Author: নিমাই দে

  • West Bengal Weather: জাঁকিয়ে শীত পড়তে আরও দেরি! আজ কেমন থাকবে কলকাতার আবহাওয়া?

    West Bengal Weather: জাঁকিয়ে শীত পড়তে আরও দেরি! আজ কেমন থাকবে কলকাতার আবহাওয়া?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবছর অক্টোবর থেকে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২০ ডিগ্রির নীচে নামায় মনে করা হচ্ছিল, এবার খুব শীঘ্রই জাঁকিয়ে শীত পড়বে। কিন্তু ডিসেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহ, তবে শীতের দেখা নেই। আবহাওয়া সূত্রের খবর অনুযায়ী, সাধারণত ডিসেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে কলকাতায় ঠান্ডা পড়লেও এবছর এখনও দেরি আছে শীত আসতে। তবে সপ্তাহের শেষের দিকে ফের নামতে পারে পারদ। শীতের আমেজ বজায় থাকবে।

    কলকাতার আবহাওয়া

    আপাতত স্বাভাবিকের তুলনায় উপরেই থাকবে কলকাতার পারদ। মঙ্গলবার সকালে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৬.৬ ডিগ্রি থেকে প্রায় এক ডিগ্রি বেড়ে ১৭.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস হয়। যা স্বাভাবিকের চেয়ে ২ ডিগ্রি বেশি। তাপমাত্রা ২৯ ডিগ্রি সেলসিয়াসে ঠেকবে। আগের তুলনায় সামান্য বেড়ে তাপমাত্রা হবে ২৯.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাতাসে জলীয়বাষ্পের পরিমাণ থাকবে ৪১ থেকে ৯৮ শতাংশ। কলকাতায় মঙ্গলবার আংশিক মেঘলা আকাশ থাকবে। সকালের দিকে সামান্য কুয়াশা এবং শিশির দেখা যায়। আগামী কয়েক দিন একই রকম থাকবে আবহাওয়া। বৃষ্টির কোনও সম্ভাবনা নেই।

    অন্যদিকে জেলাগুলিতে অবশ্য খুব স্বাভাবিকভাবেই কলকাতা ও পার্শ্ববর্তী অঞ্চলের তুলনায় একটু কম থাকবে তাপমাত্রা।  ১৬ তারিখ বা তার পর থেকে ফের রাতের তাপমাত্রা কমবে বলে জানাচ্ছে হাওয়া অফিস।  আবার উত্তরবঙ্গের তাপমাত্রা আপাতত স্বাভাবিকের কাছাকাছি রয়েছে। আগামী কয়েকদিনে তার খুব বেশি পরিবর্তন হবে না বলে জানাচ্ছে হাওয়া অফিস। সেখানেও বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই।

    আরও পড়ুন: ফের পারদ পতন, রাজ্যে ফিরে এল শীতের আমেজ

    শীত আসতে কেন দেরী?

    আবহাওয়া দফতর সূত্রের খবর, মূলত উত্তুরে বাতাসের দাপট কমে যাওয়া ও বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমান বেড়ে যাওয়ার কারণেই এই পরিস্থিতি বলে জানাচ্ছেন আবহাওয়াবিদরা। দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগরে তৈরি গভীর নিম্নচাপ পরিণত হয় ঘূর্ণিঝড় মন্দৌসে। যার সরাসরি প্রভাব পড়েছিল তামিলনাড়ু, পুদুচেরি ও দক্ষিণ অন্ধ্রপ্রদেশের উপকূলে। বাংলায় তেমনভাবে কোনও প্রভাব পড়েনি ও বৃষ্টিও হয়নি। কিন্তু কমেছে শীতের দাপট। বঙ্গোপসাগর থেকে জলীয় বাষ্প ঢোকায় আগামী কয়েকদিন রাজ্যে শীতের আমেজ কমেছে। তবে আবহাওয়াবিদরা জানিয়েছেন, ১৬ ডিসেম্বরের পর থেকে রাজ্যে শীতের আমেজ বাড়তে পারে।

    ফের নিম্নচাপের ভ্রুকুটি

    ঘূর্ণিঝড় মন্দৌসের প্রভাব কাটতে না কাটতেই আন্দামান সাগরে আরও এক ঘূর্ণাবর্ত তৈরি হতে চলেছে বলে জানিয়েছে মৌসম ভবন। আগামী ২৪ ঘন্টায় এটি দক্ষিণ আন্দামান সাগরে ক্রমশ পশ্চিম এবং উত্তর-পশ্চিম দিকে এগিয়ে শ্রীলঙ্কার দিকে যাবে বলে অনুমান আবহাওয়াবিদদের।

  • Delhi Liquor Scam: দিল্লি মদ কেলেঙ্কারিতে সিবিআইয়ের জেরার মুখে কেসিআর কন্যা কে কবিতা

    Delhi Liquor Scam: দিল্লি মদ কেলেঙ্কারিতে সিবিআইয়ের জেরার মুখে কেসিআর কন্যা কে কবিতা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দিল্লি মদ কেলেঙ্কারি মামলায় (Delhi Liquor Scam) সিবিআই জেরার মুখে পড়ে তেলঙ্গানা মুখ্যমন্ত্রী কেসিআর-এর কন্যা কে কবিতা। গতকাল, রবিবার বেলা ১১ টা নাগাদ হায়দ্রাবাদে কবিতার বানজারা হিলসের বাসভবনে সিবিআই গিয়ে পৌঁছয় ও টানা ৭ ঘণ্টা ধরে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় তাঁকে। গতকালের জেরা পর্ব ঘিরে বাড়ির সামনে মোতায়েন করা হয় বিশাল পুলিশ বাহিনী। কেসিআর কন্যার বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে যে, তিনি দিল্লি মদ কেলেঙ্কারিতে যুক্ত রয়েছেন ও এই মামলায় কবিতা প্রায় ১০০ কোটি টাকা দিয়েছে আম আদমি পার্টি-কে। সূত্রের খবর, গতকাল তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করার সময়ে তাঁর বয়ান রেকর্ড করা হয়েছে।

