Author: নিমাই দে

  • Suvendu Adhikari: ভূপতিনগর কাণ্ডে এনআইএ-র তদন্তের দাবিতে অমিত শাহকে চিঠি শুভেন্দুুর

    Suvendu Adhikari: ভূপতিনগর কাণ্ডে এনআইএ-র তদন্তের দাবিতে অমিত শাহকে চিঠি শুভেন্দুুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পূর্ব মেদিনীপুরের ভূপতিনগরে বোমা বিস্ফোরণের ঘটনায় এর আগেই এনআইএ তদন্তের দাবি করেছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। কিন্তু এবারে তিনি এই বিষয়ে জানিয়ে সরাসরি চিঠি লিখলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে। চিঠিতে তিনি রাজ্যের একের পর এক বিস্ফোরণের কথা তুলে ধরেছেন। এমনকি চিঠিতে তিনি অভিযোগ করেছেন, রাজ্যে শুধু বোমা নয়, বন্দুক, গুলিও মজুত করা হচ্ছে। তিনি অভিযোগ করেছেন, ভূপতিনগর কাণ্ডে সরকারের বিরুদ্ধে প্রমাণ লোপাট করার চেষ্টা করা হয়েছে। ফলে তিনি ভূপতিনগরের বোমা বিস্ফোরণ কাণ্ডে এনআইএ-র তদন্ত চেয়ে অমিত শাহকে চিঠি লিখেছেন।

    ভূপতিনগরের বোমা বিস্ফোরণ

    শনিবার শাসকদলের সর্বভারতীয় সাধারণ-সম্পাদকের সভার আগেই বোমা বিস্ফোরণে কেঁপে উঠেছিল পূর্ব মেদিনীপুরের ভূপতিনগর। বিস্ফোরণে তৃণমূলের বুথ সভাপতি রাজকুমার মান্না-সহ তিনজনের মৃত্যু হয়। আহত আরও দুই। তীব্রতা এতটাই বেশি ছিল যে উড়ে গেছে গোটা বাড়িটাই। আর এই নিয়েই শুরু হয় রাজনৈতিক চাপানউতর।

    সামনেই পঞ্চায়েত নির্বাচন, আর তার আগেই শুরু হয়েছে রাজ্যের একাধিক জায়গায় বোমা বিস্ফোরণ। ফলে এই নিয়ে সরব হয়েছে গেরুয়া শিবির। এই ঘটনায় এনআইএ-র দাবি করা হয়েছে ও অমিত শাহকে এই বিষয়ে চিঠিও লিখেছেন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)।

    আরও পড়ুন: ভাঙড়ে বোমা কারখানার হদিশ, তৃণমূল না আইএসএফ কারা বানাত?

    একাধিক অভিযোগ চিঠিতে

    শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) চার পাতার চিঠিতে উঠে এসেছে শাসকদলের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ। তিনি চিঠিতে লিখেছেন, পঞ্চায়েত ভোটের আগে রাজ্যে বোমা, বারুদ, অস্ত্র মজুত করা হচ্ছে। তাই ভূপতিনগরের বিস্ফোরণে এনআইএ-র তদন্তের পাশাপাশি তিনি রাজ্যে বোমা, অস্ত্র মজুতের বিষয়েও ব্যবস্থা নেওয়ার আবেদন জানিয়েছেন।

    এরপর তিনি (Suvendu Adhikari) মন্তব্য করেছেন যে, রাজ্য বোমা তৈরির ‘কুটির শিল্পে’ পরিণত হয়েছে। এ প্রসঙ্গে তিনি তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায়ের একটি ভাষণের উল্লেখ করেছেন। চিঠিতে উদ্ধৃতি তুলে দিয়ে তিনি দেখিয়েছেন, ওই ভাষণে সাংসদ সৌগত রায় বোমা তৈরির ফর্মুলা বলছেন। এছাড়াও তিনি চিঠিতে অভিযোগ করেছেন যে, পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে শাসকদল রাজ্য জুড়ে সন্ত্রাসের পরিবেশ তৈরি করতে চাইছে। রাজ্য জুড়ে একাধিক বিস্ফোরণের কথাও উল্লেখ করেছেন চিঠিতে।

    শুভেন্দু লিখেছেন, এই ধরনের বিস্ফোরক পদার্থ দেশের সুরক্ষার ক্ষেত্রে বিপজ্জনক। ফলে ভূপতিনগরের বিস্ফোরণে এনআইএ-র তদন্তের পাশাপাশি, রাজ্যের পরিস্থিতিকে নজরে রেখেও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার আবেদন জানিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)।

  • Kolkata Weather: পারদ ওঠা-নামার মাঝেই নিম্নচাপের পূর্বাভাস, বাংলায় কি প্রভাব পড়বে?

    Kolkata Weather: পারদ ওঠা-নামার মাঝেই নিম্নচাপের পূর্বাভাস, বাংলায় কি প্রভাব পড়বে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের আজ সামান্য হলেও তাপমাত্রা বাড়ল। প্রায় কয়েকদিন পারদ ঊর্ধ্বমুখী থাকার পর গতকাল তাপমাত্রা ১৫ -এর ঘরে এসেছিল। কিন্তু আজ এই তাপমাত্রা সামান্য বেড়ে গিয়েছে। অর্থাৎ আজ কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ফলে জাঁকিয়ে শীত পড়তে এখনও দেরী আছে।

