Author: নিমাই দে

  • Loan App Scam: মুম্বই থেকে কলকাতা পুলিশের হাতে গ্রেফতার লোন অ্যাপ প্রতারণা চক্রের ‘মাস্টারমাইন্ড’

    Loan App Scam: মুম্বই থেকে কলকাতা পুলিশের হাতে গ্রেফতার লোন অ্যাপ প্রতারণা চক্রের ‘মাস্টারমাইন্ড’

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লোন অ্যাপ প্রতারণা চক্রের (Loan App Scam) মাস্টারমাইন্ড-কে গ্রেফতার করল কলকাতা পুলিশ। ধৃত এই যুবতী দুবাই থেকে বসে প্রতারণার কারবার চালাচ্ছিলেন। এই নিয়ে একাধিক অভিযোগও জমা পড়েছে বলে দাবি কলকাতা পুলিশের। কলকাতার এক বাসিন্দাকে ঠকানোর অভিযোগে এবার তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সূত্রের খবর অনুযায়ী, ধৃতের নাম সোনিয়া খারাটমল ও তিনি দুবাইয়ের বাসিন্দা। মুম্বই থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে অভিযুক্ত মহিলাকে।

    লোন অ্যাপ প্রতারণার চক্রের মূল অভিযুক্ত গ্রেফতার

    সূত্রের খবর অনুযায়ী, অভিযুক্ত সোনিয়া বোনের বিয়েতে যোগ দিতে দুবাই থেকে মুম্বইয়ে এসেছিলেন। আর সেসময়েই কলকাতা পুলিশের সাইবার ক্রাইম শাখার জালে ধরা পড়লেন এই যুবতী। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ঋণ দেওয়ার নাম করে তথ্য হাতিয়ে ব্ল্যাকমেল করত এই যুবতী। এইভাবে প্রতারণা করেই একাধিক ব্যক্তির থেকে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছিলেন তিনি। এমনকী গত ২৭ জুন লালবাজারে এই নিয়ে একটি অভিযোগও দায়ের হয়েছিল। তদন্তে নেমে একটি বড় চক্রের সন্ধান পায় পুলিশ। বেশ কয়েকটি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে কোটি কোটি টাকার লেনদেনের তথ্যও পুলিশের হাতে উঠে আসে।

    আরও পড়ুন: ফের কলেজিয়ামকে নিশানা কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রীর! কী বললেন, জানেন?

    তবে তার আগে ৮ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছিল একই ঘটনায় (Loan App Scam)। তাদের জেরা করেই মাস্টারমাইন্ডের কথা জানা যায়। তখন তদন্ত করে দেখা যায় এই যুবতী দুবাইয়ে বসে প্রতারণার কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। শুধুমাত্র পশ্চিমবঙ্গ নয়, অন্ধ্রপ্রদেশ, তামিলনাড়ু এবং মহারাষ্ট্রেও এরা প্রতারণা করেছে বলে অভিযোগ। তবে‌ এবারে পুলিশের জালে স্বয়ং মাস্টারমাইন্ড। আরও জানা গিয়েছে, সোনিয়া মহারাষ্ট্রের বাসিন্দা এবং গত ৬ মাস ধরে তিনি দুবাইয়ে। আর সেখান থেকেই সবাইকে কন্ট্রোল করতেন।

    এই বিষয়ে ডিসি সাইবার ক্রাইম অতুল ভি বলেন, ‘প্রতারণার (Loan App Scam) মাস্টারমাইন্ড সোনিয়াকে শুক্রবার আদালতে তোলা হয়েছে। এই যুবতী রীতিমত হুমকি দিয়ে ব্যক্তিদের সঙ্গে প্রতারণা করতেন। নানা ব্যাঙ্কের সঙ্গে আঁতাত করে কোটি টাকা রোজগার করেছেন কয়েক মাসে। অভিযুক্ত সোনিয়াকে কলকাতায় নিয়ে আসার বন্দোবস্ত করা হচ্ছে বলেও পুলিশ সূত্রে খবর।

  • West Bengal Weather: রাজ্যে জাঁকিয়ে বসেছে কনকনে শীত, কলকাতায় পারদ নামল ১৩ ডিগ্রির ঘরে!

    West Bengal Weather: রাজ্যে জাঁকিয়ে বসেছে কনকনে শীত, কলকাতায় পারদ নামল ১৩ ডিগ্রির ঘরে!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আজ, শনিবার মরশুমের শীতলতম দিন। তাপমাত্রার পারদ নেমে গেল ১৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ঘরে। গতকালের থেকেও আজ তাপমাত্রা কমেছে। ফলে কার্যত আদর্শ ‘উইন্টার উইনএন্ড’ বলা যেতেই পারে। জাঁকিয়ে শীতের আমেজে বেজায় খুশি শীতপ্রেমীরা। আগামী কয়েকদিন আরও পারদ পতনের ইঙ্গিত দিল আলিপুর আবহাওয়া দফতর। কিন্তু আগামী ২-৩দিন পর ফের তাপমাত্রা বাড়তে পারে বলে পূর্বাভাস আবহাওয়া দফতরের (West Bengal Weather)।

    কলকাতায় মরশুমের শীতলতম দিন

    গতকাল তাপমাত্রা ১৪ ডিগ্রির ঘরে নামলে বলা হয়েছিল শীতলতম দিন। কিন্তু আজ আরও পারদ পতন হয়ে তাপমাত্রা নেমেছে ১৩ ডিগ্রির ঘরে। আজ কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৩.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা স্বাভাবিকের থেকে ২ ডিগ্রি কম। আবার সর্বোচ্চ তাপমাত্রাও স্বাভাবিকের থেকে কম আছে। কলকাতার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ২৬.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা স্বাভাবিকের থেকে এক ডিগ্রি কম। ফলে শহর কলকাতায় জাঁকিয়ে বসেছে শীত। সারাদিন বজায় থাকবে হিমেল হাওয়ার পরশ (West Bengal Weather)।

