Author: নিমাই দে

  • Gujarat CM: ফের গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী ভূপেন্দ্র প্যাটেল, সোমবার শপথগ্রহণ, উপস্থিত থাকবেন মোদি-শাহ

    Gujarat CM: ফের গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী ভূপেন্দ্র প্যাটেল, সোমবার শপথগ্রহণ, উপস্থিত থাকবেন মোদি-শাহ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গুজরাটে রেকর্ড জয় বিজেপির। বিধানসভা নির্বাচনে (Gujarat Assembly Election 2022) রেকর্ড আসনে জিতে গুজরাটে আবারও সরকার গড়ছে বিজেপি (BJP)। আগামী ১২ ডিসেম্বর মুখ্যমন্ত্রী পদে (Gujarat CM) দ্বিতীয় বার শপথ নেবেন ভূপেন্দ্র প্যাটেল (Bhupendra Patel)। শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Prime Minister Narendra Modi) এবং কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ(Amit Shah)।

    বিজেপির রেকর্ড জয়

    রেকর্ড আসন সংখ্যা নিয়ে টানা সপ্তমবারের জন্য রাজ্যে ক্ষমতায় ফিরেছে বিজেপি। কংগ্রেস এবং আপ- এই দুই বিরোধীকে কয়েক হাজার মাইল পিছনে ফেলে দিয়েছে পদ্ম শিবির। ১৮২ আসনবিশিষ্ট গুজরাট বিধানসভায়(Gujarat Assembly Election 2022) বিজেপি পেয়েছে ১৫৭।

    আজ সকাল ৮ টা থেকে গুজরাটে ভোট গণনা শুরু হয়। কিন্তু পুরো ফলাফল ঘোষণার আগেই গুজরাটে কে জিততে চলেছে, সেই ছবি আগেই পরিস্কার হয়ে গিয়েছিল। ফলে ইতিমধ্যেই চারিদিকে শুরু হয়ে গিয়েছিল গেরুয়া ঝড়। এমনকি রাজ্যের পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রীর শপথগ্রহণের দিনক্ষণও জানিয়ে দেয় গেরুয়া শিবির। অন্যদিকে নির্বাচনের আগেই অমিত শাহ জানিয়ে দিয়েছিলেন যে, বিজেপি ক্ষমতায় ফিরলে ফের মুখ্যমন্ত্রী থাকবেন ভূপেন্দ্র প্যাটেলই। ফলে এদিন, গুজরাটের ভোটের ফলটা স্পষ্ট হয়ে উঠতেই, গুজরাটের বিজেপি সভাপতি সিআর পাতিলের বাড়িতে উপস্থিত হন মুখ্যমন্ত্রী। এরপরই গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী ভূপেন্দ্র প্যাটেল (Gujarat CM) এবং রাজ্য বিজেপির সভাপতি সিআর পাতিলকে দলীয় সমর্থকদের মধ্যে মিষ্টি খাইয়ে বিধানসভা নির্বাচনে দলের দুর্দান্ত পারফরম্যান্স উদযাপন করতে দেখা যায়।

    আরও পড়ুন: ভাঙল অতীতের সব রেকর্ড, গুজরাতে ইতিহাস সৃষ্টি বিজেপির

    শপথগ্রহণ মুখ্যমন্ত্রীর

    সূত্রের খবর অনুযায়ী, আগামী ১২ ডিসেম্বর, সোমবার দুপুর ২ টোয় গুজরাটের পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ গ্রহণ করবেন ভূপেন্দ্র প্যাটেল (Gujarat CM)। শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। বৃহস্পতিবার এমনটাই জানিয়েছেন গুজরাট বিজেপির রাজ্য সভাপতি সিআর পাতিল। তিনি এক সাংবাদিক সম্মেলনে এই কথা জানিয়েছেন। এদিন রেকর্ড জয়ের পর ভূপেন্দ্র প্যাটেল বলেছেন, “গুজরাটের উন্নয়নের যাত্রা আরও এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য মানুষ মনস্থির করেছেন। জনগণের আদেশ আমরা বিনীতভাবে মেনে নিচ্ছি। বিজেপির প্রতিটি কর্মী জনসেবায় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।” 

    অন্যদিকে গুজরাট বিজেপি প্রধান সিআর পাতিল এবং গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী ভূপেন্দ্র প্যাটেলের সঙ্গে ফোনে কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। দুই জনকেই অভিনন্দন জানিয়েছেন তিনি।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Cattle Smuggling Case: গরু পাচার মামলায় সায়গলের দেড় কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করল ইডি

    Cattle Smuggling Case: গরু পাচার মামলায় সায়গলের দেড় কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করল ইডি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গরু পাচার মামলার (Cattle Smuggling Case) তদন্ত যত এগোচ্ছে, তত একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে আসছে। আর এবারে গরু পাচার মামলায় অভিযুক্ত অনুব্রত মণ্ডলের দেহরক্ষী সায়গল হোসেনের ৩২টি সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। ইডি সূত্রে খবর, প্রায় ১ কোটি ৫৮ লাখ ৪৭ হাজার ৪৯০ টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। বর্তমানে সায়গল হোসেন তিহার জেলে বন্দি।

    সায়গলের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করল ইডি

    গরু পাচার মামলায় (Cattle Smuggling Case) অন্যতম অভিযুক্ত হলেন অনুব্রত মণ্ডলের দেহরক্ষী সায়গল হোসেন। মুর্শিদাবাদের বাসিন্দা সায়গল হোসেন দীর্ঘদিন ধরেই বীরভূমের তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের দেহরক্ষীর কাজ করেছেন। গরু পাচার মামলা সংক্রান্ত চার্জশিটে সায়গলের বিরুদ্ধে ইডির অভিযোগ ছিল, বীরভূম করিডর দিয়ে যে সমস্ত গরু পাচার হত, তার জন্য অনুব্রতর হয়ে টাকা নিতেন সায়গল। সিবিআই তাদের চার্জশিটেও এ কথা উল্লেখ করেছিল।

