্রোয়েশিয়া একে একে অনেক প্রিয় দল এবার বিশ্বকাপের আসর থেকে বিদায় নিয়েছে। ফলে এখন একমাত্র মেসি ম্যাজিকের দিকেই তাকিয়ে বাংলার মানুষ সহ পুরো বিশ্ববাসী।

  • Anti Hijab Protest: হিজাব বিরোধী আন্দোলনের সমর্থনে শাস্তি! গ্রেফতার অস্কারজয়ী সিনেমার অভিনেত্রী

    Anti Hijab Protest: হিজাব বিরোধী আন্দোলনের সমর্থনে শাস্তি! গ্রেফতার অস্কারজয়ী সিনেমার অভিনেত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইরানে সরকার-বিরোধী আন্দোলন ও বিক্ষোভে (Anti Hijab Protest) সামিল হওয়ার শাস্তি! ইরান পুলিশের হেফাজতে মাহসা আমিনির মৃত্যুকে কেন্দ্র করে হিজাব বিরোধী বিক্ষোভের জেরে এবার অস্কারজয়ী অভিনেত্রী তারনেহ আলিদোস্তিকে গ্রেফতার করল ইরান সরকার। গতকাল শনিবার তাঁকে গ্রেফতার করা হয় বলে ইরানের সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে। গত ৮ ডিসেম্বর, সোশ্যাল মিডিয়ায় ইরানের হিজাব বিরোধী আন্দোলনের (Anti Hijab Protest) সমর্থনের পোস্ট করেছিলেন তিনি। এরপরেই জানা গিয়েছে, তারানেহকে দেশজুড়ে আন্দোলন সম্পর্কে ‘মিথ্যা ছড়ানোর’ অভিযোগে আটক করা হয়েছে।

    হিজাব বিরোধী আন্দোলনের সমর্থনে গ্রেফতার ইরান অভিনেত্রী

    এর আগেও সরকার বিরোধী (Anti Hijab Protest) আন্দোলনকে সমর্থন করায় ইরানে এক ব্যক্তি মহসেন শেখারিকে গ্রেফতার করা হয়েছিল ও তাঁকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে। এবার সরকারের হাতে আটক অভিনেত্রীও। ইরানের সংবাদ সংস্থা সূত্রে খবর, ৩৮ বছর বয়সি অভিনেত্রী তারনেহ আলিদোস্তিকে আটক করা হয়েছে। ২০১৬ সালের অস্কারজয়ী সিনেমা ‘দ্য সেলসম্যান’ -এ অভিনয়ের জন্য প্রশংসিত হয়েছিলেন তারনেহ। ২০১৬ সালে ছবিটি অস্কারও পায়। এবার তাঁর বিরুদ্ধে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভুয়ো ও বিকৃত তথ্য প্রকাশ করে অশান্তিতে উস্কানি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।

    আরও পড়ুন: প্রতিবাদী মহিলাদের বুক-যৌনাঙ্গ লক্ষ্য করে গুলি! প্রকাশ্যে ইরান সরকারের বর্বরতা

    অভিনেত্রী তারনেহর পোস্ট

    আলিদোস্তি গত ৮ ডিসেম্বর সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পোস্টে লিখেছিলেন, “আপনাদের নীরবতা মানে অত্যাচার ও অত্যাচারীর সমর্থন করা।” উল্লেখ্য, যে দিন আলিদোস্তি এই পোস্ট করেন, সে দিনই ইরানে সরকার-বিরোধী আন্দোলনে (Anti Hijab Protest) মহসেন শেখারিকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছিল। তিনি আরও লেখেন, “এই নৃশংসতা যে আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলি দেখেও মুখ বুজে রয়েছে, তারা প্রত্যেকে মানবতার নামে লজ্জা।” এই পোস্টের কারণেই আলিদোস্তিকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।