    পশ্চিমবঙ্গের উপর এখন জোরালো উত্তর-পশ্চিম বাতাস আছে। তার জেরে রাজ্যে চড়চড় করে তাপমাত্রা কমছে। আগামী এক থেকে দু’দিন এরকম তাপমাত্রা থাকবে। জলীয় বাষ্প কম থাকায় শীতল শুষ্ক আবহাওয়া বজায় থাকবে রাজ্যে।

    জেলার আবহাওয়া

    জেলায় জেলায় পারদ পতনের ধারা জারি। জেলায় তাপমাত্রা ১০-১১ ডিগ্রির মধ্যে ঘোরাফেরা করছে। পশ্চিমাঞ্চলের জেলায় দশের নিচেও নেমে যেতে পারে তাপমাত্রা। কোনও কোনও জেলায় তাপমাত্রা এখনই ৮ ডিগ্রিতে পৌঁছে গিয়েছে। পশ্চিমের জেলাগুলিতে শীতের দাপট বেশি থাকবে। আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, শুক্রবার দক্ষিণবঙ্গের মধ্যে পশ্চিম বর্ধমানের পানাগড় ছিল শীতলতম জায়গা। সকালে সেখানকার তাপমাত্রা ছিল ৮.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আসানসোলেও নেমেছে পারদ। সেখানে সকালে তাপমাত্রা ছিল ১১.৯। পুরুলিয়াতেও তাপমাত্রা নামে। সকালে তাপমাত্রা ছিল ১০.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বীরভূমের শ্রীনিকেতনের তাপমাত্রা ছিল ৮.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আগামী ৩ দিন আবহাওয়া এমনই থাকবে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর (West Bengal Weather)।

    উত্তরবঙ্গ ও দক্ষিণবঙ্গের আবহাওয়া

    কনকনে ঠান্ডায় সকাল থেকেই জবুথবু উত্তরের সব জেলাই। উত্তরবঙ্গের পার্বত্য জেলাগুলিতে তাপমাত্রার খুব একটা পরিবর্তন হবে না আগামী পাঁচদিন। উত্তরবঙ্গের নীচের জেলাগুলির তাপমাত্রা সামান্য কমবে। উত্তরবঙ্গে তেমন বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা নেই। শুধুমাত্র দার্জিলিং ও কালিম্পঙের দু’এক জায়গায় খুব হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনা আছে (West Bengal Weather)।

    আলিপুর আবহাওয়া সূত্রে খবর, আপাতত দক্ষিণবঙ্গেরও কোথাও বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই। দক্ষিণবঙ্গে শুষ্ক পরিস্কার আবহাওয়া থাকবে। আগামী ২২ ডিসেম্বর পর্যন্ত কনকনে শীতের আমেজ বজায় থাকবে। রাতের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে রবিবার (West Bengal Weather)।

  • West Bengal Weather: পারদ পতন শুরু! আজ মরশুমের শীতলতম দিন

    West Bengal Weather: পারদ পতন শুরু! আজ মরশুমের শীতলতম দিন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শহরবাসীর জন্য সুখবর। অবশেষে কলকাতায় জাঁকিয়ে পড়তে চলেছে শীত। পৌষ মাসের শুরুতেই শুরু হল পারদ পতন। আজ এই মরশুমের সবচেয়ে শীতলতম দিন বলে জানা গিয়েছে। আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, ১৫ ডিসেম্বরের পর থেকেই তাপমাত্রা কমতে শুরু করেছে। একদিনে প্রায় ২ ডিগ্রি কমল তাপমাত্রা। পারদ নামল ১৪-এর ঘরে। আজ কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৪.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ফলে রাজ্যে বাড়ল শীতের আমেজ (West Bengal Weather)।

    কলকাতার আবহাওয়া

    আজ কলকাতার এই মরশুমের সবচেয়ে শীতলতম দিন। একদিনের মধ্যে তাপমাত্রা কমল ২ ডিগ্রি। গতকাল সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৬.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর আজ তা কমে দাঁড়াল ১৪.৫ ডিগ্রিতে। আজকের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ২৬ ডিগ্রির কাছাকাছি থাকবে। পৌষ মাস পড়তেই পারদ নিম্নমুখী হতে শুরু করে দিয়েছে। আগামী কয়েকদিনে আরও ২ ডিগ্রি পারদ পতন হতে পারে বলে জানিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া অফিস (West Bengal Weather)।

    আরও পড়ুন: সপ্তাহান্তে পারদপতন শহরে, জেলাতেও জাঁকিয়ে শীত

    জেলার আবহাওয়া

    জেলায় জেলায় পারদ পতন জারি। জাঁকিয়ে শীত পড়েছে জেলাগুলিতেও। বীরভূম, বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, ঝাড়গ্রামে হাড় কাঁপুনি ঠান্ডায় জবুথবু মানুষ। পারদ পতনের এই ধারা আগামী কয়েকদিন জারি থাকবে, এমনই পূর্বাভাস দিয়েছে হাওয়া অফিস। পশ্চিমাঞ্চলের জেলাগুলির তাপমাত্রা নেমেছে ১০ ডিগ্রিতে (West Bengal Weather)।

    উত্তরবঙ্গ ও দক্ষিণবঙ্গের আবহাওয়া

    উত্তরবঙ্গের জেলাগুলিতেও পারদ পতন শুরু হয়ে গিয়েছে। জাঁকিয়ে শীত পড়েছে দার্জিলিং, কার্শিয়াং, কালিম্পংয়ে। পশ্চিমবঙ্গে দার্জিলিং জেলার এক বা দুই জায়গায় বৃষ্টি হতে পারে। তাপমাত্রার পারদ নেমেছে তরাই-ডুয়ার্সের জেলাগুলিতেও। কালিম্পংয়ের তাপমাত্রা ১১ ডিগ্রি সেলসিয়ায়ে পৌঁছে গিয়েছে। সিকিমে শুরু হয়ে গিয়েছে তুষারপাত। বাকি জেলাগুলিতে শুষ্ক আবহাওয়ার সম্ভাবনা সবথেকে বেশি (West Bengal Weather)।