    আরও পড়ুন: ঘেরাওমুক্ত অধ্যক্ষ-সহ বিভাগীয় প্রধানরা! মেডিক্যাল কলেজে বিক্ষোভ তুলল ছাত্ররা

    এরপর মামলার (Cattle Smuggling Case) তদন্তে নামলে তাঁর একাধিক জমি, সম্পত্তি, বাড়ি রয়েছে বলে জানা যায়। আর সেই অনুযায়ী সায়গলের ৩২টি সম্পত্তির হদিশ মেলে। গত ২ ডিসেম্বর সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার নির্দেশ দেয় আদালত। তারই জেরে সায়গলের সম্পত্তি আটক করে বাজেয়াপ্ত করা হয়। ফলে এই সব সম্পত্তির টাকার সঙ্গে গরু পাচারের টাকার যোগ আছে কি না, তা জানতে মরিয়া তদন্তকারীরা।

    উল্লেখ্য, গরু পাচার মামলায় (Cattle Smuggling Case) প্রথমে সিবিআই সায়গলকে গ্রেফতার করে। এরপর তাঁকে পাঠানো হয় আসানসোলের জেলে। এরপরই তাঁকে হেফাজতে নেওয়ার আবেদন করে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। আদালত সেই অনুমতি দেওয়ায় তাঁকে আসানসোল থেকে দিল্লি নিয়ে যাওয়া হয়। আপাতত দিল্লির তিহার জেলেই রয়েছেন তিনি। ইতিমধ্যেই সায়গলের মা-স্ত্রীকেও একাধিকবার তলব করেছে ইডি। অন্যদিকে অনুব্রত মণ্ডলকেও দিল্লি নিয়ে যাওয়ার জন্য তোড়জোড় শুরু করেছে ইডি।

    ইডি সূত্রে খবর, এখনও পর্যন্ত গরু পাচার মামলায় (Cattle Smuggling Case) ধৃতদের কাছ থেকে ২০ কোটি ২৫ লাখ টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। মোট ২৯ কোটি ৪৩ লাখ টাকার অপরাধ হয়েছে বলে জানিয়েছে ইডি (ED)। গরু পাচারের সঙ্গে সায়গলের যোগ কতটা, তা আরও খতিয়ে দেখতে তদন্ত করছে ইডি। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Pele: কেমন আছেন ‘ফুটবলের রাজা’ পেলে? কী বললেন তাঁর কন্যারা?

    Pele: কেমন আছেন ‘ফুটবলের রাজা’ পেলে? কী বললেন তাঁর কন্যারা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিশ্বের অন্যতম সেরা ফুটবলার ব্রাজিলিয়ান কিংবদন্তি পেলের (Pele) স্বাস্থ্য নিয়ে চিন্তায় তাঁর অনুরাগীরা। কারণ সংবাদমাধ্যমে খবর এসেছে, কয়েকদিন আগে শ্বাসকষ্টের কারণে তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাঁর অবস্থা স্থিতিশীল নয়। ব্রাজিলের একাধিক সংবাদমাধ্যমে জানানো হয়েছে, পেলে মৃত্যুর মুখে রয়েছেন। কিন্তু এইসব দাবি সত্যি নয়, ‘গুজব’ বলে জানিয়ে দিলেন তাঁর মেয়ে ফ্লাভিয়া। তিনি জানালেন, তাঁর বাবা অসুস্থ হলেও তাঁর অবস্থা স্থিতিশীল রয়েছে। অন্য এক মেয়ে কেলিও বললেন, ‘একটু ভাল হলেই বাড়ি ফিরবেন বাবা।’

    পেলের শারীরিক পরিস্থিতি নিয়ে কী বললেন তাঁর মেয়ে?

    ফ্লাভিয়া স্থানীয় সংবাদমাধ্যম গ্লোবো টিভি-তে বললেন, “অনেকে বলছেন বাবা মৃত্যুর মুখে রয়েছেন। তাঁকে রাখা হয়েছে ‘প্যালিয়াটিভ কেয়ার’-এ। যাঁরা এই খবর প্রচার করছেন, তাঁরা ঠিক করছেন না। আমাদের বিশ্বাস করুন। পরিস্থিতি একদমই তেমন নয়।”

    পেলের অন্য মেয়ে কেলি জানান, ৩ সপ্তাহ আগে বাবা করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। এ কারণে তাঁর ফুসফুসে সমস্যা হয়েছিল, সেই কারণে তাঁর শ্বাস নিতে সমস্যা হচ্ছিল। তিনি আরও বলেন ‘‘বাবা অসুস্থ। ওনার বয়স হয়েছে। এখন শ্বাসকষ্টের চিকিৎসা চলছে। এখনই তিনি বিদায় নিচ্ছেন না। একটু ভাল হলেই বাড়ি ফিরবেন। (Pele) ”

    আরও পড়ুন: বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে মুখোমুখি ফ্রান্স-ইংল্যান্ড, জানুন ম্যাচের দিনক্ষণ

    সংবাদমাধ্যম থেকে কী জানা গিয়েছিল?

