Author: নিমাই দে

  • West Bengal Weather: ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে রাজ্যে ফের কমবে শীত? কী জানাল আবহাওয়া দফতর?

    West Bengal Weather: ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে রাজ্যে ফের কমবে শীত? কী জানাল আবহাওয়া দফতর?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যে শীতের পথে কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছে ঘূর্ণিঝড় (West Bengal Weather)। শীতের আমেজ বজায় থাকলেও কনকনে শীতের দেখা নেই কলকাতায়। আগামীকাল পর্যন্ত শীতের আমেজ বজায় থাকবে। আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর, ৯ ডিসেম্বর থেকে তাপমাত্রা বাড়তে পারে ঘূর্ণিঝড়ের পরোক্ষ প্রভাব হিসেবে। তবে বৃষ্টির কোনও সম্ভাবনা নেই। আজ কলকাতায় সামান্য নেমেছে পারদ। সকাল-সন্ধ্যা শীতের আমেজ বহাল থাকবে।

    কলকাতার আবহাওয়া

    এদিন সকালে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৬.৭ থেকে কমে ১৬.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস হয়েছে। সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ২৭.৬ ডিগ্রি থেকে সামান্য কমে ২৭.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস হয়েছে। বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ থাকবে ন্যূনতম ৪৮ শতাংশ, সর্বাধিক ৯১ শতাংশ। কলকাতায় আজ পরিস্কার আকাশ থাকবে। সঙ্গে থাকবে শুষ্ক আবহাওয়া। শীতের আমেজ বেশি টের পাওয়া যাবে ভোর ও রাতের দিকে৷ উত্তুরে হাওয়ার আধিক্যও থাকবে (West Bengal Weather)।

    আরও পড়ুন: ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় ‘মন্দৌস’! বাংলায় আবহাওয়ার কি পরিবর্তন হবে?

    ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে পশ্চিমবঙ্গের তাপমাত্রায় পরিবর্তন হবে?

    আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, পশ্চিমবঙ্গ নয়, ঘূর্ণিঝড় মন্দৌস-এর লক্ষ্য অন্ধ্রপ্রদেশ ও তামিলনাড়ু। বঙ্গোপসাগরে তৈরি নিম্নচাপ শক্তি বাড়িয়ে বৃহস্পতিবার নাগাদ অন্ধ্রপ্রদেশ-তামিলনাড়ু উপকূলে হাজির হবে। ঝড়ের সরাসরি প্রভাব এ রাজ্যে পড়বে না বলে জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর। শুধু কিছুটা শীতের প্রকোপ কমবে। তাপমাত্রা কয়েকদিন সামান্য বাড়বে। আগামী পাঁচদিন পশ্চিমবঙ্গের কোথাও বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই। মূলত পরিস্কার আকাশ থাকবে। তবে আকাশ আংশিক মেঘলা থাকতে পারে (West Bengal Weather)।

    আলিপুর আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার (৮ ডিসেম্বর) পর্যন্ত তাপমাত্রারও তেমন উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন হবে না। আপাতত যেমন তাপমাত্রা আছে, তেমনই থাকবে। অর্থাৎ যেমন ঠান্ডা আছে, সেরকমই থাকবে। আবহবিদরা জানিয়েছেন, ৯ ডিসেম্বর থেকে তাপমাত্রা কিছুটা বাড়বে। আপাতত যা তাপমাত্রা আছে, সেটার থেকে এক ডিগ্রি সেলসিয়াস বাড়বে (West Bengal Weather)।

    সাধারণত কলকাতায় ঠান্ডা পড়ে ডিসেম্বরের ১৫ তারিখের পর থেকে। ফলে শীতের জন্য এখনও দেড় সপ্তাহ অপেক্ষা করতে হবে। তবে হঠাৎ ঘূর্ণিঝড় আসার ফলে আবহাওয়ার পরিবর্তন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তাই জাঁকিয়ে শীত পড়তে এখনও দেরী (West Bengal Weather)।

  • BSF: ভারতে প্রবেশের চেষ্টা! বিএসএফের গুলিতে খতম এক পাকিস্তানি অনুপ্রবেশকারী

    BSF: ভারতে প্রবেশের চেষ্টা! বিএসএফের গুলিতে খতম এক পাকিস্তানি অনুপ্রবেশকারী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: একদিকে পাকিস্তানি ড্রোনের উৎপাত, অন্যদিকে পাকিস্তানিদের অনুপ্রবেশ দুই-ই বেড়ে চলেছে। এমনই এক ঘটনা ঘটল গতকাল গভীর রাতে। এক পাকিস্তানি অনুপ্রবেশকারীকে গুলি করে হত্যা করল বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্সের (বিএসএফ) জওয়ানরা। সোমবার লাইন অফ কন্ট্রোল (এলওসি) পেরিয়ে রাজস্থান দিয়ে ভারতীয় ভূখণ্ডে অনুপ্রবেশের অপরাধে তাকে গুলি করে হত্যা করে রাজস্থান বিএসএফ (BSF)।