    কলকাতার আবহাওয়া

    গতকালের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৫.৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর আজ তা বেড়ে হয়েছে ১৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস আর সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ২৮.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস যা স্বাভাবিক। শীতের আমেজ থাকবে দিনভর। তবে সন্ধ্যা ও রাতে হালকা শীতের আমেজ বাড়বে। বৃষ্টির কোনও সম্ভাবনা নেই আগামী চার পাঁচ দিনে। আগামী ২৪ ঘণ্টায় তাপমাত্রা ১৬ থেকে ২৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস এর মধ্যে থাকবে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর। বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ ৩৬ থেকে ৯১ শতাংশ। কলকাতার আকাশ আজ মূলত পরিস্কার থাকবে।

    আরও পড়ুন: শহরে ফিরল শীতের আমেজ! আজ মরশুমের শীতলতম দিন

    আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, কলকাতায় জাঁকিয়ে শীত আসতে এখনও দিন দশেক দেরী। আগামী রবিবার পর্যন্ত কলকাতা এবং পার্শ্ববর্তী জেলাগুলিতেও তাপমাত্রা ১৫ অথবা ১৬ ডিগ্রির আশেপাশে থাকবে। পশ্চিমাঞ্চলের জেলায় এই তাপমাত্রা আগামি কয়েক দিন ১১ অথবা ১২ ডিগ্রির ঘরে থাকবে।

    উত্তরবঙ্গে স্বাভাবিকের কাছাকাছি তাপমাত্রা ছিল ও আপাতত সেই তাপমাত্রায় কোনও পরিবর্তন হবে না। দক্ষিণবঙ্গে তাপমাত্রা স্বাভাবিক বা স্বাভাবিকের নীচে চলে আসতে পারে। তবে আগামী ২-৩ দিনে স্বাভাবিক বা স্বাভাবিকের নিচের দিকে তাপমাত্রা থাকতে পারে বলে অনুমান আবহাওয়াবিদদের।

    নিম্নচাপের ভ্রুকুটি

    আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর, আজ বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপ তৈরীর সম্ভাবনা রয়েছে। গতকাল, রবিবার ঘূর্ণাবর্ত তৈরি হয়েছিল দক্ষিণ আন্দামান সাগর ও সংলগ্ন এলাকায়। ঘূর্ণাবর্ত সোমবারে নিম্নচাপে পরিণত হবে। দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগর এবং দক্ষিণ আন্দামান সাগর সংলগ্ন এলাকায় নিম্নচাপ তৈরির সম্ভাবনা। আজকের পর এটি আরও শক্তিশালী হবে। এরপর আগামী দু-তিন দিনে আরও শক্তিশালী হয়ে গভীর নিম্নচাপে পরিণত হতে পারে। পশ্চিম ও উত্তর-পশ্চিম দিকে এগিয়ে এর অভিমুখ হবে তামিলনাড়ু -পন্ডিচেরি উপকূল। দক্ষিণ ভারত অভিমুখী হওয়ায় সরাসরি এর কোনও প্রভাব পড়বে না বাংলায়। আগামী কয়েক দিন বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে আন্দামান-নিকোবর দ্বীপপুঞ্জ, শ্রীলঙ্কা উপকূল এবং দক্ষিণ ভারতের রাজ্যে।

  • Lucknow: মর্মান্তিক! মালাবদলের সময়েই মারা গেলেন এক কনে, কী এমন হল?

    Lucknow: মর্মান্তিক! মালাবদলের সময়েই মারা গেলেন এক কনে, কী এমন হল?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিয়ের অনুষ্ঠান শুরু হয়ে গিয়েছে। চারিদিকে আনন্দের পরিবেশ। মালাবদলের অনুষ্ঠান সবে শুরু হবে। কিন্তু এই ধুমধাম করে বিয়ের আনন্দ এক নিমেষের মধ্যে মিলিয়ে গেল চোখের জলে। জয়মালা বা বরমাল্য পরিণত হল মৃতদেহের মালায়। মালাবদলের সময় আচমকাই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়লেন সদ্য কুড়িতে পা রাখা এক কনে। যা দেখে শোকস্তব্ধ হয়ে পড়ে গোটা গ্রাম। ঘটনাটি ঘটেছে শনিবার রাতে, লখনউয়ের (Lucknow) মালিহাবাদের (Malihabad) ভাদোয়ানা (Bhadwana) গ্রামে। আনন্দের মুহূর্তেই নেমে আসে শোকের ছায়া। এক মর্মান্তিক পরিণতির সাক্ষী থাকলেন বিয়েবাড়িতে হাজির অতিথিরা।

    কী ঘটেছিল?

    সূত্রের খবর অনুযায়ী, সানাই, বাজনা, পটকা, আলোর রোশনাই-এর মাঝে বিয়ের অনুষ্ঠানের সব রীতি হচ্ছিল। এরপর সময় আসে মালাবদলের। উপস্থিত প্রত্যেকের মুখে হাসি। কিন্তু পরমুহূর্তেই তা পরিণত হয়ে যায় কান্নায়। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই কনের নাম শিবাঙ্গী শর্মা। মালাবদলের সময়ই হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয় কনের।  

    মালিহাবাদ থানা জানিয়েছে, তারা ঘটনাটি সামাজিক মাধ্যম সূত্র জানতে পেরে ওই এলাকায় পুলিশ পাঠিয়েছিল (Lucknow)। স্থানীয় সূত্রে পুলিশ জানতে পারে, গ্রামের বাসিন্দা রাজপালের মেয়ে শিবাঙ্গীর সঙ্গে বিবেক নামে এক যুবকের বিয়ে হচ্ছিল। কনেকে মণ্ডপে নিয়ে এলে তিনি বরকে মালা পরানোর সময়েই মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। সেখানে উপস্থিত বহু লোকই সেই দৃশ্য মোবাইল ক্যামেরায় বন্দি করছিলেন।

