Author: নিমাই দে

  • FIFA World Cup: মেসির পায়ে মারাদোনার বুনন, শেষ আটে আর্জেন্টিনা

    FIFA World Cup: মেসির পায়ে মারাদোনার বুনন, শেষ আটে আর্জেন্টিনা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মুখোমুখি আর্জেন্টিনা-অস্ট্রেলিয়া (FIFA World Cup)। টানটান উত্তেজনা। ১০০০ তম ম্যাচ মেসির। আর তাতেই বিশ্বের কাছে ফের সেরা হয়ে উঠলেন লিওনেল মেসি। ২-১ গোলে শেষ আটে জায়গা করে নিল আর্জেন্টিনা। আর অন্যদিকে নিজের ১০০০তম ম্যাচে খেলতে নেমেই করলেন গোল। আর তাতেই ফের দিয়েগো মারাদোনাকে টপকে গেলেন লিওনেল মেসি। আর্জেন্টিনার হয়ে বিশ্বকাপে গোল সংখ্যায় দিয়েগো মারাদোনাকে টপকে গেলেন লিওনেল মেসি। ২১ টি ম্যাচে মারাদোনার গোল সংখ্যা ছিল ৮টি। মেসি ২৩ ম্যাচ খেলে এখন পর্যন্ত করেছেন ৯ টি গোল। বিশ্বকাপের শেষ ষোলোয় অস্ট্রেলিয়াকে ২-১ গোলে হারিয়ে কোয়ার্টার ফাইনালে পৌঁছে গেল আর্জেন্টিনা। মেসি ছাড়াও আর্জেন্টিনার হয়ে আরও একটি গোল করলেন জুলিয়ান আলভারেজ। 

  • NDA: দেশকে রক্ষা করার জন্য ছাড়লেন আইআইটি-র সুযোগ! জানুন গৌরব যাদবের স্বপ্নপূরণের কাহিনী

    NDA: দেশকে রক্ষা করার জন্য ছাড়লেন আইআইটি-র সুযোগ! জানুন গৌরব যাদবের স্বপ্নপূরণের কাহিনী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মানুষ তাঁর স্বপ্ন পূরণ করার জন্য কত কিছুই না করতে পারে। আর তারই এক জ্বলজ্যান্ত উদাহরণ হল গৌরব যাদব। ছোট থেকেই স্বপ্ন ভারতীয় সেনাবাহিনীতে যোগদান করার। দেশকে রক্ষা করার তীব্র বাসনার জন্য আইআইটির সুযোগও ছেড়ে দিলেন তিনি ও এমনকি বাড়িতেও বললেন মিথ্যা! তিনি ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজির (আইআইটি) এন্ট্রাস পরীক্ষায় পাশ করেও লুকিয়ে রেখেছিলেন পরিবারের থেকে। আর আজ শেষপর্যন্ত সশস্ত্র বাহিনীতে যোগ দিয়ে নিজের স্বপ্নপূরণ করলেন কৃষক পরিবারের ছেলে গৌরব যাদব। দীর্ঘ লড়াইয়ের পরে অবশেষে এনডিএ (NDA) থেকে পাশ করলেন তিনি, তাও একেবারে সোনার মেডেল পেয়ে।

    গৌরবের স্বপ্নপূরণ…

    সূত্রের খবর অনুযায়ী, রাজস্থানের আলওয়ার জেলার জাজোর-বাস গ্রামের কৃষক পরিবারের ছেলে গৌরব। ছেলেবেলা থেকেই পড়াশোনায় অত্যন্ত ভালো ছিলেন। হরিয়ানার রেওয়ারির কেরল পাবলিক স্কুল থেকে দশম শ্রেণিতে এ+ গ্রেড নিয়ে উত্তীর্ণ হয়েছিলেন। দ্বাদশ শ্রেণির বোর্ড পরীক্ষায় ৯৬ শতাংশ নম্বর পেয়েছিলেন। তারপর দেশের অন্যতম সেরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আইআইটির এন্ট্রাস পরীক্ষায় পাশ করেছিলেন। কিন্তু তাঁর স্বপ্ন ছিল দেশকে রক্ষা করা।

    আরও পড়ুন: আইপিএলের মিনি নিলামে ৯৯১ জন ক্রিকেটারের নাম নথিভুক্ত 

    তাই তিনি বাড়িতে আইআইটি-এ পাশ করার বিষয়টি লুকিয়ে যান ও প্রস্তুতি নিতে শুরু করেন এনডিএ-র (NDA) এন্ট্রাস পরীক্ষার জন্য। প্রথম দু’বার এনডিএয়ের এন্ট্রাস পরীক্ষায় পাশ করেছিলেন গৌরব। কিন্তু স্বপ্ন আটকে গিয়েছিল এসএসবি-এর ইন্টারভিউয়ে। কিন্তু তৃতীয়বারে সেই ধাপ পেরিয়ে নিজের স্বপ্নপূরণের পথে আরও এক ধাপ এগিয়ে গেল। ফলে শেষ পর্যন্ত অ্যাকাডেমির সেরা ছাত্র হিসাবে পাশ করলেন তিনি। রাষ্ট্রপতির সোনার পদক পেয়ে এবার সেনাবাহিনীতে যোগ দেবেন তিনি।

    গৌরবের এই জীবনকাহিনী থেকেই বোঝা যায়, চেষ্টা থাকলে তাঁকে তাঁর লক্ষ্যপূরণ থেকে কেউ আটকাতে পারবে না। গৌরবের এই স্বপ্নপূরণের দিনে তাঁর পরিবারের সদস্য বাবা-মা প্রত্যেকই তাঁর জন্য গর্বিত। তাঁদেরও দৃঢ়বিশ্বাস ছিল যে, তাঁদের ছেলে একদিন জীবনে সফল হবেই।

    আরও পড়ুন: ড্রোন শিকারে চিল! ভারতীয় সেনাবাহিনীতে প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে ‘অর্জুন’ নামক পাখিকে 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Allahabad High Court: কিউআর কোড স্ক্যান করে নেওয়া হচ্ছে ‘ঘুষ’! সাসপেন্ড হাইকোর্টের কর্মী

    Allahabad High Court: কিউআর কোড স্ক্যান করে নেওয়া হচ্ছে ‘ঘুষ’! সাসপেন্ড হাইকোর্টের কর্মী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইউপিআই কোড স্ক্যান করে টাকা দেওয়াটা এখন স্বাভাবিক হয়ে গিয়েছে, এমনটা বলা যেতেই পারে। তবে এবারে এই কিউআর কোড স্ক্যান করেই ‘বকশিস’ বা ‘ঘুষ’ নেওয়ার অভিযোগ উঠল এক আদালত কর্মীর বিরুদ্ধে। এককথায় বলতে গেলে ঘুষ নেওয়ার আধুনিক পদ্ধতি হল এটি। তবে এই খবর জানাজানি হতেই ওই কর্মীর বিরুদ্ধে বড় পদক্ষেপ নিলেন হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি। সাসপেন্ড করা হল তাঁকে।

    ঠিক কী ঘটেছে?