    পাকিস্তানি অনুপ্রবেশকারীকে নিকেশ বিএসএফ জওয়ানদের

    ঘটনাটি ঘটে রাজস্থানের গঙ্গানগর হারমুখ চেকপোস্টের কাছে। ১৪ এস নামক ওই গ্রাম দিয়ে এর আগেও অনেক পাকিস্তানি ভারতে অনুপ্রবেশ করেছে বলে প্রশাসনের ধারণা। সূত্রের খবর, গতকাল টহলদারির সময় বিএসএফ জওয়ানরা দেখতে পান, ওই ব্যক্তি সীমান্তের ওপার থেকে নিয়ন্ত্রণ রেখা (এলওসি) পেরিয়ে ভারতীয় ভূখণ্ডে অনুপ্রবেশের চেষ্টা করছে। জওয়ানরা বারবার তাকে সতর্ক করে ও সেখান থেকে সরে যেতে বলে। যদিও ওই পাকিস্তানি অনুপ্রবেশকারী তাতে কান দেয়নি। অনুপ্রবেশের চেষ্টা করতেই তাকে লক্ষ্য করে গুলি চালান বিএসএফ জওয়ানরা। গুলিতে মৃত্যু হয় অনুপ্রবেশকারীর।

    আরও পড়ুন: পাক হানাদারি রুখতে বিএসএফ-এর হাতে এল দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি বিশেষ ড্রোন

    এক সিনিয়র বিএসএফ (BSF) কর্মকর্তা এই বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ও বলেছেন, “সোমবার হারমুখ চেকপোস্টের কাছে আন্তর্জাতিক সীমান্তে পাকিস্তান থেকে আসা এক অনুপ্রবেশকারীকে সতর্ক করে বিএসএফ জওয়ানরা। অনুপ্রবেশকারী সীমান্ত অতিক্রম করে ভারতে আসার জন্য এগোতে থাকে। তখনই তাকে গুলি করা হয় ও তল্লাশি অভিযানের সময় মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।” তিনি আরও জানিয়েছন, এলাকাটি ঘেরাও করা হয়েছে এবং তল্লাশি অভিযান চালানো হচ্ছে। ওই ব্যক্তি কোন উদ্দেশ্য নিয়ে ভারতে প্রবেশের চেষ্টা করছিল তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

    তিনি (BSF) বলেন, “আমরা ঘটনাটি সম্পর্কে পাকিস্তান রেঞ্জারদের জানিয়েছি। তবে তারা অনুপ্রবেশকারীর পরিচয় যাচাই করতে ও তার মৃতদেহ গ্রহণ করতে অস্বীকার করছে।” আরও জানানো হয়েছে, শেষপর্যন্ত পাকিস্তান মৃতদেহের পরিচয় দিতে অস্বীকার করলে শবদেহ দাহ করে দেওয়া হবে।  

    সীমান্ত দিয়ে অনুপ্রবেশ এবং মাদক চোরাচালনের ঘটনা বেড়েই চলেছে। এই কাজে পাক ড্রোনেরও ব্যবহার করা হচ্ছে। জম্মু-কাশ্মীর সীমান্ত দিয়ে যেমন জঙ্গিদের অনুপ্রবেশ করাতে মরিয়া তেমনি রাজস্থান এবং পাঞ্জাব সীমান্ত দিয়ে মাদক পাচার প্রতিনিয়ত করে চলেছে পাকিস্তান। ফলে অনুপ্রবেশ নিয়ে নতুন করে সতর্কবার্তা জারি করা হয়েছে। চলতি বছরে শীতের সময়েই আন্তর্জাতিক সীমান্তে নিরাপত্তা রক্ষীদের কড়া নজর রাখার কথা বলা হয়েছে। আর বাড়তি নজরের ফলেই গতকাল এই অনুপ্রবেশকারীকে খতম করতে সফল হল বিএসএফ (BSF)।

  • Cyclone Mandous: ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় ‘মন্দৌস’! বাংলায় আবহাওয়ার কি পরিবর্তন হবে?

    Cyclone Mandous: ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় ‘মন্দৌস’! বাংলায় আবহাওয়ার কি পরিবর্তন হবে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কলকাতায় শীতের আমেজ বজায় থাকলেও কনকনে শীতের পথে কাঁটা হয়ে দাঁড়াল নিম্নচাপ। নতুন করে তৈরি হয়েছে ঘূর্ণাবর্ত যা নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। এই নিম্নচাপ শক্তি বাড়িয়ে গভীর নিম্নচাপ ও ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হবে। আবহাওয়া দফতরের থেকেও জানানো হয়েছে, ধেয়ে আসছে মন্দৌস ঘূর্ণিঝড় (Cyclone Mandous)। আগামীকাল, ৭ নভেম্বর থেকে এর প্রভাব লক্ষ্য করা যাবে। তবে আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, এই ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব তেমন ভাবে বাংলায় পড়বে না। কারণ এটির অভিমুখ দক্ষিণমুখী। ফলে এর প্রভাব দক্ষিণের রাজ্যগুলিতেই বেশি পড়বে।  

    ঘূর্ণিঝড় ‘ম্যানডাউস’

    বঙ্গোপসাগরের উপরে তৈরি ঘূর্ণাবর্তটি ৬ ডিসেম্বর সন্ধ্যার মধ্যে দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপে পরিণত হবে। তারপর তা শক্তি বাড়িয়ে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হবে। এর নামকরণ করা হয়েছে মন্দৌস (Cyclone Mandous)। দুর্যোগ আরও ঘনীভূত হয়ে ৮ ডিসেম্বর সকালের মধ্যে উত্তর তামিলনাড়ু, পুদুচেরি এবং সংলগ্ন দক্ষিণ অন্ধ্র প্রদেশের কাছে দক্ষিণ-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরে পৌঁছানোর সম্ভাবনা রয়েছে। তবে জানা গিয়েছে, উপকূলে পৌঁছে গিয়ে এটি দুর্বল হয়ে পড়বে। কিন্তু ৭ ডিসেম্বর থেকে বৃষ্টিপাত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ৭ ডিসেম্বর মধ্যরাত থেকে উত্তর উপকূলীয় তামিলনাড়ু, পুদুচেরি এবং কারাইকালের উপর বৃষ্টিপাত শুরু হবে। ৮ ও ৯ ডিসেম্বর বৃষ্টির পরিমাণ বাড়বে, বলছে আবহাওয়া দফতর।

    আরও পড়ুন:পারদ ওঠা-নামার মাঝেই নিম্নচাপের পূর্বাভাস, বাংলায় কি প্রভাব পড়বে?