    কনেকে সেই অবস্থায় দেখে হইচই পড়ে যায়। এরপর তাঁকে সঙ্গে সঙ্গে স্থানীয় স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে তাঁকে ট্রমা সেন্টারে রেফার করা হলেও রাস্তায় যাওয়ার পথেই তাঁর মৃত্যু হয়। ফলে বিয়ের মণ্ডপে এমন ঘটনা সত্যিই মর্মান্তিক। যে মেয়েকে বধূ রূপে বরণ করে ঘরে তোলার কথা ছিল, তাঁকেই মণ্ডপ থেকে তুলে নিয়ে যাওয়া হল শশ্মানে (Lucknow)।  

    সূত্রের খবর অনুযায়ী, জানা গিয়েছে, মেয়েটি গত ১৫-২০ দিন ধরে অসুস্থ ছিলেন এবং তাঁর জ্বর ছিল। ডাক্তার বলেছিলেন তাঁর রক্তচাপ কম, কিন্তু এক সপ্তাহ আগে সে সুস্থ হয়ে উঠেছিলেন। কিন্তু বিয়ের দিন সে আবার অসুস্থ হয়ে পড়লে তাঁকে মালিহাবাদ সিএইচসিতে নিয়ে যাওয়া হয়, সেখানে তাঁর রক্তচাপ কম পাওয়া যায়। তাঁকে ওষুধ দেওয়া হয়েছিল এবং তার রক্তচাপ স্বাভাবিক হলে তাঁকে বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু বিয়ের সময় তিনি মাটিতে লুটিয়ে পড়েন এবং মারা যান (Lucknow)।

  • Shraddha Murder Case: খোশমেজাজে জেলবন্দি আফতাব! দিন কাটছে দাবা খেলে, বই পড়ে

    Shraddha Murder Case: খোশমেজাজে জেলবন্দি আফতাব! দিন কাটছে দাবা খেলে, বই পড়ে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লিভ-ইন পার্টনার শ্রদ্ধা ওয়ালকরকে (Shraddha Murder Case) নৃশংসভাবে খুন করে, দেহ ৩৫ টুকরো করেছিল আফতাব আমিন পুলাওয়ালা। ফলে তিহার জেলে দিন কাটছে আফতাবের। তবে কোনওরকমের অনুশোচনা নেই তার। খোশমেজাজেই দিন কাটছে তার। জেলে দিন কাটছে দাবা খেলে ও বই পড়ে। জেল কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা গিয়েছে, জেলে শান্তই রয়েছে আফতাব। বেশিরভাগ সময়ে নিজেকে ব্যস্ত রাখে সে। তার দাবি অনুযায়ী, তাকে একটি বইও দেওয়া হয়েছে। ফলে এইসবেই মজে ‘কিলার’ আফতাব।

    কী বই পড়ছে আফতাব?

    তিহার জেল সূত্রে খবর, আফতাব (Shraddha Murder Case) ইংরেজি বই পড়তে চেয়েছে। জেল কর্তৃপক্ষের তরফে সেই দাবি মেনে ইংরেজি বই ‘দ্য গ্রেট রেলওয়ে বাজার: বাই ট্রেন থ্রু এশিয়া’ নামক একটি বই দেওয়া হয়েছে আফতাবকে। এটি একটি ভ্রমণের অভিজ্ঞতার বই। এই বই সম্পর্কে জেল কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয়েছে, আফতাবকে যে বইটি দেওয়া হয়েছে তা বিদেশি লেখক পল থেরক্সের লেখা। এই বইয়ে কোনও অপরাধের উল্লেখ নেই এবং বইয়ের বিষয়বস্তুও এমন কিছু নয়, যা পড়ে আফতাব তার সঙ্গে থাকা বন্দিদের ক্ষতি করতে পারে।

    দাবা খেলায় মজে আফতাব

    পুলিশ জানিয়েছে, জেলে বেশির ভাগ সময় আফতাব দাবা খেলে। পুনাওয়ালা দাবা খেলার পরিকল্পনা করে সময় কাটায় ও একা থাকতেই পছন্দ করে। তাকে মাঝে মাঝে দুই জেলবন্দীর সঙ্গে ঝগড়া করতেও দেখা গিয়েছে। উল্লেখ্য, আফতাবের সেলে আরও দুই বন্দি রয়েছে, যারা চুরির অপরাধে অভিযুক্ত। দুইজনকেই জেল কর্তৃপক্ষের তরফে আফতাবের উপরে বিশেষ নজর রাখতে বলা হয়েছে (Shraddha Murder Case)।  

    পুলিশ কী জানিয়েছে?

    অন্যদিকে পুলিশ জানিয়েছে, আফতাবকে দাবা খেলায় বেশ পারদর্শী মনে হয়েছে। সে নিজেই নিজের প্রতিপক্ষ হিসাবেও দাবা খেলে। তাঁকে হারানো খুবই কঠিন। ফলে তার দাবা খেলার চাল দেখে মনে হচ্ছে, সে কতটা ধূর্ত ও তীক্ষ্ণ মস্তিষ্কের। জেলসূত্রে জানা গিয়েছে, তার দাবা খেলার এক-একটি চাল দেখে মনে হচ্ছে শ্রদ্ধা ওয়ালকরের হত্যাও তার দাবা কৌশলের মতো গভীর ষড়যন্ত্রের অংশ ছিল। আবার এই হত্যাকাণ্ডের এক তদন্তকারী জানিয়েছে, পুলিশ তাকে যা করতে বলেছিল তা পুরোপুরি অনুসরণ করেছে। সে তার অপরাধও স্বীকার করেছে, পুলিশকে সহযোগিতা করেছে এবং পলিগ্রাফ ও নারকো টেস্টেও রাজি হয়েছে। কিন্তু এখন তার ‘ভালো’ আচরণেও সন্দেহ হচ্ছে পুলিশের।