    কয়েক দিন আগে খবর পাওয়া যায় যে চিকিৎসকরা বলেছেন, বর্তমানে কিংবদন্তি ফুটবলার পেলের (Pele) উপরে কেমোথেরাপিও কোন প্রভাব ফেলছে না। ফলে তাঁকে এখন প্যালিয়াটিভ কেয়ারে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। যাদের অবস্থা খুবই খারাপ শুধুমাত্র তাদেরকেই এই ইউনিটে রাখা হয়। উল্লেখ্য, দীর্ঘ দিন ধরে কোলন ক্যানসারে আক্রান্ত ছিলেন পেলে। গত বছর সেপ্টেম্বরে অস্ত্রোপচার করা হয়েছিল তাঁর। তাঁর কেমোথেরাপিতে কোনও কাজ দেয় নি বলেই তাঁকে আবার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। কিন্তু আজ এইসব খবরের কোনও ভিত্তি, সত্যতা নেই বলে জানিয়ে দিলেন তাঁর দুই মেয়ে।

    অন্যদিকে ফুটবল কিংবদন্তি পেলের (Pele) ভক্তরা বিশ্বজুড়ে তাঁর দ্রুত আরোগ্য কামনা করছেন। পেলের ভক্তরা তাঁর পোস্টার দিয়ে তাঁর সুস্থতা কামনা করছেন। ফলে আজ তাঁর পরিবারের সদস্যদের থেকে শারীরিক অবস্থার কথা জানা গেলে অনেকটাই স্বস্তি পেয়েছেন পেলের অনুরাগীরা।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।  

  • Jhalda Municipality: ফের ধাক্কা রাজ্যের, ঝালদায় প্রশাসক বসানোর নির্দেশে স্থগিতাদেশ দিল হাইকোর্ট

    Jhalda Municipality: ফের ধাক্কা রাজ্যের, ঝালদায় প্রশাসক বসানোর নির্দেশে স্থগিতাদেশ দিল হাইকোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবারে কলকাতা হাইকোর্টে ঝালদা পুরসভা নিয়ে ফের ধাক্কা খেল রাজ্য। পুরুলিয়ার ঝালদা পুরসভায় (Jhalda Municipality) প্রশাসক (Administrator) নিয়োগ সংক্রান্ত রাজ্য সরকারের নির্দেশিকায় স্থগিতাদেশ (Stay Order) দিল কলকাতা হাইকোর্ট। আগামী ৫ জানুয়ারি পর্যন্ত এই স্থগিতাদেশ বহাল থাকবে বলে আদালত জানিয়েছে। আর আগামী এক মাস ঝালদা পুরসভার যাবতীয় দায়িত্ব সামলাবেন পুরুলিয়ার জেলাশাসক।

    প্রশাসক নিয়োগে স্থগিতাদেশ হাইকোর্টের

    ঝালদা পুরসভায় (Jhalda Municipality) প্রশাসক নির্বাচনের জন্য ৩ ডিসেম্বর, শনিবার ঠিক করা হয়েছিল। কিন্তু তৃণমূল সরকার শুক্রবার রাতেই পুরসভায় প্রশাসক বসিয়ে দেয়। এরপর রাজ্য সরকারের এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court) মামলা করেন ওই পুরসভার কংগ্রেস কাউন্সিলর। আর এই মামলাতেই এবার হাইকোর্টে ধাক্কা খেল রাজ্য। আগামী মাস পর্যন্ত প্রশাসক নিয়োগে স্থগিতাদেশ দিয়েছে বিচারপতি অমৃতা সিনহা। এর ফলে তৃণমূল ও কংগ্রেস কেউই প্রশাসক নিয়োগ করতে পারবে না।

    তৃণমূল জবা মাছোয়াকে চেয়ারপার্সন হিসাবে নিয়োগ করতে চেয়েছিল। কিন্তু সেই আশায় জল ঢেলে দিল হাইকোর্টের নির্দেশ। আবার আস্থা ভোটে জয়ী হওয়ার পর শীলা চট্টোপাধ্যায়কে চেয়ারপার্সন করতে চেয়েছিল কংগ্রেস। কিন্তু স্থগিতাদেশের ফলে কোনও নিয়োগই হবে না। ফলে এদিন বিচারপতি অমৃতা সিনহা পুরসভার যাবতীয় কাজের দায়িত্ব দিল পুরুলিয়ার জেলাশাসককে।

    কী ঘটেছিল ঝালদা পুরসভায়?

    ঝালদার বিরোধী কংগ্রেস কাউন্সিলাররা গত ২১ নভেম্বর তাঁরা একটি আস্থা ভোট ডাকেন। সেই আস্থা ভোটের পর অপসারিত হন চেয়ারম্যান। নিয়ম অনুযায়ী আস্থা ভোটের ৭ দিনের মধ্যে ভাইস চেয়ারম্যানকে নতুন চেয়ারম্যান নিয়োগ করতে হয়। সেই অনুযায়ী ভাইস চেয়ারম্যানকে একটি সভা ডাকতে বলেন তাঁরা। এর মধ্যেই ভাইস চেয়ারম্যানও পদত্যাগ করেন। ফলে পুর আইন অনুযায়ী, তিনজন বিরোধী কাউন্সিলার ২৯ নভেম্বর একটি সভা ডাকেন এবং সেই সভায় ঠিক হয় ডিসেম্বর মাসের ৩ তারিখ চেয়ারম্যান নির্বাচন হবে। কিন্তু আগেই রাজ্য সরকার গত ২ তারিখ ঝালদা পুরসভায় (Jhalda Municipality) প্রশাসক বসানোর সিদ্ধান্ত জানিয়ে একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করে।

    সেই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, যেহেতু ঝালদা পুরসভায় কোনও চেয়ারম্যান নেই তাই রোজকার কাজ চালাতে একজন প্রশাসক নিয়োগ করবে রাজ্য সরকার। সরকারের সেই নির্দেশিকা অনুযায়ী ইতিমধ্যেই প্রশাসক সেই কার্যভার গ্রহণ করেছেন। আর এই নিয়েই আদালতের দ্বারস্থ হয় কংগ্রেস কাউন্সিলর।

    বিচারপতির প্রশ্নের মুখে রাজ্য সরকার

    পুরসভায় (Jhalda Municipality) প্রশাসক নিয়োগে রাজ্যের হস্তক্ষেপ নিয়ে প্রশ্নের মুখে পড়তে হয় সরকারকে। বিচারপতি প্রশ্ন করেছেন, “রাজ্য কীভাবে এই প্রক্রিয়ার মধ্যে হস্তক্ষেপ করে?” এরপর বিচারপতি প্রশ্ন করেন, ভাইসম্যানের পদত্যাগ নিয়ে। “ঝালদা পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান কার কাছে পদত্যাগপত্র পাঠিয়েছেন?” রাজ্যকে প্রশ্ন করেন বিচারপতি অমৃতা সিনহা। রাজ্য এর উত্তরে জানায়, তিনি পদত্যাগ করেছেন, কিন্তু কার কাছে সেটা জানা নেই।