    কলকাতার আবহাওয়া

    অন্যদিকে গতকালের তুলনায় আজ কলকাতা ও তার আশেপাশের এলাকায় ফের সামান্য তাপমাত্রা বেড়েছে। ৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত বর্তমান ঠাণ্ডার আমেজ বজায় থাকবে। এরপর ২-৩ দিনের জন্য তাপমাত্রা আরও বাড়তে পারে, তৈরি হতে পারে মেঘলা আকাশ, জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর। আজকের সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রা থাকতে পারে ২৭ ও ১৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশপাশে। এদিন কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৬.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা স্বাভাবিকের থেকে ১ ডিগ্রি বেশি। গতকাল ছিল ১৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

    উত্তরবঙ্গ ও দক্ষিণবঙ্গের আবহাওয়া

    উত্তরবঙ্গে জাঁকিয়ে পড়েছে শীত। তবে আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর, আগামী দুদিন তাপমাত্রার তেমন কোনও পরিবর্তন হবে না। দক্ষিণবঙ্গেও তাপমাত্রার তেমন কোনও পরিবর্তন হবে না। তবে ৮ ডিসেম্বরের থেকে নিম্নচাপের (Cyclone Mandous) পরোক্ষ প্রভাব হিসাবে বাংলায় তাপমাত্রা বাড়তে পারে। আকাশ মেঘলা থাকার সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর।

  • Dominique Lapierre: প্রয়াত ‘সিটি অফ জয়’-এর লেখক ডমিনিক ল্যাপিয়ের

    Dominique Lapierre: প্রয়াত ‘সিটি অফ জয়’-এর লেখক ডমিনিক ল্যাপিয়ের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রয়াত বিশ্বখ্যাত লেখক ডমিনিক ল্যাপিয়ের (Dominique Lapierre)। ইনি হলেন ‘সিটি অফ জয়’ উপন্যাসের লেখক। কলকাতা শহরের এক রিক্সাচালকের কষ্টের জীবনের কথা তুলে ধরা হয়েছিল এই বইটিতে। বার্ধক্যজনিত কারণে ৯১ বছর বয়সে মৃত্যু হয়েছে তাঁর। আজ, তাঁর স্ত্রী সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছেন, রবিবার শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন তিনি।

    ভারতের অনুরাগী ডমিনিক

    ভারত এবং বিশেষ করে কলকাতার সঙ্গে সম্পর্ক ছিল নিদারুণ। শুধু কলকাতাকে নিয়েই লেখেননি, ভারতের বড় অনুরাগীও ছিলেন এই ফরাসি লেখক। তাই তিনি কলকাতাকে তাঁর লেখনীর মাধ্যমে আন্তর্জাতিক স্তরে তুলে ধরেছিলেন। এই বইয়ের জন্য ২০০৮ সালে ডমিনিক ল্যাপিয়েরকে পদ্মভূষণে সম্মানিত করে ভারত সরকার। তিনি ফ্রান্সে জন্মগ্রহণ করলেও তাঁর ভারতের প্রতি টান ছিল অগাধ। তাঁর (Dominique Lapierre) ভারত সম্পর্কে জ্ঞানও ছিল অনেক।

    আরও পড়ুন: পাশে বসে ‘বলিউড বাদশা’, জানতেই যা কাণ্ড করে বসলেন এই হলিউড সুপারস্টার

    তিনি (Dominique Lapierre) ১৯৮৫ সালে কলকাতাকে মাথায় রেখেই বই লিখেছিলেন, যাঁর নাম ‘City of Joy’। কলকাতার এক রিক্সাচালকের জীবনের উপর ভিত্তি করেই তাঁর এই লেখা। রিক্সাচালকের প্রতিদিনের কষ্টকে তুলে ধরেছিলেন তাঁর এই বইতে। তাঁর মানবিকতারও কোনও তুলনা নেই। এই বইয়ের থেকে যা উপার্জন হয়েছে, তার বেশির ভাগটাই এ দেশের কুষ্ঠ, পোলিও, টিবি রোগীদের উদ্দেশ্যে দান করেছিলেন। উল্লেখ্য, পরে এই গল্পের উপর ভিত্তি করেই ১৯৯২ সালে একটি সিনেমাও তৈরি করা হয়েছিল।