    উল্লেখ্য, এরই মধ্যে আফতাবের নারকো ও পলিগ্রাফ টেস্ট দুই-ই করা হয়েছ। দুটিতেই সে শ্রদ্ধাকে খুন করার কথা স্বীকার করেছে। এরপর অভিযুক্ত আফতাব পুনাওয়ালার ব্রেন ম্যাপিংও (Brain Mapping) করতে পারে দিল্লি পুলিশ। ব্রেন ম্যাপিং- এর ফলে ব্রেনের পরিস্কার ছবি পাবেন বিশেষজ্ঞরা। এটি পরবর্তীতে তদন্তে সাহায্য করবে।

  • Gujarat CM: ফের গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী ভূপেন্দ্র প্যাটেল, সোমবার শপথগ্রহণ, উপস্থিত থাকবেন মোদি-শাহ

    Gujarat CM: ফের গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী ভূপেন্দ্র প্যাটেল, সোমবার শপথগ্রহণ, উপস্থিত থাকবেন মোদি-শাহ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গুজরাটে রেকর্ড জয় বিজেপির। বিধানসভা নির্বাচনে (Gujarat Assembly Election 2022) রেকর্ড আসনে জিতে গুজরাটে আবারও সরকার গড়ছে বিজেপি (BJP)। আগামী ১২ ডিসেম্বর মুখ্যমন্ত্রী পদে (Gujarat CM) দ্বিতীয় বার শপথ নেবেন ভূপেন্দ্র প্যাটেল (Bhupendra Patel)। শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Prime Minister Narendra Modi) এবং কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ(Amit Shah)।

    বিজেপির রেকর্ড জয়

    রেকর্ড আসন সংখ্যা নিয়ে টানা সপ্তমবারের জন্য রাজ্যে ক্ষমতায় ফিরেছে বিজেপি। কংগ্রেস এবং আপ- এই দুই বিরোধীকে কয়েক হাজার মাইল পিছনে ফেলে দিয়েছে পদ্ম শিবির। ১৮২ আসনবিশিষ্ট গুজরাট বিধানসভায়(Gujarat Assembly Election 2022) বিজেপি পেয়েছে ১৫৭।

    আজ সকাল ৮ টা থেকে গুজরাটে ভোট গণনা শুরু হয়। কিন্তু পুরো ফলাফল ঘোষণার আগেই গুজরাটে কে জিততে চলেছে, সেই ছবি আগেই পরিস্কার হয়ে গিয়েছিল। ফলে ইতিমধ্যেই চারিদিকে শুরু হয়ে গিয়েছিল গেরুয়া ঝড়। এমনকি রাজ্যের পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রীর শপথগ্রহণের দিনক্ষণও জানিয়ে দেয় গেরুয়া শিবির। অন্যদিকে নির্বাচনের আগেই অমিত শাহ জানিয়ে দিয়েছিলেন যে, বিজেপি ক্ষমতায় ফিরলে ফের মুখ্যমন্ত্রী থাকবেন ভূপেন্দ্র প্যাটেলই। ফলে এদিন, গুজরাটের ভোটের ফলটা স্পষ্ট হয়ে উঠতেই, গুজরাটের বিজেপি সভাপতি সিআর পাতিলের বাড়িতে উপস্থিত হন মুখ্যমন্ত্রী। এরপরই গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী ভূপেন্দ্র প্যাটেল (Gujarat CM) এবং রাজ্য বিজেপির সভাপতি সিআর পাতিলকে দলীয় সমর্থকদের মধ্যে মিষ্টি খাইয়ে বিধানসভা নির্বাচনে দলের দুর্দান্ত পারফরম্যান্স উদযাপন করতে দেখা যায়।

    আরও পড়ুন: ভাঙল অতীতের সব রেকর্ড, গুজরাতে ইতিহাস সৃষ্টি বিজেপির

    শপথগ্রহণ মুখ্যমন্ত্রীর

    সূত্রের খবর অনুযায়ী, আগামী ১২ ডিসেম্বর, সোমবার দুপুর ২ টোয় গুজরাটের পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ গ্রহণ করবেন ভূপেন্দ্র প্যাটেল (Gujarat CM)। শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। বৃহস্পতিবার এমনটাই জানিয়েছেন গুজরাট বিজেপির রাজ্য সভাপতি সিআর পাতিল। তিনি এক সাংবাদিক সম্মেলনে এই কথা জানিয়েছেন। এদিন রেকর্ড জয়ের পর ভূপেন্দ্র প্যাটেল বলেছেন, “গুজরাটের উন্নয়নের যাত্রা আরও এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য মানুষ মনস্থির করেছেন। জনগণের আদেশ আমরা বিনীতভাবে মেনে নিচ্ছি। বিজেপির প্রতিটি কর্মী জনসেবায় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।” 

    অন্যদিকে গুজরাট বিজেপি প্রধান সিআর পাতিল এবং গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী ভূপেন্দ্র প্যাটেলের সঙ্গে ফোনে কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। দুই জনকেই অভিনন্দন জানিয়েছেন তিনি।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Cattle Smuggling Case: গরু পাচার মামলায় সায়গলের দেড় কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করল ইডি