    এর পর আদালতে ভাইস চেয়ারম্যানের আইনজীবী জানান, গত ২৮ নভেম্বর এসডিও-র কাছে পদত্যাগপত্র দিয়েছেন তিনি। বিচারপতি জানতে চান, সেই পদত্যাগপত্র গ্রহণ করা হয়েছে যে তার কোনও লিখিত প্রতিলিপি আছে কিনা। কিন্তু আইনজীবী জানান মৌখিক ভাবে পদত্যাগপত্র গ্রহণ করেন এসডিও। এই যুক্তি মানতে নারাজ বিচারপতি অমৃতা সিনহা। যেহেতু নিয়ম অনুযায়ী প্রশাসক নিয়োগ করেননি ভাইস চেয়ারম্যান, তাই এই প্রশাসক নিয়োগে স্থগিতাদেশ দিয়েছে বিচারপতি অমৃতা সিনহা। এই মামলার পরবর্তী শুনানি ৩ জানুয়ারি।

  • Low-Carb Vegetables: রক্তে শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে রাখতে খান এই লো-কার্বযুক্ত সবজি

    Low-Carb Vegetables: রক্তে শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে রাখতে খান এই লো-কার্বযুক্ত সবজি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ডায়াবেটিস একটি দীর্ঘস্থায়ী ও জটিল অসুখ। বেশিরভাগ মানুষ অবশ্য এই অসুখকে ঠিক পাত্তা দিতে চান না। যদিও বিষয়টাকে একবারে অবহেলায় রেখে দিলে চলবে না। ডায়াবেটিস হলে মানুষকে সতর্ক হয়ে যেতে হবে। এমনকী কিছু এমন খাবার খেতে হবে যা সুগার কমায়। আপনারও যদি ডায়াবেটিস থাকে তাহলে এখনই খাদ্যাভ্যাসের দিকে যত্ন নিন। ৭টি লো-কার্ব যুক্ত সবজির নাম জেনে নিন, 

    রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণে লো-কার্ব যুক্ত সবজি

    গাজর

    গাজর নন-স্টার্চি সবজি গ্রুপের অন্তর্গত। তাই যাঁদের সুগার লেভেল হাই, তাঁরা এটি নিরাপদে খেতে পারেন। এই সবজি ফাইবার এবং ভিটামিন এ-তে সমৃদ্ধ। এটি চোখের স্বাস্থ্য উন্নত করার পাশাপাশি শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণেও সাহায্য করে। কারণ গাজরে কম গ্লাইসেমিক ইনডেক্স থাকে।

    মাশরুম

    কম গ্লাইসেমিক সূচক এবং গ্লাইসেমিক লোড কন্টেন্ট সহ, মাশরুম রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়ায় না। তাই ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য এটি ভালো। মাশরুম একটি কম-ক্যালোরি, কম কার্বযুক্ত খাবার যা ডায়াবেটিক রোগীদের জন্য উপকারী।

    ব্রকলি

    এটি ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য আরেকটি দুর্দান্ত সবজি। এটি রক্তে শর্করার মাত্রা কমাতে পারে। ব্রকলি ইনসুলিন সংবেদনশীলতা বাড়ায় এবং এতে উল্লেখযোগ্য অ্যান্টি-ডায়াবেটিক বৈশিষ্ট্য রয়েছে।

    বাঁধাকপি

    প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি রয়েছে এতে, যা হার্টের স্বাস্থ্যকে ভালো রাখে।  বাঁধাকপি ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য একটি ভাল সবজি। ফাইবারে ভরপুর বাঁধাকপি খাবারের হজমকে ধীর করে দেয় এবং এইভাবে আপনার চিনির মাত্রা বাড়াতে বাধা দেয়।

    ফুলকপি

    বাঁধাকপির মত, ফুলকপিও কম কার্বোহাইড্রেটযুক্ত সবজি যা ডায়াবেটিস রোগীরা নিরাপদে তাদের খাদ্যতালিকায় অন্তর্ভুক্ত করতে পারে।

    পালং শাক

    পালং শাক ফোলেট, ফাইবার এবং ভিটামিন এ, বি, সি, ই এবং কে এর একটি দুর্দান্ত উৎস। ফলে এটি  এটি ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য একটি নিরাপদ এবং স্বাস্থ্যকর খাবার। এই শাক রক্তে শর্করার মাত্রা বৃদ্ধি রোধ করে।

    টোম্যাটো

    গাজরের মত, টোম্যাটোও স্টার্চবিহীন সবজি যা রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে।

  • Madras High Court: ধর্মান্তরিত হওয়ার পর কোনও সংরক্ষণ নেই, বড় সিদ্ধান্ত মাদ্রাজ হাইকোর্টের

    Madras High Court: ধর্মান্তরিত হওয়ার পর কোনও সংরক্ষণ নেই, বড় সিদ্ধান্ত মাদ্রাজ হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চাকরির পরীক্ষায় সংরক্ষণ নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ রায় দিল মাদ্রাজ হাইকোর্ট (Madras High Court)। মাদ্রাজ হাইকোর্ট থেকে জানানো হয়েছে, কেউ হিন্দু ধর্ম থেকে মুসলিম ধর্মে পরিবর্তন করলে তিনি জাতিগত সংরক্ষণের সুবিধা পাবেন না। কারণ মুসলিম ধর্মে কোনও জাতিগত বিভেদ নেই।

    মামলাটি কী?