    আগামী পাঁচ দিন দক্ষিণবঙ্গে শুষ্ক, পরিস্কার আবহাওয়া থাকবে। রবিবারের মধ্যে তাপমাত্রা আরও ২ ডিগ্রি কমতে পারে, সূত্রের খবর। উত্তুরে হাওয়ার দাপট বাড়ছে রাজ্যে। আর কোনও ঘূর্ণিঝড় বা পশ্চিমিঝঞ্ঝার পরিস্থিতি তৈরি না হওয়ায় বিনা বাধায় ঢুকতে শুরু করেছে উত্তুরে হাওয়া। আর তার জেরেই নামছে পারদ। ফলে আগামী পাঁচদিন এই পারদ পতনের ধারা জারি থাকবে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর (West Bengal Weather)।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • FIFA World Cup: মেসি ম্যাজিক! আর্জেন্টিনাকে ফাইনালে তোলার পথে গড়লেন একাধিক রেকর্ড

    FIFA World Cup: মেসি ম্যাজিক! আর্জেন্টিনাকে ফাইনালে তোলার পথে গড়লেন একাধিক রেকর্ড

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অপ্রতিরোধ্য মেসি! কাতারে সেমিফাইনালে ক্রোয়েশিয়াকে ৩-০ গোলে হারিয়ে বিশ্বকাপ (FIFA World Cup 2022) ফাইনালে উঠে গেল মেসিরা। এদিন ম্যাচে মেসি খেলতে নেমেই জয়ের পাশাপাশি গড়লেন একের পর এক নজির। চলতি বিশ্বকাপে বেশ কয়েকটি রেকর্ড গড়ে ফেলেছেন মেসি। ফাইনাল ম্যাচেও মেসির সামনে থাকবে একাধিক নতুন রেকর্ড গড়ার ও পুরনো রেকর্ড ভাঙার সুযোগ।

    ক্রোয়েশিয়ার বিরুদ্ধে নেমে মেসির তিনটি রেকর্ড

    বুধবার কাতারের লুসাইল স্টেডিয়ামে ক্রোয়েশিয়ার বিরুদ্ধে সেমিফাইনালে (FIFA World Cup) মাঠে নামার সঙ্গে সঙ্গে দুটি রেকর্ড গড়ে ফেলেছেন লিওনেল মেসি। আর পেনাল্টি থেকে গোল করেও আরও একটি রেকর্ড গড়েছেন আর্জেন্টিনার মহাতারকা ফুটবলার।

    প্রথম রেকর্ড

    বিশ্বকাপে সবচেয়ে বেশি ম্যাচে খেলার রেকর্ড এখন লিওনেল মেসির দখলে। এতদিন বিশ্বকাপ ফুটবলে সবচেয়ে বেশি ম্যাচ খেলার রেকর্ড ছিল জার্মানির বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক লোথার ম্যাথিউজের। কিন্তু এবারে বিশ্বকাপ ফুটবলে সবচেয়ে বেশি ম্যাচ খেলার তালিকায় যুক্ত হল মেসিরও নাম। ১৯৮২ থেকে ১৯৯৮ পর্যন্ত পাঁচ বিশ্বকাপে ২৫টি ম্যাচ খেলেছিলেন ম্যাথিউজ। অন্যদিকে ক্রোয়েশিয়ার বিরুদ্ধে বিশ্বকাপে (FIFA World Cup) এবার ২৫তম ম্যাচ খেলে মেসিও তাঁর পাশে স্থান পেলেন।

    আরও পড়ুন: জোড়া গোল আলভারেজের! মেসি-ম্যাজিকেই ক্রোয়েশিয়াকে হারিয়ে বিশ্বকাপ ফাইনালে আর্জেন্টিনা

    দ্বিতীয় রেকর্ড

    বিশ্বকাপে (FIFA World Cup) অধিনায়ক হিসেবেও মেসি গড়লেন নতুন রেকর্ড। ম্যাথিউজের রেকর্ড স্পর্শ করার পাশাপাশি, এদিন মেসি ছাপিয়ে গেলেন মেক্সিকোর প্রাক্তন অধিনায়ক রাফায়েল মার্কুয়েজকে। বিশ্বকাপে অধিনায়ক হিসেবে এই ম্যাচের আগে পর্যন্ত ১৮টি ম্যাচ খেলে মেসি বসেছিলেন রাফায়েল মার্কুয়েজের সঙ্গে। আর এদিন ক্রোয়েশিয়ার বিরুদ্ধে মাঠে নামার পর অধিনায়ক হিসেবে মেসির হয়ে গেল ১৯ টি ম্যাচ। ফলে এটিও তাঁর চলতি বিশ্বকাপে একটি নতুন রেকর্ড।

    তৃতীয় রেকর্ড

    আবার এদিন গোল করার ক্ষেত্রেও রেকর্ড গড়েছেন মহাতারকা। এদিন ম্যাচের ৩২ মিনিটে দলের প্রথম গোল পেনাল্টি থেকে করেন মেসি। সেই সঙ্গে গড়ে ফেলেন নতুন নজির। গ্যাব্রিয়েল বাতিস্তুতার রেকর্ড ভেঙে দিলেন মেসি। বিশ্বকাপে আর্জেন্টিনার জার্সিতে সবচেয়ে বেশি ১০ গোল করার নজির ছিল বাতিস্তুতার। নেদারল্যান্ডসের বিরুদ্ধে কোয়ার্টার ফাইনালে গোল করে সেই রেকর্ড স্পর্শ করেছিলেন মেসি। এদিন সেই রেকর্ড ভেঙে দিলেন আর্জেন্টিনার অধিনায়ক। বিশ্বকাপে ১১টি গোল হয়ে গেল মেসির।