    সিবিআই জেরার মুখে কে কবিতা…

    দিল্লি মদ কেলেঙ্কারিতে (Delhi Liquor Scam) কবিতার নাম উঠে এসেছে গত ৩০ নভেম্বর। এরপরেই ১১ ডিসেম্বর তাঁকে জেরা করা হবে বলে নোটিশ পাঠিয়েছিল সিবিআই। আর এর উত্তরে কবিতাও জানিয়েছিলেন যে, ১১ ডিসেম্বর তিনি তাঁর বাড়িতে থাকবেন ও দিল্লি আবগারি মামলার তদন্তে সহযোগিতা করবেন। অবশেষে গতকাল, তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে তাঁর বাসভবনে পৌঁছে যায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। সিবিআই সূত্রে খবর, কবিতাকে কিছু তথ্যের পাশাপাশি তাঁর মোবাইল ফোনও জমা দিতে বলেছে সিবিআই। টিআরএস সূত্রের খবর, টিআরএস শীর্ষ নেতৃত্বের পক্ষ থেকে দলীয় কর্মীদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল, অযথা বাসভবনের বাইরে ভিড় না করার জন্য। দলের তরফেও সিবিআইকে এই মামলায় সব রকমের সাহায্যের আশ্বাস দেওয়া হয়েছিল।

    আরও পড়ুন: দিল্লির আবগারি কেলেঙ্কারি মামলায় উঠে এল কেসিআরের মেয়ে কে কবিতার নাম

    অন্যদিকে এই মামলায় (Delhi Liquor Scam) কবিতার বিরুদ্ধে ইডিও তদন্ত করছে। তাই ইডি সূত্রে জানা গিয়েছে, কবিতা তাঁর মোবাইল ফোন একাধিক বার পরিবর্তন করেছেন। অন্যদিকে, জেরার একদিন আগেই শনিবার তাঁর বাড়ির চারপাশে কবিতার সমর্থনে পোস্টার ছেয়ে যায়। তেলঙ্গানা রাষ্ট্র সমিতি বা টিআরএস-এর কর্মী-সমর্থকরা তাঁর ছবি নিয়ে স্লোগান দিয়ে মিছিল করে। পোস্টারে লেখা রয়েছে, “এক যোদ্ধার মেয়ে কখনও ভয় পাবে না। আমরা কবিতার সঙ্গে রয়েছি।”

    মামলাটি কী?

    দিল্লির আবগারি দুর্নীতির মামলায় ইডি দিল্লি আদালতে রিপোর্ট পেশ করে। সেখানে কে কবিতার নাম উঠে আসে। এই মামলায় অন্যতম অভিযুক্ত হলেন অমিত অরোরা। ফলে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে ও তাঁর বক্তব্যের ভিত্তিতেই কেন্দ্রীয় সংস্থা ইডি দাবি করেছে যে, কেসিআরের মেয়ে কে কবিতা “সাউথ গ্রুপ” এর একজন বিশিষ্ট সদস্য ছিলেন ও তিনি অন্য এক ধৃত ব্যবসায়ী বিজয় নায়ারের মাধ্যমে দিল্লির ক্ষমতাসীন আম আদমি পার্টির (এএপি) নেতাদের অন্তত ১০০ কোটি টাকা দিয়েছিলেন। এখনও পর্যন্ত কবিতা সহ মদ কেলেঙ্কারিতে সাত অভিযুক্তের নাম উঠে এসেছে। এর মধ্যে দিল্লির ডেপুটি সিএম মণীশ সিসোদিয়ার ঘনিষ্ঠ সহযোগী, বিজয় নায়ার এবং হায়দ্রাবাদের ব্যবসায়ী অভিষেক বোয়নাপল্লির নাম রয়েছে।

  • Gujarat: সুর বদল গুজরাটের আপ বিধায়কের! বিজেপিতে যোগ দিতে চলেছেন ভূপত ভায়ানি?

    Gujarat: সুর বদল গুজরাটের আপ বিধায়কের! বিজেপিতে যোগ দিতে চলেছেন ভূপত ভায়ানি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গুজরাটে (Gujarat) বড় ধাক্কা খেতে পারে আম আদমি পার্টি! গুজরাট বিধানসভায় (Gujarat Assembly Elections 2022) প্রথমবার খাতা খুলেছে আম আদমি পার্টি (AAM Admi Party)। নরেন্দ্র মোদির রাজ্যে ব্যাপক প্রচার করেও আপ জেতে মাত্র ৫টি আসনে। তবে এতেও স্বস্তি নেই। কারণ সূত্রের খবর মারফত জানা গিয়েছে, আপের জয়ী পাঁচ বিধায়কই এখন বিজেপিতে যোগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন। এদের মধ্যে যাঁর নাম বেশি শোনা যাচ্ছে তিনি হলেন গুজরাটের (Gujarat) ভিসাভাদারের আপ বিধায়ক ভূপত ভায়ানি। ফলে গুজরাট বিধানসভা নির্বাচনের ফলপ্রকাশের ৭২ ঘণ্টা না পেরোতেই শুরু হয়ে গিয়েছে দল বদলের খেলা।

    সংবাদমাধ্যমে কী বলতে শোনা গেল আপ বিধায়ককে?

    সদ্য নির্বাচিত আপ বিধায়ক ভূপত ভায়ানি সংবাদমাধ্যমে বললেন, “আমি বিজেপিতে যোগদান করিনি… আমি জনগণকে জিজ্ঞাসা করব আমার বিজেপিতে যোগ দেওয়া উচিত কি না।” এদিন তিনি আরও জানান, তাঁর নির্বাচনী এলাকার মানুষ, তাঁর সমর্থক এবং কৃষকদের সঙ্গে দেখা করার পরে বিজেপিতে যোগ দেওয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন। তিনি বলেন, “আমার এলাকার সমস্যাগুলো যাতে সমাধান করতে পারি সেজন্য সরকারে যোগ দিতে চাই। সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ না থাকলে কাজ করব কিভাবে?”

    আরও পড়ুন: হিমাচলে মুখ্যমন্ত্রী পদে সুখবিন্দর সিং সুখুর নাম চূড়ান্ত, তিনি কে জানেন?

