Author: নিমাই দে

  • Ludhiana: এনআইএ-র হাতে গ্রেফতার লুধিয়ানা বিস্ফোরণে অভিযুক্ত ‘মোস্ট ওয়ান্টেড’ জঙ্গি হ্যাপি

    Ludhiana: এনআইএ-র হাতে গ্রেফতার লুধিয়ানা বিস্ফোরণে অভিযুক্ত ‘মোস্ট ওয়ান্টেড’ জঙ্গি হ্যাপি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গ্রেফতার লুধিয়ানা আদালত (Ludhiana Court Blast) বিস্ফোরণ মামলার অন্যতম অভিযুক্ত ‘হ্যাপি মালয়েশিয়া’ (Happy Malaysia)। শুক্রবার জাতীয় তদন্তকারী সংস্থার (NIA) এক কর্তা জানিয়েছেন, রাজধানীর ইন্দিরা গান্ধী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ‘মোস্ট ওয়ান্টেড’ খলিস্তানি জঙ্গি হরপ্রীত সিং ওরফে হ্যাপি মালয়েশিয়াকে গ্রেফতার করা হয়। ২০২১ সালে লুধিয়ানা আদালত চত্বরে বিস্ফোরণের ঘটনায় অভিযুক্ত হরপ্রীতের মাথার দাম ছিল ১০ লক্ষ টাকা।

    গ্রেফতার কুখ্যাত খলিস্তানি জঙ্গি হ্যাপি

    হরপ্রীত সিং অমৃতসরের বাসিন্দা৷ তার সঙ্গে বেশ কয়েকটি জঙ্গিগোষ্ঠীর যোগাযোগ রয়েছে বলে জানা গিয়েছে। বব্বর খালসা, খলিস্তান লিবারেশন ফোর্সের মত বেশ কয়েকটি জঙ্গিগোষ্ঠীর যোগাযোগের প্রমাণ রয়েছে বলে এনআইএ সূত্রের খবর। এছাড়াও পাকিস্তান ভিত্তিক জঙ্গিগোষ্ঠী ইন্টারন্যাশনাল শিখ ইয়ুথ ফেডারেশনের সঙ্গেও তার যোগাযোগ রয়েছে বলে জানা গিয়েছে। ২০২১ সালের বিস্ফোরণের ঘটনার পিছনে খলিস্তানি জঙ্গি সংগঠন যুক্ত বলে অভিযোগ ওঠে। আর এই ঘটনার মূলচক্রী ছিল এই হরপ্রীত সিং। আজ অবশেষে একে গ্রেফতার করেছে এনআইএ।

    আরও পড়ুন: ভাঙড়ে বোমা কারখানার হদিশ, তৃণমূল না আইএসএফ কারা বানাত?

    এনআইএ সূত্রে খবর, গোপন সূত্র মারফত খবর পেয়েছিলেন এনআইএ-এর আধিকারিকরা যে, মালয়েশিয়ার রাজধানী কুয়ালা লামপুর থেকে দিল্লি বিমানবন্দরে আসছিলেন অভিযুক্ত হরপ্রীত। ফলে বিমান থেকে নামতেই তাকে আটক করা হয়।

    কী ঘটেছিল?

    প্রসঙ্গত, গত বছরের ২৩ ডিসেম্বর বোমা বিস্ফোরণের ফলে কেঁপে উঠেছিল লুধিয়ানা আদালত চত্বর ((Ludhiana)। এতে নিহত হন এক জন ও গুরুতর আহত হন পাঁচ জন। বিস্ফোরণে গগনদীপ নামে এক কনস্টেবল নিহত হয়েছিলেন। প্রাথমিক তদন্তে উঠে আসে যে, পাঞ্জাব পুলিশের বরখাস্ত হওয়া এই কনস্টেবল গগনদীপ সিং এই বিস্ফোরণের সঙ্গে জড়িত ছিল।

    হরপ্রীতের গ্রেফতারির আগে লুধিয়ানা বিস্ফোরণে ((Ludhiana) এনআইএ তিনজনকে গ্রেফতার করেছিল। তারা হল, সুরমুখ সিং সাম্মু, দিলবাগ সিং বাগ্গো এবং রাজনপ্রিত সিং। রাজনপ্রিত বিস্ফোরক এনে গগনদীপ সিং-কে দিয়েছিল। গগনদীপ আদালতের ভিতরে বিস্ফোরক লাগাতে গিয়েই ফেটে মারা যায়।

    গত বছরের ঘটনার ((Ludhiana) পর হরপ্রীত সিং-কে ধরার জন্য ১০ লক্ষ টাকা পুরস্কার ঘোষণা করেছিল এনআইএ। এই ঘটনা ছাড়াও হরপ্রীতের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা দায়ের করা হয়েছিল। মোস্ট ওয়ান্টেডের তালিকায় তার নাম রাখা হয়। এছাড়াও জানা গিয়েছে, পাকিস্তানের আইএসওয়াইএফ-এর মাথা লখবীর সিং এর সহকারীও এই হরপ্রীত সিং।

  • Aftab Poonawalla: নারকো টেস্ট চলাকালীন অবচেতন মনে কী কী বলল আফতাব?