    আবার ক্রোয়েশিয়ার বিরুদ্ধে ম্যাচে নেমে কিলিয়ান এমবাপেকেও ধরে ফেললেন মেসি। ফ্রান্সের তারকা চলতি বিশ্বকাপে ৫ গোল করে সর্বোচ্চ গোলদাতা ছিলেন। মেসি তাঁর চেয়ে এক গোলে পিছিয়ে ছিলেন। কিন্তু ক্রোয়েশিয়ার বিরুদ্ধে গোল করে এমবাপেকেও গোলসংখ্যায় ধরে ফেললেন মেসি। চলতি বিশ্বকাপে (FIFA World Cup) তাঁরও ৫ গোল হয়ে গেল।

    এভাবেই দেখতে দেখতে কাতার বিশ্বকাপও (FIFA World Cup) শেষের পথে। আর একটি সেমিফাইনাল ম্যাচ এবং ফাইনাল ম্যাচ বাকি রয়েছে। লিওনেল মেসির (Lionel Messi) আর্জেন্টিনা (Argentina) এ বারের বিশ্বকাপের প্রথম ফাইনালিস্ট। এরপর ফাইনালে কার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে নামতে চলেছেন মেসিরা, এখন সেদিকে তাকিয়েই বিশ্ববাসী। আর ১৮ ডিসেম্বরের ফাইনালে মেসির জাদু দেখার জন্য এখন থেকেই দিন গুনছে মেসি প্রেমীরা।

  • Lalan Sheikh: লালন শেখের ‘রহস্যময়’ মৃত্যু নিয়ে হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের

    Lalan Sheikh: লালন শেখের ‘রহস্যময়’ মৃত্যু নিয়ে হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সিবিআই হেফাজতে বগটুইকাণ্ডের মূল অভিযুক্ত লালন শেখের (Lalan Sheikh) মৃত্যুতে এবার কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির দৃষ্টি আকর্ষণ করা হল। আইনজীবী সব্যসাচী চট্টোপাধ্যায় এই বিষয়ে বিচারপতির দৃষ্টি আকর্ষণ করলেন। লালন শেখের মৃত্যু নিয়ে হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করা হল। কীভাবে সিবিআই-এর হেফাজতে মৃত্যু লালন শেখের, প্রশ্ন তুলে মামলা দায়ের করা হয়েছে আদালতে। আজ, মঙ্গলবার হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব এবং বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চ মামলা করার অনুমতি দিয়েছেন। জনস্বার্থ মামলার দ্রুত শুনানির আর্জিও জানিয়েছেন মামলাকারী আইনজীবী সব্যসাচী চট্টোপাধ্যায়।

    লালন শেখের অস্বাভাবিক মৃত্যু নিয়ে হাইকোর্টে মামলা দায়ের

    বগটুই কাণ্ডে মূল অভিযুক্ত লালন শেখকে (Lalan Sheikh) কয়েকদিন আগেই ঝাড়খণ্ড থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এরপর সিবিআই হেফাজতে থাকাকালীন তাঁর রহস্যময় মৃত্যু হয়। একদিকে সিবিআইয়ের দাবি, লালন ‘আত্মহত্যা’ করেছে। অন্যদিকে নিহতের পরিবারের দাবি, তাকে ‘খুন’ করা হয়েছে। ফলে এই মৃত্যু খুন নাকি আত্মহত্যা, তা জানার জন্যই হাইকোর্টে মামলা করা হয়। সিবিআই হেফাজতে থাকা সত্ত্বেও কীভাবে তাঁর মৃত্যু হল, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু হয়েছে।

    আরও পড়ুন: লালনের মৃত্যুতে অস্বস্তিতে সিবিআই, দিল্লি থেকে রিপোর্ট তলব, বাড়ানো হল কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা

    এদিন আাদালতে এ নিয়ে একটি বিশেষ আবেদন দাখিল করেন আইনজীবী সব্যসাচী চট্টোপাধ্যায়। সেই আর্জিতে ওই আইনজীবী আবেদন করেন, হাইকোর্টের কোনও বিচারপতির পর্যবেক্ষণে এই গোটা বিষয়টির তদন্ত করা হোক। এ নিয়ে দ্রুত পদক্ষেপ করার আর্জিও জানান তিনি। সব্যসাচীর আবেদনের প্রেক্ষিতে মামলা দায়ের করার অনুমতিও দিয়েছেন বিচারপতি। মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া সম্পন্ন হলে আজ অথবা আগামিকাল শুনানির সম্ভাবনা রয়েছে। এর আগে বগটুই কাণ্ডে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিলেন কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ।

    অন্যদিকে লালন শেখের (Lalan Sheikh) মৃত্যুতে কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে রামপুরহাটে। সিবিআইয়ের অস্থায়ী ক্যাম্পেও মোতায়েন করা হয়েছে কেন্দ্রীয় বাহিনী। আবার, এই ঘটনা নিয়ে বিপাকে পড়েছে সিবিআই। কারণ লালনের মৃত্যুর পরে গতকাল রাতেই দিল্লির সিবিআই দফতর থেকে সেই বিস্তারিত রিপোর্ট চেয়ে পাঠানো হয় বগটুই তদন্তের দায়িত্বে থাকা সিবিআই আধিকারিকদের থেকে। এর পাশাপাশি, এই ঘটনায় বিভাগীয় তদন্তও শুরু করেছে সিবিআই। ইতিমধ্যে আজ সকালেই রামপুরহাটে পৌঁছেছেন আরও কয়েকজন সিবিআই আধিকারিক। ফলে তদন্ত শুরু হলেও পরে এই মামলা শেষ পর্যন্ত আদালত পর্যন্ত গড়াল। ফলে এই ঘটনায় আদালত থেকে কী নির্দেশ দেওয়া হয়, এখন সেটাই দেখার। 

  • Bhupendra Patel: মোদি-শাহ-র উপস্থিতিতে গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী পদে ফের শপথ নিলেন ভূপেন্দ্র প্যাটেল

    Bhupendra Patel: মোদি-শাহ-র উপস্থিতিতে গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী পদে ফের শপথ নিলেন ভূপেন্দ্র প্যাটেল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ঐতিহাসিক জয় বিজেপির। গুজরাটে ইতিহাস সৃষ্টি করে দ্বিতীয়বারের জন্য মুখ্যমন্ত্রী হলেন বিজেপির ভূপেন্দ্র প্যাটেল (Bhupendra Patel)। নির্ধারিত সূচি মেনেই সোমবার দুপুরে রাজ্যপাল আচার্য দেবব্রত শপথবাক্য পাঠ করালেন ভূপেন্দ্রকে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ও একাধিক হেভিওয়েট বিজেপি নেতাদের উপস্থিতিতে এদিন এই শপথগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়।

    শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে কে কে উপস্থিত ছিলেন?