    ডমিনিক ল্যাপিয়েরের কিছু উপন্যাস

    ডমিনিক ল্যাপিয়ের (Dominique Lapierre) জন্মগ্রহণ করেন ১৯৩১ সালে, চ্যাটেইলনে। আমেরিকার লেখক ল্যারি কলিন্সের সঙ্গে তাঁর লেখা ছটি বইয়ের প্রায় ৫ কোটি কপি বিক্রি হয়েছে। এর মধ্যে সব থেকে বিখ্যাত হল “ইজ প্যারিস বার্নিং?” বইটি প্রকাশিত হয় ১৯৬৫ সালে। এছাড়াও তাঁর উল্লেখযোগ্য বইগুলি হল, ‘অর আই উইল ড্রেস ইউ ই মোরিং’ (১৯৬৮), ও ‘জেরুজালেম’ (১৯৭২), ‘ফ্রিডম অ্যাট মিডনাইট’ (১৯৭৫), ‘দ্য ফিফথ হর্সম্যান’ (১৯৮০)। তবে তিনি না ফিরে আসার দেশে চলে গেলেও, তাঁর নানা কাজের মধ্যে দিয়ে তিনি চিরকাল স্মরণীয় হয়ে থাকবেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Nisith Pramanik: “তাসের ঘরের মত ভেঙে পড়বে তৃণমূল সরকার”, বললেন নিশীথ প্রামাণিক

    Nisith Pramanik: “তাসের ঘরের মত ভেঙে পড়বে তৃণমূল সরকার”, বললেন নিশীথ প্রামাণিক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তাসের ঘরের মত ভেঙে পড়বে তৃণমূল কংগ্রেস। পঞ্চায়েত ভোটের আগে বিস্ফোরক দাবি করলেন কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিক (Nisith Pramanik)। তিনি দাবি করেছেন ৪০-৪৫ জন তৃণমূল কংগ্রেসের বিধায়ক যোগাযোগ রাখছেন বিজেপির সঙ্গে। রবিবার নাটাবাড়িতে দলীয় সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে এমনই বিস্ফোরক দাবি করেছেন তিনি (Nisith Pramanik)।

    বিগত কয়েকমাস থেকেই বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী থেকে শুরু করে সুকান্ত মজুমদার, দিলীপ ঘোষ আরও অনেকেই তৃণমূল সরকারের পতনের কথা উল্লেখ করেছেন। বারবার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন যে, ডিসেম্বরেই ধামাকা হতে চলেছে। আর এবারে নিশীথ প্রামাণিকের (Nisith Pramanik) বক্তব্যেও একই কথা শোনা গেল।

    আরও পড়ুন: মিথ্যা মামলা! হাইকোর্টে স্বস্তি কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিকের

    নাটাবাড়িতে দলীয় সভায় আর কী বললেন নিশীথ?

    রবিবার নাটাবাড়িতে দলীয় সভায় বক্তৃতা দিতে গিয়ে একের পর এক বিস্ফোরক দাবি করেন তিনি (Nisith Pramanik)। তিনি বলেন, “আমি দায়িত্ব নিয়ে বলে যাচ্ছি, সারা রাজ্যের যা অবস্থা, এবং তৃণমূল কংগ্রেসের যা অবস্থা, তৃণমূল কংগ্রেসের বহু বিধায়ক, নেতা আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন। তাসের ঘরের মত তৃণমূল কংগ্রেস দাঁড়িয়ে রয়েছে। যে কোনও সময় ওই তাসের ঘরটা ভেঙে যাবে।”

    তিনি (Nisith Pramanik) আরও বলেছেন, “তৃণমূলের ৪০-৪৫ জন বিধায়ক আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন। তৃণমূলের জেলা সভাপতি পদ এখন মিউজিকাল চেয়ার হয়ে গিয়েছে। কার কাছে থাকবে সেটা নিয়ে দলের কর্মীরাই চিন্তায় রয়েছেন। পঞ্চায়েত নির্বাচন আসতেই তৃণমূল কংগ্রেসের গোষ্ঠী কোন্দল চরমে উঠেছে। এই অবস্থায় যারা তৃণমূলের হয়ে টিকিট পাবেন না বলে বিজেপিতে চলে আসবে ভাবছেন, তারা পঞ্চায়েতে টিকিট পাবেন ভেবে থাকলে ভুল করছেন।”  ফলে নিশীথ প্রামাণিকের (Nisith Pramanik) এই বিস্ফোরক দাবি ফের শোরগোল ফেলে দিয়েছে রাজনৈতিক মহলে।

    আরও পড়ুন: এসএসসি-তে ২১ হাজার পদে নিয়োগের ক্ষেত্রে ৯ হাজার ওএমআর শিটে বিকৃতি! আদালতে দাবি সিটের

    গতকালের সভায় নিশীথ প্রামাণিক (Nisith Pramanik) ছাড়াও এদিনের সভায় উপস্থিত ছিলেন রাজ্য বিজেপির সহ-সভাপতি রথীন্দ্রনাথ বোস, মাথাভাঙ্গার বিধায়ক সুশীল বর্মন, রাজ্য বিজেপির সংখ্যালঘু মোর্চা সভাপতি আলি হোসেন, তুফানগঞ্জ বিধানসভার বিধায়ক মালতি রাভা-রায় সহ বিজেপি নেতৃত্ব। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Facebook এবং Twitter পেজ।    

  • Viral Video: দিদি কাঁদছে, চোখের জল মুছে দিচ্ছে ছোট্ট ভাই, আবেগে ভাসল নেটদুনিয়া

    Viral Video: দিদি কাঁদছে, চোখের জল মুছে দিচ্ছে ছোট্ট ভাই, আবেগে ভাসল নেটদুনিয়া

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সোশ্যাল মিডিয়া আসার ফলে আজকাল কত কিছুই না ভাইরাল হয়ে উঠছে! কখনও সেগুলি মানুষকে আনন্দে ভরিয়ে তোলে আবার কখনও তা আবেগপ্রবণ করে তোলে নেটিজেনদের। সম্প্রতি ভাইরাল হল সেরকমই এক মিষ্টি মুহূর্তের ভিডিও। এই ভিডিও-তে এক ভাই-বোনের মধুর সম্পর্ক ক্যামেরাবন্দি হয়েছে, আর যা দেখে আবেগঘন হয়ে পড়েছে নেটিজেনরা।

    ভিডিও-তে কী দেখা গেল?