    উল্লেখ্য, গত ১৬ সেপ্টেম্বর ইরানের নীতি পুলিশের কবলে মাহশা আমিনির মৃত্যুর ঘটনার পরেই প্রতিবাদে গর্জে ওঠে ইরানের জনগণ (Anti Hijab Protest) । মহসেন শেখারিকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়ার পরে ১২ ডিসেম্বর, ২৩ বছর বয়সী প্রতিবাদকারী মাজিদ্রেজা রাহনাভার্ডকেও প্রকাশ্যে ফাঁসি দেওয়া হয়। এই সরকার বিরোধী আন্দোলনের সঙ্গে জড়িত আরও নয়জনকে গ্রেফতার করে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে। সূত্রের খবর অনুযায়ী, বিক্ষোভ শুরু হওয়ার পর থেকে হাজার হাজার লোককে আটক করা হয়েছে এবং আন্দোলনে থাকার জন্য ৪০০ জনকে ১০বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড দিয়েছে ইরান সরকার। অভিনেত্রী আলিদোস্তিও মাহশা-মৃত্যুর পর থেকেই সরকারের বিরুদ্ধে সরব, ফলে তাঁকেও রেহাই দিল না ইরান সরকার।

  • Russia-Ukraine War: ৭০টিরও বেশি মিসাইল হামলা রাশিয়ার! মৃত ৪, ইউক্রেন জুড়ে ‘ব্ল্যাকআউট’

    Russia-Ukraine War: ৭০টিরও বেশি মিসাইল হামলা রাশিয়ার! মৃত ৪, ইউক্রেন জুড়ে ‘ব্ল্যাকআউট’

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাশিয়া-ইউক্রেন যু্দ্ধ (Russia-Ukraine War) যেন শেষ হওয়ার নাম নিচ্ছে না। ইউক্রেনে আক্রমণ আরও জোরদার করেছে রাশিয়া। সূত্রের খবর অনুযায়ী, শুক্রবার ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভসহ উত্তর, দক্ষিণ ও পশ্চিমের শহরগুলোতে রুশ বাহিনী ৭০টিরও বেশি ক্ষেপণাস্ত্র ছুঁড়েছে। সেইসঙ্গে চলেছে মস্কোর ড্রোন আক্রমণও। আর এই আক্রমণের জেরে রাজধানী কিয়েভ সহ সমগ্র ইউক্রেন জুড়ে ‘ব্ল্যাকআউটের’ প্রভাব পড়েছে জল সরবরাহ এবং অন্যান্য পরিষেবায়। এই হামলাকে রাশিয়ার সব থেকে বড় হামলার মধ্যে একটি ধরা হয়েছে। ইউক্রেনের দাবি, এই মিসাইল হামলার ফলে মোট ৪জন নিহত ও ১৩ জন আহত হয়েছেন।

    ইউক্রেনে মিসাইল হামলা

    সূত্রের খবর অনুযায়ী, শুক্রবার স্থানীয় সময় সকাল ৮টা নাগাদ বিমান হামলার সাইরেন বেজে ওঠে। এরপরেই প্রায় ৭০টিরও বেশি ক্ষেপণাস্ত্র ছুঁড়ে হামলা করে রুশ বাহিনী। ইউক্রেনের তরফে দাবি করা হয়েছে, মধ্য ক্রিভি রিহ-তে একটি অ্যাপার্টমেন্টে মিসাইল হানায় তিনজন মারা গিয়েছেন। এছাড়াও খেরসনের দক্ষিণেও রাশিয়ার হামলায় আরেকজনের মৃত্যু হয়েছে। রুশ হামলায় সবগুলো তাপ ও জলবিদ্যুৎকেন্দ্র ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এর ফলে ব্যাপক ব্ল্যাকআউট হয়েছে এবং বিদ্যুৎ, জল সরবরাহও মারাত্মকভাবে প্রভাবিত হয়েছে।

    জেলেনস্কির বার্তা

    এর আগে বৃহস্পতিবার কিয়েভকে সতর্ক করে ইউক্রেন প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেছিলেন, নতুন বছরের শুরুর দিকে মস্কো সর্বাত্মক আক্রমণের পরিকল্পনা করেছে। আবার শুক্রবার ইউক্রেনের তরফে দাবি করা হয়, শীতের মধ্যেই কিভ দখলের লক্ষ্যে নতুন প্রস্তুতি শুরু করেছে প্রায় ২ লক্ষ রুশ ফৌজ। ফলে জেলেনস্কি ইউক্রেনবাসীদের সতর্কে থাকতে বলেছেন। অন্যদিকে মস্কো থেকে বলা হয়েছে, ইউক্রেনের সামরিক বাহিনীকে নিষ্ক্রিয় করার লক্ষ্যেই এই হামলা চালানো হয়েছে (Russia-Ukraine War)।

    আরও পড়ুন: বাংলাদেশের অর্থনীতির হাঁড়ির হাল, কেন হল জানেন?