    এদিন গান্ধীনগরে নতুন সচিবালয়ের কাছে হেলিপ্যাড গ্রাউন্ডে রাজ্যপাল আচার্য দেবব্রত শপথবাক্য পাঠ করান গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী ভূপেন্দ্র প্যাটেলকে (Bhupendra Patel)। শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে আজ গান্ধীনগরে বসেছিল চাঁদের হাট। অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, যোগী আদিত্যনাথ, হিমন্ত বিশ্বশর্মার মত অন্যান্য বিজেপি শাসিত রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীরাও। আবার উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের নানা প্রান্ত থেকে আসা ২০০ জন সাধু। উপস্থিত ছিলেন দলিত ও অনগ্রসর শ্রেণির প্রতিনিধিরাও।

    আরও পড়ুন: আজ গুজরাটে মেগা শপথ! থাকবেন প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী-সহ ২০ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী

    মুখ্যমন্ত্রী ছাড়াও আর কে কে শপথ নিলেন?

    এদিন ভূপেন্দ্রর (Bhupendra Patel) পরেই রাজ্যের সম্ভাব্য মন্ত্রীরাও শপথ নেন। প্রাথমিক ভাবে শপথ নিয়েছেন ১৭ জন। এদিন শপথ নেওয়া মন্ত্রীদের মধ্যে রয়েছেন জামনগরের রাঘবজি প্যাটেল, জাসদনের কুনভারজি বাভালিয়া, পারডি থেকে কানুভাই দেশাই, ভিসনগরের ঋষিকেশ প্যাটেল ও আরও কয়েকজন। গুজরাটে নতুন মন্ত্রিসভায় তিনজন প্যাটেল, পাঁচজন অন্যান্য অনগ্রসর শ্রেণি, একজন তপসিলি জাতি, তিনজন তপসিলি উপজাতি, একজন জৈন, দুজন ক্ষত্রিয় এবং একজন অন্য বর্ণের নেতা অন্তর্ভুক্ত হয়েছেন। 

    আবার এদিন জয়ী বিধায়কদের মধ্যে সোমবার শপথ নিয়েছেন হর্ষ সাংভি, জগদীশ বিশ্বকর্মা, পুরুষোত্তম সোলাঙ্কি, বাচুভাউ খাবাদ, মুকেশ পটেল, ভিখুসিন পারমার প্রমুখ। মন্ত্রিসভার একমাত্র মহিলা প্রতিনিধি হিসাবে শপথ নিয়েছেন ভানুবেন বাবারিয়া।

    প্রসঙ্গত, গত বৃহস্পতিবার গুজরাট বিধানসভা নির্বাচনের ফলপ্রকাশ হয়েছে। গুজরাট বিধানসভার ১৮২ টি আসনের মধ্যে বিজেপি জিতেছে ১৫৬ টি আসন। মোদি ম্যাজিকেই টানা সপ্তমবারের জন্য গুজরাটে সরকার গঠন করল বিজেপি। ভূপেন্দ্রর (Bhupendra Patel) আগে ২০১৭ সালে মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন বিজয় রূপানী। এরপর মাঝপথেই তাঁকে সরিয়ে ২০২১-এ মুখ্যমন্ত্রী করা হয় ভূপেন্দ্রকে। আর তাঁকে সামনে রেখেই নির্বাচনের লড়াইয়ে নামে বিজেপি। ফলে ঐতিহাসিক জয়ের পরে কাকে মুখ্যমন্ত্রী করা হবে, তা নিয়ে কোনও প্রশ্নই ওঠেনি গেরুয়া শিবিরের অন্দরে।   

  • Partha Chatterjee: “আমি ন্যায় বিচার চাই…”, পার্থর জামিনের আবেদন ফের খারিজ করল আদালত

    Partha Chatterjee: “আমি ন্যায় বিচার চাই…”, পার্থর জামিনের আবেদন ফের খারিজ করল আদালত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের মিলল না জামিন। গ্রেফতার হয়েছেন পাঁচ মাস হয়ে গেল তবু জামিন নেই। শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি (SSC Scam) মামলায় রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষা মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের (Partha Chatterjee) জামিনের আবেদন ফের খারিজ হয়ে গেল। আগামী ২২ ডিসেম্বর পর্যন্ত পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে বিচার বিভাগীয় হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিল আদালত। আলিপুরের বিশেষ সিবিআই আদালতে এদিন পার্থ-সহ বাকি অভিযুক্তদেরও পেশ করা হয়। তাঁদেরও আগামী ১০ দিনের জন্য বিচারবিভাগীয় হেফাজতে পাঠিয়ে দিল আদালত।

    শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে অভিযুক্ত পার্থর জামিনের আবেদন খারিজ

    রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী তথা তৃণমূলের শীর্ষস্তরের নেতা পার্থর (Partha Chatterjee) বিরুদ্ধে শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির ষড়যন্ত্রে জড়িত থাকার সরাসরি অভিযোগ এনেছে সিবিআই। চলতি বছর ২৩ জুলাই শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে গ্রেফতার করেছিল ইডি। এদিন জেল হেফাজতের মেয়াদ শেষে ফের পিএমএলএ আদালতে (PMLA Court) পেশ করা হয় পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে। জামিনের জন্য আবেদন করা হয়। কিন্তু দুপক্ষের কথা শুনে আদালত ২২ ডিসেম্বর পর্যন্ত হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেয়।