    ভিডিওতে দেখা গিয়েছে, এক ২৫ বছরের মেয়ে কাঁদছে, আর তাকেই সান্ত্বনা দিচ্ছে, তাঁর ৭ বছরের ছোট্ট ভাই। আর এই আবেগ ভরা ভিডিওই নেটিজেনের কাঁদিয়ে দিয়েছে। দিদির প্রতি ভাইয়ের ভালোবাসা, যত্ন দেখে এই খুদে সবার মন জয় করে নিয়েছে।

    ভিডিওটি ইনস্টাগ্রামে PAPz নামে এক ব্যবহারকারী শেয়ার করেছেন। এটিতে দেখা যায়, ২৫ বছরের মেয়েটি চেয়ারে বসে আছে ও ছেলেটি তার দিদির পাশে দাঁড়িয়ে আছে। তাঁর মন খারাপ এবং তাঁর চোখে জল ছিল। ছেলেটি তখন তাঁর চোখের জল মুছে দেয় এবং তার দিদিকে জিজ্ঞেস করে, সে ঠিক আছে কিনা। এই ছোট ক্লিপটিতে দুই ভাইবোনের স্বার্থহীন ভালোবাসাই সবার নজর কেড়েছে।

    [insta]https://www.instagram.com/reel/Ckpif4UOdf7/?utm_source=ig_web_copy_link[/insta]

    ভিডিওটি শেয়ার করে ব্যবহারকারী লিখেছেন, “এটি গত বছর, ২০২১ সালে ঘটেছিল। আমার ভাই খেলছিল এবং হঠাৎ সে আমার বোনকে কাঁদতে দেখে সে সবকিছু ছেঁড়ে তার কাছে ছুটে গেল এবং সে ঠিক আছে কিনা তা দেখার করার জন্য। সে বোঝার চেষ্টা করেছিল তার কি হয়েছে। আমার দিকে তাকিয়ে বা আমাকে জিজ্ঞাসা করে আমি কিছু করেছি কি না।”

    এই ভিডিওটি ৭ নভেম্বর শেয়ার করা হয়েছিল এবং ইতিমধ্যেই এতে ৬ মিলিয়ন ভিউ এবং চার লাখেরও বেশি লাইক এসেছে। অনেক ইউজার ভিডিওটি দেখে আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েছেন ও কমেন্ট করেছেন। একজন লিখেছেন, “ছেলেটি জীবনে এক আদর্শ মানুষ হয়ে উঠবে।” অন্য একজন লিখেছেন, “এই মিষ্টি ছেলে এবং তাদের সুন্দর বন্ধনকে ভগবান যেন আশীর্বাদ করে!”

    এককথায় বলতে ভাই-বোনের সম্পর্ক সব সম্পর্কের থেকে একেবারেই আলাদা। এই পৃথিবীতে নিজের পরিবারের চেয়ে প্রিয় কেউ হয় না। আর পরিবারের দিদি বা দাদার সঙ্গে ভাই বা বোনের সম্পর্ক হাসি-কান্না-ঠাট্টা-আনন্দ-খুনসুটি সবেতেই ভরা। যার টানই আলাদা। আর বলাই বাহুল্য, এই ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করা মাত্রই তা নেটিজেনদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে নিয়েছে ও চোখে জল এনে দিয়েছে।

  • Shah Rukh Khan: পাশে বসে ‘বলিউড বাদশা’, জানতেই যা কাণ্ড করে বসলেন এই হলিউড সুপারস্টার

    Shah Rukh Khan: পাশে বসে ‘বলিউড বাদশা’, জানতেই যা কাণ্ড করে বসলেন এই হলিউড সুপারস্টার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এমনিতেই তাঁকে কিং খান বা বাদশা (Shah Rukh Khan) বলা হয় না। যার এক হাসিতেই মাত সকলে। বলিউডের এমনই এক তারকা ইনি, যার ফ্যান না হয়ে পারা যায় না। দেশের পাশাপাশি, বিদেশেও যে এনার ফ্যান ফলোয়িং কত, তা আর কারোরই অজানা নয়। এমনকি হলিউডের সুপারস্টাররাও তাঁর ফ্যান। আর এবারে এমনই এক দৃশ্যের সাক্ষী থাকল পুরো বিশ্ব।

    সম্প্রতি, একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে, যেখানে দেখা গিয়েছে, হলিউডের সুপারস্টার শ্যারন স্টোনও কত বড় ফ্যান শাহরুখের (Shah Rukh Khan)। ভিডিও-তে তাঁর প্রতিক্রিয়া দেখেই তা বোঝা যাচ্ছে। উল্লেখ্য, ‘বেসিক ইনস্টিংট’ ছবির অভিনেত্রী হলেন শ্যারন স্টোন।