    Cattle Smuggling Case: গরু পাচার মামলায় সায়গলের দেড় কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করল ইডি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গরু পাচার মামলার (Cattle Smuggling Case) তদন্ত যত এগোচ্ছে, তত একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে আসছে। আর এবারে গরু পাচার মামলায় অভিযুক্ত অনুব্রত মণ্ডলের দেহরক্ষী সায়গল হোসেনের ৩২টি সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। ইডি সূত্রে খবর, প্রায় ১ কোটি ৫৮ লাখ ৪৭ হাজার ৪৯০ টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। বর্তমানে সায়গল হোসেন তিহার জেলে বন্দি।

    সায়গলের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করল ইডি

    গরু পাচার মামলায় (Cattle Smuggling Case) অন্যতম অভিযুক্ত হলেন অনুব্রত মণ্ডলের দেহরক্ষী সায়গল হোসেন। মুর্শিদাবাদের বাসিন্দা সায়গল হোসেন দীর্ঘদিন ধরেই বীরভূমের তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের দেহরক্ষীর কাজ করেছেন। গরু পাচার মামলা সংক্রান্ত চার্জশিটে সায়গলের বিরুদ্ধে ইডির অভিযোগ ছিল, বীরভূম করিডর দিয়ে যে সমস্ত গরু পাচার হত, তার জন্য অনুব্রতর হয়ে টাকা নিতেন সায়গল। সিবিআই তাদের চার্জশিটেও এ কথা উল্লেখ করেছিল।

    আরও পড়ুন: ঘেরাওমুক্ত অধ্যক্ষ-সহ বিভাগীয় প্রধানরা! মেডিক্যাল কলেজে বিক্ষোভ তুলল ছাত্ররা

    এরপর মামলার (Cattle Smuggling Case) তদন্তে নামলে তাঁর একাধিক জমি, সম্পত্তি, বাড়ি রয়েছে বলে জানা যায়। আর সেই অনুযায়ী সায়গলের ৩২টি সম্পত্তির হদিশ মেলে। গত ২ ডিসেম্বর সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার নির্দেশ দেয় আদালত। তারই জেরে সায়গলের সম্পত্তি আটক করে বাজেয়াপ্ত করা হয়। ফলে এই সব সম্পত্তির টাকার সঙ্গে গরু পাচারের টাকার যোগ আছে কি না, তা জানতে মরিয়া তদন্তকারীরা।

    উল্লেখ্য, গরু পাচার মামলায় (Cattle Smuggling Case) প্রথমে সিবিআই সায়গলকে গ্রেফতার করে। এরপর তাঁকে পাঠানো হয় আসানসোলের জেলে। এরপরই তাঁকে হেফাজতে নেওয়ার আবেদন করে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। আদালত সেই অনুমতি দেওয়ায় তাঁকে আসানসোল থেকে দিল্লি নিয়ে যাওয়া হয়। আপাতত দিল্লির তিহার জেলেই রয়েছেন তিনি। ইতিমধ্যেই সায়গলের মা-স্ত্রীকেও একাধিকবার তলব করেছে ইডি। অন্যদিকে অনুব্রত মণ্ডলকেও দিল্লি নিয়ে যাওয়ার জন্য তোড়জোড় শুরু করেছে ইডি।

    ইডি সূত্রে খবর, এখনও পর্যন্ত গরু পাচার মামলায় (Cattle Smuggling Case) ধৃতদের কাছ থেকে ২০ কোটি ২৫ লাখ টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। মোট ২৯ কোটি ৪৩ লাখ টাকার অপরাধ হয়েছে বলে জানিয়েছে ইডি (ED)। গরু পাচারের সঙ্গে সায়গলের যোগ কতটা, তা আরও খতিয়ে দেখতে তদন্ত করছে ইডি। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Pele: কেমন আছেন ‘ফুটবলের রাজা’ পেলে? কী বললেন তাঁর কন্যারা?

    Pele: কেমন আছেন ‘ফুটবলের রাজা’ পেলে? কী বললেন তাঁর কন্যারা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিশ্বের অন্যতম সেরা ফুটবলার ব্রাজিলিয়ান কিংবদন্তি পেলের (Pele) স্বাস্থ্য নিয়ে চিন্তায় তাঁর অনুরাগীরা। কারণ সংবাদমাধ্যমে খবর এসেছে, কয়েকদিন আগে শ্বাসকষ্টের কারণে তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাঁর অবস্থা স্থিতিশীল নয়। ব্রাজিলের একাধিক সংবাদমাধ্যমে জানানো হয়েছে, পেলে মৃত্যুর মুখে রয়েছেন। কিন্তু এইসব দাবি সত্যি নয়, ‘গুজব’ বলে জানিয়ে দিলেন তাঁর মেয়ে ফ্লাভিয়া। তিনি জানালেন, তাঁর বাবা অসুস্থ হলেও তাঁর অবস্থা স্থিতিশীল রয়েছে। অন্য এক মেয়ে কেলিও বললেন, ‘একটু ভাল হলেই বাড়ি ফিরবেন বাবা।’

    পেলের শারীরিক পরিস্থিতি নিয়ে কী বললেন তাঁর মেয়ে?

    ফ্লাভিয়া স্থানীয় সংবাদমাধ্যম গ্লোবো টিভি-তে বললেন, “অনেকে বলছেন বাবা মৃত্যুর মুখে রয়েছেন। তাঁকে রাখা হয়েছে ‘প্যালিয়াটিভ কেয়ার’-এ। যাঁরা এই খবর প্রচার করছেন, তাঁরা ঠিক করছেন না। আমাদের বিশ্বাস করুন। পরিস্থিতি একদমই তেমন নয়।”

    পেলের অন্য মেয়ে কেলি জানান, ৩ সপ্তাহ আগে বাবা করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। এ কারণে তাঁর ফুসফুসে সমস্যা হয়েছিল, সেই কারণে তাঁর শ্বাস নিতে সমস্যা হচ্ছিল। তিনি আরও বলেন ‘‘বাবা অসুস্থ। ওনার বয়স হয়েছে। এখন শ্বাসকষ্টের চিকিৎসা চলছে। এখনই তিনি বিদায় নিচ্ছেন না। একটু ভাল হলেই বাড়ি ফিরবেন। (Pele) ”

    আরও পড়ুন: বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে মুখোমুখি ফ্রান্স-ইংল্যান্ড, জানুন ম্যাচের দিনক্ষণ

    সংবাদমাধ্যম থেকে কী জানা গিয়েছিল?