    ওবিসি সম্প্রদায়ের এক ব্যক্তি সম্প্রতি হিন্দু থেকে ধর্মান্তরিত হয়ে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন। তারপরেই তিনি সংরক্ষণের জন্য আদালতের দ্বারস্থ হন। সেই মামলায় শনিবার মাদ্রাজ হাইকোর্টে (Madras High Court) বিচারপতি জি আর স্বামীনাথনের নেতৃত্বে বেঞ্চ জানিয়ে দেন, একজন হিন্দু যখন ধর্মান্তরিত হয়ে মুসলমান হন তখন তিনি সরকারি চাকরিতে সংরক্ষণের দাবি করতে পারেন না। কারণ ইসলামে কোনও জাতিগত বিভেদ নেই।

    ওই আবেদনকারী আদালতে জানান, তিনি এবং তাঁর পরিবার সর্বাধিক অনগ্রসর শ্রেণীর (এমবিসি) হিন্দু ছিলেন। ২০০৮ সালের মে মাসে, আবেদনকারী এবং তাঁর পরিবার ইসলাম গ্রহণ করেন। আবেদনকারী ২০১৮ সালে তামিলনাড়ু কম্বাইনড সিভিল সার্ভিসের পরীক্ষা দিয়েছিলেন। কিন্তু তিনি পাশ করতে পারেননি। পরে খোঁজ নিতে গিয়ে আরটিআই করে জানতে পারেন, TNPSC তাঁকে একজন অনগ্রসর শ্রেণীর মুসলিম আবেদনকারীর পরিবর্তে একজন সাধারণ-শ্রেণির (জেনারেল) আবেদনকারী হিসাবে বিবেচনা করে। ফলে তাঁর আবেদন ছিল, তাঁকে যেন মুসলিম ওবিসি হিসেবে গণ্য করা হয়।

    বিচারপতি কী বললেন? 

    বিচারপতি স্বামীনাথন সুপ্রিম কোর্টের একাধিক রায়ের উদ্ধৃতি দিয়ে পর্যবেক্ষণ করেছেন যে, একবার একজন হিন্দু ধর্ম নিয়ে জন্মগ্রহণকারী ব্যক্তি অন্য ধর্মে ধর্মান্তরিত হয়ে গেলে তা বর্ণ প্রথাকে অনুসরণ করে না বা স্বীকৃতি দেয় না। সেই ধর্মান্তরিত ব্যক্তি আর সেই বর্ণের অন্তর্গত হবেন না, যা নিয়ে তিনি জন্মগ্রহণ করেছিলেন।

    হাইকোর্ট (Madras High Court) আরও বলেছে যে, একজন ব্যক্তি যিনি অন্য ধর্মে ধর্মান্তরিত হয়েছেন তিনি সম্প্রদায় সংরক্ষণের যোগ্য কিনা তা সুপ্রিম কোর্টের একটি বিষয়। ফলে হাইকোর্টের পক্ষে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া যথাযথ হবে না। TNPSC-এর সিদ্ধান্ত তাই আদালত বহাল রেখেছিল, যা হস্তক্ষেপ করতে অস্বীকার করেছিল এবং বলেছিল যে কমিশনের সিদ্ধান্ত সঠিক ছিল।

    কৈলাশ সোনকার বনাম মায়া দেবী মামলার কথাও উল্লেখ করে বেঞ্চের (Madras High Court) তরফে বলা হয়, একজন হিন্দুর জাতি তৈরি হয় তার জন্মের উপরে নির্ভর করে। কেউ যদি হিন্দু থেকে খ্রিষ্টান বা মুসলিম হন তাহলে তাঁর সেই জাতি আর থাকল না, কারণ এই দুই ধর্মে জাতপাতের কোনও জায়গা নেই।

  • Ludhiana: এনআইএ-র হাতে গ্রেফতার লুধিয়ানা বিস্ফোরণে অভিযুক্ত ‘মোস্ট ওয়ান্টেড’ জঙ্গি হ্যাপি

    Ludhiana: এনআইএ-র হাতে গ্রেফতার লুধিয়ানা বিস্ফোরণে অভিযুক্ত ‘মোস্ট ওয়ান্টেড’ জঙ্গি হ্যাপি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গ্রেফতার লুধিয়ানা আদালত (Ludhiana Court Blast) বিস্ফোরণ মামলার অন্যতম অভিযুক্ত ‘হ্যাপি মালয়েশিয়া’ (Happy Malaysia)। শুক্রবার জাতীয় তদন্তকারী সংস্থার (NIA) এক কর্তা জানিয়েছেন, রাজধানীর ইন্দিরা গান্ধী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ‘মোস্ট ওয়ান্টেড’ খলিস্তানি জঙ্গি হরপ্রীত সিং ওরফে হ্যাপি মালয়েশিয়াকে গ্রেফতার করা হয়। ২০২১ সালে লুধিয়ানা আদালত চত্বরে বিস্ফোরণের ঘটনায় অভিযুক্ত হরপ্রীতের মাথার দাম ছিল ১০ লক্ষ টাকা।

    গ্রেফতার কুখ্যাত খলিস্তানি জঙ্গি হ্যাপি

    হরপ্রীত সিং অমৃতসরের বাসিন্দা৷ তার সঙ্গে বেশ কয়েকটি জঙ্গিগোষ্ঠীর যোগাযোগ রয়েছে বলে জানা গিয়েছে। বব্বর খালসা, খলিস্তান লিবারেশন ফোর্সের মত বেশ কয়েকটি জঙ্গিগোষ্ঠীর যোগাযোগের প্রমাণ রয়েছে বলে এনআইএ সূত্রের খবর। এছাড়াও পাকিস্তান ভিত্তিক জঙ্গিগোষ্ঠী ইন্টারন্যাশনাল শিখ ইয়ুথ ফেডারেশনের সঙ্গেও তার যোগাযোগ রয়েছে বলে জানা গিয়েছে। ২০২১ সালের বিস্ফোরণের ঘটনার পিছনে খলিস্তানি জঙ্গি সংগঠন যুক্ত বলে অভিযোগ ওঠে। আর এই ঘটনার মূলচক্রী ছিল এই হরপ্রীত সিং। আজ অবশেষে একে গ্রেফতার করেছে এনআইএ।

    আরও পড়ুন: ভাঙড়ে বোমা কারখানার হদিশ, তৃণমূল না আইএসএফ কারা বানাত?