    জেলেনস্কির সাহায্যের আবেদন

    রাশিয়ার (Russia-Ukraine War) হামলা তীব্র করার পরে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেছেন, রাশিয়ার কাছে আরও ব্যাপক হামলার জন্য পর্যাপ্ত ক্ষেপণাস্ত্র মজুত রয়েছে। ইউক্রেনের পরিকাঠামোর ওপরে ক্ষেপণাস্ত্র বর্ষণ করতে শুরু করেছে রুশ বাহিনী। রাশিয়ার সঙ্গে মোকাবিলা করতে তিনি পশ্চিমী দেশগুলির কাছে আরও সাহায্য, উন্নত বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার জন্য আবেদন জানিয়েছেন।

    হার মানতে নারাজ ইউক্রেন

    প্রেসিডেন্ট আরও বলেছেন, ইউক্রেন শক্তিশালী। তিনি চ্যালেঞ্জ করে বলেছেন, মস্কো যতই মিসাইল হামলা চালাক না কেন, শক্তির ভারসাম্যে তেমন কোনও পরিবর্তন হবে না। তাঁর দাবি, ২৪ ফেব্রুয়ারি হামলার এক বছর হতে চললেও এতদিনে ইউক্রেনের সামান্য অংশই দখল করতে পেরেছে রাশিয়া। অন্যদিকে কিয়েভের এক বাসিন্দা বলেন, “তারা আমাদের ধ্বংস করতে চায়, এবং আমাদের দাস বানাতে চায়। কিন্তু আমরা আত্মসমর্পণ করব না। আমরা সহ্য করব।” আবার ইউক্রেনবাসীকে ধৈর্য ধরার আহ্বান জানিয়েছেন প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি। বিদ্যুৎ ব্যবহারে দেশবাসীকে আরও সাশ্রয়ী হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি (Russia-Ukraine War) ।

  • Haridevpur: নাবালিকাকে মাদক খাইয়ে লাগাতার ধর্ষণ, হরিদেবপুরে গ্রেফতার মা-ছেলে

    Haridevpur: নাবালিকাকে মাদক খাইয়ে লাগাতার ধর্ষণ, হরিদেবপুরে গ্রেফতার মা-ছেলে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নাবালিকাকে মাদক খাইয়ে ধর্ষণ, গ্রেফতার এক যুবক ও তার মা। হাড়হিম করা ঘটনাটি ঘটেছে কলকাতার হরিদেবপুর (Haridevpur) থানা এলাকায়। মা যে পার্লারে কাজ করতেন, সেই পার্লারের কাজ করত সেই নাবালিকা। ‘কাকিমা’ বলে ডাকত তাঁকে। কালীপুজোর রাতে সেই কাকিমার সঙ্গেই তাঁর বাড়িতে গিয়েছিল সে। অভিযোগ, সেখানেই খাবারের সঙ্গে কিছু খাইয়ে একাধিকবার ধর্ষণ করে সেই কাকিমার ১৮ বছরের ছেলে। গত ১৬ তারিখ হরিদেবপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করে ওই নাবালিকা। অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযুক্ত যুবক ও তার মাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ধৃত যুবকের নাম কুনাল কোঠারি, তার মায়ের নাম অনুশ্রী কোঠারি।

    কী ঘটেছিল?

    নির্যাতিতার পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই নাবালিকার সঙ্গে একটি পার্লারে বিউটিশিয়ান কোর্স করতেন অভিযুক্তের মা। কালীপুজোর দিন সেই অভিযুক্ত মহিলা নাবালিকাকে তাঁর বাড়িতে নিয়ে যান। তাকে সেখানে কিছু খেতে দিলে খাবারের সঙ্গে মাদক মিশিয়ে দেন বলে অভিযোগ। এরপর নাবালিকা অচেতন হয়ে পড়লে ওই যুবক ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ।

    আরও পড়ুন: নবান্নের চোদ্দতলায় মমতা-শাহ একান্তে বৈঠক, কী আলোচনা হল?