    কয়েক দিন আগে খবর পাওয়া যায় যে চিকিৎসকরা বলেছেন, বর্তমানে কিংবদন্তি ফুটবলার পেলের (Pele) উপরে কেমোথেরাপিও কোন প্রভাব ফেলছে না। ফলে তাঁকে এখন প্যালিয়াটিভ কেয়ারে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। যাদের অবস্থা খুবই খারাপ শুধুমাত্র তাদেরকেই এই ইউনিটে রাখা হয়। উল্লেখ্য, দীর্ঘ দিন ধরে কোলন ক্যানসারে আক্রান্ত ছিলেন পেলে। গত বছর সেপ্টেম্বরে অস্ত্রোপচার করা হয়েছিল তাঁর। তাঁর কেমোথেরাপিতে কোনও কাজ দেয় নি বলেই তাঁকে আবার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। কিন্তু আজ এইসব খবরের কোনও ভিত্তি, সত্যতা নেই বলে জানিয়ে দিলেন তাঁর দুই মেয়ে।

    অন্যদিকে ফুটবল কিংবদন্তি পেলের (Pele) ভক্তরা বিশ্বজুড়ে তাঁর দ্রুত আরোগ্য কামনা করছেন। পেলের ভক্তরা তাঁর পোস্টার দিয়ে তাঁর সুস্থতা কামনা করছেন। ফলে আজ তাঁর পরিবারের সদস্যদের থেকে শারীরিক অবস্থার কথা জানা গেলে অনেকটাই স্বস্তি পেয়েছেন পেলের অনুরাগীরা।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।  

  • Jhalda Municipality: ফের ধাক্কা রাজ্যের, ঝালদায় প্রশাসক বসানোর নির্দেশে স্থগিতাদেশ দিল হাইকোর্ট

    Jhalda Municipality: ফের ধাক্কা রাজ্যের, ঝালদায় প্রশাসক বসানোর নির্দেশে স্থগিতাদেশ দিল হাইকোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবারে কলকাতা হাইকোর্টে ঝালদা পুরসভা নিয়ে ফের ধাক্কা খেল রাজ্য। পুরুলিয়ার ঝালদা পুরসভায় (Jhalda Municipality) প্রশাসক (Administrator) নিয়োগ সংক্রান্ত রাজ্য সরকারের নির্দেশিকায় স্থগিতাদেশ (Stay Order) দিল কলকাতা হাইকোর্ট। আগামী ৫ জানুয়ারি পর্যন্ত এই স্থগিতাদেশ বহাল থাকবে বলে আদালত জানিয়েছে। আর আগামী এক মাস ঝালদা পুরসভার যাবতীয় দায়িত্ব সামলাবেন পুরুলিয়ার জেলাশাসক।

    প্রশাসক নিয়োগে স্থগিতাদেশ হাইকোর্টের

    ঝালদা পুরসভায় (Jhalda Municipality) প্রশাসক নির্বাচনের জন্য ৩ ডিসেম্বর, শনিবার ঠিক করা হয়েছিল। কিন্তু তৃণমূল সরকার শুক্রবার রাতেই পুরসভায় প্রশাসক বসিয়ে দেয়। এরপর রাজ্য সরকারের এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court) মামলা করেন ওই পুরসভার কংগ্রেস কাউন্সিলর। আর এই মামলাতেই এবার হাইকোর্টে ধাক্কা খেল রাজ্য। আগামী মাস পর্যন্ত প্রশাসক নিয়োগে স্থগিতাদেশ দিয়েছে বিচারপতি অমৃতা সিনহা। এর ফলে তৃণমূল ও কংগ্রেস কেউই প্রশাসক নিয়োগ করতে পারবে না।

    তৃণমূল জবা মাছোয়াকে চেয়ারপার্সন হিসাবে নিয়োগ করতে চেয়েছিল। কিন্তু সেই আশায় জল ঢেলে দিল হাইকোর্টের নির্দেশ। আবার আস্থা ভোটে জয়ী হওয়ার পর শীলা চট্টোপাধ্যায়কে চেয়ারপার্সন করতে চেয়েছিল কংগ্রেস। কিন্তু স্থগিতাদেশের ফলে কোনও নিয়োগই হবে না। ফলে এদিন বিচারপতি অমৃতা সিনহা পুরসভার যাবতীয় কাজের দায়িত্ব দিল পুরুলিয়ার জেলাশাসককে।

    কী ঘটেছিল ঝালদা পুরসভায়?