    আদালতে সওয়াল-জবাব

    পার্থর (Partha Chatterjee) হয়ে এদিন সওয়াল করেন আইনজীবী সেলিম রহমান। জামিনের আবেদন করে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের আইনজীবী সওয়াল করেন, পার্থবাবু কখনও নিয়োগ দুর্নীতিতে জড়িত কমিটির সঙ্গে বৈঠক করেননি। কমিটি তাঁকে কখনও কোনও রিপোর্ট দেয়নি। তাহলে তিনি ষড়যন্ত্রে সামিল হলেন কী করে? তিনি বলেন, “নিয়োগে গঠিত উপদেষ্টা কমিটি যদি কিছু করে থাকে তাতে আমার মক্কেলের কোনও ভূমিকা নেই। চার্জশিটের পর কী করে আবার তদন্ত করার কথা বলতে পারে? এটা তো আইনবিরুদ্ধ। এই কথা রোজ বলে একজনকে দিনের পর দিন আটকে রাখা যায় না। আমার মক্কেল কোথাও যাবেন না। যে কোনও শর্তে জামিন চাইছি।”

    আরও পড়ুন: কলেজের অনুমোদন দিতে পার্থ-মানিক নিতেন কত টাকা জানেন? কী বলল ইডি?

    আর এর উত্তরে সিবিআইয়ের আইনজীবী বলেন, “শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি একটা বিরাট ষড়যন্ত্র। এই ষড়যন্ত্রের রহস্যভেদ করতে পার্থর মত প্রভাবশালীদের জেলে রাখা দরকার। নইলে তথ্যপ্রমাণ নষ্ট হতে পারে। প্রত্যেকে ষড়যন্ত্রে যুক্ত। যেন একটা চেনের মাধ্যমে যুক্ত। অভিযুক্তরা সহযোগিতা করছেন না। তাই আমরা তাঁদের ফের জেল হেফাজতে চাইছি।”

    এর পর আদালত কক্ষে উঠে দাঁড়িয়ে পার্থবাবুও মুখ খুললেন। তিনি বলেন, “বৃহত্তর ষড়যন্ত্র কাকে বলে আমি জানতে চাই। এখানে সামাজিকভাবে আমার চরিত্র হননের কাজ চলছে।  এভাবে একজনকে জেলে আটকে রাখলে ভবিষ্যতে কেউ মন্ত্রী বা জনপ্রতিনিধি হতে চাইবে না। আমি মন্ত্রী, প্রতিদিন এক কথা শুনতে শুনতে কান ঝালাফালা হয়ে যাচ্ছে। আমি ন্যায় বিচার চাই।”

    বাকি অভিযুক্তদের জামিনের আবেদন খারিজ

    পার্থর পাশাপাশি এদিন আদালতে তোলা হয় কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়, সুবীরেশ ভট্টাচার্য, শান্তিপ্রসাদ সিনহা, অশোক সাহাদের। এর পর দুপক্ষের সওয়াল শুনে রায়দান স্থগিত রাখে আদালত। বিকেল ৪টে নাগাদ ১০ দিনের বিচারবিভাগীয় হেফাজত ঘোষণা করেন বিচারক। নিয়োগ দুর্নীতিতে অভিযুক্ত পার্থ সহ ৭ জনকেই ২২ ডিসেম্বর অবধি জেল হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়।

  • BNP: শেখ হাসিনার পদত্যাগের দাবিতে সমাবেশ বিএনপি-র, বিক্ষোভ-অবস্থান ঘিরে উত্তাল ঢাকা

    BNP: শেখ হাসিনার পদত্যাগের দাবিতে সমাবেশ বিএনপি-র, বিক্ষোভ-অবস্থান ঘিরে উত্তাল ঢাকা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রতিবেশি দেশ বাংলাদেশের রাজনীতির বর্তমানে টালমাটাল পরিস্থিতি। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগের দাবিতে উত্তাল হয়ে উঠল রাজধানী শহর ঢাকা। বাংলাদেশে বিরোধী দল বাংলাদেশ ন্যাশানালিস্ট পার্টি তথা বিএনপি-র (BNP) সমাবেশকে ঘিরে পরিস্থিতি উত্তপ্ত। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগ, অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন এবং অন্যান্য দাবিতে শনিবার বিএনপি একটি মহাসমাবেশের ডাক দেয়। তাতে জড়ো হয়েছিলেন হাজার হাজার মানুষ।

    শেখ হাসিনার পদত্যাগের দাবিতে পথে নেমেছে বিএনপি

    ১০ ডিসেম্বর রাজধানী ঢাকাতে বিএনপি-র (BNP) একটি বিশাল সমাবেশের পরিকল্পনা ছিল। সেখানেই উপস্থিত হয় হাজার হাজার মানুষ। তারা বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে। বিক্ষোভকারীরা অভিযোগ করেন, হাসিনা সরকার দেশের ক্রমবর্ধমান মূল্যবৃদ্ধি, জীবনযাত্রার ক্রমবর্ধমান ব্যয়কে আটকাতে ব্যর্থ। শেখ হাসিনার অদক্ষতার কারণেই বাংলাদেশের মানুষ আজ সমস্যায় রয়েছেন। তাঁরা অন্ধকারে ডুবে যাচ্ছেন। সেই কারণেই শনিবার সকাল থেকে ঢাকার সায়েদাবাদ বাস টার্মিনালের কাছে গোলাপবাগ খেলার মাঠে জড়ো হতে শুরু করেন বিক্ষোভকারীরা। বাংলাদেশে জ্বালানি তেলের দামবৃদ্ধি, নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের মূল্যবৃদ্ধি ইত্যাদিতে নাভিশ্বাস সেখানকার জনগণের। ফলে পরের বছরের সাধারণ নির্বাচনের আগে প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ দাবি করে ও নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হোক বলে জানিয়েছে বিএনপি। 

    আরও পড়ুন: ৯ রাজ্যে অ-মুসলিম শরণার্থীদের নাগরিকত্ব দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু!

    বিএনপি-এর তরফে কী কী অভিযোগ আনা হল?