    Aftab Poonawalla: নারকো টেস্ট চলাকালীন অবচেতন মনে কী কী বলল আফতাব?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শ্রদ্ধা ওয়ালকর হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটন করতে পলিগ্রাফ টেস্টের পর বৃহস্পতিবার (১ ডিসেম্বর) নারকো পরীক্ষাও করা হল অভিযুক্ত আফতাব আমিন পুনাওয়ালার (Aftab Poonawalla)। আর এই পরীক্ষা চলাকালীনই বেরিয়ে এল একের পর এক সত্য। এদিন সে আবার বলে, “হ্যাঁ, আমিই খুন করেছি শ্রদ্ধাকে।” সূত্রের খবর অনুযায়ী, গতকাল তাকে রোহিণীর বাবা সাহেব আম্বেদকর হাসপাতালে সকালে নিয়ে যাওয়া হয় ও প্রায় ২ ঘণ্টা ধরে চলে তার নারকো টেস্ট। জানা গিয়েছে, জিজ্ঞাসাবাদে আফতাবের কাছ থেকে একাধিক গুরুত্বপুর্ণ তথ্য পেয়েছে পুলিশ।

    আফতাবের নারকো টেস্ট

    সূত্রের খবর অনুযায়ী, গতকাল আফতাবকে (Aftab Poonawalla) তিহার জেল থেকে কড়া নিরাপত্তায় বাবা সাহেব আম্বেদকর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সকাল প্রায় ৮টা ৪০ মিনিটে তাকে নিয়ে যাওয়া হয় ও তাকে কিছুক্ষণ পর্যবেক্ষণ করার পর তার নারকো টেস্ট শুরু হয় সকাল ১০টা নাগাদ। এরপর দু’ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদের পর দুপুর ১টার দিকে ফের তিহার জেলে নিয়ে যাওয়া হয়। এফএসএল থেকে জানানো হয়েছে, যদি পুলিশ এবং ফরেনসিক দল তার উত্তর সন্তোষজনক না মনে হয়, তবে আফতাবকে আরেকটি নারকো পরীক্ষার জন্য ডাকা হতে পারে।

    আরও পড়ুন: শেষ হল পলিগ্রাফ পরীক্ষা, ডিসেম্বরের শুরুতেই আফতাবের নারকো টেস্ট?

    নারকো টেস্টে কী কী বলল আফতাব?

    সূত্রের খবর অনুযায়ী, নারকো পরীক্ষায় অবচেতন মনে শ্রদ্ধাকে হত্যার কথা স্বীকার করেছে আফতাব (Aftab Poonawalla)। পলিগ্রাফ টেস্টের মত এই টেস্টেও সে শ্রদ্ধাকে খুনের কথা স্বীকার করেছে। পরীক্ষার সময় আফতাব দাবি করেছে, রাগ ও ক্ষোভের বশেই সে শ্রদ্ধাকে হত্যা করেছিল। পাশাপাশি সে জানিয়েছে, এই হত্যাকাণ্ডে মোট ৭টি অস্ত্র ব্যবহার করেছিল। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, কোন কোন অস্ত্র ব্যবহার করেছে, হত্যার পর সেই সব অস্ত্র সে কোথায় ফেলেছে, তাও জেরায় জানিয়েছে আফতাব। শ্রদ্ধার মোবাইল ও জামাকাপড় কোথায় ফেলেছে, তাও এদিন জানিয়েছে আফতাব।

    আরও জানা গিয়েছে, গতকাল আফতাবের স্বাস্থ্যের অবস্থা ভালো ছিল ফলে পুনাওয়ালার নারকো পরীক্ষা সম্পূর্ণ সফল হয়েছে। পুলিশ কমিশনার সাগর প্রীত হুডা জানিয়েছেন, নারকো টেস্টের প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ হয়েছে ও  পরীক্ষার পরেও তাকে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছিল। তবে আরও জানা গিয়েছে, শুধুমাত্র পলিগ্রাফ টেস্ট বা নারকো টেস্টই যথেষ্ট নয়, দিল্লি পুলিশ জানিয়েছে, যদি তার পলিগ্রাফ এবং নারকো বিশ্লেষণের ফলাফল অনিশ্চিত হয়, তবে তারা অভিযুক্ত আফতাব পুনাওয়ালার ব্রেইন ম্যাপিং করাতে পারে। ফলে পুনাওয়ালার ব্রেন ম্যাপিং করার জন্য আদালতের অনুমতি চাইতে যেতে পারে তারা। পরে আর কোনও নারকো টেস্ট হয় কিনা আফতাবের (Aftab Poonawalla) বা টেস্ট হলেও নতুন কোন তথ্য সামনে বেরিয়ে আসে, সেটাই এখন দেখার।

  • BSF: পাক হানাদারি রুখতে বিএসএফ-এর হাতে এল দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি বিশেষ ড্রোন

    BSF: পাক হানাদারি রুখতে বিএসএফ-এর হাতে এল দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি বিশেষ ড্রোন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ড্রোন তৈরির ইতিহাসে নয়া সংযোজন। বিগত কয়েক মাস ধরেই ভারত-পাক সীমান্তে শুরু হয়েছে শত্রুপক্ষের ড্রোনের উৎপাত। আর এবারে প্রতিবেশী দেশ থেকে আসা ড্রোনকে ধ্বংস করতেই দেশীয় প্রযুক্তিতে ড্রোন তৈরী করা হচ্ছে। সীমান্তরক্ষীদের ব্যবহারের জন্য ভারতে তৈরি হয়েছে এই দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি অত্যাধুনিক ড্রোন। এদিন বিএসএফ (BSF) থেকে জানানো হয়েছে যে, দেশীয় প্রযুক্তি ব্যবহার করে যেসব ড্রোন তৈরি করা হচ্ছে, তা অন্যান্য ড্রোনের তুলনায় অনেক গুণ ভালো ও শক্তিশালী।

    দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি ড্রোন

    বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্স (BSF) থেকে বলা হয়েছে, দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি করা ড্রোনগুলি অস্ত্র, গোলাবারুদ এবং মাদক বহনকারী ড্রোনগুলিকে ধ্বংস করতে সফল হয়েছে। চলতি বছরে এই বিশেষ ড্রোন প্রায় ১৬ টির মত অনুপ্রবেশকারী ড্রোনকে ধ্বংস করতে সক্ষম হয়েছে।

    বিএসএফ-এর (BSF) ডিরেক্টর জেনারেল পঙ্কজ সিং বলেন, “ড্রোন একটি বড় চ্যালেঞ্জ৷ যদিও আমরা সীমান্তে একটি অ্যান্টি-ড্রোন সেট আপ করেছি, তবে আমাদের এমন কোনও সেটআপ নেই যা পুরো পশ্চিমাঞ্চলকে কভার করে৷ আমরা অনেক ভারতীয় সংস্থার সঙ্গে আলোচনা করছি৷ আগামী দিনে, আমরা এই নতুন প্রযুক্তিটি আরও অনেক এলাকায় ব্যবহার করতে পারি।”