    পুলিশ সূত্রের খবর, তিন দিন ধরে চলে নির্যাতন। তিন দিন পর কোনও মতে পালিয়ে যায় সে। প্রথমে বাড়িতে কাউকে বলতে পারেনি নির্যাতিতা। এরপর এক আত্মীয়কে সব কথা জানায় ও এক বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা করাতে যায় সে। সামাজিক লজ্জার কারণে ধর্ষণের অভিযোগও করতে চায়নি পরিবার। কিন্তু পরে শুক্রবার, ১৬ ডিসেম্বর হরিদেবপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়। তদন্তে নেমে অভিযুক্ত যুবককে গ্রেফতার করে পুলিশ। পরে তার মাকেও গ্রেফতার করা হয়। ভারতীয় দণ্ডবিধির ১২০ বি, অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র,  ৩২৮ খাবারে নেশার দ্রব্য মেশানো, পকসো আইনে মামলা রুজু করা হয়েছে।

    অন্যদিকে এই সব অভিযোগ অস্বীকার করেছে অভিযুক্ত মা ও ছেলে। তাঁর বক্তব্য, “আমাদের ফাঁসানো হয়েছে। আসলে ওই মেয়ে আমার ছেলেকে প্রোপোজ করেছিল। তাতে রাজি হয়নি আমার ছেলে। তাই আমাদের মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হল।” 

  • Justice Abhijit Ganguly: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় শিক্ষামন্ত্রীকে তলব করার হুঁশিয়ারি দিলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়

    Justice Abhijit Ganguly: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় শিক্ষামন্ত্রীকে তলব করার হুঁশিয়ারি দিলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নবম-দশম নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় (Recruitment Scam) আরও কড়া কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Justice Abhijit Ganguly)। “পর্ষদ কিছু করতে না পারলে, শিক্ষামন্ত্রীকে (Education Minister) ডেকে পাঠাতে হবে। আপনারা যদি নিয়োগ বাতিল করতে চান, তাহলে করুন, কোথায় বাধা?” নবম-দশম নিয়োগ দুর্নীতির একটি মামলায় এমনটাই বলতে শোনা গেল বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়কে। তাঁর  দাবি, অবিলম্বে অযোগ্যদের নিয়োগ বাতিল করুক পর্ষদ। বেআইনিভাবে নিযুক্তদের নিয়োগ বাতিল না হলে প্রয়োজনে রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুকে তলব করার হুঁশিয়ারি দিলেন বিচারপতি।

    নবম-দশম নিয়োগ দুর্নীতি মামলা

    যে সব চাকরিপ্রার্থীদের বেআইনিভাবে সুপারিশ করা হয়েছিল, সেই তালিকা ইতিমধ্যেই প্রকাশ করেছে স্কুল সার্ভিস কমিশন। সেই সব প্রার্থীদের নিয়োগ বাতিল করার অনুমতি চেয়েই কমিশন কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল। আর সেই মামলা চলাকালীন এবার সরাসরি শিক্ষামন্ত্রীর নাম উল্লেখ করলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Justice Abhijit Ganguly)।

    আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী, দু’দফায় বেআইনিভাবে সুপারিশ করা নামের তালিকা প্রকাশ করেছিল স্কুল সার্ভিস কমিশন। তালিকায় থাকা মোট ১৮৪ জনের মধ্যে ৮১ জন বর্তমানে চাকরি করেন বলে জানা গিয়েছে। তাঁদের মধ্যে ৯ জন নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে গতকাল আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। এরপর হাইকোর্ট নির্দেশ দিয়েছে, তাঁরা কত নম্বর পেয়েছেন, খতিয়ে দেখতে হবে তাঁদের ওএমআর শিট। ওই ন’জনকে নিয়ে বৈঠকও করতে হবে কমিশনকে। উপস্থিত থাকতে হবে ন’জনের আইনজীবী, কমিশনের চেয়ারম্যান ও কমিশনের আইনজীবীকে। আগামী সপ্তাহে বুধবারের মধ্যে সেই রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

    আরও পড়ুন: নবান্নে বৈঠকে মমতা-শাহ, কারণ কি জানেন?