    রেড সি ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে শাহরুখ

    সৌদি আরবে ‘ডাঙ্কি’-র শ্যুট শেষ করে মক্কায় গিয়েছিলেন শাহরুখ উমরাহ করতে। সেখান থেকে সোজা পৌঁছে যান সৌদি আরবের রেড সি ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে। সৌদি আরবের রেড সি ইন্টারন্যাশনাল ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল-এর মঞ্চে ভারতীয় সিনেমায় তাঁর অবদানের জন্য শাহরুখ খানকে (Shah Rukh Khan) বিশেষ পুরস্কার দেওয়া হয়। সেখানে তাঁর নাম পুরস্কার প্রাপক হিসাবে ঘোষণা হওয়ার পর চেয়ার থেকে উঠে দাঁড়ান বলিউডের বাদশা। শুক্রবার সারাদিন তাঁর একাধিক ছবি ট্রেন্ড করেছে সোশ্যাল মিডিয়ায়।

    বাদশাকে দেখে মুগ্ধ শ্যারন

    একটি ভিডিও খুব ভাইরাল হয়েছে। যেখানে দেখা যাচ্ছে শাহরুখ পাশে বসে আছেন শুনে একেবারে চমকে উঠেছেন শ্যারন স্টোন। তাঁর সেই চমকে ওঠার দৃশ্য ক্যামেরাবন্দি হতেই ঝড়ের বেগে ভাইরাল সোশ্যাল মিডিয়ায়। শাহরুখ হেসে মাথা নীচু করতেই পাশের সিটে শ্যারনের প্রতিক্রিয়া সকলের নজর কেড়েছে। শাহরুখকে দেখে বিস্ময়ে তাকিয়ে রয়েছেন নায়িকা। এরপর শ্যারন নিজের বুকে হাত রেখে উচ্ছ্বসিত চোখে শাহরুখের দিকে তাকিয়ে বলতে থাকেন, ‘ওহ মাই গড’।

    সেদিন বেইজ রঙের গাউন ও হাতে কালো গ্লাভস পরে এসেছিলেন শ্যারন। এই সুন্দরী অভিনেত্রী যে শাহরুখ খানকে দেখে এমনটা করতে পারেন তা হয়ত ভাবতে পারেনি কেউই। সেদিন শাহরুখের উপস্থিতি উচ্ছ্বসিত করেছে সকল তারকাকে। শাহরুখ ছাড়াও বলিউড থেকে রেড সি ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে হাজির ছিলেন এআর রহমান, কাজল, প্রিয়াঙ্কা চোপড়া। শাহরুখ (Shah Rukh Khan) পরে বক্তৃতাও দিয়েছিলেন সেখানে।

     

  • Sukanta Majumdar: প্রথম সাক্ষাৎ রাজ্যপাল-বিজেপির রাজ্য সভাপতির, শাসকদলের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ করলেন সুকান্ত

    Sukanta Majumdar: প্রথম সাক্ষাৎ রাজ্যপাল-বিজেপির রাজ্য সভাপতির, শাসকদলের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ করলেন সুকান্ত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ডিসেম্বরেই হবে তৃণমূল সরকারের পতন, এমন হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছিল রাজ্য বিজেপির তরফে। প্রথমে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী এবং পরে দলের রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের (Sukanta Majumdar) গলাতেও সেই সুর শোনা গিয়েছে। আজ, বৃহস্পতিবারই শুরু হচ্ছে সেই ডিসেম্বর। আর এদিকে আজই রাজভবনে নতুন রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোসের সঙ্গে প্রথম সাক্ষাৎ করতে গেলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) । আর সূত্রের খবরে জানা গিয়েছে, প্রথমদিনেই তিনি রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে একগুচ্ছ নালিশ নিয়ে হাজির হন। এমনকি রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে অভিযোগে ভরা মোট ৬৩ পাতার নথিও রাজ্যপালের কাছে জমা দিলেন সুকান্ত মজুমদার।

    রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে ৬৩ পাতার নথি পেশ রাজ্যপালের কাছে

    সূত্রের খবর অনুযায়ী, এদিন রাজ্যের বর্তমান অর্থনৈতিক পরিস্থিতি, কৃষি, শিল্পের অবস্থা থেকে আইন-শৃঙ্খলার অবনতি, এককথায় রাজ্যের পরিস্থিতি নিয়ে একাধিক অভিযোগ রাজ্যপালের কাছে তুলে ধরেছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি (Sukanta Majumdar) । তিনি এদিন রাজভবন থেকে বেরিয়ে এসে সংবাদমাধ্যমে বলেন, “রাজ্যের বর্তমান পরিস্থিতি রাজ্যপালকে জানানো দরকার। রাজ্যের অর্থনৈতিক অবস্থা ধীরে ধীরে আইসিইউতে চলে যাচ্ছে। সরকারি কর্মীদের ডিএ দিতে পারছে না, রাজ্যে যে সমস্ত সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতাল রয়েছে সেগুলিতে যা যা সুবিধা পাওয়া উচিত সেগুলি মিলছে না। কৃষি, শিল্প বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। কৃষি পরিকাঠামো ভেঙে পড়েছে। এমনকি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কিষাণ যোজনা সহজে চালু করতে দেয়নি। শিল্পকেও ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে। এই সমস্ত কিছু জানিয়ে আমরা ৬৩ পাতার নথি রাজ্যপালের কাছে জমা দিয়েছি।”

    আরও পড়ুন: ‘‘রামে বিশ্বাস নেই, কিন্তু আমাকে গালি দিতে রাবণকে টানে’’, কংগ্রেসকে নিশানা মোদির