    সম্প্রতি, সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হচ্ছে একটি ছবি। সূত্রের খবর অনুযায়ী, ভাইরাল ছবিটি এলাহাবাদ হাইকোর্টের। আর এই ছবিতে দেখা যায়, আদালত কক্ষের ভেতরেই আদালত কর্মীর ইউনিফর্মের উপরে কোমরের দিকে সাঁটানো পেটিএম-এর কিউআর কোড। আর সেই কিউআর কোড স্ক্যান করে অনেক আইনজীবীকেও দেখা গেল টাকা দিতে। আর এই খবর ছড়িয়ে পড়তেই ওই কর্মীকে গতকাল সাসপেন্ড করলেন প্রধান বিচারপতি রাজেশ বিন্দাল।

    আরও পড়ুন: ভাঙড়ে বোমা কারখানার হদিশ, তৃণমূল না আইএসএফ কারা বানাত?

    জানা গিয়েছে, এলাহাবাদ হাইকোর্টের এই কর্মচারীর নাম রাজেন্দ্র কুমার। কিউআর কোড স্ক্যান করে ঘুষ নেওয়ার ছবি ভাইরাল হতেই তুঙ্গে বিতর্ক। এরপর ভিডিও প্রকাশ্যে আসতেই সঙ্গে সঙ্গে পদক্ষেপ নেন হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি রাজেশ বিন্দাল। ওই কর্মচারীকে সাসপেনশনের নোটিশ দিয়েছেন তিনি। এছাড়াও অভিযুক্ত কর্মীকে জানানো হয়েছে, সাসপেন্ড অবস্থায় তাঁকে হাইকোর্টের অ্যাকাউন্স ডিপার্টমেন্টের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতে হবে। আবার পরবর্তী নির্দেশ না আসা পর্যন্ত প্রয়াগরাজ ছাড়তেও পারবেন না তিনি।

    এলাহাবাদ হাইকোর্ট সূত্রে জানা গিয়েছে, চলতি বছরের ২৯ নভেম্বর এই বিষয়টি প্রধান বিচারপতির নজরে এসেছিল। হাইকোর্টের বিচারপতি অজিত কুমার পুরো ঘটনার কথা জানিয়ে চিঠি লেখেন প্রধান বিচারপতি রাজেশ বিন্দালকে। এরপরেই গোটা বিষয়টি খতিয়ে দেখে ওই অভিযুক্ত কর্মীর বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেন ও তাঁকে সাসপেন্ড করেন।

    সরকারি দফতরে ঘুষ দেওয়া-নেওয়া আটকাতে বিভিন্ন ব্যবস্থা নেওয়া হয়। কিন্তু তারপরেও ঘুষ আটকানো যায় না। নিত্যনতুন পদ্ধতিতে ঘুষ দেওয়া-নেওয়া চলতেই থাকে। এবার তারই প্রমাণ মিলল এই এলাহাবাদ হাইকোর্টে। তবে কেন তিনি অনলাইন ঘুষ নেওয়ার কথা ভাবলেন, এই নিয়েও জোর আলোচনা শুরু হয়েছে। অনেকে মনে করেছেন, নগদ টাকা ঘুষ হিসেবে নিলে সম্ভবত ধরা পড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে, তাই হয়ত তিনি এই অভিনব পন্থায় ঘুষ নেওয়ার চেষ্টা করছিলেন। কিন্তু তাতেও লাভ হল না। শেষে বিচারপতির নজরে এসেই গেল তাঁর ‘বকশিস’ বা ‘ঘুষ’ নেওয়ার অভিনব পন্থা।

  • Suvendu Adhikari: প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার নাম পাল্টে ‘আবাস প্লাস’! ফের মুখ্যমন্ত্রীকে তুলোধনা শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার নাম পাল্টে ‘আবাস প্লাস’! ফের মুখ্যমন্ত্রীকে তুলোধনা শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ আসার পরেও ৮ মাস পর প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় (PM Awas Yojana) রাজ্যকে ৮ হাজার ২০০ কোটি টাকা বরাদ্দ কেন্দ্র। কিন্তু এরপরও ফের প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা নিয়ে নাম বদলের অভিযোগ আনলেন রাজ্যের বিরোধী নেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। এর আগেও প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার টাকা নিয়ে একাধিক অভিযোগ উঠেছে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে। এই প্রকল্পের ফের নাম পরিবর্তনের বিস্ফোরক দাবি করে এবারে সোশ্যাল মিডিয়া ট্যুইটারে সরব হলেন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)।

    আবাস যোজনা নিয়ে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে ফের অভিযোগ শুভেন্দুর…

    তিনি (Suvendu Adhikari) এক পোস্টার শেয়ার করেছেন, যেখান দেখা যাচ্ছে, প্রকল্পের নতুন নামকরণ করা হয়েছে – “আবাস প্লাস প্রকল্প”। তাঁর অভিযোগ অনুযায়ী, এবারে প্রকল্পে “প্রধানমন্ত্রী” আর “বাংলা” দুই শব্দই বাদ। আর সেখানে যাচ্ছে লেখা আবাস প্লাস প্রকল্প। সঙ্গে রয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর ছবিও। শুধু এখানেই থেমে নেই তিনি, তিনি এই পোস্টারের সঙ্গে একাধিক শর্তের কথা উল্লেখ করে লিখেছেন,