    ভূপত প্রশংসা করলেন প্রধানমন্ত্রী মোদি ও আরএসএস-এর

    গুজরাট (Gujarat) নির্বাচেনর ফলাফলের পরেই সুর বদল আপ বিধায়কের! প্রধানমন্ত্রী মোদির প্রশংসা করে ভূপত ভায়ানি বলেন, “আমি নরেন্দ্র মোদিকে পছন্দ করি। তিনি দেশের অহংকার। সমস্ত গুজরাটিরা প্রধানমন্ত্রী মোদিকে নিয়ে গর্বিত। আমিও গর্বিত।” গুজরাট নির্বাচনে বিজেপির জয় নিয়ে তিনি বলেছেন যে, “আমি এই আদেশকে সম্মান করি, এটি একটি ঐতিহাসিক ম্যান্ডেট। আগে আমি বিজেপিতেই ছিলাম আর বিজেপি আমার পরিবার। তবে এখন পর্যন্ত আমি আপে আছি, বিজেপিতে যোগ দেইনি।”

    ভিসাভাদার আসন থেকে নির্বাচিত বিধায়ক

    ভূপত ভায়ানি সম্প্রতি শেষ হওয়া রাজ্য (Gujarat) বিধানসভা নির্বাচনে জুনাগড় জেলার ভিসাভাদার আসনে বিজেপি প্রার্থীকে পরাজিত করেছেন। ভায়ানি বিজেপিতে যোগ দিলে রাজ্য বিধানসভায় বিজেপির শক্তি বেড়ে দাঁড়াবে ১৫৭। আরও চার জন আপ বিধায়ক বিজেপির সঙ্গে যোগাযোগ করছেন বলে জানা গেছে।

    ফলে জুনাগড়ের ভিসাভাদার থেকে নির্বাচিত আপ বিধায়ক ভূপত ভায়ানির দলবদল নিয়ে জল্পনা তুঙ্গে। অন্যদিকে নির্বাচনী প্রচারে আপ নিজেদের বিজেপির একমাত্র প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে তুলে ধরেছিল। নির্বাচনের ফলে খুশি আপ। তারা বলছে, এটি কেজরিওয়ালের সৎ রাজনীতির জয়। আপ জানিয়েছে, আগামী বছর তারা ছত্তিশগড়, কর্ণাটক, রাজস্থান এবং মধ্যপ্রদেশের বিধানসভা নির্বাচনে বেশিরভাগ আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার পরিকল্পনা করেছে। কিন্তু তার আগেই গুজরাটের (Gujarat) নব-নির্বাচিত আপ বিধায়কদের দলবদলের জল্পনায় অস্বস্তি বাড়ল আম আদমি পার্টির।

  • Lalan Sheikh: লালনের মৃত্যুতে অস্বস্তিতে সিবিআই, দিল্লি থেকে রিপোর্ট তলব, বাড়ানো হল কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা

    Lalan Sheikh: লালনের মৃত্যুতে অস্বস্তিতে সিবিআই, দিল্লি থেকে রিপোর্ট তলব, বাড়ানো হল কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বগটুইকাণ্ডের মূল অভিযুক্ত লালন শেখের (Lalan Sheikh) মৃত্যু ঘিরে রহস্য দানা বাঁধতে শুরু করেছে। গতকালের ঘটনার পর বগটুই ফের খবরের শিরোনামে। লালন শেখের অস্বাভাবিক মৃত্যুতে ফের উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে রামপুরহাট। এদিকে পরিস্থিতি যাতে আরও শোচনীয় হয়ে না পড়ে তার জন্য সিবিআইয়ের অস্থায়ী ক্যাম্পে রাতারাতি বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে নিরাপত্তা। রাতেই ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে কেন্দ্রীয় বাহিনী। অন্যদিকে সিবিআই হেফাজতে থাকাকালীন লালনের মৃ্ত্যুতে অস্বস্তিতে সিবিআই। ফলে রাতেই দিল্লির সিবিআই দফতর থেকে সেই বিস্তারিত রিপোর্ট চেয়ে পাঠানো হয় বগটুই তদন্তের দায়িত্বে থাকা সিবিআই আধিকারিকদের থেকে। এর পাশাপাশি, এই ঘটনায় বিভাগীয় তদন্তও শুরু করেছে সিবিআই।

    কড়া নিরাপত্তা রামপুরহাটে

    রামপুরহাটের যে অস্থায়ী ক্যাম্পে লালনকে (Lalan Sheikh) রাখা হয়েছিল ও যেখানে তার মৃত্যু হয়েছে, সেখানে সোমবার রাতেই কেন্দ্রীয় বাহিনী পাঠানো হয়েছে। কড়া নিরাপত্তার চাদরে মুড়ে ফেলা হয়েছে গোটা এলাকা। সিবিআইয়ের অস্থায়ী ক্যাম্পে যাতে কোনও অশান্তি না হয় তাই সেই জায়গা কেন্দ্রীয় বাহিনীর নিরাপত্তায় রাখা হয়েছে। এছাড়াও আজ, মঙ্গলবার সকালে রামপুরহাটে পৌঁছেছেন আরও কয়েকজন সিবিআই আধিকারিক। রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজেও নিরাপত্তা বাড়িয়েছে বীরভূম জেলা পরিষদ। বগটুই গ্রামেও পুলিশি নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে। ঘটনার কিছুক্ষণের পর থেকেই এলাকা পুরো থমথমে হয়ে রয়েছে।

    আরও পড়ুন: নিরাপত্তায় ছিল রাজ্য পুলিশ! ভূমিকা খতিয়ে দেখা হোক, লালনকাণ্ডে শুভেন্দু

    অন্যদিকে বগটুইতে লালনের বাড়ির সামনে নতুন করে যাতে কোনও বিশৃঙ্খলা তৈরি না হয়, তা নিশ্চিত করতে আলাদা করে নিরাপত্তা দেওয়া হয়েছে পরিবারকেও। আজ লালনের দেহের ময়নাতদন্ত করা হবে। তার পর দেহ তুলে দেওয়া হবে পরিবারের হাতে।

    লালন শেখের মৃত্যুতে চাপে সিবিআই

    সূত্রের খবর, সিবিআইয়ের হেফাজতে থাকাকালীন লালনের (Lalan Sheikh) মৃত্যু হয়েছে। আর তাতেই উঠছে প্রশ্ন। যদিও সিবিআইয়ের দাবি, লালন আত্মঘাতী হয়েছে। কিন্তু পরিবারের দাবি, তাকে খুন করা হয়েছে। ফলে স্বভাবতই সিবিআইয়ের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। সিবিআই-এর অন্দরেও উঠছে প্রশ্ন। সত্যিই লালনের মৃত্যুর ঘটনায় কারও গাফিলতি রয়েছে কি না, নিজেদের অভ্যন্তরীণ তদন্তে তাও খুঁজে বের করতে চায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। সূত্রের খবর অনুযায়ী জানা গিয়েছে, ঘটনার সময় যেসব সিবিআই আধিকারিক অফিসে উপস্থিত ছিলেন, তাদের বয়ান নথিভুক্ত করা হবে। সোমবার রাতেই লালন শেখের (Lalan Sheikh) মৃত্যুর ঘটনায় প্রাথমিক রিপোর্ট সিবিআই-এর পক্ষ থেকে দিল্লির সদর দফতরে পাঠানো হয়েছে বলে সূত্রের খবর।