    বিএনপি-এর তরফে অভিযোগ করা হয়, এই সমাবেশ বানচাল করার জন্য তার আগের দিনই ৯ ডিসেম্বর বিএনপির দুই শীর্ষ নেতাকে গ্রেফতার করা হয়। বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসকে ভোরে রাজধানীতে পৃথক অভিযান চালিয়ে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যায় গোয়েন্দা শাখার অফিসাররা। তাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে যে, তাঁরা সরকারের বিরুদ্ধে প্রচার চালাচ্ছেন, তাই আইনি প্রক্রিয়া শুরু করার জন্য গোয়েন্দা শাখা হেফাজতে নিয়েছে তাঁদের। আবার বিএনপি কর্মীদের অভিযোগ, সেদিন বিক্ষোভ চলাকালীন পুলিশের সংঘর্ষে একজন নিহত হয়েছেন এবং আরও কয়েক জন আহত হয়েছেন।

    সরকারের তরফে কী বলা হল?

    বিএনপি-এর সমাবেশের প্রসঙ্গ এনে সরকারের তরফে জানানো হয়েছে, দেশের নির্বাচন সংক্রান্ত কোনও ‘অভ্যন্তরীণ ষড়যন্ত্র’কে সহ্য করবে না বাংলাদেশ। বরদাস্ত করা হবে না ‘বিদেশি কারও হস্তক্ষেপ’ও। রবিবার আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে একটি অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়েছিলেন দেশের আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, পররাষ্ট্রমন্ত্রী একে আব্দুল মোমেন এবং পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মহম্মদ শাহরিয়ার আলম। সেখানেই বিএনপির(BNP) সভার প্রসঙ্গে তাঁরা সরকারের অবস্থানের কথা জানান। আগামী বছর বাংলাদেশে নির্বাচন। এই বিষয়ে বাংলাদেশ ‘বাইরের কোনও চাপের কাছে’ মাথা নত করবে না বলে জানিয়ে দিয়েছে সরকার। সরকারের তরফে স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয়েছে যে, সমাবেশ-বিক্ষোভ করে প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ  ঘটানো সম্ভব নয়।

  • Bengaluru: রাত ১১টার পর রাস্তায় ঘোরা ‘বেআইনি’! দম্পতিকে ৩০০০ টাকা জরিমানা বেঙ্গালুরু পুলিশের

    Bengaluru: রাত ১১টার পর রাস্তায় ঘোরা ‘বেআইনি’! দম্পতিকে ৩০০০ টাকা জরিমানা বেঙ্গালুরু পুলিশের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাত ১১ টার পর বাইরে থাকা ‘অপরাধ’। এটি ‘আইন-বিরুদ্ধ’ কাজ। ফলে এর জন্য দিতে হবে ৩০০০ টাকা জরিমানা। এমন আইন কখনও শুনেছেন আপনি? কিন্তু এমনটাই ঘটেছে বেঙ্গালুরুতে। এমনই এক ভয়াবহ অভিজ্ঞতার কথা সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করলেন বেঙ্গালুরু এক যুবক। রাত্রিবেলা স্ত্রীর সঙ্গে একটি অনুষ্ঠান থেকে নিজের বাড়িতে ফিরছিলেন বেঙ্গালুরুর (Bengaluru) বাসিন্দা এক যুবক। কিন্তু রাতে নাকি এইভাবে হেঁটে বেড়ানোর ‘অনুমতি নেই।’ এমন আশ্চর্য দাবি করেই ওই দম্পতির কাছ থেকে টাকা নেওয়ার অভিযোগ উঠল কয়েকজন পুলিশকর্মীর (police) বিরুদ্ধে। ইতিমধ্যেই ওই দুই অভিযুক্ত পুলিশকর্মীকে সাসপেন্ড করা হয়েছে।

    ঠিক কী ঘটেছিল?

    বেঙ্গালুরুর (Bengaluru) যুবকটির নাম কার্তিক পাত্রী। কার্তিক জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১২ টা নাগাদ বেঙ্গালুরু পুলিশের হয়রানির শিকার হয়েছেন তিনি ও তাঁর স্ত্রী। জন্মদিনের অনুষ্ঠান থেকে বাড়ি ফিরছিলেন। বাড়ির প্রায় কাছেই পথ আটকায় দুই পুলিশ আধিকারিক। তাঁদের জানায়, রাত ১১ টার পরে বাড়ির বাইরে থাকা একপ্রকার ‘আইন লঙ্ঘন’। এরপর তাঁদের কাছে প্রথমে পরিচয় পত্র দেখতে চান ওই আধিকারিকরা। ফোনে আধার কার্ডের ছবি দেখাতেই ৩০০০ টাকা জরিমানা করেন বলে অভিযোগ জানান ওই দম্পতি।

    তিনি আরও জানিয়েছেন, তাঁদের কাছে পরিচয়পত্র দেখতে চাইলে তিনি বুঝতে পারেন না, প্রাপ্তবয়স্ক দম্পতি রাত্রে রাস্তায় হাঁটলে পরিচয় পত্র দেখাতে হবে কেন। এরপরেই ওই পুলিশকর্মীরা একটি চালান বই বের করে কার্তিক ও তাঁর স্ত্রীর নাম এবং আধার কার্ডের নম্বর তাতে লিখতে শুরু করেন। বিপদ বুঝতে পেরে তাঁদের প্রশ্ন করেন কার্তিক, ‘কেন আমাদের নামে চালান কাটছেন?’