    “ মাননীয় যশস্বী প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদিজির স্বপ্নের প্রকল্প – প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা (গ্রামীণ) বাস্তবায়িত করতে কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রক উদ্যত হন একটাই মহৎ উদ্দেশ্যে; যাতে গ্রামীণ এলাকায় বসবাসকারী সব গরীব ও প্রান্তিক মানুষের মাথার ওপর পাকা ছাদের ব্যবস্থা করে দেওয়া যায়।

    কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা ২০২৪ সালের মার্চ মাস অবধি সারা দেশে এই প্রকল্পে মোট ২ কোটি ৯৫ লক্ষ বাড়ি নির্মাণের লক্ষ্যমাত্রা স্থির করেছেন। উক্ত প্রকল্পের অধীনে ইতিপূর্বে রাজ্য সরকারকে নতুন লক্ষ্যমাত্রা অনুমোদন করা হয়নি কারণ এই প্রকল্প  রূপায়ণের ক্ষেত্রে পশ্চিমবঙ্গে বিভিন্ন অভিযোগ ও অসন্তোষজনক তথ্য জমা পড়ে এবং নিয়ম বহির্ভূতভাবে প্রকল্পের নাম বদলে “বাংলা আবাস যোজনা” করা হয়।

    পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যসচিব কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রককে আশ্বস্ত করেছেন যে কেন্দ্রীয় মন্ত্রালয়ের নির্দেশাবলী ও পরামর্শ অনুযায়ী রাজ্য জুড়ে প্রকল্পের সরকারি নাম তথা “প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা (গ্রামীণ)” ও লোগো প্রদর্শিত হবে। কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রক তাই পশ্চিমবঙ্গকে ২০২২-২৩ অর্থবর্ষের জন্য ১১,৩৬,৪৮৮ টি বাড়ি নির্মাণ করার অনুমোদন প্রদান করেছেন ও এই জন্যে ৮২০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছেন।

    তবে বেশ কয়েকটি নিয়ম ও শর্ত মেনে চলতে হবে রাজ্য সরকারকে-

    ১) সমস্ত কেন্দ্রীয় প্রকল্পের মূল বৈশিষ্ট্য হল প্রকল্পের নাম ও লোগো। তাই প্রকল্পের আসল নাম; “প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা (গ্রামীণ)” ও লোগো, জনগণকে অবগত করানোর জন্য প্রকল্পের তথ্য সহ সাইনবোর্ডে প্রদর্শন করতে হবে। কেন্দ্রীয় গাইডলাইন অনুসারে এই প্রকল্পের মাধ্যমে নির্মিত প্রতিটি বাড়িতেই তা লাগাতে হবে। অন্য কোনো নাম, লোগো বা ব্রান্ডিং এই সকল বাড়িতে লাগানো যাবে না।

    ২) রাজ্য সরকার সমস্ত জেলার জেলাশাসকদের ও সংশ্লিষ্ট আধিকারিকদের যেন নির্দেশ জারি করেন, যে শুধুমাত্র সরকারি নিয়ম মেনে “প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা (গ্রামীণ)” প্রকল্পের যথাযথ রূপায়ণ করতে হবে এবং পার্মানেন্ট ওয়েটিং লিস্ট এর মধ্যে থেকেই উপভোক্তাদের নাম নির্বাচন/চয়ন করতে হবে। গ্রাম পঞ্চায়েত অফিসের ভবনগুলোতে পার্মানেন্ট ওয়েটিং লিস্টে থাকা উপভোক্তাদের নামের তালিকা টাঙানো থাকবে, কোনোরকম কোন বিচ্যুতি ঘটলে তা সংশোধনের জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। শুধুমাত্র গরীব ও দুঃস্থদের জন্য এই প্রকল্প। চার চাকা গাড়ির মালিক অথবা বাড়িতে ‘এয়ার কন্ডিশনার’ মেশিন রয়েছে তাদের জন্য এই প্রকল্প নয়। অথবা আগে থেকেই পাকা বাড়ি রয়েছে কিন্তু বাড়তি জমি খালি পড়ে রয়েছে, তাই সখ করে বানিয়ে ফেলবো, তারাও যেনো এই প্রকল্পের উপভক্তাদের তালিকায় না আসে।

    ৩) প্রকল্পের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ শর্তাবলী হল যে এই প্রকল্পের অন্ততপক্ষে ৬০% উপভক্তা যেন তপশীলি জাতি ও উপজাতি জনগোষ্ঠীর ব্যক্তিরা হন।

    ৪) যেহেতু ২০২৪ সালের মার্চের মধ্যে এই প্রকল্পের কাজ শেষ হবে, তাই ২০২২ সালের ডিসেম্বর মাসের ২৫ তারিখের মধ্যে উপভোক্তাদের বাড়ি নির্মাণের অনুমোদন দিতে হবে এবং যত দ্রুত সম্ভব প্রথম কিস্তির টাকা উপভোক্তাদের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে জমা করতে হবে।

    ৫) বাড়ির অনুমোদন এবং বাড়ি বানানোর জন্য অর্থ প্রদান করা, নির্দিষ্ট সময় মেনে করতে হবে। যদি রাজ্য সরকার উপভোক্তাদের নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যে বাড়ির অনুমোদন দিতে এবং প্রথম কিস্তির টাকা ছাড়তে ব্যর্থ হয়, কেন্দ্র পশ্চিমবঙ্গকে দেওয়া বাড়ি নির্মাণের লক্ষ্যমাত্রা প্রত্যাহার করে নেবে।

    ৬)”প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা (গ্রামীণ)” প্রকল্পের জন্য নির্ধারিত “সিঙ্গেল নোডাল অ্যাকাউন্ট” এ কেন্দ্র ও রাজ্যের আনুপাতিক হারের অর্থ যথাযথ সময়মতো একসাথে ট্রেজারি থেকে জমা দিতে হবে।

    ৭) কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রকের গাইড লাইন অনুযায়ী Area Officers Mobile অ্যাপের মাধ্যমে বিভিন্ন আধিকারিকদের দিয়ে যথাযথ ভাবে পরিদর্শন ও পর্যবেক্ষণ করাতে হবে।