  • Lalan Sheikh: আত্মঘাতী হয়েছে লালন শেখ, বগটুই কাণ্ডে মূল অভিযুক্তের মৃত্যু নিয়ে দাবি সিবিআইয়ের

    Lalan Sheikh: আত্মঘাতী হয়েছে লালন শেখ, বগটুই কাণ্ডে মূল অভিযুক্তের মৃত্যু নিয়ে দাবি সিবিআইয়ের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বগটুই কাণ্ডে ধৃত প্রধান অভিযুক্ত লালন শেখের (Lalan Sheikh) সিবিআই হেফাজতে মৃত্যু (CBI Custody)। রামপুরহাটে সিবিআই-র অস্থায়ী ক্যাম্পে মৃত্যু হয়েছে তার। কয়েকদিন আগেই তাকে গ্রেফতার করে সিবিআই। তাকে ৬ দিনের জেল হেফাজতের পর আবার ৩ দিনের সিবিআই হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। এর পর আজ তার মৃত্যু হল। কিন্তু কী কারণে মৃত্যু হল তার, তা এখনও স্পষ্ট জানা যায়নি। তবে সিবিআই সূত্রের খবর, সিবিআই দাবি করেছে, আত্মঘাতী হয়েছে লালন শেখ, অন্যদিকে লালনের পরিবার থেকে দাবি করা হয়েছে, তাকে খুন করা হয়েছে। ফলে সিবিআইয়ের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু হয়েছে।

    লালন শেখের রহস্যময় মৃত্যু

    সোমবার বিকেলে সিবিআই সূত্রে জানা যায়, রামপুরহাটের পান্থশ্রী অতিথিনিবাসে সিবিআইয়ের অস্থায়ী ক্যাম্পে মৃত্যু হয়েছে লালন শেখের। সিবিআইয়ের অস্থায়ী ক্যাম্পের শৌচাগারে লাল রঙের গামছা গলায় জড়ানো অবস্থায় লালনের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, রামপুরহাটে সিবিআই অস্থায়ী ক্যাম্পে জেরা চলাকালীন মৃত্যু হয় লালনের। তখন বিকেল ৪টা বেজে ৫০ মিনিট হয়েছে। এর পর তার দেহ পাঠানো হয় রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজে। ইতিমধ্যেই হাসপাতালের সামনে পৌঁছে যায় লালনের (Lalan Sheikh) পরিবারের লোকজন।

    আরও পড়ুন:”১৩ জানুয়ারির মধ্যে ধেড়ে ইঁদুর ধরা পড়বেই”, হাজরার সভা থেকে ‘হুঙ্কার’ শুভেন্দুর

    সিবিআই ও লালনের পরিবারের কী দাবি?

    সিবিআই আধিকারিকরা পুলিশকে জানিয়েছেন, লালন (Lalan Sheikh) আত্মহত্যা করেছে। কিন্তু অন্যদিকে আজ সন্ধ্যায় লালনের দিদি সংবাদমাধ্যমের সামনে দাবি করেন, সিসিটিভি ক্যামেরার হার্ড ডিস্কের খোঁজে লালন শেখকে বগটুইয়ের বাড়িতে নিয়ে গিয়েছিল সিবিআই। তার পর তাকে শ্বশুরবাড়ি নিয়ে যায়। তাকে এত মারধর করা হয় যে, সে নিজের পায়ে দাঁড়াতে পারছিল না। নিজের বাড়িতে পৌঁছে এক প্রতিবেশীর কাছে জল চায় লালন শেখ। অভিযোগ তাকে জল খেতে দেয়নি সিবিআই। লালনের দিদি দাবি করেন, সিবিআই ওকে পিটিয়ে মেরেছে।

    বগটুইয়ে কী ঘটেছিল?

    ২১ মার্চ রাত সাড়ে আটটা নাগাদ বোমা মেরে খুন করা হয় বগটুই (Bogtui Murder) গ্রামের বাসিন্দা তথা বড়শাল গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান তৃণমূল কংগ্রেসের ভাদু শেখকে। খুনের বদলা নিতে ওই রাতেই গ্রামের একাধিক বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়। পরদিন সকালে সাতজনের দেহ উদ্ধার করা হয়। দুজনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করার পর তাঁরাও মারা যান। এর পর ২১ জুন সিবিআই দুটি ঘটনার চার্জশিট জমা দেয়। আর চার্জশিটে নাম ছিল মূল অভিযুক্ত লালন শেখের।

    প্রথমে সে নিখোঁজ থাকলেও ৩ ডিসেম্বর রাতের দিকে ঝাড়খণ্ড থেকে গ্রেফতার করা হয় তাকে। ৪ ডিসেম্বর রামপুরহাট আদালতে হাজির করানো হয় ও সেখানে বিচারক তাকে ৬ দিন হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছিলেন। হেফাজতে লালনকে বীরভূমের রামপুরহাটের অস্থায়ী ক্যাম্পে রেখেছিল সিবিআই। ১০ ডিসেম্বর আবার আদালতে পেশ করার পরে তাকে আরও তিনদিনের জন্য সিবিআই হেফাজতে পাঠানো হয়েছিল। এর পর আজ , সোমবার বিকেলে জেরা চলাকালীন লালনের (Lalan Sheikh) মৃত্যু হয়। ফলে সিবিআই হেফাজতে লালনের রহস্যময় মৃত্যু নিয়ে রাজ্য জুড়ে শোরগোল পড়ে গিয়েছে।

  • Virat-Ronaldo: “তুমিই আমার কাছে সর্বকালের সেরা…”, রোনাল্ডোকে নিয়ে আবেগঘন বার্তা বিরাটের