    এনআইএ সূত্রে খবর, গোপন সূত্র মারফত খবর পেয়েছিলেন এনআইএ-এর আধিকারিকরা যে, মালয়েশিয়ার রাজধানী কুয়ালা লামপুর থেকে দিল্লি বিমানবন্দরে আসছিলেন অভিযুক্ত হরপ্রীত। ফলে বিমান থেকে নামতেই তাকে আটক করা হয়।

    কী ঘটেছিল?

    প্রসঙ্গত, গত বছরের ২৩ ডিসেম্বর বোমা বিস্ফোরণের ফলে কেঁপে উঠেছিল লুধিয়ানা আদালত চত্বর ((Ludhiana)। এতে নিহত হন এক জন ও গুরুতর আহত হন পাঁচ জন। বিস্ফোরণে গগনদীপ নামে এক কনস্টেবল নিহত হয়েছিলেন। প্রাথমিক তদন্তে উঠে আসে যে, পাঞ্জাব পুলিশের বরখাস্ত হওয়া এই কনস্টেবল গগনদীপ সিং এই বিস্ফোরণের সঙ্গে জড়িত ছিল।

    হরপ্রীতের গ্রেফতারির আগে লুধিয়ানা বিস্ফোরণে ((Ludhiana) এনআইএ তিনজনকে গ্রেফতার করেছিল। তারা হল, সুরমুখ সিং সাম্মু, দিলবাগ সিং বাগ্গো এবং রাজনপ্রিত সিং। রাজনপ্রিত বিস্ফোরক এনে গগনদীপ সিং-কে দিয়েছিল। গগনদীপ আদালতের ভিতরে বিস্ফোরক লাগাতে গিয়েই ফেটে মারা যায়।

    গত বছরের ঘটনার ((Ludhiana) পর হরপ্রীত সিং-কে ধরার জন্য ১০ লক্ষ টাকা পুরস্কার ঘোষণা করেছিল এনআইএ। এই ঘটনা ছাড়াও হরপ্রীতের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা দায়ের করা হয়েছিল। মোস্ট ওয়ান্টেডের তালিকায় তার নাম রাখা হয়। এছাড়াও জানা গিয়েছে, পাকিস্তানের আইএসওয়াইএফ-এর মাথা লখবীর সিং এর সহকারীও এই হরপ্রীত সিং।

  • Aftab Poonawalla: নারকো টেস্ট চলাকালীন অবচেতন মনে কী কী বলল আফতাব?

    Aftab Poonawalla: নারকো টেস্ট চলাকালীন অবচেতন মনে কী কী বলল আফতাব?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শ্রদ্ধা ওয়ালকর হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটন করতে পলিগ্রাফ টেস্টের পর বৃহস্পতিবার (১ ডিসেম্বর) নারকো পরীক্ষাও করা হল অভিযুক্ত আফতাব আমিন পুনাওয়ালার (Aftab Poonawalla)। আর এই পরীক্ষা চলাকালীনই বেরিয়ে এল একের পর এক সত্য। এদিন সে আবার বলে, “হ্যাঁ, আমিই খুন করেছি শ্রদ্ধাকে।” সূত্রের খবর অনুযায়ী, গতকাল তাকে রোহিণীর বাবা সাহেব আম্বেদকর হাসপাতালে সকালে নিয়ে যাওয়া হয় ও প্রায় ২ ঘণ্টা ধরে চলে তার নারকো টেস্ট। জানা গিয়েছে, জিজ্ঞাসাবাদে আফতাবের কাছ থেকে একাধিক গুরুত্বপুর্ণ তথ্য পেয়েছে পুলিশ।

    আফতাবের নারকো টেস্ট

    সূত্রের খবর অনুযায়ী, গতকাল আফতাবকে (Aftab Poonawalla) তিহার জেল থেকে কড়া নিরাপত্তায় বাবা সাহেব আম্বেদকর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সকাল প্রায় ৮টা ৪০ মিনিটে তাকে নিয়ে যাওয়া হয় ও তাকে কিছুক্ষণ পর্যবেক্ষণ করার পর তার নারকো টেস্ট শুরু হয় সকাল ১০টা নাগাদ। এরপর দু’ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদের পর দুপুর ১টার দিকে ফের তিহার জেলে নিয়ে যাওয়া হয়। এফএসএল থেকে জানানো হয়েছে, যদি পুলিশ এবং ফরেনসিক দল তার উত্তর সন্তোষজনক না মনে হয়, তবে আফতাবকে আরেকটি নারকো পরীক্ষার জন্য ডাকা হতে পারে।

    আরও পড়ুন: শেষ হল পলিগ্রাফ পরীক্ষা, ডিসেম্বরের শুরুতেই আফতাবের নারকো টেস্ট?

    নারকো টেস্টে কী কী বলল আফতাব?