    ঝালদার বিরোধী কংগ্রেস কাউন্সিলাররা গত ২১ নভেম্বর তাঁরা একটি আস্থা ভোট ডাকেন। সেই আস্থা ভোটের পর অপসারিত হন চেয়ারম্যান। নিয়ম অনুযায়ী আস্থা ভোটের ৭ দিনের মধ্যে ভাইস চেয়ারম্যানকে নতুন চেয়ারম্যান নিয়োগ করতে হয়। সেই অনুযায়ী ভাইস চেয়ারম্যানকে একটি সভা ডাকতে বলেন তাঁরা। এর মধ্যেই ভাইস চেয়ারম্যানও পদত্যাগ করেন। ফলে পুর আইন অনুযায়ী, তিনজন বিরোধী কাউন্সিলার ২৯ নভেম্বর একটি সভা ডাকেন এবং সেই সভায় ঠিক হয় ডিসেম্বর মাসের ৩ তারিখ চেয়ারম্যান নির্বাচন হবে। কিন্তু আগেই রাজ্য সরকার গত ২ তারিখ ঝালদা পুরসভায় (Jhalda Municipality) প্রশাসক বসানোর সিদ্ধান্ত জানিয়ে একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করে।

    সেই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, যেহেতু ঝালদা পুরসভায় কোনও চেয়ারম্যান নেই তাই রোজকার কাজ চালাতে একজন প্রশাসক নিয়োগ করবে রাজ্য সরকার। সরকারের সেই নির্দেশিকা অনুযায়ী ইতিমধ্যেই প্রশাসক সেই কার্যভার গ্রহণ করেছেন। আর এই নিয়েই আদালতের দ্বারস্থ হয় কংগ্রেস কাউন্সিলর।

    বিচারপতির প্রশ্নের মুখে রাজ্য সরকার

    পুরসভায় (Jhalda Municipality) প্রশাসক নিয়োগে রাজ্যের হস্তক্ষেপ নিয়ে প্রশ্নের মুখে পড়তে হয় সরকারকে। বিচারপতি প্রশ্ন করেছেন, “রাজ্য কীভাবে এই প্রক্রিয়ার মধ্যে হস্তক্ষেপ করে?” এরপর বিচারপতি প্রশ্ন করেন, ভাইসম্যানের পদত্যাগ নিয়ে। “ঝালদা পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান কার কাছে পদত্যাগপত্র পাঠিয়েছেন?” রাজ্যকে প্রশ্ন করেন বিচারপতি অমৃতা সিনহা। রাজ্য এর উত্তরে জানায়, তিনি পদত্যাগ করেছেন, কিন্তু কার কাছে সেটা জানা নেই।

    এর পর আদালতে ভাইস চেয়ারম্যানের আইনজীবী জানান, গত ২৮ নভেম্বর এসডিও-র কাছে পদত্যাগপত্র দিয়েছেন তিনি। বিচারপতি জানতে চান, সেই পদত্যাগপত্র গ্রহণ করা হয়েছে যে তার কোনও লিখিত প্রতিলিপি আছে কিনা। কিন্তু আইনজীবী জানান মৌখিক ভাবে পদত্যাগপত্র গ্রহণ করেন এসডিও। এই যুক্তি মানতে নারাজ বিচারপতি অমৃতা সিনহা। যেহেতু নিয়ম অনুযায়ী প্রশাসক নিয়োগ করেননি ভাইস চেয়ারম্যান, তাই এই প্রশাসক নিয়োগে স্থগিতাদেশ দিয়েছে বিচারপতি অমৃতা সিনহা। এই মামলার পরবর্তী শুনানি ৩ জানুয়ারি।

  • Low-Carb Vegetables: রক্তে শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে রাখতে খান এই লো-কার্বযুক্ত সবজি

    Low-Carb Vegetables: রক্তে শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে রাখতে খান এই লো-কার্বযুক্ত সবজি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ডায়াবেটিস একটি দীর্ঘস্থায়ী ও জটিল অসুখ। বেশিরভাগ মানুষ অবশ্য এই অসুখকে ঠিক পাত্তা দিতে চান না। যদিও বিষয়টাকে একবারে অবহেলায় রেখে দিলে চলবে না। ডায়াবেটিস হলে মানুষকে সতর্ক হয়ে যেতে হবে। এমনকী কিছু এমন খাবার খেতে হবে যা সুগার কমায়। আপনারও যদি ডায়াবেটিস থাকে তাহলে এখনই খাদ্যাভ্যাসের দিকে যত্ন নিন। ৭টি লো-কার্ব যুক্ত সবজির নাম জেনে নিন, 

    রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণে লো-কার্ব যুক্ত সবজি

    গাজর

    গাজর নন-স্টার্চি সবজি গ্রুপের অন্তর্গত। তাই যাঁদের সুগার লেভেল হাই, তাঁরা এটি নিরাপদে খেতে পারেন। এই সবজি ফাইবার এবং ভিটামিন এ-তে সমৃদ্ধ। এটি চোখের স্বাস্থ্য উন্নত করার পাশাপাশি শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণেও সাহায্য করে। কারণ গাজরে কম গ্লাইসেমিক ইনডেক্স থাকে।

    মাশরুম

    কম গ্লাইসেমিক সূচক এবং গ্লাইসেমিক লোড কন্টেন্ট সহ, মাশরুম রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়ায় না। তাই ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য এটি ভালো। মাশরুম একটি কম-ক্যালোরি, কম কার্বযুক্ত খাবার যা ডায়াবেটিক রোগীদের জন্য উপকারী।

    ব্রকলি

    এটি ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য আরেকটি দুর্দান্ত সবজি। এটি রক্তে শর্করার মাত্রা কমাতে পারে। ব্রকলি ইনসুলিন সংবেদনশীলতা বাড়ায় এবং এতে উল্লেখযোগ্য অ্যান্টি-ডায়াবেটিক বৈশিষ্ট্য রয়েছে।

    বাঁধাকপি

    প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি রয়েছে এতে, যা হার্টের স্বাস্থ্যকে ভালো রাখে।  বাঁধাকপি ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য একটি ভাল সবজি। ফাইবারে ভরপুর বাঁধাকপি খাবারের হজমকে ধীর করে দেয় এবং এইভাবে আপনার চিনির মাত্রা বাড়াতে বাধা দেয়।