    Virat-Ronaldo: “তুমিই আমার কাছে সর্বকালের সেরা…”, রোনাল্ডোকে নিয়ে আবেগঘন বার্তা বিরাটের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: স্বপ্ন পূরণ হল না ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডোর। কোয়ার্টার ফাইনালেই শেষ হয়ে গেল বিশ্বকাপ জয়ের স্বপ্ন। ফুটবল বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে মরক্কোর কাছে হেরে বিদায় নিয়েছে পর্তুগাল। ফলে এর সঙ্গে সঙ্গেই বিশ্বকাপ জেতার স্বপ্নও শেষ হয়ে গিয়েছে ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডোর। দলের হারে কাঁদতে কাঁদতে মাঠ ছাড়েন CR7। আর একরাশ দুঃখ নিয়ে মাঠ ছাড়ার কষ্ট কোথাও যেন ক্রিকেট আর ফুটবলকে এক করে দিয়েছে। কারণ রোনাল্ডোর এমন কঠিন দিনে বিশেষ বার্তা দিয়েছেন ভারতীয় ক্রিকেট দলের প্রাক্তন অধিনায়ক বিরাট কোহলি। রোনাল্ডোকে সর্বকালের সেরা ফুটবলার বলে এক আবেগঘন পোস্ট শেয়ার করেছেন বিরাট (Virat-Ronaldo)।

    রোনাল্ডোকে নিয়ে বিরাটের আবেগঘন বার্তা

    মেসি এবং নেইমারকে পছন্দ করলেও ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো বিরাট কোহলির কাছে ‘সেরা ফুটবলার’ (Virat-Ronaldo)। রোনাল্ডোর বিশ্বকাপ থেকে বিদায়ের পর চোখের জল ফেলেছেন কোটি কোটি রোনাল্ডো ভক্ত। আর তাঁদের মধ্যে বিরাট কোহলিও একজন। ফলে তিনি রোনাল্ডোর এই কঠিন সময়ে পাশে থেকে তিনি সোশ্যাল মিডিয়ায় লিখেছেন, “তুমি এই খেলাটার জন্য যা করেছ, গোটা বিশ্বের ক্রীড়াপ্রেমীদের জন্য যা করেছ, কোনও ট্রফি দিয়ে সেটা পরিমাপ করা যায় না। মানুষের উপর তোমার প্রভাব যে কতটা, তা কোনও শিরোপা দিয়ে বর্ণনা করা যায় না। আমি এবং আমার মত অজস্র মানুষ তোমায় খেলতে দেখলে কী অনুভব করি, সেটাও কোনও শিরোপা দিয়ে ব্যাখ্যা করা যাবে না। তুমি ঈশ্বরের দেওয়া সবচেয়ে বড় উপহার। যে মানুষটা নিজের সবটা খেলার মাঠে নিংড়ে দিতে পারে, যে মানুষটা হৃদয় দিয়ে খেলে, সেই মানুষটা বিশ্বের সব ক্রীড়াবিদের অনুপ্রেরণা, এটাই তাঁর জন্য ঈশ্বরের আশীর্বাদ।” কোহলি তাই নির্দ্বিধায় বলেছেন, “ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো, তুমিই আমার কাছে সর্বকালের সেরা।”

    রোনাল্ডোর ইনস্টাগ্রাম পোস্ট

    অন্যদিকে রবিবার, রোনাল্ডোও ইনস্টাগ্রামে আবেগঘন বার্তায় লিখেছিলেন, কাতার বিশ্বকাপ থেকে পর্তুগাল বাদ পড়ার পরে স্বপ্ন শেষ হয়েছে তাঁর। তিনি আরও লিখেছেন, “পর্তুগালের হয়ে বিশ্বকাপ জেতাটা ছিল আমার কেরিয়ারের সবচেয়ে বড় এবং সবচেয়ে উচ্চাভিলাষী স্বপ্ন। পর্তুগালের জন্য অনেক আন্তর্জাতিক শিরোপা জিতেছি। কিন্তু বিশ্বকাপ জিততে পারিনি। অনেক আশা নিয়ে কাতারে এসেছিলাম। যাতে আমার শেষ বিশ্বকাপে অধরা স্বপ্ন পূরণ করতে পারি। কিন্তু তা আর হল না। একরাশ স্বপ্ন অধরা থেকেই বিদায় নিতে হল।”

    রোনাল্ডো ও বিরাট দুই’ই ফুটবল ও ক্রিকেট জগতের বিশেষ এক নাম। রোনাল্ডোর মতই বিরাটেরও আইসিসি বিশ্বকাপের স্বপ্ন অধরা থেকে গিয়েছে এবার। ফলে রোনাল্ডোর এক বড় ভক্ত হওয়ার পাশাপাশি স্বপ্ন অধরা থাকার যন্ত্রণা উপলব্ধি করতে পেরে বিরাটও তাঁর আবেগ ধরে রাখতে পারেননি। ফলে সোশ্যাল মিডিয়াতেই আবেগে ভরা ট্যুইট করে ভাসালেন তিনি (Virat-Ronaldo)।

  • Narendra Modi: গোয়ায় নতুন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী, দেওয়া হল নতুন নাম

    Narendra Modi: গোয়ায় নতুন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী, দেওয়া হল নতুন নাম

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রবিবার অর্থাৎ ১১ ডিসেম্বর গোয়া সফরে গিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। সন্ধ্যা নাগাদ তিনি পৌঁছে গোয়াবাসীকে এক ঝাঁ চকচকে বিমানবন্দর উপহার দিলেন। কর্মসূচি অনুযায়ী, এদিন উত্তর গোয়ার মোপায় এই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের প্রথম ধাপ উদ্বোধন করলেন তিনি। এদিন তাঁর উপস্থিতিতেই এই বিমান বন্দরের নামকরণও করা হল। গোয়ার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মনোহর পারিকরের নামে নামকরণ করা হয়েছে এই বিমানবন্দরের। প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালে তাঁর মৃত্যু হয়। গোয়ার রাজধানী পানাজি থেকে মাত্র ৩৫ কিলোমিটার দূরে এই মনোহর পারিকর আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর।