    শিক্ষামন্ত্রীকে তলব করার হুঁশিয়ারি বিচারপতির

    গতকাল ‘অবৈধ’ নিয়োগ বাতিল করার অনুমতি চেয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল স্কুল সার্ভিস কমিশন। সেই মামলার শুনানি চলাকালীন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর নাম উল্লেখ করেন বিচারপতি। তখনই তিনি বলেন, “আপনারা যদি নিয়োগ বাতিল করতে চান, করুন। কোথায় বাধা? যদি পর্ষদ কিছু করতে না পারে তাহলে শিক্ষামন্ত্রীকে ডেকে পাঠাতে হবে।”

    আবার এই মামলার শুনানি চলাকালীন এসএসসিকে উদ্দেশ্য করে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় (Justice Abhijit Ganguly) বলেন, “কার সুপারিশে চাকরি পেলেন? কে কে সুপারিশ করেছিলেন? জুনিয়র নাকি সিনিয়র পি সি সরকারের হাতের জাদুতে নম্বর বাড়ল?”  এই মামলার পরবর্তী শুনানি ২২ ডিসেম্বর।

    তবে এতদিন শিক্ষক দুর্নীতি মামলায় শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর নাম উঠে আসেনি। কিন্তু গতকাল বিচারপতির (Justice Abhijit Ganguly) মন্তব্যের পর একাধিক প্রশ্ন মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে। প্রশ্ন উঠছে, এবার কি তবে ব্রাত্য বসুকেও তলব করা হবে হাইকোর্টে?

  • Narendra Modi: মোদির বিরুদ্ধে তীব্র আপত্তিকর মন্তব্য বিলাওয়াল ভুট্টোর, ‘অসভ্য’ বলল ভারত

    Narendra Modi: মোদির বিরুদ্ধে তীব্র আপত্তিকর মন্তব্য বিলাওয়াল ভুট্টোর, ‘অসভ্য’ বলল ভারত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কূটনৈতিক লড়াইয়ে উত্তর দিতে না পেরে অবশেষে দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে (Narendra Modi) ব্যক্তিগতভাবে অকথ্য ভাষায় আক্রমণ করলেন পাকিস্তানের বিদেশমন্ত্রী বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারি। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে জঙ্গি সংগঠন আল কায়দার প্রধান ওসামা বিন লাদেনের তুলনা করে বসলেন তিনি। আর এর ফলে তাঁকেও ভারত থেকে কড়া ভাষায় জবাব দেওয়া হল। বিলাওয়াল ভুট্টোর মন্তব্যকে ‘অসভ্য’ বলে কড়া নিন্দা করা হল ভারতের (India) তরফে। অন্যদিকে দিল্লিতে বিজেপির দলীয় কর্মীরাও এই মন্তব্যের জেরে ‘বিলাওয়াল ভুট্টো মাফি মাঙ্গো’ স্লোগান তুলে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেছেন।

    কী বলেছিলেন বিলাওয়াল ভুট্টো?

    বৃহস্পতিবার রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে সন্ত্রাসবাদ নিয়ে পাকিস্তানের পর্দাফাঁস করে দেন জয়শঙ্কর। বিশ্বজুড়ে কীভাবে সন্ত্রাসবাদে মদত জোগাচ্ছে পাকিস্তান, তা একেবারে স্পষ্টভাবে বুঝিয়ে দেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী। ফলে বিশ্বের মঞ্চে সেই অস্বস্তিকর পরিস্থিতির মধ্যে পড়ে জয়শঙ্করের প্রশ্নের কোনও উত্তর দিতে না পেরে মোদির বিরুদ্ধে চূড়ান্ত ব্যক্তিগত আক্রমণে নামেন পাকিস্তানের বিদেশমন্ত্রী। তিনি বলেন, “ওসামা বিন লাদেন মারা গেছেন, কিন্তু গুজরাটের কসাই বেঁচে আছেন এবং তিনি ভারতের প্রধানমন্ত্রী।”