    উত্তরে ওই পুলিশকর্মীরা জানায়, রাত ১১টার পর নাকি রাস্তায় ঘুরে বেড়ানো নিষেধ। বিষয়টি নিয়ে যথেষ্ট সন্দেহ থাকলেও ঝামেলা বাড়াননি দম্পতি। কিন্তু ওই পুলিশকর্মীরা তাদের ফোনগুলি বাজেয়াপ্ত করে নেয়। এরপর আইন না জানার জন্য ক্ষমা চান কার্তিক ও তাঁর স্ত্রী। কিন্তু ওই পুলিশকর্মীরা বলে, এর জন্য ৩ হাজার টাকা জরিমানা দিতে হবে। তাঁরা কাকুতিমিনুতি করলেও কোনও কাজে দেয়নি। এমনকি পুলিশ তাঁদের গ্রেফতার করারও হুমকি দেয়। পরে তাঁর স্ত্রী কাঁদতে শুরু করলে এক পুলিশকর্মী কার্তিককে বলে, ঝামেলা না বাড়িয়ে মাত্র ১ হাজার টাকা পেটিএমের সাহায্যে দিয়ে দিতে। এরপরে সেই টাকা দিয়ে দেওয়ার পর তাঁদের ছেড়ে দেয় পুলিশ।

    এরপর বাড়ি আসার পর পুরো ঘটনাটি ট্যুইট করে বেঙ্গালুরু সিটির পুলিশ কমিশনারকে জানান কার্তিক। এরপরেই অবিলম্বে পদক্ষেপ নেয় পুলিশ। ইতিমধ্যে সাসপেন্ড করা হয়েছে সামপিগহল্লি থানার একজন হেড কনস্টেবল এবং অন্য এক কনস্টেবলকে। ঘটনাটি নজরে আনার জন্য কার্তিককে ধন্যবাদও জানিয়েছে বেঙ্গালুরু (Bengaluru) সিটি পুলিশ।

  • Bogtui Massacre: নিরাপত্তায় ছিল রাজ্য পুলিশ! ভূমিকা খতিয়ে দেখা হোক, লালনকাণ্ডে শুভেন্দু

    Bogtui Massacre: নিরাপত্তায় ছিল রাজ্য পুলিশ! ভূমিকা খতিয়ে দেখা হোক, লালনকাণ্ডে শুভেন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বগটুইকাণ্ডের (Bogtui Massacre) মূল অভিযু্ক্ত লালন শেখের অস্বাভাবিক মৃত্যু। কিছুদিন আগেই তাকে গ্রেফতার করা হয় ও সিবিআই হেফাজতে রাখা হয়। তাকে রামপুরহাটে সিবিআইয়ের অস্থায়ী ক্যাম্প অফিসে রাখা হয়েছিল। এর পর গতকাল বিকেলে তার অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়। এর ফলে সিবিআইয়ের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। তার মধ্যে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর বিস্ফোরক দাবিতে শোরগোল পড়ে গিয়েছে। তাঁর দাবি, লালনের মৃত্যুর নেপথ্যে পুলিশের হাত রয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখা উচিত। আবার বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারও এই বিষয়ে মন্তব্য করেছেন। ফলে লালনের রহস্যময় মৃত্যু নিয়ে রাজ্যে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা।

    শুভেন্দু ও সুকান্তর দাবি

    গতকাল হাজরায় সভা ছিল বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর। সেখানে সভাশেষে সংবাদমাধ্যমে শুভেন্দু বলেন, “লালন শেখের নিরাপত্তায় ছিল রাজ্য পুলিশ, তাই পুলিশের ভূমিকা খতিয়ে দেখা প্রয়োজন। যা সত্য, তা সামনে আসা উচিত। যেটুকু আমি শুনেছি, সিবিআই আধিকারিকেরা সেই সময় আদালতে গিয়েছিলেন। তবে, সবটাই শোনা।” এদিকে লালনের মৃত্যু নিয়ে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, “দেখতে হবে, লালনকে কোথায় রাখা হয়েছিল। তদন্ত হওয়া প্রয়োজন। কাউকে বাঁচাতে এটি করা হল কি না সেটাও দেখা উচিত।”

    আরও পড়ুন: আত্মঘাতী হয়েছে লালন শেখ, বগটুই কাণ্ডে মূল অভিযুক্তের মৃত্যু নিয়ে দাবি সিবিআইয়ের

    সিবিআই ও পরিবারের দাবি

    গতকাল সিবিআইয়ের তরফে বলা হয়েছিল যে, লালন আত্মহত্যা করেছে (Bogtui Massacre) । কিন্তু পরিবারের সদস্যদের দাবি, তাকে খুন করা হয়েছে। গতকাল সিবিআইয়ের অস্থায়ী ক্যাম্পের শৌচাগারে গামছা গলায় জড়ানো অবস্থায় লালনের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করা হয়। সূত্রের খবর, লালনের গলায় ফাঁস থাকলেও শৌচাগারের মেঝেতে তাঁর পা ঠেকে ছিল। তাই প্রশ্ন উঠছে কীভাবে তাহলে ফাঁস লাগল? লালন শেখের দিদির বক্তব্য, “এত মেরেছে যে লালন দাঁড়াতে পারছিল না। ওকে খুন করা হয়েছে। আমরা শাস্তি চাই, সিবিআইয়ের শাস্তি চাই।”

    চড়ছে উত্তেজনার পারদ। গতকালের ঘটনার পর জাতীয় সড়কে বিক্ষোভ দেখান লালনের পরিবার ও আত্মীয় স্বজন। যদিও পুলিশ পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। পরিস্থিতি যাতে নিয়ন্ত্রণের বাইরে না চলে যায় তার জন্য রাতে পুলিশি নিরাপত্তাও বাড়ানো হয় গ্রামে। যে হাসপাতালে লালনের ময়নাতদন্ত হচ্ছে, সেই রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালেও পুলিশি নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে। যে সিবিআই ক্যাম্পে লালনের মৃত্যু, তার সামনেও পুলিশি নিরাপত্তা রয়েছে, রয়েছে কেন্দ্রীয়-নিরাপত্তাও। সোমবার রাতেই রামপুরহাটের এসডিপিও জানান, যে সমস্ত জায়গা তাঁদের কাছে উত্তেজনাপ্রবণ, সেই সমস্ত জায়গাতেই বাড়ানো হয়েছে নিরাপত্তা। মঙ্গলবার সকালেই সিবিআইয়ের বিশেষ দল পৌঁছেছে রামপুরহাটের ক্যাম্প অফিসে। তদন্ত শুরু করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাও (Bogtui Massacre) ।

     
LinkedIn
Share