    সূত্রের খবর অনুযায়ী, নারকো পরীক্ষায় অবচেতন মনে শ্রদ্ধাকে হত্যার কথা স্বীকার করেছে আফতাব (Aftab Poonawalla)। পলিগ্রাফ টেস্টের মত এই টেস্টেও সে শ্রদ্ধাকে খুনের কথা স্বীকার করেছে। পরীক্ষার সময় আফতাব দাবি করেছে, রাগ ও ক্ষোভের বশেই সে শ্রদ্ধাকে হত্যা করেছিল। পাশাপাশি সে জানিয়েছে, এই হত্যাকাণ্ডে মোট ৭টি অস্ত্র ব্যবহার করেছিল। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, কোন কোন অস্ত্র ব্যবহার করেছে, হত্যার পর সেই সব অস্ত্র সে কোথায় ফেলেছে, তাও জেরায় জানিয়েছে আফতাব। শ্রদ্ধার মোবাইল ও জামাকাপড় কোথায় ফেলেছে, তাও এদিন জানিয়েছে আফতাব।

    আরও জানা গিয়েছে, গতকাল আফতাবের স্বাস্থ্যের অবস্থা ভালো ছিল ফলে পুনাওয়ালার নারকো পরীক্ষা সম্পূর্ণ সফল হয়েছে। পুলিশ কমিশনার সাগর প্রীত হুডা জানিয়েছেন, নারকো টেস্টের প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ হয়েছে ও  পরীক্ষার পরেও তাকে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছিল। তবে আরও জানা গিয়েছে, শুধুমাত্র পলিগ্রাফ টেস্ট বা নারকো টেস্টই যথেষ্ট নয়, দিল্লি পুলিশ জানিয়েছে, যদি তার পলিগ্রাফ এবং নারকো বিশ্লেষণের ফলাফল অনিশ্চিত হয়, তবে তারা অভিযুক্ত আফতাব পুনাওয়ালার ব্রেইন ম্যাপিং করাতে পারে। ফলে পুনাওয়ালার ব্রেন ম্যাপিং করার জন্য আদালতের অনুমতি চাইতে যেতে পারে তারা। পরে আর কোনও নারকো টেস্ট হয় কিনা আফতাবের (Aftab Poonawalla) বা টেস্ট হলেও নতুন কোন তথ্য সামনে বেরিয়ে আসে, সেটাই এখন দেখার।

  • BSF: পাক হানাদারি রুখতে বিএসএফ-এর হাতে এল দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি বিশেষ ড্রোন

    BSF: পাক হানাদারি রুখতে বিএসএফ-এর হাতে এল দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি বিশেষ ড্রোন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ড্রোন তৈরির ইতিহাসে নয়া সংযোজন। বিগত কয়েক মাস ধরেই ভারত-পাক সীমান্তে শুরু হয়েছে শত্রুপক্ষের ড্রোনের উৎপাত। আর এবারে প্রতিবেশী দেশ থেকে আসা ড্রোনকে ধ্বংস করতেই দেশীয় প্রযুক্তিতে ড্রোন তৈরী করা হচ্ছে। সীমান্তরক্ষীদের ব্যবহারের জন্য ভারতে তৈরি হয়েছে এই দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি অত্যাধুনিক ড্রোন। এদিন বিএসএফ (BSF) থেকে জানানো হয়েছে যে, দেশীয় প্রযুক্তি ব্যবহার করে যেসব ড্রোন তৈরি করা হচ্ছে, তা অন্যান্য ড্রোনের তুলনায় অনেক গুণ ভালো ও শক্তিশালী।

    দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি ড্রোন

    বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্স (BSF) থেকে বলা হয়েছে, দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি করা ড্রোনগুলি অস্ত্র, গোলাবারুদ এবং মাদক বহনকারী ড্রোনগুলিকে ধ্বংস করতে সফল হয়েছে। চলতি বছরে এই বিশেষ ড্রোন প্রায় ১৬ টির মত অনুপ্রবেশকারী ড্রোনকে ধ্বংস করতে সক্ষম হয়েছে।

    বিএসএফ-এর (BSF) ডিরেক্টর জেনারেল পঙ্কজ সিং বলেন, “ড্রোন একটি বড় চ্যালেঞ্জ৷ যদিও আমরা সীমান্তে একটি অ্যান্টি-ড্রোন সেট আপ করেছি, তবে আমাদের এমন কোনও সেটআপ নেই যা পুরো পশ্চিমাঞ্চলকে কভার করে৷ আমরা অনেক ভারতীয় সংস্থার সঙ্গে আলোচনা করছি৷ আগামী দিনে, আমরা এই নতুন প্রযুক্তিটি আরও অনেক এলাকায় ব্যবহার করতে পারি।”

    তিনি আরও বলেছেন, এমন ড্রোনও তৈরি করা হচ্ছে যা কাঁদানে গ্যাসের শেলও ফেলতে পারে। তিনি বলেন, “টেকানপুরে, আমাদের টিয়ার-গ্যাস ইউনিট এই ধরণের ড্রোন তৈরি করেছে যেগুলি পাঁচটির মতো শেলও বহন করতে পারে, এবং শেলগুলিকে সুনির্দিষ্ট স্থানে ফেলতে পারে৷ কিন্তু এখন পর্যন্ত, এই প্রযুক্তিটি শুধুমাত্র তৈরি করা হয়েছে এবং কোনও সেনাবাহিনীদের দেওয়া হয়নি।

    আরও পড়ুন: ফের পাকিস্তানি ড্রোন গুলি করে নামাল বিএসএফ, মিলল মাদক

    বিএসএফ-এর (BSF) মতে যেসব ড্রোন সাধারণত ব্যবহার করা হয় তা চিনে তৈরি ও ব্যয়বহুলও। ফলে বিদেশী প্রযুক্তিতে তৈরি করা ড্রোনের থেকে দেশীয় প্রযুক্তির ড্রোন অনেক নিরাপদ, সাশ্রয়ী ও এগুলো ভালোভাবে শত্রুপক্ষের ড্রোনগুলিকে নষ্ট করে দিতে সক্ষম। তাই তারা এখন থেকে দেশের তৈরি ড্রোন তৈরিতেই বেশি নজর দিয়েছে।

    সূত্রের খবর অনুযায়ী, এই ড্রোনগুলো ঘন কুয়াশাতেও যাতে কাজ করতে পারে ও ইম্প্রোভাইজড এক্সপ্লোসিভ ডিভাইস শনাক্ত করতে পারে, সেখানেই তৈরি করা হচ্ছে। ফলে এই ড্রোনগুলো দেশের সীমান্তবর্তী এলাকাগুলোতে কড়া নজর রাখার ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হবে। ডিরেক্টর জেনারেল পঙ্কজ সিং জানিয়েছেন, সীমান্তে প্রায় ৫,৫০০ ক্যামেরা লাগাতে চলেছেন তাঁরা। আর এসবের জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক ৩০ কোটি টাকা মঞ্জুর করেছে।