    ৮) কোনোরকম দুর্নীতি বা আর্থিক লেনদেনের ব্যাপারে যেনো রাজ্যে, “জিরো টলারেন্স” নীতি গ্রহণ করে। সমস্ত জেলার সিনিয়ার অফিসার ও ইঞ্জিনিয়ারদের নিয়ে ‘স্পেশাল টিম’ গঠন করতে হবে, যাতে এই ধরনের অভিযোগ উঠলে তা যথাযথ ভাবে যাচাই করা হয় এবং সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হলে উপযুক্ত আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়।

    ৯) প্রতিটি ব্লক/গ্রাম পঞ্চায়েতের উপভোক্তাদের, তাঁদের অধিকার সম্বন্ধে সচেতন করাতে “উপভোক্তা সচেতনতা শিবির” অনুষ্ঠিত করতে হবে।

    ১০) রাজ্য সরকার যেন নির্দেশ জারি করে যে, অন্তত পক্ষে ১৫% নির্মিত বাড়ি ব্লক ও পঞ্চায়েত স্তরের আধিকারিকদের দিয়ে এবং নূন্যতম ২% বাড়ি জেলা শাসক এর দফতরের সিনিয়র আধিকারিকদের দিয়ে যথাযথ পরিদর্শনের ব্যবস্থা করতে হবে। এর থেকে সুনিশ্চিত করা যাবে যে বাড়ি গুলো নিয়ম মেনে তৈরি হচ্ছে।

    ১১) প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা (গ্রামীণ) -এর বাস্তবায়নের জন্য যে কাঠামো কেন্দ্রীয় সরকার তৈরি করেছেন তা রাজ্য সরকারকে বিচক্ষণতার সাথে মেনে চলতে হবে ও সঠিক সময়ে নির্মিত বাড়ি গুলির সামাজিক নিরীক্ষণ করতে হবে।

    ১২) রাজ্যের সমস্ত জেলা, ব্লক ও গ্রাম পঞ্চয়েত গুলিকে প্রয়োজনীয় নির্দেশাবলী জারি করতে হবে যাতে AwasSoft এর ব্যবহার বিধি অনুসারে লক্ষ্যমাত্রা স্থির করে যত জলদি সম্ভব এই বাড়ি গুলি অনুমোদন করতে হবে এবং সময়মত বাড়িগুলোর নির্মাণ কার্য শেষ করতে হবে অর্থাৎ ২০২৪ সালের মার্চ মাসের মধ্যে। ত্রৈমাসিক সময়কালীন লক্ষ্যমাত্রা স্থির করতে হবে এবং সেই অনুযায়ী কর্ম পরিকল্পনা বানিয়ে বাড়িগুলোর নির্মাণ কার্য শেষ করতে যাতে ১০০% লক্ষ্য পূরণ করা যায় নির্ধারিত সময়ের মধ্যে।

    আমার দৃঢ় বিশ্বাস যে এই রাজ্য সরকার, বিশেষ করে নিচুতলার আধিকারিক ও গ্রাম স্তরের তৃণমূলের নেতারা এত নিয়মের বেড়া জালের মধ্যে আটকে থাকবেন না, কারণ এরা কেন্দ্রীয় প্রকল্পের টাকা লুঠ করতে সিদ্ধহস্ত ও অভ্যস্ত।

    ইতিমধ্যেই আমার এই আশঙ্কার প্রতিফলন চোখে পড়ছে। নিম্ন প্রকাশিত পোস্টারটি শাসকদলের নিযুক্ত একটি কর্পোরেট সংস্থার মাধ্যমে বিতরণ ও প্রচার করানো হচ্ছে, যেখানে প্রকল্পের নতুন নামকরণ করা হয়েছে – “আবাস প্লাস প্রকল্প” !!!

    তাই আমি সকল সচেতন নাগরিক ও প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা (গ্রামীণ) প্রকল্পের উপভোক্তাদের আহ্বান জানাই যে নিজেরাই সতর্ক থাকুন। কোনওরকম বেচাল অথবা নিয়ম বহির্ভূত কাজ চোখে পড়লে তথ্য প্রমাণ (যতটা জোগাড় করতে পারেন) সহ কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রকের এই ইমেল আইডিগুলিতে অভিযোগগুলো ইমেল মারফত পাঠান:-min-mopr@gov.inofficeministerahdf@gmail.comআপনারা আমার ইমেল আইডি তেও ইমেল পাঠাতে পারেন। আমার ইমেল আইডি হলো :-adhikarisuvenduwb1@gmail.com আপনাদের পাঠানো অভিযোগ সঠিক জায়গায় পৌঁছে দেওয়ার দায়িত্ব আমার রইল।”

  • Delhi Murder: ‘ফাঁসি হলেও আফসোস নেই, জন্নতে…’, পলিগ্রাফ টেস্টে কী বলল আফতাব?

    Delhi Murder: ‘ফাঁসি হলেও আফসোস নেই, জন্নতে…’, পলিগ্রাফ টেস্টে কী বলল আফতাব?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শ্রদ্ধা ওয়ালকর হত্যাকাণ্ডের তদন্তে নেমে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে আসছে পুলিশের হাতে (Delhi Murder)। শ্রদ্ধাকে নৃশংসভাবে খুনের দায়ে বর্তমানে জেলবন্দী আফতাব। এরমধ্যেই তার পলিগ্রাফ টেস্ট করা হয়েছে। প্রায় ৯ ঘণ্টা ধরে পলিগ্রাফ টেস্ট চলাকালীন তাকে প্রায় ৪০টির মত প্রশ্ন করা হয়। আর প্রশ্নের উত্তরে যা যা উত্তর দিয়েছে, তা জানলে আপনার গা শিউরে উঠবে। আফতাব জানিয়েছে, ফাঁসিতে টাঙানো হলেও নাকি তার কোনও আফসোস থাকবে না, বরং সে জন্নতের হুর পাবে। আরও এমন এমন দাবি করেছে, যা শুনলে আপনি চমকে উঠবেন।

    শ্রদ্ধাকে খুন করে ‘জন্নত হাসিল’

    পলিগ্রাফ টেস্ট চলাকালীন শ্রদ্ধাকে খুন করার (Delhi Murder) বিষয়ে জিজ্ঞেস করা হলে সে বলেছে, ‘ফাঁসি হলেও আফসোস নেই, জন্নতে হুর পাব।’  সে আরও জানিয়েছে, শ্রদ্ধার খুনে তাকে ফাঁসির সাজা দিলেও তাতে সে দুঃখিত হবে না, বরং সে যখন জন্নতে প্রবেশ করবে, তখন তাকে নায়ক হিসাবে স্মরণ করা হবে।

    আরও পড়ুন: আফতাবের উপর হামলা! ধৃত ২ জনকে ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ

    পলিগ্রাফ টেস্ট আর কী কী বলল?