    তিনি আরও বলেছেন, এমন ড্রোনও তৈরি করা হচ্ছে যা কাঁদানে গ্যাসের শেলও ফেলতে পারে। তিনি বলেন, “টেকানপুরে, আমাদের টিয়ার-গ্যাস ইউনিট এই ধরণের ড্রোন তৈরি করেছে যেগুলি পাঁচটির মতো শেলও বহন করতে পারে, এবং শেলগুলিকে সুনির্দিষ্ট স্থানে ফেলতে পারে৷ কিন্তু এখন পর্যন্ত, এই প্রযুক্তিটি শুধুমাত্র তৈরি করা হয়েছে এবং কোনও সেনাবাহিনীদের দেওয়া হয়নি।

    আরও পড়ুন: ফের পাকিস্তানি ড্রোন গুলি করে নামাল বিএসএফ, মিলল মাদক

    বিএসএফ-এর (BSF) মতে যেসব ড্রোন সাধারণত ব্যবহার করা হয় তা চিনে তৈরি ও ব্যয়বহুলও। ফলে বিদেশী প্রযুক্তিতে তৈরি করা ড্রোনের থেকে দেশীয় প্রযুক্তির ড্রোন অনেক নিরাপদ, সাশ্রয়ী ও এগুলো ভালোভাবে শত্রুপক্ষের ড্রোনগুলিকে নষ্ট করে দিতে সক্ষম। তাই তারা এখন থেকে দেশের তৈরি ড্রোন তৈরিতেই বেশি নজর দিয়েছে।

    সূত্রের খবর অনুযায়ী, এই ড্রোনগুলো ঘন কুয়াশাতেও যাতে কাজ করতে পারে ও ইম্প্রোভাইজড এক্সপ্লোসিভ ডিভাইস শনাক্ত করতে পারে, সেখানেই তৈরি করা হচ্ছে। ফলে এই ড্রোনগুলো দেশের সীমান্তবর্তী এলাকাগুলোতে কড়া নজর রাখার ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হবে। ডিরেক্টর জেনারেল পঙ্কজ সিং জানিয়েছেন, সীমান্তে প্রায় ৫,৫০০ ক্যামেরা লাগাতে চলেছেন তাঁরা। আর এসবের জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক ৩০ কোটি টাকা মঞ্জুর করেছে।

    প্রসঙ্গত, কয়েক বছর ধরেই পাকিস্তান থেকে ড্রোনের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণরেখা (এলওসি) এবং আন্তর্জাতিক সীমান্ত পার করে অস্ত্রশস্ত্র, মাদক, জাল টাকা পাঠানো হচ্ছে ভারতে। আকাশপথে তার মোকাবিলা করার প্রযুক্তি এতদিন ভারতের অধরা থাকলেও এবারে অনুপ্রবেশকারী পাক ড্রোনগুলিকে ধ্বংস করে মাটিতে মিশিয়ে দিতে আসতে চলেছে দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি বিশেষ ড্রোন।

  • KCR Daughter: দিল্লির আবগারি কেলেঙ্কারি মামলায় উঠে এল কেসিআরের মেয়ে কে কবিতার নাম

    KCR Daughter: দিল্লির আবগারি কেলেঙ্কারি মামলায় উঠে এল কেসিআরের মেয়ে কে কবিতার নাম

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দিল্লির মদ কেলেঙ্কারির তদন্ত এখন তেলঙ্গানায় পৌঁছেছে। আর এই কেলেঙ্কারি মামলায় নাম উঠে এসেছে তেলেঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী কেসিআরের মেয়ে কে. কবিতার নাম। আজ ইডি তাদের রিপোর্টে কে কবিতার বিষয়ে এই তথ্য জানান। শুধু তাই নয়, ইডি এদিন তেলঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী কেসিআর এর কন্যার (KCR Daughter) বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছে যে, দিল্লির আবগারি কেলেঙ্কারিতে কবিতা প্রায় ১০০ কোটি টাকা দিয়েছে আম আদমি পার্টি-কে।

    দিল্লির মদ কেলেঙ্কারিতে নাম এসেছে কেসিআর কন্যার

    এই মামলায় গত মঙ্গলবার গুরুগ্রাম থেকে ব্যবসায়ী অমিত অরোরাকে গ্রেফতার করেছে ইডি। এরপর ধৃত অমিত অরোরার বক্তব্যের ভিত্তিতে দিয়ে কেন্দ্রীয় সংস্থা ইডি দাবি করেছে যে, কেসিআরের মেয়ে কে কবিতা “সাউথ গ্রুপ” এর একজন বিশিষ্ট সদস্য ছিলেন ও তিনি অন্য এক ধৃত ব্যবসায়ী বিজয় নায়ারের মাধ্যমে দিল্লির ক্ষমতাসীন আম আদমি পার্টির (এএপি) নেতাদের অন্তত ১০০ কোটি টাকা দিয়েছিলেন। মঙ্গলবার রাতে গ্রেফতারের পর স্থানীয় আদালত মদ কোম্পানি বাডি রিটেইল প্রাইভেট লিমিটেডের পরিচালক অমিত অরোরাকে ৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত ইডি-র হেফাজতে পাঠায়।

    কেন্দ্রীয় সংস্থা একটি রিপোর্টে দাবি করেছে যে আপ নেতারা, যাদের মধ্যে কিছু সরকারে রয়েছেন, তাঁরা দিল্লির আবগারি নীতিকে রাষ্ট্রীয় কোষাগারের খরচে অবৈধ তহবিল তৈরি করার জন্য ব্যবহার করতেন। এছাড়াও অভিযোগ করা হয়েছে যে, দিল্লির উপ-মুখ্যমন্ত্রী মনীশ সিসোদিয়া এবং মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের এক পিএ সহ ব্যবসায়ী, খুচরো মদ বিক্রেতা এবং আমলা মিলিয়ে কমপক্ষে ৩৬ জন ডিজিটাল প্রমাণ লোপাটে ১৭০ টি মোবাইল সেট ধ্বংস করেছে।