    ভারতের প্রতিক্রিয়া

    পাক মন্ত্রীর ওই মন্তব্যের পরেই তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে ভারতীয় বিদেশ মন্ত্রক। পাকিস্তানকে ‘সন্ত্রাসবাদের কেন্দ্রস্থল’ বলা হয়েছে। বিদেশ মন্ত্রকের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “পাকিস্তানের বিদেশমন্ত্রীর মন্তব্যে তাঁর মানসিক দেউলিয়াপনা এবং দায়িত্বজ্ঞানহীনতা প্রকাশ পেয়েছে। পাকিস্তান এমন একটি দেশ যেটি ওসামা বিন লাদেনকে শহীদ হিসাবে মানে এবং লাখভি, হাফিজ সাইদ, মাসুদ আজহার, সাজিদ মীর এবং দাউদ ইব্রাহিমের মত সন্ত্রাসীদের আশ্রয় দেয়।”

    আরও পড়ুন: শুভেন্দু ইস্যুতে হাইকোর্টে ফের একবার মুখ পুড়ল রাজ্যের, কী নির্দেশ দিলেন বিচারপতি?

    কেন্দ্রীয় মন্ত্রীরাও তাঁর মন্তব্যের তীব্র ভর্ৎসনা করেছেন। মীনাক্ষি লেখি বলেছেন, “তিনি একটি ব্যর্থ রাষ্ট্রের প্রতিনিধি এবং তিনি নিজেই ব্যর্থ, তাই পাকিস্তানও ব্যর্থ। যাদের সন্ত্রাসী মানসিকতা আছে, তাদের কাছ থেকে আপনি কী আশা করতে পারেন?” অনুরাগ ঠাকুর এই মন্তব্যকে “জঘন্য ও লজ্জাজনক” বলে অভিহিত করেছেন।  আবার নয়াদিল্লির পাক দূতাবাসের সামনে বিক্ষোভ দেখায় বিজেপির যুব মোর্চা।

    ভারতের বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচি বলেন, ‘এটা চূড়ান্ত নিম্নমানের। এটি পাকিস্তানের জন্য়ও নিম্নমানের।’ এই মন্তব্যকে ‘অসভ্য’ বলে কড়া নিন্দা করা হল ভারতের (India) তরফে। বিদেশ মন্ত্রকের বিবৃতিতে পাকিস্তানের বিদেশমন্ত্রীকে আক্রমণ করে বলা হয়েছে, ১৯৭১ সালের এই দিনে ভারতীয় সেনার সামনে আত্মসমর্পণ করে পাকিস্তান। ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বরকে ভুলে গিয়েছে পাকিস্তান। পাকিস্তানি সেনা যেভাবে হিন্দু এবং বাংলাদেশিদের উপর অত্যাচার শুরু করে, আজকের দিনে তার পরিসমাপ্তি হয়। সেই সব কথা পাকিস্তান ভুলে গিয়েছে বলেও বিলাওয়াল ভুট্টোকে কড়া আক্রমণ করে দিল্লি।

    বিজেপি কর্মীদের বিক্ষোভ

    গুজরাটের কসাই (Narendra Modi) মন্তব্যকে তীব্র নিন্দা করে দিল্লিতে বিজেপির কর্মীরা পাক দূতাবাসের সামনে বিক্ষোভে বসেছেন। তাঁরা ‘পাকিস্তান হায় হায়’ ও ‘বিলাওয়াল ভুট্টো মাফি মাঙ্গো’ স্লোগান তুলে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন। দিল্লি পুলিশ বিজেপি কর্মীদের পাক দূতাবাসের দিকে অগ্রসর হতে বাধা দিতে ব্যারিকেড দিয়েছিল। তবে বিক্ষোভকারীরা প্রথম দফা ব্যারিকেড ভেঙ্গে দূতাবাসের দিকে মিছিল করতে থাকে।

  • Calcutta High Court: অনুমতি ছাড়া পঞ্চায়েত নির্বাচনের বিজ্ঞপ্তি জারি করতে পারবে না কমিশন, নির্দেশ হাইকোর্টের