    প্রসঙ্গত, কয়েক বছর ধরেই পাকিস্তান থেকে ড্রোনের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণরেখা (এলওসি) এবং আন্তর্জাতিক সীমান্ত পার করে অস্ত্রশস্ত্র, মাদক, জাল টাকা পাঠানো হচ্ছে ভারতে। আকাশপথে তার মোকাবিলা করার প্রযুক্তি এতদিন ভারতের অধরা থাকলেও এবারে অনুপ্রবেশকারী পাক ড্রোনগুলিকে ধ্বংস করে মাটিতে মিশিয়ে দিতে আসতে চলেছে দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি বিশেষ ড্রোন।

  • KCR Daughter: দিল্লির আবগারি কেলেঙ্কারি মামলায় উঠে এল কেসিআরের মেয়ে কে কবিতার নাম

    KCR Daughter: দিল্লির আবগারি কেলেঙ্কারি মামলায় উঠে এল কেসিআরের মেয়ে কে কবিতার নাম

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দিল্লির মদ কেলেঙ্কারির তদন্ত এখন তেলঙ্গানায় পৌঁছেছে। আর এই কেলেঙ্কারি মামলায় নাম উঠে এসেছে তেলেঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী কেসিআরের মেয়ে কে. কবিতার নাম। আজ ইডি তাদের রিপোর্টে কে কবিতার বিষয়ে এই তথ্য জানান। শুধু তাই নয়, ইডি এদিন তেলঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী কেসিআর এর কন্যার (KCR Daughter) বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছে যে, দিল্লির আবগারি কেলেঙ্কারিতে কবিতা প্রায় ১০০ কোটি টাকা দিয়েছে আম আদমি পার্টি-কে।

    দিল্লির মদ কেলেঙ্কারিতে নাম এসেছে কেসিআর কন্যার

    এই মামলায় গত মঙ্গলবার গুরুগ্রাম থেকে ব্যবসায়ী অমিত অরোরাকে গ্রেফতার করেছে ইডি। এরপর ধৃত অমিত অরোরার বক্তব্যের ভিত্তিতে দিয়ে কেন্দ্রীয় সংস্থা ইডি দাবি করেছে যে, কেসিআরের মেয়ে কে কবিতা “সাউথ গ্রুপ” এর একজন বিশিষ্ট সদস্য ছিলেন ও তিনি অন্য এক ধৃত ব্যবসায়ী বিজয় নায়ারের মাধ্যমে দিল্লির ক্ষমতাসীন আম আদমি পার্টির (এএপি) নেতাদের অন্তত ১০০ কোটি টাকা দিয়েছিলেন। মঙ্গলবার রাতে গ্রেফতারের পর স্থানীয় আদালত মদ কোম্পানি বাডি রিটেইল প্রাইভেট লিমিটেডের পরিচালক অমিত অরোরাকে ৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত ইডি-র হেফাজতে পাঠায়।

    কেন্দ্রীয় সংস্থা একটি রিপোর্টে দাবি করেছে যে আপ নেতারা, যাদের মধ্যে কিছু সরকারে রয়েছেন, তাঁরা দিল্লির আবগারি নীতিকে রাষ্ট্রীয় কোষাগারের খরচে অবৈধ তহবিল তৈরি করার জন্য ব্যবহার করতেন। এছাড়াও অভিযোগ করা হয়েছে যে, দিল্লির উপ-মুখ্যমন্ত্রী মনীশ সিসোদিয়া এবং মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের এক পিএ সহ ব্যবসায়ী, খুচরো মদ বিক্রেতা এবং আমলা মিলিয়ে কমপক্ষে ৩৬ জন ডিজিটাল প্রমাণ লোপাটে ১৭০ টি মোবাইল সেট ধ্বংস করেছে।

    আবগারি নীতি দুর্নীতি

    গত বছরের ১৭ নভেম্বর দিল্লিতে নতুন আবগারি আইন চালু করা হয়। নতুন আবগারি নীতিতে সরকারির পাশাপাশি বেসরকারি বিভিন্ন দোকান ও সংস্থাকেও মদ তৈরি ও বিক্রির লাইসেন্স দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু দিল্লির লেফটেন্যান্ট গভর্নর ভি কে সাক্সেনা এই আবগারি নীতি নিয়ে প্রশ্ন তুলতেই জুলাই মাসে ওই নীতি প্রত্যাহার করে নেওয়া হয় ও পুরনো নীতিই চালু করা হয়। এক্ষেত্রে বিজেপিও সরব হয়েছিল ও অভিযোগ করেছিল, নতুন আবগারি নীতিতে আপ সরকার নিজেদের ঘনিষ্ঠ কয়েকজনকেই সুবিধা পাইয়ে দিয়েছে। পরে আবগারি নীতির দুর্নীতিতে উপমুখ্যমন্ত্রী মণীশ সিসোদিয়া সহ একাধিক আমলার নাম জড়িয়েছে। দিল্লির আবগারি আইন নিয়ে লেফটেন্যান্ট গভর্নর প্রশ্ন তোলার পরই তদন্ত শুরু করে  সিবিআই। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার এফআইআরের ভিত্তিতেই আর্থিক তছরুপের মামলায় তল্লাশি অভিযান চালায় এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। আর এরপরেই ইডি কেসিআর কন্যা (KCR Daughter) কে কবিতার নামও উল্লেখ করল। আর এই অভিযোদ আসার পরেই তেলেঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী কেসিআর-এর মেয়ে বলেছেন, “আমরা ইডিকে স্বাগত জানিয়েছি এবং তাঁদের সাথে সহযোগিতা করব।”

LinkedIn
Share