    আবগারি নীতি দুর্নীতি

    গত বছরের ১৭ নভেম্বর দিল্লিতে নতুন আবগারি আইন চালু করা হয়। নতুন আবগারি নীতিতে সরকারির পাশাপাশি বেসরকারি বিভিন্ন দোকান ও সংস্থাকেও মদ তৈরি ও বিক্রির লাইসেন্স দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু দিল্লির লেফটেন্যান্ট গভর্নর ভি কে সাক্সেনা এই আবগারি নীতি নিয়ে প্রশ্ন তুলতেই জুলাই মাসে ওই নীতি প্রত্যাহার করে নেওয়া হয় ও পুরনো নীতিই চালু করা হয়। এক্ষেত্রে বিজেপিও সরব হয়েছিল ও অভিযোগ করেছিল, নতুন আবগারি নীতিতে আপ সরকার নিজেদের ঘনিষ্ঠ কয়েকজনকেই সুবিধা পাইয়ে দিয়েছে। পরে আবগারি নীতির দুর্নীতিতে উপমুখ্যমন্ত্রী মণীশ সিসোদিয়া সহ একাধিক আমলার নাম জড়িয়েছে। দিল্লির আবগারি আইন নিয়ে লেফটেন্যান্ট গভর্নর প্রশ্ন তোলার পরই তদন্ত শুরু করে  সিবিআই। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার এফআইআরের ভিত্তিতেই আর্থিক তছরুপের মামলায় তল্লাশি অভিযান চালায় এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। আর এরপরেই ইডি কেসিআর কন্যা (KCR Daughter) কে কবিতার নামও উল্লেখ করল। আর এই অভিযোদ আসার পরেই তেলেঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী কেসিআর-এর মেয়ে বলেছেন, “আমরা ইডিকে স্বাগত জানিয়েছি এবং তাঁদের সাথে সহযোগিতা করব।”

  • Suvendu Adhikari: হাজরা ও কাঁথিতে শুভেন্দু অধিকারীকে সভা করার অনুমতি দিল কলকাতা হাইকোর্ট

    Suvendu Adhikari: হাজরা ও কাঁথিতে শুভেন্দু অধিকারীকে সভা করার অনুমতি দিল কলকাতা হাইকোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রশাসনের আপত্তিতে কিছু হল না। কাঁথি ও হাজরায় সভা করতে পারবেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। অনুমতি দিল কলকাতা হাইকোর্ট। আদালতের নির্দেশ, আগামী ১২ ডিসেম্বর কলকাতার হাজরা এবং ২১ ডিসেম্বর কাঁথিতে সভা করতে পারবেন শুভেন্দু অধিকারী। অনুমতি দিয়েছেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার।

    শুভেন্দুকে সভা করার অনুমতি আদালতের

    শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) পাড়ায় গিয়ে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে এসেছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার ঘরের মাঠ থেকেই সেই চ্যালেঞ্জের জবাব দিতে চান বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। ফলে শুভেন্দুর কাঁথির সভাকে অভিষেকের কাঁথির সভার ‘পাল্টা জবাব’ বলেই দাবি করা হচ্ছে। তাই এবার কাঁথিতেই সভা করবেন শুভেন্দু। আর এতে আইনি জটিলতা যা ছিল তা সব কেটে গেল। ২১ ডিসেম্বরের সেই সভার প্রস্তুতি এখন তুঙ্গে৷

    আরও পড়ুন: ভাঙল অতীতের সব রেকর্ড, গুজরাটে ইতিহাস সৃষ্টি বিজেপির

    কাঁথি ও হাজরা এই দুই জায়গায় সভা করার অনুমতি পাওয়া যায়নি প্রশাসন থেকে। ফলে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)। এরপর বৃহস্পতিবারের শুনানিতে অবশেষে সেই অনুমতি দিলেন বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার। তবে এতে কিছু শর্ত ও বিধিনিষেধ মানতে হয়েছে গেরুয়া শিবিরকে। আদালত থেকে বলা হয়েছে, শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রেখে, শব্দবিধি মেনে সভা করতে হবে এমনকি সভার পর সভাস্থল পরিস্কার করে দিতে হবে বলে নির্দেশে জানানো হয়েছে।

    উল্লেখ্য, গত ৩ ডিসেম্বর কাঁথিতে শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) বাড়ির কাছে সভা করেছিলেন সর্বভারতীয় তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। অভিষেককে জবাব দিতে সেদিনই পাল্টা সভা করেছিলেন শুভেন্দুও। ডায়মন্ড হারবারে সভা করেছিলেন তিনি। কিন্তু এবারে কাঁথিতে দাঁড়িয়েই অভিষেককে কড়া জবাব দিতে চান বিজেপি নেতা। কাঁথি শহরের যে মাঠে অভিষেক বক্তব্য রেখেছিলেন, সেই প্রভাত কুমার কলেজের মাঠেই আগামী ২১ ডিসেম্বর সভা করতে চলেছে বিজেপি। প্রধান বক্তা শুভেন্দু অধিকারী। ফলে আজ আদালতের থেকে অনুমতি পাওয়াার পর কাঁথি সভার প্রস্তুতি নিয়ে তোড়জোড় শুরু হয়ে গিয়েছে। তবে কাঁথির সভার আগে ১২ ডিসেম্বর কলকাতার হাজরাতে সভা করবেন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Narendra Modi: ঐতিহাসিক জয়ের পর গুজরাটের ‘জনশক্তি’-কে প্রণাম প্রধানমন্ত্রীর, ট্যুইটে কী লিখলেন মোদি?