    ফুলকপি

    বাঁধাকপির মত, ফুলকপিও কম কার্বোহাইড্রেটযুক্ত সবজি যা ডায়াবেটিস রোগীরা নিরাপদে তাদের খাদ্যতালিকায় অন্তর্ভুক্ত করতে পারে।

    পালং শাক

    পালং শাক ফোলেট, ফাইবার এবং ভিটামিন এ, বি, সি, ই এবং কে এর একটি দুর্দান্ত উৎস। ফলে এটি  এটি ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য একটি নিরাপদ এবং স্বাস্থ্যকর খাবার। এই শাক রক্তে শর্করার মাত্রা বৃদ্ধি রোধ করে।

    টোম্যাটো

    গাজরের মত, টোম্যাটোও স্টার্চবিহীন সবজি যা রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে।

  • Madras High Court: ধর্মান্তরিত হওয়ার পর কোনও সংরক্ষণ নেই, বড় সিদ্ধান্ত মাদ্রাজ হাইকোর্টের

    Madras High Court: ধর্মান্তরিত হওয়ার পর কোনও সংরক্ষণ নেই, বড় সিদ্ধান্ত মাদ্রাজ হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চাকরির পরীক্ষায় সংরক্ষণ নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ রায় দিল মাদ্রাজ হাইকোর্ট (Madras High Court)। মাদ্রাজ হাইকোর্ট থেকে জানানো হয়েছে, কেউ হিন্দু ধর্ম থেকে মুসলিম ধর্মে পরিবর্তন করলে তিনি জাতিগত সংরক্ষণের সুবিধা পাবেন না। কারণ মুসলিম ধর্মে কোনও জাতিগত বিভেদ নেই।

    মামলাটি কী?

    ওবিসি সম্প্রদায়ের এক ব্যক্তি সম্প্রতি হিন্দু থেকে ধর্মান্তরিত হয়ে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন। তারপরেই তিনি সংরক্ষণের জন্য আদালতের দ্বারস্থ হন। সেই মামলায় শনিবার মাদ্রাজ হাইকোর্টে (Madras High Court) বিচারপতি জি আর স্বামীনাথনের নেতৃত্বে বেঞ্চ জানিয়ে দেন, একজন হিন্দু যখন ধর্মান্তরিত হয়ে মুসলমান হন তখন তিনি সরকারি চাকরিতে সংরক্ষণের দাবি করতে পারেন না। কারণ ইসলামে কোনও জাতিগত বিভেদ নেই।

    ওই আবেদনকারী আদালতে জানান, তিনি এবং তাঁর পরিবার সর্বাধিক অনগ্রসর শ্রেণীর (এমবিসি) হিন্দু ছিলেন। ২০০৮ সালের মে মাসে, আবেদনকারী এবং তাঁর পরিবার ইসলাম গ্রহণ করেন। আবেদনকারী ২০১৮ সালে তামিলনাড়ু কম্বাইনড সিভিল সার্ভিসের পরীক্ষা দিয়েছিলেন। কিন্তু তিনি পাশ করতে পারেননি। পরে খোঁজ নিতে গিয়ে আরটিআই করে জানতে পারেন, TNPSC তাঁকে একজন অনগ্রসর শ্রেণীর মুসলিম আবেদনকারীর পরিবর্তে একজন সাধারণ-শ্রেণির (জেনারেল) আবেদনকারী হিসাবে বিবেচনা করে। ফলে তাঁর আবেদন ছিল, তাঁকে যেন মুসলিম ওবিসি হিসেবে গণ্য করা হয়।

    বিচারপতি কী বললেন? 

    বিচারপতি স্বামীনাথন সুপ্রিম কোর্টের একাধিক রায়ের উদ্ধৃতি দিয়ে পর্যবেক্ষণ করেছেন যে, একবার একজন হিন্দু ধর্ম নিয়ে জন্মগ্রহণকারী ব্যক্তি অন্য ধর্মে ধর্মান্তরিত হয়ে গেলে তা বর্ণ প্রথাকে অনুসরণ করে না বা স্বীকৃতি দেয় না। সেই ধর্মান্তরিত ব্যক্তি আর সেই বর্ণের অন্তর্গত হবেন না, যা নিয়ে তিনি জন্মগ্রহণ করেছিলেন।

    হাইকোর্ট (Madras High Court) আরও বলেছে যে, একজন ব্যক্তি যিনি অন্য ধর্মে ধর্মান্তরিত হয়েছেন তিনি সম্প্রদায় সংরক্ষণের যোগ্য কিনা তা সুপ্রিম কোর্টের একটি বিষয়। ফলে হাইকোর্টের পক্ষে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া যথাযথ হবে না। TNPSC-এর সিদ্ধান্ত তাই আদালত বহাল রেখেছিল, যা হস্তক্ষেপ করতে অস্বীকার করেছিল এবং বলেছিল যে কমিশনের সিদ্ধান্ত সঠিক ছিল।

    কৈলাশ সোনকার বনাম মায়া দেবী মামলার কথাও উল্লেখ করে বেঞ্চের (Madras High Court) তরফে বলা হয়, একজন হিন্দুর জাতি তৈরি হয় তার জন্মের উপরে নির্ভর করে। কেউ যদি হিন্দু থেকে খ্রিষ্টান বা মুসলিম হন তাহলে তাঁর সেই জাতি আর থাকল না, কারণ এই দুই ধর্মে জাতপাতের কোনও জায়গা নেই।

LinkedIn
Share