    মনোহর পারিকর আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর

    এই বিমানবন্দর হবে গোয়ার দ্বিতীয় বিমানবন্দর। বিমানবন্দরের ভিত্তিপ্রস্তর প্রধানমন্ত্রী (Narendra Modi) ২০১৬ সালে স্থাপন করেছিলেন। ২৮৭০ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত এই বিমানবন্দরটি পণ্য পরিষেবাগুলিও পূরণ করবে। যেখানে ডাবোলিম বিমানবন্দরটি ১৫টি অভ্যন্তরীণ এবং ৬টি আন্তর্জাতিক গন্তব্যে সরাসরি সংযোগ স্থাপন করে। সেখানে এই বিমানবন্দরের মাধ্যমে ৩৫টি অভ্যন্তরীণ এবং ১৮টি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের সঙ্গে যোগাযোগ হবে। ফলে মোপা বিমানবন্দরটি ডাবোলিম বিমানবন্দেরর চেয়ে বেশি উন্নত। সূত্রের খবর অনুযায়ী, এই বিমানবন্দরটি ৫ জানুয়ারী থেকে চালু হবে। বিমানবন্দরটি পর্যটনের ক্ষেত্রে অনেক সহায়ক হবে। এবং গোয়ার আর্থ-সামাজিক ক্ষেত্রকে আরও উন্নত করবে বলে জানানো হয়েছে।

    এছাড়াও জানা গিয়েছে, প্রথম পর্যায়ে বিমানবন্দরটি বছরে ৪৪ লাখ যাত্রী বহন করতে সক্ষম এবং প্রকল্পটি শেষ হলে বছরে এক কোটি যাত্রী চলাচল করতে পারবেন। ডাবোলিম বিমানবন্দরের বার্ষিক সাড়ে আট লক্ষ যাত্রীবহন ক্ষমতা রয়েছে। কিন্তু এতে পণ্য পরিবহনের সুবিধা নেই, অন্যদিকে নতুন বিমানবন্দরে পণ্য পরিবহনের সুবিধাও রয়েছে। সূত্রের খবর অনুযায়ী জানা গিয়েছে, বিমানবন্দরটি সবুজবান্ধব। এছাড়াও থ্রি-ডি মনোলিথিক প্রিকাস্ট প্রযুক্তি, ফাইভ-জির মত সেরা প্রযুক্তিতে তৈরি হয়েছে নতুন বিমানবন্দরটি। 

    এছাড়াও এদিন নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi) ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে গোয়ার আয়ুষ ইনস্টিটিউটের পাশাপাশি গাজিয়াবাদ ও দিল্লির আয়ুষ ইনস্টিটিউটের উদ্বোধন করেন। মহারাষ্ট্রে এদিন মোদি নাগপুর মেট্রোর প্রথম ধাপের উদ্বোধন করার পাশাপাশি নাগপুর মেট্রোর দ্বিতীয় ধাপের ভিত্তিপ্রস্তরও স্থাপন করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)।

  • PT Usha: ইতিহাস গড়ে ভারতীয় অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনের প্রথম মহিলা সভাপতি হলেন পিটি ঊষা

    PT Usha: ইতিহাস গড়ে ভারতীয় অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনের প্রথম মহিলা সভাপতি হলেন পিটি ঊষা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশের ক্রীড়া প্রশাসনে এক নতুন যুগের সূচনা করলেন পিটি ঊষা (PT Usha)। কিংবদন্তি পিটি ঊষা শনিবার ভারতীয় অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনের প্রথম মহিলা প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলেন। বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় এই পদে বসেছেন তিনি। তার সভাপতি হওয়ার কথা আগেই ঠিক হয়ে ছিল। গতকাল তা আনুষ্ঠানিক ভাবে ঘোষণা করা হল ও তাতে সিলমোহর দেওয়া হল। সুপ্রিম কোর্ট নিযুক্ত শীর্ষ আদালতেরই অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি এল নাগেশ্বর রাওয়ের তত্ত্বাবধানে গতকাল হল আইওএ নির্বাচন।

    ভারতীয় অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনের প্রথম মহিলা সভাপতি…

    ঊষা ভারতের অন্যতম সেরা মহিলা ক্রীড়াবিদ (PT Usha)। ৫৮ বছর বয়সী পিটি ঊষা এশিয়ান গেমসের স্বর্ণপদক জয়ী এবং ১৯৮৪ সালের লস অ্যাঞ্জেলেস অলিম্পিক্সে  ৪০০ মিটার হার্ডলস ফাইনালে চতুর্থ স্থান অধিকার করেন। ১৯৮২ থেকে ১৯৯৪ সালের মধ্যে এশিয়ান গেমসে ১১টি পদক জিতেছিলেন ঊষা। তার মধ্যে ছিল চারটি সোনা। ১৯৮৬ সালের সোল এশিয়ান গেমসে ২০০ মিটার, ৪০০ মিটার, ৪০০ মিটার হার্ডলসে ও ৪ X ৪০০ মিটার রিলে রেসে সোনা জিতেছিলেন তিনি। ১৯৮২ সালে দিল্লি এশিয়ান গেমসেও ১০০ মিটার ও ২০০ মিটার দৌড়ে পদক জিতেছিলেন ঊষা। এরপর ঊষা ১৯৯০ সালে অবসর ঘোষণা করেছিলেন। পরের বছর তিনি বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। কিন্তু ১৯৯৪ সালে ফের ট্র্যাকে ফেরেন হিরোশিমা এশিয়ান গেমসে। সেখানে তিনি রুপো জিতেছিলেন। ১৯৯৫ সালে তাঁর হাঁটুতে অস্ত্রোপচার হয়। তারপরেই ২০০০ সালে সিডনি অলিম্পিক্সের আগে পাকাপাকিভাবে অবসরের ঘোষণা করে দেন তিনি।

    আরও পড়ুন: নেইমার থেকে রোনাল্ডো বিদায়, অঘটনের বিশ্বকাপ!

    বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সভাপতির পদে…

    ভারতের অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি পদে নির্বাচন ছিল ১০ ডিসেম্বর। ২৭ নভেম্বর ছিল মনোনয়ন জমা দেওয়ার শেষ দিন। নির্বাচনের দায়িত্বে থাকা রিটার্নিং অফিসার উমেশ সিনহা জানিয়েছিলেন, ঊষা ছাড়া আর কেউ সভাপতি পদে মনোনয়ন জমা দেননি। আর কেউ মনোনয়ন জমা না দেওয়ায় ঊষা যে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় অলিম্পিক সংস্থার সভাপতি হবেন তা নিশ্চিত ছিল। ফলে ২৭ নভেম্বরই ঊষাকে (PT Usha) ট্যুইটে শুভেচ্ছা জানিয়েছিলেন কিরণ রিজিজু।

    আইওএ-র ৯৫ বছরের ইতিহাসে এই প্রথম সভাপতি পদে বসলেন কোনও অলিম্পিয়ান এবং আন্তর্জাতিক স্তরে কোনও পদকজয়ী। ভারতের হয়ে ১৯৩৪ সালে টেস্ট খেলা মহারাজা যাদবিন্দ্র সিং আইওএ-র শীর্ষ পদে বসেছিলেন ১৯৩৮ সালে। তৃতীয় আইওএ সভাপতি হিসেবে দায়িত্বভার নেওয়ার পর সেই পদে ছিলেন ১৯৬০ সাল পর্যন্ত। তারপর এই প্রথম দেশের প্রতিনিধিত্ব করা কোনও ক্রীড়াবিদ আইওএ সভাপতি হলেন।

    আইও-এর নির্বাচন ২০২১-এ হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু আইওএ-এর সংঘাতের কারণে তা হয়নি। এই বছরের মধ্যে আইওএ-এর নির্বাচন না করে নতুন বোর্ড গঠন না করলে আন্তর্জাতিক অলিম্পিক সংস্থা আইওএ-কে নির্বাসন করার হুঁশিয়ারি দিয়েছিল। ফলে এবছর নির্বাচন হতেই হত। তবে পিটি ঊষা (PT Usha) সভাপতি পদে বসার সঙ্গে সঙ্গেই আইওএ-এর অন্দরের সংকটের অবসান হল বলে মনে করা হচ্ছে। ফলে এবারে কিংবদন্তী ক্রীড়াবিদ পিটি উষার (PT Usha) নতুন ইনিংসের দিকে তাকিয়ে পুরো ক্রীড়া মহল।

  • Air India: এয়ার ইন্ডিয়ার সম্প্রসারণের ক্ষেত্রে বড় পদক্ষেপ! ১৫০টি বোয়িং বিমান কিনবে টাটা গ্রুপ

    Air India: এয়ার ইন্ডিয়ার সম্প্রসারণের ক্ষেত্রে বড় পদক্ষেপ! ১৫০টি বোয়িং বিমান কিনবে টাটা গ্রুপ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এয়ার ইন্ডিয়ার (Air India) সম্প্রসারণের ক্ষেত্রে আরও এক পদক্ষেপ নিল টাটা গ্রুপ। মনে করা হচ্ছে আগামী বছর থেকেই বিমান বহর বাড়তে চলেছে সংস্থার। সূত্রের খবর, বোয়িং-কে খুব শীঘ্রই বিশাল অঙ্কের চুক্তি দিতে পারে টাটা গোষ্ঠী। এয়ার ইন্ডিয়া মোট ৫০টি ৭৩৭ ম্যাক্স এয়ারক্রাফ্টের অর্ডার দিতে পারে। সব মিলিয়ে মোট ১৫০টি বিমান কেনার কথা ভেবেছে টাটা। বোয়িং ৭৩৭ বিমানের এই বিশাল অর্ডার নজর কেড়েছে গোটা বিশ্বের। এয়ার ইন্ডিয়ার মালিকানা পাওয়ার পর থেকেই টাটা গ্রুপের পক্ষ থেকে নানা ধরনের পরিবর্তন করা হচ্ছে বিমান পরিষেবা ক্ষেত্রে। যেগুলোর মধ্যে অন্যতম হল এই চুক্তি।

    বোয়িং-এর সঙ্গে এয়ার ইন্ডিয়ার চুক্তি

    সূত্রের খবর অনুযায়ী, আমেরিকার বিমান তৈরির কোম্পানি বোয়িং প্রতিশ্রুতি দিয়েছে যে, ২০২৩ সালের মধ্যে ৫০ টি বিমান এয়ার ইন্ডিয়াকে ডেলিভারি করবে। আর আমেরিকার এই কোম্পানি প্রথম ৫০ টি বিমান দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়ার ফলেই এয়ার ইন্ডিয়া বোয়িং-এর সঙ্গে চুক্তি করতে সম্মত হয়েছে। আগামী কয়েক দিনের মধ্যে এয়ার ইন্ডিয়া-বোয়িং চুক্তি চূড়ান্ত হতে পারে বলে খবর। আর ২০২১ সালের পর থেকে বিমান প্রস্তুতকারকদের জন্য এই অর্ডারটি এখনও পর্যন্ত সবচেয়ে বড়। প্রসঙ্গত, বোয়িং কোম্পানি ২০২১ সালে আকাশা এয়ারের কাছে ৭৫ টি বিমান বিক্রি করেছিল।

    আরও পড়ুন: এয়ার ইন্ডিয়ার সঙ্গে মিশে যাচ্ছে ভিস্তারা, জানিয়ে দিল টাটা সন্স

    সূত্রের খবর অনুযায়ী আরও জানা গিয়েছে, এয়ার ইন্ডিয়া (Air India) বিমান কেনার চুক্তি এয়ারবাসের সঙ্গেও পরে করতে পারে। কারণ এয়ার ইন্ডিয়াকে সত্যিকারের বিশ্বমানের বিমান সংস্থায় পরিণত করতে ও পরিষেবা উন্নত করতে আরও অনেক বিমান কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে টাটা গ্রুপ। কিন্তু বিমান কেনার চুক্তিটি প্রথমে বোয়িং-এর সঙ্গেই চূড়ান্ত করতে চায়, কারণ, এয়ারবাস ২০২৫ সালের মধ্যে এ৩২০ ডেলিভারি দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিতে পারেনি।