    Narendra Modi: ঐতিহাসিক জয়ের পর গুজরাটের ‘জনশক্তি’-কে প্রণাম প্রধানমন্ত্রীর, ট্যুইটে কী লিখলেন মোদি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গুজরাটে বিজেপির আজ ঐতিহাসিক জয়। জয় নিশ্চিত হতেই গুজরাটের বিজেপি সভাপতি সিআর পাতিল এবং গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী ভূপেন্দ্র প্যাটেলের সঙ্গে ফোনে কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। দুই জনকেই অভিনন্দন জানিয়েছিলেন তিনি। আজকের এই রেকর্ড জয়ের খুশীতে আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েছেন দেশের প্রধানমন্ত্রী। তিনি আজ গুজরাটের দলের প্রত্যেক কর্মীকে ‘চ্যাম্পিয়ন’ বলে সম্বোধন করেছেন। কারণ গেরুয়া শিবির এক ঐতিহাসিক জয় পেয়েছে। ফলে তিনি তাঁর আবেগকে ধরে রাখতে না পেরে তিনি ট্যুইট করে তাঁর মনের কথা জানিয়েছেন।

    ট্যুইটে কী বললেন প্রধানমন্ত্রী মোদি?

    নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi) ট্যুইট করে লিখেছেন, “গুজরাট বিজেপির সমস্ত পরিশ্রমী কার্যকর্তাদের আমি বলতে চাই – আপনারা প্রত্যেকেই একজন চ্যাম্পিয়ন! এই ঐতিহাসিক জয় আমাদের দলের প্রকৃত শক্তি, আমাদের কার্যকর্তাদের কঠোর পরিশ্রম ছাড়া কখনওই এটি সম্ভব হত না।”

    এরপরে তিনি (Narendra Modi) গুজরাটবাসীদের উদ্দেশেও বার্তা দিলেন ট্যুইটের মাধ্যমে। নির্বাচনের ফলাফলের পর গুজরাটের ‘জনশক্তি’র কাছে ‘প্রণাম’ করলেন প্রধানমন্ত্রী মোদি। ট্যুইটে তিনি লিখেছেন, “ধন্যবাদ গুজরাট। অভূতপূর্ব নির্বাচনের ফলাফল দেখে আমি আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েছি। এই ফলাফল দেখে আমি আপ্লুত। মানুষ উন্নয়নের রাজনীতিকে আশীর্বাদ করেছে এবং একই সঙ্গে এই উন্নয়নকে আরও গতিশীল করতে চায় বলে আকাঙ্ক্ষা প্রকাশ করেছে জনগণ। আমি গুজরাটের জনশক্তির কাছে প্রণাম জানাই।”

    আরও পড়ুন: ফের গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী ভূপেন্দ্র প্যাটেল, সোমবার শপথগ্রহণ, উপস্থিত থাকবেন মোদি-শাহ

    হিমাচলবাসীদেরও ধন্যবাদ জানালেন মোদি

    এদিন হিমাচল প্রদেশে আশানুরুপ ফল না করতে পারলেও হিমাচল প্রদেশের মানুষকেও ধন্যবাদ জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী (Narendra Modi)। আলাদা ট্যুইট করে তিনি লিখেছেন, ‘‘বিজেপির প্রতি ভালবাসা এবং সমর্থনের জন্য হিমাচল প্রদেশের মানুষকে ধন্যবাদ জানাই। রাজ্যবাসীর আশা-আকাঙ্ক্ষা পূরণে ভবিষ্যতে আমরা আরও পরিশ্রম করব। মানুষের সমস্যাগুলির কথা সময়ের সঙ্গে সঙ্গে আরও বেশি করে তুলে ধরব।”

    উল্লেখ্য, ১৮২ আসন বিশিষ্ট গুজরাট বিধানসভায় জয়ের জন্য প্রয়োজন ছিল ৯২ আসন। গত নির্বাচনে বিজেপি পেয়েছিল মাত্র ৯৯টি আসন। তবে এবার বিজেপি ১৫৮ আসনে জয়ী। দীর্ঘ ২৭ বছরে এত ভোট বা আসন পায়নি বিজেপি। অন্যদিকে আপ ও কংগ্রেস পদ্ম শিবিরের ধরা ছোঁয়ার বাইরে। এদিন নরেন্দ্র মোদি ও অমিত শাহের রেকর্ডও ভেঙে দিয়েছে বিজেপি। ফলে এই ঐতিহাসিক জয়ের পর নরেন্দ্র মোদির তৃতীয় বার প্রধানমন্ত্রী (Narendra Modi) হওয়ার পথ আরও মসৃণ হয়ে গেল বলেই আলোচনা শুরু হয়েছে রাজনৈতিক মহলে।

  • SSC Scam: সাদা খাতা জমা দিয়েও পেল ৫৩! ওএমআর শিট মামলায় রিপোর্ট জমা সিবিআইয়ের

    SSC Scam: সাদা খাতা জমা দিয়েও পেল ৫৩! ওএমআর শিট মামলায় রিপোর্ট জমা সিবিআইয়ের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নবম-দশমের নিয়োগে যে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছিল, সেই মামলায় আদালতের নির্দেশের পর বেআইনিভাবে সুপারিশ করা ৪০ জনের ওএমআর শিট (omr sheet) ওয়েবসাইটে প্রকাশ করেছিল স্কুল সার্ভিস কমিশন (SSC Scam)। এসএসসি-এর সাইটে ওএমআর শিট প্রকাশ করতেই বেরিয়ে আসল আসল সত্যিটা। ফাঁকা খাতা জমা দিয়েই পেয়েছে অনেক নম্বর, আবার ওএমআর শিটে নম্বর পরিবর্তনেরও অভিযোগ উঠে এসেছে। ফলে ওএমআর শিট (OMR Sheet) জালিয়াতির মামলায় বৃহস্পতিবার রিপোর্ট জমা দিল সিবিআই।

    ওএমআর শিট থেকে কী তথ্য পাওয়া গেল?

    আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী, ৪০ জন প্রার্থীর ওএমআর শিট প্রকাশ করা হয়েছে। আর তারপরেই দেখা গিয়েছে, বেশিরভাগ চাকরিপ্রার্থীর উত্তরপত্র ফাঁকা। শুধু  রোল নম্বর, ভেনু কোড, বুকলেট সিরিয়াল নম্বর, সাবজেক্ট কোডের জায়গায় গোল করা আছে। গোল করা আছে পরীক্ষার্থী কোন ক্যাটাগরির, কোন জেন্ডার আর কোন মাধ্যমে পরীক্ষা দিচ্ছেন। কিন্তু অদ্ভূতভাবে উত্তরপত্র পুরোটাই ফাঁকা। কেউ সেখানে কোনও দাগ দেননি।

    ফলে এসএসসি নবম – দশম নিয়োগ দুর্নীতিতে (SSC Scam) কী ভাবে জালিয়াতি হয়েছিল ওএমআর  শিটে? কারা বদলেছিল নম্বর? এর পিছনে কার হাত রয়েছে? এ সব বিষয়ে তদন্ত করছে সিবিআই। আর তার বিস্তারিত রিপোর্ট আদালতে পেশ করল সিবিআই।

    আরও পড়ুন: ভাঙল অতীতের সব রেকর্ড, গুজরাটে ১৫০-রও বেশি আসনে এগিয়ে বিজেপি

    প্রসঙ্গত, নবম-দশমের নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় (SSC Scam) প্রথমে ১৮৩ জনের নাম প্রকাশ করেছিল স্কুল সার্ভিস কমিশন, যাঁদের নাম বেআইনিভাবে সুপারিশ করা হয়। দ্বিতীয় ধাপে আরও ৪০ জনের নাম প্রকাশ করা হয়। দ্বিতীয় ধাপেই বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় নির্দেশ দিয়েছিলেন, ৪০ জনের নামের সঙ্গে ওমএমআর শিটও প্রকাশ করতে হবে। এরপরই উত্তরপত্র প্রকাশ করে এসএসসি। ফলে তারপরেই এমন ধরণের ওএমআর শিটের নমুনা দেখতে পাওয়া যায়।

    এর আগেই সিবিআই আদালতে জানিয়েছিল যে, একাধিক প্রার্থীর ক্ষেত্রে ওএমআর শিটের নম্বর বদল হয়েছে। এই মামলায় (SSC Scam) ২০ জন প্যানেলভুক্ত ও ২০ জন ওয়েটিং লিস্টে থাকা প্রার্থীর নম্বরে কারচুপি করা হয়েছে বলে আদালতকে জানায় সিবিআই। এরপরই সেই তদন্ত সংক্রান্ত রিপোর্ট জমা দিতে বলা হয়েছিল। তদন্তে দুটি মাদার ডিস্ক পেয়েছিল সিবিআই। একটি এসএসসি-র দফতর থেকে পাওয়া যায় ও অপরটি পাওয়া যায় গাজিয়াবাদ থেকে। সেখান থেকেই পাওয়া যায় ওএমআর শিটের তথ্য। সিবিআই তখন জানিয়েছিল, যাঁদের প্রাপ্ত নম্বর আসলে ছিল ৫ বা ৬, সেটাই বাড়িয়ে ৫৩ বা তার বেশি করে দেওয়া হয়। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় এরপরেই মন্তব্য করেছিলেন, ‘ছিল রুমাল, হয়ে গেল বিড়াল।’

    সূত্রের খবর, কার নির্দেশে, কারা, কী ভাবে নম্বর বদল করেছে তার বিস্তারিত উল্লেখ রয়েছে রিপোর্টে। রিপোর্ট প্রকাশ্যে এলেই সব বিস্ফোরক তথ্য জানা যাবে বলে মনে করা হচ্ছে। কার নির্দেশে বাংলার শিক্ষায় এমন নৈরাজ্য নেমে এসেছে, তারই উত্তর চাইছে এখন পশ্চিমবঙ্গের মানুষ (SSC Scam)।

  • Kerala High Court: “কেন শুধুমাত্র মহিলাদের রাতে তালাবন্ধ করে রাখা হবে, পুরুষদের কেন নয়?” প্রশ্ন কেরল হাইকোর্টের

    Kerala High Court: “কেন শুধুমাত্র মহিলাদের রাতে তালাবন্ধ করে রাখা হবে, পুরুষদের কেন নয়?” প্রশ্ন কেরল হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কেন শুধুমাত্র মেয়েরা এবং মহিলাদের রাতে “লক আপ” বা তালাবন্ধ করে রাখা হবে? রাজ্যের ছেলে বা পুরুষদের মত তাদের কেন স্বাধীনতা দেওয়া হবে না? এমনটাই প্রশ্ন করল কেরল হাইকোর্ট (Kerala High Court)। ৭ ডিসেম্বর, বুধবার হস্টেলে কারফিউ জারির সরকারি আদেশকে চ্যালেঞ্জ করে, কোঝিকোড়ের মেডিক্যাল কলেজের পাঁচ এমবিবিএস ছাত্রীর করা আবেদন বিবেচনা করার সময় এমনই পর্যবেক্ষণ করেছে কেরল হাইকোর্ট। হস্টেলে মেয়েদের নিরাপত্তার জন্য কারফিউ জারি করার কেরল সরকারের আদেশের উপর প্রশ্ন করলেন কেরল হাইকোর্টের বিচারপতি দেবন রামচন্দ্রন।

    ঘটনাটি ঠিক কী?