    Calcutta High Court: অনুমতি ছাড়া পঞ্চায়েত নির্বাচনের বিজ্ঞপ্তি জারি করতে পারবে না কমিশন, নির্দেশ হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বছর ঘুরলেই পঞ্চায়েত নির্বাচন। আর এটি নিয়েই প্রস্তুতি তুঙ্গে। কবে হবে পঞ্চায়েত নির্বাচন, কবে রাজ্য নির্বাচন কমিশন থেকে বিজ্ঞপ্তি জারি করা হবে, প্রশ্ন রাজ্যবাসীর। কিন্তু ইতিমধ্যেই জানিয়ে দেওয়া হল, রাজ্য নির্বাচন কমিশন এখনই পঞ্চায়েত নির্বাচনের বিজ্ঞপ্তি জারি করতে পারবে না। অনুমতি নিতে হবে কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court)। কলকাতা হাইকোর্ট থেকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, পঞ্চায়েত নির্বাচন সংক্রান্ত কোনও ধরনের বিজ্ঞপ্তি জারি করতে পারবে না রাজ্য নির্বাচন কমিশন। কলকাতা হাইকোর্টের অনুমতি নিয়ে বিজ্ঞপ্তি জারি করা যাবে। গতকাল, বৃহস্পতিবার একটি মামলায় কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তবের ডিভিশন বেঞ্চ এই নির্দেশ দিয়েছেন।

    মামলাটি কী?

    কিছুদিন আগেই রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে পঞ্চায়েত নির্বাচন করার আর্জি জানিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court) মামলা করেন। আর সেই মামলার শুনানিতে প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ আগামী ৯ জানুয়ারি পর্যন্ত রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে পঞ্চায়েত নির্বাচন সংক্রান্ত কোনও ধরণের বিজ্ঞপ্তি জারিতে অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দিয়েছে। আগামী ৯ জানুয়ারির মধ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচনে নিরাপত্তা নিয়ে রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে একটি হলফনামা দিতে হবে। তারপর মামলাকারী শুভেন্দু অধিকারী পৃথক একটি হলফনামা দেবেন। দুটি হলফনামা পাওয়ার পর মামলার শুনানি হবে।   

    আরও পড়ুন: আসানসোলের দুর্ঘটনায় জিতেন্দ্র, তাঁর স্ত্রীর বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের, নাম নেই শুভেন্দুর

    শুভেন্দু অধিকারী মামলা করার সময়ে দুটি প্রসঙ্গ টেনে এনেছিলেন। ২০১৩ সালে রাজ্যে পঞ্চায়েত ভোট সম্পূর্ণ হয়েছিল কেন্দ্রীয় বাহিনীর তত্ত্বাবধানে এবং ২০১৮ সালে পঞ্চায়েত নির্বাচন হয়েছিল কেন্দ্রীয় বাহিনী ছাড়া। ফলে তিনি জানিয়েছিলেন যে, ২০১৮ সালে পঞ্চায়েত নির্বাচনে হিংসার অভিযোগ উঠেছিল। তাই আগামী বছরের পঞ্চায়েত নির্বাচন কেন্দ্রীয় বাহিনীর তত্ত্বাবধানে হওয়ার আর্জি জানিয়েছেন।

    বিজ্ঞপ্তি জারিতে স্থগিতাদেশ

    গত মঙ্গলবার কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব এবং বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চে উঠেছিল শুভেন্দুর করা মামলাটি। তখন শুভেন্দুর মামলার বিরোধিতা করেছিল রাজ্য নির্বাচন কমিশন ও নির্বাচন কমিশন থেকে জানানো হয়েছিল যে, এতে যেন কোনও স্থগিতাদেশ না দেওয়া হয়। কিন্তু রাজ্য নির্বাচন কমিশনের কথার তোয়াক্কা না করে হাইকোর্ট থেকে এই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

    উল্লেখ্য, পঞ্চায়েত নির্বাচন নিয়ে প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে শাসক-বিরোধী দল। দুই দল প্রচারেও নেমেছে। এই পরিস্থিতিতে বিভিন্ন জেলা থেকে বোমা, গুলি এবং আগ্নেয়াস্ত্রও উদ্ধার করা শুরু হয়েছে। ফলে এই মুহূর্তে হাইকোর্টের (Calcutta High Court) এমন নির্দেশ তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। আবার হাইকোর্টের এই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে রাজ্য সরকার বা রাজ্য নির্বাচন কমিশন সুপ্রিম কোর্টে যায় কিনা, তা নিয়েও কৌতুহলের শেষ নেই।

LinkedIn
Share