    আফতাব পুলিশের কাছে স্বীকার করেছে, সে শ্রদ্ধার সঙ্গে সম্পর্কে থাকাকালীন ২০টিরও বেশি হিন্দু মেয়ের সঙ্গে সম্পর্কে ছিল। হিন্দু মহিলাদের টার্গেট করতে এবং তাদের ফাঁদে ফেলার জন্য বাম্বল (Bumble) অ্যাপ ব্যবহার করত সে। শ্রদ্ধাকে খুনের পর আফতাব তার অ্যাপার্টমেন্টে একজন সাইকোলজিস্টকেও নিয়ে এসেছিল। তিনিও হিন্দু নারী ছিলেন। আফতাব আরও জানিয়েছে, তাঁকে একটি আংটিও দিয়েছিল, যেটি শ্রদ্ধারই ছিল (Delhi Murder)। আফতাব আরও বলেছে, শ্রদ্ধাকে খুন করে দেহ টুকরো টুকরো করতে তার একটুও খারাপ লাগেনি। তার পরিকল্পনা ছিল মুম্বইতেই শ্রদ্ধাকে খুন করে কেটে ফেলা (Delhi Murder)।

    এই নিয়ে মোট তিনবার পলিগ্রাফ টেস্ট করা হয়েছে আফতাবের। কিন্তু সূত্রের খবর অনুযায়ী জানা গিয়েছে, আরও একবার ধৃতের পলিগ্রাফ টেস্ট করাতে চায় তদন্তকারীরা। তদন্তকারীদের দাবি, পলিগ্রাফ টেস্টের সময় আফতাব এমন কিছু সত্যি সামনে এনেছে যা তদন্তের গতি বাড়িয়ে দিয়েছে। তার কাছ থেকে পাওয়া তথ্য অনেকটাই সাহায্য করছে। উল্লেখ্য, দিল্লির একটি আদালত পুলিশকে পাঁচ দিনের মধ্যে নারকো টেস্ট শেষ করার নির্দেশ দিয়েছে। ফলে এই পরীক্ষার পরে আর কী কী তথ্য বেরিয়ে আসে, তারই অপেক্ষায় দেশবাসী। 

  • WhatsApp: হোয়াটসঅ্যাপ স্টেটাসে দেওয়া যাবে ‘ভয়েস নোট’! কবে আসবে এই নয়া ফিচার?

    WhatsApp: হোয়াটসঅ্যাপ স্টেটাসে দেওয়া যাবে ‘ভয়েস নোট’! কবে আসবে এই নয়া ফিচার?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হোয়াটসঅ্যাপে (WhatsApp) খুব শীঘ্রই একটি মজাদার ফিচার আসতে চলেছে। যার ফলে আপনি আপনার হোয়াটসঅ্যাপের স্টেটাসেও দিতে পারবেন ভয়েস নোট। ইউজারদের সুবিধায় হোয়াটসঅ্যাপ (Whatsapp) কর্তৃপক্ষ প্রায়ই নতুন নতুন ফিচার লঞ্চ করে। এবার তারা এমন একটি ফিচার নিয়ে পরীক্ষা নিরীক্ষা শুরু করেছে যার সাহায্যে ইউজাররা হোয়াটসঅ্যাপ স্টেটাসে (Whatsapp Status) ভয়েস রেকর্ড (Voice Note) শেয়ার  করতে পারবেন।

    হোয়াটসঅ্যাপ স্টেটাসে ভয়েস নোট…

    বর্তমানে ইউজাররা হোয়াটসঅ্যাপের (WhatsApp) স্টেটাসে ২৪ ঘণ্টার জন্য ছবি বা ভিডিও শেয়ার করতে পারেন। তবে নতুন ফিচার চালু হয়ে গেলে আগামী দিনে ইজাররা হোয়াটসঅ্যাপ স্টেটাসে ভয়েস নোটও শেয়ার করতে পারবেন। আর মনে করা হচ্ছে, এটি খুব শীঘ্রই আসতে চলেছে হোয়াটসঅ্যাপে। বিটা ভার্সানে আপাতত ৩০ সেকেন্ড পর্যন্ত ভয়েস রেকর্ড স্টেটাসে অ্যাড করা যাচ্ছে। এই বিষয়ে ট্যুইটও করেছে WABetaInfo। WABetaInfo-এর রিপোর্টে বলা হয়েছে যে, নতুন বৈশিষ্ট্যটি ইতিমধ্যে আইওএস বিটা ভার্সনে দেখা গেছে। অর্থাৎ হোয়াটসঅ্যাপ (WhatsApp) কর্তৃপক্ষ এই ফিচারের টেস্টিং শুরু করেছে আইওএস বিটা ভার্সনে। আবার হোয়াটসঅ্যাপের অ্যান্ড্রয়েড ভার্সনের ক্ষেত্রেও এই ফিচার নিয়ে কাজকর্ম চলছে। ফলে খুব শীঘ্রই ফাইনাল ভার্সনে আসতে পারে এই ভয়েস স্টেটাসের সুবিধা।

    আরও পড়ুন: একই অ্যাকাউন্ট দুটি ফোনে ব্যবহার করার সুবিধা পাবেন হোয়াটসঅ্যাপে, আসছে নয়া ফিচার ‘কম্প্যানিয়ন মোড’

    কীভাবে স্টেটাসে দেবেন ভয়েস নোট?