    এয়ার ইন্ডিয়াকে উন্নত করতে একাধিক পদক্ষেপ

    প্রসঙ্গত, চলতি বছরের শুরুতেই টাটা গ্রুপ এয়ার ইন্ডিয়া (Air India) অধিগ্রহণ করে। তারপর থেকেই দেনার দায়ে জর্জরিত সংস্থার ভোল পাল্টানোর চেষ্টা করছেন নয়া মালিকরা। এয়ার ইন্ডিয়াকে ঢেলে সাজাতে একের পর এক পদক্ষেপ নিয়ে চলেছে টাটা গোষ্ঠী। ইতিমধ্যেই রতন টাটার এয়ার ইন্ডিয়ার (Air India) সঙ্গে মিশে যেতে চলেছে বিমান সংস্থা ভিস্তারা(Vistara)। আগামী বছর মার্চ মাসের মধ্যেই এই একত্রীকরণের প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে বলে জানিয়েছে দুই সংস্থা। এছাড়াও দেশ তথা আন্তর্জাতিক বাজারে নিজেদের শেয়ার বাড়াতে চাইছে এয়ার ইন্ডিয়া। আবার বিভিন্ন অভিজ্ঞ ব্যক্তিদের নিযুক্ত করে তৈরি করা হয়েছে নতুন ব্র্যান্ড-বিল্ডিং টিমও। অন্যদিকে বিশ্বব্যাপী দর্শকদের কাছে এয়ার ইন্ডিয়াকে আরও আকর্ষণীয় করে তুলতে ও নতুন রুপ দিতে টাটা গ্রুপ ব্রিটিশ ব্র্যান্ড এবং ডিজাইন কনসালটেন্সি ফার্ম ফিউচারব্র্যান্ডের সঙ্গেও কাজ করছে।  বর্তমানে এভিয়েশনে বিশ্বের দ্রুততম বর্ধনশীল বাজার দক্ষিণ এশিয়া। আর সেই বাজারেই বাজিমাত করার লক্ষ্য টাটা গোষ্ঠীর।

  • Supreme Court: মুসলিম মেয়েদের বিয়ের নূন্যতম বয়স ১৮ করার দাবিতে সুপ্রিম কোর্টে মামলা জাতীয় মহিলা কমিশনের

    Supreme Court: মুসলিম মেয়েদের বিয়ের নূন্যতম বয়স ১৮ করার দাবিতে সুপ্রিম কোর্টে মামলা জাতীয় মহিলা কমিশনের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অন্যান্য সম্প্রদায়ের পাশাপাশি মুসলিম ধর্মের মেয়েদেরও বিয়ের নূন্যতম বয়স ১৮ বছর করা হোক। এমন আবেদন নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) জনস্বার্থ মামলা করল জাতীয় মহিলা কমিশন। গতকাল, শুক্রবার এই মামলাটি গ্রহণ করেছে সুপ্রিম কোর্ট। ফলে জাতীয় মহিলা কমিশনের এই আবেদনের ভিত্তিতে শুক্রবার এই বিষয়ে কেন্দ্রের মতামত জানতে চাইল দেশের শীর্ষ আদালত।

    শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ জাতীয় মহিলা কমিশন

    ধর্ম নির্বিশেষে মহিলাদের বিবাহের একটি বয়সকেই নির্ধারণ করার দাবি জানায় জাতীয় মহিলা কমিশন। মুসলিম ব্যক্তিগত আইনে বিবাহের বয়স বাড়ানোর আবেদন জানিয়ে জাতীয় মহিলা কমিশন সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) একটি আবদেন করে। অন্যান্য ব্যক্তিগত আইন ও দণ্ডবিধি অনুযায়ী, একজন মহিলার ক্ষেত্রে বিবাহের সর্বনিম্ন বয়স ১৮ বছর ও পুরুষের ক্ষেত্রে তা ২১ বছর। কিন্তু মুসলিম ব্যক্তিগত আইন অনুযায়ী, কোনও ব্যক্তি বা মহিলা বয়ঃসন্ধিকালে পৌঁছলেই অর্থাৎ ১৫ বছরেই তাদের বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়। আর এই বিষয়েই প্রশ্ন তোলে জাতীয় মহিলা কমিশন।

    জাতীয় মহিলা কমিশনের তরফে এই মামলাটি করেছেন আইনজীবী গীতা লুথেরা, আইনজীবী শিবানী লুথেরা লোহিয়া এবং অস্মিতা নারুলা। আর মহিলা কমিশনের আবেদনের ভিত্তিতেই প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় এবং বিচারপতি পিএস নরসিং-এর ডিভিশন বেঞ্চ কেন্দ্রকে নোটিস পাঠিয়েছে। এই বিষয়ে কেন্দ্রের মতামত জানতে চাওয়া হয়েছে। এই মামলার প্রেক্ষিতে চার সপ্তাহের মধ্যে কেন্দ্রের প্রতিক্রিয়া চেয়েছে শীর্ষ আদালত (Supreme Court)।

    জাতীয় মহিলা কমিশনের তরফে কী কী জানানো হয়েছে?

    মুসলিম সম্প্রদায়ের মেয়েদের বিয়ের নূন্যতম বয়স ১৫ বছর নিয়ে কমিশনের তরফে জানানো হয়েছে, এই নিয়ম শুধুমাত্র স্বেচ্ছাচারী ও অযৌক্তিকই নয় বরং বৈষম্যমূলকও। এবং এটি দণ্ডবিধির বিধানকেও লঙ্ঘন করে। মুসলিম ব্যক্তিগত আইনে বয়ঃসন্ধিকালে পৌঁছলে মেয়েদের বিয়ে হলে তা ভারতে প্রচলিত কিছু আইনের বিরোধিতা করে। যেমন- বিবাহ নিষেধাজ্ঞা আইন, ২০০৬ অনুযায়ী ২১ বছরের নীচে কোনও ব্যক্তি ও ১৮ বছরের নীচে কোনও কিশোরীর বিবাহ শাস্তিযোগ্য বলে বিবেচিত হয়। আবার পকসো আইন যা ১৮ বছরের নীচে অপ্রাপ্তবয়স্ক কিশোরীদের কোনওরকম যৌন হেনস্থা থেকে নিরাপত্তা দিয়ে থাকে। এদিকে ভারতীয় দণ্ডবিধিতে ধর্ষণ নিয়ে বলা হয়েছে যে, ১৮ বছরের নীচে কোনও কিশোরীর সঙ্গে যৌন সঙ্গমে লিপ্ত হলে সেখানে কিশোরীর সম্মতিকে বিবেচনা করা হবে না। বরং সেই যৌন মিলনকে ধর্ষণ বলেই ধরে নেওয়া হবে।

    ফলে মহিলা কমিশন এমন আবেদন এনেছেন, যেখানে অপ্রাপ্তবয়স্ক মুসলিম মহিলাদের পরে কোনও সমস্যায় পড়তে হয় না। প্রসঙ্গত, এ দেশে মেয়েদের ক্ষেত্রে বিয়ের ন্যূনতম বয়স ১৮ বছর এবং পুরুষদের ক্ষেত্রে ২১ বছর। তবে এখন মহিলা এবং পুরুষের বিয়ের বয়স এক করার ব্যাপারেও ভাবনাচিন্তা চলছে। গঠিত হয়েছে সংসদীয় কমিটি।

LinkedIn
Share