    তিনি আরও জানিয়েছেন, আগের রাজ্যপাল থাকাকালীন মমতার সরকার কী কী করেছে, সে বিষয়েও জানানো হয়েছে রাজ্যপালকে। আবার সি ভি আনন্দ বোসের মন্তব্যকে উল্লেখ করে এদিন সুকান্ত মজুমদার বলেন, “রাজ্যপাল বলেছেন, বাংলা সিংহের মত গর্জন করবে। আমি রাজ্যপালের সঙ্গে সহমত। কিন্তু এই সরকার যেভাবে চলছে এটা চলতে থাকলে সেটা হবে না।”

    ফলে প্রথমদিন রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করেই একাধিক অভিযোগ করেন সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। তাই এরপর রাজ্যপালের কী পদক্ষেপ হতে চলেছে, সেদিকে তাকিয়েই রাজ্যবাসী। তবে এর ফলে শাসকদলের অস্বস্তি বাড়ল বলেই মনে করেছে রাজনৈতিক মহল।

  • Suvendu Adhikari: “শীতবস্ত্র বিলির কথাই ছিল না সেদিন”, ‘প্রমাণ’ দিয়ে মমতাকে মিথ্যেবাদী বললেন শুভেন্দু

    Suvendu Adhikari: “শীতবস্ত্র বিলির কথাই ছিল না সেদিন”, ‘প্রমাণ’ দিয়ে মমতাকে মিথ্যেবাদী বললেন শুভেন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মঙ্গলবার হিঙ্গলগঞ্জে সরকারি পরিষেবা প্রদানের অনুষ্ঠানে শীতবস্ত্র না পেয়ে একেবারে হুলুস্থুলু কাণ্ড বেঁধে যায়। শীতবস্ত্র না থাকায় ক্ষুব্ধ হয়ে যান রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। এমনকি জেলা শাসক ও বিডিওকে তীব্র ভর্ত্‍‍সনা করেন তিনি। আর এই কাণ্ড নিয়েই এবারে মুখ্যমন্ত্রীকে তীব্র কটাক্ষ করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। আর সেদিনের সেই ঘটনা নিয়ে মমতা ব্যানার্জিকে ‘মিথ্যেবাদী’ বলে কটাক্ষ করলেন তিনি। শুভেন্দু ট্যুইট করে দাবি করেন, সেদিন শীতবস্ত্র বিতরণের কোনও কর্মসূচিই ছিল না। তিনি মিথ্যে কথা বলেছেন।

    ঠিক কী ঘটেছিল সেদিন?

    গত মঙ্গলবার উত্তর ২৪ পরগনা সফরে গিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রথমদিন হিঙ্গলগঞ্জে সরকারি পরিষেবা প্রদান অনুষ্ঠানে গিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী তিনি। আর সেখানে তিনি ঘোষণা করেন ১৫ হাজার শীতবস্ত্র প্রদান করবেন। কিন্তু তা চাইতেই ঘটল আরেক কাণ্ড। সরকারি আধিকারিকরা জানান, শীতবস্ত্র সেখানে আনা হয়নি। আর তাতেই রেগে যান মুখ্যমন্ত্রী। শীতবস্ত্র কেন সেখানে আনা হয়নি, তা নিয়ে প্রশ্ন করে ক্ষোভ প্রকাশ করেন তিনি। এরপর তিনি জেলাশাসক ও বিডিওকে তীব্র ভর্ত্‍‍সনাও করেন। তিনি মঞ্চ থেকেই বলেন, “পুলিশ একটা অন্যায় করলে দোষটা পরে আমাদের ঘাড়ে। আমরা জানি না। সরকার একটা অন্যায় করলে, গালাগালি খাই আমি। অথচ আমি জানিই না। আমার কোনও দোষ নেই।”

    মমতাকে কটাক্ষ করে ট্যুইট শুভেন্দুর

    আর এরপরেই এই ঘটনাকে নিয়ে সরব হয়েছেন শুভেন্দু। কয়েকটি ট্যুইট করে একটি সরকারি নির্দেশিকার ছবি পোস্ট করেন। আর এটির অনুযায়ী স্পষ্ট নির্দেশ দেওয়া হয়েছে হিঙ্গলগঞ্জের, হাসনাবাদের, মিনাখাঁর, সন্দেশখালি – i ও  সন্দেশখালি – ii এর বিডিও সাহেবদের যে জেলার গোডাউন (মালগুদাম) থেকে এই কম্বল ও শীতবস্ত্র গুলি ২৮ নভেম্বর সংগ্রহ করতে হবে এবং ৩০ নভেম্বর ও ১ ডিসেম্বর নিজের ব্লকের মধ্যে অবস্থিত পঞ্চায়েতগুলিতে বসবাসকারী প্রান্তিক জনগণকে বিলি করতে হবে। আর এটিকে প্রমাণ হিসেবে ধরেই শুভেন্দু মুখ্যমন্ত্রীকে এদিন নিশান করেন।

    এরপর তিনি বলেন, “মুখ্যমন্ত্রীর সভা থেকে শীতবস্ত্র বিতরণের কোনও পরিকল্পনাই ছিল না। মুখ্যমন্ত্রী আচমকা সিদ্ধান্ত বদল করায়, তার বলি হতে হয়েছে ডিএম, বিডিওকে। পঞ্চায়েত ভোটের আগে নিজের গরিব দরদী ভাবমূর্তি তৈরি করার জন্যে মঞ্চে উনি নাটক করেছেন।” তিনি আরও দাবি করেন, সেদিন মঞ্চে দাঁড়িয়ে তিনি নাটক করছিলেন। এছাড়াও বিজেপি মমতাকে খুব শীঘ্রই বিরোধী নেত্রী করবেন বলেও এদিন কটাক্ষ করেন শুভেন্দু।