    WABetaInfo বিটা ভার্সনে স্টেটাসের একটি স্ক্রিনশট শেয়ার করেছে। তাতে দেখা যাচ্ছে, টাইপ করার স্থানের ডানদিকে একটি নীল মাইক্রোফোন চিহ্ন রয়েছে। অর্থাৎ তাতে ট্যাপ করেই এই ভয়েস রেকর্ড স্টেটাসে দেওয়া যাবে। তবে জানা গিয়েছে, স্টেটাসে ৩০ সেকেন্ড পর্যন্ত ভয়েস নোট শেয়ারের সুযোগ পাবেন ইউজাররা। তার সঙ্গে আবার আপনারা টেক্সটও অ্যাড করার সুযোগ পাবেন।   

    তবে হোয়াটসঅ্যাপের (WhatsApp) অ্যান্ড্রয়েড এবং আইওএস ভার্সনে সমস্ত ইউজারদের জন্য কবে এই ফিচার চালু হবে তা এখনও নিশ্চিত ভাবে জানা যায়নি। তবে অনুমান করা হচ্ছে, এই ফিচার চালু হতে হয়ত আর বেশি দেরি নেই।

    আরও পড়ুন: ভিডিও কলে একসঙ্গে ৩২ জন, গ্রুপে হাজারের বেশি লোক দেখুন হোয়াইসঅ্যাপের নতুন ফিচার

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • CAA: রাজ্যে সিএএ কার্যকর হবেই, হুঙ্কার শুভেন্দু-মিঠুন-নিশীথের

    CAA: রাজ্যে সিএএ কার্যকর হবেই, হুঙ্কার শুভেন্দু-মিঠুন-নিশীথের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সামনেই পঞ্চায়েত নির্বাচন। ফলে রাজ্যজুড়ে প্রচার করছে গেরুয়া শিবির। পঞ্চায়েত ভোটের প্রচারে বীরভূমে পৌঁছে গিয়েছেন ‘মহাগুরু’ মিঠুন চক্রবর্তী। প্রচারে বেরিয়ে গেরুয়া শিবির ফের সিএএ (CAA) ইস্যু নিয়ে সুর চড়িয়েছেন। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর পাশাপাশি গতকাল মহাগুরুকেও সিএএ নিয়ে সরব হতে দেখা গেল। সিএএ পশ্চিমবঙ্গ সহ সারা দেশেই লাগু হবে বলে হুঙ্কার দিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিক। শুধু নিশীথ নন, এক কথা বার বার শোনা গিয়েছে আরও কেন্দ্রীয় মন্ত্রীদের কথায়, যাঁর অন্যতম হলেন শান্তনু ঠাকুর।

    কী বললেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা?

    শনিবার শুভেন্দু অধিকারী ভোটের প্রচারে পৌঁছে গিয়েছিলেন উত্তর ২৪ পরগনার মতুয়া অধ্যুষিত ঠাকুরনগরে। সেখানে গিয়ে তিনিও সিএএ (CAA) নিয়ে বলেন যে, রাজ্যে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন কার্যকর হবেই। তিনি মুখ্যমন্ত্রীকে চ্যালেঞ্জ করে বললেন, “সাহস থাকলে সিএএ চালু করা আটকান।” তিনি সভায় মতুয়াদের উদ্দেশে বলেন, “মতুয়া সম্প্রদায়ের সদস্যদেরও নাগরিকত্ব দেওয়া হবে। মতুয়ারা হলেন রাজনৈতিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ সম্প্রদায়, যাঁরা বিজেপি এবং তৃণমূল দুই শিবিরে বিভক্ত।” তিনি দাবি করেন, এই আইন কারোরই নাগরিকত্ব কেড়ে নেবে না। আর এরপরেই একই কথা রবিবার বলতে শোনা গেল মিঠুন চক্রবর্তীকেও।

    আরও পড়ুন:‘মুখ্যমন্ত্রী বিজেপির কাছে সারেন্ডার করেছেন’, বললেন সুকান্তও

    পঞ্চায়েত ভোটের প্রচারে গিয়ে কী বললেন মহাগুরু?

    তিনি গতকাল বলেন, ‘দেখি না, কে আপনাকে তাড়ায়! যদি হয়, আমি দাঁড়াব আপনার পাশে’। ভোটের মুখে তিনি রাজ্যবাসীকে এই বলেই আশ্বস্ত করলেন। তাঁর আক্ষেপ, ‘৭৫ বছর ধরে মুসলিম ভাইবোনদের এটাই বোঝানো হচ্ছে যে, তোমাদের বের করে দেবে! মুসলিম ভাইবোনদের কোনও উন্নতি হল না, সবাইকে ভয়েই রেখে দিলেন’। তিনি আরও দাবি করেছেন, রাজ্য সরকার সিএএ (CAA) নিয়ে জনগণকে ভয় দেখানোর চেষ্টা করছে। যাদের কাছে রিয়েল ভোটার কার্ড, আধার কার্ড আছে, তাঁদের কাউকেই এ দেশ থেকে তাড়ানো হবে না। এটাই তাঁদের ঘর, এর মালিকানা তাঁদের। তিনি আরও দাবি করেছেন, পঞ্চায়েত ভোটে যদি ফেয়ার ইলেকশন হয় তো গ্যারান্টি বিজেপি আসছে।

    কেন্দ্রীয় মন্ত্রীদেরও একই কথা…

    সিএএ (CAA) নিয়ে ফের বলতে শোনা গেল নিশীথ প্রামাণিক ও শান্তনু ঠাকুরকে। অনেক আগেই নিশীথ প্রামাণিককে সিএএ নিয়ে সরব হতে দেখা গিয়েছে। ফের তিনি ভোটের মুখে একই সুর চড়িয়েছেন। খুব শীঘ্রই পশ্চিমবঙ্গ-সহ সারা দেশে সিএএ কার্যকর হবে। কেউ আটকাতে পারবে না। হুঙ্কার স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিকের। তিনি আরও বলেন, ‘কারও নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়ার জন্য এই আইন নয়।’ আবার সিএএ নিয়ে বলেছেন শান্তনু ঠাকুরও। তিনি দাবি করেন, রাজ্য সরকার সিএএ নিয়ে সমাজের মানুষদের ভুল বার্তা দিচ্ছে। সিএএ তাঁদের অধিকার। সংবিধানে যখন সেটা পাশ হয়ে গেছে, তখন কারও অধিকার নেই এভাবে প্রকাশ্যে সেই সংবিধানের বিরুদ্ধে কথা বলা। এই একই দাবি নিয়ে বলেছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অর্জুন মেঘাওয়াল। ঠাকুরনগরে এসে মতুয়াদের নাগরিকত্ব নিয়ে আশ্বাস দিয়েছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর পাশাপাশি এখন  রাজ্য বিজেপি নেতা ও বিধায়কদের মুখেও একই দাবি শোনা যাচ্ছে বার বার।