    ২০১৯ সালে কেরল সরকার, সরকারি উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলির হোস্টেলের ছাত্রীদের জন্য একটি বিশেষ সরকারি আদেশ জারি করেছিল। সেই আদেশে কোনও কারণ ছাড়াই রাত ৯.৩০টার পর হস্টেলে ছাত্রীদের প্রবেশ এবং প্রস্থান নিষিদ্ধ করেছিল। সেই সঙ্গে ছাত্রীদের পড়াশোনা করার এবং স্টাডি হল ব্যবহার করার নির্দিষ্ট সময়ও বেঁধে দিয়েছিল। এই শর্তগুলি মানলে তবেই ছাত্রীরা হস্টেল পেতে পারেন, এমন শর্ত আরোপ করা হয়। আর কেরল সরকারের এই আদেশকেই চ্যালেঞ্জ করেছিলেন ওই পাঁচ ছাত্রী। তাঁদের দাবি, কেরল ইউনিভার্সিটি অব হেলথ সায়েন্সেস অ্যাক্টের ৪২ নম্বর ধারার অধীনে প্রদত্ত ক্ষমতার বাইরে গিয়ে এই নিষেধাজ্ঞাগুলি আরোপ করা হয়েছে।

    আরও পড়ুন: মোদি-ম্যাজিকে ভর করে টানা সপ্তমবার গুজরাট দখলের পথে বিজেপি

    বিচারপতি কী বললেন?

    গতকাল এই মামলার শেষ শুনানিতে বিচারপতি দেবন রামচন্দ্রনের একক-বিচারপতির বেঞ্চ সাফ জানিয়েছে, মহিলা হস্টেলে কারফিউ জারি করে কোনও উদ্দেশ্য পূরণ করা যাবে না। রাতকে ভয় পাওয়ার দরকার নেই। সরকারের উদ্দেশে বলা হয়েছে, এমন কারফিউ জারি না করে, এটি নিশ্চিত করা উচিত যে, রাতে বাইরে বেরনো যাতে সবার জন্য নিরাপদ হয়। আবার তিনি প্রশ্ন করেন যে, কেন শুধুমাত্র মহিলা বা মেয়েদের নিয়ন্ত্রণ করা প্রয়োজন এবং ছেলে বা পুরুষদের কেন নয়? কেন মেডিক্যাল কলেজের হস্টেলে মহিলাদের জন্য রাত ৯:৩০ মিনিটের পর কারফিউ জারি করা হয়েছে?

    বিচারপতি রামচন্দ্রন আরও বলেন, “মেয়েদেরও এই সমাজে থাকতে হবে। রাত সাড়ে ন’টার পর মেয়েরা বেরলে কি পাহাড় কি ধসে পড়বে? ক্যাম্পাসকে সুরক্ষিত রাখতে সরকারের দায়বদ্ধতা রয়েছে। পুরুষদের তালাবদ্ধ করে রাখুন। কারণ তারাই ঝামেলা করে। রাত ৮টার পর পুরুষদের জন্য কারফিউ জারি করুন। মহিলাদের বের হতে দিন।”

    এরপর বিচারপতি এই কলেজের ছাত্রীদের অভিভাবকদের উদ্দেশে বলেছেন, “সব বাবা-মাই যখন চান তাঁদের মেয়েদের বন্দি করে রাখা হোক, তখন সরকার কীভাবে তা না বলতে পারে? তবে রাজ্যের আর কোনও হস্টেলে তো কারফিউ জারি করা হয়নি, তবে সেখানে বসবাসকারী ছাত্রীদের কি বাবা-মা নেই?” তাই তিনি স্পষ্ট জানিয়েছেন, বিধি-নিষেধ আরোপ করায় কোনও সমস্যা নেই। কিন্তু যাই নিয়ম করা হোক না কেন, ছেলে-মেয়ে নির্বিশেষে সবার জন্য যাতে সমান হয়। রাজ্য এবং সরকারী কর্তৃপক্ষকে অবশ্যই মেয়েদের এবং মহিলাদের আটকে রাখার পরিবর্তে তাদের নিজেদের যত্ন নেওয়ার জন্য যোগ্য করে তুলতে হবে।

  • North Korea: কোরিয়ান ড্রামা দেখায় কিমের দেশের দুই কিশোরকে দেওয়া হল মৃত্যুদণ্ড!

    North Korea: কোরিয়ান ড্রামা দেখায় কিমের দেশের দুই কিশোরকে দেওয়া হল মৃত্যুদণ্ড!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দক্ষিণ কোরিয়ার ড্রামা দেখাই কাল হয়ে আসল দুই কিশোরের জীবনে। দেওয়া হল মৃত্যুদণ্ড! কিম জং উন-কে ঘিরে বিতর্ক থাকে তুঙ্গে। এবারে তাঁর বর্বতার পরিচয় ফের পাওয়া গেল। উত্তর কোরিয়ার (North Korea) সেই স্বৈরাচারী রাষ্ট্রনেতাই এবার বিতর্কিত এক নির্দেশ দিলেন। দুই কিশোরকে মৃত্যুদণ্ড দিল কিম প্রশাসন। তাদের কী অপরাধ ছিল, তা জানলে আপনি চমকে উঠবেন। ওই দুই কিশোর কোরিয়ার ড্রামা শো দেখে ও তা অন্যদের কাছেও ছড়িয়ে দেয়। আর এতেই দেওয়া হল তাদের মৃত্যুদণ্ড। সূত্রের খবর অনুযায়ী, দক্ষিণ কোরিয়ার এই কে-ড্রামা দেখা কিমের দেশে নিষিদ্ধ। তাই দেওয়া হল এই চরম শাস্তি।

    কে-ড্রামা দেখায় মৃত্যুদন্ডের শাস্তি

    সূত্রের খবর অনুযায়ী, ওই দুই কিশোরের বয়স ছিল ১৬ ও ১৭। এরা উত্তর কোরিয়ার (North Korea) হেসন শহরের বাসিন্দা। চিনের সীমান্তে অবস্থিত রায়ানগ্যাং প্রদেশের এক হাই স্কুলে পড়ত ওই দুই কিশোর। গত অক্টোবরেই দক্ষিণ কোরিয়া ও আমেরিকার বেশ কিছু ড্রামা শো দেখে তারা। বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতেই তাদের প্রকাশ্যে হত্যা করা হয়। একটি ফাঁকা প্রান্তরে দাঁড় করিয়ে গুলি করে কিমের সেনা। কিমের দেশের আইন অনুযায়ী, এই ধরনের আচরণ আসলে ‘পাপে’র শামিল। তাই কোনও রকম ছাড় নয়। আর এই ঘটনা দেখতে বাধ্য করা হয় শহরবাসীদের।