  • NDTV Takeover: এনডিটিভি ডিরেক্টর পদে ইস্তফা প্রণয়-রাধিকার, সংস্থা ছাড়লেন রবীশও

    NDTV Takeover: এনডিটিভি ডিরেক্টর পদে ইস্তফা প্রণয়-রাধিকার, সংস্থা ছাড়লেন রবীশও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বেসরকারি সংবাদমাধ‌্যম এনডিটিভি (NDTV) ছাড়লেন ব়্যামন ম্যাগসেসে (Ramon Magasaysay) পুরস্কারজয়ী সাংবাদিক রবীশ কুমার। গতকাল, ৩০ নভেম্বর তাঁর ইস্তফার খবর ঘোষণা করা হয়। এর আগের দিন অর্থাৎ ২৯ নভেম্বর নিউ দিল্লি টেলিভিশন (এনডিটিভি)-এর পরিচালন পর্ষদের বোর্ড থেকে ইস্তফা দিয়েছেন প্রণয় রায় ও তাঁর স্ত্রী রাধিকা রায়। এনডিটিভির প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন দু’জনেই। মঙ্গলবার সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির তরফেই একটি বিবৃতি দিয়ে প্রণয় এবং রাধিকার ইস্তফার কথা জানানো হয়েছে স্টক এক্সচেঞ্জকে। রবীশ কুমার গত কয়েক দশক ধরে এনডিটিভির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। রবীশ কি রিপোর্ট, প্রাইম টাইম, হাম লোগ, দেশ কি বাতের মতো জনপ্রিয় অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেছেন তিনি। 

    এনডিটিভির রাশ আদানির হাতে

    এনডিটিভির পরিচালন গোষ্ঠীর নাম আরআরপিআরএইচ। সোমবারই নিজেদের ৯৯.৫ শতাংশ শেয়ার আদানি গ্রুপ অধিকৃত একটি সংস্থার নামে করে দিয়েছিল। এরপর এনডিটিভি-র ২৯.১৮ শতাংশ শেয়ারও অধিগ্রহণ করে গৌতম আদানির মালিকাধীন এএমজি মিডিয়া নেটওয়ার্কস লিমিটেড। পরবর্তীতে ২৬ শতাংশ শেয়ার কেনারও প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। সেক্ষেত্রে এনডিটিভির নিয়ন্ত্রণ চলে আসবে আদানির হাতে। এরপরেই সংস্থা থেকে ইস্তফা দেন প্রণয় রায় ও রাধিকা রায়। আর এবারে সংস্থা ছাড়লেন সাংবাদিক রবীশ কুমারও।

    আরও পড়ুন: রামে বিশ্বাস নেই, কিন্তু আমাকে গালি দিতে রাবণকে টানে, কংগ্রেসকে নিশানা মোদির

    নয়া বোর্ড ডিরেক্টর

    সূত্রের খবর অনুযায়ী, বর্তমানে প্রণয় ও রাধিকার জায়গায় আসতে চলেছেন সুদীপ্ত ভট্টাচার্য, সঞ্জয় পুগলিয়া এবং সেন্থিল সিন্নাইয়া চেঙ্গালভারায়ণ। অর্থাৎ এই তিনজনকে আরআরপিআরএইচ প্রাইভেট লিমিটেড তথা পর্ষদের পরিচালন বোর্ডে ডিরেক্টর হিসেবে নিয়োগ করা হচ্ছে। কে তাঁরা জানুন-

    সুদীপ্ত ভট্টাচার্য

    সুদীপ্ত ভট্টাচার্য আদানি গ্রুপ – উত্তর আমেরিকার সিইও। এছাড়াও তিনি গ্রুপের চিফ টেকনোলজি অফিসার (CTO)। এর আগে তিনি আদানি পোর্টস অ্যান্ড এসইজেড (এপিএসইজেড)-এর সিইও এবং গ্রুপের চিফ স্ট্র্যাটেজি অফিসারের পদে ছিলেন। আদানি গ্রুপে যোগদানের আগে তিনি আরও একটি সংস্থার সিইও পদে ছিলেন।

    সঞ্জয় পুগালিয়া

    সঞ্জয় পুগালিয়া একজন রাজনৈতিক ও ব্যবসায়িক সাংবাদিক। তিনি CNBC-Awaaz-এর প্রতিষ্ঠাতা ও এতে তিনি ১২ বছর ধরে নেতৃত্ব দেন। এর আগে, সংবাদ পরিচালক পদে, জি নিউজের প্রধান এবং আজতকের প্রতিষ্ঠাতা দলের অংশ ছিলেন।

    সেন্থিল চেঙ্গালভারায়ণ

    সেন্থিল চেঙ্গালভারায়ণ, ভারতীয় ব্যবসায়িক সাংবাদিকতার সঙ্গে জড়িত। তাঁর ৩৫ বছরেরও বেশি অভিজ্ঞতা রয়েছে। চেঙ্গালভারায়ণ ছিলেন CNBC TV18-এর প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক এবং তারপর তিনি নেটওয়ার্ক 18-এর বিজনেস নিউজ রুমের এডিটর-ইন-চিফ পদেও ছিলেন।

LinkedIn
Share