  • Bappi Lahiri: লতা মঙ্গেশকরের কোলের শিশুটিকে চিনতে পারছেন? আজ তাঁরই ৭০ তম জন্মবার্ষিকী

    Bappi Lahiri: লতা মঙ্গেশকরের কোলের শিশুটিকে চিনতে পারছেন? আজ তাঁরই ৭০ তম জন্মবার্ষিকী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চলতি বছর চিরঘুমের দেশে পাড়ি দিয়েছেন সঙ্গীত জগতের একাধিক নক্ষত্র। বলা চলে, ২০২২ সাল বিনোদন জগতে একের পর এক দুঃখের সংবাদ এনেছে। কারণ এই বছরেই আমরা হারিয়েছি ‘কোকিলকন্ঠী’ লতা মঙ্গেশকর, ‘গীতশ্রী’ সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায় এবং ‘ডিস্কো কিং’ বাপ্পি লাহিড়িকে (Bappi Lahiri)। তিন শিল্পীর মৃত্যুতেই শোকের ছায়া পড়ে যায় কলকাতা সহ পুরো দেশে।

    বাপ্পি লাহিড়ির জন্মবার্ষিকী

    আর আজ সেই ডিস্কো কিং বাপ্পি লাহিড়ির (Bappi Lahiri) ৭০ তম জন্মবার্ষিকী। চলতি বছরের শুরুতেই প্রয়াত হয়েছেন বাপ্পি লাহিড়ি। যাঁকে এককথায় বলা চলে, ভারতে ডিস্কো সঙ্গীতের পথপ্রদর্শক। তবে আপনি জানেন কি বাপ্পি লাহিড়িকে ডিস্কো গানের জন্য চেনা হলেও, তাঁর (Bappi Lahiri) এক অন্য দিকও ছিল, যেখানে তিনি এই ডিস্কো গান ছাড়াও অন্য ধরণের গানেরও সুর দিতেন, আর এই ধরণের গানেরই বড় অনুরাগী ছিলেন স্বয়ং লতা মঙ্গেশকর।

    আরও পড়ুন: চিনে লকডাউনের প্রতিবাদে হাতিয়ার বাপ্পি লাহিড়ির গান ‘জিমি জিমি আজা আজা’! ব্যাপারটা কী?

    বাপ্পি লাহিড়ি (Bappi Lahiri) একবার সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছিলেন, তাঁর ও লতা মঙ্গেশকরের সম্পর্কের ব্যাপারে, যে তিনি তাঁকে শ্রদ্ধা করে মা সরস্বতী বলতেন। তিনি জানিয়েছিলেন যে, তিনি মা সরস্বতীর সঙ্গে ‘সুনি সুনি রাহেন’ (ফির জনম লেঙ্গে হাম) এবং ‘তু কাহাঁ আ গয়ি জিন্দেগি’ (ভাবনা) এর মত সিরিয়াস ব্যালাডগুলিতে কাজ করার জন্য গর্বিত। বাপ্পিদা আরও জানিয়েছিলেন, তাঁর ‘তু কাহান আ গায়ে জিন্দেগি’ গানটিতে সুর দিয়েছিলেন তিনি, গেয়েছিলেন মাতা সরস্বতী। এমনকি ‘প্যাস’ ছবিতে মা সরস্বতীর সঙ্গে তাঁর আরেকটি ক্লাসিক্যাল গান ছিল। গানটি ছিল ‘দর্দ কি রাগিনী মুসকুরাকে ছেড় দে’। তিনি সেই গানের সুর দেওয়ার জন্য খুব গর্বিত। লতা মঙ্গেশকর এটিকে তাঁর (Bappi Lahiri) সর্বকালের গানগুলোর মধ্যে সেরা বলেছিলেন।

    এককথায় বাপ্পি লাহিড়ির (Bappi Lahiri) সৃষ্ট হিন্দি চলচ্চিত্রের একাধিক ডিস্কো গান তাঁর কেরিয়ারের অন্যতম স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্য হলেও এমনটা নয় যে, তাঁর ডিস্কো গানগুলো ছাড়া অন্য গানগুলো হিট হয়নি। ফলে তিনি একদিকে যেমন ডিস্কো টাইপের গানের জন্য জনপ্রিয় ছিলেন, তেমনি সফট, মেলোডিয়াস গানের জন্যও পরিচিত ছিলেন (Bappi Lahiri)। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

     

     

  • FIFA World Cup: ফিফা বিশ্বকাপে ভারতের তেরঙ্গা গায়ে দেখা গেল আর্জেন্টিনার এক মহিলাকে, কিন্তু কেন?

    FIFA World Cup: ফিফা বিশ্বকাপে ভারতের তেরঙ্গা গায়ে দেখা গেল আর্জেন্টিনার এক মহিলাকে, কিন্তু কেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জমে উঠেছে কাতার ফুটবল বিশ্বকাপ ২০২২ (FIFA World Cup)। বিশ্বকাপের উন্মাদনা পৌঁছে গিয়েছে বিশ্বের প্রতিটি দেশে। ফুটবলপ্রেমীরা পছন্দের দলের জার্সি পরে সোশ্যাল মিডিয়ায় উচ্ছ্বাস প্রকাশ করছেন। তবে এবারে এক অদ্ভুত ঘটনার সাক্ষী থাকল নেটিজেনরা। আর্জেন্টিনার এক মহিলাকে ভারতের তেরঙ্গা গায়ে জড়িয়ে দেখা গেল কাতারে। আর মহিলার এমন কাণ্ড সবার নজর কেড়েছে। তবে প্রশ্ন একটাই, কেন এমনটা করলেন তিনি, কী রয়েছে এর পিছনের আসল রহস্য?