    আরও পড়ুন: সুইমিং পুল, স্পোটর্স স্টেডিয়াম, জানুন উত্তর কোরিয়ার শাসক কিমের মেয়ের রাজকীয় জীবন

    এই ঘটনাটি অক্টোবরের। একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হওয়ার মাধ্যমে এই খবর সম্প্রতি প্রকাশ্যে এসেছে। ওই প্রতিবেদনে লেখা রয়েছে যে, “দুই কিশোরকে জনসাধারণের সামনে তুলে ধরা হয় ও তাদের মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়। আর অবিলম্বে গুলি করে হত্যা করা হয়।” আরও লেখা রয়েছে যে, “যারা দক্ষিণ কোরিয়ার সিনেমা ও নাটক দেখে বা বিতরণ করে এবং যারা শৃঙ্খলা নষ্ট করে, তাদের ক্ষমা করা হবে না এবং তাদের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হবে।”

    এই ঘটনাই নতুন নয়, (North Korea) কিম জন উনের অমানবিক মানসিকতার ব্যাপারে সবাই জানে। এর আগেও শোনা গিয়েছিল, দক্ষিণ কোরিয়ার গান শোনার ফলে উত্তর কোরিয়ানদের মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হচ্ছে।  

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Facebook এবং Twitter পেজ।  

  • ICMR: আইসিএমআর-এর সাইটে ২৪ ঘণ্টায় ৬ হাজার বার হ্যাকিংয়ের চেষ্টা! কিন্তু ব্যর্থ হ্যাকাররা

    ICMR: আইসিএমআর-এর সাইটে ২৪ ঘণ্টায় ৬ হাজার বার হ্যাকিংয়ের চেষ্টা! কিন্তু ব্যর্থ হ্যাকাররা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দিল্লি এইমস-এর পর এবারে হ্যাকিং-এর চেষ্টা আইসিএমআর-এও (ICMR)। তবে শেষপর্যন্ত সফল হয়নি হ্যাকাররা। সূত্রের খবর অনুযায়ী, একদিনে ৬ হাজার বার আইসিএমআর-এর ওয়েবসাইট হ্যাক করতে চাইলেও ব্যর্থ হয় হ্যাকাররা। গত ৩০ নভেম্বর মাত্র ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ৬ হাজার বারের বেশি আইসিএমআর-এর সাইটে হানা দেওয়ার চেষ্টা করেছিল হ্যাকাররা। কিন্তু সাইট হ্যাক করতে কালঘাম ছুটল তাদের।

    আইসিএমআর-এর ওয়াবসাইটে হ্যাকারদের হানা

    সূত্রের খবর অনুযায়ী, ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিক্যাল রিসার্চ-এর (ICMR) সাইট এতবার হ্যাক করার চেষ্টা করা হলেও হ্যাকাররা ব্যর্থ হয়। কারণ ওয়েবসাইটের সমস্ত তথ্য নিরাপদে রয়েছে। এই ওয়েবসাইটের তথ্য পর্যবেক্ষণে রাখে NIC Data Center। এইসব ডেটা সুরক্ষিত রাখার জন্য যে ফায়ারওয়াল দেওয়া হয় সেটাও নিয়মিত ভাবে আপডেট করে ন্যাশনাল ইনফরমেটিক্স সেন্টার। সুতরাং, ওয়েবসাইটের ফায়ারওয়াল ছিল আপডেটেড। এ ছাড়াও সমস্ত নিরাপত্তাজনিত ব্যবস্থাও যথাযথ ভাবে মেনে চলা হয়েছিল। তাই হ্যাকারদের হাজার প্রচেষ্টা বিফলে যায়। ফলে স্বস্তির খবর এটিই যে এতবার হ্যাকাররা তথ্য হাতিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করার পরেও সবকিছু রক্ষা করা সম্ভব হয়েছে।

    আরও পড়ুন: এইমস সাইবার হানা, ৩ কোটি মানুষের তথ্য এখনও বিপদে, ২০০ কোটির দাবি হ্যাকারদের

    সূত্রের খবর অনুযায়ী, ন্যাশনাল ইনফরমেটিক্স সেন্টারের এক কর্তা জানিয়েছেন, হংকংয়ের একটি কালো তালিকাভুক্ত আইপি ঠিকানা থেকে ওই সাইবার হামলা চালানো হয়েছে। আপাতত আইসিএমআর-এর ওয়েবসাইটের সুরক্ষা আরও বাড়ানোর কাজ চলছে।

    প্রসঙ্গত, গত মাসেই দিল্লি এইমস-এর ওয়েবসাইট হ্যাক করা হয়েছিল। খোয়াতে হয়েছিল প্রচুর তথ্য। ব্যাপক প্রভাব পড়ে পরিষেবায়। পরিস্থিতি এমন হয় যে, টানা ১০ দিন সার্ভার বন্ধ রেখে ম্যানুয়ালি কাজ করা হয়। ফলে এইমসের সার্ভারে বেশ বড়সড় হ্যাকার হানা হয়েছিল। আবার গত ৪ ডিসেম্বর, দিল্লির এইমসের মূল ভবনের উল্টো দিকের সফদরজং হাসপাতালের সার্ভারও হ্যাক করা হয়েছিল। কিন্তু কিছুক্ষণের মধ্যেই তা ঠিক করে নেওয়া হয়।

    তবে যাইহোক, আইসিএমআর-এর (ICMR) ওয়েবসাইট এতটাই সুরক্ষিত যে, হ্যাকাররা ৬ হাজার বারের বেশি চেষ্টা করলেও তা বিফলে যায়। কোনও তথ্যই হাতিয়ে নিতে পারেনি হ্যাকাররা।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

LinkedIn
Share