    ভারতের পতাকা গায়ে আর্জেন্টিনার মহিলা

    জানা গিয়েছে, আর্জেন্টিনার এই মহিলার নাম লেটি এস্তেভেজ। কেরালার এক ফুটবলপ্রেমী ইয়াদিল এম ইকবালের শেয়ার করা একটি ভিডিওতে লেটি এস্তেভেজকে ভারতীয় জাতীয় পতাকা গায়ে জড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে। সম্প্রতি ইকবাল তাঁর ইনস্টাগ্রামে সেই ভিডিও শেয়ার করেছে, যা ইতিমধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ঝড়ের বেগে ভাইরাল হতে শুরু হয়েছে। শেয়ার করা ওই ভিডিওতেই এস্তেভেজকে তিরঙ্গা ধরে থাকতে দেখা গেছে (FIFA World Cup)।

    [insta]https://www.instagram.com/reel/ClVx-_nuMrK/?utm_source=ig_web_copy_link[/insta]

    আরও পড়ুন: নতুন জীবন পেল আর্জেন্টিনা! বিশ্বকাপে এগিয়ে যেতে এবারে কী করতে হবে মেসিদের?

    কেন এমন করলেন এই মহিলা?

    ভিডিও-এর মাধ্যমে জানা গিয়েছে, এস্তেভেজ তিরঙ্গা পরতে চেয়েছিলেন কারণ তিনি তাঁর দেশের প্রতি ভারতীয়দের ভালবাসা দেখে অবাক হয়েছিলেন। তাই তিনি এমনটা করেছিলেন। এই ভিডিও-র শুরুতে ইকবাল এস্তেভেজকে বলেন যে, ভারতীয়রা আর্জেন্টিনা ফুটবল (FIFA World Cup) টিমের কত বড় ফ্যান, বিশেষ করে লিওনেল মেসি কতটা প্রিয় ভারতীয়দের কাছে। আর এর পরেই জানা যায় যে, ভারতীয়রা আর্জেন্টিনাকে সবসময় সাপোর্ট করায়, এই বিষয়টি তাঁর মন ছুঁয়ে গিয়েছে। ফলে তিনি ভারতের প্রতি তাঁর ধন্যবাদ জানাতেই এমনটা করেছেন তিনি।

    এই ভিডিও শেয়ার করে ইকবাল ক্যাপশনে লিখেছেন, “ফুটবল দ্বারা একত্রিত, জাতি দ্বারা বিভক্ত। আমাদের দেশকে ভালবাসার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।” এই ভিডিওটিতে ইতিমধ্যেই ২লক্ষ ১৯ হাজারের বেশি লাইক এসেছে। এই ভিডিওটি শেয়ার করার জন্য নেটিজেনরা ইকবালকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Adar Poonawalla: কোটি টাকার প্রতারণার শিকার আদর পুনাওয়ালার সিরাম সংস্থা, গ্রেফতার ৭

    Adar Poonawalla: কোটি টাকার প্রতারণার শিকার আদর পুনাওয়ালার সিরাম সংস্থা, গ্রেফতার ৭

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গত সেপ্টেম্বর মাসে ‘সিরাম ইনস্টিটিউশন সিইও- এর (Serum Institution) (Adar Poonawalla) নাম করে প্রতারকদের টাকা চাওয়ার অভিযোগে উত্তাল হয়েছিল নেটপাড়া। দেশের ভ্যাকসিন প্রস্তুতকারী সংস্থা সিরাম ইনস্টিটিউশনের (Seram Institute) সিইও আদর পুনাওয়ালার (Adar Poonawalla) নাম করে ১.০১ কোটি টাকা চাওয়ার অভিযোগ উঠেছিল। এরপর এই ঘটনার তদন্তে নামে মহারাষ্ট্র পুলিশ (Maharashtra Police)। সোমবার ৩ অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এই নিয়ে মোট ৭ অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হল। যদিও প্রতারণার মূল চক্রীকে এখনও ধরা যায়নি।

    ঘটনাটি কী?

    পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রতারকরা আদর পুনাওয়ালা (Adar Poonawalla) সেজে ভুয়ো মেসেজ পাঠায় এসআইআই-এর অর্থ বিভাগের পরিচালক সতীশ দেশপান্ডের হোয়াটসঅ্যাপে এবং ৮টি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে টাকা দ্রুত ট্রান্সফারের জন্য বলে। দেশপাণ্ডে ওই মেসেজ সত্যিই আদর পুনাওয়ালা (Adar Poonawalla) পাঠিয়েছেন এই ভেবে তিনি ১,০১,০১,৫৫৪ কোটির বেশি টাকা প্রতারকদের অ্যাকাউন্টে পাঠিয়ে দেন। পরে তাঁরা বুঝতে পারেন যে এসআইআই (Adar Poonawalla) প্রতারিত হয়েছে।

    আরও পড়ুন: হোয়াটসঅ্যাপে প্রতারণার শিকার! মুহূর্তে গায়েব কোটি কোটি টাকা? কী করবেন, জানুন…

    প্রতারণার অভিযোগে গ্রেফতার ৭

    এরপরেই দ্রুত পুলিশে অভিযোগ দায়ের করা হয়। এরপর ওই আটটি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দেয় পুলিশ। অ্যাকাউন্টগুলির সূত্র ধরে তদন্তে নামেন পুলিশ। এর পর দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে গ্রেফতার করা শুরু হয়। ডেপুটি পুলিশ কমিশনার স্মর্তনা পাটিল (Deputy Commissioner of Police Smartana Patil) বলেন, ‘‘ওই অ্যাকাউন্টের মালিক ছিলেন ৮ জন। তাঁদের মধ্যে ৭ জন এখনও পর্যন্ত গ্রেফতার। প্রধান অভিযুক্তের খোঁজ চলছে। ওই সাতটি অ্যাকাউন্টের টাকা আবার ৪০টি অ্যাকাউন্টে পাঠানো হয়েছে। সেই ৪০টি অ্যাকাউন্টের খোঁজ মিলেছে।’’ তিনি আরও জানান, এই সাতটি অ্যাকাউন্ট ছাড়াও ৪০টি অ্যাকাউন্টও বন্ধ করে দিয়েছে পুলিশ।

    পুলিশ জানায়, অ্যাকাউন্টগুলিতে (Adar Poonawalla) থাকা ১৩ লক্ষ টাকা বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। শুক্রবার পুনে শহরের সাইবার ক্রাইম বিভাগ ৩ অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে। আর আগেই অন্য ৫ অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। যদিও মূলচক্রীকে এখনও পর্যন্ত ধরা যায়নি। যার খোঁজ পেতে চিরুনি তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ।  

    আরও পড়ুন: করোনার পর সারভাইক্যাল ক্যান্সারের টিকা দেশের মাটিতে 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।  

LinkedIn
Share